Tag: dharma

dharma

  • Deendayal Upadhyaya: পাশ্চাত্য দর্শনে ব্যক্তি সুখ, একাত্ম মানববাদে ধর্ম-মোক্ষের ধারণা দেন দীনদয়াল

    Deendayal Upadhyaya: পাশ্চাত্য দর্শনে ব্যক্তি সুখ, একাত্ম মানববাদে ধর্ম-মোক্ষের ধারণা দেন দীনদয়াল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হয় আমাদের দেশ ভারতবর্ষ। তারপর থেকে এদেশের কংগ্রেস এবং বামপন্থী দলের নেতারা পাশ্চাত্যের পুঁজিবাদ এবং সোভিয়েত মডেলকেই ভারতের নীতি করতে চেয়েছিলেন। ঠিক এই সময়েই ভারতীয় সভ্যতার প্রতিধ্বনি নিয়ে হাজির হন পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় (Deendayal Upadhyaya)। ১৯৬৫ সালের ২২ থেকে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে তিনি চারটি সেমিনারে বক্তব্য রাখেন। এই বক্তব্যগুলি শুধুমাত্র রাজনৈতিক মতাদর্শই ছিল না, এটা ছিল ভারতের সনাতন সংস্কৃতি এবং সভ্যতার প্রতিধ্বনি। পরবর্তীকালে এটাই হয়ে ওঠে একাত্ম মানববাদ। দীনদয়াল উপাধ্যায়ের প্রবর্তিত একাত্ম মানববাদ বর্তমানে প্রতিফলিত হয় বিজেপির সংবিধানের তিন নম্বর ধারায়।

    ব্যক্তি সুখের কথাই বলে পাশ্চাত্য দর্শন

    দীনদয়াল উপাধ্যায়ের (Deendayal Upadhyaya) মতে, এই সমাজের চারটি উপাদান রয়েছে। প্রথমটি হল দেশ বা রাষ্ট্র, দ্বিতীয়টি হল সংস্কৃতি, তৃতীয় হল জনগণ, চতুর্থ হল সরকার। একটি ঐক্যবদ্ধ সমাজ প্রতিষ্ঠায় এবং সামাজিক সম্প্রীতির পরিবেশ গড়ে তুলতে এই চারটি উপাদানকে একসঙ্গে কাজ করতে হয়। এই ৪ উপাদানের মধ্যে যদি সংযোগ না ঘটে তাহলে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয় না বলেই মনে করতেন দীনদয়াল উপাধ্যায়। পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেন ১৯১৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বর্তমান উত্তরপ্রদেশের মথুরা জেলায়, নাগলা চন্দ্রভাগ নামক স্থানে। শৈশবে অত্যন্ত দুঃখ কষ্টের মধ্য দিয়ে বড় হন তিনি। মাত্র ৭ বছর বয়সেই তিনি তাঁর পিতামাকে হারান এবং বড় হয়ে ওঠেন আত্মীয়দের কাছে। অত্যন্ত মেধাবী দীনদয়াল ছাত্রজীবনে স্বর্ণপদকও লাভ করেন। পরবর্তীকালে চাকুরি না করে তিনি দেশের সেবায় অংশগ্রহণ করেন। যোগ দেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘে। এরপরেই দীনদয়াল উপাধ্যায় দেশজুড়ে বীজ বুনতে থাকেন সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদের। তাঁর দর্শন (Ekatma Manava Darshan) ভারতীয় ভাবধারায় গড়ে উঠেছিল। সেখানে ঔপনিবেশিকতার কোনও ছায়া দেখা যায়নি। পাশ্চাত্য দর্শনে যেখানে ব্যক্তি জীবনের সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের কথা বলেছে, দীনদয়াল উপাধ্যায়ের দর্শন সেখানে ব্যক্তি-সমাজ-প্রকৃতি-আধ্যাত্মিকতার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে।

    দীনদয়াল উপাধ্যায় প্রণীত একাত্ম মানববাদ (Ekatma Manava Darshan)

    পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় (Deendayal Upadhyaya) বলতেন, ‘‘ভারতবর্ষে জাতীয়তাবোধের ভিত্তি হল ভারত মাতা, যদি মাতা শব্দটা সরিয়ে দেওয়া হয় তাহলে শুধু ভারত, মাটির টুকরো হয়েই পড়ে থাকবে।’’ পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের মতে, প্রতিটি মানুষের সম্পূর্ণ গঠন হয় চারটি উপাদানের ভিত্তিতে। এগুলি হল শরীর, মন, বুদ্ধি এবং আত্মা। এই চারটি উপাদানের সঙ্গে ধর্ম, অর্থ, কাম এবং মোক্ষ এই চারটি বিষয় সম্পর্কিত। ধর্ম হল ভিত্তি এবং মোক্ষ হল সর্বোচ্চ প্রাপ্তি। অন্যান্য মতাদর্শ যেখানে শুধুমাত্র মন এবং শরীরের বিভিন্ন চাহিদা পূরণের কথা বলে সেখানে একাত্ম মানববাদে ধর্ম এবং মোক্ষেরও ধারণা দিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলতেন, ‘‘ধর্ম হচ্ছে ব্যাপক এবং বিস্তৃত। সমাজকে সংগঠিত করতে ধর্ম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’’ নীতিনিষ্ঠ এবং মূল্যবোধের রাজনীতিতে বিশ্বাস রাখতেন পন্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় (Deendayal Upadhyaya)।

  • Jagdeep Dhankhar: “ধর্ম হল ভারতীয় সংস্কৃতির সবচেয়ে মৌলিক ধারণা, সংহতির প্রতীক”, বললেন ধনখড়

    Jagdeep Dhankhar: “ধর্ম হল ভারতীয় সংস্কৃতির সবচেয়ে মৌলিক ধারণা, সংহতির প্রতীক”, বললেন ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ধর্ম (Dharma) হল ভারতীয় সংস্কৃতির সবচেয়ে মৌলিক ধারণা, যা জীবনের সব দিক নির্দেশ করে।” কথাগুলি বললেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)।

    ধর্ম কী (Jagdeep Dhankhar)

    তিনি বলেন, “ধর্ম একদিকে পথ, যাত্রা, অন্যদিকে, গন্তব্য এবং লক্ষ্যকেও উপস্থাপন করে, যা সমস্ত অস্তিত্বের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, এমনকি দেবতাদের ক্ষেত্রেও।” উপরাষ্ট্রপতি বলেন, “ধর্ম ন্যায়পরায়ণ জীবনের জন্য এক বাস্তবিক আদর্শ হিসেবে কাজ করে, কল্পনাতীত নয়।” তিনি বলেন, “সনাতন সহানুভূতি,  সহমর্মিতা, সহিষ্ণুতা, অহিংসা, পবিত্রতা, উচ্চমার্গতা, রিলিজিয়সিটি-এই সব গুণাবলীকে একত্রিত করে। এক কথায় সংহতির প্রতীক।” বেঙ্গালুরু, কর্নাটকে শৃঙ্গেরী শ্রী শারদা পীঠম আয়োজিত ‘নমঃ শিবায়’ পারায়ণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন উপরাষ্ট্রপতি। সেখানেই তিনি ‘মন্ত্র কসমোপোলিস’কে একটি বিরল ও চমৎকার অনুষ্ঠান হিসেবে বর্ণনা করেন।

    কী বললেন ধনখড়

    তাঁর (Jagdeep Dhankhar) মতে, এটি মনের, হৃদয়ের ও আত্মার গভীরে স্পর্শ করে এবং সবার মধ্যে ঐক্যের সুর বয়ে আনে। ধনখড় বলেন, “বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণ, যা মানব সভ্যতার অন্যতম প্রাচীন ও ধারাবাহিক মৌখিক ঐতিহ্য, আমাদের পূর্বপুরুষদের গভীর আধ্যাত্মিক জ্ঞানের জীবন্ত যোগসূত্র হিসেবে কাজ করে। এই পবিত্র মন্ত্রগুলির সুনির্দিষ্ট ছন্দ, স্বর, এবং কম্পন এমন একটি শক্তিশালী অনুরণন সৃষ্টি করে যা মানসিক শান্তি এবং পরিবেশগত সামঞ্জস্য বয়ে আনে।”

    আরও পড়ুন: “হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত, জনকল্যাণের জন্যই প্রয়োজনীয়”, বললেন দত্তাত্রেয়

    উপরাষ্ট্রপতি বলেন, “ভারতীয় সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল এর বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য, যা সময়ের সঙ্গে বিভিন্ন ঐতিহ্যের মিশ্রণের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে। এই যাত্রা বিনম্রতা এবং অহিংসার মূল্যবোধ গড়ে তুলেছে। ভারত এর অন্তর্ভুক্তির জন্য অবিস্মরণীয়, যা মানবজাতির সব অংশের ঐক্যের অনুভূতির প্রতিনিধিত্ব করে।” তিনি বলেন, “ভারতীয় সংস্কৃতির দিব্য সত্তা হল এর সর্বজনীন দয়া, যা ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ দর্শনে ধারণ করা হয়েছে।” তাঁর (Jagdeep Dhankhar) মতে, ভারত হিন্দু, শিখ, জৈন এবং বৌদ্ধ ধর্মের মতো প্রধান ধর্মগুলোর (Dharma) জন্মভূমি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share