Tag: dead

dead

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে একদিনে ৯ নবজাতকের মৃত্যু, হাসপাতালের ভূমিকায় উঠছে প্রশ্ন

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে একদিনে ৯ নবজাতকের মৃত্যু, হাসপাতালের ভূমিকায় উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। একসঙ্গে এতগুলো নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মৃতের পরিবারের লোকজনের দাবি, এই ঘটনার তদন্ত করার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ, হাসপাতালের গাফিলতির কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শিশুদের বেশিরভাগ শিশুকেই জঙ্গিপুর হাসপাতাল থেকে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। জঙ্গিপুর হাসপাতালের এসএনসিইউ ওয়ার্ড খারাপ থাকার কারণে শেষ মুহূর্তে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে দীর্ঘ এক মাস ধরে সংস্কারের কাজ চলছে। তার ফলে যে-সমস্ত নবজাতক অসুস্থ হয়ে পড়ছে, তাদের জঙ্গিপুর থেকে ভর্তি হচ্ছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) মেডিক্যাল কলেজ স্কুলে ও হাসপাতালে। এছাড়া ডোমকল বা লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে থাকা নবজাতকদের অবস্থা খারাপ হলে তাদেরও পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে মুর্শিদাবাদ হাসপাতালে। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অনেক প্রসূতি চিকিৎসা বা প্রসব না করিয়ে ব্যাঙের দিতে ছাতার মতো যত্রতত্র গজিয়ে-ওঠা নার্সিংহোমে শিশু প্রসব করানো হচ্ছে। সেই সমস্ত নার্সিংহোমে চিকিৎসকরা অপারেশন করে দেওয়ার পরে সন্তানের শারীরিক অবস্থা খারাপ হলেই মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নবজাতকদের নিয়ে আসতে হচ্ছে চিকিৎসা করানোর জন্য। ঘটনা হল, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ওপর নির্ভর করেন এই জেলা-সহ পার্শ্ববর্তী জেলার মানুষ। মোট ৫২টি আসন আছে নবজাতক বিভাগে। কিন্তু সেখানে বর্তমানে ১০০-র বেশি নবজাতক ভর্তি আছে। সবমিলিয়ে চাপ বাড়ছে হাসপাতালের ওপর। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ৫ জন শিশুর মৃত্যু হলে সেটিকে স্বাভাবিক ধরা হয়। কিন্তু এর বেশি শিশুর মৃত্যু হতেই উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। গাফিলতির কোনও ঘটনা ঘটেছে কি না তা খতিয়ে দেখতে জেলা স্বাস্থ্য দফতর মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে।

    কী বললেন এমএসভিপি?

    হাসপাতালের এমএসভিপি ডা. অমিতকুমার দাঁ বলেন, ‘৩০০ গ্রাম ও ৫০০ গ্রাম ওজনের শিশু ভর্তি ছিল। একজন শিশুর জন্মগত ত্রুটি ছিল হার্টের। তাই তাকে বাঁচানো যায়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়েছে। জন্মগত ত্রুটি ও ওজন কমে যাওয়ার কারণে অনেক শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: পরীক্ষায় ছাত্রদের মোবাইল জমা রাখা অপরাধ! স্কুলের অস্থায়ী কর্মীকে পিটিয়ে খুন

    North 24 Parganas: পরীক্ষায় ছাত্রদের মোবাইল জমা রাখা অপরাধ! স্কুলের অস্থায়ী কর্মীকে পিটিয়ে খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলের মধ্যেই অস্থায়ী কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল মাধ্যমিক পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে। বুধবার বিকেলে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) ছোট জাগুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম শিবু শী। তাঁর বয়স ৬১ বছর। স্কুলের মধ্যেই এই ঘটনা ঘটায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে দত্তপুকুর থানার পুলিস। ইতিমধ্যেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এই ঘটনায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (North 24 Parganas)

    বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) ছোট জাগুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় দশম শ্রেণীর টেস্ট পরীক্ষা ছিল। আগেই স্কুল কর্তৃপক্ষ সব ছাত্র-ছাত্রীদের মোবাইল নিয়ে আসতে বারণ করা দিয়েছিল। বিদ্যালয়ের পক্ষ এই নির্দেশ দেওয়ার পরেও পরীক্ষা দিতে অনেকেই মোবাইল নিয়ে আসে। পরীক্ষার আগে সেই মোবাইলগুলো আটকে রাখলেও পরীক্ষার পরে যারা অভিভাবক নিয়ে এসেছে তাদেরকে মোবাইল ফিরিয়ে দেওয়া হয়। অভিভাবকদের এই বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়। কিন্তু, কিছু ছাত্রের অভিভাবকরা আসেননি। ফলে, তাদের মোবাইল ফেরত দিয়ে দেওয়া হয়নি। এই সব ছাত্ররা মোবাইল নিতে লাঠিসোটা নিয়ে স্কুলের মধ্যে হঠাৎ করে চড়াও হয়। প্রথম মোবাইল ফেরতের জন্য দাবি জানায়। অভিভাবকদের নিয়ে আসার কথা বলতেই অস্থায়ী কর্মী শিবু শী-এর উপরে তারা চড়াও হয়। কারণ, তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ওই ছাত্রদের জানিয়ে দিয়েছিলেন। এরপরই গুণধর ছাত্রধরের সমস্ত রাগ গিয়ে শিবুবাবুর উপর পড়ে। লাঠি, বাস নিয়ে অস্থায়ী কর্মীর উপর আক্রমণ করে, শুধু তাই নয়, পিটিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। হামলায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে ছোট জাগুলিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    অভিযুক্তদের ছাড়া হবে না, বললেন বারাসত পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী

    বারাসত পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী হালিমা বিবি বলেন, স্কুলের মধ্যে এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। সিসি ক্যামেরা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রশাসন তদন্ত করছে। যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের কাউকে ছাড়া হবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: রাজ্যে ফের ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল যুবকের, আতঙ্ক

    Dengue: রাজ্যে ফের ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল যুবকের, আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়িতেও ঘাতকের রূপ নিল ডেঙ্গি (Dengue)। বুধবার সকালে শিলিগুড়ি পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের এক যুবকের মৃত্যু হয়। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এই যুবকের মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে। শিলিগুড়ি পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তাদের দাবি, এবছর শিলিগুড়িতে ডেঙ্গিতে এটিই প্রথম মৃত্যুর ঘটনা।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Dengue)

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭ নভেস্বর, মঙ্গলবার ২৭ বছর বয়সী ওই যুবককে এখানে ডেঙ্গি শক সিনড্রোম নিয়ে ভর্তি করানো হয় একটি নার্সিংহোমে। পাঁচদিন ধরে জ্বর ছিল। তার আপার ইন্টেস্টিনাল ব্লিডিং হচ্ছিল। হাসপাতালের সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিক বলেন, প্লেটেলেট কমে যাওয়ায় দুই ইউনিট প্লেটলেট দেওয়া হয়। আমরা তাঁকে বাঁচানোর সবরকম চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। এদিন সকালে ডেঙ্গি শক সিনড্রোমে সেই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শিলিগুড়ি পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য দুলাল দত্ত বলেন, যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। তবে এবার প্রথম থেকেই শিলিগুড়ি পুরসভা ডেঙ্গি প্রতিরোধের কাজে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছে। গত জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ৪২৩ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুর ঘটনা এদিনই প্রথম ঘটল। তবে এবার শিলিগুড়ি শহরে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গতবারের মতো ব্যাপক আকার নেয়নি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    ২৭ বছর বয়সের ওই যুবকের মৃত্যুতে শিলিগুড়ি শহরে ডেঙ্গি (Dengue) সংক্রমণের প্রকৃত চেহারা প্রকাশের দাবি তুলেছে বিজেপি। পুরসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপি কাউন্সিলার অমিত জৈন বলেন, শহরে অনেকদিন থেকেই ডেঙ্গি ব্যাপক আকার নিয়েছে। সেই তথ্য গোপন রেখে মেয়র সহ তৃণমূল পরিচালিত বোর্ড উৎসব নিয়ে ব্যস্ত। তাই অক্টোবর মাসেই দেড়শোরও বেশি মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রন্ত হয়েছেন। পুজোর সময়ে ভেক্টর কন্ট্রোল টিম (ভিসিটি) কাজ করেনি। মশা নিধনে ফগিং, স্প্রে হয়নি। সকলে উৎসব নিয়ে ব্যস্ত থাকায় অক্টোবর মাসে শিলিগুড়ি শহরের ডেঙ্গি ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে। নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে ডেঙ্গির প্রকৃত চিত্র সামনে আনছে না পুরসভা। এদিন ডেঙ্গিতে এক যুবকের মৃত্যু হলেও তা আড়াল করার প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে।

    জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক কী বললেন?

    দার্জিলিং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ তুলসী প্রামাণিক বলেন, ওই যুবক ডেঙ্গিতে (Dengue) মারা গিয়েছে, তা এখনই  নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। কারণ তার যে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল, তার প্রকৃত কারণ জানতে হবে। অন্য কোনও কারণে রক্তক্ষরণ হয়ে থাকতে পারে এবং সেই অবস্থাতে সে ডেঙ্গি আক্রান্ত হতে পারে। তাই ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Katwa: গঙ্গায় নেমে মোবাইলে করছিলেন রিলস! তলিয়ে গেলেন দুই ছাত্র

    Katwa: গঙ্গায় নেমে মোবাইলে করছিলেন রিলস! তলিয়ে গেলেন দুই ছাত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গঙ্গায় স্নানের দৃশ্য মোবাইলে রেকর্ড করতে নেমেছিলেন তিন যুবক। এঁদের দুজনের হাতে ছিল মোবাইল। বাকি দুই বন্ধু ছিলেন পাড়ে দাঁড়িয়ে। ভালোই ভিডিও তোলা হচ্ছিল। কিন্তু, তার মধ্যেই ঘটে গেল অঘটন। মুহূর্তের অসতর্কতায় দুই যুবক গঙ্গার জলে তলিয়ে গেলেন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার (Katwa) দেবরাজ ঘাটে। নিখোঁজ দুই যুবকের নাম দীপঙ্কর মুখোপাধ্যায় ও অভিষেক সিং। বর্ধমান শহরে তাঁদের বাড়ি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Katwa)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বর্ধমানের পাঁচজন ছাত্র মিলে কাটোয়ার (Katwa) বিআইটি কলেজের রেজিস্ট্রেশন তুলতে এসেছিলেন। পরে দুপুর নাগাদ তাঁরা কাটোয়ার দেবরাজ ঘাটে গঙ্গাস্নান করতে যান। তাঁদের ইচ্ছা ছিল, গঙ্গাস্নানের দৃশ্যের রিলস তৈরি করবেন। সেইমতো মোবাইল নিয়ে গঙ্গার জলে স্নান করতে নেমেছিলেন দীপঙ্কর, অভিষেক-সহ আরও এক যুবক। দুই যুবক পাড়ে বসেছিলেন। এরই মধ্যে হঠাৎ করে দু’জন গঙ্গার জলে তলিয়ে যেতে থাকেন। অপরজন কোনওরকমে পাড়ে এসে ওঠেন। নদীর পাড়ে থাকা বন্ধুরা দু’জনকে তলিয়ে যেতে দেখে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। গামছা ছুড়ে দেন জলে ডুবতে থাকা বন্ধুদের দিকে। কিন্তু, চেষ্টা করে কোনও লাভ হয়নি। দুই বন্ধু গঙ্গায় তলিয়ে যেতেই কাটোয়া থানায় খবর দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে কাটোয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পাশাপাশি কাটোয়া থানার পুলিশ বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের খবর দিয়ে নিয়ে আসে। গঙ্গায় তলিয়ে যাওয়া দুই ছাত্রের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

    কী বললেন কাটোয়ার পুরপ্রধান?

    এ-প্রসঙ্গে কাটোয়ার (Katwa) পুরপ্রধান সমীর সাহা বলেন, ‘গঙ্গাবক্ষের ওই অংশে বেশ কিছু গর্ত রয়েছে। পুরসভার তরফে ওই এলাকায় গঙ্গায় স্নান করতে না নামার সতর্কবার্তা দিয়ে বোর্ডও লাগানো আছে। কিন্তু তারপরেও সেই সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে তাঁরা গঙ্গায় নেমেছিলেন। শুনেছি ওরা ছবি তোলায় মত্ত হওয়ার কারণেই এই বিপত্তি হয়েছে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah Fire: পুজোর আগে হাওড়ায় বিধ্বংসী আগুন, বাড়িতেই বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝলসে গেল এক বছরের শিশুও

    Howrah Fire: পুজোর আগে হাওড়ায় বিধ্বংসী আগুন, বাড়িতেই বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝলসে গেল এক বছরের শিশুও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগেই বিধ্বংসী আগুনে একই পরিবারে এক বছরের শিশু সহ তিনজনের প্রাণ কেড়ে নিল। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার (Howrah Fire) উলুবেড়িয়া ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের পারিজাত পদ্মপুকুর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে,  মৃতদের নাম ইয়াসিন মল্লিক (৩২), মহিমা বেগম (২৭), হুমায়রা খাতুন (১)। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় নূরজাহান বেগমকে (৫৫)। তাঁকে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Howrah Fire)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়ার (Howrah Fire) উলুবেড়িয়া ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের পারিজাত পদ্মপুকুর এলাকায় ইয়াসিন মল্লিকের বাড়িতে আচমকা আগুন লেগে যায়। দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। ইয়াসিন মল্লিক সহ পরিবারের লোকজন সকলেই বাড়িতেই ছিলেন। ঘুমে আচ্ছন্ন থাকায় আর তাঁরা বাড়ি থেকে বের হতে পারেননি।  মুহূর্তেই মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে নেয় গোটা বাড়ি। পুড়ে ছারখার হয়ে যায়  আস্ত একটি পরিবার। বাবা-মায়ের সঙ্গেই রক্ষা পেল না তাঁদের ১ বছরের সন্তানও। স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেন পুলিশে। খবর যায় দমদলে। খবর পাওয়া মাত্রই ছুটে আসে দমকল। নেভানো হয় আগুন। কিন্তু, ততক্ষণে সব শেষ। উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ এসে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে বাড়ির ভিতর থেকে। একজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পুলিশের অনুমান শর্টসার্কিট থেকেই আগুন লেগেছিল ওই বাড়িতে। তারপরই তা ছড়িয়ে পড়ে বাড়ির আনাচে-কানাচে।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ভোরবেলায় ঘর থেকে বের হতেই দেখি আচমকা ধোঁয়ায় ভরে যাচ্ছে এলাকা। বাড়ি থেকে বের হতেই দেখি, ইয়াসিনের গোটা বাড়িটা দাউদাউ করে জ্বলছে। ধোঁয়ায় ভর্তি চারপাশ। ঘরে ঢুকে দেখি ওদের তিনজনের ঝলসানো দেহ পড়ে আছে। একই ঘরে ওরা তিনজনই ছিল। দমকল, পুলিশ যতক্ষণে এল ততক্ষণে সব শেষ। কেউই আর বেঁচে ছিল না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: মুর্শিদাবাদে ফের ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু যুবকের, প্রশাসনের নজরদারি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Dengue: মুর্শিদাবাদে ফের ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু যুবকের, প্রশাসনের নজরদারি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার পর মুর্শিদাবাদ জেলায় ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত হয়ে ফের এক যুবকের মৃত্যু হল। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সুদাম ঘোষ (৩৩)। তাঁর বাড়ি নিমা গ্রামে। এর আগে সূতি-২ নম্বর ব্লকের খানাবাড়ি গ্রামের গৃহবধূ চামেলি বিবি (৩২) ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন। সেই জের কাটতে না কাটতে জেলায় ফের মৃত্যুর ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। ঠিকমতো নজরদারি করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ বিরোধীদের।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Dengue)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছিল, সুদাম ঘোষ গত ২৭ সেপ্টেম্বর তার কর্মস্থল কলকাতা থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন। তারপরেই তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন। ২৯ শে সেপ্টেম্বর কান্দি মহকুমা হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা করার পর জানা যায় তিনি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। ওই দিনই তাঁকে কান্দি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ২ রা অক্টোবর কান্দি মহকুমা হাসপাতাল থেকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে যেন আক্রান্তের (Dengue) সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২৬ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গিতে জেলায় আক্রান্ত ৫৩০০ জন এবং আর মৃত্যু হল দুজনের। যা যথেষ্ট উদ্বেগের বলে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা মনে করছেন।

    প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে ডেঙ্গি (Dengue) প্রতিদিন বেড়ে চলেছে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানুষকে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিচ্ছে না। কিন্তু রাস্তাঘাট, খাল -বিল, নর্দমা টানা বৃষ্টিতে ভরাট হয়ে গিয়েছে। যার ফলে জলবাহিত এবং মশাবাহিত রোগের উপদ্রব বেড়ে যাচ্ছে। ডেঙ্গি মোকাবিলায় প্রশাসনের উদ্যোগ সেভাবে চোখে পড়ছে না সাধারণ মানুষের। রাস্তাঘাটের জমা জল পরিস্কার করার বিষয়ে পৌর প্রশাসন কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ। মুর্শিদাবাদ জেলার ডেঙ্গি নিয়ে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা  সূতি-২ নম্বর ব্লক, ভগবানগোলা ১ নম্বর ব্লক, লালগোলা ও জলঙ্গি। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ডেঙ্গি মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BSF: নিজের ঘরে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী বিএসএফ আধিকারিক, চাঞ্চল্য

    BSF: নিজের ঘরে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী বিএসএফ আধিকারিক, চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী  হলেন এক বিএসএফ (BSF) আধিকারিক। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি সীমান্তের চকগোপাল বিওপিতে ঘটেছে। এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিএসএফের ওই ক্যাম্পে। মৃত বিএসএফ আধিকারিকের নাম ওমপ্রকাশ মীনা (৪৮)। তাঁর বাড়ি রাজস্থানে। বিএসএফের ১৩৭ নম্বর ব্যাটেলিয়ের সাব-ইন্সপেক্টর পদে নিযুক্ত ছিলেন তিনি। পারিবারিক অশান্তি ছিল না কি না তা জানতে তাঁর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলা হবে। সম্পর্কের কোনও টানাপোড়েন রয়েছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, কাজের জায়গায় কোনও সমস্যা ছিল না কি না সেই বিষয়টিও নজরে রাখছে পুলিশ। তবে, এখনও পর্যন্ত ওই বিএসএফ আধিকারিক কেন আত্মহত্যা করলেন, সে ব্যাপারে ধোঁয়াশা রয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (BSF)

    বিএসএফ সূত্রে খবর, বর্তমানে বিএসএফের (BSF) আধিকারিক চকগোপাল বিওপিতে ছিলেন। এমনিতেই তিনি নিয়ম করে তিনি ডিউটি করতেন। শনিবার সন্ধ্যায় নিজের ঘরেই আত্মঘাতী হন ওই বিএসএফ আধিকারিক। নিজের রিভলবার দিয়ে পর পর চার রাউন্ড গুলি চালান ওই বিএসএফ জওয়ান। সব কটি গুলি নিজের বুক লক্ষ্য করে চালিয়েছিলেন ওই জওয়ান। গুলির আওয়াজ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান তাঁর সহকর্মীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে তাঁকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করে। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে আসে বালুরঘাট থানার আধিকারিক, বিএসএফের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা। কী কারণে ওই বিএসএফ আধিকারিক আত্মঘাতী হল তা নিয়ে ধন্দে বিএসএফের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা। রবিবার মৃত ওই বিএসএফ জওয়ানের দেহের ময়না তদন্ত করা হয়।  তারপর তাঁর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

    সহকর্মীরা কী বললেন?

    সহকর্মীদের বক্তব্য, আচমকা ঘরের ভিতর থেকে পর পর গুলির আওয়াজ শুনে আমরা চমকে উঠি। প্রথমে বাইরের কেউ হামলা করল কি না  ভেবে আমরা ছুটে যাই। ঘরের ভিতর রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে পড়ে থাকতে দেখি। এভাবে নিজে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হবেন তা আমি ভাবতে পারিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mandarmani: পরনে শুধুই অন্তর্বাস, মন্দারমণির সমুদ্র সৈকতে তরুণীর দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য

    Mandarmani: পরনে শুধুই অন্তর্বাস, মন্দারমণির সমুদ্র সৈকতে তরুণীর দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরনে শুধুই অন্তর্বাস। পূর্ব মেদিনীপুরের মন্দারমণি কোস্টাল থানা এলাকার চাঁদপুরে সোমবার সকালে সমুদ্রের ধারে পাথরের উপর মিলল এক তরুণীর মৃতদেহ। যা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই তরুণীর নাম  ও পরিচয় কিছু জানা যায়নি। এই ঘটনায় মন্দারমণিতে (Mandarmani) আসা পর্যটকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

    পর্যটকরা কী বললেন? (Mandarmani)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে স্থানীয় লোকজনই ওই তরুণীকে সমুদ্রের ধারে পাথরের উপর পড়ে থাকতে দেখেন। তরুণীর পরনে ছিল শুধু অন্তর্বাস। দেহটি নজরে আসার পরই  খবর দেওয়া হয় মন্দারমণি কোস্টাল থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ।  পর্যটকরাও সেখানে এসে ভিড় করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ওই তরুণী এলাকার বাসিন্দা নন। ওই তরুণীর বাড়ি বাইরের কোথাও। তাঁকে ওই মন্দারমণিতে (Mandarmani) নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। তবে, দেহটি সমুদ্রের ধারে পাওয়া যাওয়ায় সেটি অন্য কোথাও থেকে ভেসে এসেছে, না তাঁকে এখানে নিয়ে এসে খুন করা হয়েছে, তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। এ ধরনের ঘটনা ঘটায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে পর্যটকদের মধ্যে। তাঁরা বলেন, সি মেরিন ড্রাইভ এলাকায় রাস্তা শুনশান থাকার কারণে এবং রাস্তার পাশে পর্যাপ্ত স্ট্রিট লাইট না থাকার কারণে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা বাড়ছে। অবিলম্বে ওই এলাকায় বাড়ানো হোক স্ট্রিট লাইট। সঙ্গে বাড়ান হোক পুলিশের নজরদারিও। আগেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। কিছুদিন আগে শংকরপুর বাঁধের অপর প্রান্তেও একটি দেহ ভেসে আসে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।  

    কী বললেন দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিক?

    দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের এক্সিকিউটিভ অফিসার মানসকুমার মণ্ডল বলেন, মন্দারমণি (Mandarmani) এলাকায় আলোর অভাব রয়েছে, এই ধরনের কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। পর্যটক থেকে স্থানীয়দের যাতে কোনও রকমের সমস্যার মধ্যে পড়তে না হয়, তার ব্যবস্থা করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia: বজ্রাঘাতে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলায় মৃত্যু হল ছয় জনের, জখম ৬

    Purulia: বজ্রাঘাতে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলায় মৃত্যু হল ছয় জনের, জখম ৬

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়া (Purulia) জেলায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাঁকুড়ার ছাতনা ও শালতোড়া-২ ব্লক মিলিয়ে এক কলেজ পড়ুয়া সহ মোট তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৬ জন। আর পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর এবং পারা ব্লকে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

    বাঁকুড়ায় বাজ পড়ে কতজন মারা গিয়েছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বাঁকুড়ার ছাতনা থানা এলাকায় পৃথক ৩টি জায়গায় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। জখম হয়েছেন আরও ৩ জন। শালতোড়া থানা এলাকায় মৃত্যু হয়েছে একজনের। সেখানে জখম হয়েছেন, আরও ৩ জন। মৃতরা হলেন সাগেন মুর্মু (২০), মীরা বাউড়ি (৬১) এবং সুকুরমণি হাঁসদা (২৭)।  ছাতনা থানা এলাকার ঘোষেরগ্রাম পঞ্চায়েতের ছাচনপুর গ্রামের কয়েকজন যুবক গ্রাম সংলগ্ন দ্বারকেশ্বর নদে দুপুরে মাছ ধরতে বাজ পড়ে কলেজ পড়ুয়া সাগেনের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, ছাতনা-১ নম্বর পঞ্চায়েতের বারবাকড়া গ্রামে একই দিনে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে মীরা বাউড়ি নামে এক প্রৌঢ়ার। জানা গিয়েছে, দুপুরে বাড়ির বাইরে গরু চড়াচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় বাজ পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়। পাশাপাশি, শালতোড়া থানার ছাতিমবাইদ এলাকায় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে সুকুরমণি হাঁসদা নামে এক যুবতীর। জখম হয়েছেন আরও ৩ জন। জানা গিয়েছে, ধান লাগিয়ে মাঠ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। সেই সময় বাজ পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়।

    পুরুলিয়া (Purulia)  জেলায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয় তিনজনের

    পুরুলিয়া (Purulia) জেলার পারা ব্লকের শাকড়ায় বাজ পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম দুই যুবক সোমনাথ বৈষ্ণব (২৩) ও অঞ্জন দাস (২১)। রবিবার তাঁরা পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিলেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, স্নান সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। হঠাৎই ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। তাঁরা একটি তেঁতুল গাছের নীচে আশ্রয় নেন। সেখানেই বাজ পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে রঘুনাথপুর থানার সেনেড়া গ্রামে বাজে পড়়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম লক্ষ্মীনারায়ণ বাউরি (৫৬)। এদিন তিনি মাঠে কাজ করতে গিয়েছিলেন। ক্ষেতের কাজ করার সময়ই বাজ পড়ে। রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: সেপটিক ট্যাঙ্কে তলিয়ে গিয়ে মৃত ৩, এলাকায় শোকের ছায়া

    Birbhum: সেপটিক ট্যাঙ্কে তলিয়ে গিয়ে মৃত ৩, এলাকায় শোকের ছায়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা নাগাদ এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় তিন জনের প্রাণ গেল বেঘোরে। ঘটনাটি বীরভূম (Birbhum) জেলার হজরতপুর গ্রামে ঘটেছে। জানা যায়, কাঁকরতলা থানার হজরতপুর গ্রামের সনাতন ধীবরের বাড়িতে পায়খানার সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিনজনের। মৃতদের মধ্যে দুজন শ্রমিক এবং একজন বাড়ির মালিক। বাড়ির ম্যানহোল খোলার সময় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। গ্রামে শোকের ছায়া। 

    কীভাবে ঘটেছে ঘটনা (Birbhum)?

    নির্মাণ শ্রমিক স্বপন বাদ্যকর (৪৬) ম্যানহোল খোলা মাত্রই গ্যাসে অজ্ঞান হয়ে গিয়ে প্রথমে চেম্বারের (Birbhum) মধ্যে তলিয়ে যান। ঠিক এরপরই তাঁকে দেখতে গিয়ে বাড়ির মালিক সনাতন ধীবর (৪৯) প্রচণ্ড গ্যাসে অচৈতন্য হয়ে তলিয়ে যান। একটু পরেই নির্মাণ শ্রমিকের সহকারী কর্মী অমৃত বাদ্যকর (৩২), টর্চের আলো জ্বেলে দেখতে গিয়ে তিনিও চেম্বারে তলিয়ে যান। মুহূর্তের মধ্যে কোনও কিছু বোঝার আগেই পরপর তিনজনের তলিয়ে যাওয়া এক বিষ্ময়কর ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। সূত্রে জানা গেছে, আসলে গ্যাসের তীব্রতা এতটাই ছিল যে কিছু বুঝে ওঠার আগেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবরে এলাকাবাসী হয়ে যান। নেমে আসে শোকের ছায়া।

    পুলিশের ভূমিকা

    ঘটনা ঘটার পরপরই খবর দেওয়া হয় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের (Birbhum) কাছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ সহ দমকল বিভাগে কর্মীরা এসে উপস্থিত হন। খবর পেয়ে ডিএসপি মোতাসিম আক্তার, দুবরাজপুর সার্কেল ইন্সপেক্টর মাধবচন্দ্র মন্ডল, স্থানীয় থানার ওসি সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এদিকে দমকল বিভাগের লোকজন এসে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করেন। এরপর স্থানীয় নাকড়াকোন্দা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহগুলি সিউড়ি মর্গে পাঠানো হয় বলে সূত্রের খবর। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটল পুলিশ তার তদন্ত শুরু করেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share