Tag: Delhi High Court

Delhi High Court

  • Delhi High Court: উমর খলিদের জামিনের আবেদনের বিরোধিতায় উঠল সার্জিল ইমাম প্রসঙ্গ

    Delhi High Court: উমর খলিদের জামিনের আবেদনের বিরোধিতায় উঠল সার্জিল ইমাম প্রসঙ্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উমর খলিদের (Umar Khalid) জামিনের (Bail) আবেদনের বিরোধিতা করতে গিয়ে সার্জিল ইমামের (Sharjeel Imam) বক্তৃতার প্রসঙ্গ টানল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। সার্জিল আসানসোল (Asansole), আলিগড় ও গয়ায় সিএএ (CAA) এবং এনআরসির (NRC) বিরুদ্ধে বক্তৃতা দিয়েছিলেন।

    উমর খলিদের জামিনের আবেদনের শুনানি হচ্ছিল দিল্লি হাইকোর্টে। ২০২০ সালে উত্তর-পূর্ব দিল্লি হিংসা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত উমর। বুধবার নিম্ন আদালত তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। বিচারক সিদ্ধার্থ মৃদুল ও রাজনীশ ভাটনগরের ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হচ্ছিল। এদিন সওয়াল জবাবে অংশ নিয়েছিলেন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অমিত প্রসাদ। আগামী মঙ্গলবার ফের শুনানি হবে এই মামলার।

    আরও পড়ুন : খয়রাতি নয়, মর্যাদার সঙ্গে রোজগার করাই বেশি পছন্দ ভোটারদের, মত সুপ্রিম কোর্টের

    এদিন সওয়াল করতে গিয়ে সার্জিল ইমামের প্রসঙ্গ টানেন অমিত প্রসাদ। বলেন, সার্জিল ইমাম মুসলিমরা বিপদের মধ্যে রয়েছেন, বাবরি মসজিদ, তিন তালাক, মুসলিম দমন, সিএএ-এনআরসি এবং কাশ্মীর নিয়ে ভাষণ দিয়েছেন বিভিন্ন জায়গায়। আসানসোল, আসাম, উত্তর প্রদেশের আলিগড় এবং গয়ায় ওই ভাষণ দিয়েছেন তিনি। আদালতের বিচারে তাঁর ভাষণ “প্রকৃতিগতভাবে জ্বালাময়ী”। তিনি মুসলিমদের উসকানি দিয়েছিলেন। ইমামের একটি বক্তব্যে বলা হয়েছিল, ১৯৪৭ সালের পর থেকে এখনও মুসলমানেরা স্বাধীনতা পায়নি। তিনি রাস্তা অবরোধ ও চাক্কা জ্যাম করতে মুসলিমদের উসকানিও দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এই মামলার আগের শুনানি হয়েছে ১ অগাস্ট। সেদিন সরকার পক্ষের আইনজীবী বলেছিলেন, উত্তর-পূর্ব দিল্লির হিংসা একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ফল। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল মুসলিমদের মনে ভয়ের আবহ সৃষ্টি করা। এভাবে গোটা শহর অচল করে দেওয়ার পরিকল্পনাও ছিল। বাবরি মসজিদ, তিন তালাক, মুসলিম দমন, সিএএ-এনআরসি এবং কাশ্মীর ইস্যুতে জড়ো করা হয়েছিল বিক্ষোভকারীদের। এদিকে, উমর খলিদের আইনজীবী এদিন আদালতে জানান, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে অতিরঞ্জিত অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রকৃত অভিযুক্তদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হয়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • SC on Pregnancy Termination: অবিবাহিত মহিলাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল শীর্ষ আদালত

    SC on Pregnancy Termination: অবিবাহিত মহিলাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল শীর্ষ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবিবাহিত মহিলাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল শীর্ষ আদালত। বৃহস্পতিবার গর্ভপাত (Abortion) নিয়ে একটি অন্তর্বতীকালীন নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court of India)। সেই নির্দেশে বলা হয়েছে অবিবাহিত মহিলাদের গর্ভবতী অবস্থায় লিভ-ইন সম্পর্কে (Live in Relation) থেকে বেরোনোর ২৪ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাতের অনুমতি দিতে হবে।

    আরও পড়ুন: ‘ভ্রূণ হত্যার সামিল!’ গর্ভপাতের অনুমতি নাকচ দিল্লি হাইকোর্টের, সুপ্রিম কোর্টে তরুণী

    সম্প্রতি গর্ভপাত নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court) রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন ২৫ বছর বয়সী মহিলা। তাঁর দাবি ছিল, তিনি অবিবাহিত এবং আর্থিক ভাবেও সচ্ছল নন। এছাড়াও তাঁর সঙ্গী তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেছেন। গর্ভধারণের ২০ সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ায় গর্ভপাতের আর্জি জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই মহিলা। কিন্তু তাঁকে গর্ভপাতের অনুমতি দেয়নি দিল্লি হাইকোর্ট। দিল্লি হাইকোর্টের তরফ থেকে বলা হয়, এই সময় গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া মানে ভ্রূণ হত্যার সমান। তারপরেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন মহিলা। 

    আরও পড়ুন: প্রতীক্ষার অবসান, শেষমেশ সুপ্রিম কোর্টে চেম্বার পেলেন ধনখড়

    এবার ওই মহিলাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল শীর্ষ আদালত। দিল্লি এইমসের এক বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ডের সঙ্গে আলোচনার পর শীর্ষ আদালত এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে, যে এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনও ঝুঁকি ছাড়াই গর্ভপাত করা যেতে পারে। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি সূর্য কান্তের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, বিষয়টিতে দিল্লি হাইকোর্ট ‘অযথা’ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এদিনের পর্যবেক্ষণে বিশেষভাবে অবিবাহিত মহিলাদের ওপর জোর দিয়েছে আদালত। আদালত বলেছে, যেহেতু আবেদনকারী অবিবাহিতা, তাই তাঁকে গর্ভধারণের জন্যে বাধ্য করা যেতে পারে না।  

    সম্প্রতি সরকারের নতুন নিয়ম অর্থাৎ মেডিকেল টার্মিনেশন অফ প্রেগনেন্সি আইন ২০২১ অনুযায়ী গর্ভপাতের সময়সীমা ২০ সপ্তাহ থেকে বাড়িয়ে ২৪ সপ্তাহ করা হয়েছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি নিয়ম প্রযোজ্য হতে হবে, যেমন কোনও মহিলা যদি যৌন নিপীড়ন বা ধর্ষণের শিকার হন, বিধবা, বিবাহ বিচ্ছেদ, প্রতিবন্ধী, মানসিকভাবে অসুস্থ, ভ্রূণের বিকৃতি প্রভৃতি ক্ষেত্রে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু অবিবাহিত মহিলার ক্ষেত্রে ওই আবেদন খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। 

    সুপ্রিম কোর্টের কাছে ওই অবিবাহিত মহিলা তাঁর ২৩ সপ্তাহ ৫ দিনের গর্ভাবস্থা থেকে মুক্তি পেতে গর্ভপাতের আবেদন জানিয়েছিলেন। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, মহিলার যদি প্রাণের কোনও ঝুঁকি না থাকে তবে তিনি চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে গর্ভপাত করাতে পারবেন এবং তাঁর রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে।   

     

  • Supreme Court: ‘ভ্রূণ হত্যার সামিল!’ গর্ভপাতের অনুমতি নাকচ দিল্লি হাইকোর্টের, সুপ্রিম কোর্টে তরুণী

    Supreme Court: ‘ভ্রূণ হত্যার সামিল!’ গর্ভপাতের অনুমতি নাকচ দিল্লি হাইকোর্টের, সুপ্রিম কোর্টে তরুণী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গর্ভপাতের আবেদন নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi Highcourt) রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন এক মহিলা। ২০ সপ্তাহের পর অবিবাহিত মহিলাদের গর্ভপাতে বাধার নিয়মকে চ্যালেঞ্জ করে গত সপ্তাহেই দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। ২৩ সপ্তাহ গর্ভধারণের পর গর্ভপাত করতে চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ২৫ বছর বয়সী ওই অবিবাহিত মহিলা। কিন্তু মহিলার সেই আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মার নেতৃত্বাধানী ডিভিশন বেঞ্চ। 

    আরও পড়ুন: হাতে ১১ ইঞ্চি লম্বা ছুরি! নূপুর শর্মাকে খুনের উদ্দেশে ভারতে পাক যুবক

    হাইকোর্ট জানায়, বর্তমান গর্ভপাত সংক্রান্ত যে আইনটি আছে তা অবিবাহিত মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। বর্তমানে যে মেডিক্যাল টার্মিনেশন অফ প্রেগন্যান্সি (সংশোধিত), ২০২১ আইন আছে তা কেবল যৌন নিপীড়ন, ধর্ষণের মতো ঘটনা এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী, মানসিক প্রতিবন্ধী, মানসিক অসুস্থ নারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ইচ্ছাকৃত যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে গর্ভপাতের অনুমতি দেবে না আদালত। 

    আরও পড়ুন: গ্রেফতার করা যাবে না নূপুর শর্মাকে, মিলল সুপ্রিম নির্দেশ

    আদালতের পর্যবেক্ষণ, এখন গর্ভপাত করা হলে তা কার্যত ভ্রূণ (Foetus) হত্যার সমান হবে। তাই আদালতের পরামর্শ, আবেদনকারী মহিলাকে কোথাও নিরাপদে রাখা হবে যতক্ষণ না তিনি সন্তানের জন্ম দেন। এছাড়াও আগত সন্তানকে পরবর্তীতে দত্তক দেওয়া যেতে পারে।

    দিল্লি হাইকোর্ট আরও বলে, “আমরা নিশ্চিত করব যে মেয়েটিকে কোথাও নিরাপদে রাখা হয়েছে এবং সে প্রসব করতে পারে। দত্তক নেওয়ার জন্য বহু মানুষ লাইন দিয়ে রয়েছে। আমরা শিশুটিকে হত্যা করার অনুমতি দেব না। আমরা খুবই দুঃখিত। এটি কার্যত ভ্রূণ হত্যার সমান।” 

    সম্প্রতি সরকারের নতুন নিয়ম অর্থাৎ মেডিকেল টার্মিনেশন অফ প্রেগনেন্সি আইন ২০২১ অনুযায়ী গর্ভপাতের সময়সীমা ২০ সপ্তাহ থেকে বাড়িয়ে ২৪ সপ্তাহ করা হয়েছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি নিয়ম প্রযোজ্য হতে হবে, যেমন কোনও মহিলা যদি যৌন নিপীড়ন বা ধর্ষণের শিকার হন, বিধবা, বিবাহ বিচ্ছেদ, প্রতিবন্ধী, মানসিকভাবে অসুস্থ, ভ্রূণের বিকৃতি প্রভৃতি ক্ষেত্রে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু অবিবাহিত মহিলার ক্ষেত্রে ওই আবেদন খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। 

    তারপরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, ওই মহিলা অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের এবং অবিবাহিত। তাঁর সঙ্গী বিয়ে করতেও অস্বীকার করেছেন। তাই কোনওভাবেই সন্তানের জন্ম দেওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি অত্যন্ত মানসিক কষ্টের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। সময় যত এগোচ্ছে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। তাই সুপ্রিম কোর্টকে মামলাটিকে দ্রুত শুনানির জন্যে তালিকাভুক্ত করার আবেদন জানিয়েছেন ওই মহিলার আইনজীবী।   

LinkedIn
Share