Tag: ECI

ECI

  • NYT: রাহুলের ভুয়ো ভোট চুরির খবর রসিয়ে প্রকাশ বিদেশি সংবাদ মাধ্যমের

    NYT: রাহুলের ভুয়ো ভোট চুরির খবর রসিয়ে প্রকাশ বিদেশি সংবাদ মাধ্যমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে ভোট চুরির অভিযোগে সরব হয়েছিলেন (NYT) কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এর পর বিজেপি-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত ‘ইন্ডি’জোটকে সঙ্গে নিয়ে তিনি সরাসরি আক্রমণ করে বসেন ভারতের নির্বাচন কমিশনকে। তাঁর আক্রমণের জেরে হাতে তাস পেয়ে যায় বিভিন্ন বিদেশি সংবাদ মাধ্যম। এর মধ্যে রয়েছে, ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’, ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’ এবং ‘আল জাজিরা’ও। তারা প্রকাশ করছে বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন। রাহুল গান্ধীর ভিত্তিহীন অভিযোগগুলিকে প্রকাশ করা হয়েছে বেশ রসিয়ে। রাহুলের এই আলটপকা মন্তব্যের জেরে যে দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বের দরবারে কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, সে বোধ বোধহয় ছিল না কংগ্রেসের এই ‘পাপ্পু’র।

    সংসদ ভবনের বাইরে হট্টগোল (NYT)

    জানা গিয়েছে, সোমবার ইন্ডিজোটের নেতারা সংসদ ভবনের বাইরে হট্টগোল করতে শুরু করেন। পরে সংসদ ভবন থেকে নির্বাচন কমিশনের সদর দফতর পর্যন্ত পদযাত্রাও করেন। এই মিছিল থেকে কিছুক্ষণের জন্য দিল্লি পুলিশ আটক করে রাহুল ও তাঁর বোন প্রিয়ঙ্কাকে। এর জেরে বিরোধী নেতা ও পুলিশ কর্মীদের মধ্যে শুরু হয় ধস্তাধ্বস্তি। তাঁরা পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েও পড়েন। সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্র ও সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের মতো কয়েকজন নেতা আবার পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড টপকেও এগিয়ে যান।

    রসিয়ে খবর বিদেশি সংবাদ মাধ্যমের

    ইন্ডিজোটের এই পদযাত্রা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ (NYT) করেছে ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’। হেডলাইনে তারা লিখেছে, ‘ইন্ডিয়ান ল-মেকার্স ডিটেইনড ফর প্রোটেস্টিং ইলেকশন ইরেগুলারিটিজ’, যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, “নির্বাচনী অনিয়মের প্রতিবাদ করায় ভারতীয় আইনপ্রণেতারা আটক”। বস্তুত নিউ ইয়র্ক টাইমসের এই শিরোনাম আসলে বিরোধীদের কারচুপির অভিযোগকে বিশ্বাসযোগ্যতা দেওয়ার চেষ্টা।

    রসিয়ে খবরটি পরিবেশন করেছে ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’ও। তারা আবার কৌশলে বিহারে ভারতের নির্বাচন কমিশন (Rahul Gandhi) কর্তৃক পরিচালিত নিয়মিত বিশেষ নিবিড় পুনর্বিবেচনা মহড়াকে অভিহিত করেছে ‘বিতর্কিত ভোটার তালিকা পুনর্বিবেচনা’ বলে (NYT)।

  • Election Commission: ‘খসড়া তালিকায় না থাকা ভোটারদের নাম প্রকাশের আইনত বাধ্যবাধকতা নেই’, সুপ্রিম কোর্টে বলল কমিশন

    Election Commission: ‘খসড়া তালিকায় না থাকা ভোটারদের নাম প্রকাশের আইনত বাধ্যবাধকতা নেই’, সুপ্রিম কোর্টে বলল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন নিয়ে উত্তাল জাতীয় রাজনীতি ৷ এরই মধ্য়ে নির্বাচন কমিশন (ECI) সুপ্রিম কোর্টকে (Supreme Court) জানিয়েছে যে, খসড়া ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়া ব্যক্তিদের নামের আলাদা তালিকা তৈরি বা প্রকাশ করার জন্য আইনে কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। কমিশনের দাবি, যেসব ব্যক্তির নাম তালিকায় নেই, তাদের অনুপস্থিতির কারণ (যেমন মৃত্যু, রাজ্য ত্যাগ, নামের পুনরাবৃত্তি বা অননুসন্ধানযোগ্যতা) জানানোও আইনসঙ্গত নয়। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে বিশেষ সংশোধনের পর কাদের নাম বাদ গিয়েছে তা আলাদা তালিকা প্রকাশ করে জানানো হবে না৷ কেন বাদ গেল তাও বলবে না তারা ৷ তবে যাঁদের নাম গিয়েছে তাঁদের কাছে নোটিশ যাবে ৷ তাঁরা আবেদনের সুযোগও পাবেন ৷ তাঁদের অন্ধকারে রেখে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না ৷

    কেন এই সিদ্ধান্ত

    বিহারে সংশোধিত ভোটার তালিকা প্রকাশের পর এনজিও অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (ADR)-এর এক আবেদনের প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতে এই অভিমত প্রকাশ করে কমিশন। ওই আবেদনপত্রে বিহারে চলমান বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) পর্বে প্রায় ৬৫ লক্ষ ভোটারের ফর্ম জমা না পড়ার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল এবং বুথভিত্তিক তালিকা প্রকাশের দাবি জানানো হয়। আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ ও নেহা রাঠি আদালতে সওয়াল করেন। জাতীয় নির্বাচন কমিশন পাল্টা অভিযোগে জানিয়েছে, অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (ADR) আদালতকে “ভুল পথে চালিত করছে” এবং এ বিষয়ে আদালত অবমাননার মামলাও দাবি করেছে। কমিশনের মতে, আবেদনকারী এই তালিকা কোনও “অধিকারের প্রশ্নে” চাইতে পারে না।

    আইনি ধারার উল্লেখ

    নির্বাচন কমিশন ১৯৫০ সালের প্রতিনিধিত্ব আইন এবং ১৯৬০ সালের ভোটার নিবন্ধন বিধিমালা (Rules 10 ও 11)-এর উল্লেখ করে জানিয়েছে যে, তারা আইনি দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছে। নিয়ম ১০ অনুযায়ী, খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পরে তা সাধারণ মানুষের পরিদর্শনের জন্য ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারের (ERO) অফিসের বাইরে রাখা হয়। নিয়ম ১১ অনুযায়ী, স্বীকৃত রাজনৈতিক দলগুলিকে প্রতিটি অংশের দুটি কপি সরবরাহ করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের জন্য তালিকাটি পাঠানো হয়। কমিশন দাবি করেছে, তারা রাজনৈতিক দলগুলিকে এমন একটি তালিকাও সরবরাহ করেছে যেখানে সেইসব ভোটারদের নাম রয়েছে যাদের নাম খসড়া তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এমনকি সিপিআই(এম-এল)-এর পক্ষ থেকেও সেই তালিকার গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ রয়েছে বলে জানায় ইসি। শনিবার সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হলফনামায় কমিশন এই ধরনের নানা তথ্য জানিয়েছে৷ তাতে আরও বলা হয়েছে, বিহারে এখন মোট ৭.২৪ কোটি ভোটার রয়েছেন ৷ বিশেষ সংশোধনের পর বাদ গিয়েছে ৬৫ লাখ নাম৷ কমিশনের দাবি, এঁদের অনেকেই প্রয়াত হয়েছেন৷ বাকিরা এখন আর বিহারের বাসিন্দা নন৷

    হলফনামায় কমিশনের তিন দাবি

    হলফনামায় কমিশনের তরফে আলাদা করে তিনটি বিষয়ের উল্লেখ করা হয়েছে৷ সেখানে বলা হয়েছে, আগাম নোটিশ না দিয়ে কারও নাম চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে না৷ সকলে আবেদনের সুযোগ পাবেন৷ শেষমেশ কমিশন যদি কারও নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সেটিও কোনও প্রশাসনিক সংস্থার মাধ্যমে ভোটারকে জানানো হবে৷ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে যাতে এ নিয়ে কোনও সংশয় না থাকে তা নিশ্চিত করবে কমিশন৷ তাছাড়া কোনও ভোটারকে আবেদন করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নথি সংগ্রহ করতে হবে৷ তার জন্য নির্দিষ্ট সময়ও দেওয়া হবে৷ হলফনামার অন্য় একটি অংশে কমিশন জানিয়েছে, কোনও বৈধ ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়নি৷ জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে৷

    সুপ্রিম-মতের অপেক্ষা

    কমিশন আরও জানিয়েছে, ১ অগাস্ট খসড়া তালিকা প্রকাশের পরে ৭ অগাস্ট বুথ স্তরের অফিসাররা (BLOs) রাজনৈতিক দলের বুথ স্তরের এজেন্টদের (BLAs) সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তালিকাভুক্ত না হওয়া ভোটারদের নাম পড়ে শোনানো হয় এবং ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ফর্ম জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এসআইআর নিয়ে শেষ কয়েকদিন ধরে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে৷ এরই মধ্যে ১ অগাস্ট বিশেষ সংশোধনের পর তালিকা প্রকাশ করেছে কমিশন৷ তারপর থেকে প্রতিবাদ আরও জোরালো হয়েছে৷ সুপ্রিম কোর্টে মামলাও দায়ের হয়েছে৷ আবেদনকারী জানতে চেয়েছিলেন, কেন ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ গেল৷ শুনানিতে এই বিষয়টি ওঠার পর দেশের নির্বাচন আয়োজনের নিয়ামক সংস্থা হলফনামা দিল৷ আপাতত শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সূর্য কান্তর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছে৷ নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য অনুযায়ী, খসড়া ভোটার তালিকায় নাম না থাকা ব্যক্তিদের আলাদা তালিকা প্রকাশের আইনি প্রয়োজন নেই, এবং তারা সমস্ত আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই কাজ করছে। এখন সুপ্রিম কোর্ট কী নির্দেশ দেয়, সেটাই দেখার।

  • Rahul Gandhi: কর্নাটকের মহাদেবপুরা বিধানসভা নিয়ে রাহুলের দাবি নস্যাৎ করলেন বাড়ির মালিক

    Rahul Gandhi: কর্নাটকের মহাদেবপুরা বিধানসভা নিয়ে রাহুলের দাবি নস্যাৎ করলেন বাড়ির মালিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গালুরুর কেন্দ্রীয় লোকসভা আসনে ভোটার তালিকা নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ তোলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) অভিযোগ তুলেছিলেন যে, মহাদেবপুরা বিধানসভা এলাকার ভোটার তালিকায় অস্বাভাবিক সংখ্যক ভুয়ো নাম জুড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ওই বাড়ির মালিক জানিয়েছেন যে, তালিকাভুক্ত ৮০ জন বাসিন্দা কখনও লোকসভা নির্বাচনে ভোট দেননি। তারা শুধুমাত্র পরিযায়ী শ্রমিক, এবং ঠিকানার প্রমাণ হিসেবে ওই ঠিকানা ব্যবহার করে ভোটার কার্ড তৈরি করেছেন। এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম গ্রাউন্ড জিরো তদন্তেই উঠে এসেছে এই রিপোর্ট। সেখানেই রাহুলের দাবি যে সম্পূর্ণ মিথ্যা, তা জানিয়েছেন আবাসনের মালিক জয়রাম রেড্ডি।

    কী জানালেন জয়রাম রেড্ডি?

    প্রসঙ্গত, ওই বাড়ির মালিক জয়রাম রেড্ডিকে বিজেপির সমর্থক বলে কটাক্ষ করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তবে জয়রাম রেড্ডি রাহুল গান্ধীর সেই দাবিকে মিথ্যা বলে প্রমাণ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তিনি নিজে একজন কংগ্রেস সমর্থক এবং তাঁর বিজেপির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি আরও জানান, যাঁরা এই ঠিকানা ব্যবহার করে ভোটার কার্ড তৈরি করেছেন, তাঁরা মূলত পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁদের উদ্দেশ্য ভোট দেওয়া নয়, বরং ঠিকানার প্রমাণপত্র হিসেবে ভোটার কার্ড তৈরি করানো (Bengaluru)।

    সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে অসম্মানের অভিযোগ রাহুলের বিরুদ্ধে

    গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকেরা লোকসভার বিরোধী দলনেতার কাছে অভিযোগের বিষয়ে হলফনামা-সহ তথ্যপ্রমাণ চান। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে রাহুল অসম্মান করতে চাইছেন বলে কমিশনের আধিকারিকেরা অভিযোগ করেন। অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করছেন, পরপর তিনবার লোকসভা নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর রাহুল গান্ধী এখন নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করে আসলে ব্যর্থতা থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা করছেন। তাঁদের বক্তব্য, বর্তমানে কংগ্রেসের হাতে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো কোনও শক্তিশালী ইস্যু নেই। ফলে জনগণের রায় মেনে নেওয়ার পরিবর্তে রাহুল গান্ধী নির্বাচন প্রক্রিয়া, ভোটার তালিকা এবং প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে চলেছেন।

  • EC: নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ‘বিস্ফোরক’ অভিযোগ রাহুলের, কী বললেন আধিকারিকরা?

    EC: নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ‘বিস্ফোরক’ অভিযোগ রাহুলের, কী বললেন আধিকারিকরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের (EC) বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা লোকসভার সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। শুক্রবার বিরোধী দলের নেতার করা সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রীতিমতো বিবৃতি প্রকাশ করে কমিশন ‘উল্টোপাল্টা’ অভিযোগ করায় তাঁর ব্যাপক সমালোচনা করেছে। তাঁর অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন বলেও মন্তব্য করেছে কমিশন।

    কমিশনের চিঠির উত্তর দেননি রাহুল! (EC)

    এও জানিয়ে দিয়েছে, বহুবার যোগাযোগ করা সত্ত্বেও তিনি কমিশনের সঙ্গে কোনও ধরনের আলোচনা করতে অস্বীকার করেন। বিবৃতিতে কমিশন জানিয়েছে, ভারতীয় নির্বাচন কমিশন তাঁকে ১২ জুন ২০২৫-এ একটি ইমেল পাঠায়। তিনি আসেননি। ওই দিনই তাঁকে একটি চিঠিও পাঠানো হয়। যদিও তিনি তারও কোনও উত্তর দেননি। তিনি কখনও কোনও বিষয়েই ভারতীয় নির্বাচন কমিশনকে কোনও চিঠি পাঠাননি। এটা অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয় যে তিনি এখন বেপরোয়া সব অভিযোগ করছেন। এমনকি এখন তিনি নির্বাচন কমিশন ও তার কর্মীদের হুমকিও দিচ্ছেন। নিন্দনীয়! কমিশন এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন বিবৃতি উপেক্ষা করে। কর্মীদের নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশও দিয়েছে কমিশন।

    কী বলছে নির্বাচন কমিশন

    নির্বাচন কমিশন (EC) বলেছে, “প্রতিদিন যে ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন তা উপেক্ষা করে এবং প্রতিদিন যে ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, তার পরেও সব নির্বাচন আধিকারিককে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছভাবে কাজ করার সময় এসব দায়িত্বজ্ঞানহীন বিবৃতি উপেক্ষা করতে বলা হয়েছে।”

    বৃহস্পতিবার রাহুল গান্ধী সংসদের বাইরে সাংবাদিকদের বলেন, “নির্বাচন কমিশন ভোট চুরিতে সাহায্য করছে এবং বিজেপির পক্ষে কাজ করছে।আমাদের কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে নির্বাচন কমিশন ভোট চুরিতে জড়িত। আমি ১০০ শতাংশ প্রমাণ-সহ বলছি।” কংগ্রেসের এই নেতা আরও বলেন, “আমার দলের ছ’মাসের একটি তদন্ত রিপোর্ট শীঘ্রই একটি “পারমাণবিক বোমা” প্রকাশ করবে। আমরা যে মুহূর্তে এটি প্রকাশ করব, পুরো দেশ জেনে যাবে যে নির্বাচন কমিশন বিজেপির হয়ে ভোট চুরিতে সাহায্য করছে।”

    মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং লোকসভা নির্বাচনে সন্দেহজনক ঘটনার কথা উল্লেখ করে রাহুল অভিযোগ করেন, কমিশনের ভেতরে ওপর থেকে নীচ পর্যন্ত যাঁরা দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁরা দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন (EC)। তিনি বলেন, “আমরা ওঁদের ছেড়ে দেব না। কারণ ওঁরা ভারতের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। এটা রাষ্ট্রদ্রোহ। এর চেয়ে কম কিছু নয় (Rahul Gandhi)।”

  • ECI: বিহারে ৭.২৪ কোটিরও বেশি ভোটার স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন, জানাল নির্বাচন কমিশন

    ECI: বিহারে ৭.২৪ কোটিরও বেশি ভোটার স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন, জানাল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারে (Bihar) মোট ৭.৮৯ কোটি নথিভুক্ত ভোটারের মধ্যে ৭.২৪ কোটিরও বেশি মানুষ স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন (SIR) প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে তাঁদের গণনার ফর্ম জমা দিয়েছেন। ২৪ জুন থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলেছে। এতে ৯১.৬৯ শতাংশ ভোটার অংশগ্রহণ করেছেন। রবিবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের (ECI) তরফে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

    এসআইআর প্রক্রিয়া (ECI)

    কমিশন এই এসআইআর প্রক্রিয়াকে একটি ব্যাপক ও সফল নাগরিক অংশগ্রহণের প্রচেষ্টা বলে অভিহিত করেছে। এর লক্ষ্য হল, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকাগুলির যথার্থতা বাড়ানো। জাতীয় নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত একটি সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই গণনা প্রক্রিয়া বিহারের ৩৮টি জেলায়ই ভোটার রেকর্ড যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে চালু করা হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, এসআইআরের প্রধান লক্ষ্য ছিল সমস্ত ভোটার ও রাজনৈতিক দলগুলির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। তারা আরও জানিয়েছে, বুথ লেভেল অফিসার, বুথ লেভেল এজেন্ট, স্বেচ্ছাসেবক ও রাজনৈতিক কর্মীদের ভূমিকাও এই প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বুথ লেভেল এজেন্টদের সংখ্যা ১৬ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। িসিপএেমর ১০৮৩ শতাংশ, কংগ্রেসের ১০৫ শতাংশ এবং সিপিআইয়ের ৫৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিজেপির সংখ্যা বেড়েছে ৩ শতাংশ। আর আরজেডি এবং জেডিইউয়ের বুথ লেভেল এজেন্টের সংখ্যা সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

    তিন দফায় ফর্ম বিলি

    বুথস্তরের (Bihar) অফিসাররা প্রতিটি নথিভুক্ত ভোটারের বাড়িতে গিয়ে অন্তত তিন দফায় ফর্ম বিলি ও সংগ্রহ করেন (ECI)। শহরাঞ্চলের ভোটার, প্রথমবারের তরুণ ভোটার এবং বিহার থেকে অস্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত ভোটারদের কথা মাথায় রেখে অতিরিক্ত উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রবাসী ভোটারদের কাছে পৌঁছতে ২৪৬টি পত্রিকায় একটি পুরো পাতাজুড়ে হিন্দিতে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। বিহারের প্রধান নির্বাচনী অফিসার সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে চিঠি লেখেন, যাতে তারা বিহার থেকে আগত অভিবাসীদের গণনায় অংশগ্রহণের জন্য সাহায্য করে (Bihar)। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রায় ২৯ লক্ষ ফর্ম অনলাইনে পূরণ বা ডাউনলোড করা হয়েছে, যার মধ্যে ১৬ লক্ষেরও বেশি ফর্ম জমা দেওয়া হয়েছে (ECI) ডিজিটাল মাধ্যমে।

  • Bihar Electoral Revision: বিহারে ১৮ লাখ মৃত ভোটার রয়েছে তালিকায়, দু’জায়গায় নাম ৭ লাখের, জানাল কমিশন

    Bihar Electoral Revision: বিহারে ১৮ লাখ মৃত ভোটার রয়েছে তালিকায়, দু’জায়গায় নাম ৭ লাখের, জানাল কমিশন

    মাধ্যম নিজ ডেস্ক: বিহারে নির্বাচন কমিশনের সমীক্ষা (Bihar Electoral Revision) বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনে, সংক্ষেপে ‘SIR’, উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ভোটার তালিকায় নাম থাকা ১৮ লক্ষ মৃত ব্যক্তি এখনো তালিকায় রয়েছেন। এর পাশাপাশি, ২৬ লক্ষ ভোটারের নাম তালিকায় রয়েছে, যাঁরা ইতিমধ্যেই অন্যত্র স্থানান্তরিত হয়েছেন। এছাড়াও নির্বাচন কমিশনের (ECI) তথ্যে জানা গেছে, ৭ লক্ষ ভোটারের নাম দুটি স্থানে একসঙ্গে রয়েছে।

    মোট ভোটারের সংখ্যা ৭ কোটি ৮৯ লক্ষ ৬৯ হাজার ৮৪৪ জন

    ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন (ECI) যে পরিসংখ্যান দিয়েছে, তাতে জানানো হয়েছে, বিহারে মোট ভোটারের সংখ্যা ৭ কোটি ৮৯ লক্ষ ৬৯ হাজার ৮৪৪ জন। এর মধ্যে ৯৭.৩০ শতাংশ, অর্থাৎ ৭ কোটি ৬৮ লক্ষ ৩৪ হাজার ৪২৮ জন ভোটারের নাম তালিকায় যাচাই করা হয়েছে। বাকি ২.৭০ শতাংশ এখনো যাচাই বাকি রয়েছে। নির্বাচন কমিশন আরও জানিয়েছে, তারা সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে একযোগে কাজ করছে। এখনও পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের (Bihar Electoral Revision) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৫২.৩০ লক্ষ ভোটার তালিকায় রয়ে গেছেন, যাঁরা আসলে বাতিল হওয়ার কথা — হয় তাঁরা মারা গেছেন, নয়তো স্থায়ীভাবে অন্যত্র স্থানান্তরিত হয়েছেন, অথবা তাঁদের নাম দুটি জায়গায় রয়েছে।

    ১ অগাস্ট থেকে চলবে তালিকা সংশোধনের কাজ

    প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন (Bihar Electoral Revision) জানিয়েছে, এক মাস সময় ধরে — ১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত — ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ চলবে। এই সময়ের মধ্যে সংযোজন, সংশোধন ও অপসারণ হবে। এই পরিস্থিতিতে, একদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা শোনা যাচ্ছে, আবার বিরোধীরা ভোটার তালিকার সংশোধন বা সংযোজন প্রক্রিয়ায় সম্মত হচ্ছেন না। তাঁদের মতে, এভাবে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে চাইছে ইন্ডিয়া সরকার। চলতি বছরের শেষের দিকে, অক্টোবর অথবা নভেম্বর মাসে বিহারে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই ভোটার কার্ড ও তালিকা বাছাইয়ের কাজ শুরু করে দিয়েছে। বিহারের (Bihar Electoral Revision) প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো হলো বিজেপি, জেডি(ইউ) এবং এলজেপি।

  • Bihar Electoral Rolls: “আধার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়, রেশন কার্ড বোগাস,” সুপ্রিম কোর্টে জানাল নির্বাচন কমিশন

    Bihar Electoral Rolls: “আধার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়, রেশন কার্ড বোগাস,” সুপ্রিম কোর্টে জানাল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আধার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়, রেশন কার্ড বোগাস, সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্রও ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়।” বিহার বিধানসভা নির্বাচনের (Bihar Electoral Rolls) আগে তালিকা সংশোধনের কাজ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে (Supreme Court) সাফ জানিয়ে দিল ভারতের নির্বাচন কমিশন। কমিশনের মতে, সেই কারণে এই সব নথি ভোটার তালিকায় নাম থাকার জন্য বাধ্যতামূলক প্রমাণ হতে পারে না।

    নাগরিকত্বের প্রমাণ চাওয়ার অধিকার আছে কমিশনের (Bihar Electoral Rolls)

    শীর্ষ আদালতকে নির্বাচন কমিশন এও জানিয়েছে, বিহারের বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে নাগরিকত্বের প্রমাণ চাওয়ার অধিকার ও কর্তৃত্ব তাদের আছে। একগুচ্ছ আবেদনের প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের তলব করা প্রতি-হলফনামায় একথা জানিয়েছে কমিশন। আবেদনকারীদের দাবি ছিল, ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে কমিশন নিজের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে কাজ করছে। তার জবাবে কমিশন বলেছে, একমাত্র ভারতীয় নাগরিকরাই ভোটার তালিকায় নাম তুলতে পারবেন এবং তা দেখা, পর্যালোচনার একমাত্র বিধিবদ্ধ দায়বদ্ধতা রয়েছে কমিশনেরই।

    ভোটার তালিকায় নাম থাকার ন্যূনতম যোগ্যতা

    কমিশন দেশের শীর্ষ আদালতকে এও জানিয়েছে, দেশের ভোটার তালিকায় নাম থাকার (Bihar Electoral Rolls) ন্যূনতম যোগ্যতা হচ্ছে তাঁকে ভারতের নাগরিক হতে হবে। যে কারণে কমিশনের কর্তব্য ও দায়িত্ব হল, সেই শর্ত পূরণ হচ্ছে কিনা, তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিচার করা। ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে বহু নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগের জবাবে কমিশন আদালতকে জানিয়েছে, ভোটার রেজিস্ট্রেশন অফিসার যখন দেখছেন কোনও ব্যক্তির নাম তালিকায় থাকার কোনও যোগ্যতা নেই, তখনই তাঁদের নাম বাদ যাচ্ছে। তাই এক্ষেত্রে বৈষম্যের যে অভিযোগ উঠছে, তার কোনও ভিত্তিই নেই।

    দেশের শীর্ষ আদালতে কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তাদের একমাত্র লক্ষ্য হল ভারতের নাগরিক নন, এমন ব্যক্তির নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া। এই কাজের জন্য নাগরিকত্ব আইন, ১৯৫৫ মোতাবেক তাদের সেই ক্ষমতা রয়েছে। ভোটার কার্ড সম্পর্কে নির্বাচন কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, “সচিত্র পরিচয়পত্র তার স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী, কেবলমাত্র ভোটার তালিকার বর্তমান অবস্থা প্রতিফলিত করে এবং এটি নিজে থেকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির আগের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারে না।”

    কমিশনের সওয়াল শোনার পর সুপ্রিম কোর্ট এই (Supreme Court) মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে ২৮ জুলাই (Bihar Electoral Rolls)।

  • Bihar Poll 2025: বিহারের ভোটের তালিকায় নেপালি-বাংলাদেশিদের ‘অনুপ্রবেশ’! বাদ লক্ষ নাম, চিন্তিত মমতা?

    Bihar Poll 2025: বিহারের ভোটের তালিকায় নেপালি-বাংলাদেশিদের ‘অনুপ্রবেশ’! বাদ লক্ষ নাম, চিন্তিত মমতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটমুখী বিহারে (Bihar Poll 2025) চলছে ভোটার তালিকা সংশোধন (Special Intensive Revision of voter list)। যাকে বলা হচ্ছে ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন’। অবৈধ অনুপ্রবেশকারী- সহ অযোগ্য ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রায় ৬ কোটি ৬০ লাখ ভোটার রিভিউ ফর্ম পূরণ করেছেন। যা মোট ভোটারের ৮৮.১৮ শতাংশ। ২৫ জুলাই পর্যন্ত ফর্ম পূরণের সময় রয়েছে। প্রাথমিকভাবে খবর, বিহারের (Bihar) বর্তমান ভোটার তালিকা থেকে ৩৯ লাখ ভোটারের নাম বাদ যেতে পারে। তারা ভারতীয় নন বলে কমিশনের বুথ লেভেল অফিসারের চিহ্নিত করেছে। এই নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই সরব হয়েছেন। কেন? আসলে কী ভয়। এ রাজ্যে বিরোধীদের সঙ্গে শাসক দলের ভোটের ফারাক খানিকটা ওরকমই। তাই কী ভয় পাচ্ছেন মমতা?

    ভোটার তালিকায় বিদেশিরা

    এই বছরের অক্টোবর বা নভেম্বরে বিহারে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। তারই প্রস্তুতিতে এখন তৎপর নির্বাচন কমিশন। ভোটার (Bihar Poll 2025) তালিকা সংশোধনের কাজ চলছে জোরকদমে। সেই প্রক্রিয়াতেই উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভোটার তালিকায় নেপাল, বাংলাদেশ ও মায়ানমার থেকে আগত বিপুল সংখ্যক মানুষের নাম রয়েছে বলে দাবি নির্বাচন কমিশনের। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ভোটার তালিকার পর্যালোচনার অংশ হিসেবে বুথ স্তরের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি পরিদর্শনে যাচ্ছেন। তাতেই তাঁদের নজরে আসে ভোটার তালিকায় এই ‘বিদেশি’ অভিবাসীদের উপস্থিতি। কমিশনের মতে, এঁদের মধ্যে কেউই ভারতে ভোটাধিকার পাওয়ার যোগ্য নন। সূত্রের খবর, ১ অগাস্টের পর থেকে কমিশন এই তালিকায় থাকা সন্দেহভাজন নামগুলি নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত চালাবে। সেই অনুসন্ধানের ভিত্তিতে ৩০ সেপ্টেম্বর যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে, তাতে এ ধরনের ‘অবৈধ’ ভোটারদের নাম আর থাকবে না বলেই জানানো হয়েছে।

    স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের উদ্দেশ্য

    বিহারের (Bihar Poll 2025) ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, ২০০৩-এর ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম ছিল, তাঁদের সমস্যা নেই। কিন্তু বাকিদের মধ্যে যাঁদের জন্ম ১৯৮৭ সালের আগে, তাঁদের জন্মের প্রমাণপত্র দিতে হবে। তাঁরা গত লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিয়ে থাকলেও ছাড় নেই। ১৯৮৭ থেকে ২০০৪-এর মধ্যে যাঁরা জন্মেছেন, তাঁদের নিজেদের এবং বাবা-মায়ের মধ্যে যে কোনও এক জনের জন্মের প্রমাণপত্র দিতে হবে। ২০০৪-এর পরে জন্ম হলে নিজের ও বাবা-মায়ের দু’জনেরই জন্মের প্রমাণপত্র দিতে হবে। কমিশন সূত্রের খবর, এই ভুয়ো ভোটার বাছতে গিয়েই ভূরি ভূরি বিদেশি ভোটারের হদিশ মিলছে। এদের অধিকাংশই বাংলাদেশ বা নেপালের বাসিন্দা। কেউ কেউ রয়েছেন মায়ানমারের। সংখ্যাটা সঠিকভাবে জানানো না হলেও সেটা চমকে দেওয়ার মতো। কমিশন সূত্রের খবর, এই ধরনের ভোটারদের নাম আগামী সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত হতে চলে ভোটার তালিকায় রাখা হবে না। ওই ভোটার তালিকায় শুধু ভারতীয়দের নাম থাকবে। সেটাই স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের উদ্দেশ্য।

    সারা দেশে হবে ভোটার তালিকা সংশোধন

    এই পদক্ষেপ শুধু বিহারেই (Bihar Poll 2025) সীমাবদ্ধ থাকবে না, নির্বাচন কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সারা দেশে ভোটার তালিকা পর্যালোচনার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে এমনই কড়া নজরদারি চালানো হবে। সন্দেহজনক ভোটারদের জন্মস্থান যাচাই করে, প্রয়োজনে তাঁদের নাম বাদ দেওয়ার দিকেই এগোবে কমিশন। বাংলায় আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্যে ভোটার তালিকা থেকে এই বিপুল সংখ্যক ভোট বাদ পড়লে সমস্যায় পড়বে মমতা সরকার। টলমল করবে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি। তাই কী ভীত মমতা? তাই কী এই পদক্ষেপের বিপক্ষে সুপ্রিম দুয়ারে কড়া নাড়ছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।

    ৮০ শতাংশ ভোটার ফর্ম জমা দিয়েছেন

    এদিকে বিহারে (Bihar Poll 2025) ২৫ জুলাইয়ের মধ্যেই ভোটার তথ্য যাচাইয়ের কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। কমিশনের দাবি, ইতিমধ্যেই প্রায় ৮০ শতাংশ ভোটার ফর্ম জমা দিয়েছেন। এরই মাঝে, সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে, ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির সময় আধার কার্ড, ভোটার আইডি এবং রেশন কার্ড এই তিনটি নথিকে গ্রহণযোগ্য প্রমাণপত্র হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। পাশাপাশি আদালত এটাও খতিয়ে দেখবে যে, তালিকা সংশোধনের নামে আদৌ কোনও নাগরিক তাঁর ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কিনা। এই পরিস্থিতিতে বিহারে বিধানসভা ভোটের আগে ভোটার তালিকা সংশোধন এখন রাজনীতির অন্যতম স্পর্শকাতর ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।

  • ECI: এবার সময় মতোই জানা যাবে রিয়েল টাইম ভোটদানের হার! বিশেষ অ্যাপ আনছে নির্বাচন কমিশন

    ECI: এবার সময় মতোই জানা যাবে রিয়েল টাইম ভোটদানের হার! বিশেষ অ্যাপ আনছে নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটার নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। বিতর্ক ঘনায় ভোটদানের হার নিয়েও। এবার সেই (Voter Turnout Trends) সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI)। এবার থেকে নির্বাচন চলাকালীন জানা যাবে রিয়েল টাইম ভোটদানের হার। পুরো কাজটি হবে একটি অ্যাপের সাহায্যে। এর নিয়ন্ত্রণ থাকবে প্রিসাইডিং অফিসারের হাতে। জেনে নেওয়া যাক ঠিক কী সেই পদ্ধতি?

    ভিটিআর (ECI)

    নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নয়া এই পদ্ধতিটিকে ভোটার টার্নআউট রেশিও বা ভিটিআর বলা হচ্ছে। ইসিআইএনইটি অ্যাপের সাহায্যে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসাররা নির্বাচনের দিন প্রতি দু’ঘণ্টা অন্তর ভোটদানের তথ্য আপলোড করবে। এক বিবৃতিতে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এই নয়া প্রক্রিয়ায় প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ভোটের দিন প্রতি দু’ঘণ্টা অন্তর নতুন ইসিআইএনইটি অ্যাপে সরাসরি ভোটদানের হার তুলে ধরবেন। এতে ভোটদানের হার আপডেট করার সময়সীমা কমানো যাবে। তবে এই নয়া পদ্ধতি চালু করার কথা বললেও, পুরনো পদ্ধতি অর্থাৎ পোলিং এজেন্টদের ফর্ম ১৭সি পূরণ করার নিয়মে কোনও বদল আনা হচ্ছে না।

    ভোটদানের হার

    প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানার নির্বাচনের পর ভোটদানের হার সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ তুলে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি। এমনই আবহে চলতি বছরই বিধানসভা নির্বাচন হবে বিহারে। বছর ঘুরলেই বাংলার নির্বাচন, ভোট হবে তামিলনাড়ুতেও। নয়া পদ্ধতি চালু করে ভোট প্রক্রিয়াকে আরও অভিযোগমুক্ত করতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। জানা গিয়েছে, প্রতি দু’ঘণ্টা অন্তর প্রিসাইডিং অফিসাররা সরাসরি ভোটদানের হার (ECI) আপলোড করবেন। নির্বাচন কমিশনের নির্দিষ্ট অ্যাপ ইসিআইএনইটিতে গিয়ে প্রতি দু’ঘণ্টা অন্তর ভোটদানের হার পরীক্ষা করতে পারবেন সাধারণ মানুষ।

    ইসিআইয়ের মতে, নতুন ভিটিআর ভাগাভাগি প্রক্রিয়াটি পূর্ববর্তী ম্যানুয়াল রিপোর্টিং পদ্ধতির সঙ্গে সম্পর্কিত সময়ের ব্যবধান হ্রাস করে। তবে পোলিং এজেন্টদের দ্বারা রেকর্ড করা ভোটের হিসেব বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করার আইনি প্রয়োজনীয়তা অপরিবর্তিতই থাকছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক মিলবে না, সেখানে সংযোগ পুনরুদ্ধারের পরে (Voter Turnout Trends) এন্ট্রিগুলি অফলাইনে করা এবং সিঙ্ক করা যেতে পারে (ECI)।

  • ECI: নির্বাচন ত্রুটিমুক্ত করতে বিরাট উদ্যোগ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের, তিন সংস্কারের ঘোষণা

    ECI: নির্বাচন ত্রুটিমুক্ত করতে বিরাট উদ্যোগ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের, তিন সংস্কারের ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন ত্রুটিমুক্ত করতে চেষ্টার কসুর করছে না ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI)। নির্বাচনী ত্রুটি রুখতে এবার তারা তিনটি সাহসী সংস্কারের পদক্ষেপ (Fake Voters) করল। এর মধ্যে রয়েছে অপ্রচলিত ভোটার তালিকা, বিএলও-র বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব এবং বুথ পর্যায়ে ভোটারদের বিভ্রান্তি দূর করা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই তিন সংস্কার বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রে নির্বাচন পরিচালনার পদ্ধতিতে বিপ্লব ঘটাবে।

    নির্বাচন কমিশনের বৈঠক (ECI)

    চলতি বছরের মার্চ মাসে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের নির্দেশনায় এবং নির্বাচন কমিশনার ড. সুখবীর সিং সান্ধু ও ড. বিবেক জোশীর উপস্থিতিতে প্রধান নির্বাচনী আধিকারিকদের উচ্চ-পর্যায়ের আলোচনার পর এই তিন সাহসী উদ্যোগের কথা ঘোষণা করা হয়। আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে একটি পরিষ্কার ও স্বচ্ছ নির্বাচনী ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যেই কমিশনের এই উদ্যোগ বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    সংস্কার-১: মৃতদের নাম বাদ

    ভারতের ভোটার তালিকা থেকে মৃত ব্যক্তিদের নাম বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হল রেজিস্ট্রার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার কাছ থেকে মৃত্যু নথিভুক্তকরণের ডেটা ইলেকট্রনিকভাবে সংগ্রহ করা। দশকের পর দশক ধরে ভারতের ভোটার তালিকায় “ভুতুড়ে ভোটার” নামে পরিচিত মৃত ব্যক্তির নাম থাকায় তালিকাগুলি দীর্ঘায়িত হত। এতে সৃষ্টি হত প্রতারণা ও জালিয়াতির সুযোগ। ১৯৬০ সালের নির্বাচকদের (ECI) নিবন্ধন বিধির রুল ৯ এবং ১৯৬৯ সালের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইনের সংশোধিত ধারা ৩(৫)(বি)-র আইনি ভিত্তিতে এই সংস্কার বাস্তবায়িত হচ্ছে। এখন থেকে আরজিআই সরাসরি মৃত্যুর ডেটা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে শেয়ার করবে। এই স্বয়ংক্রিয় ডেটা প্রবাহের মাধ্যমে (Fake Voters) ইলেকট্রোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসাররা তৃতীয় পক্ষের তথ্য বা জটিল ফর্ম ৭ প্রক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা না করেই সক্রিয়ভাবে মৃত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার কাজ শুরু করতে পারবেন। তবে, যে কোনও ভুল অপসারণ এড়াতে বুথ লেভেল অফিসাররা (বিএলও) ফিল্ডে গিয়ে যাচাই করবেন, যা স্বয়ংক্রিয়তা ও ফিল্ড-পর্যায়ের তদন্তের মাধ্যমে বৈধতা নিশ্চিত করবে। এই উদ্যোগটি আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলেই আশা করা হচ্ছে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনকে মসৃণভাবে গতি ও নির্ভুলভাবে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ করতে সাহায্য করবে।

    সংস্কার-২: ফটো পরিচয়পত্র দেওয়ার নির্দেশ

    স্বচ্ছ নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যাতে ভোটারদের আস্থার ভিত মজবুত হয়, তাই একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে নির্বাচন কমিশন সব বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও)-কে একটি অভিন্ন, জাল-প্রতিরোধী ফটো পরিচয়পত্র দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই আইডি কার্ডটি দরজায় দরজায় ভোটার সংযোগ কার্যক্রমের সময় অনায়াসেই শনাক্তকরণের জন্য (Fake Voters) ডিজাইন করা হয়েছে। জনপ্রতিনিধিত্ব (ECI) আইন, ১৯৫০-এর ধারা ১৩বি(২) অনুযায়ী, নিয়োগপ্রাপ্ত বিএলওরা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মেরুদণ্ড এবং স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করে। তবে, যথার্থ পরিচয়পত্রের অভাবে অনেক ভোটারই বাড়ি বাড়ি যাচাইয়ের সময় প্রকৃত তথ্য দিতে অনীহা প্রকাশ করেন। কখনও কখনও সন্দেহও প্রকাশ করেন। তাই অনেক সময় এই কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করা যায় না। নয়া এই নির্দেশিকার মাধ্যমে বিএলওরা এখন সহজে শনাক্তযোগ্য, পেশাদার ও দায়িত্বশীল হবেন। এতে ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াবে এবং নাগরিকদেরকে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সঙ্গে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগে সক্ষম করে তুলবে। এই সংস্কার বিশেষত গ্রামীণ ও আধা-শহরাঞ্চলে প্রাসঙ্গিক, যেখানে অফিসিয়াল ও আনঅফিসিয়াল কর্মীদের মধ্যে সম্পর্ক প্রায়ই অস্পষ্ট থেকে যায়।

    সংস্কার-৩: ভোটারবান্ধব ভোটার স্লিপ

    ভোটারদের জন্য ভোটের দিনের অভিজ্ঞতাকে আরও ভালো করতে কমিশন ভোটার তথ্য স্লিপকে ভোটারবান্ধব করে পুনর্বিন্যাস করেছে। এই স্লিপগুলি গুরুত্বপূর্ণ নথি যা ভোটারদের সঠিক ভোটকেন্দ্রের নির্দেশনা দেয় এবং নির্বাচনী তালিকায় তাঁদের নাম আছে (Fake Voters) কিনা, তা নিশ্চিত করে। নয়া বিন্যাসে ভোটকেন্দ্রে (ECI) ব্যবহৃত মূল শনাক্তকারী তথ্য যেমন সিরিয়াল নম্বর ও পার্ট নম্বর বড় ও পরিষ্কার ফন্টে প্রদর্শিত হবে। এতে প্রবীণ, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এবং প্রথমবারের ভোটারদের জন্য তথ্য পড়া সহজ হবে। এই ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ডিজাইন আপডেটের জন্য ভোটকেন্দ্রে ভিড় ও বিভ্রান্তি কমবে। কারণ ভোটার ও কর্মকর্তারা দ্রুত নাম খুঁজে পেয়ে তথ্য যাচাই করতে পারবেন। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এই উদ্যোগ প্রতিটি ভোটারের বয়স বা শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বিশেষে নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করে ব্যাপক অংশগ্রহণের লক্ষ্যকেও সমর্থন করে।

    প্রসঙ্গত, এই তিনটি উদ্যোগ বিচ্ছিন্ন প্রশাসনিক কোনও সিদ্ধান্ত নয়। এগুলি ভোটারের আস্থা বৃদ্ধি, নির্বাচনী জালিয়াতি রোধ এবং ভারতের নির্বাচনী পরিকাঠামো আধুনিকীকরণের একটি সুসংহত জাতীয় কৌশলের অংশ (Fake Voters)। জ্ঞানেশ কুমার বলেন, “সংস্কার কোনও এককালীন ঘটনা নয়। এটি একটি নিরবচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া। প্রতিটি ভোটারই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রতিটি ভোটই অবশ্যই প্রকৃত হতে হবে (ECI)।”

LinkedIn
Share