Tag: Election Commission of India

Election Commission of India

  • ECI: লক্ষ্য রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা, নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগেই রোজকার রিপোর্ট তলব নির্বাচন কমিশনের

    ECI: লক্ষ্য রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা, নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগেই রোজকার রিপোর্ট তলব নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI)। সিইও অফিস নয়, নিজেদের নেটওয়ার্কের মাধ্যমেই তারা জোগাড় করে ফেলেছিল ভিডিওগ্রাফি সমেত সন্দেশখালির পুঙ্খানুপুঙ্খ সব তথ্য। এবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ইতিহাসে এই প্রথমবার তারা যে নির্দেশিকা জারি করল, তাতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা কোন পর্যায়ে গিয়েছে, তার পরিষ্কার একটা ছবি ধরা পড়ছে।। কারণ নির্বাচন কমিশনের ইতিহাসে এই প্রথমবার নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার এত আগে থেকে মিডিয়া মনিটরিং শুরু করে দিল তারা। বৈদ্যুতিন মাধ্যম, খবরের কাগজ এবং ডিজিটাল মিডিয়ায় রাজ্যে প্রতিদিন কী খবর হচ্ছে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তার সবিস্তার রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

    রিপোর্ট পাঠানো শুরু

    কলকাতা উত্তর এবং দক্ষিণ সহ রাজ্যের মোট ২৪ টি জেলার রিপোর্ট পাঠানো শুরু হল বুধবার থেকেই। কেবলমাত্র তাই নয়, জাতীয় নির্বাচন কমিশন নির্দিষ্ট করে দিয়েছে মোট সাতটি পয়েন্ট। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, ফেক নিউজ সহ অন্যান্য সবকিছুই। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব কখন, কোথায় কে কী বলছে, সেটাও বিস্তারিতভাবে পাঠাতে হবে নির্বাচন কমিশনে। নির্বাচন কমিশনের কাছে এর আগে এতদিন এইসব রিপোর্ট পাঠাতে হত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার পর থেকে। কিন্তু এই প্রথমবার এত আগে থেকেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI) রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এবং সম্পূর্ণ রিপোর্ট হাতে নিয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    ফেব্রুয়ারি মাসে কমিশনের ফুল বেঞ্চ

    নির্বাচনী বিধির লাগু হওয়ার পর এতদিন ধরে বা এত বছর ধরে যে রিপোর্ট পাঠাত রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর, বুধবার থেকে সেই রিপোর্ট পাঠাতে হবে প্রতিদিন। এই রিপোর্ট পাঠানোর ক্ষেত্রে থাকছে না কোন ছুটি। এমনকী জাতীয় ছুটির দিনেও এই রিপোর্ট পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ ইতিমধ্যেই অন্ধ্রপ্রদেশে রয়েছে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব মঙ্গলবারই দিল্লি গিয়েছেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করতে। কমিশন সূত্রে খবর, চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ অথবা ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহেই রাজ্যে আসতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ (ECI)। যদিও রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর থেকে ইতিমধ্যেই সব জেলা থেকে রিপোর্ট নেওয়া শুরু করেছে প্রতি সপ্তাহেই। কোন কোন এলাকায় উত্তেজনাপ্রবণ বুথ রয়েছে, পাশাপাশি তার জন্য এখন থেকেই জেলা নির্বাচনী আধিকারিকরা সেক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন, সেই সব কিছুই।

    জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের কড়া নির্দেশ

    অন্যদিকে জাতীয় নির্বাচন কমিশন এবার বিশেষভাবে উদ্যোগ নিচ্ছে, জামিন অযোগ্য ধারায় যারা এখনও পর্যন্ত এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাদের নিজেদের আওতায় রাখতে। নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার পর আর কোনও ভাবেই যেন তারা বাইরে থাকতে না পারে, সে বিষয়ে কমিশন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সহ প্রত্যেক জেলার জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের কড়া নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যে এখনও পর্যন্ত আশি হাজারের বেশি বুথ রয়েছে, যার মধ্যে ৪৭ শতাংশ শ্যাডো জোনের মধ্যে রয়েছে। যেখানে এখনও পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI) সূত্রে খবর, যে কোনও মূল্যে ১০০ শতাংশ বুথেই এবার ব্রেক কাস্টিং করা হতে পারে। সম্প্রতি রাজ্যে ঘটে যাওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে সমস্ত ঘটনা ঘটেছে, তারপর জাতীয় নির্বাচন কমিশন আর কোনও ভাবেই ন্যূনতম খামতি রাখতে চাইছে না। ফলে কমিশনের এইসব পদক্ষেপ এখন থেকেই বুঝিয়ে দিচ্ছে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচন এই রাজ্যে এবার কোন রূপ নিতে চলেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Election Commission Of India: আইনশৃঙ্খলার সাপ্তাহিক রিপোর্ট পাঠাতে হবে, জেলায় নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের 

    Election Commission Of India: আইনশৃঙ্খলার সাপ্তাহিক রিপোর্ট পাঠাতে হবে, জেলায় নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা ভোট (Loksabha Election 2024)। ভোটের সময় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটুক, চায় না জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission Of India)। তাই এখন থেকেই নজরদারি শুরু করে দিল তারা। সব জেলা প্রশাসনের কাছে নির্দেশ, আইনশৃঙ্খলার সাপ্তাহিক রিপোর্ট পাঠাতে হবে কমিশনকে। জেলায় জেলায় কোনও হিংসার ঘটনা ঘটলেই রিপোর্ট দিতে হবে। সম্প্রতি  রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ওই বৈঠকেই জেলাশাসকদের এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    কী বলছে কমিশন

    কমিশন সূত্রের দাবি, ৫ জানুয়ারি থেকে রিপোর্ট পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে জেলাশাসকদের। সাধারণত, ভোটের ছ’মাস আগে থেকে আইনশৃঙ্খলার রিপোর্ট নিতে শুরু করে কমিশন (Election Commission Of India)। তাতে গত নভেম্বর-ডিসেম্বর থেকে আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত জেলায় জেলায় পরিস্থিতির তথ্য দেওয়ার কথা। এ ছাড়াও ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু করে প্রতি সপ্তাহের সবিস্তার তথ্য পাঠাতে হবে। পাশাপাশি, অতীতের কোন ভোটে কোনও বুথে ৯০ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে থাকলে, সেই তথ্যও জানানোর কথা জেলা-কর্তাদের। ভোট বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সাধারণ আইনশৃঙ্খলা ছাড়াও, জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ, অস্ত্র উদ্ধার, অতীতের ভোটগুলিতে গোলমাল পাকানো ব্যক্তিদের এখনকার তথ্য ইত্যাদি সবই জানাতে হবে প্রতি সাত দিন অন্তর।

    আরও পড়ুন: বিশ্ব অর্থনীতির ট্র্যাকে পয়লা নম্বরেই থাকবে ভারত! পূর্বাভাস রাষ্ট্রপুঞ্জের

    ভোট প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক

    বছরের শুরুতেই লোকসভা ভোট প্রস্তুতি নিয়ে জেলাশাসক দের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। নির্ভুল ভোটার তালিকা যাতে তৈরি হয় সে বিষয়েও জেলাশাসকদের ফের সতর্ক করলেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। পাশাপাশি ভোট কেন্দ্রগুলির কী পরিস্থিতি, নির্বাচন কমিশনের গাইড লাইন অনুযায়ী স্কুলগুলির পরিকাঠামো ঠিকঠাক আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ৬ মাস আগেই লোকসভা ভোট! কী বললেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার?

    Lok Sabha Election 2024: ৬ মাস আগেই লোকসভা ভোট! কী বললেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘এক দেশ এক ভোট’ ইস্যুতে সংবিধান মেনে চলার বার্তা দিলেন নির্বাচন কমিশন। বিধানসভা নির্বাচন এবং লোকসভা ভোট একসঙ্গেই করতে চায় কেন্দ্র সরকার। এ প্রসঙ্গে ইতিমধ্যে বিশেষ কমিটিও গঠন করেছে সরকার। বুধবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,  ‘‘আইনের মধ্যে থেকে আমরা নির্বাচন করতে প্রস্তুত।’’

    নির্বাচন কমিশনের অভিমত

    সামনেই মধ্য প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। তার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বুধবার ভোপালে পৌঁছন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন,  ‘‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন শেষ করে ফেলাই আমাদের কাজ। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন মেনে সংবিধান আমাদের যে অধিকার দিয়েছে, তা অনুযায়ী আমরা নির্বাচন সংগঠন করে থাকি।’’ একইসঙ্গে রাজীব কুমার আরও বলেন, ‘‘এই জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী, সরকারের পাঁচ বছরের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার ছয় মাস আগেই নির্বাচন করা যায়। রাজ্য বিধানসভাগুলির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। সংবিধান এবং এই জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের আওতায় থেকে আমরা নির্বাচন করার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘যোগ্য জবাব দেওয়া প্রয়োজন’’! সনাতন ধর্ম বিতর্কে মুখ খুললেন মোদি

    নির্বাচন নিয়ে জল্পনা

    মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের এই মন্তব্যের পরই আবার আলোচনা শুরু হয় তাহলে কি এগিয়ে আসতে চলেছে লোকসভা ভোট? যদিও এ প্রসঙ্গে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি রাজীব কুমার। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যে সেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে কমিশন (Chief Election Commissioner)।  ডিসেম্বরে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট। গত প্রায় বেশ কয়েক বছর ধরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের গলায় নানাভাবে এই এক দেশ এক নির্বাচন প্রক্রিয়ার কথা শোনা গিয়েছে। এই প্রস্তাব কার্যকর হলে একইসঙ্গে বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচন হতে পারে দেশে। এই পদক্ষেপে একদিকে যেমন নির্বাচনের খরচ এক ধাক্কায় অনেকটা কমবে। আবার, নির্বাচিত সরকারগুলিও কাজ করার জন্য বেশি সময় পাবে। বাড়বে কেন্দ্র-রাজ্য সম্বন্বয়। আর তাই এক দেশ এক ভোটের পক্ষে সওয়াল করছে শাসকদল। প্রসঙ্গত, আগামী ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডাকা হয়েছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। সেই অধিবেশন চলাকালীন এই এক দেশ এক নির্বাচন প্রস্তাব আনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NCP: ‘আসল এনসিপি’ কে? শরদের পাল্টা চালে মহারাষ্ট্রে অগ্নিপরীক্ষার মুখে অজিত

    NCP: ‘আসল এনসিপি’ কে? শরদের পাল্টা চালে মহারাষ্ট্রে অগ্নিপরীক্ষার মুখে অজিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে মহা নাটক। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি হিসাবে ভাইপো অজিত পাওয়ার-সহ নয় বিদ্রোহী বিধায়কের বিধায়ক পদ খারিজের আর্জি জানালেন এনসিপি (NCP) নেতা শরদ পাওয়ার। রবিবারই বিজেপি-শিবসেনার সরকারের মন্ত্রিসভায় যোগ দেন এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার সহ একাধিক বিধায়করা।

    জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি

    এনসিপি সূত্রে খবর, শরদ পাওয়ারের (SHARAD PAWAR) দল এনসিপির (NCP) তরফে ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রের বিধানসভার স্পিকারের কাছে পিটিশন দাখিল  করা হয়েছে। রবিবার অজিত পাওয়ার (Ajit Pawar)সহ এনসিপির যে ৯ জন নেতা শিবসেনা-বিজেপি সরকারে মন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেছেন, তাদের বিধায়ক পদ খারিজ করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন রাহুল নারভেকর। পাশাপাশি, দলের তরফে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছেও চিঠি লিখে জানানো হয়েছে যে এনসিপির প্রধান শরদ পাওয়ারই। ১৯৯৯ সালে তিনি এই দল প্রতিষ্ঠা করেন, তারপর থেকে দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন এবং এখনও দলের নেতৃত্বে কোনও পরিবর্তন আসেনি। অজিত পাওয়ারের শিবিরের কোনও আবেদন শোনার আগে যেন শরদ পাওয়ারের শিবিরের বক্তব্য শোনা হয়, সেই অনুরোধও জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনের কাছে।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের উপরে উড়ছে রহস্যজনক ড্রোন! তদন্ত শুরু দিল্লি পুলিশের

    ৪০ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে দাবি অজিতের

    দল বিরোধী আইনে শাস্তি পাওয়া থেকে বাঁচতে অজিত পাওয়ারের কমপক্ষে ৩৬ জন বিধায়কের সমর্থন চাই। বিজেপি (BJP) সূত্রে খবর, অজিত পাওয়ার দাবি করেছেন বিধানসভায় এনসিপির (NCP) যে ৫৩জন বিধায়ক রয়েছে, তার মধ্যে ৪০ জনেরই সমর্থন রয়েছে তাঁর সঙ্গে। দলের নাম এবং প্রতীকেই তাঁরা আগামী সব নির্বাচনে লড়বেন, বলেও জানান অজিত। মনে করা হচ্ছে, শিবসেনার মতোই এ বার এনসিপির ‘স্বত্বাধিকার’ নিয়েও লড়াইয়ে নামতে চলেছেন কাকা শরদ এবং ভাইপো অজিত। রবিবার দুপুরে হঠাৎই নাটকীয়ভাবে অনুগামী বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে রাজভবনে যান অজিত। তার পরই হাত মেলান শিন্ডে-বিজেপি (Shinde) সরকারের সঙ্গে। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন পাওয়ারের ভাইপো। তাঁর সঙ্গে আরও আট এনসিপি বিধায়ক শপথগ্রহণ করেন। তাঁরা হলেন ছগন ভুজবল, দিলীপ ওয়ালসে পাতিল, অদিতি টাটকারে, ধনঞ্জয় মুন্ডে, হাসান মুশারিফ, ধরমরাজ বাবারাও আতরাম, সঞ্জয় বাঁসোদে এবং অনিল ভাইদাস পাতিল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Assembly Elections 2023: কবে বিধানসভা নির্বাচন ত্রিপুরা-মেঘালয়-নাগাল্যান্ডে? আজই ঘোষণা করবে কমিশন

    Assembly Elections 2023: কবে বিধানসভা নির্বাচন ত্রিপুরা-মেঘালয়-নাগাল্যান্ডে? আজই ঘোষণা করবে কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খুব শীঘ্রই উত্তর-পূর্ব ভারতে ভোটের দামামা বাজতে চলেছে। নির্বাচন কমিশন আজ দুপুরেই ত্রিপুরা (Tripura), মেঘালয় (Meghalaya) ও নাগাল্যান্ডের (Nagaland) বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করতে চলেছে। আজ দুপুর আড়াইটে নাগাদ দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে তিন রাজ্যের নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করবে কমিশন। উল্লেখ্য, এই তিন রাজ্যের বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি বছরের মার্চেই।

    দেশের তিন রাজ্যের ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা আজই

    আগামী ১২ মার্চ নাগাল্যান্ড বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। মেঘালয় এবং ত্রিপুরা বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে যথাক্রমে ১৫ মার্চ এবং ২২ মার্চ। ফলে উপরিউক্ত তারিখের মধ্যেই ভোট করতে হবে রাজ্যগুলিতে। সেইমতই তিন রাজ্যের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রের খবর, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের নেতৃত্বে কমিশনের ফূল বেঞ্চ সম্প্রতি নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা ও মেঘালয় সফর করেছে।

    এই তিন রাজ্যের নির্বাচেনর দিনক্ষণ নিয়ে বহুদিন ধরেই জল্পনা চলছিল। তারই মধ্যে নির্বাচন কমিশন দিয়ে দিল নির্বাচনের বার্তা। সমস্ত জল্পনার অবসান করে আজ নির্বাচন কমিশন একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এই সাংবাদিক বৈঠকের কথা। তবে এখনও পর্যন্ত ভোটের তারিখ ঘোষণা করা না হলেও ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। এবারে এই তিন রাজ্যের মধ্যে মেঘালয় এবং ত্রিপুরায় নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

    আরও পড়ুন: ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ২৫টি আসন পাবে বিজেপি! দাবি সুকান্তর

    কোন রাজ্যে কোন সরকার রয়েছে?

    এই তিন রাজ্যের মধ্যে নাগাল্যান্ডে চলছে সর্বদলীয় সরকার। সেখানে বিধানসভায় কোনও বিরোধী দল নেই। মেঘালয়ে চলছে বিজেপি ন্যাশনাল পিপলস পার্টির জোট সরকারের শরিক। তবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দুই দল আলাদা লড়াই করবে বলে ঠিক আছে। অন্যদিকে, ত্রিপুরায় বিজেপি রয়েছে ক্ষমতায়। অন্যদিকে, বিরোধী শিবিরের দুই প্রধান দল কংগ্রেস ও সিপিএম জোট করে লড়াই করার পথে হাঁটছে। তবে ত্রিপুরায় ২০২৩-এও ফের গেরুয়া ঝড় উড়বে এই নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বিজেপির শীর্ষনেতৃত্ব। আবার ইতিমধ্যেই বিজেপির বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেসও।

    এই তিন রাজ্য সহ ২০২৩-এ মোট ৯টি রাজ্যে ভোট হবে। তার মধ্যে নাগাল্যান্ড, মেঘালয় ও ত্রিপুরার ভোট ঘোষণা আজ হতে চলেছে। এরপর ভোট রয়েছে কর্ণাটকে। তারপর ভোট হওয়ার কথা মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মিজোরাম ও তেলেঙ্গানায়। ডিসেম্বরে ভোট হওয়ার কথা জম্মু ও কাশ্মীরেও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Election Commission of India: রাজ্যের বাইরে থেকেও দেওয়া যাবে ভোট! ‘রিমোট ভোটিং’ চালু জাতীয় নির্বাচন কমিশনের

    Election Commission of India: রাজ্যের বাইরে থেকেও দেওয়া যাবে ভোট! ‘রিমোট ভোটিং’ চালু জাতীয় নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পড়াশোনা বা চাকরির জন্যে রাজ্যের বাইরে আছেন, ফলে নিজের জায়গায় গিয়ে ভোট দিতে পারছেন না? তবে এবারে আর চিন্তা নেই, এই সমস্যার সমাধান নিয়ে এসেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। নিজের লোকসভা বা বিধানসভা কেন্দ্র ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ায় ভোট না পারার সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নিচ্ছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এবার থেকে রিমোট ভোটিং (Remote Voting) পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা যাবে বলে খবর জাতীয় নির্বাচন সূত্রে খবর। বৃহস্পতিবারই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে কমিশনের তরফ থেকে। এই পদ্ধতি বোঝাতে সব রাজনৈতিক দলকে ডেকেছে কমিশন। আগামী ১৬ জানুয়ারি সব দলের কাছে ওই পদ্ধতি বর্ণনা করা হবে।

    রিমোট ভোটিং চালু করার সিদ্ধান্ত জাতীয় নির্বাচন কমিশনের

    কমিশন সূত্রে খবর, একটি বিশেষ ধরনের ইভিএম, মাল্টি কনস্টিটুয়েন্সি ইভিএম প্রস্তুত করা হয়েছে, যার মাধ্যমে যে কোনও জায়গা থেকে নিজের কেন্দ্রে ভোট দেওয়া যাবে। উন্নত প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আগামী লোকসভা নির্বাচন (২০২৪) থেকে এমন ‘রিমোট ভোটিং’-এর বন্দোবস্ত করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৬ জানুয়ারি রাজনৈতিক দলগুলির সামনে এই ইভিএম কী ভাবে কাজ করে, তা হাতে কমলে দেখাবেন কমিশনের পদস্থ কর্তারা। তাঁদের দাবি, এই মেশিনের মাধ্যমে একসঙ্গে ৭২টি কেন্দ্রের ভোট দেওয়া যাবে। পাশাপাশি, এই ইভিএম চালানোর জন্য কোনও কানেকটিভির প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছে কমিশন।

    রিমোট ভোটিং চালু করার উদ্দেশ্য কী?

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ২০১৯-র লোকসভা নির্বাচনে ৬৭.৪ শতাংশ ভোট পড়েছিল। সেই বার দেশের প্রায় ৩০ কোটি মানুষ ভোট দিতে পারেননি। ভোটের দিন নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে ছিলেন না তাঁরা। কমিশনের এক কর্তা জানিয়েছেন, বহু মানুষই কাজ ও উচ্চ শিক্ষার প্রয়োজনে ভিন রাজ্যে যান। ভোটের দিন এদের সকলের বাড়ি ফিরে আসা সবসময় সম্ভব নয় না। কারণ এটা খরচ সাপেক্ষ। এই জায়গা থেকেই নতুন এই ইভিএম তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সমস্ত ভোটারই যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন, সেটা নিশ্চিত করাই কমিশনের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন তিনি।

    রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা

    জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এই উদ্যোগ নিয়েও দেশের অনেক রাজনৈতিক দল বিরোধিতা করেছে। এই পদক্ষেপ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছে বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের নেতারা। তাঁদের কথায়, কোনও ব্যক্তি নিজের কেন্দ্র ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে ভোট দিলে ওই কেন্দ্রে তাঁর ভোট কোনও ভুয়ো ভোটার দিতে পারেন। এক্ষেত্রে বড় ধরণের ব়্যাগিংয়ের সম্ভাবনা থাকছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা। যদিও এই বিষয়ে কমিশনের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই পদ্ধতি নিয়ে সব রাজনৈতিক দলগুলির কাছে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে মতামত জানাতে হবে। সেই মত পর্যালোচনা করেই নতুন পদ্ধতি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।

  • BJP: ২০২৪-এর লোকসভার সেমিফাইনাল! চলতি বছরে ৯টি রাজ্যে বিধানসভা ভোট

    BJP: ২০২৪-এর লোকসভার সেমিফাইনাল! চলতি বছরে ৯টি রাজ্যে বিধানসভা ভোট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ এর লোকসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দেবে ২০২৩ এ ভারতের ৯টি রাজ্যের বিধানসভা ভোট। যেখানে শাসক দল বিজেপির (BJP) সঙ্গে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের লড়াই হবে।

    আরও পড়ুন: এখন থেকে উপত্যকায় দেশের সুরক্ষার দায়িত্বে পুরুষদের সঙ্গে থাকবেন মহিলা সিআরপিএফরাও

    আসুন আমরা জেনে নেব ২০২৩ সালে কোন কোন রাজ্যগুলিতে ভোট হবে

    ১) উত্তর-পূর্ব ভারত দখলের লড়াই

     ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মার্চ নাগাদ উত্তর-পূর্ব ভারতের তিনটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেগুলো হলো মেঘালয়, ত্রিপুরা এবং নাগাল্যান্ড।  নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে মিজোরাম রাজ্য ভোট হতে পারে। এর মধ্যে ত্রিপুরা রাজ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP)  ক্ষমতায় রয়েছে। নাগাল্যান্ড এবং মেঘালয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির (BJP)  জোট ক্ষমতায় রয়েছে। মিজোরামে অবশ্য লড়াই হবে কংগ্রেসের সঙ্গে সেখানকার শাসক দল মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্টের।

    ২) কর্নাটক

    কর্নাটক রাজ্যের ভোট অনুষ্ঠিত হবে ২০২৩ সালের মে মাস নাগাদ। এখানেও লড়াই হবে মূলত বিজেপির (BJP) সঙ্গে কংগ্রেসের। আবার দক্ষিণ কর্নাটকে কংগ্রেসের বদলে একটা ফ্যাক্টর হতে পারে জনতা দল (সেকুলার)।

    ৩) তেলঙ্গানা
     
    ভারতের সব থেকে নবীনতম এই রাজ্যে  ২০২৩ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর নাগাদ ভোট হবে।

    ৪) মধ্যপ্রদেশ

     মধ্যপ্রদেশের ও নির্বাচন হবে ২০২৩ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর নাগাদ এবং এখানে লড়াই হবে মূলত শাসক দল বিজেপির (BJP)  সঙ্গে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের।

    ৫) রাজস্থান এবং ছত্তিসগড়
     
    ২০২৩ এর বিধানসভা ভোট হবে এই দুটি রাজ্যে। দুটি রাজ্যেই বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছে দেশের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। তাই এই দুটি রাজ্যকে জিতে তারা পুনরায় ক্ষমতা দখল করতে চায়। কিন্তু রাজস্থানে শচীন পাইলটের সঙ্গে অশোক গেহলটের লড়াইও বেশ জমে উঠেছে। কংগ্রেস বনাম বিজেপি (BJP) তো হবেই এখানে, তার সঙ্গে শচীন পাইলট বনাম অশোক গেহলট হয় কি না সেদিকেই নজর থাকবে দেশের। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Election Commission of India: আইন সংশোধনের আর্জি! নির্বাচনে কালো টাকার রমরমা রুখতে সুপারিশ কমিশনের

    Election Commission of India: আইন সংশোধনের আর্জি! নির্বাচনে কালো টাকার রমরমা রুখতে সুপারিশ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক দলের তহবিলে মোটা অঙ্কের অনুদান দিতে গেলে এবার থেকে মানতে হবে বেশ কিছু নিয়মাবলী। নির্বাচনের সময় কালো টাকার রমরমা রুখতে এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India। এই মর্মে কমিশনের তরফে সরকারের কাছে একটি সুপারিশ পত্রও পাঠানো হয়েছে। 

    সরকারি সূত্রের খবর, সোমবার আইন মন্ত্রকের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ওই চিঠিতে, বলা হয়েছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে দলীয় তহবিলের জন্য ২০০০ টাকা বা তার বেশি অনুদান নেওয়া যাবে না। বর্তমানে সেই সীমা রয়েছে ২০ হাজার টাকা। এছাড়াও বলা হয়েছে, নগদ অনুদানের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলির পাওয়া পুরো অনুদানের সর্বাধিক ২০ শতাংশ অথবা ২০ কোটির কম হতে হবে। এর জন্য একটি সীমারেখা নির্ধারিত করার কথা বলেছে কমিশন।

    আরও পড়ুন: অবশেষে এনআইএ-এর জালে মাওবাদী নেতা সম্রাট চক্রবর্তী, জানেন কীভাবে?

    প্রসঙ্গত, ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী, কারা দলের তহবিলে অনুদান দিলেন, রাজনৈতিক দলগুলি তাঁদের নাম জানাতে বাধ্য। কিন্তু এই নিয়ম প্রযোজ্য ছিল কোনও ব্যক্তি যদি ২০ হাজার টাকার বেশি অনুদান দিতেন, তাঁর ক্ষেত্রে। কিন্তু এখন কমিশন সেই ঊর্ধ্বসীমা কমিয়ে আনতে চাইছে।  কোনও ব্যক্তি যদি ২ হাজার টাকার বেশি অনুদান দেন, এবার থেকে তাঁর নাম বা সংস্থার নাম-ঠিকানা সংক্রান্ত বিশদ তথ্য রাজনৈতিক দলগুলিকে জানাতে হবে। 

    আরও পড়ুন: বায়ুসেনার ‘প্রোজেক্ট চিতা’! ভারতেই হবে ইজরায়েলি ‘হেরন’-কে মারণ ক্ষমতা দেওয়ার কাজ

    এই নিয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরণ রিজিজুকে (Law Minister Kiren Rijiju) একটি চিঠিও দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার (Rajiv Kumar)। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন সংশোধন করতে পারে সরকার। তাই এই চিঠি দেওয়া হয়েছে।  কোথায় কোথায় সংশোধন করা যেতে পারে, সেই সব বিষয়ই উল্লেখ করা হয়েছে সুপারিশপত্রে। নির্বাচনের সময় কালো টাকার প্রভাব কমাতে এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে কমিশন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Election Commission: নির্বাচন কমিশনের বড় পদক্ষেপ! তালিকা থেকে বাদ ৮৬ নথিভুক্ত অস্বীকৃত দল, নিষ্ক্রিয় ঘোষণা ২৫৩টি

    Election Commission: নির্বাচন কমিশনের বড় পদক্ষেপ! তালিকা থেকে বাদ ৮৬ নথিভুক্ত অস্বীকৃত দল, নিষ্ক্রিয় ঘোষণা ২৫৩টি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে (Political Parties) নিয়ে এক বড় ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। মোট ৮৬টি নথিভুক্ত অস্বীকৃত রাজনৈতিক দলকে “Non-existent” বা “অস্তিত্বহীন” বলে ঘোষণা করা হয়েছে ও এই দলগুলোকে তালিকা থেকে সরানো হল। এর পাশাপাশি জানানো হয়েছে ২৫৩টি দলকে নিষ্ক্রিয় (Inactive) বলেও জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ এই রাজনৈতিক দলগুলো কোনও নির্বাচনেই অংশগ্রহণ করেনি।

    কমিশনের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা বলা হয়েছে যে, এই দলগুলো ২০১৪ সাল থেকে কোনও বিধানসভা ও সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি বা কমিশনের পাঠানো ১৬টি নোটিশের কোনও জবাব দেয়নি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার (Chief Election Commissioner Rajiv Kumar) এবং নির্বাচন কমিশনার অনুপ চন্দ্র পান্ডের (Election Commissioner Anup Chandra Pandey) তরফে জানানো হয়েছে যে, বিহার, দিল্লি, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা এবং উত্তর প্রদেশের প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে ২৫৩টি দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এরপরেই মঙ্গলবার এতগুলি দলের বিরুদ্ধে এই বড় পদক্ষেপ নিল নির্বাচন কমিশন।

    আরও পড়ুন: বৈঠক হবে শেহবাজ, শি-র সঙ্গে? এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে আজই সমরখন্দে প্রধানমন্ত্রী

    নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়েছে, “২৫৩টি দলকে নিষ্ক্রিয় তালিকায় রাখা হয়েছে। কারণ তারা, তাদের কাছে পাঠানো নোটিশের কোনও জবাব দেয়নি এবং ২০১৪ ও ২০১৯-এর কোনও বিধানসভা বা সংসদ নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। এগুলোর মধ্যে তামিলনাড়ুর অন্তত ১৪ টি, উত্তর প্রদেশের ৩৪, দিল্লির ৩৩টি , তেলেঙ্গানার ৯টি এবং কর্ণাটকের ৬টি রাজনৈতিক দল আছে।“ এছাড়াও ৮৬ টি দলের কোনও অস্তিত্বই নেই বলে এদের তালিকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    গতকাল এও জানানো হয়েছে যে, নির্বাচনী প্রতীক আদেশ অনুসারে, ১৯৬৮-এর অধীনে এই নিষ্ক্রিয়র তালিকায় থাকা দলগুলিকে কোনও ধরনের সুবিধা দেওয়া হবে না। এছাড়াও ২৫৩টি দলের মধ্যে ৬৬টি দল তাদের প্রার্থীদের প্রতীকের জন্য আবেদন করলেও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি বলে জানিয়েছে ইসি। এর আগেও চলতি বছরের মে ও জুন মাসে মোট ১৯৮ টি রেজিস্টার করা দলকে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এভাবে তালিকা থেকে বাদ পড়া রাজনৈতিক দলের মোট সংখ্যা হয়েছে ২৮৪টি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Tripura bypoll: ত্রিপুরার ৪ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন ২৩ জুন, প্রার্থী হচ্ছেন মানিক সাহা?

    Tripura bypoll: ত্রিপুরার ৪ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন ২৩ জুন, প্রার্থী হচ্ছেন মানিক সাহা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোষিত হল ত্রিপুরার চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের (Tripura bypoll) নির্ঘণ্ট। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ২৩ জুন চার আগরতলা, বরদোয়ালি, যুবরাজনগর আর সুরমা কেন্দ্রে উপনির্বাচবন হবে। ২৬ জুন ভোটের ফল ঘোষণা। 

    কমিশন জানিয়েছে, আগামী ৩০ মে, উপনির্বাচন সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি হবে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৬ জুন । মনোনয়ন স্ক্রুটিনী হবে ৭ জুন। মনোনয়ন প্রত্যাহার করার শেষ তারিখ ৯ জুন। ২৩ তারিখ হবে ভোটগ্রহণ এবং ২৬ জুন হবে ফল ঘোষণা। কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, গোটা প্রক্রিয়াটি ২৮ জুনের মধ্যে সম্পন্ন হবে। নির্ঘণ্ট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ওই চার কেন্দ্রে আদর্শ আচরণবিধি লাগু হয়ে গিয়েছে। 

    বিজেপির দুই বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন এবং আশিস সাহা দলত্যাগ করায় যথাক্রমে ফাঁকা হয়ে পড়ে রয়েছে আগরতলা ও বরদোয়ালি আসন দুটি। সুরমার বিজেপি বিধায়ক আশিস দাস তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করে দেওয়া হয়। অন্য়দিকে, প্রবীণ সিপিএম বিধায়ক তথা ত্রিপুরা বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার রমেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ মারা যাওয়ায় যুবরাজনগর আসনে উপনির্বাচন জরুরি হয়ে পড়ে।

    আরও পড়ুন: ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়লেন বিপ্লব দেব, দায়িত্বে এলেন মানিক সাহা

    উপনির্বাচনের প্রস্তুতি জোরকদমে নিতে শুরু করে দিয়েছে বিজেপি৷  বিজেপির ত্রিপুরা ইনচার্জ তথা সাংসদ বিনোদ সোনকর ইতিমধ্যেই একাধিক বৈঠক সেরেছেন। আগামী বছর দেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তের এই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে, এই উপনির্বাচনকে সেমি-ফাইনাল হিসেবে দেখতে চাইছে গেরুয়া-শিবির। 

    এদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) সঙ্গে দেখা করেছেন ত্রিপুরার নব-নিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা (Tripura CM Manik Saha)। সম্প্রতি, বিপ্লব দেবের (Biplab Deb) পরিবর্তে তাঁকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতে বসিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এই উপনির্বাচনে তাঁর প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ, সাংবিধানিক নিয়ম মেনে, ৬ মাসের মধ্যে যে কোনও বিধানসভা আসন তাঁকে জিতে আসতে হবে। 

    নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে তৃণমূলও। সম্প্রতি, ত্রিপুরা পুরভোটে পর্যুদস্ত হয়েছে দল। ত্রিপুরার মানুষ খালি হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে তৃণমূলকে। তা সত্ত্বেও, উপনির্বাচনে যে তৃণমূল লড়াই করতে পারে, তার ইঙ্গিত মিলেছে। সাংসদ তথা উত্তর পূর্ব দায়িত্বপ্রাপ্ত নেত্রী সুস্মিতা দেব বলেছেন, ‘উপনির্বাচনের প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি৷ ত্রিপুরায় আমাদের রাজ্য দফতর খোলা হবে৷’ তৃণমূল সূত্রে খবর, উপনির্বাচনে লড়াই নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে সুস্মিতা দেব, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়দের মতো ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের আলোচনাও চলছে৷

    ত্রিপুরার (Tripura) চার কেন্দ্রের পাশাপাশি পঞ্জাবের সাঙ্গরুর, উত্তরপ্রদেশের রামপুর ও আজমগড় লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে ওইদিন। এছাড়া, অন্ধ্রপ্রদেশের আত্মাকুর, দিল্লির রাজিন্দর নগর এবং ঝাড়খণ্ডের মাদার বিধানসভা কেন্দ্রেও উপনির্বাচন হবে। এই তিন আসনের ভোটগ্রহণও হবে ২৩ তারিখেই।

LinkedIn
Share