Tag: defence news

defence news

  • Brahmos: আরও শক্তিশালী নৌসেনা, ১৯ হাজার কোটি টাকায় কেনা হচ্ছে ২০০ ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র

    Brahmos: আরও শক্তিশালী নৌসেনা, ১৯ হাজার কোটি টাকায় কেনা হচ্ছে ২০০ ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও শক্তিবৃদ্ধি হতে চলেছে ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy)। রণতরীতে মোতায়েন করার জন্য ২০০টির বেশি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র (Brahmos) কেনার বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর জন্য প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকার চুক্তি সম্পন্ন হতে চলেছে। সূত্রের খবর, বুধবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেছিল ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি বা সিসিএস। সেখানেই এই মেগা চুক্তি অনুমোদন করা হয়। আগামী মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ও ব্রহ্মস অ্যারোস্পেসের মধ্যে প্রয়োজনীয় চুক্তি সম্পন্ন হবে।

    আরও পড়ুন: অত্যাধুনিক রেডার থেকে উন্নত অস্ত্র, আরও শক্তিশালী হচ্ছে বায়ুসেনার সুখোই-৩০

    বিশ্বের দ্রুততম ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র

    ব্রহ্মস (Brahmos) সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগ তৈরি। বর্তমানে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎপাদন করা হয় এদেশই, ব্রহ্মস অ্যারোস্পেসের কারখানায়। ব্রহ্মসের গতি শব্দের প্রায় ৩ গুণ। এটি বিশ্বের দ্রুততম ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। তার ওপর সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মেলবন্ধনে এটি বিশ্বের অন্যতম ভয়ঙ্কর অস্ত্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এটি আকাশেই পথ পাল্টাতে সক্ষম। এমনকী, চলমান লক্ষ্যবস্তুও ধ্বংস করতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। এটি মাত্র ১০ মিটার উচ্চতায় উড়তে সক্ষম, যার অর্থ শত্রু রেডার এটি ধরা পড়ে না। এটি যে কোনও ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্তকরণ ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে পারে। ফলে, এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থার মাধ্যমে একে আটকানো কার্যত অসম্ভব।

    পাল্লা বেড়ে ৪৫০ কিমি

    ব্রহ্মস (Brahmos) এমন একটি ক্ষেপণাস্ত্র যাকে স্থল, জাহাজ, বিমান এমনকী সাবমেরিন থেকেও নিক্ষেপ করা যায়। এই মিসাইল ২০০ কেজি ওজনের পারমাণবিক বোমা বহন করতে সক্ষম। প্রথমদিকে, ব্রহ্মসের পাল্লা ছিল ২৯০ কিমি। কিন্তু, আধুনিক সংস্করণের পাল্লা বেড়ে হয়েছে ৪৫০ কিমি। বর্তমানে, ভারতীয় নৌসেনার (Indian Navy) অন্যতম প্রধান অস্ত্র হয়ে উঠেছে ব্রহ্মস। এই ক্ষেপণাস্ত্রের সর্বশেষ অধিক পাল্লার সংস্করণই কিনতে চলেছে নৌসেনা। জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে ভারতীয় নৌসেনার এখন প্রথম পছন্দ ব্রহ্মস। 

    আরও পড়ুন: অবসরে রুশ ‘টি-৭২’! ৫৭ হাজার কোটি ব্যয়ে সেনায় আসছে দেশীয় ‘এফআরসিভি’ যুদ্ধট্যাঙ্ক

    বিশ্বের নজর কেড়েছে ব্রহ্মস

    শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বের নজর কেড়েছে ব্রহ্মস (Brahmos)। ফিলিপিন্স কিনছে এই ক্ষেপণাস্ত্র। এর জন্য ৩৭৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের চুক্তি বেশ কিছুদিন আগেই সম্পন্ন হয়েছে। এমনকী, মার্চ মাসেই শুরু হতে চলেছে ব্রহ্মসের লঞ্চার ও কন্ট্রোল সিস্টেম পাঠানোর প্রক্রিয়া। পরবর্তীকালে, পাঠানো হবে ক্ষেপণাস্ত্র। ফিলিপিন্স ছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশ এই ক্ষেপণাস্ত্রকে নিজের অস্ত্রাগারে জায়গা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • FRCV: অবসরে রুশ ‘টি-৭২’! ৫৭ হাজার কোটি ব্যয়ে সেনায় আসছে দেশীয় ‘এফআরসিভি’ যুদ্ধট্যাঙ্ক

    FRCV: অবসরে রুশ ‘টি-৭২’! ৫৭ হাজার কোটি ব্যয়ে সেনায় আসছে দেশীয় ‘এফআরসিভি’ যুদ্ধট্যাঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যেমন পাল্টে যাচ্ছে যুদ্ধের ধরন ও গতিপ্রকৃতি, ঠিক তেমন ভাবেই পাল্টাতে থাকছে সামরাস্ত্রও। প্রতিনিয়ত আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজ নিজ অস্ত্র থেকে শুরু করে সামরিক যান ও যন্ত্রপাতিকে আধুনিক যুদ্ধের যুগোপযোগী করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিটি দেশ। ব্যতিক্রম নয় ভারতও। আর সেই দিশায় এক বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় সামরিক বাহিনী। সূত্রের খবর, বুড়ো হয়ে যাওয়া রুশ-নির্মিত ‘টি-৭২’ যুদ্ধট্যাঙ্ককে (T-72 Battle Tank) অবসরে পাঠিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ট্যাঙ্ক (FRCV) কেনার দিকে হাত বাড়াল ভারত।

    ঠিক কী জানা যাচ্ছে?

    দীর্ঘদিন ধরেই স্থলসেনার মেকানাইজড ও আর্মার্ড ডিভিশনকে অত্যাধুনিক সামরাস্ত্রে সজ্জিত করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। আর সেই প্রক্রিয়ার অন্তর্গত একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে মান্ধাতার আমলের ‘টি-৭২’ যুদ্ধট্যাঙ্ককে (T-72 Battle Tank) অবসরে পাঠিয়ে ভবিষ্যৎ প্রযুক্তিসম্পন্ন একেবারে সর্বাধুনিক ‘ফিউচার রেডি কমব্যাট ভেহিক্যল’ বা সংক্ষেপে ‘এফআরসিভি’-কে (FRCV) অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সবচেয়ে বড় কথা, এই বিশেষ যুদ্ধট্যাঙ্কটি দেশীয় প্রযুক্তির, এবং এর উৎপাদনও দেশেই হবে।

    ১৭৭০টি এফআরসিভি তৈরি হবে

    সূত্রের খবর, মোট ১৭৭০টি এমন এফআরসিভি তৈরি হবে। প্রতিটি এফআরসিভি প্রযুক্তিগতভাবে অনেকটাই উন্নত হবে। এতে, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম যুক্ত করা হবে, যা আধুনিক রণকৌশলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জানা গিয়েছে, এতে থাকবে— কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন কম্পিউটার, ড্রোন ইন্টিগ্রেশন, অ্যাক্টিভ প্রোটেকশন সিস্টেম এবং আরও উন্নত পরিস্থিতি মূল্যায়নের ক্ষমতা। জানা গিয়েছে, এই এফআরসিভি-র (FRCV) অন্তর্ভুক্তি তিনটি পর্যায়ে হবে। প্রতিটি পর্যায়ে নতুন সংস্করণ মোতায়েন করা হবে। প্রতিটি সংস্করণ তার পূর্বসূরির তুলনায় প্রযুক্তিগতভাবে অধিক উন্নত এবং বেশি শক্তিশালী হবে।

    আরও পড়ুন: অত্যাধুনিক রেডার থেকে উন্নত অস্ত্র, আরও শক্তিশালী হচ্ছে বায়ুসেনার সুখোই-৩০

    বরাদ্দ ৫৭ হাজার কোটি টাকা

    সূত্রের খবর, এই ১৭৭০টি এফআরসিভি অন্তর্ভুক্তিকরণের প্রকল্পে খরচ হবে আনুমানিক ৫৭ হাজার কোটি টাকা। জানা যাচ্ছে, এই এফআরসিভিগুলিতে চালক থাকবেন। তবে, একইসঙ্গে ভবিষ্যতের কথা ভেবে চালকবিহীন ভার্সানের সংস্থানও রাখা হচ্ছে। সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভবিষ্যতের যুদ্ধ হবে প্রযুক্তি ও যোগাযোগ-নির্ভর। ফলে, এফআরসিভি-তে (FRCV) এই দুটি বিষয়ের ওপর ভীষণ জোর দেওয়া হচ্ছে। এই সামরিক যানে এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে যাতে যে কোনও পরিস্থিতিতে তার সঙ্গে কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন না হয়ে পড়ে।

    আরও শক্তিশালী হচ্ছে অর্জুন

    তবে, যতদিন না এফআরসিভির (FRCV) অন্তর্ভুক্তিকরণ সম্পূর্ণ হচ্ছে, ততদিন বর্তমানে ব্যবহৃত ট্যাঙ্কগুলিকে আরও শক্তিশালী করা হবে। এই মর্মে, ১১৮টি দেশীয় ‘অর্জুন মার্ক-১এ’ ট্যাঙ্কগুলির অস্ত্রসম্ভার থেকে শুরু করে তার সুরক্ষা, সহনশীলতা এবং ক্ষিপ্রতা আরও বাড়ানো হবে। এর পাশাপাশি, প্রোজেক্ট জোরাবর-এর অন্তর্গত নির্মিত ৩৫৪টি দেশীয় হাল্কা ট্যাঙ্ককে চিন-সীমান্তে মোতায়েন করা হচ্ছে। এছাড়া, বর্তমানে ব্যবহৃত টি-৭২ ট্যাঙ্কগুলিতে আরও শক্তিশালী ১০০০ হর্সপাওয়ার ইঞ্জিন অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukhoi-30 MKI: অত্যাধুনিক রেডার থেকে উন্নত অস্ত্র, আরও শক্তিশালী হচ্ছে বায়ুসেনার সুখোই-৩০

    Sukhoi-30 MKI: অত্যাধুনিক রেডার থেকে উন্নত অস্ত্র, আরও শক্তিশালী হচ্ছে বায়ুসেনার সুখোই-৩০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও শক্তিশালী হচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) প্রধান স্তম্ভ সুখোই-৩০ এমকেআই (Sukhoi-30 MKI) যুদ্ধবিমান। রুশ-নির্মিত এই যুদ্ধবিমানের বড় আধুনিকীকরণে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিমানে যেমন যুক্ত হতে চলেছে নতুন রেডার, মিশন কন্ট্রোল সিস্টেম। তেমনই এতে বাড়ানো হচ্ছে ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সক্ষমতা এবং আধুনিক ও পরবর্তী প্রজন্মের অস্ত্রবহণের ক্ষমতা। 

    ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ

    সূত্রের খবর, এই বিশাল প্রকল্পের জন্য ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Ministry of Defence)। রাষ্ট্রায়ত্ত যুদ্ধবিমান উৎপাদনকারী সংস্থা হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) — যৌথভাবে এই আধুনিকীকরণের কাজ করবে। পাশাপাশি, এই প্রকল্পে সরঞ্জাম সরবরাহকারী হিসেবে যুক্ত হবে দেশের বেসরকারি সংস্থাও। 

    ২ পর্বে হবে আধুনিকীকরণ

    সম্প্রতি, দুদিকের শত্রু থেকে দেশের আকাশকে রক্ষা করতে এবং আধুনিক যুদ্ধবিমানের প্রয়োজনীয়তাকে মাথায় রেখে এই প্রকল্পকে দ্রুত সম্পন্ন করতে উদ্যোগী হয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force)। জানা গিয়েছে, মোট ২ পর্বে এই প্রকল্প সম্পন্ন করা হবে। প্রথম পর্বে যুদ্ধবিমানের (Sukhoi-30 MKI) এভিয়োনিক্স ও রেডার সিস্টেম উন্নত করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে উন্নত করা হবে ফ্লাইট কন্ট্রোল সিস্টেমকে।

    ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর ওপর জোর

    প্রতিরক্ষায় ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর ওপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। এর ফলে, দেশীয় প্রযুক্তি ও অস্ত্র-সরঞ্জাম উৎপাদন থেকে শুরু করে কেনা ও ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে, আধুনিকীকরণের সিংহভাগে পুরনো সেকেলে রুশ সরঞ্জামকে সরিয়ে দেশীয় সিস্টেম ও প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। 

    দেশীয় রেডার ও ইডব্লু সিস্টেম

    যেমন, সুখোই-৩০ এমকেআই (Sukhoi-30 MKI) যুদ্ধবিমানে ব্যবহৃত রুশ রেডারের তুলনায় অনেক বেশি সক্ষম দেশীয় ‘উত্তম’ রেডার। এর পাল্লাও অনেকটাই বেশি। আধুনিকীকরণের প্রথম পর্যায়ে বিমানে নতুন ধরনের ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফেয়ার (ইডব্লু) সিস্টেম বসানো হবে। এর ফলে, শত্রুর যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে অকেজো করা আরও সহজ হবে। পাশাপাশি, আকাশ থেকে আকাশ ও আকাশ থেকে ভূমিতে থাকা লক্ষ্যবস্তুকে নির্ভুল টার্গেট করতে বসানো হচ্ছে দেশে তৈরি অত্যাধুনিক মানের নতুন ইনফ্রা-রেড ট্র্যাক অ্যান্ড সার্চ সিস্টেম।

    দেশেই তৈরি হচ্ছে আরও সুখোই

    ভারতীয় বায়ুসেনায় (Indian Air Force) ২৭০-এর বেশি সুখোই-৩০ এমকেআই (Sukhoi-30 MKI) যুদ্ধবিমান রয়েছে, যা রাশিয়া থেকে কিনেছে ভারত। জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে ৯০টি বিমানের আধুনিকীকরণ হবে, যা শুরু হতে চলেছে চলতি বছরেই। পরের ধাপে ধীরে ধীরে সবকটি বিমানের আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এর পাশাপাশি, ১১ হাজার কোটি টাকায় আরও ১২টি যুদ্ধবিমান কিনেছে ভারত। প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে সেগুলি তৈরি হচ্ছে এদেশেই। হ্যাল-এর কারখানায় সেগুলি উৎপাদন হচ্ছে, যাতে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত দেশীয় যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • LCA Tejas Mk1A: মার্চ মাসেই প্রথম ‘তেজস মার্ক-১এ’ হাতে পাচ্ছে বায়ুসেনা?

    LCA Tejas Mk1A: মার্চ মাসেই প্রথম ‘তেজস মার্ক-১এ’ হাতে পাচ্ছে বায়ুসেনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশীয় যুদ্ধবিমান লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট (এলসিএ) তেজস মার্ক-১এ (LCA Tejas Mk1A) সংস্করণের উৎপাদন জোরকদমে চলছে। প্রথম বিমানের নির্মানের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। হতে পারে, প্রথম তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানটি মার্চ মাসেই হস্তান্তর করা হবে। একইসঙ্গে, দ্রুতগতিতে কাজ চলছে তেজসের সর্বাধুনিক সংস্করণ মার্ক-২ যুদ্ধবিমানের (HAL Tejas Mk2) প্রথম প্রোটোটাইপের পূর্ব-প্রস্তুতি পর্ব। সূত্রের খবর, ২০২৭ সাল নাগাদ এই মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্র্যাফটের উৎপাদন শুরু হতে পারে।

    প্রথম তেজস মার্ক-১এ মার্চ মাসেই?

    ভারতীয় বায়ুসেনায় কমতে থাকা যুদ্ধবিমানের সংখ্যার মোকাবিলা করতে ২০২১ সালে তেজস মার্ক-১এ (LCA Tejas Mk1A) কেনার সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল কেন্দ্র। বর্তমানে ব্যবহৃত মার্ক-১ যুদ্ধবিমানগুলির তুলনায় মার্ক-১এ সংস্করণের ক্ষমতা অনেকটাই বেশি। এছাড়া এতে রয়েছে নতুন প্রজন্মের অত্যাধুনিক রেডার, ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম, মিড-এয়ার রিফুয়েলিংয়ের মতো বৈশিষ্ট্য ও সুবিধা। এমন ৮৩টি এলসিএ তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানের বরাত দেওয়া হয়েছিল দেশীয় সংস্থা হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড বা হ্যাল-কে। জানা যাচ্ছে, প্রথম বিমানটি মার্চ মাসেই বায়ুসেনার হাতে তুলে দেওয়া হবে। অগাস্ট মাস নাগাদ বায়ুসেনার হাতে চলে আসতে পারে ৪টে তেজস মার্ক-১এ।

    উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে জোর 

    সূত্রে খবর, প্রথমে বরাত দেওয়া ৮৩টি মার্ক-১এ (LCA Tejas Mk1A) ছাড়াও আরও অতিরিক্ত ৯৭টি যুদ্ধবিমান কেনার কথা ভাবছে বায়ুসেনা। বর্তমানে, দেশে যুদ্ধবিমান উৎপাদনের বার্ষিক ক্ষমতা ৮। অর্থাৎ, ফি-বছর ৮টি যুদ্ধবিমান উৎপাদনের ক্ষমতা ও পরিকাঠামো রয়েছে দেশে। সেটিকে বাড়িয়ে ১৬ করার চেষ্টা চলছে। সম্ভবত, চলতি বছরেই সেই পরিকাঠামো তৈরি হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে, বায়ুসেনায় নতুন বিমানের অন্তর্ভুক্তিকরণের সময় অর্ধেক হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    ২০২৭ সালেই তেজস মার্ক-২

    বায়ুসেনা সূত্রে খবর, একবার উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে, তেজস মার্ক-২ যুদ্ধবিমান (HAL Tejas Mk2) নিয়ে দ্রুত এগনো সম্ভব হবে। এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, তা হল— ২০২৫ সালের মধ্যে তেজসের এই মিডিয়াম কমব্যাট ভেরিয়েন্ট বা সংস্করণের প্রথম প্রোটোটাইপ উন্মোচিত হবে। সেটিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর পর ২০২৭ সাল নাগাদ এই বিমানের উৎপাদন শুরু করা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বায়ুসেনা সূত্রে খবর, মার্ক-১এ (LCA Tejas Mk1A) তুলনায় মার্ক-২ আরও অনেক বেশি ভারী ও শক্তিশালী হতে চলেছে। যে কারণে, এটি এলসিএ শ্রেণিভুক্ত না হয়ে মিডিয়াম ক্যাটেগরিতে স্থান পেয়েছে। এটির ক্ষেপণাস্ত্র বহন ক্ষমতা অনেক বেশি হতে চলেছে। পাশাপাশি, ক্ষেপণাস্ত্রের বৈচিত্র্যেও এটি পূর্বসূরিদের টেক্কা দেবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • MQ-9B Predator: সবুজ সঙ্কেত বাইডেন প্রশাসনের, ‘বন্ধু’ ভারতকে ৩১টি ঘাতক ‘প্রিডেটর’ ড্রোন দিচ্ছে আমেরিকা

    MQ-9B Predator: সবুজ সঙ্কেত বাইডেন প্রশাসনের, ‘বন্ধু’ ভারতকে ৩১টি ঘাতক ‘প্রিডেটর’ ড্রোন দিচ্ছে আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেনার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিল ‘বন্ধু’ ভারত। সেই ইচ্ছাপূরণ করতে ভারতকে ৩১টি এমকিউ-৯বি ‘প্রিডেটর’ (MQ-9B Predator) ড্রোন দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবারই, এই মর্মে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। চুক্তির মোট মূল্য প্রায় ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩৩ হাজার ২০০ কোটি)। ৩১টি ড্রোন ছাড়াও এই চুক্তির আওতায় থাকছে ১৭০টি এজিএম-১১৪আর হেলফায়ার মিসাইল, ৩১০টি জিবিইউ-৩৯বি/বি লেজার বম্ব এবং ১৬১ জিপিএস সিস্টেম। 

    নৌসেনা নেবে ১৫টি, স্থল-বায়ুসেনা ৮টি করে

    জানা গিয়েছে, ৩১টি ড্রোনের মধ্যে ভারতীয় নৌসেনা পাবে ১৫টি। স্থল ও বায়ুসেনা ৮টি করে ‘প্রিডেটর’ (MQ-9B Predator) ড্রোন পাবে। ড্রোনের নির্মাতা সংস্থা জেনারেল অ্যাটোমিক্স গ্লোবাল কর্পোরেশনের তরফে এই বিক্রির সংক্রান্ত একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, এর (প্রিডেটর ড্রোন হাতে এলে) ফলে, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বিপদ সহজেই সামলাতে সক্ষম হবে ভারত। বিশেষ করে, মানববিহীন নজরদারি ও সমুদ্রে প্যাট্রলিং অনেক সহজ হবে। নিজেদের সামরিক শক্তির আধুনিকীকরণ করতে বদ্ধপরিকর ভারত। ফলে, এই ড্রোন (Hunter-Killer Drones) অন্তর্ভুক্ত করতে কোনও সমস্যা হবে না ভারতীয় বাহিনীর।

    চিনের ওপর নজর রাখার প্রয়োজনীয়তা

    হান্টার-কিলার ড্রোনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আগেও হয়েছে। পূর্ব লাদাখে গালওয়ানে চিনা ফৌজের সঙ্গে ভারতীয় সেনার সংঘর্ষের পর থেকে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনা উপস্থিতির ওপর নজর রাখতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২টি এমকিউ-৯বি ‘সি-গার্ডিয়ান’ ড্রোন লিজে নিয়েছিল ভারতীয় নৌসেনা। পরবর্তীকালে, সেই লিজের মেয়াদা একাধিকবার বাড়ানো হয়েছে। প্রায় ছ’বছর আগে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের জমানায় প্রিডেটর কেনার বিষয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। বছর দেড়েক আগেই এ বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছিল দু’পক্ষ। 

    কেন ভারত এই ড্রোন কিনতে আগ্রহী?

    কেন ভারত এই ড্রোন (MQ-9B Predator) কিনতে আগ্রহী? কেন-ই বা এই ড্রোনকে ‘নিঃশব্দ-শিকারী’ বলে ডাকা হয়? তালিবান প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মহম্মদ ওমর, তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের প্রধান বায়তুল্লা মেহসুদ, সিরিয়ার আল কায়দা প্রধান সেলিম আবু আহমেদ থেকে ইরানের জেনারেল কাশেম সোলেমানি এবং আল কায়দা প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরি হত্যায় ব্যবহার করা হয়েছিল এই ড্রোন। দেখে নেওয়া যাক, এমকিউ-৯বি ‘প্রিডেটর’ ড্রোন কিছু অনন্য বৈশিষ্ট্য, যা একে এনে দিয়েছে জগৎজোড়া খ্যাতি—

    ‘নিঃশব্দ-শিকারী’ এমকিউ-৯বি

    এই ড্রোনটি এমকিউ-৯ ‘রিপার’ (Hunter-Killer Drones) ড্রোনের একটি সংস্করণ। মূলত, মার্কিন বায়ুসেনা এটি ব্যবহার করে। ড্রোনটি আদতে হাই অল্টিটিউড লং এনডিওরেন্স চালকবিহীন বিমান। ৫০ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়তে সক্ষম ‘প্রিডেটর’। আবার মাটি থেকে মাত্র ২৫০ মিটার উঁচুতেও উড়তে পারে এমকিউ-৯বি ‘প্রিডেটর’ (MQ-9B Predator)। সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৪৪২ কিলোমিটার। একটানা ৩৫-ঘণ্টা উড়তে সক্ষম এটি। রিফুয়েলিং ছাড়া এটি একটানা ২ হাজার মাইল দূরে অনায়াসে যেতে পারে। ফলে, একেক বারে অনেকটা সময় ধরে ও বিশাল এলাকা জুড়ে তা নজরদারি চালাতে পারে। কন্ট্রোল রুম থেকে অনেকটা দূরে থাকলেও, এই প্রাণঘাতী ড্রোনের কার্যকারিতায় কোনও হেরফের ঘটে না। এর অত্যাধুনিক যোগাযোগ মাধ্যম ঘটনাস্থলের ‘রিয়েল-টাইম সিচুয়েশন’ বা একেবারে সেই সময়ের পরিস্থিতি তুলে ধরে। সবচেয়ে বড় কথা, এটি একেবারে নিঃশব্দে চলে। যা একে আরও বিপজ্জনক করে তুলেছে।

    ‘নরকের আগুন’ ছুড়তে পারে

    এমকিউ-৯বি ‘প্রিডেটর’ (Hunter-Killer Drones) ড্রোন বিভিন্ন ধরনের বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র বহন সক্ষম। যার মধ্যে অন্যতম হল ‘নরকের আগুন’ বা ‘হেলফায়ার’ মিসাইল। এই মিসাইল দিয়েই খতম করা হয়েছিল আল কায়দা প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরিকে। আকাশ থেকে আকাশ ও আকাশ থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম এমকিউ-৯বি ‘প্রিডেটর’ (MQ-9B Predator)। এছাড়া, একাধিক ভূমিকা পালন করতে সক্ষম এই ড্রোন। যেমন— ভূ ও জলসীমা নজরদারি, অ্যান্টি-সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার, অ্যান্টি-সারফেস ওয়ারফেয়ার, ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার এবং সামরিক অভিযান।

    ১৭০০ কেজির পেলোড বহনে সক্ষম

    এর দুটি ভেরিয়েন্ট বা ভেরিয়েন্ট রয়েছে। একটি স্কাই গার্ডিয়ান। অন্যটি সি-গার্ডিয়ান। ২০২০ সাল থেকে ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত এই দ্বিতীয় ভেরিয়েন্টটি। এই ড্রোন স্বয়ংক্রিয়ভাবে টেক-অফ ও ল্যান্ডিং করতে পারে। দিন হোক বা রাত, স্থল হোক বা জল— এই ড্রোন যে কোনও পরিবেশে উপযোগী। ৪৫০ কেজি বোমা সহ মোট ১৭০০ কেজির পেলোড বহন করতে সক্ষম এমকিউ-৯বি ‘প্রিডেটর’ (MQ-9B Predator)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Coast Guard: আরও শক্তিশালী ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী, নতুন ১৪টি জাহাজের চুক্তি স্বাক্ষর

    Indian Coast Guard: আরও শক্তিশালী ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী, নতুন ১৪টি জাহাজের চুক্তি স্বাক্ষর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ৪৮তম প্রতিষ্ঠা দিবস (ICG Raising Day) পালন করছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। তার আগে, উপকূলরক্ষীদের (Indian Coast Guard) জন্য বড় সুখবর। দেশের উপকূলকে আরও নিশ্ছিদ্র করতে ১৪টি নতুন জাহাজ আসতে চলেছে বাহিনীর হাতে। এই ফাস্ট প্যাট্রল ভেসেলগুলি (এফপিভি) নির্মাণ করতে সম্প্রতি মাঝাগাঁও ডকইয়ার্ডের সঙ্গে ১,০৭০ কোটি টাকার চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এমনটাই খবর মিলেছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে। দেশের বিভিন্ন ডকইয়ার্ডে তৈরি হচ্ছে আরও ২১টি জাহাজ। পাশাপাশি, আকাশপথে নজরদারি চালানোর জন্য কেনা হচ্ছে ৮টি ডর্নিয়ার ও ৬টি মাল্টি-মিশন মেরিটাইম সার্ভেল্যান্স বিমান।

    ১৯৭৮ সালে পথ চলা শুরু

    ১৯৭৮ সালে পথ চলা শুরু হয়েছিল উপকূলরক্ষী বাহিনীর (ICG Raising Day)। সেই সময় বাহিনীর হাতে সর্বসাকুল্যে ৭টি জাহাজ ছিল। সেখান থেকে বর্তমানে উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাতে রয়েছে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৫২টি জাহাজ ও ৭৮টি বিমান। বাহিনীর লক্ষ্য, ২০৩০ সালের মধ্যে ২০০টি জাহাজ এবং ১০০টি বিমান নিজেদের হাতে রাখা। আর সেই লক্ষ্যের দিকে প্রথম পদক্ষেপ হতে চলেছে এই নতুন বরাত। জানা যাচ্ছে, গত ২৪ জানুয়ারি এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। সেই মোতাবেক, ৬৩ মাস, অর্থাৎ পাঁচ বছরে এই ১৪টি জাহাজকে বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে। 

    অত্যাধুনিক জাহাজের বরাত

    প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, বহুমুখী সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জের কথা মাথায় রেখে নতুন জাহাজগুলি মাল্টিপারপোস ড্রোন থেকে শুরু করে রিমোট কন্ট্রোল্ড ওয়াটার রেসকিউ ক্র্যাফট লাইফবুই এবং সর্বোপরি আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবস্থাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে, যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে অধিক কার্যকর ও শক্তিশালী হয়ে উঠবে জাহাজগুলি এবং সেইসঙ্গে উপকূলরক্ষী বাহিনীও (Indian Coast Guard)। মন্ত্রকের মতে, অত্যাধুনিক জাহাজগুলি মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তা ও নজরদারির পাশাপাশি একইধারে চোরাচালান-রোধ অভিযান, অগভীর জলে উদ্ধারাভিযান, বিপদে পড়া অন্য জাহাজকে সহায়তা, খারাপ হওয়া জলযানকে বন্দরে নিয়ে আসা, সমুদ্রে দূষণের মোকাবিলা করা এবং জলদস্যুদের মোকাবিলা করা— এসবই করতে সক্ষম হবে নতুন জাহাজগুলি।

    তৈরি হচ্ছে আরও ২১টি জাহাজ

    এই নতুন বরাতের পাশাপাশি, ইতিমধ্যেই দেশের ৩টি জাহাজ নির্মাণ সংস্থায় তৈরি হচ্ছে ২১টি জাহাজ। এছাড়া, আকাশপথে নজরদারি চালানোর জন্য কেনা হচ্ছে ৮টি ডর্নিয়ার ও ৬টি মাল্টি-মিশন মেরিটাইম সার্ভেল্যান্স বিমান। এর পাশাপাশি, আরও ৬টি ডর্নিয়ার বিমানের আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়া চলছে। এভাবে, দফায় দফায় মোট ১৭টি বিমানে অত্যাধুনিক সেন্সর বসানো হবে। এর জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্সের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে উপকূলরক্ষী বাহিনী (ICG Raising Day)।

    ১১ হাজারের বেশি প্রাণ বাঁচিয়েছে বাহিনী

    বাহিনীর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্বের অন্যতম সেরা উপকূলরক্ষকগুলির (Indian Coast Guard) তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ভারত। ১৯৭৮ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ১১ হাজারের বেশি প্রাণ বাঁচিয়েছে এই বাহিনী। শুধুমাত্র ২০২৩ অর্থাৎ গত বছরই দুশোর বেশি প্রাণ বাঁচিয়েছে তারা। বাহিনী আরও জানিয়েছে, দেশের উপকূলের রক্ষায় নিরন্তর নজর রাখছে তারা। এ জন্য প্রতিদিন ৫০-৬০টি জাহাজ ও ১০-১২ বিমান মোতায়েন করা হয় বিভিন্ন জায়গায়। ২০২৩ সালে ৪৭৮ কোটি টাকার মাদক বাজেয়াপ্ত করেছে কোস্ট গার্ড। প্রতিষ্ঠা ইস্তক এখনও পর্যন্ত সেই অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৩৪৩ কোটি টাকা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Republic Day 2024: ফোকাস নারী ক্ষমতায়ন, ৭৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে ঘটবে অনেক ‘প্রথম’

    Republic Day 2024: ফোকাস নারী ক্ষমতায়ন, ৭৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে ঘটবে অনেক ‘প্রথম’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঐতিহাসিক হতে চলেছে ৭৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day 2024) কুচকাওয়াজ। ঐতিহাসিক এই কারণে যে, এবছর কুচকাওয়াজে অনেক কিছু প্রথমবার ঘটতে চলেছে। দেশবাসী এমন কিছু প্রত্যক্ষ করতে চলেছেন এবছর দিল্লির কুচকাওয়াজে, যা আগে কখনও কেউ দেখেননি।

    মূল ফোকাস হল নারী ক্ষমতায়ন

    এবছর ৭৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day 2024) মূল ফোকাস হল নারী ক্ষমতায়ন। তবে, এ বছর দিল্লির কর্তব্য পথের কুচকাওয়াজে মহিলা অংশগ্রহণ থেকে শুরু করে মহিলা সশক্তিকরণের (Women Empowerment) প্রদর্শন— অতীতের সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে যাবে। সর্বত্র নারী ক্ষমতায়নকেই তুলে ধরা হবে। সে কথাই জানালেন ভারতীয় সেনার মেজর জেনারেল সুমিত মেহতা। তিনি বলেন, ‘‘এবছরের কুচকাওয়াজ নারী-কেন্দ্রিক। থিম হল— ‘বিকশিত ভারত’ এবং ‘গণতন্ত্রের পীঠস্থান ভারত’।’’ 

    ইতিহাস হতে চলেছে কুচকাওয়াজে

    তিনি জানান, ইতিহাস ঘটতে চলেছে এবারের কুচকাওয়াজে। প্রথমবার, মহিলাদের একটি ট্রাই-সার্ভিস কন্টিনজেন্ট কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করতে চলেছে। অর্থাৎ, সামরিক বাহিনীর তিন বাহু— স্থল, নৌ ও বায়ুসেনার সম্মিলিত ১৪৮ জন মহিলা অফিসার ও জওয়ানকে নিয়ে তৈরি ওই কন্টিনজেন্ট কর্তব্যপথ দিয়ে মার্চ-পাস্ট করবে। কন্টিনজেন্টের নেতৃত্বে থাকবেন মিলিটারি পুলিশের ক্যাপ্টেন সন্ধ্যা। এই মার্চ-পাস্টের মধ্য দিয়ে নারী ক্ষমতায়নকে (Women Empowerment) তুলে ধরা হবে। এবছর কর্তব্য পথের মার্চ-পাস্টে দেখা যাবে ‘অগ্নি-কন্যা’-দেরও। তিন বাহিনীতে নিযুক্ত ‘অগ্নি-কন্যা’-রা সমন্বয়ে প্যারেডে অংশ নেবেন।

    সেনা ক্যাপ্টেন সন্ধ্যা। ছবি-সংগৃহীত।

    মেকানাইজড কলামের নেতৃত্বে মহিলা

    শুধু এই একটিই প্রথম নয়। এবারের কুচকাওয়াজে (Republic Day 2024) প্রথমবার সেনার আর্টিলারি রেজিমেন্টের মহিলা অফিসাররা মেকানাইজড কলামে চেপে কর্তব্য পথ ধরে এগিয়ে যাবেন। মেকানাইজড কলাম সাধারণত দেশীয় সামরাস্ত্র বিশ্বের সামনে মেলে ধরার একটি পন্থা। আর্টিলারির দুটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার— পিনাকা মাল্টি-ব্যারেল রকেট লঞ্চার ও স্বাতী ক্ষেপণাস্ত্র অনুসন্থানকারী রেডার— এই দুটিতেই ৪ মহিলা অফিসার নেতৃত্বে থাকবেন। 

    সেনার মেকানাইজড রেজিমেন্টের মহিলা অফিসাররা। ছবি-সংগৃহীত।

    এর পাশাপাশি, আরও চার মেকানাইজড কলাম— দেশীয় ড্রোন জ্যামিং সিস্টেম, অত্যাধুনিক রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি মনিটরিং সিস্টেম, কোর অফ ইঞ্জিনিয়ার্সদের সর্বত্র ব্রিজিং সিস্টেম এবং মাঝারি পাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেমের নেতৃত্বেও থাকবেন মহিলা অফিসাররা। ফলত, এর মাধ্যমে নারী ক্ষমতায়েনের (Women Empowerment) আরেকটি উদাহরণ তুলে ধরার পাশাপাশি প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর ভারত-এর নীতিও প্রস্ফুটিত হবে। গত বছরের এপ্রিল ও সেপ্টেম্বর মাসে আর্টি-রেজিমেন্টে মহিলা অফিসারদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই রেজিমেন্টে ১০ মহিলা অফিসার রয়েছেন।

    আধা-সামরিক বাহিনীর মহিলা ব্রিগেডের মার্চ-পাস্ট

    শুধু সামরিক নয়, দেশের আধা-সামরিক বাহিনীও মহিলা ক্ষমতায়েনে সামিল হবে। এবছর প্রথম বিএসএফ, সিআরপিএফ সহ দেশের বিভিন্ন আধা-সামরিক বাহিনীর মহিলা ব্রিগেডের মার্চ-পাস্ট প্রত্যক্ষ করবেন মানুষ। দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা ক্ষেত্রে অন্যতম সফল সংস্থা হচ্ছে ডিআরডিও। এই সংস্থার ট্যাবলোর ফোকাস হতে চলেছে নারী ক্ষমতায়েন। ডিআরডিও-র ট্যাবলোকে নেতৃত্ব দেবেন অন্যতম প্রতিথযশা বিজ্ঞানী সুনীতা দেবী জেনা। তিনি হবেন কন্টিনজেন্ট কমান্ডার। ট্যাবলোয় থাকবে— ম্যান-পোর্টবল ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী গাইডেড মিসাইল, অ্যান্টি-স্যাটেলাইট মিসাইল, অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্র, ভূমি-থেকে-ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র, ভেরি শর্ট রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, নেভাল শর্ট রেঞ্জ অ্যান্টি-শিপ মিসাইল, হেলিনা ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী মিসাইল, ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র, তেজস বিমান, উত্তর রেডার, শক্তি ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম সহ সাইবার সিকিউরিটি ও কমান্ড-কন্ট্রোল সিস্টেম।

    রাজ্যের ট্যাবলোতেও ফোকাস নারী ক্ষমতায়ন

    শুধু দেশের সামরিক বাহিনীতে নয়, অসামরিক ক্ষেত্রেও নারী ক্ষমতায়নের (Women Empowerment) উদাহরণ প্রথমবার বৃহৎ আকারে মেলে ধরা হবে এবছরের কুচকাওয়াজে (Republic Day 2024)। যে কারণে, বিভিন্ন রাজ্যের ট্যাবলোতে মহিলা সশক্তিকরণের ছাপ স্পষ্ট থাকবে। মণিপুরের ট্যাবলোয়ে দেখা যাবে পদ্মের ডাঁটি থেকে চরকায় সুতো তৈরি করছেন মহিলারা। মধ্যপ্রদেশ তুলে ধরবে দেশের প্রথম মহিলা ফাইটার পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট অবনী চতুর্বেদীকে। রাজস্থান তুলে ধরবে সেরাজ্যের মহিলাদের হস্তশিল্প। আবার হরিয়ানার ট্যাবলোয় দেখা যাবে মহিলারা কেমন ডিজিটাল ইন্ডিয়ার সুবিধা নিচ্ছেন।

    নতুন প্রজন্মের সাঁজোয়া গাড়ির প্রদর্শন

    এখানেই শেষ নয়। আরও ‘প্রথমে’র চমক আছে ৭৫তম প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day 2024) কুচকাওয়াজে। এবছর আত্মনির্ভর ভারতকে মাথায় রেখে দেশে তৈরি একাধিক আধুনিক ও নতুন ঘরানার স্থলযুদ্ধজান ও সাঁজোয়া গাড়ি ২৬ তারিখ প্রদর্শিত হবে কর্তব্য পথে। এই তালিকায় রয়েছে— নতুন প্রজন্মের টেরেইন ভেহিকল, লাইট স্পেশালিস্ট ভেহিকল, স্পেশাল মোবিলিটি ভেহিকল এবং ক্যুইক রিয়্যাকশন ভেহিকল এবং ভেহিকল-মাউন্টেড ইন্ডিয়ান মর্টার সিস্টেম। এই সবকিছুই প্রথমবার প্রদর্শিত হতে চলেছে প্রজাতন্ত্র দিবসে। 

    কুচকাওয়াজে ১৫টি বিমানের চালক মহিলা

    এছাড়া, আত্মনির্ভর ভারতের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে দেশীয় নাগ মিসাইল সিস্টেম, বিএমপি-২ সাঁজোয়া গাড়ির পাশাপাশি সেনার অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার ধ্রুব-রুদ্র এবং লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার প্রচণ্ড— এই দুটিই কর্তব্য পথের ওপর দিয়ে উড়ে যাবে। সেনার পাশাপাশি, বায়ুসেনাও জোরকদমে অংশ নিচ্ছে এবারের কুচকাওয়াজে। জানা গিয়েছে, তেজস, রাফাল, সুখোই-৩০ সহ বায়ুসেনার ২৯টি যুদ্ধবিমান, ৭টি পণ্যবাহী বিমান, ৯টি হেলিকপ্টার এবং একটি হেরিটেজ বিমান এবারের কুচকাওয়াজে অংশ নেবে। এর মধ্যে ১৫টি বিমানের পাইলট হিসেবে থাকবেন মহিলা অফিসাররা। 

    ছাব্বিশের কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় বায়ুসেনার মহিলা অফিসাররা। ছবি সংগৃহীত।

    ফরাসি ফ্লাই-বাইয়ের নেতৃত্বেও মহিলা

    এবারের কুচকাওয়াজের (Republic Day 2024) অন্যতম আকর্ষণ হতে চলেছে ফরাসি বাহিনীর কুচকাওয়াজ ও ফরাসি বিমানবাহিনীর ফ্লাই-বাই। এবছর প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে আসছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ। সেই প্রেক্ষিতে, এবারের কুচকাওয়াজে অংশ নিচ্ছে ফরাসি বিশেষ বাহিনী ও বায়ুসেনা। জানা গিয়েছে, ৯৫ সদস্য বিশিষ্ট ফরাসি ফরেন লিজিয়ন (ফরাসি ভাষায় লেজিওঁ এত্রঁজ্যের ফ্রঁসেজ) কোরের একটি কনটিনজেন্ট ছাব্বিশের মার্চপাস্টে অংশ নেবে। এটি হল ফ্রান্সের অত্যন্ত সম্মানীয় ইউনিট। ওই দলে থাকবেন ৬ জন করে ভারতীয় ও নেপালি বংশোদ্ভূত জওয়ান। এছাড়া, এঁদের সঙ্গে হাঁটবেন ৩৫ জন ফরাসি সামরিক ব্যান্ডের সদস্যও। ঠিক সেই সময় মাথার ওপর দিয়ে ফ্লাই-বাই করবে ফরাসি বায়ুসেনার এয়ারবাস-৩৩০ মাল্টি রোল-ট্যাঙ্কার সাপোর্ট ও এক জোড়া রাফাল। ওই ফ্লাই-বাইয়ের নেতৃত্বে থাকবে ট্যাঙ্কারটি, যার পাইলট হচ্ছেন এক মহিলা (Women Empowerment)।

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Drishti-10: পাঞ্জাব সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে সেনার হাতে আসছে দেশীয় ড্রোন ‘দৃষ্টি-১০’

    Drishti-10: পাঞ্জাব সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে সেনার হাতে আসছে দেশীয় ড্রোন ‘দৃষ্টি-১০’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাক সীমান্ত (Indo-Pak Border) দিয়ে চোরাচালান-গতিবিধির ওপর নজরদারির ক্ষেত্রে এবার থেকে আরও সজাগ হতে চলেছে সেনার দৃষ্টি। পাঞ্জাব সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে এবার ভারতীয় সেনার হাতে আসতে চলেছে দেশীয় ‘দৃষ্টি-১০’ ড্রোন (Drishti-10) বা চালকবিহীন সশস্ত্র বিমান।

    নজরদারির পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র বহনও সক্ষম

    সেনা সূত্রে খবর, পাঞ্জাব সেক্টরের ফরোয়ার্ড বেসগুলিতে এই বিশেষ ড্রোন মোতায়েন করা হচ্ছে। ৩০ হাজার ফুট উচ্চতায় দীর্ঘক্ষণ ধরে উড়তে সক্ষম ‘দৃষ্টি-১০’ (Drishti-10)। একটানা ৩৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম এই চালকবিহীন বিমান। সীমান্তে (Indo-Pak Border) নজরদারির পাশাপাশি অস্ত্রবহনেও সক্ষম ‘দৃষ্টি-১০’। এর জন্য বিমানের পেটে তিনটি হার্ড-পয়েন্ট (ক্ষেপণাস্ত্র বহনের জায়গা) রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, আগামী ২-৩ মাসের মধ্যেই এই ড্রোনগুলি সেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই বিশেষ ড্রোন বানিয়েছে আদানি ডিফেন্স সংস্থা। সূত্রের খবর, জরুরি ভিত্তিতে, ২টি ‘দৃষ্টি-১০’ ড্রোনের বরাত দিয়েছে সেনা। শর্ত এটাই যে, উৎপাদনে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশের ৬০ শতাংশ দেশীয় হতে হবে। 

    পাঞ্জাব ও মরু সীমান্তের নিরাপত্তায় জোর

    সেনা সূত্রের খবর, পঞ্জাব সীমান্তের (Indo-Pak Border) পাশাপাশি, মরু অঞ্চলেও নজরদারি চালাতে ব্যবহৃত হবে এই ড্রোন। বর্তমানে, এই অঞ্চলের নজরদারিতে ‘হেরন মার্ক ওয়ান’ ও ‘হেরন মার্ক টু’ ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। এবাপ তার পাশাপাশি ‘দৃষ্টি-১০’ (Drishti-10) বা ‘হারমিস-৯০০’ ড্রোনের বরাত দেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে এই ড্রোন ভারতেই উৎপাদন করবে আদানি ডিফেন্স। এর জন্য ইজরায়েলি সংস্থা এলবিট-এর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে তারা। সংস্থার দাবি, ড্রোনের ৭০ শতাংশই দেশি হবে। পরবর্তীকালে, সেই অনুপাত আরও বাড়ানো হবে। 

    ‘দৃষ্টি-১০’-এর (Drishti-10) পাশাপাশি ইজরায়েল থেকে আরও বেশ কয়েকটি স্যাট-কম যোগাযোগে সমৃদ্ধ ড্রোন অন্তর্ভুক্ত করেছে ভারতীয় নৌসেনা। গত সপ্তাহে সেগুলি প্রকাশ্যে আনেন ভারতীয় নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার এবং আর্মি এভিয়েশনের ডিজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল অজয় সুরী। জানা যাচ্ছে, সেগুলিকে পৌরবন্দরে মোতায়েন করা হবে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Zorawar: নজরে চিন! দেশে তৈরি লাইট ব্যাটল ট্যাঙ্ক ‘জোরাবর’-এর পরীক্ষা শুরু লাদাখে

    Zorawar: নজরে চিন! দেশে তৈরি লাইট ব্যাটল ট্যাঙ্ক ‘জোরাবর’-এর পরীক্ষা শুরু লাদাখে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভর ভারত-এর আরও একটি সাফল্য। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হাল্কা যুদ্ধট্যাঙ্ক  ‘জোরাবর’-এর (Zorawar) পরীক্ষা শুরু হল প্রৃত নিয়ন্ত্রণরেখা লাগোয়া লাদাখের পার্বত্য এলাকায়। 

    কেন এই ট্যাঙ্কের প্রয়োজন হল?

    চিন-সীমান্তের সুরক্ষা মজবুত করার জন্য সেখানে যুদ্ধট্যাঙ্ক মোতায়েন করা যে অবশ্যম্ভাবী, তা টের পেয়েছিল ভারত। সেই অনুযায়ী, বর্তমানে ব্যবহৃত দেশীয় ‘অর্জুন’, রুশ টি-৯০ (ভীষ্ম), টি-৭২ (অজেয়) ট্যাঙ্কগুলি অত্যন্ত ভারী হওয়ায় সেগুলিকে ওই দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে তুলে নিয়ে গিয়ে মোতায়েন করা ভীষণই কষ্টসাধ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল সেনার কাছে। শুধু তাই নয়, ওই যুদ্ধট্যাঙ্কগুলি লাদাখের মতো প্রতিকূল আবহাওয়ায় বেশিদিন কার্যকর থাকছিল না।

    অন্যদিকে, চিনারা ওই জায়গায় হাল্কা ট্যাঙ্ক মোতায়েন করা শুরু করেছিল। যা রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ভারতীয় সেনার কাছে। প্রাথমিকভাবে, রুশ নির্মিত বিএমপি-২ ‘ইনফ্যান্ট্রি ফাইটিং ভেহিকল’ দিয়ে পরিস্থিতি ধরে রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল। এক সময় স্থির করা হয়েছিল, রাশিয়ার কাছে এই বিএমপি আমদানি করা হবে। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভর হতে। 

    ওজন মাত্র ২৫ টন! অসাধ্যসাধন ডিআরডিও-র

    এই প্রেক্ষিতে ভারতের কাছে এই প্রতিকূলতা বা সমস্যার একটাই সমাধান ছিল। তা হল, যদি ভারতের হাতে এমন একটা হাল্কা ট্যাঙ্ক থাকে, যা সহজেই সেখানে মোতায়েন করা সম্ভব হয়। সেনার এই প্রয়োজনীয়তা এবং দাবিকে মান্যতা দিয়ে চার বছর আগে এক নতুন ধরনের ট্যাঙ্ক (Light Battle Tank) তৈরির কাজ শুরু করে দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা— ডিআরডিও। চার বছরের প্ররিশ্রম ও প্রচেষ্টার ফসল হিসেবে তৈরি হয়েছে মাত্র ২৫ টন ওজনের লাইট ব্যাটল ট্যাঙ্ক ‘জোরাবর’ (Zorawar)। বলা যেতে পারে, রেকর্ড সময়ে এই ট্যাঙ্ক তৈরি করতে সমর্থ হয়েছে ডিআরডিও। 

    গবেষণায় চারটি বিষয়ে জোর…

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, জোরাবর তৈরির সময় চারটি বিষয়কে মাথায় রাখা হয়েছে। প্রথমত, ট্যাঙ্কটি হাল্কা (Light Battle Tank) হতে হবে যাতে দুর্গম রুক্ষ পার্বত্য অঞ্চলে তাকে মোতায়েন করতে ঝক্কি না পোহাতে হয় সেনাকে। দ্বিতীয়ত, ট্যাঙ্কটি এমন হতে হবে যাতে প্রতিকূল পরিস্থিতি, পরিবেশ ও আবহাওয়ায় যেন সমান সচল থাকে এর কার্যকারিতা। তৃতীয়, এই ট্যাঙ্ককে দ্রুত এক জায়াগা থেকে আরেক জায়গায় স্থানাস্তর করা যাবে। চতুর্থ, এই ট্যাঙ্ককে উভচর হতে হবে। অর্থাৎ, স্থলের পাশাপাশি জলেও সচল থাকবে এমন ট্যাঙ্ক (Zorawar)।

    চিনা আগ্রাসনের মোকাবিলা অনেক সহজ হবে

    আপাতত, ডিআরডিও এই ট্যাঙ্কের ট্রায়াল শুরু করেছে। এটা হচ্ছে উৎপাদনী মহড়া। যা চলবে প্রায় চার মাস। তাতে উত্তীর্ণ হলে, এই ট্যাঙ্কটি (Light Battle Tank) তুলে দেওয়া হবে ভারতীয় সেনার হাতে। তারা আবার এর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। যা ইউজার-ট্রায়াল বা ব্যবহারকারী মহড়ার অঙ্গ হবে। একবার সেনা জোরাবরকে ফিট ঘোষণা করলেই, দ্রুত এই ট্যাঙ্কের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে। এই ট্যাঙ্ক (Zorawar) হাতে আসলে ভারতীয় সেনার পক্ষে এলএসি-তে চিনা আগ্রাসনের মোকাবিলা অনেক সহজ হবে বলে সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lt General RC Tiwari: সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের দায়িত্ব নিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরসি তিওয়ারি

    Lt General RC Tiwari: সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের দায়িত্ব নিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরসি তিওয়ারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরে সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের (Army Eastern Command) দায়িত্বে নতুন মুখ। ইস্টার্ন কমান্ডের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং-ইন-চিফ (জিওসি-ইন-সি) হিসেবে দায়িত্ব তুলে নিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল রামচন্দ্র তিওয়ারি (Lt General RC Tiwari)। সদ্য অবসর গ্রহণ করা লেফটেন্যান্ট জেনারেল  আরপি কলিতার স্থলাভিষিক্ত হলেন তিওয়ারি। কলকাতা স্থিত সেনার পূর্বাঞ্চলীয় সদর ফোর্ট উইলিয়ামের দফতরে এই দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি। বিজয় স্মারকে বীর শহিদ সেনানীদের উদ্দেশে পুষ্পার্ঘ্য দিয়ে পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার পদে আসীন হন তিওয়ারি। তাঁকে গার্ড অফ অনার দিয়ে স্বাগত জানানো হয় ফোর্ট উইলিয়ামে। 

    কাউন্টার ইনসারজেন্সি যুদ্ধ-কৌশলে পারদর্শী

    কাউন্টার ইনসারজেন্সি যুদ্ধ-কৌশলে পারদর্শী হিসেবে সেনায় বিশেষভাবে পরিচিতি পাওয়া আরসি তিওয়ারি (Lt General RC Tiwari) এর আগে উত্তরপ্রদেশের বরেলি অঞ্চলের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ছিলেন। অত্যন্ত পোড়খাওয়া সামরিক অফিসার তিওয়ারি ভারতীয় সেনায় প্রায় চার দশক কাটিয়ে ফেলেছেন। ১৯৮৭ সালে কুমাওন রেজিমেন্টের চতুর্থ ব্যাটালিয়নে কমিশন্ড হন তিওয়ারি। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে শুরু করে উত্তর-পূর্বেও দীর্ঘদিন পোস্টিংয়ে ছিলেন। এর পাশাপাশি, ভারতীয় সেনার শান্তি বাহিনীর অঙ্গ হিসেবে কঙ্গোতেও বেশ কিছুটা সময় অতিবাহিত করেছিলেন তিওয়ারি। 

    আরও পড়ুন: ‘‘চিন সীমান্ত এখন শান্ত হলেও অনিশ্চয়তায় ভরা’’, সতর্ক করলেন সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার

    উত্তর-পূর্ব সীমান্তে প্রভূত নেতৃত্বদানের অভিজ্ঞতা

    উত্তর-পূর্ব সীমান্তে তিওয়ারির (Lt General RC Tiwari) প্রভূত নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। অসমে কাউন্টার ইনসারজেন্সি অভিযানের সময় তিনি কুমাওন রেজিমেন্টের চতুর্থ ব্যাটালিয়নের নেতৃত্বে ছিলেন। এছাড়া, সিকিমে মাউন্টেন ব্রিগেড ও মাউন্টেন ডিভিশনের পাশাপাশি, উত্তর-পূর্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ কোরের দায়িত্বও সামলেছেন কমান্ডার হিসেবে। দীর্ঘ কেরিয়ারে তিনি একাধিক উচ্চ সামরিক সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। এহেন অভিজ্ঞ অফিসারের ওপরই পূর্ব দিকে চিন সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্ব দিয়েছে ভারতীয় সেনা (Army Eastern Command)। গত বছরের শেষদিন পর্যন্ত এই দায়িত্বে ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আরপি কলিতা। ৩১ ডিসেম্বর অবসর গ্রহণ করেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share