Tag: Cyclone

Cyclone

  • Cyclone Mocha: ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র মোকাবিলায় হল বৈঠক, প্রস্তুত থাকার নির্দেশ বিভিন্ন দফতরকে

    Cyclone Mocha: ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র মোকাবিলায় হল বৈঠক, প্রস্তুত থাকার নির্দেশ বিভিন্ন দফতরকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোকা (Cyclone Mocha)। এই ঝড় যদি বাংলায় আঘাত হানে তাহলে কী করণীয়, তা নিয়ে ডায়মন্ড হারবারে হল বৈঠক। মহকুমা শাসকের দফতরে হয় এই বৈঠক। উপস্থিত ছিলেন মহকুমা শাসক অঞ্জন ঘোষ। যদিও বৈঠকের পোশাকি নাম প্রি-মনসুন প্রিপারেশান মিটিং। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সমস্ত লাইন ডিপার্টমেন্টের কর্মীরা। স্বাস্থ্য, পুলিশ, দমকল এবং সেচ দফতরের আধিকারিকরা এই সভায় উপস্থিত ছিলেন। প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে।

    ঘূর্ণিঝড় মোকা (Cyclone Mocha)…

    জরুরি ভিত্তিতে দুর্বল নদীবাঁধের সংস্কার সহ প্রয়োজনীয় নানা পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় (Cyclone Mocha) (যদি হয়) সমস্ত লাইন ডিপার্টমেন্টকে সব রকম পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মহকুমা শাসক বলেন, যে কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় মানুষকে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে অতি দ্রুত কীভাবে উদ্ধার করা যায়, সেদিকটি দেখা হয়েছে। কিছু প্রত্যন্ত এলাকা রয়েছে, যেখানে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেখানকার মানুষদের পরিষেবা কীভাবে পৌঁছে দেওয়া যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার মালদহের সভায় ঘূর্ণিঝড় প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ৭ তারিখে মোচা না মোটা কী যেন একটা আসছে। অনেকেই বলছে, পাথরের মতো কিছু একটা আসবে, আর সব নাকি দুমদাম করে ভেঙে দিয়ে চলে যাবে। নানা লোক নানা রকম বলছে। আমাদেরও একটা আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের দল রয়েছে। আমরা যদি আগে থেকে সতর্ক হতে পারি, তবে উপকূলবর্তী এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে।

    আরও পড়ুুন: জ্বলছে মণিপুর, জারি কারফিউ, অশান্তির কারণ কী জানেন?

    ২০২০ সালে আছড়ে পড়েছিল আমফান। সেটিই ছিল সব চেয়ে বিধ্বংসী। ২০২১ এবং তার পরের বছরও এই সময়ই আছড়ে পড়েছিল দুটি ঘূর্ণিঝড়। পরপর তিনটি ঘূর্ণিঝড়ের রেশ এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি বাংলা। তার মধ্যেই ধেয়ে আসছে মোচা (Cyclone Mocha)। সেটির অভিমুখও বাংলা হতে পারে বলে অনুমান করছেন আবহাওবিদরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Cyclone: ধেয়ে আসছে ‘মোখা’ !  মে মাসেই কি ফের ঘূর্ণিঝড়,  কী বলছে হাওয়া অফিস?

    Cyclone: ধেয়ে আসছে ‘মোখা’ ! মে মাসেই কি ফের ঘূর্ণিঝড়, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই বাংলাদেশ সীমান্তে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে। এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ে পিএইচডি গবেষক এবং আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ। ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মোখা’। ইয়েমেনের দেওয়া এই নাম।

    আমেরিকার গ্লোবাল ফোরকাস্টের তথ্য অনুসারে, আগামী ১০ মে’র আশপাশে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় মোখা (Cyclone Mocha) তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর সেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলা করতে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে রাজ্য সরকার। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য এবার মে মাসেই খোলা হচ্ছে কন্ট্রোল রুম। মঙ্গলবার নবান্ন (Nabanna) সভাঘরে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের (Disaster Management Department) সঙ্গে একটি জরুরি বৈঠকে বসেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। 

    বাংলায় ঘূর্ণিঝড়

    গত কয়েক বছরে মে মাসে একের পর এক ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে বঙ্গোপসাগরে। ২০২০ সালে ধেয়ে এসেছিল ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’। যার তাণ্ডবে পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। লন্ডভন্ড হয়েছিল কলকাতাও। পরের বছর, ২০২১ সালে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। ২০২২ সালের মে মাসে তৈরি হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’। ওই বছরের অক্টোবর মাসে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’। আশঙ্কা সত্যি বলে, আবার মে মাসে আরও একটি ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসতে পারে।

    বাংলার উপর প্রভাব

    এই ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলার উপকূলের উপর কতটা প্রভাব ফেলবে, সেই বিষয়টি অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। ওই ঘূর্ণিঝড়টি ১৪ মে মধ্যরাত থেকে বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় এলাকা দিয়ে সরাসরি স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসাবে স্থলভাগে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ১৪০ থেকে ১৭০ কিলোমিটার।

    আরও পড়ুুন: ‘তৃণমূল হার্মাদরা তালিবানের থেকে কোনও অংশে কম নয়’! বিস্ফোরক সুকান্ত

    আগামী ৬ মে, অর্থাৎ, শনিবার দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। তার প্রভাবে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় ওই অঞ্চলে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। এই ঘূর্ণাবর্ত ৮ থেকে ৯ মে-এর মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হবে। ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর ও মধ্য বঙ্গোপসাগরে এটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপ থেকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। ১০ থেকে ১২ মে-এর মধ্যে এই গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। সেই ঘূর্ণিঝড় ১৪ মে থেকে ১৭ মে-এর মধ্যে বাংলাদেশ-এর চট্টগ্রাম থেকে মায়ানমারের রাখাইন কুলের মাঝামাঝি কোথাও স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cyclone: ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি! নিশানায় কি বাংলা? 

    Cyclone: ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি! নিশানায় কি বাংলা? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone) ভ্রুকুটি! হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, দক্ষিণ আন্দামান সাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। এরই প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব ও পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। নিম্নচাপটি পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়ে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ রূপে অবস্থান করবে। তবে তা ভয়ঙ্কর রূপ নেবে কিনা, তা এখনও জানা যায়নি।

    বিদায় নিয়েছে বর্ষা। বর্ষা এবং নিম্নচাপের বৃষ্টি জোড়া ফলায় মাটি হয়েছে বাঙালির এবারের দুর্গোৎসব। পুজোর আগে তো বটেই, পুজোর দিনগুলিতেও কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্রই। দুর্গাপুজো বৃষ্টির জলে ভেসে যাওয়ার কালীপুজোর কথা ভেবে আশায় বুক বেঁধেছিলেন আম বাঙালি। তবে ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি। এবং সেই বঙ্গোপসাগরে।

    মঙ্গলবার দুপুরে আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও লাগোয়া এলাকায় যে ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হয়েছে, মঙ্গলবার সেটি অবস্থান করছে উত্তর আন্দামান সাগর ও সংলগ্ন এলাকায়। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় এটাই পরিণত হতে পারে নিম্নচাপে। দক্ষিণ-পূর্ব ও সংলগ্ন পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে সেই নিম্নচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, সম্ভাব্য ওই নিম্নচাপ ক্রমশ আরও পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। শনিবার সকালে মধ্য বঙ্গোপসাগরের ওপর গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেটির। পরবর্তীকালে তা আরও শক্তিশালী হয়ে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের ওপর ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone) জন্ম হতে পারে।

    আরও পড়ুন: তিস্তায় রমরমিয়ে চলছে বালি পাচার, ভিডিও শেয়ার করে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) সুপার সাইক্লোনে পরিণত হতে পারে বলে ইতিমধ্যেই জল্পনা ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে। তবে সেটি সুপার সাইক্লোন হবে না। সোমবার আলিপুরে আবহাওয়া দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেন, এই ঘূর্ণিঝড় থেকে সুপার সাইক্লোন হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

    সম্ভাব্য ওই ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone) প্রভাব বাংলায় কতটা পড়বে কিংবা ওই ঝড়ের সম্ভাব্য গতিপথ কী হবে, তা এখনও জানানো হয়নি আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফে। এখানকার এক আধিকারিক বলেন, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় কোন পথে এগোবে এবং তার তীব্রতা কত হবে, সেটা নিয়ে এখনও মন্তব্য করার সময় আসেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Cyclone Update:  আসছে সাইক্লোন? ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় চরম সতর্কতা ওড়িশায়, বাংলায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা?

    Cyclone Update: আসছে সাইক্লোন? ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় চরম সতর্কতা ওড়িশায়, বাংলায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  মে মাসের শুরুতেই ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে আরও একটি ঘূর্ণিঝড় (cyclone)। তেমনই আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ইতিমধ্যেই ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে।  শুক্রবার ওই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে মনে করছে আবহাওয়া দফতর। ক্রমশ যা রূপান্তরিত হতে পারে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে। তাই ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় আগেভাগেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ওড়িশা সরকার।
    বিগত কয়েক বছরে একাধিক ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতার সাক্ষী থেকেছে বাংলার এই পড়শি রাজ্য। এই প্রসঙ্গে ওড়িশার মুখ্যসচিব এস সি মহাপাত্র বলেন, ”ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় রাজ্য তৈরি। ক্ষয়ক্ষতি কী হতে পারে, সে ব্যাপারে জেলাশাসকদের তৎপর করা হয়েছে (Cyclone Update)।”
    বাংলাতেও কী আছড়ে পড়বে সাইক্লোন? কোন পথে এগোবে ঘূর্ণিঝড়? এখনও এই নিয়ে চূড়ান্ত পূর্বাভাস দেয়নি হাওয়া অফিস। শনিবারের আগে এব্যাপারে স্পষ্ট ভাবে কিছু বলা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
    IMD-র ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন,”ল্যান্ডফল নিয়ে এখনও পূর্বাভাস নেই। কোন এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তা এখনই স্পষ্ট নয়। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। সাধারণত দুটি সময়ে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়। একটা প্রাক বর্ষার সময়, অর্থাৎ, মার্চ-এপ্রিল-মে। আরেকটা বর্ষার পর, অর্থাৎ অক্টোবর-নভেম্বর-ডিসেম্বর। বেশিরভাগ ঘূর্ণিঝড় হয় মে ও নভেম্বরের মধ্যে। মে মাসে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যায় না।” IMD-র বিজ্ঞানী আর কে জেনামনি বলেছেন, ”৬ মে নিম্নচাপ তৈরি হবে। এরপর তা শক্তি সঞ্চয় করে আরও ঘনীভূত হবে। দক্ষিণ আন্দামান ও বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন এলাকায় সতর্ক করা হচ্ছে। ওই অঞ্চলে মৎস্যজীবীদের মূলত না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, কেননা আবহাওয়ায় অনেক বদল ঘটবে।” জানা যাচ্ছে, নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে, তার নাম হবে ‘অশনি’। ঘূর্ণাবর্ত নিয়ে মৌসম ভবনের ঘূর্ণিঝড় বিষয়ক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আনন্দকুমার দাস বলেন, ‘আমাদের ধারণা, গভীর নিম্নচাপ থেকে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে (এই ঘূর্ণাবর্তটি)। যা সম্ভবত ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে উত্তর ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসতে পারে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘তবে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ তৈরি না হওয়া পর্যন্ত আমরা নির্দিষ্টভাবে বলতে পারব না যে সেটা কীভাবে এগিয়ে যাবে বা উপকূলে কতটা প্রভাব ফেলবে।’

    এখনও ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল নিয়ে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া না গেলেও ইতিমধ্যেই মালকানগিরি থেকে ময়ূরভঞ্জ পর্যন্ত ১৮টি জেলাকে সতর্ক করেছে ওড়িশা সরকার। বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। উপকূলবর্তী অঞ্চল থেকে বৃদ্ধ, মহিলা ও শিশুদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

  • Cyclone Asani Update: শক্তি বাড়িয়ে ধয়ে আসছে ‘অশনি’, বাংলা-ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকায় সতর্কতা

    Cyclone Asani Update: শক্তি বাড়িয়ে ধয়ে আসছে ‘অশনি’, বাংলা-ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকায় সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতি বাড়িয়ে ক্রমশ স্থলভাগের কাছে আসছে ঘূর্ণিঝড় (Cyclonic storm) ‘অশনি’ (Asani)। মঙ্গলবার সকালে ওড়িশার দিকে ঘুরবে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) ‘অশনি’র গতিপথ । সন্ধ্যা নাগাদ তা পৌঁছে যাবে উপকূলের খুব কাছে। তবে এই ঘূর্ণিঝড় আমফান (Amphan) বা ফণির (Fani) মতো অতটা শক্তিশালী হবে না, বলে জানাচ্ছেন আবহবিদরা। 

    সোমবার সকালের একটি বুলেটিনে ‘অশনি’র গতিপথ নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে মৌসম ভবন। এদিন সকালে পুরী থেকে ৬৮০ কিলোমিটার দূরত্বে ছিল অশনি। অন্ধ্র উপকূল অর্থাৎ বিশাখাপত্তনম থেকে তার দূরত্ব ৫৫০ কিলোমিটার। গত পাঁচ ঘণ্টায় নিজের গতিবেগ ঘণ্টায় আরও ৪ কিলোমিটার বাড়িয়ে নিয়েছে ‘অশনি’। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর বরাবর এখন ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার বেগে এগিয়ে আসছে ঝড়টি। আপাতত ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ উত্তর-পূর্বমুখী হলেও মৌসম ভবন (IMD) জানিয়েছে মঙ্গলবার সকাল থেকেই উত্তর-পশ্চিমে অর্থাৎ ওড়িশা উপকূলের দিকে মুখ ফেরাবে ‘অশনি’। উপকূলের কাছে পৌঁছনের আগে শক্তিক্ষয় হবে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র। সোমবার সকালে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের গতি ছিল ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলেমিটার পর্যন্ত। তবে আবহবিদরা জানিয়েছেন দুপুর থেকে ঝড়ের গতি কমছে।

    মৌসম ভবনের পূর্বাভাস সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ ঝড়ের কেন্দ্রের গতি ঘণ্টায় ৯৫-১১৫ কিলেমিটারে নেমেছ। এ ভাবে প্রতি ছ’ঘণ্টায় ঝড়ের কেন্দ্রের গতিবেগ কমতে থাকবে বলে মনে করছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। তবে সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত সেটি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের পর্যায়েই থাকবে। তার পর সেটি পরিণত হবে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে। ঝড়ের গতি থাকবে ৭৫ থেকে ৯৫ কিলোমিটার। মঙ্গলবার সারাদিন সাধারণ ঘূর্ণিঝড় হয়েই থাকবে ‘অশনি’। নিজের গতি না বাড়ালে শেষপর্যন্ত ‘অশনি’ সাধারণ ঘূর্ণিঝড় হয়েই পুরীর উপকূলে আছড়ে পড়বে।  তা না হলে সেটি পরের দিন গভীর নিম্নচাপ হয়ে আরও উত্তরদিকে অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের দিকে এগিয়ে আসতে পারে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের।

    অশনির প্রভাবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার ও বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টির পূ্র্বাভাস জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে সমুদ্রে যেতে মৎস্যজীবীদের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দিঘা, বকখালির মতো সৈকত এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে মাইকিং চলছে। ।MD-র ডিজি মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, ”ওডিশা বা অন্ধ্রপ্রদেশ, কোথাও ল্যান্ডফল নাও হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ের। পশ্চিম মধ্য ও সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ধরে উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওডিশা উপকূলের কাছে ১০ মে সন্ধ্যায় পৌঁছবে ঝড়টি। কিন্তু, এরপরই গতিপথ বদল করবে ঝড়। গতিপথ বদল করে উত্তর উত্তরপূর্ব দিকে এগিয়ে ওডিশা উপকূলের কাছে উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অগ্রসর হবে।”

    দিঘার পাশাপাশি সমুদ্র তীরবর্তী শঙ্করপুর, তাজপুর, মন্দারমনি-সহ জেলার উপকূল অঞ্চলগুলিতে প্রশাসনিক নজরদারি জারি রয়েছে। ইতিমধ্যেই ওড়িশায় বিশেষ উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করা হয়েছে৷ পুরীর উপকূলের পাশ দিয়ে সবচেয়ে কাছে আসবে এই সাইক্লোন৷ পুরীর ১০০ কিলোমিটার কাছ দিয়ে বয়ে যাবে অতি শক্তিশালী এই সাইক্লোন এমনটাই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।

  • Rain in Kolkata: সোমবার সকাল থেকেই বৃষ্টি শহরজুড়ে, জল জমল দক্ষিণ থেকে উত্তরে

    Rain in Kolkata: সোমবার সকাল থেকেই বৃষ্টি শহরজুড়ে, জল জমল দক্ষিণ থেকে উত্তরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকালে রোদের দেখা মিলেছিল। মুহূর্তে তিলোত্তমার আবহাওয়া পরিবর্তন। কলকাতায় (Kolkata) জুড়ে তুমুল বৃষ্টি (Rain in Kolkata)। ইতিমধ্য়েই, মহানগরীর একাধিক রাস্তায় জল জমে যাওয়ার খবর মিলেছে। দক্ষিণ-পূর্ব ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) অবস্থিত নিম্নচাপের জেরে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত বঙ্গে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর (IMD) সূত্রে জানা যাচ্ছে, কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় বৃষ্টি জারি থাকবে। ঘূর্ণিঝড় অশনি (Cyclone Asani) আসার আগেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতেও। মনে করা হচ্ছে, প্রত্যক্ষ না হলেও সাইক্লোন অশনির পরোক্ষ প্রভাবেই বৃষ্টি শহর কলকাতায়। শহরের বিভিন্ন এলাকায় জল জমেছে বলে খবর। সায়েন্স সিটি গামী রাস্তায় জল জমেছে। যার জেরে দিনের ব্যস্ত সময়ে যান চলাচল খানিকটা শ্লথ হয়েছে। অফিস টাইমে বৃষ্টিতে নাকাল হতে হয় শহরবাসীকে। আধঘণ্টার ভারী বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পরে শহরের বিভিন্ন রাস্তাঘাট। জলমগ্ন বিদ্যাসাগর সেতুতে শুরু হয়ে যায় যানজট। বৃষ্টিতে জলমগ্ন সেন্ট্রাল এভিনিউ, সেক্টর ফাইভের বেশ কিছু এলাকা।

    ‘অশনি’ (Asani) সংকেতের মাঝেই কালো মেঘে ঢাকল কলকাতার আকাশ। শহরজুড়ে তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়ে যায় সোমবার সকাল থেকেই। পুরসভা (KMC) সূত্রে জানা যাচ্ছে, কলকাতার বালিগঞ্জে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। বালিগঞ্জে বৃষ্টি হয়েছে ৫৭ মিমি। মোমিনপুরে বৃষ্টির পরিমাণ ৫৫ মিমি। সার্দার্ন অ্যাভিনিউতে বৃষ্টি হয়েছে ৫৩ মিমি।

    অশনির প্রভাবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগণায়  আজ, সোমবার বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে ৷ আগামী ২-৩ ঘণ্টার মধ্যেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৷ বাসিন্দাদের বলা হয়েছে নিরাপদ স্থানে থাকতে ৷ ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই বুধ ও বৃহস্পতিবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ বিক্ষিপ্তভাবে দু-এক পশলা ভারী বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। শুক্রবার পর্যন্ত আকাশ মেঘলা থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

     

  • Cyclone Asani: স্থলের আরও কাছে ‘অশনি’, অন্ধ্রপ্রদেশে লাল সতর্কতা, রাজ্যের কোথায় কেমন বৃষ্টি?

    Cyclone Asani: স্থলের আরও কাছে ‘অশনি’, অন্ধ্রপ্রদেশে লাল সতর্কতা, রাজ্যের কোথায় কেমন বৃষ্টি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতিপথ বদল করে অন্ধ্র উপকূলের কাঁকিনাড়ার কাছে ডাঙা ছোঁবে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ (Asani)। মঙ্গলবার মৌসম ভবন (IMD) জানিয়েছিল, সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) সমুদ্রেই থাকবে। স্থলভাগে প্রবেশ করবে না। কিন্তু এদিন আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শক্তিক্ষয় করে সাময়িক ভাবে স্থলে প্রবেশ করে, কিছুক্ষণ থেকে আবার সমুদ্রে ফিরে যাবে ‘অশনি’।

    বুধবার অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra pradesh) উপকূল জুড়ে এই মর্মে লাল সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে রওনা হওযা অধিকাংশ বিমান বাতিল (Flights cancelled) করা হয়েছে। বাতিল হয়ছে প্রায় ৪০টি ট্রেন (trains cancelled)। এমনকি পূর্বনির্ধারিত বোর্ডের পরীক্ষাও জরুরি পরিস্থিতিতে পিছিয়ে দিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার। তবে মৌসম ভবন কিছুটা আশ্বস্ত করে জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় যখন স্থলভাগে প্রবেশ করবে তখন সেটির তীব্রতা কিছুটা কম থাকবে বলে বড় ক্ষয় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার সকালে অন্ধ্র উপকূলে ঢোকার কথা ‘অশনি’র। তারপর সেটি মছলিপুরম, নরসাপুর, ইয়ানম, কাঁকিনাড়া, টুনি হয়ে ফের সমুদ্রে ফিরবে।

    আবহাওয়া ব্যুরোর এক অধিকর্তা বলেন, ‘‘উপকূলের দিকে আপাতত ১২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় এগোচ্ছে অশনি। তবে যত দ্রুত তার শক্তি ক্ষয় হওয়ার কথা ছিল, তা হয়নি।’’ তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘গত কয়েক ঘণ্টায় ঝড়ের আকৃতি ছোট হয়েছে তাতেই কিছুটা শক্তি সঞ্চয় করতে পেরেছে সেটি।’’ বুধবার সকালে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় ‘অশনি’ প্রভাবে বৃষ্টিও শুরু হয়েছে।

    ঘূর্ণিঝড় অশনির জেরে পশ্চিমবঙ্গে বিপদের কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তবে বুধবার থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের পাঁচ জেলায় (পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং নদিয়া) বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি জায়গায় ভারী বৃষ্টি (৭০ মিলিমিটার থেকে ১১০ মিলিমিটার) হতে পারে।  কলকাতা-সহ বাকিগুলি জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তবে লাগাতার বর্ষণ হবে না। শুক্রবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

    অন্যদিকে, আগামিকাল বৃহস্পতিবার থেকে আগামী শনিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। বিশেষত আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে বৃষ্টির প্রাবল্য বেশি থাকবে। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ায় উত্তরবঙ্গের পরিমণ্ডলে প্রচুর পরিমাণে দখিনা বাতাস ঢুকছে। তার প্রভাবেই উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলা দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে বৃষ্টি হবে। 

  • Cyclone Asani: ‘অশনি সঙ্কেত’, শক্তি বাড়াল নিম্নচাপ, বাংলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

    Cyclone Asani: ‘অশনি সঙ্কেত’, শক্তি বাড়াল নিম্নচাপ, বাংলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় অশনি (Cyclone Asani), এমনই পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। ইতিমধ্যেই বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) একটি নিম্নচাপ বলয় তৈরি হয়েছে। শনিবার আরও শক্তি বাড়িয়েছে দক্ষিণ আন্দামান এবং দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ওই নিম্নচাপ। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস,  ৮ মে, রবিবার ওই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তৈরি হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ও (Cyclonic storm)। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে তার নাম হবে ‘অশনি’। হাওয়া অফিসের মতে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসবে ভারতের উত্তর-পশ্চিম অর্থাৎ অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশা উপকূলের দিকে।

    [tw]


    [/tw]

    তবে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে পশ্চিমবঙ্গও। নিম্নচাপ আবহে ১০ মে থেকে ১৩ মে পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা জুড়ে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া দফতর। ১০ মে থেকে মৎস্যজীবীদের মাঝসমুদ্রে যেতে বারণও করা হয়েছে। যে কোনও সময়ে দিক পরিবর্তন করে নিম্নচাপটি বাংলার দিকে ঘুরতে পারে ভেবে ইতিমধ্যেই বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকছে বাংলার উপকূলবর্তী জেলাগুলি। তারই মধ্যে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুতি শুরু হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। জেলার প্রতিটি সাব-ডিভিশন এবং ব্লক স্তরে কন্ট্রোল রুম তৈরি করা হচ্ছে। পাশাপাশি, প্রশাসনের তরফ থেকে পাঁচটি আপৎকালীন ‘কুইক রেসপন্স টিম’ তৈরি করা হয়েছে। এক একটি দলে ২০ জন করে কর্মী থাকবেন বলে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে সব থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলিতে সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা মোতায়েন থাকবেন। প্রয়োজনে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীর সাহায্য নেওয়া হবে বলেও প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: আসছে সাইক্লোন? ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় চরম সতর্কতা ওড়িশায়, বাংলায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা?

    মৎস্যজীবীরা যাতে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে না যান, তার জন্য ইতিমধ্যেই ‘মাইকিং’ শুরু হয়েছে। অর্থাৎ, উপকূলবর্তী বিভিন্ন এলাকায় মাইকে আপৎকালীন প্রচার শুরু করেছে প্রশাসন। রবিবার থেকেই আবহাওয়ার অবনতি হতে পারে বলে প্রশাসনের একাংশের অনুমান। যে কোনও রকমের বিপর্যয়ের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে ভেবে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রিপল, চাল, ওষুধ, শুকনো খাবার এবং জলের বোতল মজুত করতে শুরু করেছে প্রশাসন। জরুরি অবস্থার জন্য হাসপাতালগুলিকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। এ ছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিতে নৌকা রাখা হয়েছে, যাতে বিপদগ্রস্তদের অতি সত্ত্বর অন্যত্র নিয়ে যাওয়া যায়। দুর্গতদের থাকার জন্য একাধিক অস্থায়ী আশ্রয়স্থল তৈরির কাজও শুরু করা হয়েছে। পাশাপাশি, গাছ ভেঙে পড়লে বা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতেও প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসন।

  • Cyclone Name: ‘আয়লা’ থেকে ‘অশনি’ বা ‘আমফান’ থেকে ‘ফণী’ – কীভাবে হয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ?

    Cyclone Name: ‘আয়লা’ থেকে ‘অশনি’ বা ‘আমফান’ থেকে ‘ফণী’ – কীভাবে হয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফি বছরই পৃথিবীর কোনও না কোনও প্রান্তে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়। এক এক ঘূর্ণিঝড়ের আবার এক এক নাম। অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, ঘূর্ণিঝড়ের এমন নাম কেন হয়? সম্প্রতি যে ঘূর্ণিঝড়গুলি ভারতের পূর্ব উপকূলে বিশেষ দাগ কেটেছে, সেগুলি হল ‘আয়লা’, ‘আম্পান’, ‘ইয়াস’ ও ‘ফণী’।
     
    ইতিমধ্যেই ‘অশনি’ ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা দিয়েছিল হাওয়া অফিস। সেই ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আছড়ে পড়ার আগেই নিম্নচাপে পরিণত হয়ে গিয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম নিয়েও জনসাধারণের মনে কৌতূহল চাড়া দিয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ নাম দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। সিংহলি ভাষায় এর অর্থ ‘ক্রোধ’। রবিবার সকালে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছিল এই ঘূর্ণিঝড়। 

    রাষ্ট্রসংঘের অধীনস্থ সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (WMO)-র তথ্য অনুসারে, একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অবস্থানে বা বিশ্বজুড়ে একসময়ে একাধিক ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে। আর, এই ঘূর্ণিঝড়গুলির জেরে দুর্যোগ একসপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে চলতে পারে। তাই বিভ্রান্তি এড়াতে প্রতিটি নিরক্ষীয় অঞ্চলে তৈরি ঝড়কে, দুর্যোগের পরিমাণ অনুমান করতে, ঝুঁকি বোঝাতে, কতটা সচেতনতার দরকার তা বোঝাতে, ব্যবস্থাপনা বোঝাতে এবং প্রশমনের সময়কাল বোঝাতেই আলাদা নাম দেওয়া হয়। নাম তৈরির ক্ষেত্রে মাথায় রাখা হয় যে তা হবে সংক্ষিপ্ত এবং সহজে উচ্চারণ করা যাবে এমন। যাতে এই নাম সহজে রেলস্টেশন, উপকূলীয় ঘাঁটি, সমুদ্রে থাকা জাহাজের মধ্যেও দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে। যাতে সাধারণ মানুষ এবং যাত্রীরা ঝড়ের বিস্তারিত তথ্য দ্রুত পেতে পারেন। আর, সেই অনুযায়ী সাবধানতা অবলম্বন করতে পারেন। 

    জটিল অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশ সনাক্তকরণের যে পদ্ধতি আগে চালু ছিল, তার চেয়ে নতুন এই পদ্ধতিতে ঝড়ের সম্পর্কে মানুষকে জানানো বা সচেতন করা অনেক সহজ হয়েছে। শুরুর দিকে ঝড়ের নামকরণ করা হত ইচ্ছেমতো। ১৯০০ সালের মাঝামাঝি থেকে, ঝড়ের মেয়েলি নাম ব্যবহার শুরু হয়েছিল। আবহাওয়াবিদরা পরবর্তীতে আরও সংগঠিত এবং দক্ষ ব্যবস্থাপনার জন্য একটি তালিকা থেকে ঝড়ের নাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

    ১৯৫৩ সাল থেকে অতলান্তিক নিরক্ষীয় অঞ্চলে ঝড়ের নামকরণ করা হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় হারিকেন সেন্টারে তৈরি তালিকা অনুযায়ী। এমনটাই জানিয়েছে ডব্লিউএমও। বর্তমানে বিশ্বে ছ’টি আঞ্চলিক বিশেষ আবহাওয়া কেন্দ্র (আরএসএমসি) এবং পাঁচটি আঞ্চলিক ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র রয়েছে। এখান থেকেই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয় এবং সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়। 

    ভারতের মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট (আইএমডি) হল আরএসএমসিগুলির মধ্যে একটি। স্বভাবতই একটি ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করার দায়িত্ব তারও রয়েছে। উত্তর ভারত মহাসাগরে যখন ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়, আর তার বাতাসের গতিবেগ যখন ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার বা তার বেশি হয়ে যায়, তখন আইএমডি সতর্কবার্তা জারি করে। আইএমডি উত্তর ভারত মহাসাগরের ১৩টি দেশকে ঘূর্ণিঝড় এবং ঝড়-বৃষ্টির সতর্কবার্তা দেয়।

    বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরু হয়েছিল ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে। ঘূর্ণিঝড়ের নামের এই তালিকাটি লিঙ্গ, রাজনীতি, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং সংস্কৃতির নিরপেক্ষতা বজায় রেখে বর্ণানুক্রমিকভাবে সাজানো দেশগুলোর দেওয়া নাম অনুসারে তৈরি করা হয়েছে। দক্ষিণ চিন সাগর থেকে তাইল্যান্ড অতিক্রম করে বঙ্গোপসাগরে যে ঝড় আসে, তার নাম বদলানো হয় না।

    একবার যদি কোনও একটি নাম নির্দিষ্ট ঝড়কে বোঝাতে ব্যবহার হয়, তবে পরে আর ওই নাম অন্য কোনও ঝড়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় না। নামকরণের সময় মাথায় রাখা হয়, সর্বোচ্চ আটটি অক্ষর থাকতে পারবে। কোনও সদস্য দেশের আপত্তি থাকলে সেই নামগ্রহণ করা হয় না। কোনও জনগোষ্ঠীর আবেগ যাতে আঘাতপ্রাপ্ত না হয়, ঝড়ের নামকরণে সেটাও মাথায় রাখেন আবহাওয়াবিদরা। ২০২০ সালে, ১৩টি দেশের দেওয়া ঝড়ের ১৬৯টি নামের নতুন একটি তালিকাও প্রকাশ হয়েছে। এর আগে ৮টি দেশের ৬৪টি নাম ব্যবহার হয়েছে।  

    ভারত থেকে যে নামগুলো দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ‘গতি’, ‘মেঘ’, ‘আকাশ’। অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ দিয়েছে ‘অগনি’, ‘হেলেন’ এবং ‘ফণী’। পাকিস্তান দিয়েছে ‘লায়লা’, ‘নার্গিস’ ও ‘বুলবুল’। ‘অশনি’র পর যে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে, তার নাম হবে ‘সিত্রং’। এই নামটি তাইল্যান্ড দিয়েছে। ভবিষ্যতে ঘূর্ণিঝড়ের যে নামগুলো ব্যবহার করা হবে, তার মধ্যে রয়েছে ভারতের ‘ঘূর্ণি’, ‘প্রবাহ’, ‘ঝড়’ এবং ‘মুরাসু’। বাংলাদেশের ‘বিপর্যয়’, সৌদি আরবের ‘আসিফ’, ইয়েমেনের ‘দিকসাম’, ইরানের ‘তুফান’, এবং শ্রীলঙ্কার ‘শক্তি’।

     

LinkedIn
Share