Tag: Durga Pujo

Durga Pujo

  • Durga Puja 2024: দশমীর দিন পান্তা ভাত, বোয়াল ও রাইখোর মাছ দিয়ে ভোগ দেওয়া হয় মাকে!

    Durga Puja 2024: দশমীর দিন পান্তা ভাত, বোয়াল ও রাইখোর মাছ দিয়ে ভোগ দেওয়া হয় মাকে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাল বাড়ির পুজো ৷ বাড়ির পুজো হলেও তা এখন বারোয়ারি হয়ে গিয়েছে কালের নিয়মে৷ তবে পুরনো রীতি মেনেই করা হয় মায়ের আরাধনা ৷ বালুরঘাটের অন্যতম বনেদি বাড়ি ছিল এই পাল বাড়ি ৷ কংগ্রেস পাড়ার পাল বাড়ির এই দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2024) শুরুটা ঠিক কবে, তা অবশ্য সঠিকভাবে জানা নেই কারোর ৷ তবে স্থানীয়দের কথায়, ৪০০ বছর আগে আত্রেয়ী নদীর পাশে নিজের বাড়িতেই মায়ের পুজো শুরু করেছিলেন গৌরী পাল। সে সময় থেকে একই নিয়মে হয়ে আসছে মাতৃবন্দনা ৷ স্থানীয়দের বক্তব্য, এক সময় বালুরঘাটের প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন গৌরী পাল ৷ তিনিই প্রথম এই পুজোর প্রচলন করেন। খড় ও বাঁশের তৈরি মন্দিরে দেবীর পুজো শুরু হয়। গৌরী পাল এবং তাঁর উত্তরসূরিদের অবর্তমানে আজ থেকে প্রায় 8৫ বছর আগে পাল বাড়ির দুর্গাপুজোর দায়িত্ব নেন প্রতিবেশীরা। বর্তমানে বারোয়ারি কমিটির উদ্যোগে পুজোর আয়োজন করা হয় ৷ তবে বারোয়ারির উদ্যোগে হলেও এখনও এই পুজো পাল বাড়ির দুর্গাপুজো নামেই পরিচিত৷

    পুজো করে আসছেন মহিলারা (Durga Puja 2024)

    কথিত আছে, এখানে নিষ্ঠার সঙ্গে মায়ের কাছে কেউ কিছু মানত করলে তা পূরণ হয় । অন্য জেলা থেকেও দর্শনার্থীরা এই পুজোয় সামিল হন ৷ এই পুজোর বিশেষত্ব, নবমী ও দশমীর দিনে মা-কে পান্তা ভাত, বোয়াল মাছ ও রাইখোর মাছের ভোগ দেওয়া হয়। অন্যদিন অবশ্য নিরামিষ ভোগই দেওয়া হয়। পান্তা ভোগ যেদিন হয়, সেদিন ভিড় সবচেয়ে বেশি হয়। দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মহিলারা এই পুজো করছেন৷

    ষষ্ঠী বলে কিছু নেই

    পাল বাড়ির পুজোর উদ্যোক্তারা বলেন, এই মন্দিরের পাশেই আত্রেয়ী নদী ছিল (Balurghat)৷ পরবর্তীকালে নদীর দিক পরিবর্তনের কারণে এদিকে নদীটি নেই ৷ ইতিহাস সঠিক না জানলেও শুনেছি এক সন্ন্যাসী প্রথম নদীর ধারে এখানে পুজো শুরু করেছিলেন৷ পরবর্তীকালে গৌরী পাল এই পুজো (Durga Puja 2024) শুরু করেন৷ কিন্তু একটা সময় তাঁর বংশধরেরা এই পুজো করতে পারেননি ৷ তখন থেকেই স্থানীয়রা নিজেদের মনে করে এই পুজোর আয়োজন করে আসছেন৷ তবে রীতি মেনেই পুজো করা হয় ৷ তাঁরা বলেন, আমাদের এখানে ষষ্ঠী বলে কিছু নেই ৷ শিব পুজো ও বেল বরণ করে ঠাকুরের অধিবাস হয় ৷ আরতি করে মা-কে বরণ করা হয় ৷ আর দশমীর দিন পান্তা ভাত ও বোয়াল মাছ দিয়ে মাকে ভোগ দেওয়া হয়। পঞ্জিকা মেনে সময়ের মধ্যে পুজো শেষ করার চেষ্টা করা হয়৷

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: মায়ের চোখের জল মোছাতেই চিন্ময়ীর আরাধনা শুরু করেছিলেন সার্থকরাম!

    Durga Puja 2024: মায়ের চোখের জল মোছাতেই চিন্ময়ীর আরাধনা শুরু করেছিলেন সার্থকরাম!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমচুরের টক ও বড়ি দিয়ে ভোগ দেওয়া হয় চিন্ময়ী মাকে। এমন অনেক ঐতিহ্য বহন করে আজও জমজমাট নন্দকুমারের ব্যবত্তাবাটির বনেদি বাড়ির পুজো, যার ইতিহাসও কম চমকপ্রদ নয়। স্বার্থকরাম ছিলেন তাম্রলিপ্ত, অধুনা তমলুকের তাম্রধ্বজ রাজার ব্যবস্থাপক। জানা যায়, স্বার্থকরামের মা বাড়ির অদূরে একটি পুজোয় পুষ্পাঞ্জলি দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে তাঁকে চরম অপমানিত করা হয়। মা বাড়িতে ফিরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। মায়ের সেই কান্নাকাটি দেখে স্থির থাকতে পারেননি স্বার্থকরাম। মায়ের চোখের জল দেখে বাড়িতেই শুরু করে দেন চিন্ময়ী মায়ের পুজো। সেই থেকে আজও নন্দকুমারের ব্যবত্তাহাটের ব্যবত্তাবাটিতে হয়ে আসছে মা দুর্গার পুজো।

    নিজেরাই পুজো করেন মায়ের

    জন্মাষ্টমীর পরের দিন নন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে এক কিলোমিটার দূরে পুরনো ব্যবত্তাহাটে পতিতাপল্লির মাটি নিয়ে এসে মায়ের প্রতিমা গড়া হয়। এদিন গ্রামের ও পরিবারের সদস্য সদস্যারা কাদা মাখার খেলা খেলেন। এই পুজো শুধু বাড়ির পুজো নয়, এলাকার মানুষের প্রাণের পুজো, আদি ও প্রাচীন পুজো। নিয়মনিষ্ঠা মেনে আজও এই  ব্যবত্তাবাটির পুজো হয়ে আসছে। সার্থকরাম রাজা পরিবারের ব্যবস্থাপক ছিলেন বলেই সেই থেকে এই এলাকার নাম হয় ব্যবত্তারহাট। সপ্তমীর দিন মায়ের গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান, যা বিশেষ বৈশিষ্ট্য বহন করে। ব্রাহ্মণ পরিবারের এই পুজোতে নিজেরাই পুজো করেন মায়ের। গোস্বামী মতে পুজো হয়। বিল্লধিবাস অর্থাৎ ষষ্ঠীর দিন এক মন ছ-সের চালের নৈবেদ্য অর্থাৎ ভোগ হয়, সপ্তমীর দিন ১ মন ৭সের, অষ্টমীর দিন এক মন আট-সের-এরকম করে প্রত্যেকদিন ভোগ দেওয়া হয় মাকে।

    ভোগে থাকে রকমারি বড়ি

    মায়ের ভোগ রান্নার আয়োজন করেন পরিবারের মহিলারা। মায়ের ভোগে থাকে রকমারি বড়ি। সেই বড়ি সারা বছর ধরে মহিলারা প্রস্তুত করেন। বর্তমান সময়ে থিমের রমরমা থাকলেও প্রাচীন সাবেকি পুজোয় মানুষের ঢল নামে। এখনে নিয়ম-নিষ্ঠা মেনে পুজো হয় বলেই দূর দূরান্তের মানুষ পুজোয় ভিড় জমান।পরিবারের সদস্যরা সকলে ভিন রাজ্য, ভিন দেশে কর্মসূত্রে থাকলেও পুজোর সময় সকলে বাড়ি ফিরে উৎসবে মেতে উঠেন। তবে এই বাড়ির মায়ের ভোগে থাকে বিভিন্ন ধরনের বড়ির সঙ্গে আমচুরের টক। যা মায়ের প্রসাদ হিসেবে পেতে প্রতিদিন ভিড় জমান বহু মানুষ। নবীন ও প্রবীণদের মিলিত প্রয়াসে আজও ব্যবত্তাবাটির পুজো জমজমাট। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: সেন বাড়ির পুজোয় দেবীর ভোগে ব্যবহৃত হয় না তেল, হলুদ, লবণ! নিষিদ্ধ পশুবলিও

    Durga Puja 2024: সেন বাড়ির পুজোয় দেবীর ভোগে ব্যবহৃত হয় না তেল, হলুদ, লবণ! নিষিদ্ধ পশুবলিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ জেলার খাগড়ায় তিন নম্বর গিরিজা চক্রবর্তী লেনের সেন বাড়ির আদি দুর্গাপুজোর মাহাত্ম্যই আলাদা। বংশধর সুবীর সেন জানালেন, এই বাড়ির উৎসব ১৮৯৬ সালে রাধাকৃষ্ণ সেনের হাত ধরে শুরু হয়েছিল। যদিও এক্ষেত্রে আসল ভূমিকা গ্রহণ করেন তাঁরই বাল্যবিধবা কন্যা বিন্দুবাসিনী দেবী, যিনি অনেক আগে থেকেই এখানে জগদ্ধাত্রী পুজো করতেন বলে জানা যায়। এই পুজোর শুভ সূচনা হয় সোজা রথের দিন। এদিন পুরোহিত এবং মৃৎশিল্পীরা প্রতিমার কাঠামোতে গঙ্গামাটির প্রলেপ দিয়ে দুর্গাপুজোর সূচনা করেন। দুর্গাপ্রতিমা গড়া হয় বাড়ির ঠাকুরদালানে। মূল পুজো শুরু হয় ষষ্ঠীতে কলস এবং গারু সহযোগে ভাগীরথী থেকে ঘট স্নানের মাধ্যমে। বাড়িতে সাত রকমের ফল, বেলপাতা ও সোলার কদম ফুল দিয়ে তৈরি হয় রচনা। ষষ্ঠীর দিন বাড়ির ঠাকুরদালানে এটি টাঙানো হয়। এটি সেন বাড়ির পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

    নবমীতে আখ ও চালকুমড়ো বলি

    এই সেন বাড়ি্র পুজোয় বেশ কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সন্ধি পুজোতে ১৩৮টি পদ্ম, ১০৮টি ঘিয়ের প্রদীপ এবং ১০৮টি বেলপাতা দেবীকে নিবেদন করা হয়। পুজো হয় বৈষ্ণব মতে। তাই এই পুজোতে পশুবলি নিষিদ্ধ। তবে নবমীতে আখ ও চালকুমড়ো বলি দেওয়া হয়। সেন বাড়ির দশমীর পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য অপরাজিতা পুজোঘট বিসর্জন। দর্পণে বিসর্জনের মাধ্যমে পুজোর সমাপ্তি ঘটে। দশমীর দিন বিকেল বেলায় স্থানীয় মুটিয়াদের কাঁধে চেপে বাড়ির দিকে মুখ করে রওনা দেন মা দুর্গা।

    মাহাত্ম্য কম নয়

    সেন বাড়িতে ভোগ হয় নিরামিষ। এখানে কখনই দেবীকে রান্না করা অন্য ভোগ দেওয়া হয় না। এর পরিবর্তে লুচি, বিভিন্ন তরকারি, শাকভাজা, পাঁপড় ও বাড়িতে তৈরির নারকেলের নাড়ু দেওয়া হয়। নবমীর জন্য পাকা কলার বড়া, পটলপোড়া টক, পালং শাক দেওয়ার রেওয়াজ এখনও রয়েছে। দেবীর ভোগে কোনও রকম তেল, হলুদ, লবণ ব্যবহার করা হয় না। এর পরিবর্তে গাওয়া ঘি  আর লবণের পরিবর্তে সন্দক লবণ ব্যবহার করা হয়। ষষ্ঠী থেকে নবমী পর্যন্ত প্রতিদিন ১৭টি করে নৈবেদ্য দেওয়া হয়। এই দুর্গাপুজোর মাহাত্ম্য কম নয়। শোনা যায়, আজ থেকে বহু বছর আগে সপ্তমীর ঘট ভরে ফেরার পথে কোনও ভাবে ভুলক্রমে পুরোহিতের পা স্পর্শ করে ওই দিনই তাঁর মৃত্যু ঘটে। ঠাকুরের মহিমায় পুজো অতীতের সেই নিয়ম, রীতি-নিষ্ঠা বজায় রেখে আজও চলছে।

    বরাবরই মহিলাদের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য

    এই বাড়ির পুজো শুরু হয়েছিল বিন্দুবাসিনী দেবীর ইচ্ছা অনুসারে। পরবর্তী সময়ে সুচন্দ বদনী দেবী তাঁর নিষ্ঠা, ভক্তি, একাগ্রতা ও সাধনার মাধ্যমে এই পুজোকে আগলে রেখেছিলেন। মূলত তাঁরই উদ্যোগে এই বাড়িতে কয়েক বছর সন্ধিপুজোর সময় কুমারী পুজো অনুষ্ঠিত হত। পরবর্তীকালে তাঁর মৃত্যুর পর জ্যেষ্ঠ পুত্র বধুশর্মা সেন আমৃত্যু পুজোর প্রতি কর্তব্যে অবিচল ছিলেন। ১৯৭৪ সালে যোগেশচন্দ্র সেন এবং ১৯৭৯ সালে সুচন্দ্র বদনী দেবীর মৃত্যুর পর তাঁদের বংশধররা এই পুজো চালাতে থাকেন। সুচন্দ বদনী দেবীর ষষ্ঠ পুত্র স্বর্গীয় প্রশান্ত কুমার। তিনি সিভিল সার্ভিস অফিসার। প্রশান্তবাবু পুজো পরিচালনা, সংস্কার ও অন্যান্য বিষয়ে মনোযোগী হয়ে ওঠেন। মূলত তাঁরই উদ্যোগে দশমীর সন্ধ্যায় দেবীর নৌকায় ভাগীরথী ভ্রমণ সম্ভব হয়ে উঠেছিল।

    বহু উত্থান-পতন, পারিবারিক কলহ, পরিবারের সদস্যদের পেশাগত কারণে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়া তথা জমিদারি প্রথা বিলোপের সাক্ষী সেনবাড়ির এই দুর্গাপুজো। সুবীর সেন বলেন, মহালয়ার দিন মহামায়ার নেত্রদান করা হয়। সবুজ বর্ণের মহিষাসুরের সঙ্গে মহিষ অনুপস্থিত। এই সেন বাড়ির দেবী দুর্গা ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে যে শাল কাঠের কাঠামোতে শুরু হয়েছিল, আজ অবধি সেই শাল কাঠের কাঠামোতেই পুজো হয়ে আসছে বলে জানান সেন বংশের বংশধর সুবীর সেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja Weather: রাতের পর থেকেই কমবে জলীয় বাষ্প, শীত শীত ভাব পুজোতেই

    Durga Puja Weather: রাতের পর থেকেই কমবে জলীয় বাষ্প, শীত শীত ভাব পুজোতেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর ঢাকে কাঠি পড়েছে। মহালয়ার বিকেল থেকেই চলছে মণ্ডপে মণ্ডপে প্রতিমা দর্শনের পালা। দুর্গা পুজো বাঙালির কাছে এক শিল্পও বটে। নানান সাজে সেজেছে কলকাতা। কোথাও ডিজনি ল্যান্ড তো কোথাও চন্দ্রযান। কোথাও রাম মন্দির, কোথাও কেদার নাথ। শহরের বুকেই নানান দর্শন। পুজো মানেই সকাল থেকে রাত-পাঁচটা দিন চুটিয়ে আনন্দের সময়। ৮ থেকে ৮০ সব ভুলে পুজোর গন্ধে মাতোয়ারা থাকে। তাই পুজোর আকাশে কালো মেঘের আনাগোনা ভাবিয়ে তোলে উৎসবমুখর বাঙালিকে। তবে মৌসম ভবনমের পূর্বাভাসে (Weather Update) সেই চিন্তার ইতি।

    হালকা শীতের আমেজ

    পুজোর সময় আবহাওয়া (Weather Update) থাকবে মনোরম। এমনকি সেইসময় রাতে পাওয়া যাবে হালকা শীতের আমেজ। দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমবে।ষষ্ঠী থেকে অষ্টমী অর্থাৎ ২০ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত বঙ্গে আবহাওয়া মনোরম থাকবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। নবমী, দশমী অর্থাৎ ২৩ ও ২৪ অক্টোবর আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। কোনও কোনও জেলায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পুজোর কদিন রাজ্যে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। দখিনা হাওয়ার পরিবর্তে উত্তুরে হাওয়ার প্রভাব থাকবে। ফলে প্যান্ডেল হপিং, খাওয়া দাওয়া, আড্ডায় বড় বাধা নেই। পাঁচ দিন দুর্যোগের সম্ভাবনা নেই। পুজোর শেষের কদিন আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও ভারী বৃষ্টি হবে না।

    আরও পড়ুন: পুজোর মুখে ফের চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি! একসপ্তাহে শহরে নতুন করে আক্রান্ত ১,৩৬৭

    কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া 

    রাজ্যের কোথাও ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। উত্তরে পার্বত্য এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে কিছুটা বৃষ্টি হতে পারে যদিও। নবরাত্রির দ্বিতীয় দিনের পর থেকে তাও ক্রমশ কমতে শুরু করবে। ষষ্ঠী থেকে অষ্টমী রোদ ঝলমলে আবহাওয়াই থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এখনও পর্যন্ত এ রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। পশ্চিমাঞ্চল সহ কোনও কোনও জেলায় এই উইকেন্ডে ভোরের দিকে উত্তুরে হাওয়ার প্রভাব অনুভূত হবে। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলাতে তৃতীয়া পর্যন্ত জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি কিছুটা থাকবে। ধীরে ধীরে জলীয় বাষ্প  কমবে। শুষ্ক হবে আবহাওয়া। পশ্চিমাঞ্চলের কিছু জেলায় চতুর্থী থেকে ভোরের দিকে সামান্য শিরশিরানি ভাব থাকবে। আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গের কোথাও।

    উত্তরের জেলায় সামান্য বৃষ্টি

    পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তরাই ডুয়ার্স ও সমতলে বৃষ্টির তেমন আর কোনও সম্ভাবনা নেই। দার্জিলিং,কার্শিয়ং ও কালিম্পং ছাড়া বাকি উত্তরবঙ্গে সোমবার রাতের পর থেকেই জলীয় বাষ্প কমতে শুরু করবে। তৃতীয়া থেকেই ভোরের দিকে উত্তুরে হাওয়ার প্রভাব অল্প অল্প করে অনুভূত হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Visva-Bharati: দুর্গাপুজো নিয়ে ‘বিরূপ’ মন্তব্য, বিশ্বভারতীর উপাচার্যের জবাবদিহি চাইল প্রধানমন্ত্রীর দফতর

    Visva-Bharati: দুর্গাপুজো নিয়ে ‘বিরূপ’ মন্তব্য, বিশ্বভারতীর উপাচার্যের জবাবদিহি চাইল প্রধানমন্ত্রীর দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজো প্রসঙ্গে বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati) উপাচার্যের ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রিপোর্ট তলব করল প্রধানমন্ত্রীর দফতর। ঐতিহ্যবাহী উপাসনা গৃহে বসে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেছিলেন, “দুর্গাপুজো ইংরেজদের পদলেহন করার জন্য শুরু হয়েছিল।” এমনকী, তিনি আরও বলেছিলেন, “দুর্গামঞ্চে অনেক ধরনের পানীয় পান করার সুযোগ ছিল।” নিরাকার ব্রহ্ম মন্দিরে বসে উপাচার্যের এহেন মন্তব্যের বিরুদ্ধে আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিল শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট।

    মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতনের উপাসনা গৃহ। যদিও, উপাসনা গৃহের সম্পূর্ণ নির্মাণ তিনি দেখে যেতে পারেননি। নিরাকার ব্রহ্মের উপাসনা ও সর্বধর্মকে সম্মান, আলোচনার জন্য দ্বার খোলা ছিল৷ এই উপাসনা গৃহ মহর্ষির তৈরি শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের অন্তর্গত। প্রতি বুধবার সকালে এখানে উপাসনার রেওয়াজ রয়েছে৷ এছাড়া, বিশেষ উপাসনাও হয়।

    কী বলেছিলেন উপাচার্য?

    গত ২২ ফেব্রুয়ারি এই উপাসনা মন্দিরে বসে কেন বিশ্বভারতী (Visva-Bharati) কর্তৃপক্ষ বসন্তোৎসব বন্ধ করেছে, তার ব্যাখ্যা দেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এই ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আপনারা জানেন আজ দুর্গাপুজো বিশ্বের একটা অন্যতম পুজো হিসাবে স্বীকৃত হয়েছে। কিন্তু, দুর্গাপুজোর ইতিহাস যদি দেখেন, এই দুর্গাপুজো শুরু হয়েছিল বৃটিশদের পদলেহন করার জন্য। তৎকালীন রাজাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হত, কে ইংরেজ সাহেবদের দুর্গাপুজোর মঞ্চে নিয়ে আসবেন। সেই দুর্গামঞ্চে অনেক ধরনের অনুষ্ঠান হত ও অনেক ধরনের পানীয় পান করারও সুযোগ থাকত। পরবর্তীতে দুর্গাপুজো একটা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে যায়। কিন্তু, শুরু হয়েছিল ইংরেজদের পদলেহন করার জন্য।”

    কী অভিযোগ জানাল শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট?

    দুর্গাপুজো প্রসঙ্গে নিরাকার ব্রহ্মমন্দির তথা সর্বধর্ম সম্মানের পীঠস্থান ঐতিহ্যবাহী উপাসনা গৃহে বসে উপাচার্যের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। ১০ মার্চ ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার বিশ্বভারতীর আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেন ও প্রতিকার চান৷ পাশাপাশি শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, উপাসনা মন্দিরে বসে বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati) উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী আশ্রমিক, পড়ুয়া, প্রাক্তনীদের বারংবার অপমান করছেন৷ উপাসনা গৃহের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ব্যক্তি আক্রমণ ও দুর্গাপুজো ঐতিহ্য নিয়ে মন্তব্য ঠিক নয়। সংবেদনশীল।

    মন্তব্য করতে চায়নি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ

    মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়ে বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati) ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাতর কাছে রিপোর্ট তলব করল প্রধানমন্ত্রীর দফতর। অর্থাৎ, উপাচার্যের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে জবাবদিহি চাইলেন আচার্য প্রধানমন্ত্রী। যদিও, এই প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2022: দুর্গাপুজোর নবমীতে হয় দক্ষিণান্ত, কেন জানেন?

    Durga Puja 2022: দুর্গাপুজোর নবমীতে হয় দক্ষিণান্ত, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহানবমী (Mahanabami)। মন খারাপের দিন। কারণ এই দিনটি চলে গেলেই মা দুর্গা ফিরে যাবেন কৈলাসে (Kailash)। তাই তো সেই কবেই কবি বলেছিলেন, যেও না নবমী (Nabami) নিশি…। তবে প্রকৃতির নিয়ম মেনেই আসে নবমী তিথি। মহাপুজোর মহানবমী। দিনটির গুরুত্ব কম নয়।

    মহানবমীর আগে হয় সন্ধিপুজো। অষ্টমীর শেষ ২৪ মিনিট ও নবমীর প্রথম ২৪ মিনিট মিলিয়ে মোট ৪৮ মিনিট। এই সময়টা কেবলই মহামায়ার এক রূপ দেবী চামুণ্ডার পুজো হয়। অষ্টমীতে যেহেতু অসুর, সিংহ, বিভিন্ন দেবদেবীর বাহন এবং অস্ত্রশস্ত্রের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়, সেহেতু নবমীর দিন তাঁদের প্রত্যেকের পুজো করতে হয়। এদিনই যেহেতু মহাপুজো সমাপনের দিন, সেহেতু এই দিনেই সম্পন্ন করতে হয় হোম। শাস্ত্র মতে, হোমের আগুন হল দেবদেবীর জিহ্বা স্বরূপ। তাই হোমাগ্নি প্রজ্জ্বলিত করে দিতে হয় আহুতি। এই আহুতি দেওয়া হয় প্রতিটি দেবদেবীর বীজমন্ত্র সহযোগে। যেহেতু দুর্গাই প্রধান দেবী, তাই এদিন তাঁর উদ্দেশ্যে দিতে হয় একশো আটটি বেলপাতার আহুতি। বাকি দেবদেবীদের উদ্দেশে ৮টি করে বেলপাতা। যজ্ঞ শেষে দেওয়া হয় পূর্ণাহুতি। এতে দেওয়া হয় একটি গোটা নারকেল, সোনার টুকরো এবং ফুলের মালা। যেসব পরিবারে সপ্তমীতে হোম শুরু হয়, তাঁরা হোমাগ্নি জ্বালিয়ে রাখেন নবমী পর্যন্ত। এই নবমীতে তাঁরাও দেন পূর্ণাহুতি। তার পরে হয় দক্ষিণান্ত। দেবীকে দিতে হয় কৈলাসে ফেরার পাথেয়।

    নবমীতে আরও একটি প্রথা পালিত হয় কোনও কোনও পরিবারে। সেটি হল শত্রু বলি। মানকচুর পাতায় চালের পিটুলি দিয়ে তৈরি করা হয় শত্রু। তার গায়ে মাখানো হয় রক্তচন্দন। পরে হাঁড়িকাঠে নিয়ে গিয়ে বলি করা হয় ওই কৃত্রিম শত্রু। অনেক পরিবারে আবার সন্দেশের শত্রু বানিয়ে বলি দেওয়া হয়। যাঁদের পরিবারে পশু বলি দেওয়ার চল রয়েছে, তাঁরা বলি দেন এদিন। অনেক পরিবারে আবার শত্রু নয়, কেবল কুমড়ো, আখ, কলা বলি দেওয়া হয়। নবমীতে দক্ষিণান্ত হয়ে গেলেই পুজো শেষ বলা যায়। কারণ দশমীতে দেবীর পুজো হয় নমো নমো করে। তাই সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমীর আগে মহা শব্দটি যোগ করা হলেও, দশমীতে তা হয় না।  

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Durga Puja 2022: দুর্গাপুজোর নবমীতে হয় দক্ষিণান্ত, কেন জানেন?

    Durga Puja 2022: দুর্গাপুজোর নবমীতে হয় দক্ষিণান্ত, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহানবমী (Mahanabami)। মন খারাপের দিন। কারণ এই দিনটি চলে গেলেই মা দুর্গা ফিরে যাবেন কৈলাসে (Kailash)। তাই তো সেই কবেই কবি বলেছিলেন, যেও না নবমী (Nabami) নিশি…। তবে প্রকৃতির নিয়ম মেনেই আসে নবমী তিথি। মহাপুজোর মহানবমী। দিনটির গুরুত্ব কম নয়।

    মহানবমীর আগে হয় সন্ধিপুজো। অষ্টমীর শেষ ২৪ মিনিট ও নবমীর প্রথম ২৪ মিনিট মিলিয়ে মোট ৪৮ মিনিট। এই সময়টা কেবলই মহামায়ার এক রূপ দেবী চামুণ্ডার পুজো হয়। অষ্টমীতে যেহেতু অসুর, সিংহ, বিভিন্ন দেবদেবীর বাহন এবং অস্ত্রশস্ত্রের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়, সেহেতু নবমীর দিন তাঁদের প্রত্যেকের পুজো করতে হয়। এদিনই যেহেতু মহাপুজো সমাপনের দিন, সেহেতু এই দিনেই সম্পন্ন করতে হয় হোম। শাস্ত্র মতে, হোমের আগুন হল দেবদেবীর জিহ্বা স্বরূপ। তাই হোমাগ্নি প্রজ্জ্বলিত করে দিতে হয় আহুতি। এই আহুতি দেওয়া হয় প্রতিটি দেবদেবীর বীজমন্ত্র সহযোগে। যেহেতু দুর্গাই প্রধান দেবী, তাই এদিন তাঁর উদ্দেশ্যে দিতে হয় একশো আটটি বেলপাতার আহুতি। বাকি দেবদেবীদের উদ্দেশে ৮টি করে বেলপাতা। যজ্ঞ শেষে দেওয়া হয় পূর্ণাহুতি। এতে দেওয়া হয় একটি গোটা নারকেল, সোনার টুকরো এবং ফুলের মালা। যেসব পরিবারে সপ্তমীতে হোম শুরু হয়, তাঁরা হোমাগ্নি জ্বালিয়ে রাখেন নবমী পর্যন্ত। এই নবমীতে তাঁরাও দেন পূর্ণাহুতি। তার পরে হয় দক্ষিণান্ত। দেবীকে দিতে হয় কৈলাসে ফেরার পাথেয়।

    নবমীতে আরও একটি প্রথা পালিত হয় কোনও কোনও পরিবারে। সেটি হল শত্রু বলি। মানকচুর পাতায় চালের পিটুলি দিয়ে তৈরি করা হয় শত্রু। তার গায়ে মাখানো হয় রক্তচন্দন। পরে হাঁড়িকাঠে নিয়ে গিয়ে বলি করা হয় ওই কৃত্রিম শত্রু। অনেক পরিবারে আবার সন্দেশের শত্রু বানিয়ে বলি দেওয়া হয়। যাঁদের পরিবারে পশু বলি দেওয়ার চল রয়েছে, তাঁরা বলি দেন এদিন। অনেক পরিবারে আবার শত্রু নয়, কেবল কুমড়ো, আখ, কলা বলি দেওয়া হয়। নবমীতে দক্ষিণান্ত হয়ে গেলেই পুজো শেষ বলা যায়। কারণ দশমীতে দেবীর পুজো হয় নমো নমো করে। তাই সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমীর আগে মহা শব্দটি যোগ করা হলেও, দশমীতে তা হয় না।  

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Anubrata Mondal: কেষ্টর পুজো কাটবে গারদেই! ফের খারিজ অনুব্রত মণ্ডলের জামিন

    Anubrata Mondal: কেষ্টর পুজো কাটবে গারদেই! ফের খারিজ অনুব্রত মণ্ডলের জামিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় পুজো (Durga Pujo)। তবে এবার পুজোটা তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ওরফে কেষ্টকে কাটাতে হবে জেলের ঘুপচি প্রায়ান্ধকার ঘরে। কারণ বুধবার আসানসোলের (Asansole) বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালতে পেশ করা হয় কেষ্টকে। শরীর খারাপ, বাড়িতে দুর্গাপুজো রয়েছে এই জোড়া যুক্তি প্রদর্শন করেন তাঁর আইনজীবী। তার পরেও মেলেনি জামিন। এদিন বিচারক তাঁকে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। যার অর্থ, এবার পুজোর দিনগুলি এই তৃণমূল নেতাকে কাটাতে হবে কারাগারেই।

    গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) সিবিআই গ্রেফতার করেছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। তার পর থেকে দফায় দফায় জেলেই রয়েছেন তিনি। এদিন ফের তাঁকে তোলা হয় আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে। আবারও জামিনের আবেদন করেন তিনি। কেষ্টর আইনজীবী আদালতে বলেন, অনুব্রত মণ্ডলের শরীর ভাল নয়। কলকাতায় থেকে প্রতিদিন সিবিআই অফিসে গিয়ে হাজিরাও দিতে রাজি তিনি। প্রয়োজনে জেলায় ঢুকবেন না বলেও বিচারককে জানান তাঁর আইনজীবী। তিনি এও বলেন, অনুব্রতের বাড়িতে দুর্গাপুজো হয়। বাড়িতে তাঁর মেয়ে একা রয়েছেন। তাঁর একার পক্ষে পুজোর আয়োজন করা সম্ভব নয়। এত করেও জামিন মেলেনি কেষ্টর।

    আরও পড়ুন :কয়েক হাজার টাকা মাসমাইনেতে কীভাবে রাইস মিলের মালিক? অনুব্রত-কন্যা সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের

    কারণ প্রভাবশালী তত্ত্বে এদিনও জামিন মেলেনি বীরভূমের এই তৃণমূল নেতার। সিবিআইয়ের আইনজীবী আশঙ্কা প্রকাশ করেন, অনুব্রত জামিন পেলে সাক্ষীদের ভয় দেখাতে পারেন। বিচারককে তিনি এও জানান, এখনও তদন্ত চলছে। অনেক তথ্য মিলেছে। গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত অনেক সন্দেহভাজনের খোঁজও মিলছে। তাদের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের যোগও পাওয়া গিয়েছে। তাই অনুব্রতকে এখনই জামিন দেওয়া যাবে না।

    এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী আদালতে জানান, দুটি এনজিওর সঙ্গে অনুব্রতর যোগ থাকার কথা সামনে এসেছে। খোঁজ মিলেছে প্রায় ১৯টি নতুন সম্পত্তির। প্রচুর নগদ টাকাও পাওয়া গিয়েছে। অনুব্রতকে ফের আদালতে পেশ করা হবে ৫ অক্টোবর। সেদিন অবশ্য ঢাকের বোলে বাজবে বিজয়া দশমীর বাজনা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Durga Puja 2022: সন্ধিপুজোয় কার পুজো হয়, কেন হয় জানেন?

    Durga Puja 2022: সন্ধিপুজোয় কার পুজো হয়, কেন হয় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমরা জানি, অষ্টমীর (Asthami) শেষ ২৪ মিনিট এবং নবমীর (Nabami) প্রথম ২৪ মিনিট এই মোট ৪৮ মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হয় সন্ধিপুজো (Sandhi Pujo)। প্রশ্ন হল, কেন হয় সন্ধিপুজো?

    দেবী দুর্গা (Goddess Durga) মহিষাসুরমর্দিনী। তিনি মহা শক্তিধর মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন বলে তাঁর এই নাম। তবে তিনি যে কেবল মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন তা নয়, চণ্ড ও মুণ্ড নামে দুই ভয়ঙ্কর অসুরকেও হত্যা করেছিলেন দেবী। তবে মায়ের সচরাচর যে রূপ আমরা দর্শন করি, সেই রূপে তিনি চণ্ড ও মুণ্ডকে বধ করেননি। চণ্ড ও মুণ্ডকে তিনি দশ হাতে নন, এই দুই দানবকে দেবী বধ করেছিলেন চার হাতে। তাই দেবীর এক নাম চামুণ্ডা। এই চামুণ্ডা হলেন আদ্যাশক্তি। তিনি সপ্ত মাতৃকার প্রধান। শশ্মানই তাঁর আবাসস্থল। খড়্গ দিয়ে চণ্ড ও মুণ্ডকে বধ করেছিলেন তিনি। হিন্দু শাস্ত্রবিদদের একাংশের মতে, চামুণ্ডা হলেন দেবী কালিকার এক রূপ।

    তবে কারও কারও মতে, শ্রীক্ষেত্র পুরীর নীলমাধব যেমন প্রথমে আদিবাসীদের দেবতা ছিলেন, পরে উচ্চ বর্ণের পুজো পেতে শুরু করেন, তেমনি চামুণ্ডাও ছিলেন আদিবাসীদের দেবতা। পরবর্তীকালে হিন্দু ধর্মের অঙ্গীভূত হন তিনি। দেবীকে আমিষ ভোগ দিতে হয়। কোথাও কোথাও চামুণ্ডার পুজোয় পশুবলিও হয়। জৈন ধর্মাবলম্বীরাও চামুণ্ডা পুজো করেন। তবে মদ ও মাংসের পরিবর্তে তাঁরা দেবীকে নিবেদন করেন নিরামিষ ভোগ।

    সে যাই হোক, দেবীকে আমিষ ভোগই নিবেদন করেন হিন্দুরা। যাঁদের পরিবারে পশু বলি দেওয়া হয় না, তাঁদের অনেকে চালের পিটুলকে কচুপাতায় মুড়ে পশুর আকার দিয়ে বলি করে। আখ, কলা, চালকুমড়াও বলি দেন কেউ কেউ। কোনও কোনও পরিবারে আবার সন্দেশের পশু তৈরি করে বলি দেওয়া হয়।

    এসব আলোচনা থেকে এটা স্পষ্ট, যে দেবীর পছন্দের তালিকায় রয়েছে আমিষ খাবার। তাই যাঁদের পরিবারে পশুবলি দেওয়ার চল নেই, তাঁরাও সন্ধিপুজোয় দেবীকে নিবেদন করেন আমিষ ভোগ। মা সারদার নির্দেশে বেলুড় মঠে পশু বলি হয় না। তবে কালীঘাটে পাঁঠা বলি দিয়ে সেই মাংস এনে সন্ধিপুজোয় দেবীকে উৎসর্গ করা হয় আমিষ ভোগ। বলির মাংস ছাড়াও বেলুড় মঠে দেবীকে অন্তত পাঁচ রকমের মাছ দিয়ে ভোগ দেওয়া হয় আজও।  

     

  • Durga Puja 2022: মহাষষ্ঠীতে পূজিত হন দেবী কাত্যায়নী, তিনি কে জানেন?

    Durga Puja 2022: মহাষষ্ঠীতে পূজিত হন দেবী কাত্যায়নী, তিনি কে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মহাষষ্ঠী (maha Sasthi)। ষষ্ঠী হল চান্দ্র মাসের ষষ্ঠ দিন। সারা বছরই দেবী ষষ্ঠীর আরাধনা করা যায়। তবে সন্তানের মঙ্গল কামনায় মায়েরা (Mothers) যে দুটি ষষ্ঠীর ব্রত মূলত করেন, তার একটি হল অশোক ষষ্ঠী, আর অন্যটি হল দুর্গা ষষ্ঠী। ষষ্ঠীর দিন দেবী দুর্গা পূজিত হন কাত্যায়নী (Katyani) রূপে।

    প্রশ্ন হল, কে এই কাত্যায়নী? দুর্গাপুজোর সময় ন দিন ধরে মহামায়ার নটি রূপের পুজো করা হয়। ষষ্ঠীর দিন পুজো হয় দেবী কাত্যায়নীর। তৈত্তিরীয় আরণ্যকে দেবী কাত্যায়নীর উল্লেখ পাওয়া যায়। ভীষণা এই দেবীর গাত্র বর্ণ দেবী চণ্ডীর মতোই লাল। মার্কণ্ডেয় পুরাণের অন্তর্গত দেবীমাহাত্ম্যে দেবী কাত্যায়নীর উল্লেখ রয়েছে। দেবী ভাগবত পুরাণেও মায়ের লীলা বর্ণিত হয়েছে। বৌদ্ধ, জৈন এবং তন্ত্রশাস্ত্রেও দেবী কাত্যায়নীর উল্লেখ রয়েছে। দেবীর কথা বলা হয়েছে কালিকা পুরাণেও। আর জি ভাণ্ডারকরের মতে, কাত্য জাতির দ্বারা দেবী পূজিতা হতেন বলে তাঁর নাম কাত্যায়নী। আবার একটি মতে, মহর্ষি কাত্যায়নের কন্যা তিনি। তাই তাঁর নাম কাত্যায়নী।

    দেবী কাত্যায়নীর নানা রূপ। কোথাও তিনি দ্বিভুজা, কোথাও আবার চতুর্ভুজাও। আট, দশ কিংবা অষ্টাদশ ভুজা দেবমূর্তিরও পুজো হয় আমাদের দেশে। যেহেতু দেবী কাত্যায়নী মহামায়ারই এক রূপ, তাই তিনি বিশ্বমাতা। সেই কারণেই এদিন ষষ্ঠীর ব্রত করেন মহিলারা। লোকবিশ্বাস, দুর্গা ষষ্ঠীর ব্রত করলে বিপদ আপদ থেকে মনুষ্য সন্তানকে রক্ষা করেন স্বয়ং মহামায়া।

    তবে ষষ্ঠীর দিন যে কাত্যায়নীর পুজো হয়, সেটা নবরাত্রি উৎসবের অঙ্গ বলেই বিবেচনা করেন কেউ কেউ। যাঁদের ষষ্ঠ্যাদিকল্পে দুর্গা পুজো হয়, তাঁরা এদিন দেবীকে দুর্গা রূপেই পুজো করেন। এদিন বিল্ববৃক্ষতলে হয় দেবী বরণের অনুষ্ঠান। বরণ করেন পুরোহিত স্বয়ং। কোথাও কোথাও এয়োস্ত্রীরাও বরণ করেন। তবে তা নিতান্তই লোকাচার, শাস্ত্রসম্মত কিছু নয়। আসলে পরের দিন সপ্তমীর দিন সকালে যে দেবীকে বরণ করে নেবেন গৃহস্থ, এদিন তারই প্রস্তুতি শুরু হয়। বিশ্বাস, এদিন দেবী এসে অপেক্ষা করেন গৃহপ্রবেশের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
LinkedIn
Share