Tag: Election Commission of India

Election Commission of India

  • Suvendu Adhikari: “ছত্রধর মাহাতো আপনার লোক হলে কিষেনজিও আপনার লোক”, মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “ছত্রধর মাহাতো আপনার লোক হলে কিষেনজিও আপনার লোক”, মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের পঞ্চম দফা নির্বাচনের ভোটের প্রচার জমে উঠেছে। শুক্রবার ঝাড়গ্রামে এসে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “ছত্রধর মাহাতোর হাত ধরে জঙ্গলমহল চিনেছিলাম।” শনিবার এই কথার পাল্টা জবাব দিয়ে মমতাকে নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি তোপ দেগে বলেন, “ছত্রধর মাহাতো আপনার লোক হলে কিষেনজিও আপনার লোক।” গত বারের বিধানসভা নির্বাচনে ভোট প্রচারে জঙ্গলমহলের লালাগড়ে এসে মাওবাদীদের বন্ধু বলেছিলেন মমতা। লোকসভার এই ভোটে একবার ফের শোরগোল পড়েছে।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এদিন লোকসভা ভোটের প্রচারের ময়দান থেকে তৃণমূলনেত্রীকে আক্রমণ করে বলেন, “তা হলে জ্ঞানেশ্বরী হত্যাকাণ্ডের (ট্রেন দুর্ঘটনা) দায়িত্ব মমতাকে নিতে হবে। তিনশোর বেশি নিরীহ যাত্রীকে হত্যা করা হয়েছিল। আপনি জঙ্গলমহল চিনতেন না। ২০১১ সাল, ৭ জানুয়ারি, সকাল ১০ টা ১৫। আমি লালগড়ের নেতাইয়ে গিয়ে দেহ কুড়িয়েছিলাম। আপনি কোথায় ছিলেন তখন? পরের দিন এসেছিলেন সাজানো বাগানে ফুল তুলতে। ছত্রধরবাবু ঝাঁপ বন্ধ করে দিয়েছিলেন তৃণমূলের। নাম দিয়েছিল জনসাধারণের কমিটির। আপনার দলটা উঠে গিয়েছিল এখানে।” আবার মুখ্যমন্ত্রীর চটিতে সেফটিপিন লাগানোর বিষয় নিয়ে খোঁচা দিয়ে তিনি আরও বলেন, “সেফটিপিন তো আপনার পায়ে ফুটেছে নন্দীগ্রামে। ১৯৫৬ ভোটে হেরেছেন। সেই সেফটিপিন তো আপনার কোনও দিন বেরোবে না। একই ভাবে প্রণত টুডুর পদত্যাগ আটকে দিতে চেয়েছিল তৃণমূল সরকার। কিন্তু হাইকোর্টের কান মুলে পদত্যাগ গ্রহণ করতে বাধ্য করে দিয়েছিল।”

    আরও পড়ুনঃ সোমবার ভোটের দিন ভিজবে বাংলা! ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস বেশ কিছু জেলায়

    তৃণমূলের বক্তব্য

    রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া বলেন, “বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) নিজেকে বড় রাজনৈতিক নেতা ভাবেন। তার ভাবনা একদম ভুল।” আবার লালগড় ব্লক নির্বাচনী কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক শ্যামল মহাতো বলেন, “ছত্রধরদা তৃণমূল কোনও দিন ছাড়েননি। ২০০৯ সালে লোকসভা ভোটের সময়ও তৃণমূলের সঙ্গেই ছিল। পাশাপাশি অরাজনৈতিক গণসংগঠন তৈরি করেছিলেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: দেগঙ্গায় নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত বিজেপির নেতা-কর্মীরা

    Lok Sabha Election 2024: দেগঙ্গায় নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত বিজেপির নেতা-কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের হুমকির মুখে পড়লেন বিজেপির নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা। শুধু তাই নয় এলাকা ছাড়ার হুমকি দিয়ে গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় তৃণমূল দুষ্কৃতীরা। আক্রন্ত বিজেপি কর্মীদের পক্ষ থেকে সামজিক মাধ্যমে সেই ভিডিও বিনিময় করায় ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ। ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার (Lok Sabha Election 2024) দেগঙ্গায়।

    ঘটনা কীভাবে ঘটেছে (Lok Sabha Election 2024)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেগঙ্গার (Lok Sabha Election 2024) ২ নম্বর মণ্ডলের বিজেপি সভাপতি চন্দনা দাস অভিযোগ করে জানিয়েছেন, “বেড়াচাঁপা এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইয়াজপুর দাসপাড়া এলাকায় বারাসতের বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলাম আমরা। এলাকার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য আকতারুল মোল্লা প্রথমে হুমকি দেন। এরপর তিনি বলেন, এখানে ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে বিজেপি। তাই বেরিয়ে যান। এরপর আমরা প্রতিবাদ করলে আমাদের মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর জনমুখী প্রকল্পের কথা প্রচার করতে গেলে আমাদের আটকে দেওয়া হয়। এরপর হার্মাদ বাহিনী আমাদের ঘিরে ধরে মারধর করে। গাড়িতে করা হয় ব্যাপক ভাঙচুর। কোনও ক্রমে আমরা পালিয়ে প্রাণে বাঁচি। ইতিমধ্যে আমরা দেগঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।”

    আরও পড়ুনঃ নিয়োগ-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত দেব! অডিও প্রকাশ করে মারাত্মক অভিযোগ হিরণের

    তৃণমূলের বক্তব্য

    বিজেপির অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে দেগঙ্গা (Lok Sabha Election 2024) বিধানসভার তৃণমূল নির্বাচনী কমিটির সদস্য তুষার কান্তি দাস বলেন, “এলাকায় বিজেপির পক্ষ থেকে একটা প্রচার অভিযান চালানো হয়েছিল ঠিক। কিন্তু প্রচারে এসে তাঁরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে অপপ্রচার করছিলেন। তৃণমূল সরকারের দেওয়া প্রকল্প সম্পর্কে কুৎসা করা হচ্ছিল। এই জন্য তৃণমূলের স্থানীয় সদস্যরা প্রতিবাদ করেছিলেন। তবে মারধর বা হুমকির কোনও রকম ঘটনা ঘটেনি। লোকসভার ভোটে বিজেপি হার বুঝতে পেরেই এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mithun Chakraborty: “যে ব্যক্তি যত আক্রমণ করতে পারে, সে তৃণমূলের তত বড় নেতা”, কল্যাণকে আক্রমণ মিঠুনের

    Mithun Chakraborty: “যে ব্যক্তি যত আক্রমণ করতে পারে, সে তৃণমূলের তত বড় নেতা”, কল্যাণকে আক্রমণ মিঠুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের প্রচারে তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবার নিশানা করলেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। “যে ব্যক্তি যত আক্রমণ করতে পারেন সেই ব্যক্তি তত বড় তৃণমূলের নেতা, ঠিক এই ভাষায় কটাক্ষ করেন মিঠুন। বৃহস্পতিবার হাওড়া ডোমজুড়ে বিজেপি প্রার্থী কবীর শঙ্কর বোসের প্রচারে নেমে তৃণমূলকে তোপ দাগেন তিনি।  

    কী বললেন মিঠুন (Mithun Chakraborty)?

    বিজেপির তারকা প্রচারক মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেন, “যে মহিলাদের অপামান করতে পারবে সে তৃণমূলের আরও বড় নেতা। এই পার্টির একটা দুর্দান্ত জ্ঞান আছে জানেন? মুসলমান ভাই-বোনেরা কেবলমাত্র ভোট ব্যাঙ্ক। দুর্নীতি হল ভোট ব্যাঙ্ক। যে দুর্নীতি করে সেই এই পার্টির মেম্বার। যে যত বড় দুর্নীতি করবে সে বড় লিডার। আবার কোনও মহিলাকে যে বেশি অপমান করবে সে আরও বড় নেতা। তৃণমূলের কাছে লিডারদের ব্যাঙ্ক রয়েছে। এখন আপনারা সাধারণ মানুষ ভাবুন কাদের ভোট দেবেন?”

    কল্যাণকে তোপ

    মহাগুরু (Mithun Chakraborty) তৃণমূল নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগে বলেন, “এখানকার তৃণমূল নেতাকে মায়ের পুজো করতে করতে কাঁদতে দেখি। আর মায়ের স্বামী শিবকে এত অপমান করা হল তাঁর মুখে কথা শুনতে পেলাম না। আরেক জন নেত্রী মহুয়া বলেছিলেন মা কালী মদ খান, মাতাল, কিন্তু তাঁর চোখ দিয়ে এক ফোঁটা জল পড়ল না। কী অদ্ভূত তাঁর ভালোবাসা।”

    আরও পড়ুনঃ রাজ্যে এক দিনে বাজ পড়ে মৃত ১৩! শোকের ছায়া পরিবারে

    কল্যাণের বক্তব্য

    এই পরিপ্রেক্ষিতে মিঠুনকে (Mithun Chakraborty), কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা বলেন, “শ্রীরামপুরের সঙ্গে কবীরের কী সম্পর্ক? ২৩ হাজার ভোটে হেরেছিলেন। এই এলাকার মানুষের সঙ্গে রাজনৈতিক সমাজিক যোগ নেই। নিজের পরিচয় কিছু নেই। প্রাক্তন শ্বশুর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ভাঙ্গিয়ে চলেছেন। এটা কি পরিচয় হতে পারে। আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Manteswar: ভোটের পরেই দিলীপ ঘোষের বুথ এজেন্ট খুন! বিজেপির তির তৃণমূল দুষ্কৃতীর দিকে

    Manteswar: ভোটের পরেই দিলীপ ঘোষের বুথ এজেন্ট খুন! বিজেপির তির তৃণমূল দুষ্কৃতীর দিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে চতুর্থ দফা নির্বাচন শেষ হয়েছে। পঞ্চমদফার নির্বাচনী প্রচারে জমজমাট হয়ে উঠেছে রাজ্য। এবার এই সময়েই দুর্গাপুর-বর্ধমান লোকসভা কেন্দ্রের মন্তেশ্বরে (Manteswar) দিলীপ ঘোষের বুথ এজেন্টের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চাল্য ছড়িয়েছে। বিজেপির দাবি তৃণমূল দুষ্কৃতীরা খুন করেছে। অবশ্য এই রাজ্যে ভোট পরবর্তী কালে রাজনৈতিক খুনের ঘটনা নতুন নয়, কিন্তু গত বিধানসভা নির্বাচন ও পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর একাধিক বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকদের খুনের ঘটনায় চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছিল রাজ্যে। 

    মৃতের পরিচয় (Manteswar)

    গত ১৩ মে সোমবার লোকসভা ভোটের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের বুথ এজেন্ট ছিলেন অভিজিৎ রায়। তিনি মন্তেশ্বরের (Manteswar) ১৬৮ নম্বর বুথে বিজেপির বুথের দায়িত্বে ছিলেন। আজ বৃহস্পতি বার সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। মাটির দেওয়ালে ঠেস দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ফেলা ছিল দেহ। তাঁর দেহে ছিল না জামা, পরনে কেবল অন্তর্বাস, গালায় ক্ষতচিহ্ন। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, ভোটের আগের দিন অভিজিৎ রায়কে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হুমকি দিয়েছিল। এই ভোটে বিজেপি জয় লাভ করবে, তাই ভয় পেয়ে পরিকল্পনা করে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি।

    আরও পড়ুনঃ দ্রুত বদলে যাচ্ছে তিস্তা নদীর গতিপথ, চিন্তার ভাঁজ সেচ দফতরে!

    স্থানীয় বিজেপি নেতার বক্তব্য

    বর্ধমান জেলার (Manteswar) এক বিজেপির নেতার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “আমরা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত যে এই খুনের পিছনে তৃণমূল কর্মীরা রয়েছে। এই এলাকার তৃণমূল নেতা তোতা খান, সাবির খান একদিন আগেই হুমকি দিয়েছিল। এবারে মানুষ ভোটটা দিতে পেরেছে এটা বড় বিষয়। তৃণমূল হারবে জেনেই এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করতে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।” তবে ঘটনায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে এখনও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: মমতার সফরের আগে দলে বিরাট ভাঙন! খেজুরিতে ৪০০ জন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে

    Purba Medinipur: মমতার সফরের আগে দলে বিরাট ভাঙন! খেজুরিতে ৪০০ জন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মধ্যেই বাংলায় ফের রাজনৈতিক শোরগোল। শুভেন্দুর গড়ে তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসালো বিজেপি। রাজ্যে ইতিমধ্যে চারদফা নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। পঞ্চম দফার নির্বাচনের প্রচার জমে উঠেছে রাজ্যে। আগামী ষষ্ঠ দফা নির্বাচন হল ২৫ মে। এই পর্বে মেদিনীপুর (Purba Medinipur), কাঁথি, তমলুকে ভোট গ্রহণ। আজ বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট প্রচারে কাঁথি যাবেন। কিন্তু এর মধ্যেই খেজুরিতে তৃণমূলের বিরাট ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রায় ৪০০ জন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। পাল্টা তৃণমূল, বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের কথাকেই তুলে ধরেছে। ভোটের মুখে তৃণমূল আরও চাপের মধ্যে পড়েছে।

    পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে (Purba Medinipur)

    জানা গিয়েছে গতকাল সন্ধ্যায় খেজুরিতে (Purba Medinipur) উদয় শঙ্কর মাইতি এবং দেব কুমার মাইতির হাত ধরে প্রায় ৪০০ জন তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেছেন। অবশ্য এই দাবি বিজেপি করলেও তৃণমূলের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছে। বিজেপি নেতা উদয় শঙ্কর মাইতি বলেছেন, “আমার হাত ধরে ৪১৭ জন বিজেপিতে যোগদান করেছেন। অবশ্য আগে ওঁরা সকলেই বিজেপি করতেন। আমি বিজপি ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েছিলাম। তখন আমার সঙ্গে ওঁরাও তৃণমূলে গিয়েছিলেন। আমি আবার বিজেপিতে যোগদান করায় সকলে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। তবে তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে তাই ওঁরা এখন পাগল হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল ভুল কথা বলেছে। ওঁদের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে, রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। কিন্তু বিজেপির মধ্যে কোনও রকম দ্বন্দ্ব নেই।”

    আরও পড়ুনঃ হাওড়া স্টেশনে ব্যস্ত সময়ে মহিলার পেটে ছুরি মেরে খুন! ত্রিকোণ প্রেম? চাঞ্চল্য

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই পরিপ্রেক্ষিতে জেলা (Purba Medinipur) তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “বিজেপি মিথ্যাচার করছে। ৪০ জনকে চারশ জন বলে চালানো হচ্ছে। ওখানে ৪০ জন ছিল কিনা সন্দেহ রেয়েছে। নাটক করে মিথ্যাচার করা হয়েছে। সকলকে উত্তরীয় পরিয়ে যোগদানের নাটক করা হয়েছে। কিন্তু এই সব চলবে না। খেজুরিতে তৃণমূল আছে থাকবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: বসিরহাট এবং দক্ষিণ কলকাতায় তৃণমূল প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিলের দাবি বিজেপির

    BJP: বসিরহাট এবং দক্ষিণ কলকাতায় তৃণমূল প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিলের দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বসিরহাট লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিল চায় বিজেপি। নির্বাচন কমিশনকে এই মর্মে চিঠি দিয়েছেন বিজেপি (BJP) প্রার্থী রেখা পাত্র। মূলত বিজেপির অভিযোগ হল, তৃণমূল প্রার্থী নিজের মনোনয়ন জমা করার সময় প্রয়োজনীয় নো ডিউজ সার্টিফিকেট জমা দেননি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ৩টে পর্যন্ত ছিল জমা করার শেষ সময়। আবার দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল প্রার্থী মালা রায় কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। বিজেপির দাবি, অফিস অফ প্রফিট-এর আওতায় তাঁর মনোনয়ন বাতিল হওয়া উচিত। তিনি সরকারি লাভজনক পদে রয়েছেন। এভাবেই বীরভূমের দেবাশিষ ধরের বদলা চাইছে বিজেপি।

    নির্বাচনী বিধি মানা হয়নি (BJP)

    বিজেপির (BJP) বক্তব্য, নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী, কোনও প্রার্থী শেষ ১০ বছরে যদি কোনও সরকারি পরিষেবা পেয়ে থাকেন এবং সেই সঙ্গে সরকারি বিল যদি বকেয়া থাকে, তাহলে তা মিটিয়ে দিতে হয়। হাজি নুরুলের সরকারের ঘরে কোনও রকম বকেয়া যে নেই, তা হলফনামায় জানানোর কথা ছিল। কিন্তু তিনি ২০১৪ সালের ১৮ মে পর্যন্ত লোকসভার সদস্য ছিলেন। ২০২৪ সালের ১৮ মে তাঁর ১০ বছর সম্পূর্ণ হয়েছিল। মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ১২ দিন আগে। কিন্তু নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী তাঁরও নো ডিউজ় সার্টিফিকেট দেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল। আবার দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি প্রার্থী মালা রায় পুরসভার চেয়ারপার্সন পদে ইস্তফা না দিয়ে লোকসভা ভোটের মনোনয়ন করেছেন। তিনিও লাভজনক পদে রয়েছেনদুই ক্ষেত্রে নির্বাচনী বিধি মানা হয়নি।

    বিজেপির বক্তব্য

    বীরভূমে প্রথমে বিজেপি (BJP) প্রার্থী হয়েছিলেন প্রাক্তন আমলা দেবাশিষ ধর। মনোনয়ন জমা করার পর রাজ্য সরকারের নো ডিউজ সার্টিফিকেট না থাকায় তাঁর মনোনয়ন বাতিল করেছিল কমিশন। বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুলের মনোনয়ন যাতে বাতিল হয় তার জন্য আমরা কমিশনে জানিয়েছি। যা আইন এবং নির্বাচনবিধি তা মেনে কাজ হয়নি। আমাদের প্রার্থী দেবাশিষ ধরের মনোনয়নও বাতিল হয়েছে। আমরা শেষ পর্যন্ত লড়ব। প্রয়োজনে হাইকোর্টে, সুপ্রিম কোর্টে যাব। একই ভাবে মালা রায় কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন। যা ‘অফিস অফ প্রফিট’-এর আওতাধীন। তাঁর মনোনয়ন বাতিল হওয়া উচিত। তিনি লাভজনক পদে রয়েছেন।”

    আরও পড়ুনঃ ভগবানপুরে কান কাটা হল বিজেপি কর্মীর, বোলপুরে বাড়িতে আগুন, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “স্ক্রুটিনির শেষ পর্যন্ত তথ্য জমা করা যায়। বুধবার স্ক্রুটিনির শেষ দিন। তার মধ্যেই সব জমা করা হবে। বিজেপির স্বপ্ন পূরণ হবে না।” আবার মালা রায়কে প্রশ্ন করলে উত্তরে বলেন, “আমি ২০১৯ সাল থেকে সাংসদ। আইন বহির্ভূত কোনও কাজ করা হয়নি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ভোটের মরশুমে পাহাড় থেকে সাগরে গানে গানে শান্তির বার্তা বাউল শিল্পীর

    South 24 Parganas: ভোটের মরশুমে পাহাড় থেকে সাগরে গানে গানে শান্তির বার্তা বাউল শিল্পীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের লক্ষ্যে বন্দর শহর ডায়মন্ডহারবার ভাসলো বাউল শিল্পী স্বপন দত্তের সুরে। সারা দেশে ভোট গণতান্ত্রিক উৎসব হলেও এই রাজ্যে ভোট কেবল মাত্র হিংসা, হানাহানি-মারামারি এবং সন্ত্রাসের চিত্র লক্ষ করা যায়। তাই এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas) গানের মাধ্যমে অভিনব প্রচার লক্ষ্য করা গেল বাউল শিল্পীর গানে। 

    গানে গানে শান্তির বার্তা (South 24 Parganas)

    বিগত রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা হানাহানি ব্যালট পুড়িয়ে দেওয়া, ব্যালট পুকুরে ফেলা, বোমাবাজি, একাধিক মায়েরকোল খালি হওয়া ছবিগুলো নাড়া দিয়েছিল রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত বাউল শিল্পী স্বপন দত্তকে। আর তাই ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন যাতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে হয় সেই বার্তাকে সামনে রেখে বিভিন্ন জেলা ঘুরে বেড়াচ্ছেন পূর্ব বর্ধমানের বাউল শিল্পী স্বপন দত্ত। পাহাড় থেকে সাগর, এভাবেই তিনি ভোটের সচেতনতা এবং শান্তির বার্তা দিচ্ছেন। এবার প্রচার করছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas)।

    গানের  কথা ও সুরে কমিশনকে বার্তা

    বাউল শিল্পী স্বপন দত্ত তাঁর কথায় ও গানের সুরে বলেছেন, “নির্বাচন কমিশনকে আরও কঠোর হতে হবে, প্রশাসনকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।” অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের লক্ষ্যে এমনই গান বেঁধেছেন তিনি। এবার তাঁর গানের সুরেই ভাসলো বন্দর শহর ডায়মন্ডহারবার (South 24 Parganas)। কখনও নদীর ধার কখনও বা রেলস্টেশন, কখনও আবার জনবহুল বাজারে মানুষের মাঝে পৌঁছে যাচ্ছেন এই বাউল শিল্পী।

    আরও পড়ুনঃ ভগবানপুরে কান কাটা হল বিজেপি কর্মীর, বোলপুরে বাড়িতে আগুন, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    কী বললেন বাউল শিল্পী

    শিল্পীর একতারার সুরে ফুটে উঠছে ভোট দানের কথা। বাউল শিল্পী স্বপন দত্ত বলেছেন, “একটি ভোটের মূল্য অনেক, শান্তিপূর্ণ ভোট দাও হিংসা হানাহানি, বোমাবাজি কেউ করোনা। সকাল-সকাল ভোটের লাইনে যাও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দাও।” ঠিক এইভাবে ইতিমধ্যেই ২৩টি জেলার প্রচার সেরে ফেলেছেন তিনি। ২০১৬ সালে সমাজ সচেতনতার নিরিখে তিনি রাষ্ট্রপতির পুরস্কার পেয়েছিলেন। যা তাঁকে আরও বেশি করে উদ্বুদ্ধ করেছে। আর এই ভাবেই একের পর এক জেলায় অবাদ শান্তিপূর্ণ ভোটদানের বার্তা নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন বাউল শিল্পী স্বপন দত্ত। তাঁর প্রচারে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে সাধারণ মানুষের মনে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “তৃণমূল নেতাদের বাড়ি গিয়ে কলার ধরে টাকা আদায় করুন”, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “তৃণমূল নেতাদের বাড়ি গিয়ে কলার ধরে টাকা আদায় করুন”, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) নিয়ে রাজ্যের তৃণমূল সরকার বিরাট চাপের মুখে। এই মামলায় আপাতত সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। এখনও চাকরি থাকলেও ১৬ জুলাই সুপ্রিম কোর্টে ফের শুনানি রয়েছে। এরপরই প্রকৃত ভাগ্য নির্ধারণ হবে চাকরি প্রার্থীদের। ভোট প্রচারের আবহেই পথসভায় বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “টাকা দিয়ে পাওয়া চাকরি বেশি দিন বাঁচবে না।”

    ঠিক কী বললেন সুকান্ত(Sukanta Majumdar)?

    সোমবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার কোতুলপুর নেতাজী মোড়ে বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁর সমর্থনে একটি পথসভায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “টাকা দিয়ে দুর্নীতি করে পাওয়া চাকরি বেশি দিন টিকবে না। এটাই সুযোগ, তাই তৃণমূল নেতাদের বাড়ি গিয়ে কলার ধরে টাকা আদায় করুন। একা না পারলে সঙ্গে বিজেপির কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে যান। বিজেপি ঝান্ডা এবং ডান্ডা নিয়ে গিয়ে সেই টাকা উদ্ধার করে দেবে।”

    আরও পড়ুনঃ দলীয় প্রার্থী প্রসূনকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদের, ভোটের মুখে কোন্দল প্রকাশ্যে

    আর কী বললেন?

    টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার প্রতিবাদে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) আরও বলেন, “বেকার ছেলেদের অনেকে জমি বিক্রি করে চাকরির জন্য তৃণমূল নেতাদের টাকা দিতে হয়েছে। এখন চাকরি চলে গেলে তাঁরা কী করবেন? তাঁকে তো টাকাটা আদায় করতেই দিতে হবে। সে একা না পারলে আমরাও সঙ্গে যাব। উল্টো করে ঝুলিয়ে বমি করিয়ে টাকা বের করব।” পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি আরও বলেন, “এখন বিজেপির পক্ষে হাওয়া, এরপর সুনামি আসবে। তাই আগেভাগে ঘুরে যান। এবার ৩০ এর উপর আসন পেলে এক বছরের মধ্যে নবান্নে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী বসবে। হামলা হলে ব্যবস্থা নিন। না হলে বিজেপি ব্যবস্থা নেবে।” পাল্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকে সমালোচনা করা হয়েছে। তৃণমূলের দাবি সুকান্ত সমাজে উস্কানি দিচ্ছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Asansol: তৃণমূল মন্ত্রীর ভাইয়ের ওয়ার্ডে চলেছে দেদার ছাপ্পা ও ভোট লুট, অভিযোগ বিজেপির

    Asansol: তৃণমূল মন্ত্রীর ভাইয়ের ওয়ার্ডে চলেছে দেদার ছাপ্পা ও ভোট লুট, অভিযোগ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের চতুর্থ দফা নির্বাচনে ছাপ্পার অভিযোগে ফের একবার শোরগোল পড়ল আসানসোলে (Asansol)। এলাকায় ভোটদানে বাধা দিয়ে বলা হয় ভোটদান হয়ে গিয়েছে। ঘটনা ঘটেছে ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের চেলিডাঙা ব্যারট ক্লাব এলাকায়। এই এলাকার নেতা মন্ত্রী মলয় ঘটকের ভাই অভিজিৎ ঘটক। বিজেপির অভিযোগ তাঁর নেতৃত্বে এলাকায় দেদার ছাপ্পা হয়েছে। ভোট কেন্দ্রে পিসাইডিং অফিসার নিজে বলেছেন ভোট হয়ে গিয়েছে। এলাকায় ভুয়ো ভোটার এনে এলাকায় ভোট দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল বলেছে, শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। এলাকায় বিজেপি অশান্তি সৃষ্টি করেছে।

    অপর দিকে নদিয়া, মুর্শিদবাদ এবং বর্ধমানের লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে শাসক দলের বিরুদ্ধে ভোট লুট, বিরোধী এজেন্ট বসতে না দেওয়া, ছাপ্পা সহ একাধিক অভিযোগের কথা জানিয়েছে বিজেপি। ভোটের আগের দিন কেতুগ্রামে এক ব্যক্তিকে খুনের ঘটনা ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য (Asansol)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “এই বুথে (Asansol) মৃত লোকের ভোট দেওয়া হয়েছে। এলাকার সাধারণ ভোটার সুরেশ প্রসাদ বলেছেন তিনি ভোট দিতে এসে শুনেছেন তাঁর ভোট দেওয়া হয়ে গিয়েছে। আমাদের খবর দিলে আমরা এগিয়ে এসেছি এই বুথে। আমরা বলেছি টেন্ডার ভোট করাতে হবে। ইতিমধ্যে প্রিসাইডিং অফিসার, সেক্টর অফিসারকে জানিয়েছি।”

    আরও পড়ুনঃ৬৩ শতাংশ মুসলিম ভোটে কেন মুসলিম সাংসদ নয়? হুঁশিয়ারি হুমায়ুনের

    তৃণমূলের বক্তব্য

    পাল্টা এলাকার (Asansol) তৃণমূলেরে যুব নেতা পিন্টু কর্মকার বলেছেন, “বিজেপি শান্তিপূর্ণ ভোটকে নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। বুথের মধ্যে ঢুকে ঝামেলা করছে তাই এই রকম অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।” ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ালে ঘটনাস্থলে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে উপস্থিত হয়। উল্লেখ্য এই ওয়ার্ডের বাসিন্দা হলেন রাজ্যের তৃণমূলের নেতা তথা মন্ত্রী মলয় ঘটকের ভাই অভিজিৎ ঘটক। তাঁর নির্দেশেই এই ভোট লুটের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ৬৩ শতাংশ মুসলিম ভোটে কেন মুসলিম সাংসদ নয়? হুঁশিয়ারি হুমায়ুনের

    Murshidabad: ৬৩ শতাংশ মুসলিম ভোটে কেন মুসলিম সাংসদ নয়? হুঁশিয়ারি হুমায়ুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহরমপুরের (Murshidabad) টানা ৫ বারের সাংসদ কংগ্রেসের প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তাঁকে নির্বাচনে হারাতে তৃণমূল ময়দানে নামিয়েছে ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে। পাল্টা বিজেপি প্রার্থী করেছে নির্মল কুমার সাহাকে। তৃণমূলও নিজের ভোট ব্যাঙ্ককে লুফে নিতে বাংলার বাইরের মুসলমান প্রার্থীকে দিয়েছে এই কেন্দ্রে। যদিও ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আগেই ৩০-৭০ শতাংশের কথা বলে জেলার হিন্দুদের বিরাট হুমকি দিয়েছিলেন। এবার আজ বলেছেন, “ইসুউফ পাঠান মুসলমান তাই তৃণমূল এজেন্টদের বসতে দেওয়া হচ্ছে না।” এই বক্তব্যে ফের এরকবার সাম্প্রিদায়িক উস্কানি দিলেন বলে মনে করছেন রাজনীতির একাংশের মানুষ।

    ঠিক কী বললেন হুমায়ুন (Murshidabad)

    আজ বহরমপুরে (Murshidabad) চতুর্থদফা নির্বাচনের দিনে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, “শক্তিপুর এলাকায় পুরো ভোটটা মেরুকরণ হয়েছে। কারণ যারা হিন্দু তারা বিজেপিতে ভোট দিয়েছেন। এই হিন্দুরা এতদিন অধীর চৌধুরীর শেল্টারে ছিলেন। তাঁর কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছেন। লোকসভার ভোটে অধীরকেই ভোট দিতো সকলে। বাকি সময়ে সকলে বিজেপি করত, সিপিএম করত আবার তৃণমূলও করত।” এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “ইউসুফ পাঠান যেহেতু মুসলমান তাই তৃণমূলের কোনও এজেন্ট বসতে দেবে না। কিন্তু ইউসুফকে যিনি প্রার্থী করেছেন তিনি হিন্দু নেত্রী। ৬৩ শতাংশ মুসলমানদের ভোট নিয়ে কোনও মুসলমান কেন সাংসদ হতে পারবেন না? এটা ভারতের কোন সংবিধানে বসবাস করছি। যদি হিন্দুত্বকে হাতিয়ার করা হয় তাহলে আমরা মুসলমানের মুসলিমত্বকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করব। ৯০ শতাংশ ভোট দিয়ে ইউসুফকে আড়াই লক্ষ ভোটে বিজেপি এবং কংগ্রেসকে হারাব।”

    আরও পড়ুনঃ যে আদালতে ছিলেন ধর্মাবতার, এখন সেখানেই বিচারপ্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    আগে কী বলেছিলেন?

    নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কয়েক দিন আগে হুমায়ুন নিজে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সংখ্যালঘু হিন্দু ভোটারদের তীব্র হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “২ ঘণ্টার মধ্যে যদি তোমাদের ভাগীরথীতে না ফেলতে পারি রাজনীতি থেকে সরে যাব। শক্তিপুর এলাকায় বসবাস করা বন্ধ করে দেব। তোমরা হাতির পাঁচ পা দেখেছো? কিন্তু যদি ভেবে থাকো, ৩০ শতাংশ লোক মুর্শিদাবাদ জেলায় আমরা ৭০ শতাংশ। এখানে কামনগরে তোমরা বেশি আছো বলে কাজিপাড়ার মসজিদ ভাঙবে? আর বাকি এলাকায় মুসলিম ভাইয়েরা হাত গুটিয়ে বসে থাকবে এটা কোনও দিন হবে না, বিজেপিকে আমি বলছি।” এরপর তাঁকে নির্বাচন কমিশন শোকজ করেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share