Tag: Draupadi Murmu

Draupadi Murmu

  • PM Modi Meets Indian Cricketers: প্রধানমন্ত্রীই অনুপ্রেরণা! জানালেন হরমনরা,ফিট ইন্ডিয়া মুভমেন্টে এগিয়ে আসার আহ্বান মোদির

    PM Modi Meets Indian Cricketers: প্রধানমন্ত্রীই অনুপ্রেরণা! জানালেন হরমনরা,ফিট ইন্ডিয়া মুভমেন্টে এগিয়ে আসার আহ্বান মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারীশক্তির দাপটে বিশ্বমঞ্চে গর্বিত হয়েছে ভারত। প্রথমবার মহিলাদের বিশ্বকাপ এসেছে দেশে। ইতিহাস গড়া হরমনপ্রীত কৌরের ব্রিগেডকে এবার সংবর্ধনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বললেন, ভারকীয় মহিলা ক্রিকেট দলের এই সাফল্য দেশের প্রতিটি মেয়েকে উজ্জবীতি করবে। নতুন প্রেরণা জোগাবে। ফিট ইন্ডিয়া মুভমেন্টে মেয়েদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী মোদি। বুধবার লোক কল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাসভবনে ভারতের মহিলা বিশ্বকাপ জয়ী দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের আপ্যায়ন করেন।

    স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়েন হরমনপ্রীত

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দলকে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানান। তিনি বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের লাগাতার তিনটি পরাজয় এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিংয়ের শিকার হওয়ার পরে টুর্নামেন্টে তাদের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের প্রশংসা করেন। উল্লেখ্য, ভারতীয় দল লিগ পর্যায়ে দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে অধিনায়ক হরমনপ্রীত জিজ্ঞেস করেন যে, তিনি কীভাবে সবসময় বর্তমানে থাকেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি জানান যে, এটি তাঁর জীবনের একটি অংশ হয়ে গিয়েছে, অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হারলিন দেওলের ক্যাচটির কথাও স্মরণ করেন, যা নিয়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎপর্বে স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়েন হরমনপ্রীত। তাঁর মনে পড়ে গিয়েছিল আট বছর আগের কথা। ২০১৭ সালে বিশ্বকাপের ফাইনালে মাত্র ৯ রানে হারের পরও তাঁরা প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তবে সেবার ট্রফি ছাড়াই। এবার যেন সব আক্ষেপ মেটালেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা।

    প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁদের অনুপ্রেরণা

    স্মৃতি মন্ধানা বলেন যে, প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁদের অনুপ্রাণিত করেছেন এবং তিনি সকলের জন্য অনুপ্রেরণা ছিলেন। তিনি জানান যে, কীভাবে আজ মেয়েরা প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর কারণে ভাল পারফর্ম করছে। দীপ্তি শর্মা বলেন যে, তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। দীপ্তি টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি হাসিমুখে দীপ্তির ইনস্টাগ্রামে লেখা ‘জয় শ্রী রাম’ এবং তাঁর হাতে থাকা ভগবান হনুমানের উল্কির কথাও উল্লেখ করেন। দীপ্তি বলেন, “ওই উল্কি ও বিশ্বাসই আমাকে শক্তি জোগায়।”

    ‘ফিট ইন্ডিয়া’ আন্দোলনের বার্তা

    গত বছর ভারতের পুরুষদের দল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তাঁদের পরনে ছিল ভারতের জার্সি। তবে হরমনপ্রীতেরা জার্সির বদলে ফরম্যাল পোশাকে গিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বেশ কিছু ক্ষণ ছিলেন হরমনপ্রীতেরা। মোদির হাতে বিশ্বকাপের ট্রফি তুলে দেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছবিও তোলেন। সকল ক্রিকেটারের সই করা একটি জার্সিও প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন হরমনপ্রীত। সেই জার্সির নম্বর ‘১’। তাতে লেখা রয়েছে ‘নমো’। সব শেষে প্রধানমন্ত্রী মোদি খেলোয়াড়দের ‘ফিট ইন্ডিয়া’ আন্দোলনের বার্তা দেশজুড়ে ছড়িয়ে দিতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “আজকের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্থূলতা বাড়ছে। তাই শরীরচর্চা ও সুস্থ থাকার বার্তা প্রতিটি স্কুলে, প্রতিটি মেয়ের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।”

  • ICC Women’s World Cup: ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটের উন্নতিতে সদা সক্রিয়, জানেন কে এই ব্যক্তি?

    ICC Women’s World Cup: ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটের উন্নতিতে সদা সক্রিয়, জানেন কে এই ব্যক্তি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় মেয়েদের ক্রিকেটে সাফল্য ছিল ‘প্রায়’-এর গল্প। ২০০৫ ও ২০১৭, দু’দুবার ফাইনালে পৌঁছেও শেষ মুহূর্তে হাতছাড়া হয়েছিল স্বপ্ন। কিন্তু হরমনপ্রীতদের হাতে যখন সেই বহু প্রতীক্ষিত কাপ উঠল, তখন যেন দেশের অর্ধেক জনসংখ্যার স্বপ্নও বাস্তব হয়ে গেল। ১৯৮৩ অনুপ্রাণিত করেছিল এক প্রজন্মকে বড় স্বপ্ন দেখতে। এদিন মেয়েরা সেই কাজটাই করল—দেশের হাজারো মেয়েকে দেখিয়ে দিল, তারাও একদিন ব্যাট হাতে বিশ্বজয় করতে পারে। নারী শক্তির এই জয়ে ভারতীয় ক্রিকেটে যার অবদান সবচেয়ে বেশি, তিনি হলেন জয় অমিতভাই শাহ।

    সমান ম্যাচ ফি দেওয়ার ঘোষণা

    রাজনৈতিক কারণে আপনি জয় শাহকে পছন্দ করতে পারেন বা অপছন্দ। কিন্তু বিগত কয়েক বছরে এই মানুষটা ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটের জন্য যা করেছেন, তা সাধারণ মানুষ হিসেবে আমরা ততটা না জানলেও বা বুঝলেও হরমনপ্রীত কৌররা জানেন। তাই সেই কৃতজ্ঞতা, সেই অ্যাডমিরেশন থেকেই বিশ্বকাপের মঞ্চে কাপ গ্রহণের আগে তাঁর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে গেলেন হরমনপ্রীত কৌর। ২০২২ সালে জয় শাহের নেতৃত্বে ভারত বিশ্বের প্রথম ক্রিকেট বোর্ড ছিলো, যারা পুরুষ ও মহিলা ক্রিকেটারদের সমান ম্যাচ ফি দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। যা ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটারদের মানসিকতাই বদলে দিয়েছিল।

    দরকার ছিল একটা বড় মঞ্চের সাফল্য

    এই বিজয় মানে আত্মবিশ্বাসের পুনর্জন্ম। এখন মেয়েদের ক্রিকেটে পরিকাঠামো, স্পনসরশিপ ও প্রশিক্ষণের সুযোগ আগের চেয়ে অনেক উন্নত। বোর্ডের বিনিয়োগও বেড়েছে। তবু দরকার ছিল একটা বড় মঞ্চের সাফল্য, যে সাফল্য দর্শক, মিডিয়া ও সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিই বদলে দিতে পারে। সেই ব্রেকথ্রু এল রবিবার। হরমনপ্রীতের হাতে সেই কাপ, যা মিতালি রাজ (Mithali Raj) বা ঝুলন গোস্বামীর (Jhulan Goswami) প্রজন্মের নাগালের বাইরে থেকে গিয়েছিল। তাঁদের পাতা পথেই দাঁড়িয়ে আজ ভারতীয় মেয়েরা দেখাল, কঠোর পরিশ্রম আর বিশ্বাস থাকলে অসম্ভব কিছুই নয়। আর সমতা কোনও দয়া নয়, সাফল্যের শর্ত।

    উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ চালু

    আইপিএল এর সাফল্যের ব্যাপারে ক্রিকেট ভক্তরা ওয়াকিবহাল। কিন্তু আইপিএলের ধাঁচে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ চালু করে মহিলা ক্রিকেটের উন্মাদনা দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে দেওয়ার সাহস দেখিয়েছেন জয় শাহ ২০২৩ সালে। প্লেয়ার ডেভেলপমেন্ট এর জন্য ডব্লু পি এলের অবদান এখন সর্বজনবিদিত। বিনামূল্যে টিকিট দিয়ে মহিলা ক্রিকেট দেখার জন্য সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করেছেন জয় শাহ-ই। দেশের ভেতরে মহিলা ক্রিকেটের জন্য প্রোপার ডোমেস্টিক প্ল্যাটফর্ম, ম্যাচের সংখ্যা বাড়ানো, উন্নত প্রযুক্তি ও ফ্যাসিলিটির ব্যবস্থা করা যে বৃথা যায়নি, তা বিশ্বকাপ জয়ের দ্বারা প্রমাণিত।

    মহিলা ক্রিকেটের উন্নতিতে সদর্থক পদক্ষেপ

    ২০২৫ সালের শুরু থেকেই ভারতীয় বোর্ড পুরুষ ও মহিলা দলের জন্য সমস্ত টুর্নামেন্টে প্রাইজ মানি সমান করেছে। আইসিসি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই মহিলা ক্রিকেটের উন্নতিতে সদর্থক পদক্ষেপ করেছেন। গত মাসে আইসিসি চেয়ারম্যান মহিলা ক্রিকেটের প্রাইজমানি ৩০০ শতাংশ বাড়িয়েছেন। ২.৮৮ মিলিয়ন ডলার থেকে তা বেড়ে ১৪ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এসব উদ্যোগে মহিলাদের ক্রিকেট অনেক দূর এগিয়েছে। একসময় যেখানে মহিলা খেলোয়াড়দের সাফল্য মানে ছিল “সব প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে জয়”, আজ তা হয়ে উঠেছে “ব্যবস্থার সহায়তায় জয়”। সমান পারিশ্রমিকের সিদ্ধান্ত কাগজে লেখা একটি নীতিমালা ছিল, আজ তা বাস্তবের উজ্জ্বল উদাহরণ।

  • ICC Women’s World Cup: হচ্ছে না বিজয় মিছিল! বুধেই বিশ্বজয়ীদের সঙ্গে চা-য়ে পে চর্চায় প্রধানমন্ত্রী মোদি

    ICC Women’s World Cup: হচ্ছে না বিজয় মিছিল! বুধেই বিশ্বজয়ীদের সঙ্গে চা-য়ে পে চর্চায় প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বজয়ী (ICC Women’s World Cup) ভারতীয় দলের সঙ্গে দেখা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দক্ষিণ আফিকাকে হারিয়ে বিশ্বজয়ের পর ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলকে (Indian Women Cricket Team) শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঐতিহাসিক জয় ভবিষ্যতের চ্যাম্পিয়নদের যে অনুপ্রেরণা জোগাবে, সে কথা লেখেন প্রধানমন্ত্রী। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, বুধবার ৫ নভেম্বর হরমনপ্রীতদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তিনি।

    দলকে অভিনন্দন

    বুধবার নয়াদিল্লিতে বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার সম্ভাবনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদির। সোমবার এক অনুষ্ঠানে আবারও ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের কথা তুলে ধরেন তিনি। তাঁর কথায়, “আমি প্রথমে ভারতের অসাধারণ জয়ের কথা বলব। এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত গোটা ভারত। এটা ভারতের প্রথম মহিলা বিশ্বকাপ জয়। ভারতীয় দলকে অভিনন্দন। তোমাদের জন্য গর্বিত।” দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্বজয়ের স্বাদ পেয়েছেন হরমনপ্রীতরা। ঐতিহাসিক এই সাফল্যে এখন সেলিব্রেশনের মুডে অসমুদ্রহিমাচল। গোটা দলের জন্য ৫১ কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে বিসিসিআই। তবে কোনও বিজয় প্যারেডের কথা জানানো হয়নি।

    প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত

    এর আগে ২০২৪ সালে টি-২০ বিশ্বকাপ (2024 ICC Men’s T20 World Cup) জয়ের পর ভারতের পুরুষ ক্রিকেট দলের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এবার তিনি মহিলা দলের সঙ্গে দেখা করছেন। ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল সিনিয়র পর্যায়ে প্রথমবার যে কোনও ফর্ম্যাটে বিশ্বকাপ জেতায় সারা দেশ উচ্ছ্বসিত। প্রধানমন্ত্রীও সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে পোস্টের মাধ্যমে ক্রিকেটারদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। এবার ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের অভিনন্দন জানাবেন প্রধানমন্ত্রী। বিসিসিআই (BCCI) কর্তারাও এই সাক্ষাতে থাকতে পারেন। বুধবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লিতে মহিলা দলের সদস্যদের সংবর্ধনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। অনুষ্ঠানটি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে অনুষ্ঠিত হবে।

    কেন নেই বিজয় শোভাযাত্রা

    দেশজুড়ে উচ্ছ্বাস থাকলেও, নিরাপত্তাজনিত কারণে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (BCCI) এবার কোনো বিজয় শোভাযাত্রা আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বোর্ড জানিয়েছে, লজিস্টিক ও নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জই এই সিদ্ধান্তের মূল কারণ। এ বছরের শুরুতে বেঙ্গালুরুর এম. চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর আইপিএল শিরোপা উদযাপনকালে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক পদদলনের ঘটনায় কয়েকজন প্রাণ হারান। সেই অভিজ্ঞতার পর বড় জনসমাবেশ এড়িয়ে সতর্ক পথে হাঁটছে বোর্ড। পুরো দেশ যেখানে এই ঐতিহাসিক জয়ে আনন্দে ভাসছে, সেখানে শোভাযাত্রা না হওয়ায় ভক্তদের মধ্যে খানিক হতাশা দেখা দিয়েছে।

    বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে ৫১ কোটি টাকার ঘোষণা

    বিসিসিআই সোমবার ঘোষণা করেছে, খেলোয়াড়, সাপোর্ট স্টাফ ও নির্বাচক কমিটির জন্য মোট ৫১ কোটি টাকার নগদ পুরস্কার দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC) থেকেও ভারতীয় দল পাবে ৪০ কোটি টাকার পুরস্কার — যা বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বাধিক এবং আগের ৫০ ওভারের আসরে অস্ট্রেলিয়া পাওয়া পুরস্কারের তুলনায় ২৯৭ শতাংশ বেশি। এছাড়াও সুরাটের শিল্পপতি ও রাজ্যসভা সাংসদ গোবিন্দ ঢোলাকিয়া (চেয়ারম্যান, শ্রী রামকৃষ্ণ এক্সপোর্টস প্রা. লি.) ঘোষণা করেছেন, তিনি প্রত্যেক খেলোয়াড়কে হাতে তৈরি হীরার গয়না উপহার দেবেন এবং তাঁদের বাড়িতে সৌরবিদ্যুৎ (solar panel) স্থাপন করবেন। ঢোলাকিয়া বিসিসিআই সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লাকে চিঠি লিখে এই ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

    বিভিন্ন রাজ্যএর তরফে নানা পুরস্কার

    রাজ্য ও সংস্থার তরফেও পুরস্কার। হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু শিমলার কন্যা ও পেসার রেনুকা ঠাকুরকে ১ কোটি টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছে। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব একই পরিমাণ অর্থ প্রদান করবেন খেলোয়াড় ক্রান্তি গৌদ-কে। পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (PCA) জানিয়েছে, অধিনায়ক হরমানপ্রীত কৌর ও অলরাউন্ডার অমনজোত কৌর-কে ১১ লক্ষ করে টাকা দেওয়া হবে, আর ফিল্ডিং কোচ মুনীশ বালিকে ৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। শীঘ্রই এই তিনজনকে সম্মান জানাতে একটি বিশেষ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানও আয়োজন করবে পিসিএ। বিভিন্ন ক্রিকেটারদের সঙ্গে কর্পোরেট সংস্থার চুক্তির পরিমাণও বেড়ে গিয়েছে। বিশ্বকাপ জেতার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হরমনপ্রীতের সঙ্গে চুক্তি করেছে একটি নির্মাণ সংস্থা। হরমনপ্রীতকে ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর’ করেছে তারা। স্মৃতি ইতিমধ্যেই অনেক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। বিজ্ঞাপনের জন্য প্রচুর সংস্থা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা শুরু করেছে

     

     

     

     

     

  • ICC Women’s World Cup: সমতাই সাফল্যের চাবিকাঠি! বিসিসিআই দেখাল সমান পারিশ্রমিক বদলে দিতে পারে মানসিকতা

    ICC Women’s World Cup: সমতাই সাফল্যের চাবিকাঠি! বিসিসিআই দেখাল সমান পারিশ্রমিক বদলে দিতে পারে মানসিকতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটা বিশ্বকাপ (ICC Women’s World Cup) অনেকের কষ্ট মুছে দেয়। ৬ বিশ্বকাপ খেলেও মিতালি রাজ পারেননি। ৫টা বিশ্বকাপ খেলে পারেননি ঝুলন গোস্বামী। সব আক্ষেপ এক রাতে মুছে দিলেন হরমনপ্রীত, স্মৃতি, দীপ্তি, শেফালিরা। ফারাক একটাই সমতা। নবি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামের উজ্জ্বল আলোয় ইতিহাস রচনা করলেন হারমনপ্রীত কৌর। শেষ বলে উড়ে আসা ক্যাচটি যখন তিনি মাথার উপরে তুলে ধরলেন, তখন তাঁর সতীর্থরা ছুটে এলেন মাঠে, চোখে জল, মুখে অবিশ্বাসের হাসি। প্রথমবার ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল জয় করল বিশ্বের সর্বোচ্চ মঞ্চ—ওয়ানডে বিশ্বকাপ। কিন্তু এই জয় শুধুই ক্রিকেটের নয়, এটি এক নীতির জয়—যার সূচনা হয়েছিল তিন বছর আগে বোর্ডরুমের এক নীরব বৈঠকে।

    “আবেগতাড়িত সিদ্ধান্ত”ই যুক্তিযুক্ত

    ২০২২ সালের অক্টোবরে, বিসিসিআই-এর (BCCI) ১৫তম অ্যাপেক্স কাউন্সিল বৈঠকে নেওয়া হয়েছিল এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত—পুরুষ ও মহিলা ক্রিকেটারদের মধ্যে সমান ম্যাচ ফি চালুর প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। রোহিত-বিরাটদের মতো পারিশ্রমিক বা ম্যাচ -ফি পেতে শুরু করেন হরমনপ্রীত, মান্ধানারা। সেই সিদ্ধান্ত তখন আলোড়ন তুলেছিল বিশ্ব ক্রীড়ামহলে। তখন বিসিসিআই সচিব পদে ছোট-খাটো চেহারার এক ব্যক্তি জয় অমিতভাই শাহ। যার রাজনৈতিক পরিচয়, প্রভাব নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু তিনি নীরবে কাজ করে গিয়েছেন। সমালোচকেরা প্রশ্ন তুলেছিলেন—মহিলা ক্রিকেট কি এখনও সেই অর্থনৈতিক উচ্চতায় পৌঁছেছে যেখানে সমান পারিশ্রমিক যুক্তিযুক্ত? কেউ কেউ বলেছিলেন এটি “আবেগতাড়িত সিদ্ধান্ত”, যুক্তির নয়।

    বিশ্বাসে অটল বিসিসিআই

    সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপের (ICC Women’s World Cup) লিগ পর্বে যখন ভারতের পারফরম্যান্স দুর্বল হচ্ছিল, তখন সেই সমালোচনা আরও জোরালো হয়। সামাজিক মাধ্যমে বাড়তে থাকে নারীবিদ্বেষী মন্তব্য। কিন্তু বিসিসিআই তাদের বিশ্বাসে অটল ছিল। বিশ্বকাপের ট্রফি হাতে নিয়ে হরমনপ্রীতরা প্রমাণ করলেন, সেই বিশ্বাস বৃথা যায়নি। বিশ্বকাপ জয়ের পর বিসিসিআই সচিব জয় শাহ এক টুইটে লেখেন, “ভারতের মেয়েদের প্রথম বিশ্বকাপ জয় ভারতের প্রতিটি নাগরিককে গর্বিত করেছে। দলের লড়াই, আত্মবিশ্বাস ও দক্ষতা যেমন অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে, তেমনি বিসিসিআই-এর নীতিগত সিদ্ধান্ত—সমান পারিশ্রমিক, বাড়তি বিনিয়োগ, উন্নত কোচিং কাঠামো ও উইমেনস প্রিমিয়ার লিগ-এর অভিজ্ঞতা—এই সাফল্যের ভিত গড়ে দিয়েছে।”

    এক সুপরিকল্পিত কাঠামোর ফল

    এই জয় আকস্মিক নয়, এটি এক সুপরিকল্পিত কাঠামোর ফল। সমান পারিশ্রমিকের সঙ্গে সঙ্গে মহিলা ক্রিকেটে এসেছে উন্নত পরিকাঠামো, দক্ষ কোচিং স্টাফ, এবং উইমেনস প্রিমিয়ার লিগ (WPL)-এর মতো প্রতিযোগিতা, যা মেয়েদের আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট খেলার সুযোগ দিয়েছে। সমান পারিশ্রমিক শুধু অর্থনৈতিক নয়, মানসিক বিপ্লবও ঘটিয়েছে। মহিলা ক্রিকেটাররা এখন সম্পূর্ণ স্বাবলম্বী। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা থেকে মুক্ত। সেই আত্মবিশ্বাসই আজ প্রতিটি রান, প্রতিটি উইকেটে প্রতিফলিত। সমান পারিশ্রমিক তাদের মনে করিয়ে দিয়েছে—সমতা কোনও দয়া নয়, এটি অগ্রগতির অপরিহার্য শর্ত।

    ৫১ কোটি টাকার পুরস্কার ঘোষণা

    বিশ্বকাপ (ICC Women’s World Cup) জয়ের পর ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলের জন্য ৫১ কোটি টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছে বিসিসিআই (BCCI)। সংস্থার সচিব দেবজিৎ শাইকিয়া জানান, এই পুরস্কার দলের সব সদস্য, কোচ এবং সাপোর্ট স্টাফদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, “জয় শাহ ২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত বিসিসিআই সচিব থাকাকালীন মেয়েদের ক্রিকেটে একাধিক বদল এনেছেন। পে প্যারিটি বা সমান বেতন কাঠামোর বিষয়টি তখনই কার্যকর হয়। গত মাসে আইসিসি চেয়ারম্যান মহিলা ক্রিকেটের প্রাইজমানি ৩০০ শতাংশ বাড়িয়েছেন। ২.৮৮ মিলিয়ন ডলার থেকে তা বেড়ে ১৪ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এসব উদ্যোগে মহিলাদের ক্রিকেট অনেক দূর এগিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বিসিসিআই ৫১ কোটি টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছে।”

    জয় শাহের নেতৃত্বে আইসিসি-তেও নয়া ধারা

    জয় শাহের নেতৃত্বে আইসিসি-র তরফেও প্রাইজমানির পরিমাণ এবার বেড়েছে। ভারত পেয়েছে ৪.৪৮ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ প্রায় ৪০ কোটি টাকা। আগের আসরে যেখানে অস্ট্রেলিয়া পেয়েছিল মাত্র ১.৩২ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ প্রায় ১২ কোটি। রানার্স-আপ দক্ষিণ আফ্রিকা পেয়েছে ২.২৪ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২০ কোটি টাকা), আর সেমিফাইনালে হেরে যাওয়া দুই দল প্রত্যেকে পেয়েছে ১.১২ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১০ কোটি টাকা)। পুরো টুর্নামেন্টের মোট প্রাইজমানি ছিল ১৩.৮৮ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ১২৩ কোটি টাকা), যা আগের বিশ্বকাপের ৩.৫ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় প্রায় চারগুণ বেশি। এমনকি এই পরিমাণ পুরস্কার ২০২৩ সালের পুরুষদের বিশ্বকাপের ১০ মিলিয়ন ডলারের পুরস্কার অর্থকেও ছাপিয়ে গিয়েছে।

    সমতা আগে এলে সাফল্য আসবেই

    ভারতের এই সাফল্য বিশ্ব ক্রীড়াজগতে এক নতুন বার্তা দিচ্ছে। এতদিন মহিলা ক্রিকেটারদের বলা হত, “প্রথমে তোমাদের খেলা বাণিজ্যিকভাবে সফল হোক, তারপর আসবে সমান অধিকার।” ভারত দেখিয়ে দিল—সমতা আগে এলে সাফল্য আসবেই। বিসিসিআইয়ের (BCCI) মতো একটি বাণিজ্যিকভাবে প্রভাবশালী বোর্ড যখন সমতাকে কৌশল হিসেবে গ্রহণ করে, তখন সেটি বিশ্ব ক্রীড়ার মানদণ্ড বদলে দেয়। এই জয় শুধু ট্রফি নয়—এটি এক নতুন ভারতীয় বাস্তবতার প্রতীক। ডিওয়াই পাতিলের আকাশে যখন তেরঙা উড়ছিল, ট্রফি হাতে দাঁড়িয়ে ভারতীয় দল নতুন ভবিষ্যতের ছবি আঁকছিল। এটি শুধু ভারতের মেয়েদের জয় নয়—এটি সারা বিশ্বের কাছে এক বার্তা: সমান সুযোগ দিলে, মেয়েরা ইতিহাস লেখে।

  • ICC Women World Cup 2025: “দিন-রাত খেটেছি, একটা দল হয়ে খেলেছি”, বিশ্বকাপটা জিততেই হতো! আর কী বললেন হরমনপ্রীত

    ICC Women World Cup 2025: “দিন-রাত খেটেছি, একটা দল হয়ে খেলেছি”, বিশ্বকাপটা জিততেই হতো! আর কী বললেন হরমনপ্রীত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে শাপমুক্তি! আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারের সায়াহ্নে এসে তাঁর হাতে উঠল বিশ্বকাপ ট্রফি (ICC Women World Cup 2025)। কপিল দেব, মহেন্দ্র সিং ধোনি, রোহিত শর্মার পর চতুর্থ ভারতীয় ও প্রথম মহিলা ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন হিসেবে বিশ্বখেতাব জয়ের নজির গড়লেন হরমনপ্রীত কৌর। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে উচ্ছ্বাসে ভাসলেন শেফালি বর্মা, দীপ্তি শর্মা, রিচা, স্মৃতি, জেমাইমারা। মাঠেই শুরু হয়ে গেল উৎসব। চোখের জল যেন বাঁধ মানছিল না কারও। এ তো শেষ নয়, এ সবে শুরু। এবার এটা অভ্যেসে পরিণত হবে। বললেন বিশ্বজয়ী হরমনপ্রীত।

    বেড়াটা ভাঙতেই হত

    ভারতের প্রথম অধিনায়ক হিসেবে মহিলাদের বিশ্বকাপ জিতেছেন হরমনপ্রীত কৌর। এর আগে দু’বার ফাইনালে গিয়ে হারতে হয়েছিল। এ বার সেই বেড়া ভেঙেছেন হরমনপ্রীতেরা। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে “বেড়াটা ভাঙতে চেয়েছিলাম। এই জয় দরকার ছিল। সবে শুরু। এ বার জেতা অভ্যাসে পরিণত করতে চাই। এই মুহূর্তের অপেক্ষা করছিলাম। আমরা আরও উন্নতি করতে চাই। এটাই শেষ নয়। এ তো সবে শুরু।” ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করতে পারেননি হরমনপ্রীত। প্রতিযোগিতার মাঝে পর পর তিনটি ম্যাচ হেরেছিল ভারত। তার পরেও নিজেদের উপর বিশ্বাস ছিল তাঁদের। হরমনপ্রীত বলেন, “আমরা পর পর তিনটে ম্যাচে হেরেছিলাম। কিন্তু তার পরেও নিজেদের উপর বিশ্বাস ছিল। জানতাম, ঠিক কিছু একটা ভাল হবে। দলের সকলে আত্মবিশ্বাসী ছিল। দিন-রাত খেটেছি। একটা দল হয়ে খেলেছি।”

    শেফালিই এদিন সেরার সেরা

    দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস চলাকালীন ফাটকা খেলেন হরমনপ্রীত। শেফালি বর্মার হাতে বল তুলে দেন তিনি। সেই ফাটকা কাজে লাগে। শেফালি জোড়া উইকেট তুলে দলকে খেলায় ফেরান। অধিনায়ক বলেন, “লরা ও সুনে ভাল খেলছিল। হঠাৎ শেফালির দিকে আমার নজর গেল। দেখলাম, ও দাঁড়িয়ে আছে। মনে হল, একটা ফাটকা খেলি। ওকে খালি একটা ওভার দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ভাবিনি ও খেলাটাই বদলে দেবে। এত ভাল বল করছিল যে ওকে আরও কয়েকটা ওভার দিই। যে ভাবে ও বল করেছে, তার পুরো কৃতিত্ব শেফালির।” বিশ্বকাপের চৌহদ্দির ১০০ কিলোমিটারের মধ্যেও ছিলেন না শেফালি বর্মা। ভারতের বিশ্বকাপের দলে জায়গা না পেয়ে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা খেলছিলেন। ফর্মে থাকা প্রতিকা রাওয়াল চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ায় বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের আগে দলে সুযোগ পেয়েছিলেন শেফালি। ফাইনালে সেই শেফালিই ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করলেন। ব্যাটে-বলে দাপট দেখালেন তিনি। প্রত্যাবর্তনের কাহিনি লিখলেন ভারতের এই ক্রিকেটার।

    শচিন স্যারকে দেখে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়

    শেফালি বললেন, “এই ম্যাচে আমার একটাই লক্ষ্য ছিল। রান করতে হবে। দলের সকলে আমাকে বলেছিল, স্বাভাবিক খেলা থেকে না বেরাতে। আমি নিজের স্বাভাবিক খেলাই খেলেছি। বড় শট মেরেছি। শতরান করতে পারতাম। কিন্তু আমার কাছে দলের রান বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। দলের জয়ে আমার যোগদান রয়েছে। এর থেকে ভাল কিছু হতে পারে না।” শেফালি ভক্ত শচিন তেন্ডুলকরের। এই ম্যাচ শচিন গ্যালারিতে বসে তাঁর ব্যাটিং দেখেছেন। এর থেকে অনুপ্রেরণার আর কিছু হতে পারে না শেফালির কাছে। তিনি বললেন, “শচিন স্যারকে দেখে আমার আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে গিয়েছিল। ওঁর সঙ্গে আমার কথা হয়। উনি সবসময় আমাকে আত্মবিশ্বাস জোগান। উনি কিংবদন্তি। ওঁর কাছে শেখার অনেক কিছু রয়েছে। চেষ্টা করি শেখার। খুব ভাল লাগছে যে উনি আমার খেলা দেখলেন।”

    নজির গড়লেন হরমনপ্রীত

    ফাইনাল জেতার জন্য গোটা দলের প্রশংসা শোনা গিয়েছে হরমনপ্রীতের গলায়। পাশাপাশি কোচের দায়িত্ব পাওয়ার পর গত দু’বছরে অমল মুজুমদার যে পরিশ্রম করেছেন তারও প্রশংসা শোনা গিয়েছেন অধিনায়কের গলায়। তাঁদের সব রকমের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকেও ধন্যবাদ দিয়েছেন হরমনপ্রীত। পরিসংখ্যান বলছে, মহিলাদের ক্রিকেট সবচেয়ে বয়স্ক ক্যাপ্টেন হিসেবে বিশ্বকাপ জেতার নজির গড়লেন হরমনপ্রীত। এছাড়াও আইসিসি টুর্নামেন্টের নক আউট পর্বে সর্বাধিক রান করা ক্রিকেটার হিসেবে টেক্কা দিলেন অস্ট্রেলিয়ার বেলিন্ডা ক্লার্ককে। তিনিই এতদিন শীর্ষে ছিলেন। আইসিসি নকআউট ম্যাচে হরমনপ্রীতের মোট রান এখন ৩৩১, গড় ১১০.৩৩। রয়েছে একটি সেঞ্চুরি ও দু’টি হাফ-সেঞ্চুরি। এই তালিকায় এতদিন শীর্ষে ছিলেন বেলিন্ডা ক্লার্ক, যাঁর রান ছিল ৩৩০। চারটি হাফ-সেঞ্চুরি ছিল তাঁর ঝুলিতে, সর্বোচ্চ স্কোর ৯১।

    ৪৫ দিন ঘুমোইনি বিশ্বকাপের জন্য

    তৃতীয় বারের চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত বিশ্ব জয়ের স্বাদ পেয়েছেন ভারতের মেয়েরা। ঘরের মাঠে লিখে ফেলেছেন ইতিহাস। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে আবেগ প্রবণ স্মৃতি মান্ধানা বললেন, ‘এটা আমার জন্য আবেগপ্রবণ এক স্মৃতি। আমি জানি না, কী করতে হবে। এখনও ঘোরের মধ্যে আছি। আমি মাঠে আবেগপ্রবণ হই না। কিন্তু দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ, ভাবতে পারছি না। আমাদের ঘাড়ে অনেক বড় দায়িত্ব ছিল বিশ্বকাপ জেতার। আমি জানি না শেষ ৪০ দিন কী ভাবে কাটিয়েছি। ৪৫ দিন ঘুমোইনি বিশ্বকাপের জন্য। শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দল কোয়ালিফাই করতে পারেনি নকআউটে। গ্রুপ পর্বেই ছিটকে গিয়েছিলাম। আমাদের সবার কাছে কঠিন লড়াই ছিল। আমাদের ফোকাস ছিল ফিটনেস নিয়ে কাজ করা। আমাদের শক্তি হচ্ছে কেউ ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলে না। সবাই এগিয়ে যেতে চায়। আমরা সবাই একে অন্যের সাফল্য উপভোগ করি।’ কোচ অমোল মজ়ুমদারও আনন্দে আত্মহারা। কোচ হিসেবে তাঁর লড়াইও এ দিন স্বার্থক হলো। আবেগে ভাসলেন কোচ অমল মজুমদার বলেন, ‘কোনও সন্দেহ নেই, দারুণ জয়। এই জয় দলের মেয়েদের প্রাপ্য ছিল। ওদের পরিশ্রম সামনে থেকে দেখেছি। আমি হারকে হার হিসেবে দেখিনি। দেখেছি কোথায় খামতি ছিল। যেই ম্যাচে দাপট দেখিয়েছি সেগুলিকে কাজে লাগিয়েছি। আমরা কিছু ভুল করলে, তার থেকে শিক্ষা নিয়েছি। যার ফল এই বিশ্বকাপ জয়। শেফালি বর্মা, ম্যাজিকাল। সেমি ফাইনালে এসে কোনও চাপ ছাড়া খেলেছে। বল হাতে উইকেট তুলল। শেষ দুই বছরে আমরা ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছি। আমি এর থেকে বেশি কিছু চাইতে পারি না।’

  • ICC Women World Cup 2025: ঐতিহাসিক বিশ্বজয়, এক নতুন ভোর! ভবিষ্যতের অনুপ্রেরণা হরমনপ্রীতরা, অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রী মোদির

    ICC Women World Cup 2025: ঐতিহাসিক বিশ্বজয়, এক নতুন ভোর! ভবিষ্যতের অনুপ্রেরণা হরমনপ্রীতরা, অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রী মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারীশক্তির জয়। আবার ভারতে এল বিশ্বকাপ। বিশ্ব জয় করল ভারতের মেয়েরা। আইসিসি ওমেন্স ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ (ICC Women Cricket World Cup) জিতল হরমনপ্রীত-শেফালি-দীপ্তিরা। এই প্রথম মহিলা বিশ্বকাপ জিতল ভারত। মেয়েদের এই সাফল্যে অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi), রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু থেকে শুরু করে ক্রীড়া, বিনোদন, রাজনৈতিক জগতের তাবড় ব্যাক্তিত্বরা। রাত ১২টার পর মেয়েরা যখন হাতে বিশ্বকাপ তুলল, প্রধানমন্ত্রী লিখলেন, “ঐতিহাসিক এই জয় ভবিষ্যতের চ্যাম্পিয়নদের খেলতে অনুপ্রাণিত করবে”।

    ঐতিহাসিক জয়, অনুপ্রেরণা

    ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপ জয় করল ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট টিম। তাঁদের এই সাফল্যে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন, “আইসিসি মহিলা বিশ্বকাপের ফাইনালে অসাধারণ জয় ভারতীয় টিমের। ফাইনালে তাদের পারফরম্যান্স অসাধারণ দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাসকেই ফুটিয়ে তুলেছে। টুর্নামেন্ট জুড়ে টিম অতুলনীয় টিমওয়ার্ক ও লড়াকু মনোভাব দেখিয়েছে। আমাদের খেলোয়াড়দের অভিনন্দন। এই ঐতিহাসিক জয় ভবিষ্যতের চ্যাম্পিয়নদের খেলা বেছে নিতে অনুপ্রাণিত করবে।”

    প্রতিজ্ঞা করেই নেমেছিলেন ভারতের মেয়েরা

    অস্ট্রেলিয়াকে সেমিফাইনালে হারিয়ে ফাইনালে ওঠা ভারতই ফেভারিট ছিল। কিন্তু লরা উলভার্টের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকাকে কঠিনতম প্রতিপক্ষই ধরা হচ্ছিল। টসে জিতে ভারতকে ব্যাটিং করতে পাঠিয়ে প্রোটিয়া ক্যাপ্টেন চেয়েছিলেন শিশির কাজে লাগাবেন। ভারতীয় বোলারদের মুশকিলে ফেলবেন। দুটোর কোনওটাই হল না। শেফালি আর স্মৃতি মান্ধানা মিলে ভারতকে ওপেনিং জুটিতে ১০০র বেশি রান দিয়েছিলেন। স্মৃতি সেমিতে রান পাননি। ফাইনালে বড় রানের হাতছানি ছিল। কিন্তু ৪৫ করে ফেরেন। শেফালি ৭৮ বলে ৮৭ করেন। ৭টা চার ও ২টো বিশাল ছয় দিয়ে সাজিয়েছেন ইনিংস। জেমাইমা রড্রিগস সেমিফাইনালে সেঞ্চুরি করে হারিয়েছিলেন অজিদের। কিন্তু ফাইনালে ২৪ করেন। হরমনপ্রীত কৌরও ২০তে থামেন। এখান থেকেই আবার খেলা ধরেন দীপ্তি শর্মা। সিনিয়র, নির্ভরশীল, অলরাউন্ডার, ঠান্ডা মাথার— চার স্কিলেই হাফসেঞ্চুরি করে গেলেন দীপ্তি। শেষ দিকে ভারতকে দ্রুত ২৯৮এ নিয়ে গেলেন বাংলার রিচা ঘোষ। মুম্বইয়ে হ্যারি, স্মৃতি, শেফালিদের সামনে ছিলেন লরা উলভার্ট। একদিকে ভাঙন, অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্যাপ্টেন। আসা-যাওয়ার মাঝে যেন একার মুঠোয় স্বপ্ন বহন করলেন লরা। সেমিফাইনালে করেছিলেন ১৬৯। ফাইনালেও তাঁর ব্যাটে দুরন্ত সেঞ্চুরি। কিন্তু ১০১ করে ফিরলেন উলভার্ট। যখন বল গ্রিপ করতে সমস্যা হচ্ছে শিশিরের জন্য, তখনই ভারতকে দীপ্তি দিলেন অফস্পিনার। তাঁর নবম ওভারটা ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। পর পর উলভার্ট সহ নিলেন আরও একটা উইকেট। চাপের ম্যাচে প্রোটিয়ারা বরাবরই হাল ছেড়ে দেন। ১১ ভারতীয় কন্যা যে প্রতিপক্ষকে মাথা তুলতে দেবেন না, প্রতিজ্ঞা করেই নেমেছিলেন। ঠিক করে নিয়েছিলেন, যাই হোক না কেন ইতিহাসের দরজা খুলবেনই! দীপ্তি নিলেন ৫ উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ ২৪৬ রানে। ৫২ রানে জয় ভারতের।

    দেশের গর্ব আকাশ ছুঁল

    শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও জয়ের পরই শুভেচ্ছা জানান। ভারতীয় মহিলা টিমের এই জয় দেশের মাথায় মুকুট ওঠার মুহূর্ত বলেই বর্ণনা করেন তিনি। এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “হ্যাটস অফ বিশ্বজয়ী টিম ইন্ডিয়া। এটা দেশের জন্য গর্বের মুহূর্ত, আমাদের টিম আইসিসি ওমেন্স ওয়ার্ল্ড কাপ তুলল, দেশের গর্বকে আকাশ ছুঁল। তোমাদের অসাধারণ দক্ষতা লক্ষ লক্ষ মেয়েদের কাছে অনুপ্রেরণার পথ তৈরি করে দিল। গোটা টিমকে শুভেচ্ছা।” লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাও টিম ইন্ডিয়াকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “আইসিসি মহিলা বিশ্বকাপ ২০২৫ জয়ের জন্য টিম ইন্ডিয়াকে অভিনন্দন। তোমরা শুধু ট্রফি জিতে আসো না, সমগ্র জাতির হৃদয় জয় করেছো। সাহস, দক্ষতা ও বিশ্বাসের এক দুর্দান্ত প্রদর্শনী দেখিয়েছো। প্রত্যেক ভারতীয় তোমাদের নিয়ে গর্বিত।”

    মহিলা ক্রিকেটকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাবে

    রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল এক্সে ভারতীয় মহিলা দলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখেন, “ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের প্রতিটি সদস্যকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাই ২০২৫ সালের আইসিসি মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ের জন্য! ইতিহাস সৃষ্টি করেছে তারা—এই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জয় করল ভারতীয় মহিলা দল। তারা দীর্ঘদিন ধরেই দুর্দান্ত খেলছে, আর আজ তাদের প্রতিভা ও পারফরম্যান্সের উপযুক্ত ফল তারা পেয়েছে। এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত মহিলা ক্রিকেটকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাবে। আমি গভীরভাবে শুভেচ্ছা জানাই ভারতকে গর্বিত করার জন্য।” বাস্তবিকই, তিরাশিতে কপিল’স ডেভিলস বিশ্বজয়ী হওয়ার পর যেমন দেশের পুরুষ ক্রিকেটের ‘বিশ্বায়ন’ হয়েছিল। হরমনদের এই জয়, ভারতের মহিলা ক্রিকেটের অবিকল বদল ঘটাবে। ২০১৭-সালে বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠে, ঝুলনরা বুঝিয়েছিলেন ভারতের মেয়েরা ক্রিকেট খেলতে পারে। বদল এসেছিল সমর্থকদের মনেও। এবার চ্যাম্পিয়ন। এই জয় শুধু ট্রফি নয়, এ এক যুগবদলের সূচনা। যেমন ২৫ জুন, ১৯৮৩ সালে (Kapil Dev) কপিলের দল লর্ডসে (Lord’s) ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ভারতীয় পুরুষ ক্রিকেটের চেহারা পাল্টে দিয়েছিল, তেমনই ২০২৫ সালের এই নভেম্বরের রবিবার মহিলাদের ক্রিকেটের নতুন ভোর।

  • Draupadi Murmu on Rafale: সিঁদুর যোদ্ধা পাইলট শিবাঙ্গীর সঙ্গে ছবি, দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে রাফালে সওয়ারি দ্রৌপদী মুর্মুর

    Draupadi Murmu on Rafale: সিঁদুর যোদ্ধা পাইলট শিবাঙ্গীর সঙ্গে ছবি, দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে রাফালে সওয়ারি দ্রৌপদী মুর্মুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে রাফাল যুদ্ধবিমানে সওয়ার হলেন দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu on Rafale)। বুধবার হরিয়ানার অম্বালা বিমানঘাঁটি পরিদর্শন করেন রাষ্ট্রপতি। সেখানে তাঁকে ‘গার্ড অফ অনার’ দেওয়া হয়। এরপরেই তিনি ভারতীয় বিমান বাহিনীর রাফাল যুদ্ধবিমানে একটি সর্টি উড়ানে অংশ নেন। সামরিক পোশাক পরেই রাফাল যুদ্ধবিমানে উঠতে দেখা যায় তাঁকে। রাফাল যুদ্ধবিমানের পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার শিবাঙ্গী সিং-এর সঙ্গে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন রাষ্ট্রপতি। গত মে মাসে অপারেশন সিঁদুরের সময় সমাজমাধ্যমে একটি খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। যেখানে দাবি করা হয়েছিল, পাকিস্তান এই পাইলট শিবঙ্গী সিংকে বন্দি করেছে। হাস্যকর সেই দাবি উড়িয়ে বুধবার সিঁদুর যোদ্ধা শিবঙ্গীর সঙ্গে ছবি তুললেন মুর্মু।

    রাষ্ট্রপতির ঐতিহাসিক উড়ান

    এর আগে ২০২৩ সালে ‘সুখোই ৩০ এমকেআই’ যুদ্ধবিমানে সওয়ার হয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি (Draupadi Murmu on Rafale)। হরিয়ানার অম্বালার বায়ু সেনাঘাঁটি থেকেই ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু হয়েছিল। বুধবার সেই বিমানঘাঁটিই পরিদর্শন করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সেখান থেকে রাফাল যুদ্ধবিমান উড়িয়ে ইতিহাস তৈরি করলেন। এই বিশেষ অভিযানে বিমানঘাঁটিতে উপস্থিত ছিলেন বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং এবং অন্যান্য আধিকারিকরা। রাষ্ট্রপতির এই ঐতিহাসিক উড়ানকে ভারতীয় বিমানবাহিনীর জন্য গর্ব এবং দেশের মহিলাদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখা হচ্ছে। সামরিক পোশাক এবং চোখে সানগ্লাস পরে রাফালের পাইলটের সঙ্গে ছবি তোলেন মুর্মু। তাঁর হাতে ধরা ছিল হেলমেট। এদিন, বেলা ১১টা ২৭ মিনিটে তাঁকে নিয়ে উড়ে যায় একটি রাফাল। বিমানের ভিতরে বসে হাত নেড়ে অভিবাদন জানাতে দেখা যায় রাষ্ট্রপতিকে।

    রাফাল ভারতের সামরিক সাফল্যের প্রতীক

    প্রসঙ্গত, পদাধিকারবলে রাষ্ট্রপতি ভারতের সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক। এর আগে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে অসমের তেজপুরের বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে সুখোই-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমানে সওয়ার হয়েছিলেন মুর্মু। তার আগেই অবশ্য মুর্মুর দুই পূর্বসূরি এপিজে আবদুল কালাম এবং প্রতিভা পাটিল ওই যুদ্ধবিমানে সওয়ার হয়েছিলেন। ২০০৬ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি কালাম এবং ২০০৯ সালে প্রতিভা পাটিল যথাক্রমে পুণের লোহেগাঁও বিমানঘাঁটি থেকে সুখোই-৩০ এমকেআই বিমানে উড়েছিলেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সেই ঐতিহ্যের আধুনিক অধ্যায় খুলে দিলেন রাফাল যুগে। রাফাল যুদ্ধবিমান ভারতের সাম্প্রতিক সামরিক সাফল্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে। এপ্রিলের পহেলগাঁও-এ জঙ্গি হামলার পর চালানো ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ এই যুদ্ধবিমানের সক্রিয় ভূমিকা ছিল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন অভিযানে ভারতীয় সেনার দাপুটে ‘অপারেশন সিঁদুর’র পর থেকেই শিরোনামে উঠে এসেছে রাফাল। যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ধুলিসাৎ হয়ে যায় জঙ্গিদের ঘাঁটি। পাকিস্তান এবং পাকঅধিকৃত কাশ্মীরে মোট নয় জায়গায় হামলা চালায় ভারত। মাত্র ২৫ মিনিটের হামলায় ভারত মূলত রাফাল যুদ্ধবিমানই ব্যবহার করেছে।

    প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে রাফালে

    উল্লেখ্য, প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে রাফালের যাত্রী হলেন মুর্মু (Draupadi Murmu on Rafale)। বিশ্বের প্রথম সারির অতি উন্নত যুদ্ধবিমান হিসাবে খ্যাতি রয়েছে রাফালের। এটির প্রস্তুতকারক সংস্থা ফ্রান্সের দাসো অ্যাভিয়েশন। ফ্রান্সের কাছ থেকে এর আগে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কিনেছিল ভারত। ২০১৬ সালের চুক্তিতে ভারতে আসা সেই যুদ্ধবিমানগুলি ব্যবহার করছে বায়ুসেনা। ২০২০ সালে রাফাল যুদ্ধবিমান ভারতীয় বিমানবাহিনীতে অন্তর্ভুক্তির পর অপারেশন সিঁদুর ছিল প্রথম বড় রাফাল-নেতৃত্বাধীন অভিযান। সম্প্রতি ৬৩ হাজার কোটি টাকা দিয়ে ফ্রান্সের কাছ থেকে আরও ২৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কিনতে চলেছে ভারত।

  • CP Radhakrishnan: দেশের ১৫তম উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন সিপি রাধাকৃষ্ণন

    CP Radhakrishnan: দেশের ১৫তম উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন সিপি রাধাকৃষ্ণন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ১৫তম উপরাষ্ট্রপতি (Vice President) হিসেবে শপথ নিলেন চন্দ্রপুরম পন্নুস্বামী রাধাকৃষ্ণন (CP Radhakrishnan)। শুক্রবার তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-সহ সরকারের শীর্ষ স্তরের নেতামন্ত্রীরা। উপস্থিত ছিলেন এনডিএর জোটসঙ্গী বিভিন্ন দলের নেতারাও। উপরাষ্ট্রপতি পদে রাধাকৃষ্ণনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদ্য প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ও। ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং আরও এক প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডুও। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে এবং তৃণমূল নেতা ডেরেক ও’ ব্রায়েনও উপস্থিত ছিলেন এদিনের অনুষ্ঠানে।

    রাধাকৃষ্ণনের জয় (CP Radhakrishnan)

    প্রসঙ্গত, গত ২১ জুলাই রাতে আচমকাই উপরাষ্ট্রপতি পদে ইস্তফা দেন ধনখড়। তার পরেই শুরু হয় উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের প্রক্রিয়া। নির্বাচন হয় মঙ্গলবার। রাধাকৃষ্ণনের বিরুদ্ধে ইন্ডি জোটের প্রার্থী ছিলেন সুদর্শন রেড্ডি। এই নির্বাচনে রেড্ডিকে পরাস্ত করেন রাধাকৃষ্ণন। তাঁর জয় নিয়ে অবশ্য প্রথম থেকেই কোনও সংশয় ছিল না। খাতায়-কলমে এনডিএর পক্ষে ছিল ৪২৭টি ভোট। ওয়াইএসআর কংগ্রেসের ১১টি ভোটও পেয়েছেন এনডিএ প্রার্থী রাধাকৃষ্ণন (CP Radhakrishnan)। সব মিলিয়ে তাঁর পাওয়ার কথা ছিল ৪৩৮টি ভোট। যদিও ফলপ্রকাশের পর দেখা যায় তিনি পেয়েছেন ৪৫২টি ভোট। আর তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী রেড্ডি পেয়েছেন ৩০০টি ভোট। অথচ তাঁর পাওয়ার কথা ছিল ৩২১টি ভোট। প্রত্যাশিতভাবেই এসেছে ক্রস ভোটিংয়ের অনুষঙ্গ।

    রাধাকৃষ্ণনের রাজনৈতিক যাত্রা

    রাধাকৃষ্ণন তামিলনাড়ুর নেতা। তামিলনাড়ু থেকে এর আগে দুজন উপরাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। দেশের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ এবং আর বেঙ্কটরামন। সিপি রাধাকৃষ্ণন হলেন তামিলনাড়ু থেকে তৃতীয় উপরাষ্ট্রপতি। রাধাকৃষ্ণন ছিলেন আরএসএসের স্বয়ংসেবক। ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। ১৯৯৮ সালে তিনি প্রথমবার জয়ী হন কোয়েম্বাটোর লোকসভা কেন্দ্র থেকে। পরের বছরই আবারও ওই কেন্দ্র থেকেই জয়ী হয়ে লোকসভায় পা রাখেন দ্বিতীয়বারের জন্য। ২০২৩ সালে তিনি ছিলেন ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল। পরের বছরই তাঁকে (Vice President) পাঠানো হয় মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল করে। এবার তিনিই হলেন দেশের ১৫তম উপরাষ্ট্রপতি (CP Radhakrishnan)।

  • RG Kar Victim: নবান্ন অভিযানে পুলিশের মার! অভয়ার বাবার ইমেইল পেয়েই পদক্ষেপ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর

    RG Kar Victim: নবান্ন অভিযানে পুলিশের মার! অভয়ার বাবার ইমেইল পেয়েই পদক্ষেপ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভয়ার বাবা-মায়ের আর্জির প্রেক্ষিতে সাড়া দিল রাইসিনা হিলস (RG Kar Victim)। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu) রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছেন। জানা গিয়েছে, গত ৯ অগাস্ট ‘নবান্ন অভিযান’-এর সময় অভয়ার মাকে আক্রমণের অভিযোগ তুলে রাষ্ট্রপতির দফতরে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তাঁর বাবা-মা। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে একটি চিঠি, যেখানে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করা হয়েছে—কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা জানাতেও বলা হয়েছে।

    রাষ্ট্রপতিকে মেইল করেন অভয়ার বাবা (RG Kar Victim)

    গত ১৩ অগাস্ট, রাষ্ট্রপতিকে (Draupadi Murmu) মেইল করেন অভয়ার বাবা। তিনি লেখেন, “আমাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমাদের বাঁচান (RG Kar Victim)। আমরা সব হারিয়েছি। আমার মেয়েকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। আমার মেয়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে স্ত্রীকে আক্রমণ করা হয়েছে। এই নিয়ে তিনবার আমরা মেইল করলাম। আমাদের অনুরোধ এবার উত্তর দিন।” ১৪ অগাস্ট রাষ্ট্রপতির দফতর থেকে অভয়ার বাবার কাছে একটি ইমেইল পৌঁছায়, যেখানে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতি নিজে জানান, তাঁর আপ্তসহায়ক পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন এবং যেসব সমস্যার মুখোমুখি তাঁরা হচ্ছেন, সেগুলির সমাধানে সর্বতোভাবে চেষ্টা চালানো হবে।

    চিঠিতে কী জানানো হল?

    চিঠিতে জানানো হয়েছে (RG Kar Victim), রাষ্ট্রপতির আপ্তসহায়ক শিগগিরই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। পরিবারকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, তাঁদের সমস্যাগুলির সমাধানে যথাযথ প্রচেষ্টা নেওয়া হবে। এই ইমেল পেয়ে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন নির্যাতিতা চিকিৎসক অভয়ার বাবা-মা। অন্ধকারে আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন তাঁরা। রাষ্ট্রপতির এই সহযোগিতায় তাঁরা নতুন করে ন্যায়বিচারের আশা করছেন।

    ৯ অগাস্ট নবান্ন অভিযান

    উল্লেখযোগ্যভাবে, ৯ অগাস্ট ছিল আরজি কর কাণ্ডের একবছর। সেই উপলক্ষে আয়োজিত নবান্ন অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন অভয়ার বাবা-মা (RG Kar Victim)। অভিযানের মাঝপথেই অভয়ার মাকে আক্রান্ত হতে হয় বলে অভিযোগ। ক্যামেরায় দেখা যায়, মারের চোটে তাঁর কপাল ফুলে গিয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে ওই হামলার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনা উল্লেখ করে একটি ইমেইল পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতির কাছে। তার পরেই এল রাষ্ট্রপতি ভবনের নির্দেশ।

  • JK Statehood Bill: মঙ্গলেই রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাচ্ছে জম্মু-কাশ্মীর?

    JK Statehood Bill: মঙ্গলেই রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাচ্ছে জম্মু-কাশ্মীর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাচ্ছে জম্মু-কাশ্মীর (JK Statehood Bill)! অন্তত এমনই জল্পনায় ছয়লাপ সোশ্যাল মিডিয়া। জল্পনার কারণ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সাক্ষাৎ। তিনি রাষ্ট্রপতি ভবন ছেড়ে বেরনোর পরপরই সেখানে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করেন তিনিও। তার আগে শাহ জম্মু ও কাশ্মীরের বেশ কিছু নেতা এবং বিজেপি প্রধানের সঙ্গেও বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার এনডিএর সাংসদদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ডেকেছেন।

    জম্মু-কাশ্মীর পাচ্ছে রাজ্যের মর্যাদা! (JK Statehood Bill)

    ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে বাতিল হয়ে গিয়েছিল ৩৭০ ধারা। রাত পোহালেই ৫ অগাস্ট, ওই ঘটনার বর্ষপূর্তি। তার আগে কেন্দ্রের এই তৎপরতার জেরে বাড়তি অক্সিজেন পেয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা পাওয়ার জল্পনা। জানা গিয়েছে, ৩ অগাস্ট রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী। এই বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। অথচ, এই ধরনের বৈঠকের পর বিবৃতি প্রকাশ করে প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরো। এর ঠিক কয়েক ঘণ্টা পরেই রাষ্ট্রপতি ভবনে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে একান্ত বৈঠকও করেন তিনি। চলতি মাসের প্রথম দু’দিন ধরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠক করেন জম্মু-কাশ্মীরের বিজেপি প্রধান সৎ শর্মা এবং লাদাখের উপরাজ্যপাল কভিন্দর গুপ্তার সঙ্গে। সোমবার অল জম্মু-কাশ্মীর শিয়া অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইমরান রেজা আনসারিও সাক্ষাৎ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে। কেন্দ্র-শাসিত ভূস্বর্গের বাস্তব বিভিন্ন বিষয়ে শাহকে অবহিত করেন আনসারি (JK Statehood Bill)।

    কী বললেন প্রাক্তন সেনাকর্তা

    প্রাক্তন সেনাকর্তা তথা লেখক কানওয়াল জিৎ সিং ধিলোঁ বলেন, “৫ অগাস্ট কী ঘোষণা হতে পারে, তা নিয়ে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা চলছে।” ট্যুইট-বার্তায় তিনি লেখেন, “কাশ্মীরে যে শান্তি ফিরে এসেছে, তা অনেক মূল্যবান মানবজীবনের বিনিময়ে এসেছে। আমাদের কোনও হঠকারী সিদ্ধান্তে ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত নয়। এখন শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার যে সংহতিমূলক পর্যায় চলছে, তা স্থিতিশীল হতে দিন – আমরা যেন অস্থির হয়ে আগ বাড়িয়ে কিছু না করি।” ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষক আরতি টিক্কু সিং-ও বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে পারে এমন গুঞ্জন জোরালোভাবে ছড়াচ্ছে।” তিনি বলেন, “আরও আশ্চর্যের বিষয় হল, গুজব চলছে যে কাশ্মীর ও জম্মুকে পৃথক করে দুটি আলাদা রাজ্যে পরিণত করা হতে পারে (PM Modi)। যদি এর যে কোনও একটি সত্যি হয়, তাহলে তার চেয়ে বড় বিপর্যয় আর কিছু হতে পারে না (JK Statehood Bill)।”

LinkedIn
Share