Tag: Durgapur

Durgapur

  • Jamtara: দুর্গাপুরেও জামতাড়া যোগ! কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে দিল্লি পুলিশের জালে তিন যুবক

    Jamtara: দুর্গাপুরেও জামতাড়া যোগ! কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে দিল্লি পুলিশের জালে তিন যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্ধুর কাছে থেকে সিমকার্ড নিয়ে তা থেকে ১ লক্ষ ৩৬ হাজার কল করা হয়েছে। যা দেখে হতবাক তদন্তকারী আধিকারিকরা। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই সিমকার্ড থেকে ভুয়ো কল করে কোটি টাকার প্রতারণা করা হয়েছিল। জামতাড়া (Jamtara) গ্যাং যেভাবে অনলাইনে প্রতারণা করে, সেই কায়দায় অনলাইন প্রতারণা করা হত বলে অভিযোগ। এরপরই এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুর্গাপুরের তিন যুবককে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। ধৃতদের ৩ দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লি নিয়ে গেল পুলিশ। ধৃতদের নাম দীপঙ্কর আঁকুড়ে, অনিকেত দাস ও অর্ঘ্য মজুমদার। ধৃতরা কোকওভেন থানার বীরভানপুর ও ডিপিএলের ক্ষুদিরাম কলোনির বাসিন্দা। মঙ্গলবার তিন যুবককে গ্রেফতার করার পর বুধবার ধৃতদের দুর্গাপুর আদালতে পেশ করে দিল্লি পুলিশ। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ধৃত দীপঙ্কর আঁকুড়ে ও অনিকেত দাসের কাছ থেকে সিম কার্ড নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার চক্র চালাত অর্ঘ্য মজুমদার। দুটি সিম কার্ড থেকে লক্ষাধিক কল করা হয়েছিল।

    ধৃতদের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ রয়েছে?

    ২০২৩ সালে ১১ই মার্চ দিল্লি সাইবার ক্রাইম থানায় আর্থিক প্রতারণার একটি অভিযোগ দায়ের হয়। প্রতারকদের বিরুদ্ধে ৪২০/১২০ বি ধারায় মামলা রুজু করে দিল্লি সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। দিল্লি পুলিশের আধিকারিক জয়দেব মোড়ার নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি দল দুর্গাপুরে আসে। ফোন কল ট্র্যাক করে কোকওভেন থানা এলাকা থেকে তিন যুবককে গ্রেফতার করা হয়। এই চক্রের সঙ্গে আরও কয়েকজন যুক্ত থাকতে পারে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে এ বিষয়ে দিল্লি পুলিশ মুখ খুলতে রাজি হয়নি। তাদের সন্ধানেও তারা তল্লাশি চালাচ্ছে। প্রতারকদের সঙ্গে জামতারা (Jamtara) গ্যাংকের কী ভূমিকা রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    কী বললেন সরকারি আইনজীবী?

    সরকারী আইনজীবি সিদ্ধার্থ বসু বলেন, জামতাড়া (Jamtara)  গ্যাংয়ের সঙ্গে তারা জড়িত ছিল। তারা ভুয়ো কল করে অনেকের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। কখনও ব্যাঙ্কের কর্মী পরিচয় দিয়ে, কখনও বিদ্যুৎ দফতরের কর্মী পরিচয় দিয়ে অপরাধ করেছিল। সাইবার ক্রাইমে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়।

    ধৃত এক যুবকের বাবা কী বললেন?

    আমার ছেলে ডিএসপিতে কাজ করে। ৫০০ টাকার বিনিময়ে ও তার বন্ধুকে নিজের সিমকার্ড তুলে দিয়েছিল। সেই সিমকার্ডেই চলত এই ধরনের অপরাধ। অর্ঘ্য এসব করত। আমার ছেলে জড়িত নয়। আসলে সিমকার্ড দেওয়া ওর অপরাধ। ডিএসপিতে আমার ছেলে কাজে গিয়েছিল। সেখান থেকেই পুলিশ ওকে ধরেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SIT: রাজু ঝা খুনের তদন্তে এক ব্যবসায়ীর অফিসে তল্লাশি চালাল সিট, কী মিলল?

    SIT: রাজু ঝা খুনের তদন্তে এক ব্যবসায়ীর অফিসে তল্লাশি চালাল সিট, কী মিলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজু ঝা খুনের ঘটনায় ফের কয়লা মাফিয়া নারায়ণ খারকার দুর্গাপুর সিটি সেন্টার অফিসে ফের হানা দিল স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট (SIT)। প্রথমে সিটের (SIT)  আধিকারিকেরা নারায়ণ খারকার অফিসের পিছনে থাকা একটি বলেরো গাড়িতে অভিযান চালান। সেখান থেকে ল্যাপটপ এবং বেশকিছু নথিপত্র সংগ্রহ করে সিট। পরে, রাজু ঝা খুনে ধৃত অভিজিত্ মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে কয়লা মাফিয়ার অফিসে তল্লাশি চালান সিটের আধিকারিকেরা।

    নারায়ণ খারকার অফিস থেকে কী বাজেয়াপ্ত করল সিট (SIT)?

    রাজু ঝা খুনের ১৮ দিনের মাথায় অভিজিত্ মণ্ডলকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এই খুনের পিছনে আর কারা রয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত করছে সিটের (SIT) আধিকারিকেরা। অভিজিত্ গ্রেফতার হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই খুনের ঘটনায় সিটের (SIT) সদস্যরা এর আগে পৌঁছে গিয়েছিলেন নারায়ণ খারকার অফিসে। ধৃত অভিজিৎ মণ্ডলকে নিয়ে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের দুটি দোকানে তল্লাশি চালিয়েছিলেন সিটের (SIT)  তদন্তকারী আধিকারিকরা। যদিও ওই বন্ধ দোকান দুটির চাবি না মেলায় পুলিশ সিল করে। পরে, অভিজিত্ মণ্ডলের বাড়িতে হানা দেন সিটের আধিকারিকেরা। সেখানেও বেশ কিছু নথি সংগ্রহ করেছিলেন তাঁরা। আদালতের নির্দেশে ওই ব্যবসায়ীর অফিসে তল্লাশির অনুমতি নিয়ে সোমবার ফের আসেন তদন্তকারী দল। ঘটনাস্থলে ছিলেন নারায়ণ খারকার আইনজীবীরা। অফিসের সিল খুলে সিটের আধিকারিকরা তল্লাশি শুরু করেন। ঘটনাস্থলে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন ছিল। অভিজিত্ মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। নারায়ণ খারকার আইনজীবী পূজা কুর্মি বলেন, আমরা তদন্তকারী আধিকারিকদের সমস্তরকম সহযোগিতা করেছি। তাঁরা অফিসের ভিতরে সিসি টিভি ফুটেজের নথি সংগ্রহ করেছেন। আরও কিছু নথি তাঁরা নিয়ে গিয়েছেন। তবে, অভিজিত্ এই অফিসে কোনওদিনই কাজ করতেন না। প্রসঙ্গত, ১ এপ্রিল দুর্গাপুর থেকে কলকাতার উদ্দেশ্য রওনা দেন রাজু ঝা। সঙ্গে ছিল ব্রতীন ও আবদুল লতিফ। শক্তিগড়ে তাঁরা ঝালমুড়ি খেতে গাড়ি থেকে নীচে নামেন। সেই মুহূর্তে একটি নীল গাড়িতে করে আসা দুই জন শার্প শ্যুটার গাড়ির প্রথম সিটে বসে থাকা রাজুকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজু ঝা খুনের শার্প শ্যুটারদের দুর্গাপুরে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল ধৃত অভিজিৎ মণ্ডল। এবার তার সূত্র ধরেই প্রকৃত খুনির নাগাল পেতে চাইছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা।

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SIT: রাজু ঝা খুনে ধৃত অভিজিতের বাড়িতে হানা দিল সিট! কেন?

    SIT: রাজু ঝা খুনে ধৃত অভিজিতের বাড়িতে হানা দিল সিট! কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  শুক্রবার কাঁকসার বামুনারায়  রাজু ঝা খুনের ঘটনায়  ধৃত অভিজিৎ মণ্ডলের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে হানা দিল সিট (SIT) -এর সদস্যরা। রাজু ঝা খুনের ১৮ দিনের মাথায় অভিজিত্ মণ্ডলকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এই খুনের পিছনে আর কারা রয়েছে, তা নিয়ে চর্চা চলছে সর্বত্র। অভিজিত্ গ্রেফতার হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই খুনের ঘটনার তদন্তে গঠিত স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিটের (SIT) সদস্যরা পৌঁছে যান দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের অন্য এক ব্যবসায়ী নারায়ণ খারকার অফিসে। ধৃত অভিজিৎ মণ্ডলকে নিয়ে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের দুটি দোকানে তল্লাশি চালান সিটের (SIT)  তদন্তকারী আধিকারিকরা। যদিও ওই বন্ধ দোকান দুটির চাবি না মেলায় পুলিশ সিল করে। এবার সিসি টিভি খতিয়ে দেখতে অভিজিতের বাড়িতে পৌঁছাল সিট (SIT)।

    সিসি টিভি খতিয়ে দেখে কী পেল সিট (SIT)?

    নারায়ণ খারকার দোকানের পর এবার ধৃত অভিজিত্ মণ্ডলের বাড়িতে হানা দিল সিট (SIT) । তার বাড়ির সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। তবে, সেখানে শেষ ২৪ ঘণ্টার  ভিডিও ছাড়া আর কিছুই মেলেনি। নেই ২৪ ঘণ্টার আগের কোনও ভিডিও ফুটেজ, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। তবে, কী কোনও বিশেষ প্রমাণ লোপাট করতেই মুছে ফেলা হয়েছে সেই সমস্ত ফুটেজ? মূলত তারসঙ্গে কার ওঠাবসা ছিল, তার বাড়িতে কারা কারা আসত তা খতিয়ে দেখতেই সিটের আধিকারিকরা সিসি টিভি খতিয়ে দেখেন। পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, রাজু ঝা খুনের শার্প শুটারদের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল অভিজিত্। কয়েকমাস ধরেই শুটাররা টার্গেট করছিল রাজুকে। অবশেষে ১ এপ্রিল দুর্গাপুর থেকে কলকাতার উদ্দেশ্য রওনা দেন রাজু ঝা। সঙ্গে ছিল ব্রতীন ও আবদুল লতিফ। শক্তিগড়ে তাঁরা ঝালমুড়ি খেতে গাড়ি থেকে নীচে নামেন। সেই মুহূর্তে একটি নীল রংয়ের গাড়িতে করে আসা দুই জন শার্প শুটার গাড়ির প্রথম সিটে বসে থাকা রাজুকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয়। এই ঘটনার ১৮ দিনের মাথায় অভিজিৎ মণ্ডল গ্রেফতার হয়। পুলিশ তাকে হেপাজতে নিয়ে ঘটনার তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: শ্রমিক সংগঠনের সভার আগেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, ভাঙচুর নেতার গাড়ি, জখম চালক

    TMC: শ্রমিক সংগঠনের সভার আগেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, ভাঙচুর নেতার গাড়ি, জখম চালক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের (ডিএসপি) তৃণমূলের (TMC) ঠিকা শ্রমিক সংগঠনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তাল হয়ে উঠল এলাকা। বৃহস্পতিবার সকালে বেশ কয়েকজন ঠিকা শ্রমিক কারখানার গেটে কাজে যোগদান করতে গেলে তাঁদের উপরে ইটবৃষ্টি করে তৃণমূলেরই একাংশ, এমনই অভিযোগ। এই ঘটনায় মাথা ফেটে যায় শেখ সামসুদ্দিন নামক এক ঠিকা শ্রমিকের। তাঁকে তড়িঘড়ি ডিএসপি মেন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর অভিযোগ, এদিন যখন তাঁরা কাজে যোগদান করতে যাচ্ছিলেন, সেই সময় শেখ গোলাম রসুলের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন তাঁদের উপর হামলা চালায়। সূত্রের খবর, এই গোলাম রসুল তৃণমূল করেন। দিনকয়েক আগে জেলার নেতৃত্ব ডিএসপির সাত শ্রমিক নেতাকে বহিষ্কার করে। এই ঘটনা তারই জের বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিন পশ্চিম বর্ধমান জেলা আইএনটিটিইউসি-র ডাকে বিশাল শ্রমিক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা দুপুর সাড়ে তিনটের সময় দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের মেন গেট এলাকায়। সমাবেশের প্রধান বক্তা আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই এদিন সকালে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে আহত হন তৃণমূল নেতা।

    আক্রান্ত এক নেতা কী বলছেন?

    আজ আমি গাড়ি করে যখন প্ল্যান্টে ঢুকছিলাম, তখন বহিরাগত ২৫-৩০ জন আমাদের উপর হামলা চালায়। এদের মধ্যে কর্মীও ছিল, ছিল গোলাম রসুলও। গাড়ি ঘুরিয়ে যখন চলে যেতে উদ্যোগী হই, তখন পিছন থেকে ইটবৃষ্টি শুরু হয়। আমার গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। চালকের মাথায় আঘাত লাগে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় চিকিৎসার জন্য। গাড়িচালক হামলাকারীদের সবাইকে চেনে এবং তাকে জিজ্ঞাসা করলেই সবার নাম জানা যাবে বলে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, গেটে ঢোকার সময় আমাদের কর্মীদের সঙ্গে কারও কোনও বচসা হয়নি। তাঁর দাবি, দলের জন্মলগ্ন থেকেই তিনি তৃণমূল করেন। ২০০৪ সালের পর থেকে আইএনটিটিইউসির (TMC) সদস্য। তারপরেও এই ধরনের হামলা অত্যন্ত নিন্দনীয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।

    কী জবাব দিলেন অভিযুক্ত?

    যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই গোলাম রসুল বলেন, আমি তো এসব কিছুই জানি না। এখানে ছেলেরা সব ঝান্ডা বাঁধছিল। আমিও ছিলাম। এখানে আজ একটা (TMC) প্রোগ্রাম আছে। ওরা এটা নিয়ে একটা নোংরা রাজনীতি করছে। আমার নামে যে ওরা অভিযোগ করেছে, আমি তা এখনও শুনিনি। এমনকি কাকে মারধর করা হয়েছে, সে খবরও আমরা জানি না। সাংবাদিকদের মুখ থেকেই যা শোনার শুনছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • SIT: রাজু ঝা খুনের ঘটনায় দুর্গাপুরের এক ব্যবসায়ীর অফিস সিল করল সিট, কেন?

    SIT: রাজু ঝা খুনের ঘটনায় দুর্গাপুরের এক ব্যবসায়ীর অফিস সিল করল সিট, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যবসায়ী রাজু ঝা খুনের ১৮ দিনের মাথায় অভিজিত্ মণ্ডল নামে এক যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করে। এবার এই খুনের পিছনে আর কারা রয়েছে, তা নিয়ে চর্চা চলছে সর্বত্র। অভিজিত্ গ্রেফতার হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই খুনের ঘটনার তদন্তে গঠিত স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিটের (SIT) সদস্যরা পৌঁছে গেলেন দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের অন্য এক ব্যবসায়ী নারায়ণ খারকার অফিসে। তাকে দেখা করার জন্য নোটিশও দেওয়া হয়েছে। যদিও ওই ব্যবসায়ীর আইনজীবী নোটিশ পাওয়ার কথা স্বীকার করেননি।

    নারায়ণ খারকার অফিসে হানা দিয়ে কী করল সিট (SIT)?

    মঙ্গলবার রাতে দুর্গাপুরের অম্বুজা কলোনিতে হানা দেয় পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের সিট (SIT)। একদম ভরা বাজার থেকে অভিজিৎকে পাকড়াও করে পুলিশ। একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, সেই সময় নারায়ণ অম্বুজা কলোনিতে তাঁর অফিসেই ছিলেন। অভিজিৎকে পুলিশ ধরার সঙ্গে সঙ্গেই খবর পৌঁছে গিয়েছিল অফিসে। স্করপিও গাড়িতে করে চম্পট দেন ‘কয়লা মাফিয়া’ নারায়ণ। যদিও অন্য একটি সূত্রের দাবি, কয়েকদিন ধরেই নারায়ণ এলাকাতে নেই। বুধবার রাত ৮টা নাগাদ সিটের আধিকারিকরা ফের দুর্গাপুরের অম্বুজা কলোনিতে নারায়ণের অফিসে হানা দেন। সঙ্গে ১০টি গাড়িতে ছিল পুলিশ। নারায়ণের অফিস পুলিশে ছয়লাপ হয়ে যায়। অফিসে তল্লাশির জন্য ধৃত অভিজিত্ মণ্ডলকেও সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন সিটের (SIT) আধিকারিকরা। কিন্তু, অফিসে কারও দেখা মেলেনি। এরপরই অফিস সিল করে দেওয়া হয়।

    কে এই নারায়ণ খারকা?

    একসময় রাজু ঝায়ের সঙ্গে কয়লার কারবারে যুক্ত ছিলেন নারায়ণ। একসঙ্গে তাঁরা ব্যবসা করতেন। রাজ্যে পালাবদল হওয়ার পরই নারায়ণের প্রভাব বাড়তে শুরু করে। জেলে যেতে হয় রাজুকে। বহুদিনের জুটি ভেঙে যায়। কারবারের দ্বন্দ্ব চরম শত্রুতার পর্যায়ে চলে যায়। পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল-দুর্গাপুর খনি অঞ্চলে ইসিএলের কয়লা পরিবহণের ‘ডিস্ট্রিবিউশন অর্ডার’ পাওয়া সংস্থার উপর তোলা আদায় করার কারবার শুরু করেছিল রাজু। প্রতি টন কয়লার জন্য ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা ডান্ডা ট্যাক্স চালু করেছিল সে। এই নিয়ে নারায়ণের সঙ্গে শত্রুতা বাড়তে থাকে রাজুর। ইসিএলের কয়লা নিলাম হলে কোনও সংস্থা তা কিনত। সেখানেও থাবা বসিয়েছিল রাজু। তার জেরেও অনেকেরই সঙ্গে শত্রুতা বাড়ছিল রাজুবাহিনীর। নারায়ণের সঙ্গে রাজু-র দুরত্ব অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। ধৃত অভিজিত্ মণ্ডল নারায়ণের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তাই, অভিজিত্ গ্রেফতার হওয়ার অর্থ নারায়ণকে বার্তা দেওয়া। বুধবার রাতে দুর্গাপুর অফিসে সিল করে সিট (SIT) আধিকারিকরা সেই বার্তা আরও স্পষ্ট করলেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপি নেত্রীর ছেলেকে নগ্ন করে বেধড়ক মার ও মাথার চুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ! কেন এই নির্যাতন?

    BJP: বিজেপি নেত্রীর ছেলেকে নগ্ন করে বেধড়ক মার ও মাথার চুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ! কেন এই নির্যাতন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হোটেলের চাকরি ছেড়ে দেওয়ার মাশুল! চুরির অপবাদ দিয়ে মোবাইল কেড়ে বিজেপি (BJP) নেত্রীর ছেলেকে নগ্ন করে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, মাথার চুল কেটে নির্যাতন করা হয় বলেও অভিযোগ। ১৪ এপ্রিল রাতে এমনই অমানবিক ঘটনা ঘটেছে দুর্গাপুরের মুচিপাড়া এলাকায়। আক্রান্ত রাজীব ভট্টাচার্য্য নামে ওই যুবক সুবিচারের দাবিতে পুলিশ-প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কাঁকসা থানার পুলিশ। 

    ঠিক কী ঘটনা ঘটে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজীব ভট্টাচার্য্য দুর্গাপুর পুরসভার ১ নং ওয়ার্ডের ধোবিঘাট এলাকার বাসিন্দা। তার মা সুমনা ভট্টাচার্য বিজেপি-র (BJP) আসানসোল সাংগঠনিক জেলার মহিলা মোর্চার সহ সভাপতি। বছরখানেক ধরে রাজীববাবু দুর্গাপুরের মুচিপাড়ার এক হোটেলে কাজ করতেন। সম্প্রতি অন্য একটি হোটেলে ভালো মাইনের সুযোগ পাওয়ায় ওই কাজ তিনি ছেড়ে দেন। নতুন ওই হোটেলের কাজে তিনি যোগও দেন। পুরানো ওই হোটেলের মালিক আই কার্ড, ব্যাগ, ডায়েরি ফেরত দেওয়ার জন্য বলেছিলেন। সেইমতো ১৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় মুচিপাড়ার ওই হোটেলে দুই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপি (BJP) নেত্রী যান। অভিযোগ, সেখানে সব ফেরত দেওয়ার পর, আচমকা হোটেল মালিক হিরন্ময় দাস ও তাঁর ছেলে রাজীববাবুকে মারধর শুরু করেন। টেনে হিঁচড়ে হোটেলের পিছনে নিয়ে যান। সেখানে চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মোবাইল কেড়ে হোটেলের কয়েকজন কর্মীকে দিয়ে তাঁকে নগ্ন করে নির্মমভাবে মারধর শুরু করা হয়। রাজীববাবুর ভাই বাঁচাতে গেলে, তাঁকেও মারধর করা হয়। বিজেপি (BJP) নেত্রীর সামনেই এই ঘটনা ঘটে। তিনি রাস্তায় এসে আর্তনাদ করেন। কিন্তু, বাইরের লোককে হোটেলে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রাজীববাবুকে তালাবন্ধ করে রাখা হয়। রাজীববাবুর মাথার চুল কেটে  অমানবিক নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ।

    ছেলেকে মারধর করা নিয়ে কী বললেন বিজেপি (BJP) নেত্রী?

    বিজেপি (BJP) নেত্রী তথা আক্রান্ত রাজীববাবুর মা সুমনা ভট্টাচার্য বলেন, আমার সামনেই হোটেল মালিক ছেলের ওপর নির্যাতন চালায়। ছেলের মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয়। এই ঘটনা নিয়ে পুলিশে খবর দিই। মলানদিঘি ফাঁড়ির পুলিশ এসে ছেলেকে উদ্ধার করে। অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করি।

    কী বললেন অভিযুক্ত হোটেলের মালিক?

    যদিও এবিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করেন হোটেল মালিক হিরন্ময় দাস। তিনি বলেন, হোটেলের গেটের বাইরে চুরি করার বিষয় জানতে পেরে জনতা মারধর করেছে। চুল কেটে দিয়েছে। আমি উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Home: আবাসিককে বেধড়ক মার! ভাইরাল ভিডিও, হোম পরিদর্শনে প্রশাসনের আধিকারিকরা, কোথায় জানেন?

    Home: আবাসিককে বেধড়ক মার! ভাইরাল ভিডিও, হোম পরিদর্শনে প্রশাসনের আধিকারিকরা, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন হোমের (Home) এক আবাসিকের ওপর চলছে শারীরিক নির্যাতন। আর সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর থানা এলাকার ইস্পাত নগরীর এ জোন হর্ষবর্ধনে “দুর্গাপুর হ্যান্ডিকাপ্ড হ্যাপি হোম” নামে একটি হোম (Home)  নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। শুক্রবার বিষয়টি জানাজানি হতেই দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায় সমাজ কল্যাণ দপ্তরের আধিকারিকদের তদন্ত করতে পাঠান।

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে কী দেখা যাচ্ছে? Home

    এই হোমে অনেক বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন বাচ্চা রয়েছে। হোমের (Home) বারান্দায়, উঠানের চারিদিকে সকলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে রয়েছে। কেউ আবার শুয়ে রয়েছে। উঠানের পাশে এক আবাসিক গেঞ্জি পড়ে বসে রয়েছে। তার পরনে প্যান্ট নেই। একজন পরিচারিকা তাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাচ্ছে।  হোমের (Home)  ভিতরেই একজন সেই ছবি মোবাইল বন্দি করছেন। আর এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে যায়। যা নিয়ে প্রশাসনের কর্তারা নড়েচড়ে বসেন। শুরু হয় তদন্ত।

    হোম পরিদর্শন করে কী বললেন সমাজ কল্যাণ দপ্তরের আধিকারিক? Home

     হোমের (Home) আবাসিককে মারধর করার ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই প্রশাসনের বিষয়টি নজর আসে। এদিন সমাজ কল্যাণ দপ্তরের আধিকারিক দেব দুর্লভ ঘোষাল হোম (Home)  পরিদর্শনে আসেন। পরিদর্শনের পর দেব দুর্লভ বাবু জানান, এই ভিডিও সম্ভবতঃ পুরানো। তাছাড়া হোমে (Home)  সব আবাসিকের সঙ্গে কথা বলেছি। কেউ মারধর করার কথা বলেনি।  তবুও, বিষয়টি খতিয়ে দেখব।

    কী বলল হোম কর্তৃপক্ষ? Home

    এই হোমে ৪১ জন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন বাচ্চা রয়েছে। হোমের (Home) সম্পাদক পাপিয়া মুখোপাধ্যায় বলেন, এই ভিডিও ফুটেজটি ২০১৭ সালের। এই ভাইরাল ভিডিও নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। যার সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছিল, সেই আবাসিকও নেই। তবে, এই হোমের সুপারভাইজার আমির হাসান বলেন, এই হোমের (Home)  অনেক রকম দুর্নীতি আছে। এমনকি বাইরে কিছু ফাঁস করলে প্রাণ নাশের হুমকিও দেওয়া হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Patient: হাসপাতালের বেডের নীচে মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীর কাছে এত টাকা! হতবাক সকলে, কোথায় জানেন?

    Patient: হাসপাতালের বেডের নীচে মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীর কাছে এত টাকা! হতবাক সকলে, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সার্জিক্যাল ওয়ার্ড। সেখানে একটি বেডের মতো বসে রয়েছেন অজ্ঞাত পরিচয় মানসিক ভারসাম্যহীন এক  রোগী (Patient)। পরনে কালো প্যান্ট আর চেক জামা। হিন্দি ভাষী। তাঁর শারীরিক দুর্বলতার ওপর চিকিৎসা শুরু হয়। আচমকাই ভবঘুরে ওই রোগীর (Patient)  বেডের নীচে থেকে উদ্ধার হয় নোটের বান্ডিল। সবমিলিয়ে প্রায় এক লক্ষ টাকা। যা দেখে হতবাক হাসপাতালের নার্স থেকে চিকিত্সক সকলেই। এরকম একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ভবঘুরের কাছে এতগুলো টাকা এল কোথা থেকে? বিষয়টি জানতে পেরে হাসপাতালের সুপার ধীমান মণ্ডল ছুটে আসেন। কোনওরকমে বুঝিয়ে তাঁর ওই টাকা উদ্ধার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের জিম্মায় রাখা হয়েছে। বিষয়টি কোকওভেন থানায় জানানো হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

     ভবঘুরে ওই রোগীর  কাছে এত টাকা আছে, জানা গেল কীভাবে? Patient

    ১৭ মার্চ কোকওভেন থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ার মুচিপাড়া থেকে ওই ভবঘুরেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু, তাঁর নাম ও পরিচয় জানা যায়নি। হাসপাতালের এক নার্স বলেন, দুদিন চিকিত্সা করার পর তিনি কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠেন। আর সুস্থ হতেই বেডের মধ্যে কিছুক্ষণ বসে থাকার পর তিনি বার বার বেডের নীচে লুকিয়ে পড়ছেন। বেডের নীচে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকছেন। মানসিক রোগী (Patient) ভেবে প্রথমে আমরা গুরুত্ব দিইনি। এক রোগীর (Patient)  বাড়ির লোকজন বলেন, বেডের নীচে ও কিছু গুনছে। তবে, সেটা কাউকে দেখাচ্ছেন না। এরপরই কৌতূহলবশত হাসপাতালের এক কর্মী বেডের নীচে নেমে দেখেন তাঁরা কাছে ৫০০ টাকার মোটা দুটি বান্ডিল রয়েছে। প্যান্টের পকেট থেকে বের করছে আর গুনছে। বার বার তিনি ওই টাকা গুনছিলেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়। সমস্ত টাকা ওই রোগীর (Patient) কাছে থেকে উদ্ধার করে রাখার ব্যবস্থা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মানসিক ভারসাম্যহীন ওই ভবঘুরে বলেন, আমার জমি কেনাবেচা আর চটির ব্যবসা রয়েছে। ভাইয়ের সঙ্গে আমি ব্যবসা করি। ব্যবসার জন্যই টাকা নিয়ে এসেছিলাম। তারপর আবার বিরবির করে কী বলতে থাকেন। এতগুলো টাকা নিয়ে রাস্তার ধারে কেন পড়েছিল তা পরিষ্কারভাবে তিনি কিছু বলতে পারেননি।

    কী বললেন হাসপাতালের সুপার? Patient

    হাসপাতালের সুপার ধীমান মণ্ডল বলেন, ওই বৃদ্ধের মানসিক কোনও সমস্যা রয়েছে। তিনি নিজের নাম কখনও আহির খান আবার কখনও বলছে সামিহুল হুদাখান। বাড়ির ঠিকানা বলছেন, বিহার। কখনও  ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন এলাকার নাম করছেন। তাঁর কাছে কোনও পরিচয়পত্রও নেই। কথাই অসঙ্গতি থাকায় আমরা তাঁর কাছ থেকে ৯৯ হাজার টাকা নিয়ে নিজেদের হেফাজতে রেখেছি। তবে, এতগুলো টাকা নিয়ে তিনি কী করছিলেন তা বুঝতে পারছি না। তাঁর পরিবারের কেউ খবর পেয়ে আসলে তাঁদের হাতে ওই টাকা সহ রোগীকে তুলে দিতে চাই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

     

  • Dead: দুই সন্তানসহ দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য! কোথায় জানেন?

    Dead: দুই সন্তানসহ দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ঘরের ভিতর স্ত্রী সন্তানসহ একই পরিবারের চারজনের মৃতদেহ (Dead) উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। রবিবার সাতসকালে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের কুড়ুরিয়াডাঙা এলাকায়। স্বামী, স্ত্রীসহ দুই সন্তানের মৃত্যুর (Dead) ঘটনায় রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দুর্গাপুর থানার পুলিশ। ঘটনার সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানানো হয়। একইসঙ্গে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে পুলিশকে মৃতদেহ (Dead)  উদ্ধার করতে বাধা দেন মৃতের অত্মীয়রা। তাঁদের বক্তব্য, মৃত্যুর আগে সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁদের মৃত্যুর জন্য কারা দায়ী তা উল্লেখ করেছেন। সকলকে গ্রেপ্তার করতে হবে। তাঁদের দাবি, দুই সন্তান সহ স্বামী ও স্ত্রীকে খুন করা হয়েছে। যদিও ঘটনার তদন্তে ঘটনাস্থলে ফরেনসিক টিম আসে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম অমিত মণ্ডল (৪২)। তিনি পেশায় জমি ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁর স্ত্রী রূপা মণ্ডল (৩৪)। তাঁদের পুত্র মিমিত মণ্ডল(১০) ও শিশুকণ্যা নিকিতা মণ্ডল (২)। তাঁদের বাড়ি দুর্গাপুর ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কুড়ুরিয়াডাঙায়। কী করে জানাজানি হল বিষয়টি? পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন পারিবারিক হোয়াট’স অ্যাপ গ্রুপে সুইসাইড নোট দেখে মৃত অমিত মণ্ডলের শ্বশুর বাড়ির লোকজন ছুটে আসেন। বাড়ির ভিতরে দেখা যায়, ঘরের ভেতর নীচে পড়ে রয়েছে  ১০ বছরের মিমিত মণ্ডলের নিথর দেহ। বিছানায় শিশুকণ্যার সঙ্গে পড়ে রয়েছে মা রূপা মণ্ডলের দেহ। সিলিংয়ে হাতবাঁধা অবস্থায় ঝুলন্ত দেহ (Dead)  উদ্ধার হয় অমিতের। বিষয়টি জানাজানি  হতেই আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। ঘটনায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আসানসোল দুর্গাপর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) কুমার গৌতম বলেন, ফরেনসিক টিম নমুনা সংগ্রহ করেছে। দুজনকে আটক করা হয়েছে। সমস্ত ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    সুইসাইড নোটে কী লেখা রয়েছে? Dead

     অমিতের বাবা নরেশ মণ্ডল একসময় প্রভাবশালী প্রোমোটার ছিলেন। শিল্পশহর লাগোয়া জমির কেনাবেচা করতেন তিনি। বছর ছয়েক আগে কিডনির অসুস্থতায় মৃত্যু হয় তাঁর। বাবা বেঁচে থাকতে তাঁর সঙ্গে জমি কেনাবেচায় হাতপাকান অমিত। ফলে, ফুলেফেঁপে ওঠে তাঁদের সম্পত্তি। ওই জমি ব্যবসা থেকে কয়েক’শো কোটি টাকার সম্পত্তি তৈরি করেন। কুড়ুরিয়াডাঙায় বিলাসবহুল তাঁদের বাড়ি রয়েছে। সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে, তাঁদের মৃত্যুর (Dead)  পিছনে হাত রয়েছে তাঁর বড় মামার ছোটো ছেলে সুশান্ত নায়েক ওরফে নান্টু। সে মাস্টার মাইন্ড। এছাড়াও  মামার বাড়ির  অনেকে জড়িত রয়েছে। সুশান্ত নায়েক অন্ডালের সিঁদুলি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করে। এছাড়া মা বুলা রানি মণ্ডলের নাম রয়েছে। মা বাপের বাড়ির সকলকে ভালোবাসে। আমার ছেলেমেয়েদের দেখতে পারে না। আমাকে পছন্দ করে না। ছোটো মামার মেয়ে মিলি নায়েক ঘোষের নামও উল্লেখ রয়েছে। তিনি পান্ডবেশ্বরে বৈদ্যনাথপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। বড় মামার সেজো ছেলের বৌ শিলা নায়েক মণ্ডলের নাম রয়েছে। তিনি আমরাই প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করেন। ২০১২ সালে পরীক্ষা, ইন্টারভিউ  না দিয়ে তাঁরা সকলে চাকরি পেয়েছেন। সুশান্ত নায়েক সিপিএম, কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস সমস্ত দলই করেছেন। ওরাই আমাদের পরিবারকে শেষ করে দিল। প্রভাবশালী মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের যোগ রয়েছে তিনি উল্লেখ করেছেন। সুইসাইড নোটটি সিবিআই(CBI), ইডি (ED), রাজ্য পুলিশ এবং বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়কে তিনি ট্যাগ করেন।

    কী বললেন মৃতের আত্মীয়? Dead

    মৃতা রূপা মণ্ডলের মাসতুতো বোন সুদীপ্তা ঘোষ বলেন,” গতকাল রাতে জামাইবাবু বলল মা এসেছে বাড়িতে। আবারও অশান্তি হবে।” তিনি আরও বলেন,” সম্পত্তির বিবাদ। জামাইবাবুর মা বুলা রানি জামাইবাবু, দিদি ভাগ্নে, ভাগ্নিকে সহ্য করতে পারে না। সমস্ত সম্পত্তি জামাইবাবুর মামার ছেলেদের তিনি দিয়ে দিতে চান। তাই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছে। আমাদের অনুমান পরিকল্পিত খুন। কারণ, বাড়ির সিসিটিভি উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাতে স্ট্রিট লাইট বন্ধ রাখা ছিল। আমাদের দাবি, বুলা রানি, সুশান্ত, প্রশান্ত সহ জামাইবাবুর মামার বাড়ির সকলকে গ্রেপ্তার করতে হবে। ঘটনার সিবিআই (CBI) তদন্ত করা হোক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Water:  পুরসভার পানীয় জলে এত দুর্গন্ধ! কোথায় জানেন?

    Water: পুরসভার পানীয় জলে এত দুর্গন্ধ! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পুরসভার পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের (Water) সংযোগ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জলের কর না নেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু, দুর্গাপুর নগর নিগম সেই নির্দেশ না মেনেই প্রতিমাসে মিটার দেখে জলের (Water)  কর নেয়। প্রতিমাসে জল করও দেন শহরবাসী। কিন্তু, বিনিময়ে পুরসভার দেওয়া পাইপ লাইন থেকে বের হচ্ছে দুর্গন্ধময় জল। দুর্গাপুরের নিউটাউনশিপ থানার মামরা বাজারের সিদ্ধেশ্বরী মার্কেট এলাকার ঘটনা। জলে এতটাই দুর্গন্ধ বের হচ্ছে যে টেকা দায়। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ,  নগর নিগমকে নিয়মিত জলের (Water)  ট্যাক্স দেওয়া হয়। বিনিময়ে বিশুদ্ধ পানীয় জলের পরিবর্তে মিলছে দূষিত ড্রেনের জল। বাড়ছে পেটের রোগ আর চামড়ার রোগ। এলাকায় জলের কল খুললেই দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। সেই জল খাওয়া তো দূরের কথা, দুর্গন্ধে ঘরে থাকা যাচ্ছে না। এলাকাবাসীর আশঙ্কা, মামরা বাজারের একটি ড্রেনের পাশেই রয়েছে জলের পাইপ লাইন। সেই পাইপ হয়তো কোনও কারণে ফুটো হয়ে গিয়েছে, আর সেখান দিয়েই ড্রেনের নোংরা জল (Water)  ঢুকে পড়ে এই বিপত্তি হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, আমরা দিনে দুবার মাত্র দু ঘণ্টা জল পাই। আর সেই জল এখন বিষের সমতুল্য হয়ে উঠেছে। জলের (Water)  সমস্যায় থাকা পরিবারগুলিকে অনেক দূরে থাকা একটি কুয়ো থেকে অথবা অন্যের বাড়ি থেকে জল (Water)  নিয়ে এসে  নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, পুরসভার কর্মীরা এসে পাইপ লাইন খোঁড়াখুঁড়ি করছেন। কিন্তু, তাতে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।

    কী পদক্ষেপ নিলেন দুর্গাপুর পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য? Water

    পুরসভার পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের (Water)  সংযোগ দেওয়া হয়েছে। পাইপ লাইনের আশপাশে অনেক ড্রেন রয়েছে। সেই ড্রেনের নোংরা জল (Water)  পানীয় জলের পাইপে কী করে ঢুকল তা নিয়ে পুরসভার কর্মীরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন।  দুর্গাপুর পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য তথা প্রাক্তন জল দপ্তরের মেয়র পারিষদ সদস্য দীপঙ্কর লাহা বলেন, আমাদের কর্মীরা বিগত চার পাঁচ দিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁড়াখুঁড়ি করে পাইপ লাইনের মধ্যে কোন সমস্যা আছে কিনা তা খুঁজে বার করার চেষ্টা করছেন। এখনও পর্যন্ত কোনও সমস্যা খুঁজে পাওয়া যায়নি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো  সমস্ত এলাকায় বাড়ি বাড়ি জলের (Water)  লাইন দেওয়া হয়েছে। ওই এলাকায় সাময়িক একটা সমস্যা হয়েছে। পরীক্ষার জন্য এলাকার ট্যাপ থেকে জল (Water)  সংগ্রহ করা হয়েছে।   জলে দুর্গন্ধ রয়েছে এ কথা সত্যি। তবে, কাজ চলছে, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।   বিজেপির দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক লক্ষণ চন্দ্র ঘোড়ুই বলেন, দল নোংরা, তাই জলও নোংরা। দলেরই কোন স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নেই তাহলে স্বচ্ছ জল (Water)  মিলবে কীভাবে? আর কয়েক মাস পরেই পুরসভা নির্বাচন হবে। তৃণমূলকে সরিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে। তারপরেই স্বচ্ছতা কাকে বলে বিজেপি দেখাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share