Tag: Earthquake

Earthquake

  • Afghanistan Earthquake: ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়ে কাতরালেও, উদ্ধার করেনি কেউ, করুণ ছবি আফগান মহিলাদের

    Afghanistan Earthquake: ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়ে কাতরালেও, উদ্ধার করেনি কেউ, করুণ ছবি আফগান মহিলাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানে (Afghanistan Earthquake) লিঙ্গ বৈষম্যের বিষময় ফল প্রত্যক্ষ করল তামাম বিশ্ব। নারীদের স্পর্শ করা যাবে না (Taliban Gender Laws)। তালিবান সরকারের এই ফতোয়ার কারণে ভূমিকম্পের পরে দুর্বিষহ ছবি এল প্রকাশ্যে। ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকা পড়ে কাতরালেও, উদ্ধার করা হচ্ছে না কোনও মহিলাকে, উদ্ধার করা হচ্ছে কেবল পুরুষ ও শিশুদের। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি রিপোর্টে হতবাক গোটা দুনিয়া।

    ভূমিকম্পে ধ্বস্ত আফগানিস্তান (Afghanistan Earthquake)

    সম্প্রতি ভূমিকম্পের জেরে কেঁপে ওঠে আফগানিস্তান। মৃতের সংখ্যা তিন হাজার। ধ্বংসস্তূপের নীচেও চাপা পড়ে রয়েছেন বহু মানুষ। ধর্মীয় ফতোয়ার জেরে উদ্ধার করা যাচ্ছে না মহিলাদের। তালিবানি নিয়ম অনুযায়ী, একই পরিবারের সদস্য না হলে কোনও মহিলা এবং পুরুষের মধ্যে শারীরিক সংযোগ ঘটতে পারে না। তাঁরা একে অপরকে স্পর্শ করতেই পারেন না। নারী-পুরুষের শারীরিক সংস্পর্শ কেবলমাত্র স্বীকৃত পারিবারিক যোগের ক্ষেত্রেই। তালিবান সরকারের ফতোয়া, জরুরি পরিস্থিতিতেও এই নিয়মের ব্যতয় হবে না। তাই ভূমিকম্পে ধ্বস্ত আফগানিস্তানে চাইলেও, মহিলাদের উদ্ধার করতে পারছে না পুরুষদের নিয়ে গঠিত উদ্ধারকারী দল। কেবল পুরুষ ও শিশুদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে। খিদে-তৃষ্ণা-যন্ত্রণায় ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে উদ্ধারের আশায় কাতরেই চলেছেন মহিলারা।

    উদ্ধারকারী দলের সদস্যের বক্তব্য

    উদ্ধারকারী দলের সদস্য তাহজিবুল্লা মুহাজেব সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, “আমাদের মেডিক্যাল টিমের সব সদস্যই পুরুষ। সরকারি ফতোয়ার কারণে ভেঙে পড়া বাড়ির নীচে আটকে পড়া মহিলাদের টেনে বের করার সাহস পাননি তাঁরা। ফলে জখম মহিলা বা কিশোরীরা পাথরের নীচে আটকে ছিলেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। অন্য গ্রাম থেকে মেয়েরা কখন উদ্ধার করতে আসবেন, তার জন্য অপেক্ষা করতে হয় তাঁদের।” তিনি বলেন, “আমাদের মনে হচ্ছিল, মহিলারা যেন অদৃশ্য। পুরুষ ও শিশুদের চিকিৎসা করা হচ্ছিল। কিন্তু মহিলারা জখম অবস্থায় পাশে বসেছিলেন, অপেক্ষা করছিলেন।”

    কুনার প্রদেশের (Afghanistan Earthquake) আন্দারলুকাক গ্রামের বাসিন্দা বছর উনিশের আয়েশা বলেন, “উদ্ধারকারী দলে কোনও মহিলা ছিলেন না। ওরা এল। আমাদের মধ্যে অনেকেই রক্তাক্ত, আহত। তা (Taliban Gender Laws) সত্ত্বেও কোনও মহিলাকে কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি। আমাদের কী প্রয়োজন, তাও কেউ জিজ্ঞেস করেনি পর্যন্ত (Afghanistan Earthquake)।”

  • Afghanistan Earthquake: আফগানিস্তানের বিপর্যয়ে পাশে ভারত, প্রতিবেশী হোক বা গ্লোবাল সাউথ, সবার বিপদে সর্বদা সহায়তায় দিল্লি

    Afghanistan Earthquake: আফগানিস্তানের বিপর্যয়ে পাশে ভারত, প্রতিবেশী হোক বা গ্লোবাল সাউথ, সবার বিপদে সর্বদা সহায়তায় দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানের বিপর্যয়ে পাশে দাঁড়াল ভারত। ভয়াবহ ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে যাওয়া আফগানিস্তানে ত্রাণ পাঠালো দিল্লি। তবে, এই প্রথম নয়। বিপদে পড়লে বিশ্বের যে কোনও দেশের পাশে ভারত সর্বদা থাকে। মানবিক সাহায্য নিয়ে ভারত প্রত্যেকবার এগিয়ে যায়। কোভিড অতিমারি হোক বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, প্রতিবেশী দেশ থেকে গ্লোবাল সাউথের প্রতিটি দেশের সঙ্কটেই এগিয়ে এসেছে ভারত।

    আফগানিস্তানের পাশে ভারত

    বিধ্বস্ত দেশ। তাসের ঘরের মতো ধুলোয় মিশেছে ঘরবাড়ি। আফগানিস্তানের পূর্ব প্রদেশ যেন ধ্বংস্তূপ। দিকে দিকে পড়ে দেহ। এতটাই বিপর্যস্ত এলাকা, ত্রাণ পৌঁছনোও কঠিন হয়ে পড়েছে। আরও কত মৃতদেহ বের হবে কে জানে! সোমবারের হিসেবই বলছে ৮০০-র বেশি মানুষের প্রাণ গিয়েছে। আরও বহু দেহ চাপা পড়ে থাকার আশঙ্কা করছে প্রশাসন। আহতের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। সারা বিশ্বের কাছে মানবিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে তালেবান সরকার। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আফগানিস্তানে প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং পূর্ণ মানবিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। আফগান সরকারের সঙ্গে কথা বলেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ভূমিকম্পের ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে ত্রাণ পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ভারত মঙ্গলবারই কাবুলে ১,০০০টি পরিবারকে তাঁবু পাঠিয়েছে। সেই সঙ্গে পাঠানো হচ্ছে ১৫ টন খাদ্য সামগ্রী। সোমবার রাতে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, আফগানিস্তানে ত্রাণ পাঠানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, চালের বস্তা, তাঁবু এবং অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী বোঝাই ট্রাক কাবুলে পৌঁছে গিয়েছে।

    ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত আফগানিস্তান

    রবিবার গভীর রাতে (ভারতীয় সময় অনুযায়ী রাত পৌনে ১টা) প্রথম কেঁপে ওঠে আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বে কুনার প্রদেশ। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তথ্য অনুযায়ী রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৩। কম্পনের উৎসস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে আট কিলোমিটার গভীরে। এর পরেও বেশ কয়েক বার ভূকম্প পরবর্তী কম্পন (আফটারশক) অনুভূত হয়েছে আফগানিস্তানে। তার মধ্যে অন্তত দু’টি কম্পনের মাত্রা ছিল ৫-এর বেশি। এই ভূমিকম্পের রেশ তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, পাকিস্তান এবং ভারত পর্যন্ত অনুভূত হয়েছে। কম্পনের তীব্রতা এতই বেশি ছিল যে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর এবং দিল্লির আশপাশের এলাকাতেও কম্পন অনুভূত হয়।

    কবে কোথায়, কোন কোন দেশের সাহায্যে ভারত

    গত পাঁচ বছরে ভারত বিশ্বের ১৫০টিরও বেশি দেশে মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে। এর অংশ হিসেবে বিভিন্ন দেশে মেডিকেল কন্টিনজেন্ট ও র‍্যাপিড রেসপন্স টিম পাঠানো হয়েছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে “ভ্যাকসিন মৈত্রী” (Vaccine Maitri) উদ্যোগের অধীনে ভারত ৯৯টি দেশ এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘের দুটি সংস্থার কাছে ৩০.১২ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে। অতিমারির সময় এ সহায়তা উদ্যোগ বৈশ্বিক পর্যায়ে ভারতের দায়িত্বশীল ভূমিকাকে তুলে ধরেছে।

    ২০২১ সালের জুলাই মাসে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক ‘র‍্যাপিড রেসপন্স সেল’ (Rapid Response Cell) গঠন করে, যা জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (NDMA), জাতীয় দুর্যোগ প্রতিকার বাহিনী (NDRF), সশস্ত্র বাহিনী, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ে কাজ করে। কোভিড-১৯-এর সময় শুরু হওয়া এই সেল এখন নানা ধরনের মানবিক ও দুর্যোগ সহায়তায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে। কোয়াড (QUAD)-এর মতো প্ল্যাটফর্মেও ভারত দুর্যোগ মোকাবিলায় (Humanitarian Assistance and Disaster Relief) অংশ নিয়েছে।

    ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের পরে ভারত “অপারেশন দোস্ত” (Operation Dost) চালু করে, যার আওতায় উদ্ধারকর্মী ও চিকিৎসা সহায়তা পাঠানো হয়। মায়ানমারে সাইক্লোন মোখার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় ভারত “অপারেশন করুণা” (Operation Karuna) শুরু করে। একইভাবে হন্ডুরাসে ট্রপিক্যাল স্টর্ম ‘সারা’-র প্রভাবে বিপর্যস্ত জনগণের জন্য ভারত ২৬ টন মানবিক সহায়তা পাঠায়। এছাড়াও, ভ্যাকসিন মৈত্রী উদ্যোগের শুরুতেই ভারত তার প্রতিবেশী দেশ ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ, সেশেলস, মরিশাস ও বাংলাদেশে টিকা সরবরাহ শুরু করে।

     

     

  • Earthquake: ভয়াবহ ভূমিকম্প আফগানিস্তানে, মৃত অন্তত ২৫০! কাঁপল দিল্লি, কাশ্মীরও

    Earthquake: ভয়াবহ ভূমিকম্প আফগানিস্তানে, মৃত অন্তত ২৫০! কাঁপল দিল্লি, কাশ্মীরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার মধ্যরাতে আফগানিস্তানে (Afghanistan) একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে (Earthquake) অন্তত ২৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন বহু মানুষ। আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের তরফ থেকে এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, নিহত এবং আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আফগানিস্তানের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রকের মুখপাত্র সারাফাত জামান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভূমিকম্পটি সবচেয়ে বেশি আঘাত হেনেছে প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চলে। সেই কারণে আরও বিস্তারিত তথ্য পেতে কিছুটা সময় লাগবে। তিনি আরও জানান, যত দ্রুত সম্ভব উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। আফগানিস্তানের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর যেমন উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে, তেমনি স্থানীয় নাগরিকরাও এতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।আফগানিস্তানের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬.৩। তবে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের দাবি, কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬ মাত্রার। দিল্লিতেও অনুভূত হয় আঁচ। অনেকে আতঙ্কে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন।

    আফটারশক বা পরবর্তী কম্পনে বারবার কেঁপে ওঠে

    ভূমিকম্পের (Earthquake) পর আফটারশক বা পরবর্তী কম্পনে বারবার কেঁপে ওঠে আফগানিস্তান। যার মধ্যে অন্তত দু’টি কম্পনের মাত্রা ছিল ৫ রিখটার স্কেলের কাছাকাছি। মূল কম্পনের মাত্র ২০ মিনিট পরেই প্রথম আফটারশকটি অনুভূত হয়, যার মাত্রা ছিল ৪.৫ এবং উৎসস্থল ছিল ভূমি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। এরপর রাত ১টা ৫৯ মিনিটে ৪.৩ মাত্রার, ভোর ৩টা ৩ মিনিটে এবং ৫টা ১৬ মিনিটে দুটি ৫ মাত্রার কম্পন হয়, যেগুলোর গভীরতা ছিল ১০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত।

    কেন্দ্রস্থল আফগানিস্তানের জালালাবাদের কাছে নানগরহর প্রদেশে

    ভূমিকম্পের (Earthquake) কেন্দ্রস্থল আফগানিস্তানের জালালাবাদের কাছে নানগরহর প্রদেশে, ভূমি থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার গভীরে। স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে কম্পন শুরু হয়। ভারতের সময় অনুযায়ী রাত পৌনে ১টা। নানগরহর প্রদেশের জনস্বাস্থ্য দফতরের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে এবং অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন, যাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

    আঁচ অনুভূত দিল্লিতেও (Earthquake)

    এই ভূকম্পনের প্রভাব শুধু আফগানিস্তানেই নয়, ছড়িয়ে পড়ে প্রতিবেশী পাকিস্তান এবং ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর ও রাজধানী দিল্লিতেও। ভূমিকম্পের সময় দিল্লি ও আশপাশের এলাকায় বহু মানুষ আতঙ্কে ঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন। সমাজমাধ্যমে অনেকে রাতের সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন। উল্লেখ্য, আফগানিস্তানের (Afghanistan) নানগরহর প্রদেশটি পাকিস্তান সীমান্তঘেঁষা অঞ্চল এবং রাজধানী কাবুল থেকে এর দূরত্ব প্রায় ২০২ কিলোমিটার।

    ভূকম্পন প্রবণ দেশ আফগানিস্তান

    রেড ক্রসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ পর্বত অঞ্চল ভূতাত্ত্বিকভাবে অত্যন্ত সক্রিয়। এই অঞ্চলে প্রতি বছর একাধিক ভূমিকম্প ঘটে। এর প্রধান কারণ হল, অঞ্চলটি ভারতীয় ও ইউরেশীয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত। এছাড়াও, আফগানিস্তানের হেরাত শহরের নিচ দিয়ে একটি বড় ফল্ট লাইন অতিক্রম করেছে, যা ভূমিকম্পের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়। মাত্র এক মাস আগেই, অর্থাৎ অগাস্ট মাসে, আফগানিস্তানে একাধিক ভূমিকম্প হয়েছিল। ২ অগাস্ট রিখটার স্কেলে ৫.৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়, এরপর ৬ অগাস্ট আরও একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়, যার মাত্রা ছিল ৪.২।

    ২০২২ সালের ভূমিকম্প

    শুধু ২০২৫ সালেই নয়, মাত্র তিন বছর আগে, ২০২২ সালে পূর্ব আফগানিস্তানে একটি ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল। তখন রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫.৯। এতে প্রায় এক হাজার মানুষ নিহত হন এবং হাজার হাজার মানুষ আহত হন।

    ২০২৩ সালের ভূমিকম্প

    এরপর ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর আরও একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প (মাপ ৬.৩) আফগানিস্তানকে কাঁপিয়ে দেয়। ওই ভূমিকম্পে দেশের একটি বড় অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। বহু বাড়িঘর ধসে পড়ে। তালিবান সরকারের পক্ষ থেকে তখন জানানো হয়েছিল যে মৃতের সংখ্যা ৪,০০০ ছাড়িয়েছে। যদিও পরে রাষ্ট্রসংঘ তথ্য প্রকাশ করে জানায়, ওই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা দেড় হাজারের কিছু বেশি ছিল।

    ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে হয় ভয়াবহ ভূমিকম্প

    ঠিক পাঁচ মাস আগে, অর্থাৎ ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে — আফগানিস্তানে তীব্র ভূমিকম্প হয়। সেই ভূমিকম্পের প্রভাব ভারতেও অনুভূত হয়, বিশেষ করে রাজধানী দিল্লি ও তার আশপাশের এলাকায়। রয়টার্সের প্রতিবেদনের অনুযায়ী, ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫.৬। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল আফগানিস্তানের বাগলান থেকে ১৬৪ কিলোমিটার পূর্বে। ঠিক পাঁচ মাসের মাথায়, ফের এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল আফগানিস্তান। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যদি ভূমিকম্প ভূ-পৃষ্ঠের কাছাকাছি গভীরতায় ঘটে, তবে তা আরও বেশি বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। কারণ, কম্পনের অভিঘাত খুব দ্রুত ভূপৃষ্ঠে পৌঁছে যায়, যার ফলে ঘরবাড়ি, অবকাঠামো ও নির্মাণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। স্বাভাবিকভাবেই, প্রাণহানির ঝুঁকিও অনেক গুণ বেড়ে যায়।

  • Earthquake in Russia: কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৮.৮, তীব্র ভূমিকম্পের পর রাশিয়ার উপকূলে আছড়ে পড়ল সুনামি

    Earthquake in Russia: কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৮.৮, তীব্র ভূমিকম্পের পর রাশিয়ার উপকূলে আছড়ে পড়ল সুনামি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূমিকম্পের পর সুনামি, বিধ্বস্ত রাশিয়া! বুধবার রাশিয়ার পূর্বে কামচাটকা উপদ্বীপ কেঁপে ওঠে শক্তিশালী ভূমিকম্পে (Earthquake in Russia)। কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৮.৮। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের ফলে আছড়ে পড়েছে সুনামিও। প্রায় চার মিটার উঁচু ঢেউয়ে ভেসে গিয়েছে এলাকা। রাশিয়ায় তীব্র ভূমিকম্পের পরই সুনামি সতর্কতা জারি করেছিল জাপান ও আমেরিকা। সেই অনুযায়ী ভূমিকম্পের পর রাশিয়ার সেভেরো-কুরিলস্ক উপকূলে সুনামির (Tsunami in Russia) প্রথম ঢেউ দেখা যায়। অনেকেই সুনামির আগের ও পরের ছবি এক্স হ্যান্ডলে শেয়ার করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, সুনামির জেরে উপকূলে একাধিক বাড়ি প্রায় ডুবে গিয়েছে।

    ভূমিকম্পের তীব্রতা 

    মার্কিন আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎস ভূপৃষ্টের ১৯.৩ কিলোমিটার গভীরে। প্রথমে মনে হয়েছিল কম্পনের (Earthquake in Russia) মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৮। পরে জানা যায়, ভূমিকম্পের মাত্রা ৮.৭। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। এদিন স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে রাশিয়ার কামচাটকা পেনিনসুলা। সাম্প্রতিককালে এই অঞ্চলে যতগুলি তীব্র ভূমিকম্প হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম এদিনের এই ভূমিকম্প। কামচাটকার গভর্নর ভ্লাদিমির সোলোদেব সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বার্তায় বলেন, “দশকের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প।” ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই যে উপকূলবর্তী এলাকার অনেক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, ভূমিকম্পের কারণে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    আছড়ে পড়েছে সুনামি

    আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, তীব্র এই ভূমিকম্পের ঘণ্টা তিনেকের মধ্যে রাশিয়া ও জাপানের উপকূলে ভয়ঙ্কর সুনামি দেখা যেতে পারে। শুধু রাশিয়া নয়, ভূমিকম্পের কারণে আমেরিকা-সহ প্রশান্ত মহাসাগরের আশপাশের বেশ কয়েকটি দেশেও সুনামির (Tsunami in Russia) সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই জাপানের হোক্কাইডো উপকূলবর্তী এলাকাতেও আছড়ে পড়েছে সুনামি। উত্তর-পশ্চিম হাওয়াই দীপপুঞ্জ এবং রাশিয়ার উপকূলরেখার কিছু অংশে তিন মিটার উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়ছে। মার্কিন সংস্থার আশঙ্কা কোসরে, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, পালাউ এবং ফিলিপিন্সের কিছু অংশে সুনামির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সব অংশে ০.৩ মিটার থেকে এক মিটার উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়ার পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। রাশিয়ার এক মন্ত্রী জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের পর কামচাটকা অঞ্চলের কিছু অংশে তিন থেকে চার মিটার উঁচু ঢেউ-সহ সুনামি লক্ষ্য করা গিয়েছে। সেই কারণে সকলকে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা থেকে যত দূর সম্ভব সরে যাওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছে জোরকদমে।

  • Earthquake: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নয়াদিল্লি, কম্পনের মাত্রা কত জানেন?

    Earthquake: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নয়াদিল্লি, কম্পনের মাত্রা কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠল নয়াদিল্লি (Delhi) ও সংলগ্ন এলাকা। বৃহস্পতিবার সকালে কম্পন অনুভূত হয়েছে দিল্লিতে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৪। জাতীয় ভূতত্ত্ব পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, এদিন সকাল ৯টা ৪ মিনিটে ভূমিকম্পটি হয়েছে।

    কম্পনের উৎসস্থল (Earthquake)

    কম্পনের উৎসস্থল ছিল দিল্লি থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে, হরিয়ানার ঝজ্জরে। কম্পনটি হয়েছে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। ঝজ্জর থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে উত্তরপ্রদেশের পশ্চিম প্রান্তের মেরঠ এবং শামলিতেও অনুভূত হয়েছে কম্পন। কম্পন টের পেয়েছেন হরিয়ানার সোনিপত ও হিসারের বাসিন্দারাও। দিল্লি সংলগ্ন উত্তরপ্রদেশের নয়ডা ও হরিয়ানার গুরুগ্রামেও বহু সংস্থার অফিস রয়েছে। ভূমিকম্পের জেরে কেঁপে উঠেছে এই সব এলাকাও। ভয়ে অফিস ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন বিভিন্ন অফিসের কর্মীরা। রাজধানীর বাসিন্দারাও আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে চলে আসেন খোলা জায়গায়। যদিও এদিন বেলা সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। মেলেনি ক্ষয়ক্ষতির খবরও।

    সিসমিক জোনিং ম্যাপ

    সিসমিক জোনিং ম্যাপ (Earthquake) অনুযায়ী, ভারতকে চারটি সিসমিক জোন বা ভূমিকম্পন প্রবণ এলাকায় বিভক্ত করা হয়। এগুলি হল জোন ২, জোন ৩, জোন ৪ এবং জোন ৫। এই জোনগুলির মধ্যে সব চেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হল জোন ৫। আর ঝুঁকি সব চেয়ে কম জোন ২-এ। দিল্লি পড়ে জোন ৪ এর আওতায়। তাই মাঝেমধ্যেই সেখানে দেখা দেয় ৫-৬ মাত্রার ভূমিকম্প। গত ফেব্রুয়ারি মাসেও ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল দিল্লি। তখনও কম্পনের মাত্রা ছিল ৪। ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় ভূখণ্ডের প্রায় ৫৯ শতাংশ এলাকায় ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েছে। ভূবিজ্ঞানীদের মতে, ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে দিল্লিতে ভূমিকম্প হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়।

    এদিকে, ইতিমধ্যেই সতর্কবার্তা দিয়েছে এনডিআরএফ। সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্কভাবে সিঁড়ি ব্যবহার করে বাইরে বেরিয়ে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়। ভূমিকম্প চলাকালীন যাঁরা গাড়ি চালান, তাঁদের খোলা জায়গায় (Delhi) দাঁড়িয়ে পড়ার পরামর্শও দেওয়া হয় (Earthquake)।

  • Operation Brahma: ভূকম্প-বিধ্বস্ত মায়ানমারে ভারতের ‘অপারেশন ব্রহ্মা’, তৈরি অস্থায়ী হাসপাতাল, পৌঁছেছে ১৪০ টন ত্রাণ

    Operation Brahma: ভূকম্প-বিধ্বস্ত মায়ানমারে ভারতের ‘অপারেশন ব্রহ্মা’, তৈরি অস্থায়ী হাসপাতাল, পৌঁছেছে ১৪০ টন ত্রাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্দিনে প্রতিবেশীর পাশে দাঁড়ানোই রীতি ভারতের। ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত পড়শি রাষ্ট্র মায়ানমারে (Myanmar Earthquake) ত্রাণ এবং উদ্ধারকাজের জন্য ইতিমধ্যেই বিশেষ অভিযান শুরু করেছে ভারত। নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন ব্রহ্মা’ (Operation Brahma)। ত্রাণসামগ্রী নিয়ে আন্দামান থেকে মায়ানমারের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে ভারতীয় নৌসেনার দু’টি জাহাজকে। জরুরি পরিস্থিতির জন্য ভারতীয় সেনার বিশেষ অস্থায়ী হাসপাতাল (ফিল্‌ড হসপিটাল)-ও পাঠানো হচ্ছে। ওই অস্থায়ী হাসপাতালে ভূমিকম্পে আহতদের জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য গিয়েছে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মী-সহ ১১৮ জনের একটি দল। এখনও পর্যন্ত ভারত পাঁচটি বিমান এবং চারটি জাহাজের মাধ্যমে ১৪০ টনেরও বেশি ত্রাণ সামগ্রী মায়ানমারে পাঠিয়েছে। প্রতিবেশীর চরম বিপদের দিনে ভারত সরকারের এই মানবিক সাহায্যের উদ্যোগ বিশ্বের নজর কেড়েছে।

    ভারতীয় নৌসেনার প্রচেষ্টা

    ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে মায়ানমার (Myanmar Earthquake)। প্রতিবেশীর চরম বিপদের দিনে তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। প্রতিবেশীর পাশে থাকার বার্তা দিয়ে ইতিমধ্যেই মায়ানমারের সেনাপ্রধানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নৌসেনার জাহাজ আইএনএস সাতপুরা এবং আইএনএস সাবিত্রীর সোমবারের মধ্যে ইয়াঙ্গনে পৌঁছে যাওয়ার কথা। শনিবার ভোরেই ১০ টন ত্রাণ নিয়ে প্রথম জাহাজটি রওনা দিয়েছে মায়ানমারের উদ্দেশে। পরে আরও ৩০ টন ত্রাণ নিয়ে দ্বিতীয় জাহাজটি রওনা দেয় শনিবার বিকেলে। দু’টি জাহাজ মিলিয়ে ৪০ টন ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে ভারত থেকে। এ ছাড়া আন্দামান-নিকোবর কমান্ডের অন্তর্গত শ্রীবিজয়পুরম থেকে নৌসেনার আরও দু’টি জাহাজ আইএনএস কারমুক এবং এলসিইউ ৫২ রওনা হয়েছে। মোট ৫০ টন ত্রাণ সামগ্রী ইয়াঙ্গনে পৌঁছানোর জন্য পাঠানো হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে তাঁবু, কম্বল, স্লিপিং ব্যাগ, খাবারের প্যাকেট, হেলথ কিট, জেনারেটর ও প্রয়োজনীয় ওষুধ।

    ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টা

    সক্রিয় সাহায্য করছে ভারতীয় সেনাও। শত্রুজিত ব্রিগেডের মেডিক্যাল রেসপন্ডারদের ১১৮ সদস্যের একটি দল, লেফটেন্যান্ট কর্নেল জগনীত গিলের নেতৃত্বে, আক্রান্ত জনগণের চিকিৎসা শুরু করেছে। আর্মির এয়ারবোর্ন এঞ্জেল্স টাস্ক ফোর্স দুর্যোগ প্রভাবিত অঞ্চলে উন্নত চিকিৎসা ও সার্জিক্যাল সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। সেনাবাহিনী একটি ৬০ শয্যার মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট সেন্টার স্থাপন করেছে যাতে আহতদের জরুরি চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। ৩০ মার্চ, প্রথম ত্রাণ ও উদ্ধার দলটি ১০ জন কর্মীসহ মায়ানমারের মান্দালে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। দলটি মাঠ হাসপাতাল স্থাপনের জন্য জায়গা নির্বাচনের রেকি শুরু করেছে এবং বর্তমানে অপারেশন এলাকার পূর্বপ্রস্তুতির কাজ করছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৮০ জন সদস্যের দলের সঙ্গে পাঠানো হয়েছে উদ্ধার অভিযানের জন্য প্রয়োজনীয় অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। কংক্রিট কাটার যন্ত্র, ড্রিল করার যন্ত্রের সঙ্গে পাঠানো হয়েছে উদ্ধার অভিযানের জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সারমেয় দলও (কে৯ স্কোয়াড)। ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে থাকা মানুষদের উদ্ধারের জন্য মায়ানমারের স্থানীয় প্রশাসনকে সাহায্য করে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর এই দল। এছাড়াও অপারেশন ব্রহ্মায় (Operation Brahma) অংশ নিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৬০টি প্যারা ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্স মায়ানমারের উদ্দেশে রওনা হওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। এরই সঙ্গে সেনার একটি বিশেষ মেডিক্যাল টাস্কফোর্সও মায়ানমারে যাচ্ছে।

    ভারতীয় বায়ুসেনার প্রচেষ্টা

    ভারতীয় বায়ুসেনা এই ভূমিকম্প দুর্গতদের সহায়তার জন্য একযোগে কাজ করছে। উইং কমান্ডার জয়দীপ সিং বলেন, “মায়ানমারের জনগণের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনা নিরলসভাবে ‘অপারেশন ব্রহ্মা’ এ কাজ করছে। কিছু ঘণ্টার মধ্যেই ভারতীয় বায়ুসেনা তাদের বিমানগুলোকে উদ্ধার কার্যক্রমে নিয়োজিত করেছে। এখনও পর্যন্ত, ৯৬.৩ টন জরুরি সরঞ্জাম এবং ১৯৮ জন সেনা চিকিৎসক ও এনডিআরএফ কর্মীকে তিনটি সি-১৩০জি এবং দুটি সি-১৭ বিমান ব্যবহার করে আকাশপথে পাঠানো হয়েছে।

    সক্রিয় ভারতীয় দূতাবাস

    ভূমিকম্পের জেরে মায়ানমারে (Myanmar Earthquake) এখনও পর্যন্ত অন্তত ১৬৪৪ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। ভূমিকম্পে প্রধান সেতু ও সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে, ফলে উদ্ধার ও ত্রাণ সরবরাহকারীদের পক্ষে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এদিকে ইয়াঙ্গন-নেপিডো-মন্দালয় এক্সপ্রেসওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক্স হ্যান্ডেলে জানান, ভয়ংকর ভূমিকম্পের পর মায়ানমারকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত শুরু করেছে অপারেশন ব্রহ্মা (Operation Brahma)। মায়ানমারে থাকা ভারতের রাষ্ট্রদূত নিজে ত্রাণ হস্তান্তরের বিষয়টি দেখছেন। মায়ানমার প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, মায়ানমারের ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, ‘আমরা মায়ানমারের প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করছি। মায়ানমারে থাকা ভারতীয়দের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় কোনও ভারতীয়র হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আমাদের তরফ থেকে ভারতীয় নাগরিকদের জন্য একটি ফোন নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। যা হল, +৯৫-৯৫৪১৯৬০২।’

  • Myanmar Earthquake: মৃত্যু ১০০০ পার! ত্রাণ নিয়ে ভারতীয় বিমান পৌঁছল ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত মায়ানমারে, যাচ্ছে আরও দুই

    Myanmar Earthquake: মৃত্যু ১০০০ পার! ত্রাণ নিয়ে ভারতীয় বিমান পৌঁছল ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত মায়ানমারে, যাচ্ছে আরও দুই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মায়ানমারে (Myanmar Earthquake) সবার প্রথম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল ভারত। ভারতীয় বায়ুসেনার সি-১৩০জে পণ্যবাহী বিমান ইতিমধ্যেই ইয়াঙ্গন পৌঁছে গিয়েছে। মায়ানমারের ভারতীয় দূতাবাস সেই ত্রাণসামগ্রী দ্রুত ভূমিকম্প বিধ্বস্ত অঞ্চলে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে। বিমানে ১৫ টন ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, আগেই জানিয়েছিলেন বিধ্বস্ত মায়ানমারে সবরকম সাহায্যের জন্য প্রস্তুত ভারত। তাইল্যান্ডেরও পাশে রয়েছে ভারত, বলে জানান মোদি।

    ভারতের ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছল মায়ানমারে

    মায়ানমারের ভূমিকম্পে সবথেকে প্রথমে ত্রাণসাহায্য নিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনার পণ্যবাহী বিমান সি-১৩০জে ইয়াঙ্গন (সাবেক রেঙ্গুন) শনিবারই পৌঁছে গিয়েছে। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন ব্রহ্মা’ (Operation Brahma)। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই বিমানে ১৫ টন ওজনের ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয়েছে সেদেশে। এই ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে সৌর ল্যাম্প, খাদ্য সামগ্রী, রান্নাঘরের সেট, তাঁবু, স্লিপিং ব্যাগ, কম্বল, রেডি-টু-ইট মিল, জল পরিশোধক, হেলথ কিট, জেনারেটর এবং অত্যাবশ্যক ওষুধ। ওষুধের মধ্যে রয়েছে প্যারাসিটামল, অ্যান্টিবায়োটিক, ক্যনুলা, সিরিঞ্জ, গ্লাভস, তুলো ব্যান্ডেজ এবং ইউরিন ব্যাগ। এই ত্রাণসামগ্রীর সঙ্গে গিয়েছে চিকিৎসক ও উদ্ধারকারী দল। উত্তরপ্রদেশের হিন্ডন বায়ুসেনা স্টেশন থেকে ভারতীয় বায়ুসেনার আরও দুটি সি-১৩০জে বিমান শীঘ্রই ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে মায়ানমার রওনা দিচ্ছে।

    বিপর্যস্ত মায়ানমার

    শুক্রবার সকাল থেকে পর পর ১৫ বার কেঁপেছে ভারতের পূর্ব দিকের প্রতিবেশী দেশটির মাটি। রিখটার স্কেলে প্রথম কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৭। তার পরে ১০ ঘণ্টার মধ্যে ১৪টি ‘আফটারশক’ (ভূমিকম্পের পরবর্তী কম্পন) অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্প তছনছ করে দিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পরে কয়েক মিনিটের মধ্যেই সবচেয়ে শক্তিশালী ‘আফটারশক’টি হয়। রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ছিল ৬.৭। উভয়ক্ষেত্রেই কম্পনের উৎসস্থল ছিল মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। এই দুই কম্পনে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর পর বাকি ‘আফটারশক’গুলি আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, শুক্রবার রাত ১১.৫৬ মিনিটেও এক বার ভূমিকম্প হয়েছে মায়ানমারে। তার তীব্রতা ছিল ৪.২। ‘আফটারশক’গুলি উদ্ধারকাজকে আরও কঠিন করে তুলেছে।

    রক্তের ব্যাপক চাহিদা

    মায়ানমারের (Myanmar Earthquake) সামরিক সরকার জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে রক্তের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। মান্দালয়ের রাস্তায় ফাটল ধরেছে। ক্ষতিগ্রস্ত মহাসড়কের পাশাপাশি একটি সেতু ও বাঁধ ধসে পড়েছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে হাজারের বেশি। জখম ২০০০-এর বেশি। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মায়ানমারে (Myanmar) ক্ষমতাসীন জুন্টার তরফে শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ঘরছাড়া হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ। কম্পনের জেরে কার্যত তছনছ হয়ে গিয়েছে একাধিক শহর। এখনও দেশের বিস্তীর্ণ অংশে উদ্ধারকাজ চলছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    প্রতিবেশীর পাশে ভারত

    ভূমিকম্পের পরেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্স-এ (প্রাক্তন টুইটার) পোস্ট করে উদ্বেগপ্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, ‘মায়ানমার ও তাইল্যান্ডের ভূমিকম্পের ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সকলের নিরাপত্তা ও সুস্থতা কামনা করছি। ভারত সবরকম সহায়তা দিতে প্রস্তুত। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রস্তুত থাকতে বলেছি এবং বিদেশ মন্ত্রককে মায়ানমার ও তাইল্যান্ড সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে নির্দেশ দিয়েছি।’ এই প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, সাধ্যমতো সমস্ত সাহায্য করবে ভারত। এ বিষয়ে তিনি বিদেশ মন্ত্রককে প্রয়োজনীয় নির্দেশও দিয়েছেন। শনিবার ভোরে উত্তরপ্রদেশের হিন্ডন বায়ুসেনা স্টেশন থেকে ভারতীয় বায়ুসেনার সি১৩০জে (Operation Brahma) বিমান মায়ানমারের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। তাতে অন্তত ১৫ টন ত্রাণসামগ্রী রয়েছে। ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মায়ানমারে পাঠানো হয়েছে খাবার, কম্বল, তাঁবু, ঘুমানোর সামগ্রী (স্লিপিং ব্যাগ), সোলার ল্যাম্প, জল পরিশোধক এবং প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র।

    ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংকক

    মায়ানমারের (Myanmar Earthquake) ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রতিবেশী তাইল্যান্ডও। সেখানকার রাজধানী শহর ব্যাংককে (Bangkok) নির্মীয়মাণ ৩০ তলা ভবন ভেঙে পড়েছে জোরালো কম্পনের ফলে। সেই ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। তাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পাইতংতার্ন সিনাওয়াত্রা বলেছেন, নিরাপত্তার জন্য ব্যাংককের ‘প্রতিটি ভবন’ পরিদর্শন করা হবে। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) আগামী এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই তাইল্যান্ড যাবেন। ৪ এপ্রিল ব্যাঙ্ককে ষষ্ঠ বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন সামিট-এ (বিমস্টেক) শীর্ষ সম্মেলনে (BIMSTEC Summit) অংশগ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    আন্তর্জাতিক স্তরে সাহায্যের আবেদন

    মায়ানমারের (Myanmar Earthquake) সামরিক জুন্টা প্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং দাবি করেছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এই আবহে যে কোনও দেশের থেকেই তিনি সাহায্যের প্রার্থনা করেছেন। এই আবহে ভারতের পাশাপাশি ফ্রান্স এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। মায়ানমারকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। রাষ্ট্রসংঘ ইতিমধ্যেই ৫ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে। গৃহযুদ্ধে দীর্ণ মায়ানমারের বিস্তীর্ণ এলাকা জুন্টা সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। সেই সমস্ত এলাকায় ভূমিকম্পের ফলে কেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি বলেই মনে করা হচ্ছে। দেশের অন্তত ছ’টি প্রদেশে শুক্রবার জরুরি অবস্থা জারি করেছে জুন্টা সরকার।

  • Earthquake in Myanmar: ৭.৭ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্পে ক্ষতি মায়ানমার, তাইল্যান্ডে! ‘‘সাহায্যে প্রস্তুত ভারত’’, আশ্বাস মোদির

    Earthquake in Myanmar: ৭.৭ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্পে ক্ষতি মায়ানমার, তাইল্যান্ডে! ‘‘সাহায্যে প্রস্তুত ভারত’’, আশ্বাস মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পর পর দু’বার ৭ মিনিটের ব্যবধানে জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল মায়ানমার (Earthquake in Myanmar)। রিখটার স্কেলে প্রথমটির কম্পনের মাত্রা ৭.৫ এবং দ্বিতীয়টির মাত্রা ৭ বলে জানিয়েছে ভারতের ভূকম্প পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি। তবে আমেরিকার ভূতত্ত্ব পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ইউএস জিয়োলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে প্রথম ভূমিকম্পটির মাত্রা ৭.৭। দ্বিতীয়টির ৬.৪। কম্পন অনুভূত হয়েছে দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অংশেও। মৃদু কম্পন টের পাওয়া গিয়েছে কলকাতায়। ভূমিকম্পের জেরে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়ে দেন, যে কোনও ধরনের সাহায্যের জন্য প্রস্তুত ভারত। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, ‘‘মায়ানমার এবং তাইল্যান্ডের ভূমিকম্পের পর, সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। সকলের নিরাপত্তা এবং সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছি। ভারত যে কোনও সাহায্যের জন্য প্রস্তুত। এই বিষয়ে, আমাদের কর্তৃপক্ষকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়াও, বিদেশ মন্ত্রককে মায়ানমার এবং তাইল্যান্ড সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে।’’

    কখন অনুভূত হয় কম্পন

    ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, প্রথম কম্পনটি হয় ভারতীয় সময় সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে। আর দ্বিতীয় কম্পনটি হয় ১২টা ২ মিনিটে। প্রথমটির উৎসকেন্দ্র মায়ানমারের (Earthquake in Myanmar) বর্মা প্রদেশের ১২ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। আর দ্বিতীয়টির উৎসকেন্দ্র মায়ানমারের লকসকের ১৫১ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। দু’টি কম্পনের ক্ষেত্রেই উৎপত্তিস্থলটি ছিল মাটির ১০ কিলোমিটার নীচে। আমেরিকার ভূতত্ত্ব পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ইউএস জিয়োলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল সাগাইংয়ের ১৬ কিমি দক্ষিণ পশ্চিমে। কম্পন এতটাই তীব্র ছিল যে, ৯০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত তাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককেও হোটেল, শপিং মল কাঁপতে শুরু করে। সেখানে ভেঙে পড়ে একটি নির্মীয়মাণ বাড়ি। আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জলোচ্ছাস দেখা গিয়েছে বড় বড় হোটেলের সুইমিং পুলেও।

    কেন এত ভয়ঙ্কর কম্পন 

    ১২টা ২ মিনিটে মায়ানমারের (Earthquake in Myanmar) মান্দালে থেকে ৯০ কিমি দূরে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিমি নীচে কম্পনের কেন্দ্র ছিল। যেহেতু ভূপৃষ্ঠের এত কাছে, অগভীর কম্পনের উৎসস্থল ছিল, তাই মাটির উপর ধাক্কা অনেক বেশি অনুভূত হয়েছে। জানা গিয়েছে, এখানে ইন্ডিয়ান প্লেট বার্মা প্লেটের নীচে ঢুকে গিয়েছে। দুই প্লেটের সংঘর্ষে বিপুল পরিমাণে শক্তি জমা হচ্ছে ভূগর্ভে। সেই শক্তিই ভূমিকম্প রূপে বেরিয়ে এসেছে

    ভূমিকম্পের প্রভাব

    এই ভূমিকম্পের (Earthquake in Myanmar) প্রভাব পড়েছে ভারত-বাংলাদেশেও। কম্পন অনুভূত হয়েছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ও উত্তরে সিকিম-সহ একাধিক জায়গায়। তীব্র কম্পনের জেরে মায়ানমারে ভেঙে পড়েছে একের পর এক বহুতল। মায়ানমারের মান্দালয়ের ঐতিহাসিক আভা সেতুটি ইরাবতী নদীতে ধসে পড়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রাণহানি কিংবা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। কিন্তু ইতিমধ্যেই কম্পনের যে ছবি-ভিডিও ছড়িয়েছে তাতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। আফটার শকেরও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

  • Earthquakes: কেন বার বার ভূমিকম্পে হচ্ছে ভারতীয় উপমহাদেশ অঞ্চলে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    Earthquakes: কেন বার বার ভূমিকম্পে হচ্ছে ভারতীয় উপমহাদেশ অঞ্চলে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সাত দিনে ভারতীয় উপমহাদেশের (Indian Subcontinent) চারটি বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প (Earthquakes) অনুভূত হয়েছে। সবগুলিই ছোট থেকে মাঝারি মানের। কোনও বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বললেই চলে। কিন্তু, বিশেষজ্ঞরা স্বস্তিতে থাকতে নারাজ। পর পর কম্পনের মধ্যে তাঁরা একটা অশনি সঙ্কেত দেখতে পাচ্ছেন। তাঁদের মতে, ছোট ছোট হতে হতে কোনওদিন এমন একটা শক্তিশালী কম্পন হবে যে বড় বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। আগাম সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। একইসঙ্গে এও ব্যাখ্যা করেছেন, কেন বার বার কেঁপে উঠছে ভারতীয় উপমহাদেশ (Indian Subcontinent) অঞ্চল।

    এক সপ্তাহে চার বার!

    কেন বার বার ভূমিকম্প (Earthquakes) হচ্ছে, এটা বোঝার আগে, দেখে নেওয়া যাক, গত সাতদিনে ঘটে যাওয়া চারটি ভূমিকম্পের খতিয়ান—

    বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে নেপাল। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.১। জানা গিয়েছে, নেপালের স্থানীয় সময় রাত ২টো ৫১ মিনিট নাগাদ হঠাৎই কেঁপে ওঠে নেপালের মধ্য এবং পূর্বাংশ। ভূ-কম্পন অনুভূত হয় শিলিগুড়ি এবং পাটনাতেও। বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গিয়েছে, ভূমিকম্পের (Earthquakes) উৎসস্থল নেপালের সিন্ধুপালচক জেলার ভৈরবকুণ্ড। জানা গিয়েছে, মাটির অন্তত ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল কম্পনের উৎপত্তিস্থলটি।

    তার ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগে, বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত প্রায় আড়াইটে নাগাদ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে অসম। প্রতিবেশী বাংলাদেশ, মায়ানমার, ভুটান ও চিনের একাধিক এলাকাতেও কম্পন অনুভূত হয়। জানা গিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৫.০। অসমের মরিগাঁওতে ছিল ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল মাটি থেকে ১৬ কিলোমিটার গভীরে।

    তার আগে, মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সাতসকালে ভূমিকম্পে (Earthquakes) কেঁপে উঠেছিল কলকাতা-সহ আশেপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা। মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিট নাগাদ কম্পন অনুভূত হয় কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার বিস্তীর্ণ অংশে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ৫.১। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল বঙ্গোপসাগর।

    এর আগে, সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৫টা ৩৬ মিনিটে কেঁপে ওঠে দিল্লি। প্রায় ৫ থেকে ৬ সেকেন্ড ধরে স্থায়ী হয় কম্পন। ভূমিকম্পের সঙ্গে জোরালো আওয়াজও হয় বলে দাবি স্থানীয়দের। ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র ছিল দিল্লির ধৌলাকুঁয়া। রিখটার স্কেলে দিল্লির ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.০। দিল্লিতে ভূমিকম্পের কয়েক ঘণ্টা পর সেদিনই কেঁপে ওঠে বিহারও।

    কেন বার বার হচ্ছে ভূমিকম্প? (Earthquakes)

    প্রায়ই ছোট থেকে মাঝারি কম্পন হচ্ছে উত্তর, পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব ভারত– বিশেষ করে হিমালয়ান বেল্ট ও তার লাগোয়া অঞ্চলে (Indian Subcontinent)। এক সপ্তাহ জুড়ে পর পর ভূমিকম্প হয়ে চলেছে ভারতীয় উপমহাদেশ অঞ্চলে। কেন হচ্ছে?

    নেপাল — বিশ্বের তীব্র ভূমিকম্প (Earthquakes) প্রবণ এলাকাগুলির মধ্যে অন্যতম নেপাল। কারণ নেপালের তলায় ইউরেশীয় পাতকে প্রতি বছর ৫ সেমি করে দূরে সরিয়ে দেয় ভারতীয় পাত। যার জেরে সংঘর্ষে ভূমিকম্প হয় এই এলাকাগুলিতে। মাটির তলায় টেকটনিক প্লেটগুলির এহেন অবস্থানের কারণে হিমালয়ের কোলে বারবার ভূমিকম্প দেখা দেয়। উপরন্তু নেপালের ভূপৃষ্ঠ তৈরি হয়েছে নতুন শিলা দিয়ে। কাঠমাণ্ডুর মতো শহরগুলিতে অপরিকল্পিতভাবে নগরায়নের ফলেও মাটির উপর চাপ বাড়ছে।

    পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ-বঙ্গোপসাগর — বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশ কয়েকটি সক্রিয় ফল্ট লাইনসহ টেকটনিক প্লেটের সংঘর্ষ অঞ্চলে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান। এ কারণে পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর বঙ্গোপসাগর ভূমিকম্পের (Earthquakes) ঝুঁকিতে রয়েছে। কলকাতার তলায় আছে ইন্ডিয়ান ও টিবেটান প্লেট। প্রতি বছর এই ইন্ডিয়ার প্লেট ৫ সেন্টিমিটার করে সরে যাচ্ছে টিবেটান প্লেটের দিকে। যার কারণে লাগছে ধাক্কা। হচ্ছে ভূমিকম্প।

    দিল্লি — গোটা হিমালয় অঞ্চলই ভূমিকম্পের দিক থেকে অত্যন্ত সক্রিয়। দিল্লি হিমালয়ে নিকটবর্তী হওয়ায় সেখানে কম্পনের ঝুঁকি রয়েছে। জাতীয় ভূকম্পন (Earthquakes) কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, দিল্লির কাছে আরও বেশ কিছু দুর্বল অঞ্চল এবং ফল্ট লাইনও রয়েছে। গোটা উত্তর-পশ্চিম ভারত দাঁড়িয়ে রয়েছে এমন একটি ‘কম্পন অধ্যুষিত’ অঞ্চলে যাকে ভূকম্প বিশেষজ্ঞেরা ‘হটস্পট’ বলে অভিহিত করেছেন। অর্থাৎ কি না এই অঞ্চলে প্রতিনিয়তই রিখটার স্কেলে ৪, সাড়ে ৪, ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েই থাকে। বিশেষজ্ঞেরা এই কম্পনে মোটেই বিচলিত নন।

    বড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের (Indian Subcontinent)

    বার বার এই কম্পনে চিন্তার ভাঁজ পড়ছে বিজ্ঞানীদের কপালে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, এবার যে কোনও সময় হয়ত বড় বিপর্যয় ঘটতে পারে। যার জেরে বিশাল ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে এই অঞ্চলে। তাঁদের মতে, একটি শক্তি ক্রমশ জমা হচ্ছে মাটির নীচে। যত শক্তি পুঞ্জীভূত হবে তত বড় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা আছে। তাঁরা এ-ও জানাচ্ছেন, মাটির তলার জল কমে যাওয়ার কারণে হচ্ছে কম্পন (Earthquakes)। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ছোট ছোট ভূমিকম্পের পর বড় বিপর্যয়ের আভাস হতে পারে, এবং এ কারণে অবিলম্বে প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা (Indian Subcontinent)।

  • Earthquake Hits Kolkata: সাতসকালে কাঁপল কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গ, রিখটার স্কেলে মাত্রা ৫.১

    Earthquake Hits Kolkata: সাতসকালে কাঁপল কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গ, রিখটার স্কেলে মাত্রা ৫.১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাতসকালে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল কলকাতা-সহ (Earthquake Hits Kolkata) দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী অঞ্চল। মঙ্গলবার সকালে কম্পন টের পেলেন কলকাতাবাসী। শুধু কলকাতা নয়, পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় কম্পন অনুভূত হল। সকাল ৬টা ১০ মিনিট নাগাদ কেঁপে ওঠে একাধিক জেলা। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে বঙ্গোপসাগরেই এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল। ফলে বেশি প্রভাব পড়েছে উপকূলের জেলাগুলিতে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.১। কম্পন অনুভূত হয়েছে বাংলাদেশ ও ওড়িশাতেও।

    ভূমিকম্পের উৎসস্থল

    জাতীয় ভূকম্পন পরিমাপকেন্দ্র বা ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ নাগাদ ভূকম্পন (Earthquake Hits Kolkata) অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ওড়িশা থেকে ১৭৫ কিলোমিটার পূর্বে বঙ্গোপসাগরের ৯১ কিলোমিটার গভীরে। জাতীয় ভূকম্পন পরিমাপকেন্দ্র যে ছবি প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূল এবং উপকূল সংলগ্ন অঞ্চলে কম্পন অনূভূত হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া, কাঁথি, দিঘায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। বাংলাদেশেও ঢাকা-সহ পশ্চিম প্রান্তের উপকূলের কিছু অঞ্চলে কম্পন টের পাওয়া গিয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পের পরে সমুদ্রের পরিস্থিতি কী রয়েছে, তা নিয়েও সরকারি স্তরে কোনও তথ্য মেলেনি।

    কলকাতা কতটা ভূমিকম্প-প্রবণ

    সম্প্রতি তিব্বতের ভূমিকম্পেও কেঁপে উঠেছিল কলকাতা (Earthquake Hits Kolkata) তথা বাংলা। গত জানুয়ারি মাসের ৭ তারিখে তিব্বতের ভূমিকম্পেই কেঁপে উঠেছিল কলকাতা সহ গোটা বাংলা। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.১। ফলে, উত্তরবঙ্গে ব্যাপক কম্পন অনুভূত হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের ২০২১ সালের তথ্য অনুসারে কলকাতা অবস্থানগত দিক থেকে ‘সিসমিক জোন ৪’-এর মধ্যে পড়ে। কোনও অঞ্চলে ভূমিকম্পের সম্ভাবনা কতটা রয়েছে, তার উপর নির্ভর করে এই অঞ্চলগুলিকে ভাগ করা হয়। দেশে এমন চারটি অঞ্চল রয়েছে। ‘সিসমিক জোন ২’ (কম্পনের সম্ভাবনা সবচেয়ে কম) থেকে শুরু করে ‘সিসমিক জোন ৫’ (কম্পনের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি) পর্যন্ত রয়েছে ভারতে। ‘সিসমিক জোন ৪’-এর অর্থ এই অঞ্চলে ভূমিকম্পের সম্ভাবনা মৃদু। কম্পনের উৎস এই অঞ্চলে সাধারণত দেখা যায় না। মূলত বঙ্গোপসাগর, উত্তর-পূর্ব ভারত, নেপালের কম্পনের প্রভাব পড়তে দেখা যায় এই অঞ্চলে।

LinkedIn
Share