Tag: Delhi

Delhi

  • PM Modi Meet Shubhanshu: কখনও হাসি-কখনও কৌতূহল! শুভাংশুর থেকে মহাকাশের ‘অজানা কথা’ এক মনে শুনলেন মোদি

    PM Modi Meet Shubhanshu: কখনও হাসি-কখনও কৌতূহল! শুভাংশুর থেকে মহাকাশের ‘অজানা কথা’ এক মনে শুনলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা প্রজন্মকে মহাকাশ নিয়ে স্বপ্ন দেখতে উৎসাহিত করেছেন শুভাংশু শুক্লা। তাঁর পিঠে হাত রেখে এমনই অভিমত ব্যক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi Meet Shubhanshu)। সোমবার সন্ধ্যায় ৭ নম্বর লোক কল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে দেশপ্রেমে ভরপুর এক আবেগঘন মুহূর্ত তৈরি হল। শুভাংশু (Shubhanshu Shukla) প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিলেন সেই জাতীয় পতাকা, যা তিনি নিজে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (ISS)-এ নিয়ে গিয়েছিলেন। এই পতাকা দেশের মানব মহাকাশযাত্রার নতুন যুগে প্রবেশের প্রতীক হয়ে উঠল। এই প্রতীকী উপহার গ্রহণ করে গভীর আবেগে ভাসলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

    গগনযান অভিযান নিয়ে কথা

    আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে মাসেক খানেক আগে পৃথিবীতে ফিরেছেন। তবে ভারতের মাটিতে পা রেখেছেন দুদিন হল। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর লোককল্য়াণ মার্গের বাসভবনে গিয়ে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন নভশ্চর শুভাংশু শুক্লা। শুভাংশুর পরনে তখন ইসরোর অ্যাস্ট্রোনটের জ্যাকেট। এক গাল হাসি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এলেন তিনি। এদিন শুভাংশুর সঙ্গে শুধু করমর্দনেই থেমে থাকলেন না প্রধানমন্ত্রী, করলেন আলিঙ্গন। শুভাংশুর কাঁধে রাখলেন হাত। হাঁটলেনও একইসঙ্গে। শুভাংশু শুক্লার সঙ্গে সাক্ষাতের পর এক্স হ্যান্ডলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “শুভাংশু শুক্লার সঙ্গে দারুণ আলাপচারিতা হল। মহাকাশে তাঁর অভিজ্ঞতা-সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতের গগনযান অভিযান নিয়েও কথা হয়েছে। তাঁর সাফল্যে ভারত গর্বিত।” স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে ভাষণেও শুভাংশুর ঐতিহাসিক এই সফরের কথা তুলে ধরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    গবেষণার খুঁটিনাটি বিবরণ

    রাকেশ শর্মার ৪১ বছর পর, দ্বিতীয় ভারতীয় হিসাবে মহাকাশ ছুঁয়েছেন শুভাংশু শুক্লা। ১৮ দিন ধরে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে করেছেন ৬০টিরও বেশি বৈজ্ঞানিক গবেষণা। ফিরে এসে প্রধানমন্ত্রীকে তারই খুঁটিনাটি বিবরণ দিলেন ভারতের এই মহাকাশচারী। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা প্রধানমন্ত্রীকে শোনান শুভাংশু। দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে গত ২৫ জুন ফ্লোরিডা থেকে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন শুভাংশু। ১৮ দিন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ছিলেন। গত ১৫ জুলাই পৃথিবীর মাটিতে পা রাখেন। পৃথিবীর মাটিতে পা রাখার পর গত এক মাস আমেরিকায় ছিলেন তিনি। রবিবার ভোরে ভারতে ফেরেন। দিল্লি বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং ও ইসরোর আধিকারিকরা।

    কখনও হাসি, কখনও কৌতুহল

    সোমবার সংসদেও শুভাংশু শুক্লার এই ঐতিহাসিক মিশনকে ঘিরে একটি বিশেষ আলোচনা সভার আয়জন করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং, শুভাংশু শুক্লার কৃতিত্বকে তুলে ধরে বলেন, এটি ভারতের মহাকাশ অভিযানের এক মাইলফলক, যা ভবিষ্যতের মানব মহাকাশযাত্রার স্বপ্ন পূরণে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদিও সেই গল্প শুনেছেন শুভাংশুর থেকে। সেসব শুনে কখনও মুখে হাসি মোদির, কখনও চোখে-মুখে কৌতূহল।

    সংসদে আলোচনায় না বিরোধীদের

    সোমবার মহাকাশ অভিযান নিয়ে সংসদে আলোচনা চেয়েছিল এনডিএ। কিন্তু অধিবেশন শুরু হতেই কমিশনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন বিরোধী সাংসদরা। তাতেই ভেস্তে যায় এনডিএ-র আলোচনা প্রস্তাব। সোমবার অধিবেশনের শুরুতে সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানান, শুভাংশুর মহাকাশ যাত্রার উপর একটি বিশেষ আলোচনার মাধ্যমে সম্মান জানানো হবে। সেই আলোচনায় বিরোধীদের সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করেন রিজিজু। রাজনৈতিক মতপার্থক্য দূরে রেখে আলোচনায় যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু অধিবেশন শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করে বিরোধীরা। বিক্ষোভ দেখানো হয়। শুভাংশু নিয়ে আলোচনা না করেই সংসদ ছাড়েন বিরোধী সাংসদেরা।

  • PM Modi: কমবে যানজট এবং দূষণ, দিল্লিতে ১১ হাজার কোটি টাকার জোড়া ফ্লাইওভারের উদ্বোধন মোদির

    PM Modi: কমবে যানজট এবং দূষণ, দিল্লিতে ১১ হাজার কোটি টাকার জোড়া ফ্লাইওভারের উদ্বোধন মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির (Delhi) যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত করতে এবং যানজট ও বায়ুদূষণ হ্রাস করতে তৈরি হওয়া দুটি বৃহৎ ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। রবিবার, উদ্বোধনের আগে তিনি নির্মাণ শ্রমিকদের সঙ্গে কথাও বলেন এবং অংশ নেন একটি রোড শো-তে।

    দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন, ব্যয় ৫,৩৬০ কোটি টাকা

    এ দিন প্রধানমন্ত্রী দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ে (দিল্লি অংশ) এবং UER-II করিডর-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য ১০.১ কিলোমিটার, যার নির্মাণে খরচ হয়েছে ৫,৩৬০ কোটি টাকা। ভাষণে মোদি বলেন, “এক্সপ্রেসওয়ের নাম দ্বারকা, অনুষ্ঠান হচ্ছে রোহিণীতে। আর চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে জন্মাষ্টমীর আনন্দ।”

    UER-II করিডরের মাধ্যমে দুই হাইওয়ের সংযোগ

    প্রায় ৫,৫৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি UER-II করিডর এখন থেকে এনএইচ-৪৪ এবং এনএইচ-৪৮ হাইওয়ের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবে। এই সংযোগ ব্যবস্থার ফলে রাজধানী দিল্লির মধ্যে যানজট অনেকটাই হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুরো দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলের পরিবহন ব্যবস্থাও আরও দ্রুত ও কার্যকর হবে (PM Modi)।

    ২ ঘণ্টার পথ এখন মাত্র ৪০ মিনিটে

    প্রধানমন্ত্রী জানান (PM Modi), আগে সিঙ্ঘু বর্ডার থেকে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাতে প্রায় ২ ঘণ্টা সময় লাগত। নতুন এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ায় এখন এই পথ মাত্র ৪০ মিনিটে অতিক্রম করা যাবে। এর ফলে শুধু যাত্রী নয়, পণ্য পরিবহণ ব্যবস্থাও অনেক সহজ ও দ্রুত হবে।

    দূষণ কমানোর লক্ষ্যে বড় পদক্ষেপ

    মোদি (PM Modi) দাবি করেন, দিল্লির ক্রমবর্ধমান বায়ুদূষণ রোধেও এই প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। যানজট কমার ফলে গাড়ির ইঞ্জিন সচল থাকার সময় কমবে, যা সরাসরি দূষণ হ্রাসে সহায়ক হবে।

    ৫০ হাজার কোটি টাকার বৃহৎ প্রকল্পের অংশ

    এই দুটি ফ্লাইওভার, দিল্লি ও তার আশপাশের অঞ্চলের যানজট কমাতে গৃহীত ৫০ হাজার কোটি টাকার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। এই মেগা প্রকল্পে আরও বহু রাস্তাঘাট, এক্সপ্রেসওয়ে ও করিডর নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এ দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতীন গড়করি, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত, এবং হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিং সাইনি-সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।

  • Air India: দিল্লি-ওয়াশিংটন ‘ননস্টপ’ বিমান পরিষেবা বন্ধ করছে এয়ার ইন্ডিয়া

    Air India: দিল্লি-ওয়াশিংটন ‘ননস্টপ’ বিমান পরিষেবা বন্ধ করছে এয়ার ইন্ডিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি থেকে ওয়াশিংটন ডিসি-র (Delhi-Washington) সরাসরি বিমান পরিষেবা বন্ধ করার ঘোষণা করল এয়ার ইন্ডিয়া (Air India)। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে এই আকাশপথে আর কোনও নন-স্টপ বিমান চালানো হবে না। তবে সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ হলেও যাত্রীরা ‘ওয়ান স্টপ’ পরিষেবার মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে যেতে পারবেন। এয়ার ইন্ডিয়ার সহযোগী সংস্থা আলাস্কা এয়ারলাইন্স, ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স এবং ডেল্টা এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে নিউইয়র্ক, শিকাগো, নেওয়ার্ক, সান ফ্রান্সিসকো ও ওয়াশিংটন ডিসি পৌঁছনো সম্ভব হবে। লাগেজ চেক-ইন করা যাবে গন্তব্য পর্যন্ত।

    বিমান সংস্কার

    বিমান সংস্থার বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গত মাসেই বোয়িং ৭৮৭-৮ ফ্লিটের সংস্কারের কাজ শুরু করেছে এয়ার ইন্ডিয়া (Air India)। যাত্রীস্বাচ্ছন্দ এবং পরিষেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২৬টি বোয়িং ৭৮৭-৮ বিমানের কেবিনে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এর জন্য অন্তত পক্ষে ২০২৬ সালের শেষ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি বিমান বসিয়ে দিতে হবে। ফলে বিমানের সংখ্যা কমে যাওয়ায় অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রুট সচল রাখতে দিল্লি ওয়াশিংটন সরাসরি বিমান বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

    বন্ধ পাক আকাশসীমা

    পহেলগাঁও হামলার পরে চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল থেকে ভারতীয় উড়ান সংস্থাগুলির জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান। ফলে ভারত থেকে আমেরিকা যাওয়ার ফ্লাইট রুট-সহ বেশ কয়েকটি রুটের দৈর্ঘ বেড়েছে। ভারতীয় উড়ানগুলিকে আরব সাগর এবং ইউরোপের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে। ফলে বেড়েছে জ্বালানির খরচ। এই অবস্থায় ডিরেক্ট ফ্লাইট বা বিরামহীন উড়ান পরিষেবা পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

    ‘ওয়ান স্টপ’ পরিষেবা

    উত্তর আমেরিকার অন্যান্য শহরের সঙ্গে এয়ার ইন্ডিয়ার সরাসরি সংযোগ অপরিবর্তিত থাকছে। ভ্যানকুভার, টরেন্টো-সহ ছয়টি শহরে নন-স্টপ পরিষেবা আগের মতো চালু থাকবে। এই সিদ্ধান্তে দিল্লি-ওয়াশিংটন যাত্রীদের কিছুটা অসুবিধা হলেও সংস্থা জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে পরিষেবার মান ধরে রাখতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি ছিল।

    যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য

    এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) তরফে জানানো হয়েছে, ১ সেপ্টেম্বরের পর যারা দিল্লি-ওয়াশিংটন রুটে টিকিট বুক করেছেন, তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হবে অথবা বুকিংয়ের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। রিবুকিং করতে চান যাঁরা, তাঁদের আলাস্কা এয়ারলাইন্স, ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স এবং ডেল্টা এয়ারলাইন্সের সঙ্গে অংশীদারিত্বে নিউ ইয়র্ক, নেওয়ার্ক, শিকাগো অথবা সান ফ্রান্সিসকোয় পৌঁছে দেবে এয়ার ইন্ডিয়া। আর যাঁরা রিফান্ড চাইবেন, তাঁদের টিকিট বাতিলের জন্য কোনও জরিমানা ছাড়াই টিকিটের সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত দেওয়া হবে।

     

     

     

     

     

     

  • Supreme Court: সারমেয়দের কামড়ে বাড়ছে জলাতঙ্ক, ঘটছে মৃত্যু, সরাতে হবে দিল্লির সমস্ত পথকুকুর, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: সারমেয়দের কামড়ে বাড়ছে জলাতঙ্ক, ঘটছে মৃত্যু, সরাতে হবে দিল্লির সমস্ত পথকুকুর, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথকুকুর (Stray Dogs) সমস্যা নিয়ে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সোমবার শীর্ষ আদালত দিল্লি ও ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়নের সব পুরসভাকে নির্দেশ দিয়েছে, রাস্তায় থাকা সমস্ত কুকুরকে অবিলম্বে ধরে ফেলতে হবে। শুধু তাই নয়, এই কুকুরগুলিকে নির্বীজকরণ করে স্থায়ীভাবে খোঁয়াড়ে পাঠানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, পথকুকুরদের কামড়ে বাড়ছে জলাতঙ্ক এবং তার জেরে আমজনতার মৃত্যুও ঘটছে। দুটোই উদ্বেগজনক। কুকুর সরানোর ক্ষেত্রে পশুপ্রেমী কোনও পক্ষের আবেদন গ্রাহ্য হবে না বলেও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।

    বাধা দিলে কড়া ব্যবস্থা (Supreme Court)

    বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং আর. মাধবনের বেঞ্চ জানিয়েছে, এই নির্দেশ যেন কোনওভাবেই লঙ্ঘন না হয় এবং যথাযথভাবে কার্যকর হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। আদালত পশুপ্রেমীদের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে— যদি কোনও ব্যক্তি বা সংগঠন এই কাজের পথে বাধা দেয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    রাস্তাঘাট থেকে কুকুর সরানোর কাজে কোনও রকম আপস চলবে না

    বেঞ্চ (Supreme Court) আরও জানিয়েছে, দিল্লি এনসিটি-সহ এর সংলগ্ন অন্যান্য পুরসভাগুলিকে যত দ্রুত সম্ভব রাস্তাঘাট থেকে সমস্ত পথকুকুর ধরতে হবে। এই কাজে প্রয়োজনে আলাদা বাহিনী গঠন করতে বলা হয়েছে। সব পাড়া, এলাকা ও রাস্তাকে পথকুকুর-মুক্ত (Stray Dogs) করাই হবে পুর কর্তৃপক্ষগুলির প্রাথমিক দায়িত্ব। শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, “রাস্তাঘাট থেকে কুকুর সরানোর কাজে কোনও রকম আপস চলবে না।”

    পুরসভাগুলিকে ৮ সপ্তাহের সময়সীমা দিয়েছে শীর্ষ আদালত

    এই কাজে পুরসভাগুলিকে ৮ সপ্তাহের সময়সীমা দিয়েছে শীর্ষ আদালত। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কতটা কাজ হয়েছে, তার বিস্তারিত রিপোর্ট আদালতে (Supreme Court) জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার শুনানির সময় সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, দিল্লিতে পথকুকুরদের স্থানান্তরের জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গা ঠিক করা হয়েছিল। তবে, কিছু পশুপ্রেমী আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসায় সেই প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। বিচারপতি পারদিওয়ালা বলেন, “সমস্ত এলাকা থেকে পথ কুকুরদের তুলে নিয়ে গিয়ে দূরে কোথাও স্থানান্তর করুন। আপাতত নিয়ম ভুলে যান। যারা জলাতঙ্কে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের পশুপ্রেমীরা কি ফিরিয়ে আনতে পারবে? পথকুকুর মুক্ত করতে হবে আমাদের সব রাস্তা। পথকুকুরদের দত্তক নেওয়াও বন্ধ।”

  • Delhi: রাষ্ট্রপতি ভবনের অদূরে দু’জন পথচারীকে ধাক্কা মারল এসইউভি, মৃত ১

    Delhi: রাষ্ট্রপতি ভবনের অদূরে দু’জন পথচারীকে ধাক্কা মারল এসইউভি, মৃত ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার সকালে দিল্লির চাণক্যপুরী এলাকায় ঘটে গেল একটি ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে, একটি দ্রুতগামী এসইউভি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দু’জন পথচারীকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হন দু’জন (Delhi)। ১০ অগাস্ট রবিবার সকালে হওয়া এই দুর্ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকা জুড়ে। রিপোর্ট বলছে যে, ওই মৃতদেহটি অনেকক্ষণ ধরেই সেখানে পড়েছিল, যতক্ষণ না তা সরানো হয়। এর পাশাপাশি, ওই গাড়িটি থেকে খালি মদের বোতলও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে রিপোর্টে। দুর্ঘটনার পরেই ওই গাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। জানা যাচ্ছে, গাড়িচালকের বয়স ২৬ বছর। ইতিমধ্যে চালক সহ গাড়ি আটক করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, আটক হওয়া চালকের নাম আশিস। এক্ষেত্রে বলা দরকার, ১১ মূর্তি রোড, দিল্লির চাণক্যপুরীর এই এলাকা যথেষ্ট অভিজাত এবং হাই-প্রোফাইল এলাকা বলেই পরিচিত।

    গাড়িটি উত্তরপ্রদেশের বলে জানিয়েছে পুলিশ (Chanakyapuri)

    বিকট শব্দ শুনে আশপাশের মানুষজন ছুটে আসেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় দিল্লির এইমস ট্রমা সেন্টারে। চিকিৎসকরা একজনকে মৃত ঘোষণা করেন, অপরজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গাড়িটি উত্তরপ্রদেশের। চালককে আটক করা হয়েছে এবং গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে, চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন কি না। ঘটনাস্থলে ক্রাইম ও ফরেনসিক টিম এসে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করেছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ (Chanakyapuri)।

    গত বছরের তুলনায় দিল্লিতে কমেছে দুর্ঘটনা (Delhi)

    এদিকে দিল্লি পুলিশের (Delhi) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত সময়ে রাজধানীতে ঘটেছে ২,২৩৫টিরও বেশি সড়ক দুর্ঘটনা। আহত হয়েছেন মোট ২,১৮৭ জন। এর মধ্যে ৫৫৬টি দুর্ঘটনা ছিল অতিশয় ভয়াবহ, যেখানে প্রাণ হারিয়েছেন ৫৫৭ জন। শুধু মার্চ মাসেই ঘটেছে ১৩৭টি ভয়াবহ দুর্ঘটনা, মৃত্যু হয়েছে ১৩৯ জনের। তবে পুলিশ দাবি করেছে, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে দুর্ঘটনার সংখ্যা কিছুটা কমেছে। ২০২৪ সালের একই সময়কালে দুর্ঘটনার পরিমাণ ছিল ১৩.৪ শতাংশ বেশি।

  • Anil Ambani: রিলায়েন্স গ্রুপের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ! অনিল আম্বানির ৩৫টি অফিসে ইডি হানা

    Anil Ambani: রিলায়েন্স গ্রুপের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ! অনিল আম্বানির ৩৫টি অফিসে ইডি হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার শিল্পপতি অনিল আম্বানির একাধিক অফিসে তল্লাশি চালিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই) রিলায়েন্স কমিউনিকেশন এবং এর প্রোমোটার-ডিরেক্টর অনিল আম্বানিকে (Anil Ambani) ‘প্রতারক’ ঘোষণা করার পরই এই অভিযান শুরু হয় বলে সূত্রের খবর।

    তদন্তের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে রিলায়েন্স গ্রুপের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ

    ইডি-র তদন্তের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে রিলায়েন্স গ্রুপের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ। যদিও অনিল আম্বানির ব্যক্তিগত বাসভবনে এদিন তল্লাশি চালানো হয়নি (Anil Ambani)। মুম্বই ও দিল্লি থেকে আসা ইডি-র (ED Raid) যৌথ দল তাঁর বিভিন্ন সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ দফতর এবং কর্পোরেট অ্যাকাউন্টে নজরদারি চালায়। জানা গিয়েছে, মুম্বই ও দিল্লির প্রায় ৫০টি অফিসের মধ্যে অন্তত ৩৫টি ভবনে তল্লাশি চালানো হয়েছে।

    ২৫ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা

    এছাড়াও, এই মামলায় নাম জড়ানো ২৫ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা এবং ইতিমধ্যেই তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে (Anil Ambani)। ইডি সূত্রে (ED Raid) জানা গিয়েছে, এসবিআই কর্তৃক ‘প্রতারক’ ঘোষণার পর বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক ও আর্থিক সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। ন্যাশনাল হাউসিং ব্যাঙ্ক (এনএইচবি), সেবি, ন্যাশনাল ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং অথোরিটি (এনএফআরএ), ব্যাঙ্ক অফ বরোদা এবং সিবিআই-এর দায়ের করা দুটি এফআইআরের ভিত্তিতেই হয় এই তল্লাশি।

    ইডি-র প্রাথমিক ধারণা অর্থ তছরুপ ছিল পূর্বপরিকল্পিত

    তদন্তে উঠে এসেছে, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া প্রায় ৩,০০০ কোটি টাকার ঋণের বড় একটি অংশ সন্দেহজনকভাবে অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে। অভিযোগ, কিছু অজ্ঞাত সংস্থার মাধ্যমে ওই অর্থ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়, যা নিয়ে একাধিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রশ্ন তুলেছে। ইডি-র প্রাথমিক ধারণা, এই অর্থ তছরুপ ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং সুচিন্তিত কৌশলের অংশ। এর ফলে প্রতারিত হয়েছেন শেয়ারহোল্ডার, সরকারি প্রতিষ্ঠান, বিনিয়োগকারী এবং একাধিক ব্যাঙ্ক। তদন্তে আরও দেখা গিয়েছে, রিলায়েন্স হোম ফাইনান্স-এর কর্পোরেট ঋণ বিতরণ এক বছরে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়, যা আর্থিক অনিয়ম ও স্বচ্ছতার অভাবের বড় ইঙ্গিত বলে মনে করছে তদন্তকারী সংস্থা (Anil Ambani)।

  • Islamic Conversion: গ্রেফতার আগ্রা ধর্মান্তকরণ চক্রের মাথা আবদুল রহমান, আগেই মিলেছিল কলকাতা-যোগ

    Islamic Conversion: গ্রেফতার আগ্রা ধর্মান্তকরণ চক্রের মাথা আবদুল রহমান, আগেই মিলেছিল কলকাতা-যোগ

    মাধ্যম নিজ ডেস্ক: বড়সড় ধর্মান্তকরণ চক্র ফাঁস করেছে আগ্রা পুলিশ। এই আবহে দিল্লি থেকে ধর্মান্তকরণ চক্রের (Islamic Conversion) মাস্টারমাইন্ড আবদুল রহমানকে (Abdul Rehman) গ্রেফতার করেছে উত্তরপ্রদেশের এটিএস এবং ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আবদুল রহমানের বাড়িতে ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়েছে এবং সেখানে ধর্মান্তরের নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, হিন্দুদের ধর্মান্তরিত করে পরে তাদেরকেই এই চক্রে কাজে লাগানো হত। এরমধ্যে কলকাতার দুজনের নাম সামনে এসেছে। যাদের হিন্দু থেকে মুসলিম করা হয়। পরে তাদেরকেই ধর্মান্তকরণের কাজে লাগানো হয় (Islamic Conversion)।

    এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার ১১ জন (Islamic Conversion)

    প্রসঙ্গত, এই মামলায় এখনও পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ফিরোজাবাদের বাসিন্দা আবদুল রহমান আগে হিন্দু ছিল এবং তার নাম ছিল মহেন্দ্র পাল। পরে সে প্রথমে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন, এরপর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। জানা গেছে, এই চক্রে সে কলিম সিদ্দিকীর সংস্পর্শে আসে। তারপরেই কাজ শুরু করে। উল্লেখ্য, কলিম সিদ্দিকী বর্তমানে জেলবন্দি এবং ধর্মান্তকরণ নেটওয়ার্ক পরিচালনার দায়ে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গেছে, আবদুল রহমানের ভাগ্নে বর্তমানে লন্ডনে থাকে এবং সন্দেহ করা হচ্ছে, ধর্মান্তকরণ চক্র চালানোর জন্য বিদেশি তহবিল সংগ্রহে সে সহায়তা করত। তদন্তের স্বার্থে এটিএস ও ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো বর্তমানে দিল্লি ও কলকাতাসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে। তদন্তকারী সংস্থাগুলি জানিয়েছে, হেফাজতে থাকা ১০ জন ব্যক্তি থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে (Islamic Conversion)। বর্তমানে তারা ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ডে রয়েছে (Abdul Rehman)।

    হিন্দুদের ধর্মান্তরিত করে কাজে লাগানো হত চক্রে

    এই দশজনের মধ্যে অনেকেই আগে হিন্দু ছিল এবং ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছে। তারা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, কীভাবে তাদের মগজধোলাই করা হয়েছিল এবং পরে এই চক্রে নিয়োগ করা হয়। তারা আরও জানিয়েছে, তাদের বলা হয়েছিল—ধর্মান্তরিত করার মাধ্যমেই ‘জান্নাত’-এর দরজা খুলবে। এজন্য তারা দুর্বল ব্যক্তিদের লক্ষ্য করতে শুরু করে এবং নতুনভাবে সম্পর্ক তৈরি করে। আবদুল রহমানের বাড়ি থেকে পুলিশ মমতা নামে এক মহিলাকে উদ্ধার করেছে, যাকে হরিয়ানা থেকে আনা হয়েছিল বলে জানা গেছে। তাকেও ধর্মান্তকরণের উদ্দেশ্যে আনা হয়েছিল। ধর্মান্তকরণ উৎসাহিত করে এমন বহু বইও উদ্ধার করা হয়েছে (Islamic Conversion)। প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় তদন্তকারীরা ধর্মান্তরিত হওয়া ব্যক্তিদের অনেকের পূর্ব পরিচয় সামনে এনেছেন। দেখা গিয়েছে, এদের অনেকেই একসময় হিন্দু ছিলেন। যেমন—

    গোয়ার এসবি কৃষ্ণাকে ধর্মান্তরিত করে ‘আয়েশা’ করা হয়।

    কলকাতার শেখর রায়কে ‘আলি হাসান’ করা হয়।

    দেরাদুনের রূপেন্দ্র বাঘেলকে ‘আবু রহমান’ করা হয়।

    জয়পুরের পীযূষ সিং পানোলকে ধর্মান্তরিত করে ‘মোহাম্মদ আলি’ করা হয়।

    দিল্লির মনোজকে ধর্মান্তরিত করে ‘মুস্তাফা’ করা হয়।

    কলকাতার রিত বণিককে ধর্মান্তরিত করে ‘মহাম্মদ ইব্রাহিম’ করা হয়।

  • TRF: দিল্লির বড় কূটনৈতিক জয়! পহেলগাঁওকাণ্ডে দোষী টিআরএফ-কে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ঘোষণা করল আমেরিকা

    TRF: দিল্লির বড় কূটনৈতিক জয়! পহেলগাঁওকাণ্ডে দোষী টিআরএফ-কে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ঘোষণা করল আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও এলাকায় ভয়ানক এক জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৬ জন। তিন মাস পার হয়ে গেলেও সেই হামলার রেশ এখনও রয়ে গেছে। ওই ঘটনায় দায় স্বীকার করেছিল পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার শাখা ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (TRF)। এবার সেই সংগঠনটিকে বিদেশি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে তালিকাভুক্ত করল আমেরিকা। আমেরিকার এই বিবৃতিকে স্বাগত জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং তিনি বলেছেন যে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের নীতিই হল জিরো টলারেন্স এবং অপারেশন সিঁদুর।

    মার্কিন বিদেশ সচিবের বিবৃতি

    বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও বলেন, “আজ থেকে দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (TRF)-কে ‘ফরেন টেররিস্ট অর্গানাইজেশন’ (FTO) এবং ‘স্পেশালি ডিজিগনেটেড গ্লোবাল টেররিস্ট’ (SDGT) হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।” ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, পহেলগাঁও হামলাকে ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার পর ভারতে সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে হওয়া অন্যতম ভয়াবহ জঙ্গি হামলা বলে বিবেচনা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’, যা ‘কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স’ নামেও পরিচিত, পহেলগাঁওয়ের হামলার দায় শুরুতে স্বীকার করলেও, কয়েক দিনের মধ্যেই তারা সেই বিবৃতি প্রত্যাহার করে নেয় এবং ২২ এপ্রিল হামলায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে।

    সন্ত্রাস দমনে ভারতের ভূমিকাকে সমর্থন

    মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রকের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “TRF-এর বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ কেবল জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই নয়, বরং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতিকেও বাস্তবে রূপ দিচ্ছে।” এছাড়াও, ভারতের সর্বদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সাম্প্রতিক সফরের সময় সন্ত্রাস দমনে ভারতের ভূমিকার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানায় আমেরিকা। দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্বকেও জোরালোভাবে তুলে ধরা হয়।

    কারা এই ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’?

    হাফিজ সঈদের নেতৃত্বাধীন জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার অধীনে কাজ করা একটি শাখা সংগঠন হল ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’। ২০১৯ সাল থেকে সংগঠনটি সক্রিয়। জম্মু-কাশ্মীরে পরিযায়ী শ্রমিক, কাশ্মীরি পণ্ডিত ও সাধারণ মানুষের উপর একাধিক হামলার অভিযোগ রয়েছে এই সংগঠনের বিরুদ্ধে। ২০২১ সালে জম্মুতে ভারতীয় বায়ুসেনার একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালানোর দায়ও TRF-এর উপর বর্তেছে। এমনকি পুলওয়ামা হামলার সঙ্গেও তাদের যোগ ছিল বলে গোয়েন্দা সূত্রের দাবি। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ২০২৩ সালেই এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

  • Earthquake: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নয়াদিল্লি, কম্পনের মাত্রা কত জানেন?

    Earthquake: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নয়াদিল্লি, কম্পনের মাত্রা কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠল নয়াদিল্লি (Delhi) ও সংলগ্ন এলাকা। বৃহস্পতিবার সকালে কম্পন অনুভূত হয়েছে দিল্লিতে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৪। জাতীয় ভূতত্ত্ব পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, এদিন সকাল ৯টা ৪ মিনিটে ভূমিকম্পটি হয়েছে।

    কম্পনের উৎসস্থল (Earthquake)

    কম্পনের উৎসস্থল ছিল দিল্লি থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে, হরিয়ানার ঝজ্জরে। কম্পনটি হয়েছে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। ঝজ্জর থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে উত্তরপ্রদেশের পশ্চিম প্রান্তের মেরঠ এবং শামলিতেও অনুভূত হয়েছে কম্পন। কম্পন টের পেয়েছেন হরিয়ানার সোনিপত ও হিসারের বাসিন্দারাও। দিল্লি সংলগ্ন উত্তরপ্রদেশের নয়ডা ও হরিয়ানার গুরুগ্রামেও বহু সংস্থার অফিস রয়েছে। ভূমিকম্পের জেরে কেঁপে উঠেছে এই সব এলাকাও। ভয়ে অফিস ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন বিভিন্ন অফিসের কর্মীরা। রাজধানীর বাসিন্দারাও আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে চলে আসেন খোলা জায়গায়। যদিও এদিন বেলা সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। মেলেনি ক্ষয়ক্ষতির খবরও।

    সিসমিক জোনিং ম্যাপ

    সিসমিক জোনিং ম্যাপ (Earthquake) অনুযায়ী, ভারতকে চারটি সিসমিক জোন বা ভূমিকম্পন প্রবণ এলাকায় বিভক্ত করা হয়। এগুলি হল জোন ২, জোন ৩, জোন ৪ এবং জোন ৫। এই জোনগুলির মধ্যে সব চেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হল জোন ৫। আর ঝুঁকি সব চেয়ে কম জোন ২-এ। দিল্লি পড়ে জোন ৪ এর আওতায়। তাই মাঝেমধ্যেই সেখানে দেখা দেয় ৫-৬ মাত্রার ভূমিকম্প। গত ফেব্রুয়ারি মাসেও ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল দিল্লি। তখনও কম্পনের মাত্রা ছিল ৪। ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় ভূখণ্ডের প্রায় ৫৯ শতাংশ এলাকায় ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েছে। ভূবিজ্ঞানীদের মতে, ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে দিল্লিতে ভূমিকম্প হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।

    এদিকে, ইতিমধ্যেই সতর্কবার্তা দিয়েছে এনডিআরএফ। সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্কভাবে সিঁড়ি ব্যবহার করে বাইরে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়। ভূমিকম্প চলাকালীন যাঁরা গাড়ি চালান, তাঁদের খোলা জায়গায় (Delhi) দাঁড়িয়ে পড়ার পরামর্শও দেওয়া হয় (Earthquake)।

  • Celebi Ban: সেলেবির সুরক্ষা ছাড়পত্র প্রত্যাহার নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তই বহাল দিল্লি হাইকোর্টে

    Celebi Ban: সেলেবির সুরক্ষা ছাড়পত্র প্রত্যাহার নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তই বহাল দিল্লি হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:তুর্কি বিমান পরিষেবা সংস্থা সেলেবির (Celebi Ban) সুরক্ষা ছাড়পত্র প্রত্যাহার নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তই বহাল রাখল দিল্লি হাইকোর্ট। সোমবার আদালত তুর্কি বিমান পরিষেবা সংস্থা সেলেবি এয়ারপোর্ট সার্ভিসেস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের সুরক্ষা ছাড় বাতিল করার কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে। এদিন বিচারপতি (Delhi High Court) শচীন দত্ত তাঁর নির্দেশে বলেন, “সরকারের এই সিদ্ধান্তে জাতীয় নিরাপত্তা জড়িত। তাই সেলেবি কর্তৃক দায়ের করা আবেদনগুলি খারিজ করে দেওয়া হল।” তিনি বলেন, “গুপ্তচরবৃত্তি বা লজিস্টিক ক্ষমতার দ্বৈত ব্যবহারের সম্ভাবনা নির্মূল করা প্রয়োজন। কারণ বহিরাগত সংঘাতের সময় এই ধরনের সংযোগ দেশের নিরাপত্তাকে বিপদের মুখে ফেলতে পারে।”

    আদালতের পর্যবেক্ষণ (Celebi Ban)

    পর্যবেক্ষণে আদালত জানায়, বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং পরিষেবার মাধ্যমে এয়ারসাইড অপারেশন, বিমানের অভ্যন্তর, কার্গো, যাত্রী তথ্য ব্যবস্থা এবং নিরাপত্তা জোনে প্রবেশের সুযোগ তৈরি হয়। এই ধরনের অবাধ প্রবেশাধিকার নিরাপত্তা পর্যালোচনার প্রয়োজনীয়তা অনেক গুণ বাড়িয়ে তোলে, বিশেষ করে যখন পরিষেবা সংস্থার বিদেশি সংযোগ থাকে। সেলেবি তাদের আবেদনে বলে, কোনও পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এবং সরকার কোনও ব্যাখ্যাও দেয়নি। তারা আরও দাবি করে, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ৩,৭৯১ জনের চাকরির ওপর প্রভাব পড়বে। তাদের বক্তব্য ছিল, “কোনও সত্তা কীভাবে একটি হুমকি — তা ব্যাখ্যা না করে শুধুমাত্র জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত কথার ফুলঝুরি আইনের দৃষ্টিতে ধোপে টেকে না।”

    কেন্দ্রের বক্তব্য

    সরকারের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের কারণ প্রকাশ করলে সেই সিদ্ধান্তের (Celebi Ban) মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হত। তিনি বলেন, নভেম্বর ২০২২-এ যখন সেলেবির সুরক্ষা ছাড়পত্র রিনিউ করা হয়েছিল, তখন সংস্থা মেনে নিয়েছিল যে, কোনও কারণ না জানিয়েও সেই ছাড় বাতিল করা যেতে পারে। প্রসঙ্গত, ১৫ মে ভারতের বিমান চলাচল নিরাপত্তা সংস্থা ব্যুরো অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে সেলেবির নিরাপত্তা অনুমোদন বাতিল করে। এই সিদ্ধান্তটি (Delhi High Court) এমন একটা সময়ে এল, যখন তুরস্ক পাকিস্তানকে ড্রোন সরবরাহ করে এবং ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ বিমান হামলার নিন্দা করে (Celebi Ban)।

LinkedIn
Share