Tag: Cyclone

Cyclone

  • Cyclone Montha: ভিজল কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা! মন্থার প্রভাবে বিপর্যস্ত অন্ধ্র-ওড়িশা

    Cyclone Montha: ভিজল কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা! মন্থার প্রভাবে বিপর্যস্ত অন্ধ্র-ওড়িশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় মন্থার (Cyclone Montha) প্রভাবে জগদ্ধাত্রী পুজোর আগেই কলকাতার আকাশে কালো মেঘ। তবে যতটা অন্ধ্র উপকূলে শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়ার পর রাত পোহাতেই প্রবল ঘূর্ণিঝড় মন্থা অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। বুধবার ভোর থেকেই তার পরোক্ষ প্রভাব পড়েছে রাজ্যে। আকাশ মেঘলা, সঙ্গে মাঝেমধ্যেই বৃষ্টি। যদিও ঘূর্ণিঝড় মন্থার প্রভাবে অন্ধ্র ও ওড়িশায় ব্যাহত জনজীবন৷ প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত অন্ধ্রের কমপক্ষে ১৫ জেলা। ওড়িশার একাধিক জেলাতেও প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্য়েই অন্ধ্রে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে গাছ পড়ে।

    কলকাতায় শুরু বৃষ্টি

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শক্তি ক্ষয় হলেও মন্থা এখনও পুরোপুরি থামেনি। ফলে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আজও ঝিরঝিরে থেকে মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়ছে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু জেলায়। কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ৩১ ডিগ্রি, সর্বনিম্ন ২৫ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করবে। আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের মতে, ঘূর্ণিঝড়ের মাত্র ৪০ শতাংশ ভূমিভাগে প্রবেশ করেছে। বাকী ৬০ শতাংশ উপযুক্ত পরিবেশ না পেয়ে থেকে গিয়েছে সমুদ্রেপৃষ্ঠেই। ল্যান্ডফল হওয়ার সময় মান্থার গতি ধরা হয়েছিল ১১০ কিলোমিার প্রতি ঘণ্টা। কিন্তু অন্ধ্রের কাকিনাড়ায় যখন এটি ল্যান্ডফল করে তখন এটির গতি দাঁড়ায় ঘণ্টায় ৭৩ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। ঘূর্ণিঝড়ের যে অংশ সুমদ্রপৃষ্টে রয়ে গিয়েছে সেটি জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করতে করতে ওড়িশা হয়ে বাংলা উপকূলে আসতে পারে।

    বাংলায় মন্থার প্রভাব

    সমুদ্র এখনও অশান্ত, ভাঁজ তুলছে ঢেউ। তাই ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে না যাওয়ার নির্দেশ বহাল রয়েছে। আজ বুধবার বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, দিনের শুরু থেকেই আকাশে ঘন মেঘের ছাপ থাকবে। আজ দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি, বজ্রঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৩০ থেকে ৩১ অক্টোবর পুরুলিয়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম ও পূর্ব বর্ধমানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি এই দুদিন উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের যে অংশ ইতিমধ্যেই ল্যান্ডফল করেছে সেটিও স্থলভাগ দিয়ে ছত্তিশগড়ের দিকে যাচ্ছে। আগামিকাল ঝাড়খণ্ড, বিহার হয়ে সেটি উত্তরবঙ্গে ঢুকবে। আগামিকাল অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। ল্যান্ডফল না করা অংশ যেটি সমুদ্রপৃষ্টে রয়েছে সেটির অভিমুখ ওড়িশা উপকূল। আজ দুপুরের পরে এর জেরে কলকাতায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। ইতিমধ্যেই কলকাতায় টিপটিপ বৃষ্টি শুরু হয়েছে, এই বৃষ্টি আরও বাড়বে। পাশাপাশি যে গুমোট গরম অনুভূত হচ্ছে তা কাটতে সময় লাগবে।

    অন্ধ্রপ্রদেশে মন্থার প্রভাব

    মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ স্থলভাগে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় মন্থা। বুধবার গভীর রাত আড়াইটে নাগাদ, তীব্র ঘূর্ণিঝড় থেকে দুর্বল হয়ে মন্থা উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশের উপর দিয়ে বয়ে যায়। তারপর এটি আরও দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়, বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অন্ধ্রপ্রদেশের কোনাসিমা জেলার মাকানাগুডেম গ্রামে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। রাজ্যের ৩৮ হাজার হেক্টর জমির ফসল ধ্বংস হয়েছে এবং ১.৩৮ লক্ষ হেক্টর বাগানের ফসল নষ্ট হয়েছে। মন্থার প্রভাবে, অন্ধ্রের নেলোর জেলায় মঙ্গলবার সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। অন্তত ৭৬ হাজার মানুষকে ত্রাণ শিবিরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে৷ অন্যদিকে, অন্ধ্র সরকার বিভিন্ন স্থানে ২১৯ টি চিকিৎসা শিবিরের ব্যবস্থা করেছে। ঘূর্ণিঝড়ের কথা মাথায় রেখে ৮৬৫ টন পশুখাদ্যের ব্যবস্থাও করেছে। সরকার মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় কবলিত জেলা কৃষ্ণা, এলুরু এবং কাকিনাড়ায় রাস্তায় যানবাহন চলাচল স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে।

    ওড়িশায় মন্থার প্রভাব

    প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানিয়েছেন, উপকূলীয় ও দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ওড়িশায় ভূমিধস এবং ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ পাশাপাশি উপড়ে গিয়েছে বহু গাছ ৷ দক্ষিণ ওড়িশার আটটি জেলা – মালকানগিরি, কোরাপুট, রায়গড়া, গজপতি, গঞ্জাম, কন্ধমাল, কালাহান্ডি এবং নবরঙ্গপুর থেকে ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে । তবে, এই অঞ্চলের মোট ১৫টি জেলায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে। গজপতি জেলার আনাকা গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, কাছাকাছি পাহাড় থেকে বড় বড় পাথর পড়ে পাঁচটি গ্রামের রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। জায়গাটি আগে ভূমিধস-প্রবণ এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তাই, অবরোধ দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ এছাড়াও রায়গড়া জেলার গুণুপুর, গুড়ারি এবং রামনাগুড়া এলাকায় গাছ উপড়ে পড়েছে। খ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি ঝড়ের সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবিলায় রাজ্যের প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেছেন। তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের থাকার জন্য ২০০০-টিরও বেশি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে এবং কোনও হতাহতের খবর নেই৷ এনডিআরএফ, ওডিআরএএফ এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সমন্বয়ে ১৫৩টি উদ্ধারকারী দল (৬০০০ জনেরও বেশি কর্মী) দক্ষিণের আটটি জেলার ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে রয়েছে এবং পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। পর্যটক এবং স্থানীয় মানুষ যাতে উপকূলে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য প্রশাসন সমস্ত সৈকত সিল করে দিয়েছে।

  • Cyclone Montha: আজই ল্যান্ডফল! এগিয়ে আসছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় মন্থা, দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা

    Cyclone Montha: আজই ল্যান্ডফল! এগিয়ে আসছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় মন্থা, দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শক্তি বাড়িয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে মন্থা (Cyclone Montha)। বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে স্থলভাগের দিকে আসতে আসতে জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করে আরও শক্তি বেড়েছে ঘূর্ণিঝড়ের। মঙ্গলবার সন্ধ্যা বা রাতে অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে ১১০ কিমি বেগে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। এর প্রভাবে অন্ধ্র এবং ওড়িশার উপকূলে বিরাট ক্ষতির আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা৷ তবে বাদ যাবে না বাংলাও ৷ ঘূর্ণিঝড় মন্থার প্রভাবে বঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর ৷ সেই সঙ্গে ৩০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ৷

    অন্ধ্রপ্রদেশে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব

    অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ইতিমধ্যে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। দুর্যোগ শুরু হয়েছে ওড়িশা এবং তামিলনাড়ুতেও। অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে মঙ্গলবার। সেখানে ১৯টি জেলায় ঝড়বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া তিন জেলায় দুর্যোগের কমলা সতর্কতা এবং চার জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা এবং রাতের মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশের মছলিপত্তনম এবং কলিঙ্গপত্তনমের মাঝে কোথাও আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণি। ওই সময় মন্থার সর্বোচ্চ গতি থাকবে ঘণ্টায় ৯০-১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু জানিয়েছেন, সে রাজ্যের ৩,৭৭৮টি গ্রামে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে তামিলনাড়ুর উপকূলবর্তী কিছু এলাকাতেও। সেখানেও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে প্রশাসন। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বিশাখাপত্তনম বিমানবন্দর থেকে বেশ কিছু উড়ান বাতিল করা হয়েছে।

    সতর্কতা ওড়িশায়

    মঙ্গলবার সকাল থেকে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে ওড়িশার দক্ষিণ ভাগের আট জেলায়। ওড়িশার গঞ্জাম, গজপটি, কোরাপুট, রায়গড় এবং মালাকানগিরি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এই জেলাগুলিতেও দুর্যোগের লাল সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। এ ছাড়া পুরী-সহ ওড়িশার ১১ জেলায় জারি রয়েছে ঝড়বৃষ্টির কমলা সতর্কতা। মঙ্গলবার সকাল থেকে ওড়িশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। দুর্যোগ আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আগে দুই রাজ্যেই নিচু এলাকাগুলি থেকে সাধারণ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে শুরু করেছে প্রশাসন।

    পশ্চিমবঙ্গে প্রভাব কতটা

    রাতের দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জেলাতেও। মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী দুই জেলা— দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে বইতে পারে দমকা হাওয়াও। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মঙ্গলবার বিকেলের পর থেকেই দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ৷ বেশ কয়েকটি জেলায় হতে পারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টিও ৷ ঘূর্ণিঝড়ের পরোক্ষ প্রভাব থাকায় বাংলার উপকূলবর্তী এলাকার জেলা প্রশাসনকে ইতিমধ্যেই সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷

    জেলায় জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা

    ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ও মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। আজ, মঙ্গলবারের মধ্যে বাংলার উপকূলে মৎস্যজীবীদের ফিরে আসতে নির্দেশ। আগামিকাল ২৮ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলার উপকূলে সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা মৎস্যজীবীদের। উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ৩১ অক্টোবর উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি জেলাতে অতি ভারী বৃষ্টি অর্থাৎ ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। ওই দিন ভারী বৃষ্টি হবে মালদা এবং উত্তর দিনাজপুরেও। ৩০ অক্টোবর ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা মালদা উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ি জেলাতে। ২৯ থেকে ৩১ অক্টোবর উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা বাতাস বইবে। দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। উপকূলের জেলা দিয়ে শুরু হয়ে উত্তরবঙ্গ লাগোয়া জেলা পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ জেলাতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২৮ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি বিক্ষিপ্তভাবে হবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে দমকা বাতাস বইবে।

    কলকাতায় মন্থার প্রভাব

    কলকাতায় আজ, মঙ্গলবার সকালে ঝলমলে আকাশ। পরে আংশিক মেঘলা আকাশ। বিকেলের দিকে মেঘলা আকাশ এবং বৃষ্টির সম্ভাবনা। আজ, মঙ্গলবার থেকে শুক্রবারের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি কলকাতাতে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সঙ্গে দমকা বাতাস বইবে।

    বন্ধ বিমান ও রেল পরিষেবা

    মন্থার কারণে ওড়িশা এবং বিশাখাপত্তনমের মধ্য দিয়ে যাওয়া ৩২টি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। এই নিয়ে ভুবনেশ্বরের ইস্ট কোস্ট রেলওয়ের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা (সিপিআরও) দীপক রাউত এএনআইকে বলেন, ‘যাত্রীরা যাতে খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেজন্য আমরা বিশাখাপত্তনমের মধ্য দিয়ে যাওয়া ৩২টি ট্রেন বাতিল করেছি। আজ বিকেল ৪টা পর্যন্ত ট্রেন চালানোর জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি; এদিকে লোকাল মেমু এবং অন্যান্য ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বাতিল ট্রেনের তালিকা সোশ্যাল মিডিয়া এবং আমাদের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আপলোড করা হয়েছে… ডাইভারশনের বিষয়ে, টাটানগর-এর্নাকুলাম এক্সপ্রেসের পথ পরিবর্তন করা হয়েছে এবং দুটি ট্রেনকে সংক্ষিপ্তভাবে থামানো হয়েছে- ভুবনেশ্বর-জগদলপুর এক্সপ্রেস এবং রাউরকেলা-জগদলপুর এক্সপ্রেস।’এছাড়া ইস্ট কোস্ট রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত বিশাখাপত্তনম- তিরুপতি, বিশাখাপত্তনম-চেন্নাই, বিশাখাপত্তনম- কিরণদুল, বিশাখাপত্তনম-কোরাপুট রুটে ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকবে। সব মিলিয়ে ৬৫টিরও বেশি লোকাল এবং এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল করেছে রেল। এদিকে ঘূর্ণিঝড় মন্থার কারণে মঙ্গলবার অন্ধ্রপ্রদেশের গন্নাভরম বিমানবন্দরে ৩০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করার ঘোষণা করা হয়েছে। বিশাখপত্তনম বিমানবন্দর থেকেও মঙ্গলবারের জন্য সমস্ত ফ্লাইট পরিচালনা স্থগিত করা হয়েছে।

  • Weather Update: দক্ষিণ ভারতে ধেয়ে আসছে ‘ফেনজল’, ল্যান্ডফল বিকেলেই, কলকাতায় মেঘলা আকাশ

    Weather Update: দক্ষিণ ভারতে ধেয়ে আসছে ‘ফেনজল’, ল্যান্ডফল বিকেলেই, কলকাতায় মেঘলা আকাশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ শহরে। কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টিও (Weather Update) হয়েছে। বইছে ঝোড়ো হাওয়া। ঘূর্ণিঝড় ফেনজলের (Cyclone Fengal) প্রভাব পড়ছে বাংলায়। মৌসম ভবন জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ থেকে শুক্রবারই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়ে গিয়েছে। শনিবার বিকেলের মধ্যে হবে তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরির উপকূলে হবে ঘূর্ণিঝড়ের ‘ল্যান্ডফল’।

    বাংলায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব

    সরাসরি না হলেও এই ঘূর্ণিঝড়ের পরোক্ষ প্রভাব পড়বে রাজ্যের কয়েকটি জেলায় (Weather Update)। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের চার জেলায় বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাসে (West Bengal Weather Update) জানিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস। বৃষ্টি হবে উপকূলবর্তী পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা। এছাড়াও কলকাতা এবং সংলগ্ন জেলাগুলিতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। আগামী সোমবার পর্যন্ত এই পরিস্থিতি থাকবে বলেই জানানো হয়েছে।

    কলকাতায় রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি 

    নিম্নচাপের (Cyclone Fengal) প্রভাবে সকালে শহরের তাপমাত্রা কম থাকলেও রাতের দিকে গরম বাড়বে বলে জানিয়েছে আলিপুুর। শনিবার স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় পাঁচ ডিগ্রি বেশি রয়েছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর (Weather Update)। শুক্রবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে তিন ডিগ্রি বেশি। শনিবার তাপমাত্রা আরও বেড়েছে। সকালে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে যা ৪.৫ ডিগ্রি বেশি। শুক্রবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  ৩০ নভেম্বর এবং ১ ডিসেম্বর কলকতার সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ২৭ এবং ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকতে পারে। 

    ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল, তামিলনাড়ুতে সতর্কতা

    মৌসম ভবনের (Weather Update) তরফে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর থেকে গত ছ’ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Fengal) ক্রমে উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়েছে। এই সময়ে সমুদ্র তার গতি ছিল ঘণ্টায় সাত কিলোমিটার। শনিবার সকালে চেন্নাই থেকে ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম এবং পুদুচেরি থেকে ১৮০ কিলোমিটার পূর্ব দিকে রয়েছে ঘূর্ণিঝড়। আগামী কয়েক ঘণ্টায় তা আরও পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে সরবে। তামিলনাড়ু-পুদুচেরী উপকূলে কারইকাল এবং মহাবলীপুরমের মধ্যে দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে ঘূর্ণিঝড়, জানিয়েছে মৌসম ভবন। এই সময়ে তার গতি থাকবে ঘণ্টায় ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে ‘ফেনজলের’ বেগ। এর ফলে সোমবার পর্যন্ত তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কর্নাটকের বেশ কিছু এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

    কুয়াশাচ্ছন্ন উত্তরবঙ্গ

    ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Fengal) প্রভাব দক্ষিণবঙ্গে পড়লেও উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদার আবহাওয়া শুষ্কই থাকবে। কোথাও কোনও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। এর মধ্যে বেশ কিছু জেলায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে সকালের দিকে (Weather Update)। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Cyclone Fengal: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফেনজল’! তামিলনাড়ু উপকূলে দুর্যোগ রুখতে প্রস্তুত নৌবাহিনী

    Cyclone Fengal: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফেনজল’! তামিলনাড়ু উপকূলে দুর্যোগ রুখতে প্রস্তুত নৌবাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে ঘনাচ্ছে সাইক্লোন ‘ফেনজল’। শনিবার তামিলনাড়ু-পুদুচেরি উপকূলে মহাবলীপুরম এবং কারাইকলের মধ্যবর্তী অংশ দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে ঘূর্ণিঝড়টি। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে তামিলনাড়ুর উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। এই পরিস্থিতিতে দুর্যোগ মোকাবিলায় তামিলনাড়ুতে প্রস্তুত রয়েছে নৌবাহিনী। 

    ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ 

    দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হয়ে আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর (ইন্ডিয়ান মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট বা আইএমডি)। আইএমডি তাদের সর্বশেষ বুলেটিনে জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে যে গভীর নিম্নচাপটি তৈরি হয়েছে, সেটি আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে তামিলনাড়ু উপকূলে। ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার। মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে পুদুচেরি এবং উপকূলবর্তী অন্ধ্রপ্রদেশেও।

    ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব

    তামিলনাড়ুর আঞ্চলিক আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে চেন্নাই, ময়িলাদুথুরাই, তিরুভারুর, নাগাপট্টিনম, তিরুভাল্লুর, কাঞ্চিপুরম, চেঙ্গলপেট এবং কাড্ডালোর জেলায়। ইতিমধ্যেই এই আট জেলায় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। নাগাপট্টিনম, তিরুভারুরের মতো উপকূলবর্তী জেলায় মঙ্গলবার থেকেই আবহাওয়া পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তাই মঙ্গলবার থেকেই সেখানে স্কুল-কলেজ বন্ধ। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ১,৬৩৪টি ত্রাণশিবির প্রস্তুত রাখছে রাজ্য প্রশাসন।

    নিম্নচাপের অবস্থান

    আবহাওয়ার রিপোর্ট বলছে, শ্রীলঙ্কার উপকূলে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপটি প্রায় ৯ ডিগ্রি উত্তর এবং ৮২ ডিগ্রি পূর্বে কেন্দ্রীভূত। নিম্নচাপটি পুদুচেরির প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এবং তামিলনাড়ু উপকূল অভিমুখে ধীরে ধীরে উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আজ রাত এবং শুক্রবার সকালের মধ্যে শক্তি সঞ্চয়ে সচেষ্ট হবে ঘূর্ণিঝড়টি। তবে শনিবার সকালে প্রত্যাশিত ল্যান্ডফলের আগে ঝড়টি আরও দুর্বল হতে পারে বলে মনে করছে আবহবিদরা৷ সিস্টেমটি উত্তর তামিলনাড়ুর উপকূলের কাছাকাছি চলে এলে, নাগাপট্টিনাম, কারাইকাল, কাড্ডালোর, পুদুচেরি, তাম্বারাম এবং চেন্নাইয়ের মতো বেশ কয়েকটি জায়গায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার ঝুঁকি থাকবে। 

    বিপর্যয় রুখতে সক্রিয় নৌবাহিনী

    শুক্রবার থেকেই ঘূর্ণিঝড়টি তীব্রতা এবং বিস্তার বাড়াবে এবং শুক্রবার ভোর রাত থেকে ৩০ নভেম্বর অর্থাৎ শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জারি থাকতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব। একইসঙ্গে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের জেরে আগামী দু’দিন অবিরাম বৃষ্টি এবং প্রবল ঝোড়ো দমকা বাতাস রেল, সড়ক ও বিমান চলাচল ব্যাহত করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে তামিলনাড়ুর উপকূলে ভারী বৃষ্টি, প্রবল বাতাস ও বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য, নৌবাহিনী স্থানীয় প্রশাসন ও সিভিল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। নৌবাহিনী বিভিন্ন ভৌগলিক এলাকায় দুর্যোগ সহায়তা দল (FRTs) এবং ডাইভিং টিমকে প্রস্তুত রেখেছে, যারা জরুরি উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রস্তুত। এছাড়া, জরুরি ত্রাণ সামগ্রী যেমন খাদ্য, জল, ওষুধ এবং প্রস্তুত খাবারের বাক্স সহ অন্যান্য সরঞ্জাম পূর্ণ বিশাল যুদ্ধজাহাজগুলিকে সমুদ্রে পাঠানো হয়েছে। ত্রাণের উপকরণ দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পাঠানোর জন্য পরিবহণ যানও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দলগুলি উদ্ধার ও ত্রাণ প্রচেষ্টার জন্য বোট ও হেলিকপ্টার নিয়ে প্রস্তুত রয়েছে। বিপদাপন্ন অঞ্চলের বাসিন্দাদের সতর্কতা হিসেবে, কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, যাতে তাঁরা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে পারেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’য় ক্ষতিগ্রস্ত বহু এলাকা তবে প্রাণহানি হয়নি, জানালেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী

    Cyclone Dana: ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’য় ক্ষতিগ্রস্ত বহু এলাকা তবে প্রাণহানি হয়নি, জানালেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় দানা (Cyclone Dana) কাঁপাল বাংলা ও ওড়িশা (Odisha)। গত কয়েক বছরে ঘূর্ণিঝড় আর ওড়িশা যেন সমার্থক হয়ে উঠেছে। বারবার ওড়িশা উপকূল তছনছ করেছে বিভিন্ন সাইক্লোন। ঘটেছে প্রাণহানি। তবে এবার, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে ওড়িশায় বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হলেও, কোনও প্রাণহানি ঘটেনি। আগেভাগে সতর্কতা অবলম্বন করে উপকূলভাগ থেকে মানুষদের নিরাপদ দূরত্বে শরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল রাজ্যের বিজেপি সরকার। সজাগ ছিল প্রশাসন। তাই এড়ানো গিয়েছে হতাহতের ঘটনা। ওড়িশা সরকারের ‘জিরো ক্যাজুয়ালটি মিশন’ সফল হয়েছে, বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি (Mohan Charan Majhi)।

    ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সক্রিয় সরকার

    শুক্রবার সকালে দুর্যোগ-পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ওড়িশার (Odisha) মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Dana) মোকাবিলায় তাঁর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার কী কী পদক্ষেপ করেছে, তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জানানো হয়েছে। কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ প্রচেষ্টায় ‘জিরো ক্যাজুয়ালটি মিশন’ সফল হয়েছে। এদিন সকাল সাড়ে ৭টায় ঘূর্ণিঝড়টির স্থলভাগে ঢোকার প্রক্রিয়া (ল্যান্ডফল) শেষ হয়। ‘ল্যান্ডফলের’ এই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী (Mohan Charan Majhi)। তিনি বলেন, “প্রশাসনিক নজরদারি এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির কারণে কারও মৃত্যু হয়নি। সরকারের লক্ষ্য ছিল, আমরা কাউকে মারা যেত দেব না। আমরা কথা রাখতে পেরেছি।”

    আরও পড়ুন: কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে সেনার গাড়িতে হামলা! গুলমার্গে শহিদ দুই জওয়ান সহ ৪

    নিরাপদ আশ্রয়ে ৫.৮ লক্ষ মানুষ

    ওড়িশার (Odisha) মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি জানিয়েছেন, মোট ৫.৮ লক্ষ মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার জন্য বিপর্যয় (Cyclone Dana) মোকাবিলা দফতরের ৩৮৫টি দল কাজ করেছে৷ স্থানান্তরিতদের মধ্যে ছিলেন ৬০০০ সন্তানসম্ভবাও। তাঁদের তড়িঘড়ি বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হওয়া ১৬০০ জন প্রসূতি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী (Mohan Charan Majhi)। ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রাণহানি রুখতে আগেই ৮৩২২টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রেখেছিল ওড়িশা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার মধ্যে দুর্গতদের অন্তত ৬০০৮টি সেন্টারে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার রাত সওয়া ১১টা নাগাদ ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারার মধ্যবর্তী হাবালিখাটি নেচার ক্যাম্পের কাছে স্থলভাগে আছড়ে পড়েছিল ‘দানা’। এর জেরে বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছে ওড়িশার ধামারা। প্রচুর গাছ ভেঙে পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সকাল থেকে সেই গাছ কেটে রাস্তা সাফ করার কাজে নেমে পড়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ভুবনেশ্বরের কন্ট্রোল রুমে বসে পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি (Mohan Charan Majhi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: ‘দানা’র দাপটে লণ্ডভণ্ড হতে পারে ওড়িশার তিন জেলা, কোথায়, কত বেগে বইবে ঝড়?

    Cyclone Dana: ‘দানা’র দাপটে লণ্ডভণ্ড হতে পারে ওড়িশার তিন জেলা, কোথায়, কত বেগে বইবে ঝড়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র (Cyclone Dana) ভয়ে কাঁপছে ওড়িশা। মৌসম ভবন জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি ওড়িশার (Odisha) ভিতরকণিকা এবং ধামারা দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। বৃহস্পতিবার রাতে আছড়ে পড়ার সময় ঝড়ের গতি হতে পারে ঘণ্টায় ১০০-১১০ কিলোমিটার। সর্বাধিক গতি পৌঁছতে পারে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। এই ঝড়ের তাণ্ডব সবচেয়ে বেশি দেখা যাবে বালেশ্বর, ভদ্রক এবং কেন্দ্রাপাড়ায়। এই তিন জেলাতে তাই বেশি ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঝড়ের মোকাবিলায় সক্রিয় রয়েছে ওড়িশার বিজেপি সরকার। উপকূলবর্তী অঞ্চলে মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে।

    ঝড়ের গতি কোথায় কত কিমি বেগে

    মৌসম ভবনের ভুবনেশ্বর (Odisha) আঞ্চলিক অফিসের তথ্য বলছে, বালেশ্বর, ভদ্রক এবং কেন্দ্রাপাড়ায় ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ১১০-১২০ কিলোমিটার। ময়ূরভঞ্জ জেলায় ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ৮০-৯০ কিলোমিটার। জগৎসিংহপুর, কটক, জাজপুর জেলায় এই গতিবেগ হতে পারে ৬০-৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। অন্যদিকে, পুরী, খুরদা, ঢেঙ্কানল এবং কেওনঝড়ে ‘দানা’র গতি হতে পারে ঘণ্টায় ৬০-৭০ কিলোমিটার, সুন্দরগড়ে ৫০-৬০ কিমি, গঞ্জাম নয়াগড়, আঙ্গুল, দেওগড় এবং সম্বলপুরে এই ঝড়ের গতি হতে পারে ৪০-৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। ঝোড়ো হাওয়ার পাশাপাশি এই জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।

    মুষলধারে বৃষ্টি ধামরায়

    ধামরাতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে অঝোরে বৃষ্টি। সঙ্গে ঝোড়ো বাতাস (Cyclone Dana)। সেই বাতাসের বেগ এতটাই বেশি যে সোজাভাবে দাঁড়ানোও অসম্ভব হয়ে উঠছে। প্রতিবেদন লেখার সময় পারাদ্বীপ থেকে ২৬০ কিমি,  ধামরা থেকে ২৯০ কিমি এবং সাগরদ্বীপ থেকে ৩৫০ কিমি দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় দানা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধামরায় বৃষ্টির দাপটও বেড়েছে। বর্তমানে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে ধামরা বন্দর এলাকায়। কালো মেঘে চারিদিক অন্ধকার। তুমুল বৃষ্টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বাতাসের দাপট। ঝড়-বৃষ্টির জেরে দৃশ্যমানতা কমছে, দূরে কিছু দেখা যাচ্ছে না।  

    আরও পড়ুন: শিকল দিয়ে বাঁধা ক্রেন! ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কায় সতর্ক হলদিয়া, বন্ধ বিমান ওঠা-নামাও

    সরকারের পদক্ষেপ

    সাইক্লোনের পাশাপাশি ধামরায় ভয় বাড়াচ্ছে জোয়ার। আজ রাতে যে সময়ে ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) ল্যান্ডফল হওয়ার কথা, সেই সময়ে জোয়ার আসে। ইতিমধ্যেই ফুঁসছে সমুদ্র। ফুলেফেঁপে উঠছে সমুদ্রের জল। দ্রুত জলস্তর বাড়ছে। এভাবেই জল বাড়তে থাকলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। ধামরা বন্দর লাগোয়া মৎসজীবীদের গ্রাম। তা জলের তলায় ডুবে যেতে পারে বলেই আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই ওড়িশার (Odisha) বিজেপি সরকার এলাকা খালি করে দিয়েছে। বাসিন্দাদের ত্রাণকেন্দ্র ও নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সবসময় মানুষের পাশে রয়েছে সরকার। কেন্দ্রের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ধামরা ও ভিতরকণিকায় রয়েছে একাধিক দ্বীপ, যেখানে মানগ্রোভ অরণ্য রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে মানগ্রোভ অরণ্যের। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Dana: আসছে ‘দানা’! ১৪ ঘণ্টা পরিষেবা বন্ধ শিয়ালদা দক্ষিণে, হাওড়ায় বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন

    Cyclone Dana: আসছে ‘দানা’! ১৪ ঘণ্টা পরিষেবা বন্ধ শিয়ালদা দক্ষিণে, হাওড়ায় বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র (Cyclone Dana) আশঙ্কায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিল রেল। ইতিমধ্যেই পূর্ব রেল (Train Cancelled) জানিয়েছে, শিয়ালদা দক্ষিণ এবং হাসনাবাদ শাখায় বাতিল করা হয়েছে ১৯০টি লোকাল ট্রেন। বুধবার শিয়ালদার ডিআরএম দীপক নিগম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১৪ ঘণ্টা শিয়ালদা দক্ষিণ এবং হাসনাবাদ শাখায় বন্ধ থাকবে ট্রেন চলাচল। হাওড়া ডিভিশনে পুরোপুরি লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা না হলেও একগুচ্ছ লোকাল ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।

    কখন ছাড়বে শেষ ট্রেন

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারার মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে ‘দানা’। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলার উপকূলীয় অঞ্চল তো বটেই, কলকাতাতেও ঝড়-ঝঞ্ঝার (Cyclone Dana) আশঙ্কা রয়েছে। ডিআরএম দীপক বলেন, ‘‘দুর্যোগের কারণে শিয়ালদা স্টেশন থেকে দক্ষিণ শাখার সমস্ত গন্তব্যের উদ্দেশে শেষ ট্রেন ছাড়বে বৃহস্পতিবার রাত ৮টায়। পরের দিন, অর্থাৎ শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ওই শাখায় বন্ধ থাকবে লোকাল ট্রেন চলাচল।’’ তিনি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে পরের দিন সকাল ৯টা পর্যন্ত দক্ষিণ শাখার কোনও স্টেশন থেকেই শিয়ালদার উদ্দেশে লোকাল ট্রেন ছাড়বে না। শিয়ালদার ডিআরএম জানিয়েছেন, একই সঙ্গে হাসনাবাদ শাখাতেও একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় হাসনাবাদের উদ্দেশে শেষ ট্রেন ছাড়বে শিয়ালদা থেকে। 

    শিয়ালদার কোন শাখায় কত ট্রেন বাতিল 

    ১) শিয়ালদা-ক্যানিং শাখা: ২৪টি ট্রেন বাতিল

    ২) সোনারপুর-ক্যানিং শাখা: ৭টি ট্রেন বাতিল

    ৩) শিয়ালদা-লক্ষ্মীকান্তপুর শাখা: ২৫টি ট্রেন বাতিল

    ৪) শিয়ালদা-বজবজ শাখা: ২৯টি ট্রেন বাতিল

    ৫) শিয়ালদা-সোনারপুর শাখা: ১১টি ট্রেন বাতিল

    ৬) সোনারপুর-বারুইপুর শাখা: ২টি ট্রেন বাতিল

    ৭) শিয়ালদা-বারুইপুর শাখা: ১৬টি ট্রেন বাতিল

    ৮) শিয়ালদা-নৈহাটি শাখা: ২টি ট্রেন বাতিল

    ৯) লক্ষ্মীকান্তপুর-বারুইপুর শাখা: ৩টি ট্রেন বাতিল

    ১০) শিয়ালদা-ডায়মন্ড হারবার শাখা: ৩০টি ট্রেন বাতিল

    ১১) লক্ষ্মীকান্তপুর-নামখানা শাখা: ১৯টি ট্রেন বাতিল

    ১২) শিয়ালদা/বারাসত-হাসনাবাদ শাখা: ২০টি ট্রেন বাতিল

    ১৩) চক্ররেল: ২টি ট্রেন বাতিল

    হাওড়ার হালচাল

    যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে শিয়ালদা বিভাগে লোকাল ট্রেন চলাচলের (Train Cancelled) ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন করা হয়েছে। এমনই জানিয়েছেন পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র। তিনি জানান, আরও ট্রেন বাতিল করা হবে কিনা, পরিস্থিতি বিচার করে সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। হাওড়া ডিভিশনে পুরোপুরি লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা হচ্ছে না। শুক্রবার ছ’ঘণ্টা (ভোর ৪ টে থেকে সকাল ১০ টা) একগুচ্ছ লোকাল ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ছ’ঘণ্টার মধ্যে যে ট্রেনগুলি ছাড়বে, সেগুলি যাত্রাপথের প্রতিটি স্টেশনেই দাঁড়াবে। অর্থাৎ গ্যালোপিং ট্রেনও সব স্টেশনে স্টপেজ দেবে বলে পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: শিকল দিয়ে বাঁধা ক্রেন! ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কায় সতর্ক হলদিয়া, বন্ধ বিমান ওঠা-নামাও

    কোন কোন ট্রেন বাতিল

    লোকাল ছাড়াও বেশ কয়েকটি মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। পূর্ব রেল জানিয়েছে, ২৩ অক্টোবর, বুধবার বাতিল করা হয়েছে কামাখ্যা-বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেস, ডিব্রুগড়-কন্যাকুমারী এক্সপ্রেস, কন্যাকুমারী-ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরু-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস, শিয়ালদা-পুরী দুরন্ত এক্সপ্রেস, শিলচর-সেকেন্দরাবাদ সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। ২৪ অক্টোবর, বৃহস্পতিবারও বেশ কয়েকটি এক্সপ্রেস বাতিল থাকবে। সেই তালিকায় রয়েছে পটনা-এর্নাকুলাম এক্সপ্রেস, কলকাতা-পুরী এক্সপ্রেস স্পেশ্যাল, পুরী-জয়নগর এক্সপ্রেস, পুরী-শিয়ালদা দুরন্ত এক্সপ্রেস, পটনা-পুরী এক্সপ্রেস স্পেশ্যাল, বেঙ্গালুরু-মুজফ্‌ফরপুর এক্সপ্রেস, মালদা টাউন-দীঘা এক্সপ্রেস, মালদা টাউন-দীঘা এক্সপ্রেস, আসানসোল-হলদিয়া এবং হলদিয়া-আসানসোল এক্সপ্রেস। ২৫ অক্টোবর, শুক্রবার আসানসোল-হলদিয়া, হলদিয়া-আসানসোল এক্সপ্রেস এবং পুরী-কলকাতা এক্সপ্রেস স্পেশ্যাল বাতিল করা হয়েছে। ‘দানা’র কারণে দক্ষিণ-পূর্ব রেলও আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বাতিল করা হয়েছে ১৭২টি ট্রেন। এ ছাড়াও ১২০টি মেল-এক্সপ্রেস এবং ৫২টি লোকাল ও মেমু ট্রেন বাতিল থাকছে এই সময়ের মধ্যে।

    হেল্পলাইন নম্বর

    ইতিমধ্যেই শিয়ালদা এবং হাওড়া ডিভিশনে হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। পূর্ব রেলের (Train Cancelled) তরফে জানানো হয়েছে, হাওড়া ডিভিশনে হেল্পলাইন নম্বর ০৩৩ ২৬৪১৩৬৬০, ০৩৩ ২৬৪০২২৪১, ০৩৩ ২৬৪০২২৪২, ০৩৩ ২৬৪১২৩২৩। শিয়ালদা ডিভিশন হেল্পলাইন নম্বর ০৩৩ ২৩৫১৬৯৬৭।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Cyclone Dana: শিকল দিয়ে বাঁধা ক্রেন! ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কায় সতর্ক হলদিয়া, বন্ধ বিমান ওঠা-নামাও 

    Cyclone Dana: শিকল দিয়ে বাঁধা ক্রেন! ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কায় সতর্ক হলদিয়া, বন্ধ বিমান ওঠা-নামাও 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ (Cyclone Dana) আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় শঙ্কিত বন্দর কর্তৃপক্ষ। বুধবার রাত থেকে হলদিয়া বন্দরে (Haldia Port) বন্ধ রাখা হয়েছে অপারেশনের কাজ। বন্দরের বড় বড় ক্রেনগুলির অপারেশন বুধবার দুপুরের পরই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরপর ক্রেনগুলির লম্বা আর্ম নামিয়ে সেগুলিকে লোহার খুঁটির সঙ্গে বাঁধা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় দানা-র মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে হলদিয়া বন্দরে (Haldia Port)। তাই আগেভাগেই শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হচ্ছে ক্রেন। সুরক্ষিত জায়গায় রাখা হচ্ছে জাহাজ ও ভেসেলগুলিকে। সতর্ক দমদম বিমানবন্দর (Kolkata Airport) কর্তৃপক্ষও। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে বন্ধ রাখা হচ্ছে বিমানবন্দর। 

    বন্ধ বন্দরের কাজ

    হলদিয়া বন্দর (Haldia Port) কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) গতিপথের উপর নজর রাখতে বুধবার সন্ধ্যা থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের সাইক্লোনের সতর্কবার্তা দেখে আপাতত ২৫ অক্টোবর শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত হলদিয়া বন্দরের সমস্ত ধরনের অপারেশনের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই বন্দরের লকগেটের অপারেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঝড়ের আশঙ্কায় আগামী দু’দিন বন্দরে জাহাজ চলাচল বা পণ্য ওঠানামার কাজ কার্যত বন্ধ থাকবে। 

    ডক এরিয়ায় সুরক্ষিত জাহাজ

    ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Dana) জন্য বন্দরের ডক এলাকায় অপারেশনের ক্ষেত্রে একাধিক সতর্কতা জারি করেছে হলদিয়া বন্দর (Haldia Port) কর্তৃপক্ষ। ডক এরিয়ার মধ্যে মোট ১৬টি ছোট বড় জাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে ৫টি কোস্টগার্ডের নজরদারি ভেসেল ও জাহাজ রয়েছে। এছাড়া ৫টি বার্জও ডকে রাখা রাখা হয়েছে। ঝড়ের হাত থেকে বাঁচতে ডক এরিয়ায় নিরাপদ জায়গায় এগুলি সুরক্ষিত রাখা হয়েছে। বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদি নদীর তীরে উপকূলরক্ষী বাহিনীর জেটি থেকে ভেসেল ও জাহাজগুলিকে বুধবার বিকেলে দ্রুততার সঙ্গে সরিয়ে আনা হয়েছে। ওই ভেসেলগুলি এদিন দুপুর পর্যন্ত নদী ও সমুদ্রে মাইকিং করে মৎস্যজীবীদের ডাঙায় ফেরার বার্তা দিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: দ্রুত এগিয়ে আসছে ‘দানা’, কলকাতায় জারি কমলা সতর্কতা, চালু হেল্পলাইন

    সতর্ক বিমানবন্দর

    ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র (Cyclone Dana) আশঙ্কায় আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে দমদম বিমানবন্দরও (Kolkata Airport)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হচ্ছে বিমানবন্দর। ওই সময়ে বিমানবন্দরে কোনও বিমান ওঠানামা করবে না। কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে সমাজমাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়ার আশঙ্কার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারার মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে ‘দানা’। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলার উপকূলীয় অঞ্চল তো বটেই, কলকাতাতেও ঝড়-ঝঞ্ঝার আশঙ্কা রয়েছে। প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতায়। সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝড় বইতে পারে শহরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Remal: ঘূর্ণিঝড় রেমালের দাপটে সোমবার বিকেলেও বৃষ্টি শহরে, কবে কাটবে দুর্যোগ?

    Cyclone Remal: ঘূর্ণিঝড় রেমালের দাপটে সোমবার বিকেলেও বৃষ্টি শহরে, কবে কাটবে দুর্যোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অঝোরে বৃষ্টি (Rain in Kolkata) হচ্ছে শহর কলকাতায়। রবিবার দুপুর থেকে শুরু হয়ে সোমবার বিকেল এখনও থামার নাম নেই। ঘূর্ণিঝড় রেমালের (Cyclone Remal) প্রভাবে সপ্তাহের প্রথম দিনে কার্যত অবরুদ্ধ শহর। ঘর বন্দি সাধারণ মানুষ। যাঁরা বেরিয়েছেন, তাঁরা দুর্ভোগের শিকার। উত্তর কলকাতার বেশিরভাগ এলাকাই কার্যত জলে ভাসছে। ক্যামাকস্ট্রিট, বালিগঞ্জ, পার্ক সার্কাস সহ জলমগ্ন শহরের একাধিক এলাকা।  

    কী বলছে হাওয়া অফিস

    আলিপুরের তরফে জানানো হয়েছে, শক্তি খুইয়ে ক্রমশ উত্তর এবং উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে যাচ্ছে রেমাল (Cyclone Remal)। প্রতি ঘণ্টায় ঝড়টির গতিবেগ মাত্র ১৫ কিলোমিটার। সোমবার বিকেলের দিকে ঝড়টি আরও খানিকটা শক্তি কমিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে বলে মনে করছেন আবহবিদেরা। রাতের দিকে গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর-পূর্বে অগ্রসর হয়ে সাধারণ নিম্নচাপে পরিণত হবে। তবে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজ্যের মধ্যবর্তী জেলাগুলির উপর দিয়ে যাওয়ার সময় দুর্যোগ ঘটাবে রেমাল।

    কবে কমবে বৃষ্টি

    আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ অংশে ভারী থেকে অতিভারী (৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার) বৃষ্টি হবে। বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে। ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির (Rain in Kolkata) কারণে সোমবার সারা দিন গেরুয়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, দুই ২৪ পরগনায়। ভারী বৃষ্টির কারণে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান এবং দুই মেদিনীপুরে। তবে উপকূলবর্তী জেলাগুলির তুলনায় এবার দক্ষিণবঙ্গের উপর দিকের জেলাগুলিতে ঝড়বৃষ্টির (Cyclone Remal) প্রাবল্য বাড়বে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। মঙ্গলবার থেকে আকাশ পরিষ্কার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    পুনরায় চালু মেট্রো পরিষেবা

    ট্রেন ও বিমান পরিষেবার মতোই রেমালের জেরে আংশিক ব্যাহত হয় মেট্রো পরিষেবা। সপ্তাহের প্রথম কর্মব্যস্ত দিনে মেট্রো চলাচল বিঘ্নিত হওয়ায় বিপাকে পড়তে হয় বহু যাত্রীদের। এদিন সকালে প্রায় ৪ ঘণ্টা ১৫ মিনিট বন্ধ ছিল পরিষেবা। এদিন পার্ক স্ট্রিট এবং এসপ্ল্যানেড স্টেশনের মধ্যবর্তী ট্র্যাকগুলিতে জল জমার খবর সামনে আসে। এরফলে আংশিকভাবে বিঘ্নিত হয় পরিষেবা। সকাল ৭টা ৫১ মিনিট নাগাদ দক্ষিণেশ্বর থেকে গিরিশ পার্ক এবং কবি সুভাষ থেকে মহানায়ক উত্তম কুমার পর্যন্ত মেট্রো চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মধ্যবর্তী স্টেশনগুলিতে মেট্রো চলাচল বন্ধ থাকার ফলে বিপাকে পড়েন বহু যাত্রী। এরপর ১২টা ৫ মিনিট নাগাদ পরিষেবা স্বাভাবিক হয় এবং কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর মেট্রো চলাচল শুরু হয়। 

    আরও পড়ুন:রেমালের প্রকোপে প্রায় দশ ঘণ্টা পর শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় চলল ট্রেন

    রাস্তায় যানবাহন কম

    এদিন ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় নিত্যযাত্রীদের। একাধিক রাস্তায় গাছ পড়ে থাকার কারণে গাড়ির গতি স্লথ ছিল। তার উপর বৃষ্টি (Rain in Kolkata)। সুযোগ বুঝে অ্যাপ ক্যাবগুলিও ভাড়া বাড়িয়েছিল কয়েকগুণ। রাস্তাঘাটে এদিন বাস এবং ট্যাক্সির সংখ্যাও ছিল হাতে গোনা। শেয়ার ক্যাবগুলিও এদিন চড়া দাম হাঁকিয় পরিস্থিতির সুযোগ নেয়, অভিযোগ যাত্রীদের।

    বেশি বৃষ্টি বেহালা-বালিগঞ্জে

    ঘূর্ণিঝড় রেমালের (Cyclone Remal) দাপটে রবিবার রাতে শহরে নানা জায়গায় রাস্তায় ছিঁড়ে পড়ে রয়েছে বিদ্যুতের তার। শহরের একাধিক জায়গায় গাছ ভেঙে পড়ায় অবরুদ্ধ বিভিন্ন রাস্তা। কলকাতা পুরসভার  হিসেব অনুযায়ী সব থেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে বেহালা ও বালিগঞ্জে। কলকাতা পুলিশ ও কলকাতা পুরসভা গাছ সরানোর কাজ চালাচ্ছে। তবে বৃষ্টির কারণে ভেঙে পড়া গাছ সরাতে বেগ পেতে হচ্ছে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: ঘূর্ণিঝড় ও কোটালের জোড়া ফলায় বাঁধ ভাঙার শঙ্কা, কলকাতায় জারি কমলা সতর্কতা

    Weather Update: ঘূর্ণিঝড় ও কোটালের জোড়া ফলায় বাঁধ ভাঙার শঙ্কা, কলকাতায় জারি কমলা সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শক্তি বাড়াল ঘূর্ণিঝড় রেমাল (Cyclone Remal)। আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) সূত্রে খবর, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ পরিণত হয়েছে গভীর নিম্নচাপে। শনিবার সেটি অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। রবিবার সকালে এই অতি গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় রেমালে পরিণত হয়ে মধ্যরাতে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে। বাংলাদেশের খেপুপাড়া এবং সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপের উপকূলে সর্বশক্তি নিয়ে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়। স্থলভাগে ঢোকার সময় তা প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসাবেই থাকবে।

    ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব

    হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস (Weather Update), উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে। কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলেও ঝড়ের তাণ্ডব দেখা যেতে পারে। রবিবার দুই ২৪ পরগনায় অতি ভারী বৃষ্টির সঙ্গে ১০০-১১০ কিলোমিটার গতিবেগে বইতে পারে ঝড়। দুই জেলায় লাল সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। রবিবার কলকাতায় ঘণ্টায় ৮০-৯০ কিলোমিটার গতিতে ঝড়ের সম্ভাবনা। সঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

    ঝড়ের মোকাবিলায় পদক্ষেপ

    ঝড়ের (Cyclone Remal) মোকাবিলা করতে লালবাজারে খোলা হয়েছে ইন্ট্রিগেটেড কন্ট্রোল রুম। যেখানে দমকল বিভাগ, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর, পূর্ত দফতর, পুরসভা ও সিইএসসি-র প্রতিনিধিরা থাকবেন। কোনও অসুবিধা হলে দ্রুত পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। ২৭ মে, সোমবার সকাল পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করেছে হাওয়া অফিস। যাঁরা সমুদ্রে গিয়েছেন, তাঁদের ফিরে আসতে বলা হয়েছে।

    সোমবারও চলবে দুর্যোগ

    আগামী সোমবারও দুই ২৪ পরগনায় লাল সতর্কতা (Weather Update) জারি করা হয়েছে। রবিবারের থেকে ঝড়ের গতিবেগ কমার সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার ওই দুই জেলায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে। সঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টি। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, নদিয়া, মুর্শিদাবাদেও সোমবার জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। ঘণ্টায় ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার গতিতে বইতে পারে ঝড়। সেখানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণের বাকি জেলায় জারি হলুদ সতর্কতা।

    কবে কাটবে দুর্যোগ

    ঘূর্ণিঝড় ও নিম্নচাপের (Cyclone Remal) প্রভাবে শনিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস (Weather Update)। সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। শনিবার দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সাত থেকে ১১ সেন্টিমিটার বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে সেখানে। সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। সোমবার পর্যন্ত নিম্নচাপের প্রভাব থাকবে দক্ষিণবঙ্গে। মঙ্গলবার থেকে এরাজ্যে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কাটতে শুরু করবে। কমবে বৃষ্টির পরিমাণও।

    আরও পড়ুন: ম্যালেরিয়া নাশে নয়া ভ্যাকসিন, আবিষ্কারের পথে ভারতীয় বিজ্ঞানীরা

    বিপদের মুখে পড়েছে সুন্দরবন

    তিন বছর আগে আছড়ে পড়া ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Remal) স্মৃতি ফেরাচ্ছে রেমাল, কারণ সেই একই দিনে (২৬ মে) এই সাইক্লোন আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বাংলায়। মূলত দক্ষিণ উপকূলে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে। সেই সঙ্গে আরও এক বিপদ অপেক্ষা করছে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ফের একবার বিপদের মুখে পড়েছে সুন্দরবন। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে (Weather Update) বলা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়ের দোসর হতে পারে ভরা কোটাল। আগামী রবিবার মধ্যরাতে সুন্দরবনে আছড়ে পড়বে রেমাল। আর ওই রাতেই নদী-সমুদ্র ফুলে-ফেঁপে উঠবে ভরা কোটালে। রাত ১১টা নাগাদ সুন্দরবনের নদীতে ভরা কোটালের প্রভাব পড়বে বলে জানা যাচ্ছে। রেমাল-কোটাল জোড়া ফলায় বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে সুন্দরবন ও সাগর দ্বীপ অঞ্চলে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share