Tag: Direct Flights

  • India: কাবুলে ফের খুলছে ভারতীয় দূতাবাস, আফগান বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে জয়শঙ্করের বৈঠকের পরেই ঘোষণা

    India: কাবুলে ফের খুলছে ভারতীয় দূতাবাস, আফগান বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে জয়শঙ্করের বৈঠকের পরেই ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আরও চাপে পড়ে গেল পাকিস্তান। মজবুত হচ্ছে ভারত-আফগানিস্তান সম্পর্ক। ‘কাবুল মিশন’ (Kabul Mission) সফল করতে সেখানে ফের খোলা হচ্ছে ভারতীয় (India) দূতাবাস। এর পাশাপাশি, দুই দেশের মধ্যে সরাসরি উড়ান পরিষেবা, উন্নয়নমূলক প্রকল্প সম্প্রসারণ এবং মানবিক সাহায্য বাড়ানোর ঘোষণাও করা হয়েছে।

    মুত্তাকি-জয়শঙ্কর বৈঠক (India)

    তালিবান সরকারকে এখনও আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি ভারত। এই সরকারেরই বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি ভারত সফরে এসেছেন বৃহস্পতিবার। থাকবেন এক সপ্তাহ। আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর এই প্রথম সে দেশের নয়া সরকারের শীর্ষ কোনও নেতা প্রথম এলেন ভারত সফরে। শুক্রবার ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি, পাকিস্তান–আফগানিস্তান–ইরান বিষয়ক যুগ্ম সচিব আনন্দ প্রকাশ এবং বিদেশমন্ত্রকের অন্য কর্তারা। বৈঠক শেষে জয়শঙ্কর বলেন, “আজ আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে কাবুলে ভারতের প্রযুক্তিগত মিশনকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ভারতের দূতাবাসে’র মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে।” আফগান বিদেশমন্ত্রীকে “এক্সেলেন্সি” সম্বোধন করে জয়শঙ্কর বলেন, “আপনার এই সফর আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এবং ভারত-আফগানিস্তানের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ফের নিশ্চিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”

    কী বললেন মুত্তাকি

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে আফগানিস্তানের রাশ যায় তালিবানদের হাতে। তার পরেই বন্ধ করে দেওয়া হয় কাবুলের ভারতীয় দূতাবাস। তবে গত কয়েক মাসে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে দুই দেশের মধ্যে। এহেন আবহে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে পুরোদস্তুর দূতাবাস চালু করার ঘোষণা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে সদলে বৈঠক শেষে মুত্তাকি বলেন, “আশা করছি, দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়বে (Kabul Mission)। যোগাযোগ এবং বিনিময় বৃদ্ধি পাবে।” নয়াদিল্লিকে ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ আখ্যা দেন আফগান বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, “পারস্পরিক সম্মান, বাণিজ্য এবং দুই দেশের সাধারণ মানুষের পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই আমরা।” তালিবান সরকারের বিদেশমন্ত্রী মুত্তাকি সাফ জানিয়ে দেন, “আমাদের ভূখণ্ড ব্যবহার করে কোনও দেশকে অন্য দেশের ওপরে হামলা চালাতে দেব না।” আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, আফগান বিদেশমন্ত্রীর নিশানায় যে আদতে পাকিস্তানই, তা বলাই বাহুল্য। যদিও ইসলামাবাদের নাম মুখে আনেননি তালিবান সরকারের বিদেশমন্ত্রী।

    খনি খুঁড়তে ভারতকে আমন্ত্রণ

    এর পরেই দূতাবাস খোলার কথা ঘোষণা করেন জয়শঙ্কর। বলেন, “আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং স্বাধীনতাকে সমর্থন করে ভারত। নয়াদিল্লির (India) টেকনিক্যাল মিশন কাবুলে রাষ্ট্রীয় দূতাবাসের মর্যাদা পাবে।” আফগানিস্তানের খনি ক্ষেত্রগুলিতে খনন কার্য চালানোর অনুমতি পেয়েছে ভারত। সেজন্য ভারতীয় বিভিন্ন কোম্পানিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে তালিবান সরকার। ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “এতে দুই দেশেরই স্বার্থ রয়েছে। বাণিজ্য এবং ব্যবসা বাড়বে।” কাবুল এবং নয়াদিল্লির মধ্যে অতিরিক্ত উড়ান চালুর কথাও মনে করিয়ে দেন জয়শঙ্কর। এর পরেই ভূমিকম্পের সময় ভারতের মানবিক সাহায্যের জন্য নয়াদিল্লিকে ধন্যবাদও জানান মুত্তাকি (Kabul Mission)।

    পুরোদমে চালু হচ্ছে ভারতীয় দূতাবাস

    ২০২২ সালে কাবুলে একটি টেকনিক্যাল টিম পাঠিয়েছিল ভারত। সেই থেকেই সেই টিমের সদস্যরা অবস্থান করছিলেন ভারতীয় দূতাবাসে। সেই দূতাবাসই এবার চালু হচ্ছে পুরোদমে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পাকিস্তান ও তালিবান সরকারের মধ্যে সীমান্তবর্তী সন্ত্রাস ও আফগান শরণার্থীদের পুনর্বাসন নিয়ে সম্পর্কের টানাপোড়েনের আবহে কাবুলের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ বাড়ানোর নয়া সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সেটাকেই কাজে লাগাল ভারত। বৈঠকে জয়শঙ্কর বলেন, “ভারত আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং স্বাধীনতার প্রতি পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা শুধু আফগানিস্তানের জাতীয় উন্নয়নেই নয়, গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতা এবং সহনশীলতাও নিশ্চিত করে।” তিনি আরও জানান, ভারত অতীতের প্রকল্পগুলির রক্ষণাবেক্ষণ ও অসম্পূর্ণ প্রকল্পগুলির সমাপ্তিতে সহযোগিতা করবে। আফগানিস্তানের উন্নয়নমূলক অন্যান্য চাহিদা সম্পর্কেও আলোচনা হবে।

    দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতায় জোর

    এদিন, বৈঠকের শুরুতেই জয়শঙ্কর বলেন, “আমাদের মুখোমুখি এই সাক্ষাৎ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এই বৈঠক আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির বিনিময়, অভিন্ন স্বার্থ চিহ্নিত করা এবং ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার সুযোগ দিয়েছে।” নাম না করে পাকিস্তানকে নিশানা করে ভারতের বিদেশমন্ত্রীও বলেন, “আমাদের উভয় দেশেরই উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির প্রতি অভিন্ন প্রতিশ্রুতি রয়েছে। কিন্তু সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসবাদ সেই লক্ষ্যে বড় হুমকি (Kabul Mission)। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে। ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগের প্রতি আপনার সংবেদনশীলতার প্রশংসা আমরা করি (India)।” তিনি বলেন, “আমাদের শিক্ষা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির কর্মসূচিগুলি দীর্ঘদিন ধরে আফগান যুবসমাজকে লালন-পালন করে আসছে। আমরা আফগান শিক্ষার্থীদের জন্য ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পড়াশোনার সুযোগ আরও বাড়বে।” তিনি বলেন, “খেলাধুলো আর একটি দীর্ঘদিনের সংযোগের ক্ষেত্র। আফগানিস্তানের ক্রিকেট প্রতিভার উত্থান সত্যিই প্রশংসনীয়। আফগানিস্তানের ক্রিকেটকে আরও সাহায্য করতে পেরে ভারত আনন্দিত।”

    এদিকে, তালিবান সরকারের বিদেশমন্ত্রীর ভারত সফরের মধ্যেই বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কাবুল। অনুমান, এই হামলা চালিয়েছে পাক বিমানবাহিনী (Kabul Mission)। পাকিস্তানের সঙ্গে তালিবানদের সম্পর্কের নাটকীয় অবনতির পরেই ঘটল এই হামলা (India)।

  • India China Agreement: ২৬ অক্টোবর থেকে ফের শুরু হবে ভারত-চিন সরাসরি বিমান পরিষেবা

    India China Agreement: ২৬ অক্টোবর থেকে ফের শুরু হবে ভারত-চিন সরাসরি বিমান পরিষেবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গলছে ভারত-চিন (India China Agreement) সম্পর্কের বরফ। তার জেরেই চলতি মাস থেকে সরাসরি বিমান পরিষেবা (Direct Flights) শুরু হবে দুই দেশের মধ্যে। সম্প্রতি এই ঘোষণা করেছে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক। ২০২০ সালে গলওয়ান সংঘর্ষের জেরে তলানিতে ঠেকেছিল ভারত-চিন সম্পর্ক। তার পর থেকে এতদিন ধরে বন্ধ রয়েছে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা।

    মোদি- জিনপিং বৈঠক (India China Agreement)

    কিছু দিন আগেই চিনে আয়োজিত এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে পার্শ্ববৈঠকে বসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তার পরেই গলে দুই দেশের সম্পর্কের বরফ। ভারত-চিন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের আলোচনার পরে সিদ্ধান্ত হয়, ২৬ অক্টোবর থেকে ফের শুরু হবে ভারত ও চিনের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের শুরু থেকেই দুই দেশের বিমান চলাচল কর্তাদের মধ্যে প্রযুক্তিগত পর্যায়ের আলোচনা চলছিল। আলোচনায় মূলত সরাসরি সংযোগ পুনরুদ্ধার এবং একটি সংশোধিত বিমান পরিষেবা চুক্তি চূড়ান্ত করার ওপর জোর দেওয়া হয়। নয়া ব্যবস্থায় ভারত ও চিনের নির্ধারিত বিমান সংস্থাগুলিকে সম্মতি পাওয়া রুটে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হবে। শীতকালীন সময়সূচি থেকে এই ফ্লাইটগুলি চালু হবে, যদি সমস্ত বাণিজ্যিক ও কার্যকরী শর্ত পূরণ করা যায়, তবেই।

    পরিষেবা ফের চালু করার ঘোষণা

    দুই দেশের এই কূটনৈতিক পদক্ষেপের পর ইন্ডিগো তাদের চিন মূল ভূখণ্ডে পরিষেবা ফের চালু করার ঘোষণা করেছে। ২৬ অক্টোবর ২০২৫ থেকে কলকাতা ও গুয়াংঝুর মধ্যে দৈনিক নন-স্টপ ফ্লাইটও চালু হবে (India China Agreement)। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে ইন্ডিগো খুব শিগগিরই দিল্লি ও গুয়াংঝুর মধ্যেও সরাসরি ফ্লাইট চালু করবে। ইন্ডিগো জানিয়েছে, এই রুটে তারা তাদের এয়ারবাস এ৩২০এনইও বিমান চালাবে। এই ফ্লাইটগুলি ফের চালু হলে দুই দেশের মধ্যে সীমান্তপার বাণিজ্য, কৌশলগত ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব এবং পর্যটন খাতের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। দুই দেশের শীর্ষ আধিকারিকদের বক্তব্য, আকাশপথে যোগাযোগ ফের শুরু হলে দ্বিপাক্ষিক বিনিময় ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে (Direct Flights)।

    প্রসঙ্গত, এশিয়া মহাদেশের এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট পরিষেবা চার বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে। তার জেরে মার খাচ্ছে ব্যবসা, পর্যটন ও অ্যাকাডেমিক বিনিময় কার্যকলাপ (India China Agreement)।

LinkedIn
Share