Tag: economic news

economic news

  • TMC: ক্রমেই কমছে লগ্নি, খাদের কিনারে চলে যাচ্ছে বাংলার অর্থনীতি

    TMC: ক্রমেই কমছে লগ্নি, খাদের কিনারে চলে যাচ্ছে বাংলার অর্থনীতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফি বছর রাজ্যে ঘটা করে হচ্ছে শিল্প সম্মেলন। বিরোধীদের মতে, আদতে যা হচ্ছে, তা হল শিল্পপতিদের (Industrial Incentives) নিয়ে সরকারি অর্থে ‘মোচ্ছব’। কারণ নিয়ম করে শিল্প সম্মেলন হলেও, এ রাজ্যে উল্লেখযোগ্য শিল্প একটাও হয়নি বলে (TMC) অভিযোগ বিরোধীদের। এর কারণ হল গত তিন দশকে প্রদত্ত সব ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনসেনটিভ বাতিল করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বিতর্কিত আইনটি হল “ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনসেনটিভ স্কিমস অ্যান্ড অবলিগেশনস ইন দ্য নেচার অফ গ্র্যান্টস অ্যান্ড ইনসেনটিভস বিল, ২০২৫”।

    ব্যাপক সমালোচনা (TMC)

    চলতি বছরের ২ এপ্রিল এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়। এর ফলে ১৯৯৩ সাল থেকে প্রতিশ্রুত সমস্ত সুবিধাই কার্যত প্রত্যাহার করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এহেন সিদ্ধান্ত জন্ম দিয়েছে ব্যাপক সমালোচনার। কারণ এটি বিনিয়োগকারীদের আস্থা নষ্ট করছে, রাজ্যের অর্থনীতিকে বিপদের মুখে ফেলছে এবং সর্বোপরি, মূলধনের প্রতি বৈরী মনোভাব তৈরির ইঙ্গিত দিচ্ছে। কর্পোরেট জায়ান্ট ডালমিয়া ও বিড়লা গ্রুপের অনুমান, তাদের সম্মিলিত ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪৩০ কোটি টাকা। অন্য অসংখ্য প্রতিষ্ঠান এখনও পর্যন্ত আর্থিক ক্ষতির হিসেব করে উঠতে পারেনি। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি বড় সংস্থা কলকাতা হাইকোর্টে এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছে। তারা একে অসাংবিধানিক ও স্বেচ্ছাচারী আখ্যা দিয়েছে।

    শিল্প-বিরোধী টানাপোড়েনের শেকড়

    পশ্চিমবঙ্গের শিল্প-বিরোধী টানাপোড়েনের শেকড় বহু পুরনো। ৩৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে কমিউনিস্ট পার্টির শাসনকালে শিল্পপতিদের সন্দেহের চোখে দেখা হত। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু একবার পুঁজিপতিদের শ্রেণিশত্রু বলে উল্লেখ করেছিলেন। সেই মনোভাব প্রতিফলিত হত তাদের নীতিনির্ধারণে, যা প্রায়ই বেসরকারি উদ্যোগকে লগ্নি করতে নিরুৎসাহিত করত (TMC)। ধর্মঘট, শ্রমিক সংগঠনের হিংসা এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনার জেরে সিংহানিয়া ও বিড়লা পরিবারের মতো বড় ব্যবসায়ীরা অন্য রাজ্যে স্থানান্তরিত করতে বাধ্য হন তাঁদের ব্যবসা। বস্তুত, তার ফলেই পশ্চিমবঙ্গে শিল্পের অবনতি (Industrial Incentives) ঘটে।

    তৃণমূলের আমলেও রাজ্যে হা-শিল্প দশা

    ২০১১ সালে বামেদের হটিয়ে রাজ্যের ক্ষমতায় আসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস। তার পরেও ঘোচেনি রাজ্যের হা-শিল্প দশা। অথচ তৃণমূলের উত্থানই ঘটেছিল শিল্প প্রকল্পগুলির বিরুদ্ধে আন্দোলনের মাধ্যমে, বিশেষ করে সিঙ্গুরে টাটা মোটরসের বিরুদ্ধে, যার ফলে কোম্পানিটি রাজ্যের বাইরে স্থানান্তরিত করে করে নেয় তাদের কারখানা। বাংলা থেকে পাততাড়ি গুটিয়ে তারা চলে যায় গুজরাটের সানন্দে। কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৬ হাজার ৬০০-এর বেশি কোম্পানি, যার মধ্যে ১১০টি তালিকাভুক্ত সংস্থা রয়েছে, তাদের ব্যবসা গুটিয়েছে এ রাজ্য থেকে। তৃণমূল সরকারের শাসনকালে বাংলায় মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো পড়েছে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা, অনুপ্রবেশ এবং ক্রমবর্ধমান সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা। এসবের কারণে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভীষণভাবে (TMC)। অর্থনৈতিক তত্ত্ব ইনসেনটিভকে প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার হাতিয়ার হিসেবে গুরুত্ব দেয়, বিশেষত সেই সব খাতে যেখানে বাজারের ব্যর্থতা রয়েছে। নেতিবাচক প্রভাব যেমন শ্রমিক অসন্তোষ, প্রতিকূল সামাজিক অবস্থা এবং দুর্বল আইনশৃঙ্খলা বিনিয়োগ আকর্ষণে সরকারি সাহায্যের প্রয়োজনীয়তা দাবি করে। কেইনসীয় অর্থনীতি অর্থনৈতিক মন্দার সময় সক্রিয় সরকারি হস্তক্ষেপকে সমর্থন করে এবং পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় রাজস্ব ইনসেনটিভের গুরুত্বকে তুলে ধরে।

    পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক হাল

    পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক সূচকগুলি একটি অনিশ্চিত আর্থিক পরিস্থিতি প্রকাশ করছে। জানা গিয়েছে, আর্থিক ঘাটতি রাজ্যের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (GSDP) ৩৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ১৯৬০ সালে ভারতের জিডিপিতে পশ্চিমবঙ্গের অবদান ছিল ১০ শতাংশেরও বেশি। আজ তা কমে হয়েছে ৫ শতাংশ। মাথাপিছু আয় জাতীয় গড়ের মাত্র ৮৩.৭ শতাংশ, যা প্রতিবেশী রাজ্যগুলির তুলনায় ঢের পিছিয়ে। দারিদ্র্যের হার এখনও উচ্চ, এবং আইন-শৃঙ্খলার চ্যালেঞ্জগুলি ক্রমশ বেড়েই চলেছে (TMC)। নয়া ওই আইনের জেরে আরও অনেক শিল্পপতি রাজ্য ছেড়ে চলে যেতে পারেন। যার ফলে বেকারত্ব বাড়বে এবং জনকল্যাণমূলক ব্যবস্থার ওপর বাড়তি চাপ পড়বে। সাধারণ মানুষ, যাঁদের জীবিকা ও কর্মসংস্থান শিল্পোন্নয়নের ওপর নির্ভরশীল, তাঁরা নীতিগত ব্যর্থতার প্রধান শিকার হয়ে উঠবেন (Industrial Incentives)।

    কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতমূলক আচরণ

    পশ্চিমবঙ্গ বারবার কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতমূলক আচরণ করেছে। মমতার সরকার সরে এসেছে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প থেকে। সিবিআইয়ের নজরদারি সীমিত করা এবং প্রশাসনিক নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে নানা সময় রাজ্য সরকারের বিরোধে জড়ানোও এর উদাহরণ। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির অবস্থা বেহাল। এ রাজ্যে প্রতি এক লাখ মানুষের জন্য মাত্র ৯৭.৬৬ জন পুলিশ কর্মী রয়েছেন। এটি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে নিরাপত্তা ও বিনিয়োগ উভয় ক্ষেত্রেই। সাম্প্রদায়িক হিংসা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা বিনিয়োগকারীদের আস্থায় আরও চিড় ধরিয়েছে। তার জেরে বাংলায় এমন এক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে প্রতি পদে (TMC)।

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দ্রুত পরিবর্তনশীল ভারতীয় অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে, পশ্চিমবঙ্গ ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে। যার জেরে রাজ্যটি চলে যাচ্ছে অর্থনৈতিক খাদের কিনারায়। রাজ্যবাসীকে যুঝতে হচ্ছে নীতি-অব্যবস্থাপনা, অবিশ্বাস ও শিল্পপতিদের পাততাড়ি গুটিয়ে রাজ্য ছেড়ে পালানোর পরিণতির সঙ্গে।

  • ITR Filing: ডেডলাইন পার হওয়ার আগেই দাখিল করুন আয়কর রিটার্ন, না হলে জরিমানা

    ITR Filing: ডেডলাইন পার হওয়ার আগেই দাখিল করুন আয়কর রিটার্ন, না হলে জরিমানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘনিয়ে আসছে রিটার্ন দাখিলের (ITR Filing) ডেডলাইন। এই ডেডলাইন পার হয়ে যাওয়ার পর যিনি রিটার্ন দাখিল (Income Tax) করবেন, তাঁকে গুণতে হবে জরিমানা। মনে রাখতে হবে, রিটার্ন দাখিল করা কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে। ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন হল সংক্ষিপ্ত নথি, যা থেকে জানা যায় আয়কর দাতা একটা অর্থবর্ষে কত টাকা রোজগার করেছেন।

    রিটার্ন দাখিল (ITR Filing)

    এই রিটার্ন দাখিল করলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে, আয়কর দাতাকে কত কর দিতে হয়েছে, কিংবা আয়কর দফতর থেকে তিনি কিছু ফেরত পাবেন কিনা। আয়কর দফতর বিভিন্ন রোজগারের মানুষের জন্য নানা রকম কর দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। কোনও ব্যক্তি যদি রিটার্ন দাখিল না করেন, তাহলে তাঁকে জরিমানা দিতে হবে। আয়কর দাতাদের রিটার্ন দাখিলের বিষয়টি মনে করিয়ে দিতে আয়কর দফতর মেসেজ পাঠায়। রিটার্ন দাখিল করতে গিয়ে কোনও সমস্যায় পড়লে কিংবা ইচ্ছে করে রিটার্ন দাখিল না করলে, জরিমানা দিতে হবে।

    গুণতে হবে জরিমানা

    অর্থবর্ষ শেষ হয়েছে ৩১ মার্চ, ২০২৪। তবে চলতি অর্থবর্ষে আইটি রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা ৩১ জুলাই। রিটার্ন দাখিল (ITR Filing) করাটা বেশ সমস্যার, বিশেষত যাঁরা একা একাই ট্যাক্স দেন (অর্থাৎ, কোম্পানি নয়, ট্যাক্স দিতে হয় ব্যক্তি মানুষকে)। অফিস-কাছারির কাজ শেষ করে প্রয়োজনীয় নথি জোগাড় করে রিটার্ন দাখিল করাটা বেশ চাপের। এই সব করতে গিয়েই অনেকে ডেডলাইন মিস করে ফেলেন। পরে যখন রিটার্ন দাখিল করেন, তখন দিতে হয় গচ্চা।

    আরও পড়ুন: “অসমে দ্রুত বাড়ছে মুসলমান, জীবন-মরণের সমস্যা”, বললেন হিমন্ত

    রোজগারের বহরের ভিত্তিতে ঠিক হয়, জরিমানা বাবদ আপনাকে দিতে হবে ঠিক কত টাকা। কাউকে দিতে হবে হাজার টাকা, কারও ক্ষেত্রে আবার জরিমানার পরিমাণ দাঁড়াবে গিয়ে পাঁচ হাজার টাকায়। এর পর রয়েছে সুদ। তিনি কত দেরিতে রিটার্ন দাখিল করছেন, তার ওপর ভিত্তি করে দিতে হবে সুদ। মনে রাখতে হবে, যাঁদের বার্ষিক রোজগার পাঁচ লাখ টাকার নীচে, রিটার্ন দাখিলে দেরি হলে তাঁদের জরিমানা দিতে হবে এক হাজার টাকা। পাঁচ লাখ টাকার ওপর বার্ষিক আয় হলে, জরিমানার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে পাঁচ হাজার টাকা। তাই ডেডলাইন (Income Tax) পার হওয়ার আগেই দাখিল করুন রিটার্ন (ITR Filing)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Online Fraud: নয়া ব্যাঙ্কিং প্রতারণার ফাঁদ! বাঁচার উপায় কী? জানুন এবং সুরক্ষিত থাকুন

    Online Fraud: নয়া ব্যাঙ্কিং প্রতারণার ফাঁদ! বাঁচার উপায় কী? জানুন এবং সুরক্ষিত থাকুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিজিটাল ব্যাঙ্কিংয়ের ক্রমবর্ধমান ব্যবহারের সঙ্গে বেড়েছে প্রতারণা। পারম্পরিক চুরি ডাকাতির জায়গা নিয়েছে অনলাইন চুরি (Online Fraud)।  ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে একেবারে পুরো টাকা হাপিস করার নতুন উপায় নিয়ে আসছে হ্যাকাররা। গ্রাহকরা এখন সময় বাঁচাতে অনলাইন ব্যাঙ্কিং পরিষেবা গ্রহণ করছে এবং প্রতারকরা তাদের কেলেঙ্কারি চালাতে এখন ব্যবহার করছে ফাইল ডাউনলোড জালিয়াতি। দেশের প্রধান ব্যাঙ্কগুলি, যেমন AU Bank, SBI, PNB, Axis Bank, এবং অন্যান্যগুলি গ্রাহকদের প্রতারণা থেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় সুপারিশগুলি প্রদান করেছে। APK ফাইল ডাউনলোড স্ক্যাম এখন OTP স্ক্যামের জায়গা নিয়েছে। আসুন এই নতুন স্ক্যাম কৌশলগুলি সম্পর্কে জেনে নিন। ব্যাঙ্কগুলি তাদের ক্লায়েন্টদের স্ক্যামারদের ফাঁদে পড়া থেকে সতর্ক করছে।

    APK ফাইল ডাউনলোড স্ক্যাম

    ইতিমধ্যেই দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক SBI ফাইল জালিয়াতির বিষয়ে সতর্ক করেছে। যে কোন পরিচিত থার্ড পার্টি অ্যাপ বা অ্যাপের APK ফাইল যা আপনার সমস্ত তথ্য অ্যাক্সেস করতে চায় এমন অ্যাপ বা APK ফাইল ডাউনলোড করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ হ্যাকাররা সহজেই আপনার সমস্ত তথ্য পেয়ে যেতে পারে এবং জালিয়াতি করতে পারে। এর আগে, এসবিআই নিজের গ্রাহকদের সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে, জালিয়াতি রোধ করতে হোয়াটসঅ্যাপ বা বার্তার মাধ্যমে প্রাপ্ত কোনও লিঙ্ক না খুলতে বলেছিল। প্রথমে হ্যাকাররা গ্রাহককে মেসেজ বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে একটি লিঙ্ক পাঠায়। গ্রাহক যখন APK ফাইলে ক্লিক করেন এবং এটি ইনস্টল করেন, তখন তাদের স্ক্রিনে বিভিন্ন সতর্কবার্তা দেখা যায়। এর পরে, হ্যাকার তাদের হ্যাকিং ডিভাইসের মাধ্যমে গ্রাহকের মোবাইল ফোনের অ্যাক্সেস লাভ করে, যা প্রতারণার দিকে পরিচালিত করে।

    প্রতারণা থেকে বাঁচতে

    APK ফাইলের আকার মাত্র কয়েক KB হলে কখনই লিঙ্ক ক্লিক বা ডাউনলোড করবেন না। যদি একটি ইনস্টল করা APK ফাইল ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, জিপিএস, পরিচিতি, এসএমএস ইত্যাদির জন্য অনুমতির অনুরোধ করে, তাহলে অবিলম্বে আপনার ফোন থেকে সেই অ্যাপ সরিয়ে ফেলুন।

    আরও পড়ুন: Lok Sabha Elections 2024: ভোট তো দেন, জানেন কীভাবে কাজ করে ইভিএম?

    আপনার ফোনে যদি অ্যান্টিভাইরাস সফ্টওয়্যার ইনস্টল করা থাকলে, এটি অবিলম্বে বিপদ সনাক্ত করবে, এটি নির্দেশ দেবে যে APK ফাইলটি নিরাপদ নয়। ব্যবহারকারীদের গুগল প্লে স্টোর থেকে সতর্কতা অনুসরণ করা উচিত। পর্যায়ক্রমে আপনার ফোন রিবুট করুন।

    অন্যান্য বেসরকারি ব্যাঙ্কের সাবধান বাণী (Online Fraud)

    এটি উল্লেখ করার মত যে ICICI ব্যাঙ্ক, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক এবং AU ব্যাঙ্কও তাদের গ্রাহকদের অনলাইন জালিয়াতি (Online Fraud) থেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা জারি করেছে। অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক কোনও অনলাইন তথ্য শেয়ার করার আগে তার গ্রাহকদের উৎস যাচাই করার জন্য অনুরোধ করে। যেই ব্যাঙ্কে আপনার অ্যাকাউন্ট আছে তাঁদের গাইডলাইন মেনে চলুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

  • Climate Change: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে, ক্ষতির পরিমাণ শুনলে চোখ কপালে উঠবে

    Climate Change: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে, ক্ষতির পরিমাণ শুনলে চোখ কপালে উঠবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্রুত বদলে যাচ্ছে জলবায়ু (Climate Change)। যার ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়তে চলেছে প্রকৃতির ওপর। যে এলাকা এক সময় হা-বৃষ্টি, হা-বৃষ্টি করে কাটাত, সেখানে এখন বৃষ্টি হচ্ছে ঝমঝমিয়ে। আর অঝোর ধারার বৃষ্টিতে বানভাসি হত যে অঞ্চল, সেখানে এখন প্রায়ই হচ্ছে খরা। জলবায়ুর পরিবর্তন যে হচ্ছে, তার আরও প্রমাণ বরফ গলছে সুমেরু-কুমেরুর। জলবায়ুর এই পরিবর্তনের জেরে ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হতে চলেছে বিশ্ব অর্থনীতি। ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতিতে বার্ষিক ক্ষতির পরিমাণ গিয়ে দাঁড়াবে ৩৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে। সম্প্রতি ‘নেচার’ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সমীক্ষা থেকেই জানা গিয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের এই ভয়ঙ্কর প্রভাবের কথা। পত্রিকার রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, এখন থেকেই যদি কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনে ব্যাপকভাবে রাশ টানা না হয়, তাহলে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিশ্ব অর্থনীতি।

    কী বলছেন বিজ্ঞানীরা? (Climate Change)

    গত চার দশক ধরে বিশ্বব্যাপী ১ হাজার ৬০০টিরও বেশি অঞ্চল থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে রিপোর্টটি (Climate Change)। এটিতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর পরিবর্তনশীল জলবায়ু পরিস্থিতির ভবিষ্যতের প্রভাবগুলি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। পটসডাম ইনস্টিটিউট ফর ক্লাইমেট ইমপ্যাক্ট রিসার্চের প্রধান লেখক তথা বিজ্ঞানী ম্যাক্সিমিলিয়ান কোটজ বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন, “অধিকাংশ অঞ্চলের জন্য গতিশীল আয় হ্রাস অনুমান করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপ। এরাই সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তনের সব চেয়ে গুরুতর প্রভাব পড়েছে। তার ধাক্কা লেগেছে ফলন, উৎপাদনশীলতা, শ্রম এবং পরিকাঠামোর ওপর।” তিনি বলেন, “আমাদের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ২০৪৯ সালের মধ্যে অতীত নির্গমনের কারণে গড় আয় কমে যাবে ১৯ শতাংশ। গ্লোবাল জিডিপি হ্রাস পাবে ১৭ শতাংশ।”

    কী বলছেন গবেষক দলের প্রধান?

    গবেষক দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন লিওনি ওয়েঞ্জ। তাঁর সতর্কবার্তা, “আগামী পঁচিশ বছরের মধ্যে জার্মানি, ফ্রান্স এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নততম দেশগুলি-সহ প্রায় সমস্ত দেশেই ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতি আসন্ন। অতীতের নির্গমন ও তাদের প্রভাব প্রশমিত করার জন্য জরুরি অভিযোজন প্রচেষ্টার প্রয়োজন।” জানা গিয়েছে, যে বিপুল ক্ষতির ভবিষ্যদ্বাণী করা হচ্ছে, তা বর্তমানে যে পরিমাণ কার্বন নির্গমন হচ্ছে, তার চেয়ে প্রায় ছ’গুণ বেশি হবে। এই কার্বন নির্গমন কমাতে না পারলে সমূহ বিপদ। তবে কার্বন নির্গমন কমাতে পারলে গড় তাপমাত্রা রাখা যাবে দু’ডিগ্রি নীচে (Climate Change)।

    কে দায়ী জানেন?

    বিশ্ব অর্থনীতির যে ক্ষতির কথা বলা হচ্ছে, তার জন্য সিংহভাগ দায়ী গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি। এর পাশাপাশি রয়েছে ঝড় এবং বৃষ্টি। অদূর ভবিষ্যতে এই ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে ৫০ শতাংশ। কেবল তাই নয়, এক অঞ্চল থেকে অন্যত্র এই ক্ষতির পরিমাণ কমবেশি হতে পারে। গবেষকরা দেখেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে গোটা বিশ্ব কমবেশি ভুগলেও, সুফল কুড়োতে পারে মেরু অঞ্চলের কাছাকাছি থাকা এলাকাগুলির মানুষজন। তাপমাত্রার বিশেষ কিছু হেরফের না হওয়ারই ফসল ঘরে তুলবেন এই অঞ্চলের লোকজন।

    সব চেয়ে বেশি ক্ষতি ট্রপিক্যাল এরিয়ায়

    মেরু অঞ্চলের লোকজন যখন জলবায়ু পরিবর্তনের সুফল ঘরে তুলবেন, তখন ভয়ঙ্কর ক্ষতির সম্মুখীন হবেন নিরক্ষরেখার কাছাকাছি অঞ্চলের দেশগুলির বাসিন্দারা। কারণ এই অঞ্চলগুলিতে বৈশ্বিক নির্গমন কম। বর্তমানে রোজগারও কম। পটসডাম ইনস্টিটিউটের রিসার্চ ডিপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সিটি সায়েন্সের প্রধান তথা সহকারি লেখক অ্যান্ডারস লেভারমান বলেন, “জলবায়ু বৈষম্যের যে প্রভাব পড়ছে তামাম বিশ্বে, তার ওপর আলোকপাত করা হয়েছে আমাদের গবেষণায়। আমরা প্রায় সব জায়গায়ই ক্ষতি দেখতে পেয়েছি। তবে ট্রপিক্যাল এরিয়ার দেশগুলি সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ তারা এমনিতেই উষ্ণমণ্ডলের অধীন। তাই তাপমাত্রার বৃদ্ধি তাদের পক্ষে হবে ভয়ঙ্কর ক্ষতিকর।”

    আরও পড়ুুন: “বাংলায় অনুপ্রবেশকারীরা তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্ক”, বিস্ফোরক অমিত শাহ

    জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সব চেয়ে কম দায়ী যেসব দেশ, তাদের যে ইনকাম লসের কথা বলা হয়েছে, তা উচ্চ আয়ের দেশগুলির চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশি, ৪০ শতাংশ বেশি উচ্চতর নির্গমন করে এমন দেশগুলির চেয়ে। তারা হচ্ছে সেই দেশ, যাদের সম্পদের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবও পড়ে কম। ওয়েঞ্জ বলেন, “এই অদূর-মেয়াদি ক্ষতির কারণ হল আমাদের অতীতের নির্গমন। আমাদের প্রয়োজন আরও অনেক বেশি অ্যাডাপটেশন প্রচেষ্টা, যদি আমরা এর ন্যূনতমও এড়িয়ে চলতে চাই। আমাদের নির্গমন উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে হবে এবং তা কমাতে হবে এখনই। যদি তা না হয়, তাহলে এই শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে আরও অনেক বেশি। ২১০০ সালের মধ্যে বিশ্বে এর গড় পরিমাণ হবে ৬০ শতাংশ।” লিভারম্যান বলেন, “এই বিশাল ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে হলে আমাদের নির্ভর করতে হবে রিনিউয়েবল এনার্জির ওপর। এতে একদিকে যেমন আমাদের নিরাপত্তা বাড়বে, তেমনি সাশ্রয় হবে অর্থ। তা না হলে ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হবে আমাদের। এই গ্রহের তাপমাত্রার পারদ এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকবে তখনই, যখন আমরা তেল, গ্যাস এবং কয়লা পোড়ানো বন্ধ করব (Climate Change)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Moody’s: ভারতের অর্থনীতির হাল স্থিতিশীল, বৃদ্ধির হারও আশাব্যঞ্জক, জানাল মুডি’জ

    Moody’s: ভারতের অর্থনীতির হাল স্থিতিশীল, বৃদ্ধির হারও আশাব্যঞ্জক, জানাল মুডি’জ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতি সম্প্রতি ব্রিটেনকে হারিয়ে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তকমা সেঁটেছে ভারতের (India) গায়ে। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে বেড়েছে জিডিপি (GDP)-র হারও। এমতাবস্থায় ফের একবার আশার কথা শোনাল মুডি’জ (Moodys)। বিশ্ব অর্থনীতির তুল্যমূল্য বিচার করে এই আন্তর্জাতিক মূল্যায়ন সংস্থা। তারাই জানাল, ভারতের অর্থনীতি টালমাটাল নয়, বরং স্থিতিশীল। অর্থনীতি বৃদ্ধির হারও ক্রমবর্ধমান। 

    করোনা পরিস্থিতিতে হাঁড়ির হাল হয়েছিল বিশ্ব অর্থনীতির। ক্রমেই সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে অর্থনীতির হাল ফেরাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। ভারতেই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল করোনা পরিস্থিতি। সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে ক্রমেই ছন্দে ফিরছে ভারতও। তবে ভারতে আর্থিক বৃদ্ধি যে ক্রমবর্ধমান তা ধরা পড়েছে জিডিপির হারে। প্রথম ত্রৈমাসিকে ভারতে জিডিপির হার ১৩.৫। ভারতের অর্থনীতি যে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, তার প্রমাণ মিলেছে অন্যত্রও। সম্প্রতি ব্রিটেনকে হারিয়ে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম দেশের তকমা পেয়েছে ভারত। সমীক্ষা বলছে, ২০২৯ সালের মধ্যেই ভারত হয়ে বিশ্বের তৃতীয বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি। জার্মানি এবং জাপানকে হারিয়ে তৃতীয় স্থানে উঠে আসবে ভারত। 

    আরও পড়ুন : বাড়ল ভারতের জিডিপি, প্রথম ত্রৈমাসিকে কত জানেন?

    স্টেটনব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার একটি রিপোর্টেও উঠে এসেছে আশার খবর। সেখানেও জানানো হয়েছে, ভারতের অর্থনীতির হাল শক্ত। এবার একই কথা জানাল মুডি’জও। বিশ্ব অর্থনীতির হালহকিকত খতিয়ে দেখতে নানান সমীক্ষা করে এই সংস্থা। সেই সংস্থারই সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ভারতীয় অর্থনীতির উচ্চ বৃদ্ধিরক সম্ভাবনার কথা। ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ারও যথেষ্ট পোক্ত। ভারতীয় অর্থনীতিতে নগদের জোগানও রয়েছে। তাই এখানকার অর্থনীতি ঝুঁকিবিহীন। 

    মুডি’জ-এর বিচারে ভারতের রেটিং ‘বিএএ৩’। মুডি’জ-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, নগদের জোগান ভাল থাকায় ভারতে ব্যাংক এবং নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে অর্থ বিনিয়োগ করা কম ঝুঁকির। করোনা অতিমারি পরিস্থিতি কাটিয়ে ভারত যে ক্রমেই ছন্দে ফিরছে, রিপোর্টে জানানো হয়েছে তাও। প্রসঙ্গত, মুডি ভবিষ্যবাণী করেছিল, ভারতে রিয়েল জিডিপি ’২৩ অর্থবর্ষে ৭.৬ শতাংশ থেকে পরের আর্থিক বর্ষে ৬.৩ শতাংশে পৌঁছবে।

LinkedIn
Share