Tag: ED

ED

  • ED: আরও চাপে সন্দীপ! আরজি করের দুর্নীতির তদন্তে কোমর বেঁধে নামছে ইডি?

    ED: আরও চাপে সন্দীপ! আরজি করের দুর্নীতির তদন্তে কোমর বেঁধে নামছে ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে চিকিৎসক পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় প্রথম থেকেই এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের স্ক্যানারে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। টানা ১১ দিন সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়েছে সন্দীপকে। এমনকী সিবিআই তাঁর বাড়িতে পর্যন্ত তল্লাশি চালায়। বাড়ি থেকে সবুজ কাপড়ে ভরে নথিও নিয়ে আসে তারা। এবার আরও চাপে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক তছরূপের অভিযোগের তদন্তে নামতে চলেছে ইডি (ED)। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে জমা পড়া অভিযোগের নথিপত্র সংগ্রহ করে দিল্লি পাঠিয়ে দিয়েছেন কলকাতার ইডির আধিকারিকরা। দিল্লি থেকে সবুজ সংকেত এলেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    দুর্নীতির তদন্তে ইডি! (ED)

    সিবিআই-এর পর এবার আরজি কর দুর্নীতিতে (RG Kar Scam) মামলা রুজু করল ইডি। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে ইসিআইআর (এনফোর্সমেন্ট কেস ইনফরমেশন রিপোর্ট) দায়ের করা হয়েছে। এই ইসিআইআর হল, কোনও মামলায় অভিযোগ দায়ের করে ইডির (ED) নিজেরই সেই তদন্তের পথে পা বাড়ানো। বলা হয়, পিএমএলএ অ্যাক্টে (প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট) ব্যবস্থা গ্রহণের আগে সাধারণত ইডি এই ইসিআইআর দায়ের করে। সিবিআইয়ের এফআইআর-এর ভিত্তিতেই এই ইসিআইআর দায়ের করেছে তারা। অভিযুক্ত হিসেবে প্রথম নামই সন্দীপ ঘোষের। কিছুদিন আগেই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক দুর্নীতি-সহ বিভিন্ন দুর্নীতির মামলায় ইডির তদন্ত চেয়ে মামলার আবেদন করেন আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার (নন মেডিক্যাল) আখতার আলি। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে আর্জি জানান তিনি। মামলা দায়ের করার অনুমতিও দেয় কোর্ট। অন্যদিকে, আরজি করে চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ-খুনের মামলার পাশাপাশি এই আখতার আলিরই দায়ের করা দুর্নীতির মামলারও তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে দু’টি মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। তাই, এবার আর্থিক দুর্নীতির মামলার তদন্তভার ইডির হাতে যে কোনও সময়ই যেতে পারে।

    আরও পড়ুন: ‘‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমন নয়’’, মমতাকে সুপ্রিম-নির্দেশ মনে করালেন রাজ্যপাল

    নথি সংগ্রহ করেছে ইডি

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত শুরু করতে সোমবার সিবিআইয়ের কাছে থেকে প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করেছেন আধিকারিকরা। টালা থানায় গিয়ে আরজি কর মেডিক্যালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার এফআইআর-এর কপি সংগ্রহ করেছেন তাঁরা (ED)। সমস্ত নথি পাঠানো হয়েছে দিল্লির প্রবর্তন ভবনে। সেখানকার কর্তারা নির্দেশ দিলে কলকাতায় সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ইসিআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করবেন আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, শুক্রবার সিবিআইকে আরজি কর মেডিক্যালে আর্থিক দুর্নীতির তদন্তভার দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি একাধিক গুরুতর অভিযোগ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে মেডিক্যাল বর্জ্য পাচার, মানবদেহ পাচার, ছাত্রদের কাছ থেকে টাকা আদায় ও ঘনিষ্ঠদের স্টল বিলির অভিযোগ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Saket Gokhale: অর্থ নয়ছয়ের মামলায় তৃণমূল সাংসদ সাকেতের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন ইডির

    Saket Gokhale: অর্থ নয়ছয়ের মামলায় তৃণমূল সাংসদ সাকেতের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অর্থ নয়ছয়ের মামলায় তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ সাকেত গোখলের (Saket Gokhale) বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করল কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আহমেদাবাদের বিশেষ আদালতে মঙ্গলবার বেআইনি আর্থিক লেনদেন (পিএমএলএ) সংক্রান্ত (Money Laundering Charges) আইনে তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    কী জানাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি?

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, সাকেতের (Saket Gokhale) বিরুদ্ধে এক কোটি সাত লক্ষ টাকা অপব্যবহার করার অভিযোগ মিলেছে। তদন্তকারী সংস্থা আরও জানিয়েছে, এই অর্থ ক্রাউড ফান্ডিং-এর মাধ্যমে জনতার কাছ থেকে পাওয়া দান হিসাবে সংগ্রহ করা হয়েছিল। সাকেতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, যে উদ্দেশ্যের কথা জানিয়ে ওই অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছিল, তা সেখানে ব্যয় করার কোনও তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ব্যক্তিগত কারণে ওই অর্থ ব্যয় করেছিলেন বলে ইডির অভিযোগ।

    ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সাকেতকে (Saket Gokhale) আহমেদাবাদ পুলিশ গ্রেফতার করেছিল ইডি

    মঙ্গলবার তাদের অফিসিয়াল এক্স-বার্তায় জানিয়েছে, পিএমএলএ আইনে চার্জ গঠন এড়িয়ে যেতে ফৌজদারি (Money Laundering Charges) দণ্ডবিধির (ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা) ৩০৯ ধারায় সাংসদ সাকেত (Saket Gokhale) যে আবেদন জানিয়েছিলেন, আহমেদাবাদের বিশেষ পিএমএলএ আদালত তা খারিজ করে দিয়েছে। প্রসঙ্গত, এই মামলাতে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সাকেতকে আহমেদাবাদ পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। পরে মামলায় তদন্তের ভার পেয়ে তাঁকে হেফাজতে নিয়েছিল ইডি।

    সম্প্রতি সাকেতকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করে দিল্লি হাইকোর্ট

    সম্প্রতি, অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিক লক্ষ্মী পুরীর দায়ের করা মামলায় তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলেকে ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা করে দিল্লি হাইকোর্ট। সঙ্গে সোশ্যাল মডিয়ায় সাকেতকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি। প্রাক্তন কূটনীতিক লক্ষ্মী পুরী ব্যক্তিগত সম্পর্কে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীর স্ত্রী। ২০২১ সালের ১৩ ও ২৬ জুন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সাকেত গোখলে দাবি করেন লক্ষ্মী পুরীর সুইৎজারল্যান্ডে আয় বহির্ভূত সম্পত্তি রয়েছে। সেই পোস্টে মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীকেও উল্লেখ করেন তিনি। অভিযোগ অস্বীকার করে সাকেত গোখেলের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে মানহানির মামলা করেন লক্ষ্মী পুরী। আদালতে তিনি জানান, সাকেত গোখেলের অভিযোগ ভিত্তিহীন। এতে তাঁর মানহানি হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: সমাজবাদী পার্টির সাংসদের ২৫০ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    ED: সমাজবাদী পার্টির সাংসদের ২৫০ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমাজবাদী পার্টির সাংসদের কয়েকশো কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি (ED)। কেবল তাই নয়, বাবু সিং কুশওয়াহা নামে সমাজবাদী পার্টির ওই নেতার জমিতে থাকা নির্মাণও ভেঙে দিয়েছেন (NRHM Scam) ইডির আধিকারিকরা। কুশওয়ার যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি, সেটা রয়েছে উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের কানপুর রোডে।

    এনআরএইচএম কেলেঙ্কারি (ED)

    কেন এই পদক্ষেপ ইডি-র? জানা গিয়েছে, ন্যাশনাল রুরাল হেল্থ মিশন কেলেঙ্কারি মামলার তদন্ত করছে ইডি। এই মামলায় কুশওয়াহার যোগ প্রকাশ্যে এসেছিল আগেই। এই ঘটনারই তদন্তে নেমে সমাজবাদী পার্টির ওই নেতার ২৫০ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ইডি। এই সম্পত্তিতে থাকা সব বেআইনি নির্মাণও বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার লোকজন।

    সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত

    প্রসঙ্গত, এনআরএইচএম কেলেঙ্কারির সময় কুশওয়াহা ছিলেন উত্তরপ্রদেশের বিএসপি সরকারের পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী। এই মামলায় ইতিমধ্যেই চার বছর জেলও খেটেছেন তিনি। এবার বাজেয়াপ্ত করা হল তাঁর সম্পত্তি। গ্রেফতার হওয়ার আগে কুশওয়াহা ছিলেন মায়াবতীর বিএসপিতে। জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে তিনি অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে জৌনপুরে প্রার্থী হন সমাজবাদী পার্টির। জিতেও যান। তার পর এদিন তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি (ED)।

    আরও পড়ুন: বিধ্বস্ত ওয়েনাড়ে নাকি ‘স্মরণীয় দিন’ কাটিয়েছেন শশী! তুলোধনা করল বিজেপি

    ২০১১ সালে ন্যাশনাল রুরাল হেল্থ মিশনে ব্যাপক কেলেঙ্কারি হয়েছিল বলে অভিযোগ। ওই সময় উত্তরপ্রদেশের কুর্সিতে ছিল মায়াবতী সরকার। বিএসপি সরকারের বিরুদ্ধে ১০ হাজার কোটিরও বেশি টাকা কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে। তদন্তে নেমে সিবিআই গ্রেফতার করে কয়েকজন স্বাস্থ্য কর্তাকে। গ্রেফতার করা হয় কুশওয়াহাকেও। কেবল এই কেলেঙ্কারিই নয়, আয় বহির্ভুত সম্পত্তি মামলায়ও দোষী সাব্যস্ত হন সমাজবাদী পার্টির এই সাংসদ। জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ২৫টি। ইতিমধ্যেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ৮টি মামলায়।

    উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি দিল্লি, হরিয়ানা এবং মধ্যপ্রদেশ-সহ বিভিন্ন এলাকার ৬০টিরও বেশি জায়গায় অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। সেই সময় অভিযান চালানো হয়েছিল কুশওয়াহার (ED)  বাড়িতেও।এর পরেও একাধিকবার (NRHM Scam) হয়েছে অভিযান।,

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: তৃণমূল নেতার রাইস মিলই রেশন দুর্নীতির আখড়া! বাজেয়াপ্ত খাদ্য দফতরের সিল যুক্ত নথি

    ED: তৃণমূল নেতার রাইস মিলই রেশন দুর্নীতির আখড়া! বাজেয়াপ্ত খাদ্য দফতরের সিল যুক্ত নথি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার দুই ২৪ পরগনার একাধিক জায়গায় ইডি (ED) আধিকারিকরা একসঙ্গে হানা দেন। ৪০ জনের একটি টিম বিভিন্ন শাখায় বিভক্ত হয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে অভিযান শুরু করে। মূলত, রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) তদন্তেই এই অভিযান। উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনিসুর রহমান ওরফে বিদেশের বাড়িতে দিনভর তল্লাশি চালায় ইডি। বিদেশের বাড়ি লাগোয়া রয়েছে রাইস মিল। এই মিলের মালিক বিদেশ ছাড়াও তাঁর ভাই চালকল ব্যবসায়ী আলিফ নূর মুকুল। তাঁদের ভাঙড়ে একটি রাইস মিল রয়েছে। দেগঙ্গার পাশাপাশি সেখানেও হানা দিয়েছিল ইডি।

    দেগঙ্গার রাইস মিল থেকে কী মিলল? (ED)

    মঙ্গলবার তৃণমূল নেতার বাড়ির পাশাপাশি তাঁর রাইস মিলে হানা দেওয়ার সময় সেখানে লাইন দিয়ে খাদ্য দফতরের ট্রাক নজরে পড়ে ইডি (ED) আধিকারিকদের। ফলে, খাদ্য দফতরের সঙ্গে এই রাইস মিলের যোগ রয়েছে তা তদন্তকারী আধিকারিকরা আঁচ করেছিলেন।  রাইস মিলের কর্মীরাও খাদ্য দফতরে চাল সরবরাহ করার কথা স্বীকার করে নেন। ফলে, ইডি আধিকারিকরা কড়া নজরদারির মধ্যে দিয়ে রাইস মিলে তল্লাশি অভিযান চালান। সূত্রের খবর, বিদেশ ও মুকুলের বাড়ি লাগোয়া রাইস মিল থেকে উদ্ধার হয় রাজ্য সরকারের খাদ্য দফতরের সিল যুক্ত নথি। উদ্ধার হয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ বাকিবুর রহমানের চালকলের নথিও। মুকুল ও বিদেশ হলেন বাকিবুরের মামাতো ভাই। কীভাবে খাদ্য দফতরের নথি বিদেশের চালকলে? তাহলে কি রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) আখড়া ছিল তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বিদেশের রাইস মিল? উঠছে প্রশ্ন। মঙ্গলবারই দেগঙ্গা ব্লকের বেড়াচাপায় পিজি হাইটেক রাইস মিলে অভিযান চালায় ইডি। এই মিলেরই মালিক মুকুল ও বিদেশ। ইডি সূত্রে খবর, এই দুই ভাইয়ের চালকল ছাড়াও আবাসিক মিশন রয়েছে। এছাড়া বি.এড, ডিএল এড কলেজ রয়েছে।

    আরও পড়ুন: জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ বারিকের রাজারহাটের ফ্ল্যাট থেকে ২০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি

    ইডি (ED) আধিকারিকরা বেরিয়ে যাওয়ার পর তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনিসুর রহমান বলেন, “ইডি যা যা নথি চেয়েছে সবটাই দিয়েছি। দেশের দায়িত্বশীল নাগরিক, বাংলার দায়িত্বশীল নাগরিক ও তৃণমূল কংগ্রেসের দায়িত্বশীল কর্মী হিসাবে বলতে পারি যখন যখন যে ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন হবে আমরা করব। একটা মোবাইল নিয়ে গিয়েছে। কিছুই পায়নি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ বারিকের রাজারহাটের ফ্ল্যাট থেকে ২০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    ED: জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ বারিকের রাজারহাটের ফ্ল্যাট থেকে ২০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ আব্দুল বারিক বিশ্বাসের ডেরায় হানা দেয় ইডি (ED)। বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তাঁর উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বসিরহাটের সংগ্রামপুরের বাড়ি এবং রাজারহাটে ফ্ল্যাটে সাত সকালে হাজির হন ইডি আধিকারিকরা। দিনভর চলে তল্লাশি অভিযান। আর তাঁর বাড়়ি থেকে ইডি আধিকারিকরা কী কী বাজেয়াপ্ত করেছেন তা নিয়ে রাজ্যবাসীর বাড়তি আগ্রহ ছিল।

    রাজারহাটের ফ্ল্যাট থেকে কী মিলল? (ED)

    মঙ্গলবার ভোরে বসিরহাটের সংগ্রামপুরে বারিকের বাড়িতে ইডি (ED)  আধিকারিকরা আসেন। বেলা ২টো ২০ মিনিট নাগাদ বেরিয়ে যান তাঁরা। বারিকের রাইসমিলে প্রায় ১৩ ঘণ্টা ৫০ মিনিট অভিযান চালানোর পর সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিট নাগাদ বেরিয়ে যান ইডি আধিকারিকেরা। ইডি সূত্রে খবর, রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে বারিকের বসিরহাটের বাড়ি এবং রাজারহাটের ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে মঙ্গলবার প্রায় ২০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৯ ঘণ্টা ২০ মিনিট পর বেরিয়ে যান ইডির আধিকারিকেরা।

    আরও পড়ুন: টোকিও-র পর গীতাই ছিল আশ্রয়, খেলার সঙ্গে পড়াশোনাতেও উজ্জ্বল মনু

    ট্রাক চালক থেকে কোটিপতি!

    স্থানীয় সূত্রের দাবি, এক সময় বারিক ছিলেন ট্রাকচালক। হতদরিদ্র পরিবার। পাচারচক্রে হাত পাকানোর পর তাঁর হাতে কোটি কোটি টাকা আসে। এরপরই প্রতিবেশীদের কাছে থেকে ৫ কাঠা জায়গা কিনে সংগ্রামপুরে (North 24 Parganas) অট্টালিকা তৈরি করেন। সিসি ক্যামেরা মোড়া তাঁর বাড়ি রাজপ্রাসাদকে হার মানাবে। বারিকের বিরুদ্ধে সোনা পাচারেরও অভিযোগ উঠেছিল। ২০১৫ সালে প্রচুর সোনা-সহ তাঁকে গ্রেফতার করেছিল শুল্ক দফতর। কয়েক বছরের জন্য জেলেও গিয়েছিলেন। পরে, জামিনে মুক্তি পান। সূত্রের খবর, জেল থেকে বেরিয়ে পাচারের বদলে একাধিক ব্যবসা শুরু করেন বারিক। ইটভাটা, কয়লা, ট্রাকের ব্যবসা শুরু করেন। ওই সূত্রের দাবি, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও চালু করেন তিনি। এর পর ধীরে ধীরে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায় বারিকের। অভিযোগ, সেই সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা- সমাবেশে নেতাদের সঙ্গে তাঁকে দেখা গিয়েছিল। সূত্রের দাবি, সেই সময়ে জ্যোতিপ্রিয়ের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠতা’ তৈরি হয় বারিকের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: জ্যোতিপ্রিয়-ঘনিষ্ঠ বারিক ট্রাকচালক থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক! উল্কার গতিতে উত্থান কোন পথে?

    ED: জ্যোতিপ্রিয়-ঘনিষ্ঠ বারিক ট্রাকচালক থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক! উল্কার গতিতে উত্থান কোন পথে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে আব্দুল বারিক বিশ্বাসের উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বসিরহাটের সংগ্রামপুরের বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি (ED)। সন্দেশখালি, বনগাঁর ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর শতাধিক জওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে বারিকের ডেরায় যায় ইডির তদন্তকারী দল। মঙ্গলবার সংগ্রামপুরে বারিকের বাড়ি লাগোয়াই রয়েছে তাঁর চালকল। সেখানেও তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। পাশাপাশি তল্লাশি চালায় তাঁর কারখানা ও নিউটাউনের ফ্ল্যাটে।

    কে এই আব্দুল বারিক বিশ্বাস? (ED)

    ট্রাক চালক থেকে কোটিপতি! স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বারিকের উত্থান অনেকটাই সিনেমার গল্পের মতো। বর্তমানে পেশায় কোটিপতি ব্যবসায়ী বারিক এককালে ছিলেন ট্রাকচালক। সেই সময় গরু পাচারের কাজে ব্যবহৃত হত বসিরহাটের একাধিক ‘করিডর’। বসিরহাটের স্বরূপনগর থেকে শুরু করে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা জুড়ে চলত পাচারের কারবার। সূত্রের খবর, ট্রাক চালানোর সুবাদেই পাচারকারীদের সঙ্গেও যোগাযোগ তৈরি হয়েছিল তাঁর। কোথা থেকে গরু আনা হত, কোথা থেকে সীমান্ত পার করতে হত, বাংলাদেশে কারা সেই গরু কিনতেন, সীমান্তে কাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হত এই কারবারের সঙ্গে, সে সব তথ্যও জেনে নিয়েছিলেন। এ ভাবেই ধীরে ধীরে নিজের পরিধি বর্ধিত করতে শুরু করেছিলেন তিনি। এরপর শুরু করেন নিজের ‘সাম্রাজ্য’ তৈরির প্রস্তুতি। শোনা যায়, এক সময়ে শুধু বসিরহাট বা বনগাঁ এলাকাতেই নয়, গোটা রাজ্যেই সীমান্তবর্তী এলাকায় পাচারের কারবারে অন্যতম বড় নাম হয়ে ওঠে আব্দুল বারিক।

    আরও পড়ুন: টয়োটা ফরচুনার, পাজেরো, জিপ কম্পাস, মারুতি জেন, তৃণমূল ব্লক সভাপতির গ্যারাজ যেন শো-রুম

    সোনাপাচারে জেলও খেটেছেন

    রেশন দুর্নীতিতে ইডি (ED) হানার আগে সোনা পাচারের অভিযোগ ছিল বারিকের বিরুদ্ধে। ২০১৫ সালে প্রচুর সোনা-সহ তাঁকে গ্রেফতার করেছিল শুল্ক দফতর। কয়েক বছরের জন্য জেলেও গিয়েছিলেন। পরে, অবশ্য জামিনে মুক্তি পান। জেল থেকে মুক্তির পর অবশ্য ‘ভাবমূর্তি’-তে কিছুটা বদল আনার চেষ্টা করেন তিনি। পাচারের কারবারের বদলে শুরু করেন একাধিক ব্যবসা। ইট ভাটা, কয়লা, ট্রাকের ব্যবসা শুরু করেন। এমনকী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও চালু করেন। এরপর ধীরে ধীরে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে বারিকের। বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে, নেতাদের সঙ্গে দেখা যেতে থাকে তাঁকে। সূত্রের দাবি, সেই সময়েই জ্যোতিপ্রিয়ের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠতা’ তৈরি হয় বারিকের।

    বারিককে গুরু মানতেন এনামূল

    মুর্শিদাবাদের এনামূল হক জেরায় স্বীকার করেছিলেন, বারিকের হাত ধরেই তিনি গরু পাচার শুরু করেন। গরুর সঙ্গে সোনা পাচারেও হাত পাকানোর অভিযোগ রয়েছে বারিকের নামে। প্রতি ১০ গ্রাম সোনা বাংলাদেশ থেকে সীমান্তের এই পারে এনে দিলেই মুনাফা ৪ হাজার টাকা! সোনা পাচার মামলায় ইডি (ED) গ্রেফতার করেছিল বারিককে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। ২০১৫ সালে ২০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ইডি।

    জ্যোতিপ্রিয় মদতেই রমরমা বারিকের!

    সারদা চিটফান্ড মামলায় বারিকের নাম উঠে আসে। বারিকের মাধ্যমে চিটফান্ডের টাকা পাচার হয়েছে বলে ইঙ্গিত মেলে। ওই সময় বারিক জামিন পাওয়ার পর দীর্ঘদিন লোক চক্ষুর আড়ালে চলে যান। এরপরই ধীরে ধীরে রাইস মিল থেকে শুরু করে অন্যান্য বিভিন্ন ব্যবসায় লগ্নি করেন বারিক। আগাগোড়া জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বারিককে মদত দেন বলে অভিযোগ। ২০২১ সালে ফের বারিকের নাম উঠে আসে সিবিআইয়ের হাত ধরে। গরুপাচার মামলার তদন্তে উঠে আসে বারিকের নাম। এক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বারিক বিশ্বাসের দাদা গোলাম উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Parganas) জেলা পরিষদের সদস্য ছিলেন ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত। ২০১৮ সালে গোলামের স্ত্রী নির্বাচনে জেলা পরিষদের টিকিট পান। গোলামের স্ত্রী সাফিজা বেগম এখনও তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য।

    রেশন দুর্নীতির টাকা বিনিয়োগ!

    বারিক বিশ্বাস সোনা পাচারে গ্রেফতার হওয়ার পর জামিন পেয়ে রিয়েল এস্টেট থেকে শুরু করে ইটভাটা এবং অ্যাগ্রো প্রোডাক্টের ব্যবসা শুরু করেন। কলকাতা, নিউটাউন, রাজারহাট, বসিরহাট এলাকায় প্রচুর সম্পত্তিও কেনা হয়েছে। ওই কোম্পানিরগুলির আড়ালেই বারিক বেআইনি পাচার ব্যবসা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ। রেশন দুর্নীতির টাকাও এই সংস্থাগুলির মাধ্যমে বিনিয়োগ হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছে ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা কাইজারের ভাইয়ের ডেরায় হানা দিল ইডি, কী তথ্য মিলল?

    ED: ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা কাইজারের ভাইয়ের ডেরায় হানা দিল ইডি, কী তথ্য মিলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনা জেলার একাধিক জায়গায় মঙ্গলবার সাত সকালে ইডি (ED) হানা দেয়। সেই জের মিটতে না মিটতেই এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ভাঙড়ে এদিন ইডি হানা দেয়। ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদের ভাই জাহাঙ্গির আলম পাপ্পুর ডেরাতে অভিযান চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    ভাঙড়ের রাইস মিলেও তৃণমূল নেতার ভাইয়ের নাম জড়াল (ED)

    জানা গিয়েছে, ভাঙড়ের তৃণমূল নেতার ভাই জাহাঙ্গিরের পিজি অ্যাগ্রো ফুড প্রোডাক্টস প্রাইভেট লিমিটেড নামে রাইস মিলেও এদিন হানা দেয় ইডি। ইডি (ED) আধিকারিকদের জাহাঙ্গির আলম ওরফে পাপ্পু বলেন, “২০১৬ সালে আব্দুল বারিক বিশ্বাস ও বলরাম সরকার এই রাইস মিল কিনছিলেন। তাতে ১০ শতাংশ শেয়ার ছিল আমার। তবে ২০২১ সালের পর তিনজনই পিজি রাইস মিল বিক্রি করে দেন দেন মুকুলকে।” জানা গিয়েছে, এই মুকুল হচ্ছে দেগঙ্গার তৃণমূলের ব্লক সভাপতির ভাই। পাপ্পু আরও বলেন,” তিন বছর আগে আমার ওই রাইস মিলে শেয়ার ছিল। এখন নেই। যখন শেয়ার ছিল, তখন মাঝে মধ্যে যেতাম। এখন আর যাই না। কেন আমার নাম জড়ানো হচ্ছে তা বুঝতে পারছি না। ইডি আধিকারিকদের তদন্তে সবরকম আমরা সহযোগিতা করেছি।”

    আরও পড়ুন: টয়োটা ফরচুনার, পাজেরো, জিপ কম্পাস, মারুতি জেন, তৃণমূল ব্লক সভাপতির গ্যারাজ যেন শো-রুম

    দুই ২৪ পরগনায় চলছে ইডি হানা

    এদিন সকাল থেকে দুই ২৪ পরগনায় চলছে ইডির (ED) তল্লাশি অভিযান। একযোগে তল্লাশি চলছে ভাঙড় (South 24 Parganas), বসিরহাটে আব্দুল বারিক বিশ্বাসের বাড়ি, রাইস মিল, নিউটাউনে বারিকের ফ্ল্যাট এবং বেড়াচাপায় তৃণমূলের দেগঙ্গা ব্লকের সভাপতি আনিসুরের বাড়ির পাশের রাইসমিলে। এদিন ৪০ জন আধিকারিক কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে একাধিক জায়গায় অভিযান চালান। দেগঙ্গায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতির গ্যারাজে লাইন দিয়ে দামী দামী গাড়়ি হদিশ পান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। আর একাধিক জায়গায় হানা দিয়ে কী কী মিলল তা খোলসা করেননি ইডি আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: টয়োটা ফরচুনার, পাজেরো, জিপ কম্পাস, মারুতি জেন, তৃণমূল ব্লক সভাপতির গ্যারাজ যেন শো-রুম

    ED: টয়োটা ফরচুনার, পাজেরো, জিপ কম্পাস, মারুতি জেন, তৃণমূল ব্লক সভাপতির গ্যারাজ যেন শো-রুম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতি মামলায় ফের সক্রিয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি (ED)। মঙ্গলবার সাত সকালে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) একাধিক জায়গায় একযোগে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে ইডি। প্রায় ৪০ জন অফিসারের একটি টিম নিয়ে তল্লাশি চলছে। সঙ্গে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। টিমে রয়েছেন মহিলা অফিসারও। তৃণমূলের ব্লক সভাপতির গ্যারাজে হানা দেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    তৃণমূল ব্লক সভাপতির গ্যারাজে ৬টি এসইউভি গাড়ি (ED)

    এদিন সকালে দেগঙ্গা ব্লকের বেড়াচাপায় পিজি হাইটেক রাইস মিলে  হানা দেয় ইডি (ED)। রাইসমিলের বাইরে এবং ভিতর ঘিরে ফেলে সিআরপিএফ। রাইস মিলের সঙ্গেই রয়েছে রাইস মিলের মালিকের সাদা রঙের বিলাসবহুল বাড়ি। সেই বাড়ির গায়েই আবার দেগঙ্গা-১ তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইডি আধিকারিকদের কাছে বিদেশ ও মুকুল নামে দু’জনের নাম উঠে আসছে। এলাকার লোকজন বলছেন, তাঁরা দুই ভাই। বিদেশের ভালো নাম আনিসুর রহমান। তিনিই দেগঙ্গা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি। এছাড়াও তাঁদের আরও একটি পরিচয় রয়েছে। তাঁরা বাকিবুর রহমানের মামাতুতো ভাই। বিলাসবহুল বাড়ির নিচে রয়েছে বিশাল গ্যারাজ। তার ভিতরে ৬টি এসইউভি গাড়ি রয়েছে। হুন্ডাই আলকাজ়ার, টয়োটা ফরচুনার, মিৎসুবিশি পাজেরো, জিপ কম্পাস, মারুতি সুজুকি জেন লাইন দিয়ে সাজানো রয়েছে। কোটি টাকার ওপর গাড়ির সম্ভার এই গ্যারাজে। সবথেকে বড় চমক হল, টয়োটা ফরচুনার গাড়িতে নেমপ্লেট তৃণমূলের ব্লক সভাপতিরই। পিজি হাইটেক রাইসমিলের মালিক আলিফ নূর মুকুল ও আনিসুর রহমানের গ্যারাজে রাখা গাড়ি সার্চ করে ইডি। গ্যারাজের এত গাড়ি কার কার নামে রয়েছে? গাড়ি কেনার উৎস কী? তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে ইডি আধিকারিকরা।

    খাদ্য দফতরের ট্রাক রয়েছে রাইস মিলে!

    এদিন ইডি (ED) আধিকারিকরা তল্লাশি চালানোর সময় তৃণমূলের ব্লক সভাপতির ভাইয়ের রাইস মিলে একাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। তাতে লেখা ‘অন ডিউটি গভর্নমেন্ট অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ফুড সাপ্লায়ার্স’। ফলে, রাজ্যের খাদ্য সরবরাহ দফতরের সঙ্গে এই রাইস মিলের যোগের একটা সম্ভাবনা এখন আরও জোরাল হচ্ছে। রাইস মিলের কর্মীদের জেরা করে ইডি আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, এই রাইস মিল থেকে চাল যায় সরকারি গোডাউনে। ফলে, এই রাইস মিল থেকে আরও তথ্য মিলতে পারে বলে তদন্তকারী আধিকারিকরা মনে করছেন।

    বসিরহাটে ইডি

    বসিরহাটের (North 24 Parganas) সংগ্রামপুরে আব্দুল বারিক বিশ্বাসের বাড়ি। গরু ও কয়লা পাচার মামলায় একাধিকবার নাম জড়ায় তাঁর। সোনা পাচার মামলায় ১০ বছর আগে আব্দুল বারিক বিশ্বাস গ্রেফতার হয়েছিলেন। সূত্রের খবর, প্রাসাদোপম তাঁর বাড়িতে একাধিক সিসি ক্যামেরা রয়েছে। পুরো বাড়ি চতুর্দিক ঘিরে ফেলেছে বিএসএফ। ঠিক ভোর ৫টায় তাঁর বাড়িতে ঢোকে ইডি। বাড়ির পাশেই সংগ্রামপুর অ্যাগ্রো ফুড প্রোডাক্ট প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি রাইস মিল রয়েছে। সেখানেও তল্লাশি শুরু করেছে ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি, ওএমআর মূল্যায়ন সংস্থার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    ED: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি, ওএমআর মূল্যায়ন সংস্থার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকের টেট পরীক্ষার ওএমআর মূল্যায়নকারী সংস্থা এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি (ED)। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় কোটি টাকা। তার মধ্যে নগদ অর্থ যেমন রয়েছে তেমনই রয়েছে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকা ওই সংস্থার ফিক্সড ডিপোজিটও। প্রসঙ্গত, প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় (West Bengal Primary Recruitment case) দীর্ঘদিন ধরেই ইডি (ED) ও সিবিআইয়ের রাডারে রয়েছে এস বসু রায় সংস্থাটি। নিয়োগ দুর্নীতিতে ওএমআর শিট নষ্ট করার অভিযোগ ওঠে সংস্থার বিরুদ্ধে।

    ওএমআর সংক্রান্ত তথ্য প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই আদালতে জানিয়েছিল সিবিআই

    ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটের ওএমআর শিট স্ক্যানিং এবং মূল্যায়নের দায়িত্বে ছিল এই সংস্থা। কিন্তু তদন্তে উঠে আসে ওএমআর সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য তারা নষ্ট করে ফেলে। এই ওএমআর সংক্রান্ত তথ্য প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই আদালতে জানিয়েছিল সিবিআই। ওএমআর তথ্যের সন্ধানে নেমে সিবিআই আদালতকে জানিয়েছিল, যে সার্ভারে ওএমআর শিট স্ক্যান করা হয়েছিল তা ২০১৭ সালেই বদলে ফেলে ওই সংস্থা। সার্ভার ক্রাশ করায় তা হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন সংস্থার তৎকালীন প্রধান। সেই নির্দেশই পালন করা হয়। সে সময়ে কলকাতা হাইকোর্ট তদন্তকারী সংস্থাকে জানিয়েছিল, ডিজিটাল তথ্য কখনও নষ্ট হয় না। প্রয়োজনে এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিতে পারে সিবিআই। কিন্তু যেভাবেই হোক তথ্য (West Bengal Primary Recruitment case) উদ্ধার করতে হবে।

    জেলে গিয়ে ইডির (ED) জেরা 

    হাইকোর্টের ওই নির্দেশ পাওয়ার পরে চলতি মাসের ৯ জুলাই বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে এস বসু রায়-এর সংস্থার অফিসে গিয়ে হানা দেয় সিবিআই। শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। টানা কয়েকদিন ধরে চলে এই তল্লাশি অভিযান এবং সেখান থেকে ৩৫টিরও বেশি হার্ড ডিস্ক ও দুটি সার্ভার বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে ইডিও এস বসু রায়ের কয়েকজন কর্মচারী ও হিসাবরক্ষককে তলব করে জেরা করে। এই মামলায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন এস বসু রায়ের এক কর্মচারী ও এক শেয়ারহোল্ডার। তাঁরা বর্তমানে জেলে রয়েছেন। সেখানে গিয়েও তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি (ED) গোয়েন্দারা। তারপরে শনিবারই ইডির গোয়েন্দারা এস বসু রায় সংস্থার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arvind Kejriwal: অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ, জানাল ইডি

    Arvind Kejriwal: অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ, জানাল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও সংবাদ শিরোনামে আবগারি দুর্নীতি মামলা। এবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) এবং আম আদমি পার্টির (APP) বিরুদ্ধে আবগারি দুর্নীতি মামলা সংক্রান্ত তদন্ত সমাপ্ত করল ইডি। যদিও কেন্দ্রীয় সংস্থা এই তদন্ত সম্পূর্ণ হওয়ার কথা এখনও জানায়নি। ২২ মাস ধরে চলা এই মামলায় এখনও পর্যন্ত ইডি (ED) মাত্র ২৪৪ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। একইসঙ্গে এই মামলায় যুক্ত ১৮ জন গ্রেফতার হয়েছে, এবং ৪০ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৮টি চার্জশিট এবং ৪ ডজনেরও বেশি অভিযান হয়েছে৷ 

    কী জানিয়েছে ইডি? (ED) 

    এ প্রসঙ্গে ইডির এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) এবং আপের বিরুদ্ধে ৩৭ এবং ৩৮ অভিযুক্ত নম্বরের বিষয়ে আমাদের তদন্ত সম্পূর্ণ হয়েছে। আদালত আমাদের দাখিল করা আটটি চার্জশিটের সবকটি গ্রহন করেছে এবং সেই চার্জশিটের বেশিরভাগ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের জামিন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।” যদিও এ বিষয়ে কেজরিওয়াল এবং আপ সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং একইসঙ্গে এই গোটা ঘটনাকে তারা কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক তখনকার “রাজনৈতিক প্রতিহিংসা” বলে অভিহিত করেছে।  

    আগে কী ঘটেছিল? (Arvind Kejriwal) 

    গত ২১ মার্চ আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। এর পর লোকসভা ভোটের সময়ে তাঁকে কিছু দিনের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার মেয়াদ শেষ হলে ২ জুন আবার তিহাড় জেলে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিলেন কেজরি। এর মঝেই আবার আবগারি দুর্নীতিতে ইডি ১৭ মে কেজরিওয়াল এবং আপের বিরুদ্ধে দায়ের করা চার্জশিটে দাবি করেছে যে মুখ্যমন্ত্রী, তার তৎকালীন ডেপুটি মনীশ সিসোদিয়া এবং দলের প্রাক্তন মিডিয়া ইনচার্জ বিজয় নায়ার কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকার ঘুষ চেয়েছিলেন।

    আরও পড়ুন: যোগী আদিত্যনাথের অধীনে উত্তরপ্রদেশ উন্নয়নের নতুন গল্প লিখছে, বললেন জেপি নাড্ডা

    এর পরে গত ২৫ জুন তিহাড়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পরে জেলবন্দি কেজরিকে (Arvind Kejriwal) রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের অনুমোদনে হেফাজতে নেয় আবগারি মামলার আর এক তদন্তকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। ঘটনাচক্রে, সেই মেয়াদ শেষ হয়েছে শুক্রবার। সিবিআই হেফাজতকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কেজরি রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে আবেদন জানালেও তা খারিজ হয়ে গিয়েছিল। তারপর দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। এরপর অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চ গত শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছে। যদিও কেজরি এখন সিবিআই হেফাজতে থাকায় সেই মামলায় পৃথক ভাবে জামিন নিতে হবে তাঁকে। আগামী ১৭ জুলাই সেই মামলার শুনানি হবে দিল্লি হাই কোর্টে। তার আগে তিহাড় থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না কেজরি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share