Tag: Delhi

Delhi

  • Covid-19: সাত মাসে সর্বোচ্চ দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা! ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা পজিটিভ ১১ হাজার ১০৯ জন

    Covid-19: সাত মাসে সর্বোচ্চ দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা! ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা পজিটিভ ১১ হাজার ১০৯ জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে ফের করোনা (Covid-19) গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Union Health Ministry) তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ১০৯ জন, যা গতকালের আক্রান্তের সংখ্যার তুলনায় ৯ শতাংশ বেশি। দেশে একদিনেই ফের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারের গণ্ডি পার করায় বর্তমানে দেশে সক্রিয় রোগীর (Active Cases) সংখ্যা বেড়ে ৪৯ হাজার ৬২২-তে পৌঁছেছে। বিগত সাত মাসে এটাই সর্বোচ্চ দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। অন্যদিকে, দেশে একদিনেই করোনা সংক্রমণে মৃত্যু (COVID Deaths) হয়েছে ২৯ জনের। 

    নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা

    স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কোভিডে (Covid-19) মৃত্যুর হার ১.১৯ শতাংশ। সুস্থতার হার ৯৮.৭১ শতাংশ। সুস্থতার হার স্বস্তিতে রাখলেও ঊর্ধ্বমুখী রেখচিত্র চিন্তায় রাখছে স্বাস্থ্য মন্ত্রককে। যে রাজ্যগুলির সংক্রমণ সবথেকে বেশি চিন্তা বাড়াচ্ছে, তার মধ্যে অন্যতম হল দিল্লি। রাজধানীতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৫২৭ জন। বর্তমানে রাজ্যে সংক্রমণের হার ২৭.৭৭ শতাংশ। সংক্রমণ বাড়ছে মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যেও। বৃহস্পতিবার শুধুমাত্র মুম্বইয়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৭৪ জন।

    আতঙ্কের কারণ নেই

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, করোনার সাময়িক প্রভাব বাড়ালেও আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। দেশ জুড়ে আগামী আট থেকে দশ দিনে ধাপে ধাপে সংক্রমণ বাড়লেও তার পর থেকে তা আবার কমতে শুরু করবে। স্বাস্থ্যকর্তাদের দাবি, আগামী মাসের গোড়া থেকেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠতে শুরু করবে। চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ মাস্ক পরা, হাত ধোয়া এবং করোনার পরীক্ষা করানোর মতো বিধির দিকে বিশেষ নজর দিতে বলেছেন। চিকিৎসকদের মতে, কোনও ভাবেই অসাবধান হওয়া যাবে না। 

    আরও পড়ুুন: শুরু সলতে পাকানোর কাজ, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন কবে?

    এরই মধ্যে নতুন কোভিড (Covid-19) গাইডলাইন প্রকাশ করেছে হরিয়ানা। সেখানকার স্বাস্থ্য দফতর নির্দেশ জারি করেছে, সমস্ত স্কুল, কলেজ, শপিং মল, হসপিটাল, অফিস-সহ সমস্ত পাবলিক প্লেসে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। এছাড়াও ব্যবহার করতে হবে স্যানিটাইজার। সমস্ত জায়গায় প্রবেশ করার সময়ে থার্মাল টেম্পারেচার স্ক্যানার বসাতেই হবে। বাচ্চা এবং বয়স্কদের ভিড়ে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। কিডনি, হার্টের অসুখ বা অন্য কোনও শারীরিক অসুস্থতা থাকলেও অধিক সাবধানতা অবলম্বন জরুরি। হাত মেলানো, জড়িয়ে ধরা এসব শারীরিক সংস্পর্শ এড়াতে হবে, যেখানে সেখানে থুতু ফেলা চলবে না। বিয়ে বা কোনও সামাজিক অনুষ্ঠান বিধি মেনেই করতে হবে। পাশাপাশি, কোনওরকম সর্দি, কাশি, জ্বরের উপসর্গ দেখা দিলেই সরকারি কর্মীদের অফিস না এসে বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে কোভিড টেস্ট করানোর কথাও। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA Protest: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আজ থেকে দিল্লিতে ধর্না রাজ্য সরকারি কর্মীদের

    DA Protest: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আজ থেকে দিল্লিতে ধর্না রাজ্য সরকারি কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ন্যায়ে বকেয়া ডিএ-র (DA Protest) দাবিতে আজ, সোমবার থেকে দিল্লির যন্তর-মন্তরে দু’দিনের অবস্থানে বসছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। একইসঙ্গে কলকাতাতেও আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল, দিল্লিতে ধর্নায় বসবেন ১২০০ ডিএ আন্দোলনকারী। তবে অমিত শাহের মন্ত্রকের শর্তে সেই সংখ্যা কমিয়ে ৫০০ করতে হয়েছে আন্দোলনকারীদের।

    রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাত

    সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে অবস্থান বিক্ষোভে যোগ দিতে অফিসে ছুটি নিয়ে রবিবার সকালেই দিল্লি পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রায় আড়াইশো জন রাজ্য সরকারি কর্মচারী। আরও শ’তিনেক কর্মী এদিন সকালে পৌঁছেছেন। বকেয়া (DA Protest) আদায়ে আন্দোলনকারীরা রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। মঞ্চ নেতৃত্বের দাবি, সকলেই তাঁদের দেখা করার সময় দিয়েছেন। এ দিকে দিল্লিতে এই অবস্থান চলাকালীনই কাল, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানি হওয়ার কথা। সেদিকেও নজর থাকবে ডিএ ধর্নায় অংশ নেওয়া সরকারি কর্মীদের। 

    কড়া পদক্ষেপ নবান্নের!

    এদিকে জানা গিয়েছে, মহার্ঘ ভাতার দাবিতে দিল্লিতে দু’দিনের ধর্নায় অংশ নিতে যাওয়া সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারে নবান্ন। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হবে, তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানা গিয়েছে। তবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার চিন্তা ভাবনা চলছে উচ্চ পর্যায়ে। তবে তাতে দিল্লি ধর্না কর্মসূচি বাতিল হচ্ছে না বলেই জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: কেষ্টর গড়ে দাঁড়িয়ে পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে উত্খাতের ডাক দিলেন শুভেন্দু

    মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষের বক্তব্য, ‘সরকারি কর্মীরা দিল্লির অবস্থানে গিয়েছেন ছুটি নিয়ে। কলকাতা ময়দানেও তাঁরা ছুটি নিয়েই অবস্থান চালাচ্ছেন।’ কিন্তু নবান্নর কর্তাদের প্রশ্ন, সকলে মিলে এ ভাবে ছুটি নিয়ে সরকার-বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া যায়? সরকারের মত, কর্মচারীদের ধর্নার ফলে সরকারি পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। সমস্যা হচ্ছে আমজনতার। তাই ধর্নায় যোগ দেওয়া সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। অপরদিকে ডিএ (DA Protest) আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে সরকারকে মৌখিক নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আন্দোলনকারীদের তরফে ৩ প্রতিনিধি এবং সরকারের তরফে মুখ্যসচিব ও অর্থসচিব সেই বৈঠকে থাকবেন। আগামী ১৭ এপ্রিল সেই বৈঠক হওয়ার কথা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA Protest: যন্তর-মন্তরে ধর্না, রাষ্ট্রপতির কাছে আর্জি! ডিএ-র দাবিতে দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা

    DA Protest: যন্তর-মন্তরে ধর্না, রাষ্ট্রপতির কাছে আর্জি! ডিএ-র দাবিতে দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ন্যায়ে ডিএ-র (DA Protest) দাবিতে এবার দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা। দিল্লির যন্তরমন্তরে কয়েকশো আন্দোলনকারী ১০ এবং ১১ এপ্রিল বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ধর্না দেবেন। কলকাতায় শহিদ মিনারের নীচেও কর্মসূচি চলবে। যন্তর মন্তরে ধর্না কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। 

    রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাত

    সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, প্রায় ৫০০ জন সরকারি কর্মচারী হাওড়া রাজধানী আর শিয়ালদহ রাজধানী ধরে দিল্লি যাবেন। হাওড়া দিয়ে ২০০ জনের মতো যেতে পারেন। আন্দোলনের মূল নেতা ভাস্কর ঘোষও সম্ভবত হাওড়া দিয়েই যাবেন৷ যাত্রা চলবে আগামিকালও। রাজধানীতে ধর্না কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তাঁরা। একই সঙ্গে কেন্দ্রের নিয়ম মেনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করবেন তাঁরা। রাষ্ট্রপতির কাছে নিজেদের ন্যায্য দাবির (DA Protest) কথা তুলে ধরবেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, দিল্লি গিয়ে রাষ্ট্রপতি ছাড়াও উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে ডেপুটেশন দেবেন সরকারি কর্মচারীরা।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অনুমতি

    শহিদ মিনার চত্বরে টানা ৪৪ দিন ধর্নার পরেও সরকারের কাছ থেকে বকেয়া ডিএ (DA Protest) নিয়ে আশার আলো দেখতে পায়নি রাজ্য সরকারি কর্মীরা। অন্যান্য রাজ্যের মহার্ঘ্য ভাতার অঙ্ক তুলনায় বেশি হলেও এ রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে তা কেন্দ্রীয় হারের তুলনায় অনেকটাই কম। এই অভিযোগে শহিদ মিনারের নীচে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার দাবি সহ একগুচ্ছ দাবি নিয়ে এক ছাতার তলায় আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মচারীরা। এবার সংগ্রামী যৌথ মঞ্চকে দিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্নার অনুমতি দিল অমিত শাহের মন্ত্রক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সেই অনুমতি মেলার পরেই আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে এবার রাজধানী সফরের তোড়জোড় তুঙ্গে এরাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের একাংশের।  

    আরও পড়ুন: অচেনা সাজ! সুখোই-৩০ এমকেআই ওড়ালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

    সম্প্রতি ডিএ (DA Protest) ইস্যু নিয়ে রাজ্যকে বিশেষ নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ১৭ এপ্রিলের মধ্যে যৌথ মঞ্চের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে রাজ্য সরকারকে। গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, “ডিএ আবেদন নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। সরকারের সঙ্গে ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা শুরু হওয়া উচিত। আন্দোলনকারীদের তরফে ৩ জন থাকতে পারেন। সরকারের তরফে মুখ্যসচিব বা এই স্তরের আধিকারিক আলোচনায় থাকুন।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Chit Fund Scam: চিটফান্ড কাণ্ডে গ্রেফতার অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক ম্যানেজার, তাঁর ছেলে ও পুত্রবধূ

    Chit Fund Scam: চিটফান্ড কাণ্ডে গ্রেফতার অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক ম্যানেজার, তাঁর ছেলে ও পুত্রবধূ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক ম্যানেজার এবং তার ছেলে ও পুত্রবধূকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। অভিযোগ ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজার ও তাঁর পরিবার ৩৬ জনের সঙ্গে ২০ কোটি টাকারও বেশি প্রতারণা করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন ইকবাল বাহাদুর সিং বাওয়েজা, তাঁর ছেলে পারমিত সিং বাওয়েজা এবং তাঁর পুত্রবধূ জসনীত কৌর বাওয়েজা।

    প্রতারণা চক্র

    পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০, ২০৯, ৩৪ এবং ১২০ বি ধারা এবং প্রাইজ চিটস এবং মানি সার্কুলেশন স্কিম (ব্যানিং) আইনের ৪, ৫, এবং ৬ এর অধীনে অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়েছে। সুরজিৎ সিং আনন্দ নামে একজন অভিযোগ করেছেন যে ইকবাল, পারমিত, জসনীত পিএসবি নামে একটি চিট ফান্ড চালাচ্ছেন। তারা রাজৌরি গার্ডেনে একটি ইলেকট্রনিক্স শোরুম এবং একটি ব্যাঙ্কুয়েট হল চালাচ্ছিল বলেও অভিযোগ।

    ভাল রিটার্নের লোভ

    পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মানুষকে ভাল রিটার্নের লোভ দেখিয়ে বিনিয়োগ করতে প্ররোচিত করতেন ইকবালরা। ঋণের নামে বিপুল পরিমাণ টাকা (প্রায় ২০ কোটি টাকা) বাজার থেকে তুলেছেন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে এই চিট ফান্ড কেলেঙ্কারিতে যুক্ত আরও কয়েকজনের খোঁজ চলছে। ইতিমধ্যেই অভিযোগকারীদের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। অভিযুক্তদের জেরা করছে পুলিশ। প্রাসঙ্গিক ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্টও যাচাই করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: রাম নবমীর মিছিলে নজরদারি ড্রোনের! বসানো হল কয়েকশো সিসিটিভি ক্যামেরা, কোথায় জানেন?

    ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (ইওডব্লিউ) অনিয়েশ রায় বলেছেন যে অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। পুলিশ তাঁদের খোঁজ করে। অবশেষে মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশের পান্নাতে তাঁদের খোঁজ মেলে। বুধবার পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করেছে। ইকবাল সরকারি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। স্বেচ্ছায় অবসর নেওয়ার পর, তিনি তার অবসরের অর্থ দিয়ে একটি চিট-ফান্ড কোম্পানি খোলেন। তাঁর পরিবারের সদস্যরাও এর সঙ্গে যুক্ত। তাঁরা উচ্চ সুদে মানুষের থেকে টাকা তুলতেন এবং পরে তা ঘুরিয়ে দিতেন। তাঁরা বিনিয়োগের নিরাপত্তা হিসাবে জনসাধারণকে চেক, প্রতিশ্রুতি নোট, অর্থপ্রদানের রসিদ ইত্যাদি দিতেন। কিন্তু পুরোটাই বেআইনি বলে দাবি পুলিশের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Satish Kaushik: ১৫ কোটি টাকার জন্য খুন করা হতে পারে সতীশকে, দাবি মহিলার

    Satish Kaushik: ১৫ কোটি টাকার জন্য খুন করা হতে পারে সতীশকে, দাবি মহিলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৫ কোটি টাকার জন্য খুন করা হয়ে থাকতে পারে সতীশ কৌশিককে (Satish Kaushik)। দিল্লির (Delhi) যে ব্যবসায়ীর খামারবাড়িতে হোলি পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল, তাঁর স্ত্রীর দাবি সতীশকে বিষ দিয়ে থাকতে পারেন তাঁর স্বামী। দিল্লি পুলিশের (Police) কাছে এই মর্মে অভিযোগও জানিয়েছেন ওই মহিলা। একটি চিঠিতে তিনি জানান, তাঁর স্বামীকে ১৫ কোটি টাকা ধার দিয়েছিলেন সতীশ। সেই টাকা ফেরত চেয়ে ব্যবসায়ীর সঙ্গে একবার বিদেশেও দেখা করেন সতীশ।

    সতীশ কৌশিক (Satish Kaushik)…

    ওই মহিলার দাবি, টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে ওঁদের দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কিও হয়েছিল। সতীশকে টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন বলে নাকি কথাও দিয়েছিলেন তিনি। ওই মহিলার দাবি, তাঁর স্বামীর খামারবাড়িতে হোলি পার্টিতে এসে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিনেতা। তাই অভিযোগকারিণীর ধারণা, তাঁর স্বামীই টাকা ফেরত দেওয়া থেকে বাঁচতে সতীশকে বিষজাতীয় কিছু দিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, দিল্লির ওই খামারবাড়ি থেকে বেশ কিছু সন্দেহজনক ওষুধ উদ্ধার করেছে দিল্লি পুলিশ। জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য ইতিমধ্যেই তলব করা হয়েছে ওই মহিলাকে।

    ওই মহিলা এমনতর দাবি করলেও, প্রয়াত অভিনেতার (Satish Kaushik) পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। সতীশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে দিল্লি পুলিশ। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রাখা হয়েছে সতীশের হৃৎপিণ্ড ও রক্তের নমুনা। প্রসঙ্গত, ৯ মার্চ আচমকাই সতীশের প্রয়াণের খবর আসে। তাঁর ম্যানেজার সন্তোষ রাই বলেন, সে রাতে সাড়ে আটটা নাগাদ খাবার খেয়ে শুয়ে পড়েন অভিনেতা। কারণ পরের দিন ভোরের ফ্লাইট ধরে মুম্বই ফেরার কথা ছিল তাঁর। রাত্রি ১১টা নাগাদ আমাকে ডাকেন। ওয়াইফাইয়ের পাসওয়ার্ড ঠিক করে দিতে বলেন। তার পর আমি ঘরে চলে যাই। রাত ১২.০৫ নাগাদ চিৎকার করে আমায় ডাকেন। ছুটে গেলাম ওঁর ঘরে।

    আরও পড়ুুন: বরাদ্দ প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা, তার পরেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ?

    বললেন, শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। ডাক্তারের কাছে নিয়ে চলো। সন্তোষ বলেন, কিছু দূর এগোনোর পরেই ওঁর (Satish Kaushik) বুকের ব্যথা বাড়তে থাকে। তাড়াতাড়ি চলো বলতে বলতে আমার কাঁধে মাথা দিয়ে বলেন, আমি মরতে চাই না। আমাকে বাঁচাও। সন্তোষ বলেন, হাসপাতাল পৌঁছতে আট মিনিট সময় লেগেছিল। কিন্তু তার আগেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর দাবি, সেদিন সকালেই সতীশ তাঁকে বলেছিলেন, মেয়ে বংশীকার জন্য বাঁচতে চাই। তবে মনে হচ্ছে, বেশি দিন বাঁচব না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: বার্গার, কোল্ড কফি থেকে মাছের ঝোল-ভাত! ইডি হেফাজতে কেমন কাটছে অনুব্রতর?

    Anubrata Mondal: বার্গার, কোল্ড কফি থেকে মাছের ঝোল-ভাত! ইডি হেফাজতে কেমন কাটছে অনুব্রতর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রতর রসনাতৃপ্তিতে কসুর করছেন না ইডি আধিকারিকেরা। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে ম্যাকডোনাল্ডস থেকে বার্গার, সুগার ফ্রি কোল্ড কফি আসে কেষ্ট-র জন্য। দুপুরের আহারে অনুব্রতর আব্দার মেনে মাছের ঝোল, ভাতের সঙ্গে শেষ পাতে রাখা হয় সন্দেশের ব্যবস্থাও। বাংলা থেকে বহু দূরে ভোজন রসিক অনুব্রতের জন্য বেশ ভাল ব্যবস্থাই করছে ইডি।

    শুক্রবার গরু-পাচার মামলায় অনুব্রতকে আরও ১১ দিনের ED হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সবুজ রঙের একটি পাঞ্জাবিতে দেখা যায় অনুব্রত মণ্ডলকে। কোনও কথা বলেননি তিনি। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ম্যারাথন জেরা করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। তবে রাতে তাঁর পাতে পড়েছিল বাঙালি খাবার। তিনি খেয়েছিলেন ভাত, ডাল, মাছের ঝোল, আলু পোস্ত। শুক্রবার সকালে উঠেই তিনি কফি এবং বাটার টোস্ট খেয়েছিলেন।

    হিন্দি জানেন অনুব্রত!

    এদিন আদালতে ইডি-র আইনজীবী নীতেশ রানা জানান, গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল হিন্দি, ইংরেজি কিছুই বোঝেন না। শুধুই বাংলা বোঝেন। তিনি লিখতেও পারেন না। তাই জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। তখন বিচারক রঘুবীর সিং অনুব্রতকে প্রশ্ন করেন, ‘আপকো হিন্দি নহি আতি?’ অনুব্রত উত্তর দেন ‘নহি!’ বিচারক ফের প্রশ্ন করেন, ‘আপকো স্রিফ বাংলা আতি হ্যায়?’ অনুব্রত উত্তর দেন,‘হ্যাঁ।’ বিচারকের হিন্দি প্রশ্নের উত্তর অনুব্রত ঠিকঠাক দেওয়ায় আদালতে ওঠে হাসির রোল। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন অনুব্রতের আইনজীবী মুদিত জৈন।

    আরও পড়ুন: গ্রুপ সি- র বাতিল হওয়া তালিকায় মুখ্যমন্ত্রীর ভাইঝি!  

    আপাতত অনুব্রতের ঠিকানা

    প্রসঙ্গত, আসানসোল সংশোধনাগারে থাকাকালীন নিজের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এদিন তাঁর শরীর কেমন রয়েছে জানতে চায় আদালত।  ইডি-র আইনজীবী রানা বলেছেন, অনুব্রত ‘ফিট অ্যাজ় এ ফিডল’ এবং ‘হেল অ্যান্ড হার্টি’ রয়েছেন। রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে তাঁকে ডাক্তাররাও ‘ফিট’ বলে জানিয়েছেন। আপাতত, আগামী ১১ দিন দিল্লিতে ইডির সদর দফতরই অনুব্রতের ঠিকানা। বীরভূমের একসময়ের এই দাপুটে নেতার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে একটি সিঙ্গল রুম। ঘরে রয়েছে একটি ছোট খাট, এসি এবং ফ্যান। ঘরের সঙ্গেই রয়েছে শৌচালয়। এমনকি, ঘর লাগোয়া একটি কেবিনও রয়েছে। সেই কেবিনেই অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করছেন তিন আধিকারিক। তাঁদের মধ্যে বাংলা জানা একজন দোভাষী ব্যাঙ্ককর্মীও রয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: প্রশ্নবাণে চোখ ছলছল! ইডির জেরায় ভেঙে পড়লেন কেষ্ট মণ্ডল

    Anubrata Mondal: প্রশ্নবাণে চোখ ছলছল! ইডির জেরায় ভেঙে পড়লেন কেষ্ট মণ্ডল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হোলির দিন ইডির জেরায় ক্লান্ত অনুব্রত (Anubrata Mondal)। সূত্রের খবর, বুধবার দুপুরে যখন তদন্তকারী আধিকারিকরা লম্বা প্রশ্নপত্র নিয়ে টানা জেরা করছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে-তখন কেষ্ট কার্যত ভেঙে পড়েন। ইডি-র স্পেশাল ডিরেক্টর, দাপুটে আইপিএস সনিয়া নারাংয়ের নেতৃত্বে ছ’জন আধিকারিকের বিশেষ দল প্রশ্নপত্রের সঙ্গেই অনুব্রতর সামনে তুলে ধরেন তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল, বীরভূমের একটি ট্রাস্টের কর্তা মলয় পীঠ এবং একদা তাঁর ঘনিষ্ঠ দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের বয়ান। আজ, বৃহস্পতিবার সকালে কেষ্টর সঙ্গে তাঁর আইনজীবীরা কথা বলতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।

    বিচারক রাকেশ কুমার অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) তিন দিনের জন্য ইডি হেফাজতে রেখে শুক্রবার ফের আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। অনুব্রতদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁর কোনও এক জন আইনজীবী ইডি দফতরে হাজির থাকবেন। যদিও তিনি কোনও কথাবার্তা শুনতে পাবেন না। ইডির তরফে বিচারককে জানানো হয়েছিল, এই মামলায় ৩-৪ জন অভিযুক্তকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা এখন জেলে। চার্জশিটও দায়ের হয়েছে। 

    কী কী জানতে চাইল ইডি?

    গরু পাচারে যে কোটি কোটি টাকার বেআইনি লেনদেন হয়েছে, তার সঙ্গে অনুব্রতের (Anubrata Mondal) যোগ নিয়ে তদন্তকারীরা চেপে ধরতে একটা সময়ে ছলছলে চোখে ভেঙে পড়েন কেষ্ট। ইডি সূত্রের খবর, তিনি বারবার তদন্তকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন- তিনি নির্দোষ। ইডি-র আধিকারিকরা অনুব্রতর কাছ থেকে মূলত কয়েকটি প্রশ্নের নির্দিষ্ট উত্তর চাইছেন। তা হল, বীরভূমের ইলামবাজারের হাট থেকে গরু বেআইনি ভাবে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পার করে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কাকে, কী অঙ্কের প্রোটেকশন মানি বিভিন্ন স্তরে দেওয়া হতো? তা কি কেষ্টই ঠিক করতেন? পাচারের কোটি কোটি টাকা কোথায় কোথায় সরানো হয়েছে? বহু সাধারণ মানুষের নামে অ্যাকাউন্ট খুলে যে আর্থিক লেনদেন করা হয়েছে, সে সব কি অনুব্রতরই মস্তিষ্কপ্রসূত? এই জেরাপর্বে ইডির আধিকারিকদের কাছে বড় হাতিয়ার ছিল সুকন্যা, সায়গল, মলয়ের বয়ানের পাশাপাশি বীরভূমের বেশ কয়েকটি চালকলের মালিক, ব্যবসায়ীদের বক্তব্যও- যাঁদের সঙ্গে এর আগে বিভিন্ন সময়ে কথা বলেছেন তদন্তকারীরা। কয়েকজন চালকল-কোল্ড স্টোরেজ মালিক, ব্যবসায়ীর কথা তদন্তকারীরা বললেও তাঁদের চিনতে অস্বীকার করেন কেষ্ট। 

    আরও পড়ুন: ভাবাদিঘিকে বাঁচাতে একজোট গ্রামবাসীরা, থমকে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপথ সংযোগের কাজ

    বুধবার, বেলা ১১টা থেকে ঘণ্টাখানেক তাঁর সঙ্গে একপ্রস্ত কথা বলেন তদন্তকারীরা। আদালতের নির্দেশে এদিন ফের রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। প্রথমে তদন্তকারীদের বেশির ভাগ প্রশ্নে নিরুত্তরই ছিলেন। তদন্তকারীরা এদিন কেষ্টর কাছ থেকে নথিপত্র দেখিয়ে এ-ও জানতে চান, কীভাবে বছরের পর বছর তাঁর আয় ও সম্পত্তি বেড়েছে? পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা, এমনকী দিল্লি, গাজিয়াবাদ-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যে সব সম্পত্তির হদিশ মিলেছে, তার সঙ্গে তাঁর বা তাঁর পরিবার-পরিচিত-ঘনিষ্ঠদের কী যোগ- তাও জানতে চাওয়া হয়। ইডি মূলত জানার চেষ্টা করছে গরু পাচারের মানি-ট্রেল, অর্থাৎ টাকা কোথায়, কী ভাবে সরানো হয়েছে।

    শুক্রবার দুপুরে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে তোলা হবে। সেখানে ইডি ফের অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইবে। তার আগে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আড়াই দিনে যতটা সম্ভব জিজ্ঞাসাবাদ সেরে ফেলতে চাইছেন ইডি-র অফিসাররা। তার জন্য ইডি-র স্পেশাল ডিরেক্টর সনিয়া নারাং, অ্যাস্টিট্যান্ট ডিরেক্টর পঙ্কজ কুমারের নেতৃত্বে দল তৈরি হয়েছে। অনুব্রতের শারীরিক অবস্থা নিয়ে ইতিমধ্যেই তাঁর আইনজীবীরা প্রশ্ন তুলে রেখেছেন। ইডি-র হেফাজতে থাকার সময় তৃণমূল নেতার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তার দায় তদন্তকারীদের উপরে এসে পড়তে পারে। তাই পুরো জিজ্ঞাসাবাদের পর্বই ভিডিয়ো রেকর্ডিং করে রাখা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: অনুব্রতকে নিয়ে দিল্লি উড়ে গেলেন ইডি আধিকারিকরা

    Anubrata Mondal: অনুব্রতকে নিয়ে দিল্লি উড়ে গেলেন ইডি আধিকারিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) নিয়ে দিল্লির উড়ান ধরলেন ইডি আধিকারিকরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি বেসরকারি উড়ান সংস্থার বিমানে দিল্লি নিয়ে গেল ইডি। এর আগে বিমানবন্দরে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি দাবি করেন, তাঁর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তাঁকে ইনহেলারও নিতে দেখা যায়। যদিও এ ব্যপারে কোনও মন্তব্য করেনি ইডি (ED)।

    অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)…

    এদিনই অনুব্রতকে আদালতে পেশ করার কথা ছিল। কিন্তু যেহেতু তাঁকে নিয়ে দিল্লি যেতে রাত হবে, তাই এদিন অনুব্রতকে রাখা হবে ইডি দফতরে। বুধবার পেশ করা হবে আদালতে। তবে এদিন দিল্লি পৌঁছে ফের এক প্রস্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে অনুব্রতর। এ জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হতে পারে দিল্লির সফদরজং হাসপাতাল কিংবা রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে। সেখানে সুস্থতার শংসাপত্র মিললে নিয়ে যাওয়া হবে ইডি দফতরে।

    এদিন সকাল ৭টা নাগাদ গরু পাচারকাণ্ডে (Cattle Smuggling Scam) অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। তাঁকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কন্ট্রোলার কৃশানু গঙ্গোপাধ্যায় ও তাঁর একজন সহযোগীকে পাঠানো হয়। নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের এক ইন্সপেক্টর, তিনজন সাব ইন্সপেক্টর ও ১২ জন সশস্ত্র পুলিশের একটি বিশেষ বাহিনীকে। সঙ্গে ছিল দুটি পাইলট কার। অ্যাম্বুলেন্সে করে পাঠানো হয়েছিল জেলা হাসপাতালের একজন চিকিৎসক ও তাঁর একজন সহযোগীকে।

    এদিন সকালে আসানসোল জেলের সামনে কিছু মানুষ জমায়েত করেছিলেন। অনুব্রতকে লক্ষ্য করে কটাক্ষও ছুড়ে দেন কেউ কেউ। কেষ্টদা দিল্লি যাচ্ছেন নাকি? এই ধরনের টিপ্পনিও ভেসে আসতে শোনা গিয়েছে। জেলের সামনে উপস্থিত রাজা মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি বলেন, অনুব্রত মণ্ডল যাওয়ার পর আসানসোল পবিত্র হল। আমরা শুদ্ধিকরণ করব।

    আরও পড়ুুন: কাঠফাটা গরম, কীভাবে মোকাবিলা? উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী

    গত বছর অগাস্ট মাসে গ্রেফতার করা হয় অনুব্রতকে। গরু পাচার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার পর থেকে আদালতের নির্দেশে আসানসোল জেলেই ছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। সম্প্রতি তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কলকাতায় নিয়ে গিয়ে কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতাল থেকে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা বলা হয়েছিল। সেই কারণে কলকাতা পর্যন্ত তাঁকে সুরক্ষা কে দেবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এদিন কলকাতায় নিয়ে গিয়ে তাঁকে তুলে দেওয়া হয় ইডির হাতে।

    এই মামলায় দিল্লিতে আগে থেকেই জেলবন্দি রয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন এবং গরু পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামুল হক। অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর তাঁকে এবং সায়গলকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Anubrata Mondal: অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা নিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ সুকান্ত, শুভেন্দু, দিলীপের

    Anubrata Mondal: অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা নিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ সুকান্ত, শুভেন্দু, দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে যাওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত। আদালতের নির্দেশের পরও নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়ে একে অপরের দিকে দায় ঠেলছে ইডি ও রাজ্য পুলিশ। এরই মধ্যে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দিল্লি যাত্রা নিয়ে কার্যত এক সুরে কথা বললেন বঙ্গ বিজেপির অন্যতম দুই প্রধান মুখ শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদার। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, “বিষয়টা অনেকদিন ধরেই চলছে। হয়ত আর একটাই জায়গায় যাওয়া বাকি আছে, সেটা হল সুপ্রিম কোর্ট। সেখানে যাওয়ার জন্যই হয়ত অপেক্ষা করছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তো ১৩ মার্চের আগে খুলবে না। এখন ছুটি চলছে। দিল্লি যেতেই হবে অনুব্রতকে।”

    ইডি-রাজ্য পুলিশ দ্বন্দ্ব

    অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দিল্লি যাত্রা নিয়ে টানাপড়েন চলছে জেল কর্তৃপক্ষ, আসানসোল কমিশনারেটের পুলিশ ও কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা ED-র মধ্যে। শনিবার, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি নির্দেশ দেন, শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে, অনুব্রত মণ্ডলকে বিমানে দিল্লি নিয়ে যেতে হবে। কলকাতায় কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে কোনও হাসপাতালের চিকিৎসকরা অনুব্রত মণ্ডলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ফিট সার্টিফিকেট দিলে, তারপরই তাঁকে ইডির হাতে তুলে দেওয়া যাবে। কিন্তু আসানসোল সংশোধনাগার থেকে কে অনুব্রতকে কলকাতায় নিয়ে আসবে ইডি না আসানসোল কমিশনারেট তাই নিয়েই জল্পনা চলে রবিবার সারাদিন।

    আরও পড়ুন: ইডি না আসানসোল পুলিশ! আজ আদালতই ঠিক করবে অনুব্রতকে কারা নিয়ে যাবে দিল্লি?

    এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথায়, “সরকার ও শাসকদল ওঁকে ক্রমাগত আড়াল করে চলেছে। তদন্তে সব ধরনের অসহযোগিতা করছে। যাঁকে বীর, বাঘ বলা হচ্ছিল তাঁকে এখন একা ছেড়ে দিচ্ছে। কোনও সুরক্ষা দিচ্ছে না। এই চালাকি বেশিদিন চলবে না। তিহার জেলে অনুব্রত মণ্ডলকে যেতেই হবে।” অনুব্রতের (Anubrata Mondal) প্রসঙ্গে বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষেরও কটাক্ষ, ”রাজ্য সরকার মুখ্যমন্ত্রীকে, তার ভাইপোকে, নেতা মন্ত্রীদের সুরক্ষা দিতে পারছে, বাড়ি বাড়ি পুলিশ দিতে পারছে। আর অনুব্রত যখন সিবিআই এর হাতে আছে তখন সুরক্ষা দিতে পারছে না। তাহলে সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন। রাজ্যের আইন কানুনের যা অবস্থা তা পুলিশ আর সামাল দিতে পারছে না। শুধু অনুব্রত না গোটা রাজ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

  • Anubrata Mondal: ইডি না রাজ্য পুলিশ? অনুব্রতকে কে নিয়ে যাবে দিল্লি? ঠিক করবে আদালত!

    Anubrata Mondal: ইডি না রাজ্য পুলিশ? অনুব্রতকে কে নিয়ে যাবে দিল্লি? ঠিক করবে আদালত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের তৃণমূল নেতাকে নিরাপত্তা দিয়ে কারা কলকাতায় পৌঁছে দেবে, সেই প্রশ্নে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে ইডির (ED) দড়ি টানাটানি অব্যাহত। প্রশাসনিক জটিলতার জেরে আপাতত থমকেই অনুব্রতের দিল্লি যাত্রা। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট রবিবার দুপুরেই জানিয়ে দেয় যে, তাদের পক্ষে অনুব্রতকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। ইডি সূত্রে খবর, তারা জেলে এসে কেষ্টকে নিয়ে দিল্লি যাবে না। যেভাবে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেভাবেই অনুব্রতকে রাজধানীতে নিয়ে যাওয়া হোক চাইছে ইডি। আসানসোল জেল সূত্রে খবর, এই জটিলতা কাটাতে জেল কর্তৃপক্ষের তরফে আজ, সোমবারই গোটা বিষয়টা আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে জানানো হবে। কোর্ট যা বলবে, তার ওপর নির্ভর করছে কেষ্টর ভাগ্য!

    অনুব্রতকে নিয়ে দিল্লি যাবে কারা? 

    কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, অনুব্রতের শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে, তাঁকে বিশেষ বিমানে দিল্লি নিয়ে যেতে হবে। কলকাতায় কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে কোনও হাসপাতালের চিকিৎসকরা অনুব্রত মণ্ডলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ফিট সার্টিফিকেট দিলে, তারপরই তাঁকে ইডির ( ED ) হাতে তুলে দেওয়া হবে। এরপর জেল কর্তৃপক্ষ অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য নিরাপত্তার ব্য়বস্থা করার বিষয়ে আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটকে জানায়। কেন্দ্রীয় সরকারের হাসপাতালে রাজ্য পুলিশ কী করে নিয়ে যাবে, এই যুক্তিতে বাহিনী পাঠানো যাবে না বলে জানায় কমিশনারেট। এই প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ রাজ্য সরকার মুখ্যমন্ত্রী, তাঁর ভাইপো, তৃণমূলের নেতাদের নিরাপত্তা দিতে পারছে। অথচ অনুব্রতকে দিতে পারছে না? সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে অনুব্রতকে তুলে নিয়ে যাওয়া উচিত। ‘

    আরও পড়ুুন: আরজেডি-র সঙ্গ ছেড়ে ফের বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছেন নীতীশ?

    আদালতের দ্বারস্থ আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ

    সূত্রের দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি-যাত্রা নিয়ে ধোঁয়াশার আবহে, তাদের কী করণীয়, তা জানতে চেয়ে সোমবারই আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের দ্বারস্থ হবে আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষ। এর আগে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তখন, আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সাব ইন্সপেক্টর, অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর এবং ৫জন বন্দুকধারী পুলিশ কর্মীর ঘেরাটোপে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয় সায়গলকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

LinkedIn
Share