Tag: Durgapur

Durgapur

  • Durgapur Gangrape: কেউ তৃণমূল নেতার ছেলে, কেউ ওই হাসপাতালেরই অস্থায়ী কর্মী! দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে ধৃতদের পরিচয় জানুন

    Durgapur Gangrape: কেউ তৃণমূল নেতার ছেলে, কেউ ওই হাসপাতালেরই অস্থায়ী কর্মী! দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে ধৃতদের পরিচয় জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ওড়িশা থেকে পড়তে আসা এক তরুণীকে ক্যাম্পাসের মধ্যেই গণধর্ষণের অভিযোগে (Durgapur Gangrape) তোলপাড় গোটা রাজ্য। ওই ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা সকলেই ওই বেসরকারি কলেজ লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দা। ধৃতদের মধ্যে একজন আবার ওই হাসপাতালেরই প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষী। আর একজন দুর্গাপুরেরই একটি হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী। আর একজন আবার স্থানীয় তৃণমূল নেতার ছেলে! এবার আসুন, অভিযুক্তদের চিনে নিই। প্রসঙ্গত, গণধর্ষণকাণ্ডে (Durgapur Gangrape) রবিবার গ্রেফতার করা হয় শেখ রেয়াজউদ্দিন, অপু বাউড়ি এবং ফিরদৌস শেখকে। পরের দিন পুলিশ গ্রেফতার করে শেখ নাসিরউদ্দিন এবং সফিক শেখকে।

    হাসপাতালেরই প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষী ররেয়াজউদ্দিন 

    বছর একত্রিশের রেয়াজউদ্দিনের বাড়ি ওই মেডিক্যাল কলেজের পাশেই দুর্গাপুর বি জোনের বিজড়া ডাঙাপাড়ায়। বছর কয়েক আগে এই কলেজ হাসপাতালেই নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করত সে। রেয়াজউদ্দিনের বৌদি বলেন, “পুলিশ এসে দেওরকে ধরে নিয়ে গিয়েছে। ও নিজের ইচ্ছেয় কাজ ছেড়ে দিয়েছিল। এখন কিছু করে না। এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়ায়।”

    হাসপাতালেরই অস্থায়ী কর্মী ফিরদৌস শেখ

    দুর্গাপুরের মিশন হাসপাতালে জেনারেল ডিউটি অ্যাটেনডেন্টের কাজ করত বছর তেইশের ফিরদৌস শেখ। গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত সে-ও। ঘটনার দিনও মর্নিং শিফটে কাজ করেছিল। তার কাছ থেকেই উদ্ধার হয় নির্যাতিতার মোবাইল ফোন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, এজেন্সির মাধ্যমে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা হয় (Durgapur Gangrape)। তাই তারা এ ব্যাপারে কিছু জানে না।

    তৃণমূল নেতার পুরকর্মী ছেলে নাসিরউদ্দিন!

    বিজড়া ডাঙাপাড়ারই বাসিন্দা আর এক অভিযুক্ত বছর একুশের অপু বাউড়ি। পরিবারের দাবি, সে পেশায় দিনমজুর। তার স্ত্রী মামণির দাবি, তাঁরা এক সঙ্গেই ঘুমোচ্ছিলেন, ফাঁসানো হয়েছে তাঁর স্বামীকে। গ্রেফতার করা হয়েছে শেখ নাসিরউদ্দিনকেও। বছর তেইশের নাসিরউদ্দিন দুর্গাপুর পুরসভার অস্থায়ী কর্মী বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। তার বাবা তৃণমূল করেন। গ্রেফতার করা হয়েছে সফিক শেখকেও। তার বয়স তিরিশের কাছাকাছি। সে-ও এলাকারই বাসিন্দা।

    প্রসঙ্গত, সোমবারই দুর্গাপুরের এই ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে তৃণমূল-যোগের অভিযোগে সরব হয়েছিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেছিলেন, “আজকে (সোমবার) যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তিনি দুর্গাপুর পুরসভার অস্থায়ী কর্মী, তৃণমূলের ক্যাডার। ওঁর বাবা পার্টির পোর্টফোলিও হোল্ডার।” শুভেন্দু এও বলেছিলেন, “এই গণধর্ষণের সঙ্গে সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের পদাধিকারী জড়িত। শাসক যেখানে শোষক, সেখানে আইনের শাসন ও বিচার পাওয়ার কোনও জায়গা নেই (Durgapur Gangrape)।”

  • Durgapur Gangrape: “ওড়িশার এক মেয়েকে আমরা এখানে সুরক্ষিত রাখতে পারলাম না!”, আক্ষেপ শুভেন্দুর

    Durgapur Gangrape: “ওড়িশার এক মেয়েকে আমরা এখানে সুরক্ষিত রাখতে পারলাম না!”, আক্ষেপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ওড়িশার এক মেয়েকে আমরা এখানে সুরক্ষিত রাখতে পারলাম না! আমরা লজ্জিত, ক্ষমাপ্রার্থী।” সোমবার দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডের (Durgapur Gangrape) শিকার নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Shuvendu Adhikari)। সোমবার দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের সামনে ধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে ধর্না মঞ্চ বেঁধেছিল বিজেপি। পদ্মশিবিরকে সেই মঞ্চ বাঁধায় পুলিশ প্রথমে বাধা দিয়েছিল বলে অভিযোগ। তা নিয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে উপস্থিত পুলিশ কর্তাদের তর্কাতর্কি পর্যন্ত শুরু হয়ে যায়। পরে ওই মঞ্চে উপস্থিত হন শুভেন্দু। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অভিযোগে সোচ্চার হন তিনি।

    ‘আমরা লজ্জিত’ (Durgapur Gangrape)

    এই মঞ্চ থেকেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সটান চলে যান নির্যাতিতার বাড়িতে। পরে বলেন, “ওঁর পরিবার জানিয়েছে, আরও ভালো চিকিৎসার জন্য মেয়েটিকে ওরা ভুবনেশ্বর এইমসে নিয়ে যেতে চায়। আমি শুনে আরও লজ্জিত হয়েছি যে, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসেননি, ফোনও করেননি। অথচ ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি ফোন করে সহানুভূতি জানিয়েছেন।” এদিকে, দুর্গাপুরের ওই গণধর্ষণকাণ্ডে (Durgapur Gangrape) সোমবার পর্যন্ত গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫। রবিবার তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সোমবার সকালে আরও একজনকে ধরা হয়। তাকে জেরা করে পরে আরও একজনকে গ্রেফতার করে আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ।

    শুভেন্দুর তোপ

    অন্যদিকে, দুর্গাপুরকাণ্ডের মেডিক্যাল রিপোর্টে ইতিমধ্যেই ধর্ষণের ইঙ্গিত মিলেছে। দুর্গাপুরের এই কাণ্ডে প্রত্যক্ষভাবে তৃণমূল-যোগের অভিযোগে সরব হন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “এখনও পর্যন্ত মোট চারজন গ্রেফতার হয়েছে। আজকে যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তিনি দুর্গাপুর পুরসভার অস্থায়ী কর্মী, তৃণমূলের ক্যাডার। ওঁর বাবা পার্টির পোর্টফোলিও হোল্ডার।” তিনি বলেন, “এই গণধর্ষণের সঙ্গে সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের পদাধিকারী জড়িত। শাসক যেখানে শোষক, সেখানে আইনের শাসন ও বিচার পাওয়ার কোনও জায়গা নেই।” এদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের বয়ানেও একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে।

    তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা যখন জঙ্গলের মধ্যে নির্যাতিতা ও তাঁর সহপাঠীকে ঘিরে ধরেছিলেন, তখন বেশ কিছুক্ষণের জন্য তাঁর সহপাঠী তাঁকে সেখানে ফেলে চলে এসেছিলেন। আধঘণ্টা পরে তিনি আবারও সেখানে যান এবং নির্যাতিতাকে নিয়ে আসেন। কেন তিনি প্রথমে চলে গিয়েছিলেন, কেনই বা পরে সহপাঠীকে ফেরত নিতে এসেছিলেন (Shuvendu Adhikari), সেই সব মিসিং লিঙ্ক খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ (Durgapur Gangrape)।

  • Mamata Attacks Suvendu: ‘মধ্যযুগীয় মানসিকতার পরিচয়’, দুর্গাপুর ধর্ষণকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের কড়া সমালোচনা শুভেন্দুর

    Mamata Attacks Suvendu: ‘মধ্যযুগীয় মানসিকতার পরিচয়’, দুর্গাপুর ধর্ষণকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের কড়া সমালোচনা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যযুগীয় মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, দাবি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary)। দুর্গাপুরে (Durgapur medical student rape) ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেছিলেন, ‘মেয়েদের রাতে বাইরে যাওয়া উচিত নয়’। তাঁর এই সাম্প্রতিক মন্তব্য ঘিরে তীব্র সমালোচনা ও জোর বিতর্ক শুরু হতেই মমতা দাবি করেন, তাঁর কথার বিকৃতি করা হয়েছে। কিন্তু, মমতার সেই দাবি খারিজ করে শুভেন্দু সাফ জানিয়ে দিলেন, এই মন্তব্য কোনওভাবে বিকৃত করা হয়নি। শুভেন্দুর অভিযোগ, এই মন্তব্য আসলে নারী স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ আর নারীর নিরাপত্তা বিষয়ে সরকারের চরম ব্যর্থতা আড়াল করার কৌশল।

    প্রশাসনিক ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা

    শুক্রবার রাতে দুর্গাপুরের এক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এমবিবিএস ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। হাসপাতালের পিছনের নির্জন এলাকায় তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। ওড়িশার বাসিন্দা ওই ছাত্রী বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর বাবা জানিয়েছেন, মেয়েকে ওড়িশায় নিয়ে যেতে চান, কারণ দুর্গাপুরে আর নিরাপত্তা নেই বলে মনে করছেন। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে ওই ছাত্রী রাতে ক্যাম্পাসের বাইরে বেরোলেন? তাঁর এই প্রশ্ন নিয়েই সমস্যার সূত্রপাত। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, তাঁর মন্তব্যকে বিকৃত করা হচ্ছে। যদিও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ভিডিও-প্রমাণ সহ জানিয়ে দেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য কোনওভাবে বিকৃত করা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য আসলে তাঁর প্রশাসনিক ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা।

    মধ্যযুগীয় মানসিকতার ছাপ

    বিজেপি নেতা রবিরার রাতে টুইটে জানান, মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য ‘মধ্যযুগীয় মানসিকতার পরিচায়ক। তাঁর মন্তব্যের প্রমাণ সহ ভিডিও আমাদের কাছে রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে নারী নির্যাতনের ঘটনাকে ঢাকতে এখন ভিকটিম শেমিং-ই রাজ্য সরকারের নীতি হয়ে উঠেছে।’ শুভেন্দুর অভিযোগ, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা প্রায় নেই। মহিলাদের ওপর নারকীয় অত্যাচারের জন্য তাঁদেরকেই দায়ী করা হচ্ছে। তাঁর বক্তব্য, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলিতে একের পর এক যৌন হেনস্থার ঘটনা প্রমাণ করছে প্রশাসনের ব্যর্থতা।’ উদাহরণ দিয়ে আর জি কর মেডিকেল কলেজ থেকে শুরু করে কসবা ল কলেজ, পাঁশকুড়া হাসপাতাল এবং সাম্প্রতিক দুর্গাপুর মেডিক্যাল কলেজের কথা মনে করিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর কটাক্ষ, ‘এভাবে চলতে থাকলে একদিন হয়তো মুখ্যমন্ত্রী বলবেন, মেয়েদের দিনের বেলাতেও বাইরে বেরনো উচিত নয়, তারা পড়াশোনা বা চাকরিও করবে না।’

    বিজেপি প্রতিনিধি দলকে বাধা পুলিশের

    দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রীকে ‘গণধর্ষণের’ ঘটনায় ইতিমধ্যেই শেখ রিয়াজউদ্দিন, শেখ ফিরদৌস এবং আপ্পুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার তাঁদের আদালতে পেশ করা হলে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রবিবার দুর্গাপুরে নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। এদিন হাসপাতালে ঢোকার চেষ্টা করতেই গেট বন্ধ করে দেন পুলিশকর্মীরা। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি নেত্রী-সহ দলের অন্যান্য নেতারা। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, কেন হাসপাতালে যেতে দেওয়া হচ্ছে না, কেন পুলিশ ভিতরে, অথচ সাধারণ মানুষ ও চিকিৎসকেরা বাইরে?

  • Mamata Banerjee: “রাত সাড়ে ১২টায় কীভাবে বাইরে এল ওই তরুণী?”, দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর

    Mamata Banerjee: “রাত সাড়ে ১২টায় কীভাবে বাইরে এল ওই তরুণী?”, দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ‘দুধেল গাই’দের চটিয়ে ভোটব্যাংকে ধস নামাতে রাজি নন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)! আর তাই, দুর্গাপুরে ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রীর গণধর্ষণের (Durgapur Gang Rape) ঘটনায় তিনি নিরাপত্তার দায় চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন বেসরকারি কলেজগুলির ঘাড়ে। গভীর রাতে ছাত্রীটি কীভাবে ক্যাম্পাসের বাইরে যেতে পারল, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।

    মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য (Mamata Banerjee)

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন,  “সে একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে পড়ত। দায়িত্ব কার? সে রাত সাড়ে ১২টায় কীভাবে বাইরে এল?”  তিনি বলেন, “বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলিকেই তাদের ছাত্রছাত্রীদের এবং রাতের সংস্কৃতির দায়িত্ব নিতে হবে। ওদের বাইরে আসতে দেওয়া উচিত নয়। ওদের নিজেদের সুরক্ষা করতে হবে। এটা জঙ্গলের এলাকা।” ভোটের আগে গা থেকে কলঙ্কের কালি মুছে ফেলতে ওড়িশার বিজেপি সরকারকেও নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “ওড়িশায় সমুদ্রসৈকতে মেয়েদের ধর্ষণ করা হয়েছে। ওড়িশা সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে?” তিনি বলেন, “মণিপুর, উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং ওড়িশায় এমন বহু ঘটনা ঘটেছে। আমরা মনে করি, সেখানকার সরকারগুলিরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”

    বিজেপির তোপ

    বিজেপির অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) যৌন হিংসার ঘটনায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার পরিবর্তে ভুক্তভোগীকেই দোষারোপ করছেন। এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপির মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া লেখেন, “নির্লজ্জ @মমতাঅফিসিয়াল নারীসমাজের কলঙ্ক, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য আরও বেশি করে। আরজিকর ও সন্দেশখালির পর, এখন এই নৃশংস ঘটনায়ও ন্যায়বিচারের বদলে তিনি ভুক্তভোগীকেই দোষারোপ করছেন!” তিনি বলেন, “একজন মুখ্যমন্ত্রী যিনি মেয়েদের নিরাপত্তা (Durgapur Gang Rape) নিশ্চিত করার বদলে বলেন রাতে বাইরে না যেতে, তাঁর অফিসে থাকার নৈতিক অধিকার নেই। মানুষ এখন বুঝতে পারছেন যে তাঁরা এক অরাজকতাবাদী, নির্মম মমতার ওপর বিশ্বাস রেখেছিলেন। তাঁর পদত্যাগ করা উচিত এবং আইনের আওতায় তাঁকে জবাবদিহি করতে হবে।” বিজেপির মুখপাত্র শাহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বেটিকে দোষারোপ করেন এবং ধর্ষকের পক্ষ নেন।” তিনি বলেন, “বারবার আরজি কর, সন্দেশখালি, পার্ক স্ট্রিট — তিনি এভাবেই মন্তব্য করেছেন।” অতীতে মমতার বিতর্কিত মন্তব্যের কথা উল্লেখ করে পুনাওয়ালা প্রশ্ন তোলেন, “যাঁরা গতকাল চিৎকার করছিলেন সুপ্রিয়া শ্রীনেতে, প্রিয়াঙ্কা বঢরা, রাহুল গান্ধী ইত্যাদি — তাঁরা কি এবার মুখ খুলবেন?”

    মেয়ের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত বাবা

    প্রসঙ্গত, ওড়িশার জলেশ্বরের ওই তরুণী দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি কলেজে এমবিবিএসের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। শুক্রবার রাতে তিনি এক বন্ধুর সঙ্গে বাইরে বেরিয়েছিলেন। তখনই কয়েকজন ওই তরুণীকে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। ঘটনায় শোকাহত তরুণীর বাবা জানান, তিনি মেয়েকে ওড়িশায় ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন। পশ্চিমবঙ্গে মেয়ের নিরাপত্তা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, “এখানে মেয়ের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা খুবই চিন্তিত। যে কোনও মুহূর্তে ওকে এখানে মেরে ফেলতে পারে। তাই আমরা ওকে ওড়িশায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাই। বিশ্বাস ভেঙে গিয়েছে। আমরা চাই না ও বাংলায় থাকুক। ও ওড়িশায় গিয়েই পড়াশোনা চালিয়ে যাবে। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রশাসন আমাদের সাহায্য করছে (Mamata Banerjee)।”

    এদিকে, দুর্গাপুরের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে একজনকে। ওই তরুণীর পুরুষ বন্ধুটিকেও নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর (Durgapur Gang Rape)। ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি বলেন, “আমি দৃঢ়ভাবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আহ্বান জানাচ্ছি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনের বিধান অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন। আমি ওড়িশার প্রবীণ আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছি যেন তাঁরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেন। ওড়িশা সরকার ভুক্তভোগীর পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা দেবে (Mamata Banerjee)।” উল্লেখ্য যে, বছরখানেক আগে কলকাতার আরজিকর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এক মহিলা চিকিৎসককে নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়েছিল। কয়েক মাস আগে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন কলকাতার একটি আইন কলেজের এক ছাত্রীও (Durgapur Gang Rape)।

  • Durgapur Gangrape: আরজি করের ছায়া দুর্গাপুরে! গণধর্ষণের শিকার ওড়িশার ডাক্তারি পড়ুয়া, মুখ্যমন্ত্রী মুখ খুলছেন না কেন? প্রশ্ন বিজেপির

    Durgapur Gangrape: আরজি করের ছায়া দুর্গাপুরে! গণধর্ষণের শিকার ওড়িশার ডাক্তারি পড়ুয়া, মুখ্যমন্ত্রী মুখ খুলছেন না কেন? প্রশ্ন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি৷ অভিযুক্তের বিচার চলছে। এর মাঝেই ফের চিকিৎসক পড়ুয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল৷ এবার দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি ছাত্রীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। দুর্গাপুরের শোভাপুর এলাকার একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া ওই তরুণী উড়িষ্যার জলেশ্বরের বাসিন্দা। বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত বেসরকারি কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করেনি৷ ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ।

    এই রাজ্যে সুরক্ষিত নয় মেয়ে 

    শুক্রবার রাতে এক পরিচিতের সঙ্গে কলেজের বাইরে বেরিয়েছিলেন নির্যাতিতা। অভিযোগ, কয়েক জন যুবক তাঁদের উত্ত্যক্ত করেন। তার পর টেনেহিঁচড়ে ওই তরুণীকে পাশের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ‘নির্যাতিতা’র বয়ান নথিবদ্ধ করা হয়েছে। নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিবারের দাবি, পাঁচজন তাঁকে ধর্ষণ করেছে৷ এরা সকলেই তাঁর অপরিচিত বলেও জানিয়েছেন নির্যাতিতা৷ এই ঘটনার রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দুর্গাপুর শহরে। মেয়েকে আর এই রাজ্যে রেখে পড়াতে চাইছেন না পরিবারের সদস্যরা। নির্যাতিতার বাবা বলছেন, “আমার মেয়ে এখানে সুরক্ষিত নয়। আমি এখানে আর ওকে পড়াব না। আমি ওকে বাড়ি নিয়ে চলে যাব।”

    রাস্তার ধারে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ

    প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে কলেজের বাইরে বেরিয়েছিলেন ডাক্তারির ওই পড়ুয়া। অভিযোগ ওই ছাত্রী ও তাঁর সঙ্গী দুর্গাপুর সরকারি মহাবিদ্যালয় সংলগ্ন মোহনবাগান অ্যাভিনিউ রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছিলেন৷ অন্ধকারে সেখানেই পাঁচজন ছেলে ওই ডাক্তারি পড়ুয়ার ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায় জঙ্গলের ভিতরে। অভিযোগ, নির্যাতনের আগে তাঁর কাছ থেকে মোবাইল এবং টাকাপয়সা কেড়ে নেওয়া হয়। পুরুষ সঙ্গীকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই সময় পালিয়ে গেলেও পরে তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করান ওই সঙ্গীই। যদিও ওই সঙ্গীর দাবির সত্যাসত্য খতিয়ে দেখতে তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্ত এই প্রসঙ্গে বলেন, “তদন্ত চলছে। পুলিশের কাছে নতুন তথ্য এলে তা জানানো হবে।” একই সঙ্গে তিনি জানান, বিষয়টি সংবেদনশীল। তাই সব দিক মাথায় রেখেই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

    নির্যাতিতার বাড়ি ওড়িশার জলেশ্বরে

    দুর্গাপুরে বেশ কয়েকটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ, নার্সিং কলেজ-সহ ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যানেজমেন্ট কলেজ রয়েছে। ভিন রাজ্যের বহু ছাত্র-ছাত্রী এই কলেজগুলিতে পড়াশোনা করতে আসে। কিন্তু এই ধরনের ঘটনা দুর্গাপুর এই প্রথম বলেই জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। নিউ টাউনশিপ থানা এলাকার মোহনবাগান অ্যাভিনিউ সংলগ্ন এলাকাটি জঙ্গল ঘেরা। রাতে এই এলাকা একেবারেই নির্জন থাকে৷ শুক্রবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে নির্যাতিতা তরুনীর পরিবারের দাবি। এই মুহূর্তে বেসরকারি যে মেডিক্যাল কলেজে ওই তরুণী এমবিবিএস-এর দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছিল সেখানেই চিকিৎসাধীন৷ মেয়ের উপর এই ধরনের অত্যাচারের ঘটনার কথা শুনে ওড়িশার জলেশ্বর থেকে তার পরিবার শনিবার সকালে এসে পৌঁছয় বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে।

    আরজি কর কাণ্ডের ছায়া

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৯ অগাস্ট কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে ডাক্তারির এক পড়ুয়াকে ধর্ষণ এবং খুন করা হয়েছিল। ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হন সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস রায় ঘোষণা করেন। তিনি জানান, দোষীর সর্বোচ্চ সাজা হবে মৃত্যুদণ্ড। সর্বনিম্ন সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। বস্তুত, আরজি কর-কাণ্ডে একমাত্র অভিযুক্ত হিসাবে সঞ্জয়ের নাম করেছিল সিবিআই। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ (ধর্ষণ), ৬৬ (ধর্ষণের পর মৃত্যু) এবং ১০৩ (১) (খুন) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় সঞ্জয়কে। আরজিকরের এক বছরের মাথায় ফের রাজ্যে নারী নির্যাতন।

    ঘটনার প্রতিবাদে সরব বিজেপি

    ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিজেপি। তাঁদের অভিযোগ, “আরজি করের ঘটনায় যেমন সত্য গোপন করা হয়েছিল, এখানেও সেই চেষ্টা চলছে।” বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, “এই রাজ্যে ধর্ষণ মানেই প্রশাসনের নীরবতা। মুখ্যমন্ত্রী মুখ খুলছেন না কেন?” অন্যদিকে, জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, “আরজি কর, কসবা প্রতিটি ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটছে। কারণ দোষীরা শাস্তি পাচ্ছে না। ফাঁসি পর্যন্ত যাচ্ছে না কোনও মামলা। বিচার হচ্ছে না, তাই অপরাধীরা আরও বেপরোয়া।” ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার। আরজি কর, কসবা কাণ্ডের রেশ টেনে তিনি বলছেন, “দোষীদের সঠিকভাবে ধরে সঙ্গে সঙ্গে শাস্তি না দেওয়ার কারণেই এভাবে যৌন নির্যাতনের ঘটনা, ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে চলেছে। আমরা পশ্চিমবঙ্গে কোনও রেপিস্ট বা খুনের চরম শাস্তি হতে দেখছি না। কারও ফাঁসি হতে দেখিনি। আমরা যতই দৌড়াই কিন্তু কোনও একটা অদৃশ্য হাতের জন্য কোনও দোষীর সেইভাবে শাস্তি হচ্ছে না। বিচার পেতেও দেরি হয়ে যাচ্ছে।”

  • PM Modi: “মা, মাটি, মানুষের দলের দ্বারা নারীদের প্রতি দুর্ব্যবহার আমায় ব্যথিত করে,” দুর্গাপুরে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “মা, মাটি, মানুষের দলের দ্বারা নারীদের প্রতি দুর্ব্যবহার আমায় ব্যথিত করে,” দুর্গাপুরে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালী কলকাত্তাওয়ালি। এ কথা মাথায় রেখেই দুর্গাপুরের নেহরু স্টেডিয়ামের বিশাল জনসভায় ‘জয় মা কালী’ বলে বক্তৃতা শুরু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২১ জুলাই ধর্মতলায় সভা রয়েছে তৃণমূলের। তার আগে প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) দিয়ে সভা করিয়ে ঘাসফুল শিবিরকে মাত দিল বিজেপি।

    বিকশিত বাংলা (PM Modi)

    এদিন বক্তৃতার শুরুতেই বিকশিত বাংলার প্রসঙ্গ (TMC) টানেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “বিজেপি বিকশিত বাংলা চায়। বাংলার এই মাটি প্রেরণায় পূর্ণ। এই মাটি দেশের প্রথম শিল্পমন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মাটি। দেশের প্রথম শিল্পনীতি দিয়েছিলেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গ বিধানচন্দ্র রায়ের মত দূরদর্শী নেতার মাটি। যিনি দুর্গাপুরকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলেন। এই মাটি রবি ঠাকুরের মাটি। এরকম মহান ব্যক্তিত্বরা পশ্চিমবঙ্গকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। আর তাই পশ্চিমবঙ্গ ভারতের বিকাশের কেন্দ্র ছিল।” তিনি বলেন, “এক সময় বাংলা সমৃদ্ধই ছিল। বিকাশের কেন্দ্রে ছিল। কিন্তু এখন আর তা নেই। আমরা এই অবস্থাই বদলাতে চাইছি। বিজেপি সমৃদ্ধ পশ্চিমবঙ্গ তৈরি করতে চায়। এখন এখানে কাজের জন্য বাইরে যেতে হয় বাংলার মানুষকে। বাংলাকে এই অবস্থা থেকে বের করতে হবে। বাংলা পরিবর্তন চায়, বাংলা উন্নয়ন চায়।”

    বিজেপি ক্ষমতায় এলে

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিজেপি ক্ষমতায় এলেই বাংলা দেশের অন্যতম শিল্পসমৃদ্ধ রাজ্য হয়ে উঠবে। এটা আমার বিশ্বাস। তৃণমূল বাংলাকে শিল্পোন্নত হতে দিচ্ছে না। তাই তৃণমূলকে বাংলা থেকে সরাতে হবে। পশ্চিমবঙ্গকে এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে এখানে নতুন বিনিয়োগ আসে। কর্মসংস্থান তৈরি হয়। কিন্তু যতদিন তৃণমূল থাকবে, ততদিন এসব হবে না।” তিনি বলেন, “তৃণমূল সরকার বাংলার বিকাশের পথে অন্তরায়। যেদিন তৃণমূল সরকারের পতন হবে সেদিন থেকে বাংলা নতুন গতিতে দৌড়বে। তৃণমূল সরকার গেলে তবেই আসল পরিবর্তন হবে।”

    আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে

    প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে প্রত্যাশিতভাবেই উঠে আসে মুর্শিদাবাদের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “মুর্শিদাবাদের মতো ঘটনা ঘটলে পুলিশ পক্ষপাতিত্ব করে। আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। তৃণমূলের গুন্ডাগিরির জন্যই এখানে উদ্যোগপতিরা আসেন না। তাই তৃণমূলকে সরাতেই হবে। বিনিয়োগকারীরা সিন্ডিকেটরাজ দেখেই পালিয়ে যান। তৃণমূলের জমানায় রসাতলে যাচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা – সব।” প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে উঠে আসে আরজিকর এবং কসবাকাণ্ডও। তিনি বলেন, “বাংলার হাসপাতালও (TMC) মেয়েদের জন্য সুরক্ষিত নয়। তখনও দেখা গিয়েছে, কীভাবে অপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। এর পর কলেজেও একটা মেয়ের ওপর কীভাবে অত্যাচার চালানো হল, সেখানে সেখানে দেখা গেল তৃণমূলের লোকেরা জড়িত (PM Modi)।” তিনি বলেন, “যে দল মা, মাটি, মানুষ-এর আদর্শ নিয়ে কথা বলে, তাদের দ্বারা নারীদের প্রতি এমন দুর্ব্যবহার আমাকে গভীরভাবে ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ করে তোলে। ভারতের প্রথম পাশ্চাত্য-শিক্ষিত মহিলা চিকিৎসক কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়ের এই পবিত্র ভূমিতে এমন ঘটনা ঘটতে দেখা অত্যন্ত দুঃখজনক। পশ্চিমবঙ্গে নারীদের ওপর ঘটে চলা নৃশংসতা আমাদের কষ্ট দেয়, রাগে ভরিয়ে তোলে।”

    অনুপ্রবেশকারী প্রসঙ্গ

    অনুপ্রবেশকারীদের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অনুপ্রবেশকারীদের হয়ে সরাসরি মাঠে নেমে পড়েছে তৃণমূল। কান খুলে শুনে রাখুন, অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে সংবিধান অনুযায়ীই পদক্ষেপ করা হবে।” প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডেলে করা একটি পোস্টে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “তৃণমূলের (TMC) দুঃশাসনের কারণে ভুগছে পশ্চিমবঙ্গ। মানুষ বিজেপির দিকে আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে। তারা বিশ্বাস করে, উন্নয়ন শুধু এনে দিতে পারে বিজেপিই। আগামিকাল দুর্গাপুরে বিজেপির এক জনসভায় অংশ নেব। সবাই যোগ দিন।”

    তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির কারণে বেকার শিক্ষকরা

    এদিনের সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “হাজার হাজার শিক্ষক তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির কারণে বেকার। আদালতও বলেছে, এটি একটি পদ্ধতিগত প্রতারণা।” মমতা সরকারকে নিশানা করে তিনি বলেন, “এই সরকার মিথ্যে, আইনশৃঙ্খলাহীন এবং লুটেরাদের সরকার।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজেপির পক্ষ থেকে আমি আপনাদের অনুরোধ করছি বিজেপিকে একবার সুযোগ দিন। একটি পরিশ্রমী, সৎ ও শক্তিশালী সরকার বেছে নিন (PM Modi)।”

    কী বললেন মিঠুন

    প্রধানমন্ত্রীর আগে ভাষণ দেন অভিনেতা কাম বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “এবার আমাদের জীবন-মরণের লড়াই। আমাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আশীর্বাদ রয়েছে। আমি থাকব। আপনারা থাকবেন। সকলে মিলে লড়ব। যেভাবেই হোক এই ইলেকশন (ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচন) আমাদের জিততেই হবে। এছাড়া আর কী নিয়ে কথা বলব?” তিনি বলেন, “দুর্নীতি? দুর্নীতি তো ভরে রয়েছে রাজ্যটায় (TMC)। একটা ফাঁকও নেই। মা-বোনদের ইজ্জত নিয়ে কথা বলব? সেখানেও কথা বলার উপায় নেই। আমি পশ্চিমবঙ্গের ছেলে। এ রাজ্যের মা-বোন আমার মা-বোন।” মিঠুন বলেন, “আমি রাজনীতি করি না। মানুষ-নীতি করি। সেই জন্যই বারবার আমি পশ্চিমবঙ্গে ছুটে আসি।” এই অভিনেতা-রাজনীতিক বলেন, “এবার মাঠে নেমেছি একেবারে তৈরি হয়ে। ২৩-২৪ তারিখ থেকে পুরো মাঠে নামব। আপনাদের সঙ্গে থাকব। আপনাদের প্রবলেম জানব। মাঠে নেমে এক সঙ্গে লড়াই করব। এই লড়াই বহুদিন মনে রাখবে পশ্চিমবঙ্গ।” তিনি বলেন, “বিজেপি হেরে যাওয়ার পাত্র নয়। শুধু পুলিশকে একটু নিরপেক্ষ হওয়ার কথা বলুন। তারপর দেখুন, বিজেপি কী করতে পারে (PM Modi)।”

  • Modi In Bengal: বাংলার উন্নতিতে ৫,৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ! গুচ্ছ প্রকল্প নিয়ে আজ দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী মোদি

    Modi In Bengal: বাংলার উন্নতিতে ৫,৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ! গুচ্ছ প্রকল্প নিয়ে আজ দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় তৃণমূলের অপশাসন রুখতে বঙ্গবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi In Bengal)। আজ, শুক্রবার বঙ্গে পা রাখছেন প্রধানমন্ত্রী। দুর্গাপুরে জোড়া সভা তাঁর। বাংলার উন্নতিতে, দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের হাল ফেরাতে ৫৪০০ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রাকৃতিক গ্যাস, রেল ও বিদ্যুৎ শিল্পে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন খাতে এই টাকা ব্যয় করা হবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে দুর্গাপুরে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে এই বিনিয়োগের কথা জানান রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।

    মোদির আহ্বান

    বাংলার মাটিতে পা রাখার আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্দেশে তোপ দেগে তাৎপর্যপূর্ণ পোস্ট করলেন নরেন্দ্র মোদি (Modi In Bengal)। শুক্রবার দুর্গাপুরে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর পাশের মঞ্চেই রাজনৈতিক সভা করবেন তিনি। সে-কথা জানিয়েই করেছেন পোস্ট। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূলের অপশাসনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বঙ্গের মানুষ অনেক আশা নিয়ে এবার বিজেপির দিকে তাকিয়ে আছেন এবং তাঁরা নিশ্চিত যে একমাত্র বিজেপি-ই পারবে উন্নয়ন করতে। এই বলে মানুষকে তাঁর সভায় যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে পৌঁছতে তিনি উদগ্রীব । দুর্গাপুরে তিনি তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, রেল এবং সড়ক সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। মোট ৫০০০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন, জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    উন্নতি চায় কেন্দ্র

    শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী মোদির (Modi In Bengal) সভার আগে রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাজ্য সরকার সবসময় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তোলে। কিন্তু রাজ্যের স্বার্থে কেন্দ্রের ৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ প্রমাণ করে দেয়, মোদি সরকার কখনও বিমাতৃসুলভ আচরণে বিশ্বাসী নয়। সমস্ত রাজ্যের উন্নয়ন করতে চায়। রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য জানান, এই বিনিয়োগে বিপুল কর্মসংস্থান হবে।

    কোন কোন প্রকল্পে বিনিয়োগ

    জানা গিয়েছে, শুক্রবার মোট পাঁচটি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi In Bengal)। বৃহস্পতিবার রাতভর জোরকদমে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলেছে দুর্গাপুরের নেহরু স্টেডিয়ামে। এখান থেকেই জনসভার পাশাপাশি একাধিক সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তাই স্টেডিয়ামে দু’টি পৃথক মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।

    বাড়ি বাড়ি প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ: বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় বাণিজ্যিক ও বাড়ি বাড়ি প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করবে ভারত পেট্রোলিয়াম সংস্থা। পাশাপাশি চালু করবে সিএনজি আউটলেট। ১৯৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে হচ্ছে এই প্রকল্প।

    উর্জা গঙ্গা প্রকল্প: ‘প্রধানমন্ত্রী উর্জা গঙ্গা’ প্রকল্পের অধীনে ১১৯০ কোটি টাকা বিনিয়োগে দুর্গাপুর থেকে হলদিয়া ১৩২ কিলোমিটার পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করা হবে। এর ফলে পূর্ব বর্ধমান, হুগলি ও নদিয়া জেলায় কয়েক লক্ষ বাড়িতে পাইপলাইনে পৌঁছে যাবে রান্নার গ্যাস। এ ছাড়া জগদীশপুর থেকে হলদিয়া ও বোকারো থেকে ধর্মা পর্যন্ত প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের পাইপ লাইন করা হবে।

    দূষণ নিয়ন্ত্রণ: পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র ও বাঁকুড়ার মেজিয়াতে ডিভিসির তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দূষণ ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে একাধিক বার। দূষণ ছড়ানোর অভিযোগে পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডালে ডিভিসির তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে ২০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে এই তিনটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ফুয়েল গ্যাস ডেসুলফিউরাইজ়েশন পদ্ধতির সূচনা হবে। এর ফলে দূষণ কমবে। এই প্রকল্পে খরচ হবে ১৪৫৭ কোটি টাকা।

    রেল পরিষেবা উন্নত: রাজ্যে রেল পরিষেবা উন্নত করতে ৩৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে পুরুলিয়া থাকে কোটশিলা পর্যন্ত ৩৬ কিলোমিটার ডাবল লাইন করা হবে। কাজটি সম্পন্ন হলে জামশেদপুর, বোকারো, ধানবাদ, রাঁচি ও কলকাতার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে ও পণ্য পরিবহণে সুবিধা হবে। এছাড়া পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বর ও জামুড়িয়ার তপসি স্টেশন সংলগ্ন রেলগেটে দু’টি ওভারব্রিজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ‘সেতু ভারতম’ প্রকল্পের আওতায় ৩৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে ওভারব্রিজ দু’টি তৈরি হওয়ায় দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়েছে এলাকাবাসীর।

    কখন কোথায় যাবেন প্রধানমন্ত্রী

    আজ, ১৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর দু’টি অনুষ্ঠান দুর্গাপুরে। সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন ও জনসভা। দু’টিই নেহরু স্টেডিয়ামে। দুর্গাপুরের গান্ধীমোড় থেকে জনসভাস্থল নেহরু স্টেডিয়াম পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার ‘অঘোষিত’ রোড শো করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিহার থেকে অণ্ডাল বিমানবন্দরে নেমে তিনি সড়কপথেই গান্ধীমোড় আসবেন। তার পর শুরু হবে রোড শো। রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে বিজেপি কর্মীরা দাঁড়িয়ে ফুল ছুড়ে স্বাগত জানাবেন প্রধানমন্ত্রীকে। রোড শোয়ের পর নেহরু স্টেডিয়ামে এসে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি।

  • Awas Yojana: তালিকায় নাম তৃণমূল নেতা থেকে রেশন ডিলারের, জেলায় জেলায় আবাস দুর্নীতি

    Awas Yojana: তালিকায় নাম তৃণমূল নেতা থেকে রেশন ডিলারের, জেলায় জেলায় আবাস দুর্নীতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোথাও একজনের নাম রয়েছে পাঁচবার! আবার কোথাও বিলাসবহুল বাড়ি ও প্রচুর সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও আবাসের তালিকায় উঠেছে নাম। জেলায় জেলায় আবাস যোজনায় (Awas Yojana) দুর্নীতির ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসছে। অভিযোগ উঠছে, প্রকৃত উপভোক্তারা যেখানে টাকা পাচ্ছেন না, সেখানে আবাসের টাকা পাচ্ছেন শাসক দলের নেতারা। এনিয়ে এই মুহূর্তে তোলপাড় গোটা রাজ্য। ফলে, জেলায় জেলায় তৃণমূল (Trinamool Congress) সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করেছে।

    আবাস তালিকায় পাঁচবার নাম ভূতুড়ে উপভোক্তার (Awas Yojana)  

    পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া-২ নম্বর ব্লকের জগদানন্দপুর গ্রামের সুদেষ্ণা রায় নামে এক বাসিন্দার আবাস যোজনার (Awas Yojana)  তালিকায় তাঁর নাম এসেছে পাঁচবার! কিন্তু, আরও বড় কেলেঙ্কারি সামনে এল এবার। যখন সরকারি আধিকারিকরা সমীক্ষা করতে গিয়ে দেখলেন, ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে সুদেষ্ণা রায় নামে কোনও মহিলার অস্তিত্বই নেই। আর এতেই রাজনৈতিক মহলের একাংশের প্রশ্ন, আবাস যোজনার টাকা লুট করতে কি এবার ভূতুড়ে উপভোক্তা তৈরি করা হচ্ছে? প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তালিকায় যে গরমিলের অভিযোগ উঠেছে, তার সমাধান করা হবে। তালিকা খতিয়ে দেখে, সমস্ত ভুয়ো নাম যোগ হয়েছে। সেই সমস্ত নাম বাতিল করা হবে। বিজেপি নেত্রী সীমা ভট্টাচার্য বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের ঝোলা থেকে একের পর এক দুর্নীতি বেরিয়ে আসছে। আবাস যোজনার বাড়ি প্রতি তৃণমূল ২০ হাজার টাকা করে তুলছে। ফলে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলাবাজি চলছে এই আবাস যোজনার বাড়ি থেকে। তাই ভুয়ো নাম ঢুকিয়ে দিয়ে তারা টাকা তোলার কারবার ফেঁদেছে। সুদেষ্ণা রায় নামে এই পঞ্চায়েতে কাউকে পাওয়াই যায়নি।” জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের দাবি, “প্রশাসনিক ব্যাপার এটা। কারও নামে ভুলবশত বাড়ি এলে সেই নাম বাতিল হবে। যাঁরা পাওয়ার যোগ্য, তাঁরাই বাড়ি পাবেন।” অন্যদিকে, যোগ্যকে বঞ্চনা, যাঁর পাকা বাড়ি, তাঁকেই আবাস? পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডিতে ঝালদা-বাঘমুণ্ডি রাজ্য সড়ক  অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান যোগ্যরা। মূলত দুর্নীতির অভিযোগে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের।

    আরও পড়ুন: ‘‘তৃণমূলের রুচিবোধ নিম্নমানের, থ্রেট কালচারের জনক মমতা’’, তোপ শুভেন্দুর

    আবাসের তালিকায় নাম রেশন ডিলারের

    পশ্চিম বর্ধমানে আবার আবাসের (Awas Yojana) তালিকায় নাম ঢুকেছে রেশন ডিলারের। জানা গিয়েছে, জেলার কাঁকসার বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতের জামদোহা এলাকায় থাকেন মৃণালকান্তি ঘোষ। তিনি আবার বিদবিহার গ্রামের রেশন ডিলার। তিনি থাকেন বিদবিহারের জামদহ এলাকায় এই বিলাসবহুল বাড়িতে। তারপরেও কীভাবে বাংলা আবাস যোজনায় নাম ঢুকল ওই ব্যক্তির সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে যখন সমীক্ষা হয়েছিল তখন যে ৭৭৪ জনের নাম তালিকায় ছিল, সেই তালিকা গ্রাম পঞ্চায়েতের সার্ভার থেকে মুছে গিয়েছিল। সম্প্রতি সেগুলি আবার ফিরে এসেছে। দেখা যাচ্ছে, ওই তালিকায় অধিকাংশ নামের ব্যক্তিরই রয়েছে পাকা বাড়ি। সেই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আবাসের তালিকায় নাম থাকা রেশন ডিলারকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি তড়িঘড়ি বাইক নিয়ে এলাকা ছাড়েন। কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, এই ধরনের কারও নাম আবাসের তালিকায় থাকার কথা নয়। যারা পাওয়ার যোগ্য তাদেরকেই দেওয়া হবে বাড়ি। সমালোচনায় সরব বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা সাংগঠনিকজেলার বিজেপির সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “সবাই বুঝতেই পারছে বাংলার কী হাল! যারা পাওয়ার যোগ্য তারা থাকছে মাটির ঘরে, আর যাদের রয়েছে বিলাসবহুল বাড়ি তাদের জাতি বদল করে আবাসের তালিকায় নাম দেওয়া হচ্ছে।” রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় দফতরের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, “যারা বাংলা আবাস যোজনার যোগ্য ব্যক্তি তাদেরকেই দেওয়া হবে আবাসের পাকা বাড়ি।”

    আবাসের তালিকায় তৃণমূল প্রধানের স্বামীর নাম

    এবার আউশগ্রাম ১ ব্লকের দিগনগর ২ পঞ্চায়েতেও আবাসের (Awas Yojana) অনিয়মের অভিযোগ সামনে এসেছে। অভিযোগ উঠেছে আবাসের তালিকায় নাম রয়েছে পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর। যদিও প্রধান সবিতা মাহাতো তাঁর স্বামী পরশুরাম মাহাতোর নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য ব্লক প্রশাসনের কাছে চিঠি লিখেছেন। একইভাবে ওই পঞ্চায়েতেরই এক তৃণমূল ছাত্রনেতার নাম জড়িয়েছে। এই অবস্থায় আবাসের তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। জানা গিয়েছে, ওই ছাত্র নেতার নাম হল তন্ময় গোস্বামী। তিনি আউশগ্রাম ১ ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি এবং দিগনগর ২ পঞ্চায়েতের গোপীনাথবাটীর বাসিন্দা। অভিযোগ উঠেছে আবাসের তালিকায় নাম রয়েছে তাঁর বাবার। তবে তিনিও প্রধানের মতোই একইভাবে বিডিওকে চিঠি দিয়ে তালিকা থেকে বাবার নাম বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। তাঁদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন, বিডিও (আউশগ্রাম ১) শেখ কামরুল ইসলাম। এ বিষয়ে বিডিও জানান, সবকিছু খতিয়ে দেখার পরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: “ইতি তোমার মা”! দুর্গাপুজোর মণ্ডপসজ্জায় শিশুর জীবনচক্র ও মায়ের জীবনী

    Durga Puja 2024: “ইতি তোমার মা”! দুর্গাপুজোর মণ্ডপসজ্জায় শিশুর জীবনচক্র ও মায়ের জীবনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ইতি তোমার মা”। দুর্গাপুজোয় শিহরণ জাগানো এই থিম নিয়ে জোরকদমে প্রস্তুতি চলছে দুর্গাপুর সি-জোন বুদ্ধবিহার সর্বজনীন দুর্গোৎসব সম্মিলনীর। মাতৃরূপে দুর্গাপ্রতিমা সহ মাতৃগর্ভে থাকা শিশুর জীবনচক্র ও প্রকৃত মায়ের জীবনী মাটির মডেল দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে মণ্ডপসজ্জায় (Durga Puja 2024)। থিমে প্রায় ১০০টি মাটির মডেল ব্যবহার করে মায়ের গর্ভে থাকা সন্তানের জীবন থেকে মায়ের জীবনের ইতিকথার বাস্তব চিত্র তুলে ধরছেন পুজোর উদ্যোক্তারা। বর্তমান যুগে মাতৃকুলের শেষ বেলা কেনই বা কাটবে বৃদ্ধাশ্রমে? নবপ্রজন্মের কাছে সেই প্রশ্ন রেখে মণ্ডপসজ্জায় গড়ে তোলা হচ্ছে বৃদ্ধাশ্রম। পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি, নবপ্রজন্ম যাতে মাকে অবহেলা না করে, তার জন্যই পুজোর থিমে মায়ের জীবনচক্র তুলে ধরা হচ্ছে। এবারও তাঁদের আকর্ষণীয় থিম দর্শনার্থীদের হৃদয় স্পর্শ করবে বলে দাবি।

    শিক্ষামূলক সামাজিক বার্তা (Durga Puja 2024)

    পুজো উদ্যোক্তাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার চলতি বছরে তাঁদের পুজো ৩৪ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। প্রতি বছরই তাঁদের থিম দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে। দুর্গাপুরের বিগ বাজেটের পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম এই পুজো কমিটি একাধিকবার পুরস্কার পেয়েছে। সুষ্ঠু ও সুন্দর সমাজ গড়ার লক্ষ্যে নানান সামাজিক বার্তা পুজোর মণ্ডপসজ্জায় ফুটিয়ে তোলেন প্রতিবারই। গত বছর তাঁদের থিম ছিল “ছৌরূপিণী জগৎ জননী। শিক্ষামূলক সামাজিক বার্তা দিতে থিমের নাট্যচিত্র তৈরির পরিকল্পনাকারী মূলত কমিটির সম্পাদক সহ উদ্যোক্তারা।

    মণ্ডপের ভিতরে বৃদ্ধাশ্রম

    পুজো কমিটির সম্পাদক সৌগত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই বছর থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজাই রেখেই মাতৃরূপা প্রতিমা (Durga Puja 2024) হচ্ছে। কৃষ্ণনগরের রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত মৃৎশিল্পী আমাদের প্রতিমা তৈরি করছেন। এছাড়াও গর্ভস্থ সন্তান ও বৃদ্ধ মায়ের প্রায় ১০০টি মাটির মডেল তৈরি হচ্ছে নদিয়া জেলার পাটুলিতে। মণ্ডপসজ্জায় ব্যবহৃত হচ্ছে প্লাইউড, প্যারিস, লোহার রড, রাবার পাইপ সহ নানান উপকরণ। পুরনো দিনের বাড়ির আদলে মণ্ডপ হচ্ছে। মণ্ডপের ভিতরে বৃদ্ধাশ্রম থাকবে। আধুনিক  আলোকসজ্জায় সজ্জিত হবে মণ্ডপ। প্রায় ২০ লক্ষ টাকা এবারের বাজেট রয়েছে।

    বিশাল পরিবার (Durga Puja 2024)

    পুজো কমিটির সদস্য হেমন্ত ঘোষ বলেন, তৃতীয়াতে আমাদের পুজোর শুভ উদ্বোধন হবে। ওই দিন থেকে একাদশী পর্যন্ত প্রতিদিনই মণ্ডপ চত্বরে আমাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। অপর এক সদস্যা ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায় (জালান) বলেন, এই পুজোতে এলাকার প্রায় ৫০ জন মহিলা সামিল হন। তাঁরা পুজোর সমস্ত রকম আয়োজন করেন। পুজোর শেষে এলাকার প্রায় এক হাজার জনকে নিয়ে খাওয়াদাওয়ার একটি অনুষ্ঠান করা হয়। ওই দিন এলাকার (Durgapur) প্রতিটি মানুষ একসঙ্গে মিলিত হয়ে একটি বিশাল পরিবারের আকার নেয়। এই বছর আমাদের পুজোর থিম সমাজে শিক্ষামূলক একটি বার্তা পৌঁছাবে বলে আমরা আশাবাদী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: ভাঙা খাটে দড়ি দিয়ে বাঁধা আশি বছরের বৃদ্ধ, গুণধর ছেলেদের কীর্তি দেখে সকলে থ

    Durgapur: ভাঙা খাটে দড়ি দিয়ে বাঁধা আশি বছরের বৃদ্ধ, গুণধর ছেলেদের কীর্তি দেখে সকলে থ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন ছেলে। একজন দুর্গাপুর (Durgapur) ইস্পাত কারখানার কর্মী। বাকি দুজন বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। তা সত্বেও আশি বছরের বৃদ্ধ বাবাকে খাটে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে রাখা হয়েছে ডিএসপির (DSP) পরিত্যক্ত আবাসনে। তাঁকে জল দেওয়ার কেউ নেই। শুক্রবার চরম অমানবিক ছবি ধরা পড়ল দুর্গাপুরের ডিএসপি টাউনশিপের বি-জোনের জয়দেব এলাকায়।

    পরিত্যক্ত আবাসনে ঢুকে স্বাস্থ্যকর্মীরা থ! (Durgapur)

    শুক্রবার সকালে ওই এলাকায় দুর্গাপুর পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কেউ ডেঙ্গি আক্রান্ত কি না তা দেখার জন্য সার্ভে করছিলেন। হঠাৎ তাঁরা ডিএসপি’র (Durgapur) একটি পরিত্যক্ত আবাসনের ভিতর থেকে গোঙানির শব্দ শুনতে পান। তাঁরা ভিতরে ঢুকে দেখেন, একটি ভাঙা খাটে হাত, পায়ে দড়ি বাঁধা অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এক বৃদ্ধ। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বৃদ্ধের নাম মাগারাম ঘোষ। তিনি অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের কর্মী ছিলেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা মাগারাম ঘোষের হাত-পায়ের দড়ি খুলে তাঁকে নিয়ে যান দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। গুণধর ছেলের কীর্তি দেখে হতবাক। পরিত্যক্ত ঘরের ভিতেরে বৃদ্ধকে অসহায়র মতো দড়ি বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে সকলেই হতবাক হয়ে যান।

    আরও পড়ুন: ঢাকায় আওয়ামি লিগ কাউন্সিলরের নেতৃত্বে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা, জখম ৬০

    কী বললেন গুণধর ছেলে?

    বড় ছেলে দয়াময় অবশ্য নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি বলেন, “বাবা বরাবর এখানেই থাকতেন। সেই জন্য এখানেই রাখা হয়েছে তাঁকে। বাবা অসুস্থ। যাতে বিছানা থেকে তিনি না পড়ে যান, সেই জন্য দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। আমি নিয়মিত আসি। বাবার দেখভাল করি। আমাদের আর্থিক অবস্থা খারাপ। তাই বাবার আবাসন (DSP) ভাড়া দেওয়া হয়েছে। বাবাকে দখল করা আবাসনে রাখা হয়েছে। অমানবিক কিছু ঘটেনি।”

    কী বললেন প্রাক্তন কাউন্সিলর?

    প্রাক্তন কাউন্সিলর মণি দাশগুপ্ত বলেন,”এমন নির্মম ঘটনা আগে কোনওদিন দেখিনি। মাগারামবাবু এলাকায় খুব ভালো মানুষ হিসাবে পরিচিত। কিন্তু, তাঁর ছেলেরা যে এরকম করতে পারেন তা কেউ কল্পনা করতে পারছেন না। আমি পুলিশকে জানিয়েছি। প্রয়োজনে ছেলেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করব। এই ধরণের ঘটনা যাতে সমাজে না ঘটে সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share