Tag: defence

defence

  • India: বার্ষিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন হবে ৩ লাখ কোটি টাকার, জানালেন রাজনাথ

    India: বার্ষিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন হবে ৩ লাখ কোটি টাকার, জানালেন রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আত্মনির্ভর ভারতের (India) স্লোগান দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশ যে ক্রমেই আত্মনির্ভর হচ্ছে, তার প্রমাণও মিলেছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও ব্যাপক উন্নতি করছে ভারত। আগামী চার বছরে দেশের বার্ষিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন হবে প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকা। মিলিটারি হার্ডওয়্যার রফতানি করা হবে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার।

    চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত

    শনিবার কথাগুলি বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। প্রতিরক্ষামূলক এক সম্মেলনে তিনি বলেন, “সিলোসে তিনটি সার্ভিস কাজ করছিল আগে। এখন সেগুলির কো-অর্ডিনেশন আরও বেড়েছে। এখন সেগুলি যে কোনও চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।” তিনি বলেন, “সিলোসে কাজ করতে ব্যবহার করা হত তিনটি সার্ভিস। আমরা সেগুলির ইন্টিগ্রেশানের ওপর ফোকাস করেছি। এগুলি আউট অফ দ্য বক্স স্টেপ এবং সময়ের দাবি ছিল। শুরুর দিকে একটু ছোট্ট সমস্যা ছিল। কিন্ত আজ আমাদের সেনারা যে কোনও চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।”

    কী বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী?

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, “আগে ভারতকে বিশ্ব চিনত অস্ত্র আমদানিকারী দেশ হিসেবে। কিন্তু, আজ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আমরা আমাদের কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে এসেছি। এবং বিশ্বের টপ যে ২৫টি দেশ অস্ত্র রফতানি করে, তাদের মধ্যে একটি হল ভারত (India)।” রাজনাথ বলেন, “সাত-আট বছর আগে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি করে হাজার কোটি টাকাও আয় হত না। আর আজ, এ বাবদ দেশের আয় হয় ১৬ হাজার কোটি টাকা।”

    আরও পড়ুুন: “হাথরাস, উন্নাওয়ে অপরাধীরা গ্রেফতার হয়, এখানে নয়”, বললেন শ্রীনিবাসন

    তিনি বলেন, “২০২৮-২৯ অর্থবর্ষে আশা করি বার্ষিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুত হবে তিন লাখ কোটি টাকার। এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি করা হবে ৫০ হাজার কোটি টাকার।” প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “অস্ত্র আমদানির ক্ষেত্রে এতদিন বিভিন্ন রকম রেস্ট্রিকশন ছিল। তাতে সমস্যাও ছিল। কিন্তু সেটা থেকেই আমাদের সামনে খুলে যাচ্ছে সুযোগের দ্বার। বর্তমানে ভারত বিশ্বে ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল ল্যান্ডস্কেপের ক্ষেত্রে ক্রমেই উন্নতি করে চলেছে।” তিনি বলেন, “আজ, আমাদের সেনারা অস্ত্র ব্যবহার করছে, অস্ত্র তৈরির প্লাটফর্ম ব্যবহার করছে। এসব অস্ত্রই তৈরি হচ্ছে ভারত (India) ভূখণ্ডে, আমাদের নিজেদের দেশের মাটিতে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukhoi: ব্রহ্মোস বহনে সুখোই-এর আধুনিকীকরণ করছে বায়ুসেনা! জানেন কী হবে এর প্রভাব?

    Sukhoi: ব্রহ্মোস বহনে সুখোই-এর আধুনিকীকরণ করছে বায়ুসেনা! জানেন কী হবে এর প্রভাব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রুশ নির্মিত মাল্টি-রোল কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট “সুখোই ৩০-এমকেআই” হল ভারতীয় বায়ুসেনার প্রধান স্তম্ভ। আকাশ থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র বহনের জন্য এই বিমানের আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে। ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র বহনের জন্য ৪০টি সুখোই-৩০ এম কে আই-এর আধুনিকীকরণ করছে ভারতীয় বায়ুসেনা। ব্রহ্মোস ৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। কিন্তু এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ১,৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। সেক্ষেত্রে ব্রহ্মোস বহনের জন্য সুখোই-এর আধুনিকীকরণও জরুরি। সেই পরিকল্পনা নিয়েই চলছে বায়ুসেনা

    আরও পড়ুন: শীতের শুরুতে আরেকটা করোনার প্রকোপ? সতর্কতা জারি করল ‘হু’

    বায়ুসেনা সূত্রে খবর, ব্রহ্মোস বহনের জন্য সুখোই-এর বেশ কিছু অংশকে আরও শক্ত করতে হবে। বায়ুসেনা সূত্রে খবর, এই কাজ সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে করবে হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL)। ইতিমধ্যেই ৩৫ টি ফাইটার জেটের আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে আরও ২০ থেকে ২৫ টি ফাইটার জেট  উন্নত করা হবে। বিশ্বের অন্যতম সেরা চতুর্থ প্রজন্মর যুদ্ধবিমান হল এই সুখোই-৩০। এর আধুনিকীকরণ করা হলে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, গোটা এশিয়াতে এটি গেম চেঞ্জার হয়ে উঠতে পারে।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ ওঠায় পূর্বতন শাসকদের দুষলেন মোদি

    প্রধানত এয়ার-টু-এয়ার সুপিরিওরিটি যুদ্ধবিমান হল সুখোই-৩০। অর্থাৎ, মাঝ-আকাশে ডগ-ফাইটে এই বিমানের জুড়ি মেলা ভার। এই বিমান শত্রুর কোনও সামরিক ঘাঁটি বা ভূমিতে থাকা কোনও লক্ষ্যবস্তুকে গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম। সুখোইয়ের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২ হাজার ১২০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ টেক-অফ লিফ্ট ৩৮ হাজার ৮০০ কেজি। বিভিন্ন ধরনের বম্ব, রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম সুখোই। মোট বহন ক্ষমতা প্রায় ৮ হাজার কেজি। দুই আসন বিশিষ্ট, দুই ইঞ্জিনের সুখোইতে রয়েছে একটি ৩০এমএম বন্দুক। মাঝারি পাল্লার গাইডেড এয়ার-টু-এয়ার, ইনফ্রারেড হোমিং স্বল্প পাল্লার মিসাইল সহ একাধিক ক্ষপণাস্ত্র বহন করতে পারে সুখোই। পারমাণবিক অস্ত্রবহন করতেও সক্ষম সুখোই-৩০। এবার এই বিমানে বিশ্বের একমাত্র সুপারসনিক ব্রহ্মোস ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের এয়ার-ভার্সান অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। একবার তা সম্পন্ন হলে, সুখোই-৩০ অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Light Combat Helicopter: বায়ুসেনার হাতে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হেলিকপ্টার ‘প্রচণ্ড’

    Light Combat Helicopter: বায়ুসেনার হাতে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হেলিকপ্টার ‘প্রচণ্ড’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আত্মনির্ভর ভারত ” (Atmanirbhar Bharat) প্রকল্পের নতুন চমক নিজস্ব প্রযুক্তি আর কারিগরিতে তৈরী ‘লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার'(Light combat helicopter) এর আনুষ্ঠানিক অভিষেক রাজস্থানের যোধপুরে ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ‘হিন্দুস্থান অ্যারোনটিকস লিমিটেড’ – এর হাত ধরে। এতে যোগ দিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং বিমান বাহিনীর প্রধান মার্শাল ভি আর চৌধুরী।

    ভারতীয় বিমান বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র সহ নানা ধরনের অস্ত্র পরিবহনে সক্ষম এই নবনির্মিত দুই ইঞ্জিন (Engine) বিশিষ্ট ৫.৮ টনের  হেলিকপ্টারটি এবং এটি ৭০০ কেজি ওজনেরও একটি ক্ষেপণাস্ত্র যুক্ত করা যাবে। আরও জানা গিয়েছে এরমধ্যে বেশ কয়েকটি অস্ত্র নিক্ষেপন পরীক্ষা সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

    আরও পড়ুন: মোহন ভাগবতকে ‘রাষ্ট্র পিতা’ বলায় ইমাম প্রধানকে খুনের হুমকি! চাঞ্চল্য 

    Light combat helicopter এর বিষয়ে কিছু তথ্য:

    ১) L.C.H কে পৃথিবীর সবচেয়ে আক্রমণকারী হেলিকপ্টার হিসেবে দাবি করা হয়েছে,  যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছে এটি ১৫ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে আক্রমণে সক্ষম। যা পৃথিবীর অন্য কোনো হেলিকপ্টারের নেই।

    ২) L.C.H এর গতি প্রতি ঘন্টায় ২৬৮ কিমি এবং এর পরিসীমা ৫০০ কিমির বেশি।

    ৩) L.C.H একটানা তিন ঘন্টারও বেশি সময় ধরে উড়তে পারে।

    ৪) L.C.H  এর সাহায্যে 20 মিমি কামান ছাড়াও অত্যাধুনিক বোমা এমনকি রকেটও (Rocket) একত্রিত করা যেতে পারে।

    ৫) L.C.H এ প্রতিস্থাপন (Install) করা অত্যাধুনিক সেন্সরের সাহায্যে শত্রুপক্ষের যুদ্ধ বিমানসহ বিভিন্ন কার্যকলাপ থেকে সতর্কতা প্রদান করে।

    হ্যাল (Hindustan Aeronautics Limited) এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে প্রথম পর্যায়ে, এইচএএল ১০টি এলসিএইচ প্রস্তুত করা হয়েছে,  পরবর্তী ২ বছরে আরও ১৫০টি হালকা কমব্যাট হেলিকপ্টার তৈরি করে,  ৯৫টি বিমান ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাতটি আলাদা ইউনিটে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। জুলাই মাসে, ভারতীয় সেনাবাহিনী লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টারের প্রথম ইউনিটও তৈরি করা হয়েছে, যা শীঘ্রই চিন সীমান্তে মোতায়েন করা হবে।একই ফ্রন্টে, ভারতীয় বায়ুসেনা হাশিমারায় রাফালের দ্বিতীয় স্কোয়াড্রনও মোতায়েন করা হবে।

    প্রসঙ্গত, ভারতের দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরী ব্রহ্মাস্ত্র মিসাইল (Brahmos Missile) বর্তমানে বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।এতদিন ধরে উন্নত দেশগুলির কাছ থেকে অস্ত্রের নির্ভরতা কাটিয়ে স্বাবলম্বী হচ্ছে ভারত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Light Combat Helicopter: বায়ুসেনার হাতে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হেলিকপ্টার ‘প্রচণ্ড’

    Light Combat Helicopter: বায়ুসেনার হাতে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হেলিকপ্টার ‘প্রচণ্ড’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আত্মনির্ভর ভারত ” (Atmanirbhar Bharat) প্রকল্পের নতুন চমক নিজস্ব প্রযুক্তি আর কারিগরিতে তৈরী ‘লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার'(Light combat helicopter) এর আনুষ্ঠানিক অভিষেক রাজস্থানের যোধপুরে ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ‘হিন্দুস্থান অ্যারোনটিকস লিমিটেড’ – এর হাত ধরে। এতে যোগ দিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং বিমান বাহিনীর প্রধান মার্শাল ভি আর চৌধুরী।

    ভারতীয় বিমান বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র সহ নানা ধরনের অস্ত্র পরিবহনে সক্ষম এই নবনির্মিত দুই ইঞ্জিন (Engine) বিশিষ্ট ৫.৮ টনের  হেলিকপ্টারটি এবং এটি ৭০০ কেজি ওজনেরও একটি ক্ষেপণাস্ত্র যুক্ত করা যাবে। আরও জানা গিয়েছে এরমধ্যে বেশ কয়েকটি অস্ত্র নিক্ষেপন পরীক্ষা সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

    আরও পড়ুন: মোহন ভাগবতকে ‘রাষ্ট্র পিতা’ বলায় ইমাম প্রধানকে খুনের হুমকি! চাঞ্চল্য 

    Light combat helicopter এর বিষয়ে কিছু তথ্য:

    ১) L.C.H কে পৃথিবীর সবচেয়ে আক্রমণকারী হেলিকপ্টার হিসেবে দাবি করা হয়েছে,  যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছে এটি ১৫ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে আক্রমণে সক্ষম। যা পৃথিবীর অন্য কোনো হেলিকপ্টারের নেই।

    ২) L.C.H এর গতি প্রতি ঘন্টায় ২৬৮ কিমি এবং এর পরিসীমা ৫০০ কিমির বেশি।

    ৩) L.C.H একটানা তিন ঘন্টারও বেশি সময় ধরে উড়তে পারে।

    ৪) L.C.H  এর সাহায্যে 20 মিমি কামান ছাড়াও অত্যাধুনিক বোমা এমনকি রকেটও (Rocket) একত্রিত করা যেতে পারে।

    ৫) L.C.H এ প্রতিস্থাপন (Install) করা অত্যাধুনিক সেন্সরের সাহায্যে শত্রুপক্ষের যুদ্ধ বিমানসহ বিভিন্ন কার্যকলাপ থেকে সতর্কতা প্রদান করে।

    হ্যাল (Hindustan Aeronautics Limited) এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে প্রথম পর্যায়ে, এইচএএল ১০টি এলসিএইচ প্রস্তুত করা হয়েছে,  পরবর্তী ২ বছরে আরও ১৫০টি হালকা কমব্যাট হেলিকপ্টার তৈরি করে,  ৯৫টি বিমান ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাতটি আলাদা ইউনিটে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। জুলাই মাসে, ভারতীয় সেনাবাহিনী লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টারের প্রথম ইউনিটও তৈরি করা হয়েছে, যা শীঘ্রই চিন সীমান্তে মোতায়েন করা হবে।একই ফ্রন্টে, ভারতীয় বায়ুসেনা হাশিমারায় রাফালের দ্বিতীয় স্কোয়াড্রনও মোতায়েন করা হবে।

    প্রসঙ্গত, ভারতের দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরী ব্রহ্মাস্ত্র মিসাইল (Brahmos Missile) বর্তমানে বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।এতদিন ধরে উন্নত দেশগুলির কাছ থেকে অস্ত্রের নির্ভরতা কাটিয়ে স্বাবলম্বী হচ্ছে ভারত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • LCA Tejas: মিশরে তৈরি হবে ‘তেজস’ যুদ্ধবিমান, ‘ধ্রুব’ হেলিকপ্টার! নয়া চুক্তির পথে ভারত?

    LCA Tejas: মিশরে তৈরি হবে ‘তেজস’ যুদ্ধবিমান, ‘ধ্রুব’ হেলিকপ্টার! নয়া চুক্তির পথে ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) আগেই জানিয়েছিলেন প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নতুন দিশা দেখাবে আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্প (Atmanirbhar Bharat)। বিদেশ থেকে অস্ত্র আমদানি কমিয়েছে ভারত। বিভিন্ন অস্ত্র তৈরি হচ্ছে দেশের ভেতরেই। এর ফলে যেমন বিদেশ নির্ভরতা কমেছে। তেমনই দেশের অস্ত্র পরিকাঠামো জোরদার হয়েছে। মানুষের রোজগার বেড়েছে।  শুধু ছোট অস্ত্র নয়,সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি তেজস মার্ক ওয়ান যুদ্ধ বিমান তৈরি করেও নজর কেড়েছে ভারত। এবার প্রতিরক্ষা (Defence) খাতে মিশরের সঙ্গে বড়সড় চুক্তি করতে চলেছে ভারত। প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, এই প্রথম কোনও বাইরের দেশকে তেজস তৈরির প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে পারে দিল্লি। এতে অস্ত্র রফতানি দেশ হিসেবে আরও তালিকার ওপরে উঠে আসবে ভারতের নাম। 

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন,  মিশরের সঙ্গে তেজস ফাইটার জেটের বড় চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে ভারত। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে মিশরীয় বিমানবাহিনীর প্রধান কয়েকদিনের মধ্যেই ভারতে আসবেন। এই সফরে ভারতীয় তেজসের নানান খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখবেন তিনি। মিশর এখন আমেরিকা, ফ্রান্স আর রাশিয়া থেকে যুদ্ধ বিমান সংগ্রহ করে। মিশরীয় বিমান বাহিনীর (EAF) ৭০টি হালকা যুদ্ধ বিমানের প্রয়োজন রয়েছে। তারা তেজসের প্রযুক্তি নিয়ে মিশরের মাটিতেই ওই বিমানগুলি তৈরি করতে চায়। এ বিষয়ে মিশরকে সাহায্য করতে চায় দিল্লি।  

    আরও পড়ুন: আমেরিকার ভোলবদল! AMCA-র ইঞ্জিন নির্মাণে প্রযুক্তি সহায়তার প্রস্তাব ভারতকে

    ভারতীয় বায়ুসেনার (IAF) একটি দল বর্তমানে মিশরে রয়েছে। ওই দলই বিষয়টি নিয়ে কথাবার্তা চালাচ্ছে। তারা দেখেছে মিশরে হালকা যুদ্ধ বিমান তৈরির জন্য উপযুক্ত ঘাঁটি রয়েছে।  সেখানে একটি ফিক্সড উইং বা রোটারি উইংয়ের প্রয়োজন রয়েছে। ভারত মিশরের সঙ্গে যৌথভাবে
    সেখানে তেজস এলসিএ মার্ক ওয়ান (Tejas Mk1) উৎপাদন করতে চায়। তেজস ছাড়াও হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার প্রদানের কথা বলেছে। যার মধ্যে রয়েছে অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার (ALH), লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার (LCH)।

    ভারতে তৈরি যুদ্ধ বিমানের প্রতীক তেজস। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে ভারতীয় বিমান বাহিনীর শক্তি বাড়াতে এই বিমানের আধুনিক সংস্করণ তিরাশিটি অর্ডার করেছে তাঁরা। HAL ২০২৪ সালের প্রথম দিকে IAF কে তেজস যুদ্ধবিমান সরবরাহ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।  বেশ কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যেই তেজস বিমান সংগ্রহের বিষয়ে গভীর আগ্রহ দেখিয়েছে এবং আগামী কয়েক বছরের মধ্যে প্রথম রফতানি আসতে পারে তেজসের হাত ধরে এমনটাই মনে করছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

  • Indian Defence: প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভর! ৭৬ হাজার কোটি টাকার সমরাস্ত্র কেনায় সায় কেন্দ্রের

    Indian Defence: প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভর! ৭৬ হাজার কোটি টাকার সমরাস্ত্র কেনায় সায় কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভরতা বাড়াতে নয়া পদক্ষেপ প্রতিরক্ষামন্ত্রকের। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি সমরাস্ত্র কেনায় মিলল ছাড়পত্র। সায় দিল প্রতিরক্ষামন্ত্রক (Ministry of defence)। এজন্য অনুমোদন করা হয়েছে ৭৬ হাজার কোটি টাকা। ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিলের (defence acquisition council) বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath singh) এর সভাপতিত্বে ওই বৈঠক হয়।

    জানা গিয়েছে, এই অর্থে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য রাফ টেরেন ফর্ক লিফ্ট ট্রাক (RTFLT), ব্রিজ লেইং ট্যাঙ্ক (BLT), হুইলড্ আর্মার্ড ফাইটিং ভেহিকল (WhAFV), অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল (ATGM) কেনা হবে। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি উয়েপন লোকেটিং রাডারও (WLR) কেনা হবে। ৩৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নৌবাহিনীর জন্য পরবর্তী প্রজন্মের করভেট (NGC) যুদ্ধজাহাজ কেনায়ও মিলেছে সায়। মোট ৮টি করভেট (Corvette) নির্মাণ করা হবে। পাশাপাশি, নজরদারি এবং এসকর্ট অপারেশনকে আরও অত্যাধুনিক করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে ওই বৈঠকে।

    আরও পড়ুন : সফল উৎক্ষেপণ অগ্নি-৪ ক্ষেপণাস্ত্রের, আওতায় ভারতের প্রতিবেশীরা

    উপকূলরক্ষী বাহিনী (Coast Guard) অত্যাধুনিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এজন্য একটি প্রকল্পও হাতে নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় বাহিনীর নানা সারফেস ও অ্যাভিয়েশন অপারেশন, লজিস্টিকস, ফিন্যান্স এবং এইচআর প্রক্রিয়াগুলি জিডিটাইজ করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে ওই বৈঠকে।

    প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভরতার ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। আত্মনির্ভরতার পথে চলতি বছর বিপুল পরিমাণ অস্ত্র রফতানি করে ভারত। লোকসভায় সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি বেড়েছে প্রায় ৬ গুণ। চলতি অর্থবর্ষের ২১ মার্চ পর্যন্ত ১১ হাজার ৬০৭ কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি করেছে ভারত।

    আরও পড়ুন : হজরত মহম্মদ মন্তব্য বিতর্কে পাকিস্তানকে পাল্টা তোপ ভারতের

    আত্মনির্ভর ভারত গড়তে প্রধানমন্ত্রী যে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, তার প্রমাণ মিলেছে নানা সময়। ২০২১ সালে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি আকাশ (Akash) মিসাইল রফতানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাজনাথ জানান, ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে মহাকাশ গবেষণা ও প্রতিরক্ষা সংস্থার সঙ্গে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার সরঞ্জাম রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

     

     

  • Rajnath at DefConnect 2.0: বিশ্বের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে ভারতকে আরও শক্তিশালী হতেই হবে, বললেন রাজনাথ

    Rajnath at DefConnect 2.0: বিশ্বের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে ভারতকে আরও শক্তিশালী হতেই হবে, বললেন রাজনাথ

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীজুড়ে ক্ষমতার ভরকেন্দ্রের সমীকরণ দ্রুত পাল্টাচ্ছে। তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে প্রতিরক্ষা (defence) ও শান্তি বজায় নিশ্চিত করতে নিজেদের আরও শক্তিশালী রাষ্ট্র (powerful nation) হিসেবে গড়ে তোলা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই ভারতের (India)। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russo-Ukrainian War) প্রেক্ষিতে এমনটাই জানালেন রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। 

    প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত শিল্প সম্মেলন ‘ডেফকানেক্ট ২.০'(DefConnect 2.0) -এর উদ্বোধনে এসে প্রতিরক্ষামন্ত্রী (defence minister) জানান, বিশ্বে এখন অনেক ঘটনাই ঘটছে যার ফলে ভারত প্রভাবিত হচ্ছে। তিনি বলেন, গত বছর (ফেব্রুয়ারি) এরো ইন্ডিয়ার সময় থেকে এখন এই একটা বছরে বিশ্ব অনেকটা পাল্টে গেছে। এতটাই যে, তা পরিমাপ করা অসম্ভব। এখন প্রত্যেকটি নতুন বিপদ আগের তুলনায় আরও জটিল, আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে।

    রাজনাথ বলেন, আমরা এখনও কোভিড বিপর্যয় থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে আসতে পারিনি। অথচ, বিশ্বের সামনে এসে উপস্থিত হয়েছে ইউক্রেন (ukraine) সমস্যা। বিশ্বের (শক্তির) ভারসাম্য যে হারে সময়ের সঙ্গে দ্রুত পাল্টাচ্ছে, নিজেদের শক্তিশালী করা ছাড়া আমাদের আর কোনও উপায় নেই। 

    রাজনাথ যোগ করেন, এর আগে, মধ্যপ্রাচ্য (Middle east) থেকে শুরু করে আফগানিস্তান (Afghanistan) ও পাকিস্তানে (Pakistan) অস্থিরতা দেখেছে বিশ্ব। এর পাশাপাশি, বিশ্বে এখন অনেক কিছুই ঘটে চলেছে, যার প্রভাব ভারতে পড়ছে। যে কারণে, নিজেদের ক্ষমতাবলে প্রতিরক্ষা, শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে। 

     

  • India Bangladesh: প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বোঝাপড়া শক্তপোক্ত করতে ফের বৈঠকে ভারত বাংলাদেশ

    India Bangladesh: প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বোঝাপড়া শক্তপোক্ত করতে ফের বৈঠকে ভারত বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বোঝাপড়া শক্তপোক্ত করতে ফের বৈঠকে বসল ভারত (India) ও বাংলাদেশ (Bangladesh)। ১০ অগাস্ট, বুধবার দিল্লিতে (New Delhi) ওই বৈঠক বসে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতের নৌ, স্থল ও আকাশ তিন বাহিনীর শীর্ষ কর্তারা। প্রতিরক্ষা (Defence) সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা আরও উন্নত করতেই হয়েছে বৈঠক। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ইন্টিগ্রেটেড ডিফেন্স স্টাফ ব্রিগেডিয়ার বিবেক নারাং ও ব্রিগেডিয়ার হুসেন মহম্মদ রেহমানের নেতৃত্বে বৈঠক হয়েছে সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশে। 

    ভারতের পড়শি দেশ বাংলাদেশ। প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো নয় নয়াদিল্লির। সীমান্তে চোখ রাঙাচ্ছে ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ চিন। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়িয়ে তোলা প্রয়োজন বলেই মনে করে ভারত। জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত দুটি চুক্তিতে সই করেন। চুক্তি অনুযায়ী, দুই দেশের সেনা অংশ নেবে যৌথ মহড়া ও প্রশিক্ষণে। তাছাড়া ভারতের সশস্ত্র বাহিনী এক্সপার্ট ট্রেনিং ও সরঞ্জাম জোগাবে বাংলাদেশকে। সন্ত্রাসবাদ দমনে দুই দেশই পরস্পরকে সহযোগিতা করবে। উত্তর পূর্ব সীমান্তে মাদক চোরাচালান বন্ধেও সহযোগিতা করবে দুই দেশ। এর আগেও একাধিকবার বাংলাদেশ সরকার এটা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, কেউ বাংলাদেশের মাটিকে সন্ত্রাসবাদের কাজে ব্যবহার করতে পারবে না। সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ নির্মূলীকরণ এবং সংগঠিত অপরাধের ক্ষেত্রে দুই দেশই নিয়েছে জিরো টলারেন্স নীতি।

    আরও পড়ুন : দেশভাগ যন্ত্রণার! এক হোক ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ, চান হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী

    এদিনের বৈঠকে ভারত ও বাংলাদেশ মউ (MOU) স্বাক্ষর করেছে। স্বাক্ষর হয়েছে দুটি চুক্তি। একটি হল ভারতের ডিএসএসসি এবং ঢাকা ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ডের এবং অন্যটি দুই দেশের উপকূল রক্ষী বাহিনীর। দুটি ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর তৈরিতে লগ্নি করতে বাংলাদেশি কোম্পানিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত। এই করিডর দুটির একটি হবে উত্তর প্রদেশে, অন্যটি তামিলনাড়ুতে। জাহাজ নির্মাণ শিল্পে উন্নতির সুযোগও রয়েছে। ভারত মর্টার, মিসাইল, অস্ত্র এবং রাডার দিয়েও বাংলাদেশকে সামরিক সহযোগিতা করে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের আমদানিকৃত অস্ত্রের ৭৪ শতাংশই আসে চিন থেকে। হাসিনার দেশে একটি নৌঘাঁটি তৈরি করেছে, যেখানে প্রয়োজনের সময় চিনা সাবমেরিন নোঙর করতে পারে। ২০০২ সালে বাংলাদেশ ও চিন প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তিতে সই করেছিল।

     

  • BrahMos Missiles: আরও ঘাতক! স্টেলথ ডেস্ট্রয়ারের জন্য ১৭০০ কোটি টাকার ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে নৌসেনা

    BrahMos Missiles: আরও ঘাতক! স্টেলথ ডেস্ট্রয়ারের জন্য ১৭০০ কোটি টাকার ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে নৌসেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতা ফুটিয়ে তুলতে বদ্ধপরিকর প্রতিরক্ষামন্ত্রক। মেক-ইন-ইন্ডিয়ার মন্ত্রকে হাতিয়ার করে বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষামন্ত্রক ব্রহ্মস এয়ারোস্পেস প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে ১৭০০ কোটির চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। নৌসেনার জন্য মিসাইল কিনতেই এই চুক্তি। মন্ত্রক সূত্রে এক বিবৃতি জারি করে এই উদ্যোগের কথা জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতীয় নৌ সেনার শক্তি আরও বাড়াবে এই মিসাইল। আসলে এই ধরনের মিসাইল যেমন স্থলভাগ থেকে লক্ষ্যবস্তুর উপর নিক্ষেপ করা যায়। আবার একইভাবে জলেও শত্রুপক্ষের জাহাজে আঘাত হানতে এটি সক্ষম।

    ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর কাছে সাধারণত তিন ধরনের ব্রহ্মস মিসাইল রয়েছে। যা স্থল, জল, ও আকাশে আঘাত হানতে পারে। কিছুদিন আগেই সুখোই-৩০ বিমান থেকে ভারত ব্রহ্মস মিসাইলের সফল পরীক্ষা করা হয়। কয়েকদিন আগে মহড়ার সময় বঙ্গোপসাগরে নিখুঁত নিশানায় আঘাত হানতে পেরেছিল এই মিসাইল। এই সাফল্য একেবারে গেম চেঞ্জার, বলে আগেই জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞেরা। 

    আরও পড়ুন: ৪০ ঘণ্টার সফরে ২৩টি বৈঠক, ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে জাপানে মোদি

    ইন্দো রাশিয়ান যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছিল এই মিসাইল। এটির পাল্লা মোটামুটি ২৯০ কিমি। এটিকে বিশ্বের দ্রুততম গতি সম্পন্ন মিসাইল বলে গণ্য করা হয়। প্রায় শব্দের গতিবেগের চেয়ে তিনগুণ বেশি গতিবেগে এটি ছুটতে পারে। ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে যে মিসাইল রয়েছে তার পাল্লা প্রায় ৪৫০-৫০০ কিমি পর্যন্ত। যুদ্ধের পরিস্থিতি বদলে দিতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। সম্প্রসারিত পাল্লায় এটি আঘাত হানতে সক্ষম। সমুদ্রের ওপর বিপক্ষের বড়সড় প্রতিরক্ষাকে ভেঙে দিতেই ব্রহ্মস বেশি কার্যকরী। তাই নৌসেনার জন্য এই মিসাইল আরও বেশি করে কেনার কথা ভাবছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক।

    সূত্রের খবর, ভারত আরও দূর পাল্লার ব্রহ্মস মিসাইল তৈরি করতে চাইছে। সেই মিসাইলের পাল্লা বৃদ্ধি করে প্রায় ৮০০ কিমি করা হতে পারে। সেই উদ্যোগ সফল করার লক্ষ্যেই কাজ করে চলেছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞেরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share