Tag: Durgapur

Durgapur

  • Durgapur: মিষ্টির দোকানে গ্যাস লিক করে মৃত্যু দুজনের, জখম ৬

    Durgapur: মিষ্টির দোকানে গ্যাস লিক করে মৃত্যু দুজনের, জখম ৬

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড়দিনের সকালে দুর্গাপুরে (Durgapur) উৎসবের আবহে নেমে এল বিষাদের সুর। ঘুমের ঘোরে মিষ্টি তৈরির কারখানার ভিতরে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা দোকানের কারিগর ছিলেন। এছাড়া ৬ জন জখম হয়েছেন। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের বি-জোনের উইলিয়াম কেরি মোড়ের সামনে একটি মিষ্টির দোকানে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম অতনু রইদাস এবং বিধান বাউরি। তাঁদের বাড়ি বাঁকুড়া জেলায়।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Durgapur)  

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মিষ্টির দোকানের পিছনে গোডাউন রয়েছে। সেখানে মিষ্টি তৈরি হয়। সেখানে আট কারিগর ও কর্মী রাতে ঘুমোছিলেন। ভোর রাতে এক কারিগরের ফোন পেয়ে দোকানের মালিক ছুটে আসেন। এরপরই সকলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই দুজনের মৃত্যু হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দুর্গাপুর (Durgapur) থানার পুলিশ। রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার লিক, না মিষ্টির দোকানের উনুনের ভাটির গ্যাস থেকে এই বিপত্তি হয়েছে, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যুর পাশাপাশি ৬ জন কারিগর ও কর্মী জখম হয়েছেন। তাঁদের দুর্গাপুরের শোভাপুরে একটি বেসরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সকলের বাড়ি বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় এলাকায়।

    দোকানের মালিক কী বললেন?

    দোকানের মালিকের নাম মিলন মণ্ডল। তিনি দোকানটি অন্য একজনকে ভাড়া দিয়েছিলেন। মিলনবাবু বলেন, দোকানের কারিগর ও কর্মীরা গোডাউনে প্রতিদিনের মতো শুয়ে থাকেন। আর শীতের কারণে দরজা, জানলা সবই বন্ধ ছিল। ঘরের মধ্যে কী হয়েছে তা জানা সম্ভব নয়। অসুস্থরা কিছুটা সুস্থ হলে বিষয়টি জানা যাবে। ভোরের দিকে অতনু নামে এক মিষ্টির কারিগর ফোন করে দুর্ঘটনার কথা বলেন। আমি শুনে সঙ্গে সঙ্গে দোকানে যাই। এসে দেখি সকলেই অচৈতন্য হয়ে রয়েছে। সকলকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি। রাস্তাতেই যে অতনু আমাকে ফোন করেছিলেন, তাঁর মৃত্যু হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Bardhaman: শাল, মহুয়া, সেগুন গাছের নিবিড় ছায়ায় ঢাকা এই জঙ্গল! দেখা মেলে ময়ূরেরও

    Paschim Bardhaman: শাল, মহুয়া, সেগুন গাছের নিবিড় ছায়ায় ঢাকা এই জঙ্গল! দেখা মেলে ময়ূরেরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার এই জঙ্গল ‘গড় জঙ্গল’ নামে খ্যাত হলেও এর অন্য পরিচিতি ‘কাঁকসার জঙ্গল’ নামে। না, এই জঙ্গলের নেই কোনও অভয়ারণ্য, ন্যাশনাল পার্ক বা ওয়াইল্ড লাইফ স্যাঙচুয়ারির স্বীকৃতি। তবে আছে অরন্যের শিহরণ, প্রাচীন ইতিহাসের গন্ধ। একই সঙ্গে রয়েছে ধর্মের যোগ। শাল, মহুয়া, সেগুন গাছের নিবিড় ছায়ায় ঢাকা এই জঙ্গলে দেখা মেলে হরেক রং-এর হরেক প্রজাতির পাখির। মাঝে মাঝেই দেখা মেলে ময়ূরের। ঘন জঙ্গলের বুক চিরে ইতিউতি চলে গেছে রাঙা মাটির বনপথ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অসাধারণ।

    উল্লেখ রয়েছে পুরাণেও

    বলা হয় এই গড় জঙ্গল (Paschim Bardhaman) হল ভারতের অন্যতম প্রাচীন স্থান। গড় জঙ্গলের কথা উল্লেখ রয়েছে পুরাণেও। সুপ্রাচীন কালে এই জঙ্গলে আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মেধস মুনি। শ্রী শ্রী চণ্ডীপুরাণ মতে, রাজা সুরথ এই মেধস ঋষির আশ্রমে মিলিত হন বৈশ্য সমাধির সঙ্গে। রাজা সুরথ এই জঙ্গলে তিনটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন ১) মহাকালী মন্দির ২) মহা সরস্বতী মন্দির এবং ৩) মহালক্ষ্মী মন্দির। বর্তমানে এখানে রয়েছে মেধস মুনির আশ্রম, মহাকাল ভৈরবীর মন্দির। এক সময় এখানে ১৬ টি মন্দির ছিল। এর মধ্যে শ্যামরূপা মন্দির এবং শিব মন্দির দুটি এখনও পর্যন্ত অবশিষ্ট আছে।

    দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দিন তোপধ্বনি?

    চণ্ডী পুরাণ এবং মার্কণ্ডেয় পুরাণ মতে, রাজা সুরথ এখানেই (Paschim Bardhaman) করেছিলেন দুর্গাপুজো। তিনি এখানে দুর্গাপুজো করেছিলেন বসন্তকালে। বলা হয় রাজা সুরথের করা সেই দুর্গাপুজোই পৃথিবীর প্রথম দুর্গাপুজো। দ্বাদশ শতকে নির্মিত এই শ্যামরূপা মন্দিরটিতে বহু ভক্ত আজও পুজো দিতে আসেন। এও শোনা যায়, এখনও এখানে দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দিন তোপধ্বনি শোনা যায়। গড় জঙ্গল থেকে সামান্য দূরে অজয় নদ। প্রায় নদের তীরেই রয়েছে আর একটি দারুণ সুন্দর দ্রষ্টব্য। সেটি হল বহু লোককথা এবং প্রাচীন ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে দাঁড়িয়ে থাকা “ইছাই ঘোষের দেউল”।

    দুর্গাপুরের কাছেই

    এক কথায় বলা চলে, অরণ্য, নদ, ধর্ম, ইতিহাস-সব মিলিয়ে একটা দুটো দিন বেড়িয়ে আসার জন্য এক অন্যতম আদর্শ স্থান এই ‘গড় জঙ্গল’ (Paschim Bardhaman)। গড় জঙ্গল যাওয়ার জন্য প্রথমে আসতে হবে দুর্গাপুর। হাওড়া থেকে প্রচুর ট্রেন আসছে সরাসরি দূর্গাপুর। আবার কলকাতার ধর্মতলার বাসস্ট্যান্ড থেকে বহু বাস আসছে সরাসরি দুর্গাপুর। দুর্গাপুর থেকে গাড়ি নিয়ে ঘুরে নিতে হবে গড় জঙ্গল।
    দুর্গাপুরে থাকার ও খাওয়ার জন্য রয়েছে বিভিন্ন দামের ও বিভিন্ন মানের প্রচুর হোটেল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: টাকা নিয়েছেন, চাকরি কই? দুর্গাপুর স্টেশনে তৃণমূল কর্মীকে জুতোপেটা মহিলার

    Durgapur: টাকা নিয়েছেন, চাকরি কই? দুর্গাপুর স্টেশনে তৃণমূল কর্মীকে জুতোপেটা মহিলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি চুরি থেকে শিক্ষা চুরি, সাম্প্রতিক সংযোজন আবার রেশন কেলেঙ্কারি। এইসব দুর্নীতির প্রতিবাদে ধর্মতলায় শাহি সভা ছিল বিজেপির। এই আবহে এদিন দুর্গাপুর (Durgapur) স্টেশনে এক প্রতারক তৃণমূল কর্মীকে জুতোপেটা করলেন প্রতারিত মহিলা। আর এই ঘটনার সাক্ষী রইলেন স্টেশনে আসা যাত্রীরা। ঘটনাস্থল দুর্গাপুর স্টেশনের চার নম্বর প্লাটফর্ম। আচমকা এত ভিড়ে সবাই ভিড় জমালো প্লাটফর্মে। তৃণমূল কর্মীর প্রতারণার  বিষয়টি সামনে আসে।

    কেন প্রকাশ্যে এই মারধর? (Durgapur)

    স্থানীয় ও জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারিত মহিলার বাড়ি রানিগঞ্জ এলাকায়। তিনি বিজেপি কর্মী। আর প্রতারক তৃণমূল কর্মীর নাম অবনী মণ্ডল। তার বাড়ি জামুরিয়া এলাকায়। ডাক বিভাগে চাকরি করে দেওয়ার নাম করে অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী ওই মহিলার কাছে প্রায় দু লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন। বছর দুয়েক আগে সেই টাকা দিলেও আজও না পেয়েছেন চাকরি, না পেয়েছেন টাকা। প্রতারণা করেছেন তৃণমূল কর্মী। এই দু বছর ধরে অনেক বার ফোন করেছেন অভিযুক্ত এই ব্যক্তিকে। কিন্তু মহিলা বিজেপি কর্মীর ফোন দু একবার ধরলেও, অভিযুক্ত ব্যাক্তি এরপর ওই মহিলার ফোন নম্বর ব্লক লিস্টে ফেলে দেন। টাকা ফেরত পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন মহিলা বিজেপি কর্মী। বুধবার ধর্মতলায় দলীয় জনসভায় স্পেশাল ট্রেন ধরার জন্য রানিগঞ্জ থেকে দুর্গাপুর (Durgapur) আসেন ওই মহিলা বিজেপি কর্মী। সঙ্গে  ছিলেন দলীয় কর্মী সমর্থকরা। আচমকা স্টেশনের মধ্যে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে দেখতে পান ওই মহিলা। গুটি গুটি পায়ে তার সামনে পৌঁছে টাকা ফেরত চাইতে শুরু করেন প্রতারিত মহিলা। কিছুটা বেসামাল হয়ে পড়েন অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী। এরপর পায়ের চটি খুলে প্রকাশ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মারধর শুরু করে দেন মহিলা বিজেপি কর্মী। কেন ফোন ধরেননি এতদিন সেই প্রশ্ন তো ছিলই, সঙ্গে ছিল টাকা ফেরত আর চাকরি কোথায় এই সব প্রশ্ন। পরে, জিআরপি গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। প্রতারক তৃণমূল কর্মী অবনী মণ্ডল বলেন, টাকা নেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন।

    প্রতারিত মহিলা কী বললেন?

    প্রতারিত মহিলা বলেন, ওই তৃণমূল কর্মী বলেছিল, লকডাউনে অনেকে চাকরি ছেড়ে চলে গিয়েছে। ১৮ হাজার বেতনের চাকরি দেওয়ার কথা বলেছিল। চাকরি দেওয়ার নাম করেই আমার কাছে ২ লক্ষ টাকা নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল। এদিন দেখা হতেই সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আমি ঘিরে ধরতেই আমার সঙ্গে বচসা শুরু করে। তখনই বাধ্য হয়ে জুতোপেটা করি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SBSTC: এসবিএসটিসি-র টিকিট বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা, কীভাবে জানেন?

    SBSTC: এসবিএসটিসি-র টিকিট বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা, কীভাবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের (SBSTC) লগ ইন আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে অতিরিক্ত টিকিট বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ উঠল একটি বেসরকারি সংস্থা বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছরে টিকিট বিক্রির ৭ কোটি ১৯ লক্ষ ১০ হাজার ৬৪৬ টাকা জমা পড়েনি দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার দফতরে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরই এ নিয়েই দুর্গাপুরের কোকওভেন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর। এ বিষয়ে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান সুভাষ মণ্ডল জানিয়েছেন, সংস্থার নিজস্ব তদন্তে বেনিয়ম পাওয়া গেছে। তাই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

    কীভাবে প্রতারণা? (SBSTC)

    নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের একটি বেসরকারি সংস্থা ২০০৩ সাল থেকে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের (SBSTC) মাধ্যমে ই-টিকিট বিক্রির দায়িত্ব পায়। বাঁকুড়া, সিউড়ি, বহরমপুর সহ একাধিক জায়গায় ই টিকিটি এই সংস্থা বিক্রি করত। প্রতি বছর সেই সংস্থাকে বছরে নির্দিষ্ট পরিমাণ টিকিট বিক্রির দায়িত্ব দেওয়া হত। কিন্তু, ওই সংস্থা নিগমের লগ ইন আইডি এবং পাসওয়ার্ডের অপব্যবহার করে অতিরিক্ত টিকিট বিক্রি কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করেছে। নিগমের কর্মীদের একাংশের মদতেই এসব হয়েছে বলে অভিযোগ। এর আগেও ওই সংস্থাকে সতর্ক করা হয়েছে। তাতেও কাজ না হওয়ায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বেসরকারি সংস্থার এক কর্তা তনয় মণ্ডল বলেন, সবটাই কম্পিউটারে যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে যে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ তোলা হচ্ছে সেটা ভিত্তিহীন।

    নিগমের দুর্নীতি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপির জেলা সহ সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ইডি ও সিবিআইকে দিয়ে এই আর্থিক তছরূপের তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। জেলা কংগ্রেস নেতা দেবেশ চক্রবর্তী বলেন, এই বিষয়টি আজকের না, অনেকদিনের। এত কোটি টাকার তছরূপ জানা সত্ত্বেও সরকার এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। যারা এই তছরূপ চালাচ্ছে, তারা মাফিয়া ছিল। এখনও ওই সংস্থা এসবিএসটিসি-র কাউন্টারে বসে পয়সা খাচ্ছে। সিপিআইএম জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার বলেছেন, এই যে দুর্নীতি হয়েছে তা অডিটে কেন ধরা পড়ল না। এসবিএসটিসি-র (SBSTC) গ্যারাজে, তেলে, রক্ষণাবেক্ষণেও দুর্নীতি আছে। কারা করছে এ সব? এজন্য কর্মী, ঠিকাকর্মীদের বেতন হয় না। তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেছেন, এই ঘটনা তদন্ত হলে দোষীরা শাস্তি পাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: “ইংরেজি বছরের শুরুতে মমতাকে ইডি-সিবিআই চা খেতে আমন্ত্রণ করবে” বিস্ফোরক দিলীপ

    Durgapur: “ইংরেজি বছরের শুরুতে মমতাকে ইডি-সিবিআই চা খেতে আমন্ত্রণ করবে” বিস্ফোরক দিলীপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ইংরেজি নতুন বছরের শুরুতেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-সিবিআই চা খেতে আমন্ত্রণ করবে।” দুর্গাপুরের গোপালমাঠে চায়ে পে চর্চার অনুষ্ঠানে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি, সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সেই সঙ্গে দুর্গাপুরের কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “রাজ্যে যত কেলেঙ্কারি হচ্ছে, তার মাথায় মাননীয়া। যদি সবার শাস্তি হয় তাহলে কেন নয় মুখ্যমন্ত্রীর? তাই অপেক্ষা করুন, সব কেলেঙ্কারির তথ্য এবার সামনে আসবে।” তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশির ভোট না পেলে তৃণমূল জিতবে না। বাংলাদেশের ওপর ভর করে তৃণমূল বেঁচে আছে।” সেই সঙ্গে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে তিনি বলেন, “মহুয়া সংসদে ইংরেজিতে গালিগালাজ করেন, টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন করেন। লিপস্টিক, পাউডার, স্নো নিয়েছেন।”

    পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ বানানোর চক্রান্ত (Durgapur)

    দুর্গাপুরের জনসভায় বনগাঁর তৃণমূল নেত্রীর মন্তব্যকে ঘিরে দিলীপ ঘোষ কড়া সমালোচনা করেন। শুক্রবার বারাসতের জনসভায় বাংলাদেশিদের ভোটার কার্ড করে দেওয়ার প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রী রত্না বিশ্বাস মন্তব্য করেছিলেন। শনিবার দুর্গাপুরের মায়াবাজার এলাকায় বিজেপির একটি কার্যালয়ে বিজায় সম্মেলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে এদিন বিকেলে ভারতীয় জনতা পার্টির সাংসদ দিলীপ ঘোষ যোগদান করেন। সেই সঙ্গে একটি জনসভাও করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ই। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “বাংলাদেশিদের ভোট না পেলে তৃণমূল জিতবে না। ওখান থেকে ভোটের প্রচার করতে খালি ভোটার নয়, নায়ক-নায়িকাদেরও নিয়ে আসা হয়। বাংলাদেশ থেকে টাকা আসছে, সোনা আসছে অনেক কিছু চলছে তৃণমূলের রাজত্বে। তার মধ্যে ভাগও আছে তৃণমূলের নেতাদের। সেই জন্য বাংলাদেশের ওপর ভর করে তৃণমূল জিততে চাইছে। আমরা বারবার বলছি, পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানানোর চক্রান্ত চলছে। রত্না বিশ্বাস তারই উজ্জ্বল প্রমাণ।”

    মহুয়ার পাপের ঘড়া পূর্ণ!

    দুর্গাপুরে (Durgapur) সভাপতি দিলীপ ঘোষ বাংলাদেশিদের ভোটার কার্ড করার সমালোচনার পর, কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে বলেন, “ছবি দেখুন আপনারা। তাঁর কালো চশমার দাম জানেন? দুই লাখ টাকার গগলস! ভ্যানিটি ব্যাগের দাম এক লাখ টাকা! ঘড়ির দাম তিন লাখ টাকা! শুনেছেন কোনও দিন। সবই উপহার নিয়েছেন। তাঁর দিল্লির কোয়ার্টারে কোটি কোটি টাকা খরচ করে সংস্করণ করেছেন। বিনিময়ে দেশের সুরক্ষাকে বিক্রি করছেন মহুয়া। ওঁর পাপের ঘড়া পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। এবার সিবিআই তদন্ত শুরু করবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন জিনিস তৈরি করে দিল্লিতে পাঠিয়ে বাংলার নাক-কান কেটেছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: “দলের নেতাদের শালা-ভাইপোরাই কেবল চাকরি পাচ্ছেন” বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক

    Durgapur: “দলের নেতাদের শালা-ভাইপোরাই কেবল চাকরি পাচ্ছেন” বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসংগঠিত শ্রমিক নিয়োগের বিষয়ে কেবলমাত্র শাসক দল তৃণমূল নেতার ‘শালা-ভাইপোদের’ চাকরি দেওয়া হচ্ছে। বিরোধীরা অবশ্য তৃণমূলের বিরুদ্ধে এইরকম স্বজনপোষণের অভিযোগ আগেও তুলেছিল। এবার দুর্গাপুরের (Durgapur) পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর গলায় শাসক দলের বিরুদ্ধে এই বিস্ফোরক অভিযোগের কথা শোনা গেল। 

    কী বলেলন তৃণমূল বিধায়ক (Durgapur)?

    দুর্গাপুরের (Durgapur) সরকারি-বেসরকারি কারখানাগুলিতে শ্রমিক নেওয়া নিয়ে বিরোধীদল হিসাবে বিজেপি আগেও অভিযোগ তুলেছিল। এবার একই অভিযোগের কথা শোনা গেল তৃণমূল বিধায়কের মুখে। তিনি এদিন দুর্গাপুরের এক সভায় বলেন, “দলের পুরনো কর্মীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও সুযোগ নেই। দুর্গাপুরের কোনও মানুষ সুযোগ পাচ্ছেন না কাজে। জিজ্ঞেস করলেই শুনতে পাচ্ছি তৃণমূলের নেতাদের অমুকের শালা এবং অমুকের ভাইপো, ভায়রাভাইয়েরাই চাকরি পাচ্ছেন। স্থানীয় কোনও ভূমিপুত্ররা কাজের সুযোগ পাচ্ছেন না। অথচ কথা ছিল ডিএসপি-তে যাঁরা চাকরি পাবেন তাঁরা দুর্গাপুরের লোক হবেন।” উল্লেখ্য তাঁর এই বক্তব্য ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। শ্রমিক নিয়োগে শাসক দলের স্বজনপোষণের কথা বলে তিনি যে দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন সে কথা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। এতদিন শাসক দলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিরোধীরা অভিযোগ করলেও এবার তা শোনা গেল তৃণমূল বিধায়কের মুখেই।

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    এই ডিএসপিতে (Durgapur) শ্রমিক নিয়োগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই বলেন, “শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে তৃণমূলের দুর্নীতির কথা শুধু মুখে প্রকাশ করলেই হবে না প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিতে হবে। নিয়োগের অস্বচ্ছতা নিয়ে আরও পরিষ্কার করে তৃণমূল নেতাদের নামের উল্লেখ করতে হবে।”

    উল্লেখ্য রাজ্যে এসএসসি দুর্নীতিতে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগে ব্যাপক তোলপাড় হয়েছিল। হাইকোর্টের নির্দেশে, রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে, কয়লাকাণ্ডে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে, এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক ভাইয়ের মেয়ের চাকরি বাতিলের ঘটনা নিয়ে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর করার কথা কেন বললেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর করার কথা কেন বললেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতি নিয়ে বাকিবুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলবে। দুর্গাপুরে ক্ষুদিরাম মাঠে ইচ্ছা পূরণের প্রথম বছরের দুর্গাপুজো উদ্বোধনে এসে মন্তব্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, বাকিবুর বড় প্লেয়ার। আরও অনেক কীর্তি রয়েছে। ওর ভাগ্নে আনিসুর রহমান দেগঙ্গা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর মেয়ের জন্মদিনে স্করপিও গাড়ি উপহার দেওয়ার তথ্য রয়েছে। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী ও হিডকো  চেয়ারম্যানের কাছ থেকেও অনেক তথ্য মিলবে।

    পুজোর আগে পুলিশের নাকা চেকিং নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    রাস্তায় নাকা চেকিং এর নামে তোলাবাজি সব কিছুরই সমালোচনা করেন শুভেন্দুবাবু। তিনি বলেন, নাকা চেকিংয়ের নামে পুলিশ তোলাবাজি শুরু করেছে। তৃণমূল সরকার পুলিশকে টাকা তোলার কোটা বেঁধে দিয়েছে। আসানসোল-দুর্গাপুরের জন্য ২৭ কোটি, বীরভূম এলাকা থেকে ২৫ কোটি টাকা। দুদিনের মধ্যে এই টাকা তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাই, পুলিশ নাকার নামে তোলাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে। ইসিএল এলাকায় প্যাড চালু করে ফের কয়লা পাচার শুরু হয়েছে।

    মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর করার কথা কেন বললেন শুভেন্দু?

    দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ চন্দ্র ঘোড়ুই, সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এইদিনাকার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এদিন বস্ত্র বিতরণ করা হয় ও বিশেষ ভাবে সক্ষমদের ট্রাই সাইকেল দেওয়া হয়। এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, রানিগঞ্জ কয়লা খনিতে ৭ জন এবং জামুরিয়ায় আরও একজম মারা গিয়েছে। অথচ সেই তথ্য চেপে দেওয়া হচ্ছে। আমি খুব শীঘ্রই রানিগঞ্জে আসব। নিহত শ্রমিকদের বাড়িতে যাব। তাঁদের সঙ্গে কথা বলব। কম্বল বিতরণ কাণ্ডে ত্রুটির জন্য জীতেন্দ্র তেওয়ারির জেল হয়েছিল। তার স্ত্রীকে ঘরছাড়া হতে হয়েছিল। তাহলে বেআইনি খনিতে  এই শ্রমিকদের মৃত্যুর জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দায়ী। সেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর হওয়া উচিত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Student Death: দুর্গাপুরের গবেষক ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু সুইডেনে! পরিবারের দাবি খুন

    Student Death: দুর্গাপুরের গবেষক ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু সুইডেনে! পরিবারের দাবি খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুইডেনে রহস্য জনক ভাবে মৃত্যুর (Student Death) ঘটনা ঘটল দুর্গাপুরের এক গবেষক ছাত্রীর। পরিবার, এই মৃত্যুর পিছনে খুনের অভিযোগ তুলেছেন। ছাত্রীর সঙ্গে গত ২৯ সেপ্টেম্বর শেষ কথা হয় বাড়ির লোকজনের। আর এরপর থেকে এই গবেষক ছাত্রীর সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি। অবশেষে হঠাৎ ১৩ অক্টোবর তারিখে মৃত্যুর খবর দেয় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। পরিবারে শোকের ছায়া।

    কে এই ছাত্রী গবেষক (Student Death)

    দুর্গাপুরে বেশ মেধাবী ছাত্রী হিসাবে পরিচিত ছিলেন এই ছাত্রী। তাঁর নাম রোশনি দাস (Student Death), বয়স হয়েছিল ৩২। তিনি ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োটেকনোলজির ছাত্রী ছিলেন। গবেষণার জন্য সুইডেনে কাজ করতে গিয়েছিলেন। সুইডেন দূতাবস থেকে ভারতীয় দূতাবাসকে খবর দেওয়া হয় যে রোশনির মৃত্যু হয়েছে। এরপর স্থানীয় পুলিশ পরিবারকে মৃত্যুর খবর জানায়। তবে পরিবারের দাবি, রোশনির মৃত্যু সাধারণ ভাবে হয় নি। রীতিমতো তাঁকে খুন করা হয়েছে অভিযোগ তুলেছে পরিবার। দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবি তোলেন পরিবার। 

    পরিবারের বক্তব্য

    মৃত রোশনি দাসের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, “গত ২৯ সেপ্টেম্বরে ওর সঙ্গে শেষ কথা হয়। এরপর থেকে ওর সঙ্গে মোবাইলে সংযোগ করা সম্ভবপর হয়ে ওঠেনি। বাড়িতে গত ১৩ অক্টোবরে পুলিশ এসে মৃত্যুর (Student Death) খবর দিয়ে যায়।” মৃত ছাত্রীর মা বলেন, “ওকে সেখানে খুন করা হয়েছে। এমনি এমনি আমার মেয়ের মৃত্যু হতে পারে না।” সূত্রে আরও জানা গেছে যে এই মৃত্যুর পর সুইডেন পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যে এক সন্দেহজনক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিবারের তরফ থেকে রোশনির দেহ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এলাকার সাংসদের কাছে দারস্থ হয়েছেন পরিবার। কেন্দ্রীয় সরকারের বিদেশ মন্ত্রকের কাছে ইতিমধ্যেই দেহ ফেরানোর জন্য আর্জি করা হয়েছে।      

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হওয়া অপরাধ, নাবালিকাকে অপহরণ করেছে তৃণমূল! আন্দোলনে পরিবার

    Durgapur: বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হওয়া অপরাধ, নাবালিকাকে অপহরণ করেছে তৃণমূল! আন্দোলনে পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির সমর্থনে নির্দল হিসেবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। এটাই ছিল অপরাধ। এরপরই রহস্যজনকভাবে ১০ বছরের মেয়েকে অপহরণ করে তৃণমূল। এমনই অভিযোগ পরিবারের। সেই নাবালিকা মেয়েকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে ছবি হাতে নিয়ে মা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখালেন। সঙ্গে বাউরি সমাজের লোকজন। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে অবরোধ। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে। দুর্গাপুর (Durgapur) নগর নিগমের সামনে এসে নিখোঁজ নাবালিকার পরিবারের লোকজন বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। ওই সময় পুলিশ এসে তাঁদের আটকে দেয়। এ বার পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিআইডিকে তদন্তের আশ্বাস দেওয়ার পর আন্দোলন প্রত্যাহার করে বাউরি সমাজ। তবে, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সিবিআই তদন্তের দাবিতে তারা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দ্বারস্থ হবে বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বাউরি সমাজ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Durgapur)

    দুর্গাপুর (Durgapur) মহকুমার পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা এলাকার নবগ্রাম পঞ্চায়েতে শিল্পা মণ্ডল পঞ্চায়েত ভোটে নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। তাঁকে বিজেপি সমর্থন করেছিল। নির্দল প্রার্থী হওয়ার পর থেকে তৃণমূলের তরফে নানা হুমকি এসেছে। কিন্তু, তিনি ভোটে লড়ার সিদ্ধান্তে অবিচল ছিলেন। জানা গিয়েছে, শিল্পাদেবীর ১০ বছরের মেয়েকে গত ২ জুলাই অপহরণ করা হয়। তার আগে তাপস মণ্ডল নামে এক তৃণমূল কর্মী হুমকি দেয়। অপহরণের পিছনে তৃণমূলের কয়েক জন আছে। পুলিশের কাছে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।  

    নাবালিকা মায়ের কী বক্তব্য?

    শিল্পাদেবী বলেন, এ নিয়ে দুর্গাপুর (Durgapur) মহকুমার পান্ডবেশ্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। কিন্তু, তিন মাস কেটে যাওয়ার পরেও এক জন অভিযুক্তও ধরা পড়েনি পুলিশ। মেয়েরও কোনও খোঁজ পাইনি। এই অবস্থায় পুলিশের ওপর ভরসা না করে সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।  প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে পণ্ডবেশ্বরের হরিপুরের পশ্চিমবঙ্গ বাউরি সমাজ ওই পরিবারকে নিয়ে অনশনে বসে। তখন পুলিশ এসে আশ্বাস দেয় যে দ্রুত ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করবে তারা। কিন্তু এখনও মেয়েকে ফিরে পেলাম না।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ মণ্ডল বলেন, শিল্পা মণ্ডল বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে লড়াই করেছিলেন। তার পরেই তাঁর মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। পুলিশ যদি সদর্থক ভূমিকা না নেয়, ধারাবাহিক আন্দোলন শুরু হবে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, আমাদের রাজ্যে শিশু এবং নারীরা সবচেয়ে সুরক্ষিত। তৃণমূল এমন একটা ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবে যুক্ত থাকতে পারে না। অপহরণের ঘটনার সঙ্গে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে রাজনীতি করছে বিজেপি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur:  স্টিল প্ল্যান্টে পাঁচিল দেওয়া নিয়ে রণক্ষেত্র দুর্গাপুর, পুলিশের লাঠিচার্জ, আন্দোলনে এলাকাবাসী

    Durgapur: স্টিল প্ল্যান্টে পাঁচিল দেওয়া নিয়ে রণক্ষেত্র দুর্গাপুর, পুলিশের লাঠিচার্জ, আন্দোলনে এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর (Durgapur) স্টিল প্ল্যান্টের (ডিএসপি) উচ্ছেদ অভিযানের প্রাক্কালে বৃহস্পতিবার ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় তামলা বস্তি এলাকায়। পাঁচিল দেওয়ার কাজের শুভ সূচনা করতেই ডিএসপি কর্তৃপক্ষকে বাধার মুখে পড়তে হয় এলাকাবাসীর। ডিএসপি’র জমিতে বসবাসকারীরা কাজ বন্ধ করে দেয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডিএসপি’র সিআইএসএফ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে বচসা থেকে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। সিআইএসএফের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর ওপর লাঠিচার্জ করার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় কয়েকজন এলাকাবাসী আহত হন। গান্ধী মোড় থেকে মায়া বাজার যাওয়ার রাস্তা অবরোধ করে দেয় এলাকাবাসী। রাস্তায় গাছের ডাল ও বাঁশ দিয়ে রাস্তা ঘিরে বিক্ষোভ চলতে থাকে। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী পুনর্বাসনের দাবি করেন। ঘটনাস্থলে দুর্গাপুর থানার বিশাল পুলিস বাহিনী ও কমব্যাট ফোর্স এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Durgapur)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর (Durgapur) ৩২ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের তামলা বস্তি ও ফরিদপুর সহ পলাশডিহা এলাকায় ডিএসপি’র জমিতে প্রায় ১০ হাজারের বেশি বাসিন্দা বসবাস করেন। দীর্ঘদিন ধরে রুটিরুজি’র টানে বহু মানুষ বিহার, ঝাড়খণ্ড সহ এই রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে এসে বসবাস শুরু করেন। বর্তমানে ডিএসপি কর্তৃপক্ষ কারখানার সম্প্রসারণের জন্য অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের নোটিস জারি করে। প্রায় দেড় মাস আগে ওই সব এলাকায় নোটিস জারি করতেই বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু হয়ে গিয়েছিল। ডিএসপি’র টাউন সার্ভিস বিল্ডিং ঘেরাও করে চলতে থাকে দফায় দফায় বিক্ষোভ। তৃণমূল, বিজেপি ও সিপিএম সহ প্রতিটি রাজনৈতিক দল ওই অবৈধ দখলদারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এলাকায় এলাকায় রাজনৈতিক নেতাদের পথসভা হতে থাকে। যদিও এলাকাবাসী রাজনৈতিক দলের শিকার হতে নারাজ। তাঁদের দাবি, আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনের ভোটবাক্সে ভোট ভরতে নেতারা এগিয়ে আসছেন। তাই নেতাদের ওপর ভরসা হারিয়ে নিজেরাই কমিটি গঠন করে আন্দোলন জারি রাখেন। এরই মধ্যে এদিন সকালে অ্যালো স্টিল প্ল্যান্টের পাশে ডিএসপি কর্তৃপক্ষ পাঁচিল দেওয়ার কাজ শুরুর জন্য ভূমি পুজো করতে গিয়ে বিপত্তি ঘটে। ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে আমজনতা। তাঁরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করেন। ঘটনাস্থলে আসেন তৃণমূল নেতা বিশ্বনাথ পাড়িয়াল ও ধর্মেন্দ্র যাদব সহ একাধিক তৃণমূল নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভকারীরা আন্দোলনে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সামিল হতে প্রথম দিকে বাধা দেয়। রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে চলতে থাকে বিক্ষোভ। শেষমেশ পুলিস প্রশাসন ও তৃণমূল নেতাদের আশ্বাসে প্রায় ৭ ঘণ্টা পর বিক্ষোভ উঠে যায়।

    বিক্ষোভকারী ও পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    বিক্ষোভকারী রতন সিং বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় মানুষজন বসবাস করে। আমাদের উচ্ছেদ করার আগে ডিএসপিকে পুনর্বাসন দিতে হবে। আসানসোল-দুর্গাপুর (Durgapur) পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি সুমন কুমার জয়সওয়াল বলেন, ডিএসপি কর্তৃপক্ষ লোকাল প্রশাসনকে না জানিয়ে এদিন ভূমি পুজো করতে এসেছিল। সেখান থেকে গন্ডগোল হয়েছে। আমরা সামাল দিচ্ছি। ঘটনার তদন্তও হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share