Tag: Deepawali

Deepawali

  • Diwali Phone Call: “দুই দেশ যেন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়ায়”, ট্রাম্পকে বললেন মোদি

    Diwali Phone Call: “দুই দেশ যেন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়ায়”, ট্রাম্পকে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) দীপাবলির শুভেচ্ছা (Diwali Phone Call) জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেজন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটনের যৌথ প্রচেষ্টার আশাও প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, দুই রাষ্ট্রপ্রধানের এই কথোপকথন হয়েছে এমন একটা সময়ে যখন আমেরিকা ক্রমশ পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছে। জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার জন্য কুখ্যাত এই পাকিস্তান।

    মোদির বার্তা (Diwali Phone Call)

    বুধবার এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “ধন্যবাদ, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, আপনার ফোন কল এবং উষ্ণ দীপাবলি শুভেচ্ছার জন্য।” তিনি বলেন, “এই আলোর উৎসবে আমাদের দুই মহান গণতন্ত্র যেন আশার আলোয় বিশ্বকে আলোকিত করে এবং সকল প্রকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়ায়।” দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে এই ফোনালাপ এমন একটা সময়ে হয়েছে, যখন বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সম্পর্ক একপ্রকার তলানিতে ঠেকেছে। এদিন ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে এবং দীপাবলির শুভেচ্ছা জানাতে তিনি ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে।

    ‘একজন মহান ব্যক্তি ও খুব ভালো বন্ধু’

    প্রসঙ্গত, ওভাল অফিসে (Diwali Phone Call) সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প মোদিকে ‘একজন মহান ব্যক্তি’ এবং ‘খুব ভালো বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে তিনি ভারতের জনগণকে দীপাবলির শুভেচ্ছাও জানান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি ভারতের জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। আজই আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। আমরা বাণিজ্য নিয়ে কথা বলেছি। তিনি এ বিষয়ে খুব আগ্রহী।”  তিনি বলেন, “আমরা কিছুক্ষণ আগে কথা বলেছিলাম। আমি বলেছিলাম, চলুন পাকিস্তানের সঙ্গে যেন কোনও যুদ্ধ না করি। সেখানে বাণিজ্য বিষয়টিও আলোচনায় এসেছিল। আমি এ বিষয়ে কথা বলতে পেরেছিলাম। আর এখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কোনও যুদ্ধ নেই। এটা খুবই ভালো একটা বিষয় (PM Modi)। তিনি একজন মহান মানুষ এবং বছরের পর বছর ধরে তিনি আমার খুব ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছেন (Diwali Phone Call)।”

  • PM Modi: দীপাবলি উপলক্ষে দেশবাসীর উদ্দেশে খোলা চিঠি প্রধানমন্ত্রীর, কী লিখলেন তিনি?

    PM Modi: দীপাবলি উপলক্ষে দেশবাসীর উদ্দেশে খোলা চিঠি প্রধানমন্ত্রীর, কী লিখলেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলি উপলক্ষে দেশবাসীর উদ্দেশে খোলা চিঠি (Deepawali Letter) লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এই চিঠিতে আধ্যাত্মিক ভাবনা ও দেশপ্রেমের অঙ্গীকার গাঁথা রয়েছে এক সূত্রে। প্রধানমন্ত্রীর লেখা চিঠিতে যেমন তুলে ধরা হয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুরে’র প্রসঙ্গ, তেমনি উঠে এসেছে মাওবাদী দমনের প্রসঙ্গ এবং দেশিয় জিনিসপত্রের চাহিদার কথাও।

    শ্রীরামের শিক্ষা (PM Modi)

    শ্রীরামের ধর্ম (ন্যায়) ও বীরত্বের আদর্শ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে কীভাবে জাতীয় প্রতিরক্ষা ও সমষ্টিগত উন্নয়নের মাধ্যমে আধুনিক ভারত আজ সেই একই গুণাবলি ধারণ করছে, চিঠিতে তা-ও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের পর এটাই দ্বিতীয় দীপাবলি। শ্রীরাম আমাদের শিখিয়েছেন ন্যায়কে রক্ষা করতে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার সাহস জোগাতে।” তিনি বলেন, “কয়েক মাস আগে পরিচালিত সামরিক অভিযান ‘সিঁদুর’-এর মধ্যেও শ্রীরামের শিক্ষার এক জীবন্ত উদাহরণ আমরা দেখেছি। “অপারেশন সিঁদুরের সময় আমরা এর বাস্তব রূপ প্রত্যক্ষ করেছি।” চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী প্রশংসা করেছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাহস ও নিখুঁত পরিকল্পনারও।

    অপারেশন সিঁদুর

    দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৬ জন হিন্দু পর্যটককে নৃশংসভাবে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তারই প্রতিক্রিয়ায় পক্ষকাল পরে পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিতে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। ওই সামরিক অভিযানে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গিঘাঁটি। ভারতীয় সেনা ও বায়ুসেনার যৌথ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ওই অভিযানে সীমান্তের ওপারে থাকা জঙ্গিঘাঁটিগুলি ধ্বংস করা হয়। খোলা চিঠিতে সেই অভিযানেরই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী একযোগে নৈতিক স্বচ্ছতা এবং জাতীয় শক্তির জোরালো বার্তাই দিলেন বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা।

    প্রসঙ্গ: মাওবাদ

    দীপাবলি বার্তায় অভিযানটির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) একে ভারতের অন্যায় ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করেন। এটি উৎসবের আধ্যাত্মিক ভাবনা, অর্থাৎ অসৎ-এর ওপর সৎ-এর জয়” ধারণার সঙ্গে গভীরভাবে সঙ্গতিপূর্ণ। তিনি বলেন, “এ বছরের দীপাবলি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এই প্রথমবার এমন জেলাগুলিতে প্রদীপ জ্বালানো হবে, যেগুলো একসময় নকশালবাদ ও মাওবাদী সন্ত্রাসের জেরে ক্ষতিগ্রল্ত হয়েছিল।” তিনি বলেন, “এগুলো সেই জেলা যেখানে নকশালবাদ ও মাওবাদী সন্ত্রাসকে মূল থেকে সমূলে উপড়ে ফেলা হয়েছে।” হিংসা ছেড়ে সমাজের মূলধারার উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত হওয়া প্রাক্তন উগ্রপন্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধিকে একটি বড় জাতীয় সাফল্য হিসেবে বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে (Deepawali Letter) আমরা দেখেছি বহু ব্যক্তি হিংসার পথ ছেড়ে উন্নয়নের মূলধারায় যুক্ত হচ্ছেন। তাঁরা আমাদের সংবিধানের প্রতি আস্থাও প্রকাশ করছেন।”

    অর্থনৈতিক অগ্রগতি

    ভারতের দ্রুত অর্থনৈতিক অগ্রগতির দিকটিও তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দেশটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হওয়ার পথে এগোচ্ছে।” এই সাফল্যকে শুধু অর্থনৈতিক মাইলফলক হিসেবে নয়, বরং দেশ-গঠনের প্রতি আমাদের সম্মিলিত দায়িত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে দেখার জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “একটি বিকশিত এবং আত্মনির্ভর ভারত (Aatmanirbhar Bharat) গঠনের এই যাত্রায় নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রধান দায়িত্ব হল, জাতির প্রতি আমাদের কর্তব্য সম্পূর্ণভাবে পালন করা।” তিনি সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সংস্কারেরও প্রশংসা করেন এবং উল্লেখ করেন কীভাবে নাগরিকরা কম করের সুবিধা পাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নবরাত্রির প্রথম দিনেই কম জিএসটি হার কার্যকর হয়েছে। এই জিএসটি বচত উৎসব (সঞ্চয় উৎসব)-এর সময় দেশের নাগরিকরা হাজার হাজার কোটি টাকা সঞ্চয় করছেন।”

    এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত

    প্রধানমন্ত্রীর এই চিঠিতে (PM Modi) সামাজিক শৃঙ্খলা ও জাতীয় ঐক্যের বার্তাও স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। দেশবাসীকে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন এমন এক মূল্যবোধ বজায় রাখতে, যা ভারতের ঐক্য ও স্বাস্থ্যকে দৃঢ় করে। তিনি লিখেছেন, “আসুন, এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত-এর চেতনা জাগ্রত করি আমরা। সব ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখি। নিজেদের স্বাস্থ্যের প্রতি অগ্রাধিকার দিই।” স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য একটি ব্যক্তিগত আহ্বানও জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, “চলুন আমরা আমাদের খাবারে তেলের ব্যবহার ১০ শতাংশ কমাই এবং যোগকে জীবনের অংশ করি (Deepawali Letter)।” চিঠির শেষে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “দীপাবলি আমাদের শেখায় যে, যখন একটি প্রদীপ আর একটি প্রদীপ জ্বালায় তখন তার আলো কমে না, বরং আরও বেড়ে যায়। ঠিক সেই মনোভাবেই আসুন আমরা এই দীপাবলিতে আমাদের সমাজ ও পরিবেশে সম্প্রীতি, সহযোগিতা এবং ইতিবাচকতার প্রদীপ প্রজ্বলন করি (PM Modi)।”

  • AMU: ১০৪ বছরের ইতিহাসে প্রথম! আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হল দীপাবলি উৎসব, বিলি হল মিষ্টিও

    AMU: ১০৪ বছরের ইতিহাসে প্রথম! আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হল দীপাবলি উৎসব, বিলি হল মিষ্টিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একশো চার বছরের ইতিহাসে এই প্রথম দীপাবলি (Deepawali) পালিত হল আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় (এএমইউ) প্রাঙ্গনে (AMU)। বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু পড়ুয়ারা ২ হাজার ১০০টি দীপ জ্বালান। সঙ্গে দেন ‘জয় শ্রীরাম’ এবং ‘হর হর মহাদেব’ ধ্বনি। ১৯ অক্টোবর দীপাবলি উদযাপিত হয় নন-রেসিডেন্ট স্টুডেন্ট সেন্টারে।

    জয় শ্রীরাম লেখা (AMU)

    জানা গিয়েছে, এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু শিক্ষার্থীরা উৎসাহের সঙ্গে দীপাবলি পালন করেন। তাঁরা জ্বালান ২ হাজার ১০০টি প্রদীপ। প্রদীপগুলি এমনভাবে সাজানো হয়েছিল, যাতে এক ঝলক দেখলেই বোঝা যায়, জয় শ্রীরাম লেখা। এএমইউ লেখাও ছিল। ২ হাজার ১০০ কিলো মিষ্টিও বিলি করা হয়। অনুষ্ঠানের মহিমা বাড়িয়ে তোলে রাতের আকাশে আতশবাজির রোশনাই। অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর অধ্যাপক এম ওয়াসিম আলি স্বয়ং। তিনিও মিষ্টিমুখ করেন। নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে দু’টি স্থানীয় থানার পুলিশ কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছিল। এদিন বাইরের কাউকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

    পড়ুয়াদের বক্তব্য

    অনুষ্ঠানের উদ্যোগের নেতৃত্ব দেন সমাজবিজ্ঞান ও গণযোগাযোগ বিভাগের ছাত্র আখিল কৌশল। বিশ্ববিদ্যালয় (AMU) প্রশাসনের কাছ থেকে আগেই অনুষ্ঠানের অনুমতি নিয়ে রেখেছিলেন তিনি। সেই মতো এদিন সকাল থেকেই শুরু হয় অনুষ্ঠান সুসম্পন্ন করার প্রস্তুতি। অখিল কৌশল বলেন, “এটি আমাদের সবার জন্য এক ঐতিহাসিক দিন।” তিনি বলেন, “এর আগে হিন্দু ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে হোলি উদযাপনের অনুমতি পেয়েছিলেন। সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছিল ওই অনুষ্ঠান। এটাই সুগম করে দিয়েছিল দীপাবলি উদযাপনের পথ।” তিনি বলেন, “আমরা আমাদের বিশ্বাসকে শ্রদ্ধার সঙ্গে প্রকাশ করতে চেয়েছিলাম, এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতার কারণেই তা সম্ভব হয়েছে (Deepawali)।”  প্রফেসর ওয়াসিম আলি এই উদযাপনকে এএমইউয়ের ইতিহাসে প্রথম বলে বর্ণনা করেন। তাঁর দাবি, শান্তিপূর্ণ ও শৃঙ্খলাপূর্ণ পরিবেশেই অনুষ্ঠিত হয়েছে দীপাবলির অনুষ্ঠান (AMU)।

  • Deepawali: দীপোৎসবে মেতেছে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা, নেপালের জনকপুরও

    Deepawali: দীপোৎসবে মেতেছে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা, নেপালের জনকপুরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলি (Deepawali) উৎসবে মেতেছে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা। চলতি বছরই জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়েছে রামলালার। তার পর এবারই দীপাবলি উৎসবে মেতেছে অযোধ্যা। দীপোৎসবে (Deepotsav) মেতেছে রামলালার শ্বশুরবাড়ির দেশ নেপালও। সেখানকার জনকপুরে পালিত হচ্ছে দীপোৎসব। এই জনকপুরই মা সীতার জন্মস্থান বলে হিন্দুদের বিশ্বাস। কেবল দীপোৎসব নয়, উৎসবমুখর পরিবেশে কেনাকাটায়ও মেতেছেন জনকপুরবাসী।

    কী বলছেন অযোধ্যার মহন্ত (Deepawali)

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মহন্ত রাম রোশন দাস চলতি বছরের দীপোৎসবের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, “২২ জানুয়ারি রামলালা মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। এটি সারা বিশ্বের হিন্দুদের, সনাতনীদের কাছে একটা স্বপ্ন পূরণের মতো ছিল। যে মন্দিরে রামলালা প্রতিষ্ঠিত, সেখানে প্রথমবারের মতো দীপোৎসব পালিত হতে চলেছে। এটি সাধারণ দীপোৎসব নয়। কারণ কিশোরী (সীতা) ও রামজি দুজনকেই সজ্জিত করা হবে। কিশোরীজির রূপে লক্ষ্মী এবং রামলালার রূপে বিষ্ণুজি। এটি তাঁর নতুন গৃহ নির্মাণের পর প্রথম দীপোৎসব, যা আমাদের কাছে অত্যন্ত গর্ব ও আনন্দের বিষয় (Deepawali)।”

    আরও পড়ুন: ‘‘শেষের শুরু’’! হিজবুল্লার নতুন প্রধান কাশেমকে হুঁশিয়ারি ইজরায়েলের, বার্তা ইরানকেও

    দীপোৎসব রামের শ্বশুরবাড়ির দেশেও

    অযোধ্যার জন্মস্থানে যখন উৎসবের প্রস্তুতি তুঙ্গে, তখন বুধবার সরযূ নদীর তীরে দীপোৎসব উপলক্ষে ২৫ লাখ দীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়েছে। দীপাবলি নিয়ে সমানভাবে উৎসাহী জনকপুরের বাসিন্দারাও। দীপাবলি উদযাপনের প্রস্তুতিতে শহরের রাস্তাগুলো আলোকিত করে রাখা হয়েছে। জনকপুরের বাসিন্দা অমর নাথ গুপ্ত বলেন, “অযোধ্যা এবং জনকপুরে রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো আমরা দীপাবলি উদযাপন করছি। জনকপুর হল ভগবান রামের শ্বশুরালয়। জনকপুরধামের মানুষদের মধ্যে এবার দীপাবলি নিয়ে প্রবল উচ্ছ্বাস রয়েছে। এই বিশেষ দিনটিকে স্মরণীয় করে (Deepotsav) রাখতে আমরা বিভিন্ন স্থানে রং করার কাজ, নির্মাণ করার কাজ সম্পন্ন করেছি। দীপাবলির দিনে পুরো শহরকে আলোয় ভরিয়ে তোলার পরিকল্পনাও করা হয়েছে। এবারের দীপাবলি সত্যিই এমন কিছু হবে যা সারা জীবনের জন্য মনে থাকবে (Deepawali)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Iskcon Mayapur: দীপাবলির আগেই ইসকনের মায়াপুর চন্দ্রোদয় মন্দিরে জ্বলে উঠল শত শত দীপ!

    Iskcon Mayapur: দীপাবলির আগেই ইসকনের মায়াপুর চন্দ্রোদয় মন্দিরে জ্বলে উঠল শত শত দীপ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন থেকে মায়াপুর ইসকনে শুরু হয়েছে দীপদান অনুষ্ঠান, চলবে রাসপূর্ণিমা পর্যন্ত। এক মাস ধরে চলা বিশ্বব্যাপী এই অনুষ্ঠানে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই দীপদান করতে আসেন ইসকন মন্দিরে (Iskcon Mayapur)। অনুষ্ঠান চলে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭ থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত। একই সাথে চলবে দামোদরাষ্টকম্ স্ত্রোত্র পাঠ। প্রতি বছর এই অনুষ্ঠানে ধর্মপ্রাণ হাজার হাজার মানুষ, দেশ-বিদেশ থেকে অসংখ্য ভক্ত সমবেত হন। একে ঘিরে দীপাবলির আগেই ইসকনের প্রধান কেন্দ্র শ্রী মায়াপুর চন্দ্রোদয় মন্দিরে জ্বলে উঠল শত শত দীপ। ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস জানান, দীপদান উৎসব উপলক্ষ্যে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক লাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে।

    কীসের স্মরণে এই উৎসব?

    সর্বোপরি ভগবানের প্রতি শ্রদ্ধা, বিধান তথা সেবার বিশেষ সুযোগ লাভ করা যায় এই উৎসব পালনের মধ্য দিয়ে। যার ফলে জীবনের পারমার্থিক প্রগতি লাভ হয়। সনাতন ধর্মে যত প্রকার উৎসব আছে তার মধ্যে দীপাবলি অন্যতম। বিজয়া দশমীর কুড়ি দিন পর থেকে উদযাপিত হয় এই উৎসব (Iskcon Mayapur)। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, ত্রেতা যুগে রাবনকে বধ করার পর যখন ভগবান শ্রীরামচন্দ্র তাঁর নিজ রাজ্য অযোধ্যায় প্রত্যাবর্তন করছিলেন, তখন রাজ্যবাসী অর্থাৎ অযোধ্যাবাসীগণ তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য এক বিশেষ উৎসবের আয়োজন করেছিলেন। সমগ্র অযোধ্যা নগরীকে আলোকমালায় সজ্জিত করে আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছিলেন তাঁরা। আর তারই স্মরণে এই উৎসব পালিত হয় বলে অনেকে মনে করেন।

    ইসকন মন্দিরে ভক্তদের উন্মাদনা

    আবার পদ্মপুরাণে বর্ণনা করা হয়েছে কার্তিক মাসের এই বিশেষ তিথিতে যদি কেউ উন্মুক্ত আকাশের নিচে প্রদীপ জ্বালান, তাহলে তিনি পরিত্রাণ লাভ করে হরিধাম প্রাপ্ত হন। এই উৎসবে মধ্য দিয়ে সকলের মনমন্দিরে প্রতিষ্ঠিত হোক আলোর দীপ। অন্ধকার দূরীভূত হোক, শুভ দীপাবলি অনুষ্ঠানে সকলের শুভ কামনা। স্বাভাবিকভাবেই এই উৎসবকে ঘিরে মায়াপুর ইসকন মন্দিরে ভক্তদের উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো (Iskcon Mayapur)। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Partial solar eclipse: ২৫ শে অক্টোবর ভারতে দেখা যাবে আংশিক সূর্যগ্রহণ

    Partial solar eclipse: ২৫ শে অক্টোবর ভারতে দেখা যাবে আংশিক সূর্যগ্রহণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েক সপ্তাহ আগেই পৃথিবী বৃহস্পতির কাছাকাছি চলে এসেছিল। ১০৭ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কাছে এসেছিল বৃহস্পতি ও পৃথিবী। ফের একবার মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছে পৃথিবী। সূর্য, চাঁদ, পৃথিবী সবকিছু এক সরলরেখায় আসবে। যদিও ভারতের কিছু অংশ আংশিক সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হবে ২৫ অক্টোবর। ভারতের সর্বত্রে এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে না। তবে পশ্চিমপ্রান্তের কিছু এলাকাগুলিতে দেখা যাবে এই গ্রহণ। কলকাতার বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়ামের তরফে জানানো হয়েছে, পোরবন্দর, গান্ধীনগর,মুম্বই, সিলভাসা,সুরাত পানাজিতে দেখা যাবে এই আংশিক গ্রহণ। সবচেয়ে বেশিক্ষণ দেখা যাবে গুজরাতের দ্বারকা থেকে। এই গ্রহণ ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট স্থায়ী হবে। কলকাতা থেকে মাত্র ১১ মিনিট সময় পর্যন্ত দেখা যাবে আর শিলিগুড়িতে দেখা যাবে ১৭ মিনিটের জন্য।উত্তর-পূর্ব ভারত ছাড়া সারা ভারতে এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে বলেও জানানো হয়েছে।

    দীপাবলির সময়ে এ সূর্যগ্রহণ থাকায় এই গ্রহণের সময়টিকে শুভক্ষণ বলে ধরা হচ্ছে। এই সূর্যগ্রহণটি ২৫ অক্টোবর সূর্যগ্রহণ ভারতীয় সময় অনুসারে দুপুর ২.২৯ মিনিট থেকে শুরু হয়ে যাবে আইসল্যান্ডে। চলবে সন্ধ্যে ৬.২০ মিনিট পর্যন্ত। দিল্লিতে সূর্য গ্রহণ ৪.২৯ মিনিটে শুরু করে তা সন্ধ্যে ৬.০৯ মিনিট পর্যন্ত চলবে। ভারতের কয়েকটি জায়গায় বিকেল ৪.০৩ মিনিট থেকে তা দেখা যাবে।জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে সূর্যগ্রহণের সময় কোন শুভ কাজ এডিয়ে চলা উচিত। রান্না বন্ধ রাখা উচিত। খাবার প্রস্তুত থাকলে তাতে তুলসী পাতা যোগ করা উচিত। গর্ভবতী মহিলাদের ঘ্রেরে বাইরে বের হওয়া উচিত নয়।

    শাস্ত্রানুযায়ী গ্রহণের আগের সময়টিকে অশুভ মনে করা হয় এবং একে সূতক সময় বা সূতক কাল বলা হয়। সূতক সময়কালে কোনও মাঙ্গলিক কাজ করা হয় না এবং এই সময়ে কোনও ব্যক্তির  নতুন কাজ শুরু করা উচিত নয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, সূর্যগ্রহণের সূতক সময়কাল ১২ ঘন্টা আগে শুরু হয় এবং গ্রহণ শেষ হওয়ার পরেই শেষ হয়। কথিত আছে যে সূর্যগ্রহণ কোথাও দেখা না গেলে সূতক হয় না। এবার ভারতে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাচ্ছে, তাই সূতক বৈধ হবে। আংশিক সূর্যগ্রহণের সূতক শুরু হবে ভোর ০৩:১৭ এবং শেষ হবে বিকেল ০৫:৪৩ মিনিটে।

    আংশিক সূর্যগ্রহণ কখন হয়? 

    যখন চাঁদের জন্য সূর্যের আলো পৃথিবীতে আসতে বাধা পেলেও, একটা অংশের আলোয় শুধুমাত্র বাধা পায়, তখন এই ধরনের সূর্যগ্রহণ দেখা যায়।অর্থাত্‍ এক্ষেত্রে সূর্যের একটা অংশ চাঁদের জন্য ঢাকা পড়ে আর বাকি অংশ দেখা যায়। এই আংশিক গ্রহণে সূর্যকে আধ খাওয়া ফলের মতো দেখতে লাগে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

  • Ayodhya Deepotsav 2022: ১২ লক্ষের বেশি প্রদীপ জ্বালিয়ে ফের ইতিহাস সৃষ্টির পথে অযোধ্যা, দীপোৎসবের প্রস্তুতি তুঙ্গে

    Ayodhya Deepotsav 2022: ১২ লক্ষের বেশি প্রদীপ জ্বালিয়ে ফের ইতিহাস সৃষ্টির পথে অযোধ্যা, দীপোৎসবের প্রস্তুতি তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবছরের মত এবারও দীপাবলিতে প্রদীপের নানা সাজে সেজে উঠবে রাম নগরী অযোধ্যা (Ayodhya)। আর তারই প্রস্তুতি পুরোদমে শুরু হয়ে গিয়েছে। দেশজুড়ে চলছে উৎসবের মরশুম। আর হাতে মাত্র গোনা কয়েকদিন। তারপরেই দীপাবলি। এবছর দীপাবলি ২৩ অক্টোবর, তাই অযোধ্যার ‘রাম কি পৌড়ি ঘাটে’ ষষ্ঠবারের জন্য দীপোৎসব (Ayodhya Deepotsav 2022) উদযাপনের জন্য যোগী সরকারের তরফে বিশেষ প্রস্তুতি জোরদার ভাবে নেওয়া শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর অনযায়ী, এবছর সরযূ নদীর তীরে আগের বারের থেকেও বেশি প্রদীপ জ্বালিয়ে ফের রেকর্ড গড়ে তোলা হবে।

    গত বারের মতো এবারও অযোধ্যায় রাজকীয় দীপোৎসবের (Ayodhya Deepotsav 2022) আয়োজন করবে যোগী সরকার। জ্বালানো হবে ১২ লক্ষেরও বেশি মাটির প্রদীপ। আগেরবার সর্বাধিক প্রদীপ প্রায় ১২ লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়ে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে (Guinness World Record) নাম তুলেছিল অযোধ্যা। এবার তাই ১২ লক্ষেরও বেশি প্রদীপ জ্বালানো হবে বলে জানা গিয়েছে। করোনার রেশ কিছুটা কমায় এবছর আগের থেকে বেশি জাঁকজমকভাবে উদযাপন করা হবে দীপোৎসব ও অতুলনীয় দীপসজ্জায় সেজে উঠবে সরযূ-তীরের নগরী অযোধ্যা।

    আরও পড়ুন: পিএফআইয়ের র‌্যাডারে স্বয়ং মোদি, বোমা মেরে ওড়ানোর হুমকি অযোধ্যা-মথুরার মন্দিরও!

    এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট জানা যায়নি যে, মোট কত প্রদীপ এবছর জ্বালানো হবে, তবে তার পরিমাণ যে গত বছরের তুলনায় বেশিই হবে, সেটা নিশ্চিত। দীপোৎসবের (Ayodhya Deepotsav 2022) প্রস্তুতির জন্য এখন থেকেই অযোধ্যা, লখনউ, গোন্ডা এবং অন্যান্য জেলা থেকে মাটির হাঁড়ি আনা হচ্ছে। ঘাটে প্রদীপ জড়ো করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, গত পাঁচ বছরের মত এবারও ৩০ মিনিটের বেশি প্রদীপ জ্বলবে। ফলে মানুষ দীর্ঘ সময়ের জন্য প্রদীপ জ্বলতে দেখতে পাবে ও এই আলোকসজ্জার প্রত্যক্ষদর্শী হতে পারবে। তাই এবার ৩০ মিলিলিটারের পরিবর্তে, ৪০ মিলি তেল প্রদীপে ঢেলে দেওয়া হবে যাতে সেগুলি দীর্ঘ সময় জ্বলতে পারে।

    প্রসঙ্গত, যোগী আদিত্যনাথের সরকার গঠনের পর থেকে অযোধ্যায় দীপোৎসব (Ayodhya Deepotsav 2022) শুরু হয়েছিল। যোগী রাজত্বে প্রথম বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালে জ্বালানো হয়েছিল ১৮০০০০ টি প্রদীপ। এরপর ২০১৮ সালে ৩০১১৫২ টি, ২০১৯ সালে ৫৫০০০০ টি, ২০২০ সালে ৬ লক্ষ ৬ হাজার প্রদীপ এবং ২০২১ সালে ১২ লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়ে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের পাশাপাশি এক ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল যোগী রাজ্য। এবারও আরও এক ইতিহাস সৃষ্টির পথে রাম-রাজ্য অযোধ্যা।

    পৌরাণিকভাবে কথিত আছে, ১৪ বছর বনবাসের শেষে রাবণ বধ করে কার্তিক মাসের অমাবস্যার দিনেই অযোধ্যায় স্ত্রী সীতাকে নিয়ে ফিরেছিলেন দশরথ নন্দন রামচন্দ্র। কথিত আছে, রাম-লক্ষ্মণ-সীতা ফেরার আনন্দে প্রদীপের মালায় সেজে ওঠে সরয়ূর তীর। তাঁদের স্বাগত জানাতে ঘরে ঘরে দ্বীপ জ্বালিয়েছিলেন অযোধ্যাবাসী। আর সেই থেকেই দীপাবলির (Deewali) সূচনা।

LinkedIn
Share