Tag: Diabetes

Diabetes

  • Blood Sugar: রক্তে হঠাৎ কমছে শর্করার মাত্রা! ১৫ মিনিটেই কোন খাবার কমাবে বিপদ? 

    Blood Sugar: রক্তে হঠাৎ কমছে শর্করার মাত্রা! ১৫ মিনিটেই কোন খাবার কমাবে বিপদ? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রক্তে অতিরিক্ত শর্করার মাত্রা (Blood Sugar) নিয়ে ভুগতে হচ্ছে অনেককেই। ডায়াবেটিস আর এখন‌ শুধু প্রৌঢ়কালের সমস্যায় আটকে নেই। স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যেও বাড়ছে ডায়বেটিসের সমস্যা। তরুণ প্রজন্মের বড় অংশ এখন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি হওয়াটাই শুধু সমস্য়া নয়। কমে যাওয়াও বড় বিপদ তৈরি করে। অনেকের হঠাৎ রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়। এই ওঠানামার জেরে একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ছে কিনা, তা দেখার পাশপাশি খেয়াল রাখতে হবে হঠাৎ শর্করার পরিমাণ কমে যাচ্ছে কিনা।‌ দ্রুত এই সমস্যা মোকাবিলা না করলে বড় বিপদের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    কাদের রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি? (Blood Sugar) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস আক্রান্তদের রক্তে হঠাৎ শর্করার পরিমাণ কমে যাওয়ার ঝুঁকি বেশি‌ থাকে। কারণ, অধিকাংশ ডায়াবেটিস আক্রান্তের রক্তচাপ ওঠানামা করে। শর্করার মাত্রাও অস্বাভাবিক থাকে। ফলে, হঠাৎ করে শর্করার মাত্রা ওঠানামা করার ঝুঁকি তাঁদের‌ বেশি হয়।‌
    ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, ডায়াবেটিস আক্রান্ত হঠাৎ অন্য কোনও রোগে আক্রান্ত হলে, কিংবা হার্ট, কিডনির জন্য নতুন কোনও ওষুধ খাওয়া শুরু করলে এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। শর্করার মাত্রা (Blood Sugar) কমে যায়। 
    তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই শর্করার মাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশের মধ্যে ফিটনেস নিয়ে নানান ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। খাবার না খাওয়া, ডায়েটের রেওয়াজ করে ফেলেছেন অনেকেই। আর এতেই ঘটছে বিপত্তি। পর্যাপ্ত না খেয়ে অতিরিক্ত শরীর চর্চা, কিংবা সকালের জলখাবার, দুপুরের খাবার না খাওয়া, এই ধরনের অভ্যাস রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ কমিয়ে দেয়।

    কী ধরনের বিপদ ঘটতে পারে? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রক্তে হঠাৎ শর্করার (Blood Sugar) মাত্রা কমে গেলে মাথা ঘোরা, বমির মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এর ফল পড়ে সুদূরপ্রসারী।‌ চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বারবার রক্তে শর্করার মাত্রা কমে গেলে কিডনি, লিভার এবং হৃদযন্ত্রে মারাত্মক প্রভাব পড়ে। ফলে, একাধিক অঙ্গ বিকলের ঝুঁকিও তৈরি হয়।

    কীভাবে মোকাবিলা করবেন? 

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের সমস্যা হলে দ্রুত মোকাবিলা করতে হবে। যাতে রক্তে শর্করার মাত্রা তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক হয়। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, যাদের রক্তে শর্করার মাত্রা ওঠানামা করে, তাদের নিয়মিত বাড়িতে গ্লুকোমিটারের সাহায্যে রক্তে শর্করার মাত্রা (Blood Sugar) পরিমাপ করতে হবে। রক্তে শর্করার মাত্রা কমলে পনেরো মিনিটের মধ্যে, তা মোকাবিলা করা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।‌ তাদের পরামর্শ, চিনি নয়, বরং ক্যান্ডি বা জেলি জাতীয় খাবার ১৫ গ্রাম খেলে দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে। তবে, সবচেয়ে উপকারী মিষ্টি ফলের রস। যে কোনও ধরনের জুস ১৫ মিলিলিটার খেলে, দ্রুত শর্করার পরিমাণ ঠিক হয়ে যায় বলেই পরামর্শ‌ দিচ্ছেন চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, চিনি অনেক সময়ে রক্তে মিশতে সময় নেয়। কিন্ত জেলি, জুসের মতো‌ খাবার দ্রুত শরীরে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই এই ধরনের খাবার খাওয়া জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heart Disease: জানেন হৃদরোগীর থেকেও করোনায় মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি কাদের?

    Heart Disease: জানেন হৃদরোগীর থেকেও করোনায় মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি কাদের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এক সমীক্ষায় জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যেই সকল রোগী অত্যধিক ওজনের সমস্যা রয়েছে সেই সব রোগীর মারা যাওয়ার সম্ভাবনা অত্যধিক। এছাড়াও ধূমপানে অভ্যস্ত রোগী ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদেরও ঝুঁকি বেড়ে যায়। হৃদরোগে (Heart Disease) আক্রান্ত রোগীর চেয়ে এদের ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি। গবেষণায় দেখা যায় আইসিইউ’তে থাকা  ৭৩% রোগী অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগছিলেন। যুক্তরাজ্যের জনসংখ্যার ৬৪% মানুষের অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা রয়েছে।  এছাড়াও বয়স বেশি হলে, অন্য জটিল স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে এবং কোভিডে জটিলভাবে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি বলে উঠে এসেছে গবেষণায়।

    অতিরিক্ত ওজন হওয়া মানে দেহ অতিরিক্ত চর্বি বহন করছেন। অর্থাৎ শরীর শতভাগ ফিট নেই। আর শরীর যত ফিটনেস কম হবে, ফুসফুসের কর্মক্ষমতা তত কমবে। ফলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় অক্সিজেন পৌঁছাতে সমস্যা হবে। ফলত, হৃৎপিণ্ড (Heart Disease) ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

    [tw]


    [/tw]

    রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক ডিয়ান সেলাইয়াহ বলেন, “শরীরের প্রধান অঙ্গগুলোয় যথেষ্ট অক্সিজেন না যাওয়ায় স্থূল দেহ এক পর্যায়ে চাপ নিতে পারে না।” এ কারণে আইসিইউতে থাকা স্বাভাবিক ওজনের মানুষের তুলনায় অতিরিক্ত ওজনের মানুষের শ্বাস প্রশ্বাসে সহায়তা ও কিডনির কার্যক্রম চালানোর জন্য সহায়তা বেশি প্রয়োজন হয়।

    সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার যে সক্ষমতা শরীরের থাকে, যেটিকে আমরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity power) হিসেবে জানি, সেই ক্ষমতা স্বাভাবিক ওজনের মানুষের তুলনায় স্থূলকায় ব্যক্তিদের শরীরে কম থাকে। আমাদের শরীরের চর্বিতে থাকা ম্যাক্রোফেইজ নামক কোষ যখন অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে যায়, তখন এই সমস্যা তৈরি হয়।

    বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এর ফলে শরীরে ‘সাইটোকাইন ঝড়’ তৈরি হতে পারে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার এক ধরণের প্রতিক্রিয়া যার ফলে মানুষের মৃত্যুও হতে পারে। সেলাইয়া বলেন, “অতিরিক্ত ওজনের মানুষের মধ্যে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ নিষ্ক্রিয় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। হয়তো এর ফলেই কৃষ্ণাঙ্গ, এশিয়ান এবং মধ্যপ্রাচ্যের বংশোদ্ভূত ব্যক্তিদের মধ্যে ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হার বেশি দেখা যাচ্ছে।”

    স্থূলতার সঙ্গে সাধারণত দুর্বল হৃৎপিণ্ড বা ফুসফুস, যথাযথভাবে কাজ না করা কিডনি এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের মত অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যাও তৈরি হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Cholesterol: কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে চান? এই ৫ পানীয়তে লুকিয়ে সমাধান

    Cholesterol: কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে চান? এই ৫ পানীয়তে লুকিয়ে সমাধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোলেস্টেরলের (Cholesterol) মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে স্বাস্থ্যকর খাদ্য প্রধান ভূমিকা পালন করে। হৃদরোগ (Heart Problem), ডায়াবেটিস (Diabetes) এবং পারকিন্সনের (Parkinson’s) মতো রোগ থেকে দূরে থাকতে দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর খাদ্য রাখা প্রয়োজন। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ রাখতে সুষম খাদ্য (Healthy Diet) গ্রহণ করা থেকে শুরু করে যোগব্যায়াম (Physical Exercise) করার পাশাপাশি কিছু স্বাস্থ্যকর পানীয় (Health Drinks) গ্রহণ করা উচিত।

    আরও পড়ুন: বয়স ৫০ পেরিয়েছে? সুস্থ থাকতে খান এই উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবারগুলো

    টম্যাটো জুস (Tomato Juice)— টম্যাটো জুসে থাকা লাইকোপেন হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। টম্যাটোতে থাকা নিয়াসিন ও ফাইবার কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। টম্যাটোর রস (Tomato Juice) সপ্তাহে দু থেকে তিনবার খাওয়া যেতে পারে।

    গ্রিন টি (Green Tea)— শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে গ্রিন টি। যাঁদের শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি, তাঁদের দৈনিক গ্রিন টি খাওয়া প্রয়োজন। শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না গ্রিন টি। ফলে শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে সাহায্য করে। এতে হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) সম্ভাবনাও অনেকটাই কমে যায়।

    আরও পড়ুন: সামনে পুজো ! ওজন কমাত চান? খাবার থালায় রাখুন এই সাত সবজি

     

    কোকো পানীয় (Cocoa Drinks)— কোকোতে ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা কোলেস্টেরল কমাতে পারে। এই পানীয় মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।

    সয়া দুধ (Soya Milk)— গরুর দুধের পরিবর্তে সয়া দুধ খাওয়া উচিত। উচ্চ প্রোটিন এবং আইসোফ্লাভোনে সমৃদ্ধ সয়া দুধে স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম থাকে। হার্টের রোগীদের জন্য এই দুধ ভালো বিকল্প হতে পারে।

    যবের দুধ (Barley Milk)—  প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ এই দুধে গরুর দুধের তুলনায় দ্বিগুণ মাত্রায় প্রোটিন রয়েছে যবের দুধে। এই মিল্কে উপস্থিত উচ্চমাত্রার বিটা গ্লুকন ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এই দুধে ফ্যাট না থাকায় হৃদরোগীরা অনায়াসেই তা খেতে পারেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Blood Sugar: চিনির বিকল্প চিনির থেকেও হতে পারে বেশি ক্ষতিকারক! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    Blood Sugar: চিনির বিকল্প চিনির থেকেও হতে পারে বেশি ক্ষতিকারক! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণত ডায়াবেটিসের রোগীরা রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডায়েট থেকে চিনি বাদ দিয়ে থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের প্রধান শর্তই হলো খাবার তালিকা থেকে চিনিকে বাদ দেয়া। তাই চিনির বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম মিষ্টিকারক উপাদান বাজারে পাওয়া যায় এবং এগুলো দিন দিন জনপ্রিয়ও হচ্ছে। কিন্তু এখন ভেবে দেখার সময় চিনির এই বিকল্পগুলো কি আদৌ নিরাপদ না কি চিনির মতোই ক্ষতিকর?  

    আরও পড়ুন: ব্লাড সুগার থাকবে নিয়ন্ত্রণে, খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখুন এই চারটি খাবার

    চিনির জায়গায় বিকল্প হিসেবে যেসব আর্টিফিসিয়াল সুইটনার ব্যবহার করা হয় যাতে স্যাকারিন ও সুক্রোলোজ দেওয়া থাকে। আর এগুলোকে নিয়ে পরীক্ষা করা দেখা গিয়েছে, এই স্যাকারিন ও সুক্রোলোজই পরে ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে চিনির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হলেও এগুলো বেশি ক্ষতিকারক বলে জানা গিয়েছে।

    সম্প্রতি একটি ট্রায়াল করে দেখা গিয়েছে, কিছু মানুষকে নিয়ে দুভাগে ভাগ করা হয় ও এক গ্রুপকে চিনির বিকল্প হিসেবে অন্য জিনিস দেওয়া হয় যাতে স্যাকারিন ও সুক্রোলোজ থাকে, আর অন্য এক গ্রুপকে গ্লুকোজ পাউডার দেওয়া হলে দেখা যায়, প্রথম গ্রুপের ব্যক্তিদের শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা  বেশি পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে। ফলে এই ক্ষেত্রে বোঝা যায়, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার পেছনে গ্লুকোজ নয়, স্যাকারিন ও সুক্রোলোজের অবদান বেশি। এর ফলেই রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়। আর চিনির বিকল্প হিসেবে এই স্যাকারিনের ব্যবহারই হয়ে আসছে বহু বছর থেকেই। তবে স্যাকারিন খাওয়া মোটেও নিরাপদ নয়। পুষ্টিবিদরা দেখেছেন যে চিনির পরিবর্তে যারা স্যাকারিন খান তাদের ক্ষেত্রে ব্লাড ক্যান্সারের ঝুঁকি ৬০ গুণ বেশি বেড়ে যায়।

    আরও পড়ুন: এখন যেকোনও বয়সেই রয়েছে হৃদরোগের ঝুঁকি, কোন লক্ষণগুলি দেখে বুঝবেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

     

  • Diabetes: ডায়াবেটিস আছে? সুস্থ থাকতে বেছে নিন প্রোটিন-জাত খাবার, বলছে গবেষণা

    Diabetes: ডায়াবেটিস আছে? সুস্থ থাকতে বেছে নিন প্রোটিন-জাত খাবার, বলছে গবেষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডায়াবেটিস (Diabetes) হলে ভাত-রুটি খাওয়া ছেড়ে দেন অনেকেই। কারণ তারা মনে করেন, কার্বোহাইড্রেট (Carbohydrate) খেলে রক্তে শর্করার (Blood Sugar) পরিমাণ বেড়ে যাবে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমনটি ভাবা মোটেও ঠিক নয়। কারণ কর্বোহাইড্রেটজাতীয় খাবারের মধ্যেও ভালোমন্দ রয়েছে। যদি আপনি ভালো খাবারটি বেছে নেন, তবে আপনি উপকারী হবেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, কম কার্বস-যুক্ত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। এ ছাড়াও দিনে কতটুকু কার্বস গ্রহণ করবেন, তা নির্ভর করবে আপনার ডায়াবেটিস ওঠা-নামার উপর। ডায়াবিটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে ডায়েটে অনেক কিছুই করতে হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে এমন অনেক জিনিস রয়েছে যা ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য বিপজ্জনক। আপনি যদি এই জিনিসগুলি থেকে বিরত থাকেন তাহলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন খুব সহজেই।

    আরও পড়ুন: চিনির বিকল্প চিনির থেকেও হতে পারে বেশি ক্ষতিকারক! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    আইসিএমআর (ICMR) থেকে বলা হয়েছে যদি কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণে প্রোটিন ও উপকারী ফ্যাট ডায়েটে রাখা হয় তবে ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রেণে সহজেই রাখা যায়। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ ৪৯ শতাংশ থেকে ৫৪ শতাংশে নামিয়ে আনা যায় এবং প্রোটিন ১৯ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে বৃদ্ধি পায় এবং ফ্যাট ২১ শতাংশ থেকে ২৬ শতাংশের কাছাকাছি রাখা যায়, তবে সহজেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন ব্যক্তির ক্ষেত্রে উপযুক্ত কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ ৫৪ শতাংশ থেকে ৫৭ শতাংশ, প্রোটিন ১৬ শতাংশ থেকে ২০শতাংশ এবং ফ্যাট ২০ শতাংশ থেকে ২৪ শতাংশ।  

    আরও পড়ুন: ব্লাড সুগার থাকবে নিয়ন্ত্রণে, খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখুন এই চারটি খাবার 

    রক্তে শর্করার মাত্রা যদি নিয়ন্ত্রণে না থাকে তাহলে শরীরে নানা জটিলতা তৈরি হতে পারে। তাই ডায়েটে সব ধরণের খাবার খাওয়া উচিত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Diabetes Symptoms: পায়ের এই লক্ষণগুলো দেখলেই বুঝবেন আপনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কিনা…

    Diabetes Symptoms: পায়ের এই লক্ষণগুলো দেখলেই বুঝবেন আপনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কিনা…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে দ্রুত হারে বাড়ছে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা। পরিবর্তিত জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাসের কারণে এই রোগ দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। এই রোগ একবার শরীরে বাসা বাঁধলে সারাজীবন ছাড়ে না। ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায় বা শরীরে পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না বা যতটা ইনসুলিন তৈরি হয় তা ব্যবহার করতে সক্ষম হয় না। টাইপ ১ ও টাইপ ২ এই দুধরণের ডায়াবেটিস বেশি দেখা যায়। ঝাপসা দৃষ্টি, গ্লুকোমা, ক্ষত নিরাময়ে দেরি, ক্লান্তি, ঘন ঘন মাথাব্যথা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস, দ্রুত হৃদস্পন্দন, ঘন ঘন প্রস্রাব ডায়াবেটিসের প্রধান লক্ষণ। তবে আরও অনেক রকমের ডায়াবেটিসের ধরণ দেখা যায়। আর সেই ডায়াবেটিস রোগীদের দেহে নতুন উপসর্গও দেখা দিচ্ছে। ডায়াবেটিস রোগীদের পায়ে বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা দেয় ও পায়ের এই লক্ষণগুলোই ডায়াবেটিস হওয়ার কারণ হতে পারে। সেগুলো হল-

    আরও পড়ুন: ইসিজি থেকে ডায়াবেটিস নির্ণয়, নয়া এআই অ্যালগরিদম নিয়ে হাজির ভারতীয় বিজ্ঞানীর দল

    পায়ে ব্যথা, অসাড়তা- ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথিতে পা, পায়ের পাতায়, হাতে ব্যথা অনুভূত হয়। এই ডায়াবেটিসে সাধারণত পায়ের নার্ভগুলো নষ্ট হয়ে যায়।

    ফুট আলসার- ডায়াবেটিক আলসার হলে আক্রান্ত স্থানের চামড়া পুরু হয়ে লাল গর্তের মতো সৃষ্টি হয়। গুরুতর ক্ষেত্রে এই গর্ত গভীর হয় ও হাড় পর্যন্ত ক্ষত পৌঁছে যায়। তখন যন্ত্রণার কারণে পা ফুলে যায় ও প্রচণ্ড ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে।

    অ্যাথলেটস ফুট- এই ক্ষেত্রে পায়ে চুলকানি, পা লাল হয়ে যাওয়া, পা ফেটে যাওয়া ইত্যাদি দেখা যায়।

    ফাঙ্গাল ইনফেকশন- ডায়াবেটিস রোগীদের পায়ের নখে ফাঙ্গাল ইনফেকশন প্রায়ই দেখা যায়। এর ফলে নখের রং পরিবর্তন হয়ে যায়, নখ পাতলা হয়ে যায় ও সহজেই ভেঙে যায়।

    গ্যাংগ্রিন- গ্যাংগ্রিন বলতে বোঝায় আক্রান্ত স্থানে রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার কারণে শরীরের কোনো অংশে টিস্যুর মৃত্যু। যেখানেই রক্ত সরবরাহ হতে পারে না সেখানেই গ্যাংগ্রিন হতে পারে।

    আরও পড়ুন: ডায়াবেটিসে আক্রান্ত? এই ভেষজ খেলে নিয়ন্ত্রণে আসবে রক্তে শর্করার মাত্রা 

     

     

  • AI Algorithm: ইসিজি থেকে ডায়াবেটিস নির্ণয়, নয়া এআই অ্যালগরিদম নিয়ে হাজির ভারতীয় বিজ্ঞানীর দল

    AI Algorithm: ইসিজি থেকে ডায়াবেটিস নির্ণয়, নয়া এআই অ্যালগরিদম নিয়ে হাজির ভারতীয় বিজ্ঞানীর দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি ভারতের কিছু বিজ্ঞানী এক নতুন রকমের আর্টিফিসিয়াল অ্যালগরিদম তৈরি করেছেন। এর মাধ্যমে ইসিজিতেই ( ECG) ধরা পড়বে রোগীর ডায়াবেটিস (Diabetes) আছে কি না, বা ভবিষ্যতে হওয়ার কোনও সম্ভবনা (Prediabetes) আছে কি না? হৃদস্পন্দনের পরিমাপ করে ডাইবেটিসের অস্বিত্ব দেখা হবে। 

    ১,২৬২ জন মানুষের ওপর গবেষণাটি চালিয়েছে নাগপুরের লতা মেডিক্যাল রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (Lata Medical Research Foundation) বিশেষজ্ঞদের একটি দল। প্রত্যেকের শরীরে ১০ সেকেন্ডের ইসিজি করা হয়। অ্যালগরিদমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডায়াবিটস’ (DiaBeats)। 

    আরও পড়ুন: কোভিশিল্ড-কোভ্যাক্সিনের পর বুস্টার ডোজ হিসেবে নেওয়া যাবে কর্বেভ্যাক্সও, অনুমোদন কেন্দ্রের

    প্রত্যেকের হৃদস্পন্দনের আলাদা আলাদা পরিমাপ করে মুহূর্তের মধ্যেই ডায়াবিটস আছে কী না তা বলে দেয় এই অ্যালগরিদম। ৯৭% ক্ষেত্রেই ডায়াবিটসের পর্যবেক্ষণ সঠিক হয়। লিঙ্গ, বয়স নির্বিশেষে এই পরীক্ষা করতে সক্ষম ডায়াবিটস।

    বিশেষজ্ঞদের দলের মতে, “যদি বেশি সংখ্যক মানুষের ওপর এই পরীক্ষা সফল নয়, তাহলে অল্প খরচ এবং পরিকাঠামোতে রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হবে। 

    তাঁরা বলেন, “আমাদের তৈরি এই পদ্ধতিতে কম খরচে, ছোট পরিকাঠামো সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হয়েছে। বেশি মানুষের ওপর এই গবেষণা সফল হলে, চিকিৎসার একটি নতুন দিক উন্মোচিত হবে।”

    আরও পড়ুন: অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ডায়েটে রাখুন এই খাবারগুলো 2022-08-08 15:11:44

    এক বিশেষজ্ঞ জানান, এই অ্যালগোরিদমকে দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ করে নিলে, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা অনেকটা কমবে। 

    পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ সালে বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা মোট ৪.৬ কোটি ছিল। প্রথম ধাপেই যদি রোগ ধরা পড়ে তাহলে অনেক শারীরিক সমস্যাকেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। 

    কিন্তু দেশের এত জনসংখ্যার কারণে সবার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা সম্ভব হয় না। অনেক জায়গায় সেই পরিকাঠামোও থাকে না। বিশেষজ্ঞদের ওই দলের বক্তব্য, এই অ্যালগরিদমের সাহায্যে কম খরচে, ছোট পরিকাঠামোতেই ডায়াবেটিস নির্ণয় সম্ভব। 

    বিশেষজ্ঞের ওই দল স্বীকার করে নিয়েছে, যে যাদের ওপর এই পরীক্ষা করা হয়েছে তারা সবাই-ই উচ্চ ডায়াবেটিস এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যার রোগী। তাই সবার ওপর এই পরীক্ষা কতটা কার্যকরী হবে তা এখনই বলা সম্ভব নয়। যারা নিয়মিত ওষুধ খাচ্ছেন তাঁদের জন্যে একটু কম কার্যকর ডায়াবিটস।  

     

     

LinkedIn
Share