Tag: Donald Trump

Donald Trump

  • Trump Wishes Modi: ‘দুর্দান্ত কাজ করছেন’, জন্মদিনে মোদিকে ফোনে শুভেচ্ছাবার্তা ট্রাম্পের

    Trump Wishes Modi: ‘দুর্দান্ত কাজ করছেন’, জন্মদিনে মোদিকে ফোনে শুভেচ্ছাবার্তা ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মদিনেই কি ভাঙল ‘দুই বন্ধুর’ সম্পর্কের শীতলতা? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) ফোন করে বার্থ ডে উইশ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। ফোন যে তিনি করেছিলেন তা নিজেই জানালেন সোশ্যাল মাধ্যমে। পাল্টা মোদিও বন্ধুকে উষ্ণ অভ্যর্থনার কথা জানাতে ভুললেন না। ট্রাম্প একাধারে যেমন মোদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর জন্য ধন্যবাদ দিলেন, তেমনই মোদিও পাল্টা লিখলেন, “আমিও ভারত-মার্কিন অংশীদারিত্বকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইউক্রেন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আপনার উদ্যোগকে আমরা সমর্থন করি।”

    মোদিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা

    বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৭৫তম জন্মদিন। মোদিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই উপলক্ষ্যে তাঁকে ফোন করেছিলেন ট্রাম্প। দু’জনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। পরে ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন, ‘‘এখনই আমার বন্ধু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ফোনে দারুণ কথা হল। আমি ওঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছি। উনি দারুণ কাজ করছেন। নরেন্দ্র, রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ থামাতে সহযোগিতার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।’’ ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের কথা এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন মোদিও। তিনি লিখেছেন, ‘‘ফোন করে ৭৫তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য আমার বন্ধু, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ। আপনার মতোই, আমিও ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’ মোদি আরও লিখেছেন, ‘‘ইউক্রেন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আপনার উদ্যোগকে সমর্থন করি।”

    ট্রাম্প ও মোদির মধ্যে ফোনে কথা

    ১৭ জুনের পর এই প্রথম ট্রাম্প ও মোদির মধ্যে ফোনে কথা হয়। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সূত্রে খবর, ভারতের ওপর শুল্ক আরোপের পর মোদিকে অন্তত চার বার ফোন করেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কিন্তু মোদি ফোন তোলেননি। কথাই বলেননি ট্রাম্পের সঙ্গে। প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের পর ভারত ও আমেরিকার সম্পর্কে কিছুটা তিক্ততা দেখা দিয়েছিল। দুই দেশের মধ্যে চাপানউতোরও কম হয়নি। আমেরিকা এবং ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্কের টানাপড়েনের মাঝেই ট্রাম্পের ফোন কিছুটা ‘ইতিবাচক’ বলেই মনে করছেন অনেকেই।

    ভারত-আমেরিকা সম্পর্কে বরফ গলছে

    সম্প্রতি ভারতের ওপর আমেরিকা সব মিলিয়ে ৫০ শতাংশ শুল্ক জারি করেছে। তার মধ্যে রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য জরিমানা বাবদ ২৫ শতাংশ শুল্ক রয়েছে। ওয়াশিংটনের তরফে এই সিদ্ধান্তের পর ভারত মার্কিন সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। সম্প্রতি বেজিংয়ে এসসিও সম্মেলনে যোগ দিয়ে রাশিয়া ও চিনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করার বার্তা দেয় নয়াদিল্লি। পুতিন ও জিনপিংয়ের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন করে আমেরিকা বিরোধী অক্ষ তৈরীর সম্ভাবনা দেখা দেয়। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এতেই খানিকটা চাপে পড়ে যান ট্রাম্প। কার্যত এর পরই কিছুটা সুর নরম করতে থাকে আমেরিকা।

    বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা

    সোমবারই ভারতে এসেছেন আমেরিকার অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ ব্রেন্ডন লিঞ্চ। মঙ্গলবার বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে ভারতীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয় তাঁর। বৈঠকে বাণিজ্য অংশীদারিত্ব এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বলে খবর। আলোচনার পর ভারতের বিবৃতিও এসেছে। ভারত জানিয়েছে যে, সবকিছু ইতিবাচক। আমেরিকারও সুর তেমনটাই। তারপরই ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই ফোন দু’দেশের সম্পর্ককে আরো সহজ করে নেওয়ার পক্ষে নতুন ধাপ বলেই মনে করা হচ্ছে। কূটনৈতিক মহলের মতে, এর ফলে শুল্ক জটিলতা কাটার পথে বেশ খানিকটা এগিয়ে গেল দুই দেশ।

  • Israel: লক্ষ্য হামাসের বিনাশ! গাজা শহরে স্থল অভিযান ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর

    Israel: লক্ষ্য হামাসের বিনাশ! গাজা শহরে স্থল অভিযান ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার গাজা শহরে (Gaza City) স্থল অভিযান চালাল ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। ইজরায়েলের (Israel) নেতানিয়াহু সরকারের দাবি, গাজা শহর থেকে হামাসকে একেবারে নির্মূল করতে চালানো হচ্ছে এই অভিযান। সূত্রের খবর, ইজরায়েলের ভারী ট্যাংকগুলি গাজা শহরে ঢুকে পড়েছে। শুরু হয়ে গিয়েছে ব্যাপক বিমান হামলা। এই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রচুর রেসিডেন্সিয়াল ও সিভিলিয়ন টাওয়ার। এই টাওয়ারগুলিতেই হামাস জঙ্গিরা ঘাঁটি গেড়েছিল বলে খবর। যুদ্ধে যাতে কোনও সাধারণ মানুষের প্রাণহানি না হয়, তাই গাজার সাধারণ মানুষকে শহরের দক্ষিণ দিকে সরে গিয়ে নির্দিষ্ট একটি এলাকায় আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আইডিএফ। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “হামাসের কোনও নিরাপত্তা নেই। তারা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের রক্ষে নেই।”

    ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ (Israel)

    ক্রমেই গভীরতর হচ্ছে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে প্রায় প্রতিদিনই চলছে যুদ্ধ। মাঝে অবশ্য কিছুদিনের জন্য যুদ্ধবিরতি হয়েছিল। পরে তা উঠে গিয়ে ফের শুরু হয় সংঘাত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় একাধিকবার আলোচনার পরেও ক্রমশই ঘোর হচ্ছে যুদ্ধের মেঘ (Israel)। গত ৯ সেপ্টেম্বর ইজরায়েল কাতারে হামাসের একটি ঘাঁটি লক্ষ্য করে সুনির্দিষ্ট হামলা চালায়। খতম হয় পাঁচজন হামাস জঙ্গি। ইজরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার পশ্চিম অংশে একটি ১৬ তলা ভবনও আক্রমণ করে। এটি গাজার সবচেয়ে উঁচু ভবন। ইজরায়েলের দাবি, এটি একটি জঙ্গি ঘাঁটি। এক ইজরায়েলি সেনাকর্তার দাবি, গাজা সিটিতে কমপক্ষে ২ থেকে ৩ হাজার হামাস জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজরায়েল ক্যাটজ-এর কথায়, ‘জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। অপহৃতদের মুক্তি এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র।’

    কী বলছেন ট্রাম্প

    এদিকে, মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও বলেন, “হামাস সমস্ত বন্দিকে মুক্তি দিয়ে এবং আত্মসমর্পণ করে যুদ্ধ শেষ করতে পারে। তবে এটাও ঠিক যে ওরা এটা করবে না।” প্রসঙ্গত, বন্দিদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ইজরায়েলের স্থলভাগে অভিযান চালানোর খবরে হামাসের ব্যাপক সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, “আমি একটি সংবাদ প্রতিবেদন পড়েছি যে ইসরায়েলের স্থল আক্রমণের বিরুদ্ধে হামাস বন্দিদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। আমি আশা করি, হামাসের নেতারা বুঝতে পারবে তারা কী বিপদে পড়ছে যদি তারা এমন কাজ করে। এটি একটি (Gaza City) মানবতাবিরোধী অপরাধ। এখনই সব বন্দিকে মুক্তি দাও (Israel)!”

  • Donald Trump: আন্তর্জাতিক মঞ্চে ক্রমেই গুরুত্ব বাড়ছে ভারতের, নয়াদিল্লির সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে চাইছে ট্রাম্পের দেশ

    Donald Trump: আন্তর্জাতিক মঞ্চে ক্রমেই গুরুত্ব বাড়ছে ভারতের, নয়াদিল্লির সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে চাইছে ট্রাম্পের দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মঞ্চে ক্রমেই গুরুত্ব বাড়ছে ভারতের। নয়াদিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক পোক্ত করতে চাইছে রাশিয়ার পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও (Donald Trump)। বিশ্ব মঞ্চে ফের একবার ভারতের সঙ্গে তার অটল বন্ধুত্বের কথা উল্লেখ করল রাশিয়া। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক (Trade Talks) নিয়ে রাশিয়ার আশ্বাস, নয়াদিল্লির সঙ্গে তার দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক ব্যাহত করতে বহিরাগত শক্তির যে কোনও প্রচেষ্টাকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করা হবে। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রক সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এই ধরনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হতে বাধ্য। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আরটিতে জারি করা এক বিবৃতিতে মন্ত্রক জানিয়েছে, “ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক স্থির এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে এবং এই প্রক্রিয়া ব্যাহত করার যে কোনও প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে।” আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি রাশিয়ার সঙ্গে বহুমুখী সহযোগিতার প্রতি ভারতের অব্যাহত প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে, যাকে রাশিয়া দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বের চেতনা ও ঐতিহ্য বলে অভিহিত করেছে।

    ভারত অপরিহার্য খেলোয়াড় (Donald Trump)

    এদিকে, দেরিতে হলেও শেষমেশ বোধহয় হয়েছে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। তিনি স্বীকার করেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের মধ্যস্থতা করা তার আগের ধারণার চেয়েও কঠিন বলে প্রমাণিত হচ্ছে। ওয়াশিংটন নয়াদিল্লির সঙ্গে স্থগিত থাকা বাণিজ্য আলোচনা পুনরুজ্জীবিত করতে এগিয়ে চলেছে। আমেরিকা ও রাশিয়ার মতো বিশ্বের বৃহৎ শক্তিধর দুই দেশের ভারতকে নিয়ে এই দড়ি টানাটানি নয়াদিল্লির কেন্দ্রীয় অবস্থানকেই তুলে ধরছে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের মতে, ভারত মস্কোর একটি স্থিতিশীল অংশীদার এবং ওয়াশিংটনের অর্থনৈতিক গণনায় এক  অপরিহার্য খেলোয়াড় (Trade Talks)।

    যৌথ প্রকল্পে কাজ

    রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুটি দেশ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে যৌথ প্রকল্পে কাজ করছে। এর মধ্যে রয়েছে নাগরিক ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, পারমাণবিক শক্তি উন্নয়ন, মানবযুক্ত মহাকাশ অভিযান, এবং রাশিয়ায় তেল অনুসন্ধানে ভারতের উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ। দুই দেশ একই সঙ্গে কাজ করছে তাদের জাতীয় মুদ্রা ব্যবহারে পেমেন্ট সিস্টেম বিস্তৃত করার এবং বিকল্প পরিবহণ ও নয়া রুট তৈরিতে। এই উদ্যোগগুলিকে একটি দীর্ঘমেয়াদি কৌশল হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, যা বর্তমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার প্রতি প্রতিক্রিয়াশীল কোনও ব্যবস্থাই নয়।

    মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা

    মার্কিন (Donald Trump) রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেও মস্কো থেকে অপরিশোধিত তেল কিনে চলেছে ভারত। তার জন্য ট্রাম্প প্রশাসন ভারতীয় পণ্যের ওপর দু’দফায় মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। তার পরেও রাশিয়া থেকে নিয়মিত তেল কিনে চলেছে ভারত। পশ্চিমী চাপ উপেক্ষা করেও নিজের সিদ্ধান্ত অটল থাকায় নয়াদিল্লির ব্যাপক প্রশংসাও করেছে রাশিয়া। শুধু তাই নয় (Trade Talks), স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণে অটল থাকায় নয়াদিল্লিকে সাধুবাদও জানিয়েছে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি আন্তর্জাতিক বিষয়ক কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের প্রতিনিধিত্ব করে। এই অংশীদারিত্বে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয় সার্বভৌমত্ব, জাতীয় স্বার্থ এবং মজবুত কূটনৈতিক সম্পর্ককে।”

    ভারত-সহ বিভিন্ন দেশকে চাপ

    রাশিয়ার এহেন প্রশস্তিবাক্য এসেছে এমন একটা সময়ে, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প (Donald Trump) ভারত-সহ বিভিন্ন দেশকে চাপ দিচ্ছেন রাশিয়া থেকে তেল না কিনতে। এই জন্যই চাপানো হয়েছে চড়া শুল্ক। তার পরেও ভারত মস্কোর সঙ্গে তার জীবাশ্ম-জ্বালানি ব্যবসা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থেকেছে। রাশিয়া একে “বিশ্বাসভিত্তিক, দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব” বলে উল্লেখ করেছে। এদিকে, প্রথম থেকেই ভারতকে চাপে ফেলতে নানা চেষ্টা করে গিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক চাপানো হল ৫০ শতাংশ। তার পরেও নতি স্বীকার করেনি নরেন্দ্র মোদি সরকার। যার নিট ফল, ট্রাম্পের পরিকল্পনা ফেল। ট্রাম্প এবার ইউকে-কে বলল ভারত থেকে তেল না কিনতে। কিন্তু মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির স্বার্থে মাথা নোয়াল না ব্রিটেনও।

    ট্রাম্পের পরিকল্পনা ব্যর্থ

    আরও একবার মুখ থুবড়ে পড়ল ট্রাম্পের পরিকল্পনা। জি-৭ গোষ্ঠীকেও ভারতের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হয় (Trade Talks)। শেষমেশ নেটোকে বলছে ভারতের ওপর শুল্ক আরোপ করতে। কিন্তু ‘সুপার পাওয়ার’ হতে চলা ভারতের ওপর শুল্ক চাপাতে অস্বীকার করে একের পর এক মিত্র দেশগুলি। উল্টে রাশিয়া ও চিন ভারতকে সমর্থন করে মোদির হাত শক্ত করল। এসসিও-ব্রিকসকে ভাঙার পরিকল্পনাও ব্যর্থ। এহ বাহ্য। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে না পেরে এখন ট্রাম্প স্বীকার করছেন, ওটা গভীর সমস্যা। এত সহজে মিটবে না। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতকে (Donald Trump) বেগ দিতে গিয়ে উল্টে একা হয়ে গিয়েছে ট্রাম্পের দেশ। তাই মোদির প্রতি সুর নরম করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। আবারও আলোচনার টেবিলে বসছে ভারত ও আমেরিকা। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর দিল্লিতে আসছে উচ্চস্তরের এক মার্কিন প্রতিনিধি দল। আমেরিকার প্রধান বাণিজ্য আলোচনা নেতা ব্রেন্ডেন লিঞ্চ এই দলের নেতৃত্ব দেবেন। ভারতের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করবেন বাণিজ্যমন্ত্রকের বিশেষ সচিব রাজেশ আগরওয়াল।

  • India Russia Relation: ‘ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক ভাঙার চেষ্টা বিফল হবে’, নয়াদিল্লির দৃঢ়তার প্রশংসা করে ট্রাম্পকে বার্তা মস্কোর

    India Russia Relation: ‘ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক ভাঙার চেষ্টা বিফল হবে’, নয়াদিল্লির দৃঢ়তার প্রশংসা করে ট্রাম্পকে বার্তা মস্কোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক বিঘ্নিত করার যে কোনও প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে। ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক প্রাচীন, “সময়-পরীক্ষিত” এবং “স্থিরভাবে” এগিয়ে চলেছে। রবিবার মস্কোর তরফে আমেরিকাকে এই বার্তাই দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্ব (India-Russia Relation) নাপসন্দ আমেরিকার। রাশিয়ার থেকে ভারত তেল কিনছে বলে, শুল্ক বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এই চাপের মুখেও নতিস্বীকার করেনি ভারত। এই বন্ধুত্বের সম্পর্ককে এবার সর্বসমুখে সম্মান দিল রাশিয়াও।

    ভারত-রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থিতিশীল

    ইউক্রেনে যুদ্ধ থামাতে হলে রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক মহলে কোণঠাসা করতে হবে। আমেরিকার একার চেষ্টায় তা সম্ভব নয়। তার জন্য ইউরোপের সহযোগিতা চাই। সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে এমনই মন্তব্য করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আরও এক বার ইউরোপের দেশগুলিকে রাশিয়ার তেল আমদানি নিয়ে চাপ দিলেন ট্রাম্প। এই আবহে আমেরিকার লাগাতার চাপের মুখে ভারতের অনড় অবস্থানের প্রশংসা করল রুশ বিদেশ মন্ত্রক। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ বলেন, “ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক দীর্ঘ সময়ের এবং তা ক্রমাগত আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যারাই এই সম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টা করবে, তারা বিফল হতে বাধ্য।” মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘ভারত এবং রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কঠিন সময়েও স্থিতিশীল ভাবে এগিয়ে চলেছে।’’

    দিল্লির প্রশংসা রুশ বিদেশ মন্ত্রকের

    আমেরিকা ও নেটো সদস্য দেশগুলির চাপের মুখেও ভারত যেভাবে দৃঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে এবং রাশিয়ার থেকে তেল কেনা বন্ধ করেনি, তার প্রশংসা করেন সে দেশের বিদেশমন্ত্রী। ভারত-রাশিয়ার সুদীর্ঘ বন্ধুত্বের সম্পর্ক ও ঐতিহ্যের কারণেই ভারত এমন অবস্থান নিয়েছে। আন্তর্জাতিক বিষয়ে তারা যে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, তার প্রমাণ আমেরিকার কাছে মাথা নত করেনি ভারত। দিল্লির প্রশংসা করে রুশ বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, ‘‘আমেরিকা এবং নেটো-র সদস্য দেশগুলির অনবরত চাপের মুখেও নতিস্বীকার করেনি ভারত। তারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা পালন করে চলেছে। ভারতের এই অবস্থান আসলে দুই দেশের দীর্ঘমেয়াদি বন্ধুত্বের প্রতিফলন। দুই দেশের সম্পর্কে সবসময় জাতীয় স্বার্থ এবং সার্বভৌমত্বকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।’’ প্রসঙ্গত, ভারত ও রাশিয়া চলতি মাসেই যৌথ সামরিক অভিযানে সামিল হতে চলেছে। মহাকাশ মিশনেও ভারতকে সাহায্য করছে রাশিয়া, রসকসমসে প্রশিক্ষণ চলেছিল ভারতীয় মহাকাশচারীদের। এছাড়া বাণিজ্য সম্পর্ক তো আছেই।

  • India-US Relation: “ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরেছে”! ৫০ শতাংশ শুল্ক নিয়ে সুর নরম করলেন ট্রাম্প

    India-US Relation: “ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরেছে”! ৫০ শতাংশ শুল্ক নিয়ে সুর নরম করলেন ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India-US Relation) উপর শুল্ক চাপানো যে সহজ নয়, তা মানলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর শুল্ক আরোপ করা “সহজ কাজ নয়” কারণ এটি দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করে। শুল্কের কাঁটায় ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয়েছে তিক্ত। এ কথা নিজেই স্বীকার করে নিলেন ট্রাম্প (Donald Trump)।

    কী বললেন ট্রাম্প

    ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “দেখুন, ভারত ওদের (রাশিয়া) সবথেকে বড় গ্রাহক ছিল। আমি ভারতের উপরে ৫০ শতাংশ শুল্ক (Trump Tariff on India) চাপিয়েছি কারণ ওরা রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনছে। এটা সহজ কাজ ছিল না। কিন্তু আমি তা করেছি। আমি অনেক করেছি। মনে রাখবেন, এটা আমাদের সমস্যার থেকেও বেশি ইউরোপের সমস্যা।” শুক্রবার ওই সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “আমি ইতিমধ্যেই অনেক কিছু করেছি। আমি সাতটা যুদ্ধ সমাধান করেছি। আমি পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যেকার উত্তেজনাসহ অনেক কিছু সমাধান করেছি। যেগুলো অসম্ভব মনে করা হত যেমন কঙ্গো আর রুয়ান্ডা। আমি তা সমাধান করেছি। এটি ৩১ বছর ধরে চলছিল, লাখ লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল। আমি এমন যুদ্ধও শেষ করেছি, যেগুলোকে বলা হত সমাধান অযোগ্য।”

    ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য চুক্তি

    একদিকে শুল্ক নিয়ে ট্রাম্প যখন ভারত-আমেরিকা সম্পর্ক অবনতি হওয়ার কথা বলছেন, সেখানেই বৃহস্পতিবার তাঁরই মনোনীত ভারতে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত সার্গিও গোর বলেছেন যে ট্রাম্প প্রশাসন চায় ভারত রাশিয়ার থেকে তেল ও ক্রুড পণ্য না কিনে, তা আমেরিকার থেকে কিনুক। বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে দুই দেশের আলোচনা হচ্ছে বলেও তিনি জানান। প্রসঙ্গত, ভারতের উপরে শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে দ্বিগুণ করে দেওয়ার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই যুক্তিই দিয়েছিলেন যে ভারত রাশিয়ার থেকে তেল কিনছে। ভারত ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করেছে এবং এই সিদ্ধান্তকে অনৈতিক বলে উল্লেখ করেছে। সম্প্রতি চিন-রাশিয়া ভারতের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়াতেই আবার সুর নরম করেছেন ট্রাম্প। বারবার উল্লেখ করেছেন বন্ধুত্ব ও দীর্ঘ সম্পর্কের কথা। সম্প্রতি মার্কিন বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিক এক সাক্ষাৎকারে ইঙ্গিত দেন যে, ভারতের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত এগোতে পারে। লুটনিক বলেন, “আসলে আমরা ভারতের ব্যাপারটা সমাধান করব, সেখানে বিশেষ কোনও সমস্যা হবে না।” তিনি আরও যোগ করেন, অগ্রগতি অনেকটাই নির্ভর করছে ভারত রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করছে কিনা তার ওপর।

  • Mohan Bhagwat: “যারা ভারতের উন্নয়নকে ভয় পায় তারা এমন কৌশল অবলম্বন করছে,” মার্কিন শুল্ককে নিশানা ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: “যারা ভারতের উন্নয়নকে ভয় পায় তারা এমন কৌশল অবলম্বন করছে,” মার্কিন শুল্ককে নিশানা ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যারা ভারতের উন্নয়নকে ভয় পায় তারা এমন কৌশল অবলম্বন করছে।” শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম না নিয়েই এ কথা বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিন ট্রাম্প প্রশাসনের সেই সিদ্ধান্তকেই কটাক্ষ করে সরসংঘচালক বলেন, “যারা ভারতের উন্নয়নকে ভয় পায় তারা এমন কৌশল অবলম্বন করছে। সিদ্ধান্তটি হতাশা থেকে ও চাপে পড়ে নেওয়া হয়েছে।”

    জীবাশ্ম জ্বালানি কেনায় জরিমানা (Mohan Bhagwat)

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মস্কো থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি কেনায় ভারতীয় পণ্যের ওপর প্রথমে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। তার পরেও রাশিয়া থেকে তেল কিনতে থাকায় ফের ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। সব মিলিয়ে ভারতীয় পণ্যের ওপর চাপানো হয় ৫০ শতাংশ শুল্ক, সঙ্গে মোটা অঙ্কের জরিমানাও। যুক্তি হিসেবে ট্রাম্প বলেন, “এটি (রাশিয়া থেকে তেল কেনা) প্রকৃতপক্ষে মস্কোর ইউক্রেন যুদ্ধকে পরোক্ষভাবে অর্থায়ন করছে।” মার্কিন প্রশাসনের এই চড়া শুল্ক হারকে ভারত অন্যায়, অপ্রমাণিত এবং অযৌক্তিক হিসেবে উল্লেখ করে বলেছে যে, “নয়াদিল্লি কোনও চাপের কাছে মাথা নত করবে না।”

    কী বললেন ভাগবত

    আরএসএস প্রধান বলেন, “বিশ্বের মানুষ আশঙ্কিত যে, যদি ভারত শক্তিশালী হয় তাহলে তাদের কী হতে পারে এবং তাদের নিজস্ব অবস্থান কী হবে। এ জন্য ভারতীয় পণ্যগুলিতে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।” শুক্রবার ভাগবত যোগ দিয়েছিলেন নাগপুরে “ব্রহ্ম কুমারিজ বিশ্বশান্তি সরোবর” নামের একটি যোগ ও আধ্যাত্মিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সপ্তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে। সেখানেই তিনি বলেন, “মানব মনোভাব ‘আমি’ থেকে ‘আমরা’-র দিকে পরিবর্তন করলে অনেক সমস্যার সমাধানই করা সম্ভব।” সরসংঘচালক বলেন, “আজকের বিশ্ব সমাধান খুঁজছে, কারণ তাদের অসম্পূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তারা সঠিক পথ খুঁজে পাচ্ছে না। শুধুমাত্র আমি মনোভাবের কারণে তাদের পক্ষে পথ খুঁজে পাওয়া অসম্ভব।” ভারত যে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে এবং বিশ্বকে উন্নতির পথে পরিচালিত করতে পারে, সে ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসও প্রকাশ করেন সরসংঘ প্রধান (Mohan Bhagwat)। তিনি বলেন, “ভারত মহান দেশ। ভারতীয়দেরও উচিত মহান হওয়ার চেষ্টা করা।” তিনি আরও বলেন, “ভারত বড় দেশ এবং এটি আরও বড় হতে চায়।” বর্তমান ভারতের সামর্থ্যের উল্লেখ করতে গিয়ে ভাগবত (RSS) বলেন, “ভারত বিশ্বের সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে পারবে এবং তামাম বিশ্বকে সঠিক পথ দেখাতে সক্ষম।”

    ভারতবাসীর মনোবল এবং ধৈর্যের প্রশংসা

    এদিন ভাগবত ভারতবাসীর মনোবল এবং ধৈর্যের প্রশংসাও করেন। বিশেষ করে উল্লেখ করেন কঠিন সময়ে তাঁদের স্থিরধৈর্য এবং সন্তুষ্টির কথা। বলেন, “কোনও সংকট থাকা উচিত নয়।  তবে যদি থেকেও থাকে, তাহলে সময় এলে তা পরিবর্তিত হবে। তবু, দুঃখ-দুর্দশা থাকা সত্ত্বেও এখানকার মানুষ এই একাত্মতার আত্মার কারণে সন্তুষ্ট থাকে (Mohan Bhagwat)।” প্রসঙ্গত, জুলাই মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের আমদানি পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ পারস্পরিক শুল্ক ঘোষণা করেন। এটা কার্যকর করা হয় ১ অগাস্ট থেকে। এরই দিন কয়েক পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেটি বৃদ্ধি করে ৫০ শতাংশে নিয়ে যান। জানিয়ে দেন, রাশিয়া থেকে ভারত তেল কেনায় এই শাস্তি।  ট্রাম্পের অভিযোগ, ভারত রাশিয়ার ইউক্রেন যুদ্ধকে আর্থিকভাবে সহায়তা করছে। এর পাশাপাশি তিনি ভারতকে এই বলেও সতর্ক করেন যে, যদি নয়াদিল্লি সরে না আসে, তবে দ্বিতীয় পর্যায়ের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। আমেরিকার আরও অভিযোগ, ভারত রুশ তেল কিনে অন্যান্য দেশকে বিক্রি করে মুনাফা লুটছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে (Mohan Bhagwat) নয়াদিল্লি।

    ভারতের অনড় মনোভাব

    এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কৌশলের মুখে পড়েও ভারত তার দৃঢ় মনোভাব বজায় রেখেছে (RSS)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাফ বলে দিয়েছেন, রাশিয়া থেকে তেল কেনা দেশের মানুষের স্বার্থেই। ট্রাম্পের শুল্ক নীতিকে তিনি অন্যায়, অপ্রয়োজনীয় এবং অযৌক্তিক আখ্যা দিয়েছেন। এর ঠিক পরে পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে যান চিনে। সেখানে তিনি সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠক করেন (Mohan Bhagwat) চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে। তার পরেই সুর নরম করেন ট্রাম্প। ভারতকে আরও একবার ‘বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

     

  • India EU Trade Deal: ট্রাম্পের আহ্বানে সাড়া দেওয়ার সম্ভাবনা নেই! ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চায় ইউরোপ

    India EU Trade Deal: ট্রাম্পের আহ্বানে সাড়া দেওয়ার সম্ভাবনা নেই! ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চায় ইউরোপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর যে আহ্বান মার্কিন প্রেসিডেন্ট করেছেন, তাতে আপাতত সাড়া দিচ্ছে না ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এ প্রসঙ্গে ইউরোপের নেতাদের চিন্তা একটু আলাদা। জানা গিয়েছে, ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ভারত ও চিনের ওপর কঠোর শুল্ক আরোপের অনুরোধ জানিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে ইইউ-র পক্ষ থেকে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি এখনও। দাবি করা হচ্ছে, ভারত ও চিনের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর জন্য ইইউ-র ওপর চাপ দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

    কী ভাবছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

    ইইউর এক প্রতিনিধি দল, যার মধ্যে রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা বিষয়ক প্রধান দূতও ছিলেন, সম্প্রতি ওয়াশিংটনে সফর করে। সফরের উদ্দেশ্য ছিল রাশিয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করা। তবে ইইউ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা শুল্কের বিষয়টি নিষেধাজ্ঞার মতো ভাবে দেখেন না এবং সাধারণত দীর্ঘ তদন্ত ও আইনি ভিত্তির পরই শুল্ক আরোপ করেন। এক ইউরোপীয় কূটনীতিক বলেন, “এখনও পর্যন্ত ভারত বা চিনের উপর শুল্ক আরোপ নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি।” তিনি আরও জানান, ইইউ বর্তমানে ভারতের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনার শেষ পর্যায়ে রয়েছে, যা এমন পদক্ষেপের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অন্য এক ইইউ কর্মকর্তা বলেন, এই ধরনের শুল্ক আরোপ ঠিক হবে না। এতে বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। বরং নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করাকে তারা বেশি কার্যকর বলে মনে করেন।

    ট্রাম্পের হঠকারী ভাবনা

    সূত্রের খবর , ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) সামনে রেখে ভারতের উপর আরও শুল্ক চাপাতে চাইছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। শুধু ভারত নয়, এই তালিকায় চিনকে রেখেছেন তিনি। রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য ‘জরিমানা’ হিসেবে ভারতের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রশাসনের অভিযোগ, তেল কিনে রাশিয়ার হাত শক্ত করছে ভারত। তেল বিক্রি করে যা মুনাফা করছে তা ইউক্রেন যুদ্ধে কাজে লাগাচ্ছে ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার! তাই রাশিয়াকে যদি যুদ্ধ থেকে বিরত করতে হয় তবে তাদের বন্ধুরাষ্ট্র চিন এবং ভারতের উপর শুল্ক-হামলা করতে হবে, এমনই মনে করছে ট্রাম্প প্রশাসন। দিন দুয়েক আগে মার্কিন অর্থসচিব স্কট বেসেন্ট দাবি করেছিলেন, রাশিয়া এবং তার থেকে তেল কেনা দেশগুলির উপর আরও শুল্ক এবং নিষেধাজ্ঞা চাপানো হলে, সংশ্লিষ্ট দেশগুলির অর্থনীতি ভেঙে পড়তে পারে! এই ধরনের অর্থনৈতিক পতনই কেবল রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে আলোচনার টেবিলে বসাতে পারে। সেই একই পথের কথা বললেন ট্রাম্পও।

    ট্রাম্পের সঙ্গে ইইউ-এর কথা

    সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত আধিকারিক ডেভিড ও’সুলিভান সহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ট্রাম্প কথা বলেন। সেই সময়ই নাকি ট্রাম্প এই অনুরোধ জানিয়েছেন। ইইউ কর্মকর্তা রয়টার্সকে নাকি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইঙ্গিত দিয়েছে যে, যদি ইইউ ট্রাম্পের অনুরোধ মঞ্জুর করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রও একই ধরনের শুল্ক আরোপ করতে চায় ভারত ও চিনের ওপর। প্রসঙ্গত, ট্রাম্প নিজে অভিযোগ করে আসছেন, বাণিজ্যের দিক থেকে ইউরোপ এখনও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছে। এই আবহে ইউরোপকে ভারত এবং চিনের ওপর পরোক্ষ শুল্ক আরোপের জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। প্রতিবেদন অনুসারে, গত বছর ইইউর মোট গ্যাস আমদানির ১৯ শতাংশ ছিল রাশিয়া থেকে। তবে ইইউ বলেছে, তারা রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ট্রাম্প ইতিমধ্যে ভারতের উপর ২৫+২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। এর মধ্যে ২৫% পারস্পরিক শুল্ক এবং ২৫% নিষেধাজ্ঞা বাবদ আরোপ করা হয়েছে।

    ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে চলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

    সূত্রের খবর, আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও শীঘ্রই ভারতের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে চলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। নয়াদিল্লিতে এই নিয়ে কথা বলতে আসবেন ইইউ-এর প্রতিনিধিরা। দীর্ঘদিন ধরেই চলছে এই কথা। ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন চাইছে দু-জনের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি। বর্তমানে সমস্ত অমীমাংসিত বিষয় সমাধানের জন্য আগামী মাসে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। নয়াদিল্লি সূত্র বলছে, ইউরোপীয় আধিকারিকদের একটি প্রতিনিধিদল এই সপ্তাহে নয়াদিল্লি সফরে আসার কথা রয়েছে। যেখানে তারা বাজার অ্যাক্সেস, কৃষি পণ্যের উপর শুল্ক ও বিশেষ করে ওয়াইন ও দুগ্ধজাত পণ্যের উপর শুল্ক মত-পার্থক্য নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। মনে করা হচ্ছে- ইউরোপীয় ইউনিয়ন ১৭ সেপ্টেম্বর ভারতের জন্য তাদের নতুন দৃষ্টিভঙ্গির নীলনকশা উপস্থাপন করবে। আগামী মাসের শুরুতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এটি ঘোষণা করা হতে পারে।

  • Charlie Kirk: প্রকাশ্যে খুন ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ চার্লি কির্ক, বিশ্বকে নিরাপত্তার পাঠ দেওয়া আমেরিকার ঘরেই ফুটো!

    Charlie Kirk: প্রকাশ্যে খুন ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ চার্লি কির্ক, বিশ্বকে নিরাপত্তার পাঠ দেওয়া আমেরিকার ঘরেই ফুটো!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার ইউটা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বছর একত্রিশের রক্ষণশীল নেতা চার্লি কির্ক (Charlie Kirk)। তিনি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। এদিনের অনুষ্ঠান চার্লি যখন পড়ুয়াদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন, তখন আচমকাই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। অনুষ্ঠান মঞ্চেই লুটিয়ে পড়েন চার্লি। সেই ঘটনার একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।

    ‘দ্য আমেরিকান কামব্যাক ট্যুর’ (Charlie Kirk)

    চার্লির গুলিবিদ্ধ হওয়ার ভিডিওটি একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে পোস্ট করা হয়েছে। বন্যা বয়ে গিয়েছে লাইক, কমেন্টের। চার্লি টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ-র সহ-প্রতিষ্ঠাতা। তিনিই এর সিইও। হামলার কয়েক মুহূর্ত আগেই তিনি গণহত্যা ও বন্দুকবাজদের হামলা নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন। চার্লি গোঁড়া এবং রক্ষণশীল রিপাবলিকান হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের সমর্থনে ব্যাপক প্রচার করেছিলেন তিনি। অনেকের মতে, তার জেরে ছাত্র-যুবদের একটা বড় অংশের ভোট তিনি নিয়ে এসে ফেলেছিলেন রিপাবলিকান পার্টির ঝুলিতে। সম্প্রতি আমেরিকার কলোরাডো থেকে ভার্জিনিয়া পর্যন্ত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সফর করার পরিকল্পনা করেছিলেন চার্লি। নাম দিয়েছিলেন ‘দ্য আমেরিকান কামব্যাক ট্যুর’। এই সফরেই তিনি গিয়েছিলেন ইউটার বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানেই গুলিবিদ্ধ হন চার্লি (Charlie Kirk)।

    ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, ইউটা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানের মঞ্চে বসে রয়েছেন চার্লি। তাঁর হাতে মাইক। পড়ুয়াদের নানান প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন তিনি। এই সময় আচমকাই আততায়ী চার্লিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গুলি সটান গিয়ে বিঁধে যায় চার্লির ঘাড়ে। চেয়ারেই লুটিয়ে পড়েন চার্লি। অনুষ্ঠান মঞ্চেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় এখনও বন্দুকবাজের হদিশ পায়নি মার্কিন পুলিশ। সন্দেহভাজন হিসেবে একজনকে আটক করা হয়েছিল ঠিকই, যদিও পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। চার্লির মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে নিজস্ব সমাজমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, “আমেরিকার যুব সমাজের হৃদয় চার্লির চেয়ে ভালো কেউ বোঝেনি বা বুঝতে পারেনি।” চার্লিকে ‘মহান’ এবং ‘কিংবদন্তি’ বলেও আখ্যা দেন ট্রাম্প। তিনি আরও লেখেন, “আমাদের সকলেরই উচিত চার্লির জন্য প্রার্থনা করা। তিনি একজন দুর্দান্ত মানুষ ছিলেন। ঈশ্বর তাঁকে আশীর্বাদ করুন।” ইউটার গভর্নর স্পেন্সার কক্স বলেন, “আধিকারিকরা মনে করছেন যে এই গুলি চালানোর ঘটনায় মাত্র একজন ব্যক্তি জড়িত ছিল। বন্দুকবাজ পালিয়ে গিয়েছে নাকি কোথাও গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।”

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওর ছবি

    ভাইরাল হওয়া (Donald Trump) ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, আততায়ীর গুলি থেকে বাঁচতে পড়ুয়ারা নিচু হয়ে পড়ছেন, চিৎকার (Charlie Kirk) করছেন এবং মঞ্চের কাছে থাকা একটি ফোয়ারা পার হয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন। নিরাপত্তা রক্ষীরা চার্লিকে দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় কিছু পড়ুয়া তাঁকে সাহায্য করার চেষ্টা করছেন। একজন মহিলাকে দেখা গিয়েছে লাল রংয়ের ‘এমএজিএ’ টুপি পরে কাঁদতে। অনেককে দেখা গিয়েছে, চার্লির আত্মার শান্তি কামনায় প্রার্থনা করতে। চার্লি হত্যার নিন্দে করেছেন আমেরিকার দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতারাই। আমেরিকার উপরাষ্ট্রপতি জেডি ভ্যান্স চার্লির জন্য প্রার্থনা করেছেন তাঁর ‘অন্ধকারতম সময়ে’। ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডেসান্তিস বলেন, “বিতর্কের সমাধান করা উচিত আলোচনার দ্বারা, হিংসার দ্বারা নয়।” ইউটা ভ্যালি ইউনিভার্সিটি  এ রাজ্যের সবচেয়ে বড় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ৪৭ হাজার। অনুষ্ঠান মঞ্চে চার্লি খুন হওয়ার পরে তাৎক্ষণিকভাবে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। প্রশাসকদের বক্তব্য, তদন্ত চলাকালীন সময়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে (Donald Trump)।

    স্নাইপার হামলা!

    চার্লি (Charlie Kirk) হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়ে দাবানলের মতো। তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে ঢল নামে জনতার। ট্রাম্প এই হত্যাকাণ্ডকে আমেরিকার জন্য একটি ‘অন্ধকার মুহূর্ত’ বলে  আখ্যা দেন। দেন ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতিও। জানা গিয়েছে, চার্লিকে ক্যাম্পাস ভবন থেকে প্রায় ২০০ গজ দূর থেকে গুলি করা হয়। এক্স হ্যান্ডেলে অনেকেই একে স্নাইপার আক্রমণ বলে উল্লেখ করেছেন। কারণ যেখান থেকে গুলি করা হয়েছে, তা অনেকটা দূর থেকেই। ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা যায়, চার্লির জুগুলার শিরায় লাগে গুলিটি। সেই কারণে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।

    ঘরামির ঘরেই ফুটো!

    পড়ুয়া-শিক্ষকে ঠাসা অনুষ্ঠানে কীভাবে চার্লিকে গুলি করা হল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। চার্লি হত্যার পরে আমেরিকায় ট্রাম্প প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। মার্কিন মুলুকে বন্দুকবাজদের হিংসা এবং রাজনৈতিক হামলা এখন জলভাত হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে দেশ নিজেকে বিশ্বের গণতন্ত্রের দিগন্তদর্শী হিসেবে উপস্থাপন করে এবং অন্যদের স্বাধীনতার পাঠ দেয়, সেখানেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাতেই বড়সড় ছিদ্র। যে ফুটো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, ভালো নেই আমেরিকা (Charlie Kirk)! প্রসঙ্গত, ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারে বেরিয়ে এক বন্দুকবাজের শিকার হয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে গুলিটি ট্রাম্পের কান (Donald Trump) ঘেঁষে বেরিয়ে যাওয়ায় সে যাত্রায় বেঁচে যান ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

  • India US Relation: ট্রাম্পের সুর নরম, প্রত্যুত্তর দিলেন মোদিও, বিপাকে পড়েই ভোল বদল আমেরিকার?

    India US Relation: ট্রাম্পের সুর নরম, প্রত্যুত্তর দিলেন মোদিও, বিপাকে পড়েই ভোল বদল আমেরিকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পর পর চার দিন ফোন করেছিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (India US Relation)। সেই ফোন ধরেননি দিল্লিশ্বর নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তারপর ফের একবার রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি কেনায় ভারতকে চোখ রাঙিয়ে ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তারপরেও রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যায় ভারত। ট্রাম্পের হুমকিকে ‘বুড়ো আঙুল’ দেখিয়ে চিনে আয়োজিত এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেখানে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই, ট্রাম্পের উদ্দেশে পুতিন সাফ জানিয়ে দেন, ভারতের সঙ্গে কেউ এধরনের আচরণ করতে পারে না। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখে মার্কিন প্রশাসন। তার ওপর মঙ্গলবার ট্রাম্পকে প্রচ্ছন্ন হুমকি দেন চিনা প্রেসিডেন্টও। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব কারণেই ফের ভারতের কাছাকাছি আসার চেষ্টা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

    ‘মৈত্রী’র বার্তা মোদির (India US Relation)

    সম্প্রতি একটি পোস্টে নরেন্দ্র মোদিকে ‘প্রিয় বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প। ইঙ্গিত দেন, থমকে যাওয়া বাণিজ্য আলোচনায় নয়া গতি আসার। এবার ‘মৈত্রী’র বার্তা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং স্বাভাবিক পার্টনার। আমি বিশ্বাস করি যে আমাদের বাণিজ্য আলোচনা ভারত-মার্কিন পার্টনারশিপের অসীম সম্ভাবনাকে আনলক করার পথ প্রস্তুত করবে। আমাদের টিম এই আলোচনা দ্রুত সমাপ্ত করার জন্য কাজ করছে।” প্রধানমন্ত্রীর এহেন ট্যুইট-বার্তার ঠিক আগে আগে ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছিলেন, “আমি নিশ্চিত যে আমাদের দুই মহান দেশের সফল সমাপ্তিতে পৌঁছতে কোন সমস্যা হবে না!” তিনি লিখেছেন, আমি আশা করি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে কথা বলব। ট্রাম্পের এই বার্তার পর প্রধানমন্ত্রীও জানিয়েছেন, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে শীঘ্রই কথা বলার প্রত্যাশা করছেন। তিনি লেখেন, “আমরা এক সঙ্গে কাজ করব যাতে আমাদের উভয় দেশের মানুষের জন্য উজ্জ্বল ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যত নিশ্চিত করা যায়।”

    প্রমাদ গোণে ট্রাম্প প্রশাসন

    প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মস্কো থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি কেনায় ভারতীয় পণ্যের ওপর দু’দফায় ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন। করা হয় জরিমানাও। ট্রাম্প ভারতকে ‘মৃত অর্থনীতি’ উল্লেখ করেন। তাঁর সহকর্মীরা ভারতকে ‘ক্রেমলিনের লন্ড্রোম্যাট’ আখ্যা দেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘মোদির যুদ্ধ’ বলে অভিহিত করেছিলেন। এর আগে ট্রাম্প নিজেই অভিযোগ করেছিলেন, ওয়াশিংটন ভারতকে হারিয়েছে সব চেয়ে অন্ধকার চিনের কাছে। চিনে আয়োজিত এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের একই মেরুতে জিনপিং-মোদি-পুতিনকে দেখে (PM Modi) প্রমাদ গোণে ট্রাম্প প্রশাসন। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে (India US Relation), তার পরেই সুর নরম করতে শুরু করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সপ্তাহের শেষের দিকে তিনি তাঁর সুর নরম করে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে “বিশেষ” বলে উল্লেখ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কের গুরুত্বের কথাও তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী পাল্টা বলেন, “আমি ট্রাম্পের ইতিবাচক মনোভাব সার্বিকভাবে মূল্যায়ন এবং সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাবর্তন করছি।” মার্কিন অর্থমন্ত্রকের সচিব স্কট বেসেন্ট, যিনি রাশিয়া থেকে তেল কেনায় ভারতকে কঠোর আক্রমণ করেছিলেন, তিনিও ‘টোন ডাউন’ করে বলেন, “আমি মনে করি দিনের শেষে, দুটি মহান দেশ এই সমস্যার সমাধান করবে।”

    ভোল বদলের কারণ

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই ভোল বদলের একাধিক কারণ রয়েছে। প্রথমত, আমেরিকা বরাবর চায়, ভারত-চিন উত্তেজনা চিরকাল বজায় থাকুক। সেই চিনকে যখন রাশিয়া এবং ভারতের সঙ্গে এক সারিতে দেখল ট্রাম্প প্রশাসন, তখন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার জোগাড় মার্কিন প্রেসিডেন্টের। কারণ, ভারত, রাশিয়া ও চিন একত্রে বিশ্ব জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ এবং বিশ্ব জিডিপির প্রায় এক তৃতীয়াংশের প্রতিনিধিত্ব করে। তাদের (India US Relation) সম্মিলিত বাণিজ্য ও সামরিক শক্তি আমেরিকার সমকক্ষ, কিছু ক্ষেত্রে তার চেয়েও এগিয়ে। ‘মিস্টার প্রেসিডেন্টে’র এই ‘টোন ডাউনে’র পেছনে খানিকটা হলেও এই ভয় কাজ করেছিল যে, যদি ওয়াশিংটন শুল্ক বাড়িয়ে দেয় (PM Modi) এবং চাপ বাড়িয়ে চলে, তাহলে ভারত-রাশিয়া-চিন এক মেরুতে চলে আসবে। আর যদি তা হয়, তাহলে তা হবে আমেরিকার কাছে হুমকি স্বরূপ।

    মোদির অটল মনোভাব

    রাজনৈতিক মহলের মতে, মোদির অটল এবং একই সঙ্গে কঠোর মনোভাবও ট্রাম্পকে বাধ্য করেছে সুর নরম করতে। কারণ, ট্রাম্প যখন ভারতীয় পণ্যের ওপর চড়া শুল্ক এবং জরিমানা আরোপ করেন, তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, “ভারত কখনওই তার কৃষক, পশুপালক এবং নাগরিকদের স্বার্থের সঙ্গে আপস করবে না। ব্যক্তিগতভাবে আমায় বড় মূল্য দিতে হতে পারে, যদিও আমি তার জন্য প্রস্তুত।” প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও ট্রাম্পের নাম না নিয়ে বলেছিলেন (PM Modi), “কিছু মানুষ ভারতের উন্নয়ন সহ্য করতে পারছে না। তারা মনে করে তারা সবার বস। তাই তারা কীভাবে ভারতের এত দ্রুত উন্নয়ন মেনে নেবে (India US Relation)?”

  • S Jaishankar: ভারতীয় পণ্যের ওপর আরোপিত উচ্চ মার্কিন শুল্কের তীব্র বিরোধিতা শি জিনপিংয়ের

    S Jaishankar: ভারতীয় পণ্যের ওপর আরোপিত উচ্চ মার্কিন শুল্কের তীব্র বিরোধিতা শি জিনপিংয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিশ্ব একটি সমষ্টি হিসেবে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য স্থিতিশীল ও পূর্বানুমানযোগ্য পরিবেশ খুঁজছে। তবে একই সময়ে এটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা যেন ন্যায়সঙ্গত ও স্বচ্ছ হয় এবং সবার উপকারে লাগে।” ভার্চুয়াল ‘ব্রিকস’ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়ে সোমবার কথাগুলি বলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। ভারত ও অন্য কয়েকটি দেশের পণ্যের ওপর চড়া হারে শুল্ক (US Tariffs) আরোপের কারণে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঠিক সেই সময় জয়শঙ্করের এই কথাগুলি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    জয়শঙ্করের বক্তব্য (S Jaishankar)

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতিনিধি হিসেবে ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং অন্য রাষ্ট্রনেতারা। এই সম্মেলনেই জয়শঙ্কর বলেন, “ভারতের বিশ্বাস, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্যবস্থাকে খোলা, ন্যায়সঙ্গত, স্বচ্ছ এবং বৈষম্যহীন রেখে সংরক্ষণ করা উচিত হবে।” তিনি বলেন, “যখন একাধিক ব্যাঘাত ঘটে, তখন আমাদের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত এই ধরনের ঝুঁকির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। এর মানে হল আরও দৃঢ়, নির্ভরযোগ্য, অতিরিক্ত নিরাপত্তা-সহ এবং স্বল্প সরবরাহ শৃঙ্খলা তৈরি করা।”  প্রসঙ্গত, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা ভার্চুয়াল ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন মার্কিন শুল্ক এবং বাণিজ্য নীতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য। কারণ এগুলিই বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছে।জয়শঙ্কর বলেন, “গঠনমূলক ও সহযোগিতামূলক পন্থার মাধ্যমে বিশ্বকে একটি মজবুত বাণিজ্য ক্ষেত্রে উন্নীত করতে হবে। ব্যাঘাত সৃষ্টি করা এবং লেনদেন জটিল করা কোনও সাহায্য করবে না। বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়গুলিকে অ-বাণিজ্যিক বিষয়গুলির সঙ্গে যোগ করলেও সুবিধা হবে না।”

    ভারতের বক্তব্য

    জয়শঙ্কর ব্রিকসের সদস্য দেশগুলিকে নিজেদের বাণিজ্য নীতি পুনঃপর্যালোচনা করে সদস্য দেশগুলির মধ্যে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “ভারতের প্রসঙ্গে বলতে গেলে আমাদের সবচেয়ে বড় ঘাটতি রয়েছে কিছু ব্রিকস অংশীদারের সঙ্গে। আমরা দ্রুত সমাধানের জন্য চাপ দিচ্ছি। আমরা আশা করি, আজকের সভা থেকে এই উপলব্ধিটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হিসেবে সামনে আসবে।” ভারতের বিদেশমন্ত্রীর এই মন্তব্য (US Tariffs) ভারতের সঙ্গে চিনের বাড়তে থাকা বাণিজ্য ঘাটতির প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি (S Jaishankar) বলেন, “ভারত দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে এটি সংরক্ষণ ও বিকাশ করা উচিত। শুধু তাই নয়, আজকের বিশ্ব পরিস্থিতি প্রকৃত উদ্বেগের কারণ।” কোভিড অতিমারি, ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রবাহে অস্থিরতা এবং চরম জলবায়ু ঘটনা, এসবই গত কয়েক বছরে বিশ্বের প্রধান চ্যালেঞ্জের উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন জয়শঙ্কর। বলেন, “এই চ্যালেঞ্জগুলির মুখে বহুপাক্ষিক ব্যবস্থা বিশ্বকে ব্যর্থ করতে দেখা যাচ্ছে। এতগুলি গুরুতর সমস্যা অবহেলিত থেকে যাওয়ায় বিশ্বব্যবস্থার ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে।”

    চিন-ভারত কাছাকাছি

    এদিকে, বৈরিতা ভুলে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারতের আরও কাছাকাছি চলে এসেছে চিন। ভারতীয় পণ্যের ওপর আরোপিত উচ্চ মার্কিন শুল্কের তীব্র বিরোধিতা করেছে বেজিং। সোমবার চিনের রাষ্ট্রদূত শু ফেইহং বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসনের ভারতের ওপর আরোপিত ৫০ শতাংশ অন্যায় শুল্কের তীব্র বিরোধিতা করে চিন। তাই ভারত ও চিনের উচিত এই চ্যালেঞ্জ এক সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করা (US Tariffs)।” দুই পড়শি দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে চিনা রাষ্ট্রদূত বলেন, “ভারত ও চিন উভয়ই সন্ত্রাসবাদের শিকার। এই (S Jaishankar) চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বেজিং নয়াদিল্লি-সহ ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটির সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।” জাপানের বিরুদ্ধে চিনের বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার পর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করার জন্য শুল্ককে এক ধরনের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। দু’টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উদীয়মান অর্থনীতির দেশ ভারত ও চিনের এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় একে অন্যের সঙ্গে সহযোগিতা করা উচিত।”

    নীতি পরিবর্তন ভারতের

    ভারতীয় পণ্যের ওপর ট্রাম্প প্রশাসন উচ্চ শুল্কহার চড়ানোর পর নীতি পরিবর্তন করেছে ভারত। প্রতিবেশী দেশ চিনের সঙ্গে পুরানো তিক্ততা ভুলে এখন সম্পর্কের উন্নতি করতে উদ্যোগী হয়েছে নয়াদিল্লি। চিন অ্যাপ-সহ তার অনেক পণ্যের জন্য খোলা হচ্ছে ভারতের দুয়ার। এর পাশাপাশি রাশিয়া এবং অন্যান্য দেশের পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ওপরও দ্রুত কাজ করা হচ্ছে (US Tariffs)। এক কথায়, ভারতীয় পণ্যের ওপর চড়া মার্কিন শুল্কের কারণে যে ক্ষতি হচ্ছে, তা পূরণের জন্য এখন সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ করছে কেন্দ্রীয় সরকার (S Jaishankar)।

LinkedIn
Share