Tag: Devendra fadnavis

Devendra fadnavis

  • Devendra Fadnavis: “প্রতারণার মাধ্যমে তফশিলি জাতির শংসাপত্র পেলে তা বাতিল করা হবে,” সাফ জানালেন ফড়নবীশ

    Devendra Fadnavis: “প্রতারণার মাধ্যমে তফশিলি জাতির শংসাপত্র পেলে তা বাতিল করা হবে,” সাফ জানালেন ফড়নবীশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “হিন্দু, বৌদ্ধ অথবা শিখ ধর্ম ছাড়া অন্য কোনও ধর্মাবলম্বী ব্যক্তি প্রতারণার মাধ্যমে তফশিলি জাতির শংসাপত্র পেয়ে থাকেন, তবে তা বাতিল করে দেওয়া হবে।” আইন পরিষদে এমনই মন্তব্য করেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ (Devendra Fadnavis)। তিনি বলেন, “এমনকি কেউ যদি এই জাল শংসাপত্রের ভিত্তিতে সরকারি চাকরির মতো ক্ষেত্রে সংরক্ষণের সুবিধা নিয়ে থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ যদি এই ধরনের ভুয়ো তফশিলি জাতির শংসাপত্র ব্যবহার করে কোনও নির্বাচনে জিতে থাকেন, তাহলে তাঁর সেই জয়ও বাতিল বলে গণ্য করা হবে।” মনোযোগ আকর্ষণের মোশনের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রাজ্য সরকার জোরপূর্বক ও প্রতারণার মাধ্যমে ধর্মান্তরের ঘটনাগুলির মোকাবিলায় কঠোর আইন আনার পরিকল্পনা করছে (Supreme Court)।”

    ধর্মীয় স্বাধীনতার অপব্যবহার (Devendra Fadnavis)

    প্রসঙ্গত, বিজেপির অমিত গোরখে দাবি করেছিলেন, ধর্মীয় স্বাধীনতার অপব্যবহার করা হচ্ছে “ক্রিপ্টো খ্রিস্টান”দের দিয়ে। তাঁর কথায়, “কিছু মানুষ তফশিলি জাতি শ্রেণির অধীনে সংরক্ষণের সুবিধা নিচ্ছেন, অথচ তাঁরা অন্য ধর্মের অনুসারী।” প্রসঙ্গত, “ক্রিপ্টো খ্রিস্টান” বলতে বোঝানো হয় এমন লোকদের, যাঁরা বাইরে থেকে অন্য কোনও ধর্মের অনুসারী বলে পরিচিত, কিন্তু গোপনে খ্রিস্টান ধর্ম পালন করেন। তিনি বলেন, “বাইরে থেকে দেখতে গেলে তাঁরা এসসি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত এবং সেই হিসেবে তাঁরা সরকারি চাকরির মতো ক্ষেত্রে সংরক্ষণের সুবিধা ভোগ করেন।”

    সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উল্লেখ

    ফড়নবীস বলেন, “২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট একটি রায় দিয়েছিল। সেখানে পরিষ্কার বলা হয়েছে যে তফশিলি জাতিভুক্ত (SC) সংরক্ষণের সুবিধা পেতে পারেন কেবলমাত্র হিন্দু, বৌদ্ধ ও শিখ ধর্মাবলম্বীরাই। অন্য কোনও ধর্মাবলম্বী এই সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না।” তিনি বলেন, “যদি হিন্দু, বৌদ্ধ বা শিখ ছাড়া অন্য কোনও ধর্মের কেউ তফশিলিভুক্ত জাতির শংসাপত্র বা সংরক্ষণ সুবিধা নিয়ে থাকেন, তাহলে যথাযথ প্রক্রিয়ায় তাঁদের বৈধ শংসাপত্র ও জাতি শংসাপত্র বাতিল করা হবে। কেউ যদি এই মিথ্যা শংসাপত্র ব্যবহার করে সরকারি চাকরির সুবিধাও পেয়ে থাকেন, তাহলেও তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে (Devendra Fadnavis)।”

    ভুয়ো জাতি শংসাপত্র

    তিনি বলেন, “যাঁরা ভুয়ো জাতি শংসাপত্র ব্যবহার করে আর্থিক সুবিধা পেয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকেও সেই অর্থ ফেরত নেওয়ার সুপারিশ করা হবে।” বিজেপি নেত্রী চিত্রা ওয়াঘ বলেন, “এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে যেখানে স্বামীর ধর্ম গোপন করে নারীদের প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ে করা হয়েছে।” সাঙ্গলির একটি ঘটনার উল্লেখ করেন তিনি বলেন, “সেখানে এক নারী এমন একটি পরিবারে বিয়ে করেছেন যাঁরা গোপনে খ্রিস্টধর্ম পালন করত। ওই নারীকে নির্যাতন করা হয় এবং ধর্ম পরিবর্তনে বাধ্য করা হয়। যার ফলে সাত মাসের গর্ভাবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর (Supreme Court)।”

    কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “একজন ব্যক্তি যে কোনও ধর্ম অনুসরণ করতে পারেন। তিনি অন্য কাউকে সম্মতির ভিত্তিতে ধর্মান্তরিতও করতে পারেন, তবে বলপ্রয়োগ, প্রতারণা বা প্রলোভনের মাধ্যমে ধর্মান্তর করার অনুমতি আইন আমাদের দেয়নি।” তিনি বলেন, “ধর্মান্তরের জন্য জোরজবরদস্তি বা প্রলোভনের অভিযোগ পেলে তদন্ত করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি জানান, এই ধরনের ঘটনার মোকাবিলার জন্য রাজ্য সরকার পুলিশের ডিজিপি-র নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছিল। ওই কমিটি তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে। সরকার সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখবে এবং এমন নতুন আইন আনবে, যাতে জোর করে বা প্রতারণার মাধ্যমে ধর্মান্তর করা না হয় (Devendra Fadnavis)।

    ফড়নবীশের বক্তব্য

    ফড়নবীশ বলেন, “এই ধরনের ঘটনায় ‘ভারতীয় বিচার সংহিতা’-র আওতায় পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। তবে কঠোর আইন প্রস্তাবের জন্যই একটি কমিটি গঠিত হয়েছিল। রাজ্য সরকার এরকম ঘটনাগুলির মোকাবিলায় কঠোর আইন আনতে চায় এবং আমরা এই বিষয়ে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেব।” প্রসঙ্গত, সোমবার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ ভোয়ার বলেছিলেন, “আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে রাজ্য সরকার একটি ধর্মান্তর-বিরোধী আইন আনবে, যা অন্যান্য রাজ্যের অনুরূপ আইনগুলির চেয়ে কঠোর হবে।” বিজেপি বিধায়ক প্রবীণ দারেকারের দাবি, দরিদ্র বস্তি ও অনুন্নত এলাকায় মানুষকে গোপনে ধর্মান্তরিত করার প্রচার চালানো হচ্ছে (Supreme Court)। মুখ্যমন্ত্রী স্বীকার করেন, এই ধরনের ঘটনা বস্তিতে ঘটে থাকে। তবে তিনি স্পষ্ট করে দেন, সম্মতির ভিত্তিতে ধর্মান্তরের ক্ষেত্রে সরকারের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কোনও ইচ্ছেই নেই (Devendra Fadnavis)।

  • Devendra Fadnavis: লাভ জিহাদ রুখতে আইন আনছে ফড়ণবীশ সরকার, তৈরি হল কমিটি

    Devendra Fadnavis: লাভ জিহাদ রুখতে আইন আনছে ফড়ণবীশ সরকার, তৈরি হল কমিটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল শুক্রবার দেবেন্দ্র ফড়ণবীশের (Devendra Fadnavis) নেতৃত্বাধীন মহারাষ্ট্র সরকার ৭ সদস্যের একটি বিশেষ কমিটি তৈরি করল। এই কমিটি লাভ জিহাদের (Love Jihad) বিরুদ্ধে আইনের খসড়া তৈরি করবে বলে জানা গিয়েছে। এই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন মহারাষ্ট্র পুলিশের ডিজি। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মহারাষ্ট্রের ডিজিপি জানিয়েছেন যে ওই প্যানেল আলোচনা করবে মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক, সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রক, আইন মন্ত্রক, সামাজিক ন্যায় বিচার মন্ত্রকের সঙ্গে।

    কী বললেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ (Devendra Fadnavis)

    একইসঙ্গে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র দফতরের সঙ্গেও আলোচনা চালাবে ওই কমিটি। জানা গিয়েছে, তারপরেই লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে কিরকম আইন আনা যেতে পারে সেরকম খসড়া তৈরি করা হবে। এ নিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ (Devendra Fadnavis) বলেন, এ ধরনের পরিকল্পনা আমরা আগেই নিয়েছিলাম। বিশেষত সেই ধরনের কেসগুলিতে যেখানে জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ করানো হয়, লাভ জিহাদের মাধ্যমে। প্রসঙ্গত, ধর্মান্তকরণ করানোর অনেক অভিযোগই সামনে আসে দেশের একাধিক রাজ্যে। এ নিয়ে উত্তরপ্রদেশে সহ অন্যান্য রাজ্যে আইন চালু রয়েছে।

    এমন আইন আসতে পারে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ফড়ণবীশ (Devendra Fadnavis)

    লাভ জিহাদ রুখতে যে কমিটি তৈরি করা হয়েছে মহারাষ্ট্রে। তারা বর্তমান স্থিতিকে পর্যবেক্ষণ করবে এবং সেই মতোই আইনের খসড়া তৈরি করবে। এই নথি গুলি নিয়ে আলোচনা করা হবে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে। এর পাশাপাশি নাগরিক সমাজকেও লাভ জিহাদ এবং জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণের বিষয়ে অবগত করানো হবে। ২০২৩ সালেই দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ (Devendra Fadnavis) এনিয়ে বলেছিলেন। প্রসঙ্গত, সেসময় তিনি ছিলেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী। সেসময় তিনি বলেছিলেন, যে অনেক ঘটনাই সামনে আসছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে মেয়েদের বিয়ে করে তাঁদেরকে ধর্মান্তকরণ করে নেওয়া হয়েছে। তাই চারিদিক থেকে দাবি উঠছে এর বিরুদ্ধে আইন তৈরির জন্য। ২০২৩ সালে তিনি যে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তাতে সিলমোহর পড়ল ২০২৫ সালে।

  • Maharashtra Election Results 2024: “আমি আধুনিক অভিমন্যু, চক্রব্যূহ থেকে বেরনোর পথ জানি”, বললেন ফড়নবিশ

    Maharashtra Election Results 2024: “আমি আধুনিক অভিমন্যু, চক্রব্যূহ থেকে বেরনোর পথ জানি”, বললেন ফড়নবিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমি আধুনিক অভিমন্যু। চক্রব্যূহ কীভাবে ভেদ করে বের হতে হয়, তা আমি জানি।” বিজেপির নেতৃত্বাধীন মহাযুতি জোট (Maharashtra Election Results 2024) ব্যাপক জয় পাওয়ার পর ফের একবার কথাগুলি বললেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ (Devendra Fadnavis)।

    মহাভারতের প্রসঙ্গ

    উক্তিটি মহাভারতের একটি চরিত্র অভিমন্যুকে কেন্দ্র করে। অর্জুন ও সুভদ্রার পুত্র অভিমন্যু একজন যোদ্ধা ছিলেন। তিনি চক্রব্যূহে প্রবেশ করার পদ্ধতি জানতেন, যদিও সেখান থেকে বের হওয়ার পদ্ধতি জানতেন না। এই চক্রব্যূহে আটকে পড়ে কৌরবদের হাতে নিহত হন তিনি। সেপ্টেম্বর মাসেই ফড়নবীশ বলেছিলেন, “বিরোধী জোট মহা বিকাশ আগাড়ি মনে করে যে তারা তাঁকে গোলকধাঁধায় ফাঁসিয়ে দেবে।” সেই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, “কিন্তু আমি আধুনিক অভিমন্যু। আমি জানি কীভাবে চক্রব্যূহে প্রবেশ করতে হয়, কীভাবেই বা সেখান থেকে বের হতে হয়।”

    আধুনিক অভিমন্যু

    শনিবার বিপুল জয়ের পর মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি আগেই বলেছিলাম, আমি আধুনিক অভিমন্যু। আমি জানি কীভাবে চক্রব্যূহ ভাঙতে হয়। আমরা চক্রব্যূহ ভেঙেছি। এই জয়ের পেছনে আমার অবদান খুবই সামান্য। এই জয় (Maharashtra Election Results 2024) আমাদের টিমের।” প্রসঙ্গত, নাগপুর সাউথ ওয়েস্ট কেন্দ্র থেকে নিজেও জয়ী হয়েছেন ফড়নবীশ।

    মুখ্যমন্ত্রী পদের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী পদের বিষয়ে কোনও বিরোধ নেই। প্রথম দিন থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে নির্বাচনের পরে, তিনটি দল একত্রে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। যা কিছু সিদ্ধান্ত হবে, তা সবার পক্ষেই গ্রহণযোগ্য হবে।”

    মহারাষ্ট্র বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৮৮। এর মধ্যে ২৩১টি আসনে জয় পেয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট। বিরোধী মহা বিকাশ আগাড়ি জোট পেয়েছে মাত্র ৫০টি আসন। অথচ মাস ছয়েক আগে লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপক ফল করেছিল ওই জোট। বিধানসভা নির্বাচনে তারাই পড়ল মুখ থুবড়ে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, দেবেন্দ্র ফড়নবিশই (Devendra Fadnavis) হতে চলেছেন মহারাষ্ট্রের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি ছাড়তে হবে (Maharashtra Election Results 2024) শিবসেনার একনাথ শিন্ডেকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maharastra political crisis: বালাসাহেব কার? গৃহযুদ্ধ শিবসেনায়

    Maharastra political crisis: বালাসাহেব কার? গৃহযুদ্ধ শিবসেনায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অব্যাহত মহারাষ্ট্রের (Maharastra) মহাসংকট! দুভাগ হয়ে গিয়েছে বালাসাহেব ঠাকরের তৈরি শিবসেনা (Shiv Sena)। সূত্রের খবর, শিবসেনা বালাসাহেব নাম নিয়ে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde) বাহিনী। তাদের ঠেকিয়ে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে তৎপর মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। বিদ্রোহীদের প্রতি তাঁর বার্তা, ভোটে জিততে নিজেদের বাবার নাম নাও, আমার বাবার নাম নেবে না। এদিকে, শনিবারই মধ্যরাতে গুজরাটের ভাদোদরায় শিন্ডের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। শিবসেনা বাঁচাতেই যে তিনি নয়া শিবসেনা গড়ছেন, এদিনই তা ফের জানিয়ে দিলেন শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়ক একনাথ শিন্ডে।

    আরও পড়ুন : সাধারণ অটোচালক থেকে মহারাষ্ট্র রাজনীতির মধ্যমণি, কে এই একনাথ শিন্ডে?

    কংগ্রেস-এনসিপির সঙ্গে জোট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বিবাদের জেরে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন তাঁরই মন্ত্রিসভার সদস্য একনাথ শিন্ডে। পরে অনুগত বিধায়কদের নিয়ে শিন্ডে প্রথমে চলে যান গুজরাট এবং পরে সেখান থেকে মধ্যরাতের বিমান ধরে উড়ে যান আসামের গুয়াহাটিতে। সেখানেই অনুগতদের নিয়ে ঘাঁটি গেড়েছেন তিনি।

    তবে এর মধ্যেই শনিবার মধ্যরাতের বিশেষ বিমানে গুজরাটের ভাদোদরায় ফিরে বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবীশের সঙ্গে দেখা করেন শিন্ডে। সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রে সম্ভাব্য সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা হয়েছে এই দুই নেতার। ২০১৯ সালে শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে মহারাষ্ট্রের তখতে বসার আগে তিনদিনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ছিলেন ফড়নবীশ-ই। রাতে তাঁর সঙ্গে আলোচনার পরে ফের বিজেপি শাসিত আসামে ফিরে যান শিন্ডে। এখানকারই একটি বিলাসবহুল হোটেলে প্রায় ৪০ জন অনুগত বিধায়ককে নিয়ে রয়েছেন বিদ্রোহী এই শিবসেনা নেতা।

    আরও পড়ুন : ‘যাঁরা যেতে চাইছেন যান, নতুন শিবসেনা গড়ব’, হুঁশিয়ারি উদ্ধবের

    এদিকে, শিবসেনা বালাসাহেব নাম নিয়ে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে শিন্ডে বাহিনী। সে খবর কানে পৌঁছতেই ফুঁসে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। বিদ্রোহীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ভোটে জিততে তোমরা নিজেদের বাবার নাম নাও, আমার বাবার (বালাসাহেবের) নাম নয়। তাঁর সাফ কথা, বালাসাহেবের নাম ব্যবহার করা যাবে না কোনও মতেই। কেবল হুঁশিয়ারি দিয়েই ক্ষান্ত হননি উদ্ধব। বিদ্রোহী বিধায়কদের বিরুদ্ধে সরাসরি নালিশও ঠুকলেন নির্বাচন কমিশনে। সূত্রের খবর, শিবসেনার তরফে এ ব্যাপারে একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনে। উদ্ধব বলেন, ওরা যা পারে করুক। নিজেদের ইচ্ছেমতো সিদ্ধান্ত নিক। কিন্তু বালাসাহেব ঠাকরের নাম নিয়ে কিছু করা যাবে না। উদ্ধবের নেতৃত্বে এদিন শিবসেনার জাতীয় কর্ম সমিতির বৈঠকও বসে। সেখানে নেওয়া হয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। বৈঠক শেষে আদিত্য ঠাকরে বলেন, শিবসেনা বিধায়কদের ‘প্রতারণা’ আমরা কোনওদিন ভুলব না। আমরা নিশ্চিতভাবে জিতব।

    এদিকে, শিবসেনা বাঁচাতেই যে তিনি লড়ছেন, এদিন তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন শিন্ডে। বলেন, এমভিএ সরকার নামের ড্রাগনের কবল থেকে শিবসেনাকে মুক্ত করতে চাইছি আমি। এই লড়াই পার্টি কর্মীদের জন্যই।

    অন্যদিকে, শিন্ডে বাহিনীর অভিযোগ উদ্ধবের দলবল হামলা চালিয়েছে তাদের একাধিক পার্টি অফিসে। এখন নিরাপত্তার আশঙ্কায় ভুগছেন বিদ্রোহীরা। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের তরফে ১৫ জন বিধায়ককে ওয়াই প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। এদিকে, বিদ্রোহী বিধায়কদের স্ত্রীদের বোঝানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন উদ্ধবের স্ত্রী রশ্মি। অন্তত শিবসেনার একটি সূত্রের খবর এমনই।  

     

LinkedIn
Share