Tag: ED

ED

  • ED: কাগজের নোটই ‘টোকেন’! লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা লেনদেন, চার্জশিটে জানাল ইডি

    ED: কাগজের নোটই ‘টোকেন’! লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা লেনদেন, চার্জশিটে জানাল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি (ED) পঞ্চম অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দিয়েছে। সেখানে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর নাম রয়েছে। ওই সংস্থার টাকা কোথায়, কী ভাবে লেনদেন হয়েছে, চার্জশিটে তা বিশদে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    কাগজের নোটই ‘টোকেন’ হিসেবে ব্যবহার! (ED)

    ইডির (ED) দাবি, নগদ টাকা বার বার হাতবদল হয়েছে। চার্জশিটে বলা হয়েছে, কাগজের নোটকে ‘টোকেন’ হিসেবে ব্যবহার করা হত। নোটের সিরিয়াল নম্বর মিলিয়ে টাকা দেওয়া-নেওয়া হত। সেই টাকা ঢুকত লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের অ্যাকাউন্টে। এই প্রক্রিয়ায় একাধিক ‘মিডলম্যানের’ সন্ধানও পেয়েছে ইডি। তাঁদের একাধিক বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলেও চার্জশিটে জানিয়ে তারা। উল্লেখ্য, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের নাম আগেই উঠে এসেছিল। ওই সংস্থার ডিরেক্টর পদে ছিলেন অভিষেক। তাঁর বাবা এবং মা-ও ছিলেন সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর। এই সংস্থা যে তাঁরই, তা নিজেই জানিয়েছিলেন অভিষেক। সংস্থার কাজ বেশির ভাগটাই দেখাশোনা করতেন সুজয়কৃষ্ণ। ইডি জানিয়েছে, ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের ডিরেক্টর পদে ছিলেন ‘কাকু’। সংস্থায় তাঁর সরাসরি নিয়ন্ত্রণ ছিল। তিনি ছিলেন লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের ‘চিফ অপারেটিং অফিসার’ (সিওও)। সংস্থার আর্থিক দিকটি তিনিই দেখতেন। ২০২৩ সালের মে মাসে সুজয়কৃষ্ণকে গ্রেফতার করে ইডি।

    আরও পড়ুন: লোকসভায় ধস্তাধস্তি! ‘‘রাহুল গান্ধী ধাক্কা মেরেছেন”, বললেন রক্তাক্ত বিজেপি সাংসদ

    ব্যবসা হয়েছে শুধু খাতায়-কলমে!

    ইডি (ED) সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যবসা হয়েছে শুধু খাতায়-কলমে। আর সেই ব্যবসার বিনিময়েই একটি সাইকেল সংস্থা-সহ চারটি সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস (Leaps And Bounds) সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে কোটি কোটি টাকা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার চার্জশিটে এমনই দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। ওই সংস্থাগুলির সঙ্গে লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের বৈদ্যুতিক কেটলি, চশমা এবং কার্ডের ব্যবসা হয়েছে বলে ‘ইনভয়েস’ দেখানো হলেও ইডির দাবি, তা হয়নি। বাস্তবে কোনও জিনিসপত্রই কেনাবেচা হয়নি দু’পক্ষের মধ্যে। পুরোটাই রয়েছে শুধুমাত্র নথিতে। লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার ডিরেক্টর হিসেবে তৃণমূলের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও চার্জশিটে উল্লেখ করেছে ইডি।

    অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা জমা

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের সূত্রে এই সংস্থা ইডির (ED) আতশকাচের নীচে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাদের পঞ্চম অতিরিক্ত (সাপ্লিমেন্টারি) চার্জশিটে ওই সংস্থাকে ‘অভিযুক্ত’ হিসেবে দেখানো হয়েছে। সেই চার্জশিটে ইডি (ED) দাবি করেছে, বেশ কিছু সংস্থা থেকে লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের অ্যাকাউন্টে প্রচুর টাকা জমা পড়েছে। ইডি (ED) মনে করছে, ওই সংস্থাগুলির সঙ্গে আদতে কোনও ব্যবসায়িক লেনদেন হয়নি লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের। কোন কোন সংস্থা থেকে কত টাকা লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডসের অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করেছে, চার্জশিটে তারও খতিয়ান দিয়েছে ইডি (ED)। ব্যবসা হয়নি, ‘ভুয়ো’ ব্যবসার ‘ইনভয়েস’ তৈরি করা হয়েছে। সেই ‘ভুয়ো’ ইনভয়েসের বিনিময়েই লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা জমা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jyotipriya Mallick: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কিং না হলেও, কিং-মেকার, আদালতে জানাল ইডি

    Jyotipriya Mallick: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কিং না হলেও, কিং-মেকার, আদালতে জানাল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কিং না হলেও, কিং-মেকার। মন্ত্রীর পদে না থাকলেও, এখনও তিনি ক্ষমতাশালী। রেশন কেলেঙ্কারি মামলায় আদালতে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়কে (Jyotipriya Mallick) এই কেলেঙ্কারির কিংপিন বলেও উল্লেখ করল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার দাবি, জামিন পেলে জ্যোতিপ্রিয় গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া প্রভাবিত করতে পারেন।

    দুর্নীতির মূলচক্রী জ্যোতিপ্রিয় স্বয়ং! (Jyotipriya Mallick)

    আজ, বুধবার জ্যোতিপ্রিয়ের জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল বিচারভবনে। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর আইনজীবীরা তাঁর প্রভাবশালী তত্ত্ব খারিজ করেছিলেন। বুধবার তাঁর জামিনের বিরোধিতা করে ইডি জানায়, দুর্নীতির মূলচক্রী জ্যোতিপ্রিয় নিজেই। যাঁরা এই মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই আঙুল তুলেছেন তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনার নেতা জ্যোতিপ্রিয়ের দিকে। ইডির দাবি, রাজনৈতিকভাবে এখনও প্রভাব খাটাতে পারেন জ্যোতিপ্রিয়। এর পরেই আদালতে ইডির আইনজীবীর মন্তব্য, রাজা না হলেও, রাজা তৈরি করার ক্ষমতা তাঁর রয়েছে।

    আরও পড়ুন: আক্রোশ মেটাতে ৪৯৮-এ ধারা ব্যবহার করা যাবে না, ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ

    কিং মেকার

    বিচারক প্রশ্ন করেন, উনি তো এখন আর মন্ত্রী পদে নেই। তাহলে কী করে এত প্রভাব খাটাবেন? সওয়াল করতে গিয়ে ইডির আইনজীবী বলেন, “কেউ কিং হন, কেউ কিং মেকার। এমনও মামলা রয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে যেখানে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না।” তিনি বলেন, “কিংমেকাররা আসলে এতটাই ক্ষমতাশালী। জ্যোতিপ্রিয় (Jyotipriya Mallick) জামিন পেলে পুরো মামলাটিকে প্রভাবিত করতে পারেন।” তিনি বলেন, “সুযোগ পেলে জ্যোতিপ্রিয় কী করতে পারেন, তা আমরা পিজি হাসপাতালের চিরকুটের ঘটনায়ই দেখেছি।”

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর রেশন কেলেঙ্কারি মামলায় জ্যোতিপ্রিয়কে গ্রেফতার করে ইডি। তার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তৃণমূলের এই নেতা। বেশ কয়েকদিন তাঁকে ভর্তি রাখা হয়েছিল এসএসকেএম হাসপাতালে। ওই সময় ইডি একটি চিরকুট উদ্ধার করে। অভিযোগ, মেয়েকে হাসপাতালে বসেই ওই চিরকুটটি লিখেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। সেই চিঠি চলে আসে ইডির তদন্তকারী আধিকারিকদের হাতে। তাতে টাকা লেনদেন সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য লেখা ছিল বলে দাবি কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার (Jyotipriya Mallick)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে পঞ্চম সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা ইডির, রয়েছে অভিষেকের সংস্থার নাম

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে পঞ্চম সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা ইডির, রয়েছে অভিষেকের সংস্থার নাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam)  পঞ্চম সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED)। এই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে ১০ হাজার পাতার নথি জমা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে এই চার্জশিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস-এর নামও উঠে এসেছে। তালিকায় রয়েছে ওএমআর শিট প্রস্তুতকারী সংস্থা এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি ও পার্থ চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত একাধিক সংস্থার নামও। ইডির অভিযোগ, ওই সংস্থাগুলিতেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam)  কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। চার্জশিটে নাম উঠে এসেছে ২৯ জনের। ইডির তরফে আরও জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই মামলায় প্রায় ১৫১ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

    আরও পড়ুন: চলছে হিন্দু নির্যাতন, ঢাকায় যাচ্ছেন ভারতের বিদেশ সচিব, সুর নরম বাংলাদেশের

    বেআইনিভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছে

    চার্জশিটে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ (Recruitment Scam), বেআইনিভাবে রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলে অযোগ্যদের চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে প্রথম থেকেই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে ইডি। আর্থিক তছরুপের অভিযোগে নিয়োগ দুর্নীতি (ED) মামলায় ২০২৩ সালের ৩০ মে গ্রেফতারও করা হয় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুকে।

    ‘‘আমার সাহেব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়’’ (Recruitment Scam)  

    গ্রেফতারের আগে এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের মুখে উঠে আসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও! সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র বলেন, ‘‘আমি লিপস অ্য়ান্ড বাউন্ডসে চাকরি করি, সেই জন্য হয়তো ঘুরে ফিরে আমার নামটা আসছে। আমার যে সাহেব, পৃথিবীর কারও ক্ষমতা নেই তো তাঁকে ছোঁবে। আমার সাহেব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।’’ ইডির চার্জশিটে দাবি করা হয়, চার বছর আগে ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস এবং সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের সংস্থার (Recruitment Scam) মধ্যে চুক্তিও হয়। মঙ্গলবার বিশেষ আদালতে নথি পেশ করার পরে ইডি জানিয়েছে, সব অভিযোগই সত্যি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: জাল নথি বানিয়ে এনআরআই-দের ডাক্তারিতে সুযোগ দেওয়া! রাজ্য জুড়ে তল্লাশি ইডির

    ED: জাল নথি বানিয়ে এনআরআই-দের ডাক্তারিতে সুযোগ দেওয়া! রাজ্য জুড়ে তল্লাশি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকেই রাজ্য জুড়ে তল্লাশি অভিযান ইডির। জানা গিয়েছে, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে জাল নথি জমা দিয়ে অনাবাসী বা এনআরআই কোটায় ডাক্তারি পড়েছেন অনেকেই। এনিয়েই এবার তদন্তে সক্রিয় হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। মঙ্গলবার সকালেই রাজ্যের একাধিক জায়গায় শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তল্লাশি অভিযান। সল্টলেকের বিসি ব্লকের একটি বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। জানা গিয়েছে, যাদবপুরের কেপিসি মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তি ও তাঁর আত্মীয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি।

    কলকাতা-দুর্গাপুর-বর্ধমানে চলছে একযোগে তল্লাশি

    ইডির (ED) সূত্রে জানা গিয়েছে, এনআরআই কোটাতে যে নথি জমা দিয়ে ডাক্তাররা অ্যাডমিশন নিয়েছিলেন সেখানে প্রচুর জাল নথি পাওয়া গিয়েছে। সেই তথ্য পাওয়ার পর, প্রাথমিক অনুসন্ধান করার পর ইডি নতুন করে ইসিআইআর করেন। কলকাতা, বীরভূম, দুর্গাপুর, বর্ধমান-সহ একসঙ্গে ২০টি জায়গায় (West Bengal) ম্যারাথন তল্লাশি চলছে। হলদিয়ায় তমলুকের প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠের বাড়ি ও তাঁর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পরিচালিত মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজে পৌঁছে গিয়েছে ইডি। অন্যদিকে, বীরভূমে যে মেডিক্যাল কলেজে তল্লাশি অভিযান চলছে, তার মালিক অনুব্রত মণ্ডল ‘ঘনিষ্ঠ’ মলয় পীট। আগেও গরু পাচার, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছিল মলয়ের। এছাড়াও ভিনরাজ্যেও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন ইডির তদন্তকারী অফিসাররা।

    কোটি কোটি টাকার লেনদেন (ED) 

    অভিযোগ, ডাক্তার বানাতে বেআইনিভাবে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের মাধ্যমেই এই জাল নথি তৈরি হয়েছিল। এর সঙ্গে কোটি কোটি টাকার লেনদেনও হয়েছিল। সেই টাকা কীভাবে লেনদেন হয়েছিল, কারা জড়িত? কেন এই অনাবাসী কোটাতে (ED) জাল নথি জমা দিয়ে অ্যাডমিশন দেওয়া হল বিভিন্ন বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে সেটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    বিধানসভায় সরব হয়েছিলেন শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় এনিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের হয়। তার ওপর ভিত্তি (West Bengal) করেই চলছে এই তল্লাশি চলছে। গত এপ্রিলে যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল, সেখানে সরাসরি রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তাদের নাম রয়েছে (ED)। গত সেপ্টেম্বর মাসেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছিলেন, স্বাস্থ্য ভবনের শীর্ষ কর্তা ভুয়ো নথি দিয়ে এনআরআই কোটায় ভর্তির মতো জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED:  দিল্লিতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত ইডি, ফিরল সন্দেশখালির স্মৃতি 

    ED:  দিল্লিতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত ইডি, ফিরল সন্দেশখালির স্মৃতি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত ইডি (ED)। বৃহস্পতিবার সকালের এই ঘটনা ফের একবার ফেরাল চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের সন্দেশখালির স্মৃতি। জানা গিয়েছে সাইবার দুর্নীতির একটি মামলায় দিল্লির (Delhi) বিজওয়াসন এলাকায় তদন্তে যায় ইডির দল। ওই মামলার মূল অভিযুক্ত এক চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেটকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময়ই তদন্তকারী অফিসারদের ওপর হামলা চালানো হয়।

    মোট ৫ জন অভিযুক্ত, দাবি ইডির (ED)  

    জানা গিয়েছে, তদন্তকারী অফিসারদের ওপর হামলা চালিয়েছে অভিযুক্ত এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। ইডির (ED) ওপর হামলা হতেই তড়িঘড়ি ছুটে আসে পুলিশ। ইডির তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, “ঘটনাস্থলে পাঁচ জন অভিযুক্ত ছিল। তাদের মধ্যে একজন পলাতক। মারধরের জেরে ইডির এক অতিরিক্ত ডিরেক্টর আহত হয়েছেন।”

    একটি মোবাইল অ্যাপের বিরুদ্ধেই সাইবার প্রতারণার অভিযোগ ওঠে

    ইডি (ED) সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি মোবাইল অ্যাপের বিরুদ্ধেই (Delhi) সাইবার প্রতারণার অভিযোগ ওঠে এবং তারই তদন্ত শুরু হয়। সেই তদন্তে নাম উঠে আসে এক চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট অশোক শর্মার। তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ফিশিং স্ক্যাম, কিউআর কোড প্রতারণা ও পার্ট টাইম চাকরির টোপ দিয়ে হাজার হাজার মানুষকে প্রতারিত করা হচ্ছিল। অভিযুক্তর বাড়িতে সকালে জিজ্ঞাসাবাদের সময়ই হঠাৎ অশোক এবং তার পরিবারের সদস্যরা ঝাঁপিয়ে পড়ে ইডির ওপর। পুলিশ জানিয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তাদের মধ্যে একজন পলাতক রয়েছে। তার সন্ধান চালানো হচ্ছে। অন্যদিকে, যে সকল আধিকারিক হামলায় আহত হয়েছেন তাঁদের চিকিৎসাও চলছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: কোটি কোটি টাকার প্রতারণা! চিটফান্ড মামলায় প্রয়াগ গ্রুপের দুই ডিরেক্টরকে গ্রেফতার ইডির

    ED: কোটি কোটি টাকার প্রতারণা! চিটফান্ড মামলায় প্রয়াগ গ্রুপের দুই ডিরেক্টরকে গ্রেফতার ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমানতকারীদের সঙ্গে কোটি কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগে চিটফান্ড প্রতারণা মামলায় গ্রেফতার প্রয়াগ গ্রুপের দুই ডিরেক্টর বাসুদেব বাগচী ও অভীক বাগচী। সম্পর্কে তাঁরা বাবা-ছেলে। মঙ্গলবার নিউ আলিপুরে প্রয়াগ গ্রুপের (Prayag Group) দুই ডিরেক্টরের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি (ED)। এরপরই গ্রেফতার। প্রসঙ্গত, ফের চিটফান্ডগুলির বিরুদ্ধে সক্রিয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর আগে চিটফান্ড প্রতারণা কাণ্ডে শেষ গ্রেফতারি হয়েছিল রোজভ্যালি কাণ্ডের সময়।

    ঠিক কী অভিযোগ? (ED)

    ইডি (ED) সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে ওড়িশায় দায়ের হওয়া মামলায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রয়াগ গ্রুপের কর্ণধাররা। বর্তমানে জামিনে মুক্ত ছিলেন তাঁরা। এবার তাঁদের গ্রেফতার করল ইডি। মঙ্গলবারই দিল্লি, কলকাতা সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বেহালা, নিউ আলিপুরে প্রয়াগ গ্রুপের ডিরেক্টরদের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। অভিযোগ, বিভিন্ন বেআইনি স্কিমের টোপ দিয়েই সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রায় ১৯০০ কোটি টাকা তুলেছিল প্রয়াগ গ্রুপ। আমানতকারীদের এই বিপুল টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে। তারপরই ঘটনার তদন্তে নেমে দু’জনকে গ্রেফতার করা হল। শুধু বাংলাতেই নয়, ওড়িশা, অসম, ত্রিপুরা সহ পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতে ছড়িয়ে রয়েছে প্রয়াগ গ্রুপ।

    আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত ইজরায়েল-হিজবুল্লার! কেন এই সিদ্ধান্ত, কী ভাবছেন নেতানিয়াহু?

    রাজনীতির যোগ খতিয়ে দেখতে পারে ইডি!

    প্রয়াগ গ্রুপের ডিরেক্টরের সঙ্গে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের যোগসূত্র ছিল বলেই জানা গিয়েছে। আর্থিক দুর্নীতিতে রাজনীতির যোগও খতিয়ে দেখতে পারে ইডি (ED)। ২০১৩ সালে সারদাকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পরে প্রয়াগ নামক এই ভুয়ো অর্থ লগ্নি সংস্থাও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার স্ক্যানারে আসে। প্রায় দু’হাজার কোটি টাকা আমানতকারীদের কাছ থেকে তুলে নেওয়া হয়। ২০১২ সালে একাধিক হোটেল, রিসর্ট চালু হয় সেই আমানতকারীদের গচ্ছিত টাকায়। চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে দক্ষিণ ভারতের একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি অভিযানের পর সেখান থেকে প্রাপ্ত নথির ভিত্তিতে কলকাতায় মঙ্গলবার অভিযান চালায় দিল্লি থেকে আসা ইডি আধিকারীদের বিশেষ দল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: না জানিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি বালু! ঠিক কী হয়েছে জানতে চিঠি দিল ইডি

    ED: না জানিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি বালু! ঠিক কী হয়েছে জানতে চিঠি দিল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালু-র (Jyotipriya Mallick) শারীরিক অবস্থার কথা জানতে চেয়ে বেসরকারি হাসপাতালকে চিঠি দিল ইডি (ED)। কাউকে কিছু না জানিয়েই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি। বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিঠি পাঠাল ইডি। প্রেসিডেন্সি জেল থেকে তাঁকে ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে, কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, এই ভর্তি প্রসঙ্গে ইডি-কে কোনও কিছুই জানায়নি জেল কর্তৃপক্ষ। আদালতেও সেই তথ্য জানিয়েছে ইডি।

    চিঠিতে কী রয়েছে?

    গত ১৪ নভেম্বর জামিনের আবেদনের শুনানির সময় আদালতে ইডি (ED) জানতে পারে যে রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। জ্যোতিপ্রিয়র আইনজীবী জানান, জেল হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শেই সেখানে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। তবে তার পর থেকে জ্যোতিপ্রিয়র শারীরিক অবস্থা নিয়ে তেমন কোনও খবর প্রকাশ্যে আসেনি। ওদিকে জ্যোতিপ্রিয়র আইনজীবী জানানো মাত্রই তাঁর শারীরিক অবস্থা জানতে চান বিচারক। এবার একই তথ্য চেয়ে হাসপাতালকে চিঠি দিল ইডি।

    ইডি (ED) সূত্রে খবর, তবে শুধু আদালত নয়, জ্যোতিপ্রিয়র (Jyotipriya Mallick) স্বাস্থ্যের আপডেট জানতে চেয়ে হাসপাতালে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সেই চিঠিতে তারা জানতে চেয়েছে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঠিক কী হয়েছে, কোন কেবিনে রয়েছেন, এখন তাঁর স্বাস্থ্যের অবস্থা কেমন? সবটাই জানতে চাওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, বুধবার আদালতে জ্যোতিপ্রিয়র জামিনের আবেদনের শুনানি। সেখানে ফের একবার প্রাক্তন মন্ত্রীর অসুস্থতাকে হাতিয়ার করতে পারেন তাঁর আইনজীবী। তার আগে হাসপাতালের কাছ থেকে রিপোর্ট নিয়ে তৈরি থাকতে চাইছে ইডিও (ED)।

    আরও পড়ুন: ২৫ হাজার কার্ডের নম্বর এক! রাজ্যে বিপুল ডুপ্লিকেট ভোটার কার্ড আবিষ্কার কমিশনের

    গ্রেফতারির পর থেকে বারবার অসুস্থ!

    প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) ওরফে বালু। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিন চেয়ে একাধিকবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তবে, বালুর আবেদনে আপত্তি জানিয়ে আদালতে রিপোর্ট পেশ করেছে ইডি (ED)। গ্রেফতারির পর থেকে বারবার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। তাঁর মাথা ঘোরার কারণ জানতে হেড আপ টিলট টেবল টেস্ট পরীক্ষার পরামর্শও দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। এসএসকেএমে গঠিত হয়েছিল মেডিক্যাল বোর্ড। এই মামলায় অনেকে ইতিমধ্যে ছাড়া পেয়ে গেলেও প্রাক্তন মন্ত্রী এখনও অব্যাহতি পাননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: লটারি দুর্নীতি, দক্ষিণ কলকাতার আবাসনে টাকার পাহাড়! গুনতে ব্যাঙ্ক থেকে যন্ত্র আনল ইডি

    ED: লটারি দুর্নীতি, দক্ষিণ কলকাতার আবাসনে টাকার পাহাড়! গুনতে ব্যাঙ্ক থেকে যন্ত্র আনল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লটারি প্রতারণা মামলায় শুক্রবারেও তল্লাশি অভিযান জারি রেখেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। সকাল থেকেই তদন্তকারীদের কয়েকটি দল দক্ষিণ কলকাতার লেক মার্কেট এবং আরও একটি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে। বিপুল পরিমাণে টাকা উদ্ধার হয়।

    টাকা গোনার যন্ত্র নিয়ে আসা হয়েছে (ED)

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন ২০২৪ সালে যে নথি প্রকাশ করে তাতে দেখা যায়, ফিউচার গেমিং নামে একটি গোষ্ঠী নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে সব থেকে বেশি চাঁদা দিয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলিকে।আদতে কেরলের কোচি শহরের বাসিন্দা সান্তিয়াগো মার্টিন নামে এক পেপার লটারি ব্যবসায়ীর সংস্থা ওই ফিউচার গেমিং। এই রাজ্য এবং রাজ্যের বাইরে মার্টিন ও তার ঘনিষ্ঠদের প্রায় ২০টি ঠিকানায় তেড়েফুঁড়ে অভিযানে নামে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। চলতি মাসের ২ তারিখ থেকে দক্ষিণ ভারতের একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি অভিযানের পর সেখান থেকে প্রাপ্ত নথির ভিত্তিতে কলকাতায় (Kolkata) বৃহস্পতিবার অভিযান চালায় দিল্লি থেকে আসা ইডি আধিকারিকদের বিশেষ দল। এর মধ্যে রয়েছে সল্টলেকের মহিষবাথান, উত্তর ২৪ পরগনার মাইকেলনগর-সহ দক্ষিণ কলকাতার দুই ঠিকানা। ইডি সূত্রের খবর, লেক মার্কেটের প্রিন্স গোলাম মহম্মদ শাহ রোডের একটি বহুতল আবাসনে এক ব্যক্তির ফ্ল্যাট থেকে কয়েক কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। নিয়ে আসা হয়েছে টাকা গোনার যন্ত্রও।

    আরও পড়ুন: প্ররোচনা দিয়ে করা হয়েছিল খ্রিস্টান, ফের সনাতন ধর্মে ফিরলেন প্রায় ১৫০ হিন্দু

    ৬০ হাজার কোটি টাকার লটারি দুর্নীতি!

    ৬০ হাজার কোটি টাকার লটারি দুর্নীতি হয়েছে, এমনটাই দাবি তদন্তকারীদের। লটারির টিকিট বিক্রি করেও সেই টিকিট নম্বরে লটারি না করিয়ে সম্পূর্ণ অন্য সিরিয়াল নম্বরের টিকিটের মাধ্যমে প্রভাবশালীদের টাকা পাইয়ে দেওয়া-সহ অজস্র আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করছে ইডি (ED)। অভিযোগ উঠেছিল, লটারির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা হয়েছে। আর এই প্রতারণার ঘটনায় প্রভাবশালী যোগেরও তত্ত্ব উঠে এসেছে। সেই মামলারই তদন্তে দিল্লি থেকে আসে ইডির বিশেষ দল। এই প্রতারণার জাল কত দূর বিস্তৃত, কারা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত, তার তদন্ত হচ্ছে বলে ইডি সূত্রের খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: লটারি দুর্নীতিতে প্রভাবশালী যোগ! বৃহস্পতিবার কলকাতা সহ একাধিক জায়গায় হানা ইডির

    ED: লটারি দুর্নীতিতে প্রভাবশালী যোগ! বৃহস্পতিবার কলকাতা সহ একাধিক জায়গায় হানা ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত কিছুদিন ধরে একাধিক দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যে বেশ সক্রিয় ইডি-সিবিআই। কিছুদিন আগে  নিয়োগ  দুর্নীতি ও পুর নিয়োগ দুর্নীতি মানলায় একাধিক নেতা-মন্ত্রী, পুর আধিকারিকদের বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশি চালিয়েছিল এই দুই কেন্দ্রীয় তদক্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবার সাত সকালে মধ্যমগ্রামের সুকান্তনগরে ডিয়ার লটারির কারখানায় হানা দেয় ইডি (ED)। ডিয়ার লটারির উত্তর ২৪ পরগনার মাইকেল নগরের প্রিন্টিং অফিসে পৌঁছে যায় ইডি। বিশাল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এদিন সকাল থেকেই সেখানে তল্লাশি অভিযান চলে।

    কেন হানা? (ED)

    দিল্লির সদর দফতর থেকে ইডি আধিকারিকরা শহরে এসেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তদন্তকারীরা বেশ কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে লটারি প্রতারণা মামলার যোগসূত্রের খোঁজে তল্লাশি অভিযানে নেমেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে ইডির আধিকারিকরা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে লেকটাউন এবং উত্তর ২৪ পরগনার মাইকেল নগরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে। তদন্তকারীদের অন্য একটি দল কলকাতার (Kolkata) লেক মার্কেটের চারুচন্দ্র কলেজের কাছে একটি আবাসনে তল্লাশি চালাচ্ছে। ইডি (ED) সূত্রে খবর, রাজ্যের শাসক দলের একাধিক নেতার অ্যাকাউন্টে এই লটারি জয়ের পুরস্কারের টাকা ঢুকেছে। এই কোটি কোটি টাকা পাওয়ার পিছনে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে মনে করছেন ইডির আধিকারিকরা। সন্দেহ করা হচ্ছে লটারির পুরস্কারের আর্থিক টাকার সঙ্গে এই কারখানার ছাপা লটারির কোনও না কোনও যোগসূত্র রয়েছে। সেই যোগসূত্র খুঁজতেই এদিন মধ‍্যমগ্রামের যশোর রোডের ধারে ডিয়ার লটারির এই গোডাউন এবং ছাপাখানায় হানা দিয়েছে ইডি। কারখানার গেট বন্ধ করে চলছে জোর তল্লাশি।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরেও দেড় কোটি টাকা ঢুকেছিল কুন্তলের অ্যাকাউন্টে!

    কালো টাকা সাদা করতে লটারি ব্যবহার!

    দুর্নীতি ইস্যুতে বারংবার লটারি প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। তদন্তে উঠে আসে একাধিকবার একাধিক সময়ে বিভিন্ন তৃণমূল নেতার অ‍্যাকাউন্টে লটারির টাকা ঢুকেছে। আবার কারও কারও অ‍্যাকাউন্টে বেশ কয়েকবার নির্দিষ্ট কোম্পানির লটারির টাকা ঢোকে। সব ক্ষেত্রেই প্রথম পুরস্কারের কোটি কোটি টাকা জমা পড়েছে ওই নেতাদের অ‍্যাকাউন্টে। পাচার এবং চাকরি নিলামের কালো টাকা সাদা করতে এই লটারিকে ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে তৃণমূলের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে। লটারির পুরস্কার প্রাপক বা টিকিট বিক্রেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য হাতে পায় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। সেই তথ্যের সূত্র ধরেই ইডি (ED) হানা দিয়েছে বলে বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Case: নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরেও দেড় কোটি টাকা ঢুকেছিল কুন্তলের অ্যাকাউন্টে!

    Recruitment Case: নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরেও দেড় কোটি টাকা ঢুকেছিল কুন্তলের অ্যাকাউন্টে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (Recruitment Case) গ্রেফতার হয়েছিলেন তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তল ঘোষ (কলঙ্ক মুছতে পরে তাঁকে বহিষ্কার করে তৃণমূল) (Kuntal Ghosh)। গ্রেফতার হওয়ার পরেও হুগলির বলাগড়ের ওই ‘নেতা’র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে দুর্নীতির টাকা। অন্তত এমনই দাবি করলেন ইডির তদন্তকারীরা।

    টাকার উৎস কী? (Recruitment Case)

    সম্প্রতি জামিনের আবেদন করেছিলেন কুন্তল। বুধবার তাঁর জামিনের বিরোধিতা করে ইডি জানায়, কুন্তল অ্যারেস্ট হওয়ার কয়েকদিন পরেও তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ওই টাকার উৎস সম্পর্কে সদুত্তর দিতে পারেননি বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা। এদিন কুন্তলের জামিন মামলার শুনানি শেষ হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। তবে রায়দান স্থগিত রেখেছেন বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ২১ জানুয়ারি গ্রেফতার হন কুন্তল।

    কুন্তলের অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা

    প্রাথমিক স্কুলে নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় কুন্তলের। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’। ওই মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন জনৈক তাপস মণ্ডলও। তদন্তকারীদের সামনে মুখ খুলেছেন তিনি। জানিয়েছেন, ৩২৫ জনের কাছ থেকে কুন্তল নিয়েছেন ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা। ঘুরপথে তৃণমূলের তৎকালীন ওই যুবনেতার অ্যাকাউন্টে ১৯ কোটি টাকারও বেশি ঢোকে। এ সংক্রান্ত কিছু তথ্যপ্রমাণও তাপস তুলে দেন তদন্তকারীদের হাতে।

    গত প্রায় ২২ মাস ধরে জেলেই রয়েছেন কুন্তল। জামিন মামলার শুনানিতে তাঁর আইনজীবী জানান, এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্য জামিন পেয়েছেন। কুন্তলকেও জামিন দেওয়া হোক। তিনি বলেন, “কুন্তল দীর্ঘদিন জেলে রয়েছেন। এই অবস্থায় জামিন পেলে (Recruitment Case) তাঁর পক্ষে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করাও তো সম্ভব নয়।”

    আরও পড়ুন: “রাজাকারদের লাগানো আগুনেই মৃত্যু হয়েছিল মা-বোনের”, খাড়্গেকে মনে করিয়ে দিলেন যোগী

    কুন্তলের জামিনের বিরোধিতা করেন ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। তিনি জানান, কুন্তলের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। গ্রেফতারির পরেও তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে দেড় কোটি টাকারও বেশি। ইডির আইনজীবী বলেন, “মানিককে কেবল ইডি গ্রেফতার করেছিল। তাঁকে সিবিআই গ্রেফতার করেনি। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৪৭৯ (২) ধারায় বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে একের বেশি মামলা বিচারাধীন থাকলে জামিন প্রযোজ্য হবে না। তিনি বলেন, “নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে কুন্তলের (Kuntal Ghosh) বিরুদ্ধে একের বেশি মামলা রয়েছে (Recruitment Case)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

     

LinkedIn
Share