Tag: delhi bomb blast

  • Delhi Blast: চার হাত ঘুরে অভিশপ্ত গাড়ি পৌঁছয় জঙ্গি উমরের কাছে! দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে পুলওয়ামা যোগ?

    Delhi Blast: চার হাত ঘুরে অভিশপ্ত গাড়ি পৌঁছয় জঙ্গি উমরের কাছে! দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে পুলওয়ামা যোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লালকেল্লা বিস্ফোরণ কাণ্ডে (Delhi Blast) তদন্তে বড় অগ্রগতি। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, যে হুন্ডাই আই ২০ গাড়িটি বিস্ফোরণের উৎস ছিল, সেটি কাশ্মীরের পুলওয়ামার এক বাসিন্দা কিনেছিলেন। গাড়িটি একাধিকবার হাত বদল হয়ে উমর মহম্মদের কাছে যায়। এই উমরই আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, বলে মনে করছে পুলিশ। প্রকাশ্যে এসেছে দিল্লি বিস্ফোরণের মূল পাণ্ডার প্রথম ছবিও। উল্লেখ্য, বিস্ফোরণের এই ঘটনায় ইতিমধ্য়ে প্রাণ গিয়েছে ১১ জনের। আহত প্রায় ২০ জন। দিল্লি বিস্ফোরণ নিয়ে মঙ্গলবার সকালে উচ্চপর্যায়ের জরুরি বৈঠকে বসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। স্বরাষ্ট্রসচিব, আইবি-র ডিরেক্টর, এনআইএ-এর ডিজির সঙ্গে বৈঠক। বৈঠকে রয়েছেন দিল্লির পুলিশ কমিশনার-সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

    প্রকাশ্যে এল উমরের ছবি

    সোমবার রাতে দিল্লিতে (Red Fort blast) যে গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে, সেই গাড়ির বর্তমান মালিক উমর মহম্মদ নামে এক ব্যক্তি। তার ছবিই ধরা পড়েছে সিসিটিভি ফুটেজে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, দিল্লিজুড়ে সোমবার ব্যাপক ধরপাকড়ের জেরে খানিকটা আতঙ্কিত হয়েই সন্ধেয় বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। তবে এই উমরের মৃত্যু হয়েছে নাকি সে গা ঢাকা দিয়েছে-সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। সিসিটিভি ফুটেজেই গাড়ির চালকের আসনে থাকা উমরের ছবি স্পষ্ট দেখা গিয়েছে। হুন্ডাই আই-২০ গাড়ির মধ্যে রাখা ডিটোনেটর থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে। বিস্ফোরক রাখার কাজ করেছে ফরিদাবাদের আল ফালাহ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক উমর, এমনটাই অনুমান। যদিও বিস্ফোরণের ঠিক আগের মুহূর্তে দেখা যায়, গাড়ির চালকের আসনে মাস্ক পরা এক ব্যক্তি রয়েছেন। মাঝপথে উমর নেমে গিয়ে অন্য কেউ চালকের আসনে বসেছিল কিনা, তা স্পষ্ট নয়। ফলে দিল্লির বিস্ফোরণে উমরের মৃত্যু হয়েছে একথাও স্পষ্ট করে বলা যায় না। তদন্তকারীরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন, দুই সঙ্গীকে নিয়ে আত্মঘাতী হামলার ছক ছিল উমরের।

    কে এই উমর

    উমর ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জন্মগ্রহণ করে। সে আল ফালাহ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করতেন। সে ডঃ আদিল আহমদ রদর ও ডঃ মুজাম্মিল শাকিলের কাছের সহযোগী ছিল। সোমবার এই দুই ডাক্তারকে ‘হোয়াইট কলার’ সন্ত্রাসী চক্রের জন্য গ্রেফতার করা হয়।

    গাড়ির পুলওয়ামা যোগ

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এই যে আই ২০ গাড়িটিতে বিস্ফোরণ হয়, তার এর নম্বর ছিল এইচআর ২৬ ৭৬২৪। নম্বরপ্লেট দেখে চিহ্নিত করা হয় গাড়ির মালিককে। জানা যায়, গাড়িটি হরিয়ানার। হরিয়ানার গুরুগ্রামে নর্থ আরটিও-তে রেজিস্টার্ড করা ছিল। রেজিস্ট্রেশন ছিল হরিয়ানার বাসিন্দা মহম্মদ সলমনের নামে। তাকে সোমবার রাতেই গ্রেফতার করা হয়। যদিও সূত্রের দাবি, সলমন পুলিশকে জানিয়েছে, গাড়িটি সে বিক্রি দেয়। জানা যায়, গাড়িটি নাদিম নামে এক ব্যক্তিকে বিক্রি করা হয়। এরপর নদিম সেই গাড়িটি বিক্রি করে দেয় ফারিদাবাদের কার ডিলার রয়্যাল কার জোনের কাছে। তারপর পুলওয়ামার বাসিন্দা তারিক কিনে নেয় সেটি। তারপর গাড়িটি আবার হাত বদল হয়ে যায় পুলওয়ামার চিকিৎসক উমরের কাছে যায়। তারিককে পুলওয়ামার সামবুরা থেকে আটক করে পুলিশ। যদিও আরসি ছিল না তারিকের নামে। সূত্রের খবর, তারিক এটা ২০১৫ সালে উমরকে বিক্রি করে দেয়। পুলিশ এখন তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

    কোথায় কোথায় দেখা গিয়েছে গাড়িটিকে

    বিস্ফোরণের (Delhi Blast) কয়েক ঘণ্টা পরেই দিল্লি পুলিশ গুরগাঁওয়ের এক বাসিন্দাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে, যার নামে আগে ওই গাড়িটি রেজিস্টার ছিল। তদন্তকারীদের তিনি জানিয়েছেন, বহু আগেই গাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছেন। এরপরই পুলিশ রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিস (আরটিও)-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে মালিকানা হস্তান্তরের নথি খতিয়ে দেখে। তদন্তে জানা যায়, গাড়িটি একাধিকবার হাতবদল হয়ে শেষ পর্যন্ত পুলওয়ামার ওই ব্যক্তির কাছে পৌঁছায়। এছাড়া, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সোমবার বিস্ফোরণের আগে গাড়িটি লালকেল্লা সংলগ্ন পার্কিং এলাকায় তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পার্ক করা ছিল। সূত্রের দাবি, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, গাড়িটি দুপুর ৩টা ১৯ মিনিটে পার্কিং লটে প্রবেশ করছে এবং ৬টা ৪৮ মিনিটে সেখান থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। “গাড়িটি যখন পার্কিং থেকে বেরোয়, তখন আশপাশে যানজট ছিল,” বলেন এক তদন্তকারী।

    গাড়িটির সম্পূর্ণ গতিপথ পর্যবেক্ষণ

    গাড়িটিকে দরিয়াগঞ্জ, লালকেল্লা এলাকা, কাশ্মীরি গেট, এবং সোনেহরি মসজিদ সংলগ্ন জায়গাতেও দেখা গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। সিসিটিভি ফুটেজে আরও দেখা যায়, এক ব্যক্তি গাড়ির চালকের আসনে বসে পার্কিং স্লিপ সংগ্রহ করছেন। তবে দিল্লি পুলিশ কমিশনার সতীশ গোলচা জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গাড়িটিতে একাধিক ব্যক্তি ছিলেন। যদিও ফুটেজে আপাতত একজনকেই দেখা যাচ্ছে, তবে তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন পরে আর কেউ গাড়িতে ওঠেন কি না। বিস্ফোরণের (Red Fort blast) ঘটনার তদন্তে যুক্ত রয়েছে দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল, ক্রাইম ব্রাঞ্চ, এবং ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA)। এক আধিকারিক বলেন, “আমরা আশপাশের রাস্তা ও টোল প্লাজার ফুটেজ বিশ্লেষণ করছি, যাতে গাড়িটির সম্পূর্ণ গতিপথ কি ছিল তা জানা যায়।”

LinkedIn
Share