Tag: Election Commission

Election Commission

  • Panchayat Election 2023: প্রচার সংক্রান্ত বিধি-নিষেধ জারি, নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ কমিশনের

    Panchayat Election 2023: প্রচার সংক্রান্ত বিধি-নিষেধ জারি, নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023)। শুক্রবারই শুরু হয়ে গিয়েছে মনোনয়নপত্র পেশ-পর্ব। এই আবহে শনিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে জারি করা হয়েছে একাধিক বিধি-নিষেধ। মিটিং-মিছিলের অনুমতি পেতে হলে রাজনৈতিক দলগুলিকে কী কী শর্ত মানতে হবে, পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপারদের সে সংক্রান্ত নির্দেশও পাঠানো হয়েছে।

    বিধির গেরো

    কমিশনের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, মোটরবাইক ও সাইকেল মিছিল করা যাবে না। আপত্তিকর কোনও সামগ্রী নিয়ে শামিল হওয়া যাবে না সভা ও মিছিলে। একটি থানা এলাকায় কোনও একটি রাজনৈতিক দল বা তাদের প্রার্থী দিনে সর্বাধিক তিনটি সভা করতে পারবেন। কোনও এলাকায় সভা ও মিছিল করতে হলে অনুমতি চেয়ে অন্তত তিন দিন আগে আবেদন করতে হবে থানায়। আবেদনপত্র জমা দেওয়া যাবে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে। যে দল আগে আবেদন করবে, অগ্রাধিকার পাবে তারাই। এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য রেজিস্টারে নথিবদ্ধ করবেন ওসি। কেবল আবেদনপত্র জমা দিলেই হবে না, ওসির অনুমতি মিললে তবেই করা যাবে সভা ও মিছিল।

    ভার্চুয়াল বৈঠক

    এদিকে, শুক্রবার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন নির্বাচন (Panchayat Election 2023) কমিশনার রাজীব সিনহা। সেখানে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে হবে। বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে হবে। এ ক্ষেত্রে কমিশন যে কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করবে না, তাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: সিভিককে উর্দি পরিয়ে পুলিশ করার ছক রাজ্যের! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    এক দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল ২০১৮ সালেও। সেবার ঝরেছিল রক্ত। খোয়াতে হয়েছিল বহু প্রাণ। জেলায় জেলায় উঠে এসেছিল অশান্তির ছবি। সংবাদমাধ্যমে ভেসে উঠেছিল বুথ জ্যাম, ছাপ্পা ভোটের কাহিনি। শাসক দলের স্থানীয় নেতাদের দাদাগিরির ছবিও দেখা গিয়েছিল। আর দেখা গিয়েছিল, কীভাবে হচ্ছে ভোট চুরি। শাসক দলের (Panchayat Election 2023) নেতাদের দাপাদাপির কাছে বড্ড অসহায় দেখাচ্ছিল বিরোধী নেতাদের। পাঁচ বছর পর ফের হচ্ছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আবার হয়তো ঝরবে রক্ত। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার বাম-বিজেপি-কংগ্রেস। কিন্তু শাসক দল তাতে রাজি হবে কি? প্রশ্ন সেটাই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • National Party: জাতীয় থেকে আঞ্চলিক! জানেন কী কী সুবিধা হারাল তৃণমূল কংগ্রেস?

    National Party: জাতীয় থেকে আঞ্চলিক! জানেন কী কী সুবিধা হারাল তৃণমূল কংগ্রেস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন আর তারপর লোকসভা। তার আগেই জাতীয় দলের (National Party) স্বীকৃতি হারাল তৃণমূল (TMC Loses National Party Status)। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে অন্য রাজ্যে একাধিক বিধানসভা নির্বাচনে শোচনীয় ফলের জেরে এই তকমা হারাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। চার রাজ্যে ‘স্থানীয় দলে’র তকমা না থাকায়, তৃণমূলের জাতীয় দলের মর্যাদা প্রত্যাহার করে নিল নির্বাচন কমিশন। ফলে বাংলার শাসক দল এখন থেকে শুধুই আঞ্চলিক দল।

    কী সুবিধা হারাল তৃণমূল কংগ্রেস?

    জাতীয় দলের (National Party) স্বীকৃতি হারানোর পর একাধিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে তৃণমূলকে এমনই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। যেমন—

    ১. জাতীয় দলের তকমা হারানোয় ইভিএম অথবা ব্যালট পেপারে প্রতিদ্বন্দ্বী দলের তালিকায় প্রথম দিকে দেখা যাবে না তৃণমূলের প্রতীক চিহ্ন। 

    ২. দলের নামের আগে আর ‘সর্বভারতীয়’ শব্দটি ব্যবহার করতে পারবে না জোড়াফুল শিবির।

    ৩. নির্বাচন সংক্রান্ত যে কোনও বিষয়ে জাতীয় দলগুলিকে আমন্ত্রণ জানাতে হয়। এ বার থেকে তৃণমূলকে আমন্ত্রণ জানাতে বাধ্য থাকবে না নির্বাচন কমিশন। 

    ৪. নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করা বা নির্বাচনী বিধি তৈরির ক্ষেত্রে মতামত দিতে পারে জাতীয় দলগুলি। তৃণমূল সেই সুযোগ পাবে না।

    ৫. তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের বাইরে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে, তবে তার প্রতীক স্থির থাকবে না।

    ৬. জাতীয় দলের স্বীকৃতি হারানোয়, আর্থিক অনুদানেও বড় ধরনের ফারাক লক্ষ্য করা যেতে পারে। অর্থের জোগান কমলে, দল চালাতে সমস্যা হবে।

     

    আরও পড়ুন: ‘‘সর্বভারতীয় শব্দটি কবে মুছবে?’’ প্রশ্ন শুভেন্দুর, তৃণমূলকে কটাক্ষ সুকান্ত-দিলীপের

    কেন হারাল তকমা?

    জাতীয় দলের (National Party) স্বীকৃতি হারিয়ে তৃণমূল যদিও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে যাবে দল এমনই তৃণমূল সূত্রে খবর। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তৃণমূল কংগ্রেসকে জাতীয় দলের স্বীকৃতি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু পরবর্তীকালে ২০২১-এ বাংলায় বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এলেও, মণিপুর ও অরুণাচল প্রদেশের বিধানসভা ভোটে শোচনীয় ফল হয় তৃণমূলের। এই দুটি রাজ্যেই রাজ্য দলের তকমা হারায় মমতার দল। ত্রিপুরা বিধানসভার নির্বাচনেও শোচনীয় হাল হয়। তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট শতাংশ ছিল ০.৮৮ শতাংশ, যা নোটার থেকেও কম। গোয়া বিধানসভা ভোটে একটিও আসনে জিততে পারেনি তৃণমূল। মাত্র ৫.২ শতাংশ ভোট পায় তারা। ফলে জাতীয় স্বীকৃতি হারাতে হল তৃণমূলকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Election Commission: প্রতিটি ভোটেই আমাদের অগ্নিপরীক্ষা দিতে হয়, বললেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার

    Election Commission: প্রতিটি ভোটেই আমাদের অগ্নিপরীক্ষা দিতে হয়, বললেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিটি নির্বাচনেই আমাদের অগ্নিপরীক্ষা দিতে হয়, একথা বললেন ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। বছরের পর বছর ধরে সফলভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করার পরও প্রতিবার বিশ্বাসযোগ্যতার পরীক্ষা দিতে হয় কমিশনকে (Election Commission)।সদ্যই মিটেছে ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডের ভোটপর্ব।

    মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এই মুহুর্তে রয়েছেন কর্নাটকে

    মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বর্তমানে রয়েছেন কর্ণাটকে। তিনি সেখানে তিনদিনের সফরে গিয়েছেন তাঁর টিমের সঙ্গে। কর্ণাটকে আসন্ন সময়ে রয়েছে হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। বিজেপি শাসিত এই রাজ্যে এবার নির্বাচনে বিরোধী পক্ষ থেকে একাধিক বার্তা এসেছে। সেই সাপেক্ষে নিরপেক্ষতা ইস্যুতে নির্বাচন কমিশন (Election Commission) নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশন। চলতি বছর আরও অন্তত পাঁচটি রাজ্যে ভোট হওয়ার কথা। এদিন কর্নাটকে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, কর্ণাটকের মানুষ কমিশনের কাছ থেকে কতটা সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যাশা করতে পারে? সেই প্রশ্নের জবাবে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, বছরের পর বছর সফলভাবে নির্বাচন করে আমরা মানুষের বিশ্বাস অর্জন করেছি। অথচ এখনও আমাদের প্রতিটি নির্বাচনে অগ্নিপরীক্ষা দিতে হয়। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের দাবি, কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন ওঠা উচিত নয়।

    আরও পড়ুন: এবার থেকে সঙ্ঘের শাখা চালাতে পারবেন মহিলারাও! জানুন বিস্তারিত

    দেশে এখনও অবধি ৪০০ বিধানসভা নির্বাচন করিয়েছে কমিশন

    রাজীব কুমার আরও বলেন, আজকের দিনে প্রতিটা নির্বাচনের ফলাফল মানুষ চোখ বন্ধ করে মেনে নিচ্ছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলছেন, নির্বাচন কমিশন (Election Commission) সফলভাবে ৪০০টি রাজ্যের নির্বাচন করেছে। ১৭টি লোকসভা নির্বাচন করেছে, ১৬টি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করিয়েছে। আজ ভারত যে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং ভৌগলিক স্থায়িত্ব অর্জন করেছে, সেটা সম্ভব হয়েছে শুধু ভারতবাসী নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভরসা রাখে বলেই। অথচ তা সত্ত্বেও আমাদের প্রতি নির্বাচনে অগ্নিপরীক্ষা দিতে হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Suvendu Adhikari: তৃণমূলের সর্বভারতীয় দলের তকমা খারিজ করার আবেদন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: তৃণমূলের সর্বভারতীয় দলের তকমা খারিজ করার আবেদন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী কোনও রাজনৈতিক দলকে জাতীয় দলের স্বীকৃতি পেতে যে সব শর্ত পূরণ করতে হয়, তৃণমূল তা করতে পারছে না। তাই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের উচিত তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় দলের তকমা খারিজ করা। ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে এমনই অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল কংগ্রেস সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত আঞ্চলিক দল বলেও আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু।

    শুভেন্দু যা বললেন

    গোয়ার পর ত্রিপুরায় ভরাডুবি। ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে নোটার চেয়েও পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরায় একটি আসনেও খাতা খুলতে পারেনি জোড়াফুল শিবির। জাতীয় দলের তকমা পেতে গেলে যা যা দরকার শুভেন্দুর দাবি তার কোনওটিই পূরণ করা সম্ভব নয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে। ট্যুইট করে তিনি লিখেছেন, আমি ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে অনুরোধ করছি, সর্বভারতীয় দল হওয়ার জন্য যে মাপকাঠি রয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই, তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় দলের তকমা খারিজ করা উচিত। 

    শুভেন্দু লিখেছেন, বিগত পাঁচ বছরে তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি গোয়া, মেঘালয় ও ত্রিপুরায় ভোটে লড়েছে। ত্রিপুরায় প্রাপ্ত ভোটের হার ০.৮৮ শতাংশ, কোনও বিধায়ক নেই। গোয়ায় ৫.২১ শতাংশ ভোট পেয়েছে, সেখানেও কোনও তৃণমূল বিধায়ক নেই। মেঘালয়ে ১৩.৭৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে, ৫ জন জয়লাভ করেছেন তৃণমূলের টিকিটে। ফলে বাংলা ও মেঘালয় ছাড়া আর কোথাও তৃণমূলের ৬ শতাংশ ভোট বা অন্তত ২ বিধায়ক নেই, যা জাতীয় দলের তকমার জন্য দরকার। লোকসভা ভোটেও ২০১৯ সালে তৃণমূল চারটি রাজ্যে ৬ শতাংশ ভোট পাওয়ার মাপকাঠি পূরণ করতে পারেনি।

    আরও পড়ুন: ত্রিপুরা জয়ের খোয়াব ভেঙে খান খান, অতঃ কিম? ভাবছে তৃণমূল

    এমনকী বাংলার বাইরেও কোনও সাংসদ লোকসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিটে জেতেননি। শুভেন্দুর দাবি, জাতীয় দলের তকমা ধরে রাখতে হলে অন্তত ৪টি রাজ্যে আঞ্চলিক দলের স্বীকৃতি পেতে হবে। এ ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ এবং মেঘালয়ে তৃণমূলের বিধায়ক রয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Shiv Sena Party: শিবসেনা নাম ও তির-ধনুক প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠী! হতাশ উদ্ধব-গোষ্ঠী

    Shiv Sena Party: শিবসেনা নাম ও তির-ধনুক প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠী! হতাশ উদ্ধব-গোষ্ঠী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকার,মুখ্যমন্ত্রীর পদ আগেই গিয়েছিল। এবার শিবসেনার (Shiv Sena) নাম ও দলের প্রতীক হারালেন বালাসাহেব ঠাকরের ছেলে উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। ভারতের নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিল, ‘শিব সেনা’ নামটি, দলের চিহ্ন ‘তির ও ধনুক’-এই সবই ব্যবহার করতে পারবে একমাত্র শিবসেনার একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠী। রাজনীতিতে কোনও কিছুই পৈতৃক সূত্রে পাওয়া যায় না, তা যোগ্যতা দিয়ে অর্জন করতে হয়। বিশেষ করে আম-জনতার ভরসা। 

    আসল শিবসেনা!

    আসল শিবসেনা কারা! এই নিয়ে গত বছরই মহারাষ্ট্রে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে শিবসেনার  অন্দরে বিদ্রোহের সময় দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে দলের নাম ও চিহ্ন নিয়ে বিবাদ শুরু হয়েছিল। নির্বাচন কমিশনের কাছে দুটি গোষ্ঠীই আবেদন করেছিল। তখন শিবসেনার চিহ্ন ও নাম- ফ্রিজ করে রাখার নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে উপনির্বাচনের জন্য একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠী দুটি তরোয়াল-একটি ঢাল চিহ্ন হিসেবে ব্যবহার করেছিল। অন্যদিকে উদ্ধব গোষ্ঠীর চিহ্ন ছিল মশাল।  দুপক্ষের লড়াই মীমাংসা করার জন্য সুপ্রিম কোর্ট বল ঠেলেছিল নির্বাচন কমিশনে। শুক্রবার সে ব্যাপারে বড় রায় দিল নির্বাচন সদন। তারা জানিয়ে দিল, উদ্ধবরা কোনওভাবেই শিবসেনার নাম ও প্রতীক ব্যবহার করতে পারবেন না। বালাসাহেবের প্রতিষ্ঠা করা দলের প্রতীক তির-ধনুকের অধিকারও ছেলের কাছে রইল না। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, শিবসেনা নাম ও তির-ধনুক প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠী।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের নয়া মোড়! সিবিআইয়ের জালে বাগদার ‘রঞ্জন’

    কমিশনের যুক্তি

    কমিশন বলেছে, উদ্ধবরা যেভাবে শিবসেনার নেতৃত্বে থেকে গিয়েছেন দিনের পর দিন তা নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে হয়নি। কমিশনের নিয়ম, প্রতিটা দলকেই নেতা বাছতে হবে নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। কিন্তু উদ্ধবরা নেতৃত্বে থেকেছেন কোটা সিস্টেম তথা সংরক্ষণ ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে। যা কখনওই কাম্য নয়। একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠীর মুখপাত্র শীতল মাথরে বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য বড় দিন। আমরা বলছিলাম আমরাই আসল শিব সেনা। এখন প্রচুর শিবসৈনিক আমাদের সঙ্গে আসবেন কারণ দলের নাম-পরিচয় আমরা পেয়েছি।’ উদ্ধব ঘনিষ্ঠ নেতা সঞ্জয় রাউত বলেন, ‘আজ নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে তাতে তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠবে।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Election Commission: বয়স ১৭ হলেই নাম তোলা যাবে ভোটার লিস্টে, ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের

    Election Commission: বয়স ১৭ হলেই নাম তোলা যাবে ভোটার লিস্টে, ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এতদিন ভোটার লিস্টে (Voter List) নাম তুলতে হলে ১৮ বছর বয়স হতে হত। এবার থেকে আর ১৮ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে না। ভোটার লিস্টে নাম তুলতে গেলে ১৭ হলেই চলবে। ১৩তম জাতীয় ভোটার দিবসে এমনই ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। বুধবার কলকাতায় ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে ভোটার দিবস পালনের অনুষ্ঠানে এ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব জানান, নতুন ভোটারদের জন্য প্রি রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম শুরু করা হয়েছে। ১৭ বছর বয়স হলেই করা যাবে রেজিস্ট্রেশন। জানা গিয়েছে, ১৭ বছর বয়সে রেজিস্ট্রেশন হলেও, ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ১৮ বছর পর্যন্ত। তবে এর সুবিধা হল, রেজিস্ট্রেশন হয়ে থাকলে ১৮ বছর হলেই ভোট দিতে পারবেন নতুন ভোটাররা। রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেলে ভোটারদের বাড়িতেই পৌঁছে যাবে ভোটার কার্ড।

    জাতীয় ভোটার দিবস…

    ২৫ জানুয়ারি, বুধবার ছিল জাতীয় ভোটার দিবস (Election Commission)। এ উপলক্ষে এদিন দিনভর দেশজুড়ে হয় নানা অনুষ্ঠান। সেই উপলক্ষে এদিন অনুষ্ঠান হয়েছে এ রাজ্যেও। জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে এদিন একটি সুসজ্জিত ট্যাবলোর উদ্বোধন করেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু। ডিএম অফিসে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে জেলাশাসক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এসডিও এবং অন্য পদস্থ আধিকারিকরা। ভোটার দিবস উপলক্ষে জেলাশাসক হলে একটি বৈঠকও হয়। বৈঠকে জাতীয় ভোটার দিবসের কার্যকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন জেলাশাসক স্বয়ং।

    আরও পড়ুুন: মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্রের জের, কংগ্রেস ছাড়লেন এ কে অ্যান্টনির ছেলে

    ১৯৫০ সালের ২৫ জানুয়ারি ভারতের নির্বাচন কমিশনের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে এই দিনটিকেই ভোটার দিবস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ২০১১ সাল থেকে ২৫ জানুয়ারি দিনটিকে জাতীয় ভোটার দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। ভোটাধিকার প্রয়োগ, ভোট দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা, নির্বাচনী সচেতনতা এবং নতুন ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহিত করতে প্রতি বছর এদিন নানা কর্মসূচি পালন করা হয় দেশজুড়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Remote EVM: কীভাবে কাজ করবে রিমোট ইভিএম? সর্বদলীয় প্রতিনিধিদের ডেমো দেখাল কমিশন

    Remote EVM: কীভাবে কাজ করবে রিমোট ইভিএম? সর্বদলীয় প্রতিনিধিদের ডেমো দেখাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ দিল্লিতে সব দলকে রিমোট ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের প্রটোটাইপ (Remote EVM) প্রদর্শন করল নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের তরফে আজ সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়। সেখানেই রিমোট ইভিএম সম্পর্কে বিশদে জানানো হয়। মূলত অভিবাসী ভোটারদের জন্য এই বিশেষ রিমোট ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন। তবে ইতিমধ্যেই এই ইভিএম নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে বিরোধী দলগুলি। 

    কমিশন সূত্রে খবর, মাল্টি কনস্টিটুয়েন্সি রিমোট ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (Remote EVM) সুবিধা হল, এই মিশনে পরিযায়ী শ্রমিকরাও দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে ভোটে অংশ নিতে পারবেন। যারা শিক্ষাগত কারণেও ভিনরাজ্যে থাকছেন, তাঁরাও ভোট দিতে পারবেন। নিজের বাড়ি যেখানে সেখানকার কেন্দ্রের জন্য তাঁরা দূর থেকে ভোট দিতে পারবেন। 

    বিরোধীদের বৈঠক? 

    সোমবার নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে (Remote EVM) হাজির হওয়ার আগে রবিবার প্রায় ১২ টি রাজনৈতিক দল দিল্লিতে বৈঠক করে। তার মধ্যে সিপিআইএম ও কংগ্রেস ছাড়াও ছিল আরজেডি, জেডিইউ, ঠাকরে পন্থী শিবসেনা, ন্যাশনাল কনফারেন্স, সিপিআই, আরএসপি, জেএমএম, ভিসিকে, মুসলিম লিগ এবং পিডিপি। এই বৈঠকে বিরোধীদের সম্মিলিত কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্যসভার নির্দলীয় সাংসদ কপিল সিব্বালও। বৈঠকে না থাকলেও সমাজবাদী পার্টি এবং এনসিপি জানিয়েছে, তারা নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবের বিরোধিতা করবে। 
    এছাড়াও ডিএমকে, তৃণমূল কংগ্রেস, কেরল কংগ্রেস এম, আরএলডি, এমডিএমকে এবং আপের মতো দলগুলিও নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবের বিরোধিতায় সামিল হবে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: মহিলাদের অশ্লীল ভিডিও তোলার অভিযোগে এপি সোনাকে বহিষ্কার আলাপ্পুঝা সিপিআইএমের

    প্রসঙ্গত, গত বছরের শেষের (Remote EVM) দিকে ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের তরফে ঘোষণা করা হয়, তারা পরিযায়ীদের জন্য দূরবর্তী কেন্দ্র থেকে ভোটগ্রহণে তৈরি। যে প্রক্রিয়ায় নিজের রাজ্যে না গিয়েও সেই ব্যক্তি নিজের জন্য নির্দিষ্ট কেন্দ্রে ভোট দিতে পারবেন। তারপরেই স্বীকৃত রাজনৈতিক দলগুলিকে ১৬ জানুয়ারি পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Election Commission of India: রাজ্যের বাইরে থেকেও দেওয়া যাবে ভোট! ‘রিমোট ভোটিং’ চালু জাতীয় নির্বাচন কমিশনের

    Election Commission of India: রাজ্যের বাইরে থেকেও দেওয়া যাবে ভোট! ‘রিমোট ভোটিং’ চালু জাতীয় নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পড়াশোনা বা চাকরির জন্যে রাজ্যের বাইরে আছেন, ফলে নিজের জায়গায় গিয়ে ভোট দিতে পারছেন না? তবে এবারে আর চিন্তা নেই, এই সমস্যার সমাধান নিয়ে এসেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। নিজের লোকসভা বা বিধানসভা কেন্দ্র ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ায় ভোট না পারার সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নিচ্ছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এবার থেকে রিমোট ভোটিং (Remote Voting) পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা যাবে বলে খবর জাতীয় নির্বাচন সূত্রে খবর। বৃহস্পতিবারই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে কমিশনের তরফ থেকে। এই পদ্ধতি বোঝাতে সব রাজনৈতিক দলকে ডেকেছে কমিশন। আগামী ১৬ জানুয়ারি সব দলের কাছে ওই পদ্ধতি বর্ণনা করা হবে।

    রিমোট ভোটিং চালু করার সিদ্ধান্ত জাতীয় নির্বাচন কমিশনের

    কমিশন সূত্রে খবর, একটি বিশেষ ধরনের ইভিএম, মাল্টি কনস্টিটুয়েন্সি ইভিএম প্রস্তুত করা হয়েছে, যার মাধ্যমে যে কোনও জায়গা থেকে নিজের কেন্দ্রে ভোট দেওয়া যাবে। উন্নত প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আগামী লোকসভা নির্বাচন (২০২৪) থেকে এমন ‘রিমোট ভোটিং’-এর বন্দোবস্ত করতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৬ জানুয়ারি রাজনৈতিক দলগুলির সামনে এই ইভিএম কী ভাবে কাজ করে, তা হাতে কমলে দেখাবেন কমিশনের পদস্থ কর্তারা। তাঁদের দাবি, এই মেশিনের মাধ্যমে একসঙ্গে ৭২টি কেন্দ্রের ভোট দেওয়া যাবে। পাশাপাশি, এই ইভিএম চালানোর জন্য কোনও কানেকটিভির প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছে কমিশন।

    রিমোট ভোটিং চালু করার উদ্দেশ্য কী?

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ২০১৯-র লোকসভা নির্বাচনে ৬৭.৪ শতাংশ ভোট পড়েছিল। সেই বার দেশের প্রায় ৩০ কোটি মানুষ ভোট দিতে পারেননি। ভোটের দিন নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে ছিলেন না তাঁরা। কমিশনের এক কর্তা জানিয়েছেন, বহু মানুষই কাজ ও উচ্চ শিক্ষার প্রয়োজনে ভিন রাজ্যে যান। ভোটের দিন এদের সকলের বাড়ি ফিরে আসা সবসময় সম্ভব নয় না। কারণ এটা খরচ সাপেক্ষ। এই জায়গা থেকেই নতুন এই ইভিএম তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সমস্ত ভোটারই যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন, সেটা নিশ্চিত করাই কমিশনের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন তিনি।

    রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা

    জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এই উদ্যোগ নিয়েও দেশের অনেক রাজনৈতিক দল বিরোধিতা করেছে। এই পদক্ষেপ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছে বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের নেতারা। তাঁদের কথায়, কোনও ব্যক্তি নিজের কেন্দ্র ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে ভোট দিলে ওই কেন্দ্রে তাঁর ভোট কোনও ভুয়ো ভোটার দিতে পারেন। এক্ষেত্রে বড় ধরণের ব়্যাগিংয়ের সম্ভাবনা থাকছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা। যদিও এই বিষয়ে কমিশনের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই পদ্ধতি নিয়ে সব রাজনৈতিক দলগুলির কাছে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে মতামত জানাতে হবে। সেই মত পর্যালোচনা করেই নতুন পদ্ধতি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।

  • T N Seshan: ‘যোগ্য লোককেই খুঁজে বের করতে হবে’, শেষনের তুলনা টেনে বলল সুপ্রিম কোর্ট

    T N Seshan: ‘যোগ্য লোককেই খুঁজে বের করতে হবে’, শেষনের তুলনা টেনে বলল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের (CEC) ‘ভঙ্গুর ঘাড়ে’র ওপর সংবিধান প্রচুর ক্ষমতা চাপিয়েছে। তাই এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে বসাতে হবে শক্ত চরিত্রের কাউকে। মঙ্গলবার একথা জানাল দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) মতে, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এবং তাই প্রয়াত মুখ্য নির্বাচন কমিশনার টিএন শেষনের (T N Seshan) মতো একজন কাউকে প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, ১৯৯০ সাল থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদে আসীন ছিলেন শেষন। তাঁর আমলে নির্বাচনী নানা সংস্কার হয়। এদিন সেই প্রসঙ্গই টেনেছে দেশের শীর্ষ আদালত।

    সাংবিধানিক বেঞ্চ…

    পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের মাথায় রয়েছেন বিচারপতি কে এম জোসেফ। এই বেঞ্চেই এদিন শুনানি হচ্ছিল একটি পিটিশনের। এই পিটিশনে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ পদ্ধতির সংস্কার সাধনের কথা বলা হয়েছিল। জোসেফ ছাড়াও এই বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি অজয় রাস্তোগি, বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস, বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি সিটি রবিকুমার। পাঁচ বিচারপতির এই সাংবিধানিক বেঞ্চের প্রশ্ন, কেন ২০০৭ সাল থেকে সমস্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের মেয়াদ কমানো হয়েছে। দেশের শীর্ষ আদালত বলেছে, আমরা এই প্রবণতা ইউপিএ এবং বর্তমান সরকারের আমলেও লক্ষ্য করেছি।

    এই মামলার শুনানিতে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ বলেছে, গণতন্ত্র সংবিধানের মৌলিক কাঠামো। এ নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। আমরা সংসদকে কিছু করতে বলতে পারি না। এবং আমরা তা করবও না। দেশের শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনের সদস্য নিয়োগে সংসদকেই সংস্কার সাধন করতে হবে। কারণ এর প্রভাব পড়ে নির্বাচন কমিশনের কর্যক্রমে।

    আরও পড়ুন: রাজীব হত্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র, কেন জানেন?

    দেশের শীর্ষ আদালতের বলে, এটি নির্বাচন কমিশনারের স্বাধীনতাকেও প্রভাবিত করে। আদালতের প্রশ্ন, ১৯৯১ সালের আইনে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কার্যকাল ছিল ছ’ বছর। তাহলে কোন যুক্তিতে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ কমানো হচ্ছে? এর পরেই আদালতে বলে, সংবিধান মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং দুই নির্বাচন কমিশনারের কাঁধে অনেক দায়িত্ব অর্পণ করেছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে টিএন শেষনের (T N Seshan) মতো শক্তশালী চরিত্রের এক ব্যক্তির প্রয়োজন। আদালত বলে, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার পদে আমাদের যোগ্য লোককেই খুঁজে বের করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Assembly Elections 2022: ১২ নভেম্বর হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন, ঘোষণা করা হয়নি গুজরাটের নির্ঘণ্ট

    Assembly Elections 2022: ১২ নভেম্বর হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন, ঘোষণা করা হয়নি গুজরাটের নির্ঘণ্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোষণা করা হল হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Elections 2022) দিনক্ষণ। ১২ নভেম্বর হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। ৮ ডিসেম্বর হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা ভোটের গণনা। ভারতের নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India) শুক্রবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে। বছরের শেষে হিমাচল প্রদেশের সঙ্গে সঙ্গে গুজরাটেও বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। তবে, এদিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের সাংবাদিক সম্মেলনে গুজরাট নির্বাচনের দিনক্ষণ জানানো হয়নি।

    এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন (Assembly Elections 2022) হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য এবং নির্বাচনের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন প্রকাশেরও চেষ্টা করা হচ্ছে। সূচি অনুযায়ী ১৭ অক্টোবর থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হবে, ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করার সময় দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপী কাণ্ডে কার্বন ডেটিংয়ের আবেদন খারিজ করে দিল বারাণসী আদালত

    বর্তমান হিমাচল বিধানসভার মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩-এর ৮ জানুয়ারি। ২০১৭ সালে ৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছিল সর্বশেষ হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Elections)। ৪৪টি আসনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করেছিল বিজেপি। অন্যদিকে কংগ্রেস পার্টি ২১টি আসন জিতেছিল। বর্তমানে, হিমাচল প্রদেশ বিধানসভায় বিজেপির ৪৫ জন বিধায়ক রয়েছে, যেখানে কংগ্রেসের ২২ এবং সিপিআইএমের ১জন বিধায়ক রয়েছে।

    অন্যদিকে গুজরাট বিধানসভার মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। ১৮২ সদস্যের বিধানসভায় বিজেপির ১১১ জন এবং কংগ্রেসের ৬২ জন বিধায়ক আছেন। গুজরাটে শেষবার বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৭ সালের ৯ ও ১৪ ডিসেম্বর। আর ভোট গণনা হয়েছিল ১৮ ডিসেম্বর। ১৮২ টি আসনের মধ্যে বিজেপি জিতেছিল ৯৯টি আসন, কংগ্রেস জিতেছে ৭৭টি, ১টি আসন এনসিপি ও ভারতীয় উপজাতি পার্টি ২ আসনে জয়ী হয়েছিল। এবছরের নির্বাচন (Assembly Elections 2022) নিয়ে আজ ঘোষণা করা হয়নি। তবে অবশ্য গুজরাট ও হিমাচল প্রদেশে বিজেপি-কংগ্রেসের দ্বিপাক্ষিক দ্বন্দ্বে, তৃতীয় পক্ষ হিসেবে ভাগ বসাতে চলাতে বসেছে অরবিন্দ কেজরিবালের আম আদমি পার্টি।

    সম্প্রতি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার এবং নির্বাচন কমিশনার অনুপ চন্দ্র পান্ডে নির্বাচনের প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ করতে গুজরাট ও হিমাচল প্রদেশে সফর করেছিলেন।

LinkedIn
Share