Tag: Durga Puja Rituals

Durga Puja Rituals

  • Durga Puja 2025: সন্ধিপুজোয় লাগে ১০৮টি পদ্ম, জ্বালানো হয় ১০৮টি প্রদীপ, কী এর মাহাত্ম্য?

    Durga Puja 2025: সন্ধিপুজোয় লাগে ১০৮টি পদ্ম, জ্বালানো হয় ১০৮টি প্রদীপ, কী এর মাহাত্ম্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ধিপুজোর (Sandhi Puja) সময় দেবীকে চামুণ্ডা রূপে পুজো করা হয়। তাই, দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2025) অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল সন্ধিপুজো। বলা হয়, অষ্টমী এবং নবমীর সন্ধিক্ষণের এই পুজোয় সারা বছর বিশেষ ফল লাভ হয়। অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট এবং নবমী তিথির প্রথম ২৪ মিনিট এই ৪৮ মিনিটের মধ্যেই শেষ হয় সন্ধিপুজো। এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেকগুলি নিয়মকানুন এবং রীতিনীতি। যার মধ্যে অনেক নিয়ম অনেকেরই অজানা।

    কেন সন্ধিপুজোয় ব্যবহার করা হয় ১০৮টি পদ্ম ফুল? (Durga Puja 2025)

    পূরাণ মতে, দেবী দুর্গা আবির্ভূত হন অষ্টমী ও নবমী তিথির মিলনক্ষণেই, দেবী চামুণ্ডা রূপে। চন্ড ও মুন্ড নামক দুই ভয়ানক অসুরকে এই সন্ধিক্ষণে বধ করেছিলেন দেবী। অন্যদিকে কৃত্তিবাসের রামায়ণে উল্লেখ আছে, রাক্ষসরাজ রাবণকে বধ করার জন্য আশ্বিন মাসেই রামচন্দ্র অকাল বোধন করেন। সেখানেও সন্ধিপুজোর (Durga Puja 2025) বিশেষ তিথিতে দেবীকে ১০৮টি পদ্ম নিবেদন করা হয়। সেই সময় হনুমানকে দেবীদহ থেকে ১০৮টি পদ্ম ফুল তুলে আনতে বলা হয়। কিন্তু সেখানে পাওয়া যায় ১০৭টি পদ্ম। তখন রাম নিজে তাঁর পদ্ম সমান নেত্র দান করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তখন দেবী আবির্ভূত হয়ে বরদান করেন যে, তিনি রাবণের থেকে নিজের সুরক্ষা সরিয়ে নেবেন। পদ্ম পবিত্রতার প্রতীক। পাঁকে জন্মালেও তার গায়ে কাদা লাগে না। সেরকমই বাইরের খারাপ মানুষের অন্তরকে যাতে ছুঁতে না পারে, তার উদ্দেশ্যেই দেবীর পায়ে পদ্ম সমর্পণ করা হয়।

    কেন জ্বালানো হয় ১০৮টি প্রদীপ?

    হিন্দু সংস্কৃতিতে, ১০৮ সংখ্যাটির গুরুত্ব কম নয়। দেবতাদের জপ করা হয় ১০৮টি নামের মধ্য দিয়ে। কৃষ্ণের অষ্টতর শত নামের মাহাত্ম্য সকলের জানা। আবার আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী মানব শরীরে রয়েছে ১০৮টি পয়েন্ট। দুর্গাপুজোতেও (Durga Puja 2025) ১০৮টি পদ্মের পাশাপাশি ১০৮টি প্রদীপ জ্বেলে দেবীর কাছে প্রার্থনা করা হয় অন্ধকার মুছে মানুষকে আলোর পথে নিয়ে যাওয়ার। ১০৮ প্রদীপের আলো অজ্ঞতা ও অশুদ্ধতা বিনাশ করে।

  • Durga Puja 2025: মহাষ্টমী ও নবমীর সংযোগ মুহূর্তে কেন হয় সন্ধি পুজো? কী ফল মেলে?

    Durga Puja 2025: মহাষ্টমী ও নবমীর সংযোগ মুহূর্তে কেন হয় সন্ধি পুজো? কী ফল মেলে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাষ্টমীর (Durga Puja 2025) শেষ ২৪ মিনিট এবং নবমীর প্রথম ২৪ মিনিট, এই মোট ৪৮ মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হয় সন্ধিপুজো (Sandhi Puja)। অষ্টমী থেকে নবমীর সংযোগ মুহূর্তে কোনও এক উদ্যোক্তা ‘জয় মা’ ধ্বনি তোলেন। বাড়ি থেকে পাড়ার পুজো সবেতেই কমবেশি এই রীতি দেখা যায়।

    কেন হয় সন্ধিপুজো? (Durga Puja 2025)

    ১০৮টি পদ্ম এবং ১০৮টি মাটির প্রদীপ সহযোগে সম্পন্ন হয় সন্ধি পুজো। প্রথা অনুযায়ী সন্ধি পুজোয় (Sandhi Puja) দেবী দুর্গাকে পুজো করা হয় চামুণ্ডা রূপে। পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী, যখন মহিষাসুরের (Durga Puja 2025) সঙ্গে দেবী যুদ্ধ করছিলেন, সেই সময় চণ্ড ও মুণ্ড দেবীকে আক্রমণ করেছিল। চণ্ড ও মুণ্ড ছিল মহিষাসুরের দুই সেনাপতি। তাদের দেবী দুর্গা বধ করেছিলেন। সেই থেকে দেবীর নাম হয় চামুণ্ডা। ভক্তদের বিশ্বাস, চণ্ড ও মুণ্ডকে যে সন্ধিক্ষণে দেবী বধ করেছিলেন, সেই ক্ষণেই সন্ধি পুজোর আয়োজন করা হয়।

    দেবী কালিকার জন্ম আখ্যান

    আবার অন্য একটি পৌরাণিক (Durga Puja 2025) মতে, এই সন্ধিপুজোর সন্ধিক্ষণে দেবী কালিকার জন্ম হয়েছিল মাতা অম্বিকার তৃতীয় নয়ন থেকে। পরাক্রমশালী অসুর রক্তবীজের প্রতিটি রক্তবিন্দু থেকে নতুন অসুরের জন্ম হত। রক্তবীজের সমস্ত রক্ত দেবী কালিকা পান করেছিলেন বলে পৌরাণিক কাহিনিতে উল্লেখ রয়েছে। এই সন্ধিক্ষণে ক্ষণিকের জন্য হলেও দেবীর অন্তরের সমস্ত স্নেহ-মমতার অবসান ঘটে বলে মনে করা হয়। এজন্য সন্ধিপুজো চলাকালীন দেবীর দৃষ্টির সামনে কাউকে যেতে দেওয়া হয় না। দৃষ্টিপথ পরিষ্কার রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

    সন্ধিপুজোয় (Sandhi Puja) কী ফল মেলে জানেন?

    প্রথা অনুযায়ী সন্ধিপুজোয় পুজোর শেষ ধাপ (Durga Puja 2025) অর্থাৎ শেষ ২৪ মিনিটে বলিদান সম্পন্ন হয়। সাধারণত ছাগলের পাশাপাশি কোনও কোনও জায়গায় আখ, কলা, চালকুমড়ো ইত্যাদিও দেবীকে বলি দেওয়া হয়ে থাকে। কথিত আছে, সংযমী হয়ে ভক্তি ভরে নিষ্ঠার সঙ্গে উপবাসী থেকে সন্ধিপুজো করলে যমের হাত থেকেও মুক্তি মেলে। অর্থাৎ মৃত্যুর সময় দেবীর কৃপায় যমের স্পর্শও রোখা যায়। আবার বলা হয়, নিষ্ঠা এবং ভক্তির সঙ্গে সন্ধিপুজো করলে যে ফল পাওয়া যায়, তা সারা বছর পুজোয় ফললাভের সমকক্ষ।

  • Durga Puja 2025: কেন করা হয় কুমারী পুজো? বয়স অনুযায়ী কুমারীদের কী কী নামে ডাকা হয়?

    Durga Puja 2025: কেন করা হয় কুমারী পুজো? বয়স অনুযায়ী কুমারীদের কী কী নামে ডাকা হয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2025) অষ্টমী মানেই সকালে স্নান করে নতুন জামাকাপড় পরে অঞ্জলি দেওয়া। তবে এদিন আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ রীতি হল কুমারী পুজো (Kumari Puja)। কোনও কুমারীকে দেবীজ্ঞানে পুজো করা হয় এদিন। হিন্দুধর্ম বিশ্বাসীদের মতে, জীব সেবাই শিব সেবা। অর্থাৎ জীবের মধ্যে দিয়েই শিব বা দেবতাকে খোঁজা। শাস্ত্রজ্ঞদের একাংশের মতে, সেই কারণেই দুর্গাপুজোয় হয় কুমারী পুজো।

    কেন করা হয় কুমারী পুজো?

    শাস্ত্রানুযায়ী, কুমারী পুজোর (Durga Puja 2025) উৎপত্তি হয় কোলাসুরকে বধ করার মধ্যে দিয়ে। গল্পে বলা আছে, কোলাসুর নামে এক অসুর স্বর্গ ও মর্ত্যের অধিকার নেওয়ার ফলে দেবতাগণ মহাকালীর শরণাপন্ন হন। দেবগণের ডাকে সাড়া দিয়ে দেবী পুর্নজন্ম নিয়ে কুমারীরূপে কোলাসুরকে বধ করেন। এর ফলে মর্ত্যে কুমারী পুজোর (Kumari Puja) প্রচলন শুরু হয়। বর্ণনা অনুযায়ী, কুমারী পুজোতে কোনও জাতি, ধর্মভেদ নেই। তবে সাধারণত ব্রাক্ষণ কন্যাকেই পুজো করা হয়। এছাড়াও সেকালের ঋষি-মুনিরা প্রকৃতিকে নারীর সমান মনে করতেন। তাই কুমারী পুজোর মাধ্যমে প্রকৃতিকে পুজো করতেন তাঁরা। কারণ, তাঁরা মনে করতেন, মানুষের মধ্যেই রয়েছে ঈশ্বর। বিশেষ করে যাদের মন সৎ, যারা নিষ্পাপ, তাদের মধ্যেই ভগবানের প্রকট সবথেকে বেশি। এই গুণ কেবলমাত্র কুমারীদের মধ্যে থাকতে পারে, এই ভেবে তাদের দেবীরূপে পুজো করা হয়। আবার শাস্ত্রমতে, এক থেকে ষোল বছর বয়স পর্যন্ত ঋতুমতী না হওয়া বালিকাদেরই কুমারী রূপে পুজো (Kumari Puja) করা হয়। নতুন বস্ত্র, ফুলের মালা, মুকুট, পায়ে আলতা, কপালে সিঁদুরের টিপ ও তিলক পরিয়ে কুমারীদের সাজিয়ে তোলা হয়। বয়সভেদে কুমারীর নাম রয়েছে ভিন্ন।

    কুমারীদের কী নামে ডাকা হয়?

    এক বছরের কুমারীর নাম সন্ধ্যা। দু’বছরের কুমারী সরস্বতী নামে খ্যাতা। তিন বছরের কন্যাকে বলা হয় ত্রিধামূর্তি। চার বছরের কন্যা দেবী কালিকা নামে পরিচিতা। পাঁচ বছরের কন্যা সুভগা নামে খ্যাতা। ছয় বছরের কুমারীকে বলা হয় উমা। কুমারীর বয়স সাত হলে তিনি মালিনী। বয়স আট হলে তিনি কুঞ্জিকা নামে পরিচিতা হবেন। নয় বছরের কুমারীকে বলা হয় কালসন্দর্ভা। কুমারীর বয়স দশ হলে তিনি হবেন অপরাজিতা। কুমারীর (Kumari Puja) বয়স এগারো হলে তিনি পরিচিত হবেন রুদ্রাণী রূপে। বারো বছরের কুমারী ভৈরবী হিসেবে পরিচিত। কুমারীর বয়স তেরো হলে তিনি হবেন মহালক্ষ্মী। চোদ্দ বছরের কুমারীকে বলা হয় পঠিনায়িকা। কুমারীর বয়স পনেরো হলে তিনি হবেন ক্ষেত্রজ্ঞা। আর ষোল কুমারী যদি ষোলো বছর বয়স্কা হন, তাহলে তিনি অম্বিকা নামে পরিচিত হবেন।

    বেলুড় মঠে কবে শুরু হয় কুমারী পুজো?

    ১৯০১ সালে স্বামী বিবেকানন্দ কলকাতার বেলুড় মঠে প্রথম কুমারী পুজো (Kumari Puja) শুরু করেছিলেন। সেই থেকেই প্রতি বছর বেলুড়ে মহা ধুমধাম করে এই পুজোর প্রথা চলে আসছে। তবে, কুমারী পুজো সর্বত্র হয় না। যাঁদের পারিবারিক রীতি রয়েছে, তাঁদের বাড়িতে হয়। আর ইদানিং হচ্ছে সর্বজনীন পুজোগুলিতেও। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কুমারী পুজো হয় অষ্টমীতে। সপ্তমীতে যেহেতু দেবী আসেন গৃহস্থের বাড়িতে, তাই এদিন কুমারী পুজো হয় না। কুমারী পুজো হয় অষ্টমীর দিন। সন্ধিপুজোর আগে। তবে কোনও কোনও পরিবার কুমারী পুজো হয় নবমীতেও (Durga Puja 2025)। বৃহদ্ধর্মপুরাণ মতে, স্বয়ং মহামায়া কুমারী রূপে দেবতাদের সামনে আবির্ভূতা হয়ে বেলগাছে দেবীর বোধন করতে নির্দেশ দেন। সেই থেকে কুমারী পুজো হয়ে গিয়েছে দুর্গাপুজোর অঙ্গ।

  • Durga Puja 2024: নবমী মানেই বাঙালির হেঁশেলে মটন চাই! খেয়াল রাখবেন শরীরটারও

    Durga Puja 2024: নবমী মানেই বাঙালির হেঁশেলে মটন চাই! খেয়াল রাখবেন শরীরটারও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবমী মানেই বাতাসে বিদায়ের সুর। আর তো একটা দিন, তার পর আবার এক বছরের অপেক্ষা। তাই মন খারাপের অনুভূতি। তবে এর থেকে ভুলতে ভুরিভোজেই (Durga Puja 2024) মেতে ওঠে বাঙালি। নবমী মানে বাঙালি ঘরে মটন চাই। কচি পাঁঠার ঝোল বা কষা খাসির মাংস-দুটোই সমান জনপ্রিয়। তবে যে যে বাড়িতে পুজো হয় বা যাঁরা নবরাত্রি পালন করেন তাঁরা নবমীর (Navami) মটনটা অন্যদিন চেখে নেন। তবে একথাও ভুলে গেলে চলবে না যে, নবমীতে জমিয়ে ভুরিভোজ করার পর ফেঁপে যেতে পারে পেট। শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই খাওয়ার আগে একটু সচেতন হলেই হল।

    কারা সতর্ক হবেন

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মটনের যে কোনও পদ সহজপাচ্য হয় না। এটি চর্বিযুক্ত মাংস। তাই কিছু ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। হৃদরোগীদের মটন খাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কারণ, মটনে থাকে অতিরিক্ত ফ্যাট আর এই প্রাণীজ প্রোটিন, যা হজম করাও বেশ কঠিন। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। পাশপাশি যাদের কোলেস্টেরল আছে, তাদের ক্ষেত্রেও মটন খাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকছে (Durga Puja Food)। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মটন খেলে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি আরও তৈরি হয়। তাই মটনে না হোক, হাই কোলেস্টেরলে আক্রান্তদের সতর্ক হতেই হবে। রক্তচাপ যাদের বেশি তাদের একেবারেই মটন খাওয়া যাবে না বলে সাফ জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।  মটনের অতিরিক্ত চর্বি রক্তচাপ বাড়ায়।

    আরও পড়ুন: এবার দেবী দুর্গার আগমন দোলায়, গমন গজে, এর ফল কী হতে পারে জানেন?

    খেতে হলে অল্প খান

    বছরের বিশেষ দিনে (Durga Puja 2024) অনেক সময়ই নিয়মের বাইরে খাওয়া চলে। নবমীর (Navami) দিন একেবারেই মটন মেনু থেকে বাদ দেওয়াও হয়তো কঠিন। কিন্তু কিছু সতর্কতা অবশ্যই মেনে চলতে হবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।  হৃদরোগ কিংবা উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তরা কখনই দুই পিসের বেশি মটন খাবেন না। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পরিমিত খাবার খুব জরুরি। তাই খুব সামান্য পরিমাণে খেলে অনেক ক্ষেত্রে বিপদের আশঙ্কা কমে। নবমীতে ভারী খাবার খাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে পুজোর অন্য দিনগুলোতে সহজপাচ্য, কম ফ্যাট জাতীয় খাবারের পরিকল্পনা করা জরুরি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2022: ষষ্ঠী থেকে দশমী, কী কী রীতি পালিত হয় দুর্গা পুজোয়? রইল পুরো তালিকা

    Durga Puja 2022: ষষ্ঠী থেকে দশমী, কী কী রীতি পালিত হয় দুর্গা পুজোয়? রইল পুরো তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর সবথেকে বড় উৎসব বাঙালির দুর্গাপুজো (Durga Puja 2022)। এবছর বাঙালির এই মহোৎসব পেয়েছে ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমাও। এই উৎসব শুধুই আর ধর্মীয় উৎসবে সীমাবদ্ধ নেই। এই উৎসব আজ হয়ে উঠেছে সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের উৎসব। পুজোর এই কয়েক দিন, মানুষ তার জীবনের সমস্ত দুঃখ কষ্ট ভুলে উৎসবে মেতে ওঠেন।  

    ষষ্ঠী থেকে দশমী, দুর্গাপুজোর এই পাঁচ দিনে বহু নিয়ম মেনে মা দুর্গার আরাধনা করা হয়। জেনে নিন দুর্গা পুজোয় কবে কোন নিয়ম পালন করা হয়?

    মহা ষষ্ঠীতে দেবীর বোধন 


    মহাষষ্ঠীর দিনই শুরু হয়ে যায় দেবীর আরাধনা। দেবীপক্ষের শুক্লা ষষ্ঠী তিথিতে মা দুর্গার বোধন করা হয়। এই রীতির সঙ্গে জড়িত আছে এক পৌরাণিক কাহিনী। বোধনের অর্থ জাগ্রত করা। জাগ্রত করা হয় দেবীকে। কথিত আছে, শরৎকালে দুর্গা পুজোর সূচনা করেছিলেন শ্রীরামচন্দ্র। লঙ্কার রাজা রাবণকে পরাজিত করার জন্য দেবীর আশীর্বাদের কামনায় তিনিই এই সময় দুর্গার অকাল বোধন করেন। বোধনের মাধ্যমেই দুর্গাকে আবাহন করা হয়। আর তাতে রামচন্দ্রকে সাহায্য করেছিলেন স্বয়ং ব্রহ্মা। 

    মহাসপ্তমীতে নবপত্রিকা বা কলা বউ স্নান


    সপ্তমীতে কলা বউ স্নানের রীতি প্রচলিত আছে। একেই বলা হয় নবপত্রিকা। নবপত্রিকার অর্থ হল নটি পাতা। কিন্তু এই ক্ষেত্রে নটি গাছ দিয়ে নবপত্রিকা গঠন করা হয়। এই নটি গাছ মা দুর্গার নয় শক্তির প্রতীক। গাছগুলি হল – কলাগাছ, কচু, হলুদ, জয়ন্তী, বেল, ডালিম, অশোক, মান ও ধান। সপ্তমীর সকালে নবপত্রিকাকে স্নানের জন্য নদী বা পুকুরে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর লাল পাড় সাদা শাড়িতে মুড়িয়ে ঘোমটা দিয়ে বধূর আকারে সেটিকে গণেশের পাশে স্থাপন করা হয়। অনেকেই বলে থাকেন, নবপত্রিকার পূজা প্রকৃতপক্ষে শস্যদেবীর পূজা। 

    মহাষ্টমীর অঞ্জলি


    সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী এই তিনদিনই পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া যায়। কিন্তু অষ্টমীর অঞ্জলিকে একটু বেশিই গুরুত্ব দেন বাঙালিরা। হাত ভোরে ফুল নিয়ে পুরোহিতের বলা মন্ত্র উচ্চারণের পর, হাতে ধরে থাকা ফুল-পাতা দেবীর চরণে অর্পণ করা হয়। অঞ্জলি দেওয়ার মাধ্যমে মায়ের প্রতি নিজেদের বিশ্বাস, শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন ভক্তরা এবং তাঁর আশীর্বাদ চান। 

    কুমারী পুজো 

    অষ্টমী বা নবমী তিথিতে বহু জায়গায় পুজোর রীতি পালিত হয়। শাস্ত্রমতে, এক থেকে ষোল বছর বয়স পর্যন্ত, যেসব মেয়েরা ঋতুচক্রে পা দেয়নি তাদের দেবী রূপে পুজা করা হয়। 

    সন্ধি পুজো 

    অষ্টমীর সমাপ্তি ও নবমীর সূচনার সন্ধিক্ষণে করা হয় সন্ধিপুজো। মনে করা হয়, অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিক্ষণে দেবী চামুণ্ডা চণ্ড ও মুণ্ড নামে দুই অসুরকে বধ করেছিলেন। তাই এই সময় দেবীকে চামুণ্ডা রূপে পুজো করা হয়। সন্ধিপুজোর সমস্ত মন্ত্রই চামুণ্ডা দেবীর মন্ত্র। সন্ধিপুজোয় দেবীকে ১০৮ পদ্ম এবং ১০৮ দীপ দিয়ে পুজো করা হয়। 

    বিজয়া দশমীতে সিঁদূর খেলা 

    বিজয়া দশমীতেই সকলকে কাঁদিয়ে মা দুর্গা শ্বশুরবাড়ি পাড়ি দেন। বিজয়ার দিনে সিঁদুর খেলা দুর্গাপুজোর এক বিশেষ অনুষ্ঠান। পতিগৃহে রওনা দেওয়ার আগে উমাকে বরণ করার রীতি প্রচলিত রয়েছে। তাই, দশমীর দিন ঘরের মেয়েকে সিঁদূরে রাঙিয়ে, মিষ্টি মুখ করিয়ে, পান, ধান, দূর্বা দিয়ে বরণ করা হয়। দেবীর বরণের পরই সধবা মহিলারা মেতে ওঠেন সিঁদূর খেলায়। 

    দেবীর বিসর্জন 


    প্রতিমা পুজার অন্তিম পর্যায় বিসর্জন। জলের মাধ্যমেই মাটির প্রতিমা প্রকৃতিতে লীন হয়। নৌকায় করে মাঝ নদীতে নিয়ে গিয়ে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন করা হয়। আর শুরু হয় মায়ের অপেক্ষা। পরের বছর মায়ের আগমনের এক বছরের অপেক্ষা। শুরু হয় দিন গোনা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।         

LinkedIn
Share