Tag: Delhi

Delhi

  • Anubrata Mondal: অনুব্রতকে নিয়ে দিল্লি উড়ে গেলেন ইডি আধিকারিকরা

    Anubrata Mondal: অনুব্রতকে নিয়ে দিল্লি উড়ে গেলেন ইডি আধিকারিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) নিয়ে দিল্লির উড়ান ধরলেন ইডি আধিকারিকরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি বেসরকারি উড়ান সংস্থার বিমানে দিল্লি নিয়ে গেল ইডি। এর আগে বিমানবন্দরে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি দাবি করেন, তাঁর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তাঁকে ইনহেলারও নিতে দেখা যায়। যদিও এ ব্যপারে কোনও মন্তব্য করেনি ইডি (ED)।

    অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)…

    এদিনই অনুব্রতকে আদালতে পেশ করার কথা ছিল। কিন্তু যেহেতু তাঁকে নিয়ে দিল্লি যেতে রাত হবে, তাই এদিন অনুব্রতকে রাখা হবে ইডি দফতরে। বুধবার পেশ করা হবে আদালতে। তবে এদিন দিল্লি পৌঁছে ফের এক প্রস্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে অনুব্রতর। এ জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হতে পারে দিল্লির সফদরজং হাসপাতাল কিংবা রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে। সেখানে সুস্থতার শংসাপত্র মিললে নিয়ে যাওয়া হবে ইডি দফতরে।

    এদিন সকাল ৭টা নাগাদ গরু পাচারকাণ্ডে (Cattle Smuggling Scam) অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। তাঁকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কন্ট্রোলার কৃশানু গঙ্গোপাধ্যায় ও তাঁর একজন সহযোগীকে পাঠানো হয়। নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের এক ইন্সপেক্টর, তিনজন সাব ইন্সপেক্টর ও ১২ জন সশস্ত্র পুলিশের একটি বিশেষ বাহিনীকে। সঙ্গে ছিল দুটি পাইলট কার। অ্যাম্বুলেন্সে করে পাঠানো হয়েছিল জেলা হাসপাতালের একজন চিকিৎসক ও তাঁর একজন সহযোগীকে।

    এদিন সকালে আসানসোল জেলের সামনে কিছু মানুষ জমায়েত করেছিলেন। অনুব্রতকে লক্ষ্য করে কটাক্ষও ছুড়ে দেন কেউ কেউ। কেষ্টদা দিল্লি যাচ্ছেন নাকি? এই ধরনের টিপ্পনিও ভেসে আসতে শোনা গিয়েছে। জেলের সামনে উপস্থিত রাজা মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি বলেন, অনুব্রত মণ্ডল যাওয়ার পর আসানসোল পবিত্র হল। আমরা শুদ্ধিকরণ করব।

    আরও পড়ুুন: কাঠফাটা গরম, কীভাবে মোকাবিলা? উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী

    গত বছর অগাস্ট মাসে গ্রেফতার করা হয় অনুব্রতকে। গরু পাচার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার পর থেকে আদালতের নির্দেশে আসানসোল জেলেই ছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। সম্প্রতি তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কলকাতায় নিয়ে গিয়ে কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতাল থেকে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা বলা হয়েছিল। সেই কারণে কলকাতা পর্যন্ত তাঁকে সুরক্ষা কে দেবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এদিন কলকাতায় নিয়ে গিয়ে তাঁকে তুলে দেওয়া হয় ইডির হাতে।

    এই মামলায় দিল্লিতে আগে থেকেই জেলবন্দি রয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন এবং গরু পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামুল হক। অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর তাঁকে এবং সায়গলকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Anubrata Mondal: অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা নিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ সুকান্ত, শুভেন্দু, দিলীপের

    Anubrata Mondal: অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা নিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ সুকান্ত, শুভেন্দু, দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে যাওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত। আদালতের নির্দেশের পরও নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়ে একে অপরের দিকে দায় ঠেলছে ইডি ও রাজ্য পুলিশ। এরই মধ্যে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দিল্লি যাত্রা নিয়ে কার্যত এক সুরে কথা বললেন বঙ্গ বিজেপির অন্যতম দুই প্রধান মুখ শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদার। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, “বিষয়টা অনেকদিন ধরেই চলছে। হয়ত আর একটাই জায়গায় যাওয়া বাকি আছে, সেটা হল সুপ্রিম কোর্ট। সেখানে যাওয়ার জন্যই হয়ত অপেক্ষা করছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তো ১৩ মার্চের আগে খুলবে না। এখন ছুটি চলছে। দিল্লি যেতেই হবে অনুব্রতকে।”

    ইডি-রাজ্য পুলিশ দ্বন্দ্ব

    অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দিল্লি যাত্রা নিয়ে টানাপড়েন চলছে জেল কর্তৃপক্ষ, আসানসোল কমিশনারেটের পুলিশ ও কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা ED-র মধ্যে। শনিবার, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি নির্দেশ দেন, শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে, অনুব্রত মণ্ডলকে বিমানে দিল্লি নিয়ে যেতে হবে। কলকাতায় কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে কোনও হাসপাতালের চিকিৎসকরা অনুব্রত মণ্ডলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ফিট সার্টিফিকেট দিলে, তারপরই তাঁকে ইডির হাতে তুলে দেওয়া যাবে। কিন্তু আসানসোল সংশোধনাগার থেকে কে অনুব্রতকে কলকাতায় নিয়ে আসবে ইডি না আসানসোল কমিশনারেট তাই নিয়েই জল্পনা চলে রবিবার সারাদিন।

    আরও পড়ুন: ইডি না আসানসোল পুলিশ! আজ আদালতই ঠিক করবে অনুব্রতকে কারা নিয়ে যাবে দিল্লি?

    এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথায়, “সরকার ও শাসকদল ওঁকে ক্রমাগত আড়াল করে চলেছে। তদন্তে সব ধরনের অসহযোগিতা করছে। যাঁকে বীর, বাঘ বলা হচ্ছিল তাঁকে এখন একা ছেড়ে দিচ্ছে। কোনও সুরক্ষা দিচ্ছে না। এই চালাকি বেশিদিন চলবে না। তিহার জেলে অনুব্রত মণ্ডলকে যেতেই হবে।” অনুব্রতের (Anubrata Mondal) প্রসঙ্গে বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষেরও কটাক্ষ, ”রাজ্য সরকার মুখ্যমন্ত্রীকে, তার ভাইপোকে, নেতা মন্ত্রীদের সুরক্ষা দিতে পারছে, বাড়ি বাড়ি পুলিশ দিতে পারছে। আর অনুব্রত যখন সিবিআই এর হাতে আছে তখন সুরক্ষা দিতে পারছে না। তাহলে সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন। রাজ্যের আইন কানুনের যা অবস্থা তা পুলিশ আর সামাল দিতে পারছে না। শুধু অনুব্রত না গোটা রাজ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

  • Anubrata Mondal: ইডি না রাজ্য পুলিশ? অনুব্রতকে কে নিয়ে যাবে দিল্লি? ঠিক করবে আদালত!

    Anubrata Mondal: ইডি না রাজ্য পুলিশ? অনুব্রতকে কে নিয়ে যাবে দিল্লি? ঠিক করবে আদালত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের তৃণমূল নেতাকে নিরাপত্তা দিয়ে কারা কলকাতায় পৌঁছে দেবে, সেই প্রশ্নে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে ইডির (ED) দড়ি টানাটানি অব্যাহত। প্রশাসনিক জটিলতার জেরে আপাতত থমকেই অনুব্রতের দিল্লি যাত্রা। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট রবিবার দুপুরেই জানিয়ে দেয় যে, তাদের পক্ষে অনুব্রতকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। ইডি সূত্রে খবর, তারা জেলে এসে কেষ্টকে নিয়ে দিল্লি যাবে না। যেভাবে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেভাবেই অনুব্রতকে রাজধানীতে নিয়ে যাওয়া হোক চাইছে ইডি। আসানসোল জেল সূত্রে খবর, এই জটিলতা কাটাতে জেল কর্তৃপক্ষের তরফে আজ, সোমবারই গোটা বিষয়টা আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে জানানো হবে। কোর্ট যা বলবে, তার ওপর নির্ভর করছে কেষ্টর ভাগ্য!

    অনুব্রতকে নিয়ে দিল্লি যাবে কারা? 

    কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, অনুব্রতের শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে, তাঁকে বিশেষ বিমানে দিল্লি নিয়ে যেতে হবে। কলকাতায় কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে কোনও হাসপাতালের চিকিৎসকরা অনুব্রত মণ্ডলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ফিট সার্টিফিকেট দিলে, তারপরই তাঁকে ইডির ( ED ) হাতে তুলে দেওয়া হবে। এরপর জেল কর্তৃপক্ষ অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য নিরাপত্তার ব্য়বস্থা করার বিষয়ে আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটকে জানায়। কেন্দ্রীয় সরকারের হাসপাতালে রাজ্য পুলিশ কী করে নিয়ে যাবে, এই যুক্তিতে বাহিনী পাঠানো যাবে না বলে জানায় কমিশনারেট। এই প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ রাজ্য সরকার মুখ্যমন্ত্রী, তাঁর ভাইপো, তৃণমূলের নেতাদের নিরাপত্তা দিতে পারছে। অথচ অনুব্রতকে দিতে পারছে না? সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে অনুব্রতকে তুলে নিয়ে যাওয়া উচিত। ‘

    আরও পড়ুুন: আরজেডি-র সঙ্গ ছেড়ে ফের বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছেন নীতীশ?

    আদালতের দ্বারস্থ আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ

    সূত্রের দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি-যাত্রা নিয়ে ধোঁয়াশার আবহে, তাদের কী করণীয়, তা জানতে চেয়ে সোমবারই আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের দ্বারস্থ হবে আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। এর আগে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তখন, আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সাব ইন্সপেক্টর, অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর এবং ৫জন বন্দুকধারী পুলিশ কর্মীর ঘেরাটোপে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয় সায়গলকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Anubrata Mondal: পুলিশ ইডি চাপান-উতোর, অনুব্রতর দিল্লিযাত্রা কবে?

    Anubrata Mondal: পুলিশ ইডি চাপান-উতোর, অনুব্রতর দিল্লিযাত্রা কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশ-ইডি (ED)-র ঠেলাঠেলি। তার জেরে তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) কবে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে, তা নিয়ে উঠে গেল বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন। গরু পাচার কেলেঙ্কারি মামলায় ধৃত অনুব্রতকে পুলিশ না ইডি-কে দিল্লি নিয়ে যাবে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে চাপান-উতোর। পুলিশ আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, আসানসোল জেল থেকে নিরাপত্তা দিয়ে অনুব্রতকে তারা কলকাতায় নিয়ে যেতে পারবে না। পুলিশের পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিও জানিয়ে দিল, নিরাপত্তা দিয়ে অনুব্রতকে তারাও দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে না।

    অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)…

    তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় ইডি। দিল্লিযাত্রা ঠেকাতে জোড়া মামলা দায়ের করেন অনুব্রত। একটি কলকাতা হাইকোর্টে, অন্যটি দিল্লি হাইকোর্টে। শনিবার কলকাতা হাইকোর্ট অনুব্রতর আর্জি খারিজ করে দেয়। বিচারপতি বিবেক চৌধুরী নির্দেশ দেন, প্রয়োজন মনে করলে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে ইডি। তবে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আগে কলকাতার কেন্দ্রীয় কোনও হাসপাতাল থেকে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পরেই অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়। ওই দিনই আসানসোল জেলে চিঠি পাঠায় ইডি।

    আরও পড়ুুন: আরজেডি-র সঙ্গ ছেড়ে ফের বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছেন নীতীশ?

    জানতে চাওয়া হয়, কখন জেল কর্তৃপক্ষ অনুব্রতকে রওনা করাবেন? সূত্রের খবর, আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ ইডিকে সাফ জানিয়ে দেয় তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে নিরাপত্তা দিতে পারবে না পুলিশ। ইডি যেন নিজেই দায়িত্ব নেয়। রবিবার ইডিও হাত তুলে নেয়। তারা জানিয়ে দেয়, অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব তাদের নয়। পরে আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানায়, যেভাবে সায়গল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেভাবেই অনুব্রতকেও নিয়ে যেতে হবে। জটিল এই সমস্যার সমাধানে আইজি কারাকে চিঠি দিয়েছেন আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। সোমবার এ ব্যাপারে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে ইডি।

    প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। তাঁর বিরুদ্ধে ১৯ ডিসেম্বর জারি হয় প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট। তার পরেও তা কেন কার্যকর করা হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে দিল্লি আদালত। হলফনামা দিয়ে পুরো বিষয়টি আদালতে জানানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় ইডির আইনজীবীকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Delhi Liquor Policy: কেজরির দুয়ারে ইডি! এবার জেরা মুখ্যমন্ত্রীর আপ্ত সহায়ককে, কেন জানেন?

    Delhi Liquor Policy: কেজরির দুয়ারে ইডি! এবার জেরা মুখ্যমন্ত্রীর আপ্ত সহায়ককে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির আবগারি নীতি (Delhi Liquor Policy) মামলায় এবার মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) আপ্ত সহায়ক বিভব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি (ED)। বিভব  কেজরিওয়ালের ঘনিষ্ঠ সহচর। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিভবকে দিল্লির আবগারি নীতি ও তৎপরবর্তীকালে ঘুষ নিয়ে মদের দোকানের লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগেই জেরা করা হয়েছে। সম্প্রতি এই মামলায়ই দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। তল্লাশি চালানো হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়েও। এবার খোদ মুখ্যমন্ত্রীর আপ্ত সহায়ককে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করল ইডি।

    ইডির দাবি…

    ইডির দাবি, প্রায় ১০০ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়া হয়েছিল। প্রমাণ লোপাট করতে ইতিমধ্যেই নষ্ট করা হয়েছে ১৭০টি ফোন। কিছু দিন আগেই তদন্তকারীরা জানিয়েছিলেন, লাইসেন্সের (Delhi Liquor Policy) বিনিময়ে নেওয়া ঘুষের অর্থের প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা চলছে। ওই কাজে অন্তত ৩৬ জন যুক্ত বলেও অভিযোগ ইডির। এই ৩৬ জনের মধ্যেই রয়েছেন মনীশ এবং বিভব। সেই সূত্রেই এদিন জেরা করা হয় বিভবকে।

    আবগারি নীতিকাণ্ডে ইতিমধ্যেই দুটি চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। তাতে বলা হয়েছে, অন্তত ৩৬ জন অভিযুক্ত লেনদেন ও বেআইনি কারবার গোপন করতে ঘন ঘন মোবাইল সেট বদল করতেন। ওই তালিকায় দিল্লির আবগারি মন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া ও কেজরিওয়ালের পিএ বিভব কুমারের নামও রয়েছে। গোয়েন্দাদের বক্তব্য, আবগারি নীতি (Delhi Liquor Policy) তৈরির প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালও। সেই কাজে তাঁর ফ্রন্টম্যান ছিলেন বিভব। গোয়েন্দাদের আরও দাবি, আবগারি নীতির খসড়ার কপি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে এনে সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন বিভবই। বিজেপির দাবি, এই কাণ্ডে আসল চক্রী মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল। এদিন তাঁরই আপ্ত সহায়ককে জেরা করা হল।

    আরও পড়ুুন: ‘শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আমি মাঝের সেই গুরুকে চাই’, সিবিআইকে বললেন বিচারক

    প্রসঙ্গত, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে দিল্লির ক্ষমতা দখল করেছিল কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। সরকার জানিয়েছিল, নয়া আবগারি নীতিতে মদের কালোবাজারি কমবে, শায়েস্তা হবে মদ মাফিয়ারা। এর আগে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয় কুমার সাক্সেনা আগেই আবগারি নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী আবগারি নীতিতে দুর্নীতিতে সরাসরি যুক্ত এবং বিভিন্ন ব্যক্তিকে এই আবগারি নীতির মাধ্যমে সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে তিনি নিজেও আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Pawan Khera: বিমান থেকে নামিয়ে গ্রেফতার করা হল কংগ্রেস নেতা পবন খেরাকে, কেন জানেন?

    Pawan Khera: বিমান থেকে নামিয়ে গ্রেফতার করা হল কংগ্রেস নেতা পবন খেরাকে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিমান থেকে নামিয়ে গ্রেফতার করা হল কংগ্রেস (Congress) নেতা পবন খেরাকে (Pawan Khera)। রায়পুরগামী বিমান থেকে নামানো হয় এআইসিসির অন্যতম মুখপাত্র পবনকে। সেখানেই অসম পুলিশ গ্রেফতার করে বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতাকে। অসম (Assam) পুলিশ জানিয়েছে, তাদের অনুরোধে দিল্লি পুলিশ পবনকে বিমান থেকে নামিয়ে নেয়। কারণ পবনের বিরুদ্ধে রয়েছে এফআইআর। এরপর পবনকে গ্রেফতার করা হয়।

    পবন…

    বৃহস্পতিবার সতীর্থদের সঙ্গে দিল্লি থেকে ছত্তিশগড়ের রায়পুর যাচ্ছিলেন পবন। কংগ্রেসের প্লেনারি অধিবেশনে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। বোর্ডিং পাস হাতে নিয়ে বিমানের আসনে বসে পড়ার পর তাঁকে বিমানকর্মীরা জানান, তাঁর সঙ্গে ডিপিসি দেখা করবেন। তাই নীচে নামতে হবে তাঁকে। তাঁকে রায়পুরগামী বিমানে নেওয়ার অনুমতি নেই বলেও বিমানকর্মীরা জানান। পবন নীচে নামতেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ঘটনার প্রতিবাদে টারম্যাকেই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপাল, সুপ্রিয়া শ্রীনাতে, রণদীপ সিংহ সূরযেওয়ালা প্রমুখ।

    গ্রেফতারির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন পবন (Pawan Khera)। সুপ্রিম কোর্টকে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে বারাণসী, লখনউ, অসমে একাধিক এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। আদালতে পবন জানান, তাঁকে রায়পুরগামী বিমান থেকে নামিয়ে গ্রেফতার করেছে অসম পুলিশ। আদালত থেকে রক্ষাকবচেরও আবেদন করেছেন পবন।

    আরও পড়ুুন: ভূস্বর্গে ফিরেছে শান্তি! ৩৭০ অবলুপ্তির পর প্রথমবার কাশ্মীর থেকে সেনা সরানোর পথে মোদি সরকার?

    দিন কয়েক আগে এক সাংবাদিক বৈঠকে আদানিকাণ্ডে মোদিকে কটাক্ষ করেন পবন। প্রধানমন্ত্রীকে নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদির বদলে নরেন্দ্র গৌতমদাস মোদি বলে কটাক্ষ করেন। এর পরেই পবনের (Pawan Khera) গ্রেফতারির দাবি জানায় গেরুয়া শিবির। বিজেপি নেতাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এফআইআর দায়ের করেছিল অসম পুলিশ। সব মিলিয়ে অসমের ১৫টি জেলায় পবনের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা দায়ের হয়। কংগ্রেসের অভিযোগ, এই কারণেই পবনকে হেনস্থা করা হচ্ছে। ওই কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও প্রাথমিক অনুমান কংগ্রেসের। ভয়ে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে বিজেপি এসব করছে বলেও অভিযোগ গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির।

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার থেকে রায়পুরে শুরু হচ্ছে কংগ্রেসের তিনদিন ব্যাপী প্লেনারি। কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় সব নেতাই উপস্থিত থাকবেন সেখানে। এই প্লেনারিতে যোগ দিতেই রায়পুরে উড়ে যাচ্ছিলেন পবন। তিনি বলেন, আমাকে প্রথমে বলা হয়েছিল আপনার লাগেজে সমস্যা রয়েছে। পরে ফ্লাইট থেকে নেমে যেতে বলা হয়। তার পর বলা হয় ডিসিপি আপনার সঙ্গে দেখা করবেন। এরপর আমাকে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। তিনি বলেন, কোনও নিয়মকানুন, আইনশৃঙ্খলা, যুক্তিবু্দ্ধির কোনও চিহ্নই ছিল না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Earthquake Delhi: মাঝারি ভূমিকম্পে কাঁপল দিল্লি, ভবিষ্যতে বড় ক্ষতির আশঙ্কা ভারতেও! সতর্কবার্তা বিশেষজ্ঞদের

    Earthquake Delhi: মাঝারি ভূমিকম্পে কাঁপল দিল্লি, ভবিষ্যতে বড় ক্ষতির আশঙ্কা ভারতেও! সতর্কবার্তা বিশেষজ্ঞদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেঁপে উঠল রাজধানী দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল। বুধবার দুপুরে আচমকাই কেঁপে ওঠে রাজধানী দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকা। জানা গিয়েছে এদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ নেপালে একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৪। তবে এখনও ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ১০ কিমি।

    রাজধানী দিল্লির পাশাপাশি ভূমিকম্পের অভিঘাত অনুভূত হয়েছে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং হরিয়ানার বিস্তীর্ণ এলাকায়। এর ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। এদিন দুপুর দেড়টায় উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়েও ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.৪। পিথোরাগড় থেকে ১৪৩ কিলোমিটার দূরে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ১০ কিলোমিটারের মধ্যে।

    ভূমিকম্প অনুভূত মধ্যপ্রদেশ, উত্তর-পূর্ব ভারতে

    এর আগে রবিবার অর্থাৎ, ২০ ফেব্রুয়ারি মধ্যপ্রদেশের মালওয়া এলাকায় ভূমিকম্প হয়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (ভারতের ভূমিকম্প গবেষণা কেন্দ্র) ট্যুইট করে জানিয়েছে যে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর সদর দফতর থেকে ১৫১ কিলোমিটার দূরে ধার জেলায় রবিবার দুপুর ১২টা ৫৪ মিনিটে ভূমিকম্প হয়। ভুপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার নিচে ৩.০ তীব্রতার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর কেন্দ্রস্থল ছিল ধার জেলার গুজরাট ও মহারাষ্ট্র সীমান্তে। মৃদু এই ভূমিকম্পে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ধার ছাড়াও বারওয়ানি ও আলিরাজপুরেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। 

    রবিবার শুধুমাত্র মধ্যপ্রদেশ নয়, অরুণাচল প্রদেশেও ভূমিকম্প হয়েছিল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.৮। জাতীয় ভূমিকম্প গবেষণা কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুসারে, ওই দিন সকাল ৬টা বেজে ২৬ মিনিটে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মেঘালয়। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মেঘালয়ের পূর্ব খাসি পাহাড়ে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪৬ কিলোমিটার গভীরে। শুধু মেঘালয় নয়, অসম ও গুয়াহাটির বেশ কিছু এলাকায় ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছিল।

    রবিবার সকাল ৭টা ৩ মিনিটে ভারত মহাসাগরে রিখটার স্কেলে ৪.৭ মাত্রার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছিল। কম্পনের উৎসস্থল ছিল আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ক্যাম্পবেল সৈকত থেকে ৬২৩ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে সমদ্রতলে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬৬ কিলোমিটার গভীরে।

    আরও পড়ুুন: ‘গোর্খারা বহিরাগত…’, শোভনদেবের মন্তব্যের প্রতিবাদে বিধানসভায় ওয়াকআউট বিজেপির

    ভয়াবহ ভূমিকম্পের শঙ্কা

    ভূমিকম্পের জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এইসব রাজ্যের বাসিন্দারা। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই। সাম্প্রতিক তুরস্ক-সিরিয়ার ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির কথা ভেবেই মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। তবে এই ভূমিকম্পের তীব্রতা অতটা না থাকায় বিশেষ ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে, ভারতেও ভয়াবহ ভূমিকম্পের সম্ভাবনা রয়েছে বলে অভিমত ভূ-বিজ্ঞানীদের। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রতি বছর ৫ সেন্টিমিটার করে সরে যাচ্ছে ভারতীয় টেকটনিক প্লেট। হায়দরাবাদের ন্যাশন্যাল জিও ফিজিক্যাল রিসার্চ ইন্সটিটিউটের প্রধান আবহবিদ এবং ভূবিজ্ঞানী ডঃ এন পূর্ণ চন্দ্র রাও জানান, পৃথিবীর ভূত্বকে বহু রকমের প্লেট রয়েছে। যেগুলি প্রতিনিয়ত চলমান। ভারতীয় প্লেট প্রতি বছর ৫ সেন্টিমিটার করে সরে যাচ্ছে। যার ফলে চাপ বাড়ছে হিমালয় সংলগ্ন এলাকাগুলিতে। এর ফলে সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে ভূমিকম্পের।

    ন্যাশন্যাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তরফে জানা গেছে সোমবার উত্তরাখন্ডের ধর্মশালা থেকে ৫৬ কিমি উত্তরে ৩.৬ ম্যাগনিটিউডের ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। যার কেন্দ্রস্থল ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল থেকে ১০ কিমি গভীরে। এছাড়া ফ্রেবরুয়ারির ১৯ তারিখেও অন্ধ্রপ্রদেশের  এনটিআর জেলার নন্দিগামা এলাকা কেঁপে ওঠে ভূমিকম্পে। তবে এতে ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • INDIA AUSTRALIA : অশ্বিন-অক্ষর জুটির দৌলতে ম্যাচে ফিরল ভারত! দ্বিতীয় দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে ৬২ রানে

    INDIA AUSTRALIA : অশ্বিন-অক্ষর জুটির দৌলতে ম্যাচে ফিরল ভারত! দ্বিতীয় দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে ৬২ রানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতকে ম্যাচে ফেরাল অশ্বিন-অক্ষর জুটি। দ্বিতীয় দিনের প্রথম দু’ঘণ্টার খেলা দেখে মনে হয়েছিল,আজই ম্যাচ নিজেদের হাতে নিয়ে নেবে অজিরা। ১৩৯ রানে ৭ উইকেট পড়ে গিয়েছিল ভারতের। মনে হচ্ছিল, প্রথম ইনিংসে বিশাল লিড নেবে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু অন্য কথা ভাবছিলেন অক্ষর ও অশ্বিন। ভারতের দুই অলরাউন্ডার ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেললেন। দেখে মনে হল সম্পূর্ণ অন্য পিচে খেলছেন তাঁরা। পাল্টা আক্রমণের নীতি নিয়েছিলেন তাঁরা। দলের রানকে ধীরে ধীরে অস্ট্রেলিয়ার রানের কাছে নিয়ে যাচ্ছিলেন দুই ব্যাটার। শতরানের জুটি গড়লেন তাঁরা। শেষপর্যন্ত দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় সেশনে শেষ হয়ে যায় ভারতের প্রথম ইনিংস। ২৬২ রানে অল আউট হয়ে যান রোহিত শর্মারা। টিম ইন্ডিয়ার হয়ে সর্বাধিক রান করেন অক্ষর প্যাটেল (৭৪)। অজিদের হয়ে সর্বাধিক উইকেট নিয়েছেন নাথান লিয়ঁ। 

    টপ অর্ডার ব্যর্থ

    দিল্লি টেস্টের দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় সেশনে শুরু হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংস। নতুন বল হাতে ১টি উইকেট পান রবীন্দ্র জাদেজা। উসমান খোয়াজার উইকেট হারায় অজিরা। দ্বিতীয় দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ১ উইকেটে ৬১। আপাতত ৬২ রানে এগিয়ে থেকে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবে অস্ট্রেলিয়া। দিনের শুরুতে ভারতের ওপেনিং জুটি ভরসা দিয়েছিল ভারতকে। ভাল খেলছিলেন রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল। কিন্তু ঠিক যে ভাবে প্রথম টেস্টে রাহুল উইকেট দিয়েছিলেন সেই একই ভাবে এই টেস্টেও ১৭ রান করে আউট হয়ে গেলেন তিনি। ৩২ রানের মাথায় নাথান লিয়ঁর সামান্য নিচু হয়ে আসা বলে লাইন মিস্‌ করে বোল্ড হয়ে গেলেন রোহিতও। নিজের শততম টেস্ট খেলতে নেমে ব্যর্থ চেতেশ্বর পুজারা।

    আরও পড়ুন: বেফাঁস মন্তব্যের জের! মুখ্য নির্বাচক পদ থেকে সরে গেলেন চেতন শর্মা

    কোহলি প্রথম থেকেই ছিলেন আক্রমণাত্মক। ঘরের মাঠে নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে রান করছিলেন তিনি। তাঁকে সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করেন শ্রেয়স আয়ার। কিন্তু শর্ট লেগে দাঁড়িয়ে থাকা পিটার হ্যান্ডসকম্বের দুরন্ত ক্যাচ তাঁকে সাজঘরে ফেরায়। কোহলি-জাডেজা ভাল খেলছিলেন। দু’জনে মিলে দলের রানকে ১০০ পার করান। চা বিরতির আগে বিরাট ৪৪ রানের মাথায় আউট হলে চাপে পড়ে যায় ভারত। হাল ধরেন অক্ষর ও অশ্বিন। প্রথম টেস্টের পরে দ্বিতীয় টেস্টেও অর্ধশতরান করলেন অক্ষর। ইনিংসে তিনটি ছক্কা মারেন তিনি।  ৭৪ রান করে আউট হন অক্ষর। অশ্বিন করেন ৩৭ রান।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Delhi Mayor Election: তিনবার ব্যর্থ হয়েছে, বৃহস্পতিবার ফের হচ্ছে দিল্লির মেয়র নির্বাচন

    Delhi Mayor Election: তিনবার ব্যর্থ হয়েছে, বৃহস্পতিবার ফের হচ্ছে দিল্লির মেয়র নির্বাচন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পর থেকে তিন বার চেষ্টা করা হয়েছে মেয়র নির্বাচনের। তার পরেও দিল্লির মেয়র নির্বাচন (Delhi Mayor Election) হয়নি। উল্টে প্রতিবারই মেয়র নির্বাচন নিয়ে পুরসভায় হাতাহাতিতে জড়িয়েছে আপ (AAP) ও বিজেপি (BJP)। এহেন আবহে ফের মেয়র নির্বাচনের দিন ধার্য হয়েছে। জানা গিয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার হবে দিল্লি পুরসভার মেয়র নির্বাচন। ১৬ ফেব্রুয়ারি মেয়র নির্বাচন হোক বলে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনাকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। রবিবার আধিকারিকরা জানান, সাক্সেনা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন।

    গোড়ার কথা…

    ৬ জানুয়ারি দিল্লির মেয়র নির্বাচনের কথা ছিল। সেদিন অধিবেশনের শুরুতেই আপ ও বিজেপির প্রতিনিধিদের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। অশান্তি পরিণতি পায় হাতাহাতিতে। অধিবেশন কক্ষের মধ্যেই একে অপরকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছুড়তে থাকেন। এমতাবস্থায় দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর মেয়র নির্বাচন (Delhi Mayor Election) পিছিয়ে দেন ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। অশান্তির জেরে সেই অধিবেশনও ভন্ডুল হয়ে যায়। ভন্ডুল হয়ে যায় ৬ ফেব্রুয়ারির অধিবেশনও। তার জেরে এখনও মেয়র পাননি দিল্লিবাসী। সেই মেয়র নির্বাচনই ফের হতে যাচ্ছে বৃহস্পতিবার।

    আরও পড়ুুন: বিপদের দিনে বন্ধুর পাশে, তুরস্ক-সিরিয়ায় আরও ত্রাণ পাঠাল ভারত

    ডিসেম্বর মাসে ভোট হয় দিল্লি পুরনিগমের। এই পুরনিগমের আসন সংখ্যা ২৫০। এর মধ্যে আপ পেয়েছিল ১৩৪টি আসন। গেরুয়া ঝুলিতে গিয়েছিল ১০৪টি। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর আগেই পুরসভায় ১০জনকে মনোনীত সদস্য হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই এ কাজ করছেন বলে অভিযোগ তুলেছিল আপ। এর পরেই আপ নেতৃত্ব প্রশ্ন তোলেন, দিল্লির সরকারকে এড়িয়ে কীভাবে লেফটেন্যান্ট গভর্নর ১০ জন আল্ডারম্যান নিয়োগ করে তাঁদের মেয়র নির্বাচনের ভোটাধিকার দিতে পারেন। এ নিয়েই অশান্তির সূত্রপাত। যার জেরে মাস দুয়েক কেটে গেলেও এখনও মেয়র পায়নি দিল্লি।

    দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী, হাউস মিটিংয়ে অল্ডারম্যানরা ভোট (Delhi Mayor Election) দিতে পারেন না। এই যুক্তিতেই লেফটেন্যান্ট গভর্নরের তীব্র বিরোধিতা করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আম আদমি পার্টির দাবি, দিল্লি পুরনিগমের রশি হাতে নিতে চাইছে বিজেপি। মেয়র পদে তারা একজন বিজেপি নেতাকে বসাতে চাইছে। যদিও পুরনিগমের ভোটে সব চেয়ে বেশি আসন পেয়েছে আপই। প্রসঙ্গত, এর আগে টানা ১৫ বছর দিল্লি পুরসভার ক্ষমতায় ছিল বিজেপি। গত ডিসেম্বরে সেই রাশই হাতছাড়া হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Narendra Modi: ‘‘মনোবল ধরে রাখাই সাফল্যের চাবিকাঠি’’! ‘পরীক্ষা পে চর্চা’-য় পড়ুয়াদের পরামর্শ মোদির

    Narendra Modi: ‘‘মনোবল ধরে রাখাই সাফল্যের চাবিকাঠি’’! ‘পরীক্ষা পে চর্চা’-য় পড়ুয়াদের পরামর্শ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোবল ধরে রেখে সঠিক পথে প্রস্তুতি নেওয়াই সাফল্যের চাবিকাঠি। শুক্রবার ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ অনুষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে এই বার্তাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সামনেই সারা দেশে শুরু হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের বোর্ডের পরীক্ষা। তাই পরীক্ষার্থীদের মানসিক চাপমুক্ত করতেই শুক্রবার আয়োজিত হল পরীক্ষা পে চর্চা। এদিন প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনল ৩৮ লাখ পড়ুয়া। গতবারের থেকে ১৫ লাখ বেশি, জানিয়েছেন কেন্দ্রের শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।

    সঠিক প্রস্তুতি প্রয়োজন

    প্রধানমন্ত্রী মোদি আজ তিনটি বিষয়ের উপর জোর দিয়েছেন। তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশে বলেছেন, সন্তানের উপর প্রত্যাশার বিপুল বোঝা চাপিয়ে দেবেন না। ওরা কতটা দিতে পারে, সেটা বিবেচনায় রেখে প্রত্যাশা করুন। পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে তাঁর উপদেশ, যত চাপই আসুক না কেন, তোমরা নিজেরা যতটা পূরণ করতে পারবে, ততটাই করার চেষ্টা করবে নিখুঁতভাবে। পরীক্ষার্থীদের তিনি আরও বলেন, কখনওই পরীক্ষায় অসৎ উপায় অবলম্বন করবে না। তাতে এক-দু’বার উতরে যেতে পারো। কিন্তু ভবিষ্যতে কোথাও না কোথাও আটকে যাবে। তাই সর্বদা সঠিক ও সৎ পথে চলার চেষ্টা করবে।

    এদিন সকাল ১১ টায় দিল্লির তালকাটোরা ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পরীক্ষা পে চর্চা অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়। এদিন অনুষ্ঠানটিতে ২ হাজার শিক্ষার্থী সরাসরি অংশগ্রহণ করে। বাকি পরীক্ষার্থীরা ভার্চুয়ালি সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের উত্তর দেন নরেন্দ্র মোদী। এদিন এক ছাত্রী প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেন, “যদি আমার রেজাল্ট ভালো না হয় তাহলে আমি পরিবারকে কীভাবে বোঝাব?” যার উত্তরে মোদি বলেন, “পরিবারের প্রত্যাশা থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু যদি সামাজিক স্ট্যাটাসের বিষয়ে অভিভাবকেরা ভাবেন তাহলে চিন্তার বিষয় রয়েছে। তবে পরীক্ষার্থীরা যদি নিজেদের লক্ষ্যে অবিচল থাকে সফল হবেই।” 

    আরও পড়ুুন: জীবন কাটছে জেলখানায় বন্দিদের মতো! চিনের শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের কী অবস্থা জানেন?

    আবার হার্ডওয়ার্ক নাকি স্মার্টওয়ার্ক, কোনটা বেশি জরুরি, এমনই প্রশ্ন করেন আরেক এক পড়ুয়া। যার জবাবে প্রধানমন্ত্রী কলসি থেকে কাকের জলপানের গল্প উল্লেখ করে বলেন, “অনেকে বরাবর কঠোর পরিশ্রম করেন। আবার কারোর জীবনে কঠোর পরিশ্রম শব্দটাই নেই। আবার কেউ স্মার্টলি হার্ডওয়ার্ক করেন। তাই সমস্যা সমাধানের জন্য পরিশ্রমের প্রয়োজন নাকি বুদ্ধিমত্তার তা আগে বুঝতে হবে।” পাশাপাশি সাফল্যের জন্য শিক্ষার্থীদের সময়ানুবর্তিতা অত্যন্ত জরুরি বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share