Tag: Election Commission of India

Election Commission of India

  • Asansol: তৃণমূল মন্ত্রীর ভাইয়ের ওয়ার্ডে চলেছে দেদার ছাপ্পা ও ভোট লুট, অভিযোগ বিজেপির

    Asansol: তৃণমূল মন্ত্রীর ভাইয়ের ওয়ার্ডে চলেছে দেদার ছাপ্পা ও ভোট লুট, অভিযোগ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের চতুর্থ দফা নির্বাচনে ছাপ্পার অভিযোগে ফের একবার শোরগোল পড়ল আসানসোলে (Asansol)। এলাকায় ভোটদানে বাধা দিয়ে বলা হয় ভোটদান হয়ে গিয়েছে। ঘটনা ঘটেছে ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের চেলিডাঙা ব্যারট ক্লাব এলাকায়। এই এলাকার নেতা মন্ত্রী মলয় ঘটকের ভাই অভিজিৎ ঘটক। বিজেপির অভিযোগ তাঁর নেতৃত্বে এলাকায় দেদার ছাপ্পা হয়েছে। ভোট কেন্দ্রে পিসাইডিং অফিসার নিজে বলেছেন ভোট হয়ে গিয়েছে। এলাকায় ভুয়ো ভোটার এনে এলাকায় ভোট দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল বলেছে, শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। এলাকায় বিজেপি অশান্তি সৃষ্টি করেছে।

    অপর দিকে নদিয়া, মুর্শিদবাদ এবং বর্ধমানের লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে শাসক দলের বিরুদ্ধে ভোট লুট, বিরোধী এজেন্ট বসতে না দেওয়া, ছাপ্পা সহ একাধিক অভিযোগের কথা জানিয়েছে বিজেপি। ভোটের আগের দিন কেতুগ্রামে এক ব্যক্তিকে খুনের ঘটনা ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য (Asansol)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “এই বুথে (Asansol) মৃত লোকের ভোট দেওয়া হয়েছে। এলাকার সাধারণ ভোটার সুরেশ প্রসাদ বলেছেন তিনি ভোট দিতে এসে শুনেছেন তাঁর ভোট দেওয়া হয়ে গিয়েছে। আমাদের খবর দিলে আমরা এগিয়ে এসেছি এই বুথে। আমরা বলেছি টেন্ডার ভোট করাতে হবে। ইতিমধ্যে প্রিসাইডিং অফিসার, সেক্টর অফিসারকে জানিয়েছি।”

    আরও পড়ুনঃ৬৩ শতাংশ মুসলিম ভোটে কেন মুসলিম সাংসদ নয়? হুঁশিয়ারি হুমায়ুনের

    তৃণমূলের বক্তব্য

    পাল্টা এলাকার (Asansol) তৃণমূলেরে যুব নেতা পিন্টু কর্মকার বলেছেন, “বিজেপি শান্তিপূর্ণ ভোটকে নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। বুথের মধ্যে ঢুকে ঝামেলা করছে তাই এই রকম অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।” ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ালে ঘটনাস্থলে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে উপস্থিত হয়। উল্লেখ্য এই ওয়ার্ডের বাসিন্দা হলেন রাজ্যের তৃণমূলের নেতা তথা মন্ত্রী মলয় ঘটকের ভাই অভিজিৎ ঘটক। তাঁর নির্দেশেই এই ভোট লুটের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ৬৩ শতাংশ মুসলিম ভোটে কেন মুসলিম সাংসদ নয়? হুঁশিয়ারি হুমায়ুনের

    Murshidabad: ৬৩ শতাংশ মুসলিম ভোটে কেন মুসলিম সাংসদ নয়? হুঁশিয়ারি হুমায়ুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহরমপুরের (Murshidabad) টানা ৫ বারের সাংসদ কংগ্রেসের প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তাঁকে নির্বাচনে হারাতে তৃণমূল ময়দানে নামিয়েছে ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে। পাল্টা বিজেপি প্রার্থী করেছে নির্মল কুমার সাহাকে। তৃণমূলও নিজের ভোট ব্যাঙ্ককে লুফে নিতে বাংলার বাইরের মুসলমান প্রার্থীকে দিয়েছে এই কেন্দ্রে। যদিও ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আগেই ৩০-৭০ শতাংশের কথা বলে জেলার হিন্দুদের বিরাট হুমকি দিয়েছিলেন। এবার আজ বলেছেন, “ইসুউফ পাঠান মুসলমান তাই তৃণমূল এজেন্টদের বসতে দেওয়া হচ্ছে না।” এই বক্তব্যে ফের এরকবার সাম্প্রিদায়িক উস্কানি দিলেন বলে মনে করছেন রাজনীতির একাংশের মানুষ।

    ঠিক কী বললেন হুমায়ুন (Murshidabad)

    আজ বহরমপুরে (Murshidabad) চতুর্থদফা নির্বাচনের দিনে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, “শক্তিপুর এলাকায় পুরো ভোটটা মেরুকরণ হয়েছে। কারণ যারা হিন্দু তারা বিজেপিতে ভোট দিয়েছেন। এই হিন্দুরা এতদিন অধীর চৌধুরীর শেল্টারে ছিলেন। তাঁর কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছেন। লোকসভার ভোটে অধীরকেই ভোট দিতো সকলে। বাকি সময়ে সকলে বিজেপি করত, সিপিএম করত আবার তৃণমূলও করত।” এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “ইউসুফ পাঠান যেহেতু মুসলমান তাই তৃণমূলের কোনও এজেন্ট বসতে দেবে না। কিন্তু ইউসুফকে যিনি প্রার্থী করেছেন তিনি হিন্দু নেত্রী। ৬৩ শতাংশ মুসলমানদের ভোট নিয়ে কোনও মুসলমান কেন সাংসদ হতে পারবেন না? এটা ভারতের কোন সংবিধানে বসবাস করছি। যদি হিন্দুত্বকে হাতিয়ার করা হয় তাহলে আমরা মুসলমানের মুসলিমত্বকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করব। ৯০ শতাংশ ভোট দিয়ে ইউসুফকে আড়াই লক্ষ ভোটে বিজেপি এবং কংগ্রেসকে হারাব।”

    আরও পড়ুনঃ যে আদালতে ছিলেন ধর্মাবতার, এখন সেখানেই বিচারপ্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    আগে কী বলেছিলেন?

    নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কয়েক দিন আগে হুমায়ুন নিজে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সংখ্যালঘু হিন্দু ভোটারদের তীব্র হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “২ ঘণ্টার মধ্যে যদি তোমাদের ভাগীরথীতে না ফেলতে পারি রাজনীতি থেকে সরে যাব। শক্তিপুর এলাকায় বসবাস করা বন্ধ করে দেব। তোমরা হাতির পাঁচ পা দেখেছো? কিন্তু যদি ভেবে থাকো, ৩০ শতাংশ লোক মুর্শিদাবাদ জেলায় আমরা ৭০ শতাংশ। এখানে কামনগরে তোমরা বেশি আছো বলে কাজিপাড়ার মসজিদ ভাঙবে? আর বাকি এলাকায় মুসলিম ভাইয়েরা হাত গুটিয়ে বসে থাকবে এটা কোনও দিন হবে না, বিজেপিকে আমি বলছি।” এরপর তাঁকে নির্বাচন কমিশন শোকজ করেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: বহরমপুরের বুথে বিরোধী এজেন্ট দিতে দিল না তৃণমূল, একাধিক জায়গায় ছাপ্পার অভিযোগ

    Murshidabad: বহরমপুরের বুথে বিরোধী এজেন্ট দিতে দিল না তৃণমূল, একাধিক জায়গায় ছাপ্পার অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৭ মে তারিখ তৃতীয় দফার ভোটে ভোটাররা দেখলেন নির্বাচন কমিশন কীভাবে বুথে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী টহল দিয়েছিল। কোথাও কোনও বুথে সেরকম গন্ডগোল চোখে পড়েনি। মানুষ দুহাত তুলে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে এবং নির্বাচনী কমিশনকে বাহবা দিয়েছিলেন। কিন্তু আজ চতুর্থ দফার লোকসভা ভোটে এক অন্য চিত্র দেখল বহরমপুর (Murshidabad) বাসী। কিন্তু ভোট আরম্ভ হওয়ার পর থেকেই বহরমপুর লোকসভার বিভিন্ন বুথে শুরু হয়েছে নানা ধরনের ঝামেলা। নানা জায়গায় বুথ দখল এবং ছাপ্পার ঘটনার কথা উঠে আসে এদিন। আবার বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অধীর চৌধুরী। তিনি জানালেন, বহরমপুর লোকসভার বড়মা কান্দিশালার কোনও জায়গায় কংগ্রেস এজেন্টদেরকে বসতে দেওয়া হয়নি।

    বড়ঞা বিধানসভায় ছাপ্পা (Murshidabad)

    বহরমপুর (Murshidabad) লোকসভার ৫১ ও ৫২ নম্বর বুথ বড়ঞা বিধানসভার অন্তর্গত হরিবাটি গ্ৰামে কংগ্রেস এজেন্টকে বের করে দেওয়া নিয়ে, তৃণমূল ও কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। বড়ঞা বিধানসভার ৪৮ এবং ৪৯ নম্বর বুথ বদুয়া গ্ৰামে ভোটারদের ভয় দেখানো, ছাপ্পা, এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বহরমপুর লোকসভা সালার থানার খাড়েরা গ্রামের  ১২০নং ওয়ার্ডে ইভিন মেশিন খারাপের খবর উঠে এসেছে।

    বেলডাঙায় অবৈধ জমায়েত

    বহরমপুর (Murshidabad) মহারানী কাশীশ্বরী বালিকা বিদ্যালয় আদর্শ ভোট গ্রহণ কেন্দ্র  হিসেবে বুথ থেকে সুসজ্জিত করা হয়েছে। আবার বেলডাঙা ব্লকের মির্জাপুর খাগড়ুপাড়া ৮৫নং বুথের বাইরে অবৈধ জামায়াত হঠাতে তৎপর হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। এদিন বুথের বাইরে জমায়েত লক্ষ্য করে তাড়া করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। পুলিশ দেখে দেখে পালিয়ে যায় জমায়েতকারীরা। সকাল আটটা নাগাদ ভোট দিলেন বিজেপি প্রার্থী (Murshidabad) ডক্টর নির্মল সাহা পরিবার এবং দলীয় কর্মী সকলকে নিয়েই ভোট দিতে এসেছিলেন তিনি। যথেষ্ট আশাবাদী সে কথা জানালেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন বহরমপুরের বিধায়ক সুব্রত মৈত্র। 

    আরও পড়ুনঃ বীরভূমে ভোট কিনতে শাড়ি, টাকা বিলি! এলাকার মানুষের তাড়া খেলে ছুটে পালালেন তৃণমূল নেতা

    মোট কত বাহিনী

    এই চতুর্থ দফার ভোটের জন্য আটটি লোকসভা কেন্দ্রে ৫৭৮ কোম্পানি বাহিনী প্রস্তুত আছে বলে জানা যায়। বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে মোট বুথ ১৮৭৯টি, এর মধ্যে ৫৫৮টি বুথ স্পর্শকাতর। বহরমপুরের (Murshidabad) জন্য ৭৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আছে। কিউআরটি সংখ্যা ২৩, জিপিএস এর মাধ্যমে ট্রাক করা হবে কিউআরটির গতিবিধি। বেলডাঙা গোবিন্দসুন্দরী বিদ্যাপীঠে চলছিল ভোট গ্রহণ পর্ব ২৫৫ নং বুথে। সেই সময় মহিলা ভোটকর্মীদের বথে প্রবেশ করেন তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠানকে। তাঁকে দেখে মহিলারা প্রিসাইডিং অফিসার ও অন্যান্য ভোটকর্মীরা ছবি তুলতে শুরু করেন। কিন্তু বুথের ভিতরে যে ফোন নেওয়া যায় না তা কার্যত লক্ষ্য করা গেল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিকেল ৫টায় খুন করা হবে বিজেপির কর্মীদের, তৃণমূল বিধায়কের হুমকির পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলীপেরও

    BJP: বিকেল ৫টায় খুন করা হবে বিজেপির কর্মীদের, তৃণমূল বিধায়কের হুমকির পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলীপেরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চতুর্থ দফায় রাজ্যে লোকসভার ভোট গ্রহণ শুরু হতে দিকে দিকে অশান্তির খবর উঠে আসছে। লাগাতার বহরমপুর এবং বীরভূমে উত্তপ্ত হওয়ার খবর আসছে। এবার বর্ধমানের কাঞ্চনপুর এলাকায় বিজেপি (BJP) কর্মীদেরকে খুনের হুমকি দিয়েছে তৃণমূল বিধায়ক। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকেল পাঁচটার পরে বিজেপির লোকজনকে খুন করা হবে। বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক খোকন দাস এবং তাঁর দলবল এই হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পাল্টা তৃণমূলকে এই হুমকির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।

    আবার চতুর্থদফা নির্বাচনের দিনেই দুর্গাপুরের তুল্লাবাজার এলাকায় তৃণমূল দুষ্কৃতীদের আক্রমণে গাড়ির কাচ ভাঙল। বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের। বুথে ঝামেলার কথা জানতে পেরে ছুটে যান তিনি। এরপর তাঁর গাড়িকে লক্ষ্য করে চলে ইটবৃষ্টি। আধলা ইট মেরে ভেঙে দেওয়া হয় সংবাদ মধ্যমের গাড়ি। একই ভাবে দিলীপ ঘোষকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া হয় গো-ব্যাক স্লোগান।

    কী বললেন দিলীপ (BJP)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের দিন সকালেই বেলেপুকুর প্রাইমারি স্কুলে আসেন দিলীপ ঘোষ। কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন আর সেখানেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। তিনি বলেন, “বর্ধমান দুর্গাপুরে এই খুনোখুনি হতে দেবো না। সেই কারণেই আমি এলাকা ঘুরছি। বিজেপি (BJP) কর্মীদের পাশে আমি সবসময় রয়েছি। এই খোকন দাস একজন ছিঁছকে মস্তান। কাউন্সিলরের মতো ব্যবহার করছেন। এলাকায় কাটমানি তোলে, এলাকায় মানুষকে ভয় দেখায়। খুনের হুমকি দিয়ে বেড়ায়।” তাঁকে ঘিরে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে তিনি বলেন,“রাজ্যের দুষ্কৃতীরা ভোট নিয়ন্ত্রণ করছে। বিজেপি কর্মীদের মেরে বার করে দেওয়া হয়েছে। এলাকার মানুষ ভোট দিতে পারছেন না। পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সবটাই দেখছে।”

    আরও পড়ুনঃ ভোটের আগের রাতেই খুন তৃণমূল কর্মী! পরিবারের দাবি দলের গোষ্ঠীকোন্দল

    ৫ টা পর্যন্ত এখানেই থাকব

    একই ভাবে তৃণমূল নেতা খোকন দাসের হুমকির উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলার বিজেপি (BJP) নেতা অভিলাস দাস বলেন, “এখানে এসে এই তৃণমূল নেতা হুমকি দিয়ে গিয়েছেন। ওঁর গুন্ডারা বলেছে বিজেপির ছেলেদের কেটে ফেলবে। সবাইকে মাটির নিচে পুঁতে দেবে। এলাকার মহিলাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। ওঁর ড্রাইভার বাজারে দাঁড়িয়ে মহিলাদের হুমকি দিয়েছে। ওঁদের এত বড় ক্ষমতা, কত বড় হনু হয়েছে আমরাও দেখব? একই ভাবে আমার বউকে হুমকি দিয়েছে। আমরাও ৫ টা পর্যন্ত এখানেই থাকব দেখি কী করে এই তৃণমূল নেতা।” চতুর্থ দফায় আজ এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: আজ চতুর্থ দফায় রাজ্যে কোন কোন কেন্দ্রে ভোট, প্রার্থী কারা? জেনে নিন

    Lok Sabha Election 2024: আজ চতুর্থ দফায় রাজ্যে কোন কোন কেন্দ্রে ভোট, প্রার্থী কারা? জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ লোকসভা নির্বাচনে চতুর্থদফা ভোট (Lok Sabha Election 2024) গ্রহণ হবে। এই পর্বে মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর, নদিয়ার কৃষ্ণনগর ও রানাঘাট, বীরভূম জেলার বোলপুর ও বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমানের বর্ধমান-দুর্গাপুর ও আসানসোলে ভোটগ্রহণ হবে। ইতি মধ্যে রাজ্যে গত তিন দফায় শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে বলে কমিশন জানিয়েছে।

    কোন কেন্দ্রে কে কে প্রার্থী (Lok Sabha Election 2024)

    বহরমপুর-অধীর চৌধুরী (কংগ্রেস)-ইউসুফ পাঠান (তৃণমূল কংগ্রেস)-নির্মল কুমার সাহা (বিজেপি)

    কৃষ্ণনগর-মহুয়া মৈত্র (তৃণমূল কংগ্রেস)-অমৃতা রায় (বিজেপি)-এস এম সাদি (সিপিএম)

    রাণাঘাট-মুকুটমণি অধিকারী (তৃণমূল কংগ্রেস), জগন্নাথ সরকার (বিজেপি)-অলোকেশ দাস (সিপিএম)

    বর্ধমান পূর্ব-শর্মিলা সরকার (তৃণমূল কংগ্রেস), অসীম সরকার (বিজেপি)-নীরব খাঁ (সিপিএম)

    বর্ধমান-দুর্গাপুর-কীর্তি আজাদ (তৃণমূল কংগ্রেস),দিলীপ ঘোষ (বিজেপি),সুকৃতি ঘোষাল (সিপিএম)

    আসানসোল-শত্রুঘ্ন সিনহা (তৃণমূল কংগ্রেস)-এসএস আহলুওয়ালিয়া (বিজেপি)-জাহানারা খান (সিপিএম)

    বোলপুর-অসিত কুমার মাল (তৃণমূল কংগ্রেস), পিয়া সাহা (বিজেপি), শ্যামলী প্রধান (সিপিএম)

    বীরভূম-শতাব্দী রায় (তৃণমূল কংগ্রেস), মিল্টন রশিদ (কংগ্রেস), দেবতনু ভট্টাচার্য (বিজেপি)

    একনজরে চতুর্থ দফায় হেভিওয়েট প্রার্থীরা

    অধীর চৌধুরী- কংগ্রেস – বহরমপুর (পশ্চিমবঙ্গ)

    অখিলেশ যাদব – সমাজবাদী পার্টি- কনৌজ (উত্তরপ্রদেশ)

    মহুয়া মৈত্র – তৃণমূল কংগ্রেস- কৃষ্ণনগর (পশ্চিমবঙ্গ)

    দিলীপ ঘোষ- বিজেপি- বর্ধমান দুর্গাপুর (পশ্চিমবঙ্গ)

    শত্রুঘ্ন সিংহ – তৃণমূল কংগ্রেস- আসানসোল (পশ্চিমবঙ্গ)

    সোমবার চতুর্থ দফায় বাংলার জন্য কত বাহিনী

    চতুর্থ দফায় (Lok Sabha Election 2024) রাজ্যের মোট ১৫,৫০৭টি বুথে ভোট গ্রহণ হবে। রাজ্যের এই পর্বে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন বেশ তৎপর। বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রে মোতায়েন করা হয়েছে মোট ১৫২ কোম্পানি। বীরভূমে ১৩১ কোম্পানি, আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটে ৮৮ কোম্পানি, কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলায় ৮১ কোম্পানি, মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলায় ৭৩ কোম্পানি, রানাঘাট পুলিশ জেলায় ৫৪ কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে।

    আরও পড়ুনঃ “এটাও জেতা সিট, তাই লক্ষাধিক মার্জিনে জিততে চাই”, শেষ বেলার প্রচারে আত্মবিশ্বাসী দিলীপ

    এই পর্বে মোট স্পর্শ কাতর বুথ

    এই পর্বে ভোটের (Lok Sabha Election 2024) মোট স্পর্শ কাতর বুথের সংখ্যা হল ৩৬০০। তবে কমিশন বীরভূম এবং মুর্শিদবাদে বিশেষ নজর দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। স্পর্শকাতর বুথের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে বোলপুর। সেখানকার ৬৫৯টি বুথকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অন্যদিকে বীরভূমের ৬৪০টি বুথ, বহরমপুরের ৫৫৮টি বুথ, বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে ৪২২টি বুথ, রানাঘাটের ৪১০টি বুথ, কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের ৩৩৮টি বুথ, আসানসোলের ৩১৯টি বুথ, বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের ৩০১টি বুথকে স্পর্শকাতর বুথ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Election 2024: চতুর্থ ও পঞ্চম দফায় অশান্তির আশঙ্কা! বাড়ল স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা

    Loksabha Election 2024: চতুর্থ ও পঞ্চম দফায় অশান্তির আশঙ্কা! বাড়ল স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করেছে ভোটযুদ্ধ (Loksabha Election 2024) । ফলে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। চতুর্থ দফায় ভোট গ্রহণ ১৩ মে। এদিন ভোটগ্রহণ হবে বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বীরভূম, বর্ধমান-পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল ও বোলপুরে। আটটি লোকসভা আসনের মধ্যে রবীন্দ্রনাথের কর্মতীর্থ বোলপুর আসনে রয়েছে সবচেয়ে বেশি স্পর্শকাতর বুথ। এমনটাই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

    বোলপুরে সবচেয়ে বেশি স্পর্শকাতর বুথ

    কমিশন সূত্রে খবর চতুর্থ দফার লোকসভা নির্বাচনে (Loksabha Election 2024) প্রায় ২৩.৫% এবং ২০শে মে পঞ্চম দফায় ৫৭.১৯% বুথ স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। চতুর্থ দফায় মোট ১৫,৫০৭টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের মধ্যে ৩৬৪৭টি স্পর্শকাতর ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে।  নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর শুধু বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে ৬৫৯টি স্পর্শকাতর ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়াও বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে ৬৪০টি। বহরমপুরে ৫৫৮টি, বর্ধমান-দুর্গাপুরে ৪৪২টি, রানাঘাটে ৪১০টি, বর্ধমান পূর্বে ৩০১টি, আসানসোলে ৩১৯ টি এবং কৃষ্ণনগরে ৩৩৮টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রকে স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

    অনুব্রতহীন বীরভূম তৃণমূলের কাছে চ্যালেঞ্জ

    প্রসঙ্গত ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন এবং পঞ্চায়েত ভোটে বোলপুর সহ গোটা বীরভূম জেলায় রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। বিধানসভা ভোটে তৎকালীন বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করে রাখা হয়েছিল। বর্তমানে তিহারে জেলে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রতহীন বীরভূমে (Loksabha Election 2024) অশান্তির আশঙ্কা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। অনুব্রত জেলবন্দী থাকলেও কাজল শেখের  নেতৃত্বে তৃণমূল কর্মীরা মোটেই এই আসন হাতছাড়া হতে দিতে চান না। অনুব্রতহীন বীরভূমে কাজল শেখকে তাঁর অস্তিত্ব বাঁচাতে বোলপুর ও বীরভূম আসনে দলের প্রার্থীকে জেতানোর বাড়তি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেই কারণেই গন্ডগোলের আশঙ্কা একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছে না রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি।

    কীভাবে স্পর্শকাতর বুথ নির্বাচন

    কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, অতীতে যেখানে কোন ধরনের গোলমালের নজির রয়েছে এবং বর্তমানে (Loksabha Election 2024) সেখানে রাজনৈতিক উত্তেজনা রয়েছে কী না এসব খতিয়ে দেখে স্পর্শকাতর বুথ চিহ্নিত করা হয়। কমিশন সূত্রে আরও জানা গেছে কোনও বুথে ৯০ শতাংশের বেশি ভোট পড়লে কিংবা কোন বুথে ১০ শতাংশের কম ভোট পড়লে সেই বুথকে স্পর্শকাতর ঘোষণা করা হয়। এছাড়া কোনও প্রার্থী ৭০ শতাংশের বেশি ভোট পেলে সেই বুথকে অতি স্পর্শকাতর চিহ্নিত করা হয়। সেই মত ওই বুথগুলিতে মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। এছাড়াও স্পেশাল পুলিশ অবজার্ভার এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর কুইক রেসপন্স টিমের কাছেও সেই সমস্ত বুথের তালিকা জমা দেওয়া হয়ে থাকে। চতুর্থ ও পঞ্চম দফায় স্পর্শকাতর বুথে বাড়তি নজর রাখতে চলেছে নির্বাচন কমিশন।

    আরও পড়ুন: “নয়া সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে রুপির বাণিজ্য চুক্তি”, বললেন শাহ

    পঞ্চম দফায় ৭৭১১টি বুথ স্পর্শকাতর ঘোষণা

    চতুর্থ দফা শেষ হলে ২০ মে পঞ্চম দফায় (Loksabha Election 2024) ভোট হবে রাজ্যের বনগাঁ, বারাকপুর, শ্রীরামপুর, হুগলি, আরামবাগ, হাওড়া ও উলুবেড়িয়া কেন্দ্রে। কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী ওই আসনগুলির মোট বুথের সংখ্যা ১৩,৪১৮টি। এর মধ্যে ৭৭১১টি বুথ স্পর্শকাতর। এই কেন্দ্রগুলিতে স্পর্শকাতর বুথের মধ্যে হুগলিতে সর্বাধিক। সেখানে ১৭৮৭টি স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে। সংখ্যার বিচারে সবার শীর্ষে রয়েছে আরামবাগ কেন্দ্র। আরামবাগে ১৭৭০টি, শ্রীরমপুরে ১২৩৬টি, বারাকপুরে ১০৫৯টি, উলুবেড়িয়ায় ৬৯৪টি, হাওড়ায় ৬০৫টি এবং বনগাঁয় ৫৫০টি স্পর্শকাতর বুথ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পঞ্চম দফায় হুগলিতে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে পুনরায় টিকিট দিয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে এবার এই কেন্দ্রে প্রার্থী বদল করে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে ভরসা রেখেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। লকেট এবং রচনার প্রতিদ্বন্দ্বিতা সংবাদ শিরোনামে এসেছে। অন্যদিকে নানান অর্থনৈতিক অভিযোগে অভিযুক্ত আরামবাগে বিদায়ী সাংসদ অপরূপা পোদ্দারকে এবার টিকিট দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukumar Sen: দেশে নির্বাচন পরিচালনায় পথিকৃৎ সুকুমার সেন, জানেন তাঁর কথা?

    Sukumar Sen: দেশে নির্বাচন পরিচালনায় পথিকৃৎ সুকুমার সেন, জানেন তাঁর কথা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের মাঝপথে দেশ। সাত দফা ভোটের তিন দফা ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বাকি রয়েছে আর চার দফা। ভারতের প্রথম গণতন্ত্রের উৎসব পরিচালনার দায়িত্ব ছিল এক বঙ্গ সন্তানের হাতে। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু সেই দুরূহ কাজের জন্য ভরসা করেছিলেন বর্ধমানের এক বাঙালির উপরে। প্রায় ৭২-৭৩ বছর আগের কথা। ভারতের প্রথম মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুকুমার সেন। এই প্রজন্ম তাঁকে হয়তো মনে রাখেনি। কিন্তু ইতিহাসের পাতায় রয়ে গিয়েছে তাঁর নাম।

    কে সুকুমার সেন

    সুকুমার সেনের জন্ম ১৮৯৯-এ। বাবা অক্ষয়চন্দ্র সেন ছিলেন আইসিএস। বর্ধমানে শৈশব, কৈশোর কেটেছে এই বাঙালির। স্কুলের পড়াশোনা করেছেন বর্ধমানের মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুলে। পরে ফিরেছিলেন এই বর্ধমানেই, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হয়ে। বাইশ বছর বয়সে, ১৯২১ সালে সুকুমার সেন যোগ দিয়েছিলেন ভারতীয় সিভিল সার্ভিসে। প্রথমে কাজ করেছিলেন নানা জেলায়। তার পরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব পদে যোগ দেন। সেখানে তাঁর কর্মদক্ষতার কথা পৌঁছেছিল প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর কানে।  গণিতে সুকুমার সেনের ছিল বিশেষ জ্ঞান। প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে পাশ করে সুকুমার সেন পড়তে যান লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে গণিতে স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন। তাঁর পারদর্শীতার কথা শুনেই ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহেরু ঠিক করেন নির্বাচন পরিচালনার ভার সুকুমার সেনকেই দেবেন। 

    কাজটা সহজ নয়

    স্বাধীনতার দু’বছর পরেই গঠিত হল নির্বাচন কমিশন। নেহরুর আশা ছিল ১৯৫১-র প্রথম দিকেই স্বাধীন ভারতের প্রথম নির্বাচন করানো যাবে। সদ্য স্বাধীন ভারতে  তখন হাজারো সমস্যা। খাদ্য-সহ নানা বিষয়ে দেশ তখন স্বনির্ভর নয়। উপরন্তু শিক্ষার হার মাত্র ১৫ শতাংশ। ফলে লোকসভা নির্বাচন কী, কিই বা তার প্রয়োজনীয়তা, সাধারণ লোককে তা বোঝানোই ছিল দুরুহ কাজ। বেশ কয়েক দফা আলোচনার পর ঠিক হয় যে নির্বাচন কমিশনের মাথায় বসানো হবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যসচিব , ১৯২১ ব্যাচের আই সি এস সুকুমার সেনকে। জানা যায় দেশের প্রথম নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব হাতে পাওয়ার দিন পনেরোর মাথায় সুকুমারবাবুর ডাক পড়েছিল প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর অফিসে। সেখানে গিয়ে সুকুমার সেন প্রধানমন্ত্রী নেহরুকে আর একটু অপেক্ষা করতে বলেছিলেন। ভারতের নির্বাচন পরিচালনায় পথিকৃৎ সুকুমার বুঝেছিলেন কাজটা সহজ নয়। একুশ বছর বা তার বেশি বয়সের ১৭ কোটি ৬০ লক্ষ ভারতীয় ভোট দেবে, তার মধ্যে প্রায় ৮৫ শতাংশ পড়তে বা লিখতে জানে না। প্রত্যেকটি ভোটারকে আলাদা করে চিহ্নিত করতে হবে, নাম লিখে নথিভুক্ত করতে হবে। নিরক্ষর এক নির্বাচকমণ্ডলীর জন্য কী ভাবে পার্টি প্রতীক, ভোটপত্র আর ব্যালট বাক্স তৈরি হবে তা নিয়েও চলে বিস্তর ভাবনা চিন্তা।

    এক বিশাল কর্মযজ্ঞ

    নির্বাচন কী সে বিষয়ে কোনও ধারণাই তখন ছিল না নির্বাচকদের। কেন্দ্রীয় বাহিনী তখন তৈরিই হয়নি, অতএব শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ভরসা ছিলেন প্রায় সওয়া দু’লাখ পুলিশকর্মী। সে এক বিশাল কর্মযজ্ঞ। ৪৫০০ আসনে ভোট। ৫০০টি সংসদের, বাকি বিভিন্ন রাজ্য বিধানসভার। ২,২৪,০০০ ভোটদান কেন্দ্র। কুড়ি লক্ষ ইস্পাতের ব্যালট বাক্স, বানাতে লেগেছে ৮২০০ টন ইস্পাত। ৫৬০০০ প্রিসাইডিং অফিসার, সহায়ক আরও ২৮০০০০ কর্মী। নির্বাচকদের নাম টাইপ করে নির্বাচনকেন্দ্র অনুযায়ী সাজিয়ে ভোটার লিস্ট তৈরি করার জন্য ছ’মাসের চুক্তিতে নিয়োগ করা হয়েছিল ১৬৫০০ কর্মীকে। ভোটার লিস্ট ছাপতে লেগেছিল ৩,৮০,০০০ রিম কাগজ।

    আরও পড়ুন: ইসরোর মহাকাশযান নিয়ে গবেষণায় সুযোগ পেল দক্ষিণ দিনাজপুরের নবম শ্রেণির অর্পিতা

    প্রথমবার ভোট হয় ৬৮টি দফায়, ৭৩ দিন ধরে। শুরু হয় ১০ ডিসেম্বর, ১৯৫১ এবং শেষ হয় ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২। অশিক্ষায় জর্জরিত দেশের ভোট গ্রহণের জন্য আলাদা আলাদা রঙে আলাদা আলাদা দলের ব্যালট বাক্সের ব্যবস্থা করেছিলেন সুকুমার সেন। শুধু তাই নয় ১৯৫৭ সালের ভোটেও ওই বাক্সগুলিই ব্যবহার করা হয়েছিল যাতে খরচ বাঁচানো যায়। এই ভাবনাটিও ছিল সুকুমারবাবুর মস্তিষ্কপ্রসূত। এতেই শেষ নয়। কিভাবে ভোট দেবেন আমজনতা, তা বোঝানোর দরকার ছিল। সুকুমার সেনের উদ্যোগে তৈরি হয়েছিল প্রায় ৩০০০ নিউজ রিল। আকাশবাণী টানা তিনমাস লাগাতার রেডিওতে প্রচার করেছিল ভোট দেওয়ার পদ্ধতি। 

    সুদানে সুকুমার

    ১৯৫২-র শুরুর দিকে স্বাধীন ভারতে প্রথম ভোট হল। আর সেটা সামগ্রিক ভাবে ছিল সফল। তুরস্ক থেকে আসা এক সাংবাদিক ভোট শেষ হলে তাঁর দেশের এক প্রতিনিধি দলকে নিয়ে সুকুমার সেনের সঙ্গে দেখা করেন। সে দেশে ভোট পরিচালনায় সাহায্য চান। ঐতিহাসিক রামচন্দ্র গুহর লেখা থেকে জানা যায়, ‘মুখ্য নির্বাচন কমিশনার তাঁদের ভোট বাক্স, ভোটপত্র আর প্রতীকের কিছু নমুনা দেখান, সেই সঙ্গে দেখান ভোটকেন্দ্রের ছক, যাতে তাঁরা তাঁদের নিজেদের দেশে গণতন্ত্রের ব্যাহত প্রক্রিয়াকে নতুন করে চালু করতে পারেন।’ ১৯৫৭-র দ্বিতীয় নির্বাচনও পরিচালনা করেন সুকুমার সেন। পরে সুদানে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ১৯৫৩ সালে সুদান তাঁকে আমন্ত্রণ জানায়। ১৪ মাস সে দেশে নির্বাচন ব্যবস্থার কাজ বুঝিয়েছিলেন সুকুমার সেন। স্বাধীন গণতান্ত্রিক ভারতে ভোট ব্যবস্থার রূপকার সুকুমার সেনকে পদ্মভূষণ পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছিল। ১৯৬৩ সালে মাত্র ৬৫ বছর বয়সে প্রয়াত হন সুকুমার সেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Jangipur: “রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মেরে মাথা ফাটিয়ে দিল তৃণমূল”, বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী

    Jangipur: “রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মেরে মাথা ফাটিয়ে দিল তৃণমূল”, বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের শেষে রক্ত ঝরল জঙ্গিপুর (Jangipur) লোকসভা এলাকায়। বিজেপি কর্মীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে জঙ্গিপুরের গণকর এলাকার। এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি প্রার্থী ধনঞ্জয় ঘোষ হামলাকারী তৃণমূলীদের গ্রেফতারের দাবিতে রঘুনাথগঞ্জের দাদা ঠাকুর মোড়ে রাস্তা অবরোধ করেন। সেই অবরোধে পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে।

    বিজেপি কর্মীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটায় তৃণমূল (Jangipur)

    মঙ্গলবার সকালে ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পর পরই ধনঞ্জয় ঘোষের ওপর হামলা করার অভিযোগ উঠে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তৃণমূল নেতা বুথের মধ্যে দাঁড়িয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন। বিজেপি প্রার্থী তাঁর প্রতিবাদ করলে তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়। এই ঘটনার পর জঙ্গিপুর (Jangipur) লোকসভার একাধিক এলাকা থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোট করার অভিযোগ উঠেছে। বিরোধী এজেন্টদের মারধরের অভিযোগ রয়েছে একাধিক জায়গায়। জানা গিয়েছে, জঙ্গিপুরের গণকর ২৬৮ নম্বর বুথে বিজেপি এজেন্টকে মারধর করে বের করে দেয় তৃণমূলের লোকজন। চোখের সামনে দলীয় এজেন্টকে মারতে দেখেই বিজেপি কর্মী অশোক কর্মকার বুথের মধ্যেই ছুটে যান। বিজেপি কর্মী অশোকবাবু বলেন, আমার অপরাধ আমার দলের এজেন্টকে আমি বাঁচাতে গেছি। এরপরে ওরা বুথ থেকে আমাকে তাড়া করে। রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেঠায়। মেরে আমার মাথা ফাটিয়ে দেয়। তৃণমূল বুথে ভোট লুট করেছে। আমরা নেতৃত্বকে জানিয়েছি।

    পুলিশ বিজেপির অবরোধে লাঠিচার্জ করে

    বিজেপি প্রার্থী (Jangipur) ধনঞ্জয় ঘোষ বলেন, পুলিশ দলদাস হিসেবে কাজ করছে। বুথের মধ্যেই আমাদের দলের এজেন্টকে মেরে বের করে দিয়েছে। দলীয় কর্মীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। তার প্রতিবাদে আমরা রাস্তা অবরোধ করে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাই।  পুলিশ আমাদের ওপর বেধড়ক লাঠিচার্জ করে। বিষয়টি কমিশনে জানিয়েছি। এই ধরনের অন্যায় মেনে নেয়া যায় না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jangipur: “বুথ থেকে বের করে দেদার ছাপ্পা দিল তৃণমূল”, জঙ্গিপুরে বিস্ফোরক অভিযোগ বিরোধী এজেন্টের

    Jangipur: “বুথ থেকে বের করে দেদার ছাপ্পা দিল তৃণমূল”, জঙ্গিপুরে বিস্ফোরক অভিযোগ বিরোধী এজেন্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী এজেন্টকে মেরে বের করে দিয়ে দেদার ছাপ্পা ভোট করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জঙ্গিপুর (Jangipur) লোকসভার খড়গ্রাম ব্লকের পারুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর গোপীনাথপুর গ্রামের ৩৯ নম্বর বুথে। বিরোধীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি বলে অভিযোগ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Jangipur)

    দলীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল থেকে উত্তর গোপীনাথপুরের (Jangipur) ৩৯ নম্বর বুথে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছিল। এদিন দুপুরেব দিকে এই বুথের কংগ্রেসের এজেন্টকে মেরে বের করে দিয়ে ছাপ্পা ভোট করে তৃণমূল কংগ্রেস। ওই বুথের কংগ্রেসের এজেন্ট আবুল বাসারের বলেন, বেলা বারোটা নাগাদ আমাকে তৃণমূলের কর্মীরা ভোট কেন্দ্রে ঢুকে আমাকে মারধর করে বের করে দেয়। পরে, প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আমি প্রাণভয়ে ওই বুথ ছেড়ে বেরিয়ে আসি। তারপরই তৃণমূল দেদার ছাপ্পা ভোট দিতে শুরু করে। যদিও তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য আবসার সেখ বলেন, এখানে সকাল থেকেই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। সমস্ত দলেরই এজেন্ট বুথের মধ্যে আছেন। তিনি মিথ্যা অভিযোগ করছেন। কারণ, এখানে কংগ্রেসের কোনও অস্তিত্ব নেই। মিথ্যা অভিযোগ করে শান্ত এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছেন।

    আরও পড়ুন: ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা! পুলিশ আধিকারিককে ধমক দিলেন মালদা দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী

    হুমকি উপেক্ষা করে ভোট দিতে যাওয়ায় হামলা তৃণমূলের

    সামশেরগঞ্জের (Jangipur) যোতকাশী গ্রামে ১২৫ নম্বর বুথে কংগ্রেস কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, সামশেরগঞ্জের যোতকাশী গ্রামে সোমবার রাতে তৃণমূলের লোকজন বিরোধীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট দিয়ে না যাওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসে। সেই হুমকি উপেক্ষা করে মইদুল সেখ নামে এক কংগ্রেস কর্মী বুথে ভোট দিতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় ইব্রাহিম সেখ ও রেজাউল হক নামে দুই তৃণমূল কর্মী প্রথমে ভোট দিতে বাধা দেয়। কংগ্রেস কর্মী আপত্তি জানালে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের হামলার জেরে কংগ্রেস কর্মীর পা ভেঙে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে জঙ্গিপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা গিয়েছে, পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের নিয়ে এসে ভোটকেন্দ্রে পৌঁছে দেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।                                                      

  • Murshidabad: “গিয়ে দেখি, পুলিশের সামনেই ছাপ্পা মারছে তৃণমূল”, মুর্শিদাবাদে তিক্ত অভিজ্ঞতা ভোটারের!

    Murshidabad: “গিয়ে দেখি, পুলিশের সামনেই ছাপ্পা মারছে তৃণমূল”, মুর্শিদাবাদে তিক্ত অভিজ্ঞতা ভোটারের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোথাও ভোটারদের বাড়ি থেকে বের হতে দিচ্ছে না, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। কোথাও আবার বুথ থেকে ভোটারদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর এসবই অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে সরব হয়েছেন ভোট দিতে না পারা ভোটাররা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) লোকসভার নদিয়ার করিমপুর বিধানসভার থানারপাড়া থানার শুভরাজপুর এলাকায়। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) লোকসভার মধ্যে নদিয়ার করিমপুর বিধানসভা পড়ে। এই বিধানসভার শুভরাজপুর এলাকায় এদিন সকাল থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। তবে, বুথের আগে তৃণমূলের লোকজন জমায়েত করে রেখেছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, এই গ্রামের একটি বড় অংশ বিরোধী সমর্থক। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার কারণে ভোট লুট করতে পারছে না তৃণমূল। তাই, বুথে যাওয়ার মুখে তৃণমূল জমায়েত করে রেখেছে। কেউ ভোট দিতে গেলেই আগ্নেয়াস্ত্র দেখাচ্ছে। ফলে, আমরা কেউ ভয়ে ভোট দিতে যেতে পারছি না। এক ভোটার বলেন, ৩৫ নম্বর বুথে আমি ভোট দিতে গিয়ে দেখি, পুলিশের সামনেই ছাপ্পা মারছে তৃণমূল। আমি বুথে গেলে বলা হয়, ভোট হয়ে গিয়েছে চলে যা। কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। কেউ কিছু করল না। আমি ভোট না দিয়ে বুথ থেকে ফিরে এসেছি। তৃণমূলের সন্ত্রাসের কারণে আমরা ভোট দিতে পারিনি।

    আরও পড়ুন: বুথে গিয়ে হতবাক! প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ মুর্শিদাবাদের বিজেপি প্রার্থীর

    সাগরপাড়া বুথে ভুয়ো ভোটার!

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরপাড়া থানার রওশননগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৭২ নম্বর বুথের ভেতরেই চলল তুমুল উত্তেজনা। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের এক ভুয়ো ভোটার বুথে আসেন। তাঁর ভোটার তালিকায় নাম না থাকায় সিপিএম এজেন্ট আপত্তি জানান। এরপরই তৃণমূলের এজেন্ট সহ কর্মীরা তাঁকে বুথের ভিতরের মারধর করে বলে অভিযোগ। গন্ডগোলের কারণে ভোটদান কিছুটা ব্যাহত হয়। পরে, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share