Tag: Draupadi Murmu

Draupadi Murmu

  • Suvendu Adhikari: ‘যাঁরা তাঁকে হারাতে চেয়েছিলেন, তাঁরা আজ সম্মান জানাচ্ছেন’! কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘যাঁরা তাঁকে হারাতে চেয়েছিলেন, তাঁরা আজ সম্মান জানাচ্ছেন’! কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম বার রাজ্যে পা রেখেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁকে নাগরিক সম্মান প্রদান করা হয়েছে। তৃণমূল শাসিত রাজ্য সরকারের এই সম্মান প্রদর্শন নিয়ে কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্রৌপদীর বিরুদ্ধে যাঁরা ভোট দিয়েছিলেন, সেই তাঁরাই এখন তাঁকে সম্মান জানাতে উঠেপড়ে লেগেছেন। অথচ যে বিজেপি বিধায়করা দ্রৌপদীকে ভোট দিয়েছিলেন, তাঁরাই অনুষ্ঠানে ব্রাত্য।

    রাষ্ট্রপতিকে সম্মান

    সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ কলকাতায় পৌঁছন রাষ্ট্রপতি। রেসকোর্সে রাষ্ট্রপতিকে অভ্যর্থনা জানান মুখ্যমন্ত্রী। দ্রৌপদী মুর্মুকে উত্তরীয় পরিয়ে, পুষ্পস্তবক দিয়ে বরণ করে নেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) দাবি করেন, রাষ্ট্রপতিকে সম্মান জানাতে রাজ্যের তরফে যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে, সেখানে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘সরকারের আমন্ত্রণপত্রে রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর নাম রাখা হয়েছে। আমায় কোনও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।’’ এর পরই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূলের অবস্থান কী ছিল, তা স্মরণ করিয়ে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কটাক্ষ, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকেরা দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দেননি। যাঁরা ভোট দেননি, তাঁরা আজ তাঁকে ধামসা-মাদল উপহার দিচ্ছেন, ফুল দিচ্ছেন, শাল পরাচ্ছেন। আর বিজেপির যে ৭০ জন বিধায়ক ভোট দিয়েছেন, তাঁরা আমন্ত্রণ পাননি।’’

    আরও পড়ুুন: ‘মন্ত্রিত্ব বাঁচাতেই প্রয়াত বাবাকে চোর বলছেন’, উদয়নকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    শুভেন্দুর ট্যুইট

    এই নিয়ে একটি ট্যুইটও করেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। ট্যুইট বার্তায় শুভেন্দু বলেন,  ‘‘যাঁরা জনজাতির এক প্রান্তিক মানবীকে হারাতে চেয়েছিলেন, যাঁরা তাঁর ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, সেই তাঁরা আজ তাঁকে সম্মান জানাচ্ছেন। এটা দেখে ভাল লাগছে।’’ 

    দিল্লিতে শুভেন্দু

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন দিল্লিতে ছিলেন। উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন শুভেন্দু। পঞ্চায়েত ভোটের আগে শুভেন্দুর দিল্লিযাত্রা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। এদিন দিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠক করে  শুভেন্দু জানান, রাম নবমী সনাতনীদের বড় উৎসব। ওই দিন ছুটি দেয়নি রাজ্য সরকার। উল্টে ধর্নায় বসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দুর কথায়, ‘জঙ্গলরাজের চেয়েও খারাপ অবস্থা বাংলার। রাজনীতি করার জন্য উৎসবের দিন এই ধরনের আন্দোলন করে এজেন্সিকে ভয় দেখানো, বিচারব্যবস্থাকে চাপে রাখাই উদ্দেশ্য। দুর্নীতি থেকে বিভ্রান্ত করার জন্য অগণতান্ত্রিক ধর্নার আয়োজন করা হয়েছে। বিজেপি বিরোধিতা করবে।’  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Draupadi Murmu: রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রথমবার! আজ দুদিনের জন্য রাজ্য সফরে আসছেন দ্রৌপদী মুর্মু

    Draupadi Murmu: রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রথমবার! আজ দুদিনের জন্য রাজ্য সফরে আসছেন দ্রৌপদী মুর্মু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, সোমবার রাজ্যে আসছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গ সফরে আসছেন তিনি।  সোমবার-মঙ্গলবার দু’দিনের সফরে আসছেন রাষ্ট্রপতি। দমদম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে রেসকোর্স পৌঁছবেন তিনি।

    রাষ্ট্রপতির সারাদিন

    নবান্ন সূত্রে খবর, সোমবার বিকেলেই রাজ্য সরকারের তরফে রাষ্ট্রপতিকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়ার কথা। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও।

    আজ প্রথমে রাজভবনে পৌঁছবেন দ্রৌপদী মুর্মু। সেখানে কিছু সময় বিশ্রাম নেওয়ার পরে তাঁর এলগিন রোডে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বাসভবনে যাওয়ার কথা। সেখানে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে সেখান থেকে  জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি যাবেন রাষ্ট্রপতি। ঘুরে দেখতে পারেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান। এর পর কলকাতায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা তাঁর। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন রাজভবনেই রাত্রিবাস করবেন রাষ্ট্রপতি। পর দিন ২৮ মার্চ সকালে তাঁর বেলুড়মঠে যাওয়ার কথা। সেখান থেকে দ্রৌপদীর সম্ভাব্য গন্তব্য বীরভূমের শান্তিনিকেতন।

    আরও পড়ুন: নবরাত্রিতে উপবাস রাখছেন? সুস্থ, সতেজ থাকতে কী করবেন আর কী করবেন না

    কড়া নিরাপত্তা

    রাষ্ট্রপতির সফরের জন্য ইতিমধ্যেই শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার থেকেই মহানগরের বিভিন্ন জায়গায় জোরদার পুলিশি টলহদারি চলছে। রাষ্ট্রপতির দুই দিনের রাজ্য সফরের জন্য যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে। সোমবার এবং মঙ্গলবার দুই দিনই দমদম বিমানবন্দর,কলকাতা, বেলুড় মঠ এবং বীরভূমের বোলপুর শান্তিনিকেতনে যান চলাচল ব্যবস্থা প্রভূত পরিমাণে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

    বোলপুরে রাষ্ট্রপতি

    কলকাতা সফর সেরে রাষ্ট্রপতির যাওয়ার কথা শান্তিনিকেতনে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার শান্তিনিকেতনের বিনয় ভবন সংলগ্ন কুমিরডাঙা মাঠে রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার অবতরণ করার কথা। সেখান থেকে বিশ্বভারতীর রবীন্দ্র ভবন, কলা ভবন, আশ্রম প্রাঙ্গণ ঘুরে দুপুরে আম্রকুঞ্জের জহরবেদিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা দ্রৌপদীর। সেই অনুষ্ঠানে থাকার কথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসেরও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ramesh Bais: পদত্যাগ কোশিয়ারির, মহারাষ্ট্রের নয়া রাজ্যপাল রমেশ বইস

    Ramesh Bais: পদত্যাগ কোশিয়ারির, মহারাষ্ট্রের নয়া রাজ্যপাল রমেশ বইস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদত্যাগ করলেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি। রবিবার তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্ম (Draupadi Murmu)। তাঁর বদলে মহারাষ্ট্রের নয়া রাজ্যপাল হিসেবে বেছে নেওয়া হল রমেশ বইসকে (Ramesh Bais)। কেবল মহারাষ্ট্র নয়, আরও ১১টি রাজ্যে নিয়োগ করা হচ্ছে নয়া রাজ্যপাল। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখের জন্য নতুন লেফটেন্যান্ট গভর্নর নিয়োগ করেছেন রাষ্ট্রপতি। রবিবার সকালে মোট ১২টি রাজ্যের রাজ্যপাল বদলের নির্দেশিকায় স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রপতি। এই দফায় যে রাজ্যগুলির রাজ্যপাল বদল হচ্ছে সেগুলি হল মহারাষ্ট্র, সিকিম, ঝাড়খণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, অসম, অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, মেঘালয় এবং বিহার। অরুণাচল প্রদেশের রাজ্যপাল শ্রী রাধাকৃষ্ণণ মাথুরকেও বদলি করে লাদাখের লেফটেন্যান্ট গভর্নর হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।

    রমেশ বইস…

    তবে এ সবের মধ্যে রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ হল রমেশ বইসের (Ramesh Bais) নিয়োগ। তিনি ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল ছিলেন। রাজভবনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজ্যপাল কোশিয়ারি এবার পড়াশোনা, লেখালিখি এবং অবসর জীবন যাপন করবেন বলে ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। কোশিয়ারি প্রবীণ আরএসএস নেতা। তিনি মুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন। পার্লামেন্টের দুই কক্ষের সদস্যও ছিলেন কোশিয়ারি। ২০১৯ সালে রাজ্যপাল হিসেবে নিয়োগ করা হয় তাঁকে। রাজ্যপাল হিসেবে কার্যকালে তাঁর সঙ্গে একাধিকবার উদ্ধব ঠাকরে সরকারের বিবাদ হয়। বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে নানা সময় খবরের শিরোনামে এসেছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: ‘রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার হাল বেহাল’, রাজ্যপালকে চিঠি সুকান্তের

    মহা বিকাশ আগাড়ি সরকারের পতনের পরেও একাধিকবার উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের সঙ্গে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছিল কোশিয়ারির বিরুদ্ধে। মহারাষ্ট্রের নায়ক শিবাজিকে অবমাননার অভিযোগে তাঁর পদত্যাগও দাবি করেছিল শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে শিবির। প্রসঙ্গত, ওই সময় তিনি বলেছিলেন, শিবাজি পুরনো দিনের আইকন।  সপ্তাহ তিনেক আগে আচমকাই ট্যুইট করে অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্ত জানান মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল (Ramesh Bais)। তিনি লিখেছেন, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি, এটা আমার কাছে অত্যন্ত সম্মানের বিষয়। গত তিন বছরে আমি প্রচুর সম্মান পেয়েছি। মহারাষ্ট্রের মানুষ আমাকে যে ভালবাসা দিয়েছেন, তা ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু এবার রাজনৈতিক দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার সময় এসেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Draupadi Murmu: ‘৩৭০ ধারা থেকে তিন তালাক বাতিল…, আমার সরকার নির্ভীক সরকার’, বললেন রাষ্ট্রপতি

    Draupadi Murmu: ‘৩৭০ ধারা থেকে তিন তালাক বাতিল…, আমার সরকার নির্ভীক সরকার’, বললেন রাষ্ট্রপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সার্জিক্যাল স্ট্রাইক থেকে সন্ত্রাসবাদ দমনে কড়া পদক্ষেপ, লাইন অফ কন্ট্রোল থেকে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল, ৩৭০ ধারা থেকে তিন তালাক বাতিল, এসব কাজ করে আমার সরকার পরিচিত হয়েছে নির্ভীক সরকার হিসেবে। মঙ্গলবার বাজেট অধিবেশনের শুরুতে সংসদে ভাষণ দিতে গিয়ে এ কথাই বললেন রাষ্ট্রপতি (President) দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। গোটা বিশ্ব ভারতের (India) দিকে তাকিয়ে রয়েছে বলেও জানান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য এমন এক ভারত তৈরি করা যেখানে মানুষ প্রকৃত অর্থেই আত্মনির্ভর হবেন।

    রাষ্ট্রপতি উবাচ…

    রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, আজ দেশে একটি স্থায়ী, নির্ভীক সরকার রয়েছে। যা বড় স্বপ্ন পূরণের ক্ষেত্রে সহায়ক। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ, তিন তালাক রদের মতো সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গ টেনে রাষ্ট্রপতি বলেন, আমার সরকার বড় সিদ্ধান্ত নিতে অকারণ কালক্ষেপ করেনি। তিনি বলেন, সব চেয়ে বড় বদল এসেছে প্রতিটি ভারতীয়ের মানসিকতায়। তাঁরা আজ আত্মবিশ্বাসে টগবগ করে ফুটছেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, এই কারণেই ভারত সম্পর্কে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মূল্যায়নও বদলে গিয়েছে। রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমান ভারত আত্মবিশ্বাসী। দেশকে এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখে সারা বিশ্ব। আন্তর্জাতিক সমস্যার সমাধানও করছে ভারত। তিনি বলেন, নির্ভয় ও শক্তিশালী সরকারের হাত ধরেই নতুন স্বপ্ন দেখছে ভারত। সমস্যা মেটাতে শর্টকার্ট নয়, স্থায়ী সমাধান করেছে এই সরকার।

    আরও পড়ুুন: অযোধ্যায় রামলালার বিগ্রহ তৈরির পাথর আসছে নেপাল থেকে! জানেন এই শীলার মাহাত্ম্য?

    রাষ্ট্রপতি বলেন, কোভিডের সময় সারা বিশ্ব যেখানে সংকটের মধ্যে পড়েছে কিন্তু ভারত এই সমস্যার মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। বিশ্বব্যাপী দারিদ্রের মধ্যেও দেশবাসীর হাতে ২৭ লক্ষ কোটি টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে, যেন অতিমারির সময় তাঁদের খাদ্য সংকটে পড়তে না হয়। তিনি (Draupadi Murmu) বলেন, সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্তভাবে গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে এই সরকার দারিদ্রমুক্ত ভারত গড়বে বলেও জানান রাষ্ট্রপতি। গত ন বছরে একাধিক ক্ষেত্রে উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে ভারত উঠে এসেছে বলেও জানান তিনি। রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা গিয়েছে। ওই দেশগুলি নানা সমস্যায় জর্জরিত। কিন্তু আমার সরকার দেশবাসী স্বার্থে এমন সব সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারত ভাল জায়গায় রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

  • Heeraben Modi: ‘মায়ের শূন্যতা পূরণ করা অসম্ভব’, হীরাবেন মোদির প্রয়াণে শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী, নেতানেত্রীর

    Heeraben Modi: ‘মায়ের শূন্যতা পূরণ করা অসম্ভব’, হীরাবেন মোদির প্রয়াণে শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী, নেতানেত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন হীরাবেন মোদি (Heeraben Modi)। বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। মাকে হারিয়ে শোকার্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। শুক্রবার ভোরে মৃত্যু হয় হীরাবেনের। এদিনই সকালে দিল্লি থেকে আহমেদাবাদে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে পৌঁছন গান্ধীনগরের গ্রামের বাড়িতে। যোগ দেন মায়ের শেষকৃত্যে। মায়ের প্রয়াণের খবর নিজেই ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী। লেখেন, সুন্দর একটা শতাব্দী শেষে ভগবানের চরণে বিশ্রাম নিতে গিয়েছেন মা। প্রধানমন্ত্রীর মায়ের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সহ একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রী।

    মা-ই হলেন…

    রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মা হীরাবেনের ১০০ বছরের সংগ্রামের জীবন ভারতীয় আদর্শের প্রতীক…। আত্মার শান্তি কামনা করি। পরিবারের প্রতি সমবেদনা।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লিখেছেন, মা-ই হলেন প্রথম বন্ধু ও শিক্ষক। তাঁকে হারানো নিঃসন্দেহে সব চেয়ে বড় যন্ত্রণা।


    প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং লিখেছেন, মায়ের শূন্যতা পূরণ করা অসম্ভব। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী অদিত্যনাথের ট্যুইট, মায়ের মৃত্যু এক অসহনীয় ও অপূরণীয় ক্ষতি।

    ট্যুইট-বার্তায় শোকজ্ঞাপন করেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা।

    ট্যুইট-বার্তায় শোকজ্ঞাপন করেছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী। তিনি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রীর মা হীরাবেনের প্রয়াণের খবর খুবই দুঃখজনক। এই কঠিন সময়ে আমি তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে আন্তরিক সমবেদনা ও ভালবাসা জানাচ্ছি। শোকপ্রকাশ করেছেন কংগ্রেসের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খাড়গেও।

     

    আরও পড়ুন: শেষযাত্রায় মায়ের দেহ নিজের কাঁধে তুলে নিলেন, মুখাগ্নি করলেন মোদি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Sisir Adhikari: ফের বেঁফাস অখিল গিরি, অশীতিপর শিশিরকে কী ভাষায় আক্রমণ করলেন জানেন?

    Sisir Adhikari: ফের বেঁফাস অখিল গিরি, অশীতিপর শিশিরকে কী ভাষায় আক্রমণ করলেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বেফাঁস মন্তব্য তৃণমূল নেতা অখিল গিরির (Akhil Giri)। দিন কয়েক আগে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে (Draupadi Murmu) নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রী। সেবারও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) নিশানা করতে গিয়ে আক্রমণ করে বসেছিলেন রাষ্ট্রপতিকে। এবারও তাঁর তির গিয়ে লাগল ভুল নিশানায়। এদিন শুভেন্দুকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের এই বিধায়ক নিশানা করলেন অশীতিপর নেতা শিশির অধিকারিকে (Sisir Adhikari)। মুগবেড়িয়ার সভা থেকে শিশিরকে ‘নেংটি মন্ত্রী’ বলে আক্রমণ করেন অখিল। যার জেরে ফের একপ্রস্ত রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়। একজন অশীতিপর নেতাকে এই ভাষায় আক্রমণ কতটা শোভনীয়, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

    অখিল উবাচ…

    এদিনের সভায় অখিল বলেন, এই বিশ্বের অষ্টম এবং নবম আশ্চর্য হল শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari) আর দিব্যেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের সাংসদ। দিল্লি থেকে টাকা নিচ্ছে। কিন্তু ভিতরে ভিতরে তৃণমূলের ক্ষতি করে বিজেপি করছে। রাজ্যের এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, বুড়ো বয়সে ভীমরতি ধরেছে শিশির অধিকারীর। আগে নাতি-নাতনিকে নিয়ে ঘুরতেন। এখন ছেলের পাল্লায় পড়ে বাবাও মুখ্যমন্ত্রীকে গালাগাল করছে। তিনি বলেন, আমি স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বলে আমাকে হাফপ্যান্ট মন্ত্রী বলা হচ্ছে। তাহলে শিশির অধিকারী কেন্দ্রের কী মন্ত্রী ছিলেন? হাফপ্যান্টের ছোট যেটা হয়, তাকে তো নেংটি বলে। উনি কি তাহলের নেংটি মন্ত্রী ছিলেন?

    আরও পড়ুন: শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের জের! গোসাবায় ফের গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী

    শিশিরের (Sisir Adhikari) আগে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্যের জেরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন অখিল। একটি ভিডিও ফুটেজে তাঁকে বলতে শোনা যায়, বলে দেখতে ভাল নয়। কী রূপসী! কী দেখতে ভাল! আমরা রূপের বিচার করি না। তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তোমার রাষ্ট্রপতি কেমন দেখতে বাবা? রাজ্যের এক মন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের জেরে হইচই শুরু হয় রাজ্যজুড়ে। জেলায় জেলায় বিক্ষোভ-প্রতিবাদে শামিল হয় বিজেপি। অখিলের গ্রেফতারি ও মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারণের দাবিও জানায় পদ্ম শিবির। ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পর্যন্ত বলতে হয়, রাষ্ট্রপতিকে অবমাননাকর মন্তব্য করা ঠিক হয়নি অখিলের। রাষ্ট্রপতিকে আমরা সম্মান করি। অন্যায় করেছে অখিল গিরি। অখিলের ওই মন্তব্যের রেশ পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়ার আগে ফের কুকথা রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রীর।

    কুকথায় পঞ্চমুখ অখিল!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Akhil Giri Issue: রাষ্ট্রপতিকে কুরুচিকর মন্তব্যের জের, প্রতিবাদে পথে জনজাতি সমাজ

    Akhil Giri Issue: রাষ্ট্রপতিকে কুরুচিকর মন্তব্যের জের, প্রতিবাদে পথে জনজাতি সমাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মুকে নিয়ে রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরির  কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের জেরে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। জনজাতি সমাজের প্রথম রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁর সমর্থনে ইতিমধ্যে রাস্তায় নেমেছে জনজাতি সমাজ। বিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপি জেলায় জেলায় বিক্ষোভ করছে এই ইস্যুতে। কারা মন্ত্রী অখিল গিরির কাঁথির বাসভবনের সামনেও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা গিয়েছে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। বর্ণবিদ্বেষমূলক এই মন্তব্যের প্রতিবাদে রাজ্য প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির গাড়ি আটকে জনজাতি সমাজের বিক্ষোভও নজর এড়ায়নি রাজ্যের মানুষের। গত রবিবার সকালে বাঁকুড়ার খাতড়ায় বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। অখিল গিরিকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের দাবি জানাতে থাকে বিক্ষোভকারীরা। এই বিক্ষোভের জেরে গাড়ি ছেড়ে পায়ে হেঁটে এলাকা ছাড়তে হয় মন্ত্রীকে। রাজ্য মন্ত্রিসভায় জনজাতি সমাজের অন্যতম মুখ  বীরবাহা হাঁসদা অবশ্য এই ইস্যুতে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। জনজাতি সমাজের বিক্ষোভের এই উত্তপ্ত আবহাওয়ার মধ্যেই আগামীকাল দেশ জুড়ে পালিত হবে ‘জনজাতি গৌরব দিবস’। 

     ভগবান বীরসা মুন্ডার ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রাম 

    আগামী কাল ভগবান বিরসা মুন্ডার জন্মদিন। গত বছর থেকে কেন্দ্রীয় সরকার এই দিনটিকে ‘জনজাতি গৌরব দিবস’ হিসেবে পালন করছে। বিরসা মুন্ডার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে তাঁর জন্মদিনেই ২০০০ সালের ১৫ই নভেম্বর ঝাড়খন্ড রাজ্য গঠন করেছিল তৎকালীন বাজপেয়ী সরকার। ‌বিমানবন্দর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সবকিছুই রয়েছে ভগবান বিরসা মুন্ডার নামে। জনজাতি সমাজের এই অবিসংবাদী নেতা ১৮৭৫ সালের ১৫ই নভেম্বর ঝাড়খন্ডে জন্মগ্রহণ করেন। ব্রিটিশ বিরোধী  মুন্ডা বিদ্রোহে তাঁর বীরত্ব গাথা ইতিহাসে অমর হয়ে আছে। মাত্র ২৫ বছর বয়সে দেশের জন্য আত্ম বলিদান করেন মুন্ডা বিদ্রোহের এই নেতা। জনজাতি সমাজে তাঁর অবিস্মরণীয় অবদানের জন্যই তাঁকে ভগবান বা ধরতি আবা বলা হয়। জনজাতিদের উপর হওয়া শোষণ এবং তাদের অধিকারের দাবিতে কিশোর বয়স থেকেই সক্রিয় ছিলেন ভগবান বিরসা মুন্ডা। জনজাতিদের নিজস্ব সংস্কৃতি এবং হিন্দু ধর্মের রীতিনীতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল ছিলেন এই নেতা। বৈষ্ণব ধর্মগুরু আনন্দ পাঁড়ের কাছে মাত্র ১৫ বছর বয়সে দীক্ষা গ্রহণ করেন বিরসা মুন্ডা। তিনি পৈতে ধারণ করতেন। খাদ্যাভাসে নিরামিষাষী ছিলেন। কন্ঠস্থ ছিল তার রামায়ণ-মহাভারত সমেত অন্যান্য হিন্দু ধর্মগ্রন্থ।

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিলের মন্তব্যের জের, বিজেপির আন্দোলনে উত্তাল রাজ্য

    ১৮৯৪ সালে ব্রিটিশরা অরণ্য আইন বলবৎ করে। এই আইনের দ্বারা জঙ্গলে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয় । গর্জে ওঠেন জনজাতি সমাজের মানুষজন। ছোটনাগপুরে তীর ধনুক নিয়ে শুরু হয় বিদ্রোহ। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হলে, ব্রিটিশ সরকার ১৮৯৫ সালে গ্রেফতার করে বিরসা মুন্ডাকে। বিচারে তাঁর দুবছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করে ব্রিটিশ সরকার। কারাগার থেকে মুক্ত হয়েই বিরসা মুন্ডা পুনরায় বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিতে শুরু করেন। তাঁর নেতৃত্বে ব্যাপক আকার ধারণ করে মুন্ডা বিদ্রোহ। ১৮৯৯ সালের ২৪ শে ডিসেম্বর বিরসা মুন্ডার বাহিনী ঝাড়খণ্ডের রাঁচি শহরে ব্রিটিশ পুলিশদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এই ঘটনায় অনেক পুলিশ কর্মী নিহত হন। ব্রিটিশ সরকার তখন পাল্টা আক্রমণ শুরু করে। নামানো হয় ব্রিটিশ সেনাবাহিনী। ইংরেজ সৈন্যদের আক্রমণের লক্ষ্য হয় ডোম্বারি পাহাড়। নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় জনজাতি সমাজের ৪০০ মানুষকে।  সেনারা বিরসা মুন্ডাকে ধরতে ব্যর্থ হয়। ঘোষণা করা হয় তাঁর মাথার দাম। সে সময়ে ভগবান বীরসা মুন্ডার মাথার দাম ছিল ৫০০ টাকা। ১৯০০ সালের এক গভীর রাতে চক্রধরপুর জঙ্গলে ঘুমিয়ে ছিলেন বিরসা মুন্ডা। ঘুমন্ত এবং নিরস্ত্র বিরসা মুন্ডাকে বন্দী করে ব্রিটিশ সরকার। বিচারে তাঁর মৃত্যুদণ্ড হয়। কারাগারেই মৃত্যু হয় তাঁর। এ নিয়ে অবশ্য বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মতামত রয়েছে। কারো ধারণা তাঁকে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করা হয়েছিল, তো কারও ধারণা অনুযায়ী, কলেরাতেই মৃত্যু হয়েছিল তাঁর।

  • Akhil Giri Issue: অখিল গিরির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের

    Akhil Giri Issue: অখিল গিরির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের মহিলা রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করে দেশজুড়ে প্রবল সমালোচনার মুখে রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরি। এবার তাঁকে দল থেকে এবং মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করার দাবি তুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানি। অখিলের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করা হল।

    হাইকোর্টে মামলা দায়ের

    রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে কুৎসিত ভাষায় আক্রমণের জন্য অখিল গিরির বিরুদ্ধে কলকাতা  হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে মন্ত্রী অখিল গিরির মন্তব্য সংবিধানের অবমাননা। সাংবিধানিক প্রধান সম্পর্কে এই ধরনের মন্তব্য করা যায় না। রাজ্য সরকার তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আদালত উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। মামলা দায়েরের অনুমতি দেন প্রধান বিচারপতি। আগামীকাল শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। মামলাকারীর দাবি,অখিল গিরিকে অবিলম্বে মন্ত্রিত্ব পদ থেকে সরাতে হবে। এছাড়া তাঁকে গ্রেফতারির নির্দেশ দিক আদালত। বিজেপি সূত্রের খবর, ‘‘অখিল গিরি ইস্যুতে সোমবার বিজেপির পরিষদীয় দল তিনটের সময় বিধানসভায় জরুরী বৈঠকে বসছে। সেখানে শীতকালীন অধিবেশনে এই ইস্যুতে কিভাবে শাসক দলকে তথা সরকারকে চাপে ফেলা হবে তা নিয়ে আলোচনা হবে। অখিল গিরি ইস্যুতে বিধানসভার ভেতরে এবং বাইরে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে প্রস্তুত গেরুয়া শিবির। বিধানসভায় আগামী অধিবেশনে অখিল গিরির মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে নিন্দা প্রস্তাবও আনতে পারে বিজেপি। 

    স্মৃতি ইরানির অভিযোগ

    কয়েক দিন আগেই নন্দীগ্রামে তৃণমূলের একটি বিক্ষোভ কর্মসূচিতে রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরি দেশের রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে কুমন্তব্য করেছেন। এ প্রসঙ্গে এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি জানতে চাইলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন চুপ? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগে বলুন কবে অখিল গিরিকে দল থেকে বরখাস্ত করছেন এবং মন্ত্রিত্ব থেকেও সরিয়ে দিচ্ছেন।’’  স্মৃতি ইরানির কথায়, “দেশের সাংবিধানিক প্রধান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর উদ্দেশ্যে যে ভাষায় কথা বলেছেন রাজ্যের এক মন্ত্রী তার নিন্দার ভাষা নেই। আমি মনে করি এই অপমান দ্রৌপদী মুর্মুর নয়, দেশের মহিলাদের শুধু নয়, দেশের প্রধান  সাংবিধানিক পদকে অপমান।” শাসক দলের বিরুদ্ধে তীব্র সুর চড়িয়ে স্মৃতি ইরানি এও বলেন, ‘‘আমরা অবিলম্বে তৃণমূলের ওই নেতার অপসারণ চাই।’’

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিলের মন্তব্যের জের, বিজেপির আন্দোলনে উত্তাল রাজ্য

    অখিল গিরির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের

    অখিল গিরি করা মন্তব্যের বিরুদ্ধে রবিবার বিজেপির প্রতিবাদ মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা কোচবিহারের তুফানগঞ্জের মারুগঞ্জ এলাকায়। বিজেপির মিছিলের পালটা মিছিল করে তৃণমূল কংগ্রেস। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় পুলিশ বাহিনী ও র‍্যাফ মোতায়েন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে দেশের রাজনীতিও। রবিবার দিল্লি অখিল গিরির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এবার প্রতিবেশী অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন। অসমের আদিবাসীরা তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা।

    আরও পড়ুন: ‘বেফাঁস মন্তব্যে’র জের, এবার অখিলের বিরুদ্ধে দিল্লিতে অভিযোগ দায়ের লকেটের

    অখিল গিরির মন্তব্য

    রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিল গিরির কুরুচিকর মন্তব্যের জেরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন আদিবাসীরা। পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন তাঁরা। অখিল গিরির পদত্যাগের দাবিতে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়েছে গোটা এলাকায়।  উল্লেখ্য, রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি পূর্ব মেদিনীপুরের একটি সভায় গিয়ে বেলাগাম মন্তব্য করেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে আরও কুরুচিপূর্ণ ইঙ্গিত ছুঁড়ে দেন রাষ্ট্রপতির দিকে। সরাসরি রাষ্ট্রপতির শারীরিক রূপ নিয়ে তিনি মন্তব্য করে বসেন। এরপরই বিক্ষোভ দানা বাঁধে। বিরোধিতায় সরব হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার প্রমুখ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Akhil Giri: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য অখিল গিরির, তীব্র প্রতিবাদ বিজেপির

    Akhil Giri: রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য অখিল গিরির, তীব্র প্রতিবাদ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি রাজ্যের মন্ত্রী। যাঁকে আক্রমণ করে বসলেন তিনি দেশের প্রথম নাগরিক। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। যিনি তাঁর দিকে ছুঁড়ে দিলেন কুকথার ছররা, তিনি আর কেউ নন, রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরি (Akhil Giri)। দেশের রাষ্ট্রপতিকে অপমান করায় বেজায় চটেছে রাজ্যের বাসিন্দাদের সিংহভাগ অংশ। তৃণমূল নেতার বেফাঁস মন্তব্যে হতবাক রাজ্যের শিক্ষিত সমাজ। আর কাঁথির এই তৃণমূল নেতার পদত্যাগের দাবিতে পথে নামছে বিজেপি।   

    জানা গিয়েছে, নভেম্বরের ১০ তারিখে নন্দীগ্রামের গোকুলনগর শহিদ মঞ্চে শহিদ দিবস পালনের আয়োজন করে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা ওই মঞ্চে আগুন লাগিয়ে দেয়। অভিযোগের আঙুল ওঠে বিজেপির দিকে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনার প্রতিবাদে এলাকায় সভার আয়োজন করে তৃণমূল (TMC)। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ, শশী পাঁজা, অখিল গিরি, সৌমেন মহাপাত্র সহ তৃণমূলের অন্য নেতারা।

    কী বললেন অখিল?

    এদিনের সভা মঞ্চে উঠেই রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি (Akhil Giri) নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকিও দেন মন্ত্রী মশাই। এর পরেই অখিলকে বলতে শোনা যায়, আমরা রূপ বিচার করি না। রাষ্ট্রপতির পদকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তোমার (শুভেন্দু অধিকারী) রাষ্ট্রপতিকে কেমন দেখতে বাবা? অখিলের এই মন্তব্যের জেরে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় রাজ্যজুড়ে। বিজেপির দাবি, রূপ নিয়ে কটাক্ষ করে দেশের প্রথম নাগরিককে অপমান করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি।

    রাজ্য বিজেপির তরফে ট্যুইট করে বলা হয়েছে, অখিল (Akhil Giri) রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজার সামনে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। আমাদের রাষ্ট্রপতি একজন আদিবাসী। এখান থেকেই বোঝা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল আদিবাসী বিরোধী। বিজেপি নেতা অমিত মালব্য বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বরাবরই আদিবাসী বিরোধী। তাঁর মন্ত্রী অখিল গিরির মন্তব্য সেটাই প্রমাণ। রাষ্ট্রপতিকে অপমান করেন মমতার মন্ত্রী। কেন তিনি এবং তাঁর সরকার আদিবাসীদের এত ঘৃণা করেন?

    আরও পড়ুন: বিধানসভা উপনির্বাচনে ৪ আসনে জয়ী বিজেপি, কংগ্রেসের অবস্থান জানেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Justice DY Chandrachud: “দেশের সমস্ত নাগরিকদের রক্ষা করব…”, প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নিলেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়

    Justice DY Chandrachud: “দেশের সমস্ত নাগরিকদের রক্ষা করব…”, প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নিলেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, বুধবার দেশের সুপ্রিম কোর্টের ৫০ তম প্রধান বিচারপতি পদে শপথ নিলেন বিচারপতি ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড় (Justice DY Chandrachud)। আজ রাষ্ট্রপতি ভবনে, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন উদয় উমেশ ললিত৷ তাঁর মেয়াদকাল শেষ হওয়ার পরেই দায়িত্ব নিলেন চন্দ্রচূড়৷ আগামী ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে থাকবেন তিনি।

    বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের শপথগ্রহণ

    শপথ নেওয়ার পর বিচারপতি চন্দ্রচূড় (Justice DY Chandrachud) সুপ্রিম কোর্টে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বলেন যে দেশের সেবা করা তাঁর কর্তব্য। তিনি বলেন, “জাতির সেবা করা আমার কর্তব্য। আমরা ভারতের সমস্ত নাগরিককে রক্ষা করব।” নতুন প্রধান বিচারপতি ২০১৬ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে নিযুক্ত হওয়ার আগে ২০১৩ সালে, এলাহাবাদ আদালতের প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি ২০০০ সালে, বম্বে হাইকোর্টের বিচারক ছিলেন। এর আগে ১৯৯৮ সালে বম্বে এইচসি দ্বারা সিনিয়র অ্যাডভোকেট হিসাবে মনোনীত হন ও তিনি ভারতের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল হিসেবেও নিযুক্ত হন।

    আরও পড়ুন: ছেলেকে অন্যায় ‘সুবিধা’ পাইয়ে দিতেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়! অভিযোগ খারিজ বার কাউন্সিলের

    প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের প্রস্তাব

    প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানার অবসরের পর গত ২৭ আগস্ট দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন বিচারপতি ললিত। নিয়ম অনুযায়ী, দেশের প্রধান বিচারপতি অবসরগ্রহণের আগে পরবর্তী প্রধান বিচারপতির নাম সুপারিশ করে যাবেন। সেই প্রথা মেনে গত ১১ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের সব বিচারপতিকে নিয়ে বৈঠকে বসে কেন্দ্রের হাতে চিঠি তুলে দেন প্রধান বিচারপতি ললিত। ফলে দেশের প্রাাক্তন প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিতই (Justice U U Lalit) তাঁর উত্তরসূরী হিসেবে ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ((Justice DY Chandrachud)) নাম প্রস্তাব করেছিলেন ও তাঁর প্রস্তাবে মান্যতা দেন ও তাঁকে প্রধান বিচারপতি পদে নিয়োগ করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।

    উল্লেখ্য, ৪৪ বছর আগে দেশের প্রধান বিচারপতি হয়েছিলেন ধনঞ্জয়ের বাবা যশবন্ত বিষ্ণু চন্দ্রচূড়। ১৯৭৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৮৫ সালের ১১ জুলাই পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৭ বছর প্রধান বিচারপতি পদে ছিলেন তিনি। আর আজ তাঁরই ছেলে (Justice DY Chandrachud) প্রধান বিচারপতির আসনে বসবেন।

LinkedIn
Share