Tag: Earth

Earth

  • Aurora: অস্ট্রেলিয়ার আকাশে বিরল মেরুপ্রভা! স্পেস স্টেশনের ক্যামেরায় বন্দি সেই দৃশ্য

    Aurora: অস্ট্রেলিয়ার আকাশে বিরল মেরুপ্রভা! স্পেস স্টেশনের ক্যামেরায় বন্দি সেই দৃশ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশে প্রতিনিয়ত কতই না মহাজাগতিক ঘটনা চলেছে, যার প্রভাব আমরা পৃথিবীর ওপরেও দেখতে পাই। সম্প্রতি কয়েকদিন আগেই সৌর ঝড় (Solar Storm) পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে, আর তার ফলে সৃষ্টি হয় অরোরা বা মেরুপ্রভা (Aurora)। এই মেরুপ্রভার একটি চোখধাঁধানো ভিডিও ইন্টারন্যাশনাল স্পেস সেন্টার (ISS) থেকে সম্প্রতি শেয়ার করা হয়েছে, যা ব্যাপকভাবে ভাইরাল হতে শুরু হয়েছে।

    মহাকাশ স্টেশনটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উপরে অরোরা গঠনের বিস্ময়কর দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি করেছে। আইএসএস থেকে জানানো হয়েছে, আইএসএস ভারত মহাসাগরের উপরে ছিল এবং অস্ট্রেলিয়ার পূর্বে কোরাল সাগরের দিকে যাওয়ার সময় এই মেরুপ্রভার অপূর্ব দৃশ্য দেখা যায়।

    আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর বিপদের মুখে পৃথিবী! হঠাৎ আছড়ে পড়ল সৌর ঝড়

    জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবার স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার (SWPC) অনুসারে, ৪ সেপ্টেম্বর পৃথিবীর ওপর আছড়ে পড়ে সৌর ঝড়। জি-২ ক্লাসের সৌর ঝড় পৃথিবীতে আঘাত করার ফলেই এই মেরুপ্রভার সৃষ্টি হয়েছিল। এই ঝড় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অংশ সহ কিছু অঞ্চলে একটি অরোরা তৈরি করেছিল।

    কী এই অরোরা বা মেরুপ্রভা বা মেরুজ্যোতি?

    সৌরঝড়ের ফলে প্লাজমা মহাকাশে ছড়িয়ে পড়ে। সেটি পৃথিবীতে এসে পৌঁছলে এগুলি পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র ও বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করে। সেই কারণেই অণু-পরমাণুর সংঘর্ষে উজ্জ্বল আলোকবৃত্ত তৈরি হয়। বেশিরভাগ আরোরাতেই সবুজ ও গোলাপী রঙ দেখা যায়। কখনও নজরে পড়ে নীল, লাল বা বেগুনী রঙও। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের মতে, অরোরা শুধুমাত্র রাতে দেখা যায় এবং সাধারণত শুধুমাত্র নিম্ন মেরু অঞ্চলে দেখা যায়। সাধারণত কানাডা, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, গ্রিনল্যান্ড, রাশিয়া, আন্টার্টিকায় এই রঙের খেলা দেখা যায়। উত্তর অক্ষাংশে এটি অরোরা বোরিয়ালিস বা নর্দার্ন লাইটস বা সুমেরুজ্যোতি নামে পরিচিত। আর দক্ষিণে এর নাম অরোরা অস্ট্রালিস বা সাউদার্ন লাইটস বা কুমেরুজ্যোতি।  

    আরও পড়ুন: সরাসরি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে সৌর ঝড়! ফল কী হতে পারে? জানুন

  • DART Mission: পৃথিবীকে বাঁচাতে গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষ নাসার মহাকাশযানের! দেখতে পাবেন লাইভ

    DART Mission: পৃথিবীকে বাঁচাতে গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষ নাসার মহাকাশযানের! দেখতে পাবেন লাইভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা গ্রহাণু কখনও কখনও পৃথিবীর জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে যার ফলে নাসা (NASA) থেকে এক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গ্রহাণু থেকে পৃথিবীকে বাঁচাতে নাসা তৈরি করেছে ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট বা ডার্ট মিশনের। স্পেস ক্রাফটের মাধ্যমে এই প্রথমবার একটি গ্রহাণুর সঙ্গে ইচ্ছাকৃত সংঘর্ষ করতে চলেছে নাসা (NASA)। শুধু তাই নয়, ডার্ট মিশনের মহাকাশযানকে গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষ করার এই বিরল দৃশ্য লাইফ স্ট্রিম করা হবে। আগামী মাসের ২৬ তারিখে এই মিশনের অংশ হিসেবে  গ্রহাণুতে আঘাত করা হবে।

    এমন বিরল ঘটনা হয়তো আগে কখনও ঘটেনি। তবে ১৯৯৮ সালে হলিউডে বড় পর্দায় মুক্তি পেয়েছিল ‘আর্মা গেডন’(Arma Geddon), সেই ছবিতে এমন ঘটনা দেখানো হয়েছিল। সেখানেও গ্রহাণুর সঙ্গে মহাকাশযানের সংঘর্ষ ঘটানো হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: ‘নাসা’-র তৈরি রকেটে যান্ত্রিক গোলযোগ! শেষ মুহূর্তে স্থগিত আর্টেমিস ১ উৎক্ষেপণ

    কী এই ডার্ট মিশন?

    পৃথিবীর দিকে যদি কোনওদিন কোনও গ্রহাণু ধেয়ে আসে, তবে তার গতিপথ বদলে দেওয়াই এই মিশনের মূল উদ্দেশ্য। DART মহাকাশযানটি ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যানডেনবার্গ এয়ার ফোর্স বেস থেকে স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেটে করে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। গ্রহাণুকে দূরে রাখতে বা তার দিক পরিবর্তন করতে নাসা গত বছর ডার্ট মিশন চালু করেছে।

    ১৬০ মিটার আকৃতি বিশিষ্ট ‘ডিমরফস’ নামক একটি গ্রহাণুর সঙ্গেই এই বিস্ফোরণ ঘটানো হবে। ‘ডিমরফস’ হল একটি ছোট ‘মুনলেট’ যা ‘ডিডিমোস’ (Didymos) নামে একটি বড় গ্রহাণুকে প্রদক্ষিণ করে। এটি প্রায় ৭৮০ মিটার জুড়ে রয়েছে।

    কখন কীভাবে এই দৃশ্য দেখবেন?

    এই ঘটনার লাইভ দেখানো হবে নাসা টিভি নামক চ্যানেলে। ভারতীয় সময় অনুসারে ২৭ সেপ্টেবর মধ্যরাত ৩টা ৩০ মিনিটে দেখানো হবে। এর পাশাপাশি একই সময়ে নাসার ফেসবুক, ট্যুইটার, ইউটিউবে দেখানো হবে। নাসা অনুসারে, ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যে ৭টা ১৪ মিনিটে অর্থাৎ ভারতীয় সময়ে ভোর ৪ টা ৪৫ মিনিটে ডার্টের স্পেসক্রাফট ডিমরফস গ্রহাণুর সম্মুখীন হবে ও সংঘর্ষ ঘটাবে। প্রায় ২৪ হাজার কিলোমিটার বেগে এটি গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষ করবে।

  • Solar Wind: ভয়ঙ্কর বিপদের মুখে পৃথিবী! হঠাৎ আছড়ে পড়ল সৌর ঝড়

    Solar Wind: ভয়ঙ্কর বিপদের মুখে পৃথিবী! হঠাৎ আছড়ে পড়ল সৌর ঝড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবার ধেয়ে এসেছে সৌর ঝড় (Solar Wind)। চলতি মাসের ৭ অগাস্ট অর্থাৎ রবিবার সূর্যে সৃষ্টি সেই ঝড় পৃথিবীর দিকে ধেয়ে এসেছিল। প্রায়ই সৌর ঝড় পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে, এতে কোনও আশ্চর্যের বিষয় নেই, কিন্তু এবারের এই সৌর ঝড় উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। কারণ এই ঝড়টি একেবারে অপ্রত্যাশিত ছিল। এই ঝড়ের গতিবেগ প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার ছিল।

    সাধারণত বিজ্ঞানীরা অনুমান করেছেন যে, সৌর কলঙ্কের কারণেই সৌর ঝড় তৈরি হয়। আর এই সৌর ঝড়ের কারণেই পৃথিবীকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এর কারণে সমস্যা তৈরি হতে পারে উপগ্রহ যোগাযোগ ব্যবস্থায়। বিদ্যুৎ যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করেন, এর ফলে প্রযুক্তির সাহায্যে চলা অনেক কিছুই বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু এবারের সৌর ঝড়ে তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি পৃথিবীর।

    আরও পড়ুন: সরাসরি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে সৌর ঝড়! ফল কী হতে পারে? জানুন

    মনে করা হয় যে, যখন সূর্যের মাধ্যাকর্ষণের দ্বারা উচ্চ শক্তিযুক্ত কণা এবং প্লাজমার প্রবাহকে আটকে রাখা যায় না, তখন তা পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে ও সৌর ঝড় ঘটে। সূর্যের মধ্যে উজ্জ্বল প্যাচ দেখা যায়। এই প্যাচগুলো ‘করোনাল হোল’ নামে পরিচিত। করোনাল হোল হল সূর্যের বায়ুমণ্ডলের এমন একটি এলাকা যেখানে আমাদের নক্ষত্রের বিদ্যুতায়িত গ্যাস বা প্লাজমা শীতল বা কম ঘন। এই ধরনের গর্তগুলি ওই প্লাজমাকে বাইরের দিকে পাঠিয়ে দেয়। আর সেই প্যাচ বা গর্তগুলো থেকেই এই কণাগুলি বেরিয়ে এসে সৌর ঝড়ের সৃষ্টি করে। বিজ্ঞানীরা আবার এগুলো ভালো করে পর্যবেক্ষণ করেন। কারণ এইসব পর্যবেক্ষণের পরেই বিজ্ঞানীরা মহাকাশের আবহাওয়া সম্পর্কে জানতে পারেন। এছাড়াও কবে সৌর ঝড় পৃথিবীর বুকে আসতে চলেছে, কতটা শক্তিশালী হতে পারে সৌর ঝড়, এসব সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পেয়ে থাকেন বিজ্ঞানীরা।

    গত রবিবারের প্রথম দিকে, নাসার ডিপ স্পেস ক্লাইমেট অবজারভেটরি (DSCOVR) হালকা সৌর বাতাসের প্রবাহ লক্ষ্য করেছে। যদিও এই সৌর ঝড়ের আসল কারণ জানা যায়নি। এবারের সৌর ঝড় জি২ মাত্রায় আছড়ে পড়েছিল। প্রসঙ্গত, সৌর ঝড় বা ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়কে জি স্কেলে (G-Scale) পরিমাপ করা হয়। জি স্কেলের ১-৫ স্কেলে মাপ করা হয়, যার মধ্যে ১ নম্বর সবচেয়ে দুর্বল এবং ৫ নম্বর মাপের ঝড়ে ক্ষতির সবচেয়ে বেশি আশঙ্কা থাকে। পেনসিলভানিয়ায় অনেকে সৌর ঝড়ের ফলে সৃষ্টি হওয়া মেরুপ্রভা বা অরোরা দেখতেও পেয়েছিল।

  • Asteroid: পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিমানের চেয়ে তিনগুণ বড় গ্রহাণু! আছড়ে পড়বে কি? কী বলছেন নাসা-র বিজ্ঞানীরা

    Asteroid: পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিমানের চেয়ে তিনগুণ বড় গ্রহাণু! আছড়ে পড়বে কি? কী বলছেন নাসা-র বিজ্ঞানীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রহাণু (Asteroid) পৃথিবীর (Earth) দিকে এগিয়ে আসছে, এমন ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়। আর বিগত কয়েক মাসে প্রতিনিয়তই এই ঘটনাগুলো ঘটে চলেছে মহাকাশে। এবারও আবার একটি বিশালাকৃতির গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। ৯২ ফুট চওড়া গ্রহাণুটি অনেকটা বিমানের আকারের তিনগুণ বড়। এই গ্রহাণুটির নাম ‘২০২০ কিউডব্লিউ৩’ (2020 QW3)।

    অগাস্টের প্রায় কয়েকটি দিন মহাকাশ গবেষকরা চিন্তায় ছিলেন। কারণ বিগত কয়েকদিনে কমপক্ষে ৫টি গ্রহাণু অত্যন্ত কাছ দিয়ে পৃথিবীকে অতিক্রম করছে। এই গ্রহাণুগুলির মধ্যে অন্তত তিনটি বিশালাকার, যা মহাকাশ গবেষকদের মতে ‘উদ্বেগজনক’ ছিল। কারণ এগুলো পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা খেলেই অনেক বড় দুর্ঘটনা হতে পারত। তবে নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এবারের গ্রহাণুটি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসবে না, পাশ দিয়ে চলে যাবে। ফলে এতে পৃথিবীর কোনও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

    আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে গগণচুম্বী গ্রহাণু! আজই সবচেয়ে কাছে, কী হবে পৃথিবীর

    নাসার (NASA) মতে ‘২০২০ কিউডব্লিউ৩’ গ্রহাণুটি ২২ আগাস্ট, সকাল ৬টা ৪১ মিনিটে পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসবে ও পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে ঘেঁষে চলে যাবে। এর গতিবেগ প্রতি ঘন্টায় ৬৪৮০০ কিমি এবং ২২ অগাস্ট সকালের দিকে এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর কক্ষপথের ৩৩ লক্ষ কিলোমিটারের কাছাকাছি চলে আসবে। নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই গ্রহাণুটি আগের গ্রহাণুগুলো থেকে আলাদা। কারণ এটি অ্যাপোলো গ্রুপের গ্রহাণু নয়, এগুলো আমোর গ্রুপের। সুতরাং এই গ্রহাণুটি সূর্যের চারিদিকে প্রদক্ষিণ করে। নাসা তরফে জানানো হয়েছে, যদিও এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর জন্য বিপজ্জনক নয়,কারণ এটি পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। কিন্তু এটি পৃথিবীর খুব পাশ দিয়ে উড়ে যাবে, তাই যে কোনও মুহূর্তে যে কোনও বিপদ ঘটতে পারে।

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পৃথিবীকে গ্রহাণুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে নাসা এক মিশনের ওপর কাজ করছে। এই মিশনের নাম ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট (Double Asteroid Redirection Test – DART)। এতে নাসার পাঠানো মহাকাশযান গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটাবে। যাতে সেই গ্রহাণুর দিক পরিবর্তন হয়। এই মিশনের প্রধান লক্ষ্যই হল গ্রহাণুর দিক পরিবর্তন করানো। প্রায় ২৩ হাজার কিলোমিটার বেগে এটি গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষ করানো হবে। তবে নাসার এই মিশন সফল হয় কিনা সেটিই এখন দেখার।

  • Super-Earth: মহাকাশে আরও এক পৃথিবী! অবিকল পৃথিবীর মতই ‘সুপার-আর্থ’ খুঁজে পেলেন নাসার বিজ্ঞানীরা

    Super-Earth: মহাকাশে আরও এক পৃথিবী! অবিকল পৃথিবীর মতই ‘সুপার-আর্থ’ খুঁজে পেলেন নাসার বিজ্ঞানীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই মহাবিশ্বে আমরা কি একা? নাকি পৃথিবীর মত আরও গ্রহ আছে, যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে। পৃথিবী ছাড়া আর কোনও গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এভাবেই নাসা আরও এক পৃথিবীর (Exoplanet) সন্ধান দিল এই মহাবিশ্বে। এই পৃথিবীকে নাসার বিজ্ঞানীরা ‘সুপার-আর্থ’ (Super Earth) তকমা দিয়েছে। একইসঙ্গে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, নতুন আবিষ্কৃত এই পৃথিবী আমাদের পৃথিবীর ভরের চার গুণ। আর আমাদের পৃথিবী থেকে মাত্র ৩৭ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থান এই সুপার আর্থের।

    নাসা জানিয়েছে, নতুন যে পৃথিবী আবিষ্কার করেছে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা, তার নাম ‘রস ৫০৮বি’ (Ross 508b)। এই পৃথিবী এম টাইপ তারকার (M type Star) চারদিকে ঘুরছে। আর এই তারকাকে একবার পুরো ঘুরে আসতে সময় নেয় মাত্র ১০.৮ দিন। অর্থাৎ ১১ দিনের থেকেও কম। পৃথিবীর মতই এই গ্রহ এম টাইপ তারকাকে ঘিরে ঘুরে চলেছে। ফলে এই নতুন বিশ্বে ১১ দিনের কম সময়েই এক বছর হয়। সুপার আর্থ যে তারকাকে বা বামন গ্রহকে প্রদক্ষিণ করছে তা সূর্যের থেকে অনেক বেশি লাল, ঠান্ডা, ম্লান এবং আকারেও ছোট।

    ৫০৮বি নামের সুপার আর্থটি ৮.২ মিটারের সুবারু টেলিস্কোপে দ্বারা আবিষ্কার করা হয়েছে। এই টেলিস্কোপটি হাওয়াইয়ের মাউনা কেয়া অবজারভেটরিতে অবস্থিত। এই সুপার আর্থের সন্ধান পাওয়ার পরে নাসা থেকেও ট্যুইট করে জানানো হয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    নাসা থেকে আরও জানানো হয়েছে যে, এই সুপার আর্থটি বসবাসের যোগ্য হতে পারে। কারণ এটি তারকাটির habitable zone  বা বসবাসযোগ্য এলাকায় আছে। কিন্তু এটি প্রদক্ষিণ করার সময়ে কিছু সময়ের জন্য তার  বাসযোগ্য অঞ্চলের ভেতরে থাকে। আবার কিছু সময়ের জন্য তার বাইরে চলে যায়। গবেষণা অনুসারে এক্সোপ্ল্যানেট তার নক্ষত্রকে এমন দূরত্বে প্রদক্ষিণ করে যা গ্রহের পৃষ্ঠে জল গঠনের অনুকূল। অর্থাৎ এই গ্রহের পরিবেশ জল তৈরি ও ধরে রাখার পক্ষে অনুকূল, ঠিক যেমন আমাদের পৃথিবীর অবস্থান। আবার ৫০৮বি এক্সোপ্ল্যানেটে পৃথিবীর মতই পাথুরে ভূখন্ড রয়েছে, যা প্রাণের অস্তিস্ব থাকার সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। তবে, এখনও কিছুই প্রমাণ হয়নি, এই সুপার আর্থ আদেও বসবাসের যোগ্য কিনা। তাই এই নিয়ে বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে।

     

     

  • Asteroid : পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বুর্জ খালিফার চেয়ে দ্বিগুণ বড় গ্রহাণু! আছড়ে পড়বে কি?

    Asteroid : পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বুর্জ খালিফার চেয়ে দ্বিগুণ বড় গ্রহাণু! আছড়ে পড়বে কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বুর্জ খালিফার (Burj Khalifa) চেয়েও দ্বিগুণ বড় একটি গ্রহাণু! হ্যাঁ আপনি ঠিকই পড়ছেন। প্রায় ১.৮ কিমি চওড়া এই মহাজাগতিক বস্তুটি ‘গ্রহাণু ৭৩৩৫’ (Asteroid 7335) বা ‘১৯৮৯ জেএ’ (1989 JA) নামে পরিচিত। গ্রহাণুকে “সম্ভাব্য বিপজ্জনক বস্তু” হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা (NASA)। 

    ইতিমধ্যেই একটি ভার্চুয়াল টেলিস্কোপের মাধ্যমে এই গ্রহাণুটির একটি ছবি প্রকাশ করা হয়, যেখানে দেখা যাচ্ছে গ্রহাণুটি মহাকাশে কি পরিস্থিতিতে রয়েছে। বিজ্ঞানীদের অনুমান, এই গ্রহাণুটি ঘণ্টায় প্রায় ৭৬ হাজার কিলোমিটার গতিবেগে চলছে। রাশিয়ার সায়েন্স অ্যাকাডেমির কেলডিশ ইনস্টিটিউট (The Keldysh Institute of Applied Mathematics of Russia’s Academy of Sciences) গ্রহাণুটির গতিবেগ সম্পর্কে জানিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ডাইনোসর যুগের অবসান ঘটানো গ্রহাণু পৃথিবীর বুকে কোথায় আছড়ে পড়েছিল? জানালেন বিজ্ঞানীরা

    এই গ্রহাণুটি ১৯৮৯ সালে এলিয়ানর হেলিন (Eleanor Helin) নামে এক জ্যোতির্বিজ্ঞানী ক্যালিফোর্নিয়ায় আবিষ্কার করেন। আগামী ২৭ মে তেই পৃথিবীর পাশ দিয়ে উড়ে যাবে ‘১৯৮৯ জেএ’। বিজ্ঞানীদের মতে, ২০২২ সালে পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসা বৃহত্তম গ্রহাণু হতে চলেছে ‘গ্রহাণু ৭৩৩৫’। এরপর ২০৫৫ সালের ২৩ জুনের আগে পৃথিবীর কাছাকাছি আসবে না এই গ্রহাণুটি।

    [tw]


    [/tw]

    নাসা জানিয়েছে, এই গ্রহাণুটি “অ্যাপোলো” শ্রেণিভুক্ত । অ্যাপোলো শ্রেণির গ্রহাণুগুলি সাধারণত পৃথিবীর পাশ দিয়ে কোনও ক্ষতি না করেই উড়ে যায়। এটি শ্রেণির গ্রহাণুগুলি মূলত মহাজাগতিক দেহ যা সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে এবং পর্যায়ক্রমে পৃথিবীর কক্ষপথ অতিক্রম করে। 

    আরও পড়ুন: চাঁদের উল্টোপিঠ কেন আলাদা? এতদিনে রহস্যের উদঘাটন বিজ্ঞানীদের

    অ্যাপোলো গ্রহাণুগুলি (Apollo Asteroids) পৃথিবীর পাশ দিয়ে উড়ে যায় এবং পৃথিবীর থেকেও এদের বড় কক্ষপথ থাকে। এই গ্রহাণুটির বিশাল আকারের জন্য পৃথিবীর ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের। একটি ট্যুইটে ভার্চুয়াল টেলিস্কোপ (Virtual Telescope) বলেছে, “অনেক রহস্য রয়েছে মহাবিশ্ব সেগুলিকে প্রকাশ করতে প্রস্তুত, যেমনটি আগে কখনও হয়নি। আগামী ২৭ মে একটি সম্পূর্ণ নতুন অভিজ্ঞতা হতে চলেছে।”

     

  • Water in Moon: চাঁদে জলের উৎস পৃথিবী, গবেষণায় প্রকাশ পেল নয়া তথ্য

    Water in Moon: চাঁদে জলের উৎস পৃথিবী, গবেষণায় প্রকাশ পেল নয়া তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটা সময় পর্যন্ত মনে করা হত চাঁদে (Moon)জল নেই, চাঁদ শুষ্ক উপগ্রহ। কিন্তু ২০০৮ সালে অ্যাপোলো ১৫ আর ১৭-র চন্দ্রাভিযানের পর সেই ধারণা বদলায়। জানা যায় চাঁদে জল আছে। তবে ভারতের চন্দ্রযান (Chandrayaan)অভিযানের পর ধারণাটা আরও খানিকটা বদলায়।  বিজ্ঞানীরা দেখেন, চাঁদের যে অংশে জলের উপস্থিতি অনুমান করা হয়েছিল সেখানে ছাড়াও জল আছে অন্য জায়গাতেও। এবার নয়া গবেষণার ফেল জানা গেল চাঁদে যে জলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল তার বেশিরভাগেরই উৎস পৃথিবী। 

    এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করছে আলাস্কা ফেয়ারব্যাঙ্কস জিওফিজিক্যাল ইনস্টিটিউট  (Alaska Fairbanks Geophysical Institute)। তাদের তরফে জানানো হয়েছে,পৃথিবীর সর্বোচ্চ স্তর থেকে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন আয়ন বের হচ্ছে। সেখান থেকেই চাঁদে জল আসছে। এবিষয়ে একটি রিপোর্ট ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছেন ওই সংস্থার গবেষকেরা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, চাঁদ পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরছে এবং সেক্ষেত্রে পৃথিবীর সঙ্গে একটি চুম্বকীয় আকর্ষণ রয়েছে চাঁদের। সেখানেই রয়েছে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনের স্তর। যার মাধ্যমে চাঁদে জলের সন্ধান পাওয়া গেছে। 

    সম্প্রতি রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী,চাঁদের এক মেরু অঞ্চলে ৩৫০০ কিউবিক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে জলের সন্ধান পাওয়া গেছে। যা সম্পূর্ণভাবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল থেকে তৈরি হয়েছে। এই বিষয়ে বিজ্ঞানীদের যুক্তি,হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন আয়নগুলি যখন চৌম্বকীয় তরঙ্গের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তখন তা জলকনা সৃষ্টি করছে। এবং সেখান থেকেই চাঁদে জলস্তর তৈরি হয়েছে।

    চাঁদে জলের সন্ধান করার জন্য চলতি দশকেই একাধিক মহাকাশচারীদের মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে নাসা (NASA)। চাঁদে সত্যিই জল রয়েছে কিনা এবং তার উৎস সন্ধানই এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য। এছড়াও আরও কিছু বিষয় নিয়ে খোঁজখবর করবে ওই মহাকাশচারীরা। 

  • Venus, Mars, Jupiter, Saturn: প্রায় হাজার বছর পর, এক সরলরেখায় শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং শনি

    Venus, Mars, Jupiter, Saturn: প্রায় হাজার বছর পর, এক সরলরেখায় শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং শনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক : আনুমানিক এক হাজার বছর পর আবার চারটি গ্রহ একসঙ্গে , একই লাইনে রয়েছে। মঙ্গল ও বুধবার ২৬ ও ২৭ এপ্রিল সূর্যোদয়ের আগে, শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং শনি-সহ চারটি গ্রহ পূর্ব দিগন্ত থেকে ৩০ ডিগ্রির মধ্যে সরল রেখায় দৃশ্যমান ছিল। আগামী ৩০ এপ্রিল তথা শনিবার আবার এই ঘটনা ঘটবে। গ্রহগুলি পৃথিবীর কাছে থাকায় আকাশ পরিষ্কার থাকলে খালি চোখেই দেখা যাবে এই মহাজাগতিক দৃশ্য।
    সূর্যোদয়ের ঠিক আগে শনিবার দিগন্ত রেখা বরাবর  আকাশে চোখ রাখলে শুক্র এবং বৃহস্পতি গ্রহকে একসঙ্গে খুব কাছাকাছি দেখা যাবে। শুক্র বৃহস্পতির ০.২ ডিগ্রি দক্ষিণে থাকবে। এর আগে ২৬ এবং ২৭ এপ্রিল দূরবীন বা টেলিস্কোপ ছাড়াই বৃহস্পতি, শুক্র, মঙ্গল এবং  শনিকে এক লাইনে দেখতে পাওয়া গিয়েছে। ভুবনেশ্বরের পাঠানি সামন্ত প্ল্যানেটোরিয়ামের ডেপুটি ডিরেক্টর শুভেন্দু পট্টনায়েক বলেন, এই ধরনের ঘটনা প্রায় ১,০০০ পর ঘটল। বেশ বিরল। এর আগে ৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে শেষবার এমন হয়েছিল। এই ধরণের ঘটনা ‘প্ল্যানেট প্যারেড’ নামে পরিচিত। সৌরজগতের গ্রহগুলি আকাশের একই অঞ্চলে এক সরলরেক্ষায় সারিবদ্ধ হলে এমনটা বলা হয়। 
    জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতি নীচে বামদিকে সবার প্রথমে থাকবে। এর পরে শুক্র, তারপর মঙ্গল এবং তারপর শনি থাকবে। এই সময়ে, বৃহস্পতিকে দেখা সবচেয়ে কঠিন হতে পারে কারণ এটি দিগন্ত রেখার ঠিক উপরে থাকবে এবং সেখানে সাধারণত গ্রহের আলো কমে যায়। 
    শুভেন্দু পট্টনায়েক বলেন, “সাধারণত তিন ধরনের প্ল্যানেট প্যারেড হয় ৷ সূর্যের একপাশে একাধিক গ্রহ সাধারণত তিনটি গ্রহ একটি রেখাতেই থাকে ৷ এই মহাজাগতিক সমাবেশ প্রায়শই হয়ে থাকে ৷ বছরের অনেক দিন এমনটা দেখা যায় ৷” তিনি জানান, চারটি গ্রহের একই লাইনে থাকাটা হয় বছরে একবার ৷ পাঁচটি গ্রহের ক্ষেত্রে এই ঘটনা ঘটে প্রতি ১৯ বছরে একবার ৷ আটটি গ্রহ একটি সারিতে অবস্থান করার বিরল ঘটনা ১৭০ বছরে একবার হয়ে থাকে ৷ এ বিষয়ে পট্টনায়ক বলেন, “দ্বিতীয়ত প্ল্যানেট প্যারেড, একই সময়ে আকাশের একটি ছোট্ট অংশে একাধিক গ্রহ জমায়েত করে ৷ পৃথিবী থেকে তাদের দেখা যাক বা না যাক, আমরা একেও প্ল্যানেট প্যারেড বলি ৷ এরকমটা শেষবার হয়েছিল ২০০২ সালের ১৮ এপ্রিল এবং ২০২০ সালের জুলাইতে ৷ সেবার সৌরজগতের সবক’টি গ্রহ একটি সারিতে অবস্থান করছিল ৷ সন্ধ্যার আকাশে খালি চোখেই তা দেখা গিয়েছিল ৷”
    তৃতীয় প্ল্যানেট প্যারেড প্রসঙ্গে পট্টনায়ক বলেন, “এক্ষেত্রে চারটি গ্রহ খুব কাছাকাছি একই জায়গায়, এক রেখায় থাকে। এর ফলে গ্রহগুলি উজ্জ্বল দেখায়। ২০২২-র এপ্রিলে শুক্র,মঙ্গল,বৃহস্পতি এবং শনির এক সারিতে অবস্থানটি তৃতীয় ধরনের প্ল্যানেট প্যারেড ৷ এরকমটা হয়েছিল ৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে, প্রায় এক হাজার বছর আগে ৷”

     

  • Asteroids: ফের পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে পরপর পাঁচটি গ্রহাণু, জানুন কবে আসবে…

    Asteroids: ফের পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে পরপর পাঁচটি গ্রহাণু, জানুন কবে আসবে…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি-দুটি নয়, পাঁচটি গ্রহাণু (Asteroid) পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসতে থাকে। আজ থেকেই শুরু হয়েছে গ্রহাণুর আসা। তবে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই গ্রহাণুগুলো পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসবে ঠিকই কিন্তু পৃথিবীর পাশ দিয়ে চলে যাবে। অর্থাৎ পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার কোবও সম্ভাবনা নেই। ফলে এতে কোনও চিন্তার বিষয়ও নেই। সম্প্রতি অনেক গ্রহাণুই পৃথিবার পাশ কেটে চলে গিয়েছে এবং এতে পৃথিবীর ওপর কোনও প্রভাবও পড়েনি। কোন গ্রহাণু কেন দিন পৃথিবীর দিকে আসতে চলেছে, জেনে নিন।

    এনইও ২০২২ কিউপি৪ গ্রহাণু(NEO 2022 QP4)

    আজ এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। এটি প্রায় পৃথিবীর কক্ষপথের ১কোটি ৩৯ লক্ষ ৬৬ হাজার ২২ কিলোমিটারের মধ্যে চলে আসবে ও পাশ কেটে উড়ে যাবে। এনইও ২০২২ কিউপি৪ গ্রহাণুটি প্রায় ৪০ ফুট চওড়া, প্রায় একটি বাসের আকারে সমান। এর গতিবেগ প্রতি ঘন্টায় ২৫০০০কিলোমিটার। এটি পৃথিবীর পাশ দিয়ে যাওয়ার পর পরবর্তীতে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরেই মঙ্গল গ্রহের দিকে যাবে।

    এনইও ২০২২ কিউকিউ৪ (NEO 2022 QQ4)

    এই গ্রহাণুটি আগামীকাল পৃথিবীর পাশ দিয়ে উড়ে যাবে ও এর আকার আগের গ্রহাণুটির তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। ১১০ ফুট চওড়া গ্রহাণুটির গতিবেগ প্রতি সেকেন্ডে ৭ কিমি। নাসার মতে এই গ্রহাণুটি পুনরায় ২১৩১ সালের ১৬ অগাস্ট পৃথিবীর দিকেই ফিরে আসবে।

    আরও পড়ুন: পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিমানের চেয়ে তিনগুণ বড় গ্রহাণু! আছড়ে পড়বে কি? কী বলছেন নাসা-র বিজ্ঞানীরা

    এনইও ২০২২ কিউপি৩ (NEO 2022 QP3)

    এই গ্রহাণুটি রবিবার অর্থাৎ ২৮ অগাস্ট পৃথিবীর কক্ষপথের ৫৫ লক্ষ কিলোমিটারের মধ্যে দিয়ে চলে যাবে। তবে এর আকার আগের গ্রহাণুর আকারের সমান। কিন্তু এই গ্রহাণুর গতিবেগ আগের গ্রহাণুর থেকে একটু বেশি। এর গতিবেগ প্রায় প্রতি ঘন্টায় ২৯০০০ কিলোমিটার। এই গ্রহাণুটি আবার ২০২৫ সালের ১৬ অগাস্ট পৃথিবীর দিকে ফের চলে আসবে।

    ২০২২ কিউএক্স৪ ও ২০১৭ বিইউ(2022 QX4 and 2017 BU)

    এই দুটি গ্রহাণুই সোমবার পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসতে চলেছে। ১৪০ ফুটের সমান ২০২২ কিউএক্স৪ গ্রহাণুটি পৃথিবীর কক্ষপথের ১৮ লক্ষ কিমির মধ্যে দিয়ে চলে যাবে। এর গতিবেগও প্রতি ঘন্টায় ২৯০০০ কিমি। এটি আবার ২০২৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর পৃথিবীর দিকে ফিরে আসবে।

    ১০০ ফুট চওড়া ২০১৭ বিইউ গ্রহাণুটি ৬৫ লক্ষ কিলোমিটারের মধ্যে দিয়ে পৃথিবীর পাশ কেটে চলে যাবে। এর গতিবেগ প্রতি ঘন্টায় ২৫কিলোমিটার। এটি আবার ২০৫১ সালের ৫ ফেব্রুয়ারী পৃথিবীর দিকে ফিরে আসবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • NASA Largest Comet: মহাকাশের বৃহত্তম ধূমকেতুর হদিশ দিল নাসা, এগোচ্ছে পৃথিবীর দিকে?

    NASA Largest Comet: মহাকাশের বৃহত্তম ধূমকেতুর হদিশ দিল নাসা, এগোচ্ছে পৃথিবীর দিকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশের বৃহত্তম ধূমকেতুর (Comet) সন্ধান দিল নাসার (NASA) হাবল টেলিস্কোপ (Hubble telescope)।  এতদিন পর্যন্ত আবিষ্কার হওয়া ধূমকেতুগুলির মধ্যে এর দৈর্ঘ্য সর্বাধিক। যা শুনলে চমকে উঠবে যে কেউ। 

    এই ধূমকেতুর দৈর্ঘ্য সম্পর্কে এতদিন যা ধারণা ছিল,তা ভেঙে গিয়েছে। নাসার তরফে জানানো হয়েছে, মহাকাশের বৃহত্তম ধূমকেতুর মূল অংশটির ব্যাস প্রায় ১৩০ কিলোমিটার। এর নাম C/2014 UN271। সাধারণ ধূমকেতুর যে দৈর্ঘ্য, তার থেকে এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৫০ গুণ বেশি! আমেরিকার দ্বীপ রোদে আইল্যান্ডের থেকেও বড় এটি। প্রায় ৩৫ হাজার কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে সেটিকে ছুটে আসতে দেখা গিয়েছে সৌরজগতের সীমানার দিকে।
    কেবল দৈর্ঘ্য় নয়, ধূমকেতুটির ভরও চমকে দেওয়ার মতো। এর ভর প্রায় ৫০০ লক্ষ কোটি টন। এটিও এতদিন আবিষ্কৃত ধূমকেতুদের থেকে বহু গুণ বেশি। স্বাভাবিক ভাবেই এমন অতিকায় ধূমকেতুকে দেখে বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। ২০০২ সালে দেখা গিয়েছিল C/2002 VQ94 নামের এক ধূমকেতু। সেটিই ছিল এতদিন পর্যন্ত চেনা ধূমকেতুদের মধ্যে সবথেকে দীর্ঘ। কিন্তু এবার সেই রেকর্ডও ভেঙে গেল। 

    এই ধূমকেতুটিকে প্রথমবার দেখা গিয়েছিল ২০১০ সালে। সেই সময় সূর্যের থেকে এর দূরত্ব ছিল ৩০০ কোটি মাইল। তবে সেবার কেবল একে দেখা গেলেও এর অস্তিত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত খবর পাওয়া গেল প্রথম বার। আশ্চর্য এই ধূমকেতুকে নিয়ে মহাকাশপ্রেমীদের কৌতূহলের শেষ নেই। 

    নাসা জানাচ্ছে, ২০৩১ সালে সেটি পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসবে। তাহলে কি ওই অতিকায় ধূমকেতুর সঙ্গে সংঘর্ষ হতে চলেছে আমাদের পৃথিবীর। এবিষয়ে অবশ্য আশ্বস্ত করছে নাসা। জানা গিয়েছে, আমাদের নীল গ্রহের কাছে এলেও ধূমকেতুটি তার থেকে অনেক দূর দিয়েই চলে যাবে। তাই কোনও বিপদের আশঙ্কা নেই। তবে রাতের আকাশের দিকে চোখ রেখে যে চমকে উঠবেন মহাকাশপ্রেমীরা, তাতে সন্দেহ নেই।

     

LinkedIn
Share