Tag: Election Commission

Election Commission

  • Jhargram: ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থীকে ছোড়া হল ইট, গাড়ি ভাঙচুর,পালাল জওয়ানরা, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Jhargram: ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থীকে ছোড়া হল ইট, গাড়ি ভাঙচুর,পালাল জওয়ানরা, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার ষষ্ঠদফা নির্বাচনের দিন পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল লোকসভার কেশপুর অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। বিজেপি প্রার্থী হিরণকে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখানো হয়। রাস্তায় আগুন জ্বেলে বিজেপিদের আটকানোর চেষ্টা করে তৃণমূল। আর দুপুর গড়াতেই অশান্তি ছড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতায়। যদিও  গড়বেতা ঝাড়গ্রাম (Jhargram) লোকসভার মধ্যে পড়ে। সেই গড়বেতায় ঝাড়গ্রামের গড়বেতায় বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডুকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। ইট মেরে তাঁর গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি, তাঁদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও এলাকা থেকে তাড়া দিয়ে বার করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ২০০ নম্বর বুথে উত্তেজনা। লাঠি, বাঁশ নিয়ে বিজেপি প্রার্থীর দিকে তেড়ে যান মহিলারা। সংবাদমাধ্যমের গাড়ির কাচও ভাঙা হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি ওই এলাকায় অশান্তি করছে।

    বিজেপি প্রার্থীকে ছোড়া হল ইট, গাড়ি ভাঙচুর,পালাল জওয়ানরা (Jhargram)

    বেলা দেড়টা নাগাদ ঝাড়গ্রামের গড়বেতায় (Jhargram) যান বিজেপি প্রার্থী। বেশ কয়েকজন ভোটারদের ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগ শুনে এলাকায় এসে প্রার্থী ভোটারদের নিয়ে এসে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সেই ভোটদান প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরেই তাঁদের উপর আক্রমণ নেমে আসে বলে অভিযোগ। সেখানে ছাড় পায়নি সংবাদমাধ্যমের গাড়ি, কেন্দ্রীয় বাহিনীও। একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একদল মানুষ কার্যত পাথর ছুড়ছেন বিজেপি প্রার্থীকে। আর সেই পাথরের থেকে বাঁচতে ছুটতে- ছুটতে দৌড়চ্ছেন প্রার্থীও। তাঁকে ঘিরে ধরেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা, তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু, তিনিও শেষ পর্যন্ত রক্ষা পাননি, তাঁর গায়েও পাথর লেগেছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি, প্রার্থী অভিযোগ করেছেন, তাঁর নিরাপত্তারক্ষীর মাথায় ইট লাগে, তাতে মাথাও ফাটে।

    আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রেমালের জন্য বঙ্গে একাধিক ট্রেন বাতিলের ঘোষণা দক্ষিণ পূর্ব রেলের

    নিরাপত্তারক্ষী  না থাকলে প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারতাম না

    বিজেপি প্রার্থী প্রণত বলেন, প্রার্থী হিসাবে আমি এখানে এসেছিলাম। খবর ছিল, এখানে ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশ প্রশাসন বলে কিছু নেই। আমাদের তরফে কোনও প্ররোচনা ছিল না। তৃণমূল ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিচ্ছে। ঝাড়গ্রামকে (Jhargram) সন্দেশখালি বানিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। এখানে আমাদের ভোটারেরা ভোট দিতে পারছেন না। নিরাপত্তারক্ষী ছিল বলে আমি বেঁচেছি। না হলে প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারতাম না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hiran Chaterjee: “ঘাটালে বহু বুথে বিজেপির এজেন্ট বসতে দিল না তৃণমূল”, তোপ হিরণের

    Hiran Chaterjee: “ঘাটালে বহু বুথে বিজেপির এজেন্ট বসতে দিল না তৃণমূল”, তোপ হিরণের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘাটালে নিজের গড় বাঁচাতে রাত জাগলেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chaterjee)। কর্মীদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন। শনিবার ভোর থেকে ফের এলাকায় এলাকায় চষে বেড়়ালেন তিনি। পুলিশি সন্ত্রাসের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

    কেশপুরে অর্ধেক বুথে এজেন্ট বসতে দেয়নি (Hiran Chaterjee)

    এদিন সকাল সকাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হিরণ (Hiran Chaterjee) বলেন, ‘সারারাত ধরে আনন্দপুর, কেশপুরে ঘুরেছি আমি। কোথাও আমি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেখতে পাইনি। জওয়ানরা শুধুমাত্র স্কুলের ভিতরে বসে খাওয়াদাওয়া করছিলেন। এবং এরপর রাতে তাঁরা ঘুমিয়েছেন। আর কেশপুর থানার ওসি অমিত মুখোপাধ্যায় এবং আনন্দপুর থানার ওসি সানি, এরা দু’জনে মিলে তৃণমূলকে জেতানোর জন্যে দায়িত্ব নিয়ে সারারাত আমাদের কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে। গতকাল কেশপুর এবং আনন্দপুরে বোমের বৃষ্টি হচ্ছিল। আমাদের দলের পোলিং এজেন্টের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে চমকেছে, ধমকেছে। আজ সকাল থেকে আর্ধেক জায়গায় আমাদের পোলিং এজেন্টদের বসতে দেওয়া হয়নি। তাঁদেরকে তৃণমূলের অফিসে বসিয়ে রাখা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রেমালের জন্য বঙ্গে একাধিক ট্রেন বাতিলের ঘোষণা দক্ষিণ পূর্ব রেলের

    হিরণের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ!

    এদিন সকালে কেশপুর সহ একাধিক এলাকা চষে বেড়ানোর সময় বিজেপি প্রার্থীর (Hiran Chaterjee) গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। লাঠি হাতে তৃণমূলের লোকজন বিক্ষোভ দেখান। যদিও তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দেন। বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলীরা। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

    ঘাটালের বিজেপি প্রার্থীর আরও অভিযোগ,কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখা মিলছে না। এটা ঠিক কী ধরনের গণতন্ত্র আমি জানি না। পঞ্চায়েত ভোটেও এমনটা হয়নি। নির্বাচন কমিশন কী করতে চাইছে, কেন করতে চাইছে, সেটা আমরা কেউ বুঝে উঠতে পারছি না। সারা রাত আমরা কর্মীদের মনে সাহস জুগিয়েছি। এছাড়া আমাদের কাছে কিছু করার নেই। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপরে আস্থা রাখা তো দূরের কথা, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ডিআইজি শুক্রবার রাতে আমার সঙ্গে অসভ্য ভাষায় কথা বলেছেন। অত্যন্ত নোংরা ভাষায় তিনি কথা বলেন আমার সঙ্গে। তিনি আমাকে বলেন, তাঁর কোনও দায়িত্ব নেই এলাকা সামলানোর। কেন্দ্রীয় বাহিনী তো আর আমার না। আমি কোনও দলভিত্তিক কথা বলব না। যেটা সত্য, আমি সেটাই বলছি এখানে। আমাদের দল গোটা পরিস্থিতির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানাচ্ছে। কেশপুর, সবং, পিংলায় কিউআরটি টিম খায় না মাথায় দেয়, সেটাই বুঝলাম না আমরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Ganguly: “ভোটের দিন পুলিশি সন্ত্রাসের জেরে বিজেপির কর্মীরা ঘরছাড়া!” সরব অভিজিৎ

    Abhijit Ganguly: “ভোটের দিন পুলিশি সন্ত্রাসের জেরে বিজেপির কর্মীরা ঘরছাড়া!” সরব অভিজিৎ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের দুদিন আগে বিজেপি নেতার মাকে কুপিয়ে খুন হওয়ার ঘটনা থেকে অগ্নিগর্ভ নন্দীগ্রাম। সেই নন্দীগ্রামে ভোটের আগের রাতে পুলিশি সন্ত্রাস নিয়ে সরব হলেন তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। তৃণমূলের হয়ে পুলিশ প্রকাশ্যে কাজ করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। আর শনিবার ষষ্ঠদফা ভোটের দিন ভোর থেকেই রীতিমতো নিজের একাধিক কেন্দ্র চষে বেড়ালেন বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

     ভোটের দিন পুলিশি সন্ত্রাসের জেরে বিজেপির কর্মীরা ঘরছাড়া! (Abhijit Ganguly)

    এদিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে প্রস্তুতি হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন তমলুকের বিজেপি প্রার্থী তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। এবারই প্রথমবার নির্বাচনে লড়ছেন তিনি। আর এদিন সকাল থেকেই তাঁকে দেখা গেল একেবারে অ্যাকশন মোডে। সাত সকালেই ছুটলেন হলদিয়া। অভিযোগ তুললেন, পুলিশি সন্ত্রাসের। এদিন সকালে বেরিয়েই তিনি অভিযোগ তোলেন, নন্দীগ্রামে ব্যাপক সন্ত্রাস চালাচ্ছে পুলিশ। বিজেপি কর্মীদের ভয় দেখানো হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। অভিজিৎ বলেন, “গভীর রাতে ব্যাপক সন্ত্রাস চালিয়েছে পুলিশ। ৩-৪ হাজার পুলিশ গাড়ি নিয়ে ঢুকেছিল এলাকায়। অবজারভারের কাছে জানানোর অনেক পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। পুলিশি সন্ত্রাসের জেরে বিজেপির কর্মী ও সমর্থকেরা বাড়ি থেকে পালিয়ে মাঠে-ঘাটে লুকিয়েছিলেন। যেখানে জানানোর সেখানে আভযোগ জানিয়েছি।”

    আরও পড়ুন: বাংলার শাহবাজের বলে বিদায় রাজস্থানের, আইপিএল ফাইনালে কলকাতার সামনে হায়দরাবাদ

    বিজেপি এজেন্টকে বসতে বাধা

    এদিন সকালে হলদিয়ার ২০৮ নম্বর বুথে গিয়ে তমলুকের বিজেপি প্রার্থী (Abhijit Ganguly) বলেন, “এজেন্ট বসতে দিচ্ছে না। তাই আমাকে আসতে হয়েছে। বিজেপির মহিলা এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি। আমি গিয়ে প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে কথা বলেছি। এরপর বসতে দেওয়া হয় তাঁকে। কী করছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী এই প্রশ্ন শুনে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী বাঁশি বাজাচ্ছিল, শ্যামের বাঁশি।” হলদিয়ার একটি বুথে তৃণমূলীরা বিজেপি প্রার্থীকে বিক্ষোভ দেখান। যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Anand Bose: বড় স্বস্তি রাজভবনের! তদন্তে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ

    CV Anand Bose: বড় স্বস্তি রাজভবনের! তদন্তে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপালের (C V Anand Bose) বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশের কাছে দায়ের করা শ্লীলতাহানির অভিযোগের ঘটনায় পুলিশি তদন্তের উপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ জুন।  

    পুলিশের অতিসক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠল আদালতে

    আদালত জানিয়েছে যে অভিযোগ দায়ের হয়েছে সেই এফআইআরের ভিত্তিতে নতুন করে আর কাউকে তলব করা যাবে না। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে লোকসভা ভোট মিটে যাওয়ার পর ১০ জুন। ততদিন পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    আরও পড়ুন: : নন্দীগ্রাম কাণ্ডে কমিশনের অজুহাতে রাজ্যপালকে রিপোর্ট দিতে নারাজ রাজ্য

    সম্প্রতি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন রাজভবনের এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী। রাজ্যপাল নাকি তাঁকে প্রলোভন দেখিয়ে শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ করেন ওই তরুণীর। এর পাল্টা রাজ্যপাল স্পষ্টভাবে বলেছিলেন তিনি দিদিগিরি বরদাস্ত করবেন না। অর্থাৎ শাসকদলের সুপ্রিমর অঙ্গুলিহেলনে এই অভিযোগ হয়েছিল স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল রাজ্যপালের (C V Anand Bose)। প্রথমে মহিলার বক্তব্য রেকর্ড করে তাঁকে ছেড়ে দিলেও পরে হেয়ার স্ট্রিট থানায় জমা পড়ে অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে শুরু করে লালবাজার। রাজভবনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি রাজ্যপালের ওএসডি সন্দীপ সিংহ সহ রাজভবনের তিনজন কর্মীকে ৪১ (এ) ধারায় নোটিশ পাঠিয়ে তলব করে কলকাতা পুলিশ।  

    পুলিশ সহযোগিতা করেনি, অভিযোগ রাজভবনের কর্মীদের

    রাজভবনের কর্মীদের অভিযোগ, স্পষ্টভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আছে এই বিষয়টি জানতে চাওয়া হলেও কলকাতা পুলিশ খোলসা করে তাঁদের কিছু বলেনি। তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতা করেনি। এর পর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। রাজভবনের কয়েকজন কর্মীর অভিযোগ ছিল পুলিশ তাঁদের ভয় দেখাচ্ছে। ওই আবেদনের শুনানির দিনই সংশ্লিষ্ট মামলায় পুলিশের তদন্তের উপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। স্বাভাবিকভাবেই আদালতের স্থগিতাদেশ চলে আসায় কলকাতা পুলিশের মুখ পুড়েছে এই মামলায়। রাজ্যপালের (C V Anand Bose) বিরুদ্ধে মামলা যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত সেই তত্ত্ব আরও জোরালো হল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর ভাড়া বাড়িতে তল্লাশি! পুলিশি তদন্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর ভাড়া বাড়িতে তল্লাশি! পুলিশি তদন্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মাঝে আর শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কোন বড় পদক্ষেপ করতে পারবে না পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃত সিনহা। কোলাঘাট থানার এফআইআরের উপরেও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশ বহাল থাকবে ১৭ই জুন পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে পুলিশ বা কোন এজেন্সি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে না।

    শুভেন্দুর বিরুদ্ধে পুলিশের ভভিযোগ

    প্রসঙ্গত চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার সন্ধ্যে বেলায় শুভেন্দু অধিকারীর ভাড়াবাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল। রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ ছিল তাঁর কোলাঘাটের বাড়িতে তল্লাশির নাম করে কোনও কিছু ঢুকিয়ে দিতে চাইছিল পুলিশ। এমনকি যারা পুলিশ সেজে গিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে দুজন সিভিক ভলেন্টিয়ার ছিল। সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই এই অভিযান চালায় পুলিশ। এমনটাই অভিযোগ ছিল শুভেন্দুর। সার্চ ওয়ারেন্ট এবং ভিডিওগ্রাফি ছাড়া পুলিশ কীভাবে অভিযান চালাতে পারে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারীর বাধার মুখে পড়ে কোলাঘাট থানার পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিতভাবে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধাদানসহ একাধিক ধারায় মামলা করে। এরই প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে দ্বারস্ত হয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    রাজনৈতিক কারণে হেনস্থা অভিযোগ শুভেন্দুর

    শনিবার তমলুক লোকসভা আসনে নির্বাচন রয়েছে। তাঁর আগে যাতে নতুন করে পুলিশি অভিযান না হয় বিরোধী দলনেতার তরফ থেকে এই আবেদন জানানো হয়েছিল। রাজনৈতিক কারণেই তাকে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। এরই প্রেক্ষিতে আদালত জানিয়ে দেয় ভোটের মধ্যে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে বড় কোনও আইনি পদক্ষেপ করতে পারবে না রাজ্য পুলিশ। এর আগেও হাইকোর্ট শুভেন্দু অধিকারীকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল। সেই রক্ষাকবচ বহাল রইল। তবে বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানিয়েছেন, “এই সময়ের মধ্যে জরুরি কোনও নির্দেশের প্রয়োজন হলে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবে পুলিশ।”

    আরও পড়ুন: “ভয় পাওয়ার লোক আমি নই, আপনি কাওয়ার্ড ভীতু”, অভিষেককে তোপ শুভেন্দুর

    “অনুসন্ধান না করেই চলে গেল পুলিশ” মন্তব্য বিচারপতির

    শুক্রবার আদালতের শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে সওয়াল করেছিলেন আইনজীবী, বিল্বদল ভট্টাচার্য। তাঁর দাবি ছিল, “২০ মে কোন সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই কোলাঘাটের ওই অফিস তথা অস্থায়ী বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিল পুলিশ। অভিযোগ ছিল, অফিসে বোমা, অস্ত্র ও নগদ টাকা মজুদ রাখা হয়েছিল। যদিও সেখান থেকে কিছুই পাওয়া যায়নি।” এর পাল্টা রাজ্যের পক্ষের আইনজীবী সম্রাট সেন বলেন, “এই মামলায় শুভেন্দু অধিকারী অভিযুক্ত বা সাক্ষী নন। যে বাড়িটিতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল সেটা শুভেন্দু অধিকারীর নয় সুরজিৎ দাস নামে এক ব্যক্তির। পুলিশের কাছে নির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল। তারই তদন্ত করতে পুলিশ সেখানে গিয়েছিল। দুই পক্ষের কথা শুনে বিচারপতি অমৃত সিনহা মন্তব্য করেন, “পুলিশ কী অভিযোগ পেয়েই চলে গেল। পুলিশ অনুসন্ধান করবে না। কটি ক্ষেত্রে পুলিশ অভিযোগ পেয়েই চলে যায়। প্রশ্ন তোলেন তিনি।” দুপক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি এই মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: পুলিশকে একগুচ্ছ নির্দেশ, কলকাতার ভোটে বাড়তি সতর্ক কমিশন

    Lok Sabha Election 2024: পুলিশকে একগুচ্ছ নির্দেশ, কলকাতার ভোটে বাড়তি সতর্ক কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর কয়েক দিনের পরেই কলকাতা শহরে ভোট (Lok Sabha Election 2024)। তার আগে সপ্তম দফার ভোট প্রস্তুতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েলের প্রতি কমিশনের বার্তা, রাজ্যের মূল শহর কলকাতা। ঐতিহ্যবাহী এই শহরে ভোট শান্তিপূর্ণভাবে করতে হবে। গণমাধ্যম সহ সকলের নজরে থাকবে এই শহরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি। পাশাপাশি বহু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বাস এই শহরে। সপ্তম দফতেও কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকায় ভোট সংক্রান্ত নিরাপত্তা যথোপযুক্ত রাখতে হবে। এমনই বার্তা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

    দাগী অপরাধীদের বিষয়ে পুলিশকে সতর্ক করল কমিশন

    জানা গিয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ভোটের (Lok Sabha Election 2024)  দিন গোলমাল পাকাতে পারে এমন দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে তাঁদের উপর নজরদারি চালাতে হবে। প্রয়োজনে তাঁদের হেফাজতে নিতে হবে। দাগী অপরাধীদের বাইরে রাখা চলবে না। দাগী অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রশ্নে কোন গাফিলতি কমিশন বরদাস্ত করবে না। এই নির্দেশ আগেই দেওয়া হয়েছে। সপ্তম দফায় রাজ্যের যে সমস্ত প্রান্তে ভোট হবে তাঁর একটা বড় এলাকা কলকাতা পুলিশের আওতাধীন। একদম শেষ দফায় ভোট হবে উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, যাদবপুর, ডায়মন্ড হারবার, দমদম, বারাসাত, বসিরহাট, জয়নগর ও মথুরাপুর কেন্দ্র। এরমধ্যে কলকাতা পুলিশকে কলকাতার উত্তর, দক্ষিণ কেন্দ্র ছাড়াও সামলাতে হবে যাদবপুর, ডায়মন্ড হারবারের কিছুটা অংশ এবং জয়নগরের একটি বড় অংশ।

    কোথায় কত বাহিনী

    লালবাজার সূত্রের খবর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দাগী অপরাধীদের ক্ষেত্রেও নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মোতাবেক কাজ শুরু হয়ে গেছে। দুষ্কৃতীদের তালিকা তৈরি করে তাঁদের মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে, তাঁরা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) দিন গোলমাল পাকাবে না।

    আরও পড়ুন: বুথভিত্তিক ভোটদানের তথ্য প্রকাশের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে, স্বস্তিতে কমিশন

    এবারের ভোটের কলকাতা পুলিশ ২৪৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করবে। এর আগে এত সংখ্যায় কলকাতায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহার হয়নি। এই ছাড়াও কলকাতা পুলিশের ১২,৭০০ পুলিশ কর্মী ভোটের কাজে ব্যস্ত থাকবেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে ২৩০টি কিউআরটি গঠন করা হয়েছে। শহরে টহল দেওয়ার জন্য কলকাতা পুলিশের কর্মী এবং আধিকারিকদের নিয়ে ৩৪৭ টি সেক্টর মোবাইল, ২৪০ কিউআরটি মোবাইল এবং ৮০ হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড তৈরি করা হয়েছে। যাদের শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ভোটের আগেই মোতায়েন করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: বুথভিত্তিক ভোটদানের তথ্য প্রকাশের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে, স্বস্তিতে কমিশন

    Supreme Court: বুথভিত্তিক ভোটদানের তথ্য প্রকাশের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে, স্বস্তিতে কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারাদেশে ৫ দফায় ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এখনও ২ দফায় ভোটগ্রহণ বাকি। নির্বাচন যতই শেষের দিকে যাচ্ছে ততই রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করেছে। আর রাজ্যে ভোটের আবহের মাঝেই এবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায়ে বড় স্বস্তি মিলল কমিশনের। সম্প্রতি লোকসভা ভোট চলাকালীন কমিশন (Election Commission) যেন তার ওয়েবসাইটে বুথভিত্তিক ভোটদানের হার সম্পর্কিত পরিসংখ্যান প্রকাশ করে এমনই দাবিতে কোর্টে আবেদন জানানো হয় অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস-র তরফে। ওই এনজিও-র তরফে দায়ের করা সেই আর্জি এদিন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এই নির্দেশ দিলে, কমিশনের ঘাড়ে ভোটের মধ্যে অতিরিক্ত বোঝা চাপবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। 

    কেন এই সিদ্ধান্ত? (Supreme Court)

    ২৪ মে শুক্রবার বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার অবকাশকালীন বেঞ্চ জানিয়েছে, পাঁচ দফার ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে। আর মাত্র দুই দফা বাকি আছে। এই অবস্থায়, প্রতিটি বুথের ভোটদানের তথ্য কমিশনের (Election Commission) ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার নির্দেশ দিলে, প্রয়োজনীয় লোকবল সংগ্রহ করা নির্বাচন কমিশনের পক্ষে চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়াবে। এ প্রসঙ্গে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত বলেন, “আমাদের বাস্তব পরিস্থিতিও মাথায় রাখতে হবে। নির্বাচনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের ঘাড়ে অতিরিক্ত বোঝা চাপানো ঠিক হবে না। তাও আবার, মাঝপথে নির্বাচন প্রক্রিয়াকেই চ্যালেঞ্জ করে।”

    আরও পড়ুন: প্রতি বুথে ভোটদানের হার প্রকাশে বিভ্রান্তি বাড়বে, সুপ্রিম কোর্টে কমিশন

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ লোকসভা ভোটে প্রথম দুই দফার ভোটগ্রহণ পর্বে ভোটের হার সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশে দেরি হওয়ার পর এক মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। আর্জি ছিল লোকসভা ভোট চলাকালীন কমিশন যেন তার ওয়েবসাইটে প্রতি বুথে ভোটদানের হার সম্পর্কিত পরিসংখ্যান প্রকাশ করে, তার জন্য নির্দেশ যেন সুপ্রিম কোর্ট কমিশনকে দেয়। তবে এ প্রসঙ্গে কমিশন বলেছিল, নির্বাচনী আইনে কোথাও ভোটদানের তথ্য় প্রকাশ করতেই হবে, এমন কথা বলা নেই। তাছাড়া, এই বিপুল সংখ্যক বুথের তথ্য এত দ্রুত প্রকাশ করা সম্ভব নয়। নির্বাচনের পরই এই তথ্য তারা প্রকাশ করতে পারবে। কমিশনের (Election Commission) এই বক্তব্যের পর ওই এনজিও-র তরফে দায়ের করা সেই আর্জি এদিন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: নন্দীগ্রাম কাণ্ডে কমিশনের অজুহাতে রাজ্যপালকে রিপোর্ট দিতে নারাজ রাজ্য

    Nandigram: নন্দীগ্রাম কাণ্ডে কমিশনের অজুহাতে রাজ্যপালকে রিপোর্ট দিতে নারাজ রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রামে (Nandigram) বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় রাজ্য পুলিশের অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চেয়ে পাঠালেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। প্রসঙ্গত বুধবার রাতে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় মনসা বাজার এলাকায় দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন স্থানীয় বিজেপি নেতা সঞ্জয় আড়ির মা রথীবালা আড়ি। নন্দীগ্রামে বিজেপির তফসিলি মোর্চার সম্পাদক সঞ্জয় আড়ি বর্তমানে কলকাতার একটি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।

    রাজ্যপালের বার্তা

    অ্যাকশন রিপোর্ট চাওয়ার পাশাপাশি লোকসভা ভোটে রক্ত স্নান বন্ধ করে আদর্শ আচরণ বিধি মেনে চলার পরামর্শ রাজ্যকে দিয়েছেন রাজ্যপাল। এই ঘটনায় সরাসরি শাসক দলের নেতারা জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এফআইআরেও তাঁদের নাম রয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরাও সরাসরি স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের নাম করে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। পরিকল্পনা করে এই খুন করা হয়েছে অভিযোগ তাঁদের।

    রাজ্যপালকে রিপোর্ট দিতে অনীহা

    প্রসঙ্গত নন্দীগ্রামে (Nandigram) খুনের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত খোঁজখবর শুরু করেছেন রাজ্যপাল। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রাজ্য প্রশাসন কী পদক্ষেপ করেছে তা জানিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজভবন। রাজ্য প্রশাসন অবশ্য রাজ্যপালকে রিপোর্ট দেওয়ার মেজাজে নেই।

    আরও পড়ুন: মারে মাথার খুলি ফেটে গিয়েছিল! আশঙ্কাজনক অবস্থায় কেমন আছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা?

    রাজ্য প্রশাসনের যুক্তি লোকসভা নির্বাচন না মেটা পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। তাই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসন এখনও পর্যন্ত কী পদক্ষেপ করেছে তা বলতে পারবে কমিশন। নবান্ন বা রাজ্য প্রশাসন নয়। অর্থাৎ এ বিষয়ে পুলিশ পদক্ষেপ করলেও কী পদক্ষেপ করা হয়েছে তা কমিশনের অজুহাত দেখিয়ে রাজভবনের কাছে পৌঁছে দিতে নারাজ রাজ্য।

    নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপ

    নন্দীগ্রামে (Nandigram) বিজেপির মহিলা কর্মীকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। কী কারণে মৃত্যু? সে বিষয়েও পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসককে দ্রুত রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। একইসঙ্গে অশান্তি প্রবণ অঞ্চলে রুট মার্চ করানোরও নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ভোটের আবহে (Lok Sabha Election 2024) বুধবার রাতে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া এলাকায় একটি হামলার ঘটনা ঘটে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রাতে এলাকায় হামলা চালায়। এক মহিলা কর্মীকে কুপিয়ে খুন করা হয়। রথীবালা আড়ি নামে ওই বিজেপি (BJP) কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি কোপ চালাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। মাকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম হন রথীবালার পুত্র সঞ্জয় আড়িও। চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। জখমদের তৎক্ষণাৎ নিয়ে যাওয়া হয় নন্দীগ্রাম (Nandigram) সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Election 2024: নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মী খুন, জেলাশাসকের থেকে রিপোর্ট চাইল কমিশন

    Lok Sabha Election 2024: নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মী খুন, জেলাশাসকের থেকে রিপোর্ট চাইল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ষষ্ঠ দফায় আগামী ২৫ মে তমলুকে ভোটগ্রহণ (Lok Sabha Election 2024)। আর তার আগে নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিজেপির মহিলা কর্মীকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কী পদক্ষেপ-জানতে চাইল নির্বাচন কমিশন। কী কারণে মৃত্যু? সে বিষয়েও পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসককে দ্রুত রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দিল কমিশন। একইসঙ্গে অশান্তি প্রবণ অঞ্চলে রুট মার্চ করানোরও নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

    ঠিক কী ঘটেছিল? 

    ভোটের আবহে (Lok Sabha Election 2024) বুধবার রাতে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া এলাকায় একটি হামলার ঘটনা ঘটে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রাতে এলাকায় হামলা চালায়। এক মহিলা কর্মীকে কুপিয়ে খুন করা হয়। রথীবালা আড়ি নামে ওই বিজেপি (BJP) কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি কোপ চালাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। মাকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম হন রথীবালার পুত্র সঞ্জয় আড়িও। চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। জখমদের তৎক্ষণাৎ নিয়ে যাওয়া হয় নন্দীগ্রাম (Nandigram) সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম। এখনও পর্যন্ত ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। নন্দীগ্রামের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এসপিকে ঘটনাস্থলে যেতে বলা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ভোটব্যাঙ্ক! তৃণমূল জমানায় ওবিসি হয়েছিল যারা, খারিজ করেছে হাইকোর্ট, দেখুন তালিকা

    রিপোর্ট তলব কমিশনের 

    যদিও এই হামলার দায় অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাঁদের অভিযোগ, এলাকায় বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের কারণেই এই খুন। উল্লেখ্য, নন্দীগ্রাম (Nandigram) এলাকায় প্রচারের শেষ দিন বৃহস্পতিবারই। আর ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগে প্রচারের শেষ দিনে এই অশান্তির ঘটনায় এবার রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল কমিশন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ভোট মিটে গেলেও রাজ্যে থাকবে ৩২০ কোম্পানি বাহিনী, জানাল কমিশন

    Lok Sabha Election 2024: ভোট মিটে গেলেও রাজ্যে থাকবে ৩২০ কোম্পানি বাহিনী, জানাল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ বছর লোকসভা ভোট (Lok Sabha Election 2024) এখনও পর্যন্ত নির্বিঘ্নেই কাটছে। ছোটখাটো কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া তেমন কোনও গণ্ডগোলের খবর সামনে আসেনি। সাত দফার মধ্যে বাকি রয়েছে আর দু দফা। তারপরেই এবারের মত শেষ হবে লোকসভা নির্বাচন। কিন্তু ভোট মটে গেলেও হিংসার আশঙ্কা রয়েছে। তাই ভোটের পরেও রাজ্যে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force)। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর আগামী ৪ জুন লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পরেও রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। 

    কমিশনের সিদ্ধান্ত 

    ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) ফল ঘোষণার পরেও আরও প্রায় ১৫ দিন এ রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। সিআইএসএফ, সিআরপিএফ, বিএসএফ এবং এসএসবি মিলিয়ে ৩২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যের বাছাই করা কিছু এলাকায় মোতায়ন রাখা হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সিআইএসএফ-এর কর্তা বলেন, ‘‘পরিস্থিতি অনুযায়ী ১৫ দিনের বেশিও রাখা হতে পারে বাহিনী (Central Force)। তা-ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’

    আরও পড়ুন: এ দেশেই রয়েছে ২১০০ বছর পুরনো বিশ্বের চতুর্থ প্রাচীনতম চালু বাঁধ, জানেন কি?

    ভোট পরবর্তী হিংসার আশঙ্কা

    গত বিধানসভা ভোটের পরে রাজ্য জুড়ে ভোট-পরবর্তী হিংসায় বিরোধী দলের দশ জনের বেশি সমর্থক-কর্মীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। আহত হন অনেকে। সে সময় অভিযোগের আঙুল উঠেছিল শাসকদল তৃণমূলের দিকে। মূলত সেই ঘটনাকে সামনে রেখেই তৈরি হয়েছে আশঙ্কা। পাশাপাশি বিভিন্ন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে এ বার লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) পরে এ রাজ্য সন্ত্রাসের ছবি ফিরে আসার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। আশঙ্কা, কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্য থেকে চলে গেলেই শুরু হতে পারে সংঘর্ষ। তাই সেই আশঙ্কা থেকেই ভোটের ফল ঘোষণার পরেও রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share