Tag: Democratic

Democratic

  • Anti Hindu: নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র হলেন ‘হিন্দু বিদ্বেষী’ ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জোহরান মামদানি

    Anti Hindu: নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র হলেন ‘হিন্দু বিদ্বেষী’ ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জোহরান মামদানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিউ ইয়র্ক সিটির ১১১তম মেয়র নির্বাচিত হলেন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জোহরান মামদানি (Zohran Mamdani)। তিনি রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী কার্টিস স্লিওয়া এবং নিউ ইয়র্কের প্রাক্তন গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমোকে পরাস্ত করেন। মামদানি হলেন নিউ ইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র (Anti Hindu)। উগান্ডায় জন্ম নেওয়া বছর চৌত্রিশের এই ব্যক্তি কুইন্স স্টেট অ্যাসেম্বলির সদস্য এবং ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্ট ৫০ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়া মোট ভোটের মাত্র ৭ শতাংশের সামান্য কিছু বেশি পেয়েছেন। আর ৪০ শতাংশের একটু বেশি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন কুয়োমো। চলতি বছরের জুন মাসে অনুষ্ঠিত ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারিতে কুয়োমোকে পরাজিত করেছিলেন মামদানি।

    মামদানির ঐতিহাসিক জয় (Anti Hindu)

    মামদানির এই ঐতিহাসিক জয়ের খবর এল এমন একটা সময়, যখন দেশজুড়ে ডেমোক্র্যাটরা বেশ কয়েকটি নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে ভার্জিনিয়ার প্রথম নারী গভর্নরের নির্বাচনও। ডেমোক্র্যাটরা আরও পাঁচটি কংগ্রেশনাল আসনও দখল করে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এই নির্বাচনে প্রায় ২০ লাখ নিউ ইয়র্কবাসী ভোট দেন। ১৯৬৯ সালের পর থেকে এটি শহরের মেয়র নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোটারের অংশগ্রহণ। মামদানি গত এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ মেয়র (Zohran Mamdani)। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহর ও আর্থিক কেন্দ্রের প্রথম আফ্রিকায় জন্ম, ভারতীয় বংশোদ্ভূত মেয়র। তিনি প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত এবং প্রথম আফ্রিকায় জন্মগ্রহণকারী মেয়রও।

    হাউজিং কাউন্সিলর

    সংবাদ মাধ্যমে নির্বাচনের ফল ঘোষণা হতেই উল্লাসে ফেটে পড়েন তাঁর অনুরাগীরা। ১ জানুয়ারি শপথ নেবেন তিনি (Anti Hindu)। উগান্ডার কাম্পালায় অভিবাসী বাবা-মায়ের ঘরে জন্ম নিয়েছিলেন মামদানি। বেড়ে ওঠা ম্যানহাটনে। সেখানকার একটি পাবলিক স্কুলে পড়াশোনা করেন তিনি। স্নাতক হন নিউ ইংল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এরপর তিনি হাউজিং কাউন্সিলর হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন। ভাড়াটিয়া অধিকার এবং আবাসন ব্যয়সাধ্যতার সমস্যাগুলির ওপর কাজ করেন তিনি। মামদানি মীরা নায়ারের ছেলে। এই মীরা নায়ারই নির্মাণ করেছিলেন ‘মনসুন ওয়েডিং’ এবং ‘সালাম বম্বে’র মতো বিখ্যাত চলচ্চিত্র। মামদানির বাবা মাহমুদ মামদানি উগান্ডার শিক্ষাবিদ। তিনি উপনিবেশবাদ এবং আফ্রিকান গবেষণা সম্পর্কিত পাণ্ডিত্যের জন্য পরিচিত। তিনিও ভারতীয় বংশোদ্ভূত।

    মামদানির পোস্ট

    জয়ের খবর পাওয়ার পর মামদানি এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যায়, মেট্রো রেলের দরজা খুলছে, আর দেওয়ালে লেখা, ‘জোহরান ফর নিউ ইয়র্ক সিটি’। মুহূর্তে ভাইরাল হয় ভিডিওটি। মামদানি বলেন, “এই শহর সবার। আমরা এক সঙ্গে ন্যায় ও সহানুভূতির পথে এগিয়ে যাব। নিউ ইয়র্ক এখন নতুন দিগন্তের দিকে হাঁটছে।”

    হিন্দু বিদ্বেষ

    রাজনীতির জগতে পা রাখার আগে মামদানি ছিলেন নিতান্তই এক অচেনা মুখ। কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এবং হিন্দু-বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের জেরে দ্রুতই তিনি চলে আসেন খবরের শিরোনামে। ২০২২ সালের (Zohran Mamdani) অগাস্টের একটি ভিডিওয় দেখা যায়, তিনি একটি মিছিলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই মিছিলে থাকা লোকজন লাগাতার হিন্দুদের বিরুদ্ধে কুরুচিকর স্লোগান দিচ্ছিল। ঘটনাটি ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনকে তিনি একটি ‘মসজিদ ধ্বংসের উদযাপন’ এবং ‘নির্যাতনের অস্ত্র’ আখ্যা দেন (Anti Hindu)।

    মামদানির বিতর্কিত মন্তব্য

    মামদানি গত বছর নিউ ইয়র্ক সিটিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠাকে ‘হিন্দুত্বের চরমপন্থা’ বলে দাবি করেছিলেন। তিনি এও বলেছিলেন, “গুজরাট দাঙ্গার সময় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুসলমানদের হত্যায় সাহায্য করেছিলেন।” মোদির সমর্থক হিন্দুদের তিনি ‘ফ্যাসিবাদী’ও আখ্যা দেন। মে মাসে নিউ ইয়র্ক ফোকাস আয়োজিত এক জনসভায় মামদানি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ বলে অভিহিত করেন। তাঁকে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে তুলনাও করেন (Anti Hindu)। তিনি ‘গ্লোবালাইজ দ্য ইনতিফাদার’ মতো ইহুদি-বিরোধী গণহত্যামূলক স্লোগানকেও সমর্থন করেন।

    ইহুদি-বিরোধী গোষ্ঠীর কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ

    হিন্দু-বিরোধী সংগঠন ‘কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস (CAIR)’ এবং অন্যান্য ইহুদি-বিরোধী গোষ্ঠীর কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার অভিযোগের কালিও লেগেছে তাঁর গায়ে। ফোবর্সের তথ্য অনুযায়ী, মামদানির মোট সম্পদের পরিমাণ ২ থেকে ৩ লাখ ডলারের মধ্যে বলে অনুমান। এর বেশিরভাগই সম্পত্তি উগান্ডায় পারিবারিক মালিকানাধীন জমি থেকে। এর মূল্য দেড় থেকে আড়াই লাখ ডলারের মধ্যে। নিউ ইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলির সদস্য হিসেবে তাঁর বার্ষিক বেতন ১.৪২ লাখ ডলার (Zohran Mamdani)।

    ট্রাম্পের হুমকি

    মামদানির জয়ের পর শুরু হয়েছে বিতর্ক। রিপালিকান শিবির থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁকে ‘চরমপন্থী ডেমোক্র্যাটিক রাজনীতির প্রতীক’ বলে আক্রমণ শানিয়েছেন। নির্বাচনের দিন সকালেই ট্রাম্প হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, “যদি মামদানি জেতেন, তবে আমি নিউইয়র্ক শহরকে ফেডারেল সরকারের অতিরিক্ত অর্থ সাহায্য বন্ধ করে দেব (Anti Hindu)।”

    এখন ট্রাম্প কী ব্যবস্থা নেন, সেটাই দেখার।

  • Joe Biden: নিম্নকক্ষে হার বাইডেনের দলের, কী বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট?

    Joe Biden: নিম্নকক্ষে হার বাইডেনের দলের, কী বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সত্যি হল আশঙ্কা। আমেরিকায় শাসক দল ডেমোক্র্যাটিক (Democratic) পার্টির নানা নীতির কারণে ক্ষুব্ধ ছিলেন সাধারণ মানুষ। সেই ক্ষোভের ফল যে ভোটের বাক্সে পড়বে, সেই আশঙ্কা ছিলই। মঙ্গলবার হওয়া মধ্যবর্তী নির্বাচনে শাসক দল ডেমোক্র্যাটরা সংসদের উচ্চকক্ষ সেনেটে ক্ষমতা দখল করলেও, মুখ থুবড়ে পড়েছে নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভে। হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের রাশ গিয়েছে রিপাবলিকানদের (Republicans) হাতে। দিনটি গণতন্ত্রের পক্ষে শুভ বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)।

    মঙ্গলবারই প্রকাশিত হয়েছে আমেরিকার মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফল। মার্কিন সংসদের দুটি কক্ষ। একটি উচ্চকক্ষ, নাম সেনেট। আর একটি নিম্নকক্ষ, নাম হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ। ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, সেনেটে একশোটি আসনের মধ্যে ডেমোক্র্যাটরা জয়ী হয়েছেন ৪৮টি আসনে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল রিপাবলিকানরা পেয়েছে ৪৭টি আসন। নির্দল প্রার্থীদের হাতে গিয়েছে দুটি আসনের রশি।

    কোন দলের দখলে ক’টি আসন?

    এদিকে, হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে ডেমোক্র্যাট প্রার্থীরা পেয়েছেন ১৭৩টি আসন। আর ট্রাম্পের দল পেয়েছে ১৯৮টি আসন। অথচ গতবার বাইডেনের দল ডেমোক্র্যাটরা পেয়েছিল ২২০টি আসন। এবার সেখানেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের (Joe Biden) দলকে ঘোল খাইয়ে ছেড়েছে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল।

    আরও পড়ুন: কাটল আইনি বাধা, এবার ভারতে প্রত্যর্পণ নিশ্চিত নীরব মোদির?

    মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হতেই যারপরনাই উল্লসিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) শিবির। ফল প্রকাশের পর তিনি বলেন, গতকালের নির্বাচনের ফল কিছুটা হতাশাজনক হলেও, ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এটা অনেক বড় জয়। ২১৯টি আসনে জয় ও মাত্র ১৬টি আসনে হার হয়েছে। তিনি বলেন, এর থেকে ভাল ফল আর কে করেছে? নির্বাচনের ফলে খুশি হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভে স্পিকার হতে চলা কেভিন ম্যাককার্থি। তিনি বলেন, আমরা যে হাউস দখল করব, এটা তো স্পষ্ট।

    ফল প্রকাশের দিনটিকে গণতন্ত্রের জন্য শুভ দিন বলেই মনে করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের জন্য আজ একটা ভাল দিন বলেই মনে করি আমি। একই সঙ্গে আমেরিকার জন্যও ভাল দিন আজ। তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যম ও পণ্ডিতরা হাওয়া বদলের কথা বললেও, তা হয়নি। এদিকে, ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের প্রার্থী হতে চলেছেন বাইডেন (Joe Biden)। এদিন হোয়াইট হাউসে তিনি বলেন, আমরা আবার একবার নির্বাচনের দৌড়ে থাকব। তিনি বলেন, এটা আমাদের পারিবারিক সিদ্ধান্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

     

LinkedIn
Share