Tag: Delhi Police

Delhi Police

  • 3 arrested In Parliament: ভুয়ো আধার কার্ড দেখিয়ে সংসদ ভবনে ঢোকার চেষ্টা! গ্রেফতার ৩

    3 arrested In Parliament: ভুয়ো আধার কার্ড দেখিয়ে সংসদ ভবনে ঢোকার চেষ্টা! গ্রেফতার ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুয়ো আধার কার্ড দেখিয়ে সংসদ ভবনে ঢোকার চেষ্টা! সম্প্রতি এই অভিযোগে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) তিন জনকে গ্রেফতার (3 arrested In Parliament) করল দিল্লি পুলিশ। মঙ্গলবার সংসদ ভবনে চলছিল সিকিউরিটি চেকিং। সেই সময় সংসদ ভবনের ফ্ল্যাপ গেট এন্ট্রিতে সিআইএসএফ কর্মীরা এই তিনজনকে আটক করে। তারপর এদের সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখে গ্রেফতার করা হয়। ইতিমধ্যেই তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে ওই তিন জন সংসদ ভবনে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন, তা এখনও জানা যায়নি। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে দিল্লি পুলিশ। 

    ঠিক কী ঘটেছিল? (3 arrested In Parliament)

    মঙ্গলবার লোকসভা ভোটের গণনা চলছিল সারা দেশে। আর সে দিনই ভুয়ো আধার কার্ড দেখিয়ে সংসদ ভবনে ঢোকার চেষ্টা করেন পেশায় শ্রমিক এবং উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh)  বাসিন্দা কাসিম, মোনিস এবং শোয়েব। সংসদের একটি প্রবেশদ্বার দিয়ে ঢোকার সময় তাঁদের দেখে সন্দেহ হয় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ জওয়ানদের। পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়া হলে তিন জনেই আধার কার্ড দেখান। কিন্তু সেই আধার কার্ড দেখে জওয়ানদের সন্দেহ আরও বাড়ে। খতিয়ে দেখার পর জানা যায়, তিনটি আধার কার্ডই ভুয়ো। 

    আরও পড়ুন: দুই মন্ত্রীকে নিয়ে মোদির শপথ গ্রহণে আসছেন মুইজ্জু?

    অভিযুক্তদের নামে এফআইআর দায়ের 

    প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই তিন জন (3 arrested In Parliament) সংসদ চত্বরে একটি নির্মাণকাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মূলত নির্মাণশ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন তাঁরা। তদন্তে জানা গিয়েছে, এই তিনজনকে কাজে ঢুকিয়েছিল ডি ভি প্রজেক্টস লিমিটেড। সংসদ কমপ্লেক্সের ভিতরে এমপির লাউঞ্জ নির্মাণে নিযুক্ত ছিল তারা। ঘটনার পরেই তিন অভিযুক্তকে সিআইএসএফ কর্মীরাই দিল্লি পুলিশের হাতে তুলে দেয়। কারন বর্তমানে সিআরপিএফ এবং দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) বদলে সংসদ ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে সিআইএসএফ। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির  ৪৬৫ ধারা (জালিয়াতি),৪১৯ ধারা (প্রতারণা), ১২০ বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) সহ বিভিন্ন ধারায় তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। ধৃত তিন শ্রমিকের সঙ্গে কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী বা শত্রুদেশের যোগাযোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। কারণ জাল আধার কার্ড ছাড়াও ধৃত তিন ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে জাল পাসপোর্টও। 
    প্রসঙ্গত, শুক্রবার সংসদের সেন্ট্রাল হলে বৈঠক রয়েছে এনডিএ-র। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে জোটের তাবড় সব নেতারা। এর পরই প্রধানমন্ত্রী পদে শপথেরও প্রস্তুতি নেওয়া হবে। ঠিক তার আগে সংসদ ভবন চত্বর থেকে এই তিন সন্দেহভাজনের গ্রেফতার (3 arrested In Parliament) হওয়ার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: শাহের ভুয়ো ভিডিও-কাণ্ডে দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার আরও ১, ধৃত কংগ্রেস নেতা

    Amit Shah: শাহের ভুয়ো ভিডিও-কাণ্ডে দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার আরও ১, ধৃত কংগ্রেস নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) নিয়ে ভুয়ো ভিডিও ছড়ানো মামলায় কংগ্রেস নেতা অরুণ রেড্ডিকে (Arun Reddy) গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ৩ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির পাটিয়ালা হাউস আদালত। জানা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে তাঁকে জেরা করছে তদন্তকারী আধিকারিকরা। এই ভুয়ো ভিডিও (Fake Video) বানাতে তাঁকে আর কারা সাহায্য করেছিল সেটা জানার চেষ্টা করছে দিল্লি পুলিশ।

    কেন গ্রেফতার

    সূত্রের খবর, ধৃত ব্যক্তি সমাজমাধ্যমে কংগ্রেসের সমর্থনে একটি পেজ চালান। তাঁর পেজের নাম ‘স্পিরিট অফ কংগ্রেস’। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। জানা যাচ্ছে, কয়েকদিন আগে একটি জনসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) সংরক্ষণ নিয়ে একটি বক্তব্য পেশ করেছিলেন। সেই বক্তব্যকে বিকৃত করার অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। সেই নিয়ে দিল্লি পুলিশে এফআইআর দায়ের করা হলে শুরু হয় তদন্ত। সেই মামলাতেই গ্রেফতার হন অখিল ভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সোশ্যাল মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর অরুণ রেড্ডি।

    বিতর্কের সূত্র

    সমাজমাধ্যমে শাহের (Amit Shah) একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। সেই ভিডিয়োয় তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘তফসিলি জাতি (এসসি), তফসিলি জনজাতি (এসটি) এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি (ওবিসি)-র জন্য যে সংরক্ষণ চালু আছে, তা আর আগামী দিনে থাকবে না!’’ বিরোধীরা এই ভিডিয়োকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে শুরু করে। বিজেপি পাল্টা এই ভিডিয়োর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। বিজেপি অভিযোগ করেছিল, কেউ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভিডিয়ো ‘ডিপ ফেক’ প্রযুক্তিতে বিকৃত করে সমাজমাধ্যমে ছড়িয়েছে। তিনি কখনওই এমন কথা বলেননি। ভিডিয়োটি ভুয়ো। 

    ‘ভুয়ো’ ভিডিয়ো (Fake Video) নিয়ে মুখ খুলেছিলেন অমিত শাহও। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘কংগ্রেস ভুয়ো খবর রটাচ্ছে যে, বিজেপি ৪০০-র বেশি আসন পেলে সংরক্ষণ তুলে দেবে। আমি পরিষ্কার বলে দিতে চাই যে, বিজেপি এসসি, এসটি, ওবিসিদের সংরক্ষণ দেওয়াকে সমর্থন করে এবং সর্বদা তাঁদের রক্ষক হিসাবে থাকবে আমাদের দল।” বিজেপির পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Drugs Smuggling: ফিল্ম পরিচালনার পাশাপাশি করতেন মাদক পাচার, গ্রেফতার দক্ষিণী পরিচালক

    Drugs Smuggling: ফিল্ম পরিচালনার পাশাপাশি করতেন মাদক পাচার, গ্রেফতার দক্ষিণী পরিচালক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নামকরা পরিচালক তিনি। একাধিক হিট সিনেমার কারিগরও বটেন। কিন্তু মুখোশের আড়ালে করতেন মাদক পাচারের (Drugs Smuggling) কাজ। ধরা ছোঁয়ার বাইরে রোজগার হচ্ছিল এতে। আসছিল কোটি কোটি টাকা। অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়লেন পরিচালক। ২ সপ্তাহ আগেই দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় ২ জন ব্যক্তি যাদের কাছে উদ্ধার হয় ৫০ কেজি মাদক। তখনই উঠে আসে দক্ষিণী সিনেমার পরিচালক জাফার সাদিকের নাম। এরপরেই খোঁজ শুরু হয় ওই পরিচালকের। জাফরকে হাতেনাতে ধরে ফেলে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার হয় তাঁর কাছে, যার বাজারমূল্য ২০০০ কোটি টাকা! মাদক পাচারের টাকা পরিচালক বিনিয়োগ করতেন তাঁর একাধিক ব্যবসায়।

    ৪৫ দফায় মোট ৩,৫০০ কেজি মাদক পাচার করেছিলেন জাফর

    জানা গিয়েছে, দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির (Drugs Smuggling) নামকরা পরিচালক জাফর সাদিকের মাদক কারবার চলত আন্তর্জাতিকভাবে। ভারত-অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্য়ান্ড জুড়ে তাঁর বিরাট মাদক পাচারের চক্র সক্রিয় ছিল। এর মূল মাথা বা কিংপিন ছিলেন জাফর। অবশেষে শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারির পর এনসিবির এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে ২ হাজার কোটি টাকার মাদক পাচার করেছিলেন জাফার সাদিক। সিউডোফেড্রিন নামের ওই মাদক পাচার করছিলেন ওই পরিচালক। ৪৫ দফায় মোট ৩,৫০০ কেজি মাদক পাচার করেছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, এখনও অবধি সাদিক মোট চারটি সিনেমায় পরিচালনা করেছেন। এরমধ্যে একটি সিনেমা এই মাসেই মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল।

    সম্প্রতি দক্ষিণ ভারতে একাধিক মাদক পাচারের ঘটনা

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই দক্ষিণ ভারতের মাদুরাইয়ে দুই রেলযাত্রীকে বিপুল মাদক (Drugs Smuggling) সহ গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁদের কাছে উদ্ধার হয় ৩৬ কেজি মাদক। যার বাজারমূল্য ছিল ১৮০ কোটি টাকা। এছাড়া চেন্নাইয়ের একটি ডাম্প ইয়ার্ড থেকেও ৬ কেজি মাদক উদ্ধার করা হয় সম্প্রতি। এই মাদক শ্রীলঙ্কায় পাচার করা হচ্ছিল বলে জানা যায়। উদ্ধার হওয়া ওই মাদক মেটামফেটামিন ছিল, যা ক্রিস্টাল মেথ নামেও পরিচিত। কোকেনের মতোই এই মাদকও ভয়ঙ্কর এবং অতিরিক্ত সেবনে প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে, এমনটাই মতক বিশেষজ্ঞদের। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর পাশাপাশি মার্কিন ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনও এই তদন্তে যোগ দিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Security Breach: দিল্লি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ ললিতের, আজ তোলা হবে কোর্টে

    Parliament Security Breach: দিল্লি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ ললিতের, আজ তোলা হবে কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদে হানার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা’কে গ্রেফতার করতে সমর্থ হল দিল্লি পুলিশ। আজ শুক্রবার তাকে পেশ করা হবে পাতিয়ালা কোর্টে। বৃহস্পতিবার রাতেই দিল্লির কর্তব্যপথ থানায় আত্মসমর্পণ করে ললিত। বুধবার সংসদের (Parliament Security Breach) ভিতরে রঙ বোমা (স্মোক গ্রেনেড) নিয়ে হানা দেয় ২ যুবক এবং বাইরে দাঁড়িয়ে থেকে স্লোগান দিতে থাকে অন্য দুই যুবক-যুবতী। তাদেরকে ধরে ফেলে পুলিশ। জেরা করে সেই সূত্রে জানা যায় ললিতের কথা। জানা যায়, ললিত ওই ঘটনার ভিডিও করতে সংসদের বাইরে উপস্থিত ছিল। এই ঘটনায় উঠে আসে কলকাতা যোগও। সেই ভিডিও কলকাতার এক কলেজ পড়ুয়াকেও পাঠায় ললিত। এরপর থেকে গা ঢাকা দিয়েছিল সে।

    ঘটনার পরে রাজস্থানে যায় সে

    বুধবার ১৩ ডিসেম্বরের এই ঘটনার পরেই ললিতকে খুঁজতে থাকে পুলিশ। তার মোবাইল নেটওয়ার্ক ধরে তার অবস্থান জানার চেষ্টা করছিল পুলিশ যে সে কোথায় কোথায় গিয়েছে, সেই সব তথ্য জোগাড় করছিল (Parliament Security Breach)। সদা সক্রিয় ছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ, বিহার পুলিশ সমেত অন্যান্য সমস্ত রাজ্যের পুলিশ। ললিতের সন্ধান দিতে মাঠে নেমেছিল হরিয়ানা ও রাজস্থান পুলিশও কারণ হরিয়ানা যোগও ইতিমধ্যে উঠে এসেছে এবং গুরুগ্রাম থেকে গ্রেফতার হয়েছে পঞ্চম অভিযুক্ত বিশাল শর্মা। এদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার পর বাসে চেপে রাজস্থান চলে যায় ললিত। সেখানে দুই বন্ধুর সঙ্গে দেখা করে এবং রাতে একটি হোটেলে কাটায়।

    সংসদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কী কী বদল

    এদিকে ঘটনার পরপরেই সংসদ সচিবালয়ের তরফে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে সংসদ ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটসাঁট করতে দেওয়া হয়েছে গুচ্ছ প্রস্তাব। এর মধ্যে রয়েছে লোকসভায় যাঁরা ঢুকবেন, বিমানবন্দরের ধাঁচে তাঁদের শরীর পরীক্ষা করতে বডি স্ক্যানার বসানো, সাংসদ, সংসদ কর্মী, সাংবাদিক এবং দর্শকদের জন্য আলাদা প্রবেশপথ নির্দিষ্ট করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। 

    বুধবার হানাদারেরা লাফ দিয়েছিল (Parliament Security Breach) দর্শক গ্যালারি থেকে। তাই মূল অধিবেশন কক্ষ ও দর্শক আসনের মধ্যে বসানো হবে কাচের দেওয়াল। দর্শকরা যাতে বেপরোয়া আচরণ করতে না পারেন, তাই অধিবেশন চলাকালীন বাড়ানো হচ্ছে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সাংসদদের নিরাপত্তায় এসব ব্যবস্থা যতক্ষণ না বাস্তবায়িত হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত দর্শকদের পাশ দেওয়া হবে না। দর্শকদের যখন ফের নতুন করে পাস দেওয়া হবে, তখন তাঁদের ঢুকতে হবে সংসদের চতুর্থ গেট দিয়ে। সাংসদদের প্রবেশের জন্য স্মার্ট কার্ড চালুর প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে সচিবালয়ের তরফে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jamtara: দুর্গাপুরেও জামতাড়া যোগ! কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে দিল্লি পুলিশের জালে তিন যুবক

    Jamtara: দুর্গাপুরেও জামতাড়া যোগ! কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে দিল্লি পুলিশের জালে তিন যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্ধুর কাছে থেকে সিমকার্ড নিয়ে তা থেকে ১ লক্ষ ৩৬ হাজার কল করা হয়েছে। যা দেখে হতবাক তদন্তকারী আধিকারিকরা। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই সিমকার্ড থেকে ভুয়ো কল করে কোটি টাকার প্রতারণা করা হয়েছিল। জামতাড়া (Jamtara) গ্যাং যেভাবে অনলাইনে প্রতারণা করে, সেই কায়দায় অনলাইন প্রতারণা করা হত বলে অভিযোগ। এরপরই এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুর্গাপুরের তিন যুবককে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। ধৃতদের ৩ দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লি নিয়ে গেল পুলিশ। ধৃতদের নাম দীপঙ্কর আঁকুড়ে, অনিকেত দাস ও অর্ঘ্য মজুমদার। ধৃতরা কোকওভেন থানার বীরভানপুর ও ডিপিএলের ক্ষুদিরাম কলোনির বাসিন্দা। মঙ্গলবার তিন যুবককে গ্রেফতার করার পর বুধবার ধৃতদের দুর্গাপুর আদালতে পেশ করে দিল্লি পুলিশ। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ধৃত দীপঙ্কর আঁকুড়ে ও অনিকেত দাসের কাছ থেকে সিম কার্ড নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার চক্র চালাত অর্ঘ্য মজুমদার। দুটি সিম কার্ড থেকে লক্ষাধিক কল করা হয়েছিল।

    ধৃতদের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ রয়েছে?

    ২০২৩ সালে ১১ই মার্চ দিল্লি সাইবার ক্রাইম থানায় আর্থিক প্রতারণার একটি অভিযোগ দায়ের হয়। প্রতারকদের বিরুদ্ধে ৪২০/১২০ বি ধারায় মামলা রুজু করে দিল্লি সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। দিল্লি পুলিশের আধিকারিক জয়দেব মোড়ার নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি দল দুর্গাপুরে আসে। ফোন কল ট্র্যাক করে কোকওভেন থানা এলাকা থেকে তিন যুবককে গ্রেফতার করা হয়। এই চক্রের সঙ্গে আরও কয়েকজন যুক্ত থাকতে পারে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে এ বিষয়ে দিল্লি পুলিশ মুখ খুলতে রাজি হয়নি। তাদের সন্ধানেও তারা তল্লাশি চালাচ্ছে। প্রতারকদের সঙ্গে জামতারা (Jamtara) গ্যাংকের কী ভূমিকা রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    কী বললেন সরকারি আইনজীবী?

    সরকারী আইনজীবি সিদ্ধার্থ বসু বলেন, জামতাড়া (Jamtara)  গ্যাংয়ের সঙ্গে তারা জড়িত ছিল। তারা ভুয়ো কল করে অনেকের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। কখনও ব্যাঙ্কের কর্মী পরিচয় দিয়ে, কখনও বিদ্যুৎ দফতরের কর্মী পরিচয় দিয়ে অপরাধ করেছিল। সাইবার ক্রাইমে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়।

    ধৃত এক যুবকের বাবা কী বললেন?

    আমার ছেলে ডিএসপিতে কাজ করে। ৫০০ টাকার বিনিময়ে ও তার বন্ধুকে নিজের সিমকার্ড তুলে দিয়েছিল। সেই সিমকার্ডেই চলত এই ধরনের অপরাধ। অর্ঘ্য এসব করত। আমার ছেলে জড়িত নয়। আসলে সিমকার্ড দেওয়া ওর অপরাধ। ডিএসপিতে আমার ছেলে কাজে গিয়েছিল। সেখান থেকেই পুলিশ ওকে ধরেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Simi Terrorist: পরিচয় বদলে স্কুল শিক্ষক! কীভাবে জালে ২২ বছর ধরে ফেরার সিমি জঙ্গি নেতা?

    Simi Terrorist: পরিচয় বদলে স্কুল শিক্ষক! কীভাবে জালে ২২ বছর ধরে ফেরার সিমি জঙ্গি নেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ বছর ধরে তাঁর খোঁজ চালাচ্ছিল পুলিশ। তবুও ধরা যাচ্ছিল না নিষিদ্ধ সংগঠন ‘স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া’ বা সিমির সদস্য হানিফ শেখকে। অবশেষে রবিবার দিল্লি পুলিশের সাউদার্ন রেঞ্জ স্পেশ্যাল সেল  গ্রেফতার করল ওই জঙ্গি নেতাকে। ২০০১ সাল থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে দেশদ্রোহী মামলা। ইসলামিক মুভমেন্ট নামের এক উর্দু ম্যাগাজিনের সম্পাদক ছিল হানিফ। প্রচুর মুসলিম যুবককে জেহাদি কার্যকলাপে যুক্ত করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। 

    কে এই হানিফ শেখ

    স্টুডেন্ট ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া-র (সিমি) বিভিন্ন কার্যকলাপ সামলাতেন হানিফ শেখ। ২০০১ সালে তাঁর বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’-এর অভিযোগও আনা হয়। হানিফের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের (ইউএপিএ) অধীনে মামলা দায়ের হয়।  তার পর থেকেই ‘পলাতক’ ছিলেন তিনি। হানিফ শেখ ১৯৯৭ সালে মারুল জলগাঁওতে কলেজের পড়াশোনা শেষ করেন। সে বছরই তিনি সিমি-তে যোগ দেন। জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় সদস্য হিসাবে কাজ শুরু করেন। তাঁর উৎসাহ দেখে তৎকালীন সিমি প্রধান সহিদ বদর ২০০১ সালে ‘ইসলামিক মুভমেন্ট’-এর উর্দু সংস্করণের হানিফকে সম্পাদক করে দেন। সেখানে হানিফের একাধিক লেখা ‘যুব সমাজ’-এ প্রভাব ফেলছে বলে অভিযোগ ওঠে। 

    আরও পড়ুন: নারী দিবসেই সন্দেশখালির ‘নির্যাতিতা’দের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রধানমন্ত্রী মোদির

    কীভাবে গ্রেফতার হানিফ

    শুরুতে হানিফের বিষয়ে তেমন তথ্যই ছিল না পুলিশের কাছে। সিমির ম্যাগাজিন ‘ইসলামিক মুভমেন্ট’ এ লেখা সম্পাদকীয় কলমে ‘হানিফ হুদাই’নামই ছিল পুলিশের কাছে একমাত্র লিঙ্ক। এই সূত্র  ধরেই দেশেরে নানা প্রান্তে অভিযান চালায় পুলিশ। গত ৪ বছর ধরে হানিফকে ধাওয়া করছে পুলিশ। তবে বারবারই সে ছিল অধরা। সারা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে হানিফ সম্পর্কে তথ্য একত্রিত করতে থাকে পুলিশ। সিমির এই সদস্য কোথায় ডেরা তৈরি করতে পারে, তার সম্ভাব্য তালিকা তৈরি করে দিল্লি পুলিশ। বিভিন্ন সূত্র থেকে পুলিশ জানতে পারে, মহম্মদ হানিফ নাম নিয়ে মহারাষ্ট্রের ভুসাওয়ালে একটি উর্দু স্কুলের শিক্ষক হিসাবে কাজ করছে হানিফ শেখ। খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছে যায় দিল্লি পুলিশের একটি বিশেষ দল। পাতা হয় ফাঁদ। ২২ ফেব্রুয়ারি গোপন আস্তানা থেকে পালানোর চেষ্টা করতেই হানিফকে ধরে ফেলে পুলিশ। অভিযোগ, গত ২৫ বছর ধরে বহু মুসলিম যুবককে বিপথে নিয়ে গিয়েছে হানিফ। অন্তরালে থাকলেও উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং গুজরাটের যেখানেই সভা হত সেখানে হাজির হতেন তিনি। শুধু তা-ই নয় সংগঠনের জন্য টাকার জোগানও দিতেন হানিফ।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Security Breach: লোকসভায় রংবোমা-কাণ্ডের জের! সংসদ নিরাপত্তার দায়িত্বে এবার সিআইএসএফ?

    Parliament Security Breach: লোকসভায় রংবোমা-কাণ্ডের জের! সংসদ নিরাপত্তার দায়িত্বে এবার সিআইএসএফ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদ ভবনের নিরাপত্তার (Parliament Security Breach) দায়িত্ব কি দিল্লি পুলিশের হাত থেকে সরিয়ে নিচ্ছে মোদি সরকার? এমন একটা সম্ভাবনার কথা রাজধানীতে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে।

    সংসদের নিরাপত্তায় একাধিক পদক্ষেপ

    হানাকাণ্ডের জেরে (Parliament Security Breach) সংসদে প্রবেশ করার ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা ও শর্তাবলি চাপানো হয়েছে। সংসদের ভেতর নিরাপত্তাকে আরও কঠোর করা হয়েছে। পাশাপাশি, নেওয়া হয়েছে একাধিক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাও। এবার সংসদ ভবনের নিরাপত্তা নিয়েও বড়সড় সিদ্ধান্তের পথে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, দিল্লি পুলিশের বদলে শীঘ্রই এই দায়িত্বে দেখা যেতে পারে হাই-সিকিউরিটি ইনস্টলেশনের নিরাপত্তা প্রদানে সিদ্ধহস্ত কেন্দ্রীয় সংস্থা সিআইএসএফ (CISF to secure Parliament)।

    আরও পড়ুন: সংসদ হানার ঘটনায় বেঙ্গালুরু থেকে ধৃত প্রাক্তন পুলিশ কর্তার ছেলে

    সরছে দিল্লি পুলিশ?

    সূত্রের খবর, সম্প্রতি কেন্দ্রের পাঠানো একটি চিঠি পেয়েছে সিআইএসএফ। তাতে বলা হয়েছে, সংসদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জরিপ, পর্যালোচনা করে একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট কেন্দ্রকে পাঠাতে। সূত্রের খবর, অদূর ভবিষ্যতে সংসদের নিরাপত্তার ভার এই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থার হাতেই তুলে দেওয়া হতে পারে। জানা গিয়েছে, একবার সংসদের নিরাপত্তা প্রদানের অনুমতি দেওয়া হলে, পুরো দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নেবে সিআইএসএফ (CISF to secure Parliament)। যার মধ্যে যাঁরা প্রবেশ করবেন, তাঁদেরকে তল্লাশি করার ক্ষমতাও সামিল থাকবে। তবে, সংসদের মধ্যে নিরাপত্তার দায়িত্ব আগের মতো লোকসভা সচিবালয়ের হাতেই থাকবে বলে জানা গিয়েছে। 

    সংসদে হানাকাণ্ডে গ্রেফতার ৮

    গত ১৩ ডিসেম্বর, সংসদে ২০০১ জঙ্গি হামলার ২২ তম বর্ষপূর্তির দিনেই সংসদে হানা দেয় কয়েকজন যুবক-যুবতী (Parliament Security Breach)। সংসদের ভেতর ও বাইরে রং-বোমা নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধিয়ে দেয় তারা। অধিবেশন চলাকালীনই লোকসভার দর্শক গ্যালারি থেকে নিচে লাফিয়ে পড়ে দুজন। স্পিকারের চেয়ারের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়, রং বোমার ক্যানিস্টার খুলে দেয়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Security Breach: সংসদ হানার ঘটনায় বেঙ্গালুরু থেকে ধৃত প্রাক্তন পুলিশ কর্তার ছেলে

    Parliament Security Breach: সংসদ হানার ঘটনায় বেঙ্গালুরু থেকে ধৃত প্রাক্তন পুলিশ কর্তার ছেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ১৩ ডিসেম্বর সংসদে হানার (Parliament Security Breach) ঘটনায় দিল্লি পুলিশ আরও দুজন সন্দেহভাজনকে আটক করেছে বলে জানা গিয়েছে। এদের মধ্যে একজন হলেন কর্নাটকের বিদ্যাগিরির বাসিন্দা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার সাই কৃষ্ণ। পুলিশ সূত্রে খবর, সাই কৃষ্ণের বাবা ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত ডিএসপি। অন্যদিকে, অপর এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে উত্তর প্রদেশের জালাউন জেলা থেকে। জানা গিয়েছে, ৫০ বছর বয়সি এই ব্যক্তির নাম অতুল কুলক্ষেত্র।

    মনোরঞ্জনের রুমমেট ছিলেন সাইকৃষ্ণ

    প্রসঙ্গত, ১৩ ডিসেম্বরই ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয় মনোরঞ্জন ডি নামের এক অভিযুক্তকে। ধৃতের বাড়ি কর্নাটকের মাইসুরুতে। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির রুমমেট ছিল সাই কৃষ্ণ। এটা অবশ্য এখনকার কথা নয়, যখন তারা একসঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারিং (Parliament Security Breach) পড়ত তখনকারই কথা। সাই কৃষ্ণের নাম উঠে আসে পুলিশি তদন্তে। মনোরঞ্জনকে আটক করার পরেই তার কাছ থেকে যে তথ্য পাওয়া যায়, সেখানেই উঠে আসে সাই কৃষ্ণের নাম। পুলিশ বুঝতে পারে যে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। ইতিমধ্যে দিল্লি পুলিশের একটি বিশেষ দল মাইসুরুতে মনোরঞ্জনের (Parliament Security Breach) বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে জানা গিয়েছে। টানা তিনদিন ধরে চলেছে এই জিজ্ঞাসাবাদ।

    ধৃত চারজনের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ বৃহস্পতিবারই শেষ হচ্ছে 

    অন্যদিকে, বুধবারই গত ১৩ ডিসেম্বর সংসদের স্মোক কাণ্ডের অভিযুক্তদের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। তারপর তাদের তুলে দেওয়া হয় কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের হাতে।  ছয় অভিযুক্তের মধ্যে মনোরঞ্জন আনমোল এবং সাগর এবং নীলমের পুলিশি হেফাজত বৃহস্পতিবারই শেষ হচ্ছে। চলতি সপ্তাহের সোমবারই কলকাতায় তদন্তের জন্য পৌঁছেছিলেন ৩ সদস্যের দিল্লি-পুলিশের তিন সদস্যের দল। ধৃত ললিত ঝা যেখানে যেখানে থাকতো সব জায়গাতেই তল্লাশি (Parliament Security Breach) চালায় পুলিশ কথা বলে স্থানীয়দের সঙ্গে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Security Breach: লোকসভাকাণ্ডের মূল চক্রী ললিতের কলকাতার ডেরায় হানা দিল্লি পুলিশের

    Parliament Security Breach: লোকসভাকাণ্ডের মূল চক্রী ললিতের কলকাতার ডেরায় হানা দিল্লি পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভাকাণ্ডের (Parliament Security Breach) মূল চক্রী ললিত ঝা। এই ললিতের ডেরার খোঁজে কলকাতার অলি-গলিতে চক্বর দিচ্ছেন দিল্লি পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকরা। সোমবারই তাঁরা পৌঁছেছিলেন রবীন্দ্র সরণিতে। এখানে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে টিউশন পড়াত ললিত। এদিন বাগুইআটি থেকে ডালহৌসি— সর্বত্র চষে বেড়াল দিল্লি পুলিশের দল।

    বিএসএনএল অফিসে দিল্লি পুলিশ

    মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশের আরও একটি দল আসে ইকোপার্ক থানায়। পরে যায় ডালহৌসির বিএসএনএল অফিসে। ললিতের নামে নেওয়া একটি সিমকার্ডের ডুপ্লিকেটের জন্য দিল্লি পুলিশের ওই দলটি গিয়েছিল বিএসএনএল অফিসে। ললিতের সঙ্গে যে বাংলার নিবিড় যোগ রয়েছে, সে খবর আগেই জানিয়েছিল মাধ্যম। বাংলার একটি এনজিওর কর্মী সে। ব্যবহার করত বিএসএনএলের সিমকার্ড। এই সিমকার্ডেরই ডুপ্লিকেটের খোঁজে বিএসএনএলের দফতরে ঢুঁ মেরেছিলেন তদন্তকারীরা। ললিতের ওই সিমকার্ডটি কোন (Parliament Security Breach) কোন ফোনে ব্যবহার করা হয়েছিল, কোথায় কোথায় ওয়াইফাইয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল মূলত এসবই জানতে চান তাঁরা। বিএসএনএলের কাছে প্রযুক্তিগত কিছু তথ্যও চেয়েছেন তদন্তকারীরা।

    বাগুইআটির ভাড়া বাড়িতেও হানা

    এদিন ললিতের বাগুইআটির ভাড়া বাড়িতেও হানা দেন তদন্তকারীরা। এই এলাকাটি ইকোপার্ক থানার অধীনে। তাই আগে থানায় যায় দিল্লি পুলিশের দলটি। পরে যায় ললিতের ভাড়া বাড়িতে। সেখানে ঝুলছে তালা। তদন্তকারীরা অবশ্য ঘরের তালা খোলেননি। তবে কথা বলেছেন ললিতের প্রতিবেশীদের সঙ্গে। তাঁরা জানিয়েছেন, লোকসভাকাণ্ডের তিন তিনেক আগেও এই বাড়িতে ছিল ললিত। পরে ঘরে তালা দিয়ে কোথাও চলে যায়। এদিন ললিতের বাড়ির মালিকের সঙ্গেও কথা বলেছে তদন্তকারী দলটি। ঘটনার দিন তিনেক আগে বাগুইআটির বাড়িতে থাকলেও, ২১৮ রবীন্দ্র সরণির ভাড়া বাড়িতে বহু দিন সে যায়নি বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশের দলটিকে। এই ঠিকানায়ই টিউশন পড়াত সে।

    আরও পড়ুুন: সরকারি ধান বিক্রয় কেন্দ্রেই ওজনে কারচুপি, ১৫ কুইন্টাল ধানে ৬০ কেজি হাপিশ!

    গত বুধবার শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীনই লোকসভার দর্শক গ্যালারি থেকে নিচে লাফিয়ে পড়ে দুই হানাদার। জুতোয় লুকিয়ে রাখা রং-বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। পরে হানাদারদের ধরে ফেলেন দুই সাংসদ। মার্শাল ডেকে তুলে দেওয়া হয় তাঁদের হাতে। ওই ঘটনায় সব মিলিয়ে গ্রেফতার হয়েছে ৬ জন। পুরো ঘটনার মূল চক্রী ললিতই বলে মনে করছেন (Parliament Security Breach) তদন্তকারীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Security Breach: লোকসভাকাণ্ডে সাংসদদের চিঠি দিলেন স্পিকার ওম বিড়লা, কী লিখলেন?

    Parliament Security Breach: লোকসভাকাণ্ডে সাংসদদের চিঠি দিলেন স্পিকার ওম বিড়লা, কী লিখলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভাকাণ্ডের (Parliament Security Breach) জেরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি না করার আবেদনও জানিয়েছেন বিরোধীদের কাছে। এবার ওই ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে সাংসদদের চিঠি দিলেন স্পিকার ওম বিড়লা। ঘটনার তদন্তে গঠিত হয়েছে সংসদীয় তদন্ত কমিটি। সংসদ চত্বরের সুরক্ষার বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করতে এবং বুধবারের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে, উচ্চ পর্যায়ের আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন স্পিকার ওম বিড়লা।

    সাংসদদের চিঠি স্পিকারের

    বিষয়টি জানিয়ে সাংসদদের চিঠি দিয়েছেন তিনি। উচ্চ পর্যায়ের এই কমিটি দ্রুত রিপোর্ট দেবে এবং সেই রিপোর্ট সাংসদদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন স্পিকার। সংসদ চত্বরের (Parliament Security Breach) নিরাপত্তা দেখভালের দায়িত্ব সাংসদদের ওপরও বর্তায় বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর মতোই বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি না করার পরামর্শও দিয়েছেন ওম বিড়লা। চলছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। অধিবেশন চলাকালীন সংসদের নিয়ন্ত্রণ থাকে স্পিকারের হাতে।

    কী লিখলেন স্পিকার?

    তাই সম্প্রতি বিভিন্ন দলের যে ১৪ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, লোকসভাকাণ্ডের সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই বলেও চিঠিতে জানিয়েছেন স্পিকার। সাংসদদের পাঠানো চিঠিতে ওম বিড়লা লিখেছেন, “১৩ ডিসেম্বর সংসদে যা ঘটেছে, তার সঙ্গে সাংসদদের সাসপেন্ড করার ঘটনাটি জুড়ে দেওয়া দুর্ভাগ্যজনক।” তিনি জানিয়েছেন, অধিবেশন কক্ষে সাংসদদের অশালীন আচরণের প্রশংসা দেশবাসী করে না। সংসদের শৃঙ্খলা ও সম্মান রক্ষার্থেই সাংসদদের সাসপেন্ড করা হয়েছে জানিয়ে স্পিকারের বার্তা, “আশা করি, ভবিষ্যতে সংসদের গরিমা ও মর্যাদাকে গুরুত্ব দেবেন সাংসদরা।”

    আরও পড়ুুন: “সংসদের ঘটনার গুরুত্বকে ছোট করে দেখা উচিত নয়”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    স্পিকার লিখেছেন, অতীতেও সংসদে দর্শকদের গ্যালারিতে পিস্তল নিয়ে ঢোকা, স্লোগান দেওয়া, লিফলেট ছড়ানো মায় সাংসদদের পিপার স্প্রে নিয়ে ঢোকার নজিরও রয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই সংসদ সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সামগ্রিকভাবে সাংসদদের সহযোগিতা ও সমর্থনের আহ্বানও জানিয়েছেন স্পিকার।

    প্রসঙ্গত, ১৯৮৩ সালে স্লোগান দিতে দিতে রাজ্যসভার এক সাংসদের চেম্বার লক্ষ্য করে চটি ছুড়েছিল এক দর্শক। রাজ্যসভায় স্লোগান দিতে দিতে লিফলেটও ছুড়েছিল এক দর্শক। ১৯৯১ থেকে ৯৪ সালের মধ্যেও একাধিকবার দর্শক গ্যালারি থেকে ঝাঁপ দিয়ে (Parliament Security Breach) অধিবেশন কক্ষে পড়ার ঘটনা ঘটেছিল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share