Tag: Earthquake

Earthquake

  • Earthquake in Delhi: কম্পনেই ঘুম ভাঙল রাজধানীর, ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দিল্লি সহ উত্তর ভারত

    Earthquake in Delhi: কম্পনেই ঘুম ভাঙল রাজধানীর, ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দিল্লি সহ উত্তর ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কম্পনেই ঘুম ভাঙল রাজধানীর। সোমবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ ভূমিকম্প (Earthquake in Delhi) অনুভূত হয় দিল্লিতে। কম্পন টের পাওয়া যায় দিল্লি সংলগ্ন এলাকাগুলি সহ উত্তর ভারতে। জানা গিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.০। সোমবার সকালে ভূমিকম্পের পর সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনি লিখেছেন, ‘‘দিল্লি এবং আশপাশের এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। সকলের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা শান্ত থাকুন। ভূমিকম্পের আফ্‌টারশক হতে পারে, তার জন্য সতর্ক থাকুন। পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।’’

    ভূমিকম্পের উৎসস্থল

    ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তথ্য অনুযায়ী, সোমবার ভোর ৫টা ৩৫ মিনিট নাগাদ ৪ মাত্রার ভূমিকম্প (Earthquake in Delhi) হয়। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল দক্ষিণ দিল্লির ধৌলাকুঁয়া। সেখানে দুর্গাবাই দেশমুখ কলেজ অফ স্পেশ্যাল এডুকেশনের জমির ঠিক নীচে ভূমিকম্প হয়েছে। মাটি থেকে তার গভীরতা খুব বেশি নয়, মাত্র পাঁচ কিলোমিটার। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, রাজধানীর এই অংশটি বরাবর ভূমিকম্পপ্রবণ। কাছাকাছি একটি লেক রয়েছে। প্রতি দুই থেকে তিন বছর অন্তর অন্তর এই লেকের ধারে স্বল্প মাত্রার ভূমিকম্প হতে দেখা গিয়েছে। তবে শেষ বার এই অংশে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছিল ২০১৫ সালে। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.৩।

    কেন এত ভূমিকম্প দিল্লিতে

    মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য কম্পন (Earthquake in Delhi) অনুভূত হয়, তবে কম্পনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। ভূমি থেকে কম্পনের উৎসস্থলের গভীরতা খুব বেশি নয় বলেই তীব্রতা বেশি অনুভূত হয়েছে, মত বিশেষজ্ঞদের। বহু মানুষ ভয়ে-আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে পড়েন। এখনও পর্যন্ত ভূমিকম্পে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। এর আগেও একাধিকবার ভূমিকম্পে কেঁপেছে দিল্লি। সিসমিক জোন-৪ এ অবস্থিত হওয়ায়, মাঝারি থেকে শক্তিশালী ভূমিকম্পের সম্ভাবনা থাকে দিল্লিতে। এদিনের ভূমিকম্পটি মাঝারি মাত্রার ছিল। এর আগে গত ২৩ জানুয়ারিও দিল্লি-এনসিআরে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। চিনের শিনজিয়াংয়ে ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্পের কারণে দিল্লিতেও কম্পন অনুভূত হয়। তার আগে ১১ জানুয়ারিও আফগানিস্তানে ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্পের কারণে দিল্লিতেও ভূমিকম্প হয়েছিল।

  • Earthquake Hits Tibet: তিব্বতে ভূমিকম্পে মৃত অন্তত ৫৩, হতাহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা

    Earthquake Hits Tibet: তিব্বতে ভূমিকম্পে মৃত অন্তত ৫৩, হতাহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের ভোরে তখনও ঘুম ভাঙেনি সকলের। তার মাঝেই প্রবল তীব্রতায় কেঁপে ওঠে নেপাল, তিব্বত, ভারত এবং চিনের বেশকিছু অংশ। তিব্বতই ভূমিকম্পের উৎসস্থল। তিব্বতের (Earthquake Hits Tibet) ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত ৫৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ৬২ জনকে। ভূমিকম্পের ধাক্কা কাটিয়ে শুরু হয়েছে উদ্ধারের চেষ্টা। হতাহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

    ভূমিকম্পে প্রভাবিত অন্তত আট লক্ষ!

    মঙ্গলবার সকালে ৭.১ তীব্রতার জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তিব্বত (Earthquake Hits Tibet)। যার প্রভাব পড়ে নেপাল, ভুটান এবং ভারতেও। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শিগাতসের এই ভূমিকম্পে প্রভাবিত হয়েছেন অন্তত আট লক্ষ মানুষ। ভূমিকম্পের উৎসস্থল তিব্বতের তিংরি প্রদেশে। এই অঞ্চলটিকে এভারেস্টের উত্তরের প্রবেশদ্বার হিসাবে দেখা হয়।  এমনিতেই এই অঞ্চলটি ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা বলে চিহ্নিত। শিগাতসের ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে গত পাঁচ বছরে তিন বা তার বেশি মাত্রার ২৯টি ভূমিকম্প হয়েছে। তবে মঙ্গলবার সকালের মতো তীব্রতা কোনওটিরই ছিল না। এদিন প্রথম কম্পন অনুভূত হয় সকাল সাড়ে ছ’ টা নাগাদ। তীব্রতা ছিল ৭.১, উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০কিলোমিটার গভীরে। তারপর বারবার কেঁপে ওঠে ভূপৃষ্ঠ। 

    ৪০টিরও বেশি কম্পন অনুভূত

    সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’ জানিয়েছে, প্রথম ভূমিকম্পের পর ৪০টিরও বেশি ‘আফটারশক’ অনুভূত হয়েছে ওই অঞ্চলে। তার মধ্যে ১৬টি কম্পনের মাত্রা ছিল ৩-এর বেশি। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রকাশিত ভিডিওয় দেখা গিয়েছে রাস্তার ধারে দোকান ভেঙে পড়েছে। ধ্বংসাবশেষ ছড়িয় ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে রাস্তার উপর। ভিডিওটি তিব্বতের লাৎসে শহরের কাছে। সাধারণত এই ধরনের জোরালো মাত্রার কোনও ভূমিকম্পের জেরে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। চিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা জিনহুয়া জানিয়েছে, সরকারি আধিকারিকরা ভূমিকম্পের জেরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাপ জানার চেষ্টা করছেন। ক্ষতিগ্রস্ত শহরগুলির হতাহতের সংখ্যা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন।

    তিব্বতে (Earthquake Hits Tibet) ভূমিকম্পের উৎসস্থল থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু। সেখানেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। প্রাণ ভয়ে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন কাঠমান্ডুর বাসিন্দারা। প্রভাব পড়েছে এভারেস্টের পাদদেশে অবস্থিত নেপালের সোলুখুম্বু জেলাতেও। সেখানকার মুখ্য জেলা আধিকারিক অনোজ রাজ ঘিমিরে রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সোলুখুম্বুতে জোরালো কম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। নেপালের স্থানীয় পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী এবং স্থানীয় প্রশাসন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা করছে। ভুটানের রাজধানী থিম্পু এবং উত্তরপূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে, বিশেষ করে বিহার, উত্তরবঙ্গ, সিকিমের মতো জায়গাগুলিতে কম্পন অনুভূত হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Earthquake: শীতের সকালে তিব্বতে জোরালো ভূমিকম্প! তীব্রতা ৭.১, কেঁপে উঠল কাঠমান্ডু থেকে কলকাতা

    Earthquake: শীতের সকালে তিব্বতে জোরালো ভূমিকম্প! তীব্রতা ৭.১, কেঁপে উঠল কাঠমান্ডু থেকে কলকাতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের সকালে কেঁপে (Earthquake) উঠল কলকাতা। মঙ্গলবার যখন ভালো করে ঘুম ভাঙেনি শহরবাসীর, তখনই আচমকা কেঁপে ওঠে কলকাতা ও আশপাশের এলাকা। শুধুমাত্র দক্ষিণবঙ্গ নয়, উত্তরবঙ্গেও অনুভূত হয়েছে প্রবল কম্পন। জানা গিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎসস্থল তিব্বত। এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর মেলেনি। প্রথম কম্পনটি হয় সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.১।

    তিব্বতই কম্পনের উৎস

    সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, নেপালের লোবুচে থেকে ৯৩ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এই কম্পনের (Earthquake) উৎসস্থল। গভীরতা ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। উৎসস্থলে ক্ষয়ক্ষতি কতটা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পর পর কম্পন অনুভূত হয়েছে একই অঞ্চলে। দ্বিতীয় কম্পনটি হয় সকাল ৭টা ২ মিনিটে। তীব্রতা ছিল ৪.৭। এর পাঁচ মিনিট পরে আবার তৃতীয় কম্পন, সকাল ৭টা ৭ মিনিটে। তৃতীয় কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪.৯। প্রথম দু’টি ভূমিকম্প হয়েছে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। তৃতীয়টি ৩০ কিলোমিটার গভীরে। ছ’মিনিট পরে আরও একটি কম্পন অনুভূত হয়, যার তীব্রতা ছিল ৫.০। তিব্বতের অপর একটি শহর শিগাতসে শহরে ৬.৮ তীব্রতার ভূমিকম্প হয়েছে বলে দাবি করেছে চিন। শিগাতসে হল তিব্বতের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে কম্পনের পর আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন অনেকে। ভুটান এবং চিনের কিছু অঞ্চলেও কম্পন টের পাওয়া গিয়েছে।

    ভারতে বিভিন্ন জায়গায় কম্পন

    মঙ্গলবার সকালে নেপাল-তিব্বত সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এই ভূমিকম্পের (Earthquake) জেরে রাজধানী দিল্লি থেকে শুরু করে বিহার পর্যন্ত কম্পন অনুভূত হয়েছে। ভারত-নেপাল সীমান্তবর্তী অঞ্চলেও টের পাওয়া গিয়েছে কম্পন। উত্তরবঙ্গের কিছু অঞ্চলেও মৃদু কম্পন অনুভূত হয়েছে। কেঁপেছে কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা। এছাড়া জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, দার্জিলিং, দুই দিনাজপুরের মানুষও এদিন কম্পন অনুভব করেছেন। সিকিম, অসমের কিছু অঞ্চলেও ভূমিকম্প টের পাওয়া গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu and Kashmir: রবিবার ভোরে দুলে উঠল জম্মু ও কাশ্মীর! রিখটার স্কেলে মাত্রা কত?

    Jammu and Kashmir: রবিবার ভোরে দুলে উঠল জম্মু ও কাশ্মীর! রিখটার স্কেলে মাত্রা কত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার সাত সকালে দুলে উঠল জম্মু এবং কাশ্মীর (Jammu and Kashmir)। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির (National Centre for Seismology) তথ্য অনুসারে, রবিবার ভোর ৫:১৫ নাগাদ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে জম্মু কাশ্মীরে। কম্পনের গভীরতা ছিল ৫ কিলোমিটার। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.১। বিশেষ কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলেই জানা গেছে।

    আরও পড়ুন:‘বিজয়া দশমীর মতো উৎসবে পরিণত হয়েছে মন কি বাত’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় গঠিত হচ্ছে এমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার

    জম্মু কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) প্রশাসনের তরফে আগেই ঘোষণা করা হয়েছে, যে সেখানকার ২০টি জেলা নিয়ে গঠিত হবে এমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার। যেকোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মানুষকে আশ্রয় দিতেই এই প্রকল্প গড়ে উঠছে কেন্দ্র সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সহায়তায়।

    দুদিন আগেও কম্পন অনুভূত হয় জম্মু-কাশ্মীরে

    প্রসঙ্গত, এর আগে ২৮ এপ্রিল মাঝরাতে পর পর দু’বার কেঁপে উঠেছিল জম্মু-কাশ্মীর। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছিল, সেদিন প্রথম কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৮ এবং দ্বিতীয় কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৯। ভূকম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল নেপালের বাজুরা জেলার দাহাকোট। নেপালের স্থানীয় সময় অনুযায়ী, ওই দিন প্রথম কম্পন অনুভূত হয়েছিল রাত ১২টায়। দ্বিতীয় কম্পন হয় রাত দেড়টা নাগাদ।

    আরও পড়ুুন: রেড রোডে দলের সংখ্যালঘু সেলের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধলেন শুভেন্দু! কী বললেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Earthquake: দলে দলে মানুষ মৃত্যুপুরী তুরস্ক ছেড়ে পালাচ্ছে, রাষ্ট্রসংঘ বলল নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়াবে

    Earthquake: দলে দলে মানুষ মৃত্যুপুরী তুরস্ক ছেড়ে পালাচ্ছে, রাষ্ট্রসংঘ বলল নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়াবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূমিকম্পে (Earthquake) ধ্বংসপ্রায় তুরস্ক ও সিরিয়ার  মৃত্যুমিছিল চলছে। স্বাভাবিকভাবেই এই সময় দেশে খাদ্য, পানীয় ও ওষুধপত্রের আকালও দেখা দিয়েছে। মাথার ওপর কোনও ছাদও পাওয়া যাচ্ছেনা সেখানে। এই পরিস্থিতে মৃত্যুপুরী ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছেন ভিটেমাটি হারা মানুষগুলি। সংকটকালীন এই পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে, বিমানবন্দরে হাজার হাজার মানুষের ভিড়। ঠিক এই সময়ই এগিয়ে এল সেখানকার এয়ারলাইন্সগুলি। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল তুর্কি ও পেগাসাস এয়ারলাইন্স। ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত এলাকাগুলি থেকে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য বাসিন্দাদের বিনামূল্যে উড়ানের টিকিট দিচ্ছে এই দুই বিমান সংস্থা।

     তুরস্কের বিভিন্ন শহরে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল খুলে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও আশ্রয় নিচ্ছেন বহু মানুষ। হাতায়, নুরদাগি, মারাশের মতো এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ ইস্তাম্বুলে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে চলে এসেছেন।

    প্রসঙ্গত, ৮৪ বছর পরে ফের ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের (Earthquake)  সাক্ষী থাকল এই দুই দেশ। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে বাড়িঘর। ইউরোপিয়ান মেডিটেরানিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) জানিয়েছে, মঙ্গলবার মধ্য তুরস্কে ৫.৬ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মাটি থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার গভীরে। পশ্চিম এশিয়ার এই দেশে বিপর্যয় যেন থামতেই চাইছে না। মূল কম্পনের পর আফটার শকে অন্তত ১০০ বার কেঁপেছে দুই দেশের মাটি। ভূমিকম্পে (Earthquake)  মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে ৩৩ হাজারের গণ্ডি। উদ্ধারকাজ চলছে এখনও। বিভিন্ন দেশ থেকে এসে পৌঁছেছে উদ্ধারকারী দল। ভারত থেকে খাদ্য, পানীয়, ওষুধ, ভেন্টিলেটর নিয়ে সপ্তম গ্লোবমাস্টার বিমানও পৌঁছেছে তুরস্কে।

    তুরস্কে মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার পেরিয়ে যাবে, বলল রাষ্ট্রসংঘ

    রাষ্ট্রসংঘের পক্ষ থেকে এদিন মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে (Earthquake)  মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার পেরোতে পারে। গত শনিবার থেকেই রাষ্ট্রসংঘের এই মুখপাত্র  রয়েছেন তুরস্কের শহর কাহরামানমারাসে, এটাই ছিল তুরস্কের ভূমিকম্পের (Earthquake)  কেন্দ্র।

    একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে মার্টিম গ্রিফিথস আরও বলেন, আমি মনে করি মৃতের সংখ্যা এখনই বলা যাবেনা।  সমস্ত ধ্বংসস্তূপ সরালে দেখা যাবে এই সংখ্যা ৫০ হাজার বা তার বেশি হয়ে যাবে।

    আজ অবধি প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, তুরস্কে ২৪,৬১৭ জন এবং সিরিয়ায় ৩,৫৭৪ জন নিহত হয়েছেন। মোট ২৮,১৯১ জন।

    রাষ্ট্র সংঘের মতে, তুরস্ক এবং সিরিয়া জুড়ে কমপক্ষে ৮,৭০,০০০ জন মানুষ বর্তমানে খাদ্য এবং বাসস্থান সংকটে ভুগছে। প্রায় তিন কোটি মানুষ ভূমিকম্পে (Earthquake)  ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Earthquake: ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কে ৬ বছরের শিশুকে উদ্ধার করল এনডিআরএফ, ট্যুইট অমিত শাহের 

    Earthquake: ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কে ৬ বছরের শিশুকে উদ্ধার করল এনডিআরএফ, ট্যুইট অমিত শাহের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তুরস্ক ও সিরিয়াতে বিধ্বংসী ভূমিকম্পে (Earthquake)  মৃতের সংখ্যা প্রায় ২০ হাজারে ঠেকেছে। ভূমিকম্প (Earthquake) বিধ্বস্ত তুরস্কে ‘অপারেশন দোস্ত’ শুরু করেছে ভারত, ইতিমধ্যে সেখানে ত্রাণ সমেত অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে পৌঁছেছে ৬টি বিমান।  বৃহস্পতিবার তুরস্কের গাজিয়ানটেপ শহরে ধ্বংসস্তূপ থেকে ৬ বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করতে দেখা যাচ্ছে এনডিআরএফ-কে। ওই ভিডিও শেয়ার করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লিখলেন, এটা ভারতের জন্য অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত।

    ট্যুইটে কী লিখলেন অমিত শাহ

    অমিত শাহ লিখেছেন, এনডিআরএফের জন্য আমরা সবাই গর্বিত। তুরস্কের উদ্ধারকাজ করতে গিয়ে ৬ বছরের শিশুকে উদ্ধার করেছে এনডিআরএফ। মোদিজীর প্রেরণায়  এনডিআরএফকে বিশ্বের সবচেয়ে দক্ষ উদ্ধারকারী দল গড়ে তুলতে সংকল্পবদ্ধ কেন্দ্রীয় সরকার।

    বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, সিরিয়া ও তুরস্ক মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৯,৩০০। উদ্ধারের কাজ যত এগোচ্ছে মৃতের সংখ্য়াও ততই বাড়ছে। তুরস্কের একাধিক শহরে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে অপারেশন দোস্ত।

    ট্যুইটে কী লিখলেন বিদেশমন্ত্রী

    বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এক ট্যুইটে লেখেন, তুরস্কের ইসকান্দারন, হাতায়, তুর্কিয়েতে হাসপাতাল খুলেছে ভারতীয় সেনা। সেখানে ২৪ ঘণ্টা কাজ করে চলেছেন এনডিআরএফ ও অন্যান্য কর্মীরা।

    তুরস্কে কংক্রিট কাটার দিয়ে বিশাল বিশাল কংক্রিট কেটে উদ্ধারকার্য করে চালাচ্ছে এনডিআরএফ। জানা গিয়েছে, ধ্বসংসস্তূপের নীচে কেউ চাপা পড়ে থাকলে তাঁর হার্টবিট খুঁজে তাকে বের করার মতো পরিকাঠামো নিয়ে গিয়েছে এনডিআরএফ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Earthquake Himalayas: হিমালয়ে বড় ভূমিকম্পের সম্ভাবনা বেশি,ভয়ংকর খবর শোনালেন বিশেষজ্ঞরা

    Earthquake Himalayas: হিমালয়ে বড় ভূমিকম্পের সম্ভাবনা বেশি,ভয়ংকর খবর শোনালেন বিশেষজ্ঞরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৫ সালের নেপালের (Nepal) সেই ভয়াবহ ভূমিকম্পের(Earthquake) স্মৃতি নিশ্চয়ই সকলেরই মনে আছে। সেই ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছিল ভারতেও। সেই স্মৃতি ফের উসকে দিয়েছে মঙ্গলবার নেপালের ভূমিকম্পে।

    রিখটার স্কেলে (Richter scale) কম্পনের মাত্রা ৬.৩

    রিখটার স্কেলে (Richter scale) কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৩। আবারও এই ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছিল ভারতেও। দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, বিহার-সহ একাধিক রাজ্য রাত দুটো নাগাদ পরপর দুইবার কেঁপে ওঠে। বুধবার মধ্য রাতেও ভূমিকম্প হয় আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে। একের পর এক ভূমিকম্প হওয়ার পরই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। নেপালের মতো পরিস্থিতি যাতে ভারতেও না হয়, তার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।হিমালয়ে পরবর্তীতে বড়সড় ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। 

    ইউরেশীয়ান প্লেটের (Eurasian plate) চাপের কারণেই ভূমিকম্প হয়

    এই প্রসঙ্গে ওয়াদিয়া ইন্সটিটিউট অব হিমালয়ান জিওলজির সিনিয়র জিওগ্রাফিসিস্ট অজয় পাল সংবাদমাধ্যম জানিয়েছেন, ভারতীয় ও ইউরেশীয়ান প্লেটের সংঘর্ষের ফলেই হিমালয়ের উৎপত্তি হয়েছিল। ভূপৃষ্টের নীচে থাকা ভারতীয় প্লেটের উপরে ক্রমাগত ইউরেশীয়ান প্লেটের চাপের কারণেই ভূমিকম্প হয়। হিমালয়ের নীচে দুই পাতের সংঘর্ষে এই ভূমিকম্প অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা। গোটা হিমালয় অঞ্চলটিই ভূমিকম্প প্রবণ। ওই অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনাও সর্বদাই থাকে।

    রিখটার স্কেল (Richter scale) কম্পনের মাত্রা হতে পারে ৭ বা তার বেশী 

    পরবর্তী সময়ে যদি হিমালয় অঞ্চলে ভূমিকম্প হয়, তবে তা অত্যন্ত শক্তিশালী হবে বলেই জানিয়েছেন তিনি।

    ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়

    সিনিয়র জিওগ্রাফিসিস্ট অজয় পাল আরও জানান, যেহেতু ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়, ভূমিকম্প আগামী মাস বা ১০০ বছর পরেও হতে পারে। তাই আগে থেকে নিজেদের প্রস্তুত রাখা প্রয়োজন। এতে বড় ক্ষয়ক্ষতি যেমন এড়ানো যায়, তেমনই ভূমিকম্পও দক্ষ হাতে মোকাবিলা করা যাবে।

    জাপানের (Japan) পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত

    পরামর্শ হিসাবে তিনি জানিয়েছেন, ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চলে বাড়ি এমনভাবে বানানো উচিত, যা ভূমিকম্পেও বিশেষ প্রভাবিত হবে না। জাপানেও (Japan) এই পদ্ধতিতেই বাড়ি বানানো হয়। সেই কারণেই বারবার ছোট-বড় ভূমিকম্প হলেও, জাপানে প্রাণহানি বা সম্পত্তির বিশেষ ক্ষয়ক্ষতি হয় না। প্রত্যেক বছরই অন্তত একবার মক ড্রিল করা উচিত। যদি এই কাজগুলি করা যায়, তবে ভূমিকম্পের প্রভাব ৯৯.৯৯ শতাংশ কমিয়ে ফেলা সম্ভব।

    প্রসঙ্গত,বিগত ১৫০ বছরে মোট চারটি বড় ভূমিকম্প হয়েছে হিমালয়ে। ১৮৯৭ সালে শিলংয়ে ব্যাপক কম্পন অনুভূত হয়েছিল। এরপরে ১৯০৫ সালে কাঙ্গরায়, ১৯৩৪ সালে বিহার-নেপাল সীমান্তে ও ১৯৫০ সালে অসমে কম্পন অনুভূত হয়। এছাড়া ১৯৯১ সালে উত্তরকাশীতে, ১৯৯৯ সালে চামোলি ও ২০১৫ সালে নেপালেও ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Delhi Earthquake: ফের কাঁপল দিল্লি! ৩০ সেকেন্ডে জোড়া কম্পনের তীব্রতা ৫.৬, উৎসস্থল সেই নেপাল

    Delhi Earthquake: ফের কাঁপল দিল্লি! ৩০ সেকেন্ডে জোড়া কম্পনের তীব্রতা ৫.৬, উৎসস্থল সেই নেপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের কাঁপল রাজধানী দিল্লি। সোমবার বিকেলে রাজধানী-সহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অংশে জোরালো কম্পন অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৬। বিকেল ৪টে ১৬ মিনিটে ভূমিকম্প হয়। ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে দু’বার কেঁপে ওঠে রাজধানী এলাকা। এই নিয়ে তিন দিনে দ্বিতীয় বার কাঁপল দিল্লি। এবারেও ভূমিকম্পের উৎসস্থল নেপাল। 

    আরও পড়ুন: মধ্যরাতে নেপালে বিধ্বংসী ভূমিকম্প, মৃতের সংখ্যা একশোর বেশি

    উৎস নেপালেই

    ন্যাশানাল সেন্টার ফর সেসিমোলজির তরফে জানানো হচ্ছে, সোমবার বিকেলের ভূমিকম্পের উৎসস্থল নেপাল। মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে কম্পন হয়। রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ৫.৬। শনিবার রাতেও দিল্লিতে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৪। সে বারও কম্পনের উৎসস্থল ছিল নেপাল। সেই ভূমিকম্পে কমপক্ষে ১৫৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায় নেপাল সরকারের তরফে। আহত অসংখ্য। তাঁদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক।

    মূল কম্পনের পর ১৫৯ বার ভূমিকম্প পরবর্তী কম্পন বা আফ্‌টারশকে কেঁপেছিল নেপাল। বহু ঘরবাড়ি ভেঙে গিয়েছে, ধূলিসাৎ হয়েছে রাস্তাঘাট। শনিবারের পর নেপালে রবিবারও মৃদু কম্পন হয়। তার পর সোমবার আবার জোরালো কম্পন হল নেপালে।

    আরও পড়ুুন: এটাই শেষ নয়, আরও ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প হতে পারে নেপালে, কেন জানেন?

    আতঙ্কিত রাজধানী

    বারবার এ হেন কম্পনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন রাজধানীর বাসিন্দারা। বহুতল ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন আবাসিকরা। কেঁপে ওঠে বহুতল, পাখা-আলো কেঁপে ওঠার ফটো-ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই শেয়ার হতে শুরু করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Earthquake: ভূমিকম্পে ফের কাঁপল কাঠমাণ্ডু, রবিবার আতঙ্কে কাটল নেপালবাসীর

    Earthquake: ভূমিকম্পে ফের কাঁপল কাঠমাণ্ডু, রবিবার আতঙ্কে কাটল নেপালবাসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার কেঁপে উঠল নেপাল। শুক্রবার গভীর রাতে ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠেছিল কাঠমাণ্ডু। তার রেশ পুরোপুরি কাটার আগেই রবিবার ভোরে আবারও একবার কেঁপে উঠল নেপাল। শুক্রবার কম্পনের মাত্রা বেশি থাকলেও, রবিবার ভোরের কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.৬। নেপালের জাতীয় ভূকম্পন কেন্দ্র জানিয়েছে, কম্পনের উৎসস্থল ছিল কাঠমাণ্ডু থেকে ১৬৯ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে, মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। এদিন পর পর বেশ কয়েকবার যে কম্পন অনুভূত হয়েছিল, রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ছিল ৩.৩।

    রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা

    শুক্রবার নেপালে যে ভূমিকম্প হয়েছিল, রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ছিল ৬.৪। মাঝ রাতের ওই ভূমিকম্পে মৃত্যু হয় শতাধিক মানুষের। এখনও চলছে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে নেপালের সেনাবাহিনী, নেপালি সেন্টিনাল ও সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী। আশপাশের এলাকা থেকে ত্রাণ ও চিকিৎসা সামগ্রীও সংগ্রহ করা হচ্ছে। ছুটি বাতিল করা হয়েছে চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে (Earthquake) বলেই খবর।   

    ১৫৯ বার কেঁপেছিল নেপালের মাটি

    ভূমিকম্পের পর পর হয় আফটার শক। সেদিনও ১৫৯ বার কেঁপেছিল নেপালের মাটি। শুক্রবারের ওই কম্পনের আঁচ এসে লেগেছিল ভারতের একটি অংশেও। কম্পন অনুভূত হয়েছিল দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের একাংশে। রবিবার যে ভূমিকম্প হয়, তার জেরে ফের একপ্রস্ত আতঙ্ক ছড়ায়। এদিন নেপালের পাশাপাশি ভূমিকম্প হয়েছে আফগানিস্তানেও। গভীর রাতে কম্পন অনুভূত হয় ফয়জাবাদে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৫। তবে কম্পন অনুভূত হলেও, ক্ষয়ক্ষতি তেমন কিছু হয়নি।

    আরও পড়ুুন: “মহাদেবের নামেও লুট করতে ছাড়ছে না কংগ্রেস”, ছত্তিশগড়ে তোপ মোদির

    এদিন গোটা ভারতে কোনও কম্পন অনুভূত না হলেও, উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় অনুভূত হয় কম্পন। জাতীয় ভূকম্পন কেন্দ্র জানিয়েছে, অযোধ্যায় কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.৬। উৎসস্থল ছিল অযোধ্যা থেকে ২১৫ কিলোমিটার উত্তরে, ভূপৃষ্ট থেকে ১০ কিমি গভীরে। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালেও একবার বিধ্বংসী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল নেপাল। সেবার এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের বলি হয়েছিলেন ৯ হাজার জন। শুক্রবার ভোরের কম্পন উসকে দেয় আট বছর আগের ওই স্মৃতি। ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা পার করেছে (Earthquake) ১৫০র গণ্ডী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Earthquake: দিল্লির পর ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়! আতঙ্কিত এলাকাবাসী

    Earthquake: দিল্লির পর ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়! আতঙ্কিত এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভূকম্পন (Earthquake) উত্তর ভারতে। দিল্লির পর এবার কেঁপে উঠল উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়। গতকাল, রবিবার দিল্লি সহ এনসিআরের অঞ্চল কেঁপে উঠেছিল ভূমিকম্পে। রিখটার স্কেলের এদিনের কম্পনের মাত্রা ছিল ৪।

    কখন কম্পন অনুভূত হয় (Earthquake)?

    ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তরফ থেকে বলা হয়, ভূমিকম্পের (Earthquake) উৎস ছিল উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় থেকে উত্তর-পর্ব দিকে ৪৮ কিমি দূরে। এদিন সকাল ৯টা বেজে ১১ মিনিটে কম্পন অনুভব করা যায়। কম্পনের কারণে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

    দিল্লিতেও ভূমিকম্প হয়

    গতকাল দিল্লিতে ভূমিকম্পের (Earthquake) কারণে দেশের রাজধানীতে কম্পন অনুভব করা গিয়েছিল। ওই দিন ঠিক দুপুরবেলার পরে পরেই ৪টে ৮ মিনিট নাগাদ সময়ে কম্পনের জেরে কেঁপে ওঠে দিল্লি। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩.১। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি সূত্রে জানা গিয়েছিল, এই ভূমিকম্পের উৎস ছিল হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে ৯ কিমি পূর্বে। ফলে দিল্লি সহ নয়ডা, গুরুগ্রাম, গাজিয়াবাদ এলাকাতেও ভূকম্পন অনুভূত হয়েছিল। এছাড়াও উত্তরপ্রদেশের লখনউ, হাপুর, আমরোহাতেও কম্পন অনুভূত হয়েছিল। উত্তরাখণ্ডের কিছু কিছু অংশ, চণ্ডীগড়, জয়পুরেও কম্পনের প্রভাব পড়ে বলে জানা গিয়েছে। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল যথাক্রমে ৪.৬, ৬.২, ৩.৮ এবং ৩.১।

    এলাকায় এই ঘটনায় তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। এলাকার মানুষের মধ্যে শোরগোল পড়ে যায়। ভয়ে মানুষ এদিকে ওদিকে ছোটাছুটি শুরু করে দিয়েছিলেন। উল্লেখ্য আবারও আফগানিস্তানের এদিন ভূমিকম্প অনুভব করা যায়। এই কম্পনের কেন্দ্র ছিল হেরাট প্রদেশে এবং কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৩।

    ভূবিজ্ঞানীদের মতামত

    দিল্লির ভূমিকম্প (Earthquake) নিয়ে, ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির নির্দেশক ভূবিজ্ঞানীর ওপি মিশ্র জানিয়েছেন, “ভারতে ভূমিকম্পের প্রবণতা রয়েছে। প্রতিদিন খুব মৃদু মাত্রায় ভূমিকম্প হয়ে থাকে। জমে থাকা শক্তি মাঝে মাঝেই মুক্ত হতে থাকে। ফলে সেই থেকেই অনেক সময় কম্পন জোরাল হয়ে যায়।” ভারতের টেকটনিক প্লেটের সংঘর্ষের কারণে ভারতীয় উপমাহদেশের ঘনঘন ভূমিকম্প হয়। সম্প্রতি সময়কালে বারবার কম্পনের কবলে পড়েছে দিল্লি। আগামী দিনে বড় বিপর্যয়ের সম্ভাবনার কথাও বিজ্ঞানীরা বলেছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share