Tag: ED

ED

  • Ration Scam: চিঠিতে হাতের লেখা কার? রহস্য উন্মোচনে বালুর হস্তাক্ষরের নমুনা চায় ইডি

    Ration Scam: চিঠিতে হাতের লেখা কার? রহস্য উন্মোচনে বালুর হস্তাক্ষরের নমুনা চায় ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও সংবাদ শিরোনামে রেশন দুর্নীতি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর পরীক্ষার পর এবার রেশন দুর্নীতিতে (Ration Scam) প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (যিনি রাজনৈতিক মহলে বালু নামে সমধিক পরিচিত) হাতে লেখা চিঠির ফরেন্সিক তদন্ত করাতে চলেছে ইডি। জ্যোতিপ্রিয়র (Jyotipriya Mallick) হস্তাক্ষরের নমুনা সংগ্রহের জন্য ইতিমধ্যেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে। 

    কী জানিয়েছে ইডি? 

    রেশন দুর্নীতি মামলায় (Ration Scam) গ্রেফতার রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। গ্রেফতারির পর পরই অসুস্থতার কারণে তাঁকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএমে। হাসপাতালে যখন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী চিকিৎসাধীন ছিলেন, সেই সময়েই একটি চিঠিকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সেই চিঠিতে হাতের লেখা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকেরই (Jyotipriya Mallick) কিনা সেই বিষয়টি নিশ্চিত হতেই তাঁর হস্তাক্ষরের নমুনা সংগ্রহ করতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। 

    কী ছিল সেই চিঠিতে? (Ration Scam)  

    এ প্রসঙ্গে ইডি অভিযোগ করেছিল, এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন শাহজাহান, শঙ্কর আঢ্যের নাম লেখা একটি চিঠি তাঁর মেয়েকে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন বালু (Jyotipriya Mallick)। তবে সেই চিঠি কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক কর্মীর হাতে চলে যায়। ওই চিঠিটি খুলতেই বেশকিছু তথ্য হাতে আসে তদন্তকারীদের। তাতে টাকা দেওয়া-নেওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে নির্দেশ ছিল বলে ‘খবর’। সেই চিঠির ভিত্তিতেই শাহজাহনের বাড়িতে তল্লাশিতে যায় ইডি। চিঠির সূত্র ধরেই শঙ্করের বাড়িতে ১৬ ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি অভিযান। গ্রেপ্তার করা হয় শঙ্করকে। প্রশ্ন ওঠে, হেফাজতে থাকাকালীন কী করে লেখার জন্য পেন, কাগজ পেলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী।  

    আরও পড়ুন: আরও একটা হামলা! জঙ্গি সংঘর্ষে ডোডা জেলায় আহত এক জওয়ান

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে চিঠি উদ্ধারের পরে বালুর (Jyotipriya Mallick) বয়ান নেওয়া হয়েছিল। গত ১৯ ডিসেম্বর মেয়েকে চিঠি লেখার কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। তবে পরে তিনি তা অস্বীকার করেন। ফলে চিঠি বালুরই লেখা কি না তা জানতে ফরেন্সিক পরীক্ষা করানো ছাড়া উপায় নেই বলে দাবি করেন তদন্তকারীরা। এইপরেই বাংলা ও ইংরেজি মিশিয়ে লেখা সেই চিঠির ফরেন্সিক পরীক্ষা (Ration Scam) করাতে ইডির তদন্তকারীরা বালুর হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Leaps And Bounds Case: “‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র সোর্স অফ মানি কি?” প্রশ্ন আদালতের

    Leaps And Bounds Case: “‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র সোর্স অফ মানি কি?” প্রশ্ন আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কিছু আধিকারিকের মধ্যে তদন্তে গাফিলতির প্রবণতা দেখা দিয়েছে।” বুধবার প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ইডির আধিকারিকদের উদ্দেশে (Leaps And Bounds Case) একথা বলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ইডির আধিকারিকদের একাংশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি সিনহা।

    কী বললেন বিচারপতি? (Leaps And Bounds Case)

    তিনি বলেন, “আপনাদের কিছু আধিকারিককে সতর্ক হতে বলুন। আদালতের কাছেও বিভিন্ন তথ্য আসছে। বিশ্বাসযোগ্য সূত্র থেকেই সেই তথ্যগুলি আসছে। কিছু আধিকারিকের মধ্যে তদন্তে গাফিলতির প্রবণতা দেখা দিয়েছে। কী তদন্ত করা হবে, কী তদন্ত করা হবে না, তা নিয়ে বাছবিচার করা হচ্ছে।” তিনি বলেন, “আদালতের নজরদারিতে তদন্ত চলছে। তাই আমার কাছেও কিন্তু খবর আসছে। চূড়ান্তভাবে সতর্ক থাকতে (Leaps And Bounds Case) বলুন আপনার অফিসারদের।”

    ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’

    এই প্রসঙ্গেই উঠে আসে ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র প্রসঙ্গ। বিচারপতি সিনহা বলেন, “লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কী সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে সেটা আপনারা জানেন, কোর্টও জানে। সোর্স অফ মানি কী? কোথা থেকে আসছে সেই টাকা, সেটা জানা দরকার। যা তথ্য আপনাদের রিপোর্ট থেকে দেখেছি, সেখানে কোম্পানি কোনও অর্থ জেনারেট করেনি। অন্য কোনও জায়গা থেকে এসেছে সেই টাকা।” এদিন ইডির তরফে আদালতে জানানো হয়, এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ১৪৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। সিবিআই বাজেয়াপ্ত করেছে ১৩ কোটি টাকার সম্পত্তি। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার মোট সাড়ে ৭ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয় ইডির তরফে।

    আর পড়ুন: দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন, কুয়েতের বহুতলে জীবন্ত দগ্ধ ৪০ ভারতীয়

    প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট পেশ করে সিবিআই এবং ইডি। এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করার পর কেন তদন্ত এগোচ্ছে না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত। এই মামলায় গত সেপ্টেম্বর মাসে রাজ্যকে একটি রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিল আদালত। রাজ্য এখনও সেই রিপোর্ট জমা না দেওয়ায়ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি সিনহা। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৩০ জুলাই (Leaps And Bounds Case)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিকাণ্ডে ইডি আক্রান্তের ঘটনায় থানার ওসিকে ভর্ৎসনা আদালতের

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিকাণ্ডে ইডি আক্রান্তের ঘটনায় থানার ওসিকে ভর্ৎসনা আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ইডি আক্রান্তের ঘটনায় থানার ওসিকে ভর্ৎসনা করল আদালত। আজ নেজাট থানার ওসি শুভাশিষ প্রামাণিক এবং তদন্তকারী অফিসারকে তীব্র তুলোধনা করেছেন বসিরহাট মহকুমা আদালতের বিচারক। উল্লেখ্য রেশন দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা শেখ শাহজাহানকে জিজ্ঞাসবাদ করার জন্য তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল। এরপর তৃণমূল দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে তদন্তকারী আধিকারিকদের উপর।

    ঘটনার দিন পুলিশ কাকে গ্রেফতার করেছিল (Sandeshkhali)?

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) আকুঞ্জিপাড়ায় চলতি বছরে পাঁচই জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি তদন্ত করতে গিয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। শেখ শাহাজানের বাড়িতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিকেরা। এই ঘটনায় ন্যাজাট থানায় একদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়। আবার অন্যদিকে ইডি আধিকারিকেরা পাল্টা মামলা করেন। সেইদিন বিকেল বেলায় ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক সুভাশিষ প্রামাণিকের নেতৃত্বে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়। যাঁদের নাম-সুকোমল সর্দার, মেহেবুব মোল্লা, আলী হোসেন ঘরামী, এনামুল শেখ, হাজিমুল শেখ, সঞ্জয় মন্ডল এবং আইজুল শেখ।

    আরও পড়ুনঃ রচনার জয়ের পরেও চুঁচুড়ায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের ইস্তফা! কেন জানেন?

    কোর্টের বক্তব্য

    বসিরহাট মহকুমা আদালতের বিচারক, আজ এই সাতজনের নাম সিবিআই চার্জশিটে নেই বলে মন্তব্য করেন। কোন গ্রাউন্ডে এই সাতজনকে নেজাট (Sandeshkhali) থানার পুলিশ আধিকারিক গ্রেফতার করেছিলেন? সেই বিষয়ে জানতে চান। এই প্রেক্ষিতে আদালতে নেজাট থানার ২৬১ নম্বর কেসে মামলার শুনানি করে। আদালতের বিচারক তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক সুভাশিষ প্রামাণিক ও তদন্তকারী অফিসারকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন এবং গ্রেফতারের কারণ জানাতে বলেছেন। অপর দিকে যাঁদের নাম সিবিআই চার্জশিট দিয়েছে তাঁরা হলেন, শাহজাহান শেখ, শেখ আলমগীর, জিয়া উদ্দিন মোল্লা, মাহফুজার মোল্লা, সিরাজুল মোল্লা, দিদাস বক্স মোল্লা, ফারুক আকঞ্জি। এই এই ছয়জনের নামে সিবিআই চার্জশিট দিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: নিয়োগ-দুর্নীতি তদন্তে নয়া মোড়! জেলবন্দি পার্থর আরও সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি

    Partha Chatterjee: নিয়োগ-দুর্নীতি তদন্তে নয়া মোড়! জেলবন্দি পার্থর আরও সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে নয়া মোড়। এবার জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) আরও সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি। ইডি সূত্রে খবর, এই সম্পত্তি মূলত রয়েছে বীরভূমে (Birbhum)। এর আগে পার্থ-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে বীরভূমেরই বোলপুরে একটি বাড়ির হদিশ পেয়েছিল ইডি। আর এবার ইডির সাম্প্রতিক তদন্তে জানা গিয়েছে, পার্থের আরও অন্তত ৫টি সম্পত্তি রয়েছে সেই বোলপুরেই। 

    ঠিক কী জানা গিয়েছে তদন্তে?

    সূত্রে খবর, বোলপুরের (Bolpur) বুকে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর যে সম্পত্তি রয়েছে তা মূলত জমি। বর্তমানে যার বাজারদর কয়েক কোটি টাকা। যদিও এই সম্পত্তি কিন্তু পার্থর নামে নেই। বরং সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, ওই সম্পত্তিগুলির নথিতে এক পার্থ ঘনিষ্ঠের নাম রয়েছে। ঠিক যেমন এর আগে পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতার নামে সম্পত্তির হদিশ পেয়েছিল ইডি। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি ওই ঘনিষ্টের নামে জমিগুলি কেনা হলেও সংশ্লিষ্ট জমিগুলির মালিক আদতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) নিজেই। এমনকী তদন্তকারীরা এও জানতে পেরেছেন, সংশ্লিষ্ট জায়গাগুলিতে মাঝেমধ্যেই আসতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ইডি সূত্রে খবর, গত কয়েক দিনে পার্থ-ঘনিষ্ঠ এক প্রোমোটার-সহ বেশ কয়েক জনকে জেরা করে এই তথ্য পেয়েছে তারা।

    কোন দিকে মোড় নেবে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার জল? 

    উল্লেখ্য, ২০২২ সালের জুলাই মাসে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। সেই থেকে জেলের চার দেওয়ালের মধ্যে জীবন কাটছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর। প্রায় দুবছর ধরে ওটাই তাঁর ঠিকানা। আর এরই মধ্যে আবারও জেলবন্দি পার্থর আরও সম্পত্তির খোঁজ পেল ইডি। বলাই বাহুল্য যে দীর্ঘদিন ধরে এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। আর এরই মধ্যে ফের পার্থর সম্পত্তির খোঁজ মেলায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলার মোড় অন্যদিকে বাঁক নেয় কিনা এখন সেটাই দেখার। 

    আরও পড়ুন: ৩৫০ বছর আগে এই দিনেই ছত্রপতি হন শিবাজি! ফিরে দেখা সেই ইতিহাস

    পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠকে তলব ইডির (Partha Chatterjee)

    তবে এই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামে বীরভূমে এই কোটি কোটি সম্পত্তির হদিশ এই প্রথম নয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর পার্থ-অর্পিতার নামে যৌথ একাধিক সম্পত্তির হদিশ পেয়েছিল তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। ইডি সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের মধ্যে একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল ইতিমধ্যেই বীরভূমের (Birbhum) জায়গায় জায়গায় অনুসন্ধানে নেমেছে। সূত্রের খবর, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ওই ঘনিষ্ঠকে খুব শীঘ্রই তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: কয়লা কারবারের সঙ্গেও যুক্ত ‘সন্দেশখালির ত্রাস’? শাহজাহানের বিরুদ্ধে নতুন তথ্য ফাঁস ইডির

    Sheikh Shahjahan: কয়লা কারবারের সঙ্গেও যুক্ত ‘সন্দেশখালির ত্রাস’? শাহজাহানের বিরুদ্ধে নতুন তথ্য ফাঁস ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও সংবাদ শিরোনামে ‘সন্দেশখালির ত্রাস’ শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। বিঘার পর বিঘা জমি দখল করে মাছের ভেড়ি তৈরি, এলাকায় অত্যাচারের অভিযোগের পাশাপাশি এ বার শাহজাহানের নতুন কীর্তি প্রকাশ করল ইডি (ED)। কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, শাহজাহান কয়লার কারবারের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।

    কয়লার কারবারে শাহজাহান যোগ (Sheikh Shahjahan)

    ইডির তদন্তে জানা গিয়েছে, কয়লার কারবারে শাহজাহান যোগের প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। শাহজাহান বেআইনি ভাবে কয়লা থেকেও তোলা আদায় করতেন বলে অভিযোগ। কয়লার জোগানে শাহজাহান এবং তাঁর দলবলকে টাকা দিতে হত। কর হিসাবেই ওই টাকা তাঁরা নিতেন বলে অভিযোগ। এছাড়াও শাহজাহান শেখ সাবিনা ফিশার সাপ্লায়ার, শেখ সাবিনা মাছের আড়তের মাধ্যমেও দুর্নীতি করেছেন বলে ইডির (ED) অভিযোগ। মার্কেট থেকে কমিশন এবং ভাড়া বাবদ টাকা তুলতেন তিনি। এ ছাড়াও অভিযোগের তালিকায় রয়েছে ইটভাটার দুর্নীতি। ইডির চার্জশিটেও তার উল্লেখ আছে বলে সূত্রের খবর। এ ছাড়া, জমি সংক্রান্ত যে কোনও লেনদেনের ক্ষেত্রেও শাহজাহানেরা টাকা তুলতেন বলে জানতে পেরেছে ইডি। সম্প্রতি এলাকায় তদন্তে গিয়ে শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) ও তার সাগরেদদের আরও সম্পত্তির খবর জানতে পারে তদন্তকারীরা। এ ব্যাপারে তদন্তকারী সংস্থার কাছে কয়েকজন অভিযোগও জমা করেছিল। এবার তদন্তে নেমে সে বিষয়েই আদালতে চার্জশিট দাখিল করল ইডি (ED)।

    আরও পড়ুন: প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু রাজ্যে! শনিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায় জেলায়

    শাহজাহানের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত চার্জশিট দাখিল 

    বৃহস্পতিবার কলকাতার সিবিআই আদালতে ইডির তরফে নতুন করে অতিরিক্ত চার্জশিট দাখিল করা হল। ইডির দাবি, জমি-ভেড়ি দখল, জোর করে টাকা আদায়-সহ বিভিন্নভাবে সন্দেশখালিতে অপরাধের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিল শাহজাহান, তার ভাই এসকে আলমগীর, শিব প্রসাদ হাজরা এবং দিদার বক্স মোল্লা। এর আগে গত ২৭ মে আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিটে তদন্তকারী সংস্থা ইডি জানিয়েছিল, জমি দখল এবং তোলাবাজি করে প্রায় ২৬১ কোটি টাকার সম্পত্তি করেছেন শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। তবে এই সম্পত্তির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে তখনই জানিয়েছিলেন আধিকারিকরা। এদিন জমা দেওয়া অতিরিক্ত চার্জশিটে তদন্তকারী সংস্থার (ED) দাবি, শাহজাহান ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গোদের মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ২৮৮.২০ কোটি টাকা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: ফের ইডির জেরার মুখে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা, এবার তলব রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে

    ED: ফের ইডির জেরার মুখে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা, এবার তলব রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর পাঁচেক পরে ফের ইডির (ED) তলব অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে। ২০১৯ সালে ইডি তাঁকে জেরা করেছিল বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা রোজভ্যালির আর্থিক নয়ছয়ের মামলায়। আর এবার অভিনেত্রীকে তলব করা হয়েছে রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে। যে কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোয় জেলে বন্দি তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সেই কাণ্ডেই এবার তলব করা হয়েছে ঋতুপর্ণাকে।

    ঋতুপর্ণাকে তলব ইডির (ED)

    ৫ জুন ইডির দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। উল্লেখ্য, তার ঠিক আগের দিনই ফল ঘোষণা হবে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের। বর্তমানে আমেরিকায় রয়েছেন অভিনেত্রী। বুধবারই ই-মেলে তলব করা হয়েছে তাঁকে। ইডি (ED) সূত্রে খবর, রেশন কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার এক অভিযুক্তের সঙ্গে এই অভিনেত্রীর নগদ প্রায় এক কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বলে তদন্তে জানা গিয়েছে। কেন লেনদেন করা হয়েছে ওই পরিমাণ নগদ অর্থ, পাঠানোই বা হয়েছে কোথায়, তা জানতেই অভিনেত্রীকে তলব বলে ইডিরই সূত্রের খবর।

    রোজভ্যালিকাণ্ডে তলব

    এক সময় টলিউডের বেশ কয়েকটি ছবি প্রযোজনা করেছিল বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা রোজভ্যালি। তার কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটি। সেই সূত্রেই রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুর সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল অভিনেত্রীর। তার জেরেই ২০১৯ সালের জুলাই মাসে তাঁকে ও প্রসেনজিৎকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। সেবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে ইডির মুখোমুখি হয়েছিলেন ঋতুপর্ণা।

    রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন একাধিক তৃণমূল নেতা। এই তালিকায় রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়, বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যও। রেশন ডিলার বাকিবুর রহমানকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এই বাকিবুরই মূল অভিযুক্ত বলে খবর।

    আর পড়ুন: ‘‘অর্ধসত্য, বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করা বন্ধ করুন’’, কৌশিক বসুকে পাঠ পড়ালেন বিশেষজ্ঞরা

    রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডের তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। এই কেলেঙ্কারিতে যুক্ত কয়েকজনকে জেরা করার সময় একাধিকবার শোনা গিয়েছে ঋতুপর্ণার নাম। কেবল তাই নয়, রেশন কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার এক অভিযুক্তের সঙ্গে এই অভিনেত্রীর নগদ প্রায় এক কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বলেও জেনেছেন তদন্তকারীরা। সেই সূত্রেই ফের একবার ইডির মুখোমুখি হতে হবে টলিউডের এই অভিনেত্রীকে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, অভিনেত্রীকে কোন কোন বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে, তাও চূড়ান্ত করে ফেলেছেন ইডির আধিকারিকরা। এখন দেখার, মার্কিন মুলুক থেকে এসে অভিনেত্রী ইডির (ED) মুখোমুখি হন কিনা!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jyotipriya Mallick: বালুর মদতেই ‘বাঘ’ হয়ে ওঠেন শাহজাহান? ইডির তদন্তে সামনে এল নতুন তথ্য

    Jyotipriya Mallick: বালুর মদতেই ‘বাঘ’ হয়ে ওঠেন শাহজাহান? ইডির তদন্তে সামনে এল নতুন তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারো সংবাদ শিরোনামে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। সন্দেশখালির জেলবন্দি তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখকে (Shahjahan Sheikh) জমি দখলের ‘বেতাজ বাদশা’ তৈরির কারিগর ছিলেন তিনিই। সম্প্রতি ইডির তদন্তে উঠে এলো এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জেলের চার দেওয়ালের মধ্যেই বর্তমানে দিন কাটছে তাঁর। জামিনের আবেদন করেও সুরাহা হচ্ছে না। এবার সেই জ্যোতিপ্রিয় ওরফে বালুরই নাম জড়াল সন্দেশখালির জমি দখল মামলায়। 

    ঠিক কী জানিয়েছে ইডি? 

    সোমবার জমি দখল মামলায় আদালতে চার্জশিট দিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সেখানে জ্যোতিপ্রিয়র (Jyotipriya Mallick) নাম রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, ইডি যে চার্জশিট দিয়েছে সেখানে উল্লেখ রয়েছে, শাহজাহানকে  সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ তৈরির নেপথ্যে ছিলেন এই বালুই। বাম জমানা থেকে ধীরে ধীরে সন্দেশখালির বুকে শাহজাহানের প্রভাব বাড়তে শুরু করলেও ‘জ্যোতিপ্রিয়-যোগে’র পর সন্দেশখালিতে শাহজাহানের রমরমা বৃদ্ধি পায়। 
    যদিও সরাসরি জমি দখলের সঙ্গে বালু যুক্ত না থাকলেও, এ বিষয়ে শাহজাহান (Shahjahan Sheikh) নাকি প্রশ্রয় পেয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর কাছ থেকেই। এছাড়াও ইডির একটি সূত্র এও জানিয়েছে, সময়ে সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে বালুর থেকে সমর্থন পেয়েছেন শাহজাহান। 

    আরও পড়ুন: আবারও প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল! পূর্ব বর্ধমানে জখম ৫

    জমি দখল মামলাতেও বালু-শাহজাহান যোগ

    প্রসঙ্গত, এর আগে রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে বালুর (Jyotipriya Mallick) সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল শাহজাহানের। সেই সূত্র ধরে শাহজাহানের সরবেড়িয়ার বাড়িতে ইডির তদন্তকারীরা হানাও দিয়েছিলেন। আর এ বার জমি দখল মামলাতেও বালু-শাহজাহান ‘যোগ’ প্রকাশ্যে এসেছে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে ইডিরই একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, শাহজাহানের বিরুদ্ধে প্রাক্তন মন্ত্রীর টাকা ‘পার্ক অ্যান্ড লন্ডার’-এর অভিযোগও রয়েছে। আইনি ব্যাখ্যায় যার অর্থ, কোনও একটি জায়গায় টাকা গচ্ছিত রাখা এবং তার পর তার বেআইনি লেনদেনের ব্যবস্থা করা। অর্থাৎ, বালুর টাকা ‘উপযুক্ত’ ঠিকানায় জমা দিয়েছেন শাহজাহান। তার পর সেখান থেকে বিনিয়োগের ব্যবস্থা করে হাজার হাজার কোটির কালো টাকা সাদা করেছেন। এ ছাড়াও সন্দেশখালির স্থানীয় আদি তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশেরও দাবি ছিল, বালুর (Jyotipriya Mallick) ‘প্রশ্রয়েই’ নাকি বাড়বাড়ন্ত হয়েছিল শাহজাহান শেখের মতো নেতার। ইতিমধ্যেই পুরো বিষয়টিতে বালুর আর কী ভূমিকা ছিল, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Sahajahan: ১১৩ পাতার চার্জশিট! জমি দখল করে কত কোটি টাকার সম্পত্তি করেছেন শাহজাহান?  

    Sheikh Sahajahan: ১১৩ পাতার চার্জশিট! জমি দখল করে কত কোটি টাকার সম্পত্তি করেছেন শাহজাহান?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমি দখল করে প্রায় ২৬১ কোটি টাকার সম্পত্তি করেছেন শেখ শাহজাহান (Sheikh Sahajahan)। সন্দেশখালির জেলবন্দি তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে চার্জশিটে এমনই দাবি করল ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির অভিযোগ, দুর্নীতির মাধ্যমে এই সম্পত্তি করা হয়েছে। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে প্রথম চার্জশিট জমা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জমি দখল সংক্রান্ত মামলায় সোমবার কলকাতায় বিশেষ ইডি আদালতে এই চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। 

    চার্জশিটে কী বলল ইডি

    আদালতে শুনানির পরে সোমবার ইডির আইনজীবী বলেন, ‘‘তদন্তের ৫৬ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা হল। অভিযুক্ত চার জনের বিরুদ্ধে জমি দখল এবং তোলাবাজির মাধ্যমে সম্পত্তি করার অভিযোগ রয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৬১ কোটি টাকার সম্পত্তি চিহ্নিত করা হয়েছে।’’ চার্জশিটে জানানো হয়েছে, আনুমানিক ১৮০ বিঘা জমি দখল করেছেন শাহজাহান। তবে সেই পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।  ১১৩ পাতার ওই চার্জশিটে শাহজাহান ছাড়াও নাম রয়েছে শাহজাহানের (Sheikh Sahajahan) ভাই আলমগির এবং তাঁর দুই ‘সঙ্গী’ দিদার বক্স ও শিবু হাজরার। সাক্ষী হিসাবে সরকারি আধিকারিকদেরও বয়ান নেওয়া হয়েছে। সিবিআই সন্দেশখালিতে অভিযান চালিয়ে যে অস্ত্র উদ্ধার করেছিল, সে কথারও উল্লেখ আছে চার্জশিটে।

    আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রেমালের দাপটে সোমবার বিকেলেও বৃষ্টি শহরে, কবে কাটবে দুর্যোগ?

    জামিন পাওয়া কঠিন

    চলতি বছরের শুরু থেকেই টানা সংবাদ শিরোনামে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। দীর্ঘদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর অবশেষে ধরা পড়েছেন শেখ শাহজাহান (Sheikh Sahajahan)। তারপর থেকে বহু জল বয়ে গিয়েছে সন্দেশখালির উপর দিয়ে। মুখ খুলেছেন সন্দেশখালির মানুষরা। জানিয়েছেন তাঁদের অভিযোগের কথা। উঠে এসেছে জমি দখল সংক্রান্ত বিস্তর অভিযোগ। জমি দখল সংক্রান্ত ওই অভিযোগগুলির তদন্ত শুরু করেছিল ইডি। প্রসঙ্গত, মার্চের গোড়ায় শাহজাহান এবং তাঁর সঙ্গে সম্পর্কিত ১২ কোটি ৭৮ লক্ষ টাকার সম্পত্তি আটক করেছিল ইডি। তার পর আবার মে মাসে দ্বিতীয় দফায় তাঁর স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তি আটক করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। গত ১৭ মে ইডির তরফে জানানো হয়, শাহজাহানের ১৭টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে তিন কোটি ৭৮ লক্ষ টাকা আটক করা হয়েছে। তার পাশাপাশি, ৫৫টি স্থাবর সম্পত্তি, যার বাজারমূল্য ১০ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা, তা-ও আটক করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সন্দেশখালিতে জমি দখল সংক্রান্ত যা তথ্য ইডির কাছে রয়েছে তার ফলে শেখ শাহাজাহানের জামিন পাওয়া মুশকিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন ভেঙে অর্থ নিয়েছে আপ, দাবি ইডির

    ED: বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন ভেঙে অর্থ নিয়েছে আপ, দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন করে বিপুল অঙ্কের বিদেশি অর্থ সাহায্য নিয়েছে আম আদমি পার্টি (আপ)। সোমবার এমনই অভিযোগ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED)। সংস্থার দাবি, আপ আমেরিকা ও কানাডা থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ সাহায্য পেয়েছে। কারা এই অর্থ দান করেছেন, তাঁদের প্রত্যেকের নামও নেই নথিতে। এটি বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনের পরিপন্থী।

    আপের বিরুদ্ধে অভিযোগ (ED)

    শুক্রবার ইডির তরফে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে যে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে, তাতে অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল আপের (ED)। দিল্লি আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় নাম রয়েছে এই রাজনৈতিক দলটির। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে ইডির তরফে জানানো হয়েছে, ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন ভেঙে আপ অন্তত সাত কোটি আট লক্ষ টাকা বিদেশি অর্থ সাহায্য নিয়েছে।

    ইডির দাবি

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই ঘটনায় ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ও ভারতীয় দণ্ডবিধি লঙ্ঘিত হয়েছে। কেবল আমেরিকা ও কানাডা নয়, আপ অর্থ সাহায্য নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, কুয়েত এবং ওমানের দাতাদের কাছ থেকেও। অভিযোগ অস্বীকার করে ইডির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের পাল্টা অভিযোগ তোলা হয়েছে আপের তরফে।

    আর পড়ুন: “এটা ভারতের সময়, এ সুযোগ হাতছাড়া করা উচিত নয়”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    আপের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, রাজনৈতিক এই দলটি খালিস্তানপন্থী নিষিদ্ধ সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিসে’র কাছ থেকেও অর্থ সাহায্য নিয়েছে। নিষিদ্ধ এই সংগঠনের প্রধান গুরপন্তবন্ত সিং পান্নুন সম্প্রতি দাবি করেছিলেন, ‘নয়ের দশকে ধৃত এক খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নেতাকে দিল্লির জেল থেকে ছাড়ার শর্তে ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আপকে প্রায় ১৩৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে’। এক ভিডিও বার্তায়ও খালিস্তানপন্থী এই নেতার দাবি, গত আট বছরে কেজরিওয়ালকে তারা একশো কোটিরও বেশি টাকা সাহায্য করেছে। ২০২২ সালে পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের আগেও ‘শিখস ফর জাস্টিসে’র তরফে (ED) আপকে বিপুল অর্থ সাহায্য করা হয়েছিল বলেও দাবি পান্নুনের সংগঠনের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share