Tag: Election Commission

Election Commission

  • Election Commission of India: রাজ্যের বাইরে থেকেও দেওয়া যাবে ভোট! ‘রিমোট ভোটিং’ চালু জাতীয় নির্বাচন কমিশনের

    Election Commission of India: রাজ্যের বাইরে থেকেও দেওয়া যাবে ভোট! ‘রিমোট ভোটিং’ চালু জাতীয় নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পড়াশোনা বা চাকরির জন্যে রাজ্যের বাইরে আছেন, ফলে নিজের জায়গায় গিয়ে ভোট দিতে পারছেন না? তবে এবারে আর চিন্তা নেই, এই সমস্যার সমাধান নিয়ে এসেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। নিজের লোকসভা বা বিধানসভা কেন্দ্র ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ায় ভোট না পারার সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নিচ্ছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এবার থেকে রিমোট ভোটিং (Remote Voting) পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা যাবে বলে খবর জাতীয় নির্বাচন সূত্রে খবর। বৃহস্পতিবারই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে কমিশনের তরফ থেকে। এই পদ্ধতি বোঝাতে সব রাজনৈতিক দলকে ডেকেছে কমিশন। আগামী ১৬ জানুয়ারি সব দলের কাছে ওই পদ্ধতি বর্ণনা করা হবে।

    রিমোট ভোটিং চালু করার সিদ্ধান্ত জাতীয় নির্বাচন কমিশনের

    কমিশন সূত্রে খবর, একটি বিশেষ ধরনের ইভিএম, মাল্টি কনস্টিটুয়েন্সি ইভিএম প্রস্তুত করা হয়েছে, যার মাধ্যমে যে কোনও জায়গা থেকে নিজের কেন্দ্রে ভোট দেওয়া যাবে। উন্নত প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আগামী লোকসভা নির্বাচন (২০২৪) থেকে এমন ‘রিমোট ভোটিং’-এর বন্দোবস্ত করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৬ জানুয়ারি রাজনৈতিক দলগুলির সামনে এই ইভিএম কী ভাবে কাজ করে, তা হাতে কমলে দেখাবেন কমিশনের পদস্থ কর্তারা। তাঁদের দাবি, এই মেশিনের মাধ্যমে একসঙ্গে ৭২টি কেন্দ্রের ভোট দেওয়া যাবে। পাশাপাশি, এই ইভিএম চালানোর জন্য কোনও কানেকটিভির প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছে কমিশন।

    রিমোট ভোটিং চালু করার উদ্দেশ্য কী?

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ২০১৯-র লোকসভা নির্বাচনে ৬৭.৪ শতাংশ ভোট পড়েছিল। সেই বার দেশের প্রায় ৩০ কোটি মানুষ ভোট দিতে পারেননি। ভোটের দিন নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে ছিলেন না তাঁরা। কমিশনের এক কর্তা জানিয়েছেন, বহু মানুষই কাজ ও উচ্চ শিক্ষার প্রয়োজনে ভিন রাজ্যে যান। ভোটের দিন এদের সকলের বাড়ি ফিরে আসা সবসময় সম্ভব নয় না। কারণ এটা খরচ সাপেক্ষ। এই জায়গা থেকেই নতুন এই ইভিএম তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সমস্ত ভোটারই যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন, সেটা নিশ্চিত করাই কমিশনের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন তিনি।

    রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা

    জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এই উদ্যোগ নিয়েও দেশের অনেক রাজনৈতিক দল বিরোধিতা করেছে। এই পদক্ষেপ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছে বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের নেতারা। তাঁদের কথায়, কোনও ব্যক্তি নিজের কেন্দ্র ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে ভোট দিলে ওই কেন্দ্রে তাঁর ভোট কোনও ভুয়ো ভোটার দিতে পারেন। এক্ষেত্রে বড় ধরণের ব়্যাগিংয়ের সম্ভাবনা থাকছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা। যদিও এই বিষয়ে কমিশনের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই পদ্ধতি নিয়ে সব রাজনৈতিক দলগুলির কাছে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে মতামত জানাতে হবে। সেই মত পর্যালোচনা করেই নতুন পদ্ধতি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।

  • T N Seshan: ‘যোগ্য লোককেই খুঁজে বের করতে হবে’, শেষনের তুলনা টেনে বলল সুপ্রিম কোর্ট

    T N Seshan: ‘যোগ্য লোককেই খুঁজে বের করতে হবে’, শেষনের তুলনা টেনে বলল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের (CEC) ‘ভঙ্গুর ঘাড়ে’র ওপর সংবিধান প্রচুর ক্ষমতা চাপিয়েছে। তাই এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে বসাতে হবে শক্ত চরিত্রের কাউকে। মঙ্গলবার একথা জানাল দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) মতে, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এবং তাই প্রয়াত মুখ্য নির্বাচন কমিশনার টিএন শেষনের (T N Seshan) মতো একজন কাউকে প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, ১৯৯০ সাল থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদে আসীন ছিলেন শেষন। তাঁর আমলে নির্বাচনী নানা সংস্কার হয়। এদিন সেই প্রসঙ্গই টেনেছে দেশের শীর্ষ আদালত।

    সাংবিধানিক বেঞ্চ…

    পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের মাথায় রয়েছেন বিচারপতি কে এম জোসেফ। এই বেঞ্চেই এদিন শুনানি হচ্ছিল একটি পিটিশনের। এই পিটিশনে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ পদ্ধতির সংস্কার সাধনের কথা বলা হয়েছিল। জোসেফ ছাড়াও এই বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি অজয় রাস্তোগি, বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস, বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি সিটি রবিকুমার। পাঁচ বিচারপতির এই সাংবিধানিক বেঞ্চের প্রশ্ন, কেন ২০০৭ সাল থেকে সমস্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের মেয়াদ কমানো হয়েছে। দেশের শীর্ষ আদালত বলেছে, আমরা এই প্রবণতা ইউপিএ এবং বর্তমান সরকারের আমলেও লক্ষ্য করেছি।

    এই মামলার শুনানিতে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ বলেছে, গণতন্ত্র সংবিধানের মৌলিক কাঠামো। এ নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। আমরা সংসদকে কিছু করতে বলতে পারি না। এবং আমরা তা করবও না। দেশের শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনের সদস্য নিয়োগে সংসদকেই সংস্কার সাধন করতে হবে। কারণ এর প্রভাব পড়ে নির্বাচন কমিশনের কর্যক্রমে।

    আরও পড়ুন: রাজীব হত্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র, কেন জানেন?

    দেশের শীর্ষ আদালতের বলে, এটি নির্বাচন কমিশনারের স্বাধীনতাকেও প্রভাবিত করে। আদালতের প্রশ্ন, ১৯৯১ সালের আইনে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কার্যকাল ছিল ছ’ বছর। তাহলে কোন যুক্তিতে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ কমানো হচ্ছে? এর পরেই আদালতে বলে, সংবিধান মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং দুই নির্বাচন কমিশনারের কাঁধে অনেক দায়িত্ব অর্পণ করেছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে টিএন শেষনের (T N Seshan) মতো শক্তশালী চরিত্রের এক ব্যক্তির প্রয়োজন। আদালত বলে, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদে আমাদের যোগ্য লোককেই খুঁজে বের করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Assembly Elections 2022: ১২ নভেম্বর হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন, ঘোষণা করা হয়নি গুজরাটের নির্ঘণ্ট

    Assembly Elections 2022: ১২ নভেম্বর হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন, ঘোষণা করা হয়নি গুজরাটের নির্ঘণ্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোষণা করা হল হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Elections 2022) দিনক্ষণ। ১২ নভেম্বর হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। ৮ ডিসেম্বর হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা ভোটের গণনা। ভারতের নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India) শুক্রবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে। বছরের শেষে হিমাচল প্রদেশের সঙ্গে সঙ্গে গুজরাটেও বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। তবে, এদিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের সাংবাদিক সম্মেলনে গুজরাট নির্বাচনের দিনক্ষণ জানানো হয়নি।

    এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন (Assembly Elections 2022) হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য এবং নির্বাচনের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন প্রকাশেরও চেষ্টা করা হচ্ছে। সূচি অনুযায়ী ১৭ অক্টোবর থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হবে, ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করার সময় দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপী কাণ্ডে কার্বন ডেটিংয়ের আবেদন খারিজ করে দিল বারাণসী আদালত

    বর্তমান হিমাচল বিধানসভার মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩-এর ৮ জানুয়ারি। ২০১৭ সালে ৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছিল সর্বশেষ হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Elections)। ৪৪টি আসনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করেছিল বিজেপি। অন্যদিকে কংগ্রেস পার্টি ২১টি আসন জিতেছিল। বর্তমানে, হিমাচল প্রদেশ বিধানসভায় বিজেপির ৪৫ জন বিধায়ক রয়েছে, যেখানে কংগ্রেসের ২২ এবং সিপিআইএমের ১জন বিধায়ক রয়েছে।

    অন্যদিকে গুজরাট বিধানসভার মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। ১৮২ সদস্যের বিধানসভায় বিজেপির ১১১ জন এবং কংগ্রেসের ৬২ জন বিধায়ক আছেন। গুজরাটে শেষবার বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৭ সালের ৯ ও ১৪ ডিসেম্বর। আর ভোট গণনা হয়েছিল ১৮ ডিসেম্বর। ১৮২ টি আসনের মধ্যে বিজেপি জিতেছিল ৯৯টি আসন, কংগ্রেস জিতেছে ৭৭টি, ১টি আসন এনসিপি ও ভারতীয় উপজাতি পার্টি ২ আসনে জয়ী হয়েছিল। এবছরের নির্বাচন (Assembly Elections 2022) নিয়ে আজ ঘোষণা করা হয়নি। তবে অবশ্য গুজরাট ও হিমাচল প্রদেশে বিজেপি-কংগ্রেসের দ্বিপাক্ষিক দ্বন্দ্বে, তৃতীয় পক্ষ হিসেবে ভাগ বসাতে চলাতে বসেছে অরবিন্দ কেজরিবালের আম আদমি পার্টি।

    সম্প্রতি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার এবং নির্বাচন কমিশনার অনুপ চন্দ্র পান্ডে নির্বাচনের প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ করতে গুজরাট ও হিমাচল প্রদেশে সফর করেছিলেন।

  • Shiv Sena: শিবসেনার ‘তির-ধনুক’ ব্যবহার করতে পারবেন না ঠাকরে-শিন্ডে, নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

    Shiv Sena: শিবসেনার ‘তির-ধনুক’ ব্যবহার করতে পারবেন না ঠাকরে-শিন্ডে, নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিবসেনা (Shiv Sena) বিতর্কে আপাতত ইতি টানল নির্বাচন কমিশন (EC)। সাফ জানাল, আসন্ন আন্ধেরি পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে শিবসেনার প্রতীক তির ও ধনুক ব্যবহার করতে পারবে না শিবসেনার দুই গোষ্ঠীর কোনওটিই। মাস দুয়েক আগে শিবসেনা (Shiv Sena) ভেঙে দু টুকরো হয়ে যায়। সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোয় উদ্ধব ঠাকরেকে সরিয়ে বিজেপির সমর্থনে সরকার গড়েন শিবসেনারই একনাথ শিন্ডে। তার পরেই দু পক্ষ নিজেদের আসল শিবসেনা বলে দাবি করতে থাকে। বিবাদ গড়ায় নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত। সেই বিবাদেই আপাতত জল ঢালল কমিশন। সাফ জানাল, আন্ধেরি পূ্র্ব বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে দু পক্ষকেই লড়তে হবে তির-ধনুক বাদে অন্য কোনও প্রতীকে।

    জারি করা নির্দেশে নির্বাচন কমিশন বলেছে, দুই গোষ্ঠীই একই দলের (শিবসেনার) প্রতিনিধিত্ব দাবি করছে। তাই তারা একটি প্রতীকের দাবি করছে। তা সম্ভব নয়। আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য দুই গোষ্ঠীই শিবসেনার (Shiv Sena) প্রতীক ছাড়া অন্য কোনও প্রতীক নিতে পারে। দুই গোষ্ঠীকেই নয়া নাম এবং প্রতীক জমা দিতেও বলেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের এই সিদ্ধান্তে বাকরুদ্ধ শিবসেনা (Shiv Sena)  নেতা অনিল দেশাই। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে শিবিরের মুখপাত্র নরেশ মাসকে বলেন, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ। আমরা প্রতীক হিসেবে তির-ধনুকই চাই। সেজন্য আমরা আইনি পরামর্শও করছি।

    আরও পড়ুন : আসল শিবসেনা কারা, সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা (Shiv Sena) গোষ্ঠী নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে তাদের প্রতি অবিচার বলে আখ্যা দিয়েছে। মহারাষ্ট্র বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আম্বাদাস দাঁভে বলেন, এটি আমাদের প্রতি অবিচার। অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ জারি না করে নির্বাচন কমিশনের উচিত ছিল সামগ্রিক পরিস্থিতি বিচার করে সিদ্ধান্ত নেওয়া। নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশের পর ট্যুইট করেছেন আদিত্য ঠাকরে। ট্যুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, বাক্সবন্দি বিশ্বাসঘাতকের দল শিবসেনার (Shiv Sena)  নাম ও প্রতীক লোপ করতে লজ্জাজনক কাজ করছে। মহারাষ্ট্রের বাসিন্দারা এটা সহ্য করবেন না। আমরা লড়াই করব এবং জয়ী হব। আমরা সত্যের পক্ষে। সত্যমেব জয়তে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Real Shiv Sena tussle: আসল শিবসেনা কারা, সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    Real Shiv Sena tussle: আসল শিবসেনা কারা, সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসল শিবসেনা (Shiv Sena) কারা? সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার নির্বাচন কমিশনকেই দিল দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) এবং একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde) এই লড়াইয়ে রেফারির ভূমিকায় থাকবে কমিশন। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, শিবসেনার প্রতীক নিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে পারবে কমিশন। কে প্রকৃত শিবসেনা, তা বাছাইয়ের দায়িত্ব যাতে নির্বাচন কমিশন না পায়, সে জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের গোষ্ঠী।  

    আরও পড়ুন: ইয়াকুবের কবর সৌন্দর্যায়ন, দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস শিন্ডের          
      
    মঙ্গলবার উদ্ধবদের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ। প্রকৃত শিবসেনা হিসেবে স্বীকৃতি এবং শিবসেনার তির-ধনুক প্রতীক প্রদানের যে দাবি জানিয়েছে শিন্ডে শিবির, তা যাতে কমিশন না শোনে, সেই আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছিল উদ্ধব শিবির। মঙ্গলবার সেই পিটিশন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।   

    শীর্ষ আদালতের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছে, “নির্বাচন কমিশনে সওয়াল-জবাবে কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে না বলে নির্দেশ দিচ্ছি আমরা।” যে বেঞ্চে আছেন বিচারপতি এমআর শাহ, বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারী, বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি পিএস নরসীমা। 

    আরও পড়ুন: বিজেপির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন উদ্ধব, তাঁর শিক্ষা পাওয়া প্রয়োজন, জানালেন শাহ

    মঙ্গলবার শুনানির সময় উদ্ধব পক্ষের আইনজীবী কপিল সিব্বল দাবি করেন, বহিষ্কৃত হওয়ার পরে শিবসেনার প্রতীক প্রদানের দাবি জানিয়ে কমিশনের কাছে যেতে পারেন না শিন্ডেরা। শিন্ডে পক্ষের আইনজীবী নীরজ কিষান কৌল পাল্টা দাবি করেন, কমিশনের কাছে শিন্ডে শিবিরের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ১.৫ লক্ষ শিবসেনা সমর্থক। ভোটের আগে দুই শিবিরের সমস্যা হয়েছিল। বিধানসভায় আস্থা ভোটের একদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়েছেন উদ্ধব। এ থেকে ধরেই নেওয়া যায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। তাই উদ্ধবদের পিটিশনের কোনও ভিত্তি নেই।     
     
    একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে শিবসেনা বিধায়কদের একাংশের বিদ্রোহের জেরে মহারাষ্ট্রে তিন মাস আগেই উদ্ধভ ঠাকরের সরকারের পতন হয়েছে। তারপর বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে গত ৩০ জুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শিন্ডে। শপথ নেওয়ার এক সপ্তাহ পরই, সংযুক্তিকরণ, বহিষ্কারের মতো বিষয়গুলিতে একনাথের বিরুদ্ধে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় উদ্ধব শিবির। সেইসময় উদ্ধবের আইনজীবীরা দাবি করেছিলেন, শুধুমাত্র অপর কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিশে গেলে সংবিধান দশম তফসিলের আওতায় শিবসেনা থেকে বহিষ্কারের হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন শিন্ডেরা। যে বিষয়টি নিয়েও মঙ্গলবারও সওয়াল-জবাব হয় আদালতে।      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Election Commission: নির্বাচন কমিশনের বড় পদক্ষেপ! তালিকা থেকে বাদ ৮৬ নথিভুক্ত অস্বীকৃত দল, নিষ্ক্রিয় ঘোষণা ২৫৩টি

    Election Commission: নির্বাচন কমিশনের বড় পদক্ষেপ! তালিকা থেকে বাদ ৮৬ নথিভুক্ত অস্বীকৃত দল, নিষ্ক্রিয় ঘোষণা ২৫৩টি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে (Political Parties) নিয়ে এক বড় ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। মোট ৮৬টি নথিভুক্ত অস্বীকৃত রাজনৈতিক দলকে “Non-existent” বা “অস্তিত্বহীন” বলে ঘোষণা করা হয়েছে ও এই দলগুলোকে তালিকা থেকে সরানো হল। এর পাশাপাশি জানানো হয়েছে ২৫৩টি দলকে নিষ্ক্রিয় (Inactive) বলেও জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ এই রাজনৈতিক দলগুলো কোনও নির্বাচনেই অংশগ্রহণ করেনি।

    কমিশনের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা বলা হয়েছে যে, এই দলগুলো ২০১৪ সাল থেকে কোনও বিধানসভা ও সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি বা কমিশনের পাঠানো ১৬টি নোটিশের কোনও জবাব দেয়নি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার (Chief Election Commissioner Rajiv Kumar) এবং নির্বাচন কমিশনার অনুপ চন্দ্র পান্ডের (Election Commissioner Anup Chandra Pandey) তরফে জানানো হয়েছে যে, বিহার, দিল্লি, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা এবং উত্তর প্রদেশের প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে ২৫৩টি দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এরপরেই মঙ্গলবার এতগুলি দলের বিরুদ্ধে এই বড় পদক্ষেপ নিল নির্বাচন কমিশন।

    আরও পড়ুন: বৈঠক হবে শেহবাজ, শি-র সঙ্গে? এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে আজই সমরখন্দে প্রধানমন্ত্রী

    নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়েছে, “২৫৩টি দলকে নিষ্ক্রিয় তালিকায় রাখা হয়েছে। কারণ তারা, তাদের কাছে পাঠানো নোটিশের কোনও জবাব দেয়নি এবং ২০১৪ ও ২০১৯-এর কোনও বিধানসভা বা সংসদ নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। এগুলোর মধ্যে তামিলনাড়ুর অন্তত ১৪ টি, উত্তর প্রদেশের ৩৪, দিল্লির ৩৩টি , তেলেঙ্গানার ৯টি এবং কর্ণাটকের ৬টি রাজনৈতিক দল আছে।“ এছাড়াও ৮৬ টি দলের কোনও অস্তিত্বই নেই বলে এদের তালিকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    গতকাল এও জানানো হয়েছে যে, নির্বাচনী প্রতীক আদেশ অনুসারে, ১৯৬৮-এর অধীনে এই নিষ্ক্রিয়র তালিকায় থাকা দলগুলিকে কোনও ধরনের সুবিধা দেওয়া হবে না। এছাড়াও ২৫৩টি দলের মধ্যে ৬৬টি দল তাদের প্রার্থীদের প্রতীকের জন্য আবেদন করলেও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি বলে জানিয়েছে ইসি। এর আগেও চলতি বছরের মে ও জুন মাসে মোট ১৯৮ টি রেজিস্টার করা দলকে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এভাবে তালিকা থেকে বাদ পড়া রাজনৈতিক দলের মোট সংখ্যা হয়েছে ২৮৪টি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Hemant Soren: নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে কাঠগড়ায় হেমন্ত সোরেন, বিধায়ক পদ খারিজের সুপারিশ

    Hemant Soren: নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে কাঠগড়ায় হেমন্ত সোরেন, বিধায়ক পদ খারিজের সুপারিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোর বিপাকে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)! নির্বাচনী বিধিভঙ্গের (Electoral Law) অভিযোগে তাঁর বিধায়ক পদ কেড়ে নেওয়ার সুপারিশ করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। এই মর্মে রাজ্যপালকে (Govornor) রিপোর্টও পাঠিয়েছে কমিশন। বৃহস্পতিবারই রাজ্যপাল এ ব্যাপারে তাঁর সিদ্ধান্তের কথা জানাতে পারেন বলে সূত্রের খবর।

    ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্তের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে খনি লিজ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এর পরেই তদন্ত শুরু করে নির্বাচন কমিশন। শুনানি শেষ হয় ১৮ অগাস্ট। তার আগে ১২ অগাস্ট হেমন্তের আইনজীবীরা নির্বাচন কমিশনের সামনে তাঁদের মতামত তুলে ধরেছিলেন। তাঁদের দাবি, এই মামলা জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ১৯৫১র ধারা ৯ এর অন্তর্ভুক্ত নয়। পাল্টা সওয়াল করেন বিজেপির আইনজীবীরা। এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের একাধিক রায়ের উল্লেখও করেন তাঁরা। এর পরেই নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট পাঠায় নির্বাচন কমিশন।

    মুখ্যমন্ত্রী হেমন্তের অধীনে রয়েছে খনি দফতরও। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি অবৈধভাবে খনির লিজ দেন বলে অভিযোগ। এর জেরেই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ। সংবিধানের ১৯২ নম্বর ধারা অনুযায়ী, আইনসভার কোনও সদস্যের যোগ্যতা বা পদ থাকবে কিনা, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে রাজ্যপালের। বলা হয়েছে, এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজ্যপালকে তা জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। রাজ্যপাল নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ জানবেন এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করবেন।

    আরও পড়ুন : ভারতীয় সেনার উপর আত্মঘাতী হামলা চালাতে টাকা দিয়েছিল পাক কর্নেল! জেরায় স্বীকার ধৃত জঙ্গির

    জানা গিয়েছে, এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবারই সিদ্ধান্ত নিয়ে পারেন রাজ্যপাল রমেশ ব্যাস। সূত্রের খবর, একটি মুখবন্ধ খামে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ তাঁর কাছে এসে পৌঁছেছে। এদিন দুপুর দুটো নাগাদ দিল্লি থেকে রাঁচি পৌঁছবেন রাজ্যপাল। তার পরেই সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি। 

    যদিও মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিধায়ক পদ খারিজের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপালকে চিঠি পাঠিয়েছে বলে যে খবর ছড়িয়েছে, তা ঠিক নয়। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন কিংবা রাজ্যপালের তরফে সিএমওর সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ করা হয়নি। এদিকে, একটি সূত্রের খবর, হেমন্তের বিধায়ক পদ খারিজ হলে তিনি আর মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে তাঁর স্ত্রী কল্পনা সোরেনকে ওই পদে বসানো হতে পারে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Supreme Court on Freebies: ভোটারদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় অর্থনীতি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট 

    Supreme Court on Freebies: ভোটারদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় অর্থনীতি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফি বার নির্বাচনের আগে ভোটারদের নিখরচায় নানা সুবিধা (Freebies) দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাজনৈতিক দলগুলি (Political Parties)। তাদের এহেন ঘোষণায় আদতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশের অর্থনীতি, বুধবার এমনটাই জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। দেশের শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, এই বিষয়টি বিশদে বিবেচনা করার জন্য প্রয়োজন কমিটি গঠন করার। রিজার্ভ ব্যাংক (Reserve Bank), নীতি আয়োগ, অর্থ কমিশন ছাড়াও সরকার এবং বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে গঠন করতে হবে ওই কমিটি। তারাই খতিয়ে দেখবে বিষয়টি। এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিবাল। তাঁকেও পরামর্শ দেওয়ার অনুরোধ জানান প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা। দেশের প্রধান বিচারপতি বলেন, বিনামূল্যে সুবিধা প্রদানের কথা বলে আদতে লাভবান হয় প্রতিটি রাজনৈতিক দলই।

    কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দায়ের করা একটি মামলায় বলা হয়েছিল, নির্বাচনের আগে ভোটারদের সমর্থন পেতে বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তাদের দেওয়া সেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির জেরে প্রভাবিত হন ভোটাররা। ক্ষমতার আসার পর প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে গিয়ে নেমে আসে আর্থিক বিপর্যয়। এ ব্যাপারে সরকার কিছু করতে পারে না। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকেই।

    আরও পড়ুন : ‘অযৌক্তিক’ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়া বন্ধে উদ্যোগী হল সুপ্রিম কোর্ট

    এই মামলায় সরকারের প্রতিনিধিত্ব করছেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি বলেন, এভাবে (বিনামূল্যে সামগ্রী বিতরণ) আমরা অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছি। তিনি বলেন, এসব জনপ্রিয় প্রতিশ্রুতি ভোটারদের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।

    সরকারের এই বক্তব্যের পরে দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি রামানা বলেন, ভারতের সব করদাতা মনে করেন উন্নয়নূলক কাজে ব্যয় করার জন্য তাঁরা সরকারকে কর দেন। কিন্তু তাঁদের মতামত প্রকাশ করা এবং আলোচনা করার জন্য একটি ফোরাম তৈরি করা প্রয়োজন। এর পরেই তিনি বলেন, মানুষকে বিনামূল্যে সুবিধা দেওয়ার কথা বলে আসলে লাভবান হয় রাজনৈতিক দলগুলি।

    আরও পড়ুন : পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি থেকে দূরে থাকুন, সতর্ক করলেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই উত্তর প্রদেশে গিয়ে বিনামূল্যে সুবিধা দেওয়ার বিষয়টির তীব্র সমালোচনা করেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন দেশের শীর্ষ আদালতের রায় প্রধানমন্ত্রীর সেই বক্তব্যকেই সমর্থন করছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

     

  • Maharasthra Crisis: নির্বাচন কমিশনকে রুখতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে শিবির

    Maharasthra Crisis: নির্বাচন কমিশনকে রুখতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে শিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কে প্রকৃত শিবসেনা (Shiv Sena), তা নিয়ে লড়াই অব্যাহত মহারাষ্ট্রে (Maharasthra)। প্রকৃত শিবসেনা কে, তা বাছাইয়ের দায়িত্ব যাতে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) হাতে না যায়, সেজন্য সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) গোষ্ঠী। শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরের পুত্র উদ্ধর ঠাকরে খাতায় কলমে শিবসেনার নেতা। তবে দলের মধ্যে বিদ্রোহ করে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন একনাথ শিন্ডে। বর্তমানে তিনিই নিজেকে দলের নেতা ঘোষণা করেছেন। তাঁর অনুগতদের দাবি, শিন্ডে শিবিরই আসল শিবসেনা। বিধানসভার সিংহভাগ বিধায়ক এবং সাংসদদেরও বেশিরভাগের সমর্থন একনাথের দিকে রয়েছে বলেও দাবি শিন্ডে শিবিরের। স্বীকৃতির জন্য শিন্ডে শিবির দ্বারস্থ হয় নির্বাচন কমিশনের। এর পরেই কমিশনের তরফে দু পক্ষকেই স্ব স্ব দাবির সমর্থনে ৮ আগস্টের মধ্যে নথিপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন : মহারাষ্ট্র মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট, পরবর্তী শুনানি ১ অগাস্ট

    এ সংক্রান্ত চিঠিও পৌঁছে যায় উদ্ধব ঠাকরে ও শিন্ডে শিবিরের কাছে। চিঠি পেয়েই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের অনুগামীরা। তাঁদের যুক্তি, দলীয় বিধায়কদের একাংশকে প্রথমে গুজরাট ও পরে আসামে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। এভাবে দলবিরোধী কাজ করেছেন তিনি। শিন্ডে নিজেকে নেতা ঘোষণার আগেই শিবসেনার কয়েকজন বিধায়ককে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার করেছেন শিবসেনা নেতৃত্ব। সেই শাস্তিকে ধর্তব্যের মধ্যে আনলে শিন্ডে আর নিজেকে সংখ্যাগরিষ্ঠের নেতা বলতে পারেন না। উদ্ধব অনুগামী তথা শিবসেনার সাধারণ সম্পাদক সুভাষ দেশাই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে জানিয়েছেন, বিষয়টি আপাতত বিচারাধীন হওয়ায় কেউই নিজেকে আসল শিবসেনা বলে দাবি করতে পারবেন না।  

    আরও পড়ুন : মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে লড়া উচিত মহা বিকাশ আঘাড়ি জোটের, মত পাওয়ারের

    এদিকে, বিধানসভার স্পিকারকে শিন্ডে শিবির জানিয়েছে, উদ্ধবের অনুগামী বিধায়কদের বহিষ্কার করে দিতে। ১১ জুলাই শুনানির পরে সুপ্রিম কোর্ট স্পিকারকে নির্দেশ দিয়েছে, আপাতত উদ্ধব শিবিরের বিধায়কদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা যেন না নেন তিনি। শিন্ডে শিবিরের দাবি, উদ্ধব অনুগামী বিধায়কদের বহিষ্কার হতেই হবে। কারণ আস্থাভোটের সময় দলীয় হুইপ অমান্য করেছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে শিবসেনার তরফে পাঁচটি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। একটি আবেদনপত্র জমা করা হয়েছে শিন্ডে শিবিরের তরফে। আর পাঁচটি উদ্ধব শিবিরের তরফে।

     

  • Election Commission: গুজরাট, হিমাচল প্রদেশের সঙ্গেই নভেম্বরে ভোট হবে জম্মু-কাশ্মীরেও?

    Election Commission: গুজরাট, হিমাচল প্রদেশের সঙ্গেই নভেম্বরে ভোট হবে জম্মু-কাশ্মীরেও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নভেম্বর মাসেই ভোট হতে চলেছে জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu-Kashmir)? অন্তত নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) জারি করা এক নির্দেশিকায়ই এমন ইঙ্গিত মিলেছে। কেবল জম্মু-কাশ্মীর নয়, একই সঙ্গে ভোট হবে গুজরাট (Gujrat) এবং হিমাচল প্রদেশেও (Himachal Pradesh)।

    জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন যে দোরগোড়ায় তার ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। মাসখানেক আগে রাজস্থানের জয়পুরে বিজেপির কর্মকর্তাদের বৈঠকে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের জন্য বিপুল জনাদেশ নিয়ে দিল্লির দরবারে ফেরে বিজেপি। এর পরেই জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি ফেরানোর উদ্যোগ নেয় নরেন্দ্র মোদির সরকার। কাশ্মীর থেকে রদ করা হয় ৩৭০ ধারা। উপত্যকায় শান্তি ফেরাতে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে পরিণত করা হয় কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে। শুরু হয় উন্নয়নযজ্ঞ। যার জেরে ক্রমেই শান্তি ফিরছে ভূস্বর্গে।

    আরও পড়ুন : বছর শেষেই ভোট ভূস্বর্গে? কাশ্মীরে নির্বাচন নিয়ে বড় মন্তব্য রাজনাথের

    জম্মু-কাশ্মীরে নরেন্দ্র মোদির সরকার যে বিধানসভা নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর, বিভিন্ন সময় তা জানিয়ে দিয়েছেন মোদি এবং অমিত শাহ। সেই মতো উপত্যকায় শান্তি ফিরতেই শুরু হয় ডিলিমিটেশনের কাজ। ডিলিমিটেশন কমিশন কাশ্মীরে ৪৭টি ও জম্মুতে ৪৩টি বিধানসভা কেন্দ্রের সুপারিশ করে। সুপারিশ করা হয় পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্রেরও। পাকিস্তান অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের উদ্বাস্তুদের প্রতিনিধিত্বের পাশাপাশি বিধানসভায় দুই কাশ্মীরি অভিবাসীকেও মনোনীত করার সুপারিশও করে ওই কমিশন।

    আরও পড়ুন : জম্মু-কাশ্মীর থেকে কাউকে বিতাড়িত হতে দেব না, আশ্বাস রাজনাথের

    সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন আঠারো বছর বয়সী নয়া ভোটারদের নাম তোলার নির্দেশ দিয়েছে। পয়লা  জানুয়ারি থেকে পয়লা অক্টোবরের মধ্যে যাঁরা আঠারোয় পা দেবেন, দ্রুত তাঁদের নাম তোলার কাজ শেষ করতে হবে। ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম নেই, তাঁদেরও নামও দ্রুত তুলতে হবে তালিকায়। নির্বাচন কমিশনের শিডিউল অনুযায়ী, ১২ অগস্টের মধ্যে গুজরাট এবং হিমাচল প্রদেশে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শেষ করতে হবে। আর জম্মু-কাশ্মীরের ক্ষেত্রে এই সময় সীমা ধার্য করা হয়েছে পয়লা সেপ্টেম্বর। সাধারণত ভোট এগিয়ে এলেই শুরু হয় ভোটার তালিকা সংশোধন সহ নানা কাজ। সক্রিয় হয়ে ওঠে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের এই ভোটার তালিকা প্রকাশের নির্দেশের পরেই এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে গুজরাট এবং হিমাচল প্রদেশের সঙ্গে সঙ্গেই ভোট হতে চলেছে জম্মু-কাশ্মীরে। জানা গিয়েছে, গত তিন বছর ধরে জম্মু-কাশ্মীরে সংশোধন হয়নি ভোটারতালিকা। কমিশনের নির্দেশে  শুরু হয়ে গিয়েছে সেই কাজ। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে নতুন ভোটারদের নাম দ্রুত নথিভুক্ত করতে হবে তালিকায়।

    ভূস্বর্গ তাহলে দ্রুত ফিরে পেতে চলেছে রাজ্যের মর্যাদা?

     

LinkedIn
Share