Tag: Digital

Digital

  • Digital Fraud: সাইবার প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে ভারত খুইয়েছে ২২ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা!

    Digital Fraud: সাইবার প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে ভারত খুইয়েছে ২২ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছর সাইবার প্রতারকদের (Digital Fraud) খপ্পরে পড়ে ভারত খুইয়েছে ২২ হাজার ৮৪২ কোটি টাকা। সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দিল্লিভিত্তিক মিডিয়া ও প্রযুক্তি সংস্থা ডেটালিডস। সেখানেই দেশে ব্যাপক ডিজিটাল আর্থিক প্রতারণা (Cybercriminals) নিয়ে প্রকাশ্যে এসেছে এই তথ্য। ভারতের কেন্দ্রীয় সাইবার অপরাধ সমন্বয় কেন্দ্রের অনুমান, চলতি বছরে এই ধরনের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে ভারতীয়রা খোয়াবেন ১.২ লাখ কোটিরও বেশি টাকা।

    ডেটালিডসের প্রতিবেদন (Digital Fraud)

    ‘কনট্যুরস অফ সাইবারক্রাইম: পার্সিস্টেন্ট অ্যান্ড এমার্জিং রিস্ক অফ অনলাইন ফিনান্সিয়াল ফ্রডস অ্যান্ড ডিপফেকস ইন ইন্ডিয়া’ শীর্ষক প্রতিবেদনে ডেটালিডস জানিয়েছে, ডিজিটাল প্রতারকরা ২০২৪ সালে যে পরিমাণ টাকা চুরি করেছে, তা ২০২৩ সালের ৭,৪৬৫ কোটিরও তিনগুণ বেশি। ২০২২ সালে প্রতারকরা লুটেছিল ২,৩০৬ কোটিরও বেশি টাকা। সে বারের চেয়ে ২০২৪ সালে তারা লুট করে নিয়েছে প্রায় দশগুণ কোটি টাকা। প্রতারণার পাশাপাশি বেড়েছে সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত অভিযোগের সংখ্যাও। ২০২৪ সালে প্রায় ২০ লক্ষ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১৫.৬ লাখ বেশি এবং ২০১৯ সালের তুলনায় দশ গুণ বেশি। সাইবার অপরাধের অভিযোগ ও আর্থিক ক্ষতির এই লাফ যে বাস্তব ছবিটা তুলে ধরে, তা হল ভারতের ডিজিটাল অপরাধীরা ক্রমেই আরও বেশি স্মার্ট এবং দক্ষ হয়ে উঠছে। একটি দেশে যেখানে প্রায় ২৯০ লাখ মানুষ বেকার, সেখানে এই অপরাধীদের সংখ্যার লেখচিত্র ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী।

    প্রশ্ন যেখানে

    প্রশ্ন হল, গত তিন বছরে এই সংখ্যাগুলি এত বেড়ে গেল কেন? বিশেষজ্ঞদের মতে, এর প্রধান কারণ হল ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার ব্যবহার বাড়তে থাকা। স্মার্টফোন-নির্ভর পরিষেবা যেমন পেটিএম এবং ফোন-পে এবং আর্থিক তথ্য অনলাইনে শেয়ার ও প্রক্রিয়াকরণের প্রবণতা বেড়ে যাওয়া। এই কাজগুলি সাধারণত হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রামের মতো মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে হয়, যেগুলিকে অনেকেই নিরাপদ ও এনক্রিপটেড মনে করেন। ফেডারেল তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জুন মাসেই ১৯০ লাখেরও বেশি ইউপিআই (ইউনিফাইড পেমেন্ট ইন্টারফেস) লেনদেন হয়েছে, যার মোট মূল্য ২৪.০৩ লাখ কোটি টাকা। আসলে ডিজিটাল পেমেন্টের মোট মূল্য ২০১৩ সালে প্রায় ১৬২ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে দাঁড়িয়েছে ১৮,১২০.৮২ কোটি টাকায়। বিশ্বব্যাপী এই ধরনের পেমেন্টের প্রায় অর্ধেকই এখন ভারতেই হয় (Digital Fraud)।

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই (Cybercriminals) বৃদ্ধির বেশিরভাগ অংশই অতিমারি ও তৎপরবর্তী কালে লকডাউনের কারণে হয়েছে। কোভিডের সময় সরকার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং মুদ্রার মাধ্যমে ভাইরাস ছড়ানো রোধে পেটিএমের মতো ইউপিআই অ্যাপ ব্যবহারে উৎসাহিত করেছিল। সরকার এও বলেছিল, ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার প্রসার গ্রামীণ এলাকা-সহ আর্থিক পরিষেবাগুলির ব্যাপকতর প্রবেশ নিশ্চিত করবে। ২০১৯ সালের মধ্যেই ভারতে ৪৪ কোটি স্মার্টফোন ব্যবহারকারী ছিল এবং ডেটার দাম ছিল বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে সস্তা — ১ জিবির দাম ছিল প্রায় ২০০ টাকা বা তিন ডলারেরও কম।

    ডিজিটাল লেনদেন

    এর ফলে ছোট শহর ও গ্রামাঞ্চলের মানুষরাও সহজেই ফোনে আর্থিক পরিষেবাগুলি ব্যবহার করতে পেরেছেন। তবে ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থা যতই বেড়েছে, ততই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সাইবার অপরাধী ও প্রতারক গোষ্ঠীর সংখ্যা। যারা প্রতারণার কৌশল শিখে তা নিখুঁত করে আরও বিস্তৃত পরিসরে ‘কারবার’ চালিয়ে যাচ্ছে। আজকের দিনে ভারতে অনলাইন আর্থিক প্রতারণা পুরো সেক্টরকে লক্ষ্য করছে – ব্যাংকিং থেকে শুরু করে বিমা, স্বাস্থ্যসেবা থেকে খুচরো ব্যবসা পর্যন্ত বহুস্তরীয় জালিয়াতির মাধ্যমে, যাতে জটিল কাজের ধারা থাকে এবং প্রতারকদের শনাক্তকরণ এড়ানো যায় (Cybercriminals)। আধুনিক ডিজিটাল প্রতারকরা এখন প্রযুক্তির সঙ্গেও ভালোভাবে পরিচিত। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই তাদের করায়ত্ত। আজকাল মানুষের আস্থা অর্জন করতে সেলিব্রিটি বা ব্যবসায়িক নেতাদের মুখের মতো দেখতে ডিপফেক ভিডিও বানিয়ে ব্যবহারও করছে। তারপরেই চলছে প্রতারণার ‘বেওসা’। কীভাবে হয় প্রতারণা (Digital Fraud)?

    ফিশিং মেসেজ: এসএমএস বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠানো বার্তা, যেখানে বলা হয় আপনি কোনও ‘পুরস্কার জিতেছেন’ বা আমাজন এবং ফ্লিপকার্টের মতো পরিচিত ই-কমার্স সাইট থেকে ‘রিফান্ড’ পাবেন। এসব বার্তায় প্রতারিত হন মানুষ।

    ভুয়ো পণ্যের তালিকা: জনপ্রিয় জিনিসপত্র অনলাইনে খুবই কম দামে তালিকাভুক্ত করা হয়। ক্রেতা অগ্রিম টাকা দেন। তারপরেই হাওয়া হয়ে যান বিক্রেতা (Cybercriminals)।

    পেমেন্ট কনফার্মেশন প্রতারণা: প্রতারকরা ভুয়ো বার্তা বা ইমেইল পাঠায়, যাতে ‘পেমেন্ট যাচাই’য়ের অনুরোধ থাকে। এই লিংকে ক্লিক করলে আপনার ফোন থেকে আর্থিক তথ্য চুরি হতে পারে অথবা ম্যালওয়্যার ইনস্টল হয়ে যেতে পারে (Digital Fraud)।

    প্রতারকরা কোথায় আঘাত হানে? প্রতারকরা সব চেয়ে বেশি আঘাত হানে হোয়াটসঅ্যাপে। ১৪সি-এর তথ্য অনুযায়ী, শুধুমাত্র ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসেই হোয়াটসঅ্যাপে ১৫,০০০-এর বেশি অর্থনৈতিক সাইবার অপরাধের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে দায়ের হয়েছে ১৪,০০০ এবং মার্চে আরও ১৫,০০০ অভিযোগ (Digital Fraud)।

  • Census 2026: দায়িত্বে ৩৪ লক্ষেরও বেশি কর্মী! আগামী বছরেই শুরু হবে জনগণনা, কীভাবে হবে?

    Census 2026: দায়িত্বে ৩৪ লক্ষেরও বেশি কর্মী! আগামী বছরেই শুরু হবে জনগণনা, কীভাবে হবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৬ সালের ১ এপ্রিল শুরু হবে জনগণনা (Census 2026)। ভারত সরকারের তরফে এ খবর আগেই জানানো হয়েছে। এটি হবে দেশের ষোড়শতম জনগণনা, স্বাধীনতার পর অষ্টমবার (Caste Data)। এই কর্মসূচির সূচনা হবে হাউসলিস্টিং অপারেশন দিয়ে। এটিই শুরু হবে পয়লা এপ্রিল। রেজিস্ট্রার জেনারেল ও জনগণনা কমিশনার মৃত্যুঞ্জয় কুমার নারায়ণ একটি চিঠির মাধ্যমে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্য সচিবদের উদ্দেশে একথা জানিয়ে দেন। এই বৃহৎ তথ্যসংগ্রহ প্রচেষ্টায় যাতে ৩৪ লক্ষেরও বেশি কর্মী (গণনাকারী, তদারক ও ১.৩ লাখ জনগণনা আধিকারিক) থাকবেন, তাঁদের সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে দেশবাসীকে আহ্বান জানান তিনি ।

    ১০ বছর অন্তর জনগণনা (Census 2026)

    দেশ যখন পরাধীন ছিল, তখনও জনগণনা হত। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও হয়। প্রতি ১০ বছর অন্তর জনগণনা করা হয়। তবে কোভিড অতিমারির কারণে বন্ধ ছিল সপ্তদশ জনগণনা। সেটাই শুরু হবে ২০২৬ সালের পয়লা এপ্রিল। এই জনগণনা হবে ভারতের ইতিহাসে প্রথম ডিজিটাল জনগণনা। মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহ ও আপলোড করার এই পদ্ধতি তথ্য সংগ্রহের নির্ভুলতা, গতি ও দক্ষতায় বিপ্লব ঘটাবে বলে আশা করছেন আধিকারিকরা। দেশবাসীদের জন্য স্ব-গণনার (self-enumeration) সুযোগও থাকছে। এই পদ্ধতিতে তাঁরা নিজেরাই অনলাইনে জনগণনা সংক্রান্ত ফর্ম পূরণ করতে পারবেন। এটি হবে জনসাধারণের বড় পরিসরে অংশগ্রহণের প্রথম উদাহরণ।

    জনগণনা হবে দু’টি ধাপে

    প্রসঙ্গত, ফিজিক্যাল ও ডিজিটাল গণনার এই হাইব্রিড মডেলটি ভারতের প্রযুক্তিনির্ভর শাসনব্যবস্থার দিকে একটি সাহসী পদক্ষেপ। এর উদ্দেশ্য হল নির্ভুল তথ্য সংগ্রহ, মনুষ্যকৃত ভুল কমানো এবং জনকল্যাণ ও নীতিনির্ধারণে সহায়ক একটি কার্যকর জনতথ্যভান্ডার গড়ে তোলা। এবার জনগণনা হবে দু’টি ধাপে। প্রথম ধাপে হবে গৃহতালিকা প্রস্তুতের কাজ। এটাই শুরু হবে ১ এপ্রিল। এই ধাপে গৃহের অবস্থা, গৃহস্থালির সম্পদ এবং সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এর মাধ্যমে শহর ও গ্রামাঞ্চলজুড়ে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ও জীবনধারার একটি চিত্র পাওয়া যাবে (Caste Data)। দ্বিতীয় ধাপে হবে জনগণনা। এটি শুরু হবে ২০২৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি।  এই ধাপে সংগ্রহ করা হবে ব্যক্তিগত স্তরে জনসংখ্যার তথ্য যেমন, জনতাত্ত্বিক (Census 2026) বৈশিষ্ট্য, সামাজিক-আর্থিক অবস্থা, ধর্ম, ভাষা ও সাংস্কৃতিক বিবরণ।

    জনগণনায় জাতিভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ

    এবারই প্রথম জনগণনায় জাতিভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এটি পূর্ববর্তী সরকারি প্রতিশ্রুতি এবং বিভিন্ন রাজ্য সরকার ও সামাজিক ন্যায়বিচারের পক্ষে অবস্থানকারীদের দাবির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতের কল্যাণমূলক কর্মসূচি, সংরক্ষণ নীতি এবং নির্বাচনী কৌশলে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। জানা গিয়েছে, আগামী বছর যে জনগণনা শুরু হতে যাচ্ছে, তাতে অংশ নেবেন ৩৪ লক্ষেরও বেশি কর্মী। এঁরা ভারতের প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে যাবেন। এটি হবে বিশ্বের বৃহত্তম প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডগুলির একটি। জানা গিয়েছে, তথ্য সংগ্রাহক ও তত্ত্বাবধায়কদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ অবিলম্বে শুরু হবে। এঁদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে কেন্দ্র, রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের যৌথ সমন্বয়ে।

    তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই

    এই কর্মীরা মেট্রোপলিটন ফ্ল্যাট থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামের কুঁড়েঘর পর্যন্ত প্রতিটি বাড়ি পরিদর্শন করে তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই করবেন। তাঁদের কাজকে সহায়তা করবে অ্যাপ-ভিত্তিক টুল এবং রিয়েল-টাইম তত্ত্বাবধায়ক ট্র্যাকিং সিস্টেম। এর ফলে নিশ্চিত হবে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা (Caste Data)। জানা গিয়েছে, রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং জনগণনা কমিশনারের কার্যালয় নাগরিকদের জন্য প্রায় তিন ডজন প্রশ্ন তৈরি করেছে। এই সমীক্ষায় ফোন, ইন্টারনেট, সাইকেল, স্কুটার, মোটরসাইকেল, গাড়ি, ভ্যান, রেডিও, টিভি-র মতো জিনিসপত্র আছে কিনা, সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হবে (Census 2026)। এছাড়াও, পরিবারে পানীয় জলের উৎস, আলোর উৎস, শৌচাগারের ধরন, বর্জ্য জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা, স্নান ও রান্নাঘরের সুবিধা, রান্নার জন্য ব্যবহৃত জ্বালানি এবং এলপিজি বা পিএনজি সংযোগের মতো বিষয়গুলি সম্পর্কেও জনতে চাওয়া হবে। বাড়ির মেঝে, দেওয়াল এবং ছাদ কী দিয়ে তৈরি, সেটির অবস্থা, কতজন সদস্য সেখানে থাকেন, ঘরের সংখ্যা, বিবাহিত দম্পতি কতজন, পরিবারের প্রধান মহিলা নাকি তিনি তফশিলি জাতি-উপজাতির অন্তর্ভুক্ত, এই ধরনের নানা প্রশ্নও করা হবে।

    প্রশাসনিক ইউনিট

    কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে প্রশাসনিক ইউনিটগুলির সীমানা পরিবর্তনের প্রস্তাবিত কাজ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে বলেছে। জনগণনার কাজের জন্য এই সীমানা চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে (Census 2026)। মুখ্যসচিবদের লেখা চিঠিতে কর্পোরেশন, রাজস্ব গ্রাম, তহশিল, মহকুমা বা জেলার সীমানা পরিবর্তনের প্রস্তাবিত কাজ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গণনাকারীদের কাজের চাপ কমানোর জন্য প্রতিটি প্রশাসনিক অঞ্চলকে কতগুলি অংশে ভাগ করা হয়। এগুলিকে ব্লক বলা হয়। জনগণনার উদ্দেশ্যে তৈরি করা মানচিত্রে একটি ব্লককে একটি গ্রাম বা শহরের মধ্যে স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে (Caste Data)। প্রসঙ্গত, শেষবার জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে (Census 2026)।

  • Census 2027: জাতীয় জনগণনার ঢাকে পড়ল কাঠি, দুই ধাপে হবে প্রক্রিয়া, দিন ঘোষণা কেন্দ্রের

    Census 2027: জাতীয় জনগণনার ঢাকে পড়ল কাঠি, দুই ধাপে হবে প্রক্রিয়া, দিন ঘোষণা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে ১৬তম জাতীয় জনগণনা। সরকারি নির্দেশিকা জারি করল ১৬ জুন। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ঘোষণা করেছে যে, জনসংখ্যা গণনা দুটি ধাপে যথাক্রমে ১ অক্টোবর, ২০২৬ এবং ১ মার্চ, ২০২৭ তারিখে পরিচালিত হবে। প্রথম ধাপে, যা গৃহতালিকাকরণ অভিযান (HLO) নামেও পরিচিত, সেখানে সম্পদ, পারিবারিক আয়, আবাসন পরিস্থিতি এবং সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। প্রথমবার, উত্তরদাতারা বাড়ি থেকে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন, কারণ আসন্ন আদমশুমারি হবে ভারতের প্রথম ডিজিটাল আদমশুমারি। দ্বিতীয় ধাপ, যা জনসংখ্যা গণনা (PE) নামেও পরিচিত, তাতে পরিবারে বসবাসকারী প্রতিটি ব্যক্তির সম্পর্কে জনসংখ্যাতাত্ত্বিক, আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করবে।

    এর আগে রবিবার দিল্লিতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে জনগণনার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উপস্থিত (Digital Headcount) ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব, রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং ভারতের জনগণনা কমিশনার-সহ একাধিক শীর্ষ আধিকারিক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, সোমবার সরকারি গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শুরু হবে জনগণনা প্রক্রিয়া। স্বাধীন ভারতের এই অষ্টম এবং দেশের ১৬তম জনগণনা একাধিক কারণে ঐতিহাসিক। এই প্রথমবার জনগণনার আওতায় আনা হবে জাতি অনুসারে তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়াও। ২০২৭ সালে যে এই জনগণনা (Census 2027) হবে, তা হবে দেশের সম্পূর্ণ ডিজিটাল এবং কাগজবিহীন জনগণনা।

    কী বললেন শাহ (Census 2027)

    এদিনের বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ১৬ জুন জনগণনা ২০২৭-এর জন্য গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে, যা আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের ১৬তম জনগণনা এবং স্বাধীনতার পর ৮ম জনগণনা হিসেবে শুরু হবে। এই জনগণনাকে ঐতিহাসিক করে তুলেছে একটি বিশেষ দিক—প্রথমবারের মতো এতে জাতিভিত্তিক গণনা অন্তর্ভুক্ত করা হবে, এবং চূড়ান্ত তথ্য প্রকাশ করা হবে মাত্র ৯ মাসের মধ্যে। এটি একটি বড় অগ্রগতি। শাহ বলেন, “আমি ১৬তম জনগণনার প্রস্তুতি নিয়ে প্রবীণ কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আগামিকাল গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। এই প্রথমবার জাতিভিত্তিক গণনাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। প্রায় ৩৪ লাখ গণনাকারী ও তদারকি কর্তা এবং প্রায় ১.৩ লাখ জনগণনা কর্মী অত্যাধুনিক মোবাইল ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহার করে এই কাজ পরিচালনা করবেন।” তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, পুরো প্রক্রিয়ার প্রতিটি স্তরে তথ্য সংগ্রহ থেকে শুরু করে সংরক্ষণ পর্যন্ত কঠোর তথ্য নিরাপত্তা বিধি মেনে চলা হবে।

    কোভিড-১৯ অতিমারি

    এই গণনা হবে প্রথম আদমশুমারি যা কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে ২০২০ সালে স্থগিত হয়েছিল। নতুন আদমশুমারির রেফারেন্স তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১ মার্চ, ২০২৭, যা অতিমারি-উত্তর সময়ে দেশের জনসংখ্যার একটি প্রাসঙ্গিক চিত্র দেবে। ২০২৭ সালের জনগণনা দুটি প্রধান ধাপে পরিচালিত হবে। প্রথম ধাপটি হল, হাউসলিস্টিং অপারেশন। এটি শুরু হবে ২০২৬ সালে। এই পর্যায়ে ভারতের শহর ও গ্রামাঞ্চলের ঘরবাড়ির অবস্থা, সুযোগ-সুবিধা এবং গৃহস্থালির সম্পদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। দ্বিতীয় ধাপটি হল জনসংখ্যা গণনা (Digital Headcount)এটি হবে ২০২৭ (Census 2027) সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। এই ধাপে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা হবে, যেমন নাম, বয়স, লিঙ্গ, শিক্ষা, ভাষা, বৈবাহিক অবস্থা, পেশা এবং জাতি সম্পর্কিত তথ্যও।

    দ্রুত তথ্য সংগ্রহ

    এই দুই ধাপের কাঠামো তৈরি করা হয়েছে যাতে গৃহ-ভিত্তিক ভৌত পরিকাঠামো ও সেই ঘরে বসবাসকারী মানুষের বিষয়ে বিস্তারিত ও স্তরভিত্তিক তথ্য মেলে। ৩৫ লাখেরও বেশি কর্মীর সহায়তায় এটি হবে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম মানব-নির্ভর তথ্য সংগ্রহ কর্মসূচি। তবে এটি হবে সম্পূর্ণ ডিজিটাল রূপে। জানা গিয়েছে, জনগণনা ২০২৭-এ ব্যবহার করা হবে না প্রচলিত কাগজের ফর্ম ও ক্লিপবোর্ড। এবার গণনাকারীরা ব্যবহার করবেন বিশেষভাবে ডিজাইন করা মোবাইল অ্যাপ, যা ইংরেজি, হিন্দি সহ মোট ১৬টি ভারতীয় ভাষায় মিলবে। এর ফলে দেশের প্রতিটি অংশ — হিমালয়ের কোলের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উপকূলবর্তী শহর পর্যন্ত — সরাসরি ও দ্রুত তথ্য সংগ্রহ করা যাবে।

    জনগণনার অ্যাপ

    ভারতের ইতিহাসে এই প্রথমবার, নাগরিকরাও নিজেদের তথ্য নিজেরাই অ্যাপের মাধ্যমে জমা দিতে পারবেন, যা এই প্রক্রিয়ায় এক অভূতপূর্ব অংশগ্রহণ ও স্বায়ত্তশাসনের সুযোগ এনে দেবে। এক প্রবীণ আধিকারিক বলেন, “ভারতের ইতিহাসে এটিই হবে সবচেয়ে আধুনিক ও নির্ভুল জনগণনা (Census 2027)।” জনগণনার এই অ্যাপে থাকবে একাধিক স্মার্ট ফিচার। এগুলি হল, অধিকাংশ প্রশ্নের জন্য প্রাক-কোডেড ড্রপডাউন মেনু, যা বিভ্রান্তি ও তথ্য নথিভুক্ত করার ভুল কমাবে। ইনটেলিজেন্ট ক্যারেক্টার রিকগনিশন, যা যে কোনও হাতে লেখা তথ্যকে ডিজিটাল রূপে রূপান্তর করতে পারবে। কোড ডিরেক্টরি দেবে বর্ণনামূলক উত্তরের জন্য একক বিকল্প। এতে দেশের অঞ্চল ও ভাষাভিত্তিক মান বজায় থাকবে। এই ডিজিটাল রূপান্তর পূর্ববর্তী জনগণনাগুলির একটি বড় প্রতিবন্ধকতা দূর করবে। আগে লাখ লাখ কাগজের ফর্ম ম্যানুয়ালি স্থানান্তর করা হত। পরে তাকে স্ক্যান করতে হত। এসব কারণে ফল প্রকাশে দেরি হত, বাড়ত ভুলের ঝুঁকিও (Digital Headcount)।

    রাজনৈতিক ও সামাজিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ

    ভারতীয় জাতীয় জনগণনার ইতিহাসে ২০২৭ সালের জনগণনা সম্ভবত সবচেয়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এতে নয়া সংযোজন হল জাতিভিত্তিক গণনা। এবারই প্রথম জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত জাতিগত তথ্য রেকর্ড করা হবে। দীর্ঘদিন ধরেই এই দাবি করেছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। জাতিগত পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে যাতে সংরক্ষণ নীতি ও কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলি আরও ভালোভাবে কার্যকর করা যায়, তাই এই ব্যবস্থা (Census 2027)। এই অন্তর্ভুক্তির ফলে দেশজুড়ে প্রতিনিধিত্ব, সম্পদের বণ্টন এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হতে পারে। যে আলোচনা এতদিন হয়নি নির্ভরযোগ্য তথ্যের অভাবে।

    গোপনীয়তার বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে

    প্রসঙ্গত, ১৮৮১ সাল থেকে ১৯৩১ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ জমানায় জাতগণনা জনগণনার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ছিল। তবে ১৯৫১ সালে স্বাধীন ভারতের প্রথম জনগণনার সময় তৎকালীন জওহরলাল নেহরুর সরকার এই প্রথা বন্ধ করে দেয়। সাধারণ জনগণনায় তফশিলি জাতি, উপজাতি মানুষের নানা তথ্য উঠে আসে। তবে ওবিসির বিষয়টি সাধারণ জনগণনায় থাকে না। তাই গত কয়েক বছর ধরে ক্রমেই জোরালো হচ্ছিল জাত গণনার দাবি (Digital Headcount)। যেহেতু এবার আগের চেয়ে ঢের বেশি পরিমাণে ব্যক্তিগত তথ্য, বিশেষ করে সংবেদনশীল তথ্য যেমন জাতিগত পরিচয় ডিজিটালভাবে সংগ্রহ করা হচ্ছে, তাই সরকার কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তথ্য আদান-প্রদানের সময় সম্পূর্ণ এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন, কঠোর প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপদ সংরক্ষণ এ সব একাধিক স্তরের ডিজিটাল নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে সুরক্ষিত রাখা হবে নাগরিকদের তথ্য। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “গোপনীয়তার বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে এবং তথ্য শুধুমাত্র পরিসংখ্যানগত উদ্দেশ্যেই ব্যবহৃত হবে (Census 2027)।”

    বিশ্বব্যাপী মানদণ্ডে পরিণত হতে পারে

    ভারতের আসন্ন জনগণনা শুধুমাত্র একটি জাতীয় ঘটনা নয়, এটি একটি বিশ্বব্যাপী মানদণ্ডে পরিণত হতে পারে। এটি যদি সফলভাবে বাস্তবায়িত করা যায়, তবে এটি হবে যে কোনও গণতান্ত্রিক দেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ ডিজিটাল গণনার চেষ্টা, যেখানে থাকবে গতি, নির্ভুলতা, অন্তর্ভুক্তি এবং নাগরিক ক্ষমতায়নের এক অনন্য সমন্বয়। এই বিশাল কর্মসূচি অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের জন্য একটি মডেল হয়ে উঠতে পারে। শাহ বলেছিলেন, “আসন্ন জনগণনা হবে ঐতিহাসিক। শুধু কি গণনা করা হচ্ছে সেই জন্য নয়, বরং কীভাবে তা করা হচ্ছে সেটিও গুরুত্বপূর্ণ।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্যই তুলে ধরে জনগণনা ২০২৭-এর মূল ভাবনা – এটি শুধুই সংখ্যার হিসেব নয়, বরং ভারতের বিস্তৃত উদ্ভাবনী ক্ষমতার প্রতিফলন।

    প্রসঙ্গত, ২০২৭ সালে যে জনগণনা হবে, তা হবে মোদি জমানার প্রথম জনগণনা। ওই বছরেরই ১ মার্চ থেকে দেশজুড়ে শুরু হয় এই কর্মসূচি (Digital Headcount)। যদিও জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং লাদাখের বেশ কিছু অংশে বছরের সেই সময় তুষারাবৃত থাকায় ২০২৬ সালের অক্টোবর থেকেই ওই অংশে শুরু হয়ে যাবে জনগণনার কাজ (Census 2027)।

  • Murshidabad Riot: গণবিক্ষোভের ছদ্মবেশে মুর্শিদাবাদে দাঙ্গা হলেও, নেপথ্যে ছিল এক গভীর ষড়যন্ত্র!

    Murshidabad Riot: গণবিক্ষোভের ছদ্মবেশে মুর্শিদাবাদে দাঙ্গা হলেও, নেপথ্যে ছিল এক গভীর ষড়যন্ত্র!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছর এপ্রিলে মুর্শিদাবাদে যে হিংসার (Murshidabad Riot) ঘটনা ঘটেছিল, তা কোনও আকস্মিক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছিল না, ছিল সুপরিকল্পিত একটি হিংসার ঘটনা (Radical NGOs)। গণবিক্ষোভের ছদ্মবেশে এই হিংসা সংঘটিত হলেও, এর নেপথ্যে ছিল এক গভীর ষড়যন্ত্র– চরমপন্থী উসকানি, রাজনৈতিক মদত এবং প্রশাসনিক ব্যর্থতার এক জটিল মিশ্রণ। সংবাদ মাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অপারেশন মুর্শিদাবাদ’ নামক অনুসন্ধান এক বিরাট গোপন চরমপন্থী নেটওয়ার্কের পর্দা ফাঁস করেছে, যেখানে নিষিদ্ধ সংগঠন, ছায়া এনজিও এবং প্ররোচিত যুব বাহিনীকে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি এবং সামাজিক ঐক্য বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে কাজে লাগানো হয়েছে।

    এটি একটি পরিকল্পিত দাঙ্গা (Murshidabad Riot)

    জানা গিয়েছে, এটি একটি পরিকল্পিত দাঙ্গা, যেখানে ধর্মীয় নেতারা ছিলেন মতাদর্শগত কারখানার ভূমিকায় আর পুলিশ-প্রশাসন ছিল হয় সহযোগী, নয় ঠুঁটো। এই সব কিছুর কেন্দ্রে ছিল কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, যারা সব কিছু পরিচালনা করেছে। ঘটনার সূত্রপাত ১০ এপ্রিল। এদিন শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত এসএসসি রায়ের বিরুদ্ধে অসন্তোষের ছদ্মবেশে একটি পরিকল্পিত বিক্ষোভ প্রদর্শন হয়। দ্রুত সেটাই মোড় নেয় ওয়াকফ আইন সংক্রান্ত ইস্যুর দিকে। ১১ এপ্রিল এটিই ধারণ করে দাঙ্গার রূপ। বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ থেকে দেখা গিয়েছে, একই যুবক দল যারা হাতে লাঠি এবং প্রচারপত্র নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, তারা দুই আন্দোলনেই উপস্থিত ছিল। ১১ এপ্রিল পুলিশের অনুমতি ছাড়াই হয়েছিল জমায়েত। এই জমায়েতের মাঝে ছিল একটি ব্যানার, যাতে লেখা, ‘সমস্ত এনজিও একজোট’। কিন্তু আদতে পুরো ফ্রন্টটি পরিচালিত হচ্ছিল মূলত দুটি সংগঠনের মাধ্যমে – ‘সময়ের আলোর বাতি’ এবং ‘গোল্ডেন স্টার গ্রুপ’। এই সংগঠনগুলি নিজেদের গোষ্ঠী কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাবি করলেও, সেগুলির বিরুদ্ধে উগ্র মতাদর্শ প্রচার এবং সংঘবদ্ধ আন্দোলনের অভিযোগ উঠেছে।

    ঘুরে বেড়াচ্ছে ‘পলাতক’

    এই হিংসার মূল চাঁই হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তিনজনকে। এরা হল কাওসার, মোস্তাকিন এবং রাজেশ শেখ। পুলিশের খাতায় তাদের পলাতক দেখানো হলেও, স্থানীয়দের দাবি (Murshidabad Riot), দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংযোগ এবং স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতায় তারা ‘পলাতক’ (Radical NGOs)। জানা গিয়েছে, রাজেশ শেখ তৃণমূল যুব ব্লক কমিটির পরিচিত সদস্য। পিএফআই (PFI) এবং এসডিপিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে তাঁর। ২০১৮ সালে এক এসডিপিআই প্রার্থীর পক্ষে তিনি প্রচারও করেছিলেন বলে অভিযোগ। বশির শেখ, যিনি এক সময় সিমির (SIMI) সদস্য ছিলেন, তাঁকেও এই বিক্ষোভের প্রধান সংগঠক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

    ওরা সাম্প্রদায়িক উসকানিতে জড়িত

    স্থানীয় ডিআইবির ইনসপেক্টর রাজীব গোপন ক্যামেরায় তাঁদের ভূমিকার কথা স্বীকার করে বলেন, “হ্যাঁ, ওরা সাম্প্রদায়িক উসকানিতে জড়িত (Murshidabad Riot)। তবে ওরা পলাতক।” এই হিংসায় জুতে দেওয়া হয়েছিল নাবালকদেরও। একাধিক নাবালকের দাবি, কাওসার ও মোস্তাকিন তাদের ডেকে পাঠাত এবং প্রতিবাদের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট দিত। ‘ওয়াকফ’ শব্দের অর্থ না জানলেও, তাদের বলা হত ঘরে আগুন লাগাতে এবং পাথর ছুড়তে। তাদের বোঝানো হত, তাদের ধর্ম বিপন্ন। তাদের মধ্যে একজন বলে, “ওরা বলেছিল হিন্দুরা আমাদের ধর্মকে গালাগালি দিচ্ছে। সবাই যাচ্ছিল, তাই আমিও গেলাম।” ছেলেটির দাবি, তারা যখন হিন্দু-অধ্যুষিত ঘোষ পাড়ার ভিতর দিয়ে যাচ্ছিল এবং হেনস্থার শিকার হয়েছিল, তখন স্থানীয় পুলিশই তাদের পাল্টা জবাব দিতে বলেছিল (Murshidabad Riot)।

    বেআইনি এনজিওর রমরমা

    সরকারি খাতা অনুযায়ী, শামসেরগঞ্জে মাত্র ১৮টি এনজিও রয়েছে (Radical NGOs)। যদিও বাস্তব চিত্র হল এলাকায় রয়েছে কয়েক ডজন এনজিও। তদন্তকারীদের আশঙ্কা, এই সংগঠনগুলি মূলত চরমপন্থী চিন্তার উর্বর ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করছে, কোনওরকম নজরদারি ছাড়াই অর্থ আসছে এবং সর্বোপরি, সমাজকল্যাণের দোহাই দিয়ে এড়িয়ে যাচ্ছে সরকারি নজরদারি। স্থানীয় দুই ইমাম স্বীকার করেছেন, অজ্ঞাত পরিচয় কিছু লোক তাদের কাছে এসে মসজিদের মাইকে ওয়াকফ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের আহ্বান জানাতে বলেছিল। শুক্রবারের নমাজের ঠিক আগেই এটা করতে বলেছিল। উদ্দেশ্য ছিল, সর্বোচ্চ জমায়েত।

    বাংলাদেশি ইসলামি বক্তার ভাষণে ইন্ধন!

    মুর্শিদাবাদে যেদিন দাঙ্গা হয়, তার ঠিক পাঁচ দিন আগে বাংলাদেশি এক ইসলামি বক্তা শামসেরগঞ্জে একটি জলসায় ভাষণ দেন। তার পর থেকেই স্থানীয় হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুক গ্রুপগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে সাম্প্রদায়িক কনটেন্ট (Murshidabad Riot)। একটি ভিডিওতে মুসলমানদের হাতে ‘বন্দুক তুলে নিতে’ বলা হয়। আর একটি পোস্টে বলা হয় ‘শিশুদের সামনে পাঠাও’। এসডিপিআই, জমিয়তে ইসলামি হিন্দ এবং জামাত-এ-আহলে হাদিসের সাহিত্য এবং বক্তব্যও ছড়িয়ে পড়ে, যা ওয়াকফ সংক্রান্ত বর্ণনাকে কেন্দ্র করে জ্বলা ক্ষোভের আগুনে ঘি ঢেলে দেয়। রাজীব স্বীকার করেন, “এখানে স্লিপার সেল সক্রিয় আছে। মাদ্রাসার ভিতরে উগ্রপন্থা ছড়ানো হচ্ছে। তবে জলসায় কী হয়, তা আমরা জানি না (Radical NGOs)।”

    জেলা কর্মকর্তারা গোপনে সংবাদ মাধ্যমের কাছে স্বীকার করেন, রাজেশের মতো কয়েকজন উগ্রপন্থী রাজনৈতিক রক্ষাকবচ ধারণ করেন। এক প্রবীণ তদন্তকারী বলেন, “এখানে নথিভুক্ত নয় এমন এনজিওগুলি তো কেবল নীচুস্তরের মুখপাত্র। আসল খেলুড়েরা বসে থাকেন ক্ষমতার আসনে, থাকেন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে (Murshidabad Riot)।”

  • Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে এবার ডিজিটাল দেওয়াল! মামলার নথিও পেপারলেস

    Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে এবার ডিজিটাল দেওয়াল! মামলার নথিও পেপারলেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন হয়েছে গত মাসেই। এবার খোলনলচে বদলে ফেলে ঢেলে সাজা হল সুপ্রিম কোর্টকে (Supreme Court)। সুপ্রিম কোর্টের আধুনিকীকরণের ফলে মিলবে বেশ কিছু সুবিধা ও পরিষেবা। মোদি সরকারের নীতিই হল ‘পেপারলেস ওয়ার্ক এবং ডিজিটাল ইন্ডিয়া’। সুপ্রিম কোর্টের সংস্কারে সেই নীতিরই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে।

    কী কী পরিষেবা মিলবে?

    সব কিছুই ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। মামলার নথি থেকে লাইব্রেরি, এমনকী ১২০ ইঞ্চির স্ক্রিনে ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে চলবে বিচারপর্বও। সোমবার থেকেই আদালতে শুরু হয়েছে এই সুবিধা। আদালত কক্ষের দেওয়ালগুলিতেও ডিজিটাল প্রযুক্তির ছোঁয়া। আদালতের প্রতিটি দেওয়াল এলইডি স্ক্রিন হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আদালতে ২ এবং ৫ নম্বর কক্ষে এবার ওয়াই ফাইয়ের মাধ্যমে মিলছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। তবে ভিডিও কনফারেন্সের সুবিধা আপাতত ১ থেকে ৩ নম্বর আদালত কক্ষ পর্যন্ত মিলবে বলেই জানা গিয়েছে। এ ছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের সামনের বারান্দা এবং ক্যান্টিনেও মিলবে ওয়াই ফাই পরিষেবা। আধুনিক ইলেকট্রনিক সামগ্রী চার্জ দেওয়ার জন্য চার্জিং পয়েন্টও রাখা হয়েছে আদালত কক্ষগুলির ভিতরে। সব মিলিয়ে ডিজিটাল ইন্ডিয়ায় গড়ে উঠেছে ডিজিটাল সুপ্রিম কোর্ট।

    আরও পড়ুন: বাকি ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হবে শীঘ্রই! চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের

    কী জানা গেল শীর্ষ আদালত সূত্রে?

    শীর্ষ আদালত (Supreme Court) সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় নিজেই এই সংস্কারের উদ্যোক্তা। প্রতিটি মানুষের কাছে সমানভাবে পৌঁছানোর জন্যই এই ডিজিটাল উদ্যোগ বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সর্বোচ্চ আদালতের আধুনিকীকরণ করার কথা বলেন। তার পরেই শুরু হয় সংস্কার পর্ব। শুনানি চলার সময়ে আদালত কক্ষে উপস্থিত বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী, বিচারপতি, সাংবাদিক প্রত্যেকের সুবিধার জন্যই ভিডিও কনফারেন্সের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: ‘রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে কোর্টে যাচ্ছে বিজেপি’, কেন বললেন সুকান্ত?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Digital Payments: একটু ভুলে খোয়াতে পারেন অনেক কিছু! অ্যাপের মাধ্যমে টাকা লেনদেনে সতর্ক থাকুন

    Digital Payments: একটু ভুলে খোয়াতে পারেন অনেক কিছু! অ্যাপের মাধ্যমে টাকা লেনদেনে সতর্ক থাকুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্মার্টফোনে মাত্র কয়েকটি অ্যাপের মাধ্যমেই বিশ্বের যে কোনও প্রান্ত থেকে টাকাপয়সা আদানপ্রদান করে ফেলা সম্ভব। অনলাইন লেনদেনে যেমন মানুষের অনেক সুবিধা হয়েছে, তেমনই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে জালিয়াতিও। তাই ‘ইউপিআই’ পেমেন্ট (Digital Payments) মেথডে যাওয়ার আগে সতর্ক থাকুন। অনলাইনে টাকা পয়সা লেনদেন করার আগে মেনে চলুন বেশ কিছু নিয়ম। 

    নির্ভরযোগ্য অ্যাপ

    ‘প্লে স্টোর’এ নানা ধরনের ‘ইউপিআই’ অ্যাপ রয়েছে। তবে কোনটি সব দিক থেকে বিশ্বস্ত, তা বুঝে নিতে হবে আপনাকেই। গুগল পে, ফোন পে, পেটিএম-এর মতো জনপ্রিয় অ্যাপগুলি বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত থাকায় আপাত ভাবে নিরাপদ বলেই মনে হয়।

    পিন শেয়ার নয়

    ‘এটিএম’ হোক বা ইউপিআই অ্যাপ, তার ‘পিন’ (পার্সোনাল আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার) যেন সুরক্ষিত থাকে। কারণ, ‘পিন’ হাতিয়ে নেওয়ার জন্যই জালিয়াতরা ওঁত পেতে বসে থাকে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কিছু দিন অন্তর ‘পিন’ বদলে ফেলার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

    ফোন বা মেসেজ এড়িয়ে চলুন

    কাউকে টাকা দেওয়ার আগে এই ব্যক্তির নাম এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য যাচাই করে নিন। একই নামে দু’জন ব্যক্তি থাকতেই পারেন। কিন্তু তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর সাধারণত এক হয় না। তাই ‘ভেরিফাই পেমেন্ট অ্যাড্রেস’ এ গিয়ে তা যাচাই করে, তবেই টাকা (Digital Payments) পাঠাবেন। ব্যক্তিগত তথ্য জানতে চেয়ে অনেক সময়ই ফোন বা মেসেজ আসে গ্রাহকদের ফোনে। যা আপাত ভাবে দেখে ভুয়ো বলে মনেই হয় না। সেই সব ফোন বা মেসেজ এড়িয়ে চলাই ভাল।

    আরও পড়ুন: দেশে বর্ষা ঢুকছে ৪ জুন! রাজ্যে কবে? কী জানাল আবহাওয়া দফতর

    ব্যক্তিগত তথ্য সেভ নয়

    ফোন বা কম্পিউটা্রের মাধ্যমে কিছু কেনাকাটা করতে গেলে নির্দিষ্ট কিছু ওয়েবসাইট বা অ্যাপ অনেক সময়ই কোনও ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য সেখানে ‘সেভ’ করে রাখতে চায়। এই ফাঁদে পা দেওয়ারও কোনও প্রয়োজন নেই। কারণ, ফোন বা ল্যাপটপটি ব্যক্তিগত হলেও অন্তর্জাল ব্যবস্থাটি ব্যক্তিগত নয়। অনলাইনে কেনাকাটা করার সময় নিজেদের ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ডের সমস্ত তথ্য কখনও সেভ করা উচিত নয়। এক্ষেত্রে অনেকেই আছেন যাঁরা ভবিষ্যতে সেখান থেকে কেনাকাটা করার সময় দ্রুত অনলাইন পেমেন্ট (Digital Payments) করার জন্য নিজেদের কার্ডের সমস্ত ডিটেলস সেভ করে রাখেন। কিন্তু এটি করলে নিজেদের সমস্যায় পড়তে হতে পারে।

    নিজের ডিভাইস ব্যবহার করুন

    ডিজিটাল পেমেন্ট করার সময় যে কোনও ডিভাইস অথবা ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ সাইবার হ্যাকারদের নজর সবসময় এই ধরনের ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক এবং ডিভাইসের ওপরেই থাকে। সেখান থেকে একবার ডিজিটাল পেমেন্ট (Digital Payments) করলে সেই গ্রাহকের সমস্ত তথ্য হ্যাক হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। অন্যের ডিভাইস ও পাবলিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ডিজিটাল ট্রানজাকশন কখনওই করবেন না। সবসময় নিজেদের ডিভাইস অথবা মোবাইল থেকেই এই ধরনের ডিজিটাল পেমেন্ট করা উচিত।

    কিউ আর কোড

    কিউ আর কোড ব্যবহারে সতর্ক থাকুন- কোনও প্রাইজ বা অর্থ পুরস্কার পাবেন এরকম মেসেজ পাঠিয়ে কিউ আর কোড স্ক্যান করতে বললে এড়িয়ে চলুন। মনে রাখবেন, টাকা-পয়সা দেওয়ার ক্ষেত্রে কিউ আর কোড ব্যবহার হয়, এরকমভাবে কাউকে কিউ আর কোড স্ক্যান করতে পাঠানো হয় না।

    স্ক্রিন শেয়ারিং অ্যাপ

    স্ক্রিন শেয়ারিং অ্যাপ ডাউনলোড এড়িয়ে চলুন- সাইবার ক্রিমিনালরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্ক্রিন শেয়ারিং অ্যাপ ব্যবহার করে প্রতারণা করে থাকে। ব্যাঙ্কের লোক বা ভরসার পাত্র হওয়ার ভান দেখিয়ে প্রতারকরা এই ধরণের অ্যাপ ডাউনলোড করতে প্রভাবিত করতে পারে। এই ধরণের প্রতারণার ফাঁদের বিষয়ে সতর্ক থাকুন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share