Tag: EC Mamata Conflict

  • Election Commission: স্পষ্ট সংঘাত! রাজ্যের পাঠানো আধিকারিকদের নামের তালিকা পছন্দ হল না নির্বাচন কমিশনের

    Election Commission: স্পষ্ট সংঘাত! রাজ্যের পাঠানো আধিকারিকদের নামের তালিকা পছন্দ হল না নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের এখনও কয়েক মাস বাকি। তার আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্য বনাম কমিশন , জোর সংঘাত। ভোটার লিস্টে কারচুপির অভিযোগে, ২ ইআরও, ২ এইআরওকে সাসপেন্ড করে তাদের বিরুদ্ধে এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন (Election Commission)। যা নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছেন, রাজ্যের কোনও অফিসারকে তিনি সাসপেন্ড হতে দেবেন না। এর পরই কমিশনের স্পষ্ট কথা, নির্দেশ মেনে পদক্ষেপ না হলে মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। এই আবহে রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (CEO) দফতরে অতিরিক্ত সিইও, ডেপুটি সিইও এবং যুগ্ম সিইও পদমর্যাদার আধিকারিক পদে রাজ্যের পাঠানো ৯ জনের প্যানেলই বাতিল করল কমিশন। রাজ্যের কাছে নতুন তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়েছে।

    নয়া তালিকা পাঠাতে নির্দেশ

    রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে প্রয়োজন অতিরিক্ত সিইও, ডেপুটি সিইও এবং যুগ্ম সিইও পদমর্যাদার আধিকারিক। নিয়ম অনুযায়ী ওই সব পদের জন্য কমিশনে নামের তালিকা পাঠায় রাজ্য। সেই মতো এ বারেও নামের তালিকা পাঠিয়েছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তবে সেই তালিকা সম্পূর্ণ খারিজ করে দিল কমিশন (Election Commission)। আবার নতুন করে নামের তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে। যে তিনটি পদে আধিকারিকদের দায়িত্ব দেওয়া হবে সাধারণত ওই পদগুলির দায়িত্ব সামলান ডব্লিউবিসিএস পদমর্যাদার আধিকারিকেরা। সেই অনুযায়ী প্রতি পদের জন্য রাজ্যের পক্ষ থেকে তিন জন করে আধিকারিকের নাম পাঠানো হয়েছিল কমিশনে। তবে নয় জনের মধ্যে থেকে এক জনকেও ‘পছন্দ’ হয়নি কমিশনের। তাই ‘আপত্তি’ জানিয়ে নতুন করে নবান্নে নামের তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন।

    রাজ্যের তালিকায় কাদের নাম

    ইতিমধ্যেই কমিশনে এসআইআর নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। কমিশনের তরফে সিইও দফতরে সেই বিষয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (অ্যাডিশনাল সিইও) হিসেবে বিশেষ সচিব সুদীপ মিত্র, বিধাননগর পুরসভার বিশেষ সচিব সুজয় সরকার ও পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়নের অতিরিক্ত সচিব সুদীপ সরকারের নাম পাঠানো হয়। যুগ্ম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (জয়েন্ট সিইও) হিসেবে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের অতিরিক্ত সচিব অরুন্ধতী ভৌমিক, স্টাফ সিলেকশন কমিশনরের সচিব সৌম্যজিৎ দেবনাথ ও স্বাস্থ্য দফতরের অতিরিক্ত সচিব বহ্নিশিখা দে-র নাম পাঠানো হয় ও ডেপুটি সিইও পদের জন্য বিদ্যুৎ দফতরের যুগ্ম সচিব বা জয়েন্ট সেক্রেটারি রঞ্জন চক্রবর্তী, বিধাননগরের ল্যান্ড ম্যানেজার রাজীব মণ্ডল ও পূর্ত দফতরের যুগ্ম সচিব প্রিয়রঞ্জন দাসের নাম পাঠিয়েছিল রাজ্য। বুধবার কমিশনের (Election Commission) তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ওই তালিকা পছন্দ নয়। নতুন তালিকা বানিয়ে পাঠাতে হবে কমিশনে। অন্যদিকে, এটাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে বেশিদিন ওই শূন্যপদ ফেলে রাখা যাবে না।

  • Election Commission: মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা! ৪ অফিসারের বিরুদ্ধে এফআইআর-এর নির্দেশ কমিশনের

    Election Commission: মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা! ৪ অফিসারের বিরুদ্ধে এফআইআর-এর নির্দেশ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার লিস্টে কারচুপির অভিযোগে মঙ্গলবার বারুইপুর পূর্ব ও ময়না বিধানসভা কেন্দ্রের দুই ইআরও (Electoral Registration Officer) এবং দুই সহকারী ইআরও-কে সাসপেন্ড করেছে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রুজুর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। দ্রুত এঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পুঙ্খাপুঙ্খানুরূপে ব্যবস্থা নেওয়ার পর কমিশনের কাছে একটি রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, নির্দেশ মতো ব্যবস্থা না-হলে মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করতে পারে কমিশন (Election Commission)।

    কী অভিযোগ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে

    নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) তরফে জানানো হয়েছে, ওই চার আধিকারিক কমিশনের হয়ে কাজ করার সময় গোপনীয়তা বজায় রাখতে পারেননি। কয়েকজন ব্যক্তির হাতে তাঁদের লগ-ইন আইডি ও পাসওয়ার্ড তুলে দিয়েছেন। অন্যদিকে নাম নথিভুক্তির সময়েও বেশ কিছু ভুল তথ্য নথিভুক্ত করেছেন। আধিকারিকদের এই ধরনের কার্যকলাপকে অপরাধমূলক বলে অ্যাখ্যা দিয়েছে কমিশন। এই কারণেই দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় নিযুক্ত মোট চারজনকে সঙ্গে সঙ্গে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, বারুইপুর পূর্বের ইআরও এবং এইআরও ছিলেন দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী এবং তথাগত মণ্ডল। ময়না বিধানসভা কেন্দ্রে ওই দুই পদে কাজ করছিলেন বিপ্লব সরকার ও সুদীপ্ত দাস। এই চারজন আধিকারিক ছাড়াও সুরজিৎ হালদার নামে একজন ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের নামেও এফআইআর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরা সকলেই ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে যুক্ত ছিলেন।

    মমতার হুমকি

    এ প্রসঙ্গে নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রশাসনের কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তাঁর মতে, এই সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত আদতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। নির্বাচন আসার আগেই পরিকল্পিতভাবে রাজ্যের প্রশাসনিক পরিকাঠামোয় চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে কমিশন। হুঁশিয়ারির সুরে তিনি এও বলেন, “ভোট তো এখনও আট মাস বাকি। এখন থেকেই অফিসারদের ভয় দেখাচ্ছো? ক্ষমতা দেখাচ্ছো? কার ক্ষমতা দিয়ে এই কাজ করছো? আমরা সহ্য করব না।” তিনি বলেছেন, ‘‘আমি কারও কোনও পানিশমেন্ট (শাস্তি) হতে দেব না।’’

    কমিশনের পাল্টা

    ঘটনাচক্রে, মুখ্যমন্ত্রীর (EC Mamata Conflict) ওই মন্তব্যের পরই কমিশন সূত্রে জানা যায়, নির্দেশ মোতাবেক পদক্ষেপ না হলে মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করতে পারে তারা। তাদের ব্যাখ্যা, ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ সারা বছর ধরে হতে পারে। এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। সংবিধানের ৩২৪ ধারা কমিশনকে পূর্ণ ক্ষমতা দিয়েছে ভোটার তালিকা তৈরি করা এবং নির্বাচন করানোর। সেই কাজে লোক দিতে বাধ্য রাজ্য সরকার। কমিশন এবং ইআরও-র মাঝে আর কেউ নেই বলেই দাবি ওই সূত্রের।

    মানবিক দৃষ্টিতে দেখার আর্জি

    ওই চার জনের মধ্যে দু’জন রয়েছেন ডব্লিউবিসিএস আধিকারিক। তাঁদের বিরুদ্ধে কমিশনের নির্দেশের প্রেক্ষিতে বুধবার নবান্নে চিঠি পাঠিয়েছে আমলাদের এক সংগঠন। কমিশনের ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছে ডব্লিউবিসিএস (এক্সিকিউটিভ) অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। কমিশনের ওই নির্দেশকে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিবেচনা করার জন্য মুখ্যসচিবকে অনুরোধ করেছে আমলাদের সংগঠন। চিঠিতে তারা জানিয়েছে, নির্বাচনী প্রক্রিয়ার পবিত্রতা এবং সততা বজায় রাখা যেমন প্রয়োজন, তেমনই এই ধরনের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ন্যায্য ভাবে তা বিবেচনা করা উচিত।

    অপরাধ প্রমাণিত হলে, জেল!

    ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন মোতাবেক, রাজ্যের যেসকল কর্মী ভোটার তালিকার সংশোধন বা সমীক্ষা সংক্রান্ত কাজে যুক্ত থাকেন, তাঁরা ডেপুটেশনে নির্বাচন কমিশনের কর্মী হিসেবে কাজ করছেন বলে গণ্য হয়। সেই হিসেবে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের পাশাপাশি জেলা নির্বাচন আধিকারিক, নির্বাচন নিবন্ধন আধিকারিক, সহকারী নির্বাচন নিবন্ধন আধিকারিকরাও কমিশনের অধীনস্থ এই সময়। কমিশনের (Election Commission) নির্দেশ মেনে তাঁরা কাজ না করলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে কমিশন। অপরাধ প্রমাণ হলে তিন মাস থেকে দু’বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডও হতে পারে। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে পাঠানো চিঠিতে সে কথাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

LinkedIn
Share