Tag: digestion

digestion

  • Bread: রোজ রাতে শিশুকে রুটি খাওয়ান? শরীরে এর কী প্রভাব পড়ে জানেন?

    Bread: রোজ রাতে শিশুকে রুটি খাওয়ান? শরীরে এর কী প্রভাব পড়ে জানেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    এক বেলা সবজি-মাছ-ভাত খেলেও, অনেকেই রাতে নিয়ম করে রুটি (Bread) খাওয়ায় অভ্যস্ত! নিয়মিত রুটি খেলে শরীরে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়ে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুর বয়স সাত-আট মাস পেরোলেই অনেকে নিয়মিত রুটি খাওয়ানোতে অভ্যস্ত করেন। ফলে শিশুদের শরীরেও এই খাবারের প্রভাব পড়ে। তাই নিয়মিত রুটি খাওয়ার আগে কয়েকটি বিষয়ে নজর দেওয়া দরকার বলেই মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের। এখন দেখে নেওয়া যাক, নিয়মিত রুটি খেলে কী হয়?

    রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে (Bread) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত রুটি খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাঁরা জানাচ্ছেন, কম বয়স থেকে অধিকাংশ ভারতীয় এখন রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন। বিশেষত উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুক্তভোগীদের সংখ্যা গত কয়েক বছরে শহুরে ভারতীয়দের মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। নিয়মিত রুটি খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার কিংবা স্ট্রোকের মতো বিপদের ঝুঁকিও কমে। তাই নিয়মিত রুটি খেলে উপকার পাওয়া যায়।

    হজম শক্তি বাড়ে

    পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রুটি (Bread) নিয়মিত খেলে হজম শক্তি বাড়ে। তাঁরা জানাচ্ছেন, রুটিতে থাক্স ফাইবার থাকে। তাই এই উপাদান হজম শক্তি বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে। শিশুদের জন্যও তাই রুটি বিশেষ উপকারী। নিয়মিত রুটি খেলে শরীরে ফাইবারের জোগান ঠিকমতো হয়। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই শিশুরা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগে। নিয়মিত রুটি খেলে, সেই সমস্যা সহজেই মোকাবিলা হয়।

    ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য বিশেষ উপকারী (Bread) 

    ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য রুটি বিশেষ উপকারী বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভাত খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য যা বিপজ্জনক। সেক্ষেত্রে রুটি তাঁদের জন্য বিশেষ উপকারী বলেই মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের। তাঁরা জানাচ্ছেন, রুটিতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকে। তাই রক্তে শর্করার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

    ওজন বাড়ে না

    ভারতীয় শিশুদের মধ্যে (Child) একটা বড় অংশ স্থূলতার সমস্যায় ভুগছে। তাই শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, শিশুদের খাবার দেওয়ার সময় ক্যালোরির দিকটি বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন। তাঁরা জানাচ্ছেন, রুটিতে চর্বি জাতীয় উপাদান থাকে না। তাই রুটি খেলে ওজন বাড়ে না। স্থূলতার ঝুঁকিও তৈরি হয় না। তাই শিশুদের নিশ্চিন্তে নিয়মিত রুটি (Bread) দেওয়া যেতে পারে‌।

    কীভাবে রুটি খেলে বাড়তি উপকার পাওয়া যাবে?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, যে কোনও খাবার কীভাবে খাওয়া হচ্ছে, তার উপরে খাবারের পুষ্টিগুণ অনেকটাই নির্ভর করে। রুটি খাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁরা জানাচ্ছেন, বাজরা কিংবা রাগীর মতো দানাশস্য দিয়ে তৈরি রুটি খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যাবে। এই ধরনের দানাশস্যে ফাইবারের পাশপাশি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ থাকে। তাই শরীরে বাড়তি উপকার হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাড়িতে তৈরি রুটির উপকার বেশি। তবে আটার রুটি (Bread) খেলেও শরীরে প্রচুর উপকার হয়। কিন্তু ময়দার তৈরি রুটি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ময়দা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। পাশপাশি তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই রুটির উপরে মাখন কিংবা ঘি ঢেলে দেন। নিয়মিত রুটির সঙ্গে অতিরিক্ত পরিমাণ ঘি কিংবা মাখন খেলে শরীরে উপকার হবে না। বরং হজমের সমস্যা‌ কিংবা কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার মতো বিপদ হতে পারে।
    পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত দুটি রুটির সঙ্গে ডাল কিংবা সবজি খেলে শরীরে ব্যালেন্স ডায়েট হয়। অর্থাৎ ভিটামিন, ফাইবার, প্রোটিন সবকিছুর চাহিদা সহজেই পূরণ হয়। ফলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Date molasses: শীত মানেই খেজুর গুড়! কতখানি উপকারী আর কাদের জন্য বিপজ্জনক?

    Date molasses: শীত মানেই খেজুর গুড়! কতখানি উপকারী আর কাদের জন্য বিপজ্জনক?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    নতুন বছরের শুরুতে তাপমাত্রার পারদ ফের নেমেছে। তাই রাজ্য জুড়ে শীতের (Winter) আমেজ। শীতের যেসব খাবার বাঙালির রসনা তৃপ্তি করে, সেই তালিকায় প্রথম দিকেই রয়েছে খেজুর গুড়। যার গন্ধে ও স্বাদে বাঙালি মজে থাকেন! পায়েস হোক কিংবা পরোটা, শীতের খেজুর গুড়ের (Date molasses) স্বাদ ও গন্ধ এই সময়ে বাড়তি উষ্ণতা জোগায়। কিন্তু খেজুর গুড় শরীরে কী প্রভাব ফেলে! কতখানি উপকার করে, নাকি এই খাবারে ক্ষতির পাল্লা বেশি ভারী! বিশেষজ্ঞদের একাংশ অবশ্য জানাচ্ছেন, খেজুর গুড়ের গুণ একাধিক। তবে ক্ষতির দিকটিও নজর দেওয়া দরকার। বিশেষত সকলের জন্য এই খাবার স্বাস্থ্যকর নাও হতে পারে। কতখানি উপকারী খেজুর গুড়?

    শরীরে আয়রনের ঘাটতি মেটায় (Date molasses)

    খেজুর গুড়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে আয়রন খুব প্রয়োজন। তাছাড়া, শরীরের এনার্জি ধরে রাখতেও আয়রনের দরকার। খেজুর গুড়ে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। তাই শরীরে আয়রনের চাহিদা সহজেই পূরণ হয়‌।

    লিভারের জন্য বিশেষ উপকারী

    খেজুর গুড় লিভারের জন্য উপকারি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, খেজুর গুড়ে (Date molasses) রয়েছে সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম। এই দুই উপাদান শরীরের জন্য উপকারি। এতে লিভার সুস্থ থাকে। তাই নিয়মিত খেজুর গুড় খেলে লিভারের কার্যকারিতা বাড়ে বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    হজমে সাহায্য করে (Date molasses)

    খেজুর গুড় হজম শক্তি বাড়ায় বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত এক টুকরো খেজুর গুড় খেলে হজম শক্তি বাড়ে‌। অন্ত্র সুস্থ থাকে।

    রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে

    রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বাড়তি সাহায্য করে খেজুর গুড়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খেজুর গুড় থেকে শরীর সহজে পটাশিয়াম ও সোডিয়াম পায়। তাই এর ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য হয়।

    ত্বক ভালো থাকে

    খেজুর গুড় ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, খেজুর গুড় (Date molasses) ত্বককে মসৃণ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। বিশেষ করে ত্বকের ব্রণ কমাতে খেজুর গুড় বাড়তি সাহায্য করে।

    কাদের জন্য ক্ষতিকারক এই খাবার?

    খেজুর গুড়ে স্বাস্থ্য ভালো রাখার একাধিক গুণ থাকলেও এর (Date molasses) বেশ কিছু দিক যথেষ্ট ক্ষতিকারক। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খেজুর গুড়ে যথেষ্ট পরিমাণে শর্করা থাকে। তাই এই খাবার নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিস আক্রান্তদের ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকিও বেশি থাকে। শরীরে শর্করার পরিমাণ আরও বেড়ে যেতে পারে। 
    আবার, খেজুর গুড় দেহের ওজন বাড়িয়ে দেয়। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, খেজুর গুড় নিয়মিত খেলে স্থূলতার সমস্যা বাড়তে পারে। বিশেষ করে, যাঁরা অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য এই খাবার বাড়তি ক্ষতিকারক।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vegetables: শীতের রোগ মোকাবিলা করবে কোন পাঁচ সবজি? কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা? 

    Vegetables: শীতের রোগ মোকাবিলা করবে কোন পাঁচ সবজি? কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শীত মানেই পিকনিক, বেড়াতে যাওয়া, বড়দিনের উৎসব। কিন্তু শীতের সময়েই হানা দেয় নানান ভাইরাস ঘটিত অসুখ, পেটের গোলমাল, হজমের সমস্যার মতো একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা। এর ফলে ভোগান্তি বাড়ে। শিশু থেকে বয়স্ক, শীতের সময়ে অনেকেই নানান রোগের দাপটে নাজেহাল হয়। সর্দি-কাশির মতো অসুখের পাশপাশি অনেকেই ফুসফুসের নানান সংক্রমণের শিকার হন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতের সবজিতেই (Vegetables) হতে পারে বাজিমাত। তাঁরা জানাচ্ছেন, শীতের সবজির পুষ্টিগুণ একাধিক। রয়েছে রোগ মোকাবিলা শক্তি। তাই শীতের মরশুমে নিয়মিত কয়েকটি সবজি খেলেই সুস্থ থাকবে শরীর। আসুন, দেখে নিই, কোন কোন সবজির কী কী পুষ্টিগুণ?

    পালং শাক বাড়াবে রোগ প্রতিরোধ শক্তি (Vegetables)

    শীতের সবজির তালিকায় প্রথমেই থাকে পালং শাক। এর পুষ্টিগুণ প্রচুর। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, পালং শাকে থাকে ভিটামিন এ, বি, সি, ই এবং ভিটামিন কে। এই একাধিক ভিটামিন থাকার জেরেই এই শাক শীতকালে খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। আবার পালং শাকে প্রচুর ম্যাগনেশিয়াম এবং আয়রন রয়েছে। ফলে, হাড় মজবুত হয়। শীতে অনেকেই বাতের যন্ত্রণায় কাবু হন।‌ তাই শীতে এই শাক নিয়মিত খেলে ক্যালসিয়ামের জোগান সহজ হয়। আবার আয়রন থাকায় হিমোগ্লোবিনের জোগানও পাওয়া যায়।

    ব্রোকলি হজমে বাড়তি সাহায্য করে

    শীতের মরশুমে অনেকেই হজমের গোলমালে ভোগেন। হজম না হওয়া কিংবা বমি, পেটের সমস্যার মতো‌ ভোগান্তিও দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ব্রোকলি এই সমস্যা কমাতে অনেকটাই সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ব্রোকলিতে (Vegetables) আছে‌‌ ভিটামিন কে, সি, ফাইবারের মতো উপাদান। ফলে, ব্রোকলি খেলে হজম ভালো হয়। পাচনতন্ত্র সুস্থ থাকে।

    শরীর সুস্থ রাখতে এবং ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করবে ফুলকপি

    শীতের অন্যতম সবজি ফুলকপি। বাঙালির রান্নাঘরে শীতে ফুলকপি থাকবেই। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, শীতে ফুলকপি শুধু স্বাদে নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর। তাঁরা জানাচ্ছেন, ফুলকপিতে থাকে প্রচুর ক্যালসিয়াম। তাছাড়া, ম্যাগনেশিয়াম এবং জিঙ্কের মতো খনিজ পদার্থও যথেষ্ট থাকে। তাই ফুলকপি খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে। পাশপাশি ক্যালসিয়ামের চাহিদা সহজেই পূরণ হয়।

    ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে মূলো (Vegetables)

    শীতের মরশুমে বিয়ে‌বাড়ির নেমন্তন্ন কিংবা বনভোজনের ভূরিভোজে মেতে ওঠেন কমবেশি সকলেই। আর দেদার খাওয়া-দাওয়ার জেরে অনেকেই কিন্তু ওজন বাড়িয়ে ফেলেন। অতিরিক্ত ওজন একাধিক রোগের কারণ। তবে শীতে এই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে মূলো। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, মূলো খুবই কম ক্যালোরি যুক্ত একটি সবজি। তাই নিয়মিত মূলো খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাছাড়া মূলোতে জলীয় পদার্থের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই মূলো ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকিও কমায়। শীতে অনেকেই জল খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেন। ফলে, শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। মূলোর মতো সবজি খেলে এই ঝুঁকি (Winter diseases) কমবে।

    শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান দেবে গাজর

    সর্দি-কাশির মতো সমস্যা হোক কিংবা ফুসফুসের অসুখ, যে কোনও রোগের সঙ্গে লড়াই করতে জরুরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান ঠিকমতো থাকলে রোগ মোকাবিলা সহজ হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, গাজরে (Vegetables) থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। নিয়মিত গাজর খেলে তাই শরীর সুস্থ থাকবে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pineapple: কাশি এবং ডায়ারিয়া কমায় আনারস! বর্ষার মরশুমের এই ফল কি কারও পক্ষে বিপজ্জনকও?

    Pineapple: কাশি এবং ডায়ারিয়া কমায় আনারস! বর্ষার মরশুমের এই ফল কি কারও পক্ষে বিপজ্জনকও?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    উত্তর থেকে দক্ষিণ, রাজ্য জুড়ে বৃষ্টি চলছেই। বর্ষায় যেমন বাঙালির পাতে থাকে ইলিশ, তেমনি বর্ষার মরশুমের আরেক খাবারও বাঙালির প্রিয়। আর সেটা হল আনারস। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আনারস খুবই উপকারী। বিশেষত এই সময়ে আনারস (Pineapple) নিয়মিত খেলে একাধিক উপকার পাওয়া যায়। তবে কিছু ক্ষেত্রে সতর্কতাও জরুরি। না হলে আনারস বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। প্রথমে দেখে নেওয়া যাক, আনারসের উপকার কতখানি?

    আনারস কমায় ডায়ারিয়ার ঝুঁকি

    বর্ষায় (Rainy Season) ডায়ারিয়ার মতো রোগের প্রকোপ বাড়ে। বিভিন্ন জায়গায় জমা ও অপরিচ্ছন্ন জলের জেরে ডায়ারিয়ার মতো পেটের অসুখের ঝুঁকি তৈরি হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আনারস ডায়ারিয়ার ঝুঁকি কমায়। তাই বর্ষার সময় অন্তত সপ্তাহে দু’দিন আনারস খেলে একাধিক পেটের অসুখের মোকাবিলা সহজ হয়। আনারস পেটের জন্য খুবই উপকারী। তাই ডায়ারিয়ার মতো রোগকেও সহজেই মোকাবিলা করা সম্ভব হয়।

    কাশি কমাতে সাহায্য করে আনারস (Pineapple)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বর্ষায় অনেকেই মারাত্মক সর্দি-কাশিতে ভোগেন। আনারস এই ধরনের সমস্যা মোকাবিলায় সাহায্য করে। আনারস গলার সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। তাই আনারস খেলে কাশির সমস্যার সহজেই মোকাবিলা করা যায়।

    ত্বকের সমস্যা কমায় আনারসের রস

    বর্ষায় স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া থাকে। আর তার জেরেই অনেকে নানান ফাঙ্গাস ইনফেকশনে আক্রান্ত হয়। দেহের বিভিন্ন জায়গায় চুলকানি বা লাল হয়ে থাকা এর প্রধান লক্ষণ। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আনারসের (Pineapple) রস সেই জায়গায় লাগালে দারুণ উপকার হয়। দ্রুত সংক্রমণ কমে। চুলকানির সমস্যাও কমে।

    কিডনি ভালো রাখে আনারস

    কিডনির জন্য আনারস ভীষণ উপকারী। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, আনারস মূত্রনালীর সংক্রমণ ও কিডনির সমস্যা মোকাবিলায় বিশেষ সাহায্য করে। অনেকেই মূত্রনালীর সংক্রমণে ভোগেন। বিশেষত মহিলাদের এই ধরনের সমস্যা বেশি দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এক কাপ আনারসের রস নিয়মিত খেলে কিডনি সুস্থ থাকে‌। কিডনিতে পাথরের মতো জটিল রোগের ঝুঁকি অনেক কমে। আবার মূত্রনালীর সংক্রমণের ঝুঁকিও কমে। তাই মহিলাদের বিশেষ করে এই দিকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কাদের বিপদ বাড়াতে পারে বর্ষার এই ফল? (Pineapple)

    লিভার, কিডনি কিংবা ত্বকের জন্য উপকারী হলেও আনারস নিয়মিত খেলে কিছু ক্ষেত্রে তা বিপজ্জনক হতে পারে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাঝেমধ্যে খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে নিয়মিত আনারস খেলে বিপদ হতে পারে। এবার দেখে নেওয়া যাক, সেগুলি কী কী।

    ক্যাভেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়! 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দাঁতের জন্য অনেক সময়েই আনারস (Pineapple) ঝুঁকি তৈরি করে‌। ক্যাভেটিস এবং জিংজাইভেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি অনেক সময় আনারস বাড়িয়ে দেয়।

    রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়

    আনারস মিষ্টি ফল। আবার অনেকেই চিনি মিশিয়ে আনারস খান। আর তার জেরেই বিপদ বাড়ে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস আক্রান্তরা নিয়মিত আনারস খেলে অনেক সময়েই রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। তাই বাড়তি বিপদ তৈরি হয়।

    অ্যালার্জি থাকলে ভোগান্তি বাড়াবে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকেই অ্যালার্জিপ্রবণ হন।‌ বিভিন্ন ধরনের খাবারে তাঁদের চুলকানি, ঠোঁট ও গলা ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়। তাঁদের জন্য আনারস বাড়তি ভোগান্তি তৈরি করতে পারে। তাই আনারস খাওয়ার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ (Rainy Season)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Digestion: নিয়মিত হজমের সমস্যায় ভুগছেন? কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতি মানলেই মুশকিল আসান!

    Digestion: নিয়মিত হজমের সমস্যায় ভুগছেন? কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতি মানলেই মুশকিল আসান!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সকালের জলখাবার কিংবা রাতের খাবার খাওয়ার পরেই এক ধরনের অস্বস্তি। আবার অনেকের খাওয়ার ইচ্ছেই অধিকাংশ সময় থাকে না। পেটে অস্বস্তি, বমি কিংবা হজমের একাধিক সমস্যায় জেরবার অনেকেই। আর সমস্যা শুধু হজমের গোলমালেই আটকে থাকছে না। বরং, দীর্ঘদিন হজমের গোলমাল (Digestion) থাকার জেরে গ্যাস্ট্রিক, আলসার সহ নানান জটিল রোগ তৈরি হচ্ছে। ফলে, ভোগান্তি আরও বাড়ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কয়েকটি ঘরোয়া উপাদান এবং কিছু সহজ উপায় মেনে খাদ্যাভ্যাস তৈরি করলেই এই ধরনের লাগাতার সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে। খিদে বাড়বে, হজম হবে সহজেই, আর সুস্থ জীবনযাপন সম্ভব হবে‌। কিন্তু জীবনযাপনের কোন বদল হজমের গোলমাল কমিয়ে দেবে?

    পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হজমের সমস্যায় ভুক্তভোগীদের অন্যতম কারণ জল পর্যাপ্ত না খাওয়ার অভ্যাস। সকালে খালি পেটে এক গ্লাস জল খেলে অন্ত্র ভালো থাকে। পাকস্থলীর কার্যক্ষমতা বাড়ে। পাশপাশি সারাদিনে অন্তত ৪-৫ লিটার জল একজন প্রাপ্তবয়স্কের খাওয়া উচিত। দেহে পর্যাপ্ত জলের জোগান থাকলেই হজমের সমস্যা কমবে। জল পাকস্থলীকে ভালো রাখে। ক্ষতিকারক অ্যাসিড তৈরি আটকায়। তাই হজম শক্তি বাড়ে‌।

    খাবার সময়ের ব্যবধান কমানো জরুরি (Digestion)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, আধুনিক জীবনে হজমের সমস্যা তৈরি হওয়ার অন্যতম কারণ হল খাবার সময়ের মধ্যে ব্যবধান বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের বড় অংশের খাবার খাওয়ার সময় ঠিক নেই। অনেকেই জলখাবার খান না।‌ অনেক দেরিতে ঘুম থেকে ওঠেন। সরাসরি লাঞ্চ করেন। যা একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। আবার অনেকেই ভারী ব্রেকফাস্ট করেন। লাঞ্চ একদম বাদ দেন। আবার ডিনার করেন‌। এই দীর্ঘ সময়ের ব্যবধান একেবারেই অস্বাস্থ্যকর। সকালের জলখাবার, দুপুরের খাবার আবার বিকেলে হালকা খাবার খাওয়া, রাতের খাবার সময় মতো খাওয়া জরুরি। অনেকেই অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন। তাঁরা অনেক সময়েই রাতের খাবার অনেকটা দেরিতে খান‌‌। দীর্ঘদিন এই অভ্যাস জারি থাকলে হজমের গোলমাল দেখা দেবে। এছাড়াও গলব্লাডার স্টোন, গ্যাস্ট্রিকের (Digestion) মতো রোগের ঝুঁকিও বাড়বে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে পাকস্থলীতে এক ধরনের অ্যাসিড তৈরি হয়। যা দেহের জন্য ক্ষতিকারক। তাই নির্দিষ্ট সময় অন্তর কিছু খাবার খাওয়া উচিত।

    খাওয়ার পরে কিছু নির্দিষ্ট যোগাভ্যাস বাড়াবে হজমের ক্ষমতা

    যোগাভ্যাস একাধিক রোগ নির্মূল করতে সক্ষম। আর তার মধ্যে অন্যতম হজমের গোলমাল। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, সকালে নিয়মিত হাঁটলে হজমের ক্ষমতা বাড়ে। খিদে বাড়ে। ফলে অন্ত্র সক্রিয় থাকে। এর পাশপাশি ভারী খাবার খাওয়ার পরেই বিশ্রাম নেওয়া একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, দুপুরে কিংবা রাতে ভারী খাবার খাওয়ার পর কিছুক্ষণ বজ্রাসনের মতো কিছু যোগাভ্যাস করা জরুরি। এতে হজম শক্তি বাড়ে‌। সুস্থ থাকা যায়।

    রাতে অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার একেবারেই নয় (Digestion)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের একাংশ রাতের ডিনার অধিকাংশ সময় রেস্তোরাঁয় করেন। কিংবা বাইরের খাবার আনিয়ে খান।‌ আর এই অভ্যাস বিপদ‌ বাড়াচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, রাতে বিশেষত বেশি রাতে অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার খাওয়া একেবারেই অস্বাস্থ্যকর। এর জেরে অন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়‌। হজমের গোলমাল হয়। রাতে একেবারেই হালকা খাবার খাওয়া উচিত। এতে হজম দ্রুত হয়। কিন্তু কোন ঘরোয়া খাবার নিয়মিত খেলে হজম শক্তি বাড়বে?

    প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার

    নিয়মিত প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার খেলে হজম শক্তি বাড়বে। এমনই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সকালের জলখাবারে কলা কিংবা আপেলের মতো ফল‌ থাকা জরুরি।‌ কারণ এগুলো‌তে প্রচুর প্রোবায়োটিক রয়েছে। এছাড়াও ভারী খাবার খাওয়ার পরে টক দই খাওয়া জরুরি।‌ কারণ টক দইয়ে থাকে উপকারী ব্যাকটেরিয়া। এগুলো অন্ত্রে গিয়ে হজম ক্ষমতা বাড়ায়। পাকস্থলী ও লিভার সুস্থ রাখে।‌

    প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড দারুচিনি, থাকুক চায়ে

    দারুচিনি হজম শক্তি বাড়াতে এবং হজমের সমস্যা কমাতে বিশেষ উপকারী। এমনই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, দারুচিনিকে প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড বলা হয়। এই মশলা রান্নায় ব্যবহার করলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়। যাঁরা খুব হজমের সমস্যায় ভোগেন, তাঁরা চায়ে এক টুকরো দারুচিনি দিয়ে নিয়মিত খেলে বিশেষ উপকার পাবেন (Digestion)।

    ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার হজম শক্তি বাড়াবে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ফাইবার হজমের সমস্যা কমাতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত যে কোনও রকমের ডাল, নাশপাতির মতো ফল কিংবা আটার তৈরি রুটি খাওয়া জরুরি। এই ধরনের খাবার নিয়মিত খেলে অন্ত্র সুস্থ থাকে। ফলে হজমের গোলমাল কমে‌‌।

    আদার ব্যবহার কমাবে গ্যাসের সমস্যা (Digestion)

    অনেকেই গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন। তাঁদের জন্য আদা বিশেষ উপকারী বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সকালে একটুকরো কাঁচা আদা খেতে পারলে গ্যাসের সমস্যা‌ কমে। এমনকি গ্যাস্ট্রিকের ঝুঁকিও কমে। তবে যাঁরা কাঁচা আদা চিবিয়ে খেতে পারেন না, তাঁরা তরকারিতে নিয়মিত আদা বাটা ব্যবহার করুন। এমনই পরামর্শ বিশেষজ্ঞ মহলের।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Watermelon: গরমে অস্বস্তি কাটাতে রোজ তরমুজ খাওয়ার অভ্যাস? জানেন কী হতে পারে? 

    Watermelon: গরমে অস্বস্তি কাটাতে রোজ তরমুজ খাওয়ার অভ্যাস? জানেন কী হতে পারে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শীত ছুটি নিয়েছে বেশ কিছুদিন। ক্যালেন্ডারের হিসেবে এখন বসন্ত। কিন্তু তাপমাত্রা বাড়ছে। গরমের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এই সময়ে তরমুজ অনেকেই নিয়মিত খান। কেউ তরমুজের রস খান আবার কেউ তরমুজের টুকরো নিয়মিত জলখাবারে পাতে রাখেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত তরমুজ (Watermelon) শরীরে গভীর প্রভাব ফেলে। তাই দেখে নেওয়া যাক, নিয়মিত তরমুজ খেলে কী হতে পারে?

    গরমে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমায়! (Watermelon)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই সময়ে আবহাওয়া বেশ শুষ্ক। হঠাৎ গরম পড়ার জেরে অনেকের শরীরে জলের চাহিদা বেড়ে যায়। আর এই চাহিদা সহজেই পূরণ করতে পারে তরমুজের মতো ফল। তাই নিয়মিত তরমুজ খেলে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমে।

    গরমে ত্বক ভালো থাকবে!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গরম বাড়লে অনেকের ত্বকের সমস্য হয়। র ্যাশ‌, সান বার্ন ছাড়াও একাধিক ত্বকের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। নিয়মিত তরমুজ খেলে ত্বক ভালো থাকে। কারণ, তরমুজে রয়েছে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই। এই দুই ভিটামিন ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী (Watermelon)।

    রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায়!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরমুজে (Watermelon) রয়েছে লাইকোপেন নামে এক উপাদান। এর জেরে শরীরে বাজে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। পাশাপাশি এই উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফলে, নিয়মিত তরমুজ খেলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে।

    রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে! (Watermelon)

    তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এছাড়াও রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ। এর জেরে নিয়মিত তরমুজ খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। পাশপাশি, ভিটামিন সি সর্দি-কাশি বা ভাইরাস ঘটিত জ্বরের‌ মোকাবিলায় বিশেষ সাহায্য করে।

    পেশির ব্যথা কমাতে বিশেষ উপকারী!

    তরমুজে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই উপাদান পেশির সমস্যা মোকাবিলায় বিশেষ সাহায্য করে। তাই নিয়মিত তরমুজ খেলে পেশি ভালো থাকে। পেশির ব্যথা কমে (Watermelon)।

    ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশেষ সাহায্য করে!

    তরমুজে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরমুজ নিয়মিত খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমে।

    অতিরিক্ত তরমুজ খেলে কী হতে পারে?

    গরমে তরমুজে উপকার পেলেও সতর্ক থাকা জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত তরমুজ খেলে শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন, তরমুজে প্রচুর পরিমাণে শর্করা রয়েছে। তাই ডায়াবেটিস আক্রান্তের কখনই প্রতিদিন তরমুজ‌ খাওয়া উচিত নয়। কারণ, তাতে দেহে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এই উপাদান শরীরে জরুরি। কিন্তু অতিরিক্ত ফাইবার জাতীয় খাবার (Watermelon) খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে। তাই প্রত্যেক দিন অতিরিক্ত পরিমাণে তরমুজ খাওয়ার অভ্যাস ডায়ারিয়ার মতো রোগের বিপদও ডেকে আনতে পারে। তাছাড়া, তরমুজে রয়েছে সরবিটল। এই উপাদানের জেরে অনেকের তরমুজ হজম হয় না। অনেক সময়েই এই উপাদান শরীরে হজমের গোলমালের কারণ হয়ে ওঠে।
    তাই তরমুজ নিয়মিত খাওয়ার আগে পরিমাণ নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share