Tag: Delhi

Delhi

  • India Bangladesh Relation: ‘খিলাফত’ গড়ার ডাক! বাংলাদেশে সহিংস চরমপন্থীদের মুক্তি, ক্ষুব্ধ ভারত

    India Bangladesh Relation: ‘খিলাফত’ গড়ার ডাক! বাংলাদেশে সহিংস চরমপন্থীদের মুক্তি, ক্ষুব্ধ ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদীদের আখড়া হয়ে উঠেছে নতুন বাংলাদেশ। পদ্মাপাড়ে প্রতিদিন যা ঘটছে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমরা উদ্বিগ্ন, কারণ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে, যা সহিংস চরমপন্থীদের মুক্তি দেওয়ার মাধ্যমে আরও বেড়েছে। আমরা একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং উন্নয়নশীল বাংলাদেশ (India Bangladesh Relation) চাই, যেখানে সব সমস্যা গণতান্ত্রিক উপায়ে এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে সমাধান করা হবে।’’ উল্লেখ্য শুক্রবারও, নিষিদ্ধ ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরির মিছিল ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ঢাকা।

    খিলাফত গড়ার ডাক

    ইসলামিক স্টেটের (আইএস) কায়দায় বাংলাদেশে খিলাফত গড়ার ডাক দিয়েছে হিজবুত তাহরির! শুক্রবার ঢাকার রাস্তায় মিছিল করতে দেখা গেল শয়ে শয়ে মৌলবাদীকে। এই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনটির মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। যা কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ঢাকা। শেখ হাসিনার আমলে এই হিজবুত নখ-দাঁত বের করতে পারেনি। কিন্তু এখন গোটা বাংলাদেশে নৈরাজ্য। মহম্মদ ইউনূসের জমানায় মাথাচারা দিচ্ছে হিজবুতের মতো একাধিক জেহাদি গোষ্ঠী। জানা গিয়েছে, শুক্রবার ‘মার্চ ফর খিলাফত’ কর্মসূচির ডাক দেয় নিষিদ্ধ হিজবুত তাহরির। সেই মতোই জুম্মার নমাজের পর জেহাদিরা ঢাকায় একটি মিছিল বের করে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে আসরে নামে পুলিশ। কিন্তু আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর বাধা অতিক্রম করেই মিছিলটি পল্টন মোড় পার হয়ে বিজয়নগর মোড়ের দিকে যায়। তখন পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় হিজবুত সদস্যদের। এরপর লাঠিপেটা করলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন অলিগলিতে ঢুকে পড়ে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা আবার সংগঠিত হয়ে পল্টন মোড়ের দিকে আসতে থাকে। পুলিশ ফের সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়লে মিছিলটি আবার ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

    নিষিদ্ধ হিজবুত তাহরির

    আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ তথ্য বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, হিযবুত তাহরির (মুক্তির দল) দলটির লক্ষ্য হল ইসলামি খিলাফত প্রতিষ্ঠিত করা ও বিশ্বব্যাপী ইসলামি আইন বাস্তবায়ন করা। হিজবুত তাহরিকে বাংলাদেশ, চিন, রাশিয়া, পাকিস্তান, জার্মানি,তুরস্ক, ইংল্যান্ড, কাজাখস্তান এবং সমস্ত মধ্য এশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সমস্ত মধ্যপ্রাচ্যে (লেবানন, ইয়েমেন ব্যতীত) নিষিদ্ধ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি-জামাত সরকারের আমলে এই জঙ্গি সংগঠনটি বাংলাদেশে ঘাঁটি মজবুত করে। কিন্তু ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর হাসিনার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন আওয়ামি লিগ সরকার হিজবুত তাহরিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। জনগণের নিরাপত্তার জন্য এই সংগঠনটি বিপজ্জনক বলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। শুধু বাংলাদেশই নয়, বিশ্বের বহু মুসলিম দেশেই হিজবুত তাহরিরকে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গত ৫ অগাস্ট হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ায় ফের বাংলাদেশে মাথাচারা দিয়েছে তারা। পালন করছে নানা কর্মসূচি। আর সবটাই নীরব দর্শক হয়ে দেখছেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনুস।

    চরমপন্থী সন্ত্রাসবাদীদের মুক্তি

    ইউনূস সরকার বাংলাদেশ ক্ষমতায় আসার পরই জেল থেকে মুক্তি পায় আনসারুল্লা বাংলা টিমের (এবিটি) প্রধান জসীমউদ্দিন রহমানি। আর তার মদতেই এখন ভারতকে রক্তাক্ত করার ছক কষেছে এবিটি। বাংলাদেশ এই সহিংস চরমপন্থীদের মুক্তি দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছে ভারত। এরা গঙ্গাপাড়ে অশান্তি লাগাতে সক্রিয় এমনই ধারণা ভারতের।

    ভারত-বিরোধিতা, তবু জল চাই

    দেশের অভ্যন্তরে ভারত-বিরোধী সুরকে মদত দিলেও গঙ্গার জলবণ্টন নিয়ে নরম সুর বাংলাদেশের। বাংলাদেশের জয়েন্ট রিভার কমিশনের সদস্য মহম্মদ আবুল হোসেনের নেতৃত্বে ১১ জনের প্রতিনিধি দল সোমবার পা রাখেন কলকাতায়। জয়েন্ট কমিটির টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞরা ভারতের সঙ্গে এই নিয়ে ৮৬ তম বৈঠক সারেন। ৩০ বছর পুরনো গঙ্গা পদ্মা জলবণ্টন চুক্তি পুনর্নবীকরণ নিয়ে হয় বৈঠক। ফরাক্কায় পর্যবেক্ষণ সেরে ফের কলকাতায় ফিরে ৬ মার্ত বৃহস্পতিবার বৈঠক সারেন তারা। শুক্রবার, ভারত বাংলাদেশ জয়েন্ট রিভার কমিশনের ফের বৈঠক হয়েছে। কমিশনের সদস্য আবুল হোসেন জানান, ফি বছরই সীমান্তে জল আদান প্রদান নিয়ে কমিশনের বৈঠক হয়। সেইমতো এবারেও বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। ভারতের জলশক্তি মন্ত্রক জানিয়েছে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ৫৪টি এমন নদী রয়েছে যা সীমান্তের দুই পারে বিস্তৃত।

     

     

     

  • Amit Shah: দিল্লিতে অবৈধ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান, বিশেষ নির্দেশ শাহের

    Amit Shah: দিল্লিতে অবৈধ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান, বিশেষ নির্দেশ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দিল্লিতে অবৈধ বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা অভিবাসীদের চিহ্নিত করে তাদের দেশ থেকে বহিষ্কার করার নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। রাজধানীতে আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে এই কঠোর পদক্ষেপের কথা জানান শাহ। দিল্লিতে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নবনির্বাচিত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত, দিল্লির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশিস সুত, দিল্লি পুলিশের কমিশনার সঞ্জয় আরোরা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (MHA) উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

    দিল্লিতে অনুপ্রবেশ রুখতে শাহ-নামা

    বৈঠকে উপস্থিত কর্মকর্তাদের মতে, অমিত শাহ স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছেন যে দিল্লিতে অবৈধ বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা অভিবাসীদের অনুপ্রবেশ, ডকুমেন্টেশন এবং বসবাসের নেটওয়ার্কটি অবিলম্বে ভেঙে ফেলা উচিত। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘অবৈধ অনুপ্রবেশ জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। এটি কঠোরভাবে মোকাবিলা করতে হবে। শহরে অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করে তাদের বহিষ্কার করা উচিত।’’ তিনি আরও বলেন যে, ‘‘উপর থেকে নীচ পর্যন্ত একটি পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে, যাতে অবৈধ বসবাসের সমস্যা সমাধান করা যায়।’’ তিনি এই অভিযানে শুধুমাত্র অভিবাসীদের নয়, বরং যারা তাদের অবৈধ বসবাসে সহায়তা করেছে, তাদেরও কঠোর শাস্তি দেওয়ার কথা বলেন। দালালি, ভুয়া ডকুমেন্ট তৈরি বা সম্পত্তি ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, বলে জানান শাহ।

    দ্রুত গতিতে কাজ

    এই বৈঠকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত উপস্থিত ছিলেন, যিনি ফেব্রুয়ারি ২০ তারিখে দিল্লির চতুর্থ মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। অমিত শাহ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সরকারের “ডবল গতিতে” কাজ করার কথা বলেন তিনি। দিল্লিতে অবৈধ অভিবাসী, অপরাধমূলক গ্যাং এবং প্রশাসনিক অদক্ষতা দূর করতে একযোগভাবে কাজ করার কথাও বলেন। রেখার কথায়, ‘‘দিল্লির জনগণ যেন নিশ্চিন্ত থাকে যে নতুন সরকার অবৈধ বসবাসের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবে। ডাবল ইঞ্জিন সরকার ডাবল গতিতে কাজ করবে।’’

    অবৈধ অভিবাসন রুখতে সক্রিয় পুলিশ

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) দিল্লি পুলিশের কাছে আন্তঃরাজ্য গ্যাংগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘‘রাস্তায় অপরাধ মানুষের নিরাপত্তার অনুভূতিতে সরাসরি প্রভাব ফেলে। দিল্লি পুলিশকে এই গ্যাংগুলো নির্মূল করতে কোনও অনুরোধের সুযোগ ছাড়াই কাজ করতে হবে।’’ দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, বর্তমানে এমন কিছু কলোনি চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে বাংলাদেশী এবং রোহিঙ্গা জনগণের সংখ্যা বেশি। সেখানকার একটি বিস্তারিত নিরীক্ষণ চলছে এবং অবৈধ বাসিন্দাদের উৎখাত করা হবে।

    অবৈধ অভিবাসী খুঁজতে অভিযান

    ইতিমধ্যে বেশ কয়েক জন অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে পাকড়াও করেছে দিল্লি পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে বেশ কয়েক জনকে এ দেশ থেকে বিতাড়নের প্রক্রিয়াও শুরু করা হয়েছে। দিল্লির কোথায় কত অভিবাসী অবৈধ ভাবে বসবাস করছেন, তার খোঁজে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। ডিসেম্বর থেকে লাগাতার সেই অভিযান চলছে। স্থানীয় থানাগুলির পুলিশকর্মী এবং অন্য আধিকারিকদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে একটি বিশেষ দলও। বিভিন্ন বস্তি এলাকা এবং শ্রমিক কলোনিতে ঘুরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে সেই দল। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, দিল্লিতে প্রায় ১৭৫ জন বাংলাদেশিকে অবৈধ অভিবাসী সন্দেহে চিহ্নিত করেছে পুলিশ।

    মহারাষ্ট্রেও অভিযান

    শুধু দিল্লিতেই নয়, মহারাষ্ট্র থেকেও সম্প্রতি অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীরা ধরা পড়েছেন। তাঁদের থেকে পাওয়া গিয়েছে জাল নথিপত্র। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের বেশির ভাগই ভুয়ো আধার কার্ড ব্যবহার করে এ দেশে থাকতে শুরু করেছিলেন। কেউ অবৈধ ভাবে সীমান্ত পার করে এ দেশে এসেছেন, আবার কেউ অন্য কোনও উপায়ে ভারতে এসেছেন। তবে পুলিশি অভিযানে তাঁদের কারও থেকেই ভারতে থাকার কোনও বৈধ নথি পাওয়া যায়নি। ধৃতদের মধ্যে অনেকেও এ দেশে জাল নথি দেখিয়ে ভুয়ো পরিচয়ে শ্রমিকের কাজে বা অন্য কোনও কাজে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁদের পাকড়াও করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর কাজ শুরু করেছে পুলিশ।

    দিল্লি পুলিশকে শাহি নির্দেশ

    অমিত শাহ দিল্লি পুলিশ স্টেশনের তেমন কাজ না করা থানাগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, পুলিশিংকে আরও সক্রিয় ও প্রো-একটিভ করতে হবে এবং ডিসিপি-লেভেল কর্মকর্তাদের নিয়মিত জনশুনানি এবং অভিযোগ নিরসন করতে হবে। ২০২০ সালের দিল্লি দাঙ্গা সম্পর্কিত দীর্ঘকালীন আইনি প্রক্রিয়াগুলোর ব্যাপারে অমিত শাহ নির্দেশ দেন যে, দিল্লি সরকার যেন বিশেষ পিপি নিযুক্ত করে যাতে দাঙ্গা সম্পর্কিত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হয় এবং আইনি ঝামেলা কমে।

    মেট্রো-ব্যস্ততা, জলের সমস্যা

    অমিত শাহ দিল্লির ট্রাফিক জটের স্থানে জরিপ করারও নির্দেশ দেন। এছাড়া, বর্ষাকালে জলের সমস্যা মেটানোর জন্য দিল্লি সরকারকে একটি “বর্ষাকাল পরিকল্পনা” প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া, তিনি ঘোষণা করেন যে দিল্লি পুলিশ এখন থেকে নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয়ে অনুমোদন দেবে না। শহরের উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে, এমন সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

  • Amit shah: “জম্মু-কাশ্মীরে আর কারও কাছে কোনও অস্ত্র থাকবে না,” ভূস্বর্গের শিশুদের বললেন শাহ

    Amit shah: “জম্মু-কাশ্মীরে আর কারও কাছে কোনও অস্ত্র থাকবে না,” ভূস্বর্গের শিশুদের বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সেই দিন খুব বেশি দূরে নয়, যেদিন জম্মু ও কাশ্মীরে (Kashmir) আর কারও কাছে কোনও অস্ত্র থাকবে না। তখন আর কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের ভেতরে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন হবে না। তাদের ভূমিকা সীমাবদ্ধ থাকবে সীমান্ত পাহারায়।”

    ‘ওয়াতন কো জানো’

    সোমবার কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit shah)। ‘ওয়াতন কো জানো’ (নিজের দেশকে জানো) কর্মসূচির অংশ হিসেবে দিল্লি সফরে এসেছে জম্মু-কাশ্মীরের স্কুল পড়ুয়াদের একটি দল। সেই দলের সঙ্গে দেখা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বলেন, “এদের মধ্যে কারও কারও বয়স মাত্র আট, অনেকেই প্রথমবারের মতো নিজেদের বাড়ি ও কেন্দ্র-শাসিত অঞ্চলের বাইরে এসেছে।”

    দেশের প্রতিটি অংশই তোমাদের

    তিনি বলেন, “এই দেশের প্রতিটি অংশ তোমাদের ঠিক ততটাই নিজের, যতটা জম্মু-কাশ্মীর।” শিশুরা যাতে মাঝপথে পড়াশোনা ছেড়ে না দেয়, সেই অনুরোধও করেন শাহ। বলেন, “দেশজুড়ে তোমাদের জন্য প্রচুর সুযোগ অপেক্ষা করছে। এই সুযোগগুলো তোমাদের কাজে লাগাতে হবে। জম্মু ও কাশ্মীরে এখন শান্তি বিরাজ করছে। তবে তোমাদের নিশ্চিত করতে হবে এই শান্তি যেন স্থায়ী হয়।” তিনি শিশুদের বলেন, “ওয়াতন কো জানো সফরের সময় যে শান্তি ও উন্নয়নের ছবি তোমরা দেখেছ, সেই বার্তা তোমরা নিজেদের পরিবার, বন্ধু, প্রতিবেশী ও গ্রামের মানুষের কাছে পৌঁছে দিও।” এদিন প্রায় ২৫০ জন শিশু জম্মু-কাশ্মীর থেকে জয়পুর ও দিল্লি সফরে গিয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল তাদের দেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের সঙ্গে পরিচয় করানো। এই দলের এক পড়ুয়া বলে,

    “আমরা হাওয়া মহল পরিদর্শনের সুযোগ পেয়েছিলাম এবং জয়পুরে কাশ্মীরের বাইরের খাবার এনজয় করেছি।”  কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit shah) বলেন, “আমি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি, কোনও সরকারই জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি বজায় রাখতে পারবে না। কেবল এখানকার শিশুরাই তা পারবে।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জম্মু-কাশ্মীরের শিশুদের তাদের বাবা-মা এবং প্রতিবেশীদের বোঝাতে বলেন যে সমগ্র দেশ তাদেরই এবং সন্ত্রাসবাদকে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের (Kashmir) মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করতে হবে, যা দেশের অন্যান্য অংশে দেখা যায় (Amit shah)।

  • CAG Report: আপের আবগারি নীতির কারণে দিল্লি সরকারের ক্ষতি হয়েছে ২ হাজার কোটি টাকা!

    CAG Report: আপের আবগারি নীতির কারণে দিল্লি সরকারের ক্ষতি হয়েছে ২ হাজার কোটি টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২১-২২ সালের আবগারি নীতির কারণে দুর্বল নীতিগত কাঠামো থেকে শুরু করে অপর্যাপ্ত বাস্তবায়নের মতো বিভিন্ন কারণে দিল্লি সরকার ২ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্মিলিত ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। মঙ্গলবার বিধানসভায় একটি ক্যাগের রিপোর্ট (CAG Report) পেশ করে এ কথা জানানো হয়েছে।

    ক্যাগের রিপোর্ট (CAG Report)

    রিপোর্টটি আগের আম আদমি পার্টি সরকারের কার্যকারিতা সম্পর্কে ১৪টি রিপোর্টের একটি। প্রতিটি রিপোর্ট উপস্থাপিত করবে নয়া মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তর নেতৃত্বাধীন প্রশাসন (Delhi Govt)। এতে লাইসেন্স ইস্যু করার প্রক্রিয়ায় নিয়ম লঙ্ঘনের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী এবং আবগারি মন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সুপারিশ উপেক্ষা করেছিলেন। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে আলোচিত ইস্যু হিসেবে উঠে আসা কথিত মদ কেলেঙ্কারির এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজস্ব ক্ষতির পরিমাণ ৯৪১.৫৩ কোটি টাকা। এতে দাবি করা হয়েছে যে “বিধিসম্মত নয় এমন পুরসভা ওয়ার্ডে”ও মদের দোকান খোলার জন্য সময় মতো প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হয়নি।

    জমি ব্যবহারের নিয়মাবলী

    আবার এমন অনেক এলাকায় মদ বিক্রয় কেন্দ্র খোলার জন্য যে জমি নেওয়া হয়েছে, তা ব্যবহারের নিয়মাবলীর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। রিপোর্টে এও উল্লেখ করা হয়েছে, “এই এলাকাগুলি থেকে তাদের লাইসেন্স ফি জমা না হওয়া এবং পুনঃনিলাম প্রক্রিয়ায় ব্যর্থতার কারণে আবগারি বিভাগ প্রায় ৮৯০.১৫ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।” এছাড়াও, কোভিড অতিমারীর কারণে দোকান বন্ধ থাকায় লাইসেন্সধারীদের যে “অনিয়মিত ছাড়” দেওয়ার হয়েছে, তার ফলেও ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৪৪ কোটি টাকার রাজস্ব (Delhi Govt)।

    বিভিন্ন অনিয়ম

    নীতির প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে কথিত অনিয়মগুলি (CAG Report) ২০২২ সালের জুলাই মাসে লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা যখন সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেন, তখন তা রাজ্যে বিরোধী দল বিজেপির রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত হয়। তদন্ত সংস্থাগুলির দ্বারা গ্রেফতারের পর আম আদমি পার্টির শীর্ষ নেতারা, যেমন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মনীশ সিসোদিয়া এবং সঞ্জয় সিং, মাসের পর মাস জেলে কাটিয়েছেন। রিপোর্টে জানা গিয়েছে, মাস্টার প্ল্যান দিল্লি-২০২১ অনুসারে অননুমোদিত এলাকায় মদের দোকান খোলার অনুমতি ছিল না। কিন্তু আবগারি নীতি ২০২১-২২ অনুযায়ী প্রতিটি ওয়ার্ডে অন্তত দুটি করে খুচরা বিক্রয় কেন্দ্র খোলার কথা বলা হয়েছিল।

    কী বলছে ক্যাগের রিপোর্ট

    রিপোর্ট অনুযায়ী, নতুন দোকান খোলার জন্য দরপত্র নথিতে উল্লেখ ছিল যে কোনও অননুমোদিত এলাকায় মদের দোকান থাকবে না। তবে, যদি কোনও দোকান অননুমোদিত এলাকায় থাকে, তবে তা সরকারের পূর্ব অনুমোদন সাপেক্ষে বিবেচিত হবে। ক্যাগের রিপোর্ট জানিয়েছে, ” অননুমোদিত এলাকায় প্রস্তাবিত বিক্রয় কেন্দ্রের জন্য আবগারি বিভাগ যথাসময়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি এবং দিল্লি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (DDA) এবং কর্পোরেশন (MCD)-এর মতামত না নিয়েই ২০২১ সালের ২৮ জুন প্রাথমিক দরপত্র প্রকাশ করা হয়েছিল (Delhi Govt)।”

    লাইসেন্স বরাদ্দ

    লাইসেন্সগুলি ২০২১ সালের (CAG Report) অগাস্টে বরাদ্দ করা হয়েছিল। এই সমস্যার সমাধান হওয়ার আগেই, এবং দোকানগুলি ১৭ নভেম্বর ২০২১ থেকে ব্যবসা শুরু করার জন্য নির্ধারিত ছিল। এর মধ্যেই, দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এর ঠিক আগের দিনই একটি নির্দেশিকা জারি করে, যেখানে অননুমোদিত এলাকায় দোকান চালানোর অনুমতি বাতিল করা হয়। এরপর লাইসেন্সধারীরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। ৯ ডিসেম্বর ২০২১-এ আদালত ৬৭টি অননুমোদিত ওয়ার্ডে বাধ্যতামূলক দোকানগুলির জন্য লাইসেন্স ফি প্রদানের দায় থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়। এর ফলে প্রতি মাসে ১১৪.৫০ কোটি টাকার লাইসেন্স ফি মকুব হয়। ক্যাগের রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, “নোটিশ ইনভাইটিং টেন্ডার প্রকাশের আগে এই সমস্যার সমাধান না করায় এই ছাড় দেওয়া হয়। এজন্য ক্ষতি হয় প্রায় ৯৪১.৫৩ কোটি টাকা।”

    লাইসেন্স জমা দেওয়ার হিড়িক

    রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৯টি অঞ্চলিক লাইসেন্সধারী তাদের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ২০২২ সালের অগাস্টে তাদের লাইসেন্স জমা দেন। এর মধ্যে মার্চেই জমা দেন চারজন, মে মাসে পাঁচজন এবং জুলাই মাসে ১০ জন। তবে মদের দোকান চালু রাখতে আবগারি দফতর কোনও পুনঃটেন্ডারিং প্রক্রিয়া শুরু করেনি। এর ফলে এই অঞ্চলগুলিতে লাইসেন্স ফি থেকে কোনও রাজস্ব আদায় হয়নি। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই অঞ্চলগুলিতে মদের খুচরা বিক্রি চালিয়ে যাওয়ার জন্য অন্য কোনও ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি। লাইসেন্সধারীরা ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে পরের বছরের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত কোভিড সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে আবগারি দফতরের কাছে ফি মকুবের আবেদন জানান। ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি হাইকোর্ট তাদের রায়ে দফতরকে এই বিষয়ে যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেয়।

    আবগারি এবং অর্থ দফতর (CAG Report) বিষয়টি পর্যালোচনা করার পর প্রস্তাব দেয় যে কোভিড সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞার কারণে লাইসেন্স ফির আনুপাতিক মকুব বিবেচনা করা যাবে না। কারণ টেন্ডার নথিতে এই বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেই। তবে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, “বিভাগীয় মন্ত্রীর দ্বারা এই প্রস্তাব খারিজ করা হয় এবং ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ থেকে ২৭ জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত বন্ধ থাকা দোকানগুলির জন্য প্রতিটি অঞ্চলিক লাইসেন্সধারীকে ফি মকুবের অনুমোদন দেওয়া হয় (Delhi Govt)।”

  • Delhi CM: ২৫০০ টাকা করে পাবেন মহিলারা, শপথ নিয়েই বড় ঘোষণা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখার

    Delhi CM: ২৫০০ টাকা করে পাবেন মহিলারা, শপথ নিয়েই বড় ঘোষণা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী (Delhi CM) পদে শপথ নিয়েই বড় ঘোষণা করলেন বিজেপির রেখা গুপ্ত (Rekha Gupta)। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় দিল্লির রামলীলা ময়দানে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি। তার পরেই ঘোষণা করেন, তাঁর সরকার ৮ মার্চের মধ্যে মহিলাদের প্রতি মাসে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেবে।

    মহিলাদের অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির টাকা (Delhi CM)

    পূর্বতন আপ সরকারকে তাদের কাজের জন্য জবাবদিহিও করতে হবে বলে জানান দিল্লির নয়া মুখ্যমন্ত্রী। ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আন্তর্জাতিক নারী দিবসের মধ্যেই যোগ্য মহিলাদের অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির টাকা জমা করা হবে।” আপ সরকারকে নিশানা করে নয়া মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “তাদের (আপ সরকারকে) প্রতিটি পয়সার হিসেব দিতে হবে।” তাঁর সরকার যে বিজেপির প্রতিশ্রুতি পূরণে দায়বদ্ধ, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন রেখা।

    মোদির স্বপ্ন পূরণের অঙ্গীকার

    এদিন জমকালো শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আগে তিনি কাশ্মীরি গেটের শ্রী মর্ঘট ওয়ালে হনুমান বাবা মন্দির পরিদর্শন করেন। পরে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়ন করাই দিল্লির ৪৮জন বিজেপি বিধায়কের প্রধান অগ্রাধিকার।” এদিন রেখাকে শপথবাক্য পাঠ করান দিল্লির উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির শীর্ষ নেতারা। উপস্থিত ছিলেন (Delhi CM) বিজেপি-শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। ছিলেন এনডিএ জোটের নেতারাও।

    প্রসঙ্গত, রেখা হলেন দিল্লির চতুর্থ মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আগে দিল্লি শাসন করেছেন বিজেপির সুষমা স্বরাজ, কংগ্রেসের শীলা দীক্ষিত এবং আপের অতিশী মারলেনা। রেখার পাশাপাশি এদিন শপথ নেন পরবেশ বর্মা, আশিস সুদ, মনজিন্দর সিং সিরসা, কপিল মিশ্র, রবীন্দ্র ইন্দ্ররাজ সিং এবং পঙ্কজ সিং। শপথ গ্রহণের পর মুখ্যমন্ত্রী ও অন্য মন্ত্রীরা তাঁদের দায়িত্ব বুঝে নিতে দিল্লি সচিবালয়ে যান।

    অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু বলেন, “আমরা দিল্লিতে একটি নতুন পরিবর্তন দেখতে চলেছি। এখন থেকে একটি ভিন্ন দিল্লি হবে। রাজ্যের প্রতিটি নাগরিক দিল্লি নিয়ে গর্বিত হবেন। আমরা খুব খুশি, এখন দিল্লিতে নয়া যুগের সূচনা হতে চলেছে। চমৎকার উন্নয়নও হতে যাচ্ছে। গত ১০ বছর ধরে দিল্লিতে (Rekha Gupta) কোনও ভালো কাজ হয়নি। এখন একটি নতুন যুগের সূচনা হবে (Delhi CM)।”

  • Delhi New CM: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ রেখা গুপ্তর, চিনুন বিজেপির এই নেত্রীকে

    Delhi New CM: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ রেখা গুপ্তর, চিনুন বিজেপির এই নেত্রীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির নয়া মুখ্যমন্ত্রী পদে বসলেন বিজেপির রেখা গুপ্ত (Delhi New CM)। আজ, বৃহস্পতিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে হয় শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান (Rekha Gupta)। বুধ-সন্ধ্যায় বিজেপির প্রবীণ নেতা তথা সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ মুখ্যমন্ত্রী পদে নাম ঘোষণা করেন রেখার।

    রেখা এবারই প্রথম বিধায়ক (Delhi New CM)

    বছর পঞ্চাশের রেখা এবারই প্রথম বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি শালিমার বাগ কেন্দ্রের বিধায়ক। ২৯ হাজারেরও বেশি ভোটে পরাজিত করেছেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আপের বন্দনা কুমারীকে। রেখা হলেন দিল্লির চতুর্থ মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আগে ওই পদে বসেছিলেন বিজেপির সুষমা স্বরাজ, কংগ্রেসের শীলা দীক্ষিত এবং আপের অতিশী।

    হরিয়ানায় জন্ম রেখার

    ১৯৭৪ সালের ১৭ জুলাই হরিয়ানার জুলানায় জন্ম রেখার। দিল্লির দৌলত রাম কলেজ থেকে বিকম পাশ করেন। পরে মিরাটের চৌধুরী চরণ সিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনের ডিগ্রি লাভ করেন। আরএসএসের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ৩২ বছরের। ১৯৯২ সালে তিনি যখন দৌলত রাম কলেজে ছিলেন, তখন তিনি এবিভিপি করতেন। ১৯৯৫-৯৫ সালে তিনি ছিলেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ইউনিয়নের সম্পাদক। তার পরের বছরই হন সভাপতি (Rekha Gupta)।

    বিজেপিতে যোগ ২০০২ সালে

    ২০০২ সালে রেখা (Delhi New CM) যোগ দেন বিজেপিতে। দলের যুব শাখার জাতীয় সম্পাদক হন। মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশে বিজেপির মহিলা শাখার দায়িত্বেও ছিলেন রেখা। হয়েছিলেন বিজেপির মহিলা মোর্চার জাতীয় সহ-সভাপতিও। ২০০৭ এবং ২০১২ সালে রেখা দিল্লি পুরসভার ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতে কাউন্সিলর হন। ২০২২ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন শালিমার বাগের কাউন্সিলর। ছিলেন নাগরিক সংস্থার নারী কল্যাণ ও শিশু উন্নয়ন কমিটির প্রধান। ২০০৭ সালে দিল্লির পুরভোটে রেখা প্রথমবার উত্তর পিতমপুরা থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। তিনি তিনবারের কাউন্সিলর এবং দক্ষিণ দিল্লি পুরসভার প্রাক্তন মেয়র (Delhi New CM)। ২০২২ সালের পুরভোটে রেখাকে আপের মেয়র পদপ্রার্থী শেলি ওবেরয়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী করে বিজেপি। যদিও সেবার জিততে পারেননি রেখা।

    রেখা বৈশ্য সম্প্রদায়ের

    রেখাকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী করে মহিলা মুখ্যমন্ত্রীদের ঐতিহ্য এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে বিজেপি। রেখা বৈশ্য সম্প্রদায়ের। দিল্লির একটি বড় অংশের ভোটার এই সম্প্রদায়ের। দিল্লি একাধিক নারী মুখ্যমন্ত্রী দেখেছে। এর মধ্যে কংগ্রেসের শীলা দীক্ষিতের ১৫ বছরের শাসনকাল অন্যতম। বছর ২৭ আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বিজেপির সুষমা স্বরাজ। দিল্লির শেষ মহিলা মুখ্যমন্ত্রী কালকাজির বিধায়ক আতিশী। তিনি মাত্র পাঁচ মাস ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পদে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কেজরিওয়াল মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার পর দায়িত্ব দেওয়া হয় আপ নেত্রীকে।

    রেখাকেই বেছে নিল বিজেপি

    রেখাকে মুখ্যমন্ত্রী (Delhi New CM) পদে বেছে নিতে বুধবার বৈঠকে বসে গেরুয়া শিবিরের সংসদীয় বোর্ড। ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয় রবিশঙ্কর প্রসাদ ও ওমপ্রকাশ ধনখড় হবেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক। ওই দুই পর্যবেক্ষক বুধবার সন্ধেয় দিল্লির বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। পরিষদীয় দলের বৈঠকেই পরিষদীয় দলের প্রধান হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয় শালিমার বাগের বিধায়কের নাম। এদিন সন্ধেয় নাম ঘোষণার পরেই বিজেপি বিধায়করা রওনা দিয়েছিলেন দিল্লির উপরাজ্যপালের বাসভবনের উদ্দেশে। সেখানেই আনুষ্ঠানিকভাবে সরকার গঠনের দাবি জানান রেখা। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি জানান, দিল্লির জন্য নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করবেন তিনি। তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী (Rekha Gupta) তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অতিশী।

    রেখাকে শুভেচ্ছা বিজেপির

    রাজধানীর চতুর্থ মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে এক্স হ্যান্ডেলে শুভেচ্ছা জানিয়েছে দিল্লি বিজেপি। সেখানে লেখা হয়েছে, “দিল্লি বিজেপির নেতা নির্বাচিত হওয়ার জন্য শ্রীমতি রেখা গুপ্তজিকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। আমাদের পূর্ণ বিশ্বাস যে আপনার নেতৃত্বে রাজ্য এগিয়ে যাবে।” উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হয়েছে পরবেশ শর্মাকে। মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে ছিলেন তিনিও। পরবেশ জানান, নারী সশক্তিকরণের লক্ষ্যেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে রেখাকে। বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী অতিশী, আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালও বিশেষ বার্তা দিয়েছেন দিল্লির চতুর্থ মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে।

    রেখার শাশুড়ির প্রতিক্রিয়া

    আদরের বউমা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে বসছেন শুনে যারপরনাই উচ্ছ্বসিত রেখার শাশুড়ি। তিনি বলেন, “চমকেগা নাম রেখা গুপ্ত, চমকেগা দিল্লি।” বউমাকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে তিনি বলেন, “রাজনীতির পাশাপাশি বউমা ঘরের কাজটাও নিপুণ হাতে সামলান।” স্ত্রীর সাফল্যে গর্বিত রেখার স্বামী মণীশও। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে রেখার নাম ঘোষণা হতেই খুশিতে মেতে ওঠেন তাঁর পড়শিরা। তা দেখে রেখার শাশুড়ি বলেন, “আশপাশে দেখ একেবারে উৎসবের মেজাজ (Rekha Gupta)। বিয়েবাড়ির চেয়েও বেশি আনন্দ এখানে। সবাই আনন্দে নাচছে, লাফাচ্ছে। চারদিকে কেবলই খুশির হাওয়া (Delhi New CM)।”

  • Rekha Gupta: দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির রেখা গুপ্ত, উপমুখ্যমন্ত্রী পারবেশ

    Rekha Gupta: দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির রেখা গুপ্ত, উপমুখ্যমন্ত্রী পারবেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির রেখা গুপ্ত (Rekha Gupta)। উপমুখ্যমন্ত্রী পারবেশ বর্মা। বুধবার সন্ধ্যায় বিজেপির বৈঠকে বেছে নেওয়া হয় রেখা এবং পারবেশকে (Delhi CM)। প্রায় ২৭ বছর পরে দিল্লির কুর্সিতে ফিরছে বিজেপি। আপ দুর্গে ধস নামিয়ে দিল্লির ক্ষমতায় এসেছে পদ্ম শিবির। তার পরেই জল্পনা শুরু হয় দিল্লির কুর্সিতে কে বসবেন বিজেপির। এদিন বৈঠক শেষে বিজেপির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় রেখার নাম।

    জয়ী পদ্ম পার্টি (Rekha Gupta)

    ৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হয় দিল্লি বিধানসভার। ৭০ আসনের বিধানসভায় ৪৮টি কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে পদ্ম পার্টি। রাজ্যের শাসক দল আপ পেয়েছে মাত্র ২২টি আসন। খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে কংগ্রেসকে। গোহারা হেরে গিয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। বৃহস্পতিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে হবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে রামলীলা ময়দান সাজানোর কাজ (Rekha Gupta)। এখানেই দুপুর ১২টায় হবে শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান।

    শপথের প্রস্তুতি

    সরকারি এক আধিকারিক বলেন, “শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে রামলীলা ময়দান। ২৫ হাজারেরও বেশি নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হবে।” তিনি বলেন, “২৫ হাজারেরও বেশি পুলিশ কর্মী ও ১৫ কোম্পানিরও বেশি আধা সামরিক বাহিনী কড়া প্রহরায় নিযুক্ত থাকবে। শুধু রামলীলা ময়দানের চারদিকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ৫ হাজারেরও বেশি পুলিশ কর্মী। তাদের সঙ্গে থাকবে আধা সামরিক বাহিনীও।” তিনি বলেন, “আমরা ২ হাজার ৫০০টিরও বেশি কৌশলী পয়েন্ট চিহ্নিত করেছি। সেখানে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা থাকবে।”

    বিজেপির সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেবা বলেন, “অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। থাকবেন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে শুরু করে অটোরিক্সা চালক এবং শ্রমিকরাও। নাগরিক সমাজের (Delhi CM) কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বও উপস্থিত থাকবেন এদিনের (Rekha Gupta) অনুষ্ঠানে।”

  • Earthquake in Delhi: কম্পনেই ঘুম ভাঙল রাজধানীর, ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দিল্লি সহ উত্তর ভারত

    Earthquake in Delhi: কম্পনেই ঘুম ভাঙল রাজধানীর, ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দিল্লি সহ উত্তর ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কম্পনেই ঘুম ভাঙল রাজধানীর। সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ ভূমিকম্প (Earthquake in Delhi) অনুভূত হয় দিল্লিতে। কম্পন টের পাওয়া যায় দিল্লি সংলগ্ন এলাকাগুলি সহ উত্তর ভারতে। জানা গিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.০। সোমবার সকালে ভূমিকম্পের পর সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনি লিখেছেন, ‘‘দিল্লি এবং আশপাশের এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। সকলের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা শান্ত থাকুন। ভূমিকম্পের আফ্‌টারশক হতে পারে, তার জন্য সতর্ক থাকুন। পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।’’

    ভূমিকম্পের উৎসস্থল

    ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তথ্য অনুযায়ী, সোমবার ভোর ৫টা ৩৫ মিনিট নাগাদ ৪ মাত্রার ভূমিকম্প (Earthquake in Delhi) হয়। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল দক্ষিণ দিল্লির ধৌলাকুঁয়া। সেখানে দুর্গাবাই দেশমুখ কলেজ অফ স্পেশ্যাল এডুকেশনের জমির ঠিক নীচে ভূমিকম্প হয়েছে। মাটি থেকে তার গভীরতা খুব বেশি নয়, মাত্র পাঁচ কিলোমিটার। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, রাজধানীর এই অংশটি বরাবর ভূমিকম্পপ্রবণ। কাছাকাছি একটি লেক রয়েছে। প্রতি দুই থেকে তিন বছর অন্তর অন্তর এই লেকের ধারে স্বল্প মাত্রার ভূমিকম্প হতে দেখা গিয়েছে। তবে শেষ বার এই অংশে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছিল ২০১৫ সালে। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.৩।

    কেন এত ভূমিকম্প দিল্লিতে

    মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য কম্পন (Earthquake in Delhi) অনুভূত হয়, তবে কম্পনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। ভূমি থেকে কম্পনের উৎসস্থলের গভীরতা খুব বেশি নয় বলেই তীব্রতা বেশি অনুভূত হয়েছে, মত বিশেষজ্ঞদের। বহু মানুষ ভয়ে-আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে পড়েন। এখনও পর্যন্ত ভূমিকম্পে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। এর আগেও একাধিকবার ভূমিকম্পে কেঁপেছে দিল্লি। সিসমিক জোন-৪ এ অবস্থিত হওয়ায়, মাঝারি থেকে শক্তিশালী ভূমিকম্পের সম্ভাবনা থাকে দিল্লিতে। এদিনের ভূমিকম্পটি মাঝারি মাত্রার ছিল। এর আগে গত ২৩ জানুয়ারিও দিল্লি-এনসিআরে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। চিনের শিনজিয়াংয়ে ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্পের কারণে দিল্লিতেও কম্পন অনুভূত হয়। তার আগে ১১ জানুয়ারিও আফগানিস্তানে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্পের কারণে দিল্লিতেও ভূমিকম্প হয়েছিল।

  • RSS: দিল্লিতে নির্মিত আরএসএস-র সদর দফতর, সবমিলিয়ে ৩০০ কক্ষ, রয়েছে হাসপাতালও

    RSS: দিল্লিতে নির্মিত আরএসএস-র সদর দফতর, সবমিলিয়ে ৩০০ কক্ষ, রয়েছে হাসপাতালও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (RSS) সদর দফতর নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হল। রাজধানীর ঝন্ডেবালানে ‘কেশব কুঞ্জ’ (Keshav Kunj) নামের আরএসএস-র নয়া সদর দফতরটির নির্মাণ হয়েছে। মোট তিনটি টাওয়ার রয়েছে আরএসএস-র নয়া সদর দফতরে। প্রতিটি টাওয়ার ১২ তলা করে। তিনটি টাওয়ারের নাম হল, ‘সাধনা’, ‘প্রেরণা’ এবং ‘অর্চনা’। জানা গিয়েছে, ৩.৭৫ একর জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে আরএসএস-র সদর দফতরটি। সবমিলিয়ে এই কার্যালয়ে ৩০০ কক্ষ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আরএসএস-র তরফে জানানো হয়েছে মোট ১৫০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে সদর দফতর নির্মাণে। দেশজুড়ে ৭৫ হাজারের বেশি মানুষের আর্থিক অনুদানেই তৈরি হয়েছে এই দফতর। যেকোনও রকমের বড় অনুষ্ঠান এবার থেকে এই সদর দফতরেই হবে বলে জানিয়েছেন সংঘ নেতারা।

    রয়েছে ৫ শয্যার হাসপাতাল (RSS)

    গোটা ভবনে প্রাচীন এবং আধুনিক স্থাপত্যের নিদর্শনও চোখে পড়ছে। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সাল থেকেই শুরু হয় নির্মাণকাজ। মূল অডিটোরিয়ামটি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা অশোক সিংঘলের স্মৃতিতে তৈরি হয়েছে। অযোধ্যায় রামমন্দির আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন অশোক সিংঘল। দফতরে ঢোকার মুখেই রয়েছে আরএসএস প্রতিষ্ঠিত কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারের একটি মূর্তি। ১৩৫টি গাড়ি দাঁড় করানোর পার্কিং-ও রয়েছে আরএসএস-র দফতরে। নয়া সদর দফতরে রয়েছে সৌরবিদ্যুতের জোগানও। এরসঙ্গে রয়েছে একটি বড় গ্রন্থাগার (RSS), সেখানে রয়েছে ৮৫০০ বই। গবেষণার জন্য বিনামূল্যে সেখানে প্রবেশ করা যাবে বলে জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে নয়া দফতরে রয়েছে পাশাপাশি, একটি ক্লিনিক এবং পাঁচ শয্যার একটি হাসপাতাল।

    ‘পাঞ্চজন্য’ ও ‘অর্গানাইজার’-এর দফতরও থাকছে এখানে

    জানা গিয়েছে, আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি নয়া দফতরে উপস্থিত হবেন সরসংঘচালক মোহন ভাগবত এবং সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে। সেখানেই হবে একটি সম্মেলন হবে। সংঘের তরফে জানানো হয়েছে, দিল্লির ওই সদর দফতর থেকেই আরএসএস-র (RSS) যাবতীয় কাজকর্ম সম্পাদিত হবে। জানা গিয়েছে, গুজরাতের বাসিন্দা অনুপ দাভে এই নয়া সদর দফতরের নকশা তৈরি করেছেন। সংঘের মুখপত্র ‘পাঞ্চজন্য’ ও ‘অর্গানাইজার’-এর দফতরও থাকছে এখানে। এর পাশাপাশি, ‘সুরুচি প্রকাশনে’র দফতরও থাকছে নয়া সদর দফতরে।

  • Delhi Election: “‘ইন্ডি’ ব্লকের অন্ধকার দশা চলছে,” বিরোধীদের নিশানা প্রকাশ রেড্ডির

    Delhi Election: “‘ইন্ডি’ ব্লকের অন্ধকার দশা চলছে,” বিরোধীদের নিশানা প্রকাশ রেড্ডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “‘ইন্ডি’ ব্লকের (INDIA Block) অন্ধকার দশা চলছে।” দিল্লি নির্বাচনে (Delhi Election) আপ দুর্গে ধস নামানোর পর মঙ্গলবার এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা প্রকাশ রেড্ডি। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে মুখোমুখি লড়াই হয়েছিল আপ এবং কংগ্রেসের। অথচ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে কংগ্রেসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল ‘ইন্ডি’ জোট। এই জোটে রয়েছে আপও।

    মুখোমুখি লড়াই (Delhi Election)

    সেই আপের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ের জেরে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে বিজেপি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আপ এবং কংগ্রেস ঐক্যবদ্ধ হলে দিল্লি বিধানসভার অন্তত ১৩টি আসনের ফল অন্যরকম হত। তিনি জানান, জম্মু-কাশ্মীর, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লি চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনেই ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে ব্যর্থ হয়েছে ‘ইন্ডি’ ব্লক। প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ বলেন, “দিল্লি নির্বাচনের পর রাজনৈতিক মহল বিশ্লেষণ করছে যে ভারতের রাজনীতিতে আর কোনও নির্বাচনের জন্য ইন্ডি জোট থাকবে না। সংসদ নির্বাচনের পর ইন্ডি জোট জম্মু ও কাশ্মীর, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র এবং এখন দিল্লিতে এক সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি।” এর পরেই তিনি বলেন, “ইন্ডি জোটের এখন অন্ধকার দশা চলছে (Delhi Election)।”

    বিজেপি নেতার বক্তব্য

    এই বিজেপি নেতা বলেন, “এই ঘটনাগুলোই জোটের অন্দরে যে ফাটল দেখা দিয়েছে, তা প্রমাণ করে। উদাহরণস্বরূপ, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক মন্তব্য। তিনি বলেছেন, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গে স্বাধীনভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, কোনও জোটের সঙ্গে যুক্ত হবে না।” ইন্ডি জোটের অন্দরে এই কোন্দলের জন্য রেড্ডি দায়ী করেছেন কংগ্রেসকে। তাঁর দাবি, “আঞ্চলিক দলগুলি এখন নিজেদের শক্তির ওপর নির্ভর করে নির্বাচনে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, জোটের অংশ হিসেবে নয়। এসবই ইঙ্গিত করে ইন্ডি জোট ভেঙে গিয়েছে। কংগ্রেসের হাল দেখে সব দল একা একা লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, বিশেষ করে আঞ্চলিক দলগুলি।”

    প্রসঙ্গত, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হওয়ার পর ইন্ডি জোটের দুই সদস্য দল কংগ্রেস এবং আপকে নিশানা করেছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। ইন্ডি জোটের (INDIA Block) প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মহারাষ্ট্রের শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠীও (Delhi Election)।

LinkedIn
Share