Tag: Durga Puja

Durga Puja

  • Durga Puja 2025: প্রথম দুর্গাপুজো কে করেছিলেন? মর্ত্যে মহামায়ার আরাধনা শুরু কবে?

    Durga Puja 2025: প্রথম দুর্গাপুজো কে করেছিলেন? মর্ত্যে মহামায়ার আরাধনা শুরু কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর (Durga Puja 2025) ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। দেবী দশভুজা চার ছেলেমেয়েকে নিয়ে মর্তে আসেন। মর্ত্যবাসী তাঁকে নিজের মেয়ের মতো মনে করেই বরণ করে নেন। কিন্তু আমাদের অনেকের মনেই যে প্রশ্ন জাগে, তা হল, কবে এই দুর্গাপুজোর (First Durga Puja) প্রচলন হয়েছিল? এর উত্তর খুঁজতে হলে আমাদের ফিরে যেতে হবে পুরাণের (Puranas) দিকে। কারণ বিভিন্ন শাস্ত্রগ্রন্থই এসবের উত্তর বের করার মূল রাস্তা। এছাড়া এ ব্যাপারে আর নির্ভর করার মতো তেমন কিছু নেই।

    প্রথম দুর্গাপুজো করেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ

    ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ (Hindu Mythology) অনুযায়ী, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ প্রথম দুর্গাপুজো (Durga Puja 2025) করেছিলেন। তিনি পুজো করেছিলেন বৈকুণ্ঠের মহারাস মণ্ডলে। ওই শাস্ত্রের প্রমাণ বাক্যটি হল, প্রথমে পূজিতা সা চ কৃষ্ণেন পরমাত্মনা। শ্রীকৃষ্ণের পরে দুর্গাপুজো করেছিলেন স্বয়ং ব্রহ্মা। মহামায়ার পুজো করেছিলেন স্বয়ং মহাদেবও। ত্রিপুরাসুরের সঙ্গে যুদ্ধ করার আগে তিনি পুজো করেছিলেন দেবী দুর্গার (First Durga Puja)। মহাদেবীর আরাধনা করেছিলেন দেবরাজ ইন্দ্রও। তার অনেক পরে মর্ত্যে শুরু হয় মহামায়ার আরাধনা।

    দেবী ভাগবত পুরাণ কী বলছে?

    দেবী ভাগবত পুরাণ (Hindu Mythology) মতে, ব্রহ্মার মানসপুত্র মনু প্রথম পৃথিবীতে দুর্গাপুজো (First Durga Puja) প্রচলন করেন। শ্রীশ্রী চণ্ডী অনুযায়ী, রাজা সুরথ রাজ্য লাভের আশায় দেবী দুর্গার পুজো করেন। বাল্মীকি রামায়ণে দুর্গাপুজোর কোনও বর্ণনা নেই। তবে কৃত্তিবাস ওঝা রচিত রামায়ণে দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2025) উল্লেখ রয়েছে। বাসন্ত কালে দুর্গার পুজো করেছিলেন রাবণও। মৈথিলি কবি বিদ্যাপতি দুর্গা ভক্তি তরঙ্গিনীতে দুর্গাপুজোর উল্লেখ রয়েছে।

    আরও নানা মত

    কারও কারও মতে, ১৫০০ খ্রিস্টাব্দের শেষ দিকে দিনাজপুরের জমিদার প্রথম দুর্গাপুজো (First Durga Puja) করেন। কারও কারও মতে আবার ষোড়শ শতকে রাজশাহী তাহেরপুর এলাকার রাজা কংস নারাযণ প্রথম দুর্গাপুজো করেন মর্তে। কোচবিহারে ১৫১০ সালে দুর্গাপুজো (Durga Puja 2025) করেন রাজসিংহ। কেউ কেউ মনে করেন, ১৬০৬ সালে দুর্গাপুজোর প্রচলন করেন নদিয়ার ভবনানন্দ মজুমদার। কলকাতার বরিশাল রায় চৌধুরী পরিবার প্রথম দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন বলেও মনে করেন অনেকে। আবার কারও কারও মতে, ১৬১০ সালে প্রথম দুর্গাপুজো করেছিল কলকাতার সাবর্ণ রায় চৌধুরীর পরিবার। তাঁরা মহিষমর্দিনী দুর্গার পুজো করেননি। ওই পরিবারে দেবীর আগমন (Durga Puja 2025) ঘটেছিল ছেলেমেয়ে সহ।

  • Durga Puja 2025: ষষ্ঠীতে হয় দেবীর বোধন, কেন একে অকালবোধন বলা হয়, জানেন?

    Durga Puja 2025: ষষ্ঠীতে হয় দেবীর বোধন, কেন একে অকালবোধন বলা হয়, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উদয় তিথি অনুযায়ী, শনিবার ২৭ সেপ্টেম্বর মহাপঞ্চমী হলেও, এদিন পঞ্চমী থাকবে দুপুর ১২টা ৪ মিনিট পর্যন্ত। তার পর থেকেই পড়ে যাচ্ছে ষষ্ঠী। ফলে, এদিন, অর্থাৎ, শনিবার সন্ধ্যাবেলা হবে দেবীর বোধন (Maha Sasthi Akalbodhan)। ১১ আশ্বিন ইংরেজি ২৮ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুর ২টো ২৮ মিনিট পর্যন্ত ষষ্ঠী থাকছে। সকাল ৯টা ১৬ মিনিটের মধ্যে শারদীয়া দুর্গাদেবীর ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভ। সন্ধ্যাবেলা হবে দেবী দুর্গার আমন্ত্রণ ও অধিবাস। উদয় তিথি অনুসারে, গোটা দিনটাই ষষ্ঠী।

    মহাষষ্ঠী ও বোধন

    এবার দেখে নেওয়া যাক মহাষষ্ঠী ও বোধনের তাৎপর্য। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, মহাষষ্ঠীর দিন দেবী দুর্গা তাঁর চার সন্তান— সরস্বতী, লক্ষ্মী, গণেশ এবং কার্তিককে নিয়ে স্বর্গ থেকে মর্ত্যে অবতরণ করেন। ফলে এদিন থেকেই ঢাক ও কাঁসরের আওয়াজে চারিদিক যেন গমগম করে। মা দুর্গার আগমণে সবাই যোন আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে। উৎসবপ্রেমী বাঙালীদের সবচেয়ে বড় পার্বণ হল দুর্গাপুজো (Durga Puja 2025)। পুজো শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে নয়, দেশের বহু রাজ্যে ধুমধাম করে উদযাপন করা হয়ে থাকে। এছাড়া বিদেশেও বাঙালিরা উৎসাহ ও আনন্দের সঙ্গে জাঁকজমকভাবে উৎযাপন করে থাকে পুজোর দিনগুলি।

    পুজোর পাঁচটি দিন- মহাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী, মহানবমী, বিজয়া দশমীর কিছু তাৎপর্য রয়েছে। যেমন মহাষষ্ঠীর দিনেই দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2025) প্রথম অন্যতম যে নিয়মটি পালন করা হয়ে থাকে তা হল বোধন। এই ‘বোধন’ শব্দটির অর্থ হল জাগ্রত করা। মর্ত্যে দুর্গার আবাহনের জন্য বোধনের (Maha Sasthi Akalbodhan) রীতি প্রচলিত রয়েছে। দেবী দুর্গার মুখের আবরণ উন্মোচন করা হয় এই দিনে। সাধারণত ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় এই নিয়মটি পালন করা হয়ে থাকে এই নিয়মটি।

    বোধনের তাৎপর্য

    পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, দেবীপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে দুর্গার বোধন করে পুজো করেন শ্রীরামচন্দ্র। এদিন মা দুর্গা স্বর্গ থেকে মর্ত্যে পদার্পণ করেন ও দেবী দুর্গার মুখের আবরণ উন্মোচনই এই দিনের প্রধান কাজ। এই দিন কল্পারম্ভ-এর মাধ্যমে সূচনা হয় পুজোর (Durga Puja 2025)। তারপর আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মাধ্যমে মা-কে বরণ করে নেওয়া হয়। অকাল বোধনের (Maha Sasthi Akalbodhan) মাধ্যমেই উন্মোচন করা হয় মায়ের মুখ। মনে করা হয় বোধনের পর প্রতিমার মধ্যে প্রাণ প্রতিষ্ঠিত হয়। এই নিয়মের পরেই সকল দেব-দেবী এবং তার সঙ্গে মহিষাসুরের ও পুজো করা হয়। এরপরই মহা সমারোহে শুরু হয় দুর্গাপুজো।

    অকাল বোধনের কাহিনী

    বোধন কে আবার অকাল-বোধনও (Maha Sasthi Akalbodhan) বলা হয়ে থাকে। হিন্দু শাস্ত্র মতে, সূর্যের উত্তরায়ন দেবতাদের সকাল। উত্তরায়নের ছয় মাস দেবতাদের দিন হিসেবে গণ্য করা হয়। সকালে সমস্ত দেব-দেবীর পুজো করা হয়। আবার দক্ষিণায়ন শুরু হলে ছয় মাসের জন্য নিদ্রায় যান সমস্ত দেব-দেবী। এই দক্ষিণায়ন দেবতাদের রাত। রাতে দেব-দেবীর পুজো করা হয় না। কিন্তু দক্ষিণায়নের ছয় মাসের মধ্যেই দুর্গাপুজো (Durga Puja 2025) হয় বলে বোধনের মাধ্যমে আগে দেবী দুর্গাকে ঘুম থেকে তোলা হয়। আর পুরাণ মতে, এই কাজটি সর্বপ্রথম করেছিলেন দশরথ পুত্র রাজা রামচন্দ্র। লঙ্কায় রাবণের সঙ্গে যুদ্ধে যাওয়ার আগে এই তিথিতেই দুর্গার বোধন করেছিলেন রামচন্দ্র। তাই ষষ্ঠীর বোধনে বা অকালে মা দুর্গাকে জাগিয়ে তোলা হয়েছিল বলেই এই বোধনকে অকাল-বোধনও (Maha Sasthi Akalbodhan) বলা হয়ে থাকে।

  • Durga Puja 2025: অষ্টমী পড়ছে কখন? পুষ্পাঞ্জলি থেকে সন্ধিপুজো— জেনে নিন সম্পূর্ণ নির্ঘণ্ট

    Durga Puja 2025: অষ্টমী পড়ছে কখন? পুষ্পাঞ্জলি থেকে সন্ধিপুজো— জেনে নিন সম্পূর্ণ নির্ঘণ্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, পুজোর (Durga Puja 2025) কটা দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল। তা সত্ত্বেও, উমার আরাধনায় মেতে উঠতে প্রস্তুত আপামর বাঙালি। দেবীপক্ষের সূচনাতেই দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন শুরু। আর পুজোর আলোচনা মানেই, আগে অষ্টমীর অঞ্জলীর সময়কাল দেখে নিতে হয়, আবার কখনওবা সন্ধিপুজোর সময়ের দিকে রাখতে হয় খেয়াল। দেখে নেওয়া যাক, এই বছরের দুর্গাপুদোর নির্ঘণ্টে (Panjika Puja Timings) কখন রয়েছে সন্ধিপুজো, কখন রয়েছে অঞ্জলীর সময়কাল।

    বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে দুর্গাপুজো ২০২৫-এর (Durga Puja 2025) নির্ঘণ্ট (Panjika Puja Timings)

    মহাপঞ্চমী – ১০ আশ্বিন (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটে দেবীর বোধন

    মহাষষ্ঠী – ১১ আশ্বিন (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় দেবীর ষষ্ঠ্যাদি কল্পারম্ভ, সন্ধ্যা ৬,৩০ মিনিটে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস

    মহাসপ্তমী – ১২ আশ্বিন (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৫.৪০ মিনিটে দেবীর সপ্তমীবিহিত পূজারম্ভ, নব পত্রিকা স্নান, মহাস্নান

    মহাষ্টমী – ১৩ আশ্বিন (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৫.৪০ মিনিটে অষ্টমীবিহিত পূজারম্ভ, মহাস্নান। সকাল ৯টায় কুমারী পুজো, সন্ধ্যা ৫.৪৩ থেকে ৬.৩১ মিনিট সন্ধিপুজো

    মহানবমী – ১৪ আশ্বিন (১ অক্টোবর) সকাল ৫.৪০ মিনিট দেবীর মহানবমীবিহিত পূজারম্ভ, মহাস্নান। দুপুর ১২.৫৭ থেকে আড়াইটে পর্যন্ত হোম

    দশমী – ১৫ আশ্বিন (২ অক্টোবর) সকাল ৬.৩০ মিনিটে দেবীর দশমীবিহিত পূজারম্ভ, সকাল ৮.৪৫ থেকে ৯.১৫ মিনিটে দর্পণ বিসর্জন, শ্রীশ্রীঠাকুরের সন্ধ্যা আরতির পর প্রতিমা নিরঞ্জন ও শান্তিজল প্রদান

    গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে দুর্গাপুজো ২০২৫-এর (Durga Puja 2025) নির্ঘণ্ট (Panjika Puja Timings)

    মহাপঞ্চমী – শনিবার (১০ আশ্বিন, ইংরেজি ২৭ সেপ্টেম্বর) মহাপঞ্চমী থাকবে সকাল ৮টা ৪৭ মিনিট পর্যন্ত। সন্ধ্যায় দেবীর বোধন।

    মহাষষ্ঠী – রবিবার (১১ আশ্বিন, ইংরেজি ২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা ৪৩ মিনিট পর্যন্ত ষষ্ঠী। পূর্বাহ্ন ৯টা ২৭ মিনিটের মধ্যে শারদীয়া দুর্গাদেবীর ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভ।

    মহাসপ্তমী – সোমবার (১২ আশ্বিন ইংরেজি ২৯ সেপ্টেম্বর) সপ্তমী থাকবে সেদিন দুপুর ১২টা ২৬ মিনিট পর্যন্ত। সকাল ৯টা ২৭ মিনিটের মধ্যে নবপত্রিকার স্নান ও স্থাপন। বেলা ১২টা ২৬ মিনিটের মধ্যে সপ্তমী বিহিত পুজো ও সপ্তমাদি কল্পারম্ভ চতুর্থ কল্প বিহিত পুজো।

    মহাষ্টমী – মঙ্গলবার (১৩ আশ্বিন, ৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১ টা ৪৪ মিনিট পর্যন্ত অষ্টমী তিথি।

    মহানবমী – বুধবার (১৪ আশ্বিন, ১ অক্টোবর) দুপুর ২টো ৩৫ মিনিট পর্যন্ত। সকাল ৯টা ২৭ মিনিটের মধ্যে দুর্গাদেবীর কল্পারম্ভ নবমী বিহিত পুজো। দুপুর ২টো ৩৫ মিনিটের মধ্যে কুমারী পুজো, বলিদান, হোম কর্মাদি ও দেবীর নবরাত্রি ব্রত সমাপন।

    দশমী – (১৪ আশ্বিন, ২ অক্টোবর) দশমী দুপুর ২টো ৫৪ মিনিট পর্যন্ত থাকছে।

  • Durga Puja 2025: মহাষষ্ঠী থেকে দশমী, কোন কোন নিয়ম মেনে হয় মা দুর্গার আরাধনা? জেনে নিন

    Durga Puja 2025: মহাষষ্ঠী থেকে দশমী, কোন কোন নিয়ম মেনে হয় মা দুর্গার আরাধনা? জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব হল দুর্গাপুজো (Durga Puja 2025)। সম্প্রতি কয়েক বছর আগে বাঙালির এই মহোৎসব পেয়েছে ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমাও। এই উৎসব শুধুই আর ধর্মীয় উৎসবে সীমাবদ্ধ নেই। এই উৎসব আজ হয়ে উঠেছে সর্বধর্ম সমন্বয়ের উৎসব। যদিও মহালয়া থেকেই পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। দেবীপক্ষের সূচনা থেকেই শুরু হয় পুজো। পুজোর এই কয়েক দিন, মানুষ তাঁর জীবনের সমস্ত দুঃখ-কষ্ট ভুলে উৎসবে মেতে ওঠেন। মহাষষ্ঠী থেকে বিজয় দশমী, দুর্গাপুজোর এই পাঁচ দিনে বহু নিয়ম মেনে মা দুর্গার আরাধনা করা হয়। জেনে নিন দুর্গা পুজোয় কবে কোন কোন নিয়ম পালন (Puja Rituals) করা হয়।

    মহাষষ্ঠীতে দেবীর বোধন

    মহাষষ্ঠীর (Durga Puja 2025) দিনই শুরু হয়ে যায় দেবীর আরাধনা। দেবীপক্ষের শুক্লা ষষ্ঠী তিথিতে মা দুর্গার বোধন করা হয়। এই রীতির সঙ্গে জড়িত আছে এক পৌরাণিক কাহিনি। বোধনের অর্থ জাগ্রত করা। জাগ্রত করা হয় দেবীকে। মা দুর্গার মৃন্ময়ী মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। কথিত আছে, শরৎকালে দুর্গাপুজোর সূচনা করেছিলেন শ্রীরামচন্দ্র। লঙ্কার রাজা রাবণকে পরাজিত করার জন্য দেবীর আশীর্বাদ কামনায়, তিনিই এই সময় দুর্গার অকাল বোধন (Durga Akal Bodhan) করেন। বোধনের মাধ্যমেই দুর্গাকে আবাহন করা হয়। আর তাতে রামচন্দ্রকে সাহায্য করেছিলেন স্বয়ং ব্রহ্মা।

    মহাসপ্তমীতে নবপত্রিকা বা কলা বউ স্নান

    সপ্তমীতে কলা বউ স্নানের রীতি (Puja Rituals) প্রচলিত আছে। একেই বলা হয় নবপত্রিকা। নবপত্রিকার অর্থ হল নটি পাতা। কিন্তু এই ক্ষেত্রে নটি গাছ দিয়ে নবপত্রিকা গঠন করা হয়। এই নটি গাছ মা দুর্গার নয় শক্তির প্রতীক। গাছগুলি হল-কলাগাছ, কচু, হলুদ, জয়ন্তী, বেল, ডালিম, অশোক, মান ও ধান। সপ্তমীর সকালে নবপত্রিকাকে স্নানের জন্য নদী বা পুকুরে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর লাল পাড় সাদা শাড়িতে মুড়িয়ে ঘোমটা দিয়ে বধূর আকারে সেটিকে গণেশের পাশে স্থাপন করা হয়। অনেকেই বলে থাকেন, নবপত্রিকার পুজো প্রকৃতপক্ষে শস্যদেবীর পুজো। ফসলের উর্বরতার সঙ্গে একটা প্রত্যক্ষ যোগ থাকে এই পুজোতে।

    মহাষ্টমীর অঞ্জলি

    মহাসপ্তমী, মহাঅষ্টমী, মহানবমী-এই তিনদিনই পুষ্পাঞ্জলি (Durga Puja 2025) দেওয়া যায়। কিন্তু অষ্টমীর অঞ্জলিকে একটু বেশিই গুরুত্ব দেন বাঙালিরা। হাত ভরে ফুল নিয়ে পুরোহিতের বলা মন্ত্র উচ্চারণের পর, হাতে ধরে থাকা ফুল-পাতা দেবীর চরণে অর্পণ করা হয়। অঞ্জলি দেওয়ার মাধ্যমে মায়ের প্রতি নিজেদের বিশ্বাস, শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন ভক্তরা। সকলেই মায়ের আশীর্বাদ চান। অশুভ শক্তির বিনাশ চেয়ে শুভ শক্তির প্রকাশ চান।

    কুমারী পুজো

    অষ্টমী বা নবমী তিথিতে বহু জায়গায় কুমারী পুজোর রীতি (Puja Rituals) পালিত হয়। শাস্ত্রমতে, এক থেকে ষোল বছর বয়স পর্যন্ত, যেসব মেয়েরা ঋতুচক্রে পা দেয়নি তাদের দেবী রূপে পুজো করা হয়।

    সন্ধি পুজো

    মহাঅষ্টমীর সমাপ্তি ও মহানবমীর সূচনার সন্ধিক্ষণে করা হয় সন্ধিপুজো। মনে করা হয়, মহাঅষ্টমী ও মহানবমীর সন্ধিক্ষণে দেবী চামুণ্ডা চণ্ড ও মুণ্ড নামে দুই অসুরকে বধ করেছিলেন (Durga Puja 2025)। তাই এই সময় দেবীকে চামুণ্ডা রূপে পুজো করা হয়। সন্ধিপুজোর সমস্ত মন্ত্রই চামুণ্ডা দেবীর মন্ত্র। সন্ধিপুজোয় দেবীকে ১০৮ পদ্ম এবং ১০৮ দীপ জ্বালিয়ে পুজো করা হয়।

    বিজয়া দশমীতে সিঁদুর খেলা

    বিজয়া দশমীতেই সকলকে কাঁদিয়ে মা দুর্গা শ্বশুরবাড়ি পাড়ি দেন। বিজয়ার দিনে সিঁদুর খেলা দুর্গাপুজোর এক বিশেষ অনুষ্ঠান। পতিগৃহে রওনা দেওয়ার আগে উমাকে বরণ করার রীতি (Puja Rituals) প্রচলিত রয়েছে। তাই, দশমীর দিন ঘরের মেয়েকে সিঁদুরে রাঙিয়ে, মিষ্টি মুখ করিয়ে, পান, ধান, দুর্বা দিয়ে বরণ করা হয়। দেবীর বরণের পরই গৃহবধূরা মেতে ওঠেন সিঁদুর খেলায়।

    দেবীর বিসর্জন

    প্রতিমা পুজার অন্তিম পর্যায় বিসর্জন (Durga Puja 2025)। জলের মাধ্যমেই মাটির প্রতিমা প্রকৃতিতে লীন হয়। নৌকায় করে মাঝ নদীতে নিয়ে গিয়ে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন করা হয়। আর শুরু হয় মায়ের অপেক্ষা। পরের বছর মায়ের আগমনের এক বছরের অপেক্ষা। শুরু হয় দিন গোনা।

  • Durga Puja 2025: হুগলির গুপ্তিপাড়ার ‘বারো ইয়ার’-এর পুজোই ধীরে ধীরে হয়ে উঠল সর্বজনীন, জানুন ইতিহাস

    Durga Puja 2025: হুগলির গুপ্তিপাড়ার ‘বারো ইয়ার’-এর পুজোই ধীরে ধীরে হয়ে উঠল সর্বজনীন, জানুন ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোয় (Durga Puja 2025) বারোয়ারি শব্দের বহুল ব্যবহার। তাই স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন জাগে, এই কথাটির প্রকৃত অর্থ কী? পুজোর ক্ষেত্রে এই কথাটি এল কীভাবে? আজকের প্রতিবেদনে আমরা এই বিষয়েই বিস্তারিত আলোচনা করব। শুরুতেই জেনে নেওয়া যাক, এই শব্দের আভিধানিক অর্থ কী? ‘বারোয়ারি’ শব্দটির উৎপত্তি ‘বারো’ এবং ‘ইয়ার’ এই দুটি শব্দ থেকে। ‘ইয়ার’ শব্দের অর্থ বন্ধু। তাহলে বারোয়ারি বলতে বোঝায় বারোজন বন্ধু। বাস্তবে ঘটেওছিল এমনটাই, বারোজন বন্ধুই প্রথম একজোট হয়ে দুর্গাপুজো (Durga Puja 2025) করেছিলেন। তাই এক সঙ্গে যখন অনেকে পুজো করেন, তখন তাকে বলা হয় বারোয়ারি পুজো (Barowari Puja Origin)। এখন অবশ্য ‘বারোয়ারি’ কথাটির বদলে ‘সর্বজনীন’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। তার কারণ, এখন আর বারোজন মিলে কোনও পুজো করেন না, করেন অনেকে মিলে। কোথাও একটা গোটা পাড়া, কোথাও আবার পাড়ার বাইরেও বিভিন্ন জায়গা থেকে চাঁদা তোলা হয়। তাই বারোয়ারি পুজো এখন বদলে হয়েছে সর্বজনীন।

    শুরু হুগলির গুপ্তিপাড়ায়

    কিন্তু মনে প্রশ্ন থেকেই যায়, প্রথম যে বারোজন মিলে পুজো (Durga Puja 2025) শুরু করেছিলেন, তাঁরা কারা? কোথায়ই বা তাঁরা সেই পুজো করেছিলেন। এবার আসা যাক সেই ঘটনাতেই। জানা যায়, ১৭৯০ সালে হুগলির গুপ্তিপাড়ায় বারোজন ব্রাহ্মণ বন্ধু প্রথম চাঁদা তুলে পুজো শুরু করেন। এই পুজোই বারোয়ারি পুজো (Barowari Puja Origin) নামে খ্যাত। বাংলায় যখন দুর্গাপুজো শুরু হয়, তখন তা মূলত হত ধনীদের বাড়িতেই। কারণ দুর্গাপুজোর খরচ বিস্তর। পুজোও চার-পাঁচ দিনের। তাই ধনীরা পুজো করতেন। কিছু কিছু ব্রাহ্মণ বাড়িতেও পুজো হত। তবে তা নিতান্তই সাদামাটাভাবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুজো হত পট কিংবা যন্ত্রে। সেখানে ধনী গৃহস্থ বাড়িতে পুজো হত প্রতিমা বানিয়ে।

    কালীপুজো, জগদ্ধাত্রীপুজোও সর্বজনীন

    এক সময় কলকাতায় হাতে গোনা কয়েকটি সর্বজনীন দুর্গাপুজো (Durga Puja 2025) হত। কালক্রমে পুজোর সংখ্যা বেড়েছে। বেড়েছে আলোর রোশনাই-জৌলুসও। তবে কেবল দুর্গাপুজোই যে সর্বজনীনভাবে হয় তা নয়, বারাসত-বারাকপুরের কালীপুজো, কৃষ্ণনগর, চন্দননগর, বাউড়িয়ার জগদ্ধাত্রীপুজো, উলুবেড়িয়া, কাটোয়া, চুঁচুড়া-বাঁশবেড়িয়া অঞ্চলে কার্তিক পুজো এবং নবদ্বীপের শাক্ত রাসও হয় সর্বজনীনভাবে (Sarbojanin Puja)।

  • Durga Puja 2025: ফিরবে সৌভাগ্য! পুজোর চারদিন কোন রঙের পোশাক পরলে সন্তুষ্ট হন দেবী?

    Durga Puja 2025: ফিরবে সৌভাগ্য! পুজোর চারদিন কোন রঙের পোশাক পরলে সন্তুষ্ট হন দেবী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ একটা বছর অপেক্ষার পর মা দুর্গা আবার আসছেন বাপের বাড়ি। চারপাশে ঢাকের বাদ্যি, উৎসবের মেজাজ। সাজগোজ হোক কিংবা পোশাক—পুজোর চার দিন সব কিছুই হতে হবে পরিপাটি। পুজো মানেই নিজের পছন্দের পোশাকে নিজেকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা। সারা বছর কেনাকাটা হোক বা না হোক, দুর্গাপুজোয় (Durga Puja 2025) কেনাকাটা মাস্ট। তাই পুজোর চারদিন বিভিন্ন রঙের পোশাকে নিজেকে সাজিয়ে নিন। তবে, সৌভাগ্য বজায় রাখতে হলে বা মায়ের আশীর্বাদ পেতে হলে শাস্ত্র মতে বিশেষ রঙের পোশাক (Dresses Colour Code) পরুন পুজোর কটা দিন।

    বিশেষ রঙের গুরুত্ব

    জ্যোতিষশাস্ত্রে রঙের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। রং আমাদের সৌভাগ্য বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা নিয়ে থাকে। হিন্দু ধর্ম অনুসারে বিভিন্ন দেবদেবীর নিজস্ব প্রিয় রং রয়েছে। শাস্ত্রেই রয়েছে মা দুর্গার ৯টি রূপের, নয়টি আলাদা রং রয়েছে। দুর্গাপুজোয় (Durga Puja 2025) পোশাক বেছে নেওয়ার সময় এই ৯টি রঙের (Dresses Colour Code) কথা মাথায় রাখুন। এক্ষেত্রে অবাঙালিরা নবরাত্রি পালন করলেও, বাঙালিরা পুজোর চারদিনের পোশাকই বেছে নিন।

    কোন দিন কোন রং

    দুর্গা ষষ্ঠীতে মা দুর্গার মা কাত্যায়নী রূপের পুজো হয়। কাত্যায়নীর পছন্দের রং লাল। তাই আমরা ষষ্ঠীতে এই রঙের পোশাক পরলে মায়ের আশীর্বাদ পাওয়ার সম্ভবনা থাকে। মায়ের কালরাত্রি রূপের পুজো হয় এ দিন। দুর্গার এই রূপের পছন্দের রঙ নীল। তাই এবার সপ্তমীতে নীল রঙের পোশাক পরলে দুর্গার আশীর্বাদ পেতে পারেন। মা দুর্গার মহাগৌরী রূপ এ দিন পূজিত হয় (Durga Puja 2025)। মহা গৌরীর প্রিয় রঙ গোলাপী। তাই অষ্টমীর সন্ধ্যেয় আমাদের নতুন পোশাকের রঙও গোলাপি হলে মা দুর্গার কৃপাদৃষ্টি পেতে পারি আমরা। নবরাত্রির শেষ দিন মহা নবমীতে দুর্গার মা সিদ্ধিধাত্রী রূপের পুজো করা হয়। মায়ের এই রূপের পছন্দের রঙ বেগুনি (Dresses Colour Code)। নতুন পোশাক-কাপড়ও এদিন আমরা বেগুনি রঙের পরলে মা দুর্গার আশীর্বাদ লাভ করতে পারি। দশমীতে দেবীর বিসর্জন, আবার অপেক্ষা এক বছরের। এদিন লাল ও সাদা রঙের পোশাক পরা সবচেয় শুভ বলে প্রচলিত বিশ্বাস।

  • Durga Puja 2025: দেবীর দশ হাতে থাকা ১০ অস্ত্র আসলে বাস্তব জীবনের নানা প্রতীক! জেনে নিন তাদের অর্থ

    Durga Puja 2025: দেবীর দশ হাতে থাকা ১০ অস্ত্র আসলে বাস্তব জীবনের নানা প্রতীক! জেনে নিন তাদের অর্থ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবী দুর্গার কোনও নির্দিষ্ট রূপ নেই। শক্তিরূপিণী মহামায়াকে কোনও এক রূপের আধারে ধরা যায় না বলেই মায়ের অনেক রূপ। তিনি মা দুর্গতিনাশিনী রূপে পূজিতা (Durga Puja 2025) হন। দেবী দুর্গার (Goddess Durga) আরও এক নাম দশভূজা। তাঁর দশ হাতে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র (Weapons of Goddess Durga) বিদ্যমান থকে। নানা অস্ত্রে সজ্জিতা দেবী অশুভশক্তিকে সংহার করতে মর্তধামে আসেন। মানব-জাতির ওপর নেমে আসা অন্ধকার দূর করতে, অশুভশক্তির বিনাশ করতে অস্ত্র হাতে তুলে নেন। তিনি আবার সকল সৃষ্টি-স্থিতি-লয়কে একত্রে ধারণ করেন। দশভূজা দেবীর দশ অস্ত্রের মাহাত্ম্যকথা কেমন জানেন? আসুন একবার মায়ের দশ অস্ত্রের উৎস এবং শক্তির প্রকার জেনে নিই।

    দেবীকে রণসাজে সাজালেন কারা?

    ত্রিশূল: দেবাদিদেব মহাদেব মা দুর্গাকে (Durga Puja 2025) ত্রিশূল দান করেছিলেন। ত্রিশূলের তিনটি ফলা আসলে ‘ত্রিগুণ’-এর প্রতীক। প্রত্যেক জীবের মধ্যেই বর্তমান থাকে সত্ত্ব, রজঃ এবং তমঃ—এই ত্রিগুণ। সত্ত্ব হল ধর্ম জ্ঞান, রজঃ মানে অহঙ্কার এবং তমঃ মানে অন্ধকার। তিন গুণের ধারক-বাহক দেবী দুর্গা।

    চক্র: ভগবান শ্রীবিষ্ণু দেবী দুর্গার সুদর্শন চক্রটি দিয়েছিলেন (Weapons of Goddess Durga)। এই চক্রের নির্দেশে বিশ্ব নিয়ন্ত্রিত হয়। দেবীর ব্রহ্মাণ্ড শক্তি আবর্তিত হয় সৃষ্টিকে কেন্দ্র করে। অধর্মের মাত্রা অধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পেলে মা চক্র দিয়ে সমূলে বিনাশ করেন।

    পদ্ম: দেবীকে পদ্ম দিয়েছিলেন স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মাদেব। পদ্ম হল ব্রহ্মের প্রতীক বা জ্ঞানের প্রতীক। অর্ধস্ফুট পদ্ম মানব চেতনে আধ্যাত্মিক জ্ঞানের জাগরণকে নির্দেশ করে। পরিপূর্ণ জ্ঞণা বা প্রজ্ঞার আধার হল এই পদ্ম। পুজোতে তাই ১০৮টা পদ্ম নিবেদন করা হয়।

    তির ধনুক: পবনদেব-সূর্যদেব মা দুর্গাকে দিয়েছিলেন তির ও ধনুক। তির ও ধনুক হল প্রাণশক্তির প্রতীক। ধনুক যেখানে সম্ভাব্য ক্ষমতাকে নির্দেশ করে, তির নির্দেশ করে ওই ক্ষমতার গতিময়তাকে। একই সঙ্গে তির ও ধনুক দ্বারা বোঝানো হয় যে মা দুর্গা ব্রহ্মাণ্ডের সকল শক্তির উৎস। শক্তিকে কেন্দ্রীভূত করতে সাহায্য করে এই অস্ত্র।

    ঘণ্টা: বিভিন্ন অস্ত্রের সঙ্গে দেবীর হাতে থাকে ঘণ্টা (Weapons of Goddess Durga)। পুরাণে কথিত আছে, দেবরাজ ইন্দ্রের বাহন ঐরাবত দুর্গাকে এই ঘণ্টা দিয়েছিলেন। ঘণ্টা ধ্বনি অসুরদের তেজকে দুর্বল করে।

    বজ্র: দেবরাজ ইন্দ্রদেব মা দুর্গাকে দেন বজ্র অস্ত্রটি। বজ্র হল আত্মশক্তির প্রতীক। সামান্য মেঘের ঘর্ষণ থেকে যেভাবে অমিত বজ্রশক্তি উৎপন্ন হয়, তেমনই আত্মশক্তি তৈরি হয় কর্ম থেকেই। এই শক্তি দিয়ে অসুর দমন করা যায়।

    সর্প: মা দুর্গাকে (Durga Puja 2025), মহাদেব অস্ত্র হিসেবে সাপ প্রদান করেছিলেন। এই সর্প হল চেতনা ও শক্তির প্রতীক। দেবীর হাতে সাপ হল—চেতনার নিম্নস্তর থেকেও সাধনাকে উচ্চতরে পৌঁছানোর প্রতীকী আধার।

    শঙ্খ: জলদেবতা বরুণদেব মহামায়াকে দিয়েছিলেন শঙ্খ (Weapons of Goddess Durga)। যার ধ্বনি মঙ্গলময় এবং সংকেতবহ। শঙ্খের আওয়াজে স্বর্গ, মর্ত্য ও নরক জুড়ে থাকা সব অশুভ শক্তি ভীত ও দুর্বল হয়ে পড়ে। যুদ্ধের প্রধান প্রারম্ভিক অস্ত্র হিসেবও ব্যবহার হয় শঙ্খ।

    তলোয়ার: তলোয়ার হল বুদ্ধির প্রতীক। যুদ্ধের ক্ষেত্রে বুদ্ধির তীক্ষ্ণতা অনেক বেশি প্রয়োজন থাকে। দেবী দুর্গাকে এই অস্ত্র দান করেন গণেশ। এই অস্ত্র দিয়ে বিনাশ বা অশুভ শক্তিকে ধ্বংস করা হয়। অসুরদের বিনাশ করে জগত জননী কল্যাণ সাধন করে থাকেন এই অস্ত্রের মাধ্যমে।

    গদা: যমরাজ নিজে দেবী দুর্গাকে (Durga Puja 2025) গদা দান করছেন। এই গদা হল অস্ত্রের প্রতি আনুগত্য এবং রক্ষার প্রতীক। এই গদা হল কালদণ্ডের প্রতীক।

  • Amit Shah: রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, উদ্বোধন করবেন তিন পুজোর

    Amit Shah: রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, উদ্বোধন করবেন তিন পুজোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিতৃপক্ষে দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল উদ্বোধন করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পিতৃপক্ষের অবসান শেষে শুরু হয়েছে দেবীপক্ষ। এই দেবীপক্ষেই বাংলায় দেবীমূর্তির (Durga Puja) আবরণ উন্মোচন করতে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জানা গিয়েছে, শুক্রবার চতুর্থীর দিন দুপুরের মধ্যে কলকাতায় আসবেন শাহ। তার পরে শহরের দু’টি নামী পুজোর উদ্বোধনে যোগ দেবেন তিনি। একটি সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো, অন্যটি ইজেডসিসির দুর্গাপুজো। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো বিজেপি নেতা সজল ঘোষের পুজো নামেই বিখ্যাত।

    থিমের অভিনবত্ব সজল ঘোষের পুজোয় (Amit Shah)

    থিমের অভিনবত্বের কারণেই ফি বছর আলোচনার কেন্দ্রে থাকে সজল ঘোষের পুজো। কখনও অযোধ্যার রামমন্দির, কখনও আবার দিল্লির লালকেল্লা করে দর্শকদের চমকে দিয়েছেন তিনি। এবার এই পুজোর থিম হল ‘অপারেশন সিঁদুর’। মূলত এই থিমেরই উদ্বোধন করতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের এই পুজো এবার পা দিল ৯০ বছরে। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোর উদ্বোধন করে শাহ (Amit Shah) যাবেন ইজেডসিসির পুজোর উদ্বোধন করতে। এই পুজোর আয়োজন করেছে পশ্চিমবঙ্গ সাংস্কৃতিক মঞ্চ নামের এক সংগঠন। এই পুজো শুরু হয়েছিল মুকুল রায়ের হাত ধরে। তিনি তখন ছিলেন বিজেপিতে। পরে তৃণমূলেই ফিরে যান দলবদলু মুকুল। পুজো হয়েছিল তার পরের বছরও। পরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এবার ফের হচ্ছে সেই পুজোর আয়োজন। খুঁটিপুজোর দিন উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।

    দক্ষিণ কলকাতার মণ্ডপ উদ্বোধনেও যাবেন শাহ

    বঙ্গ বিজেপি সূত্রে খবর, দক্ষিণ কলকাতার একটি মণ্ডপ উদ্বোধনেও যেতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে সেটি কোন মণ্ডপ কিংবা উদ্যোক্তাই বা কারা, সে সম্পর্কে মুখে কুলুপ এঁটেছেন পদ্ম-নেতৃত্ব। তবে কেন্দ্রটি যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী কেন্দ্র ভবানীপুর লাগোয়া এলাকায়, তা নিশ্চিত। বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তাই এ বছর তড়িঘড়ি করে পিতৃপক্ষেই ‘হিজাব’ পরে প্যান্ডেলের উদ্বোধন করেছেন মমতা। এ নিয়ে তাঁকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এবার (Durga Puja) শাহকে এনে ‘অপারেশন সিঁদুর’ থিমের উদ্বোধন করিয়ে রাজ্যবাসীকে বার্তা দিতে চাইছে পদ্মশিবির (Amit Shah)।

  • Durga Puja 2025: দেবী দুর্গা ও তাঁর সন্তানদের সঙ্গে থাকা বাহনগুলির পৌরাণিক তাৎপর্য কি জানেন?

    Durga Puja 2025: দেবী দুর্গা ও তাঁর সন্তানদের সঙ্গে থাকা বাহনগুলির পৌরাণিক তাৎপর্য কি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শরৎকালে প্রতি বছর মা দুর্গা (Durga Puja 2025) কৈলাস থেকে মর্তে বাপের বাড়িতে আসেন সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে। মা দুর্গা এবং তাঁর সন্তানদের সঙ্গে আসেন বাহনগুলিও। ইঁদুর আসে গণেশের সঙ্গে, রাজহাঁস আসে মা সরস্বতীর সঙ্গে, পেঁচা আসে মা লক্ষ্মীর সঙ্গে, ময়ূর আসে কার্তিকের সঙ্গে এবং স্বয়ং মা দুর্গা আসেন সিংহের পিঠে চড়ে। বাহনগুলির পৌরাণিক কাহিনিতে (Hindu Mythology) যাওয়ার আগে বলা দরকার, ভারতীয় উপমহাদেশে প্রকৃতি পুজোর রীতি বৈদিক যুগ থেকেই ছিল। মাটি, অগ্নি, বায়ু, নদী, গাছ সবকিছুই পুজো করা হত ওই যুগে। একটি মন্ত্রে আছে-

    গঙ্গেচযমুনেচৈব গোদাবরীসরস্বতী।
    নর্মদে সিন্ধু কাবেরী জলস্মিনসন্নিদ্ধিম কুরু।।

    অর্থাৎ, ভারতীয় সভ্যতায় গাছপালা, নদনদীর সঙ্গে সঙ্গে জীবজন্তুও মানুষের দৈনন্দিন কাজে উপকারী বলেই গণ্য হয়। এই ধারণা থেকেই বাহন হিসেবে হয়তো তারাও পূজিত হয়। এবার আসা যাক পৌরাণিক কাহিনিগুলিতে।

    মা দুর্গার বাহন সিংহ (Durga Puja 2025)

    পুরাণ অনুযায়ী (Mythological Significance)-দেবী পার্বতী হাজার বছর ধরে তপস্যা করেছিলেন শিবকে তাঁর স্বামী হিসেবে পাওয়ার জন্য। তপস্যার কারণে দেবী অন্ধকারে মিশে যান। বিয়ের পর পার্বতীকে মহাদেব কালী বলে সম্বোধন করলে দেবী তৎক্ষণাৎ কৈলাস ত্যাগ করে ফের তপস্যায় মগ্ন হয়ে যান। তপস্যা রত দেবীকে শিকার করার ইচ্ছায় এক ক্ষুধার্ত সিংহ তাঁর দিকে আসতে শুরু করে। কিন্তু দেবীকে দেখে সেখানেই চুপ করে বসে যায় সে। সেই সময় বসে বসে সিংহ চিন্তা করতে থাকে, দেবী তপস্যা থেকে যখন উঠবেন, তখন তিনি খাবার হিসেবে গ্রহণ করবেন। এর মধ্যে বহু বছর কেটে যায়, কিন্তু সিংহ তার নিজের জায়গা থেকে নড়ে না। এদিকে দেবী পার্বতীর তপস্যা সম্পন্ন হওয়ার পর মহাদেব আবির্ভূত হলে পার্বতীকে গৌরবর্ণ বলে বর্ণনা করেন (Durga Puja 2025)। যে সিংহটি দেবীকে শিকার করতে এসেছিল, তাকেই বাহন হিসেবে গ্রহণ করেন দেবী। কারণ দেবীর জন্য অনেক বছর অপেক্ষা করেছিল সিংহ। এরপর পার্বতীর বাহনকে সিংহ বলে মনে করা হয়। আবার কালিকাপুরাণ অনুযায়ী, শ্রীহরি দেবীকে বহন করছেন। এই হরি শব্দের এক অর্থ সিংহ। আবার শ্রীশ্রীচণ্ডীতে উল্লেখ আছে গিরিরাজ হিমালয় দেবীকে সিংহ দান করেন। শিবপুরাণ বলে, ব্রহ্মা দুর্গাকে বাহনরূপে সিংহ দান করেছেন। সিংহ হলো শৌর্য, পরাক্রম, শক্তির প্রতীক। অসুরদের বিনাশকারী বাহন সিংহ।

    গণেশের বাহন ইঁদুর

    স্বর্গে দেবলোকের সভায় গান গেয়ে সকলের মনোরঞ্জন করতেন ক্রঞ্চ নামে এক গন্ধর্ব। একদিন বামদেব নামে এক ঋষি এসে উপস্থিত হন সেই সভায়। তিনি গান করতে থাকেন। সেই গান শুনে নিজের হাসি চাপতে পারেননি গন্ধর্ব ক্রঞ্চ। সেই হাসি দেখে ফেলেন বামদেব। সঙ্গে সঙ্গে ক্রোধান্বিত হয়ে পড়ে তিনি ক্রঞ্চকে অভিশাপ দেন। অভিশাপের ফলে ক্রঞ্চ ইঁদুর হয়ে যান। ঋষি অভিশাপ দেন, কোনও দিন আর গান গাইতে পারবেন না ক্রঞ্চ। ক্রঞ্চ নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান। কিন্তু তাতে বিশেষ ফল হয়নি। তিনি ইঁদুর হয়ে যান এবং মর্ত্যে নেমে আসেন। তবে মুনি বলেছিলেন কোনও দিন যদি গণেশ তাঁকে বাহন করেন তা হলে মুক্তি মিলবে। মর্তলোকে তিনি যেখানে নেমেছিলেন, কাছেই ছিল পরাশর মুনির কুটির। ইঁদুর ক্রঞ্চ সেখানেই নিজের খাদ্যের সন্ধানে যেতে শুরু করেন। এদিকে ইঁদুরের উৎপাতে অতিষ্ট হয়ে ওঠেন কুটিরবাসীরা। অপর দিকে একদিন গণেশ সেই মুনির কুটিরে পৌঁছন। সেখানে জানতে পারেন ইঁদুরের কুকীর্তির কথা। তখন তাকে ধরতে উদ্যত হন গণেশ। অবশেষে ধরেও ফেলেন। কিন্তু ক্রঞ্চ নিজের পরিচয় দিয়ে সব কথা বলেন গণেশকে। বলেন, বামদেব বলেছিলেন যে স্বয়ং দুর্গা (Durga Puja 2025) পুত্র গণপতি যদি তাকে তাঁর বাহন করেন, তবেই ঘুচবে তাঁর দুঃখ। এ কথা শুনে ইঁদুরকেই তিনি নিজের বাহন হিসেবে স্বীকৃতি দেন।

    মা লক্ষ্মীর বাহন পেঁচা

    পৌরাণিক (Hindu Puranas) গল্প অনুযায়ী, যখন দেব-দেবীরা প্রাণীজগতের সৃষ্টি করেছিলেন তখন তাঁরা পৃথিবী ভ্রমণে আসেন। সেই সময় পশু ও পাখিরা দেবতাদের ধন্যবাদ জানায়। পশু ও পাখিরা বলতে থাকে, আপনারা যেহেতু আমাদের তৈরি করেছেন তাই আপনাদের বাহন হয়ে আমরা পৃথিবীতে থাকব। সেই সময় দেবতারা নিজেদের বাহন পছন্দ করে নেন। যখন দুর্গা কন্যা (Durga Puja 2025) লক্ষ্মীর নিজের বাহন বেছে নেওয়ার সময় আসে, তখন তিনি বলেন আমি যেহেতু রাতে পৃথিবীতে আসি তাই রাতে যে প্রাণী দেখতে পায় সেই হবে আমার বাহন। এরপর পেঁচা হয়ে ওঠে দেবী লক্ষ্মীর বাহন।

    কার্তিকের বাহন ময়ূর

    তারকাসুরকে বধ করেছিলেন দেবসেনাপতি কার্তিক। পৌরাণিক কাহিনী মতে, মৃত্যুর আগে তারকাসুর কার্তিকের বাহন হিসেবে থাকতে চেয়েছিল। ময়ূরের ছদ্মবেশে কার্তিককে আক্রমণও করেছিল যুদ্ধ ক্ষেত্রে তারকাসুর। কথিত আছে ওই ময়ূরটিই হল দুর্গা (Durga Puja 2024) পুত্র কার্তিকের বাহন।

    সরস্বতীর বাহন রাজহাঁস

    হাঁস নাকি জল, স্থল, অন্তরীক্ষে থাকতে পারে। জ্ঞান ও বিদ্যার দেবীকেও এই তিনটি জায়গায় থাকতে হয় জ্ঞান ও বিদ্যাদানের জন্য। তাই বাহন হিসেবে হাঁসকেই বেছে নিয়েছেন দেবী দুর্গার (Durga Puja 2025) কন্যা সরস্বতী। একই ভাবে হংস শব্দের ‘হং’ এবং ‘স’ এই দুটি শব্দের মধ্যে জাগতিক শক্তি এবং শাক্তির আধারের মহাজ্ঞান গ্রন্থিত হয়ে রয়েছে। তাই হংস বিদ্যাদেবীর বাহন হয়ে মহাপ্রজ্ঞার প্রতীক।

  • PM Modi in Bengal: পুজোর আগে ফের বাংলায় প্রধানমন্ত্রী মোদি! জনসভা ও পুজোর উদ্বোধনে শহরে আসছেন শাহ

    PM Modi in Bengal: পুজোর আগে ফের বাংলায় প্রধানমন্ত্রী মোদি! জনসভা ও পুজোর উদ্বোধনে শহরে আসছেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগে ফের রাজ্যে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Bengal)। দিন তিনেক আগেই ঝটিকা সফরে বাংলায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সভা করেছিলেন দমদমে। এবার তিনি যেতে পারেন নদিয়ায়। শুধু প্রধানমন্ত্রী নন। পুজোর আগে বাংলায় পা রাখতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit shah)। পুজোর আগে তিনি ২ বার বাংলায় আসতে পারেন। রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন। তাই পুজোর মরসুমেও রাজনৈতিক পালাবদলের অপেক্ষা রাজ্যে। মহালয়ার আগে-পরে বড় পরিকল্পনা সামনে রেখে প্রস্তুতি নেওয়া চলছে বিজেপির (BJP)।

    পুজোর মুখে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে প্রচারে ঝাঁপিয়েছে বঙ্গ বিজেপি (Bengal BJP)। গত কয়েকদিনে তিন বার বঙ্গসফরে এসেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Bengal)। এদিকে পুজো উদ্বোধনে শহরে আসার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। কারণ মহালয়ার আগের দিন আসছেন মোদি, পরের দিন শাহ। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর এবং ২২ সেপ্টেম্বর মোদি-শাহের উপর্যুপরি বঙ্গসফর দেবীপক্ষের প্রথম দিন পর্যন্ত রাজনৈতিক উত্তাপের পারদ তুঙ্গে রাখবে বলে অনেকে মনে করছেন। তবে, এখনই পুজোর আগে মোদি-শাহের কর্মসূচি সম্পর্কে আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করতে নারাজ বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।

    বাংলায় পর পর সভা প্রধানমন্ত্রীর

    বিজেপি সূত্রের খবর, দেবীপক্ষ শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত রাজনৈতিক সক্রিয়তা বিন্দুমাত্র শিথিল করার পরিকল্পনা নেই। পশ্চিমবঙ্গে (PM Modi in Bengal) বিজেপির ১০টি সাংগঠনিক বিভাগ রয়েছে। এক একটি বিভাগে সর্বোচ্চ পাঁচটি এবং সর্বনিম্ন তিনটি করে লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক এবং রাজ্য নেতৃত্বের যৌথ সিদ্ধান্ত, ২০২৫ সাল শেষ হওয়ার আগেই প্রত্যেক বিভাগে প্রধানমন্ত্রী মোদির একটি করে জনসভা হবে। শিলিগুড়ি বিভাগের আলিপুরদুয়ারে, বর্ধমান বিভাগের দুর্গাপুরে এবং কলকাতা বিভাগের দমদমে সেই জনসভা হয়ে গেছে। বাকি এখনও সাতটি বিভাগে সাতটি জনসভা। সেগুলির মধ্যে একটি পুজোর আগেই সেরে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে। বাকি ছ’টি হবে পুজোর পরে। তার জন্য পুজোর পর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতি মাসে দু’বার করে বাংলায় আসতে পারেন মোদি।

    পরবর্তী সভা নদিয়ায়

    সব ঠিক থাকলে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর নদিয়ার নবদ্বীপে জোড়া সভা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi in Bengal)। একটি প্রশাসনিক সভা আর একটি রাজনৈতিক সভা করার কথা তাঁর। বিজেপির সাংগঠনিক কাঠামোয় নবদ্বীপ বিভাগের অধীনে পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্র পড়ে। রানাঘাট, কৃষ্ণনগর, বহরমপুর, জঙ্গিপুর এবং মুর্শিদাবাদ। তার মধ্যে একমাত্র রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রই বিজেপির দখলে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি সেই লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই কোথাও আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে স্থান এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

    বাংলায় আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    মোদির ফের বঙ্গে পা রাখার আগে ২ বার বাংলা সফরে আসতে পারেন অমিত শাহ। আগামী ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির পঞ্চায়েতি রাজ সম্মেলন হওয়ার কথা। সেখানে প্রধান বক্তা অমিত শাহ। তবে জায়গা এখনও ঠিক হয়নি। কারণ, ১১ হাজার দলীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে একসঙ্গে কোথায় জায়গা দেওয়া হবে, তা নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে বঙ্গ বিজেপিতে। পঞ্চায়েতি রাজ সম্মেলনের পর পুজোর আগে আরও একবার বাংলায় আসার কথা শাহর। মহালয়ার পরের দিন, ২২ সেপ্টেম্বরে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার পুজোর উদ্বোধন করার কথা তাঁর। বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের পুজো হিসেবে পরিচিত এই দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে আগেও এসেছেন তিনি। ওইদিনই বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ সাংস্কৃতিক মঞ্চ আয়োজিত দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে অংশ নেওয়ার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। দু’বছর পরে ওই পুজোর আবার আয়োজন হচ্ছে ইজেডসিসিতে। ২০২০ সালে ইজেডসিসির এই পুজোর উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। অবশ্য কলকাতায় এসে নয়। দিল্লি থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে পুজোর উদ্বোধন করেছিলেন তিনি। এবার শাহ কলকাতায় এসেই সে পুজোর উদ্বোধন করবেন। রাজ্য বিজেপির সাংস্কৃতিক শাখার প্রধান রুদ্রনীল ঘোষ গোটা আয়োজনের দায়িত্বে।

LinkedIn
Share