Tag: ED

ED

  • Rahul Gandhi: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় টানা তিন ঘণ্টা ধরে জেরা রাহুলকে

    Rahul Gandhi: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় টানা তিন ঘণ্টা ধরে জেরা রাহুলকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে জেরা করা হল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে। ইডি সূত্রে খবর, ডেটেক্স প্রাইভেট লিমিটেড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাঁকে। ইডি সূত্রে খবর, তাঁকে ফের তলব করা হতে পারে। সোমবার রাহুল গান্ধীর ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিল্লি। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সত্যাগ্রহ মিছিলের আয়োজন করেছিল কংগ্রেস (Congress)। পুলিশ তাদের পথ আগলায় বলে অভিযোগ। কংগ্রেস ও পুলিশ কর্মীদের বচসার জেরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি রাজধানীতে। প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) এদিন ইডি (ED) দফতরে হাজির হন রাহুল। পায়ে হেঁটেই তিনি পৌঁছান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে। 

    রাজনৈতিক ছাড়পত্র ছাড়াই লন্ডন গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী?

    এদিন বেলা ১২টা নাগাদ ইডি দফতরে হাজির হন রাহুল। ডটেক্স প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সেল কোম্পানির বিষয়ে রাহুল কিছু জানেন কিনা, তা জানতে চান তদন্তকারীরা। তাঁর কাছ থেকে পাওয়া উত্তরের প্রেক্ষিতেই পরে জেরা করা হবে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে। এদিন সকাল থেকেই দিল্লির রাজপথে রাহুলের সমর্থনে স্লোগান দিতে শুরু করেন কংগ্রেস কর্মীরা। ঘটনার জেরে কংগ্রেস সদর দফতরের সামনে মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশ কর্মী। অশান্তির আঁচ যাতে না লাগে, তাই জোরদার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল ইডি দফতরেও। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছিল ইডি অফিস। 

    কংগ্রেসের এই সত্যাগ্রহ মিছিলের অনুমতি না থাকায় পুলিশ একাধিক বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে। কংগ্রেস সদর দফতরের বাইরে থেকেই প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে। দিল্লি পুলিশের সঙ্গে কংগ্রেস কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয় বলেও অভিযোগ। পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, কংগ্রেস কর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবেই আন্দোলন করছিলেন। তাঁরা রাহুল গান্ধীর সমর্থনে জড়ো হয়েছিলেন। অধীরের প্রশ্ন, আমরা কী কোনও বেআইনি কাজ করেছি? এদিকে, রাহুলের ইডি দফতরে হাজিরাকে কেন্দ্র করে কংগ্রেসের প্রতিবাদ প্রদর্শনকে কংগ্রেসের ‘ভুয়ো সত্যাগ্রহ’ বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।

    আরও পড়ুন : কাঠমান্ডুর নাইটক্লাবে রাহুল গান্ধীর ভিডিও ভাইরাল, নিন্দায় সরব বিজেপি

    এদিন সকাল থেকেই কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভের জেরে গোলমিঠি জংশন, তুঘলক রোড জংশন, মৌলানা আজাদ রোড জংশন, ক্ল্যারিজেস জংশন, কিউ পয়েন্ট জংশন, সুনহেরি মসজিদ জংশন, মান সিং রোড জংশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলি বেলা পর্যন্ত এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছিল সাধারণ মানুষকে। গোল ডাকখানা জংশন, প্যাটেল চক, উইন্ডসর প্লেস, তিন মূর্তি চক, পৃথ্বীরাজ রোড দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাস চলাচল।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী ও দলের হাইকমান্ড সোনিয়া গান্ধীকে নোটিস পাঠিয়েছে ইডি। ২ জুন রাহুলকে এবং ৮ জুন সোনিয়াকে ইডি দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বিদেশে থাকায় ওই দিন হাজিরা দিতে পারেননি রাহুল। সেই কারণেই ১৩ জুন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় রাহুলকে। কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা অভিষেক মনু সিংভি লেন, এজেন্সি লাগিয়ে কেন্দ্রের প্রতিহিংসার রাজনীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করবে কংগ্রেস।  

     

  • Arpita Mukherjee: বেনামি ফ্ল্যাটের ‘মালকিন’ অর্পিতা, ভিজিটরদের নাম-ধাম জানতে কেন নিষেধ ছিল নিরাপত্তাকর্মীদের?

    Arpita Mukherjee: বেনামি ফ্ল্যাটের ‘মালকিন’ অর্পিতা, ভিজিটরদের নাম-ধাম জানতে কেন নিষেধ ছিল নিরাপত্তাকর্মীদের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি আবাসনেই চারটি ফ্ল্যাট। প্রত্যেকটিই বেনামি (Benaami)। কিন্তু আবাসনের সকলেই জানতেন চারটি ফ্ল্যাটের মালকিনই অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)। ইডির তদন্তে সব তথ্যই জমা পড়েছে। যাঁদের নামে ওই ফ্ল্যাটগুলি কেনা হয়েছে বা নথিভূক্ত রয়েছে তাঁদের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) যোগসূত্র কী তা খতিয়ে দেখা শুরু করেছে তদন্তকারী সংস্থা। 

    সবচেয়ে রহস্যের বিষয়, পুরো আবাসনে একমাত্র এই চারটি ফ্ল্যাটে কারা আসছেন, কোনও গাড়ি ঢুকছে, কতক্ষণ থাকছে তা নিরাপত্তা রক্ষীরা রেকর্ড রাখতে পারতেন না। কোনও এক অজানা হাত আবাসনের নিরাপত্তা সুপারভাইজারকে তেমনই নির্দেশ দিয়েছিলেন। ফলে ‘মাই গেট’ অ্যাপ (My Gate App) থেকে এই চারটি ফ্ল্যাটকে বাদ রাখা হয়েছিল। ইডির তদন্তে সেই প্রসঙ্গটিও আতসকাচের নীচে চলে এসেছে।

    তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, ডায়মন্ড সিটি আবাসনে অর্পিতার নিয়ন্ত্রণে চারটি ফ্ল্যাট ছিল। টাওয়ার-২’তে ১এ নম্বরের ফ্ল্যাটটি রয়েছে সেন্ট্রি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড এবং কল্যাণ ধরের নামে। টাওয়ার-২তে ১৮ডি এবং ১৮ই ফ্ল্যাট দুটি রয়েছে অ্যালকোভ রিয়েলটি প্রজেক্টসের নামে। একই টাওয়ারে ১৯আই নম্বরের ফ্ল্যাটটি আশুতোষ শি এবং শর্মিষ্ঠা চৌধুরির নামে নথিভূক্ত রয়েছে। 

    আরও পড়ুন: পার্থকে সরালেও এখনও কেন বহাল পরেশ? মমতাকে আক্রমণ বিজেপির

    ইডি (ED) জেনেছে, বিভিন্ন জনের নামে ফ্ল্যাটগুলি কেনা থাকলেও আসলে সেগুলির নিয়ন্ত্রক ছিলেন অর্পিতা। তদন্তকারীদের সামনে তিনি অবশ্য জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথা। বেনামি মালিকদের সূত্র ধরেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নিয়ন্ত্রণে থাকা আরও কিছু ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলেছে। সেই সূত্রেই বেলঘরিয়া, চিনার পার্কসহ আরও কয়েকটি স্থানে লুকনো ঠিকানার সন্ধান পেয়েছে ইডি।

    তদন্তকারীদের একাংশ জানাচ্ছেন, বেনামি ফ্ল্যাট কেনা টাকা ঘোরানোর সহজ পথ। কিন্তু আবাসনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ফাঁকি দিয়ে ফ্ল্যাট রাখার মধ্যে অপরাধমূলক মানসিকতা রয়েছে। ইডির দাবি, বহুতল আবাসনের সুরক্ষার জন্য ‘মাই গেট’ নামে অ্যাপ খুবই উপযোগী এবং জনপ্রিয়। এই অ্যাপ আবাসিকদের কাছে থাকে। কোনও ভিজিটর ফ্ল্যাটে আসতে চাইলে মাই গেট অ্যাপের মাধ্যমেই আবাসনের গেট থেকে নিরাপত্তারক্ষীরা অনুমতি চান। এটা অনেকটা ব্যাঙ্কিং ওটিপি পাঠানোর মতো। ফ্ল্যাটের বাসিন্দা অনুমতি দিলে তবেই আবাসনের ভিতর কোনও ভিজিটর প্রবেশ করতে পারেন বা গাড়ি ঢুকতে পারে।

    ষড়যন্ত্রের শিকার! দাবি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের, কেন এমনটা বললেন তিনি?
     
    তদন্তে নেমে ইডি যখন মাই গেট অ্যাপে অর্পিতার চারটি ফ্ল্যাটে ভিজিটরদের রেকর্ড চান, তখন নিরাপত্তা সুপাইভাইজার জানান, ওই চারটি ফ্ল্যাটে কে আসছেন, কে যাচ্ছেন, কোন গাড়িতে আসছেন তা রেকর্ড রাখা বা জানার অধিকার তাঁদের ছিল না। অর্পিতার বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বলে আসলে যা বলা হচ্ছে তা যে আসলে বেনামি তা এবার স্পষ্ট। ইডির তদন্ত শুরু এখান থেকেই। এসএসসি দুর্নীতির (SSC scam) টাকা নাকি তৃণমূলের (TMC) দলীয় তহবিলের কিছু অংশ মিলেছে ডায়মন্ড সিটির (Diamond City) ফ্ল্যাট থেকে। তা হলে পার্থ-অর্পিতাতেই (Partha-Arpita) তদন্ত থামছে না। আরও উপরে উঠবে সেই তদন্ত, এমনই আভাস।

  • Cattle Smuggling: গরুপাচারের টাকায় তৈরি ছবিতে অভিনয় করেছেন? দেবকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডি-র

    Cattle Smuggling: গরুপাচারের টাকায় তৈরি ছবিতে অভিনয় করেছেন? দেবকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার (Cattle Smuggling) মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) জেরার মুখোমুখী হলেন তৃণমূল সাংসদ অভিনেতা দীপক অধিকারী ওরফে দেব (TMC MP and Actor Dev)। দিল্লিতে ইডির (ED) দফতরে গত মঙ্গলবার হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তাঁকে প্রায় ৫ ঘণ্টা জেরা করা হয়।

    এই প্রথমবার ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেন তিনি। অভিযোগ, দেবের কয়েকটি ছবির প্রযোজনায় ব্যবহার করা হয়েছিল গরুপাচারের টাকা। ইডি সূত্রের দাবি, গরুপাচার মামলার মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার টাকা বেশ কয়েকটি হাত ঘুরে আসে প্রযোজনা সংস্থায়। ওই প্রযোজনা সংস্থার ব্যানারে তৈরি হওয়া ছবিতে অভিনয় করেছিলেন দেব। 

    ওই টাকার উৎস সম্পর্কে দেব ওয়াকিবহাল ছিলেন কি না, তিনি ওই টাকার সুবিধাপ্রাপ্ত কি না, ওই প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে তাঁর কেমন সম্পর্ক— এসব তথ্য তদন্তকারীরা দেবের থেকে জানতে চাইতে পারেন বলে ধারনা।

    এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি একই মামলায় সিবিআইয়ের (CBI) দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তাঁকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হয়েছিল। গরুপাচার কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া এনামুল হককে জেরা করতে গিয়ে একাধিক বার দেবের নাম সামনে এসেছিল। সেকারণেই সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারীকরা দেবকে তলাব করেছিল। 

    আরও পড়ুন: সায়গলকে ঘিরে থাকতেন ১৪ ‘ভূত’, জানেন কি তাঁরা কারা?

    সূত্রের খবর, সিবিআইকে দেব জানিয়েছিলেন, গরুপাচার কাণ্ডের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। অভিনেতা-সাংসদ সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘আমি বেশি কিছু বলতে পারব না। একজন ব্যক্তিকে চিনি কি না সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু অভিযুক্ত এনামুল হককে চিনি না। মনে হয় আমাকে আর ডাকবে না। ’

    এবার এই মামলায় সিবিআইকে যে বয়ান দিয়েছেন দেব সেটার সঙ্গে তাঁদের কাছে দেওয়া বয়ান মিলিয়ে দেখতে চান ইডির অফিসাররা বলে জানা গিয়েছে। গরুপাচার কাণ্ডের তদন্তে একাধিকবার তলব করা হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। কিন্তু তিনি মাত্র একবারই হাজিরা দিয়েছেন। প্রতিবারই অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: কয়লা, গরুপাচার, এসএসসি দুর্নীতির তদন্তরত অফিসারকে কেন সরিয়ে দিল সিবিআই?

    এছাড়া, এই কাণ্ডে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। সায়গলের নামি-বেনামি সম্পত্তির হিসাব কষে কয়েকশো কোটি টাকার হদিশ পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইয়ে দাবি এনামুল হকের হয়ে কাজ করত সায়গল।

    সম্প্রতি, কয়লাপাচার কাণ্ডে অভিষেক-পত্নী রুজিরাকে তলব করেছিল ইডি। দীর্ঘক্ষণ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁর আগে, একই কাণ্ডে বাড়ি গিয়ে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই।

  • Rahul Gandhi: ইডি-র ম্যারাথন জেরার মুখে ফের রাহুল, হাজিরা বুধেও

    Rahul Gandhi: ইডি-র ম্যারাথন জেরার মুখে ফের রাহুল, হাজিরা বুধেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) টানা তৃতীয় দিন ইডির (ED) জিজ্ঞাসাবাদের মুখে কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সোম, মঙ্গলের পর বুধবারও ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। বুধবার যে তাঁকে ইডি দফতরে ফের হাজিরা দিতে হবে, মঙ্গলবারই জেরা শেষে তা জানিয়ে দিয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। এদিকে, সোমের পর মঙ্গলবারও ওই ঘটনার জেরে কংগ্রেস সদর দফতরের বাইরে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মীরা।পুলিশ গিয়ে কয়েকজনকে আটকও করে।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় রাহুলকে প্রথম তলব করা হয় সোমবার। সেদিন কংগ্রেস সাংসদকে দু দফায় প্রায় ১০ ঘণ্টা জেরা করা হয়। ইডি আধিকারিকরা তার জবাবে সন্তুষ্ট হতে না পেরে মঙ্গলবার ফের তলব করেন তাঁকে। এদিনও গভীর রাত পর্যন্ত জেরা করা হয় কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতিকে। ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে রাহুল সটান চলে যান স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে। সেখানেই ভর্তি রয়েছেন করোনা সংক্রমিত সোনিয়া। বুধবার সকালে ফের বোন তথা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাকে সঙ্গে নিয়ে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে যান রাহুল।

    আরও পড়ুন : ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় টানা তিন ঘণ্টা ধরে জেরা রাহুলকে

    এদিকে, গত তিনদিন ধরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে লাগাতার বিক্ষোভ প্রদর্শন করে চলেছেন কংগ্রেস কর্মীরা। গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির অভিযোগ, প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির কারণেই হেনস্থা করা হচ্ছে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতিকে। বিপ্রতীপ পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের জন্য আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের সদর দফতরের সিংহদ্বার। দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ও ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল ছাড়া আর কাউকেই বুধবার ঢুকতে দেওয়া হবে না সদর দফতরে।

    আরও পড়ুন : সোনিয়া, রাহুলকে সমন ইডি-র! ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় গত ৮ জুন ইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকেও। বছর পঁচাত্তরের সোনিয়া করোনা সংক্রমিত হয়ে ভর্তি হাসপাতালে। তাই হাজিরার নয়া দিন চাওয়া হয়েছিল সোনিয়ার তরফে। তার পরেই ইডি তাঁকে জানিয়ে দেয় ২৩ জুন কংগ্রেস সভানেত্রীকে উপস্থিত হতে হবে ইডি দফতরে।

     

  • Dilip Attacks Partha: কার চক্রান্তের কথা বলছেন? পার্থকে নিশানা দিলীপের, আক্রমণ অর্পিতাকেও

    Dilip Attacks Partha: কার চক্রান্তের কথা বলছেন? পার্থকে নিশানা দিলীপের, আক্রমণ অর্পিতাকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chaterjee)। সম্প্রতি তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করেছে তাঁর দল তৃণমূল (TMC)। পার্থের মাথার ওপর থেকে আশীর্বাদী হাত সরে গিয়েছে তৃণমূল নেত্রীর। আক্ষরিক অর্থেই একা হয়ে গিয়ে পার্থের দাবি, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। পার্থের এই দাবিকেই হাতিয়ার করেছেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর প্রশ্নবাণ, পার্থবাবু কার চক্রান্তের কথা বলছেন?

    এসএসসি দুর্নীতিকান্ডে তদন্তে নেমে কেঁচো নয়, কেউটের সন্ধান পেয়েছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। পার্থ ও তাঁর ঘনিষ্ঠ জনৈক অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে রাশি রাশি টাকা। হাইকোর্টের নিয়ম মেনে এদিন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পার্থ অর্পিতাকে। সেখানেই কান্নায় ভেঙে পড়েন অর্পিতা। আর পার্থ দাবি করেন তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। পার্থের এই ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’কেই অস্ত্র করেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর প্রশ্ন, পার্থবাবু কার চক্রান্তের কথা বলছেন? দিলীপ বলেন, উনি কোনও সাধারণ মানুষ নন। ওনার দায়িত্ব লোকের সামনে নিয়ে আসা। উনি মন্ত্রী, এত বড় নেতা, পুরানো রাজনীতিবিদ। তাই লোকে ওনাকে এত টাকা দিয়েছিল। তিনি বলেন, মানুষের বিশ্বাসটাকে রেখে বাংলার রাজনীতি যাতে কলুষমুক্ত হয়, সেজন্যও অন্তত ওনার বলা উচিত কারা চক্রান্ত করছে। এখন ফেঁসে গিয়েছেন। সত্যি সত্যিই কেউ চক্রান্ত করে থাকলে বলা উচিত।

    আরও পড়ুন : বেনামি ফ্ল্যাটের ‘মালকিন’ অর্পিতা, ভিজিটরদের নাম-ধাম জানতে কেন নিষেধ ছিল নিরাপত্তাকর্মীদের?

    এদিন অর্পিতাকেও নিশানা করেছেন দিলীপ। বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি বলেন, উনিও ঘর থেকে বেরনোর সময় বলেছিলেন বিজেপির চক্রান্ত। কান্নাকাটি করে তো আর বাঁচা যাবে না। তাহলে হয়তো লঘু হতে পারে সাজা। নইলে আরও কঠোর সাজা হবে। তিনি বলেন, উনি কান্নাকাটি না করে সত্য সামনে নিয়ে আসুন।

    এদিন তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন প্রদেশ কংগ্রস সভাপতি অধীর চৌধুরীও। তিনি বলেন, তৃণমূলের ভোটার, সমর্থকরা সৎ। তাঁদের সততা, আন্তরিকতাকে ব্যবহার করে তৃণমূলের নেতারা ধনকুবেরে রূপান্তরিত হয়েছে। বাংলার মানুষ নতুন চেহারা দেখছেন তৃণমূলের। সবে তো শুরু হয়েছে, এখনও অনেক বাকি রয়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন : পার্থকে সরালেও এখনও কেন বহাল পরেশ? মমতাকে আক্রমণ বিজেপির

    বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, কে ষড়যন্ত্র করেছে, সেই নামটা ওঁর নির্দিষ্ট করে বলা উচিত। কারণ বাংলার মানুষ গভীরতম ষড়যন্ত্রের শিকার। বাংলার মানসম্মান নষ্ট হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বলা উচিত কে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। না হলে একথা বলার কোনও মানে হয় না। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, চক্রান্ত হলে আইনের পথ খোলা রয়েছে।

     

  • Sonia Gandhi: ইডি দফতরে হাজিরার আগেই করোনা পজিটিভ সোনিয়া

    Sonia Gandhi: ইডি দফতরে হাজিরার আগেই করোনা পজিটিভ সোনিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার করোনা সংক্রমিত সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। রয়েছেন নিভৃতবাসে (Home Isolation)। বৃহস্পতিবার এই খবর জানান কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীব সিং সুরজওয়ালা (Randeep Singh Surjewala)। ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald) মামলায় কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধী ও দলের সাংসদ রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) তলব করেছে  এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। তার আগেই কোভিড পজিটিভ সোনিয়ার।

    ৮ জুন ইডি (ED) দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল সোনিয়ার। রাহুল রয়েছেন বিদেশে। তাঁরও হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল ইডি দফতরে। তবে কোভিড-১৯ (Covid-19) পজিটিভ হওয়ায় সোনিয়া আদৌ ওই দিন ইডি দফতরে হাজির হতে পারবেন কিনা, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।

    দিনকয়েক আগে রাজস্থানের উদয়পুরে তিনদিন ব্যাপী কংগ্রেসের চিন্তন শিবিরে উপস্থিত ছিলেন সোনিয়া। সেখান থেকে ফেরার পর একের পর এক কংগ্রেস নেতার সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। বুধবার সন্ধেয় হালকা জ্বর অনুভব করেন। অন্যান্য উপসর্গও ছিল। কংগ্রেস নেত্রীকে পরীক্ষা করে চিকিৎসক জানান, করোনা সংক্রমিত (Corona positive) হয়েছেন সোনিয়া। এর পরেই চলে যান হোম আইশোলেশনে।

    আরও পড়ুন : সোনিয়া, রাহুলকে সমন ইডি-র! ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

    সুরজওয়ালা জানান, সোনিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করা কংগ্রেস নেতাদের আরও অনেকেই করোনা সংক্রমিত। তবে দ্রুত সুস্থ হচ্ছেন কংগ্রেস নেত্রী। কংগ্রেসের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, নির্ধারিত দিনেই ইডির দফতরে হাজিরা দেবেন কংগ্রেস সভানেত্রী। সোনিয়া ৮ তারিখে ইডির দফতরে হাজিরা দিলেও, বিদেশে থাকায় রাহুল আপাতত উপস্থিত হতে পারবেন না বলে কংগ্রেসে সূত্রে খবর। তাই তিনি কিছুটা সময় চেয়েছেন।

    এদিকে, তদন্তে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি এর আগে প্রধানমন্ত্রীকে একহাত নেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। সুরজওয়ালা বলেন, পুরো ষড়যন্ত্রের পিছনে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পোষা সংস্থা ইডি। মোদি সরকার প্রতিশোধের জন্য অন্ধ হয়ে গিয়েছে।

    জওহরলাল নেহরু প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ বিজেপি তুলেছিল মনমোহন সিংয়ের জমানায়। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিষয়টি নিয়ে নতুন করে জলঘোলা শুরু হয়। যার মূল হোতা ছিলেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তাঁর অভিযোগ, অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড নামে যে সংস্থার হাতে সংবাদপত্রটির মালিকানা ছিল, বাজারে ৯০ কোটি টাকা দেনা ছিল তাদের। সংবাদপত্রটির সম্পত্তি বিক্রি করে কেন কংগ্রেস নেতৃত্ব ঋণের টাকা মেটালেন না প্রশ্ন তুলে আদালতে অভিযোগ করেন ঘুরপথে আয়কর মুক্ত পুরো টাকা নিজেদের পকেটে ভরেছেন সোনিয়া, রাহুল সহ কংগ্রেস নেতৃত্ব।

    আরও পড়ুন : “আলবিদা কংগ্রেস”, ফেসবুক লাইভ করে সোনিয়া-সঙ্গ ছাড়লেন সুনীল জাখর

     

  • PFI in West Bengal: পশ্চিমবঙ্গে ১৭টি শাখা খুলে অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছে পিএফআই, যোগ মাওবাদীদের সঙ্গেও

    PFI in West Bengal: পশ্চিমবঙ্গে ১৭টি শাখা খুলে অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছে পিএফআই, যোগ মাওবাদীদের সঙ্গেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল সারা দেশজুড়ে পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার (Popular Front of India) বিভিন্ন দফতরে তল্লাশি চালিয়েছে এনআইএ (NIA), ইডি (ED), কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং রাজ্য পুলিশ (West Bengal Police)। সূত্রের খবর, প্রায় শতাধিক পিএফআই (PFI) নেতা-কর্মীকে নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক হয়েছে দেড়শোর বেশি ফোন, কম্পিউটার অন্যান্য নথি। মূলত দেশজুড়ে উগ্রপন্থা ছড়ানো এবং জঙ্গি কার্যকলাপে (Terror activities) আর্থিক মদতের অভিযোগে পিএফআইয়ের উপর দেশজুড়ে তল্লাশি চলেছে। এনআইএ-র তদন্তে অন্তত চারটি জঙ্গি হানার পিছনে পিএফআইয়ের প্রত্যক্ষ যোগ পাওয়া গিয়েছে। তাতে বাদ যায়নি পশ্চিমবঙ্গও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি পশ্চিমবঙ্গে পিএফআইয়ের সক্রিয়তা দেখেও চমকে উঠেছে।

    বিশেষ করে, গত ১০-১১ বছরে তৃণমূল সরকারের আমলে পশ্চিমবঙ্গের পাঁচ-ছয়টি জেলায় ব্যাপকহারে বেড়েছে পিএফআইয়ের সক্রিয়তা। খোদ কলকাতার বুকেও ট্রেনিং ক্যাম্প করে ক্যাডার নিয়োগ করেছে তারা। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, কেরল-কর্নাটক থেকে শুরু হওয়া এই সংগঠন বাংলায় প্রথমে মুর্শিদাবাদে কাজ শুরু করে। ক্রমেই অনুকূল পরিস্থিতি পেয়ে এখন দুই ২৪ পরগনা, মালদহ,নদিয়া, বীরভূম, হাওড়া, কলকাতা এবং উত্তর দিনাজপুরে সব মিলিয়ে কয়েক হাজার ক্যাডার নিয়োগ করেছে তারা। বেশ কিছু হোলটাইমারও পিএফআইয়ের সংগঠন বাড়াতে দিন-রাত কাজ করছে বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের দাবি।

    আরও পড়ুন: জঙ্গি-যোগ! পিএফআই কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার আর্জি দেশজুড়ে, তল্লাশি চালিয়ে কী পেল এনআইএ?

    জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালে মুর্শিদাবাদে প্রথম পিএফআই কাজ শুরু করে। কলকাতার তপসিয়া এলাকায় রাজ্য দফতর তৈরি হলেও সংগঠনের অধিকাংশ নেতা মুর্শিদাবাদ-মালদহ জেলার। এ রাজ্যে পিএফআইয়ের সভাপতি হলেন হাসিবুল ইসলাম। গত পাঁচ-ছয় বছর পিএফআই কিছুটা অন্তরালে থেকেই কাজ করত। কিন্তু সিএএ-র (CAA) বিষয়টি সামনে আসার পর এ রাজ্যেও পিএফআই প্রকাশ্যে এসে কার্যকলাপ শুরু করে। ২০১৯ এর ৯ নভেম্বর রামমন্দির (Ram Mandir) সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায় আসার পর মুর্শিদাবাদে ১৩ নভেম্বর কয়েকশো ক্যাডার নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল করে পিএফআই। ইদানীং কলকাতার পার্ক সার্কাস এলাকা, মালদহ, মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমের উত্তরাংশে প্রচার পুস্তিকা এবং লিফলেটও ছড়াচ্ছে তারা।

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির দাবি, সাংগঠনিক ভাবে পূর্ণিয়া জোনের অধীনে পিএফআইয়ের মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা পড়ছে। তার মধ্যে পিএফআইয়ের জঙ্গিপুর ডিভিশনের সুতি, সামশেরগঞ্জ, লালগোলা, রঘুনাথগঞ্জ, সাগরদিঘি, বহরমপুর ডিভিশনে ডোমকল, ইসলামপুর, দৌলতাবাদ, বেলডাঙায় শাখা তৈরি হয়েছে। পিএফআইয়ের বেঙ্গল জোনের অধীনে রয়েছে কলকাতা সংলগ্ন এলাকা এবং ওড়িশা। কলকাতা জেলার অধীনে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ডিভিশনে মগরহাট ও উস্থিতে শাখা তৈরি হয়েছে পিএফআইয়ের। এছাড়া কলকাতা, হাওড়া, তেলেনিপাড়া, ঘুটিয়ারি শরিফ, সংগ্রামপুর, মল্লিকপুর, বারুইপুরেও পাকাপোক্ত শাখা তৈরি হয়েছে পিএফআইয়ের।

    আরও পড়ুন: পরিকল্পনা করেই পিএফআই-এর বিরুদ্ধে অভিযান! দেশে জঙ্গি-কার্যকলাপ রুখতে সক্রিয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

    তদন্তকারী সংস্থার দাবি, কলকাতায় অফিস থাকলেও বহরমপুর থানার অন্তর্গত বাখুরি গ্রামে রয়েছে পিএফআইয়ের সদর দফতর। সেখান থেকে রাজ্যজুড়ে কাজের নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে। কালিকট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর এক ব্যক্তি রাজ্যে পিএফআইয়ের ক্রমেই অন্যতম মাথা হয়ে উঠছে। এছাড়া রাজ্যে মাওবাদীদের শাখা সংগঠন হিসাবে পরিচিত বেশ কয়েকটি সংস্থার সঙ্গেও পিএফআই নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠতার খবর পাওয়া যাচ্ছে। যে ভাবে গত কয়েক বছরে ১৭টি শাখা খুলে পিএফআই বাংলায় তাদের ক্যাডার নিয়োগ এবং জাল বিস্তার করে চলেছে তাতে পরিস্থিতি ঘোরালো হতে পারে বলে জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিএএ বিরোধী আন্দোলনে বহরমপুরে যে দু-তিনটি স্টেশনে ট্রেন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেগুলিতে পিএফআই ক্যাডারদের সক্রিয় ভূমিকা ছিল। দুটি এলাকাতেই পিএফআইয়ের সাংগঠনিক শাখা তৈরি হয়েছে। একইভাবে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে কলকাতার পার্ক সার্কাস এলাকা ঘাঁটি তৈরি হলেও নেপথ্যে ছিল পিএফআই। সেই কারণে গত কালের তল্লাশির পর বাংলা নিয়েও বিশেষ পদক্ষেপ করতে চলেছে এনআইএ, ইডি এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি।   

LinkedIn
Share