Tag: Durgapur

Durgapur

  • Durgapur: লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির নতুন প্রচার, শুরু ‘বিকশিত ভারত প্রকল্প’

    Durgapur: লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির নতুন প্রচার, শুরু ‘বিকশিত ভারত প্রকল্প’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির ‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’ প্রচার অভিযানের সূচনা হল। সামনেই লোকসভার নির্বাচন। তাই প্রচার নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে দুর্গাপুরে (Durgapur)। কেন্দ্রীয় সরকারের নানান জনমুখী কাজের প্রচার করতেই এই ‘বিকশিত ভারত প্রকল্প’ ক্যাম্পের আয়োজন। রাজ্যের মধ্যে দুর্গাপুর নগর নিগমের চার নম্বর ওয়ার্ডের ইস্পাতপল্লিতে এই প্রকল্পের সূচনা করলেন বর্ধমান দুর্গাপুরের বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আহলুওয়ালিয়া। তৃণমূলের অবশ্য বক্তব্য, আমাদের ‘দুয়ারে সরকার’-এর দেখাদেখি বিজেপি ভোটের আগে প্রচারের আলো পেতে নাটক করছে।

    রাজ্যে রাজ্যে আগে এই যাত্রার সূচনা হলেও বাংলায় এবার শুরু হয়েছে। রাজ্যে মোট এই সংকল্প যাত্রায় দলের কেন্দ্রীয় স্তর থেকে মোট ১৮ টি ‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’র রথ পেয়েছে। রথের মতো করে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের পোস্টার দিয়ে একটি গাড়িকে সাজানো হয়েছে। গাড়িতে রয়েছে একটি করে বড় টিভি। সঙ্গে চলে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ এবং ভিডিও।

    কী বললেন বিজেপি সাংসদ (Durgapur)?

    দুর্গাপুরে (Durgapur) এই দিন ‘বিকশিত ভারত প্রকল্প’-এর সূচনা করে বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আহলুওয়ালিয়া বলেন, “মোদি সরকারের জনমুখী প্রকল্পের সুবিধা সকল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াটাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এই ক্যাম্প থেকে উজ্জলা যোজনা, মুদ্রা লোন, প্রধানমন্ত্রী জীবন বিমা যোজনা, প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি যোজনা-সহ আরও একধিক কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের কথা সম্পর্কে বিস্তৃত জানা যাবে। কীভাবে আবেদন করবেন, কীভবে প্রকল্পের সুবিধা পাবেন, কোনও অসুবিধা হলে কোথায় জানাবেন ইত্যাদি বিষয়ে ক্যাম্প থেকে সহযোগিতা করা হবে। এমনকী আবেদনকারীরা কীভাবে ঋণ পাবেন সেই ব্যবস্থা করা হবে।” শুধু ক্যাম্প নয়, ক্যাম্পের বিষয় নিয়ে একটি ভ্রাম্যমাণ গাড়ি এলাকায় এলাকায় প্রচার করবে বলে জানা গিয়েছে। এই সাংসদ ‘বিকশিত প্রকল্প’ প্রচারে প্রসঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে তৃণমূলকে বলেন, “যদি বাধা প্রদান করে তাহলে তারাও বুঝতে পারবে।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    বিজেপির এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে স্থানীয় তৃণমূলের বক্তব্য, “আমাদের সফল প্রকল্প ছিল ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প। বিজেপি তৃণমূল সরকারকে অনুকরণ করছে।” দুর্গাপুর (Durgapur) জেলার তৃণমূলের সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যের প্রাপ্য টাকা যদি বিজেপি সরকার না দেয় তাহলে ‘বিকশিত ভারত’ প্রকল্পের কর্মীদের আটক করে বিক্ষোভ দেখানো হবে।” প্রসঙ্গত এই ক্যাম্পে যে সব উপভোক্তারা এসেছেন তাঁরা এই উদ্যোগে বেশ খুশি বলে জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘ইন্ডি’ জোটকে ফের নিশানা, দেশরক্ষায় মোদিজির হাত শক্ত করার বার্তা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘ইন্ডি’ জোটকে ফের নিশানা, দেশরক্ষায় মোদিজির হাত শক্ত করার বার্তা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, রাহুল গান্ধী, শেখ আবদুল্লা, ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে দূরে থাকুন। স্বাধীন ভারতে দু’জন প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার ছিলেন। তাই, দু’ভাগ হয়েছে দেশ। এখন ২৬ জন প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার। তাই, দেশকে আফগানিস্থান তালিবান হতে দেবেন না। দেশরক্ষার জন্য মোদিজির হাত শক্ত করুন। শুক্রবার পাণ্ডবেশ্বরের শীতলপুর মারে জনসভা থেকে ‘ইন্ডি’ জোটকে এভাবেই নিশানা করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    মুখ্যমন্ত্রীর স্পেন সফর নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    আগামী ২০২৪ লোকসভাকে পাখির চোখ করে ময়দানে নেমেছে গেরুয়া শিবির। পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে একটি করে জনসভা করার টার্গেট নিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার ছিল পাণ্ডবেশ্বরের শীতলপুর মাঠে জনসভা। এদিন কেন্দ্রের সুশাসন তুলে ধরে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে কু-শাসন বলে আখ্যা দেন। তাঁর বক্তব্যের আগাগোড়া ছিল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর স্পেন সফরকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘২০ কোটি টাকা খরচ করে শিল্প আনতে গিয়েছেন। আর রাজ্যের সিঙ্গুরে ডিনামাইট ফাটিয়ে টাটাদের গুজরাটে পাঠিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী খেলা আর মেলার বাইরে বেরোতে পারেননি। এ রাজ্যে রেল নিজস্ব ফান্ডে প্রকল্প করতে চিঠি দিয়েছিল। ৬১টি প্রকল্পের জমি দেয়নি রাজ্য। দমদমের পাশে ভাঙড়ে নতুন বিমানবন্দর করতে চাওয়া হয়েছিল। জমি দেয়নি রাজ্য। ১২ বছর অতিক্রান্ত, নতুন শিল্প নেই। রাজ্যে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প হতে দেয়নি। ভুয়ো স্বাস্থ্যসাথি কার্ড চালু করেছেন। ২০১৯ সাল থেকে ফসল বিমা যোজনা বন্ধ করে রেখেছেন। নতুন করে দামোদরে বালি তুলে গতিপথটাই বদলে দিয়েছেন। খনিজ থেকে রাজ্যের রাজস্ব লোকসান হয়। রাজস্বের ২০ শতাংশ রাজকোষে জমা পড়ে। আর বাকি ৮০ শতাংশ তোলামূলে চলে যায়।’’

    কেষ্ট প্রসঙ্গে কী বললেন শুভেন্দু?

    শুভেন্দু বলেন, ‘‘বীরভূমে ডিসিআরের নামে পাথর লুট হচ্ছে। কেষ্ট নেই তো কী হয়েছে। কাজল শেখ আছে। নতুন বোতলে পুরোনো মদ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘রাজ্যে বেআইনি কয়লার সিন্ডিকেট হয়েছে। ওই সিন্ডিকেট উপড়ে ফেলার কাজ চলছে। রাজ্য সরকার পুলিশ সরিয়ে নিক। কোনও রাষ্ট্রপতি শাসন লাগবে না। কোনও ৩৫৬ ধারা লাগবে না। গান্ধীমূর্তির নিচে আর শহিদ মিনারের নীচে যাঁরা বসে আছেন, তাঁরাই কালীঘাটের সব ইট খুলে নিয়ে চলে আসবেন।’’

    ডিয়ার লটারি নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    শুভেন্দু বলেন, ‘‘ডিয়ার লটারির মালিক মুখ্যমন্ত্রী রিলিফ ফান্ডে বাংলায় লটারি ব্যাবসার জন্য বেশ কয়েক কোটি টাকা দিয়েছেন। মোটা টাকার লেনদেন হয়েছে এই ডিয়ার লটারিকে নিয়ে, সব সত্যি এবার সামনে আসবে। উপাচার্য্য নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হয় এটা পিসির লজ্জা। বিচারপতি এজলাসে মামলা আসার ব্যাপারটাকে নিয়ে তৃণমূল সরকারকে তুলোধোনা করেন।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: মৃত মা হনুমানের দেহ আগলে রাখল শাবক হনুমান

    Durgapur: মৃত মা হনুমানের দেহ আগলে রাখল শাবক হনুমান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু মা হনুমানের, শোকাহত শাবক, তার দলবলেরা আগলে রাখলো মৃতদেহ। পশু হয়েও তাদের মানুষের মতন আচরণ সাধারণ মানুষের মনকে আবেগ প্রবণ করে তুলেছে। পশু হলেও কতটা হনুমানরা শোকতপ্ত হতে পারে, সেই দৃশ্য চোখে পড়ল এই দুর্ঘটনায়। স্থানীয়রা জানান, উখড়ার (Durgapur) স্থানীয়দের উদ্যোগেই মৃত হনুমানের সমাধির উপর নির্মাণ হবে মন্দির।

    দুর্গাপুরের (Durgapur) কোথায় ঘটল এই ঘটনা

    শিল্পাঞ্চলের (Durgapur) মধ্যে শহরের গাছের ফল খেতে হনুমানদের চালাচল প্রায়ই লক্ষ করা যায়। দুর্গাপুরের কাছে উখড়ার শ্যামসুন্দরপুরে একদল হনুমান দলবদ্ধ হয়ে রাস্তার এপার থেকে ওপারে যাচ্ছিল। তখনই প্রচন্ড গতিসম্পন্ন অবস্থায় একটি চার চাকার গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি পূর্ণবয়স্ক হনুমানকে সজোরে ধাক্কা মারে। গাড়ির গতি এতটাই তীব্র ছিল যে ধাক্কার আঘাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় হনুমানটির। ঠিক তারপরেই হনুমানের দল মৃত হনুমানকে ঘিরে চারিদিকে গোল হয়ে, একে একে সকলে বসে পড়ে ও মৃতদেহ আগলে রাখে। হনুমানের মৃত্যুর পর বেশ কিছুটা সময় সম্মেলিত ভাবে শোক প্রকাশ করতে দেখা যায় তাদের। মৃত পূর্ণবয়স্কা মা হনুমানকে আগলে রাখে হনুমানের শাবক। কিছুতেই  শাবক, মা হনুমানকে ছেড়ে যেতে চাইছিল না।

    এলাকার মানুষের প্রতিক্রিয়া

    উখড়ার (Durgapur) স্থানীয় মিলন বিশ্বাস ঘটনাস্থলে দুর্ঘটনার বিষয়টি সামনে থেকে চাক্ষুষ করেন। মিলন বাবু বলেন, একটা হনুমান তার বাচ্চা নিয়ে লাফালাফি করতে করতে রাস্তা পার হতে গেলে, আচামকা একটা গতি সম্পন্ন গাড়ি এসে তার গায়ে ধাক্কা দেয়। আর মুহূর্তের মধ্যেই হনুমানটা ছিটকে গিয়ে রাস্তার পাশে পড়ে। শাবকটি কোন ক্রমে বেঁচে গেলেও মা ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে আশেপাশের বাকি সকল হনুমান একসঙ্গে জড়ো হয়ে অনেক সময় ধরে রাস্তার ধারে বসে থাকে। অনেক সময় পর্যন্ত হনুমানদের উপস্থিতির জন্য মৃত হনুমানটিকে সরানো যায় নি। পরে খবর দেওয়া হয় উখড়া বনদপ্তরে। অনেক সময় কেটে গেলেও বনদফতর থেকে কেউ এসে ঘটনাস্থলে পৌঁছান নি বলে জানা য়ায়। আরও কিছু সময়ের পর মৃত হনুমানের দেহটিকে নিয়ে পাশের একটা জায়গায় সমাধিস্থ করা হয়। এলাকার মানুষ এই মৃত হনুমানের সমাধির উপরে একটা হনুমান মন্দির তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে। মৃত হনুমানের সমাধিস্থলের উপর হনুমান মন্দির নির্মাণের বিষয়ে প্রবল উৎসাহ লক্ষ করা গেছে।

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • IPL: আইপিএলে বেটিং চক্র! পুলিশি অভিযানে গ্রেফতার ২, উদ্ধার নগদ কয়েক লক্ষ টাকা

    IPL: আইপিএলে বেটিং চক্র! পুলিশি অভিযানে গ্রেফতার ২, উদ্ধার নগদ কয়েক লক্ষ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইপিএলকে (IPL) ঘিরে বেটিং চালানোর দুর্গাপুরের মেনগেট অঞ্চলের নিউ স্টিল পার্ক থেকে মহম্মদ নিয়াজ খান নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল দুর্গাপুর থানার পুলিশ। ১১ মে ছিল আইপিএলে (IPL) কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রাজস্থান রয়েলসের ম্যাচ। ম্যাচ শুরু হতেই চালু হয়ে যায় বেটিং। বেটিং অ্যাপ এর লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিশ হাতেনাতে ধরে নিয়াজকে। দীর্ঘদিন ধরেই পুলিশের কাছে খবর ছিল এই বেটিং চক্রের।

    ধৃত যুবকের কাছ থেকে কী কী উদ্ধার হল?

    মূলত দুটি ভাবে আইপিএলের (IPL) এই বেটিং হয়। প্রথমত, সরাসরি ম্যাচের ওপর লগ্নি করে। ম্যাচের আগেই নিজ পছন্দের নির্দিষ্ট টিমের ওপর বাজি রেখে চলে বেটিং। বেটিং এর লগ্নিমূল্য আগেই জমা করতে হয় নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে। পুরোটাই চলে বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে। জিতলে ততক্ষনাৎ টাকা চলে আসে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে। আর দ্বিতীয়ত, যেটা হয়, সেটা একটু উঁচু লেভেলে। কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন মহানগরগুলিতে সাট্টার মাস্টারমাইন্ডরা তা পরিচালনা করে। সেখানে নির্দিষ্ট ওভার বা নির্দিষ্ট বল-এ কি ঘটবে তার ওপর বাজি ধরা হয়। দুর্গাপুরে কোন বেটিংচক্র চলত তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। ধৃত নিয়াজকে শুক্রবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে চার দিনের হেফাজতে নেয় পুলিশ। ডিসি (পূর্ব) কুমার গৌতম বলেন, ধৃতের কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন, দুটি ডায়েরি ও নগদ ৫ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

    কী বলল বেটিং চক্রে ধৃত যুবক?

    ধৃত নিয়াজকে শুক্রবার আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে সে জানায়, ছোটকা পয়েন্ট দেখতো। কে এই ছোটকা? এক্ষেত্রে “পয়েন্ট” ই বা কী? জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরেই আইপিএলকে (IPL) ঘিরে দুর্গাপুরে ক্রমাগত সক্রিয় হয়ে উঠেছে বেটিং চক্র। এই চক্রে দুর্গাপুরের মাস্টারমাইন্ড ছোটকা। শহরের বিভিন্ন এলাকায় পয়েন্ট তৈরি করে সেখানে নিজের এজেন্টকে দিয়ে এই বেটিং চক্র চালাত সে। মেনগেট , বেনাচিতি, ইস্পাত কলোনি, মায়াবাজারসহ বহু জায়গায় ছিল এই পয়েন্ট। এই সব পয়েন্টে থাকত তার নিজস্ব লোকেরা। বিগত কয়েক বছরের মধ্যেই সে এই বেটিং চক্রের মাথা হয়ে ওঠে। আইপিএল (IPL) চলাকালীন প্রতিদিনই সক্রিয় হয়ে ওঠে বেটিং চক্র। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে খেলা হয়। ধৃতের কাছ থেকে “ছোটকা” সহ একাধিক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে, যাদের মাধ্যমে দুর্গাপুরে এই বেটিং চক্রের জাল বিছানো হয়েছিল।

    বেটিং চক্রে শিলিগুড়ি থেকে গ্রেফতার আরও এক অভিযুক্ত

    আইপিএলে (IPL) বেটিং চক্র চালানোর অভিযোগে শিলিগুড়িতে ফের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোনার অলঙ্কারের দোকানের আড়ালে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বেটিং চক্র চালাচ্ছিল ধৃত ব্যক্তি। বিশেষ সূত্রে খবরের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে মাটিগাড়ার সিটি সেন্টার শপিংমলে ওই সোনার দোকানে বেটিং করার সময় সাদা পোশাকে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি) ও মাটিগাড়া থানার পুলিশ হাজির হয়। তারপরে হাতেনাতে ধরে ফেলে ওই দোকানের মালিককে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম সুন্দরলাল দুগার। ধৃত ব্যক্তি বেশ কয়েকদিন ধরেই অনলাইনে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে আইপিএলের (IPL) বেটিং চক্র চালাচ্ছিল। তার কাছ থেকে ৯৮ নগদ হাজার টাকা উদ্ধার হয়। শনিবার ধৃতকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তুলে পাঁচদিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ। ধৃত ব্যক্তি এই চক্রের এজেন্ট। এর পিছনে অনেক বড় মাথা রয়েছে। তাদের সন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে মাটিগাড়া থানার পুলিশ। উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার শহরের হায়দরপাড়া থেকেও এক ব্যক্তিকে আইপিএলে (IPL) বেটিং চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ। মুদিখানার দোকানের আড়ালে সে বেটিং চালাতো। তার কাছ থেকে নগদ ৬ হাজার ৯০০ টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন পেয়েছিল পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: ‘ভোলা’র দাদাগিরিতে চরম আতঙ্কে বাজারের ব্যবসায়ী এবং ক্রেতারা!

    Durgapur: ‘ভোলা’র দাদাগিরিতে চরম আতঙ্কে বাজারের ব্যবসায়ী এবং ক্রেতারা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোলার তাণ্ডবে নাজেহাল দুর্গাপুর (Durgapur) সেন মার্কেটের ব্যবসায়ী থেকে ক্রেতারা। বৃহস্পতিবার তার গুঁতানিতে একজন জখম হয়। অভিযোগ, ভোলার তাণ্ডবে এখনও পর্যন্ত বাজারের প্রায় ৩০ জন ব্যবসায়ী এবং ক্রেতা আক্রান্ত হয়েছেন। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ভোলা নিজের দাপটে প্রতিদিন সবজি খেয়ে নিচ্ছে। ক্রেতারা ভোলার গুঁতানির আতঙ্কে বাজারে আসছেন না। ফলে ব্যবসার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। সেন মার্কেট ব্যাবসায়ী সমিতির কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ী সমিতির কর্তা তথা ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার শিপুল সাহা জানান, বন দফতর এবং পুলিস-প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও কোনও সুরাহা হয়নি।

    দিনকে দিন বেড়েই চলেছে দাপট

    ব্যবসায়ীদের (Durgapur) সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বাজার এলাকায় ৬-৭ টি ষাঁড় ও গরু রয়েছে। অভিযোগ, প্রতিটি গরু প্রায়ই ব্যাবসায়ীদের সবজি খেয়ে নিচ্ছে। পাশাপাশি ভোলার দাদাগিরি বেড়েই চলেছে দিনের পর দিন। ভোলা প্রায় প্রতিদিন কাউকে না কাউকে গুঁতিয়ে জখম করে চলেছে। প্রায় ৭ মাস আগে ব্যবসায়ী সজল সেনকে ব্যাপকভাবে জখম করে ভোলা। তিনি চেন্নাইয়ে লক্ষাধিক টাকা খরচ করে সাময়িক সুস্থ হয়েছেন। ভোলার তাণ্ডবে বিক্রেতা থেকে ক্রেতাদের আতঙ্ক দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে ভোলা সহ তার সাঙ্গপাঙ্গদের বাজার থেকে অন্যত্র নিয়ে যাক প্রশাসন।

    কী বলছেন ব্যবসায়ীরা?

    বাজারের (Durgapur) সবজি ব্যবসায়ীরা বলেন, আমাদের অনেক ব্যবসায়ী ভোলার গুঁতোয় জখম হয়েছে। সজল সেন বলে একজনের শরীরে পিছন দিকে শিং ঢুকিয়ে দিয়েছিল ভোলা। আমাদের সবজি খেয়ে যেমন ক্ষতি করছে, আবার ক্রেতারা ভোলার ভয়ে বাজারমুখো হতে চাইছেন না। ব্যবসার চরম ক্ষতি হচ্ছে। আমরা ব্যবসায়ী সমিতির কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।

    কী বললেন মার্কেট কমিটির সম্পাদক?

    প্রাক্তন কাউন্সিলার (Durgapur) শিপুল সাহা বলেন, এই সমস্যা থেকে কীভাবে মুক্তি পাওয়া যাবে, জানি না। বন দফতরে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলাম। পুলিশেও জানিয়েছি। কোনও সুরাহা হয়নি। আবার নতুন করে জানানো হবে। সেন মার্কেট কমিটির সম্পাদক সাগর সাহা বলেন, এদিন সকালে ভোলার গুঁতোয় ফের রাজেন্দ্র রাম বলে একজন  জখম হয়েছেন। আমরা চেষ্টা করছি, কোনও ব্যবস্থা যদি নেওয়া যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: দুর্গাপুর পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব সুকান্ত! মলয় ঘটককে নিয়ে কী বললেন?

    Sukanta Majumdar: দুর্গাপুর পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব সুকান্ত! মলয় ঘটককে নিয়ে কী বললেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুর পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব হলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পুরসভায় নির্বাচনের দাবিতে মঙ্গলবার বিকেলে দুর্গাপুর শহরে মিছিল করে বিজেপি। পরে, পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, “ছয়মাস পার হয়ে গেলেও দুর্গাপুর পুরসভায় নির্বাচন হয়নি। এক কাউন্সিলরের পদ চলে যাওয়ার পর সে নিজে গিয়ে পুরসভায় চাকরি নিয়েছেন।” দুর্গাপুর পুরসভায় চাকরিতে নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। পুরসভা থেকে ভ্যাকসিন চুরি নিয়ে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “কুকুরের ভ্যাকসিন চুরি করে খাচ্ছে চোরেরা। রাস্তায় তৃণমূল নেতারা ঘুরলে আর কুকুরে কামড়ে দিলে কুকুরের কোনও দোষ থাকবে না। তৃণমূল নেতাদের দোষ থাকবে। আসলে এরা জানে আজ না হয় কাল কুকুর কামড়াবে, তাই আগে থেকেই ভ্যাকসিন লুকিয়ে রাখছে।”

    মন্ত্রী মলয় ঘটককে নিয়ে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    দলীয় সভা থেকে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, কয়লা পাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের খাতায় ইতিমধ্যেই মলয় ঘটকের নাম উঠে গিয়েছে। “কয়লা ঘটক নামে এই জেলাকে এখন চেনা হয়। সিবিআইয়ের ডাক পেয়েছে, ঘটক বলছে যাব না। দিল্লিতে আজ না হয় কাল কয়লা ঘটককে যেতেই হবে।”

    রাজু ঝা-কে নিয়ে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

    ইতিমধ্যেই রাজু ঝা-কে খুন করার ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। কীভাবে তাঁকে দুষ্কৃতীরা পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে খুন করেছে তা ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে। সেই ভিডিও পুলিশের হাতে এসেছে, তারপরও দুষ্কৃতীরা অধরা। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “বড় মাথার হাত আছে। রাজু ঝায়ের হাতে থাকা তথ্য সিবিআইয়ের কাছে গেলে অনেক রাঘব বোয়াল ধরা পড়ত। আন্দাজ করছি, ঘটনায় বড়সড় চক্রান্ত আছে।”

    তৃণমূলের জাতীয় দল হারানো প্রসঙ্গে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    এদিন তিনি তৃণমূলের জাতীয়দলের তকমা হারানো প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “কাক পেখম লাগালেই ময়ূর হয় না। তৃণমূল জাতীয় দল হলে, কাঁঠালের আমসত্ত্ব হবে। সোনার পাথরবাটি হবে। তৃণমূল কখনই জাতীয় দল ছিল না, জাতীয় দল সেজে ছিল। কাঁঠালের আমসত্ব হবে না। সোনার পাথর বাটি সম্ভব নয়। তৃণমূল জাতীয় দল হবে না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: রাজু ঝা–কে খুনের পিছনে রয়েছে বড় মাথা, প্রাণহানির শঙ্কা লতিফেরও! চাঞ্চল্যকর দাবি অর্জুন সিং-এর

    Arjun Singh: রাজু ঝা–কে খুনের পিছনে রয়েছে বড় মাথা, প্রাণহানির শঙ্কা লতিফেরও! চাঞ্চল্যকর দাবি অর্জুন সিং-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ধমানের ল্যাংচা হাবের সামনে শক্তিগড়ে কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা–কে পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে। আর এই খুনের পিছনে রয়েছে বড় মাথা। দীর্ঘদিন ধরে চক্রান্ত করে এই খুন করা হয়েছে বলে দাবি করলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ (বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফেরা) অর্জুন সিং (Arjun Singh)।  

    রাজু বিজেপি করেনি

    কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা (Raju Jha) খুন হয়েছিলেন ১ এপ্রিল সন্ধ্যায়। সেই খুনের ঘটনায় সিট গঠন হয়েছে। কিন্তু শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত রাজু খুনের কিনারা করে উঠতে পারেনি বিশেষ তদন্তকারী দল। এরমধ্যেই শুক্রবার রাজুর দুর্গাপুরের বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন অর্জুন। রাজুর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে অর্জুন বলেন, ‘‘আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। ওর (রাজুর) সঙ্গে কোনও ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল না আমার। আসলে ওর গ্রামের বাড়ি (বিহারে) এবং আমার বাড়ি একই জায়গায় ছিল। সেই সূত্রে পরিচয়।’’ পাশাপাশি দিলীপ ঘোষ এবং তাঁর উপস্থিতিতে রাজু বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সে কথা উল্লেখ করে সাংসদ বলেন, ‘‘ও পার্টি (বিজেপি) করেনি। পরে আমরা ওকে তৃণমূলে কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছিলাম। তার মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটে গেল।’’

    আরও পড়ুন: আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে রাজ্যপালের অনুমোদন নিতে হবে! নয়া নির্দেশিকা রাজভবনের

    লতিফেরও প্রাণহানির শঙ্কা

    ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিলেও পরে সে ভাবে পশ্চিম বর্ধমানের কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝাকে আর রাজনীতির ময়দানে দেখা যায়নি। রাজু যেদিন খুন হন সেদিন ওই গাড়িতেই ছিলেন গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত তথা সিবিআইয়ের খাতায় ফেরার আবদুল লতিফ। অর্জুনের দাবি, ‘এটা পাকা মাথার কাজ। বাইরের রাজ্য থেকে শার্প শ্যুটার এসেছিল। রহস্য ভেদ করতে একটু তো সময় লাগবেই!’ রাজুর খুনের দিন তাঁর সঙ্গে এক গাড়িতেই ছিলেন লতিফ। আর এই ঘটনার পর থেকে গা–ঢাকা দিয়েছেন তিনি। অর্জুনের কথায়, ‘আমার মনে হয় লতিফ এই মার্ডার কেসে একটা লিঙ্ক!’ আবদুল লতিফের নাম এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়েছে তারও প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। ওকে পুলিশ না ধরতে পারলে হয়তো লতিফকেও সরিয়ে দেওয়া হবে। গরু-পাচার মামলায় কিং-পিন লতিফ। ইতিমধ্যেই তাঁকে দিল্লিতে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই আবহে অর্জুনের এরকম দাবি চাঞ্চল্য ফেলেছে রাজনৈতিক মহলে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Duare Sarkar: দুর্গাপুরের কাঁকসায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের টেবিল উল্টে দিলেন তৃণমূল নেতা! কেন জানেন?

    Duare Sarkar: দুর্গাপুরের কাঁকসায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের টেবিল উল্টে দিলেন তৃণমূল নেতা! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ফের রাজ্যে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) কর্মসূচি। শনিবার ঘটা করে পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসার বিদবিহার কৃষ্ণপুরে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প বসে। সেখানে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা টেবিল পেতে বসে সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ শুনছেন। আবেদন পত্র জমা  নিচ্ছেন। সব কিছুই ঠিকঠাক চলছিল। আচমকাই তাল কাটল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন সূত্রধর এবং তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি কাজল শেখ আসার পর। দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) ক্যাম্পে অন্যান্য দপ্তরের সঙ্গে বিদ্যুত্ দপ্তরও ছিল। সেখানে টেবিল পেতে বিদ্যুত্ দপ্তরের কর্মীরা বসেছিলেন। সেই ক্যাম্প শুরু হওয়া মাত্র তৃণমূলের ওই নেতারা বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের ওপর সমস্ত ক্ষোভ উগড়ে দেন। উল্টে দেওয়া হয় নথিপত্র সহ টেবিল। বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের চূড়ান্ত ধমক দেন তাঁরা। যতক্ষন না পর্যন্ত বিদ্যুৎ মিলছে ততক্ষণ দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) কর্মসূচিতে বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের বসতে দেওয়া হবে না বলেও তাঁরা রীতিমতো হুমকি দেন। পরে, কাঁকসার মলানদিঘি ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।

    কেন দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল নেতা? Duare Sarkar

    বিদবিহারের শিবপুরের রায়ডাঙা এলাকায় ২টি পরিবারের বাড়িতে বিদ্যুত্ নেই। ২০২২ সালে পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন সূত্রধর বঞ্চিত পরিবারের লোকজনেদের নিয়ে গিয়ে দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) ক্যাম্পে গিয়ে আবেদন করেন। কিন্তু, পাঁচ মাস হয়ে যাওয়ার পরও বাড়িতে বিদ্যুত্ সংযোগ হয়নি। পরিবারের লোকজন স্থানীয় প়ঞ্চায়েত সদস্যের কাছে বার বার দরবার করেছেন। বিদ্যুত্ দপ্তরে গিয়েও কোনও কাজ হয়নি। স্থানীয় সদস্যের কাছে বিদ্যুত্ সংযোগ না পাওয়া পরিবারের লোকজন ক্ষোভ উগরে দেন। এদিন নতুন করে দুয়ারে সরকার শিবির (Duare Sarkar) শুরু হতেই তৃণমূলের ওই জনপ্রতিনিধি দলবল নিয়ে এসে তান্ডব চালান।

    কী বললেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য? Duare Sarkar

    তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন সূত্রধর বলেন, দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) শিবিরে আবেদন করার পর তিনদিনের মধ্যে কাজ হয়ে যায়। সাধারণ মানুষের ভালো পরিষেবা পাওয়ার জন্য আমাদের মুখ্যমন্ত্রী এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। কিন্তু, দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) শিবিরে আবেদন করার পরও আমার বুথের দুটি পরিবার এখনও বিদ্যুত্ সংযোগ পেলেন না। এতে আমাকে এলাকার কথা শুনতে হচ্ছে। তাই ঘটা করে দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) শিবির না করার কথা বলেছি।

    বিদ্যুত্ দপ্তরে আবেদনকারী কী বললেন? Duare Sarkar

    বিদ্যুতের জন্য আবেদন করেছিলেন অজিত বাগদি নামে এক বাসিন্দা। তিনি অভিযোগ করেন, পাঁচ মাস আগে বিদবিহারে দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) কর্মসূচিতে বিদ্যুতের জন্য আবেদন করেছিলাম। পাঁচ মাস পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু, মেলেনি বাড়িতে বিদ্যুৎ পরিষেবা। পুনরায় আবেদন করার কথা বলা হয়। কবে, বিদ্যুত্ সংযোগ পাব তা জানি না।

    কী বললেন বিদ্যুত্ দপ্তরের আধিকারিক? Duare Sarkar

    এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার দুর্গাপুরের ডিভিশনাল ম্যানেজার সোহেল হাসান বলেন, ভুল তথ্য দিয়ে বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকদের হেনস্থা করা হয়েছে। আসলে বিদ্যুৎ দফতরের নতুন সংযোগের জন্য সুনির্দিষ্ট টাকা জমা না দিয়ে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে অফিসারদের হেনস্থা করা হয়েছে। এতে দফতরের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব? Duare Sarkar

    কাঁকসা ব্লকের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ভগীরথ ঘোষ বলেন, দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) লোক দেখানো প্রকল্প। সাধারণ মানুষ কোনও পরিষেবা পাচ্ছেন না। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ক্ষোভ দেখাচ্ছে, এটাই জ্বলন্ত প্রমাণ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sanitation: দুর্গাপুর পুরসভায় কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলনে কেন সাফাই কর্মীরা?

    Sanitation: দুর্গাপুর পুরসভায় কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলনে কেন সাফাই কর্মীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ সাত সকালেই গোটা শহর ঝাঁ চকচকে করে রাখা তাঁদের কাজ। কিন্তু, তিন মাস ধরে পরিবার নিয়ে চরম অসহায়ভাবে দিন কাটাচ্ছেন দুর্গাপুর পুরসভার ৪৫৮ জন সাফাই (Sanitation) কর্মী। জানুয়ারি মাস থেকেই তাঁদের বেতন হচ্ছে না। বকেয়া বেতনের দাবিতে সোমবার সকাল থেকে কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ দেখান সাফাই কর্মীরা। যার জেরেই এদিন সকাল থেকেই শহরের অধিকাংশ ওয়ার্ডে কোনও সাফাই (Sanitation) হয়নি। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, জানুয়ারি থেকে বেতন নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে। বেতন না পাওয়ায় সংসার চালাতে চরম সমস্যা হচ্ছে। দোকানে কেউ ধার দিচ্ছে না। ছেলেমেয়েদের টিউশন ফি দিতে পারছি না। চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে আমরা সকলে দিন কাটাচ্ছি। আমাদের দাবি, অবিলম্বে বকেয়া বেতন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। বিষয়টি জানতে পেরে পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারপার্সন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় সাফাই কর্মীদের দাবি বিবেচনা করার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে ঠিকাদারের সঙ্গে কথা হয়েছে। আগামীকালের মধ্যে আমরা ওদের বকেয়া বেতন দেওয়ার চেষ্টা করব।

    সাফাই কর্মীদের বেতন পেতে সমস্যা হচ্ছে কেন? Sanitation

    দুর্গাপুর পুরসভার সাফাই কর্মীরা ঠিকাদারের মাধ্যমে নিয়োগ হন। ফলে, তাঁদের বেতনও দেন ঠিকাদাররা। এতদিন যে ঠিকাদার তাঁদের দায়িত্বে ছিলেন, তিনি নিয়মিত বেতন দিতেন বলে সাফাই (Sanitation) কর্মীদের দাবি। এখন নতুন ঠিকাদার নিয়োগ হওয়ার পর থেকেই বেতন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। সাফাই কর্মীদের বক্তব্য, সরকারি নিয়ম মেনে ঠিকাদার পরিবর্তন করা হয়েছে। তাতে আমাদের কিছু বলার নেই। কিন্তু, নতুন ঠিকাদার বার বার আমাদের কাছে বিভিন্ন কাগজপত্র চেয়ে হেনস্থা করছে। এমনিতেই আমাদের কোনও ছুটি নেই। এরপরও যদি আমাদের নিয়মিত বেতন না দেয় তাহলে আমরা কী করে কাজ করব?

    দুর্গাপুর পূর্বের বিজেপির বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘড়ুই বলেন, জোর করে তৃণমূল সরকার এই পুরসভার নির্বাচন করছে না। প্রশাসক বোর্ড বসিয়ে নিজেদের ক্ষমতা ধরে রেখেছে। সাফাই (Sanitation) কর্মীরা সামান্য বেতনে কাজ করেন। তাঁদের ন্যায্য বেতন তিনমাস ধরে আটকে রেখেছে। আমরা চাই, অবিলম্বে পুরভোট করা হোক। স্বচ্ছভাবে  ভোট হলে এই বোর্ড থাকবে না। সাফাই কর্মীরা নিজেদের ন্যায্য পাওনা থেকে আর বঞ্চিত হবেন না। সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, সাফাই কর্মীদের বেতন না দেওয়া অন্যায়। এই বোর্ডের উদাসীনতার কারণে এসব হচ্ছে। অবিলম্বে পুরভোট করা দরকার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share