Tag: Delhi

Delhi

  • Delhi High Court: পার্কের একাংশ দখল করে রেখেছে জামা মসজিদ! অসন্তোষ প্রকাশ হাইকোর্টের

    Delhi High Court: পার্কের একাংশ দখল করে রেখেছে জামা মসজিদ! অসন্তোষ প্রকাশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জামা মসজিদের সামনে রয়েছে একটি পার্ক। সেই পার্কটির একটা বড় অংশ দখল করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। পুরসভা পার্কটির দখল না নেওয়ায় শুক্রবার অসন্তোষ প্রকাশ করল দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। আইন মোতাবেক জামা মসজিদের বেআইনি দখলদারি হঠাতে পুরসভাকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। এদিন মামলাটির শুনানি হয় দিল্লি আদালতের কার্যকরী প্রধান বিচারপতি মনমোহন এবং বিচারপতি মিনি পুস্কর্মার ডিভিশন বেঞ্চে।

    আদালতের নির্দেশ

    উত্তর ও দক্ষিণ পার্ক দখল করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই পার্কেরই দখলদারি হটানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদালত জানিয়েছে, দিল্লি পুরসভাকে অবিলম্বে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। পাবলিক পার্কের রাশ হারাতে পারে না পুরসভা। এক সপ্তাহের মধ্যে এ ব্যাপারে স্টেটাস রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত (Delhi High Court)। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ডিসেম্বরের ২১ তারিখে। দিন কয়েক আগে পুরসভা নির্দেশিকা জারি করে জানায়, জামা মসজিদের শাহিন গেটে, নর্থ পার্কে আমরা কাউকে প্রবেশ করতে দেব না।

    আদালতের প্রশ্ন

    এদিন সে ব্যাপারেও, পুরসভার প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত। পুরসভা কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছিলেন, মসজিদের ওজুখানার কাছেও পার্কে প্রবেশ করা যাবে না। সাউথ পার্কে যেসব বেআইনি নির্মাণ হয়েছে, সেগুলি আমরা ভেঙে দেব। পার্কের বাকি অংশ আমরা রক্ষণাবেক্ষণ করছি। বেঞ্চের প্রশ্ন, “আপনারা কীভাবে পার্কের দখলদারি হারালেন? আপনারা কীভাবে পার্কের রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারেন? দিল্লি পুরসভা কীভাবে পার্কের নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারে? একবিংশ শতাব্দীতে পাবলিক পার্কের দখল নেওয়া যায় না। আমরা পুলিশকে পার্কের দখল নেওয়ার নির্দেশ দেব। পার্কের পরিবেশ রক্ষার বিষয়েও আমরা জানতে চাই। আমরা শ্বাস নিতে পারছি না। আর আপনারা পার্ক দখলদার মুক্ত করতে পারছেন না! হয় পার্কটি আপনাদের এবং আপনারাই এর মালিক হবেন। তাই আপনারা এর অধিকার হারাতে পারেন না। পাবলিক পার্কের অধিকার নষ্ট হতে দেওয়া যায় না।”

    আরও পড়ুুন: ‘লোকসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী চাকরি দেওয়ার নামে গিমিক করছেন’, তোপ শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, পার্কের একটা বড় অংশ দখল করে অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং করা হচ্ছে। ই-রিক্সা চার্জিং পয়েন্টও করা হয়েছে। এসবই হয়েছে জামা মসজিদ এলাকায় থাকা এই পার্কে। এনিয়ে আদালতের (Delhi High Court) দ্বারস্থ হন স্থানীয় এক বাসিন্দা।

     

  • Delhi Air Pollution: রাতভর বৃষ্টিতে ক্ষণিক স্বস্তি! দিল্লিতে কি নামল দূষণের মাত্রা?

    Delhi Air Pollution: রাতভর বৃষ্টিতে ক্ষণিক স্বস্তি! দিল্লিতে কি নামল দূষণের মাত্রা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলির আগেই ভয়ঙ্কর দূষণে নাভিশ্বাস উঠেছে দিল্লিবাসীর। তবে দূষণ থেকে সাময়িক স্বস্তি মিলেছে। দিল্লি-নয়ডার অনেক এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতের দিকে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর ফলে দিল্লির অনেক এলাকায় একিউআই-এর স্তর ৪০০ থেকে নেমে ১০০ হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, বৃষ্টিপাতের প্রতিদিন যেভাবে দিল্লির দূষণ পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছিল, তা সাময়িকভাবে বন্ধ হবে।

    মাঝ রাতে বৃষ্টি নামল দিল্লিতে

    ইতিমধ্যেই দূষণ নিয়ন্ত্রণে দিল্লিতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার। ২০ ও ২১ নভেম্বর দিল্লিতে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত করানো হবে। এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, কৃত্রিম বৃষ্টির খরচ বহনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একইসঙ্গে মুখ্য সচিবকে শীর্ষ আদালতে সরকারের মতামত তুলে ধরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করলে ২০ নভেম্বরের মধ্যে দিল্লিতে কৃত্রিম বৃষ্টির প্রথম ধাপের ব্যবস্থা করতে পারে। তার আগেই ভর রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকায় বৃষ্টি হল। ফলে, শুক্রবার সকালে দিল্লি রাজধানী এলাকার বায়ুর গুণমান সূচকে সামান্য উন্নতিও ধরা পড়েছে। সিস্টেম অব এয়ার কোয়ালিটি ফোরকাস্টিং অ্যান্ড রিসার্চের দেওয়া তথ্য অনুসারে, শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকাল ৭টায় শহরের সামগ্রিক বায়ুর গুণমান সূচক ছিল ৩৯৮। গত কয়েকদিন ধরে এই সূচক একটানা ৪৫০-এর উপরে ছিল। 

    বৃহস্পতিবার রাতে সিংগু সীমান্তে গিয়েছিলেন দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই। তিনি বলেন, “জাতীয় রাজধানীতে দূষণের মাত্রা দেখে অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বহনকারী ট্রাকের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধুমাত্র সিএনজি এবং বিদ্যুততালিত ট্রাকগুলির প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর জন্য সমস্ত সীমান্তে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আগামীকাল আমি আবার হরিয়ানা এবং উত্তর প্রদেশ সরকারকে ট্রাক প্রবেশ নিষিদ্ধের বিষয়ে একটি চিঠি লিখব।” শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্রের তরফে বলা হয়েছে, দিল্লির দূষণ মোকাবিলায় ‘স্মগ টাওয়ার’ কোনও সমাধান নয়। দূষণের অন্যতম কারণ পঞ্জাবের কৃষকদের ফসলের গোড়া পোড়ানো। আগামী দিনে কেন্দ্রীয় সরকার আর দিল্লি দূষণ আটকাতে আর ‘স্মগ টাওয়ার’ তৈরি করবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: দিল্লির বাতাসের মান মানুষের স্বাস্থ্যকে খুন করার শামিল, মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: দিল্লির বাতাসের মান মানুষের স্বাস্থ্যকে খুন করার শামিল, মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির দূষণ নিয়ে রাজনৈতিক লড়াই বন্ধ হোক। রাজধানীর বাতাসের গুণগত মান যে শ্বাসরুদ্ধকর পর্যায়ে পৌঁছেছে, তা মানুষের স্বাস্থ্যকে খুন করার শামিল। মঙ্গলবার দিল্লির বায়ু দূষণ নিয়ে এমনই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সপ্তাহখানেক ধরে ব্যাপকভাবে দূষিত হয়েছে দিল্লির বাতাস। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে ইতিমধ্যেই ১০ নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলি বন্ধের নির্দেশিকা জারি করেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার।

    দূষিত শহরের তালিকায় এক নম্বরে

    সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, বিশ্বে সব চেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে দিল্লি। প্রতিবেশী রাজ্য পঞ্জাব ও হরিয়ানায় শস্যগাছের গোড়া পোড়ানোই এই দূষণের মূল কারণ বলে এদিন মন্তব্য করেছে আদালত। পঞ্জাব সরকারকে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, শস্যগাছের গোড়া পোড়ানো এখনই বন্ধ হওয়া উচিত। কীভাবে করবেন, সেটা আপনাদের বিষয়। আপনাদের কাজ। তবে এই কাজ এখনই বন্ধ করা উচিত। এই সঙ্গেই দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, দূষণ নিয়ে রাজনৈতিক লড়াই করা ঠিক নয়। এখানে মানুষের স্বাস্থ্য জড়িয়ে। বাতাসের গুণগত মান যেভাবে খারাপ হচ্ছে, তা মানুষের স্বাস্থ্যকে খুন করার শামিল। আদালতের মন্তব্য, অবিলম্বে শস্যগাছের গোড়া পোড়ানো বন্ধ করতে হবে। এখনই তা করতে হবে। যা করার অবিলম্বে করতে হবে।

    কয়েকটি রাজ্যকে অর্ডার ইস্যু

    সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারপতি সঞ্জয় কিষান বলেন, “সম্প্রতি আমি পঞ্জাবে গিয়েছিলাম। রাস্তার দু’ ধারে মাইলের পর মাইল ধরে খড় পুড়তে দেখেছি।” এর পাশাপাশি রাজস্থান ও অন্য রাজ্যগুলিকে অর্ডার ইস্যু করে জানানো হয়েছে, দীপাবলির মরশুমে বাজি ফাটানো বন্ধ রাখতে হবে। বায়ু দূষণ কম করার জন্য প্রতিটি রাজ্যকেই সচেষ্ট থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আদালতের মন্তব্য, বায়ু দূষণ মোকাবিলায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া সকলের দায়িত্ব।

    আরও পড়ুুন: “ডিরেক্টর! আমি তো জানি না, সই করিয়েছিল দাদার লোক”, বললেন জ্যোতিপ্রিয়র পরিচারক

    দিল্লির কেজরিওয়ালের সরকারকেও একহাত নিয়েছে শীর্ষ আদালত। আদালত জানিয়েছে, দিল্লি সরকারও এই বায়ু দূষণের জন্য দায়ী। অনেক বাস রয়েছে যেগুলি বায়ু দূষণ করছে। এই বিষয়টির ওপর সরকারের নজর দেওয়া উচিত। বায়ু দূষণের মোকাবিলায় পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লি সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকে বসার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। বছরের পর বছর ধরে শীতের শুরুতে দিল্লির এই পরিস্থিতি চলতে পারে না বলেও মন্তব্য করেছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। প্রসঙ্গত, প্রতি ঘন মিটারে বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার মাত্রা ১৫ মাইক্রোগ্রাম পর্যন্ত হলে তা শ্বাস নেওয়ার যোগ্য বলে মনে করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সোমবার বিকেলে দিল্লিতে এই সূচক ছিল ৪২১। এদিন সকালে এর পরিমাণ ছিল ৩৯৪।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Air Pollution: বিশ্বের সব চেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে দিল্লি, কলকাতা কত নম্বরে জানেন?

    Air Pollution: বিশ্বের সব চেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে দিল্লি, কলকাতা কত নম্বরে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বিচারে চলছে অরণ্য নিধন। তার জেরে নিত্য বিষিয়ে যাচ্ছে বায়ু (Air Pollution)। কলকারখানার বিষবাষ্পও মিশছে এর সঙ্গে। তাই বাতাস হচ্ছে ভারী। বাতাসে মিশে থাকা ক্ষতিকর রাসায়নিকের গভীর প্রভাব পড়ছে শরীরে। জানা গিয়েছে, বিশ্বের সব চেয়ে দূষিত শহরগুলি তালিকায় ঠাঁই হয়েছে দিল্লি, মুম্বই ও কলকাতার। রবিবার প্রকাশিত হয় বিশ্বের সব চেয়ে দূষিত শহরগুলির তালিকা। সেখানেই দেখা গিয়েছে, তালিকার শীর্ষে রয়েছে দিল্লি। তিন নম্বরে রয়েছে কলকাতা। আর ছ’ নম্বর জায়গা দখল করেছে বাণিজ্যনগরী মুম্বই।

    দূষিত শহরের তালিকা

    সুইস গ্রুপ আইকিউএয়ারের তরফে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, আজ, ৫ নভেম্বর বিশ্বের সব থেকে দূষিত (Air Pollution) শহর দিল্লি। এখানে বাতাসের একিউআই হল ৪৮৩। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। তৃতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা। এখানে বাতাসের একিউআই ২০৬। ওই তালিকায় ঢাকা ও করাচির জায়গা হয়েছে যথাক্রমে চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে। ষষ্ঠ স্থানে ঠাঁই হয়েছে বাণিজ্য নগরী মুম্বইয়ের। এখানে বাতাসের একিউআই ১৬২। এর পরে রয়েছে চিনের বেশ কয়েকটি শহর ও কুয়েত সিটি।

    পঞ্চাশের গণ্ডি পার হলেই বিপদ!

    জানা গিয়েছে, একিউআই ০ থেকে ৫০ এর মধ্যে হলে, তা শরীরের কোনও ক্ষতি করে না। তবে পঞ্চাশের গণ্ডি পার হলেই বিপদ। ৪০০ থেকে ৫০০ হলে তো কথাই নেই। দিল্লির বাসিন্দাদের একটা বড় অংশের বক্তব্য, তাঁদের চোখ জ্বালা করছে, গলা চুলকোচ্ছে। কারও কারও আবার শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে। ফি বার শীতের সময় দিল্লির বাতাসে বাড়ে একিউআইয়ের (Air Pollution) পরিমাণ। এর প্রধান কারণ হল, নগরায়ন। বাড়ছে দিল্লির পরিসর। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জনসংখ্যাও। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো রয়েছে পঞ্জাব এবং হরিয়ানা থেকে আসা ধোঁয়া। পঞ্জাব ও হরিয়ানায় ফসল কেটে নেওয়ার পর গাছের গোড়া  পোড়াতে জমিতে লাগানো হয় আগুন। একরের পর একর জমিতে লাগানো ওই আগুনের ধোঁয়া এসে মেশে দিল্লির বাতাসে। তাই বাতাসে বেড়ে যায় একিউআইয়ের পরিমাণ। যার জেরে বাতাস হয়ে ওঠে ভারী। ভোগান্তির শেষ থাকে না দিল্লিবাসীর।  

    আরও পড়ুুন: “মহাদেবের নামেও লুট করতে ছাড়ছে না কংগ্রেস”, ছত্তিশগড়ে তোপ মোদির

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Earthquake: দিল্লির পর ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়! আতঙ্কিত এলাকাবাসী

    Earthquake: দিল্লির পর ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়! আতঙ্কিত এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভূকম্পন (Earthquake) উত্তর ভারতে। দিল্লির পর এবার কেঁপে উঠল উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়। গতকাল, রবিবার দিল্লি সহ এনসিআরের অঞ্চল কেঁপে উঠেছিল ভূমিকম্পে। রিখটার স্কেলের এদিনের কম্পনের মাত্রা ছিল ৪।

    কখন কম্পন অনুভূত হয় (Earthquake)?

    ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তরফ থেকে বলা হয়, ভূমিকম্পের (Earthquake) উৎস ছিল উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় থেকে উত্তর-পর্ব দিকে ৪৮ কিমি দূরে। এদিন সকাল ৯টা বেজে ১১ মিনিটে কম্পন অনুভব করা যায়। কম্পনের কারণে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

    দিল্লিতেও ভূমিকম্প হয়

    গতকাল দিল্লিতে ভূমিকম্পের (Earthquake) কারণে দেশের রাজধানীতে কম্পন অনুভব করা গিয়েছিল। ওই দিন ঠিক দুপুরবেলার পরে পরেই ৪টে ৮ মিনিট নাগাদ সময়ে কম্পনের জেরে কেঁপে ওঠে দিল্লি। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩.১। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি সূত্রে জানা গিয়েছিল, এই ভূমিকম্পের উৎস ছিল হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে ৯ কিমি পূর্বে। ফলে দিল্লি সহ নয়ডা, গুরুগ্রাম, গাজিয়াবাদ এলাকাতেও ভূকম্পন অনুভূত হয়েছিল। এছাড়াও উত্তরপ্রদেশের লখনউ, হাপুর, আমরোহাতেও কম্পন অনুভূত হয়েছিল। উত্তরাখণ্ডের কিছু কিছু অংশ, চণ্ডীগড়, জয়পুরেও কম্পনের প্রভাব পড়ে বলে জানা গিয়েছে। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল যথাক্রমে ৪.৬, ৬.২, ৩.৮ এবং ৩.১।

    এলাকায় এই ঘটনায় তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। এলাকার মানুষের মধ্যে শোরগোল পড়ে যায়। ভয়ে মানুষ এদিকে ওদিকে ছোটাছুটি শুরু করে দিয়েছিলেন। উল্লেখ্য আবারও আফগানিস্তানের এদিন ভূমিকম্প অনুভব করা যায়। এই কম্পনের কেন্দ্র ছিল হেরাট প্রদেশে এবং কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৩।

    ভূবিজ্ঞানীদের মতামত

    দিল্লির ভূমিকম্প (Earthquake) নিয়ে, ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির নির্দেশক ভূবিজ্ঞানীর ওপি মিশ্র জানিয়েছেন, “ভারতে ভূমিকম্পের প্রবণতা রয়েছে। প্রতিদিন খুব মৃদু মাত্রায় ভূমিকম্প হয়ে থাকে। জমে থাকা শক্তি মাঝে মাঝেই মুক্ত হতে থাকে। ফলে সেই থেকেই অনেক সময় কম্পন জোরাল হয়ে যায়।” ভারতের টেকটনিক প্লেটের সংঘর্ষের কারণে ভারতীয় উপমাহদেশের ঘনঘন ভূমিকম্প হয়। সম্প্রতি সময়কালে বারবার কম্পনের কবলে পড়েছে দিল্লি। আগামী দিনে বড় বিপর্যয়ের সম্ভাবনার কথাও বিজ্ঞানীরা বলেছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Liquor Policy Scam: আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় আপ নেতা সঞ্জয়ের বাড়িতে হানা ইডি-র

    Liquor Policy Scam: আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় আপ নেতা সঞ্জয়ের বাড়িতে হানা ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবগারি নীতি কেলেঙ্কারিতে (Liquor Policy Scam) আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন আপ নেতা তথা দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসৌদিয়া। ওই একই অভিযোগে বুধবার সাত সকালে আপ নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহের দিল্লির বাসভবনে হানা দিল ইডি। আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় যে চার্জশিট পেশ করা হয়েছিল, তাতে নাম রয়েছে সঞ্জয়ের। এর আগে সঞ্জয় ঘনিষ্ঠ কয়েকজন নেতাকে জেরা করা হয়। তার পর এদিন সকালে সঞ্জয়ের বাড়িতে পৌঁছে যান ইডির আধিকারিকরা।

    বিপুল অর্থ হাতবদল!

    দিল্লির আবগারি নীতিতে ২০২১ সালে বদল আনে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন আম আদমি পার্টির সরকার। পরে অবশ্য বাতিল করা হয় সেই নীতি (Liquor Policy Scam)। সিবিআইয়ের দাবি, ২০২১-২২ সালে নয়া ওই নীতিতে আপ সরকার কয়েকজন মদ ব্যবসায়ীকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। এজন্য হাতবদল হয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। এনিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট জেনারেল ভিকে সাক্সেনা। তার পরেই তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তদন্ত শুরু করে ইডিও। জমা দেওয়া হয় চার্জশিট। যে চার্জশিটে নাম রয়েছে সঞ্জয়ের।

    কেজরি-অরোরা বৈঠক

    ইডির চার্জশিট অনুযায়ী, আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি (Liquor Policy Scam) মামলায় অভিযুক্ত দিল্লির ব্যবসায়ী দীনেশ অরোরা মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে তাঁর বাসভবনে গিয়ে দেখা করেছিলেন। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন সঞ্জয়ও। জেরায় দীনেশ ইডিকে জানিয়েছেন, একটি অনুষ্ঠানে সঞ্জয়ের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তাঁর। সেই সূত্রেই তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় মনীশের। মনীশ তখন উপমুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি সামলাতেন আবগারি দফতরও। ওই ঘটনায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকে টানা ন’ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে গ্রেফতার করা হয় মনীশকে।

    আপের জাতীয় মুখপাত্র রীনা গুপ্তা বলেন, “যেহেতু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও আদানিকে নিয়ে সঞ্জয় সিংহ নিরন্তর প্রশ্ন তুলে চলেছেন, তাই তাঁর বাড়িতে চালানো হচ্ছে তল্লাশি অভিযান। এর আগেও একবার হানা দিয়েছিল ইডি। কিছুই পায়নি। আজও কিছু পাবে না। গতকাল কয়েকজন সাংবাদিকের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। আজ তল্লাশি অভিযান চালানো হল সঞ্জয়ের বাড়িতে।”

    আরও পড়ুুন: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কার্যালয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে দিল্লিতে আটক তৃণমূল নেতারা

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Suvendu Adhikari: আজ দিল্লিতে বিশেষ কর্মসূচি বিজেপির, কেন্দ্রীয় কৃষি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: আজ দিল্লিতে বিশেষ কর্মসূচি বিজেপির, কেন্দ্রীয় কৃষি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ দিল্লিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সকাল ১১টা ও বিকাল ৪টেয় তাঁর বিশেষ কর্মসূচি আছে, বলে বিজেপি সূত্রে খবর। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করার আগেই শুভেন্দুকে সময় দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সোমবার রাতেই শুভেন্দুর সঙ্গে রাজধানীতে পৌঁছে যান বাংলার বিজেপি সাংসদ, বিধায়করা। 

    কেন দিল্লিতে শুভেন্দু

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ”যাঁরা প্রকৃত জবকার্ড হোল্ডার, তাঁদের নিয়ে তো বিজেপির আপত্তি নেই। বিজেপি চুরি আটকাতে চায়। ১ কোটি ৩২ লাখ ভুয়ো জব কার্ড পশ্চিমবঙ্গে হয়েছে। আমি দিল্লিতে গিয়ে সুনিশ্চিত করব নকল জব কার্ড বানিয়ে যারা টাকা তুলেছে তার যাতে আইনের আওতায় আসে। তাদের বিরুদ্ধে যেন আইনানুগ ব্যবস্থা হয়। জব কার্ড ইস্যু করার অধিকার রয়েছে পঞ্চায়েত প্রধান, বিডিও, জেলাশাসকের। আমি চেষ্টা করব দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাক্তন জেলাশাসক, পঞ্চায়েত সচিবের মতো যারা মনরেগা-এর টাকা লুট করেছেন তাদের বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এই এক কোটি ৩২ লাখ নকল জব কার্ড দেখিয়ে যারা টাকা তুলেছে তারা দেশের টাকা মেরেছে, সম্পদ চুরি করেছে, জনগণের করের টাকা, জিএসটির টাকা লুট করেছে। এই লুটেরাদের বিরুদ্ধে যাতে কঠিন কঠোর ব্যবস্থা হয়, এই জন্যই আমি দিল্লি যাচ্ছি।”

    আরও পড়ুন: ‘‘দেশে বিভাজন তৈরি করা হচ্ছে’’, বিহারের জাতিগত সমীক্ষা নিয়ে বিরোধীদের তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    শুভেন্দু যা বললেন

    আক্রমণের ঝাঁজ আরও বাড়িয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ”পিসি করেছেন পরনির্ভর বাংলা, আর নরেন্দ্র মোদি করেছেন আত্মনির্ভর ভারত। স্বাধীনতার অমৃতকালে ভারতবর্ষের সংসদ ভারতীয়রাই তৈরি করবে। ক্ষতি কী হয়েছে! উনি শান্তিনিকেতনে বাড়ি বানিয়েছেন কয়লা গরু পাচারের টাকায় আর নরেন্দ্র মোদি দেশের জন্য সংসদ বানিয়ে দিয়েছেন। আগামী শত শত বছর ধরে, দশকের পর দশক ধরে, যাঁরা আইন সভায় আসবেন তাঁরাই এই সংসদ পরিচালিত করবেন। নরেন্দ্র মোদি দেশের স্থায়ী সম্পদ সৃষ্টি করেছিলেন। সেখানে অভিষেকের বউ, ওর শ্যালিকা আর ওর পরিবার পশ্চিমবঙ্গ, ভারতবর্ষের টাকা বিদেশে পাচার করছেন। সেই জন্য ওর স্ত্রীর নামে তাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে কাশি কর্ণ শাখাতেও কয়লার টাকা পাওয়া গিয়েছে।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rishi Sunak: অক্ষরধাম মন্দিরে পুজো দিলেন ‘গর্বিত হিন্দু’ ঋষি সুনক, হাঁটু মুড়ে করলেন প্রণামও

    Rishi Sunak: অক্ষরধাম মন্দিরে পুজো দিলেন ‘গর্বিত হিন্দু’ ঋষি সুনক, হাঁটু মুড়ে করলেন প্রণামও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জি২০ (G20) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দু’ দিনের ভারত সফরে এসেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। রবিবার সম্মেলনের ফাঁকে সুনক সস্ত্রীক চলে যান দিল্লির অক্ষরধাম মন্দিরে। সেখানে স্ত্রী অক্ষতা মূর্তিকে নিয়ে পুজোও দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। আরতি শেষ করে হাঁটু মুড়ে প্রণামও করেন সুনক। প্রসঙ্গত, সম্মেলনে যোগ দিতে এসে সুনক জানিয়েছিলেন ভারতের কিছু মন্দিরে যাওয়ার সময় তিনি বের করতে পারবেন।

    অক্ষরধাম মন্দিরে সুনক

    সেই মতোই তিনি গেলেন অক্ষরধাম মন্দিরে। সরকারি সফরে এই প্রথম সুনক এলেন ভারতে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে মন্দিরে ব্যবস্থা করা হয়েছিল কড়া নিরাপত্তার। এদিন সাদা শার্টের সঙ্গে সুনক পরেছিলেন ট্রাউজার্স। সুনকের স্ত্রী, বিশিষ্ট শিল্পপতি নায়ারণ মূর্তির কন্যা অক্ষতা পরেছিলেন কুর্তা ও পালাজো। সকাল সকাল মন্দিরে পৌঁছে যান তাঁরা। মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে স্বাগত জানানো হয় তাঁদের। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সুনককে (Rishi Sunak) স্বাগত জানান মন্দিরের স্বামীজিরা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন মন্দিরের প্রবীণ নেতাও।

    পুজো দিলেন মন্দিরে 

    এদিন স্বামীনারায়ণ অক্ষরধাম মন্দির ঘুরে দেখেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। একশো একর জায়গাজুড়ে রয়েছে মন্দির ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। প্রাচীন ভারতের নানা স্থাপত্যের নিদর্শনও রয়েছে এই মন্দির চত্বরে। আবহমানকাল ধরে আধ্যাত্মিকতায় বিশ্বাস, ত্যাগ এবং ঐক্যের যে মূল সুর বিদ্যমান হিন্দু ধর্মে, তাও তুলে ধরা হয়েছে মন্দির চত্বরে। পরে মন্দিরের গর্ভগৃহে ঢুকে শ্রদ্ধা জানান সস্ত্রীক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। প্রশংসা করেন ভারতীয় শিল্পকর্ম ও স্থাপত্যের।

    আরও পড়ুুন: মোদির সঙ্গে সেলফি তুললেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী, ‘জি২০ সম্মেলন সফল’, জানালেন আলবানিজ

    নয়াদিল্লির সম্মেলন উপলক্ষে দিল্লিতে পা দিয়েই সুনক জানিয়েছিলেন, তিনি গর্বিত হিন্দু। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি তাঁর অপরিসীম শ্রদ্ধাও রয়েছে। অক্ষরধাম মন্দির দর্শন শেষে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চলে যান রাজঘাটে, গান্ধী স্মারকে শ্রদ্ধা জানাতে। সেখানে গিয়েছিলেন জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে আগত অন্য রাষ্ট্রপ্রধানরাও। শনিবার সম্মেলনের ফাঁকে পার্শ্ববৈঠকে বসেছিলেন মোদি ও সুনক (Rishi Sunak)। সেখানে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ কীভাবে বাড়ানো যায় মূলত তা নিয়েই হয়েছে আলোচনা। এর আগে মে মাসে জাপানের হিরোশিমায় মুখোমুখি হয়েছিলেন মোদি এবং সুনক। জি৭ বৈঠকের ফাঁকে ভারত-ব্রিটেন মুক্ত বাণিজ্য নিয়ে কথা হয়েছিল এই দুই রাষ্ট্রপ্রধানের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Joe Biden: সেপ্টেম্বরেই ভারত সফরে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, কেন জানেন?

    Joe Biden: সেপ্টেম্বরেই ভারত সফরে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি যে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) নেতৃত্বে মুগ্ধ, তা প্রকাশ পেয়েছে বিভিন্ন সময়। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় সফরে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তিনি। এহেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) আসছেন ভারত সফরে, জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে। গত এক বছর ধরে এই সম্মেলনের আয়োজক দেশ ভারত। নভেম্বরেই শেষ হচ্ছে সেই মেয়াদ। তার আগে সেপ্টেম্বরেই হবে জি-২০ লিডার্স সামিট। এই সম্মেলনে যোগ দিতেই নয়াদিল্লিতে আসছেন বাইডেন।

    জি-২০ সম্মেলন

    এই সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন, ক্লিন এনার্জি ট্রানজিশন, বহুপাক্ষিক উন্নয়নমূলক ব্যাঙ্ক গঠন সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, জি-২০-র আয়োজক দেশের দায়িত্ব নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাইডেন (Joe Biden)। জি-২০ লিডার্স সামিটে যোগ দিতে ৭ সেপ্টেম্বর ভারতে আসছেন বাইডেন। থাকবেন ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। মোদি জমানায় ভারত-মার্কিন সম্পর্ক যেভাবে মজবুত হয়েছে, তাতে বাইডেনের এই সফর যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ বলে ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ মহলের।

    নয়াদিল্লির নেতৃত্বের প্রশংসা

    জুন মাসে বাইডেনের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে আমেরিকা গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সময়ই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, “সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।” ভারত ও আমেরিকার এক যৌথ বিবৃতিতে বাইডেনের তরফে জি-২০-তে নয়াদিল্লির নেতৃত্বের প্রশংসাও করা হয়। এহেন প্রেক্ষাপটে ভারত সফরে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট (Joe Biden)।

    দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত আমেরিকার অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অফ স্টেট লু-ও বাইডেনের ভারত সফরের কথা জানান। তিনি বলেন, “ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটা একটা বড় বছর হতে চলেছে। জি-২০ সম্মেলনের আয়োজক দেশ ভারত, আমেরিকা আয়োজন করছে এপিইসি, অন্যদিকে জাপান জি-৭। আমাদের অনেক কোয়াড (QUAD) সদস্যই রয়েছে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে। এর ফলে দেশগুলি সব এক জায়গায় আসবে।”

    আরও পড়ুুন: “২০৪৭ সালের মধ্যেই উন্নত দেশে পরিণত হবে ভারত”, ব্রিকসে প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রী

    হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বলেন, “জি-২০ সামিটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাঙ্কের কাছে আর্থিক সাহায্য ও বেশ কিছু পরিবর্তনের আর্জি জানাবেন, যা জি-২০ ভুক্ত উন্নয়নশীল দেশগুলির চাহিদাকে আরও ভালভাবে পূরণ করবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Heavy Rain: হিমাচলে বেড়েই চলেছে মৃত্যু, উত্তরাখণ্ডে নতুন করে ধসে বন্ধ জাতীয় সড়ক

    Heavy Rain: হিমাচলে বেড়েই চলেছে মৃত্যু, উত্তরাখণ্ডে নতুন করে ধসে বন্ধ জাতীয় সড়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতি বর্ষণ (Heavy Rain) এবং ভূমিধসের কারণে হিমাচল প্রদেশে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সেই সঙ্গে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে, এই বছর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে উত্তরাখণ্ড। পাশাপাশি দিল্লিতে ফের বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

    হিমাচলে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে (Heavy Rain)

    হিমাচল প্রদেশে অধিক বৃষ্টিপাতে (Heavy Rain) কত সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে এবং সেই সঙ্গে কত মানুষ হতাহত হয়েছেন, সেই পরিসংখ্যানের কথা গত সপ্তাহে হিমাচল প্রদেশ রাজ্য সরকার সরকারি ভাবে জানিয়েছেন। শুক্রবারের আপডেট অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। সেই সঙ্গে নতুন করে শিমলায় শিব মন্দিরে ভূমিধসের ফলে চারজন মাটির নিচে আটকে পড়েছেন। কিন্তু বৃষ্টিপাত অধিক হওয়ার কারণে উদ্ধারকাজে ব্যাপক সমস্যা তৈরি হয়েছে। প্রশাসন দ্রুত দুর্ঘটনা স্থলে পৌঁছে গিয়েছে।

    বেহাল উত্তরাখণ্ড

    অপর দিকে তেহরি-গাড়োয়াল জেলার টোটাঘাটি এলাকায় ব্যাপক ভূমিধসের কারণে উত্তরাখণ্ডের ঋষিকেশ-বদ্রীনাথ ৫৮ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে, সেখানেও যানবাহন স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। তেহেরি গাড়োয়ালের জেলাশাসক ময়ূর দীক্ষিত জানিয়েছেন যে, টোটাঘাটিতে প্রবল বৃষ্টিপাতে (Heavy Rain) ব্যাপক ধস নেমেছে। এমনকী, প্রধান সড়ক পথ অবরুদ্ধ। রাস্তাকে দ্রুত সচল করার জন্য প্রশাসন তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর ধামি নিজে বন্যা কবলিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেছেন। ঋষিকেশে গঙ্গার জলের স্তর বৃদ্ধি নিয়েও ইতিমধ্যে সতর্কতা জারি হয়েছে।

    ফের বন্যার সম্ভাবনা দিল্লিতে

    গত জুন মাসে অধিক বৃষ্টিপাতের (Heavy Rain) ফলে দেশের রাজধানী জলমগ্ন হয়ে সাধারণ জীবন অত্যন্ত বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছিল। অগাস্ট মাসেও এই প্রবল বৃষ্টি নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছেন রাজধানীবাসী। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। ফের নতুন করে ভারী বৃষ্টি ও বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share