Tag: Delhi Blast Investigation

  • Delhi Blast: ফল বিক্রির নামে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল মুজাম্মিল, ৫ শহরে তল্লাশি, কাশ্মীরে গ্রেফতার ১

    Delhi Blast: ফল বিক্রির নামে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল মুজাম্মিল, ৫ শহরে তল্লাশি, কাশ্মীরে গ্রেফতার ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে (Delhi Blast Investigation) পাঁচ শহর জুড়ে তাল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। বিস্ফোরণ মামলায় অভিযুক্ত চিকিৎসকদের মদত দিয়েচ্ছিল কারা কারা? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আরও সক্রিয় হয়ে ময়দানে নেমেছে তদন্তকারী আধিকারিকরা (NIA)। ইতিমধ্যে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের ব্যবহৃত ফোন, ডিজিটাল ডিভাইস কোথায় কোথায় সক্রিয় এবং কাদের থেকে সহযোগিতা নেওয়া হয়েছে, তার সবটাই খোঁজ করছে তদন্তকারী অফিসাররা।

    মাসে ৮০০০ টাকার ঘর ভাড়া (Delhi Blast Investigation)

    বৃহস্পতিবার কাশ্মীরে অভিযান চালিয়ে ১৯ বছরের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। এই যুবকের বাড়ি ভাতিইন্ডিতে। একাধিক পাকিস্তানের হ্যান্ডলের সঙ্গে যোগ পাওয়া গিয়েছে। অনলাইনে জঙ্গি কার্যকলাপের নানা পাঠ দেওয়া হতো বলে খোঁজ মিলেছে। সেই সঙ্গে ফোনের সূত্র ধরে একাধিক পাকযোগের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে।

    ফরিদাবাদে বিস্ফোরক (Delhi Blast Investigation) উদ্ধারকাণ্ডে ধৃত মুজ্জামিল সম্পর্কে আরও চাঞ্চাল্যকর তথ্য পাওয়া গিয়েছে। মুজ্জামিলের সঙ্গে চক্রের সঙ্গে যুক্ত ডাক্তার শাহিন সইদের বিয়ায়ের তথ্য সামনে উঠে এসেছে। ফরিদাবাদে তাদের আরও দুটি গোপন ডেরা ছিল। খোরি জামালপুর গ্রামের জুম্মা খানের থেকে একটি বাড়ি মুজাম্মিল ভাড়া নিয়েছিল। সেখানে ফলের ব্যবসা করবে বলেই এই বাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। অপর দিকে স্থানীয় সহযোগিতায় জায়গা নিয়ে একটি বাড়িও নির্মাণ হয়েছিল। তবে জমির মালিক ছিলেন এক কৃষক। এই বাড়িটি আল ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে গ্রামের প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান জুম্মা খানের বাড়িটিকেই মুজাম্মিল ভাড়া নিয়েছিল। এই বাড়িটিতে তিনটি বেড রুম ও একটি রান্নাঘর ছিল। কাঁচামালের কারখানার উপরে  তৈরি ঘরে থাকত মুজাম্মিল। এপ্রিল থেকে জুলাই মাসের মধ্যে প্রতি মাসে মোট ৮ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে থাকত এই অভিযুক্ত। সদ্য এনআইএ জুম্মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই সমস্ত তথ্য উদ্ধার করেছে। জেরায় জুম্মা আরও বলে, একটা সময়ের পর গরমের জন্য কাশ্মীরি ফলের ব্যবসা চালানো কষ্টকর হচ্ছে। তবে মুজাম্মিলকে আগে থেকে জুম্মাকে জানতো না বলে জানিয়েছে।

    ডক্টর টেরর মডেলের সন্ধান

    সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লি বিস্ফোরণ (Delhi Blast Investigation) মামলায় প্রত্যক্ষ মদতকারীদের খোঁজ করতে উত্তরপ্রদেশ, হারিয়ানা, জম্মু-কাশ্মীরের পাঁচটি বড় বড় শহরে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। তার মধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA) লখনউ, কানপুর, সাহরানপুর, ফরিদাবাদ, জম্মু-কাশ্মীরে রয়েছে। তবে এই পাঁচ জায়গাকেই জঙ্গি মডিউলের আঁতুড়ঘর বলে সন্দেহ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ফরিদাবাদের আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অভিযুক্ত চিকিৎসক শাহিন সইদকে। এরপর তাকে লখনউ এবং কানপুরে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এই ডক্টর টেরর মডেলে যারা অংশ নিয়েছিল বা সহযোগিতা করেছিল, তাদের সকলকেই খোঁজ করে তদন্তের আওতায় নিয়ে আসার কাজ করছে এনআইএ।

    ডিজিটাল ডিভাইসকে উদ্ধারের খোঁজ

    আপাতত প্রাথমিক ভাবে ডিজিটাল ডিভাইসকে উদ্ধার এবং সূত্র খোঁজের ব্যাপক তল্লাশি চালচ্ছে তদন্তকারী অফিসাররা (NIA)। আগে যে সাতজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের ডিজিটাল ডিভাইস গুলিকে কোথায় কোথায় রেখে ব্যবহার করা হয়েছিল, সেই প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। চিকিৎসকদের নেটওয়ার্ককে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যারা উচ্চ শিক্ষিত তাদের মধ্যে নিজেদের পেশার আড়ালে অবৈধ ষড়যন্ত্রের কাজ করছেন কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই রকম বেশ কিছু উচ্চ শিক্ষিত ডাক্তার এবং গবেষকদের উপর কঠোর নজর রাখা হয়েছে। ধৃতদের ব্যক্তিগত যোগাযোগ এবং নেট ওয়ার্ক সম্পর্কে সমস্ত তথ্য খুঁজে বের করা হচ্ছে। উত্তর প্রদেশ এবং ফরিদাবাদের বেশ কিছু এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে।

    চলছে জিজ্ঞাসাবাদ

    তদন্তকারীদের (NIA) সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের (Delhi Blast Investigation) বেশকিছু নেটওয়ার্ক আরও অনেকগুলি শহরে এখনও সক্রিয় রয়েছে। সাহারনপুরে যে গাড়ি ব্যবহার করা হয়েছে সেই একই গাড়িকে ব্যবহার করা হয়েছে বিস্ফোরণে। একই ভাবে কানপুরে গোপন আস্তানার খবর পাওয়া গিয়েছে। ফলে বিস্ফোরণের সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে যুক্ত এমন তালিকায় যাদের অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তাদের সকলকেই আলাদা আলাদা ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

LinkedIn
Share