Tag: ED

ED

  • Recruitment Scam: সুজিত-ঘনিষ্ঠ নিতাইকে তলব ইডির, সিবিআই দফতরে হাজিরা দেবরাজের

    Recruitment Scam: সুজিত-ঘনিষ্ঠ নিতাইকে তলব ইডির, সিবিআই দফতরে হাজিরা দেবরাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজ, বুধবার বিধাননগরের মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তীকে (Debraj Chakraborty) তলব করেছে সিবিআই। বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ দেবরাজ হাজির হন নিজাম প্যালেসে। অন্যদিকে পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই দত্তকে তলব করেছে ইডি।  চলতি সপ্তাহেই ইডির অফিসে হাজিরা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে তাঁকে। একসময় মন্ত্রী সুজিত বসুর ব্যক্তিগত আপ্ত সহায়ক ছিলেন নিতাই।

    নিজাম প্যালেসে দেবরাজ

    গত ২৫ তারিখে দেবরাজ চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই (CBI) প্রায় সাড়ে ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল দেবরাজকে। তা সত্ত্বেও জিজ্ঞাসাবাদ অসম্পূর্ণ রয়ে গিয়েছিল বলে দাবি সিবিআইয়ের। তাছাড়া বিধাননগরের মেয়র পারিষদ সব নথিও জমা দিতে পারেননি বলে সিবিআইয়ের দাবি। আজ তাই নিজাম প্যালেসে ফের তলব করা হয়েছে দেবরাজ চক্রবর্তীকে। তাঁকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত নথি নিয়ে আসার কথা বলেছিল সিবিআই। বুধবার সেই নথি নিয়েই সম্ভবত তিনি এসেছেন নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে। নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় তাঁর যোগাযোগের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে দেবরাজ বলেন, ‘‘নিয়োগ বা বদলি সংক্রান্ত অভিযোগ প্রমাণভিত্তিক। আমি তদন্তে সহযোগিতা করছি।’’ 

    আরও পড়ুন: গ্রেফতারির আশঙ্কা! আজ ইডির সামনে হেমন্ত, মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে কি স্ত্রী কল্পনা সোরেন?

    নিতাইকে ইডির তলব

    পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের ইডি তলব করল নিতাই দত্তকে। দক্ষিণ দমদম পুর সভার ভাইস চেয়ারম্যান তিনি। একসময় মন্ত্রী সুজিত বসুর ব্যক্তিগত আপ্ত সহায়ক ছিলেন এই নিতাই। এর আগেও তাঁর বাড়িতে পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত চালিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। নিতাই দত্তের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় সাত পাতার নথি উদ্ধার করেছিলেন ইডি আধিকারিকরা। দক্ষিণ দমদম পুর সভার ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা আধিকারিকদের দাবি ছিল, পুরনিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত নিতাই দত্ত। কামারহাটি পুরসভায় চাকরি পেয়েছেন নিতাইয়ের স্ত্রী ও ভাই। চলতি সপ্তাহেই তাঁকে ইডি দফতরে হাজিরার নোটিস পাঠানো হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hemant Soren: গ্রেফতারির আশঙ্কা! আজ ইডির সামনে হেমন্ত, মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে কি স্ত্রী কল্পনা সোরেন?

    Hemant Soren: গ্রেফতারির আশঙ্কা! আজ ইডির সামনে হেমন্ত, মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে কি স্ত্রী কল্পনা সোরেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী (Jharkhand CM) কুর্সিতে বসতে পারেন হেমন্ত সোরেনের (Hemant Soren) স্ত্রী কল্পনা। আজ, বুধবার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা হেমন্ত সোরেন ইডির মুখোমুখি হতে পারেন। যদি তাঁকে গ্রেফতার করা হয়, তাহলে ঝাড়খণ্ডের স্টিয়ারিং দেওয়া হতে পারে কল্পনা সোরেনকে। আগেই বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে দাবি করেছিলেন, হেমন্ত সোরেন গ্রেফতার হলে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে তাঁর স্ত্রী কল্পনাকে (Kalpana Soren)। যদিও সে সময় এই বক্তব্য উড়িয়ে দেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী।

    ইডির সামনে হেমন্ত

    আর্থিক তছরুপের মামলায় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের (Hemant Soren) নাম জড়ায়। তাঁকে বিগত কয়েকমাস ধরে ১০ বার সমন পাঠানো হয়। একবারও তিনি ইডি দফতরে হাজিরা দেননি। তাঁর দিল্লির বাসভবনে অভিযান চালিয়ে ৩৬ লাখ টাকা নগদ এবং দু’টি বিএমডব্লিউ গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।  কিন্তু হেমন্তের দেখা মেলেনি। আজ ইডির অফিসে হাজিরা দিতে পারেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, আজ তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হতে পারে। তবে আজ হেমন্ত সোরেন ইডির অফিসে হাজিরা দেওয়া পর কেন্দ্রীয় এজেন্সি কোনও বড়সড় পদক্ষেপ করবে কিনা সে নিয়েও জল্পনা জোরালো হচ্ছে।  

    কীভাবে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে

    হেমন্তের (Hemant Soren) যদি জেল হয় তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে পারেন তাঁর স্ত্রী কল্পনা সোরেন। কয়েক দশক আগে বিহারে লালু প্রসাদ যাদব নিজের স্ত্রী রাবরি দেবীকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন। এবার সেই পথেই নাকি হাঁটতে পারেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। কল্পনা সোরেন (Kalpana Soren) বিধায়ক নন। যদি এমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয় যে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদের জন্য শপথ নিতে হবে, তাহলে শপথ নেওয়ার মাস ছয়েকের মধ্যে তাঁকে কোনও না কোনও উপনির্বাচনে জিতে বিধায়ক হতে হবে। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে দাবি করেন, সরফরাজের গান্ডে কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়ে বিধায়ক হতে পারেন হেমন্ত সোরেনের স্ত্রী। 

    আরও পড়ুন: বাজেট অধিবেশনের আগে রাজ্যসভার ১১ সাংসদের সাসপেনশন প্রত্যাহার করলেন ধনখড়

    কল্পনা সোরেনের পরিচয়

    ১৯৭৬ সালে রাঁচিতে জন্ম কল্পনা সোরেনের (Kalpana Soren)। আদতে তিনি ওডিশার ময়ূরভঞ্জের মেয়ে। ব্যবসায়ী পরিবারে বড় হওয়া কল্পনার ঝুলিতে রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি। এমবিএ-ও করেছেন তিনি। ২০০৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি তিনি হেমন্ত সোরেনকে বিয়ে করেন। হেমন্ত (Hemant Soren) ও কল্পনার দুই সন্তান রয়েছে নিখিল এবং অংশ। জানা গেছে, অর্গানিক ফার্মিংয়ের সঙ্গে যুক্ত কল্পনা। একটি স্কুলও চালান তিনি। তিনটি কমার্শিয়াল বিল্ডিংয়ের মালিকানা রয়েছে তাঁর নামে, যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lalu Prasad Yadav: জমির বিনিময়ে চাকরি মামলায় টানা ১০ ঘণ্টা ইডির প্রশ্নবাণের মুখে লালু

    Lalu Prasad Yadav: জমির বিনিময়ে চাকরি মামলায় টানা ১০ ঘণ্টা ইডির প্রশ্নবাণের মুখে লালু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে ইডির প্রশ্নবাণের মুখে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav)। সোমবার পাটনায় ইডির দফতরে হাজিরা দেন লালু। তার পরেই শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ-পর্ব। প্রাক্তন রেলমন্ত্রী ইডি অফিস থেকে বেরিয়ে আসেন রাতে। বাইরে তখন কেন্দ্রীয় বাহিনীর বাপান্ত করছেন আরজেডির নেতা-কর্মী-সমর্থকরা।

    জমির বিনিময়ে চাকরি

    প্রথম ইউপিএ সরকারে রেলমন্ত্রী ছিলেন লালু। সেই সময় বিহারের বহু যুবককে নিয়োগ করা হয়েছিল রেলের গ্রুপ ডি পদে। অভিযোগ, টাকা কিংবা জমির বিনিময়ে এঁদের নিয়োগ করা হয়েছিল। ঘটনায় নাম জড়ায় লালুর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী ও তাঁর দুই মেয়ে মিসা ও হেমার বিরুদ্ধে। পরে (Lalu Prasad Yadav) নাম জড়ায় বিহারের সদ্য প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বীরও। ইডির অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার সময় যে জমি দিয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা, তা দেওয়া হয়েছিল লালুর পরিবারের সদস্য ও একে ইনফোসিস্টেমস নামে এক সংস্থার নামে।

    কেলেঙ্কারিতে লালুর পরিবার

    এই সংস্থার সঙ্গে যোগ রয়েছে লালুর পরিবারের সদস্যদের। কেলেঙ্কারির মূলে পৌঁছতে তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তল্লাশি চালায় দিল্লি, পাটনা সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায়। আরজেডির একাধিক নেতার বাড়িতেও অভিযান চালানো হয়। এই মামলায় লালু ও তাঁর পরিবারের কয়েকজনের নামে সিবিআইয়ের পাশাপাশি চার্জশিট দিয়েছে ইডিও।

    আরও পড়ুুন: হেমন্ত সোরেনের বিলাসবহুল বিদেশি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করল ইডি! ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে কে?

    আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝা বলেন, “এটা ইডির তলব নয়, বিজেপির তলব। এটা ২০২৪ সাল পর্যন্ত চলবে। ততদিন পর্যন্ত একে ইডির তলব বলবেন না।” লালুর মেয়ে মিশা ভারতী বলেন, “তিনি (লালু) নিজে খেতে পারেন না। তাঁকে কাউকে খাইয়ে দিতে হয়। আমরা জানি না তিনি খেয়েছেন কিনা। সরকার আমার বাবাকে গ্রেফতার করতে পারে। কিন্তু একজন অসুস্থ মানুষকে গ্রেফতার করে তারা কী পাবে?”

    রবিবারই রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয়েছে বিহারে। মহাগটবন্ধনের সরকার ছেড়ে নীতীশ কুমার ফের ফিরেছেন বিজেপিতে। তার পরেই লালুকে ইডির তলবে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিরোধীরা। তাঁদের বক্তব্য, লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ধরনের ঘটনা বাড়বে বই কমবে না (Lalu Prasad Yadav)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incidents: সন্দেশখালিকাণ্ডের জের! কেন্দ্রের কাছে ১ কোম্পানি বাহিনী চাইল ইডি

    Sandeshkhali Incidents: সন্দেশখালিকাণ্ডের জের! কেন্দ্রের কাছে ১ কোম্পানি বাহিনী চাইল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধিকারিকদের নিরাপত্তায় এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে চিঠি পাঠাল ইডি।  এই মর্মে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি লিখেছেন ইডির যুগ্ম নির্দেশক। ওই বাহিনী বিধাননগরের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির সদর দফতরেই থাকবে বলে জানা গিয়েছে। সন্দেশখালিতে (SandeshKhali Incidents) দফায় দফায় বেপরোয়া হামলার ঘটনার পর থেকেই সতর্ক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। 

    কেন কোম্পানি চাইছে ইডি

    রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে গত ৫ জানুয়ারি তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহনের বাড়িতে ইডির অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্রে চেহারা নেয় উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি। আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিকরা। ওই রাতেই রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে বনগাঁয় গিয়ে আরও একবার হামলার মুখে পড়ে ইডি। তারপর ৬ জানুয়ারি থেকে বাড়ানো হয় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের নিরাপত্তা। ধাপে ধাপে আনা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। আর এবার নিজেদের জন্য এক কোম্পানি সিআরপিএফ চাইল ইডি। তবে অনেকে এর পিছনে অন্য কারণ দেখছেন। অনেকের অনুমান, আগামী দিনে আরও বড় কোনও নেতার বাড়িতে তল্লাশির প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই অভিযানে গেলে ইডি আধিকারিকদের বড় প্রতিরোধের মুখে পড়তে হতে পারে। তাই আগে থেকেই সতর্ক হয়ে পা ফেলতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    আরও পড়ুুন: দুয়ারে লোকসভা ভোট, মোদিকে দিয়ে শতাধিক সভা করাতে চাইছে বিজেপি

    কী বলছে ইডি

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এতদিন সিবিআইয়ের জন্য বরাদ্দ বাহিনী নিয়ে অভিযানে যেতেন ইডি আধিকারিকরা। সেই বাহিনী থাকে নিজাম প্যালেসে। কিন্তু সন্দেশখালির ঘটনার পর আর কোনও ঝুঁকি নিতে চান না ইডি আধিকারিকরা। তাই ইতিমধ্যে সিজিও কমপ্লেক্সে নিরাপত্তায় মোতায়েন বাহিনীর সংখ্যা দ্বিগুণ করা হয়েছে। আগে সিজিও কমপ্লেক্সে জওয়ানের সংখ্যা ছিল ১৫, এখন তা বাড়িয়ে ৩০ করা হয়েছে। সঙ্গে আরও ১ কোম্পানি বাহিনী চেয়ে পাঠানো হয়েছে। দরকার মতো ইডি আধিকারিকদের সঙ্গে তল্লাশিতে যাবেন এই বাহিনীর সদস্যরা। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Distribution Case: রেশন বিলি মামলায় শঙ্করের ভাই মলয়কে ফের তলব ইডির

    Ration Distribution Case: রেশন বিলি মামলায় শঙ্করের ভাই মলয়কে ফের তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি (Ration Distribution Cas) মামলায় এবার তলব তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যের ভাই মলয়কে। মঙ্গলবার সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয় তাঁকে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্করের যে সংস্থার হাতফের হয়ে রেশন কেলেঙ্কারির কালো টাকা সাদা করা হত, তার অন্যতম ডিরেক্টর ছিলেন মলয়। শুধু তাই নয়, মলয়ের স্ত্রী তানিয়া বনগাঁর মিল মালিক কালিদাস সাহার ভাগ্নি।

    আঢ্য ফোরেক্স

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। গ্রেফতার করা হয়েছে শঙ্করকেও। এবার তলব করা হয়েছে তাঁর ভাইকেও। জ্যোতিপ্রিয় ছাড়া রেশন কেলেঙ্কারির যে ২০ হাজার কোটি টাকা শঙ্কর মারফত বাংলাদেশ ও দুবাইয়ে পাচার হয়েছে, তার মধ্যে কালিদাসের টাকাও রয়েছে বলে অনুমান ইডির। তৃণমূল নেতা শঙ্করের বিদেশি মুদ্রা বিনিময় সংস্থার নাম ‘আঢ্য ফোরেক্স’। এই (Ration Distribution Cas) সংস্থার ডিরেক্টর মলয়। ‘ত্রিনয়নী ফোরেক্স প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে শঙ্করের আরও একটি বিদেশি মুদ্রা বিনিময় সংস্থা রয়েছে। মলয়ের স্ত্রী তানিয়ার নাম রয়েছে এই সংস্থায়। শঙ্করের একটি ভুয়ো সংস্থাও ছিল। ‘অঞ্জলি আইসক্রিম প্রাইভেট লিমিটেড’ নামের ওই জাল সংস্থায় নাম ছিল সস্ত্রীক মলয়ের।

    বিদেশে পাচার হাজার হাজার কোটি টাকা 

    ইডি জেনেছে, রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি মামলায় জ্যোতিপ্রিয়র হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে শঙ্করের মুদ্রা বিনিময় সংস্থার মাধ্যমে। এই টাকার পরিমাণ ৯ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে দু’ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে ‘আঢ্য ফোরেক্স’ মারফত। এর আগে তিনবার ইডি তলব করেছে মলয়কে। প্রতিবারই হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। এদিন ফের একবার তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি সূত্রে খবর, মলয় এদিন ইডির সমন উপেক্ষা করলে অন্য ব্যবস্থা নিতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    আরও পড়ুুন: দুয়ারে লোকসভা ভোট, মোদিকে দিয়ে শতাধিক সভা করাতে চাইছে বিজেপি

    শঙ্কর গ্রেফতার হওয়ার পরে পরেও তাঁর মেয়ে ঋতুপর্ণাকে তলব করেছিল ইডি। প্রায় ছ’ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। তবে ইডির জেরা-পর্বে তাঁকে কী কী প্রশ্ন করা হয়েছে, তা বলেননি ঋতুপর্ণা। ঋতুপর্ণার পর এবার সমন গেল তাঁর কাকু মলয়ের কাছে (Ration Distribution Cas)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Hemant Soren: ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ইডির হানা, গ্রেফতার হবেন সোরেন?

    Hemant Soren: ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ইডির হানা, গ্রেফতার হবেন সোরেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর (Hemant Soren) বাড়িতে ইডির হানা। শনিবার সকালে রাঁচির কাঁকের রোডে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে যান ইডির তিন আধিকারিক। জানা গিয়েছে, আর্থিক তছরুপে অভিযুক্ত সোরেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচবার তলব করেছিল ইডি। কোনওবারই ইডির দফতরে হাজিরা দেননি ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা হেমন্ত। সেই কারণে এদিন ইডি হানা দেয় হেমন্তর সরকারি বাসভবনে।

    আর্থিক তছরুপ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ

    সূত্রের খবর, রাঁচিতে জমি কেনাবেচায় যে আর্থিক তছরুপ হয়েছিল, সেই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে সোরেনকে। গত ডিসেম্বরে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল পঞ্চমবারের জন্য। সেবারও সশরীরে হাজিরা দেননি তিনি। এরপর ১৩ জানুয়ারি তাঁকে চিঠি দিয়ে বলা হয় তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হবে। ১৬-২০ জানুয়ারি যেন সময় দেন তিনি। এর পরেই পাল্টা চিঠিতে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী (Hemant Soren) জানিয়ে দেন, ২০ জানুয়ারি সরকারি বাসভবনে থাকবেন তিনি। সেই মতো এদিন কাঁকের রোডে সোরেনের বাসভবনে পৌঁছান ইডির তিন আধিকারিক।

    সোরেন অনুগামীদের বিক্ষোভ

    এদিন ইডির আধিকারিকরা সোরেনের বাসভবনে পৌঁছতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁর অনুগামীরা। তবে পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালির ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এদিন প্রস্তুত হয়েই এসেছিলেন ইডি আধিকারিকরা। তাই বিক্ষোভের জল গড়ায়নি বেশি দূর। প্রসঙ্গত, বেআইনি জমি কেলেঙ্কারি ও অর্থ পাচার মামলায় শেষবারের মতো সমন জারির পর সোরেনের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়েছিল ইডি। এরই পাল্টা হিসেবে ১০ জানুয়ারি সরকারের সব দফতরে কড়া নির্দেশিকা পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে নজরুলগীতির ভিডিও পোস্ট প্রধানমন্ত্রীর!

    সরকারের সব আধিকারিক ও কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, ইডির আধিকারিকদের প্রশ্নের জবাব যেন দেওয়া না হয়। ইডি কোনও নথি চাইলেও, তা যেন দেওয়া না হয় বলেও জারি করা হয়েছিল নির্দেশিকা। এনিয়ে ইডির সঙ্গে ঝাড়খণ্ড সরকারের সংঘাত চরমে ওঠে। তার পর এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে হানা দেয় ইডি। ওই মামলায় এখনও পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে ইডি। ধৃতদের মধ্যে একজন আবার ২০১১ ব্যাচের আইএএস অফিসার। তিনি ঝাড়খণ্ডের সমাজকল্যাণ বিভাগের পরিচালক ও রাঁচির ডেপুটি কমিশনার হিসেবে কাজ করেছিলেন। এবার কি তবে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর (Hemant Soren) পালা? উঠছে প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায়ের বাড়ি-অফিসে ২১ ঘণ্টা তল্লাশি ইডির, বাজেয়াপ্ত প্রচুর নথি

    Recruitment Scam: ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায়ের বাড়ি-অফিসে ২১ ঘণ্টা তল্লাশি ইডির, বাজেয়াপ্ত প্রচুর নথি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বৃহস্পতিবার শহরের বিভিন্ন জায়গায় হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। ২০২২ সালে নিয়োগ দুর্নীতিতে ‘মিডলম্যান’ হিসাবে গ্রেফতার (Recruitment Scam) হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রসন্ন রায়। সম্প্রতি জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন তিনি। গতকাল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তাঁরই বিভিন্ন ফ্ল্যাট, বাগানবাড়ি, অফিসে হানা দেয়। সূত্রের খবর, প্রসন্ন রায়ের বিভিন্ন আস্তানা থেকে প্রচুর নথিও উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দারা। তদন্তকারীরা প্রায় ২১ ঘণ্টা তল্লাশি চালান বলে খবর। ইডি সূত্রে খবর, প্রসন্ন রায়ের অফিস ছিল টাকা লেনদেনের অন্যতম বড় আস্তানা, প্রসন্ন হয়ে উঠেছিলেন এসএসসি-র অন্যতম ‘মিডলম্যান’। টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের চাকরি করে দেওয়া হতো তাঁর অফিসের মাধ্যমে। সেই টাকা তারপর পৌঁছে যেত নেতা-মন্ত্রীদের কাছে।

    জিজ্ঞাসাবাদ প্রসন্ন রায়ের স্ত্রীকেও

    তদন্তের শেষে তিনটি ট্রাঙ্ক ও তিনটি ট্রলিতে ভর্তি করে কাগজপত্র নিয়ে যায় ইডি। জানা গিয়েছে, বাজেয়াপ্ত হওয়া নথির মধ্যে বেশ কিছু ব্যাঙ্কের পাস বইও রয়েছে। গতকাল রাতে সস্ত্রীক প্রসন্ন রায়কে জিজ্ঞাসাবাদও করেন আধিকারিকরা। তদন্তে (Recruitment Scam) নেমে ইডি আধিকারিকরা প্রসন্ন রায়ের অফিসের কর্মচারীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

    আরও পড়ুন: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা কেন্দ্রের, রাজ্যের সিদ্ধান্ত কী?

    সাত সকালেই হাজির হয় ইডি 

    জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) গ্রেফতার হওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি ধৃত তৃণমূল বিধায়ক জীবন সাহারও ঘনিষ্ঠ প্রসন্ন রায়। এর আগে প্রসন্ন রায়ের বিভিন্ন আস্তানায় সিবিআই তল্লাশি চালালেও এই প্রথম অভিযানে নামে ইডি। গতকাল সকালেই ইডি আধিকারিকরা নিউটাউনে অবস্থিত প্রসন্ন রায়ের অফিসে প্রথমে পৌঁছান। তবে প্রায় দু’ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর চাবি খুলে ভিতরে প্রবেশ করেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার প্রসন্ন ঘনিষ্ঠ এক পরিবহণ ব্যবসায়ী রোহিত ঝা-এর বাড়িতেও হানা দেন গোয়েন্দারা।

    আরও পড়ুুন: “আমি বাংলা বলতে চাই, আপনারাও বাংলায় বলুন”, বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: ‘তৃণমূল প্রধানের বাড়িতেই ছিলেন শাহজাহান’! বিস্ফোরক সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক

    Sheikh Shahjahan: ‘তৃণমূল প্রধানের বাড়িতেই ছিলেন শাহজাহান’! বিস্ফোরক সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি-র ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। তবে, এই হামলার মূল হোতা শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) হদিশ পায়নি পুলিশ। যা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই আবহের মধ্যে সিপিএমের সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের মন্তব্যে নতুন করে বিতর্ক দানা বাঁধতে শুরু করেছে।

    ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত তৃণমূলের প্রধানের বাড়িতেই শাহজাহান! (Sheikh Shahjahan)  

    সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক বলেন, ইডি আধিকারিদের উপর হামলার ঘটনার পর থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কোড়াকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান মনিকা রায়ের আশ্রয়েই ছিলেন শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) । আমাদের কাছে খবর আছে ও সন্দেশখালির ছোট কলাগাছি নদী পেরিয়ে কোড়াকাটিতে গিয়েছে। কোড়াকাটির প্রধানের বাড়িতেই সে রাতে ছিল। আমাদের পক্ষ থেকে পুলিশকে নানাভাবে জানানোর চেষ্টা করেছি। অথচ পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করছে না। পুলিশ সব জানে। কী খাচ্ছে, কী করছে সব জানে ন্যাজাট থানার পুলিশ। আমার মনে হয় শেখ শাহজাহান যে টাকা কামিয়েছে সন্দেশখালি থেকে তা তো ও একা ভোগ করেনি। তাই ও ধরা পড়লে অনেক রাঘববোয়ালের নাম যে আসবে এতে কোনও সন্দেহ নেই। শাহজাহান সন্দেশখালিতেই আছে। এখানেই ওর আসল নিরাপত্তা।

    পঞ্চায়েত প্রধান কী সাফাই দিলেন?

    কোড়াকাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মনিকা রায় বলেন, নিরাপদ সর্দার তো পুলিশ পাঠিয়ে তদন্ত করতে পারেন। পুলিশ তো আর আমার কেনা নয়। পুলিশ এসে আমার বাড়িতে এসে তদন্ত করে দেখতে পারত শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)  ভাই আছে কিনা! আইন আইনের মতো চলবে। আমরা তো নিচুতলার কর্মী। কিন্তু, ভাই (শেখ শাহজাহান) ভাইয়ের মতো এগিয়ে যাবে। ২০ দিন হল আমাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। ভাই আমাদের ফোন করে না। আমরাও ভাইকে ফোন করি না। কোথায় আছে জানি না। নিজের মতোই আছে।ভাইকে আমরা পিতার মতো ভালবাসি। শ্রদ্ধা করি। ও তো জনগণের প্রতিনিধি। গরিব মানুষের পাশে থাকে সর্বদা। আমাদের সবাইকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে। উনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন না। উনি নিশ্চয় আইনের আশ্রয় নিয়ে আইনের পথে চলছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই আর রাজ্য পুলিশকে নিয়ে সিট গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই আর রাজ্য পুলিশকে নিয়ে সিট গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১২ দিন অতিক্রান্ত। এখনও অধরা সন্দেশখালি-কাণ্ডের (Sandeshkhali Case) অন্যতম অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান। নিখোঁজ শাহজাহানের খোঁজে এবার বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সিটের মাথায় থাকবেন সিবিআই এবং রাজ্য পুলিশের একজন করে এসপি পদমর্যাদার অফিসার। তবে ওই বিশেষ তদন্তকারী দলে ন্যাজাট থানার কোনও পুলিশ আধিকারিক বা কর্মী থাকতে পারবেন না। বুধবার এই নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। 

    কী বলল আদালত

    সন্দেশখালি-কাণ্ডে (Sandeshkhali Case) মোট তিনটি এফআইআর হয়েছে ন্যাজাট থানায়। তার মধ্যে একটি এফআইআর করেছে ইডি। একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিশ। তৃতীয় এফআইআরটি করেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়ির কেয়ারটেকর। আদালত জানিয়েছে, প্রথম দুটি এফআইআরের তদন্ত করবে সিট। দলে সিবিআই এবং রাজ্য পুলিশের এসপি পদমর্যাদার অফিসার থাকবে। । রাজ্য জানিয়ে দিয়েছে তাদের তরফে বিশেষ তদন্তকারী দলে থাকবেন ইসলামপুর পুলিশ ডিস্ট্রিক্টের এসপি জাসপ্রীত সিং। তবে সিবিআইয়ের তরফে এখনও কোনও আধিকারিকের নাম বলা হয়নি। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, প্রয়োজনে আধা সেনা ও রাজ্য পুলিশের সহযোগিতা নিতে পারবে সিট। 

    আরও পড়ুন: আরও চাপে শাহজাহান! বিজেপি কর্মী খুনের মামলার কেস ডায়েরি চাইল হাইকোর্ট

    আদালতে রিপোর্ট জমা দেবে সিট

    বিচারপতি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, আদালতের নজরদারিতেই চলবে যৌথ তদন্ত। এই বিশেষ তদন্তকারী দল রাজ্য বা কেন্দ্র কোথাও রিপোর্ট জমা দিতে পারবে না। সংশ্লিষ্ট জেলা আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। হাইকোর্টের নির্দেশ ছাড়া জমা দেওয়া যাবে না চূড়ান্ত রিপোর্টও। গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে মারধর খেয়েছিলেন ইডি অফিসাররা। শাহজাহানকে এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ। এই অবস্থায় ইডি আদালতে দাবি করে যে সন্দেশখালি কাণ্ডে তদন্তের ভার রাজ্য পুলিশের হাত থেকে নিয়ে সিবিআইকে দেওয়া হোক। তবে এসব ক্ষেত্রে সাধারণত যৌথ তদন্তের নির্দেশই দিয়ে থাকে আদালত। আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবারের মধ্যে সিটকে যাবতীয় নথি দিয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। ওই দিন তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে হবে বিশেষ তদন্তকারী দল বা (সিট)-কে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bakibur Rahaman: রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য, বাকিবুরের অ্যাকাউন্টে নগদ ২২৮ কোটি টাকা!

    Bakibur Rahaman: রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য, বাকিবুরের অ্যাকাউন্টে নগদ ২২৮ কোটি টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইডির দাবি, এই ঘটনায় ধৃত বাকিবুর রহমানের (Bakibur Rahaman) এনপিজি রাইস মিল প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছিল নগদ ২২৮ কোটি টাকা। বাকিবুরের অ্যাকাউন্টে এই বিপুল পরিমাণ টাকা কোথা থেকে এল, সে সংক্রান্ত নির্দিষ্ট কোনও তথ্য মেলেনি বলেই চার্জশিটে দাবি ইডির।

    বিপুল পরিমাণ নগদ

    চার্জশিটে আরও দাবি করা হয়েছে, জেরায় বাকিবুর দাবি করেন চাল-আটা বেচেই তাঁর মিলের অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে ২২৮ কোটি টাকা। যদিও ইডির দাবি, রেশন কেলেঙ্কারির টাকাই ঘুরপথে জমা পড়েছে বাকিবুরের মিলের অ্যাকাউন্টে। চার্জশিটের ৪৪ নম্বর পাতায় ইডি জানিয়েছে, বাকিবুরের সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের রেকর্ড খতিয়ে দেখতে গিয়েই এই বিপুল পরিমাণ নগদ জমা পড়েছে বলে জানতে পারেন ইডির তদন্তকারীরা।

    টাকার উৎস কী

    চার্জশিটে (Bakibur Rahaman) কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বাকিবুরের রাইস মিলের অ্যাকাউন্টে সব মিলিয়ে জমা পড়েছে ৪১৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে নগদে জমা পড়েছে ২২৮ কোটি টাকা। বাকিবুরের সংস্থার চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট জয়শঙ্কর গুপ্ত জানিয়েছেন এই টাকার উৎস সম্পর্কে কিছু জানাননি বাকিবুর। জানিয়েছিলেন, চাল-আটা বিক্রির টাকা জমা পড়েছে নগদে। যেহেতু নগদে টাকা জমা পড়েছে, তাই টাকার উৎস খতিয়ে দেখার কোনও সুযোগ তাঁর কাছে ছিল না।

    আরও পড়ুুন: প্রচুর বাংলাদেশি মুদ্রার সন্ধান! জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে যোগ নেই দাবি রেশন দুর্নীতিতে ধৃত শঙ্করের

    ইডির অনুমান, এই ২২৮ কোটি টাকার পুরোটাই রেশন কেলেঙ্কারির। রেশনের চাল খোলা বাজারে সস্তায় বিক্রি করে নগদে দাম নিয়েছেন বাকিবুর। পরে সেই চালকে তাঁর মিলের চাল বলে খাতায়-কলমে দেখিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন দুর্নীতি। রেশন কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে বাকিবুরের একাধিক সংস্থার খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এর মধ্যে কয়েকটি সংস্থা পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন বাকিবুর ও রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পরিবারের সদস্যরা। ইডির অনুমান, এভাবেই বিভিন্ন সংস্থার অ্যাকাউন্টে নগদে লেনদেন করে রেশন কেলেঙ্কারির কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা করেছেন বাকিবুর (Bakibur Rahaman) ও মন্ত্রিমশাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share