Tag: Dhaka

Dhaka

  • Bangladesh: মৌলবাদীদের বাধায় বন্ধ হচ্ছে একের পর এক উৎসব, উদ্বিগ্ন বাংলাদেশের নাগরিক সমাজ

    Bangladesh: মৌলবাদীদের বাধায় বন্ধ হচ্ছে একের পর এক উৎসব, উদ্বিগ্ন বাংলাদেশের নাগরিক সমাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূসের বাংলাদেশে (Bangladesh) বন্ধ হচ্ছে একের পর এক উৎসব। সম্প্রতি ঢাকার উত্তরায় একটি উৎসব বন্ধ করা হয়েছে। এরপরেই বন্ধ করা হয় ‘ঢাকা মহানগর নাট্য উৎসব’। জানা গিয়েছে, ওই অনুষ্ঠানটি ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মৌলবাদীদের বাধার মুখে শেষ মুহূর্তে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন আয়োজকরা। প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার উত্তরায় বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। সবরকম প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারপরও তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এক্ষেত্রে মৌলবাদীদের বাধার মুখে আয়োজকরা এই অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

    মৌলবাদীদের বাধার মুখে উৎসব (Bangladesh)

    প্রসঙ্গত, ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে (Bangladesh) পহেলা ফাগুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস একসঙ্গেই পালিত হয়। তবে ইউনূস জমানায় এই দুই উৎসবকে ঘিরে সারাদেশে ওই এই ধরনের একাধিক ঘটনা ঘটেছে। এসব অনুষ্ঠান আয়োজনে মৌলবাদীরা বাধা দিলেও মোকাবিলার ক্ষেত্রে ইউনূস সরকারের উল্লেখযোগ্য কোনও ভূমিকাই দেখা যায়নি। গত ৫ অগাস্ট হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে এরকম ঘটনা ঘটছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগ, তৌহিদী জনতা নামে একটি মৌলবাদী সংগঠন এগুলো করছে। এর পাশাপাশি, অভিযোগ উঠেছে হেফাজতে ইসলাম নামের অন্য একটি সংগঠনের বিরুদ্ধেও।

    মহিলা সমিতির নাট্য উৎসব বাতিল

    গত শনিবারই ঠিক বিকাল ৫টা নাগাদ ঢাকার (Dhaka) মহিলা সমিতির উদ্যোগে ‘ঢাকা মহানগর নাট্য উৎসব’-এর উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। জানা গিয়েছে, ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই নাট্য উৎসব চলার কথা ছিল। কিন্তু ঠিক এক দিন আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় মহিলা সমিতিতে কিছু মৌলবাদী লোক এসে হামলা করার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। তাই সবরকমের প্রস্তুতি থাকার পরও তা কার্যকর করা যায়নি। আন্তজার্তিক সংবাদ সংস্থাকে এমনটাই জানিয়েছেন আয়োজকরা।

    কী বললেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক (Bangladesh)

    অনুষ্ঠানের অন্যতম আহ্বায়ক ঠান্ডু রায়হান জানিয়েছেন, গত দুই মাস ধরে ৮৫টি নাট্যদলের কর্মীরা এই উৎসবের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু অনুষ্ঠানের সকল আয়োজন যখন প্রায় সম্পন্ন, তখনই ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বাংলাদেশ মহিলা সমিতির কর্মীদের কাছে রমনা থানা থেকে ফোন আসে এবং এই উৎসব বন্ধ করতে বলা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই নাট্যোৎসব আপাতত স্থগিত ঘোষণা করেন। এরপরে মহিলা সমিতির সদস্যরা থানার ওসির সঙ্গে গিয়ে দেখা করেন এবং নিরাপত্তা সহযোগিতা চেয়ে থানায় একটি আবেদনপত্র জমা দেন। তবে এর কোনও সুরাহা হয়নি।

    মৌলবাদীদের নির্দেশে চলছে পুলিশ

    থানার পুলিশ কর্তার সঙ্গে দেখা করার পরে উৎসব উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব কামাল আহমেদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘ওসি সাহেব সব শুনে আশ্বস্ত করেন। বলেন, আমরা চাই উৎসবগুলো হোক। কিন্তু একটু অসুবিধা আছে, একটা নাটক বাদ দিতে হবে।’’ এরপরেই কামাল আহমেদ বলেন, ‘‘থানার ওই কর্মকর্তা ‘পায়ের আওয়াজ পায়’ নামের নাটকটি বন্ধের কথা বলেছিলেন। উনি কেন এখানে ওই নাটক বাদ দিয়ে বাকিগুলো করতে বললেন, তা আমাদের কাছে পরিষ্কার না। কিন্তু মনে হল, উনি কোথাও থেকে কোনও নির্দেশনা পেয়ে এরকম একটি মন্তব্য করছেন।’’

    নিরাপত্তার কথা ভেবে বাতিল উৎসব

    কামাল আহমেদ আরও বলেন, ‘‘সবগুলো দল মিলে প্রস্তুতি নিয়েছেন। কিন্তু একটি দলকে বাদ দিয়ে বাকিরা অংশগ্রহণ করবে এটা হতে পারে না।’’ উৎসব উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব কামাল আহমেদ বলেন, ‘‘তাঁদের টিম রমনা থানা থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বেশ কয়েকজনের একটি ‘মব’ থানায় ঢুকে এবং ধমক-টমক দিয়ে গালাগালসহ মহিলা সমিতির কর্মকর্তাকে উৎসব বন্ধ করার জন্য চাপ দেয়। এমন পরিস্থিতিতে মহিলা সমিতি ভয় পেয়ে যায়। তাই তাঁরা তাঁদের প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার কথা ভেবে রাতেই অনুষ্ঠান বাতিল করেন।’’

    পুলিশের বিবৃতি

    গত শনিবার রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের একটি বিবৃতি দেয়। সেখানে তারা আবার ওই নাটক বন্ধ নিয়ে পুলিশের ভূমিকার কথা অস্বীকার করে। বিবৃতিতে তারা বলে, ‘‘ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশের পক্ষ থেকে উক্ত নাট্যোৎসব বন্ধ করা বা স্থগিত করা সম্পর্কে কোনও নির্দেশনা প্রদান করা হয়নি। যেকোনও ধরনের সৃজনশীল ও শৈল্পিক কর্মকাণ্ডকে আমরা সবসময় উৎসাহিত করে থাকি। কী কারনে আলোচ্য নাট্যোৎসব স্থগিত হয়েছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। উক্ত নাট্যোৎসব ঘিরে যে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।’’

    চট্টগ্রামের সিআরবি মাঠে বাতিল আবৃত্তি সংগঠনের অনুষ্ঠান

    অন্যদিকে, শনিবার চট্টগ্রামের সিআরবি মাঠে একটি আবৃত্তি সংগঠন প্রমার উদ্যোগে বসন্ত উৎসব হওয়ার কথা ছিল। এই মাঠের অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়ার দায়িত্ব ছিল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের। প্রথমে অনুমতি দিলেও পরে তা বাতিল করে রেল কর্তৃপক্ষ। প্রমা আবৃত্তি সংগঠনের সভাপতি রাশেদ হাসান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘সিআরবিতে সারাদিনের অনুমতি ছিল তাদের। শনিবার সকাল দশটা থেকে সাড়ে বারোটা পর্যন্ত সকালের অধিবেশন হয়। দুপুরের বিরতির পর পরবর্তী অধিবেশন তিনটায় শুরু করার কথা ছিল। এমন সময় দুপুর দেড়টা নাগাদ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ থেকে কল করে আয়োজকদের বলেন, আমরা এই অনুষ্ঠানের অনুমতি দিতে পারব না।’’ অনুমতি বন্ধের কোনও কারণ অবশ্য জানাতে পারেননি বাংলাদেশের রেল কর্তৃপক্ষ।

    উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজ

    একের পর এক এভাবে অনুষ্ঠান বন্ধ হওয়ার বিষয়ে উদ্বিগ্ন সেদেশের নাগরিকরাও। সমাজ মাধ্যমে অনেকেই উৎসব বন্ধের খবরগুলি শেয়ার করে সরকারের সমালোচনাও করেছে। এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক (Bangladesh) জোবাইদা নাসরীন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘এগুলো কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। ধারাবাহিক ঘটনা।’’ নাগরিক সমাজের একাংশের মতে, ‘‘যা ঘটছে, তা অপরিকল্পিত বা অরাজনৈতিক না। একটি বিশেষ ধর্মান্ধ গোষ্ঠী এগুলো করছে। অথচ কারা করছে, কী প্রক্রিয়ায় করছে, সে বিষয়ে রাষ্ট্রীয় কোনও বক্তব্য এবং পদক্ষেপ নেই।’’ বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের মতে, ‘‘ইউনূস সরকারের কোনওরকম বক্তব্য যে নেই, এটিও রাজনীতির-ই অংশ। সরকার কোনও জায়গায় কথা বলছে, কোন জায়গায় কথা বলছে না। সরকার কাদের বিরুদ্ধে কথা বলছে, কাদের বিরুদ্ধে কথা বলছে না। এগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। মৌলবাদীদের প্রতি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা ও আস্কারা রয়েছে। এমন ধরনের হুমকি, অনুষ্ঠান বন্ধ, এগুলো অন্তত তিন মাস ধরে চলছে।’’ নাগিক সমাজের একাংশের মতে, এইসব অনুষ্ঠান বন্ধ করা মানে বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ওপর আঘাত।

  • Bangladesh Crisis: রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি! অস্থিরতার জেরে চরম অর্থনৈতিক সংকটের মুখে বাংলাদেশ

    Bangladesh Crisis: রেকর্ড মুদ্রাস্ফীতি! অস্থিরতার জেরে চরম অর্থনৈতিক সংকটের মুখে বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলেও পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। আর এই অস্থির পরিস্থিতির জেরে বর্তমানে চরম অর্থনৈতিক সংকটের (Economic crisis) সম্মুখীন বাংলাদেশ। বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে মুদ্রাস্ফীতির (Inflation) হার ছিল ১১.৬৬ শতাংশ। যা গত ১২ বছরের মধ্যে সর্বাধিক। শুধু তাই নয়, জুলাই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতিও গত ১৩ বছরের রেকর্ড ভেঙে ১৪ শতাংশে পৌঁছেছে।

    কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কে বিধিনিষেধ

    সারা বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) জুড়ে বিক্ষোভের কারণে পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা (Supply chain) ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হিন্দু বিরোধিতা এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে দেশের ব্যবসায়িক খাতও। কারণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরই কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক নগদ তোলার সর্বোচ্চ পরিমাণে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের নাগরিকরা ব্যাঙ্ক থেকে একদিনে ২ লক্ষ বাংলাদেশি টাকার বেশি তুলতে পারছেন না। মাস্টারকার্ড ইকোনমিক ইনস্টিটিউটের (MEI) নতুন পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ অর্থবর্ষে বাংলাদেশের জিডিপি বৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতি ধীরগতিতে নামবে। ২০২৫ আর্থিক বছরে দেশের জিডিপি বৃদ্ধি ৫.৭ শতাংশে এবং মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে, যেখানে ২০২৪ অর্থবছরে জিডিপি বৃদ্ধি ৯.৮ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি ৯.৮ শতাংশে দাঁড়াবে।

    আরও পড়ুন: ‘ইলিশ দেব না’ হুঁশিয়ারি দেওয়া বাংলাদেশ ভারতের কাছে হাত পেতে নিল ডিম!

    বাংলাদেশি টাকার মান কমছে

    বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার ৩১ জুলাই ২০.৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের মাসে ২১.৭৮ বিলিয়ন ডলার ছিল। এইভাবে বাংলাদেশের মুদ্রাভান্ডার থেকে প্রায় ১.৩ বিলিয়ন ডলার হ্রাস পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ঢাকার সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার কাওরান বাজারের (Kawran Bazar) বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশি টাকার মান কমতে থাকলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখার চাপে রয়েছেন খুচরো ব্যবসায়ীরা। ফলে ব্যবসায় লাভ করতে পারছেন না তাঁরাও। যদিও ব্যবসায়ীদের একাংশ জানিয়েছেন, আগামী মাসে দাম বাড়ানো যাবে বলে সরকারের তরফে তাঁদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। ভারত সহ প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে ডাল, ড্রাই ফ্রুটস, মশলাপাতি সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। কিন্তু পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ার কারণে বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম আগামী দিনে আরও বাড়বে বলে অনুমান ব্যবসায়ীদের। এই পরিস্থিতিতে কবে জিনিসপত্রের দাম স্বাভাবিক হবে সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Agartala Kolkata bus service: দুবছর পর ফের চালু হচ্ছে আগরতলা-কলকাতা ভায়া ঢাকা বাস পরিষেবা, কবে থেকে? জেনে নিন

    Agartala Kolkata bus service: দুবছর পর ফের চালু হচ্ছে আগরতলা-কলকাতা ভায়া ঢাকা বাস পরিষেবা, কবে থেকে? জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের চালু হচ্ছে ঢাকা হয়ে আগরতলা-কলকাতা বাস পরিষেবা (Agartala Kolkata bus service)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ত্রিপুরা (Tripura) সরকার। করোনার জন্যে দু’বছর বন্ধ ছিল এই বাস পরিষেবা। আগামী ১০ জুন ফের তা চালু হচ্ছে। 

    গত ২৮ এপ্রিল মাস থেকে এই বাস পরিষেবা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, যান্ত্রিক কিছু ত্রুটির কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়। পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ”আগামী ১ জুন থেকে কৃষ্ণনগরে ত্রিপুরা সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশনের কাউন্টার থেকে বাসের টিকিট মিলবে। যাত্রীদের বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা থাকতে হবে।” আগরতলা-কলকাতা ভায়া ঢাকা (Agartala To Kolkata via Dhaka) বাস পরিষেবার জন্য যাত্রীপিছু ভাড়া লাগবে ২৩০০ টাকা। এর মধ্যে ট্র্যাভেলিং ট্যাক্স অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ত্রিপুরা থেকে ঢাকার ভাড়া ১০০০ টাকা। 

    আরও পড়ুন: দেশে প্রথম! আসামে সংখ্যালঘু পরিচয়পত্র পেতে চলেছে এই ৬ সম্প্রদায়?

    টিআরডিসির ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজেশ কুমার দাস জানান, “এই রুটে বাস চালানোর জন্য দুই দেশের যে অনুমোদন দরকার তা পাওয়া গিয়েছে। এই বাস চালুর জন্য সীমান্তে শুল্ক ও অন্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করা হয়েছে। তাই এবার আর বাস চলাচল শুরু হতে কোনও সমস্যা হবে না।” 

    এই আন্তর্জাতিক বাস পরিষেবা পুনরায় চালু করার প্রস্তাব জানিয়ে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক এবং সেদেশে ভারতীয় হাইকমিশনকে (Indian High commission in Bangladesh) চিঠি লিখেছিলেন রাজ্যের পরিবহণ দফতরের প্রধান সচিব এল এইচ ডার্লং। অন্যদিকে, সীমান্তে বাস পরিষেবা চালু করার জন্য নয়াদিল্লিতে বিদেশ মন্ত্রকের (MEA) যুগ্ম সচিবের কাছে একটি পৃথক চিঠি লেখেন রাজ্যের অতিরিক্ত সচিব এস চৌধুরীও।  

    আরও পড়ুন: বর্ষা ঢুকল কেরালায়, আগামী সপ্তাহেই কি বাংলায়?

    এই আন্তর্জাতিক বাস চলাচল শুরু হলে লাভবান হবেন ত্রিপুরাবাসীরা। কলকাতায় আসতে হবে অনেক বেশি বিমানের ভাড়া গুনতে হয় তাঁদের। অন্যদিকে, আসামে ধসের কারণে অনেকগুলি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল হয়েছে বা তাদের রুট বদলানো হয়েছে। আগরতলা থেকে ওই বাসে ঢাকা হয়ে কলকাতা আসতে সময় লাগবে প্রায় ১৯ ঘণ্টা। এই দূরত্ব প্রায় ৫০০ কিলমিটার। কিন্তু গুয়াহাটি হয়ে ঘুরে আসতে ট্রেনে সময় লাগে প্রায় ৩৫ ঘণ্টা। অর্থাৎ এই পরিষেবা চালু হলে প্রায় অর্ধেক সময় লাগবে। অতিমারীর কারণে ২০২০ সালের মার্চ মাসে বন্ধ করা হয় এই পরিষেবা।

     

        

LinkedIn
Share