Tag: ED

ED

  • ED: জবাব সন্তোষজনক নয়, সোনিয়া-রাহুলকে ফের জেরা করতে পারে ইডি

    ED: জবাব সন্তোষজনক নয়, সোনিয়া-রাহুলকে ফের জেরা করতে পারে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁদের দেওয়া জবাবে সন্তুষ্ট নন ইডির (ED) আধিকারিকরা। তাই ফের ইডির জেরার মুখে পড়তে পারেন কংগ্রেসের (Congress) অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) এবং কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) তাঁদের ফের জেরা করা হতে পারে বলে ইডি সূত্রে খবর। তবে ঠিক কবে গান্ধী পরিবারের এই দুই সদস্যকে ফের ইডির মুখোমুখি হতে হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় নাম জড়িয়েছে কংগ্রেসের। ওই মামলায় জেরা করার জন্য রাহুলকে তলব করেছিল ইডি। রাহুল বিদেশে থাকায় নির্ধারিত সময়ে হাজিরা দিতে পারেননি। দেশে ফিরেই অবশ্য ইডি দফতরে হাজিরা দেন রাহুল। ছ দিন ধরে পঞ্চাশ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রাহুলকে। রেকর্ড করা হয় তাঁর বয়ান। ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয় সোনিয়াকেও। তবে করোনা সংক্রমিত হওয়ায় নির্দিষ্ট দিনে হাজিরা দিতে পারেননি কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্টও। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে হাজিরা দেন ইডি দফতরে। মোট তিন দফায় ন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জেরা করা হয় সোনিয়াকে। ওই মামলায় দিন কয়েক আগে ন্যাশনাল হেরাল্ডের অফিস সহ দেশের ১২টি জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে চালানো হয় তল্লাশিও।

    আরও পড়ুন :ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিস সিল করল ইডি

    ইডি সূত্রে খবর, সোনিয়া, রাহুল সহ কংগ্রেসের যাঁদের ওই মামলায় জেরা করা হয়েছে, তাঁরা জানিয়েছেন কোষাধ্যক্ষ থাকায় অর্থনীতি সংক্রান্ত যা কিছু সিদ্ধান্ত তা নিতেন দলের কোষাধ্যক্ষ প্রয়াত মতিলাল ভোরা। প্রসঙ্গত, সোনিয়া এবং রাহুল ছাড়াও কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, পবন বনশল এবং সুমন দুবেকে এখনও পর্যন্ত জেরা করেছে ইডি। এঁরাও প্রত্যেকেই ভোরার নাম নিয়েছেন। তবে এখনও অব্দি তার স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ পায়নি ইডি। সোনিয়া এবং রাহুলের জবাবেও সন্তুষ্ট নন ইডির আধিকারিকরা। সেই কারণেই ফের করা হতে পারে জেরা। ইডি সূত্রে খবর, ইয়ং ইন্ডিয়া ও অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড যে বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল, তার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। সেটাও গান্ধীদের ফের জেরা করার একটা কারণ।

    আরও পড়ুন :ইডির দফতরে হাজির সোনিয়া, কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভে উত্তাল সংসদ থেকে রাস্তা

  • Sanjay Raut: ইডি হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল শিবসেনার সঞ্জয় রাউতের, জেরা তাঁর স্ত্রীকেও?

    Sanjay Raut: ইডি হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল শিবসেনার সঞ্জয় রাউতের, জেরা তাঁর স্ত্রীকেও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ইডি (ED) হেফাজত শিবসেনা (Shiv Sena) মুখপাত্র সঞ্জয় রাউতের (Sanjay Raut)। সোমবার পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের (Maharasthra) এই রাজনৈতিক নেতাকে থাকতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে। রবিবার দিনভর তল্লাশির পর সোমবার গ্রেফতার করা হয় সঞ্জয়কে। বেআইনি আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত মামলায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তাঁর বিরুদ্ধে এক হাজার কোটি টাকার পত্র চাউল দু্র্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। কেন্দ্রীয় এই গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তকারী আধিকারিকদের হাতে বেশ কিছু তথ্যও চলে এসেছে। যা থেকে এই দুর্নীতির সঙ্গে সঞ্জয়ের যোগ আরও স্পষ্ট হচ্ছে।

    আরও পড়ুন : জমি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত

    বৃহস্পতিবার ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর সঞ্জয়কে ফের তোলা হয় বিশেষ আদালতে। সেখানে শিবসেনা নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও কিছুদিন সময় চান ইডি আধিকারিকরা। তার পরেই সোমবার পর্যন্ত সঞ্জয়কে ইডি হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে, সঞ্জয়ের স্ত্রী বর্ষা রাউতকেও তলব করল ইডি। অভিযোগ, শিবসেনা সাংসদের স্ত্রী বর্ষা প্রবীণ রাউতের স্ত্রী মাধুরীর কাছ থেকে ৮৩ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। পরে ফের মাধুরির অ্যাকাউন্টে তিনি জমা দিয়েছিলেন ৫৫ লক্ষ টাকা। বাকি টাকায় বর্ষা মুম্বইয়ের দাদরে একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। জানা গিয়েছে, বর্ষার নামে একাধিক সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে ইডি। মহারাষ্ট্রের আলিবাগের কাছে কিহিম সৈকতে বর্ষা রাউতের নামে ৮টি জমি কেনা হয়েছে। শুধু বর্ষার নামেই জমি নেই, সঞ্জয় ঘনিষ্ঠ সুজিত পাটকরের স্ত্রী স্বপ্না পাটকরের নামে জমি কেনা হয়েছে সেখানে। বর্ষাকে জেরা করে এ সংক্রান্ত নানা প্রশ্নের জবাব পেতে চাইছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেই কারণেই  তাঁকে তলব করতে চলেছে ইডি।

    আরও পড়ুন : ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিস সিল করল ইডি  

    প্রসঙ্গত, সঞ্জয়ের বাড়ি থেকে নগদ দশ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। যে খামে টাকাটি রাখা ছিল, তার ওপরে শিবসেনার বিদ্রোহী নেতা তথা মহারাষ্ট্রের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde) নাম লেখা ছিল। সঞ্জয়ের দাবি, আদিত্য ঠাকরের অযোধ্যা সফরের জন্য রাখা হয়েছিল টাকাটি।

     

     

  • ED Raids Arpita Properties: অভিজাত আবাসন থেকে নেল আর্ট পার্লার, ‘গুপ্ত’ধনের সন্ধানে অভিযান ইডি-র

    ED Raids Arpita Properties: অভিজাত আবাসন থেকে নেল আর্ট পার্লার, ‘গুপ্ত’ধনের সন্ধানে অভিযান ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি কাণ্ডের (SSC scam) তদন্তে নেমে মঙ্গলবার দিনভর শহরের মোট ৬টি জায়গায় ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। মঙ্গলবার সকালেই ফের সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স (CGO complex) থেকে ইডি (ED) আধিকারিকদের চারটি দল অভিযানে বেরিয়ে পড়ে। একটি দল যায় গড়িয়াহাট (Gariahat) এলাকার পণ্ডিতিয়া রোডে (Panditia Road)। দ্বিতীয় দলটি মাদুরদহ (Madurdaha) এবং তৃতীয় দল বরানগরে (Baranagar) যায়। চতুর্থ দলটি যায় পাটুলিতে (Patuli)। 

    দক্ষিণ কলকাতার পণ্ডিতিয়া এলাকার ফোর্ট ওয়েসিস (Fort Oasis) নামের অভিজাত আবাসনে অভিযান চালায় ইডি-র একটি দল। ইডি সূত্রে খবর, ওই আবাসনের ছ’নম্বর ব্লকের ৫০৩ নম্বর ফ্ল্যাটটি অর্পিতাকে ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যদিও খাতায়কলমে ফ্ল্যাটটি অন্য এক ব্যক্তির নামে। ইডি সূত্রে খবর, ওই ফ্ল্যাটটি ওম ঝুনঝুনওয়ালা নামে এক ব্যক্তির নামে নথিভুক্ত করা আছে। 

    তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে খবর, কলকাতার কোনও এক নামজাদা শিল্পপতির কাছ থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এই ফ্ল্যাটটি উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন ২০১৫-১৬ সাল নাগাদ, যে সময়ে তিনি আসীন ছিলেন বাংলার শিক্ষামন্ত্রীর পদে। দক্ষিণ কলকাতার এই বন্ধ ফ্ল্যাটটিতেও কোটি কোটি টাকা লুকিয়ে রাখা হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর।

    আরও পড়ুন: “তৃণমূলের ১০০ জনের নাম তুলে দিয়েছি…”, অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর শুভেন্দু

    দীর্ঘ চেষ্টা করেও ঝুনঝুনওয়ালা নামে সেই ব্যক্তির কোনও হদিস পাওয়া যায়নি বলে সূত্রের খবর। স্বাভাবিকভাবেই ইডি এখন তাঁর খোঁজ শুরু করেছে। ওই ফ্ল্যাট বেনামে কেনা হয়েছিল বলে সন্দেহ গোয়েন্দাদের। আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী জানিয়েছে, কয়েকমাস ধরে তালাবন্ধ ওই ফ্ল্যাটের মালিক। যদিও ইডি সূত্রে দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সূত্রে পণ্ডিতিয়া রোডের এই ফ্ল্যাটটি ব্যবহার করতেন অর্পিতা। আপাতত, ফ্ল্যাটটি সিল করে দিয়েছে ইডি।

    এই আবাসনের পাশাপাশি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা একাধিক নেল আর্টের (nail art) দোকানে তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। অর্পিতা ও পার্থর নামে থাকা বেলঘরিয়ার (Belghoria) ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে এই সব নেইল আর্ট শপ সম্পর্কে জানতে পারেন ইডি আধিকারিকরা৷ সেই তথ্যের ভিত্তিতেই এ দিন ৬টি জায়গায় অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থা৷ 

    একটি দল আসে দক্ষিণ কলকাতার পাটুলিতে পালকি রেস্টুরেন্টের উল্টো দিকে অর্পিতার নেল আর্ট পার্লারে। এদিন পাটুলির ‘ম্যাজিক টাচ, দ্য নেল প্লেস’ দোকানটিতে অভিযান করেন ইডি আধিকারিকরা। এদিন সেই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ দাসকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকরা। তদন্তকারীদের ধারণা, নেল আর্টের দোকান কিনতে বা ভাড়া নিতে সাহায্য নেওয়া হয়েছিল কাউন্সিলরের। যদিও প্রসেনজিতের দাবি, দোকান কেনা বা লিজের ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। তবে কিছু নথিপত্র সম্ভবত পাওয়া গিয়েছে। প্রয়োজনে সেটি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যেতে পারেন তদন্তকারীরা। 

    আরও পড়ুন: মাথায় লাগলে শান্তি পেতাম, পার্থকে জুতো ছুড়ে বললেন মহিলা

    পাটুলির পাশাপাশি বরানগর, লেক গার্ডেন্স এবং লেক ভিউ রোডের নেল আর্ট স্টুডিওতেও তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, মাঝে মধ্যেই এই শপগুলিতে যেতেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়৷ বরানগর ও লেক ভিউ-র পার্লার থেকেও নথি সংগ্রহ করেন ইডি আধিকারিকরা। লেকভিউ পার্লারটি বেশ কয়েকদিন ধরে বন্ধ ছিল। দুপুরে ইডি আধিকারিকরা পৌঁছলেও পার্লার বন্ধ থাকায় তাঁরা অপেক্ষা করতে থাকেন। এরপর পার্লারের ম্যানেজার এসে পার্লারটি খুলে দেন। বেশ কিছুক্ষণ তল্লাশি চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথির পাশাপাশি সিসিক্যামেরার হার্ডডিস্কও বাজেয়াপ্ত করেন তাঁরা। 

    বরানগরে অর্পিতার নেল আর্ট পার্লারেও চলে তল্লাশি। সেখান থেকেও গুরুত্বপূর্ণ নথি সংগ্রহ করেন ইডি আধিকারিকরা। ইডির আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বেশ কিছু কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে৷ যেগুলি তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে৷ সেই সব কাগজগুলিকে কেন্দ্রীয় সংস্থা বাজেয়াপ্ত করেছে৷ তবে, নেইল আর্ট শপগুলিতে কোনও টাকা বা মূল্যবান সামগ্রী এখনও পাওয়া যায়নি বলে জানা গিয়েছে৷ 

    অন্যদিকে, মাদুরদহের ওম ভিলা আবাসনেও তল্লাশি অভিযানে যান ইডি-র আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, এখানে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের একটি জমি ছিল। যেখানে কয়েকজন ফ্ল্যাটও কেনেন বলে খবর। সেই সংক্রান্ত তথ্য জানতেই তল্লাশি অভিযান চালানো হয় মাদুরদহে। ফ্ল্যাটের পরিচারিকা এবং কেয়ারটেকারের সঙ্গে কথাও বলেন তাঁরা। একইসঙ্গে কেন্দুয়া মেন রোড সংলগ্ন একটি ফ্ল্যাটেও হানা দেয় ইডি।

    আরও পড়ুন: “আমার অনুপস্থিতিতে ঘরে…”, এবার মুখ খুললেন অর্পিতা, করলেন বিস্ফোরক অভিযোগ

  • Arpita Chatterjee: “আমার অনুপস্থিতিতে ঘরে…”, এবার মুখ খুললেন অর্পিতা, করলেন বিস্ফোরক অভিযোগ

    Arpita Chatterjee: “আমার অনুপস্থিতিতে ঘরে…”, এবার মুখ খুললেন অর্পিতা, করলেন বিস্ফোরক অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) মুখে বলতে শোনা গিয়েছিল, “টাকা আমার নয়…।” রবিবার জোকা ইএসআই (Joka ESI) হাসপাতালের সামনে এই মন্তব্য করেছিলেন এসএসসি কাণ্ডে (SSC scam) ইডি-র (ED) হাতে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূলের (TMC) সাসপেন্ডেড নেতা। এবার মঙ্গলবার, মুখ খুললেন পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)। আর প্রথমেই করে বসলেন বিস্ফোরক অভিযোগ। 

    আদালতের নির্দেশে এদিন নিয়মমাফিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পার্থ-অর্পিতাকে নিয়ে আসা হয়েছিল জোকা ইএসআই হাসপাতালে। সেখানেই মুখ খোলেন তিনি। এতদিন মুখ না খুললেও, প্রকাশ্যে কাঁদতে ও হাত-পা ছুড়তে দেখা গিয়েছে অর্পিতাকে। কিন্তু, এদিন তিনি বললেন, ‘আমার অনুপস্থিতিতে টাকা ঢোকানো হয়েছে’। 

    আরও পড়ুন: পার্থ-অর্পিতার পর এবার কাকে জেরা করতে চলেছে ইডি, জানেন?

    এদিন সাংবাদিকরা অর্পিতার উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, টাকা কার? জবাবে তিনি বলেন, “এই টাকা আমার নয়। আমার অনুপস্থিতিতে এবং আমার অজান্তে এই টাকা ঘরে ঢোকানো হয়েছে।” অর্থাৎ তাঁর ডায়মন্ড সিটি ও বেলঘরিয়ার ক্লাব টাউনের ফ্ল্যাট থেকে যে টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়েছে তা তাঁর অজ্ঞাতসারে সেখানে কেউ বা কারা ঢুকিয়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ করলেন অর্পিতা।

    এর আগে জেরা চলাকালীনও অর্পিতা একই কথা জানিয়েছিলেন। ইডি সূত্রের খবর, অর্পিতা জানিয়েছিলেন, বন্ধ ঘরে প্রবেশাধিকার ছিল না তাঁর। উল্লেখ্য, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ২১ কোটি টাকা। আর বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে ২৯ কোটি টাকা এবং সোনা পেয়েছে ইডি।

    আরও পড়ুন: তৃণমূলের হয়ে প্রচার অর্পিতার, প্রকাশ্যে ছবি, এর পরেও অস্বীকার করবে শাসক দল?

    আগের দিন যখন জোকা ইএসআই হাসপাতালে পার্থবাবুকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেই সময়ে টাকার ব্যাপারে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছিলেন, ‘আমার টাকা নয়।’ এবার একই কথা বললেন অর্পিতাও। অর্থাৎ, দু’জনের দু’দিনের বয়ান অনুযায়ী, অর্পিতার ফ্ল্যাটে উদ্ধার হওয়া টাকা পার্থর নয়, অর্পিতারও নয়। এখন প্রশ্ন হল, তাহলে টাকাটা কার? যদিও, সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের কোনও উত্তর এদিন দেননি অর্পিতা।

  • National Herald Case: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় মতিলাল ভোরার যোগের স্বপক্ষে প্রমাণ পায়নি ইডি!

    National Herald Case: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় মতিলাল ভোরার যোগের স্বপক্ষে প্রমাণ পায়নি ইডি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের (Congress) অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) নাম নিয়েছিলেন প্রয়াত কংগ্রেস নেতা মতিলাল ভোরার (Motilal Vora)। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case ) ইডির (ED) জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ভোরার নাম নিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও (Rahul Gandhi)। তবে ওই মামলায় যাঁদের জেরা করা হয়েছে, তাঁদের কেউই কংগ্রেসের প্রয়াত কোষাধ্যক্ষ ভোরার যুক্ত থাকার পক্ষে কোনও নথিই পেশ করতে পারেননি বলে ইডি সূত্রে খবর।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় নাম জড়ায় কংগ্রেসের। ওই মামলায় জেরা করার জন্য সাংসদ কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীকে তলব করে ইডি। রাহুল বিদেশে থাকায় নির্ধারিত সময়ে হাজিরা দিতে পারেননি। দেশে ফিরেই অবশ্য ইডি দফতরে হাজিরা দেন রাহুল। ছ দিন ধরে পঞ্চাশ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রাহুলকে। রেকর্ড করা হয় তাঁর বয়ান। ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয় সোনিয়াকেও। তবে করোনা সংক্রমিত হওয়ায় নির্দিষ্ট দিনে হাজিরা দিতে পারেননি কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্টও। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর কিছুটা সুস্থ হয়ে হাজিরা দেন ইডি দফতরে। মোট তিন দফায় ন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জেরা করা হয় সোনিয়াকে। ওই মামলায় দিন কয়েক আগে ন্যাশনাল হেরাল্ডের অফিস সহ দেশের ১২টি জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে তল্লাশি চালানো হয় ওই দিন।

    আরও পড়ুন : দ্বিতীয়বার ইডির সামনে সোনিয়া! রাহুল-সহ ১৭ জন কংগ্রেস সাংসদ আটক

    ইডি সূত্রে খবর, সোনিয়া, রাহুল সহ কংগ্রেসের যাঁদের ওই মামলায় জেরা করা হয়েছে, তাঁরা জানিয়েছেন কোষাধ্যক্ষ থাকায় অর্থনীতি সংক্রান্ত যা কিছু সিদ্ধান্ত তা নিতেন ভোরা। প্রসঙ্গত, সোনিয়া এবং রাহুল ছাড়াও কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, পবন বনশল এবং সুমন দুবেকে এখনও পর্যন্ত জেরা করেছে ইডি। এঁরাও প্রত্যেকেই ভোরার নাম নিয়েছেন। তবে ভোরা ছেলের দাবি, ওই ঘটনায় ভোরা কোনওভাবেই জড়িত ছিলেন না। খাড়গেকে ফের জেরা করা হবে। কারণ তিনিই একমাত্র ইয়ং ইন্ডিয়ার কর্মী। তাই তাঁকে জেরা করে সত্য উদ্ঘাটন করতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

    ইডি সূত্রে খবর, ন্যাশনাল হেরাল্ডের সঙ্গে যুক্ত ইয়ং ইন্ডিয়া লিমিটেডের সঙ্গে কলকাতা ও মুম্বইয়ের একাধিক হাওয়ালার লেনদেন হত বলে অনুমান তদন্তকারীদের। ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিসে তল্লাশি চালানোর পর আরও তথ্য মিলবে বলে অনুমান ইডির। তবে ওই সংস্থার কোনও আধিকারিক উপস্থিত না থাকায় সংস্থার দফতরে এখনও তল্লাশি চালানো হয়নি। তাই আপাতত সিল করে দেওয়া হয়েছে অফিস।

    আরও পড়ুন :ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিস সিল করল ইডি

  • SSC Scam: পার্থ-অর্পিতার পর এবার কাকে জেরা করতে চলেছে ইডি, জানেন?

    SSC Scam: পার্থ-অর্পিতার পর এবার কাকে জেরা করতে চলেছে ইডি, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ-অর্পিতার পর এবার অর্পিতার গাড়ি চালক প্রণব ভট্টাচার্যকে (Pranab Bhattacharya) জেরা করতে চলেছে ইডি (ED)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রেই এ খবর মিলেছে। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) সঙ্গে সঙ্গে ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjees) গাড়ি চালাতেন এই প্রণব। ইডির দাবি, প্রণবকে জেরা করলেই মিলতে পারে বিস্ফোরক তথ্য।

    এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Recruitment Scam) তদন্ত করতে গিয়ে ইডি গ্রেফতার করেছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০ কোটিরও বেশি টাকা এবং সোনা। ঘটনাটিকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন পার্থ। টাকা এবং সোনা উদ্ধারের ঘটনার প্রেক্ষিতে মন্ত্রিত্ব খোয়াতে হয়েছে পার্থকে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁকে। অর্পিতার ফ্ল্যাটে পাওয়া টাকা কার, তা জানেন না বলেই দাবি করেছেন পার্থ। অর্পিতারও দাবি, টাকা তাঁর নয়। ইডি সূত্রে খবর, সমস্ত সম্ভাব্য সূত্র থেকে তথ্য জোগাড় করতে চাইছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেই মতো প্রণবকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে তারা। কারণ ২২ জুলাই অর্পিতার ডায়মন্ড সিটির ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানোর সময় সেখানে হাজির ছিলেন তাঁর গাড়ি চালক প্রণবও।

    আরও পড়ুন : তৃণমূলের হয়ে প্রচার অর্পিতার, প্রকাশ্যে ছবি, এর পরেও অস্বীকার করবে শাসক দল?

    এদিকে, অর্পিতা ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন প্রণব। তাঁর জুলাই মাসের বেতন এখনও বকেয়া। কবে পাবেন, তা জানেন না। এমতাবস্থায় সংসার চালাতে যেন-তেন প্রকারে তিনি চাইছেন নতুন একটা কাজ জোটাতে। প্রণব স্বীকার করেছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের রেফারেন্সেরই অর্পিতার গাড়ি চালানোর কাজ পেয়েছিলেন তিনি। অর্পিতার গাড়ি চালক এও জানিয়েছেন, স্থানীয় এক নেতাকে ধরে তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে গিয়েছিলেন। তার পরেই মেলে অর্পিতার গাড়ির ড্রাইভারির চাকরি। চলতি বছরের জানুয়ারিতেই ওই চাকরি পান তিনি। প্রণব জানান, অর্পিতার আরও অনেক গাড়িচালক ছিলেন। তবে তিনি যখন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে যেতেন, তখন চালক হিসেবে তাঁকেই সঙ্গে নিতেন। অর্পিতার গাড়ি চালকদের মধ্যে ছিলেন তাঁর বোনের স্বামী কল্যাণ ধরও। তবে বেরনোর সময় তাঁকে সঙ্গে নিতেন না অর্পিতা।

    আরও পড়ুন : মালিক-মালকিন ইডি জালে, সারমেয় বন্দি ‘চিলতে’ ফ্ল্যাটে!

  • Partha Chatterjee: এসএসসি-দুর্নীতির টাকা পাচার বাংলাদেশে? হাওয়ালা-যোগ খতিয়ে দেখছে ইডি

    Partha Chatterjee: এসএসসি-দুর্নীতির টাকা পাচার বাংলাদেশে? হাওয়ালা-যোগ খতিয়ে দেখছে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Aprita Mukherjee)। দুর্নীতি কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া মোট নগদের পরিমাণ প্রায় ৫০ কোটি। সোনা উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৫ কোটি মূল্যের। বৈদেশিক মুদ্রা ৫৮ লাখ টাকার। এছাড়াও প্রচুরও নামে-বেনামে জমি, ফ্ল্যাট, বাগানবাড়ি, কোম্পানিরও হদিশ মিলেছে। সেগুলিও রয়েছে ইডি-র নজরে।

    এখন তদন্তের জালকে এখন আরও গভীরে নিয়ে যেতে চাইছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। পার্থ-অর্পিতাকে (Partha-Arpita) জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এখন তদন্তের গতিপ্রকৃতি আরও বিস্তৃত করতে চাইছে ইডি (ED)। বিশেষ করে, এই দুর্নীতির সঙ্গে হাওয়ালা-যোগ কতটা জড়িয়ে তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। 

    এই মর্মে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ৩টি অ্যাকাউন্ট সিজ করে ইডি। শনিবার পার্থ-অর্পিতার একাধিক ভুয়ো সংস্থার ৮টি অ্যাকাউন্ট সিজ করা হয়েছে। পার্থ-অর্পিতা এবং তাঁদের অত্মীয়দের অ্যাকাউন্টেরও খোঁজ নিচ্ছে ইডি। এই অ্যাকাউন্টগুলিতে বিভিন্ন সময়ে বেআইনি টাকা পাঠানো হয়েছে। এমনকী হাওয়ালার মাধ্যমেও বিপুল পরিমাণ টাকা পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ। কারণ, অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা যে ভাবে শক্তপোক্ত খামে ভরে ‘স্কচ টেপ’ দিয়ে প্যাক করা ছিল, তা যে সচরাচর হাওয়ালায় পাচারের জন্য করা হয়, সেটাও গোয়েন্দারা বুঝেছেন। 

    আরও পড়ুন: এবার ইডি-র নজরে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে থাকা পার্থ-অর্পিতার একাধিক জমি?

    এই প্রেক্ষিতে ইডি জানতে পেরেছে, বারাসাতের এক নামী টেক্সটাইল সংস্থার সঙ্গে যোগ রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। বারাসাত ছাড়াও, ওই সংস্থার আরেকটি তিনতলা মল রয়েছে দক্ষিণ কলকাতার প্রাণকেন্দ্র গড়িয়াহাটের (Gariahat) কাছে হিন্দুস্তান পার্কে (Hindustan Park)। সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল ওই সংস্থার। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার (Naktala) পুজোতে বিপুল অঙ্কের টাকা দিত বলে জানা গেছে। আবার ওই সংস্থার একাধিক অনুষ্ঠানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে। ইডি জানতে পেরেছে, এই সংস্থা থেকে প্যাকেট প্যাকেট দামী শাড়ি কিনে আনতেন পার্থ।

    কিন্তু, কেন ইডি-র নজরে এই সংস্থা?

    এই বিপণি সংস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ বেশ ভালো বলে উঠে এসেছে। প্রতিবেশী দেশেও এই সংস্থার মালিকের প্রায়ই আনাগোনা লেগে থাকার খবর মিলেছে। তার প্রমাণ হল, মুজিবর রহমানের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে একটি চটের ব‍্যাগ উন্মোচন করা হয়েছিল ওই বিপণি সংস্থার তরফে। সংস্থার সেই অনুষ্ঠানেও আবার উপস্থিত ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ বর্তমানে, অর্পিতার ডায়মন্ড সিটির আবাসনে ইডির তল্লাশির সময় মিলেছিল সেই ব্যাগ। 

    ইডির গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, একাধিক সময় সংশ্লিষ্ট বিপণি সংস্থায় বিনিয়োগ করতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর এই বিনিয়োগ করার তথ্য সামনে আসার পরেই এই ঘটনায় আরও বেশি গুরুত্ব দিতে চাইছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। ইডি-র সন্দেহ, ওই বিপণি সংস্থার মাধ্যমেই বিপুল পরিমাণ টাকা বিভিন্ন জায়গায় পাচার করা হয়েছে৷ 

    আরও পড়ুন: বেনামি ফ্ল্যাটের ‘মালকিন’ অর্পিতা, ভিজিটরদের নাম-ধাম জানতে কেন নিষেধ ছিল নিরাপত্তাকর্মীদের?

    ইডি-র আরও সন্দেহ, টাকার একাংশ দিয়ে বাংলাদেশে (Bangladesh) বেনামে জমি-বাড়ি (Benami properties) কেনা হয়ে থাকতে পারে। ফলে বারাসতের (Barasat) ওই বিপণি সংস্থার সঙ্গে কথা বলা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে উঠছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দাদের কাছে৷ শোনা যাচ্ছে, প্রয়োজনে ওই টেক্সটাইল কোম্পানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ইডি।

    এদিকে, এই ঘটনায় তুমুল আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশেও। বিশেষ করে, যেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের (Sheikh Mujibur Rahaman) ছবি উঠে এসেছে। প্রাক্তন মন্ত্রী-ঘনিষ্ঠ অর্পিতার দু’টি ফ্ল্যাটে বিপুল অঙ্কের টাকা পাওয়ার ঘটনায় নড়ে বসেছে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও (Bnagladesh Intelligennce Agencies)। বস্তুত প্রথম দিন থেকেই পার্থর বাংলাদেশ যোগের তদন্ত শুরু করে দেন সে দেশের গোয়েন্দারা। 

    ইতিমধ্যেই, পার্থ-ঘনিষ্ঠ কয়েক জনকে বাংলাদেশের গোয়েন্দারা চিহ্নিত করেছেন, সন্দেহ যাঁরা পার্থর স্বার্থে কাজ করেছেন। এই তালিকায় যেমন এক জন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার এক জন সদস্য রয়েছেন, রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর ‘কাছের লোক’ বলে পরিচয় দেওয়া প্রাক্তন এক সেনাকর্তাও।

  • Arpita Mukherjee: এবার ইডি-র নজরে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে থাকা পার্থ-অর্পিতার একাধিক জমি?

    Arpita Mukherjee: এবার ইডি-র নজরে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে থাকা পার্থ-অর্পিতার একাধিক জমি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) জোড়া ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে আনুমানিক ৫০ কোটি নগদ টাকা। এছাড়া, কলকাতা ও শহরতলিতে ছড়িয়ে থাকা নামে-বেনামে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠের একাধিক ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। এবার ইডি নজরে বিভিন্ন জায়গায় থাকা পার্থ-অর্পিতার জমি (Partha Arpita Land Assets)।

    ইডি (ED) সূত্রে খবর, পার্থ-অর্পিতাকে (Partha Arpita) জেরা করে যেমন কলকাতা ও শহরতলিতে একাধিক ফ্ল্যাটের খবর মিলেছে, তেমনই বেশকিছু জমির তথ্য পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে কিছু জমি অর্পিতা ও তাঁর আত্মীয়দের নামে রয়েছে। যেমন, শান্তিনিকেতনে (Shantiniketan) ৩টি বাড়ি ও গেস্ট হাউস এখন ইডির নজরে। গোয়ালপাড়, ফুলডাঙা ও উত্তরপল্লিতে এই বাড়ি ও গেস্ট হাউস রয়েছে। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, তাঁরা মাঝে মধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আসতে দেখেছেন। অপা, ইচ্ছে, তিতলি ও লাবণ্য— শান্তিনিকেতনের কাছে এই ৩টি বাড়ি ও গেস্টহাউসের মালিক কে? তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী সংস্থা। 

    আরও পড়ুন: বেনামি ফ্ল্যাটের ‘মালকিন’ অর্পিতা, ভিজিটরদের নাম-ধাম জানতে কেন নিষেধ ছিল নিরাপত্তাকর্মীদের?

    এদিকে, ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, রিয়েল এস্টেট সংস্থার নামেও বেশকিছু জমি কেনা হয়েছিল। অর্পিতার নামে টেক্সটাইল সংস্থার হদিশ মিলেছে। এছাড়া উদ্ধার হওয়া বেশকিছু সোনার বার পাচার করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।  ইডি সূত্রে দাবি, কালো টাকা সাদা করতেই সোনার বারগুলি নগদে কেনা হয়েছিল। কে বা কারা সেগুলি কিনেছিলেন, তা জানার চেষ্টা চলছে। বেশ কিছু সোনার বার পাচারও হয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারী। পাশাপাশি, খতিয়ে দেখা হচ্ছে অর্পিতার মোবাইল ফোনের কল ডিটেলস। 

    এরইমধ্যে এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Recruitment Scam) গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিড়ম্বনা বাড়াল পিএইচডি বিতর্ক (Partha PhD Controversy)। অনিয়মের অভিযোগ তোলার পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পিএইডি গাইড ও কো-গাইডকে বরখাস্তের দাবি তুলেছেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক শোরগোল।

    আরও পড়ুন: চাকরির বিনিময়ে সোনা! প্রাথমিক টেট দুর্নীতি মামলায় প্রকাশ্যে আরেক ‘রঞ্জন’

  • ED: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিস সিল করল ইডি 

    ED: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিস সিল করল ইডি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) আরও সক্রিয় হল ইডি (ED)। সিল করে দেওয়া হল ইয়ং ইন্ডিয়ার (Young India) অফিস। বুধবার বিকেল থেকে কংগ্রেসের (Congress) সদর দফতর ২৪ আকবর রোড এবং ১০ নম্বর জনপথে সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) বাড়ির সামনেও মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল বাহিনী।

    বুধবার বিকেলে ইডি আধিকারিকরা ন্যাশনাল হেরাল্ড অফিসে যান। তার পরেই খবর ছড়িয়ে পড়ে বেআইনি অর্থ তছরুপের অভিযোগে ন্যাশনাল হেরাল্ডের পুরো অফিসটাই সিল করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পরে ইডির তরফে জানানো হয়, ন্যাশনাল হেরাল্ডের পুরো দফতর সিল করা হয়নি। ওই বিল্ডিংয়ে ইয়ং ইন্ডিয়ার যে দফতর ছিল সেটা সাময়িকভাবে সিল করা হয়েছে। গত দুদিন ধরে তল্লাশির সময় ইয়ং ইন্ডিয়ার দফতরে সংস্থার পদস্থ কর্তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। সেই কারণেই চালানো হয়নি তল্লাশিও। তাই সিল করা হয়েছে অফিস। ইডি সূত্রে খবর, ইয়ং ইন্ডিয়ার আধিকারিক মল্লিকার্জুন খাড়গেকে তলব করা হয়েছে। তিনি এসে গেলেই তল্লাশি চালানো হবে এবং খুলে দেওয়া হবে সিল। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি পক্ষ হল ইয়ং ইন্ডিয়া। ইডির অভিযোগ, এই ইয়ং ইন্ডিয়ার মাধ্যমেই বেআইনিভাবে ন্যাশনাল হেরাল্ডের সম্পত্তি দখল করেছেন রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধীরা। এই সংস্থার বেশিরভাগের অংশীদার রাহুল।

    আরও পড়ুন : ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ১২ জায়গায় হানা ইডি-র

    এদিকে, অফিস সিল করে দেওয়ার পর ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিসের বাইরে লটকে দেওয়া হয় একটি নোটিশ। তাতে লেখা ইডির আগাম অনুমতি ছাড়া এটা খোলা যাবে না। ইডির এক আধিকারিক বলেন, কেবলমাত্র ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিস সিল করা হয়েছে। হেরাল্ড হাউসের বাকি অফিসগুলিতে কাজ হবে আগের মতোই। এদিন কেবল ইয়ং ইন্ডিয়ার অফিস সিল করা হয়নি, কংগ্রেসের সদর দফতর ও সোনিয়া গান্ধীর বাড়িতেও মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল বাহিনী। ঘটনার প্রেক্ষিতে বৈঠকে বসেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। পরে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ এক ট্যুইটবার্তায় বলেন, দিল্লি পুলিশ এআইসিসির সদর দফতরের পথ রুদ্ধ করেছে। এটা একটা ব্যতিক্রমী ব্যাপার। তারা কেন এটা করেছে, তা রহস্যজনক।

    আরও পড়ুন : সোনিয়া, রাহুলকে সমন ইডি-র! ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

  • Amit Shah: কালো পোশাক পরে বিক্ষোভ কংগ্রেসের, কী বললেন অমিত শাহ?

    Amit Shah: কালো পোশাক পরে বিক্ষোভ কংগ্রেসের, কী বললেন অমিত শাহ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালো পোশাক (Black Clothes) পরে কংগ্রেস (Congress) কর্মীদের প্রতিবাদ কর্মসূচি আসলে রামমন্দিরের (Ram Temple) বিরুদ্ধে। এদিন এমনই অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Saha)। শুক্রবার ৫ অগাস্ট ছিল রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানের বর্ষপূর্তি। এদিনই কালো পোশাক পরে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে কংগ্রেস। তাকেই কটাক্ষ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    শুক্রবার মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ওপর জিএসটি বৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশব্যাপী আন্দোলনে নামে কংগ্রেস। রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) নেতৃত্বে কালো পোশাক পরে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মীরা। দিল্লি থেকে আসাম, মধ্যপ্রদেশ থেকে তেলঙ্গানা সর্বত্রই কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা কালো পোশাক পরে শামিল হন বিক্ষোভ কর্মসূচিতে। খোদ দিল্লিতে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী সহ বেশ কয়েকজন কংগ্রেস সাংসদ সংসদ ভবনের সামনে প্রতিবাদ করেন। কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) সংসদের গেটের বাইরে একটি ব্যানার নিয়ে দলের মহিলা সাংসদের সঙ্গে প্রতিবাদে শামিল হন।

    আরও পড়ুন : দ্বিতীয়বার ইডির সামনে সোনিয়া! রাহুল-সহ ১৭ জন কংগ্রেস সাংসদ আটক

    এদিন সেদিকেই ইঙ্গিত করে অমিত শাহ বলেন, কংগ্রেস কালো পোশাক পরে একটা সূক্ষ্ম বার্তা দিতে চাইছে যে তারা রাম জন্মভূমির ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানের প্রতিবাদ করছে। পাল্টা ট্যুইট করে কংগ্রেসও। দলের নেতা জয়রাম রমেশ ট্যুইট বার্তায় লেখেন, মূল্যবৃদ্ধি, জিএসটি, বেকারত্বের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক প্রতিবাদকে ঘুরিয়ে দেওয়া, বিকৃত করা এবং মেরুকরণের মরিয়া চেষ্টা করছেন অমিত শাহ। প্রতিবাদ মোক্ষম জায়গায় লেগেছে, তা নিশ্চিত।  

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই দিনেই (৫ অগাস্ট)রাম জন্মভূমির শিলান্যাস করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এই রামজন্মভূমি কোটি কোটি লোকের বিশ্বাসের জায়গা। সাড়ে পাঁচশো বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা বিতর্কের মীমাংসা হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে কংগ্রেস দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিল। তার পরেও সমস্যার সমাধান করতে পারেনি তারা। মোদি শান্তিপূর্ণ পথে সমস্যার সমাধান করেছেন। এবং মন্দিরের শিলান্যাস করেছেন। এই দিনটি সেই পবিত্র দিন।

    আরও পড়ুন : সিএএ কবে থেকে লাগু হবে জানেন? কী বললেন অমিত শাহ?

LinkedIn
Share