Tag: Election Commission of India

Election Commission of India

  • Election Commission: ‘খসড়া তালিকায় না থাকা ভোটারদের নাম প্রকাশের আইনত বাধ্যবাধকতা নেই’, সুপ্রিম কোর্টে বলল কমিশন

    Election Commission: ‘খসড়া তালিকায় না থাকা ভোটারদের নাম প্রকাশের আইনত বাধ্যবাধকতা নেই’, সুপ্রিম কোর্টে বলল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন নিয়ে উত্তাল জাতীয় রাজনীতি ৷ এরই মধ্য়ে নির্বাচন কমিশন (ECI) সুপ্রিম কোর্টকে (Supreme Court) জানিয়েছে যে, খসড়া ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়া ব্যক্তিদের নামের আলাদা তালিকা তৈরি বা প্রকাশ করার জন্য আইনে কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। কমিশনের দাবি, যেসব ব্যক্তির নাম তালিকায় নেই, তাদের অনুপস্থিতির কারণ (যেমন মৃত্যু, রাজ্য ত্যাগ, নামের পুনরাবৃত্তি বা অননুসন্ধানযোগ্যতা) জানানোও আইনসঙ্গত নয়। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে বিশেষ সংশোধনের পর কাদের নাম বাদ গিয়েছে তা আলাদা তালিকা প্রকাশ করে জানানো হবে না৷ কেন বাদ গেল তাও বলবে না তারা ৷ তবে যাঁদের নাম গিয়েছে তাঁদের কাছে নোটিশ যাবে ৷ তাঁরা আবেদনের সুযোগও পাবেন ৷ তাঁদের অন্ধকারে রেখে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না ৷

    কেন এই সিদ্ধান্ত

    বিহারে সংশোধিত ভোটার তালিকা প্রকাশের পর এনজিও অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (ADR)-এর এক আবেদনের প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতে এই অভিমত প্রকাশ করে কমিশন। ওই আবেদনপত্রে বিহারে চলমান বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) পর্বে প্রায় ৬৫ লক্ষ ভোটারের ফর্ম জমা না পড়ার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল এবং বুথভিত্তিক তালিকা প্রকাশের দাবি জানানো হয়। আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ ও নেহা রাঠি আদালতে সওয়াল করেন। জাতীয় নির্বাচন কমিশন পাল্টা অভিযোগে জানিয়েছে, অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (ADR) আদালতকে “ভুল পথে চালিত করছে” এবং এ বিষয়ে আদালত অবমাননার মামলাও দাবি করেছে। কমিশনের মতে, আবেদনকারী এই তালিকা কোনও “অধিকারের প্রশ্নে” চাইতে পারে না।

    আইনি ধারার উল্লেখ

    নির্বাচন কমিশন ১৯৫০ সালের প্রতিনিধিত্ব আইন এবং ১৯৬০ সালের ভোটার নিবন্ধন বিধিমালা (Rules 10 ও 11)-এর উল্লেখ করে জানিয়েছে যে, তারা আইনি দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছে। নিয়ম ১০ অনুযায়ী, খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পরে তা সাধারণ মানুষের পরিদর্শনের জন্য ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারের (ERO) অফিসের বাইরে রাখা হয়। নিয়ম ১১ অনুযায়ী, স্বীকৃত রাজনৈতিক দলগুলিকে প্রতিটি অংশের দুটি কপি সরবরাহ করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের জন্য তালিকাটি পাঠানো হয়। কমিশন দাবি করেছে, তারা রাজনৈতিক দলগুলিকে এমন একটি তালিকাও সরবরাহ করেছে যেখানে সেইসব ভোটারদের নাম রয়েছে যাদের নাম খসড়া তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এমনকি সিপিআই(এম-এল)-এর পক্ষ থেকেও সেই তালিকার গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ রয়েছে বলে জানায় ইসি। শনিবার সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হলফনামায় কমিশন এই ধরনের নানা তথ্য জানিয়েছে৷ তাতে আরও বলা হয়েছে, বিহারে এখন মোট ৭.২৪ কোটি ভোটার রয়েছেন ৷ বিশেষ সংশোধনের পর বাদ গিয়েছে ৬৫ লাখ নাম৷ কমিশনের দাবি, এঁদের অনেকেই প্রয়াত হয়েছেন৷ বাকিরা এখন আর বিহারের বাসিন্দা নন৷

    হলফনামায় কমিশনের তিন দাবি

    হলফনামায় কমিশনের তরফে আলাদা করে তিনটি বিষয়ের উল্লেখ করা হয়েছে৷ সেখানে বলা হয়েছে, আগাম নোটিশ না দিয়ে কারও নাম চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে না৷ সকলে আবেদনের সুযোগ পাবেন৷ শেষমেশ কমিশন যদি কারও নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সেটিও কোনও প্রশাসনিক সংস্থার মাধ্যমে ভোটারকে জানানো হবে৷ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে যাতে এ নিয়ে কোনও সংশয় না থাকে তা নিশ্চিত করবে কমিশন৷ তাছাড়া কোনও ভোটারকে আবেদন করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নথি সংগ্রহ করতে হবে৷ তার জন্য নির্দিষ্ট সময়ও দেওয়া হবে৷ হলফনামার অন্য় একটি অংশে কমিশন জানিয়েছে, কোনও বৈধ ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়নি৷ জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে৷

    সুপ্রিম-মতের অপেক্ষা

    কমিশন আরও জানিয়েছে, ১ অগাস্ট খসড়া তালিকা প্রকাশের পরে ৭ অগাস্ট বুথ স্তরের অফিসাররা (BLOs) রাজনৈতিক দলের বুথ স্তরের এজেন্টদের (BLAs) সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তালিকাভুক্ত না হওয়া ভোটারদের নাম পড়ে শোনানো হয় এবং ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ফর্ম জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এসআইআর নিয়ে শেষ কয়েকদিন ধরে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে৷ এরই মধ্যে ১ অগাস্ট বিশেষ সংশোধনের পর তালিকা প্রকাশ করেছে কমিশন৷ তারপর থেকে প্রতিবাদ আরও জোরালো হয়েছে৷ সুপ্রিম কোর্টে মামলাও দায়ের হয়েছে৷ আবেদনকারী জানতে চেয়েছিলেন, কেন ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ গেল৷ শুনানিতে এই বিষয়টি ওঠার পর দেশের নির্বাচন আয়োজনের নিয়ামক সংস্থা হলফনামা দিল৷ আপাতত শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সূর্য কান্তর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছে৷ নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য অনুযায়ী, খসড়া ভোটার তালিকায় নাম না থাকা ব্যক্তিদের আলাদা তালিকা প্রকাশের আইনি প্রয়োজন নেই, এবং তারা সমস্ত আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই কাজ করছে। এখন সুপ্রিম কোর্ট কী নির্দেশ দেয়, সেটাই দেখার।

  • Election Commission of India: ৭২ ঘণ্টা! বাংলার চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করতে রাজ্যকে সময় বেঁধে দিল নির্বাচন কমিশন

    Election Commission of India: ৭২ ঘণ্টা! বাংলার চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করতে রাজ্যকে সময় বেঁধে দিল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই ইআরও-সহ চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করা নিয়ে নির্দেশ পালন করেনি নবান্ন। রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে সেই কথা মনে করিয়ে আবার চিঠি দিল নির্বাচন কমিশন। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করে এ বিষয়ে মুখ্যসচিবকে রিপোর্ট দিতে বলেছে কমিশন। চার অফিসারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের জন্য মুখ্যসচিবকে কমিশন (Election Commission of India) সুপারিশ করেছিল। বরখাস্ত এবং এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছিল। এখনও পর্যন্ত সেই নির্দেশ কেন কার্যকর করা হয়নি। সোমবার তিনটের মধ্যে এই নিয়ে উত্তর দিতে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে বার্তা দিল কমিশন।

    চার অফিসারের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা

    ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্তির ক্ষেত্রে অনিয়মের জেরে রাজ্যের চার অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গত ৫ অগাস্ট মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছিল কমিশন। বারুইপুর পূর্বের ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ERO) দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী এবং এখানকার এইআরও তথাগত মণ্ডল আর ময়নার ইআরও বিপ্লব সরকার এবং এই বিধানসভা কেন্দ্রের এইআরও সুদীপ্ত দাসকে সাসপেন্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই চারজনের বিরুদ্ধে এফআইআরেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। এই চারজনের পাশাপাশি সুরজিৎ হালদার নামে এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধে এফআইআরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কমিশনের ওই পদক্ষেপ নিয়ে ২ দিন আগেই সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার ঝাড়গ্রামে এক সভা থেকে তিনি বলেছিলেন, “বাংলার সরকারি অফিসারদের বলব নিশ্চিন্তে থাকবেন। আমরা আপনাদের জীবন দিয়ে রক্ষা করব।”

    মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ

    মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের পরই কমিশন সূত্রে জানা যায়, নির্দেশ মোতাবেক পদক্ষেপ না হলে মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করতে পারে তারা। সেই সঙ্গে কমিশনের (Election Commission of India) ব্যাখ্যা, ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ সারা বছর ধরে হতে পারে। এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। সংবিধানের ৩২৪ ধারা কমিশনকে পূর্ণ ক্ষমতা দিয়েছে ভোটার তালিকা তৈরি করা এবং নির্বাচন করানোর। সেই কাজে লোক দিতে বাধ্য রাজ্য সরকার। এই আবহে চারদিন কেটে গেলেও অভিযুক্ত অফিসারদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই ফের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছে কমিশন।

  • Bihar Poll 2025: বিহারের ভোটের তালিকায় নেপালি-বাংলাদেশিদের ‘অনুপ্রবেশ’! বাদ লক্ষ নাম, চিন্তিত মমতা?

    Bihar Poll 2025: বিহারের ভোটের তালিকায় নেপালি-বাংলাদেশিদের ‘অনুপ্রবেশ’! বাদ লক্ষ নাম, চিন্তিত মমতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটমুখী বিহারে (Bihar Poll 2025) চলছে ভোটার তালিকা সংশোধন (Special Intensive Revision of voter list)। যাকে বলা হচ্ছে ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন’। অবৈধ অনুপ্রবেশকারী- সহ অযোগ্য ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রায় ৬ কোটি ৬০ লাখ ভোটার রিভিউ ফর্ম পূরণ করেছেন। যা মোট ভোটারের ৮৮.১৮ শতাংশ। ২৫ জুলাই পর্যন্ত ফর্ম পূরণের সময় রয়েছে। প্রাথমিকভাবে খবর, বিহারের (Bihar) বর্তমান ভোটার তালিকা থেকে ৩৯ লাখ ভোটারের নাম বাদ যেতে পারে। তারা ভারতীয় নন বলে কমিশনের বুথ লেভেল অফিসারের চিহ্নিত করেছে। এই নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই সরব হয়েছেন। কেন? আসলে কী ভয়। এ রাজ্যে বিরোধীদের সঙ্গে শাসক দলের ভোটের ফারাক খানিকটা ওরকমই। তাই কী ভয় পাচ্ছেন মমতা?

    ভোটার তালিকায় বিদেশিরা

    এই বছরের অক্টোবর বা নভেম্বরে বিহারে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। তারই প্রস্তুতিতে এখন তৎপর নির্বাচন কমিশন। ভোটার (Bihar Poll 2025) তালিকা সংশোধনের কাজ চলছে জোরকদমে। সেই প্রক্রিয়াতেই উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভোটার তালিকায় নেপাল, বাংলাদেশ ও মায়ানমার থেকে আগত বিপুল সংখ্যক মানুষের নাম রয়েছে বলে দাবি নির্বাচন কমিশনের। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ভোটার তালিকার পর্যালোচনার অংশ হিসেবে বুথ স্তরের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি পরিদর্শনে যাচ্ছেন। তাতেই তাঁদের নজরে আসে ভোটার তালিকায় এই ‘বিদেশি’ অভিবাসীদের উপস্থিতি। কমিশনের মতে, এঁদের মধ্যে কেউই ভারতে ভোটাধিকার পাওয়ার যোগ্য নন। সূত্রের খবর, ১ অগাস্টের পর থেকে কমিশন এই তালিকায় থাকা সন্দেহভাজন নামগুলি নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত চালাবে। সেই অনুসন্ধানের ভিত্তিতে ৩০ সেপ্টেম্বর যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে, তাতে এ ধরনের ‘অবৈধ’ ভোটারদের নাম আর থাকবে না বলেই জানানো হয়েছে।

    স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের উদ্দেশ্য

    বিহারের (Bihar Poll 2025) ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, ২০০৩-এর ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম ছিল, তাঁদের সমস্যা নেই। কিন্তু বাকিদের মধ্যে যাঁদের জন্ম ১৯৮৭ সালের আগে, তাঁদের জন্মের প্রমাণপত্র দিতে হবে। তাঁরা গত লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিয়ে থাকলেও ছাড় নেই। ১৯৮৭ থেকে ২০০৪-এর মধ্যে যাঁরা জন্মেছেন, তাঁদের নিজেদের এবং বাবা-মায়ের মধ্যে যে কোনও এক জনের জন্মের প্রমাণপত্র দিতে হবে। ২০০৪-এর পরে জন্ম হলে নিজের ও বাবা-মায়ের দু’জনেরই জন্মের প্রমাণপত্র দিতে হবে। কমিশন সূত্রের খবর, এই ভুয়ো ভোটার বাছতে গিয়েই ভূরি ভূরি বিদেশি ভোটারের হদিশ মিলছে। এদের অধিকাংশই বাংলাদেশ বা নেপালের বাসিন্দা। কেউ কেউ রয়েছেন মায়ানমারের। সংখ্যাটা সঠিকভাবে জানানো না হলেও সেটা চমকে দেওয়ার মতো। কমিশন সূত্রের খবর, এই ধরনের ভোটারদের নাম আগামী সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত হতে চলে ভোটার তালিকায় রাখা হবে না। ওই ভোটার তালিকায় শুধু ভারতীয়দের নাম থাকবে। সেটাই স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের উদ্দেশ্য।

    সারা দেশে হবে ভোটার তালিকা সংশোধন

    এই পদক্ষেপ শুধু বিহারেই (Bihar Poll 2025) সীমাবদ্ধ থাকবে না, নির্বাচন কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সারা দেশে ভোটার তালিকা পর্যালোচনার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে এমনই কড়া নজরদারি চালানো হবে। সন্দেহজনক ভোটারদের জন্মস্থান যাচাই করে, প্রয়োজনে তাঁদের নাম বাদ দেওয়ার দিকেই এগোবে কমিশন। বাংলায় আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্যে ভোটার তালিকা থেকে এই বিপুল সংখ্যক ভোট বাদ পড়লে সমস্যায় পড়বে মমতা সরকার। টলমল করবে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি। তাই কী ভীত মমতা? তাই কী এই পদক্ষেপের বিপক্ষে সুপ্রিম দুয়ারে কড়া নাড়ছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।

    ৮০ শতাংশ ভোটার ফর্ম জমা দিয়েছেন

    এদিকে বিহারে (Bihar Poll 2025) ২৫ জুলাইয়ের মধ্যেই ভোটার তথ্য যাচাইয়ের কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। কমিশনের দাবি, ইতিমধ্যেই প্রায় ৮০ শতাংশ ভোটার ফর্ম জমা দিয়েছেন। এরই মাঝে, সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে, ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির সময় আধার কার্ড, ভোটার আইডি এবং রেশন কার্ড এই তিনটি নথিকে গ্রহণযোগ্য প্রমাণপত্র হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। পাশাপাশি আদালত এটাও খতিয়ে দেখবে যে, তালিকা সংশোধনের নামে আদৌ কোনও নাগরিক তাঁর ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কিনা। এই পরিস্থিতিতে বিহারে বিধানসভা ভোটের আগে ভোটার তালিকা সংশোধন এখন রাজনীতির অন্যতম স্পর্শকাতর ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।

  • Election Commission of India: ‘ভোটার কার্ডে একই এপিক নম্বর মানেই ভুয়ো নয়’, বিজ্ঞপ্তি কমিশনের

    Election Commission of India: ‘ভোটার কার্ডে একই এপিক নম্বর মানেই ভুয়ো নয়’, বিজ্ঞপ্তি কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একই এপিক নম্বরে একাধিক ভোটারের নাম থাকা মানেই তাঁরা নকল বা ভুয়ো ভোটার নন। বিবৃতি দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। তাদের দাবি, এপিক নম্বর এক হলেও বিধানসভা কেন্দ্র এবং ভোটকেন্দ্র আলাদা হতে পারে। এপিক নম্বর এক হলেও, একজন ভোটার দুই জায়গায় ভোট দিতে পারেন না। বিভ্রান্তি এড়াতে ইউনিক বা অনন্য এপিক নম্বর চালুর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, দু’টি পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে একই আলফানিউমেরিক সিরিজ ব্যবহারের জন্য কিছু ক্ষেত্রে একই এপিক নম্বর পাওয়া যাচ্ছে। নিবন্ধিত ভোটারদের অভিন্ন এপিক নম্বর বরাদ্দ করার বিষয়টি কমিশন নিশ্চিত করবে বলেও জানানো হয়।

    মমতার মিথ্যাচার

    বাংলায় বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্যর দাবি, সচিত্র পরিচয়পত্রের উদাহরণ দিয়ে যে কারচুপির অভিযোগ মমতা করেছিলেন, কমিশন (Election Commission of India) তা খারিজ করে দিয়েছে। বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের যুক্তি, আগামী ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে হারের আশঙ্কায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ভোটার তালিকায় কারচুপির ‘মিথ্যে অভিযোগ’ তুলেছিলেন। যাতে নির্বাচনী ব্যবস্থায় মানুষের আস্থা নড়ে যায়। কমিশন স্পষ্ট করে দিয়েছে, একই সংখ্যায় একাধিক ভোটার আইডি কার্ড থাকলেও সেখানে ‘ভুয়ো’ ভোটারের প্রশ্ন নেই। ভোটাররা শুধু নিজেদের নির্বাচনী কেন্দ্রেই ভোট দিতে পারবেন।

    কী বলছে কমিশন

    কমিশন (Election Commission of India) জানিয়েছে, কিছু ভোটারের আইডি কার্ডের নম্বর এক হতে পারে। তবে নাম, ধাম, বিধানসভা কেন্দ্র, ভোটগ্রহণ কেন্দ্র আলাদা হবে। ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর যা-ই হোক না কেন, ভোটারেরা শুধু নিজের কেন্দ্রে ভোট দিতে পারেন। কমিশনের যুক্তি, ভোটার তালিকা ব্যবস্থাপনার জন্য তারা এখন ‘এরোনেট’ নামের একটি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা তৈরি করেছে। তার আগে রাজ্যে রাজ্যে আলাদা আলাদা ভাবে, কোনও যান্ত্রিক নিয়ম না মেনে ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর দেওয়া হত। ফলে, কিছু রাজ্য একই সিরিজের সংখ্যা ব্যবহার করে থাকতে পারে। তাতে বিভিন্ন জায়গায় একই সংখ্যার ভোটার আইডি কার্ড বিলি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তবে এই বিষয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ভোটারদের আইডি কার্ডে ভিন্ন সংখ্যা থাকবে। প্রতিটি ভোটার কার্ডের সংখ্যা ইউনিক হবে। কোথাও একই নম্বর থাকলে তা সংশোধন করা হবে।

  • Suvendu Adhikari: মমতার মন্তব্যে ‘ক্ষুণ্ণ হয়েছে কমিশনের ভাবমূর্তি’, জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মমতার মন্তব্যে ‘ক্ষুণ্ণ হয়েছে কমিশনের ভাবমূর্তি’, জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই বঙ্গে ভোট। এই আবহে গতকাল বৃহস্পতিবারই নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের আশীর্বাদেই নাকি কারচুপি চলছে ভোটার তালিকায়। একইসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘‘অমিত শাহের দফতরের প্রধান সচিবকেই করা হয়েছে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন মন্তব্যের জেরে এবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, মমতার মন্তব্যে ক্ষুণ্ণ হয়েছে নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি।

    চিঠিতে কী লিখলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    চিঠিতে জ্ঞানেশ কুমারের উদ্দেশে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী আপনার নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। উনি বলতে চান, সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে নাকি বিজেপি প্রভাবিত করছে। তৃণমূলের অভিযোগ, মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের পদে বিজেপি নিজেদের লোককে বসাচ্ছে। উনি ভালো করেই জানেন, আপনার নিয়োগ ২০২৩ সালের নতুন আইনের মাধ্যমে হয়েছে। নতুন এই আইন অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত এক জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের প্যানেলে থাকেন। নিরপেক্ষ এই পদ্ধতিতেই আপনার নিয়োগ হয়েছে। এর আগে নিয়ম ছিল, বয়োজ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের পদটি পাবেন। সেই নিয়ম অনুযায়ীও এই পদ আপনারই পাওয়ার কথা ছিল। কারণ, রাজীব কুমারের পর আপনিই নির্বাচন কমিশনার হিসাবে বয়োজ্যেষ্ঠ।’’

    সমস্ত সীমা ছাড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী

    অমিত শাহের মন্ত্রকের লোককে করা হয়েছে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রকে আপনার কাজের সময়টিকে তুলে ধরেছেন মমতা। কিন্তু উনি এটা উল্লেখ করতে ভুলে গিয়েছেন যে, মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব যিনি পান, কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের সচিব পদে তাঁর কাজের অভিজ্ঞতা থাকা বাধ্যতামূলক। নির্বাচন কমিশন একটি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান, যা দেশের ভোটপ্রক্রিয়া নিরপেক্ষ ভাবে পরিচালনা করে। ভারতের সংবিধান কমিশনকে এই অধিকার দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সেই কমিশনকে আক্রমণ করে সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছেন। এই নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলার এক্তিয়ারই ওঁর নেই। ভোটার তালিকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ভিত্তিহীন অভিযোগ সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করবে। প্রকাশ্যে মিথ্যে অভিযোগ করে ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা হচ্ছে।’’

    গতকালের সমাবেশ নিয়ে শুভেন্দুর প্রতিক্রিয়া (Suvendu Adhikari)

    গতকালের সমাবেশ নিয়ে আগেই চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী জোরে জোরে খেলা হবে বলেছেন, সরাসরি হুঙ্কার দিচ্ছেন। নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক বডি। আর আপনি বলছেন অমিত শাহের দফতরের সচিবকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার করে দিয়েছে। আপনি চ্যালেঞ্জ করে কেন সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন না? আসলে আপনি ভয় পেয়েছেন।’’

  • Election Result: বুথ ফেরত সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণিত করে হরিয়ানায় হ্যাটট্রিকের পথে বিজেপি!

    Election Result: বুথ ফেরত সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণিত করে হরিয়ানায় হ্যাটট্রিকের পথে বিজেপি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেলা বাড়তেই বদলে গেল ছবি। প্রথম দুই ঘণ্টা পিছিয়ে থাকলেও তার পরই পালাবদল ঘটে। কমিশনের দেওয়া শেষ তথ্য অনুযায়ী, বিজেপি আবারও এগিয়ে গিয়েছে। বিজেপি বর্তমানে এগিয়ে ৫১টি আসনে এবং কংগ্রেস এগিয়ে ৩৪টি আসনে। এদিন সকালে পোস্টাল ব্যালট (Election Result) গণনার সময় এগিয়ে ছিল কংগ্রেস। কিন্তু বেলা বাড়তেই ঘুরে যায় খেলা। ইভিএম-এর ভোট গণনা শুরু হলে দেখা যায় ধীরে ধীরে কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে থাকে বিজেপি।

    টানটান লড়াই

    সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে হরিয়ানার ৯০ আসনের গণনা। শুরুতে কংগ্রেস এগিয়ে গিয়েছিল ৬৫ আসনে। উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছিল কংগ্রেসের দিল্লির সদর দফতরে। প্রায় ২ ঘণ্টা এভাবে চলার পর প্রবণতায় ঘটল আমূল পরিবর্তন। জয়ের পথে ফিরে আসে বিজেপি। সকাল পৌনে ১০টা নাগাদ গেরুয়া শিবির এগিয়ে ছিল ৪৬ আসনে। আর কংগ্রেসের এগিয়ে থাকা আসনের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছিল ৩৭-এ। এক এক করে বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে ভোটগণনার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। জুলানায় জয়ী হয়েছেন কংগ্রেসের ফোগাট। খড়খুদায় জয়ী হয়েছে বিজেপি। জিন্দ থেকেও জয় নিশ্চিত করেছে বিজেপি।

    আরও পড়ুন: বীরভূমের খনিতে বিস্ফোরণ, মুখ বোজাতে সেই ‘টাকার খেলা’ মমতার! বিজেপি চাইল এনআইএ

    আহিরওয়াল ভোট-ব্যাঙ্ক

    তিন ধাপে ভোটগ্রহণ হয়েছে হরিয়ানায় (Haryana)। গত দুই নির্বাচনেই জয়ী হয়েছিল বিজেপি। ২০১৯ সালে বিজেপিই ছিল বৃহত্তম দল, কিন্তু, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে ৬টি আসন কম পেয়েছিল তারা। জেজেপির ১০ বিধায়কের সমর্থনে সরকার গঠন করেছিল বিজেপি। এবার অবশ্য বুথ ফেরত সমীক্ষায় অধিকাংশ সমীক্ষক সংস্থাই ইঙ্গিত দিয়েছিল, রাজ্যে এবার ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে কংগ্রেস। তবে, ফলফলের প্রবণতা এখনও পর্যন্ত তার সঙ্গে মিলছে না। হরিয়ানায় আহিরওয়াল বেল্ট দু’হাত তুলে সমর্থন করে বিজেপিকে। মূলত গুরুগ্রাম , রেওয়ারি এবং মহেন্দরগড় নিয়ে এই আহিরওয়াল বেল্ট। ২০১৪ সাল থেকেই এই অঞ্চলের বাসিন্দারা বিজেপি-র অনুগত ভোটার। ট্রেন্ড বলছে এ বারের বিধানসভা ভোটে এই বেল্ট থেকে সবচেয়ে ভালো ফলাফল হতে চলেছে গেরুয়া শিবিরের। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ ধাপে নির্বাচন জম্মু-কাশ্মীরে, ফল প্রকাশ ৪ অক্টোবর

    Jammu Kashmir: ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ ধাপে নির্বাচন জম্মু-কাশ্মীরে, ফল প্রকাশ ৪ অক্টোবর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) নির্বাচনের দিন ঘোষণা করে দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। জম্মু-কাশ্মীর ছাড়াও নির্বাচন হবে হরিয়ানাতেও। ৩৭০ ধারা বিলোপের মাধ্যমে বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর অবশেষে জম্মু-কাশ্মীরে হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের (Elections Commission of India) তরফে জানানো হয়েছে, তিন ধাপে নির্বাচন হবে জম্মু-কাশ্মীরে। ১৮ সেপ্টেম্বর, ২৫ সেপ্টেম্বর ও ১ অক্টোবর ভোটগ্রহণ হবে। পাশাপাশি হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১ অক্টোবর। ভোটের ফলপ্রকাশ হবে ৪ অক্টোবর।

    কমিশন যা বলল

    হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্র বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে যথাক্রমে ৩ নভেম্বর ও ২৬ নভেম্বর। নির্বাচন কমিশন (Elections Commission of India) ৩০ সেপ্টেম্বরের আগে জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) বিধানসভা নির্বাচন পরিচালনা করার পরিকল্পনা করেছিল। কারণ কমিশনকে এই সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। জাতীয় নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বলেন, “সম্প্রতিই আমরা জম্মু-কাশ্মীর পরিদর্শনে গিয়েছিলাম নির্বাচনের প্রস্তুতি দেখার জন্য। অদ্ভুত উন্মাদনা দেখা গিয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ-সকলেই চান দ্রুত নির্বাচন হোক। লোকসভা ভোটের সময় জম্মু-কাশ্মীরে ভোটকেন্দ্রগুলিতে যে লম্বা লাইন দেখা গিয়েছিল, তা শুধুমাত্র ভোটদানের জন্য নয়, নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য। সাধারণ মানুষ শুধু পরিবর্তনই নয়, সেই পরিবর্তনের অংশ হতে চেয়েছিলেন। ‘ব্যালেট ওভার বুলেট’-এর স্বপ্নই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। উপত্য়কায় ৫১ শতাংশ ভোট পড়েছিল।”

    আরও পড়ুন: আরজি করে হামলা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পুলিশ, সন্দীপকে কড়া ধমক হাইকোর্টের

    শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আশা

    ২০১৪ সালের পরে আবার জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) বিধানসভা ভোট হতে চলেছে। এর মধ্যে অবশ্য পূর্ণ রাজ্য থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর। নরেন্দ্র মোদি সরকার ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ করেছিল। সাবেক জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখে ভাগ করা হয়েছিল। তার তিন বছর আগেই অবশ্য রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল বিধানসভা। জাতীয় নির্বাচন কমিশনার (Elections Commission of India) রাজীব কুমার বলেন, “কাশ্মীরী পরিযায়ী ভোটারদের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে স্পেশাল বুথ তৈরি করা হবে। ভোটারদের সুবিধার জন্য নাম নথিভুক্তকরণ ও ভোটদান প্রক্রিয়াও সহজ করা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটদানের জন্য সবরম প্রস্তুতি নেবে কমিশন।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Election Commission: ইভিএম কতটা ভরসাযোগ্য? উত্তর পেতে মক পোলের ব্যবস্থা করছে নির্বাচন কমিশন

    Election Commission: ইভিএম কতটা ভরসাযোগ্য? উত্তর পেতে মক পোলের ব্যবস্থা করছে নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফল বেরোলে বহু ক্ষত্রে পরাজয়ের জন্য প্রার্থীরা ইভিএম মেশিনকে দায়ী করেন। বলা হয়, তাতে কারচুপির জন্যই হার মানতে হয়েছে। সেই অভিযোগ দূর করতে ইভিএম মেশিনগুলো কতটা গ্রহণযোগ্য , তা দেখার জন্য মক পোলের (Mock Poll) আয়োজন করল নির্বাচন কমিশন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতোই এই আয়োজন করেছে কমিশন। কিন্তু তাতে প্রার্থীদের তেমন সাড়া মিলছে না বলে কমিশন (Election Commission) সূত্রে খবর। 

    কীভাবে হবে মক পোল (Election Commission)

    এই মক পোলের (Mock Poll) ক্ষেত্রে ভোটদানের সময় ইভিএমের কন্ট্রোল ইউনিট, ব্যালট ইউনিট এবং ভিভিপ্যাট মেশিন পাশাপাশি বসাতে হবে। সবগুলিই সংশ্লিষ্ট প্রার্থী বা তাঁর প্রতিনিধি ব্যবহার করবেন। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) আধিকারিকেরা শুধু পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় থাকবেন। ভিভিপ্যাটের কাগজও গোনা হবে সকলের সামনে। 

    কী বলেছিল শীর্ষ আদালত

    ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ নিয়ে বিরোধীরা বারবার সরব হয় বলে, এবার ভোটের আগেই সুপ্রিম কোর্ট ইভিএম কতটা ভরসাযোগ্য নির্বাচন মেটার পরও সে ব্যাপারে পরীক্ষা নিরীক্ষার সুযোগ দেওয়ার কথা বলেছিল। ইভিএম কতটা ভরসাযোগ্য, তাতে আদৌ কারচুপি সম্ভব কিনা তা খতিয়ে দেখতে ভোটের আগে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রটোকল তৈরি করে দিয়েছিল আদালত। সেই সঙ্গে সর্বোচ্চ আদালত আরও বলে, নির্বাচনের ফল বেরোনোর পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারী প্রার্থীরা তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্রে ব্যবহৃত ইভিএমের বাছাই করা কয়েকটিতে ১৪০০টি করে ভোট দিতে পারবেন। প্রার্থীর পরিবর্তে তাঁর কোনও প্রতিনিধিও এই ভোট দিতে পারবেন বলে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

    আরও পড়ুন: ভারতীয় ডাক বিভাগে ৪৪ হাজার কর্মী নিয়োগ! জেনে নিন কীভাবে আবেদন করবেন

    প্রার্থীদের অনীহা (Mock Poll)

    শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মতো কমিশন (Election Commission) সবকিছু ব্যবস্থা করলেও প্রার্থীদের মধ্যে এই পদক্ষেপ করতে অনীহা চোখে পড়েছে। তাঁরা মুখে অভিযোগ করলেও এখনও পর্যন্ত মাত্র আটজন প্রার্থী নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করেছেন। তাঁরা সকলেই ওডিশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা। ওই দুই রাজ্যে লোকসভার সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনও হয়েছে। আট জন বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হয়েছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Result 2024: সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জঙ্গিপুর বিধানসভার ভোটে থাবা বসিয়ে ‘লিড’ বিজেপির

    Election Result 2024: সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জঙ্গিপুর বিধানসভার ভোটে থাবা বসিয়ে ‘লিড’ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল (Election Result 2024) বিচারে জঙ্গিপুর বিধানসভার দখল নিয়েছে বিজেপি। এই বিধানসভায় ২০২১ সালে তৃণমূলের হয়ে জয়যুক্ত হয়েছিলেন জাকির হোসেন। সেই সময় ৯২৪৮০ ভোটে বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়েছিলেন তিনি। এইবার লোকসভায় তৃণমূলকে পেছনে ফেলে ‘লিড’ দিয়েছে বিজেপি। রাজ্যে ২৯টা আসন পেয়েছে তৃণমূল, আবার এই জঙ্গিপুর লোকসভায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল। কিন্তু বিধানসভায় ধরাশায়ী হয়েছে ঘাস ফুল। কিন্তু এই বিপর্যয়ের কারণ কী? দলের কোন্দলে এমনটা ঘটেনি তো? প্রশ্ন অনেক উঠছে।

    কত ভোটে এগিয়ে বিজেপি (Election Result 2024)?

    এই লোকসভা কেন্দ্রে ৮টি অঞ্চল ও জঙ্গিপুর পুরসভা মিলিয়ে ৩২৬৬ ভোটে তৃণমূলের থেকে এগিয়ে (Election Result 2024) রয়েছে বিজেপি। এই কেন্দ্রে মুসলিম ভোট ৫৪ শতাংশ। এমনটা অবশ্য অতীতে কখনও ঘটেনি। তৃণমূলের স্থান এখানে দ্বিতীয় স্থানে এবং তৃতীয় স্থানে কংগ্রেস-বাম জোট প্রার্থী। বিজেপি এখানে তৃণমূল এবং কংগ্রেস প্রার্থীকে প্রায় ১৬৪০০ ভোট বেশি পেয়ে বাজিমাত করেছে। পাল্টা তৃণমূল নিজের জয়ী বিধানসভায় পিছিয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের অবশ্য বক্তব্য, মির্জাপুরে ১৬৬০, দফরপুরে ৮০০, কানুপুরে ১৪০০ এবং রানীনগরে ২৩৭৪ ভোটে এগিয়ে থাকলেও রঘুনাথগঞ্জের জামুয়ার, জরুর, সুতির আহিরণ ও বংশবাটীতে একচেটিয়া ‘লিড’ পেয়েছে বিজেপি। আবার জঙ্গিপুর পুরসভা এলাকার ২১টি ওয়ার্ডের মধ্যে রঘুনাথগঞ্জ শহরের ৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭টিতে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি।

    আরও পড়ুনঃ পূর্ব মেদিনীপুরের মুসলিম অধ্যষিত অঞ্চলেও লিড দিয়ে বাজিমাত বিজেপির

    তৃণমূলের বক্তব্য

    সুতি ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি সেরাজুল ইসলাম এই বিষয়ে বলেন, “এই এলাকায় ৬টি অঞ্চল রয়েছে। তার দু’টি হল জঙ্গিপুর বিধানসভার অন্তর্গত। আমাকে বলা হয়েছিল এই দুই অঞ্চল বিধায়ক ও ব্লকের সভাপতিরাই দেখবেন।” আবার তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেন বলছেন, “দলের পক্ষ থেকে এলাকার প্রাপ্ত ভোট (Election Result 2024) নিয়ে বিশ্লেষণ করব আমরা। আর তা করলেই সামনে আসবে সব তথ্য। কাদের বিরোধিতায় বিজেপির ভোট বৃদ্ধি হয়েছে তা আমরা দেখব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: তৃণমূল দুষ্কৃতীর মারে গুরুতর আহত কাঁথির বিজেপি নেতা! আনা হচ্ছে কলকাতায়

    Lok Sabha Election 2024: তৃণমূল দুষ্কৃতীর মারে গুরুতর আহত কাঁথির বিজেপি নেতা! আনা হচ্ছে কলকাতায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ষষ্ঠ দফা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) আগেই কাঁথিতে বিজেপি নেতার উপর ভয়াবহ হামলা করা হয়েছে। মূল অভিযোগের তির তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। আহত বিজেপি কর্মীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দ্রুত তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয়েছে এলাকায়। উল্লেখ্য গতকাল পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে মোদির সভা ছিল। কিন্তু প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে অবতরণ করতে পারেননি। একাধিক ইস্যুতে নিশানা করেছিলেন তৃণমূলকে। একই ভাবে এই সভায় বিজেপি কর্মীদের ভোটের প্রচার ছিল জমজামাট।

    কোথায় ঘটেছে ঘটনা (Lok Sabha Election 2024)?

    আগামী ২৫ মে পূর্ব মেদিনীপুরের ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। কিন্তু নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) ৫ দিন আগে কাঁথির ভূপতিনগরে বিজেপি নেতার বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর করা হয়। সেই সঙ্গে চলে লুটপাট। তবে ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। আহত অর্জুননগরের বুথ সভাপতি বিজেপির নেতার নাম হল অবনি দে। তিনি এলাকার ২০৫ নম্বর বুথের সভাপতি। তাঁর সঙ্গে আহত হয়েছেন আরও ২ বিজেপি কর্মী। তাঁদের মধ্যে বুথ সভাপতির অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বাকি আরও ২ কর্মীকে কাঁথি হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। এই দুই কর্মীর নাম শুভঙ্কর দাস এবং অনিল মাইতি। বিজেপির অবশ্য অভিযোগ, মূলত এলাকায় বিজেপি কর্মী এবং ভোটারদের ভয় দেখিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে এই ধরনের আক্রমণ করা হচ্ছে। তৃণমূল হারবে বলেই এই ভাবে আচরণ করছে। বিজেপির পক্ষ থেকে ভূপতিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুনঃ কমিশনে মমতাকে নিয়ে মন্তব্যের শোকজের জবাব দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    নির্বাচনী প্রচার জমজমাট

    লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং কাঁথির প্রার্থী হয়েছেন সুমেন্দু অধিকারী। গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তমলুকে প্রচার সভা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে অবতরণ করা সম্ভব হয়নি। আর তাই ঝাড়গ্রাম থেকে এক যোগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেন আকাধিক ইস্যুতে। রাজ্যের তৃণমূল সরকারের রেশন দুর্নীতি, চাকরি চুরি, বাংলার সাধু-সন্তদের আক্রমণ করা, রাজনৈতিক হিংসা, খুন, ধর্ষণ, লুটপাট, জমি দখল সহ একাধিক বিষয়ে তৃণমূল সরকারকে তীব্র নিশানা করেছিলেন মোদি। একই ভাবে সন্দেশখালিকাণ্ড নিয়ে মমতাকে নিশানা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।      

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share