Tag: Election Commission of India

Election Commission of India

  • Election Commission of India: ৫৯৯৪টা আবেদন ভুয়ো! রাহুলের অভিযোগ নিয়ে কী বলল কমিশন?

    Election Commission of India: ৫৯৯৪টা আবেদন ভুয়ো! রাহুলের অভিযোগ নিয়ে কী বলল কমিশন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া সংক্রান্ত রাহুল গান্ধীর অভিযোগ খারিজ করে দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। বৃহস্পতিবার রাতের দিকে একটি বিবৃতি দিয়ে কমিশন জানিয়েছে, কর্নাটকের অলন্দ বিধানসভা এলাকায় ভোটার তালিকা থেকে নাম কেটে দেওয়ার জন্য ২০২২ সালের ডিসেম্বরে অনলাইনে প্রায় ৬০১৮টা আবেদন জমা পড়েছিল। এত বেশি সংখ্যক আবেদন সন্দেহজনক মনে হওয়ায়, প্রতিটা আবেদন খুঁটিয়ে দেখে কমিশন। দেখা যায় মাত্র ২৪টা আবেদন সঠিক। ৫৯৯৪টা আবেদন ভুয়ো। তাই শুধু ওই ২৪টা গ্রহণ করে বাকি আবেদন বাতিল করে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে কমিশন।

    কী বলল নির্বাচন কমিশন

    রাহুলের অভিযোগকে ‘ভুল এবং ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছে কর্নাটক তথা জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। বৃহস্পতিবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করে রাহুল অভিযোগ করেছিলেন, নির্দিষ্ট সফ্‌টঅয়্যারের মাধ্যমে নকল আবেদন করে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “অলন্দ কর্নাটকের একটি লোকসভা কেন্দ্র। কেউ কেউ ৬০১৮টি ভোট মুছে ফেলার চেষ্টা করেছেন। আমরা জানি না ২০২৩ সালের ভোটে (কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচন) ঠিক কত জনের নাম বাদ গিয়েছে। কিন্তু সংখ্যাটা অবশ্যই ৬০১৮-র বেশি হবে।” কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, অনলাইনে কেউ কোনও ভোটারের নাম বাদ দিতে পারেন না। কারও নাম বাদ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য শোনা হয় বলেও জানিয়েছে কমিশন।

    এফআইআর দায়ের করে এর তদন্তে নামে কমিশন

    রাহুল অভিযোগ করেছিলেন, ‘ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া’ সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে কর্নাটকের সিআইডি কমিশনকে ১৮ বার চিঠি দিয়েছিল। কিন্তু উল্টো দিক থেকে কোনও উত্তর মেলেনি বলে দাবি করছিলেন রাহুল। কমিশন অবশ্য জানিয়েছে, তাদের নির্দেশে কর্নাটকের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক পুলিশকে সব তথ্য দেন। কর্নাটকের একটি বিধানসভা কেন্দ্রের নামোল্লেখ করে কমিশন (Election Commission of India) জানিয়েছে, সেখানে ২০২৩ সালে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হয়। কিন্তু সেই চেষ্টা ফলপ্রসূ হয়নি। সেই সময় একটি এফআইআর দায়ের করে এর তদন্তে নামে কমিশন।

  • EVM: ইভিএমে এখন থেকে প্রার্থীর রঙিন ছবি! ভোটারদের সুবিধার জন্য কী কী সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন?

    EVM: ইভিএমে এখন থেকে প্রার্থীর রঙিন ছবি! ভোটারদের সুবিধার জন্য কী কী সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাদা-কালোর যুগ শেষ। এবার থেকে নির্বাচনের সময়ে ইভিএমে (EVM) প্রত্যেক প্রার্থীর রঙিন ছবি থাকবে। বুধবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনটাই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। চলতি বছরেই বিহারের বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। ওই সময় থেকেই পরিবর্তন কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে কমিশন (Election Commission of India)। এবার থেকে শুধুমাত্র দলের নাম ও দলীয় প্রতীক নয়, থাকবে প্রার্থীদের ছবিও। কাকে ভোট দিচ্ছেন, প্রার্থীর ছবি দেখে নিশ্চিত হতে পারবেন ভোটাররা। ছবির স্থানের চার ভাগের তিন ভাগে থাকবে প্রার্থীর মুখ। সিরিয়াল নম্বরও আরও স্পষ্টভাবে লেখা হবে।

    প্রার্থীর রঙিন ছবি, ক্রমিক নম্বর বড় হরফে

    বুধবার প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি মোট সাত দফা নতুন সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ রয়েছে। কমিশনের (Election Commission of India) বক্তব্য ভোটারদের সুবিধার জন্যই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এত দিন ইভিএমে (EVM) প্রার্থীদের সাদাকালো ছবি থাকত। এখন থেকে প্রার্থীদের ছবি হবে রঙিন। ছবিতে প্রার্থীর মুখ আগের তুলনায় আরও বেশি জায়গা জুড়ে থাকবে, যাতে তাঁকে সহজে চেনা যায়। কমিশন আরও জানিয়েছে, এ বার থেকে ইভিএমে প্রার্থীদের ক্রমিক নম্বর আরও বড় এবং স্পষ্ট হবে। প্রত্যেক প্রার্থী এবং ‘নোটা’ -র নম্বর বড় হরফে এবং মোটা অক্ষরে লেখা থাকবে, যাতে ভোটাররা সহজে দেখতে পান। এ ছাড়া সব প্রার্থীর নাম একই ধরনের অক্ষরে লেখা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। তাঁদের নাম একই হরফে, একই মাপে ছাপানো হবে। ছাপানো হরফে প্রার্থীদের কারও নাম ছোট, কারও বড়— এমন হবে না। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭০ জিএসএম মাপের ইভিএম পেপারে বোল্ড অক্ষরে এবং ৩০ ফন্ট সাইজে সিরিয়াল নম্বর ও প্রার্থীর নাম থাকবে।

    ব্যালটে কাগজের মান আরও উন্নত

    এ ছাড়া ইভিএমের (EVM) ব্যালটে কাগজের মান আরও উন্নত করা হবে বলে জানিয়েছে কমিশন (Election Commission of India)। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ব্যালট পেপার ছাপানো হবে ভাল মানের (৭০ জিএসএম) কাগজে। বিধানসভা নির্বাচনের জন্য গোলাপি রঙের কাগজ ব্যবহার করা হবে। একটি ব্যালট পেপারে ১৫ জনের বেশি প্রার্থীর নাম থাকবে না। সরকারি বা আধা-সরকারি প্রেসেই ইভিএম ব্যালট পেপার ছাপানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিশনের গাইডলাইনের ১৯৬১-এর ৪৯খ ধারা অনুযায়ী, এই সংশোধনগুলি করা হয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, সংশোধিত নিয়ম অনুসারে, ব্যালটকে আরও ভোটার-বান্ধব করে তুলতে এবং ভোটকেন্দ্রে বিভ্রান্তি কমাতে নকশা এবং মুদ্রণ উভয়ই পরিবর্তন করা হয়েছে। যাতে ভোটারদের আস্থা জোরদার করা যায়।

    ভোটারদের সুবিধার্থে নয়া পদ্ধতি

    ইভিএম (EVM) হলো নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত একটি যন্ত্র। ভোটাররা কেবল একটি বোতাম টিপে তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেন এবং এই ভোট সরাসরি মেশিনে রেকর্ড করা হয়। ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় প্রথমবারের মতো ভারতের সমস্ত নির্বাচনী এলাকায় ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছিল। ভোটারদের স্বার্থে এবার সেখানে কিছু পরিবর্তন করা হল। বিহারের বিধানসভা নির্বাচন থেকে এই পরিবর্তনগুলি কার্যকর হবে। আগামী বছরে ভোট রয়েছে বাংলাতেও। আগামী দিনে বাংলা-সহ অন্য রাজ্যের ভোটেও এই নিয়ম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে কমিশন (Election Commission of India)। ইতিমধ্যেই সব রাজ‍্যগুলিকে এ নিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ পাঠানো হয়েছে কমিশনের থেকে।

  • EC to Rahul Gandhi: “প্রমাণ দিন নয়তো ক্ষমা চান”, ভোট চুরি নিয়ে রাহুলকে ৭ দিনের ডেডলাইন নির্বাচন কমিশনের

    EC to Rahul Gandhi: “প্রমাণ দিন নয়তো ক্ষমা চান”, ভোট চুরি নিয়ে রাহুলকে ৭ দিনের ডেডলাইন নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ভোট চুরি’ বিতর্কে লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে (EC to Rahul Gandhi) তাঁর দাবির সপক্ষে এক সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে বলল কমিশন। অন্যথায় তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে। এ ছাড়া তৃতীয় কোনও পথ খোলা নেই। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। বিহারের বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) প্রক্রিয়া ঘিরে বিতর্কের আবহেই নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করে ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ তুলেছেন রাহুল গান্ধী। রাহুলের অভিযোগ ‘সংবিধানের অবমাননা’ বলে তোপ দেগেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। তাঁর সাফ কথা, “নির্বাচন কমিশনের কাঁধে বন্দুক রেখে ভারতের ভোটারদের নিশানা করা হচ্ছে। রাজনীতি করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন সকলের কাছে স্পষ্ট করে দিতে চায়, কমিশন কোনও ভেদাভেদ না করে ধনী-দরিদ্র, প্রবীণ, মহিলা, যুবা, প্রত্যেক শ্রেণি, প্রত্যেক ধর্মের ভোটারদের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। ভবিষ্যতেও থাকবে। কমিশন এবং ভোটাররা তুচ্ছ রাজনীতিতে ভয় পায় না।”

    ভোটার তালিকাকে ত্রুটিমুক্ত করাই একমাত্র লক্ষ্য

    বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ এবং নিবিড় সংশোধন (SIR) শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। খসড়া তালিকা থেকে ৬৫ লক্ষ নাম বাদ গিয়েছে। তা নিয়ে এখন সরগরম রাজনীতি। এসআইআর নিয়ে দেশ জুড়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই বিতর্কের আবহে কংগ্রেস সাংসদ ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ তুলেছেন। রবিবার থেকে বিহারে ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ শুরু করেছেন তিনি। ১৬ দিন ব্যাপী চলবে এই কর্মসূচি। রাহুলের কর্মসূচি শুরুর দিনেই দিল্লি থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল কমিশন। এসআইআর প্রক্রিয়ার ব্যাখ্যা দিয়ে কমিশনের দাবি, ভোটার তালিকাকে ত্রুটিমুক্ত করাই এই প্রক্রিয়ার লক্ষ্য। কিন্তু কিছু রাজনৈতিক দল এটির বিষয়ে ভুল তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছে।

    সাত দিনের মধ্যে হলফনামা জমা দিন

    ‘ভোট চুরি’র অভিযোগকেও ভিত্তিহীন বলেই ব্যাখ্যা করছে কমিশন। জ্ঞানেশের বক্তব্য, নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে কোনও ভেদাভেদ করে না। কমিশনের কাছে শাসক এবং বিরোধী উভয় শিবিরই সমান, তা-ও সাংবাদিক বৈঠকে জানান তিনি। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কথায়, তাঁদের দরজা সকলের জন্য সমান ভাবে খোলা। ‘ভোট চুরি’ বিতর্কে নাম না-করে রাহুলকে নিশানা করেন তিনি। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, “হয় হলফনামায় স্বাক্ষর করুন অথবা ক্ষমা চান। তৃতীয় কোনও বিকল্প নেই। যদি (রাহুল) সাত দিনের মধ্যে হলফনামা জমা না দেন, তা হলে বুঝে নিতে হবে তাঁর অভিযোগ ভুল।”

    ‘নির্বাচন কমিশনের ষড়যন্ত্র’

    বিহারের ভোট অধিকার যাত্রায় রাহুল স্পষ্টতই বলেন, ‘‘ভোট চুরির বিষয়ে আমরা আগেও জানতাম। কিন্তু কীভাবে ভোট চুরি হত, ত জানা ছিল না। সম্প্রতি জানা যাচ্ছে, নির্বাচন কমিশনই এই কাজে যুক্ত। এসব কিছুই নির্বাচন কমিশনের ষড়যন্ত্র।’’ রাহুলের আরও অভিযোগ, সারা দেশেই বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনের ভোট চুরি হচ্ছে। সে আসাম হোক বা বাংলা, মহারাষ্ট্র হোক বা বিহার। তাঁর কথায়, ‘‘ভোট চোরদের আমরা খুব শিগগিরিই ধরব ও মানুষের সামনে হাজির করব। আগামী ভোটেও ভোট চুরি হতে চলেছে। বিহারের এসআইআর বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন আদতে নির্বাচন কমিশনের একটি পরিকল্পনা‌। উদ্দেশ্য ভুয়ো ভোট বাড়িয়ে ও নতুন ভোটারদের সরিয়ে নির্বিচন জিতিয়ে দেওয়া একটি বিশেষ দলকে।’’ এই আবহে রবিবার দুপুরে দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। এ ছাড়াও এ দিন উপস্থিত ছিলেন অন্য দুই নির্বাচন কমিশনার সুখবীর সিং সাঁধু এবং বিবেক জোশীও। রাহুল গান্ধী-সহ অন্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির ‘ভোটচুরি’ সংক্রান্ত অভিযোগ এদিন উড়িয়ে দেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, ‘সত্যি সত্যিই হয় (সচ সচ হোতা হ্যায়…) সূর্য পূর্ব দিকেই ওঠে। কারও কথায় পশ্চিম দিকে ওঠে না। জ্ঞানেশ কুমার বলেন, ‘‘কোথাও ভুয়ো ভোটার থাকলে তা ৭ নম্বর ফর্ম পূরণ করে আবেদন করলে নির্বাচনে কমিশন যথাযথ ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা না করে পরে ভোট চুরির এই অভিযোগ তোলা আদতে রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা ছাড়া আর কিছুই নয়।’’

    সংবিধানের অপমান

    জ্ঞানেশের বক্তব্য, নিয়ম অনুসারে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষের ৪৫ দিনের মধ্যে এই সংক্রান্ত মামলা করা যেতে পারে। ওই সময়ের মধ্যে কোনও অভিযোগ না জানিয়ে পরে ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ তোলা মানে সংবিধানকে অপমান করা। ‘ভোট চুরি’র মতো শব্দ ব্যবহার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে খাটো করে। কমিশন বা সাধারণ ভোটারেরা এই ধরনের অভিযোগ নিয়ে একেবারেই ভীত নয় বলে জানান তিনি। কমিশনের দাবি, কিছু ভোটার দ্বিগুণ ভোট দেওয়ার আশঙ্কার কথা তুললেও কোনও প্রমাণ জমা পড়েনি। জ্ঞানেশের বক্তব্য, “এক কোটিরও বেশি কর্মী নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকেন। এত স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় কী করে ‘ভোট চুরি’ হতে পারে!” বিহারের ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনে ৬৫ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়া নিয়ে শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক তরজা। এ বার এই বিতর্কে রাশ টানার চেষ্টা করল কমিশন। সমস্ত রাজনৈতিক দলের বুথ স্তরের প্রতিনিধিরা যে খসড়া তৈরির পরে তাতে সই করেছে, সে কথাও মনে করাল নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি সেখানে যে কোনও ত্রুটি সংশোধনের জন্য এখনও ১৫ দিন সময় রয়েছে, জানানো হলো সেই বিষয়টিও। কমিশনের দরজা প্রত্যেকের জন্য সমান ভাবে খোলা বলেও জানান জ্ঞানেশ কুমার।

  • Election Commission: সাসপেন্ড করতেই হবে! রাজ্যের মুখ্যসচিবকে দিল্লিতে ডেকে জানাল নির্বাচন কমিশন

    Election Commission: সাসপেন্ড করতেই হবে! রাজ্যের মুখ্যসচিবকে দিল্লিতে ডেকে জানাল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকায় গরমিলের অভিযোগে রাজ‍্যের চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেই হবে রাজ্যকে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে (Manoj Pant) আগামী ২১ অগাস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বুধবার দিল্লিত কমিশনের (Election Commission) সদর দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন মনোজ পন্থ। ঘণ্টাখানেক সেখানে ছিলেন। তিনি এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে সাত দিন সময় চেয়েছিলেন। কমিশন সূত্রের খবর, মুখ্যসচিব যে সময় চেয়েছেন, তা তাঁকে দেওয়া হয়েছে।

    কেন সময় দেওয়া হল

    রাজ্যের দুই ইআরও (ERO), দুই এইআরও (AERO) ও এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধে ভোটার লিস্টে ভুয়ো নাম তোলার অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ ছিল, অফিসাররা তাঁদের আইডি শেয়ার করেছেন অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করা ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের সঙ্গে। তাঁদের সাসপেন্ড করার ও তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার সুপারিশ করে কমিশন (Election Commission)। সেই ব্যবস্থা না হওয়ায় বুধবার পন্থকে তলব করা হয়েছিল দিল্লিতে। নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যসচিব কমিশনের কাছে ২১ অগাস্ট পর্যন্ত সময় চেয়েছেন এই সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরে এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বৈঠকে বসার কথা। ওই বৈঠকে যা সিদ্ধান্ত হবে, সেইমতোই গোটা প্রক্রিয়া এগোবে। রাজ্য প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিক এবং রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গেও আলোচনা হতে পারে।

    শাস্তি দিতেই হবে

    সূত্রের খবর, কমিশনের (Election Commission) দেওয়া চিঠির নির্দেশ কেন কার্যকর হয়নি, সেই নিয়ে এদিন ফুল বেঞ্চের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে। চার অফিসারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কমিশনের নির্দেশের প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার এখনও কী কী পদক্ষেপ করেছে তা রিপোর্ট-সহ তুলে ধরতে হয়েছে মুখ্যসচিবকে। বৈঠকে উঠে এসেছে আইনি এক্তিয়ার সংক্রান্ত ইস্যুও। এসআইআর প্রত্যেকটা রাজ্যে বাস্তবায়ন করতে কমিশন যে বদ্ধপরিকর, তাও এদিন বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে মুখ্যসচিবকে। কমিশন ব্যাখ্যা করেছে যে এ ক্ষেত্রে আইনি এক্তিয়ারের মধ্যেই পুরো কাজ করা হচ্ছে। রাজ্য প্রশাসন সূত্রের দাবি, বৃহস্পতিবার গোটা দিনটাই কমিশনের নির্দেশ নিয়ে প্রশাসনিক মহলে আলোচনা চলবে। এর পর শুক্রবার স্বাধীনতা দিবস। ছুটির দিন। শনিবারও বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি কিছু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। যা হওয়ার পরের সপ্তাহে হবে।

  • Election Commission: ‘খসড়া তালিকায় না থাকা ভোটারদের নাম প্রকাশের আইনত বাধ্যবাধকতা নেই’, সুপ্রিম কোর্টে বলল কমিশন

    Election Commission: ‘খসড়া তালিকায় না থাকা ভোটারদের নাম প্রকাশের আইনত বাধ্যবাধকতা নেই’, সুপ্রিম কোর্টে বলল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন নিয়ে উত্তাল জাতীয় রাজনীতি ৷ এরই মধ্য়ে নির্বাচন কমিশন (ECI) সুপ্রিম কোর্টকে (Supreme Court) জানিয়েছে যে, খসড়া ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়া ব্যক্তিদের নামের আলাদা তালিকা তৈরি বা প্রকাশ করার জন্য আইনে কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। কমিশনের দাবি, যেসব ব্যক্তির নাম তালিকায় নেই, তাদের অনুপস্থিতির কারণ (যেমন মৃত্যু, রাজ্য ত্যাগ, নামের পুনরাবৃত্তি বা অননুসন্ধানযোগ্যতা) জানানোও আইনসঙ্গত নয়। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে বিশেষ সংশোধনের পর কাদের নাম বাদ গিয়েছে তা আলাদা তালিকা প্রকাশ করে জানানো হবে না৷ কেন বাদ গেল তাও বলবে না তারা ৷ তবে যাঁদের নাম গিয়েছে তাঁদের কাছে নোটিশ যাবে ৷ তাঁরা আবেদনের সুযোগও পাবেন ৷ তাঁদের অন্ধকারে রেখে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না ৷

    কেন এই সিদ্ধান্ত

    বিহারে সংশোধিত ভোটার তালিকা প্রকাশের পর এনজিও অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (ADR)-এর এক আবেদনের প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতে এই অভিমত প্রকাশ করে কমিশন। ওই আবেদনপত্রে বিহারে চলমান বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) পর্বে প্রায় ৬৫ লক্ষ ভোটারের ফর্ম জমা না পড়ার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল এবং বুথভিত্তিক তালিকা প্রকাশের দাবি জানানো হয়। আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ ও নেহা রাঠি আদালতে সওয়াল করেন। জাতীয় নির্বাচন কমিশন পাল্টা অভিযোগে জানিয়েছে, অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (ADR) আদালতকে “ভুল পথে চালিত করছে” এবং এ বিষয়ে আদালত অবমাননার মামলাও দাবি করেছে। কমিশনের মতে, আবেদনকারী এই তালিকা কোনও “অধিকারের প্রশ্নে” চাইতে পারে না।

    আইনি ধারার উল্লেখ

    নির্বাচন কমিশন ১৯৫০ সালের প্রতিনিধিত্ব আইন এবং ১৯৬০ সালের ভোটার নিবন্ধন বিধিমালা (Rules 10 ও 11)-এর উল্লেখ করে জানিয়েছে যে, তারা আইনি দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছে। নিয়ম ১০ অনুযায়ী, খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পরে তা সাধারণ মানুষের পরিদর্শনের জন্য ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারের (ERO) অফিসের বাইরে রাখা হয়। নিয়ম ১১ অনুযায়ী, স্বীকৃত রাজনৈতিক দলগুলিকে প্রতিটি অংশের দুটি কপি সরবরাহ করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের জন্য তালিকাটি পাঠানো হয়। কমিশন দাবি করেছে, তারা রাজনৈতিক দলগুলিকে এমন একটি তালিকাও সরবরাহ করেছে যেখানে সেইসব ভোটারদের নাম রয়েছে যাদের নাম খসড়া তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এমনকি সিপিআই(এম-এল)-এর পক্ষ থেকেও সেই তালিকার গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ রয়েছে বলে জানায় ইসি। শনিবার সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হলফনামায় কমিশন এই ধরনের নানা তথ্য জানিয়েছে৷ তাতে আরও বলা হয়েছে, বিহারে এখন মোট ৭.২৪ কোটি ভোটার রয়েছেন ৷ বিশেষ সংশোধনের পর বাদ গিয়েছে ৬৫ লাখ নাম৷ কমিশনের দাবি, এঁদের অনেকেই প্রয়াত হয়েছেন৷ বাকিরা এখন আর বিহারের বাসিন্দা নন৷

    হলফনামায় কমিশনের তিন দাবি

    হলফনামায় কমিশনের তরফে আলাদা করে তিনটি বিষয়ের উল্লেখ করা হয়েছে৷ সেখানে বলা হয়েছে, আগাম নোটিশ না দিয়ে কারও নাম চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে না৷ সকলে আবেদনের সুযোগ পাবেন৷ শেষমেশ কমিশন যদি কারও নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সেটিও কোনও প্রশাসনিক সংস্থার মাধ্যমে ভোটারকে জানানো হবে৷ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে যাতে এ নিয়ে কোনও সংশয় না থাকে তা নিশ্চিত করবে কমিশন৷ তাছাড়া কোনও ভোটারকে আবেদন করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নথি সংগ্রহ করতে হবে৷ তার জন্য নির্দিষ্ট সময়ও দেওয়া হবে৷ হলফনামার অন্য় একটি অংশে কমিশন জানিয়েছে, কোনও বৈধ ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়নি৷ জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে৷

    সুপ্রিম-মতের অপেক্ষা

    কমিশন আরও জানিয়েছে, ১ অগাস্ট খসড়া তালিকা প্রকাশের পরে ৭ অগাস্ট বুথ স্তরের অফিসাররা (BLOs) রাজনৈতিক দলের বুথ স্তরের এজেন্টদের (BLAs) সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তালিকাভুক্ত না হওয়া ভোটারদের নাম পড়ে শোনানো হয় এবং ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ফর্ম জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এসআইআর নিয়ে শেষ কয়েকদিন ধরে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে৷ এরই মধ্যে ১ অগাস্ট বিশেষ সংশোধনের পর তালিকা প্রকাশ করেছে কমিশন৷ তারপর থেকে প্রতিবাদ আরও জোরালো হয়েছে৷ সুপ্রিম কোর্টে মামলাও দায়ের হয়েছে৷ আবেদনকারী জানতে চেয়েছিলেন, কেন ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ গেল৷ শুনানিতে এই বিষয়টি ওঠার পর দেশের নির্বাচন আয়োজনের নিয়ামক সংস্থা হলফনামা দিল৷ আপাতত শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সূর্য কান্তর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছে৷ নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য অনুযায়ী, খসড়া ভোটার তালিকায় নাম না থাকা ব্যক্তিদের আলাদা তালিকা প্রকাশের আইনি প্রয়োজন নেই, এবং তারা সমস্ত আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই কাজ করছে। এখন সুপ্রিম কোর্ট কী নির্দেশ দেয়, সেটাই দেখার।

  • Election Commission of India: ৭২ ঘণ্টা! বাংলার চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করতে রাজ্যকে সময় বেঁধে দিল নির্বাচন কমিশন

    Election Commission of India: ৭২ ঘণ্টা! বাংলার চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করতে রাজ্যকে সময় বেঁধে দিল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই ইআরও-সহ চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করা নিয়ে নির্দেশ পালন করেনি নবান্ন। রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে সেই কথা মনে করিয়ে আবার চিঠি দিল নির্বাচন কমিশন। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করে এ বিষয়ে মুখ্যসচিবকে রিপোর্ট দিতে বলেছে কমিশন। চার অফিসারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের জন্য মুখ্যসচিবকে কমিশন (Election Commission of India) সুপারিশ করেছিল। বরখাস্ত এবং এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছিল। এখনও পর্যন্ত সেই নির্দেশ কেন কার্যকর করা হয়নি। সোমবার তিনটের মধ্যে এই নিয়ে উত্তর দিতে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে বার্তা দিল কমিশন।

    চার অফিসারের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা

    ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্তির ক্ষেত্রে অনিয়মের জেরে রাজ্যের চার অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গত ৫ অগাস্ট মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছিল কমিশন। বারুইপুর পূর্বের ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ERO) দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী এবং এখানকার এইআরও তথাগত মণ্ডল আর ময়নার ইআরও বিপ্লব সরকার এবং এই বিধানসভা কেন্দ্রের এইআরও সুদীপ্ত দাসকে সাসপেন্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই চারজনের বিরুদ্ধে এফআইআরেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। এই চারজনের পাশাপাশি সুরজিৎ হালদার নামে এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধে এফআইআরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কমিশনের ওই পদক্ষেপ নিয়ে ২ দিন আগেই সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার ঝাড়গ্রামে এক সভা থেকে তিনি বলেছিলেন, “বাংলার সরকারি অফিসারদের বলব নিশ্চিন্তে থাকবেন। আমরা আপনাদের জীবন দিয়ে রক্ষা করব।”

    মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ

    মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের পরই কমিশন সূত্রে জানা যায়, নির্দেশ মোতাবেক পদক্ষেপ না হলে মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করতে পারে তারা। সেই সঙ্গে কমিশনের (Election Commission of India) ব্যাখ্যা, ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ সারা বছর ধরে হতে পারে। এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। সংবিধানের ৩২৪ ধারা কমিশনকে পূর্ণ ক্ষমতা দিয়েছে ভোটার তালিকা তৈরি করা এবং নির্বাচন করানোর। সেই কাজে লোক দিতে বাধ্য রাজ্য সরকার। এই আবহে চারদিন কেটে গেলেও অভিযুক্ত অফিসারদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই ফের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছে কমিশন।

  • Bihar Poll 2025: বিহারের ভোটের তালিকায় নেপালি-বাংলাদেশিদের ‘অনুপ্রবেশ’! বাদ লক্ষ নাম, চিন্তিত মমতা?

    Bihar Poll 2025: বিহারের ভোটের তালিকায় নেপালি-বাংলাদেশিদের ‘অনুপ্রবেশ’! বাদ লক্ষ নাম, চিন্তিত মমতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটমুখী বিহারে (Bihar Poll 2025) চলছে ভোটার তালিকা সংশোধন (Special Intensive Revision of voter list)। যাকে বলা হচ্ছে ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন’। অবৈধ অনুপ্রবেশকারী- সহ অযোগ্য ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রায় ৬ কোটি ৬০ লাখ ভোটার রিভিউ ফর্ম পূরণ করেছেন। যা মোট ভোটারের ৮৮.১৮ শতাংশ। ২৫ জুলাই পর্যন্ত ফর্ম পূরণের সময় রয়েছে। প্রাথমিকভাবে খবর, বিহারের (Bihar) বর্তমান ভোটার তালিকা থেকে ৩৯ লাখ ভোটারের নাম বাদ যেতে পারে। তারা ভারতীয় নন বলে কমিশনের বুথ লেভেল অফিসারের চিহ্নিত করেছে। এই নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই সরব হয়েছেন। কেন? আসলে কী ভয়। এ রাজ্যে বিরোধীদের সঙ্গে শাসক দলের ভোটের ফারাক খানিকটা ওরকমই। তাই কী ভয় পাচ্ছেন মমতা?

    ভোটার তালিকায় বিদেশিরা

    এই বছরের অক্টোবর বা নভেম্বরে বিহারে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। তারই প্রস্তুতিতে এখন তৎপর নির্বাচন কমিশন। ভোটার (Bihar Poll 2025) তালিকা সংশোধনের কাজ চলছে জোরকদমে। সেই প্রক্রিয়াতেই উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভোটার তালিকায় নেপাল, বাংলাদেশ ও মায়ানমার থেকে আগত বিপুল সংখ্যক মানুষের নাম রয়েছে বলে দাবি নির্বাচন কমিশনের। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ভোটার তালিকার পর্যালোচনার অংশ হিসেবে বুথ স্তরের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি পরিদর্শনে যাচ্ছেন। তাতেই তাঁদের নজরে আসে ভোটার তালিকায় এই ‘বিদেশি’ অভিবাসীদের উপস্থিতি। কমিশনের মতে, এঁদের মধ্যে কেউই ভারতে ভোটাধিকার পাওয়ার যোগ্য নন। সূত্রের খবর, ১ অগাস্টের পর থেকে কমিশন এই তালিকায় থাকা সন্দেহভাজন নামগুলি নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত চালাবে। সেই অনুসন্ধানের ভিত্তিতে ৩০ সেপ্টেম্বর যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে, তাতে এ ধরনের ‘অবৈধ’ ভোটারদের নাম আর থাকবে না বলেই জানানো হয়েছে।

    স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের উদ্দেশ্য

    বিহারের (Bihar Poll 2025) ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, ২০০৩-এর ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম ছিল, তাঁদের সমস্যা নেই। কিন্তু বাকিদের মধ্যে যাঁদের জন্ম ১৯৮৭ সালের আগে, তাঁদের জন্মের প্রমাণপত্র দিতে হবে। তাঁরা গত লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিয়ে থাকলেও ছাড় নেই। ১৯৮৭ থেকে ২০০৪-এর মধ্যে যাঁরা জন্মেছেন, তাঁদের নিজেদের এবং বাবা-মায়ের মধ্যে যে কোনও এক জনের জন্মের প্রমাণপত্র দিতে হবে। ২০০৪-এর পরে জন্ম হলে নিজের ও বাবা-মায়ের দু’জনেরই জন্মের প্রমাণপত্র দিতে হবে। কমিশন সূত্রের খবর, এই ভুয়ো ভোটার বাছতে গিয়েই ভূরি ভূরি বিদেশি ভোটারের হদিশ মিলছে। এদের অধিকাংশই বাংলাদেশ বা নেপালের বাসিন্দা। কেউ কেউ রয়েছেন মায়ানমারের। সংখ্যাটা সঠিকভাবে জানানো না হলেও সেটা চমকে দেওয়ার মতো। কমিশন সূত্রের খবর, এই ধরনের ভোটারদের নাম আগামী সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত হতে চলে ভোটার তালিকায় রাখা হবে না। ওই ভোটার তালিকায় শুধু ভারতীয়দের নাম থাকবে। সেটাই স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের উদ্দেশ্য।

    সারা দেশে হবে ভোটার তালিকা সংশোধন

    এই পদক্ষেপ শুধু বিহারেই (Bihar Poll 2025) সীমাবদ্ধ থাকবে না, নির্বাচন কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সারা দেশে ভোটার তালিকা পর্যালোচনার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে এমনই কড়া নজরদারি চালানো হবে। সন্দেহজনক ভোটারদের জন্মস্থান যাচাই করে, প্রয়োজনে তাঁদের নাম বাদ দেওয়ার দিকেই এগোবে কমিশন। বাংলায় আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাজ্যে ভোটার তালিকা থেকে এই বিপুল সংখ্যক ভোট বাদ পড়লে সমস্যায় পড়বে মমতা সরকার। টলমল করবে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি। তাই কী ভীত মমতা? তাই কী এই পদক্ষেপের বিপক্ষে সুপ্রিম দুয়ারে কড়া নাড়ছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।

    ৮০ শতাংশ ভোটার ফর্ম জমা দিয়েছেন

    এদিকে বিহারে (Bihar Poll 2025) ২৫ জুলাইয়ের মধ্যেই ভোটার তথ্য যাচাইয়ের কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। কমিশনের দাবি, ইতিমধ্যেই প্রায় ৮০ শতাংশ ভোটার ফর্ম জমা দিয়েছেন। এরই মাঝে, সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে, ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির সময় আধার কার্ড, ভোটার আইডি এবং রেশন কার্ড এই তিনটি নথিকে গ্রহণযোগ্য প্রমাণপত্র হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। পাশাপাশি আদালত এটাও খতিয়ে দেখবে যে, তালিকা সংশোধনের নামে আদৌ কোনও নাগরিক তাঁর ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কিনা। এই পরিস্থিতিতে বিহারে বিধানসভা ভোটের আগে ভোটার তালিকা সংশোধন এখন রাজনীতির অন্যতম স্পর্শকাতর ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।

  • Election Commission of India: ‘ভোটার কার্ডে একই এপিক নম্বর মানেই ভুয়ো নয়’, বিজ্ঞপ্তি কমিশনের

    Election Commission of India: ‘ভোটার কার্ডে একই এপিক নম্বর মানেই ভুয়ো নয়’, বিজ্ঞপ্তি কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একই এপিক নম্বরে একাধিক ভোটারের নাম থাকা মানেই তাঁরা নকল বা ভুয়ো ভোটার নন। বিবৃতি দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। তাদের দাবি, এপিক নম্বর এক হলেও বিধানসভা কেন্দ্র এবং ভোটকেন্দ্র আলাদা হতে পারে। এপিক নম্বর এক হলেও, একজন ভোটার দুই জায়গায় ভোট দিতে পারেন না। বিভ্রান্তি এড়াতে ইউনিক বা অনন্য এপিক নম্বর চালুর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, দু’টি পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে একই আলফানিউমেরিক সিরিজ ব্যবহারের জন্য কিছু ক্ষেত্রে একই এপিক নম্বর পাওয়া যাচ্ছে। নিবন্ধিত ভোটারদের অভিন্ন এপিক নম্বর বরাদ্দ করার বিষয়টি কমিশন নিশ্চিত করবে বলেও জানানো হয়।

    মমতার মিথ্যাচার

    বাংলায় বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্যর দাবি, সচিত্র পরিচয়পত্রের উদাহরণ দিয়ে যে কারচুপির অভিযোগ মমতা করেছিলেন, কমিশন (Election Commission of India) তা খারিজ করে দিয়েছে। বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের যুক্তি, আগামী ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে হারের আশঙ্কায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ভোটার তালিকায় কারচুপির ‘মিথ্যে অভিযোগ’ তুলেছিলেন। যাতে নির্বাচনী ব্যবস্থায় মানুষের আস্থা নড়ে যায়। কমিশন স্পষ্ট করে দিয়েছে, একই সংখ্যায় একাধিক ভোটার আইডি কার্ড থাকলেও সেখানে ‘ভুয়ো’ ভোটারের প্রশ্ন নেই। ভোটাররা শুধু নিজেদের নির্বাচনী কেন্দ্রেই ভোট দিতে পারবেন।

    কী বলছে কমিশন

    কমিশন (Election Commission of India) জানিয়েছে, কিছু ভোটারের আইডি কার্ডের নম্বর এক হতে পারে। তবে নাম, ধাম, বিধানসভা কেন্দ্র, ভোটগ্রহণ কেন্দ্র আলাদা হবে। ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর যা-ই হোক না কেন, ভোটারেরা শুধু নিজের কেন্দ্রে ভোট দিতে পারেন। কমিশনের যুক্তি, ভোটার তালিকা ব্যবস্থাপনার জন্য তারা এখন ‘এরোনেট’ নামের একটি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা তৈরি করেছে। তার আগে রাজ্যে রাজ্যে আলাদা আলাদা ভাবে, কোনও যান্ত্রিক নিয়ম না মেনে ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর দেওয়া হত। ফলে, কিছু রাজ্য একই সিরিজের সংখ্যা ব্যবহার করে থাকতে পারে। তাতে বিভিন্ন জায়গায় একই সংখ্যার ভোটার আইডি কার্ড বিলি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তবে এই বিষয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ভোটারদের আইডি কার্ডে ভিন্ন সংখ্যা থাকবে। প্রতিটি ভোটার কার্ডের সংখ্যা ইউনিক হবে। কোথাও একই নম্বর থাকলে তা সংশোধন করা হবে।

  • Suvendu Adhikari: মমতার মন্তব্যে ‘ক্ষুণ্ণ হয়েছে কমিশনের ভাবমূর্তি’, জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মমতার মন্তব্যে ‘ক্ষুণ্ণ হয়েছে কমিশনের ভাবমূর্তি’, জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই বঙ্গে ভোট। এই আবহে গতকাল বৃহস্পতিবারই নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের আশীর্বাদেই নাকি কারচুপি চলছে ভোটার তালিকায়। একইসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘‘অমিত শাহের দফতরের প্রধান সচিবকেই করা হয়েছে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন মন্তব্যের জেরে এবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, মমতার মন্তব্যে ক্ষুণ্ণ হয়েছে নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি।

    চিঠিতে কী লিখলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    চিঠিতে জ্ঞানেশ কুমারের উদ্দেশে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী আপনার নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। উনি বলতে চান, সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে নাকি বিজেপি প্রভাবিত করছে। তৃণমূলের অভিযোগ, মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের পদে বিজেপি নিজেদের লোককে বসাচ্ছে। উনি ভালো করেই জানেন, আপনার নিয়োগ ২০২৩ সালের নতুন আইনের মাধ্যমে হয়েছে। নতুন এই আইন অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত এক জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের প্যানেলে থাকেন। নিরপেক্ষ এই পদ্ধতিতেই আপনার নিয়োগ হয়েছে। এর আগে নিয়ম ছিল, বয়োজ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের পদটি পাবেন। সেই নিয়ম অনুযায়ীও এই পদ আপনারই পাওয়ার কথা ছিল। কারণ, রাজীব কুমারের পর আপনিই নির্বাচন কমিশনার হিসাবে বয়োজ্যেষ্ঠ।’’

    সমস্ত সীমা ছাড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী

    অমিত শাহের মন্ত্রকের লোককে করা হয়েছে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রকে আপনার কাজের সময়টিকে তুলে ধরেছেন মমতা। কিন্তু উনি এটা উল্লেখ করতে ভুলে গিয়েছেন যে, মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব যিনি পান, কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের সচিব পদে তাঁর কাজের অভিজ্ঞতা থাকা বাধ্যতামূলক। নির্বাচন কমিশন একটি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান, যা দেশের ভোটপ্রক্রিয়া নিরপেক্ষ ভাবে পরিচালনা করে। ভারতের সংবিধান কমিশনকে এই অধিকার দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সেই কমিশনকে আক্রমণ করে সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছেন। এই নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলার এক্তিয়ারই ওঁর নেই। ভোটার তালিকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ভিত্তিহীন অভিযোগ সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করবে। প্রকাশ্যে মিথ্যে অভিযোগ করে ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা হচ্ছে।’’

    গতকালের সমাবেশ নিয়ে শুভেন্দুর প্রতিক্রিয়া (Suvendu Adhikari)

    গতকালের সমাবেশ নিয়ে আগেই চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী জোরে জোরে খেলা হবে বলেছেন, সরাসরি হুঙ্কার দিচ্ছেন। নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক বডি। আর আপনি বলছেন অমিত শাহের দফতরের সচিবকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার করে দিয়েছে। আপনি চ্যালেঞ্জ করে কেন সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন না? আসলে আপনি ভয় পেয়েছেন।’’

  • Election Result: বুথ ফেরত সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণিত করে হরিয়ানায় হ্যাটট্রিকের পথে বিজেপি!

    Election Result: বুথ ফেরত সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণিত করে হরিয়ানায় হ্যাটট্রিকের পথে বিজেপি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেলা বাড়তেই বদলে গেল ছবি। প্রথম দুই ঘণ্টা পিছিয়ে থাকলেও তার পরই পালাবদল ঘটে। কমিশনের দেওয়া শেষ তথ্য অনুযায়ী, বিজেপি আবারও এগিয়ে গিয়েছে। বিজেপি বর্তমানে এগিয়ে ৫১টি আসনে এবং কংগ্রেস এগিয়ে ৩৪টি আসনে। এদিন সকালে পোস্টাল ব্যালট (Election Result) গণনার সময় এগিয়ে ছিল কংগ্রেস। কিন্তু বেলা বাড়তেই ঘুরে যায় খেলা। ইভিএম-এর ভোট গণনা শুরু হলে দেখা যায় ধীরে ধীরে কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে থাকে বিজেপি।

    টানটান লড়াই

    সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে হরিয়ানার ৯০ আসনের গণনা। শুরুতে কংগ্রেস এগিয়ে গিয়েছিল ৬৫ আসনে। উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছিল কংগ্রেসের দিল্লির সদর দফতরে। প্রায় ২ ঘণ্টা এভাবে চলার পর প্রবণতায় ঘটল আমূল পরিবর্তন। জয়ের পথে ফিরে আসে বিজেপি। সকাল পৌনে ১০টা নাগাদ গেরুয়া শিবির এগিয়ে ছিল ৪৬ আসনে। আর কংগ্রেসের এগিয়ে থাকা আসনের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছিল ৩৭-এ। এক এক করে বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে ভোটগণনার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। জুলানায় জয়ী হয়েছেন কংগ্রেসের ফোগাট। খড়খুদায় জয়ী হয়েছে বিজেপি। জিন্দ থেকেও জয় নিশ্চিত করেছে বিজেপি।

    আরও পড়ুন: বীরভূমের খনিতে বিস্ফোরণ, মুখ বোজাতে সেই ‘টাকার খেলা’ মমতার! বিজেপি চাইল এনআইএ

    আহিরওয়াল ভোট-ব্যাঙ্ক

    তিন ধাপে ভোটগ্রহণ হয়েছে হরিয়ানায় (Haryana)। গত দুই নির্বাচনেই জয়ী হয়েছিল বিজেপি। ২০১৯ সালে বিজেপিই ছিল বৃহত্তম দল, কিন্তু, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে ৬টি আসন কম পেয়েছিল তারা। জেজেপির ১০ বিধায়কের সমর্থনে সরকার গঠন করেছিল বিজেপি। এবার অবশ্য বুথ ফেরত সমীক্ষায় অধিকাংশ সমীক্ষক সংস্থাই ইঙ্গিত দিয়েছিল, রাজ্যে এবার ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে কংগ্রেস। তবে, ফলফলের প্রবণতা এখনও পর্যন্ত তার সঙ্গে মিলছে না। হরিয়ানায় আহিরওয়াল বেল্ট দু’হাত তুলে সমর্থন করে বিজেপিকে। মূলত গুরুগ্রাম , রেওয়ারি এবং মহেন্দরগড় নিয়ে এই আহিরওয়াল বেল্ট। ২০১৪ সাল থেকেই এই অঞ্চলের বাসিন্দারা বিজেপি-র অনুগত ভোটার। ট্রেন্ড বলছে এ বারের বিধানসভা ভোটে এই বেল্ট থেকে সবচেয়ে ভালো ফলাফল হতে চলেছে গেরুয়া শিবিরের। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share