Tag: Election Commission

Election Commission

  • Lok Sabha Election 2024: ভোটে ব্যবহৃত গাড়িতে জিপিএস ট্র্যাকিং, আরও চার আয়-ব্যয় পর্যবেক্ষক নিয়োগ কমিশনের

    Lok Sabha Election 2024: ভোটে ব্যবহৃত গাড়িতে জিপিএস ট্র্যাকিং, আরও চার আয়-ব্যয় পর্যবেক্ষক নিয়োগ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটে (Lok Sabha Election 2024) কারচুপি রুখতে সক্রিয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। সেই জন্যই এবার ভোটের কাজে ব্যবহার করা সব গাড়িতেই থাকবে ‘জিপিএস লোকেশন ট্র্যাকিং সিস্টেম’। ডিসিআরসি থেকে ভোটগ্রহণে যাবতীয় জিনিসপত্র নেওয়ার পর তা সঠিক ভাবে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছচ্ছে কি না সে বিষয়ে নজর রাখবে নির্বাচন কমিশন। এ ক্ষেত্রে ডিসিআরসি থেকে জিনিসপত্র দেওয়ার পর তা সঠিক পথে ভোটকেন্দ্রে পৌঁছেছে কি না জিপিএস মারফত সেই বিষয়ে নজর রাখা হবে। রাজ্যে ভোটে কোথায় কীভাবে কত টাকা খরচ করছে রাজনৈতিক দলগুলি তা নিয়েও সজাগ দৃষ্টি কমিশনের। তাই পশ্চিমবঙ্গের জন্য আরও চার জন আয়-ব্যয় পর্যবেক্ষক নিয়োগ করল নির্বাচন কমিশন।

    জিপিএস ট্র্যাকিং

    ভোটের (Lok Sabha Election 2024) কাজে ব্যবহৃত গাড়িতে এর আগে জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হত। সে ক্ষেত্রে বাছাই করা কিছু গাড়ির ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হত। কিন্তু এবার নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করা সব গাড়িতে এই প্রযুক্তির ব্যবহার করতে চাইছে কমিশন (Election Commission)। গত শনিবার ছিল প্রথম দফার নির্বাচনের ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ। সেই প্রশিক্ষণেই নির্বাচন কমিশনের তরফে ভোটকর্মীদের সে কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভোটের দিন ‘ডিসপার্সন সেন্টার অ্যান্ড রিসিপ্ট সেন্টার’ (ডিসিআরসি) থেকে ভোট সংক্রান্ত যাবতীয় সরঞ্জাম সংগ্রহ করে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। আবার ভোট শেষ হয়ে গেলে তা আবার ‘স্ট্রং রুমে’ রেখে আসতে হয়। এই সময় অনেক ক্ষেত্রে কারচুপির অভিযোগ ওঠে। তাই এবার এই বিষয়ে কড়া নজর রাখার জন্য এই কাজে ব্যবহৃত গাড়িগুলিতে ‘জিপিএস লোকেশন ট্র্যাকিং সিস্টেম’এর ব্যবস্থা থাকবে।

    আরও পড়ুন: লোকসভায় ভালো ফল না করলে সরে দাঁড়ান রাহুল, পরামর্শ প্রশান্ত কিশোরের

    আয়-ব্যয় পর্যবেক্ষক নিয়োগ

    রাজ্যের জন্য আরও চার জন আয়-ব্যয় পর্যবেক্ষক নিয়োগ করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) টাকার অপব্যবহার রুখতে কাজ করবেন আয়-ব্যয় পর্যবেক্ষকেরা। কমিশন সূত্রে খবর,  আগামী ৭ মে তৃতীয় দফায় মালদহ উত্তর, মালদহ দক্ষিণ, মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর আসনে ভোটগ্রহণ রয়েছে। ওই দিনই ভোট হবে ভগবানগোলা বিধানসভা উপনির্বাচনেরও। মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের জন্য কমিশন আয়-ব্যয়ের পর্যবেক্ষক হিসাবে পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় রাজস্ব বিভাগের আধিকারিক অজয়কুমার শুক্লকে। মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি ভগবানগোলাতেও কাজ করবেন ২০১৩ সালের ওই আইআরএস অফিসার। মালদহ উত্তর আসনের জন্য আইআরএস অফিসার আরএম প্রকাশকে রাজ্যে পাঠাচ্ছে কমিশন। আইআরএস অফিসার বুরানাগা সন্দীপ আয়-ব্যয় পর্যবেক্ষক হিসাবে কাজ করবেন মালদহ দক্ষিণ আসনে। জঙ্গিপুর আসনের জন্য কমিশন পাঠাচ্ছে আরআরএস বিক্রম কৌশিককে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Lok Sabha Election 2024: মিটিংয়ে-মিছিলে ৮০ আসনের উত্তরপ্রদেশকেও পিছনে ফেলেছে ৪২-এর বাংলা!

    Lok Sabha Election 2024: মিটিংয়ে-মিছিলে ৮০ আসনের উত্তরপ্রদেশকেও পিছনে ফেলেছে ৪২-এর বাংলা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভাতে (Lok Sabha Election 2024) সব থেকে বেশি আসন রয়েছে উত্তরপ্রদেশে, ৮০টি। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে প্রায় তার অর্ধেক ৪২টি। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য বলছে, উত্তরপ্রদেশের থেকেও বেশি মিছিল-মিটিং সহ নির্বাচনী প্রচারের আবেদন জমা পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। রাজনৈতিক কর্মসূচির দৌড়ে পশ্চিমবঙ্গ ৮০ আসনের উত্তরপ্রদেশকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে। তবে রাজনৈতিক কর্মসূচির দৌড়ে পশ্চিমবঙ্গের স্থান দ্বিতীয়। প্রথম স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু।

    আরও পড়ুন: “এটা আপনাদের টুকরে টুকরে গ্যাংয়ের মানসিকতার প্রতিফলন”, কংগ্রেসকে নিশানা মোদির

    প্রচারের অনুমতির জন্য নির্বাচন কমিশন চালু করেছে ‘সুবিধা অ্যাপ’

    নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য বলছে, সারা দেশে নির্বাচনী (Lok Sabha Election 2024) প্রচারের যত আবেদন জমা পড়েছে তার মধ্যে ১৬ শতাংশই হল পশ্চিমবঙ্গের। অন্যদিকে, তামিলনাড়ু থেকে ভোট প্রচারের সবথেকে বেশি আবেদন জমা পড়েছে। প্রসঙ্গত, ভোটের সভা মিছিল মিটিং বা যেকোনও ধরনের নির্বাচনী প্রচারের জন্য অনুমতির জন্য নির্বাচন কমিশন চালু করেছে ‘সুবিধা অ্যাপ’। তারা আগেই জানিয়েছে, নির্বাচনী প্রচারের যাবতীয় অনুমতি এই অ্যাপের মাধ্যমে নিতে হবে স্বীকৃত রাজনৈতিক দলগুলিকে অনুমতি যারা আগে জানাবেন তাদের আগে দেওয়া হবে।

    দেশজুড়ে নির্বাচনী প্রচারের ৭৩ হাজার ৩৬৯ আবেদন জমা পড়েছে 

    রবিবারই এক বিবৃতিতে নির্বাচন কমিশন (Lok Sabha Election 2024) জানিয়েছে, গত ১৬ মার্চ ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার পর থেকে দেশজুড়ে নির্বাচনী প্রচারের ৭৩ হাজার ৩৬৯ আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে অনুমতি দেওয়া হয়েছে ৪৪ হাজার ৬২৬টি আবেদনের। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া হিসাব বলছে, বিগত দিনগুলিতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আবেদন জমা পড়েছে ১১,৯৭৬। অন্যদিকে, ৮০ আসনের উত্তরপ্রদেশের মিটিং মিছিলের আবেদন সংখ্যা অনেকটাই কম। যোগী রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারের আবেদন জমা পড়েছে ৩,২৭৩।

    আরও পড়ুুন: “আইন এবং সংবিধানকে নষ্ট করার দল হচ্ছে তৃণমূল”, তোপ মোদির

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA Attacked: এনআইএ-র উপর হামলা! মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট চাইল নির্বাচন কমিশন

    NIA Attacked: এনআইএ-র উপর হামলা! মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট চাইল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূপতিনগরে এনআইয়ের (NIA Attacked) উপর হামলার ঘটনায় মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল নির্বাচন কমিশন। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা নির্বাচন দফতর থেকে রিপোর্ট চাওয়ার পাশাপাশি জেলার পুলিশ সুপারের রিপোর্টও চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক ও  নবান্নর থেকেও রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। ভূপতিনগরের ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ডিজি, পুলিশ সুপার (পূর্ব মেদিনীপুর), এসডিপিও ও ভূপতিনগরের ওসি-র বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

    কী ঘটেছিল

    ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে ভয়াবহ বিস্ফোরণ কেঁপে উঠেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর। ওই বিস্ফোরণে তিনজনের মৃত্যু হয়। আদালতের নির্দেশে বিস্ফোরণের তদন্ত করছে এনআইএ (NIA Attacked)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ভূপতিনগর বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তে শনিবার ভোরে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন আধিকারিকরা। সেখান থেকে দু’জন অভিযুক্তকে আটক করে গাড়িতে তোলার পরই গ্রামবাসীদের একাংশ হামলা চালায়। গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। ঘটনায় দুজন আধিকারিক জখম হয়েছেন। ভূপতিনগর বিস্ফোরণ কাণ্ডে সম্প্রতি আটজনকে এনআইএ-র কলকাতার দফতরে হাজির দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। অভিযুক্তরা হাজিরা না দেওয়ায় শনিবার ভোরে গ্রামে পৌঁছন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন: “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই এনআইএ-র উপর হামলা হয়েছে”, ভূপতিনগরের ঘটনায় সরব সুকান্ত-শুভেন্দু

    কমিশনের রিপোর্ট তলব

    ভোটের মুখে রাজ্যে এনআইএর (NIA Attacked) উপর হামলার ঘটনায় উদ্বিগ্ন নির্বাচন কমিশন। শনিবারেই পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা নির্বাচন দফতর ও জেলার পুলিশ সুপারের রিপোর্ট তলব করে নির্বাচন কমিশন। একইসঙ্গে ঘটনার রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক ও  নবান্নর থেকেও। শান্তিপূর্ণ লোকসভা ভোটের জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজ্যেপ্রথম দফায় ভোট ১৯ এপ্রিল। তার আগে রাজ্যে কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের উপর হামলা মেনে নিতে পারছে না নির্বাচন কমিশন। তাই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Election Commission: প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে আপত্তিকর শব্দ প্রয়োগ! মমতার বিরুদ্ধে কমিশনে বিজেপি

    Election Commission: প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে আপত্তিকর শব্দ প্রয়োগ! মমতার বিরুদ্ধে কমিশনে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে (Election Commission) অভিযোগ জানাল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, কোচবিহারের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এর পাশাপাশি তৃণমূলের দলীয় সভাতে শিশুদের নিয়ে যাওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। এই মর্মে নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বিজেপি। তৃণমূল সুপ্রিমোর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সরাসরি দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের অভিযোগ জমা দিয়েছে বিজেপি। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই চিঠিটি পাঠিয়েছেন বিজেপি নেতার শিশির বাজোরিয়া। ঐ চিঠিতে তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, অত্যন্ত আপত্তিকর এবং অসংসদীয় শব্দ প্রয়োগ করার। ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, আদর্শ আচরণবিধি চালু হওয়ার পরে এমন মন্তব্য করা যায় না। রাজনৈতিক দল ও তাদের নেতাদের সম্পর্কে গাইড লাইনও যেখানে প্রকাশ হয়েছে, সেখানে তিনি কিভাবে এমন মন্তব্য করেন এই প্রশ্ন তোলা হয়েছে চিঠিতে।

    তৃণমূলের সভায় শিশুরা, কমিশনে বিজেপি

    চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, বিজেপির হাতে এমন ভিডিও ফুটেজ আছে যেখানে স্পষ্টই শাসক দলের ব়্যালিতে বহু সংখ্যক শিশুদের দেখা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, শিশুরা হাতে প্ল্যাকার্ড ধরে রয়েছে সেই ছবিও ধরা পড়েছে ভিডিয়োতে। নির্বাচনী প্রচারের ক্ষেত্রে শিশুদের ব্যবহার করার বিষয়টি একেবারে নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধির পরিপন্থী। গেরুয়া শিবিরের দাবি, শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য (Election Commission) থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারও হুগলির বিজেপির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে কুরুচিকর শব্দ প্রয়োগ করেছেন।

    কোচবিহারের সভা থেকে কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, কোচবিহারের সভায় তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘‘বিনা পয়সায় রেশন দেব বলেছিলাম, আমরা দিই। মনে রাখবেন, ওরা যে সংখ্যাটায় দেয় সব লোককে দেয় না। ওরা ৪০ পারসেন্ট দিলে আমরা ১০০ পারসেন্ট দিই। বাংলার বাড়ি প্রকল্প? নামটা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা। আর তার ৫০ পারসেন্ট টাকা (Election Commission) আমাদের দিতে হয়। ৪০ পারসেন্ট টাকা আমরা দিই। আর জায়গাটাও আমরা দিই। তাহলে কত হল? ৫০ – ৫০। তাহলে তোমার নাম কেন থাকবে? বলছে রেশন দোকানে রেশন যাবে, তাতেও প্রধানমন্ত্রীর ছবি আর বিজেপির লোগো থাকবে। শালা আমি না খেতে পেয়ে মরে যাব। তবু আমি বলে দিচ্ছি আমি ওর মধ্যে যাব না।’’ পরক্ষণেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘সরি আমি। উইড্র অ্যা ওয়ার্ড। আমার মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Atishi Marlena: নির্বাচনী বিধিভঙ্গ! আপ নেত্রী অতিশীকে শো-কজ নির্বাচন কমিশনের

    Atishi Marlena: নির্বাচনী বিধিভঙ্গ! আপ নেত্রী অতিশীকে শো-কজ নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আম আদমি পার্টির নেত্রী তথা দিল্লির মন্ত্রী অতিশী মারলেনাকে (Atishi Marlena) শো-কজ করল নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার অতিশী দাবি করেছিলেন, ঘনিষ্ঠ সহযোগী মারফত তাঁকে বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। রাজি না হলে একমাসের মধ্যে তাঁকে ইডি (ED) গ্রেফতার করবে। শুক্রবার অতিশীকে নোটিস পাঠিয়ে তাঁর মন্তব্যের কারণ জানতে চাইল কমিশন।

    নির্বাচন কমিশনের শোকজ

    গত মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে অতিশী (Atishi Marlena) বলেন, “প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপি মনোস্থির করে ফেলেছেন, তাঁরা আম আদমি পার্টি এবং তার নেতাদের চূর্ণ করে দিতে চান। বিজেপি আরও চারজন আপ নেতাকে গ্রেফতার করতে চায়, আমি, সৌরভ ভরদ্বাজ (Sourav Bharadwaj), রাঘব চাড্ডা এবং দুর্গেশ পাঠক।” তাঁর কথায়, ‘‘বিজেপিতে যোগ না দিলে আমাকেও গ্রেফতার করবে ইডি।’’ এ বার সেই মন্তব্যের জন্যই তাঁকে শো-কজ করল নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, আগামী সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে সেই শো-কজের জবাব দিতে বলা হয়েছে আপ নেত্রীকে। এই নোটিস পাওয়ার পর কমিশনের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন অতিশী।

    আরও পড়ুন: কংগ্রেসের ইস্তাহারে তাইল্যান্ড, নিউইয়র্কের ছবি! সমালোচনা বিজেপির

    মানহানির মামলা বিজেপির

    অতিশীর (Atishi Marlena) এই বক্তব্যের জেরে আগেই বিজেপি তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছে। দলের মুখপাত্র প্রবীণ শঙ্কর কাপুর (Parveen Shankar Kapoor) আইনি নোটিস পাঠিয়ে আপ মন্ত্রীকে জনসমক্ষে ক্ষমা চাইতে বলেছেন। গত সোমবার ইডি দাবি করেছিল, আবগারি দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদে অতিশী এবং ভরদ্বাজের নাম করেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। ইডি জানায়, আপ সুপ্রিমো বলেছেন, বিজয় নায়ার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতেন না, করতেন অতিশী মারলেনা এবং সৌরভ ভরদ্বাজের সঙ্গে। এরপরই অতিশী ওই মন্তব্য করেন। বিজেপির দাবি, ইডির ভয় থেকেই এই দাবি করছেন অতিশী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: কোন কোন বুথে হিংসা? গত লোকসভা, বিধানসভা ভোটের রিপোর্ট তলব কমিশনের

    Lok Sabha Election 2024: কোন কোন বুথে হিংসা? গত লোকসভা, বিধানসভা ভোটের রিপোর্ট তলব কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিয়রে লোকসভা ভোট (Lok Sabha Election 2024)। ইতিমধ্যেই বাংলায় চলে এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোটের আগে থেকে ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে বাংলা। তাই নির্বাচনের দিন কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আগে থেকেই সতর্ক নির্বাচন কমিশন। আগামী শনিবারই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে বৈঠকে বসছেন রাজ্যের বিশেষ পর্যবেক্ষক অলোক সিন্‌হা। তার আগে বৃহস্পতিবার গত বিধানসভা এবং লোকসভা ভোটের রিপোর্ট চাইলেন তিনি। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর কাছে ওই রিপোর্ট চেয়েছেন অলোক।

    কেন রিপোর্ট তলব

    গত বিধানসভা এবং লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) কোথায় কী রকম ভোট হয়েছিল, কোন কোন জায়গায় হিংসার ঘটনা ঘটেছিল, সিইও দফতরের কাছে তার বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন বিশেষ পর্যবেক্ষক অলোক সিনহা। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে আগামী শনিবার বৈঠক ডেকেছেন তিনি। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে বিশেষ পর্যবেক্ষক ছাড়াও পুলিশ পর্যবেক্ষক অনিল শর্মা, সিইও আরিজ আফতাব, রাজ্য পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর নোডাল অফিসাররা থাকবেন। হিংসার রিপোর্ট শনিবারের বৈঠকেই পেশ করতে বলা হয়েছে। বিশেষ পর্যবেক্ষকের তলব পেয়েই সিইও দফতর জেলার রিটার্নিং অফিসারদের কাছে গত ভোটে হিংসার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে।

    আরও পড়ুন: আজ থেকেই নির্বাচন শুরু রাজ্যে! বাড়িতে বসে ভোট দিতে পারবেন প্রবীণ ও দৃষ্টিহীনরা

    রিপোর্টে কী কী জানতে হবে

    গত নির্বাচনে কোথায় কোথায় হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। সেখানে উল্লেখ করতে হবে বিধানসভার নামও। ভোটারদের (Lok Sabha Election 2024) বাধা দেওয়ার অভিযোগ কোন জায়গা থেকে বেশি এসেছে তা-ও জানাতে হবে রিপোর্টে। এ ছাড়া রিপোর্টে জানাতে হবে, কোন কোন ভোটকেন্দ্রে ভোটের দিন পোলিং এজেন্ট বসাতে না পেরে অভিযোগ এসেছিল কোন কোন রাজনৈতিক দলের তরফে। বৃহস্পতিবারই রাজ্য বিজেপির এক প্রতিনিধিদল বিশেষ পর্যবেক্ষক অলোক সিন্‌হার সঙ্গে দেখা করেন। সূত্রের খবর, বিজেপি নেতৃত্ব তাঁর কাছে গত কয়েকদিনের বেশ কিছু হিংসার ঘটনা তুলে ধরেছেন। তাঁদের দাবি, সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করতে হবে। আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসন কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়িতে ভোট গ্রহণ করা হবে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Election Commission: আজ থেকেই নির্বাচন শুরু রাজ্যে! বাড়িতে বসে ভোট দিতে পারবেন প্রবীণ ও দৃষ্টিহীনরা

    Election Commission: আজ থেকেই নির্বাচন শুরু রাজ্যে! বাড়িতে বসে ভোট দিতে পারবেন প্রবীণ ও দৃষ্টিহীনরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রথম দফায় ভোট শুরু হচ্ছে ১৯ এপ্রিল। ওইদিনই রাজ্যের ৩ আসনে নির্বাচন রয়েছে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি। কিন্তু আজ অর্থাৎ শুক্রবার থেকে এই রাজ্যে শুরু হয়ে যাচ্ছে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া (Election Commission)। ৫ এপ্রিলই বাড়িতে বসে ভোট দিতে পারবেন ৮৫ বছরের বেশি বয়সি নাগরিকরা এবং দৃষ্টিহীন ব্যক্তিরা। এই ভোট গ্রহণ চলবে আজ ৫ এপ্রিল শুক্রবার থেকে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত।

    ১০১ বছর বা তার বেশি বয়সি ভোটার সংখ্যা কত জানেন?

    রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮৫ বছরের বেশি বয়সি ভোটারের সংখ্যা (Election Commission) এ রাজ্যে রয়েছে ৪ লাখ ৭৮ হাজার ৭১৯ জন। তাদের মধ্যে ১০১ বছরের বেশি ভোটারের সংখ্যা রাজ্যে ৩,৫৪১ জন। কমিশন আরও জানিয়েছে, রাজ্যে ১০১ বছর বয়সি ভোটারদের সংখ্যা সব থেকে বেশি রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে। সেই সংখ্যা হল ৩০৯। অন্যদিকে ১০১ বছর বয়সি ভোটারের সংখ্যা সব থেকে কম রয়েছে কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রে। সেখানে এই সংখ্যা মাত্র ১১।

    পশ্চিমবঙ্গে ৭২,৩০৯ জন দৃষ্টিহীন ভোটার রয়েছেন

    কমিশন (Election Commission) সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে ৭২,৩০৯ জন দৃষ্টিহীন ভোটার রয়েছেন। এই সমস্ত ভোটাররাও চাইলে বাড়িতে বসে ভোট দিতে পারবেন। জানা গিয়েছে, যাঁরা বাড়িতে বসে ভোট দিতে চান তাঁদের আবেদন যদি মঞ্জুর হয় সেক্ষেত্রে দুজন নির্বাচনী আধিকারিক, একজন ভিডিওগ্রাফার এবং নিরাপত্তা রক্ষীর দল পৌঁছে যাবে তাঁর বাড়িতে। বাড়িতে পোস্টাল ব্যালটে এই ভোট দান করবেন প্রবীণ ব্যক্তিরা। যাঁরা বাড়িতে বসে ভোট দেবেন, সেই তালিকা দেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রার্থীদের হাতেও। অর্থাৎ বাড়িতে বসে ভোট হলেও তা কমিশনের কড়া নজরদারিতে হবে। বোঝাই যাচ্ছে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করতে কমিশন কতটা সক্রিয়।

    ১০ কোটি ৩৫ লাখ টাকা হিসাব বহির্ভূত নগদ উদ্ধার

    অন্যদিকে, কমিশন (Election Commission) এও জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ রাজ্য থেকে ১০ কোটি ৩৫ লাখ টাকা হিসাব বহির্ভূত নগদ উদ্ধার হয়েছে। এর পাশাপাশি ১৬ লাখ ৬৮ হাজার ৭৬ লিটার মদ, যার বর্তমান বাজার মূল্য ৩৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা এবং ২১ কোটি ৯৯ লাখ টাকার মাদক, ৩১ কোটি ৮৪ লাখ টাকার দামী ধাতু, ৩৪ কোটি ৯০ লাখ টাকার অন্যান্য সামগ্রীও উদ্ধার হয়েছে। এর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ সহ ৬ রাজ্য স্পেশাল অবজারভার নিয়োগ করেছে কমিশন। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন সাধারণ বিশেষ ও পুলিশ অফিসার নিয়োগ করেছে কমিশন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Election 2024: ভোটার কার্ড ছাড়াও এগুলি দেখিয়ে ভোট দিতে পারবেন, জেনে নিন কমিশনের নিয়ম

    Loksabha Election 2024: ভোটার কার্ড ছাড়াও এগুলি দেখিয়ে ভোট দিতে পারবেন, জেনে নিন কমিশনের নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, ভোটার আইডি কার্ড না-থাকলেও ভোট দেওয়া যাবে৷ সেক্ষেত্রে ভোটার তালিকায় নিজের নাম আছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে৷ তালিকায় নাম থাকলে ভোটার কার্ড ছাড়াও ভোট দেওয়া যাবে৷ ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে ভোট গ্রহণ। এবারও ভোট হবে সাত দফায়। ১ জুন শেষ দফার ভোট।

    কী কী নিয়ে ভোট দিতে যাবেন

    নির্বাচন কমিশন জানাচ্ছে, ভোট দানের জন্য পরিচিতি প্রমাণের ক্ষেত্রে যে কোনও একটি অনুমোদিত নথি বা পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখুন। কাছে রাখতে পারেন ভোটারদের সচিত্র পরিচয়পত্র (এপিক), আধার কার্ড, প্যান কার্ড, চাকরির পরিচয়পত্র, শারীরিক প্রতিবন্ধকতাযুক্ত ভোটারদের বিশেষ পরিচয় পত্র (UDID), ফোটো সহ ব্যাঙ্ক বা ডাকঘরের পাসবই, স্বাস্থ্যবিমার স্মার্টকার্ড (শ্রম মন্ত্রক), ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, এন পি আর-এর অধীনে আর জি আই প্রদত্ত স্মার্টকার্ড, পেনশনের নথি, এম এন আর ই জি এ-জব কার্ড প্রভৃতি। ভোটার তালিকায় নাম থাকলে এই পরিচয় পত্রগুলির মধ্যে যে কোনও একটি সঙ্গে থাকলেই আপনি ভোট দিতে যেতে পারবেন।

    আরও পড়ুন: বেড়াতে যাবেন, বিয়ের মরশুম! সামনে নির্বাচন জানেন কত নগদ রাখতে পারবেন সঙ্গে?

    ভোটার তালিকায় নাম না থাকলে

    ভোটার হিসাবে নাম নথিভুক্তিকরণের জন্য যে কোনও ভারতীয় নাগরিককে অনলাইন বা অফলাইনে 6 নম্বর ফর্মটি পূরণ করতে হবে৷ অনলাইনে 6 নম্বর ফর্ম পূরণ-নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব ওয়েবসাইটে (https://voters.eci.gov.in) গিয়ে ৬ নম্বর ফর্ম পাওয়া যাবে৷ এখানে তথ্য ও প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করে ধাপে ধাপে ফর্মটি পূরণ করতে হবে৷ অফলাইনে ৬ নম্বর ফর্মটি ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারের কার্যালয়, অ্যাসিস্ট্যান্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার এবং বুথ লেভেল অফিসারের কাছ থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পাওয়া যাবে৷ এখানেও প্রয়োজনীয় তথ্য লিখে নথি-সহ জমা দিতে হবে ৷ পরে ওই ভোটারের কাছে ডাকযোগে ভোটার আইডি কার্ড পৌঁছে যাবে৷ আবার আধিকারিকদের কার্যালয়ে গিয়েও কার্ডটি মিলতে পারে ৷

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: বেড়াতে যাবেন, বিয়ের মরশুম! সামনে নির্বাচন, জানেন কত নগদ রাখতে পারবেন সঙ্গে?

    Lok Sabha Election 2024: বেড়াতে যাবেন, বিয়ের মরশুম! সামনে নির্বাচন, জানেন কত নগদ রাখতে পারবেন সঙ্গে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)। আসন্ন নির্বাচনকে স্বচ্ছ করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নগদ অর্থ উদ্ধার করছে কমিশন (Election Commission) ও পুলিশ। এতে বিপাকে পড়ছেন পর্যটক থেকে সাধারণ মানুষ। তাই মানুষের স্বার্থে বুধবার বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিল জাতীয় নির্কবাচন মিশন। বৈধ নথি থাকলে পর্যটকদের কাছ থেকে নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করা যাবে না। বুধবার এমন নির্দেশই দিল নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে কমিশন জানিয়েছে, লোকসভা ভোটের প্রার্থীরা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা নিজেদের সঙ্গে রাখতে পারবেন। 

    কমিশনের নির্দেশিকা

    ১৬ মার্চ থেকে দেশ জুড়ে কার্যকর হয়েছে আদর্শ আচরণবিধি। নির্বাচনী (Lok Sabha Election 2024) আচরণবিধিতে একাধিক বিষয়ে বিধিনিষেধ রয়েছে। নির্ধারিত সীমার চেয়ে বেশি নগদ আপনার কাছে থাকলে জেলও হতে পারে। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, আচরণবিধি চলাকালীন যে কোনও ব্যক্তি ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত নগদ অর্থ রাখতে পারেন নিজের কাছে। যদি ৫০ হাজার টাকার বেশি নগদ থাকে তাহলে সরকারি দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন। 

    পর্যটকদের অসুবিধা

    নগদ টাকা কাছে রাখায় অনেক সময়ে অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে পর্যটকদের। ঘোরার জন্য কাছে রাখা টাকাও মাঝেমধ্যেই চেকিংয়ের সময়ে বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। পর্যটকদের কাছ থেকে নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করার ক্ষেত্রে কমিশন কিছু নির্দেশিকা জারি করল। কমিশন (Election Commission) জানিয়েছে, পর্যটকদের সুবিধার কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। নগদ বাজেয়াপ্ত সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও পর্যটক অসুবিধায় পড়লে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জেলা মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

    আরও পড়ুন: সশরীরে হাজিরার হুমকি, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ডেডলাইন

    কমিশনের নয়া নিয়ম

    যদি নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) সময় বিয়ের মরশুম চলে ও কোনও ব্যক্তির কাছে নগদ ৫০ হাজার টাকার বেশি অর্থ থাকে, তবে তাঁর সঙ্গে কিছু প্রয়োজনীয় নথি আবশ্যিক। এর জন্য কিছু প্রয়োজনীয় শর্ত রয়েছে। কমপক্ষে তিনটি নথি থাকতে হবে। এর মধ্যে একটি হল অবশ্যই পরিচয়পত্র থাকতে হবে। একই সঙ্গে অর্থের লেনদেন সংক্রান্ত সার্টিফিকেট থাকাও আবশ্যক। ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলার স্লিপ বা মেসেজের মতো টাকা তোলার প্রমাণ থাকতে হবে, যাতে সরকারি দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা তল্লাশির সময় জানতে পারেন নগদের উৎস কী। এই টাকা কোথায় ব্যবহার করা হবে তার প্রমাণও থাকতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lovely Maitra: তৃণমূল বিধায়িকার পুলিশ স্বামীকে সরিয়েছে কমিশন, ‘সঠিক সিদ্ধান্ত’, বলল বিজেপি

    Lovely Maitra: তৃণমূল বিধায়িকার পুলিশ স্বামীকে সরিয়েছে কমিশন, ‘সঠিক সিদ্ধান্ত’, বলল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্ত্রী তৃণমূলের বিধায়ক। স্বামী কলকাতা পুলিশের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার। স্বাভাবিক ভাবেই তার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। তাই সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক অরুন্ধতি মৈত্র সিনেমা জগতে যার নাম লাভলী মৈত্র তার স্বামী ডিসিপি সাউথ ওয়েস্ট সৌম্য রায়কে(DCP Soumya Roy) ভোটের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে কমিশন। ভোটের কোনও কাজে থাকতে পারবেন না সৌম্য রায়, এমনটাই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন(election commission), সৌম্যকে অ-নির্বাচনী কোনও পদে বদলি করতে হবে।

     কমিশনের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কী বললেন বিধায়ক লাভলী মৈত্র? (Lovely maitra)

    কমিশনের এই সিদ্ধান্তের পরেই মেজাজ হারিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের তারকা বিধায়ক লাভলী মৈত্র (Lovely maitra) ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি নেতাদের মতে ঢিলটা যে ঠিক জায়গায় লেগেছে তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। স্বামীর অপসারণে গোঁসা হয়েছে লাভলীর। তাঁর স্বামীকে এভাবে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনাকে পূর্ব পরিকল্পিত বলেই ব্যাখ্যা করছেন তিনি। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে মুখের যা ভঙ্গি ছিল অভিনেত্রী বিধায়কের তাতে তার আচরণ স্পষ্ট ধরা পড়ে যায়। লাভলী বলেন ” নির্বাচন কমিশন, ইডি, সিবিআই সবটাই বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে চলে। আগে বিধানসভা নির্বাচনের সময়েও সরিয়েছে।”প্রশ্ন উঠছে কোন বাড়তি সুবিধায় খামতি হয়ে যাবে সৌম্যর অপসারণে। তবে এটাই প্রথম নয় ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সৌম্য রায়কে। বিধানসভা ভোটের পর লোকসভা ভোটেও ফের সৌম্য রায়ের অপসারণ। স্ত্রী স্বামীর অপসারণে ক্ষুব্ধ হয়েছে তা মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও তার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এক ডিসিপির অপসারণে মুখ্যমন্ত্রীর কেন বিচলিত তা অবাক করেছে অনেককে। মমতা বলেন, “কেউ বিধায়ক হলে তাঁর স্বামীকে সরে যেতে হবে?’

    নির্বাচন কমিশন সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বলছে বিজেপি

    তবে শুধুমাত্র সৌম্য রায় অপসারিত হয়েছেন এমন নয়। পূর্ব মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের জেলাশাসককেও অপসারিত করা হয়েছে। এর আগে ডিজিপি রাজীব কুমারকে অপসারিত করা হয়েছিল। এবিষয়ে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ প্রত্যেকের উপর নির্বাচন কমিশনের নজর রয়েছে। যেখানে পক্ষপাত পাওয়া যাবে সেখানে ব্যবস্থা নেবে কমিশন। যে অফিসারদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের পক্ষ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বুঝিয়ে দিচ্ছেন আসলে নির্বাচন কমিশন সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” প্রসঙ্গত,কলকাতা পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ-পশ্চিম) পদে সৌম্য রায়ের বদলি কে হবেন তা জানিয়ে রাজ্য সরকারকে কমিশনে তিন জন যোগ্য পুলিশ আধিকারিকের নাম পাঠাতে হবে। ৩ এপ্রিল রাজ্যের কাছ থেকে ওই তিনটি নাম চেয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (election commission)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share