Tag: Election Commission of India

Election Commission of India

  • SIR Form Fill Up: অনলাইনে ঘরে বসেই পূরণ করুন এসআইআর ফর্ম! জেনে নিন স্টেপ বাই স্টেপ গাইড

    SIR Form Fill Up: অনলাইনে ঘরে বসেই পূরণ করুন এসআইআর ফর্ম! জেনে নিন স্টেপ বাই স্টেপ গাইড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনলাইনে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) আবেদন নেওয়া শুরু করল নির্বাচন কমিশন। কোনও ভোটার বাড়ির বাইরে থাকলে অনলাইনে এনুমারেশন ফর্ম ফিল আপ করতে পারেন। ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলবে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের ওয়েবসাইটে (https://ceowestbengal.wb.gov.in/) অনলাইন এনুমারেশন ফর্ম মিলছে। কমিশনের অ্যাপ ইসিআইনেট-এ গিয়েও কেউ চাইলে ওই ফর্ম পূরণ করতে পারেন।

    কী ভাবে অনলাইনে ফর্ম পূরণ করবেন?

    প্রথমে ফর্মটি ডাউনলোড করতে হবে। এর পর অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে এপিক নম্বরের সঙ্গে মোবাইল নম্বর অথবা ইমেল আইডি লিঙ্ক থাকতে হবে। এপিক কার্ডের সঙ্গে মোবাইল নম্বর লিঙ্ক না-থাকলে অনলাইনে এসআইআরের ফর্ম পূরণ করা যাবে না। রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে ওটিপি আসবে। সেটি বসিয়ে কমিশনের সাইটে লগইন করতে হবে। এর পরে প্রথমে রাজ্য বেছে নিতে হবে। তার পরে এপিক কার্ড নম্বর বসাতে হবে। এপিক বসানোর পরে তালিকার সঙ্গে নাম না মিললে, বিএলও-এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। নাম না-মিললে আবার মোবাইল নম্বর বসাতে হবে। পুনরায় সেই নম্বরে ওটিপি আসবে। তা বসিয়ে অনলাইনে জমা করতে হবে। এর পরে তিনটি অপশন আসবে। প্রথম, নিজের নাম (শেষ এসএইআরের তালিকায় যেটি রয়েছে সেটি দিতে হবে। দ্বিতীয়, বাবা অথবা মায়ের নাম (শেষ এসএইআরের তালিকায় যেটি রয়েছে সেটি দিতে হবে। তৃতীয় অপশনে থাকবে শেষ এসএইআরের তালিকায় বাবা অথবা মায়ের নাম নেই। এর পর, সেখান থেকে উপযুক্ত অপশনটি নির্বাচন করতে হবে। তার পর ২০০২ সালের বিধানসভা কেন্দ্র, পার্ট নম্বর এবং সিরিয়াল নম্বর বসাতে হবে। বিএলওদের সামনে বসে অফলাইন মাধ্যমে যে ভাবে ফর্ম পূরণ করতে হত, সে ভাবেই অনলাইনে করতে হবে। সেখানে একটি ছবি লাগবে। ফর্ম জমা দেওয়ার পরে করার আধার কার্ডের সঙ্গে যুক্ত মোবাইল নম্বরে ওটিপি আসবে। সেটি বসানোর পরেই এনুমারেশন ফর্ম জমা করা যাবে।

    স্টেপ বাই স্টেপ গাইড

    স্টেপ ১: নির্বাচন কমিশনের নয়া ওয়েবসাইট https://ceowestbengal.wb.gov.in-এ যান।
    স্টেপ ২: সাইন আপ করতে পারেন অথবা ফোন নম্বর কিংবা এপিক নম্বর দিয়ে লগ ইন করতে পারেন।
    স্টেপ ৩: ওয়েবসাইটেই পাওয়া যাবে এসআইআর এনুমারেশন অনলাইন ফর্ম।
    স্টেপ ৪: ফর্ম ফিল আপ করার আগে নিজের পাসপোর্ট সাইজের ছবির স্ক্যানড কপি হাতের কাছে রাখুন। পরের স্টেপে সেই ছবির স্ক্যান্ড কপি আপলোড করতে হবে।
    স্টেপ ৫: যে কলামগুলি ফিল আপ করতে হবে সেগুলি হল, জন্মের তারিখ, আধার নম্বর (ঐচ্ছিক), মোবাইল নম্বর, পিতার নাম, পিতার এপিক নম্বর (যদি থাকে),মায়ের নাম, মায়ের এপিক নম্বর (যদি থাকে), বিবাহিত হলে স্বামী বা স্ত্রীর নাম, স্বামী বা স্ত্রীর এপিক নম্বর (যদি থাকে)।
    স্টেপ ৬: সবশেষে সাদা পাতায় সই করে স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।
    স্টেপ ৭: এরপর ক্লিক করুন সাবমিটে।
    স্টেপ ৮: ডিক্লেরেশন পেজে একাধিক অপশন রয়েছে। সিলেক্ট করতে হবে যথাযথ অপশন।
    স্টেপ ৯: ২০০২ এর ভোটার তালিকায় নাম থাকলে বা বাবা-মায়ের নাম থাকলে তাঁদের সেই কপি স্ক্রিনশট আপলোড করতে হবে।
    স্টেপ ১০: ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় কারও নামই না থাকলে কমিশনের নির্দেশ করে দেওয়া ১১টির নথির যে কোনও একটি ডকুমেন্টে টিক দিতে হবে।
    স্টেপ ১১: সবশেষে সাবমিট বটনে ক্লিক করুন।

    অযথা আতঙ্কিত হবেন না

    ভোটার তালিকায় (Voter List) কোনও যোগ্য নাগরিক যেন বাদ না যান, আবার অযোগ্য কেউ যাতে ঢুকে না পড়েন— এই লক্ষ্যেই দেশের ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হচ্ছে ভোটার তালিকার ‘বিশেষ নিবিড় সংশোধন’ (Special Intensive Revision বা SIR)। রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বক্তব্য শুনে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। জেলায় জেলায় এসআইআর ঘোষণার পর আত্মহত্যার অভিযোগও সামনে আসছে। কিন্তু, অযথা আতঙ্কিত না হয়ে কমিশন যে এনুমারেশন ফর্মের ব্যবস্থা করেছে, সেটি ধাপে ধাপে কীভাবে ফিলআপ বা পূরণ করবেন, জেনে নিন। নির্বাচন কমিশন বারবার আশ্বস্ত করলেও এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে ঘুম উড়েছে অনেকেরই। বাড়িতে না থাকলে কীভাবে ফর্ম পূরণ করবেন, তা ভেবেই চিন্তায় ছিলেন অনেকে। অবশেষে প্রযুক্তিগত ত্রুটি সারিয়ে ওয়েবসাইটও খুলে দিয়েছে কমিশন। শুক্রবার মধ্যরাত থেকেই খুলে দেওয়া হয়েছে সেই ওয়েবসাইট। এসআইআর নিয়ে ভোটারদের মধ্যে হাজার প্রশ্ন। ২০০২ সালের এসআইআর তালিকায় নাম না-থাকলে কী হবে? সেই চিন্তায়ও ভুগছেন অনেকে। যদিও কমিশন জানিয়েছে, চিন্তার কারণ নেই। ২০০২ সালের এসআইআর তালিকায় নিজের নাম বা বাবা-মায়ের নাম থাকলে কোনও নথি দিতে হবে না। তা ছাড়াও ১১টি নথি ব্যতীত নাগরিকত্ব প্রমাণ করার যে কোনও নথি দিলেই তা গ্রাহ্য হবে।

  • SIR: নির্বাচন কমিশনের বিশেষ উদ্যোগ, ১২ রাজ্যে ভোটার তালিকা পুনর্বিবেচনায় ২০০৩-০৪ সালের তালিকাই ‘মূল ভিত্তি’

    SIR: নির্বাচন কমিশনের বিশেষ উদ্যোগ, ১২ রাজ্যে ভোটার তালিকা পুনর্বিবেচনায় ২০০৩-০৪ সালের তালিকাই ‘মূল ভিত্তি’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে জুড়ে শুরু হয়েছে এসআইআর। ভোটার তালিকা পুনর্বিবেচনা প্রক্রিয়া চলছে ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে, যার মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য—উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও গুজরাট। এই প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ২৭ অক্টোবর রাত ১২টার পর। শুরু হতে চলেছে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ভোটার তথ্য যাচাইয়ের অভিযান। ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এর মধ্যে চূড়ান্ত সংশোধিত তালিকা প্রকাশের লক্ষ্য নিয়েছে কমিশন। এই উদ্যোগের সবচেয়ে আলোচিত দিক হলো, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত—২০০৩-০৪ সালের ভোটার তালিকাকে “বেসলাইন” বা মূল ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করা।

    কেন ২০০৩-০৪ সালকে ভিত্তি ধরা হলো?

    কমিশনের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, ২০০২-০৩ ও ২০০৩-০৪ সালে দেশব্যাপী শেষবারের মতো একটি ব্যাপক ভোটার যাচাই অভিযান হয়েছিল, যখন প্রথমবার ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়া ডিজিটাল পদ্ধতিতে রূপান্তরিত হয়। সেই সময়কার ডেটা কমিশনের মতে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও যাচাইযোগ্য নথি। এক কমিশন কর্মকর্তা বলেন, “২০০৪ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ভারতের জনসংখ্যা প্রায় ৩০ কোটি বেড়েছে। অভ্যন্তরীণ অভিবাসন, নগরায়ণ ও জনবিন্যাসের ব্যাপক পরিবর্তনের কারণে পুরনো তালিকার সঙ্গে তুলনা করলেই বোঝা যাবে কোথায় দ্বৈত নাম, মুছে যাওয়া ভোটার বা জনসংখ্যাগত অস্বাভাবিকতা রয়েছে।” তবে কমিশন স্পষ্ট করেছে—২০০৩-০৪ সালের তালিকা শুধুই তুলনামূলক রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহৃত হবে, কোনো নাগরিকের ভোটাধিকার নির্ধারণে এটি চূড়ান্ত ভিত্তি নয়।

    কীভাবে চলছে যাচাই প্রক্রিয়া?

    ১. বিদ্যমান তালিকা ফ্রিজ: ২৭ অক্টোবর মধ্যরাতের পর থেকে বর্তমান ভোটার তালিকায় কোনো পরিবর্তন করা যাবে না।
    ২. ঘরে ঘরে যাচাই: বুথ লেভেল অফিসার (BLO) তিন দফা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে বয়স, ঠিকানা, নাগরিকত্ব ও নথিপত্র যাচাই করবেন।
    ৩. পুরনো নাম স্বয়ংক্রিয় নিশ্চিতকরণ: ২০০৩-০৪ সালের তালিকায় যাদের নাম রয়েছে, তাদের নতুন করে কোনো নথি দিতে হবে না।
    ৪. নতুন ভোটারদের জন্য কাগজপত্র: ২০০৪ সালের পর যাদের নাম যুক্ত হয়েছে, তাদের বয়স, অভিভাবকত্ব ও নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র দিতে হবে।
    ৫. চূড়ান্ত প্রকাশ: শুনানি ও আপত্তি নিষ্পত্তির পর ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নতুন তালিকা প্রকাশ করা হবে।

    নাগরিকত্ব বিতর্কের ছায়া

    কমিশন যদিও জানিয়েছে এই পদক্ষেপের সঙ্গে নাগরিকত্ব যাচাইয়ের কোনো সম্পর্ক নেই, তবু পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও অসমের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয়—যেমন মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর ২৪ পরগনা ও কিশানগঞ্জে—এই সিদ্ধান্ত নতুন করে বিতর্ক জাগিয়েছে। অনেকে মনে করছেন, এটি জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (NRC) ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA)-এর বিতর্ককে ফের উস্কে দিতে পারে। নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য, “২০০৩-০৪ সালে কারও নাম না থাকায় তাকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে না। এটি কেবল তথ্য যাচাইয়ের উদ্যোগ, নাগরিকত্ব যাচাইয়ের নয়।”

    উচ্চ সতর্কতায় পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু

    এই ১২ রাজ্যের মধ্যে কয়েকটি রাজ্যকে “হাই স্ক্রুটিনি জোন” হিসেবে চিহ্নিত করেছে কমিশন। পশ্চিমবঙ্গের ২,২০০ কিমি দীর্ঘ বাংলাদেশ সীমান্ত, উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের অভ্যন্তরীণ অভিবাসন, তামিলনাড়ু ও ছত্তিশগড়ের শিল্পাঞ্চলে জনবসতি পরিবর্তন—সবই এই সিদ্ধান্তের পেছনে যুক্তি হিসেবে ধরা হয়েছে। কমিশন রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া বজায় রাখতে এবং ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ বা যোগ করার আগে সর্বজনীন শুনানি আয়োজন করতে।

    কমিশনের বার্তা: “এটি রাজনৈতিক নয়, প্রযুক্তিগত পদক্ষেপ”

    জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হলো ভারতের ৯৫ কোটির বেশি ভোটারের তালিকাকে আরও নির্ভুল করা। কমিশনের আহ্বান—সব ভোটার যেন এনভিএসপি পোর্টাল বা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে নিজেদের নাম যাচাই করেন এবং বিএলও-দের সঙ্গে সহযোগিতা করেন। কমিশন সতর্ক করেছে, নির্ধারিত সময়ে যাচাই না করলে নাম সাময়িকভাবে স্থগিত হতে পারে, তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে আপিলের সুযোগ থাকবে। যদিও নির্বাচন কমিশন বারবার বলছে এটি একটি “ডেটা ভেরিফিকেশন এক্সারসাইজ”, রাজনৈতিকভাবে পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু ও উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে এই পদক্ষেপের সময়কাল এবং প্রেক্ষাপট একে নতুন মাত্রা দিয়েছে। ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এর মধ্যে যদি এই প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হয়, তবে এটি ভবিষ্যতে দেশজুড়ে ভোটার তালিকা রক্ষণাবেক্ষণের নতুন মডেল হয়ে উঠতে পারে—এমনটাই আশা করছে নির্বাচন কমিশন।

  • SIR in Bengal: এসআইআর নিয়ে মনে নানা প্রশ্ন! বিএলও-দের সঙ্গে সরাসরি কথার সুযোগ, হেল্পলাইন নম্বর চালু কমিশনের

    SIR in Bengal: এসআইআর নিয়ে মনে নানা প্রশ্ন! বিএলও-দের সঙ্গে সরাসরি কথার সুযোগ, হেল্পলাইন নম্বর চালু কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ১২টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা (SIR in Bengal) নিয়ে মানুষের নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। তাদের তরফে চালু করা হয়েছে হেল্পলাইন। জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নাগরিকরা ১৯৫০ (1950) এই ভোটার হেল্পলাইন নম্বর ব্যবহার করতে পারবেন। এই নম্বরের সাহায্যে বিএলও- দের সঙ্গে সরাসরি কথা বলা যাবে। যাবতীয় প্রশ্ন করা যাবে তাঁদের। পাওয়া যাবে উত্তরও।

    নাগরিকদের সকল প্রশ্ন ও অভিযোগের দ্রুত সমাধান

    এসআইআর (SIR in Bengal) পর্ব মসৃণ ভাবে সম্পন্ন করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ করছে নির্বাচন কমিশন। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ‘ন্যাশনাল ভোটার হেল্পলাইন’ (এনভিএইচ) এবং দেশের সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং জেলা পর্যায়ের হেল্পলাইন সক্রিয় করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য—নাগরিকদের সকল প্রশ্ন ও অভিযোগের দ্রুত সমাধান। কমিশন (Election Commission of India) সূত্রের খবর, ‘ন্যাশনাল কনট্যাক্ট সেন্টার’ (এনসিসি) হবে সমগ্র দেশের কেন্দ্রীয় হেল্পলাইন। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত টোল-ফ্রি নম্বরে (১৮০০-১১-১৯৫০) নাগরিকেরা যোগাযোগ করতে পারবেন। প্রশিক্ষিত কর্মীরা ভোটারদের ভোট সংক্রান্ত তথ্য ও সহযোগিতা প্রদান করবেন। প্রতিটি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং জেলার জন্য আলাদা করে স্টেট কনট্যাক্ট সেন্টার (এসসিসি) ও ডিস্ট্রিক্ট কনট্যাক্ট সেন্টার (ডিসিসি) তৈরি করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দৈনিক সরকারি দফতরের সময়সূচি মেনে সারা বছর এগুলো চালু থাকবে এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্যের ভাষায় পরিষেবা দেবে। ছুটির দিন ছাড়া বাকি সব দিনেই সারা বছর অফিস আওয়ার্সে কাজ করবে এইসব কনট্যাক্ট সেন্টার।

    সমস্ত অনুরোধের নিষ্পত্তি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে করতে হবে

    বিশেষ নিবিড় সমীক্ষাপর্ব (SIR in Bengal) সংক্রান্ত প্রতিটি অভিযোগ ও প্রশ্ন ‘ন্যাশনাল গ্রিভ্যান্স সার্ভিস পোর্টাল ২.০ (এমসিএসপি ২.০)-র মাধ্যমে ‘রেকর্ড ও ট্র্যাক’ (নথিভুক্ত ও চিহ্নিত) করা হবে। চালু হয়েছে ‘বুক আ-কল উইথ বিএলও’ সুবিধা— যার মাধ্যমে নাগরিকেরা সরাসরি তাঁদের বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও)-র সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। এটি ‘ইসিআইনেট’ প্ল্যাটফর্মে পাওয়া যাবে। নাগরিকেরা ‘ইসিআইনেট অ্যাপ’ ব্যবহার করেও নির্বাচন আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। এবং সমস্ত অনুরোধের নিষ্পত্তি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে নিশ্চিত করতে সিইও, ডিইও এবং ইআরও-দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও পুরনো অভিযোগ জানানোর পদ্ধতিগুলো আগের মতোই চালু থাকবে বলে কমিশনের (Election Commission of India) তরফে জানানো হয়েছে। নাগরিকেরা ইমেলে অভিযোগ পাঠাতে পারবেন (complaints@eci.gov.in)।

    বিএলও-দের কড়া বার্তা কমিশনের

    আগামী ৪ নভেম্বর ২০২৫ থেকে রাজ্যে এসআইআর-এর (SIR in Bengal) প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। বুথ লেভেল অফিসারদের (বিএলও) কাজে যোগ দেওয়ার সময় বেঁধে দিল নির্বাচন কমিশন। তার মধ্যে কাজে যোগ না-দিলে পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি কমিশনের। সাসপেন্ড করার মতো পদক্ষেপ করা হবে বলেও তারা জানিয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার মধ্যে কাজে যোগ না-দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সূত্রে খবর, কয়েকটি জেলায় বিএলও-রা এসআইআর প্রক্রিয়ায় এখনও অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁরা নানা বাহানা দিচ্ছেন। জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের (ডিইও) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অবিলম্বে বিএলও-দের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে। সেইমতো মুর্শিদাবাদ-সহ কয়েকটি জেলায় বিএলও-দের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে বিশেষ নিবিড় সংশোধনের দিনক্ষণ ঘোষণা হলেও এখনও পর্যন্ত বিএলও-দের নিয়ে মাথাব্যথা কমিশনের। রাজ্যের ৮০ হাজারের বেশি বুথে বিএলও নিয়োগ করা হলেও, কিছু জায়গায় পদ শূন্য রয়েছে। সেখানে নিয়োগ করা যাচ্ছে না। এসআইআর নিয়ে নানা মহলে বিতর্ক তৈরি হতেই অনেকে আর কাজ করতে ইচ্ছুক নন। এর আগেও কাজ করতে না চাওয়ায় এক হাজারের বেশি বিএলও-কে শোকজ করেছিল কমিশন (Election Commission of India)। এখন নির্দেশে কাজ না হলে সরাসরি সাসপেন্ড করার দিকে যাচ্ছে কমিশন।

  • SIR in Bengal: রাজ্যে ৩ ধাপে হবে এসআইআর, তিন মাসে প্রায় ৩.৫ কোটি ভোটার যাচাই করতে হবে কমিশনকে

    SIR in Bengal: রাজ্যে ৩ ধাপে হবে এসআইআর, তিন মাসে প্রায় ৩.৫ কোটি ভোটার যাচাই করতে হবে কমিশনকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শুরু হতে চলেছে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR)। নির্বাচন কমিশনের সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০২ সালের তালিকা এবং ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত ভোটার তালিকা মিলিয়ে দেখা গিয়েছে— দু’টির মধ্যে মাত্র ৫২ শতাংশ ভোটারের তথ্য মিলে গিয়েছে। রাজ্যে মোট ভোটারের সংখ্যা এখন ৭.৬ কোটি, অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক ভোটারের তথ্য মিলছে না। কমিশনকে (Election Commission) আগামী তিন মাসের মধ্যেই যাচাই করতে হবে রাজ্যের প্রায় ৩.৫ কোটি ভোটার। কমিশন সূত্রে খবর, বিহারে ২ কোটি ভোটারকে এই প্রক্রিয়ায় যাচাই করতে হয়েছিল।

    তিন ধাপে চলবে প্রক্রিয়া

    কমিশন সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গে (SIR in Bengal) ভোটার যাচাইয়ের কাজ হবে তিন ধাপে। প্রথম ধাপ হল ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করানো হবে। তথ্য জোগাড় করবেন। সমস্ত কিছু গণনা করা হবে। এই ধাপটি চলবে প্রায় ৩০–৩৫ দিন। দ্বিতীয় ধাপ হল তার এক সপ্তাহের মধ্যেই প্রকাশ করা হবে খসড়া ভোটার তালিকা। এরপর ভোটার বা রাজনৈতিক দলগুলি এই তালিকা নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকলে তা জানাতে পারবেন। বাদ পড়া নাম যুক্ত করা, ভুল সংশোধন করা যাবে এই পর্বে। দ্বিতীয় ধাপের এই কাজ চলবে প্রায় এক মাস। তৃতীয় ধাপ হল সংশোধন ও আপত্তি নিষ্পত্তির পর তৈরি হবে চূড়ান্ত তালিকা। সমস্ত যাচাই করার পর, পরবর্তীতে এক সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত ভোটার লিস্ট বের হবে। এই প্রক্রিয়া চালাতে ব্লক লেভেল অফিসার (BLO)-দের প্রশিক্ষণ ও ফর্ম বিতরণের প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।

    কমিশনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ

    নির্বাচন কমিশনের এক কর্তা জানিয়েছেন, “এটা আমাদের জন্য বিশাল চ্যালেঞ্জ। কারণ, এত বড় পরিসরে ভোটার যাচাইয়ের কাজ একসঙ্গে করা খুবই জটিল। তবু আমরা চেষ্টা করছি যাতে সব ভোটার তালিকাভুক্ত হন।” প্রতিটি জেলায় এবং শহরাঞ্চলে হেল্পডেস্ক খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে অভিবাসী শ্রমিক ও বাইরের রাজ্যের কর্মীদের সাহায্যের জন্য। কমিশন সূত্রে খবর, অক্টোবরের শেষে বা নভেম্বরের প্রথমে শুরু হতে পারে। তাই তৎপরতা একেবারে তুঙ্গে।

  • West Bengal SIR: পুজোর পরেই পশ্চিমবঙ্গে শুরু এসআইআর, রাজ্য সিইও দফতরে ২ অফিসার নিয়োগ নির্বাচন কমিশনের

    West Bengal SIR: পুজোর পরেই পশ্চিমবঙ্গে শুরু এসআইআর, রাজ্য সিইও দফতরে ২ অফিসার নিয়োগ নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর পরেই বাংলায় ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর (West Bengal SIR) শুরু হতে পারে। এমনই ইঙ্গিত দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। এর মধ্যেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে নিয়োগ করা হল দুই আইএএস অফিসার। কমিশন জানিয়েছে, রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে ২০১১ সালের পশ্চিমবঙ্গ ব্যাচের অফিসার অরুণ প্রসাদকে। আর যুগ্ম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে ২০১৩ সালের পশ্চিমবঙ্গ ব্যাচের অফিসার হরিশঙ্কর পানিকরকে। অরুণ নদিয়ার জেলাশাসক পদে ছিলেন। আর হরিশঙ্কর ছিলেন রাজ্য অর্থ দফতরের বিশেষ সচিব পদে।

    ছাব্বিশের আগে কোমর বাঁধছে কমিশন

    আগামী বছরে বাংলায় বিধানসভা ভোট। তা নজরে রেখেই কোমর বাঁধছে কমিশন। ইতিমধ্যেই কমিশনের তরফ থেকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর, খুব বেশি হলে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসআইআর–এর (West Bengal SIR) প্রস্তুতি শেষ করতে হবে সব রাজ্যকে। অক্টোবরে এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হতে পারে। তারপরই শুরু হবে এসআইআর। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে ইতিমধ্যেই তিন জন অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রয়েছেন। তার সঙ্গে আরও এক জনকে নিযুক্ত করা হল ওই পদে। আর যুগ্ম অফিসার পদে রয়েছেন দু’জন। তাঁদের মধ্যে এক জনের কয়েক দিনের মধ্যে বদলি হওয়ার কথা। সেই কারণেই নতুন এক জনকে ওই পদে আনা হল। এ ছাড়াও উপ মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বাছাইয়ের জন্য নতুন প্যানেল চেয়েছে কমিশন (West Bengal SIR)।

    বিহারে প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা

    এদিকে, মঙ্গলবারই বিহারে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা (Bihar SIR) প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এতে রয়েছেন ৭.৪ কোটি ভোটার। বাদ পড়েছে প্রায় ৪৮ লাখ ভোটারের নাম। জুন মাসে বিহারের ভোটার তালিকায় মোট ৭.৮৯ কোটি ভোটারের নাম ছিল। সমীক্ষার প্রথম ধাপে যে খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছিল, তাতে অন্তত ৬৫ লাখ নাম বাদ পড়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রিভিশনের পর খসড়া তালিকায় না থাকা আরও ২১ লক্ষ ৫৩ হাজার মানুষের নাম ভোটার তালিকায় সংযোজন করা হয়েছে। চূড়ান্ত তালিকায় রিভিশনের সময় বাদ গিয়েছেন আরও ৩ লক্ষ ৬৬ ভোটার। সব মিলিয়ে গোটা এসআইআর প্রক্রিয়ায় নাম বাদ গেল ৪৭ লক্ষ ভোটারের। কমিশনের (Election Commission of India) দাবি এরা সকলেই হয় মৃত নয় অবৈধ ভোটার।

  • Election Commission of India: ৫৯৯৪টা আবেদন ভুয়ো! রাহুলের অভিযোগ নিয়ে কী বলল কমিশন?

    Election Commission of India: ৫৯৯৪টা আবেদন ভুয়ো! রাহুলের অভিযোগ নিয়ে কী বলল কমিশন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া সংক্রান্ত রাহুল গান্ধীর অভিযোগ খারিজ করে দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। বৃহস্পতিবার রাতের দিকে একটি বিবৃতি দিয়ে কমিশন জানিয়েছে, কর্নাটকের অলন্দ বিধানসভা এলাকায় ভোটার তালিকা থেকে নাম কেটে দেওয়ার জন্য ২০২২ সালের ডিসেম্বরে অনলাইনে প্রায় ৬০১৮টা আবেদন জমা পড়েছিল। এত বেশি সংখ্যক আবেদন সন্দেহজনক মনে হওয়ায়, প্রতিটা আবেদন খুঁটিয়ে দেখে কমিশন। দেখা যায় মাত্র ২৪টা আবেদন সঠিক। ৫৯৯৪টা আবেদন ভুয়ো। তাই শুধু ওই ২৪টা গ্রহণ করে বাকি আবেদন বাতিল করে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে কমিশন।

    কী বলল নির্বাচন কমিশন

    রাহুলের অভিযোগকে ‘ভুল এবং ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছে কর্নাটক তথা জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। বৃহস্পতিবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করে রাহুল অভিযোগ করেছিলেন, নির্দিষ্ট সফ্‌টঅয়্যারের মাধ্যমে নকল আবেদন করে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “অলন্দ কর্নাটকের একটি লোকসভা কেন্দ্র। কেউ কেউ ৬০১৮টি ভোট মুছে ফেলার চেষ্টা করেছেন। আমরা জানি না ২০২৩ সালের ভোটে (কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচন) ঠিক কত জনের নাম বাদ গিয়েছে। কিন্তু সংখ্যাটা অবশ্যই ৬০১৮-র বেশি হবে।” কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, অনলাইনে কেউ কোনও ভোটারের নাম বাদ দিতে পারেন না। কারও নাম বাদ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য শোনা হয় বলেও জানিয়েছে কমিশন।

    এফআইআর দায়ের করে এর তদন্তে নামে কমিশন

    রাহুল অভিযোগ করেছিলেন, ‘ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া’ সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে কর্নাটকের সিআইডি কমিশনকে ১৮ বার চিঠি দিয়েছিল। কিন্তু উল্টো দিক থেকে কোনও উত্তর মেলেনি বলে দাবি করছিলেন রাহুল। কমিশন অবশ্য জানিয়েছে, তাদের নির্দেশে কর্নাটকের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক পুলিশকে সব তথ্য দেন। কর্নাটকের একটি বিধানসভা কেন্দ্রের নামোল্লেখ করে কমিশন (Election Commission of India) জানিয়েছে, সেখানে ২০২৩ সালে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হয়। কিন্তু সেই চেষ্টা ফলপ্রসূ হয়নি। সেই সময় একটি এফআইআর দায়ের করে এর তদন্তে নামে কমিশন।

  • EVM: ইভিএমে এখন থেকে প্রার্থীর রঙিন ছবি! ভোটারদের সুবিধার জন্য কী কী সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন?

    EVM: ইভিএমে এখন থেকে প্রার্থীর রঙিন ছবি! ভোটারদের সুবিধার জন্য কী কী সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাদা-কালোর যুগ শেষ। এবার থেকে নির্বাচনের সময়ে ইভিএমে (EVM) প্রত্যেক প্রার্থীর রঙিন ছবি থাকবে। বুধবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনটাই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। চলতি বছরেই বিহারের বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। ওই সময় থেকেই পরিবর্তন কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে কমিশন (Election Commission of India)। এবার থেকে শুধুমাত্র দলের নাম ও দলীয় প্রতীক নয়, থাকবে প্রার্থীদের ছবিও। কাকে ভোট দিচ্ছেন, প্রার্থীর ছবি দেখে নিশ্চিত হতে পারবেন ভোটাররা। ছবির স্থানের চার ভাগের তিন ভাগে থাকবে প্রার্থীর মুখ। সিরিয়াল নম্বরও আরও স্পষ্টভাবে লেখা হবে।

    প্রার্থীর রঙিন ছবি, ক্রমিক নম্বর বড় হরফে

    বুধবার প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি মোট সাত দফা নতুন সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ রয়েছে। কমিশনের (Election Commission of India) বক্তব্য ভোটারদের সুবিধার জন্যই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এত দিন ইভিএমে (EVM) প্রার্থীদের সাদাকালো ছবি থাকত। এখন থেকে প্রার্থীদের ছবি হবে রঙিন। ছবিতে প্রার্থীর মুখ আগের তুলনায় আরও বেশি জায়গা জুড়ে থাকবে, যাতে তাঁকে সহজে চেনা যায়। কমিশন আরও জানিয়েছে, এ বার থেকে ইভিএমে প্রার্থীদের ক্রমিক নম্বর আরও বড় এবং স্পষ্ট হবে। প্রত্যেক প্রার্থী এবং ‘নোটা’ -র নম্বর বড় হরফে এবং মোটা অক্ষরে লেখা থাকবে, যাতে ভোটাররা সহজে দেখতে পান। এ ছাড়া সব প্রার্থীর নাম একই ধরনের অক্ষরে লেখা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। তাঁদের নাম একই হরফে, একই মাপে ছাপানো হবে। ছাপানো হরফে প্রার্থীদের কারও নাম ছোট, কারও বড়— এমন হবে না। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭০ জিএসএম মাপের ইভিএম পেপারে বোল্ড অক্ষরে এবং ৩০ ফন্ট সাইজে সিরিয়াল নম্বর ও প্রার্থীর নাম থাকবে।

    ব্যালটে কাগজের মান আরও উন্নত

    এ ছাড়া ইভিএমের (EVM) ব্যালটে কাগজের মান আরও উন্নত করা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন (Election Commission of India)। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ব্যালট পেপার ছাপানো হবে ভাল মানের (৭০ জিএসএম) কাগজে। বিধানসভা নির্বাচনের জন্য গোলাপি রঙের কাগজ ব্যবহার করা হবে। একটি ব্যালট পেপারে ১৫ জনের বেশি প্রার্থীর নাম থাকবে না। সরকারি বা আধা-সরকারি প্রেসেই ইভিএম ব্যালট পেপার ছাপানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিশনের গাইডলাইনের ১৯৬১-এর ৪৯খ ধারা অনুযায়ী, এই সংশোধনগুলি করা হয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, সংশোধিত নিয়ম অনুসারে, ব্যালটকে আরও ভোটার-বান্ধব করে তুলতে এবং ভোটকেন্দ্রে বিভ্রান্তি কমাতে নকশা এবং মুদ্রণ উভয়ই পরিবর্তন করা হয়েছে। যাতে ভোটারদের আস্থা জোরদার করা যায়।

    ভোটারদের সুবিধার্থে নয়া পদ্ধতি

    ইভিএম (EVM) হলো নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত একটি যন্ত্র। ভোটাররা কেবল একটি বোতাম টিপে তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেন এবং এই ভোট সরাসরি মেশিনে রেকর্ড করা হয়। ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় প্রথমবারের মতো ভারতের সমস্ত নির্বাচনী এলাকায় ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছিল। ভোটারদের স্বার্থে এবার সেখানে কিছু পরিবর্তন করা হল। বিহারের বিধানসভা নির্বাচন থেকে এই পরিবর্তনগুলি কার্যকর হবে। আগামী বছরে ভোট রয়েছে বাংলাতেও। আগামী দিনে বাংলা-সহ অন্য রাজ্যের ভোটেও এই নিয়ম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে কমিশন (Election Commission of India)। ইতিমধ্যেই সব রাজ‍্যগুলিকে এ নিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ পাঠানো হয়েছে কমিশনের থেকে।

  • EC to Rahul Gandhi: “প্রমাণ দিন নয়তো ক্ষমা চান”, ভোট চুরি নিয়ে রাহুলকে ৭ দিনের ডেডলাইন নির্বাচন কমিশনের

    EC to Rahul Gandhi: “প্রমাণ দিন নয়তো ক্ষমা চান”, ভোট চুরি নিয়ে রাহুলকে ৭ দিনের ডেডলাইন নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ভোট চুরি’ বিতর্কে লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে (EC to Rahul Gandhi) তাঁর দাবির সপক্ষে এক সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে বলল কমিশন। অন্যথায় তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে। এ ছাড়া তৃতীয় কোনও পথ খোলা নেই। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। বিহারের বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) প্রক্রিয়া ঘিরে বিতর্কের আবহেই নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করে ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ তুলেছেন রাহুল গান্ধী। রাহুলের অভিযোগ ‘সংবিধানের অবমাননা’ বলে তোপ দেগেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। তাঁর সাফ কথা, “নির্বাচন কমিশনের কাঁধে বন্দুক রেখে ভারতের ভোটারদের নিশানা করা হচ্ছে। রাজনীতি করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন সকলের কাছে স্পষ্ট করে দিতে চায়, কমিশন কোনও ভেদাভেদ না করে ধনী-দরিদ্র, প্রবীণ, মহিলা, যুবা, প্রত্যেক শ্রেণি, প্রত্যেক ধর্মের ভোটারদের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। ভবিষ্যতেও থাকবে। কমিশন এবং ভোটাররা তুচ্ছ রাজনীতিতে ভয় পায় না।”

    ভোটার তালিকাকে ত্রুটিমুক্ত করাই একমাত্র লক্ষ্য

    বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ এবং নিবিড় সংশোধন (SIR) শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। খসড়া তালিকা থেকে ৬৫ লক্ষ নাম বাদ গিয়েছে। তা নিয়ে এখন সরগরম রাজনীতি। এসআইআর নিয়ে দেশ জুড়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই বিতর্কের আবহে কংগ্রেস সাংসদ ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ তুলেছেন। রবিবার থেকে বিহারে ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ শুরু করেছেন তিনি। ১৬ দিন ব্যাপী চলবে এই কর্মসূচি। রাহুলের কর্মসূচি শুরুর দিনেই দিল্লি থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল কমিশন। এসআইআর প্রক্রিয়ার ব্যাখ্যা দিয়ে কমিশনের দাবি, ভোটার তালিকাকে ত্রুটিমুক্ত করাই এই প্রক্রিয়ার লক্ষ্য। কিন্তু কিছু রাজনৈতিক দল এটির বিষয়ে ভুল তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছে।

    সাত দিনের মধ্যে হলফনামা জমা দিন

    ‘ভোট চুরি’র অভিযোগকেও ভিত্তিহীন বলেই ব্যাখ্যা করছে কমিশন। জ্ঞানেশের বক্তব্য, নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে কোনও ভেদাভেদ করে না। কমিশনের কাছে শাসক এবং বিরোধী উভয় শিবিরই সমান, তা-ও সাংবাদিক বৈঠকে জানান তিনি। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কথায়, তাঁদের দরজা সকলের জন্য সমান ভাবে খোলা। ‘ভোট চুরি’ বিতর্কে নাম না-করে রাহুলকে নিশানা করেন তিনি। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, “হয় হলফনামায় স্বাক্ষর করুন অথবা ক্ষমা চান। তৃতীয় কোনও বিকল্প নেই। যদি (রাহুল) সাত দিনের মধ্যে হলফনামা জমা না দেন, তা হলে বুঝে নিতে হবে তাঁর অভিযোগ ভুল।”

    ‘নির্বাচন কমিশনের ষড়যন্ত্র’

    বিহারের ভোট অধিকার যাত্রায় রাহুল স্পষ্টতই বলেন, ‘‘ভোট চুরির বিষয়ে আমরা আগেও জানতাম। কিন্তু কীভাবে ভোট চুরি হত, ত জানা ছিল না। সম্প্রতি জানা যাচ্ছে, নির্বাচন কমিশনই এই কাজে যুক্ত। এসব কিছুই নির্বাচন কমিশনের ষড়যন্ত্র।’’ রাহুলের আরও অভিযোগ, সারা দেশেই বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনের ভোট চুরি হচ্ছে। সে আসাম হোক বা বাংলা, মহারাষ্ট্র হোক বা বিহার। তাঁর কথায়, ‘‘ভোট চোরদের আমরা খুব শিগগিরিই ধরব ও মানুষের সামনে হাজির করব। আগামী ভোটেও ভোট চুরি হতে চলেছে। বিহারের এসআইআর বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন আদতে নির্বাচন কমিশনের একটি পরিকল্পনা‌। উদ্দেশ্য ভুয়ো ভোট বাড়িয়ে ও নতুন ভোটারদের সরিয়ে নির্বিচন জিতিয়ে দেওয়া একটি বিশেষ দলকে।’’ এই আবহে রবিবার দুপুরে দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। এ ছাড়াও এ দিন উপস্থিত ছিলেন অন্য দুই নির্বাচন কমিশনার সুখবীর সিং সাঁধু এবং বিবেক জোশীও। রাহুল গান্ধী-সহ অন্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির ‘ভোটচুরি’ সংক্রান্ত অভিযোগ এদিন উড়িয়ে দেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, ‘সত্যি সত্যিই হয় (সচ সচ হোতা হ্যায়…) সূর্য পূর্ব দিকেই ওঠে। কারও কথায় পশ্চিম দিকে ওঠে না। জ্ঞানেশ কুমার বলেন, ‘‘কোথাও ভুয়ো ভোটার থাকলে তা ৭ নম্বর ফর্ম পূরণ করে আবেদন করলে নির্বাচনে কমিশন যথাযথ ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা না করে পরে ভোট চুরির এই অভিযোগ তোলা আদতে রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা ছাড়া আর কিছুই নয়।’’

    সংবিধানের অপমান

    জ্ঞানেশের বক্তব্য, নিয়ম অনুসারে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষের ৪৫ দিনের মধ্যে এই সংক্রান্ত মামলা করা যেতে পারে। ওই সময়ের মধ্যে কোনও অভিযোগ না জানিয়ে পরে ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ তোলা মানে সংবিধানকে অপমান করা। ‘ভোট চুরি’র মতো শব্দ ব্যবহার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে খাটো করে। কমিশন বা সাধারণ ভোটারেরা এই ধরনের অভিযোগ নিয়ে একেবারেই ভীত নয় বলে জানান তিনি। কমিশনের দাবি, কিছু ভোটার দ্বিগুণ ভোট দেওয়ার আশঙ্কার কথা তুললেও কোনও প্রমাণ জমা পড়েনি। জ্ঞানেশের বক্তব্য, “এক কোটিরও বেশি কর্মী নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকেন। এত স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় কী করে ‘ভোট চুরি’ হতে পারে!” বিহারের ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনে ৬৫ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়া নিয়ে শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক তরজা। এ বার এই বিতর্কে রাশ টানার চেষ্টা করল কমিশন। সমস্ত রাজনৈতিক দলের বুথ স্তরের প্রতিনিধিরা যে খসড়া তৈরির পরে তাতে সই করেছে, সে কথাও মনে করাল নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি সেখানে যে কোনও ত্রুটি সংশোধনের জন্য এখনও ১৫ দিন সময় রয়েছে, জানানো হলো সেই বিষয়টিও। কমিশনের দরজা প্রত্যেকের জন্য সমান ভাবে খোলা বলেও জানান জ্ঞানেশ কুমার।

  • Election Commission: সাসপেন্ড করতেই হবে! রাজ্যের মুখ্যসচিবকে দিল্লিতে ডেকে জানাল নির্বাচন কমিশন

    Election Commission: সাসপেন্ড করতেই হবে! রাজ্যের মুখ্যসচিবকে দিল্লিতে ডেকে জানাল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকায় গরমিলের অভিযোগে রাজ‍্যের চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেই হবে রাজ্যকে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে (Manoj Pant) আগামী ২১ অগাস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বুধবার দিল্লিত কমিশনের (Election Commission) সদর দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন মনোজ পন্থ। ঘণ্টাখানেক সেখানে ছিলেন। তিনি এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে সাত দিন সময় চেয়েছিলেন। কমিশন সূত্রের খবর, মুখ্যসচিব যে সময় চেয়েছেন, তা তাঁকে দেওয়া হয়েছে।

    কেন সময় দেওয়া হল

    রাজ্যের দুই ইআরও (ERO), দুই এইআরও (AERO) ও এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধে ভোটার লিস্টে ভুয়ো নাম তোলার অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ ছিল, অফিসাররা তাঁদের আইডি শেয়ার করেছেন অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করা ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের সঙ্গে। তাঁদের সাসপেন্ড করার ও তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার সুপারিশ করে কমিশন (Election Commission)। সেই ব্যবস্থা না হওয়ায় বুধবার পন্থকে তলব করা হয়েছিল দিল্লিতে। নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যসচিব কমিশনের কাছে ২১ অগাস্ট পর্যন্ত সময় চেয়েছেন এই সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরে এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বৈঠকে বসার কথা। ওই বৈঠকে যা সিদ্ধান্ত হবে, সেইমতোই গোটা প্রক্রিয়া এগোবে। রাজ্য প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিক এবং রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গেও আলোচনা হতে পারে।

    শাস্তি দিতেই হবে

    সূত্রের খবর, কমিশনের (Election Commission) দেওয়া চিঠির নির্দেশ কেন কার্যকর হয়নি, সেই নিয়ে এদিন ফুল বেঞ্চের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে। চার অফিসারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কমিশনের নির্দেশের প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার এখনও কী কী পদক্ষেপ করেছে তা রিপোর্ট-সহ তুলে ধরতে হয়েছে মুখ্যসচিবকে। বৈঠকে উঠে এসেছে আইনি এক্তিয়ার সংক্রান্ত ইস্যুও। এসআইআর প্রত্যেকটা রাজ্যে বাস্তবায়ন করতে কমিশন যে বদ্ধপরিকর, তাও এদিন বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে মুখ্যসচিবকে। কমিশন ব্যাখ্যা করেছে যে এ ক্ষেত্রে আইনি এক্তিয়ারের মধ্যেই পুরো কাজ করা হচ্ছে। রাজ্য প্রশাসন সূত্রের দাবি, বৃহস্পতিবার গোটা দিনটাই কমিশনের নির্দেশ নিয়ে প্রশাসনিক মহলে আলোচনা চলবে। এর পর শুক্রবার স্বাধীনতা দিবস। ছুটির দিন। শনিবারও বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি কিছু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। যা হওয়ার পরের সপ্তাহে হবে।

  • Election Commission: ‘খসড়া তালিকায় না থাকা ভোটারদের নাম প্রকাশের আইনত বাধ্যবাধকতা নেই’, সুপ্রিম কোর্টে বলল কমিশন

    Election Commission: ‘খসড়া তালিকায় না থাকা ভোটারদের নাম প্রকাশের আইনত বাধ্যবাধকতা নেই’, সুপ্রিম কোর্টে বলল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন নিয়ে উত্তাল জাতীয় রাজনীতি ৷ এরই মধ্য়ে নির্বাচন কমিশন (ECI) সুপ্রিম কোর্টকে (Supreme Court) জানিয়েছে যে, খসড়া ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়া ব্যক্তিদের নামের আলাদা তালিকা তৈরি বা প্রকাশ করার জন্য আইনে কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। কমিশনের দাবি, যেসব ব্যক্তির নাম তালিকায় নেই, তাদের অনুপস্থিতির কারণ (যেমন মৃত্যু, রাজ্য ত্যাগ, নামের পুনরাবৃত্তি বা অননুসন্ধানযোগ্যতা) জানানোও আইনসঙ্গত নয়। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে বিশেষ সংশোধনের পর কাদের নাম বাদ গিয়েছে তা আলাদা তালিকা প্রকাশ করে জানানো হবে না৷ কেন বাদ গেল তাও বলবে না তারা ৷ তবে যাঁদের নাম গিয়েছে তাঁদের কাছে নোটিশ যাবে ৷ তাঁরা আবেদনের সুযোগও পাবেন ৷ তাঁদের অন্ধকারে রেখে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না ৷

    কেন এই সিদ্ধান্ত

    বিহারে সংশোধিত ভোটার তালিকা প্রকাশের পর এনজিও অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (ADR)-এর এক আবেদনের প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতে এই অভিমত প্রকাশ করে কমিশন। ওই আবেদনপত্রে বিহারে চলমান বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) পর্বে প্রায় ৬৫ লক্ষ ভোটারের ফর্ম জমা না পড়ার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল এবং বুথভিত্তিক তালিকা প্রকাশের দাবি জানানো হয়। আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ ও নেহা রাঠি আদালতে সওয়াল করেন। জাতীয় নির্বাচন কমিশন পাল্টা অভিযোগে জানিয়েছে, অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (ADR) আদালতকে “ভুল পথে চালিত করছে” এবং এ বিষয়ে আদালত অবমাননার মামলাও দাবি করেছে। কমিশনের মতে, আবেদনকারী এই তালিকা কোনও “অধিকারের প্রশ্নে” চাইতে পারে না।

    আইনি ধারার উল্লেখ

    নির্বাচন কমিশন ১৯৫০ সালের প্রতিনিধিত্ব আইন এবং ১৯৬০ সালের ভোটার নিবন্ধন বিধিমালা (Rules 10 ও 11)-এর উল্লেখ করে জানিয়েছে যে, তারা আইনি দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছে। নিয়ম ১০ অনুযায়ী, খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পরে তা সাধারণ মানুষের পরিদর্শনের জন্য ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারের (ERO) অফিসের বাইরে রাখা হয়। নিয়ম ১১ অনুযায়ী, স্বীকৃত রাজনৈতিক দলগুলিকে প্রতিটি অংশের দুটি কপি সরবরাহ করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের জন্য তালিকাটি পাঠানো হয়। কমিশন দাবি করেছে, তারা রাজনৈতিক দলগুলিকে এমন একটি তালিকাও সরবরাহ করেছে যেখানে সেইসব ভোটারদের নাম রয়েছে যাদের নাম খসড়া তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এমনকি সিপিআই(এম-এল)-এর পক্ষ থেকেও সেই তালিকার গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ রয়েছে বলে জানায় ইসি। শনিবার সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হলফনামায় কমিশন এই ধরনের নানা তথ্য জানিয়েছে৷ তাতে আরও বলা হয়েছে, বিহারে এখন মোট ৭.২৪ কোটি ভোটার রয়েছেন ৷ বিশেষ সংশোধনের পর বাদ গিয়েছে ৬৫ লাখ নাম৷ কমিশনের দাবি, এঁদের অনেকেই প্রয়াত হয়েছেন৷ বাকিরা এখন আর বিহারের বাসিন্দা নন৷

    হলফনামায় কমিশনের তিন দাবি

    হলফনামায় কমিশনের তরফে আলাদা করে তিনটি বিষয়ের উল্লেখ করা হয়েছে৷ সেখানে বলা হয়েছে, আগাম নোটিশ না দিয়ে কারও নাম চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে না৷ সকলে আবেদনের সুযোগ পাবেন৷ শেষমেশ কমিশন যদি কারও নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সেটিও কোনও প্রশাসনিক সংস্থার মাধ্যমে ভোটারকে জানানো হবে৷ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে যাতে এ নিয়ে কোনও সংশয় না থাকে তা নিশ্চিত করবে কমিশন৷ তাছাড়া কোনও ভোটারকে আবেদন করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নথি সংগ্রহ করতে হবে৷ তার জন্য নির্দিষ্ট সময়ও দেওয়া হবে৷ হলফনামার অন্য় একটি অংশে কমিশন জানিয়েছে, কোনও বৈধ ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়নি৷ জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে৷

    সুপ্রিম-মতের অপেক্ষা

    কমিশন আরও জানিয়েছে, ১ অগাস্ট খসড়া তালিকা প্রকাশের পরে ৭ অগাস্ট বুথ স্তরের অফিসাররা (BLOs) রাজনৈতিক দলের বুথ স্তরের এজেন্টদের (BLAs) সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তালিকাভুক্ত না হওয়া ভোটারদের নাম পড়ে শোনানো হয় এবং ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ফর্ম জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এসআইআর নিয়ে শেষ কয়েকদিন ধরে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে৷ এরই মধ্যে ১ অগাস্ট বিশেষ সংশোধনের পর তালিকা প্রকাশ করেছে কমিশন৷ তারপর থেকে প্রতিবাদ আরও জোরালো হয়েছে৷ সুপ্রিম কোর্টে মামলাও দায়ের হয়েছে৷ আবেদনকারী জানতে চেয়েছিলেন, কেন ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ গেল৷ শুনানিতে এই বিষয়টি ওঠার পর দেশের নির্বাচন আয়োজনের নিয়ামক সংস্থা হলফনামা দিল৷ আপাতত শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সূর্য কান্তর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছে৷ নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য অনুযায়ী, খসড়া ভোটার তালিকায় নাম না থাকা ব্যক্তিদের আলাদা তালিকা প্রকাশের আইনি প্রয়োজন নেই, এবং তারা সমস্ত আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই কাজ করছে। এখন সুপ্রিম কোর্ট কী নির্দেশ দেয়, সেটাই দেখার।

LinkedIn
Share